আশরাফ এবং আমি

১.
কখনো ভাবিনি আশরাফকে নিয়ে কিছু লিখব বা লিখতে হতে পারে। শরিফের আশরাফকে খুব মনে পড়ে লেখাটি ব্লগে দেখে আমারও লিখতে ইচ্ছা হল। আমি কদাচিৎ ব্লগ পড়লেও কখনো লিখি না। পড়াটাও খুবই অনিয়মিত। কুমিল্লার তৌহীদ আমাকে শরিফের লেখাটা পড়ে না শুনালে হয়ত পড়াও হত না। লিখা-লিখির অভ্যাসটা একদমই নেই। তবুও চেষ্টা করব।

২.   
আশরাফকে আলাদা করে চিনতে পেরেছিলাম প্রথম ক্লাস এইটে থাকতে। আমাদের হাউস আলাদা হলেও ক্লাসরুমে ডেস্ক টা পাশাপাশি ছিল তখন। প্রেপের সময়গুলিতে আমরা অনেক দিন অনেক আড্ডা দিয়েছি। ও মাঝেমাঝে একটা ডায়রিতে খুব মনোযোগ দিয়ে কিছু একটা লিখত। কাউকে ওই ডায়রি ধরতে দিত না, আর পড়তে দেবার ত প্রশ্নই উঠে না। কিন্তু একদিন চাইতেই আমাকে ডায়রিটা পড়তে দিল। প্রেপের পুরোটা সময় নিয়ে ডায়রিটা পড়ার পর আমি অন্য এক আশরাফকে আবিষ্কার করলাম। যার সম্পর্কে আমার এর আগে বিন্দু মাত্র ধারণা ছিল না। আশরাফ আর  আমি হঠাৎ করেই যেন আরো অনেক বেশি অন্তরঙ্গ হয়ে গেলাম। ছোটখাটো দেখতে, খাড়া খাড়া চুল আর জোড়া ভুরুর নিচে অদ্ভুত সদা হাস্য এক জোড়া চোখ। ও মুখে যে কথাটা বলত না ওটা সবসময়ই ওর চোখে লেখা থাকত। শুধু সে লেখাটা পড়ে নিতে হত এই যা। তখন খুব জেমসের ভক্ত ছিল। সারাদিন জেমস শুনত আর গাইত। আশরাফের স্বভাবটাই ছিল আমুদে ধরণের। হাসি-খুশি থাকত সারাক্ষণ। কিন্তু আবেগপ্রবণও ছিল অসম্ভব ধরণের। এমনিতে চুপচাপ থাকলেও ওর উপস্থিতিটা কিন্তু প্রকাশ্যই থাকত। ওর সবচেয়ে বড় গুণ ছিল যেটা তা হল ওর উদারতা। মানুষ হিসেবে আমাদের অনেকের চেয়ে অনেক বড় ছিল ও। আমি যখনি ওকে ভাবি, তক্ষুনি কিন্তু কষ্টের চেয়ে প্রশান্তিই বেশি পাই। এই ছো- জীবনটাতে কিন্তু ও পরিপূর্ণভাবেই বেচে ছিল। অনেকের চেয়ে অনেক বেশি ছোট হলেও কিন্তু আশরাফ খুব পরিচ্ছন্ন ও পরিপূর্ণ জীবন যাপন করে গেছে। আর ও এত পরিপূর্ণ ছিল বলেই ত ওর অনুপস্থিতিটা আমাদের চোখে এত পড়ে।

