শিক্ষকের ডায়রি‌‌: পর্ব-১৩

ডিসক্লেইমার: আমার এই লেখার সাথে সংযুক্ত ছবি এবং লেখাটাতে ব্যবহৃত ভাষাতাত্বিক উদাহরণসমূহ মৌলিক নয়, সংগৃহীত। এই লেখার সাথে সঙ্গতি বজায় রেখে সংযুক্ত সংগৃহীত ছবিটা আবার কিছুটা ক্রপ করা হয়েছে। ছবিটা মনে হচ্ছে হালের একটা ট্রল-টপিক; আমি এটা প্রথম দেখি রংপুর ওল্ড ক্যাডেটস এ্যাসোসিয়েশন (রকা)-র মেম্বারদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে; কেউ একজন ফান করার জন্যই পোস্ট দিয়েছেন। বেশ মজার মজার মন্তব্য-পাল্টা-মন্তব্য চলছিল। তবে ভাষাতত্ব নিয়ে নাড়াচাড়া করা ছাত্র-কাম-শিক্ষক হিসেবে আমিও দুচারটা কথা লিখতে গিয়ে একটু বেশিই লিখে ফেলেছিলাম (অনেকটা ক্যাডেট কলেজের নাদান ক্লাস সেভেনের সিনিয়িরের কমান্ডে ফ্রন্টরোল দেবার সময় মোমেন্টামের ঠ্যালায় দুচারটা বেশি দিয়ে ফেলার মতন আর কি)।

বিস্তারিত»

অবরুদ্ধ হাইকুপঞ্জি

সুমহান গল্পী-
অবিরাম বয়ে চলা
চেতনার তল্পী

২৪ জুলাই ২০২৪

প্রহরীর তীর
তাক করে মালিকের বুক-
মৎস্য শিকার

পাথর সময় –
জীবনের দাম মাপি
জড়র তুলনায়

২৫ জুলাই ২০২৪

কি ঘটে কি হয়
যা দেখি তা সত্য নয় –

বিস্তারিত»

অপেক্ষায়…

ঘন অরণ্যে দিনের আলোতেও আঁধার পুরোপুরি তিরোহিত হয় না।
মনে হচ্ছে গত সাতটি দিন ধরে এমনই এক অরণ্যে হেঁটে চলেছি।
আলো নেই, শ্বাপদ সংকুল পরিবেশ। পাখির কাকলি নেই, আছে শুধু
শবের অপেক্ষায় বসে থাকা অলক্ষুনে এক শকুনির কর্ণভেদী ডাক।

এ অরণ্যের যেন শেষ নেই, পথ চলারও নেই। পথের ক্লান্তি শুধুই দেহের,
চোখে সে ক্লান্তি নিদ্রা নামাতে পারে না। তন্দ্রা কেবলই আসে আর যায়।

বিস্তারিত»

বিসর্জনের অঙ্ক

শেষ আনন্দাশ্রমটা বিলীন বিসর্জনের জলে
আনন্দরা সব হাবুডুবু খেতে খেতে ভেসে যায়
আকাশের মেঘগুলো হয়েছে যেনো নিরব স্বাক্ষী।

বিশ্বাসের সে প্রাসাদ আজ ভূলুণ্ঠিত
বারংবার একই প্রশ্নের শুধু পুনরাবৃত্তি
আকাশ কেনো প্রশ্রয় দেয় পাখিদের?

জীবন-বোধের ব্যাপ্তি নিয়ে বসে থাকা
হিসাব মিলেনি তবু অঙ্ক কষে যাই।

২৪.০৫.২০২৪

বিস্তারিত»

ড্যান্স ফ্লোর

দূর থেকে চোখে পড়ে লাল-নীল বাতি
জ্বলে-নেভে, নেভে-জ্বলে,
চোখ ধাঁধানো ফ্ল্যাশ।
আকাশ ছাড়িয়ে মহাকাশে
সদর্প সাদা আলোর তরবারি।
বুক-কান কাঁপানো
ধুপ-ধুপ-চিক-চিক। চ্যাউউউ!
পশ ধরনের বেইজ ও ট্রেবল
সবকিছুই যেন মহাকাশ ছুঁতে চাইছে।
এ এক অনন্য উচ্চতা।
ওখানে না গেলে, মিস হয়ে যাবে।

বুক ভরা আশা নিয়ে আমি হাজির হই।
কীসের আশা জানি না,

বিস্তারিত»

১ জুন ২০২৪: তখন তোমার ২১ বছর বোধহয়!!

