হাসিনা-মনমোহন শীর্ষ বৈঠক শেষে গতকাল মঙ্গলবার একটি চুক্তি, একটি প্রটোকল ও আটটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতার রুপরেখা চুক্তিতে সই করেছেন দুই প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রী।–প্রথম আলো
বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশী দেশ হলেও ভারতের কাছ থেকে প্রতিবেশীর মর্যাদা পেয়েছি আমরা কদাচিত। কেন? কারণটা সম্ভবত অবিশ্বাস,পারস্পরিক আস্থার অভাব। সেখানে কি দোষ দেয়া যায়?ভারত যেমন পার্বত্য অঞ্চলের শান্তিবাহিনীকে অস্ত্র, প্রশিক্ষন দিয়ে সহযোগিতা করেছে তেমনি বাংলাদেশও আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নৈতিক সাহায্য দিয়েছে। এছাড়াও ভারতের মনোযোগ কখনোই প্রতিবেশীদের দিকে ছিল না যার কারনে দক্ষিন এশিয়ায় রাষ্ট্র গুলোর মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ টাই তৈরি হয়নি। সম্পর্কের অবনতির কথা তাই বলতে পারি না। যাই হোক প্রসংগ সেটি নয়। এই অবিশ্বাসের দোলাচল থেকে দুই দেশই বের হয়ে আসতে চেয়েছিল। পদক্ষেপ প্রথমে বাংলাদেশ ই নিয়েছিল। মনমোহন সিং অকপটে তা স্বীকারও করে নিলেন-“ আমাদের (ভারত) নিরাপত্তাসংক্রান্ত সমস্যাগুলো মোকাবিলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগ নিয়েছেন। সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য আমাদের অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এটা বাংলাদেশের জনগনের কাছে আমাদের দায়”। দায় মেটাবেন কি করে? তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশকে দিবেন, ফেনী নদীর পানি বন্টন চুক্তি করবেন । বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এগুলো ছিল প্রধানতম দাবী।(সাথে আরো কিছু গৌণ বিষয় ছিল, যেগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের প্রয়োজন ছিল না।) বিনিময়ে ভারত নিয়ে যাবে আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রমানস্বরুপ মংলা এবং চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের অনুমতিসহ ট্রানজিট। এমনটাই হবার কথা ছিল।
কিন্তু বাদ সাধলেন আমাদেরই আরেক স্বজাতি যাদের ওপার বাংলার মানুষ বলি তাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি বাংলাদেশকে দিবেন তিস্তার পানির মাত্র ২৫ শতাংশ। ঊনারা নেবেন ৭৫ শতাংশ।(চুক্তিতে বাংলাদেশের পাবার কথা ছিল ৪৮ ভাগ)।ফলাফল তিস্তার পানি বন্টন চুক্তিও হলো না ট্রানজিট নিয়ে সম্মতিপত্রও সই হলো না। সাথে বাদ পড়ে গেলো ফেনী নদীর পানি বন্টন চুক্তি।বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের মতে ক্ষতির ভাগটা ভারতেরই বেশি।এর মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশ সহ গোটা বিশ্বকে একটি নেতিবাচক বার্তাই দিল। আর বাংলাদেশের লাভের মধ্যে অন্যতম লাভ দেখি, আমরা কিছুটা সময় পেলাম অন্তত ট্রানজিট নিয়ে ভাবার।(অবশ্য ভাবাভাবির কিছু নাই।সরকার ট্রানজিট দিয়ে দিচ্ছে, কারো পরামর্শ নেবার প্রয়োজন বোধ করেনি যখন, তখন দিয়েই দিবে কাউকে ভাবার সুযোগও দেবে না)