৩.
মজার ব্যাপার হল কলেজের পরে আমি নেভি আর  ও এয়ার ফোর্সে থাকলেও আমাদের যোগাযোগটা একেবারেই নিয়মিত ছিল। কেমন কেমন করে যেন দুজন বেশির ভাগ সময় একই জায়গায় বদলিও পেয়েছি। ও আর আমি একসাথেই চ-গ্রাম, ঢাকাতে বদলি ছিলাম আবার ও যশোর থাকতে আমিও খুলনাতে ছিলাম। শিলা আপু (আশরাফের বড় বোন) একদিন মজা করে বলেছিলেন যে নেভি আর এয়ার ফোর্স, দুইটা বাহিনী মিলেও আমাদেরকে আলাদা করতে পারল না!! নেভি আর এয়ার ফোর্সে দুজনের আসার ব্যাপারটাও অন্য রকম। আমার ছো- বেলা থেকেই শখ পাইলট হবার। পাখির মত ডানা মেলে নীল আকাশের বুকে, মেঘের সমুদ্রে সাতার কাটবার। আর  ক্লাস ইলেভেনে এসে আশরাফ ঠিক করল ও নেভি তে যাবে। আমরা কত যে ফালতু মজা করেছি কোনটা ভালো এই নিয়ে। আশরাফ বলত বিরাট বিরাট জাহাজ  নিয়ে ও অনেক দেশে যাবে আর জাহাজে আছে অনেক বড় বড় কামান। আমি খোঁচাতাম, যুদ্ধে তুই আমার ধারে কাছেও আসতে পারবি না। কারণ আমি আকাশ দিয়ে ঈগলের গতিতে এসে ছো- একটা ডিম পেড়ে যাব আর তুই ডুবে যাবি। কিন্তু বিধাতার অন্য ইচ্ছা ছিল। আমাদের ক্যাডব্যারি (মেডিক্যাল অফিসার) আশরাফকে বিনা কারণে মেডিক্যাল আনফিট করে দিল। আমাদের সাথে স্যারের সম্পর্কটা এতই মধুর ছিল যে আমাদের অনেকেই প্রাইমারি মেডিক্যালে আনফিট হয়ে গেল। আশরাফের খুব মন খারাপ হয়ে গেছিল। ওর কাছে নেভিতে এ্যাপ্লাই করার জন্য ব্যাংক ড্রাফট পর্যন্ত রেডি করা ছিল। আর আমি বসে রইলাম এয়ার ফোর্সের সার্কুলারের অপেক্ষায়। আর্মিতে এ্যাপ্লাই করার ডেটও ওভার হয়ে গেল, নেভির ডেটও শেষ হয় হয়, কিন্তু এয়ার ফোর্স এখনো সার্কুলারই দিচ্ছে না। অনেক ভেবে চিন্তে নেভির লাস্ট ডেটে স্ট্যান্ড ইজির সময় আমি সিদ্ধান্ত নিলাম নেভিতে দিব। এয়ার ফোর্স যদি সার্কুলারই না দেয়….তাহলে ত আমার একটা চান্সই চলে যাবে। হায় কপাল হাউস বেয়ারা ওত দেরিতে ব্যাংকে গিয়ে আর ব্যাংক ড্রাফট করে আনতে পারল না। ফিরে এসে বলে ভাই কাল যেতে হবে। আমি পড়লাম মহা ফাপরে ….আজকেই যে শেষ দিন। গেলাম আশরাফের কাছে, তোর ব্যাংক ড্রাফটটা দে। ওর প্রশ্ন কেন? আমি নেভিতে এ্যাপ্লাই করব। নাছোড়বান্দা আমাকে ডিডি দিবে না। ও জানে পাইলট হওয়াটা আমার ড্রিম। ওর কথা হচ্ছে তুই স্বপ্নের পিছনে যা….জীবনের হিসাব মেলাতে যাস না। তুই যেটা চাস তাই কর। কিন্তু হিসাবি আমি অনেক তর্কের পর এক রকম জোর করেই ওর কাছ থেকে ড্রাফট এনে ওই দিনই নেভিতে এ্যাপ্লাই করে দিলাম। আর আমাদের এইচএসসি শেষ করে আশরাফ সিএমএইচ থেকে মেডিক্যাল ফিটনেস যখন নিয়ে আসতে পারল তখন এয়ার ফোর্সের সার্কুলার হয়েছে। আরো ছয় মাস নেভির জন্য অপেক্ষা না করে আশরাফও এয়ার ফোর্সে দিয়ে দিল। আমি প্রথম বারে না পেলেও ও ঠিকই পেয়ে গেল। আমি আবার দ্বিতীয় চেষ্টায় নেভিতে আসলাম। কত সহজেই আমাদের ডেসটিনেশন অদল বদল হয়ে গেল। ডিসেম্বরের দুর্ঘটনার পরে অবশ্য অনেক ভেবেছি, আমাদের নিয়তিটা কি সত্যি সত্যি ওরকম অদল বদল হয়ে গিয়েছিল….. নাকি আমরা যার যার নিয়তির পরিণতিই বরণ করছি!!??!!