২০০৩-এর এই দিনে আমি এম.আই.ইউ.-এর ইংরেজি বিভাগের একজন প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি। কর্পোরেট জগৎ ছেড়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় দেখতে দেখতে কিভাবে যেন চোখের পলকেই ২১ বছর পার হয়ে গেল। সেই জুনেরই ৭ তারিখে ডিপার্টমেন্টের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েটের প্রথম ব্যাচের প্রথম ক্লাস নেই। শুরু হয় দুই জেনারেশনের একসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে পথচলা। সেদিক থেকে বলা চলে ডিপার্টমেন্টের চেয়ে বয়সে আমি ৬ দিনের বড়। অনেক কিছুই দেখলাম, ঠেকলাম, শিখলাম, আবার অর্জনও করলাম।

বিস্তারিত»

প্রতিকৃতি ও কান্না বারণ

কান্না বারণ

 

কান্নার শব্দে সাড়া মেলে না
চকিতে চোখ মুছে নেয় সে
গায়ের ধুলো ঝেড়ে ফেলে
দু’হাত পকেটে ঢুকিয়ে
মাথা একটু নিচু করে
শিস্ দিতে দিতে আগায়
একটু থামে চারিদিকে তাকায়
যাবতীয় দুঃখ গ্লানি হতাশা
পেরুবার সীমিত দরোজা
ক্রোধ কিংবা সফলতা
পুরুষ হবার পথে যাত্রা শুরু।

০৫   এপ্রিল  ২০২৪

 

বিস্তারিত»

দুইটা লিরিক

[ফেসবুক মেমরি থেকে পেলাম। গত দশকের গোড়ার দিকের লেখা। গান হবে এরকম চিন্তা ছিল। হয়নি। ঘনিষ্ঠ এই ব্লগে আনকাট ভার্সনটা টুকে রাখা থাক।]

#
শ্যাওলা জমেছিল বুঝি
তোমার মনের পুকুরে,
ভিজতে ইচ্ছে করেছিল
তাই অন্য শ্রাবণ দুপুরে।

দেয়াল পাশের বাতায়নে
কাঁদতে যখন অঝোরে
ভাবনা জমাট বাঁধা ছিল
অন্য কারো আদরে।

খেয়াল খুশীর ইচ্ছে মত
আমায় কেন জড়ালে?

বিস্তারিত»

নিউ ইয়র্কের পথে….১

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের পথ ধরেই; এমিরেটস এর ফ্লাইটে, দুবাই হয়ে। এবারে ইচ্ছে হলো পূবের পথ ধরে উড়াল দিতে। আমার এ ইচ্ছেটার কথা প্রকাশ করার আগেই ট্রাভেল এজেন্ট জানালো, ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্স তাদেরকে হংকং হয়ে উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে যাত্রী পাঠাতে উৎসাহিত করছে এবং এর জন্য তারা আকর্ষণীয় টিকেট মূল্য ধার্য্য করেছে।

বিস্তারিত»

নীরব রাতের নিবিড় আঁধারে….

একজন শ্রোতা যখন কোন গান শোনেন, আর সে গানটি যদি তার ভালো লেগে যায়, তখন তার তিনটে ইন্দ্রিয় একত্রে কাজ করতে থাকে- কর্ণ, মানস (মন, কল্পলোক) আর নয়ন। গানের সুর কর্ণকুহরে প্রবেশ করা মাত্র তার মন সেই গানের কথা ও সুরের আবহে স্পর্শিত হয়ে, স্পন্দিত হয়ে, তরঙ্গায়িত হয়ে কল্পলোকে বিস্তৃত হয় এবং একইসাথে সেই সুরসৃষ্ট কিছু ছবি তার চোখের সামনে দিয়ে ভেসে যেতে থাকে। যতক্ষণ সেই সুর তার কানে প্রবেশ করতে থাকে,

বিস্তারিত»