সব মিলিয়ে মনমোহনের সফরকে যতটা সফল হবে ভাবা হয়েছিল ততটা সফল হয়নি। প্রত্যাশার তুলনায় প্রাপ্তিটা আলোচনার যোগ্য নয়।
এসব নাটকীয়তা ছাপিয়ে যে বিষয়গুলো চোখে পড়েছে তার অন্যতম হলো সমন্বয়হীনতা, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অদক্ষতা,অপরিপক্কতা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক শাহাদুজ্জামান আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সম্পর্কে বলেই ফেললেন, “তিনি যেভাবে কথা বলেছেন তাতে মনে হয় তিনি দিল্লীর একজন স্পোকসম্যান”।অধ্যাপক শাহাদুজ্জামান অত্যন্ত শালীন ভাবেই তার সম্বন্ধে বলেছেন। আমার কাছে তার কথা বলা আর পান খেয়ে চোখ বড় বড় করে পাড়ার ভাবীর কাছে গাল গল্প বলার ধরনের কোনো পার্থক্য চোখে পড়েনি। নইলে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব রঞ্জন মাথাই দিল্লীতে আনুষ্ঠানিকভাবে তিস্তা চুক্তি সই না হবার ঘোষনা দেবার পরও আমাদের ডা, দিপু মনি মিডিয়াতে বলেন, চুক্তি হবে।পররাষ্ট্র নীতির ক খ ও জানেন না। এমন নাজুক সময়ে কিভাবে কথা বলতে হয় তা তিনি জানেন না। বিশেষত যখন রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেন। আর মনমোহন সিং বাংলাদেশে আসার পর বাংলাদেশের পানি সম্পদ মন্ত্রী বল্লেন,’উনি(ভারতের পানি সম্পদ মন্ত্রী) বোধ হয় আসেননি”। কতটা অন্ধকারে থাকলে একজন মন্ত্রী হয়ে “বোধ হয়” শব্দটি ব্যবহার করেন। মনে হয় ভারতের ১৫০ মানুষকে দাওয়াত করা হয়েছে, খানা খাবেন ঢেকুর তুলে চলে যাবেন।
সব কিছুই আগে ঠিক করে রাখার কথা, দুই প্রধানমন্ত্রী শুধু আনুষ্ঠানিকতা করবেন মাত্র।এতো গুরুত্বপুর্ণ সফর আর প্রধানমন্ত্রী আসার পর জানা গেল চুক্তি হবে না।
এতো কিছুর মধ্যেও ভারত চেয়েছিল ট্রানজিট সম্মতিপত্র সই করতে। আশার কথা হল বাংলাদেশ সরাসরি না বলতে পেরেছে।আশান্বিত হতে হতে আশাভংঙ্গও হয়ে গেল। মাননীয় অর্থমন্ত্রী খুব সিরিয়াস ভাবে বল্লেন,’আমরা তো ট্রানজ়িট দিয়ে দিয়েছি।২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে’। আমি বুঝতে পারিনি,উনি মজা করলেন নাকি সত্যি সত্যি বললেন। আপনি বুঝতে পেরেছেন কি?
কথা সত্য। এই লোক খুবই আলাভোলা সহজ সরল। তিস্তার পানি নিয়ে সরকার হালকা একটা নাটক করছে। নাটকের শেষ অংকের দৃশ্যায়ন মুহিত সাহেব আগেই দেখিয়ে দিলেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে কিছু বলার নাই। গওহর রিজভি ভাইয়ার ( সম্ভবত এক্স ক্যাডেট, তাই ভাই কইলাম) মত উঁচা পাশ দেওয়া লোক জন যখন চামচামি/ছাগলামি করে, তখন দেশের সব মন্ত্রী কিংবা ভারত ভারে নতজানু পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে আর কি বলবো??