৪.  
অন্য জায়গায় থাকলেও টেলিফোন বা মোবাইলে আমরা নিয়মিত এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতাম। নিজেদের প্রবলেম গুলো নিয়ে কথা বলে একজন আরেকজনের কাছে হালকা হতাম। আশরাফের জীবনে পুশন আসার আগ পর্যন্ত ব্যাপারটা এরকমই ছিল। পুশন জানি না তুমি ব্লগ পড় কিনা তবে আমি কিন্তু তোমার উপর প্রথমে বেশ অসন্তুষ্ট ছিলাম। কারণ আমার একমাত্র সোল-মেট তখন তোমার সাথে কথা বলতেই ব্যস্ত থাকত, আর আমি হয়ে গেলাম ব- একা। আফ্রোদিতির আশীর্বাদের জন্য আমাকে আরো বেশ কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে, তাও একেবারে বিয়ের পর বৌ এর সাথে প্রেম করা আরকি। আমার বিয়েতে, ঢাকায় একেবারে বিয়ের আসর থেকে পুশন আর আশরাফ বর যাত্রীর সাথে করেই টাঙ্গাইলে চলে আসল। এয়ার ফোর্স থেকে ছুটি ম্যানেজ করাটা যে কত কঠিন তা শুধু ভুক্তভোগীরাই জানেন। ওই কয়টা দিন খুব আনন্দ আর উল্লাসে কেটে গেছিল। অবশ্য পুশন আর আশরাফ আবার আমাদের সাথে ফিরনিতে ঢাকায় ফিরেছিল, একদিন পরেই।

৫.   
আমাদের মধ্যে মিলের চেয়ে অমিলটাই বোধকরি বেশি ছিল। আশরাফ সবসময়ই মনের চাওয়াটাকে পূরণ করতে চাইত। আর আমি একটু সতর্ক, একটু যেন বেশি সতর্ক, একটু হিসাবী। এই জন্যই ত বললাম যে আশরাফের জীবনটা পরিপূর্ণ ছিল। আমি বাইক চালানো শিখালাম, ত সে এখন বাইক কিনবে। আমি যতই না করি যে তুই আমারটা চালা কেনার দরকার কি; শুনলই না। কিনেই ছাড়ল। কিনল ত কিনল, সময়ের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিতটাই কিনল পালসার। তারপর পুশন, যতই না করি যে এই মেয়ে না, ও ততই পুশনের দিকেই ঝুঁকল। কেন জানি না আমি ঘুরে ফিরে হিসাবের বেড়াজালে পড়ে ওকেও বন্দি করে ফেলতে চেয়েছি। কিন্তু ও শুনেনি। আর তার জন্য আমার চেয়ে খুশি আর কেউ নয়। পুশনের সাথে ওর অসম্ভব সুন্দর একটা রিলেশন ছিল। শুধু ওদের বিয়ের আগে না, বিয়ের পরেও ওরা খুবই হ্যাপি একটা কাপ্‌ল ছিল, আইডিয়াল কাপ্‌ল। একই ভাবে তার গাড়ি কেনা, লোন করে গাড়ি কিনল। আমি যথারীতি না করেছি। কিন্তু এখন যখন ফিরে তাকাই মনে হয়, ভাগ্যিস ও আমার নাগুলো শুনেনি। শুনলে ত অনেক না করা নিয়েই ওকে চলে যেতে হত।

৬.   
আমাদের শেষ দেখা হয়েছিল ঢাকা এয়ারপোর্টে। আমি সপ্তাহ দুয়েকের জন্য নেপাল যাচ্ছিলাম। ছো- একটা কোর্স করতে। আশরাফ উত্তরা থেকে বাইকে চলে আসল, আমার কল পেয়েই। ভাগ্যিস ও এসেছিল, আমি বলেছিলাম এই অল্প সময়ের জন্য আসবি….ভালো করে ত একটু বসে কথা বলারও সময় হবে না। তবুও এলো। যদিও তখন ওর যশোর পোস্টিং, উইক এন্ডের ছুটিতে পুশনকে দেখতে ঢাকা এসেছিল। দেখাটা হয়ে গেল। আমি কি আর জানতাম ওটাই শেষ!!