জীবন থেইকা মাধুর্য উইড়া গেছে

বৃহঃস্পতিবার আসলে আগে একটা ফিল পাইতাম। এই ফিল প্রথম আসে স্কুল-কলেজে থাকতে। যেইখানে পড়তাম ওইখানে শুক্কুরবার সকালে পিটি-প্যারেড করতে নামা লাগতো না। আর বৃহঃস্পতিবার রাতে আমাগো ভালো-মন্দ খাইতে দিত। ওইটারে আমরা বলতাম— স্পেশাল ডায়েট। জেলখানার কয়েদিদের যেমন বিশেষ দিবস আসলে এইরকম খাবার খাইতে দেয়। আর বৃহঃস্পতিবার রাতে মুভি শো হইতো৷ দল বাইন্ধা আমরা বিদেশি সিনেমা দেখতাম৷ যদিও ইলেভেন-টুয়েলভে সিনেমা না দেইখা, মোবাইলে তৎকালীন প্রেমিকার লগে কথা কইতাম বা পছন্দের জুনিয়র ডাইকা গান শুনতাম,

বিস্তারিত»

স্বপ্নিল

বালকটি একা একাই খেলতো। একদিন একটা সাইকেলের চাকার রিমের পেছনে এক টুকরো লাঠি দিয়ে ঠেলে ঠেলে মনের আনন্দে ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের কাঁচা রাস্তা ধরে সে দৌড়ে বেড়াচ্ছিল। দৌড়াতে দৌড়াতে মফস্বলের রেল স্টেশনে পৌঁছে দেখে, একটা লম্বা ট্রেন প্রথম লাইনটাতে দাঁড়িয়ে আছে। তার অগ্রভাগে একটা কালো ইঞ্জিন মাঝে মাঝে ভোঁস ভোঁস করে তার চাকার কাছ দিয়ে সাদা ধোঁয়া (বাষ্প) আর মাথার উপর দিয়ে গাঢ় ধূসর রঙের ধোঁয়া ছড়াচ্ছে।

বিস্তারিত»

শিক্ষকের ডায়রি: পর্ব-১২

এবছরের দেশের উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোর ভর্তি পরীক্ষায় সামনের দিকের পজিশনগুলোতে ক্যাডেটদের অবস্থান করা না করা নিয়ে কমিউনিটিতে বেশ আলোচনা চলছে। আমার কাছে তো মনে হয়, কোন কম্পিটিটিভ পরীক্ষায় ক্যাডেট কমিউনিটিকে প্লেস করতেই হবে, এই চিন্তাটা সঠিক হচ্ছে না।

এক্স ক্যাডেট কমিউনিটির ৯৫% (আমার নিতান্তই স্বল্পজ্ঞানের পরিসংখ্যানের ভাষায়) যদি জীবনে দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে ক্যাডেটদের সফলতা আছে, এটা ধরে নেয়া যেতে পারে। আমার তো মনে হচ্ছে,

বিস্তারিত»

অপছন্দের জিনিস

ক্যাডেটদের একটা অপছন্দের জিনিস হচ্ছে সকালে ঘুম থেকে উঠে পিটিতে যাওয়া। আমি তার ব্যতিক্রম নই। সকালে এত আরামের ঘুম রেখে কার পিটিতে যেতে ভাল লাগে? যদিও সেপ্টেম্বর মাসের রাজশাহীর গরমে রাতের ঘুম কতটুকু আরামের সেটা বলাই বাহুল্য। মরার উপরে খাড়ার ঘায়ের মত আছে লোডশেডিং। কারেন্ট গিয়ে ফ্যান পুরোটুকু থামার আগেই তিন হাউজ থেকে তারস্বরে চিৎকার শুরু হয়

এএএএএ শাজাহান ভাই, জেনারেটর ছাড়েন

যদিও তারিক বা কাসিম হাউজের চিৎকার শাজাহান ভাই পর্যন্ত পৌঁছায় না,

বিস্তারিত»

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২৫শে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?

সকাল বেলা ড্রিল করা পিটির চেয়ে কম কষ্টকর, কিন্তু পুরো জিনিসটা প্রচন্ড রকমের বিরক্তিকর। স্টাফ একটু পর পর এসে কানের কাছে ভ্যান ভ্যান করে যাবে।

কি ক্লাস ১০, পা উঠে না? পায়ের মাঝখানে কি বাইন্ধা রাখছো? গুটনা টাইট করে ড্রিল হবে। প্রেড, মধ্য থেকে জলদিইইইইইই চল!

অসম্ভব রকমের মানসিক নির্যাতন। তাও আবার সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই। আজকের সারাদিন যে কেমন যাবে চিন্তা করছি আর “গুটনা” টাইট করে ড্রিল করার চেষ্টা করছি।

বিস্তারিত»