আমাদের প্রতিনিধিরা যখন কোনো দেশের সাথে স্বার্থ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দরকষাকষি করে তাদের কোনো গ্রহনযোগ্য কাগজপত্রই থাকে না। অপরপক্ষ যা বলে তাই মেনে নিতে হয়। আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের পানি মাপার কোন গ্রহনযোগ্য সিস্টেমই নাই।পানি দেবার জন্য ভারতকে বাধ্য করা দূরের কথা।
আসলে মুখ সেই কথাই বলে অন্তরে যা থাকে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি আমাদের অজ্ঞতা,মুর্খতা এবং অপরিপক্কতারি বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
ভারতকে নৌপথে ট্রানজিট দেওয়া হোক। তাদের স্বার্থেই আমাদের নদীর নাব্যতা ফিরে আসবে।
আর আমি ভিসাছাড়া ভারত যেতে চাই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
মজা পাইলাম। চমৎকার সলিউশন কিন্তু 🙂 এইভাবে আগে চিন্তা করি নাই।
😀
কথা ঠিক ঃ)
আপনার ধারনা অত্যন্ত চমৎকার। আমরা কি আইডিয়াটা আমরা সিরিয়াসলি চিন্তা করতে পারি। আর ভিসা ছাড়া ভারত যেতে চাইলে তারাও কিন্তু আসতে চাইবে। আর বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে (সন্ত্রাসবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে) এই ধারনা কিন্তু অনেক বিপজ্জনক।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
মাহমুদ,
ইউরোপে তো ভিসা লাগে না। সেইখানে কি সন্ত্রাসবাদের ভয় নাই।
বর্ডারে কিছু টাকা দিলেই তো ঐ পারে যাওয়া যায়; তবে?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ইউরোপেও সন্ত্রাসবাদের ভয় আছে। যার প্রমান কএকদিন আগে সুইডেন এ বোমা হামলা। তবে তাদেরও সমন্বিত ভিসা নীতি আছে ।
ইউরোপের দেশ আছে ৫০ টি।আর ভিসা মুক্ত ভাবে চলাফেরা করা যায় ২২ টি দেশে।উপরের লিঙ্কটি পড়লে আরো বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।
ইউরোপের দেশগুলো পারস্পরিক অবিশ্বাসের ঊর্ধে চলে এসেছে। আমাদের এই অঞ্চলে যা এখনো স্বপ্নের মত। নানা ধরনের মানুষের বসবাসের কারনে আমাদের মাঝে বিভাজন আছে। এক্ষেত্রে ধর্ম, অর্থনৈতিক অবস্থা প্রভৃতি বিষয়গুলির কারনে এখুনি এটি সম্ভব নয় বলে আমার বিশ্বাস।
তবে হবে না যে তা নয়।একদিন ভিসা মুক্ত এলাকা আমাদেরও হবে।তার আগে আমাদের রাষ্ট্রগুলোর মাঝে সম্পর্ক সব সময় উষ্ণ রাখতে হবে। আমার মনে হয় সেজন্য কোন দেশই এখন আন্তরিক নয়।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
তিস্তা চুক্তি আর ট্রানজিট নিয়ে ড। আব্দুর রব নামে এক ভদ্রলোকের একটা মন্তব্য শুনলাম যে, আন্তর্জাতিক নদী আইন অনুসারে নাকি তিস্তায় বাংলাদেশের দাবীকৃত অংশটুকু বাংলাদেশেরই পাওয়া উচিত- অন্যদিকে ট্রানজিটকে বলা যেতে পারে ভারতের স্বার্থগত একটা বাণিজ্য চুক্তি। কাজেই এ দুটার মধ্যে ফেয়ার ট্রেড চলে না। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম- আমার থেকে চুরি করা জিনিস ফেরত দাও, তাহলে তোমার সাথে ব্যবসায় নামবো।
পর্দার আড়ালে যেটা হচ্ছে, সেটা হচ্ছে তিস্তা চুক্তির নতুন ভাগাভাগি, আর সেই সাথে সরকারের খানিকটা ভাবমূর্তি উদ্ধার।
কথাটার সত্যতা কতটুকু এইটা আমিও জানিনা- শোনা কথা, তাই বললাম।
অফটপিক- ট্রানজিট না দিলে কি হবে, দীপু আফায় তো ঠিকি মনমোহনের পুঁটলিতে ১৫০ কেজি ইলিশ মাছ ভরে দিসে। চামচামির স্বভাব এদের জীবনেও যাবেনা।
আলোর দিকে তাকাও, ভোগ করো এর রূপ। চক্ষু বোজো এবং আবার দ্যাখো। প্রথমেই তুমি যা দেখেছিলে তা আর নেই,এর পর তুমি যা দেখবে, তা এখনও হয়ে ওঠেনি।