৭.
আমি ইচ্ছা করেই ওর দুর্ঘটনার দিনটার কথা ভুলে গেছি। মনে রাখতে চাই না। তারপরও মনে হয় ডিসেম্বরের ২০ তারিখ হবে। সকালের কিছু পরে বড় ভাইয়া ফোন করে বলল, রাসেদ টিভিতে একটা শিরোনাম দেখাচ্ছে….বরিশালে এয়ার ফোর্সের প্লেন এক্সিডেন্টে স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ আশরাফ ও আরো একজন মারা গেছে। আমি পাত্তাই দিলাম না। বললাম ভাইয়া ওর নাম আশরাফ ইবনে আহমেদ। অন্য কেউ হবে। এবং বেমালুম কাজের মধ্যে ডুবে গেলাম। তখন আমি খুলনা শিপ ইয়ার্ডে। ১৫তম ব্যাচের রাশেদ ভাই (উনিও নেভিতে আর উনার বড় ভাই আমাদের কলেজের নবম বা দশম ব্যাচের হোসাইন ভাই এয়ার ফোর্সে) দুপুরের ঠিক পরে ফোন করল, খুব সাধারণ কথাবার্তা সেরে রাশেদ ভাই বলল, রাসেদ তুমি কি কিছু এখনো শুননি? আমি বললাম ভাইয়া কোন ব্যাপারে? তখন রাশেদ ভাই আমাকে খবরটা দিল। আমি স্বভাবানুযায়ী তর্ক করার চেষ্টা করলাম, যে এটা ত নিশ্চয়ই অন্য কেউ। কারণ নাম ত ঠিক নাই। যাহোক উপলব্ধিতে আসতে খুব বেশি সময় লাগল না। আমি ফোন রেখে কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে রইলাম। তারপর আশরাফের নাম্বারে ফোন দিলাম। ফোন বন্ধ। কা কে ফোন দিব?? আঙ্কেল, আন্টি, আশরাফের ছোট ভাই সোহেল, শিলা আপু, পুশন সবার নাম্বারই আমার কাছে আছে। কিন্তু ফোন করার সাহস পাচ্ছি না। মনে ফোন করলেই এরা নিউজ টা কনফার্ম করবে। তার চেয়ে আমি একটা ডাউট নিয়ে বসে থাকি। যেন অন্ধ হলে প্রলয় বন্ধ থাকবে!!! শেষ পর্যন্ত সোহেল কে ফোন করলাম। একদিনের জন্য আমাকে (তাও বিশেষ বিবেচনায়) কর্তৃপক্ষ ছুটি দিয়েছিল। কৃতজ্ঞতা জানাই। ২৪ ঘণ্টার ছুটিতে আশরাফের জানাজা, দাফন করতে পারলাম কোন মতে। কিন্তু আঙ্কেল, আন্টি, পুশন, সোহেল, অনিম, শিলা আপুদের সাথে ঠিক মত কথা বলার সময় হল না। খুব ইচ্ছা ছিল শেষবারের মত দেখার, কিন্তু হল না।

