ছোট কথা, বড় কথা – ধর্মনিরপেক্ষতা/ সেক্যুলারিজম

অনেকেই ধর্মান্ধ (যে কোন ধর্মাচার হতে পারে) আর মুসলিমদের মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পান না। এটা যেমন অনেকেই ভাবেন বা বিশ্বাস করেন ঠিক তেমনি  অনেকেই এই বিশ্বাস বা ধারণা পোষণ করে থাকেন যে নিধার্মিক (নাস্তিকের চেয়ে অধিকতর ও যৌক্তিক প্রতিশব্দ) আর সেকুলারিজম/সেকুলার (ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বা ধর্মনিরপেক্ষ) একই জিনিস।
এই ভাবনার পিছনে সবচাইতে বড় যে কারণটি রয়েছে তা হলো আমাদের অর্জিত জ্ঞান বা লদ্ধ অভিজ্ঞতা। আমরা দেখেছি বা দেখে থাকি, যে ধার্মিক মাত্রই ধর্মান্ধ, আর নিধার্মিক মানেই সেকুলার। কিন্তু কথা হচ্ছে স্মিরনফ এর বোতলে (যদি তা ঘরে থাকে, দোকানের শেলফে নয়) থাকতে পারে মদ (ভদকা), আবার  থাকতে পারে আবার পানিও। টুপি-দাড়িওয়ালা লোকটি কোরান শিক্ষক হতে পারে আবার চাইল্ড মলেষ্টারও হতে পারে।

mod 03_smirnoff_schierlitz
আমার ব্যাক্তিগত একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি। বরিশালে আমার এক চাচা ছিলেন; বাহার চাচা। উনার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব ছিলো উনি বরিশালের তামাম মদখোরদের মধ্যে এক বসায় সবচেয়ে বেশি মদ গিলতে পারতেন। আমাকে উনি খুবই আদর করতেন। ক্যাডেট কলেজে ছুটি হলে বাসায় আসার সময় বা ছুটি শেষে কলেজে যাবার সময় আমি তার সাথে দেখা করতাম। তার বাবড়ি চুল আমার খুবই পছন্দ ছিলো; উনার হাসি ছিলো আলো করা। যাইহোক একদিন দেখি উনি স্টিলের গ্লাসে করে তরল খাচ্ছেন দিনে দুপুরে। আমি কি মনে করে মৃদু হাসছিলাম। উনি জিজ্ঞাসা করেন, “ভাইস্তা হাসো ক্যানো?” আমি উত্তর দেই না। শুধু হাসি। উনিও প্রশ্ন করতে থাকেন, “ভাইস্তা হাসো ক্যানো?” উনার রুমের লাগোয়া একটা মেন্দি (মেহেদী) গাছ ছিলো। উনি থাকতেন দোতলায়। রাতের বেলায় বাথরুমে যাবার কষ্ট না করে বারান্দায় গিয়ে ছেড়ে দিতেন গাছ সই করে। (বাঙালি মুসলমান আর কিছু না হোক একেকটা মাল। নইলে হাজার হাজার ভিডু আছে ইউটিউবে নবী-আল্লাহর বিরুদ্ধে, কিন্তু একটা তৃতীয় শ্রেণীর মুভি (ইনোসেন্স অফ মুসলিম) কিনা পুরা বিশ্বে মুসলমানদের মনে আগুন ধরাইয়া দিলো! এই কথা বললাম কারণ অনেকের কাছে গাছের ও হিন্দু মুসলিম আছে; তুলসি হিন্দু গাছ, খেজুর মুসলিম গাছ, আবার নবী দাড়িতে মেহেদী দিতেন বলে অনেকেই বাড়িতে মেহেদী গাছ রাখেন, মেয়েদের হাত রঙ করাও একটা কারণ বটে )

যাইহোক সেকুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বলতে আমি কি বুঝি?

ব্যাক্তিগত বিশ্বাসে বা মতবাদে আমি নিজেকে সেকুলার বলে দাবী (এ ঠিক চিৎকার করে বলা নয়, ধারণ করা অর্থে) করি। তবে ভন্ডামি অসহ্য লাগে।
ধর্মবিশ্বাসে আমি সরল অর্থে নিধার্মিক বা নাস্তিক। আর যারা আরেকটু বেশি জানতে চান তাদেরকে কানে কানে বলি আমি অজ্ঞেয়বাদী। তবে এক্ষেত্রেও ভন্ডামি অসহ্য লাগে।