ফেয়ার ট্রেড কখনো কোনো দেশের মধ্যে হয়েছে কিনা জানি না। টার্মটা সম্ভবত এখন একাডেমিক হয়ে গেছে। বাস্তবে সম্ভব নয়। আন্তঃদেশীয় দরকষাকষির সময় যে যত টুকু পারে নিজের স্বার্থ সংরক্ষন করার চেস্টা করে।
পর্দার আড়ালে যেটা হচ্ছে, সেটা হচ্ছে তিস্তা চুক্তির নতুন ভাগাভাগি, আর সেই সাথে সরকারের খানিকটা ভাবমূর্তি উদ্ধার। আমারো তাই মনে হয়। শেষ পর্যন্ত হয়ত বাংলাদেশ পাবে ৩০-৩৫ শতাংশ।
আমাদের উচিত ভারতে আমাদের মাছ রপ্তানি বন্ধ করা।
ধন্যবাদ।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
মিজানুর রহমান খানের এই প্রবন্ধটি পড়ে দেখতে পারেন।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
In my opinion, it was a cheap DRAMA staged by our counter part! Just if we cud giv away, what they want! (without need to give us anything in return! like they did in the bitter past, i.e Berubari...) (সম্পাদিত)
Smile n live, help let others do!
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
শুনতে অনেক কর্কশ লাগবে মানি। তবে এইসব কিছুকে আমার কাছে একই রকম মনে হয়। দাস ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপকীকরণ, আধুনিকায়ন আর সভ্যকরন।
রাজনৈতিক বলয়গুলো চুক্তির নামে সুবিধা নিবে আর এইদেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি করতে দ্বিধা করবে না। চড়া সুদে ঋণ নিবে দাতার ব্যবহারের জন্য অবকাঠামোর তৈরীতে, রাজনীতিবিদরা লুটপাট করবে সেই ঋণের অর্থ, আর ঋণের বোঝা বইবে এদেশের মানুষ অথচ তারা এর কিছুই জানবে না। পাচার হয়ে যাওয়া নারী আর শিশুদের চেয়ে ভালো থাকবে এই অর্থে যে, নিজ গৃহেই থাকবে, নিজ দেশেই থাকবে এবং নিজের ইচ্ছামতই চলবে তবে নিজের অজান্তেই গোলামী করে যাবে সারা জীবন।
তৃতীয় বিশ্বের মানুষের এটাই নিষ্ঠুর নিয়তি।
সহমত
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
তিস্তা চুক্তি নিয়ে প্রহসন: নিচের লিঙ্ক দুটি ধৈর্য ধরে পড়ার অনুরোধ রইলো ।
1. http://blog.priyo.com/mizanur-rahman-khan/2011/09/08/4611.html
2. http://www.weeklyblitz.net/1771/naked-exposition-of-bankrupt-diplomacy
Smile n live, help let others do!
অসাধারণ এই চিন্তাটা ভালো লেগেছে...।।
ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১
["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]
আমার অরুন্ধতি রায়ের স্টাইলটা পছন্দ হয়েছে। স্রোতের বিপরীতে কথা বলে নিজেকে আলোচনায় রাখা। তাই বলব - সবচেয়ে বেশি দেশপ্রেমিক (প্রেমিকা) থেকে তুমি বেশি বোঝ?
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
Thanks to all for all ur well thought about the topic. Wat to say, in our country we have less idea on foreign policy and we are not practicing for its upgrading, whereas the other countries including the third world countries take the highest steps for its practice. They in fact advertise propaganda on their foreign policy so as to get benefit from other countries. May be all our wish, dreams come when all the people including the politicians can play their positive role for the betterment of our self territory.