৮.   
শরিফ লিখেছিস আশরাফকে ছাড়া আমি কেমন আছি…..সত্যি বলতে কি দিব্যি তো আছি। এক বেলা তো না খেয়েও থাকিনি। শোকে ত থমকে যাইনি। আমার কলেজ পড়ুয়া ভাগ্নিটাও অবাক হয়েছে। ও ত ওর ছোট বেলা থেকেই আমাদেরকে এক সাথে দেখছে। শুধু ও না বাসার সবাই ভেবেছিল আমাকে সামলানো কষ্ট হবে। কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি। আমি মনে হয় বরং বেশিই স্বাভাবিক ছিলাম। আসলে আমি শোকাহত হতে পারিনি আঙ্কেল, আন্টি, পুশন, অনিম, সোহেল, শিলা আপুদের কথা ভেবে। আমার চেয়ে অনেক গুন বেশি শোক তাদের সামলাতে হয়েছে। মাঝে মাঝে হয়ত নির্জন একলা সময়ে চোখের পাতা ভিজে উঠে। কখনো কখনো বা চোখ গড়িয়ে গাল ছাপিয়ে উঠে। ব্যাস এটুকুই ত। হয়ত ভাবি কলেজের আর কলেজের পরের আমাদের একসাথের সময়গুলি নিয়ে। স্মৃতি নাড়াচাড়া করে আবার দেরাজে কপাট বন্ধ করে রেখে দিই। থাক না। বেশি ঘাঁটলে পুরনো হয়ে যাবে। শুধু সোহেলকে ফোন করি কদাচিৎ। পুশনকে, আঙ্কেল-আন্টিকে, শিলা আপুকে ফোন করতে ইচ্ছা করে না। মনে হয় কি বলব ফোন করে?! দুঃখ প্রকাশ? দুঃখ কি প্রকাশ করার জিনিষ? কেমন যেন আড়ষ্ট লাগে। অথচ এদের সবার সাথেই আমার অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। আমার উচিত এদের খোজ খবর টা রাখা। আশরাফ নিশ্চয়ই রাগ করছে। কিন্তু ভালো লাগে না। অন্ধ হয়ে যে আমার প্রলয় বন্ধ রাখতে ইচ্ছা করে!! পুশনের জন্ম দিনে উইশ না করলে, আশরাফ ফোন করে বকা দিত প্রথম প্রথম। আর এখন ও নেই, কিন্তু আমি খবরও রাখি না। বিদেশ থেকে ত নাই ই, দেশে ছুটিতে গিয়ে এবার শুধু সোহেলকে ফোন করেছি। পুশনকে ফোন করার ইচ্ছা ছিল, করি করি করে করা হয়ে উঠেনি। আসলে ঐযে আবার মনে করিয়ে দেয়া, আবার মনে পড়া….!! আঙ্কেল-আন্টি দেখতে যাবার কথা ছিল। হয়ে উঠেনি। সোহেল বলেছিল ভাইয়া না আসতে পারলেও আব্বুকে ফোন কইরেন। তাও করিনি।

২,৩৬১ বার দেখা হয়েছে

৯ টি মন্তব্য : “আশরাফ এবং আমি”

  1. মুসতাকীম (২০০২-২০০৮)
    আশরাফ ভাই শান্তিতে ঘুমান।


    "আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"

    জবাব দিন
  2. রকিব (০১-০৭)

    ক'বার এসে ফিরে গিয়েছি। মন্তব্য করার মত কথা খুঁজে পাইনি, এখনো পাচ্ছি না। এমন পোষ্টে কিছু বলা যায় না; চুপচাপ পড়ে যাওয়া হয়।
    ভালো থাকুন আশরাফ ভাই। ভালো থাকুন।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  3. রাশেদ (১৯৯৩-১৯৯৯)

    ধন্যবাদ সব্বাইেক। আিম পাবিলকিল খুব একটা এক্সেপ্রিসভ েনটােরর না। তাই শুধু ধন্যবােদই েশষ করিছ। আশরাফ অনন্ত শািন্তেত থাকুক। সবর্শিক্তমােনর কােছ এই কামনা।

    জবাব দিন
  4. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ভাঙ্গা প্লেন গুলা যারা এখনো উড্ডয়নের যোগ্য বলে রায় দেয় তাদের :duel:


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  5. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    জীবন চলছে, দিন কেটে যাচ্ছে একটার পর একটা...তবুও...

    কিছু একটা যেন ঠিক নেই, কিছু একটা যেন ঠিক নেই।

    খুব কষ্টকর এই অনুভূতি...


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।