কথাবার্তা সেকুলারিজমের মধ্যে রাখি।

একটা কথা অস্বীকার করাটা স্রেফ বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয় যে মানুষ বা মানবতার জন্য ধর্ম। আর সহজভাবে বলা চলে কোন ধর্মেই অনাচার, ব্যাভিচার, হত্যা, রাহাজানি, লুন্ঠন, ঘুষ, মিথ্যাচার সহ যাবতীয় পাপাচারকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। সুতরাং ধর্ম তো ভালোর জন্যই। কিন্তু যে কোন মানব ইতিহাস ঘাটলেই পাওয়া যাবে এক ধর্ম অন্য ধর্মের উপর কিভাবে অত্যাচার করেছে। (ধর্ম বলতে যদি পুস্তক বুঝি তবে পুস্তক কিভাবে অন্য পুস্তকের উপর অত্যাচার করতে পারে? সুতরাং এখানে আমি ধর্ম বলতে আমি ধর্মাচারী মিন করেছি) এটা সকল ধর্মই করেছে। যখন সে(ধর্ম) মেষশাবক সেজেছে তখন সে তা করেছে ভালোত্ব জাহির করে আমজনতাকে মুগ্ধ করার জন্য বা উপায় না পেয়ে বা গা বাচানোর জন্য। কথায়ই আছে, চাচা আপন প্রাণ বাঁচা। (সেকুলারিজম সম্পর্কে সাধারণ একটা ধারণার জন্য ক্লিক করুন।)

আর এই প্যারাটি উইকির বাঙলা অনুবাদ থেকে নেয়া

(ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে বোঝানো হয় কিছু নির্দিষ্ট প্রথা বা প্রতিষ্ঠানকে ধর্ম বা ধর্মীয় রীতিনীতির বাইরে থেকে পরিচালনা করা। এক অর্থে ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মীয় স্বাধীনতাকে প্রকাশ করে। এই মতবাদ অনুযায়ী, সরকার কোনরূপ ধর্মীয় হস্তক্ষেপ করবে না, কোন ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী হবে না এবং কোন ধর্মে কোন প্রকার অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করা হবে না। ধর্মনরপেক্ষতা সেই বিশ্বাসকে ধারণ করে যাতে বলা হয় মানুষের কর্মকাণ্ড এবং সিদ্ধাণ্তগুলো, বিশেষত রাজনীতিক সিদ্ধান্তগুলো, তথ্য এবং প্রমাণ এর নির্ভর করবে, কোন ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর নয়। অর্থাৎ বলা যায়, “ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার”।

রাজনৈতিক ব্যবহারের দিক থেকে বলা হয়, ধর্মনিরপেক্ষতা হল ধর্ম এবং রাষ্ট্রকে পৃথক করার আন্দোলন,যাতে ধর্মভিত্তিক আইনের বদলে সাধারণ আইন জারি এবং সকল প্রকার ধর্মীয় ভেদাভেদ মুক্ত সমাজ গড়ার আহবান জানানো হয়। প্রকৃতপক্ষে সেকুলারিজম অর্থে উপমহাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা ব্যবহার করা হয় না। উপমহাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা হল, রাষ্টে্র ধর্ম থাকবে তবে রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকবে না।)

নাস্তিক বা নাস্তিকতা বা নিধার্মিকতা আগে থেকেই ছিলো। রেনেসাঁসের কারণে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নামক সবচাইতে প্রয়োজনীয় কিন্তু বায়বীয় জিনিস বা মতবাদের প্রতিষ্ঠা হয়। আর সেকুলারিজম কোন নব্য ধারণা নয় (যা প্রাচীন গ্রীসে, রোমে কোন কোন স্কলার অনুসরণ করেছেন) যদিও উনিশ শতকেই এর প্রসার ঘটে।
সেকুলারিজমের ব্যাবহার বা অনুসরণের মাধ্যমে কোন রাষ্ট্রে কোন বিশেষ ধর্ম অন্য ক্ষুদ্র ধর্ম বা মতবাদের উপর চেপে বসতে পারে না, গলা টিপে ধরতে পারে না। কোন বিশেষ ধর্মাচারী হবার জন্য কোন নিগ্রহের স্বীকার হতে হয় না, বাড়ি ছাড়তে হয় না, মেয়ের বা পরিবারের নিরাপত্তার জন্য ভাবতে হয় না, কোন বিশেষ কর দিতে হয় না।

আরো খুলাখুলি বলতে গেলে (বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে) রামু বা উখিয়াতে কোন বৌদ্ধ মন্দির ভাঙবে না। হিন্দুদের মন্দির ভাঙবে না কোনো। কোন কাদিয়ানীদের মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে সাইনবোর্ড টাঙ্গানো হবে না এই বলে যে ইহা একটি উপসনালয়, মসজিদ নহে। ইলেকশনের আগে হিন্দু বাড়ির পিছনের কচু গাচ বা কলা গাছ কেটে আসা হনে না বা পরে হিন্দুদের দোকানে তালা মারা হবে না, হিন্দু মেয়েদের ধর্ষণ করা হবে না, কোনো পাহাড়ী মেয়েকে ধর্ষণ করা হবে না। একজন হুমায়ুন আজাদ

 

IMG_2575

বা শামসুর রাহমানকে চাপাতির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হতে হবে না। একজন দাউদ হায়দার বা তসলিমা নাসরীনকে দেশ ছাড়তে হবে না। (এখানে একটা কথা বলা হয়তো অপ্রাসঙ্গিক হবে না দাউদ হায়দারের পাসপোর্ট নবায়নের জন্য কলকাতায় বাংলাদেশ এমব্যাসিতে জমা দিলে তা জব্দ করা হয় ১৯৭৯ সালে; গোলাম আযম বাংলাদেশে আসেন কবে? ১৯৭৮ সালে। দেশের প্রধান তখন কে ছিলেন???)

অনেক আগে একটা লেখা পড়েছিলাম ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহর। বার্মা ভ্রমণ নিয়ে উনি বলেছিলেন সবার দুইটা করে নাম। একটা সরকারী; যা বার্মিজ, কোন ধর্মের নামগন্ধ নেই। আরেকটি পারিবারিক, সেটা যে যার পছন্দমতো রেখে থাকে।
একটা শ্রী, গোমেজ, মং, মুহাম্মদ বা মোঃ কতো শক্তিশালী বা দূর্বল হতে পারে তা সুবিধাভোগী বা ভুক্তভোগীরাই ভালো জানেন। একটা সিদুর, টিপ, শাখা, পৈতা, টুপি মানুষকে কিভাবে একে অন্যের থেকে আলাদা করে দিতে পারে!

বাংলাদেশে অবিলম্বে উচিত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চাকুরীস্থলসহ সকল ক্ষেত্রে বায়োডাটা, পাসপোর্ট, ইত্যাদি তে ধর্ম ও বর্ণ পরিচয় নিষিদ্ধ করা।

Secularmap
Blue States without State Religions
Red States with State Religions
Ash Ambiguous or without data
Source: http://en.wikipedia.org/wiki/File:Secularmap.PNG

শেষ কথাঃ সৌদি সহ আরব দেশে আমাদের শ্রমিক পাঠানো বন্ধ হোক।
০১ ওরা আমাদের মানুষ নয়, মিসকিন বলে মনে করে।
০২  সৌদিতে মুসলিম নাম নিয়ে যেতে হয় শ্রমিক হিসাবে। খতনা করাতে হয়। এমনকি যাদের খতনা ঠিকমতো হয়নি তাদেরকে পুনরায় খৎনা করানো হয়। খুব মজার তথ্য পাবেন যদি ঘুরে আসেন উইকি থেকে; প্রাচীন মিশরে এটা প্রচলিত ছিলো আর এর ছবিও আছে।

Egypt_circ

(Colored drawing of Ankh-Mahor tomb carving (2400–2300 BCE) depicting the circumcision of an adult male (left, Saqqara,Egypt)

Mangbetu_Beschneidungsmesser_Museum_Rietberg_RAC_15

(Circumcision knife from the Congo; wood, iron; late 19th/early 20th century)
০৩ সৌদি তে গণিকালয় না থাকায় আমাদের শ্রমিক ভাইয়েরা যারা দীর্ঘদিন সৌদি তে থাকেন তারা অনাচারে জড়িয়ে পড়েন বা পড়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু তার চাইতে ভয়ঙ্কর কথা হলো, সৌদি নারী রা অনেকটা কামহীন জীবন কাটায় (স্বামীরা অন্যত্র ব্যাস্ত থাকে বেশি); যারা একটু সাহসী তারা বাঙালিদের উপর নজর দেয়। অনেক বাঙালিও সাড়া দিয়ে থাকে। আর অনেকে ধরাও খায়। পরিণতি কি হয় তা বলাই বাহুল্য।
০৪ মেয়ে শ্রমিক রা ধনীদের বিছানায় যেতে বাধ্য হন।

পরিশিষ্ট ২
কলেজে তখন আমরা ১২ এ; কলেজের রাজা। মাঝে মাঝেই বিভিন্ন নিয়ম কানুন, আদেশ, অনুরোধ আসে উপর থেকে। একবার বেশি করে পানি খেতে বলা হলো। আমাদের ক্লাসের একজন ক্লাসরুমের কোনায় দরজার আড়ালে এক বোতল পানি রাখতো। বাঙলা স্যার ক্লাস নিচ্ছেন। হঠাৎ করেই ঐ ছেলে (ধরে নেই তার নাম রাজীব); রাজীব উঠে দাঁড়ালো, প্রয়োজনের চেয়ে একটু বেশি শব্দ করে চেয়ারটা পিছনে সরালো। ক্লাসের মনোযোগ গেলো তার দিকে। গটগট করে হেঁটে ক্লাসের কোণায় গেলো। ঢক ঢক করে পানি খেলো। খেয়ে এসে চেয়ারে বসলো।
স্যার বলে উঠলেন, “রাজীব তুমি এইটা কি করলা, তুমি এইটা কি করলা?”
রাজীব উঠে দাঁড়িয়ে উত্তর দিলো, “স্যার, জল স্যার, জল। জল পান করলাম। প্রিন্সিপাল   স্যার বেশি করে জল খেতে বলেছেন।”
স্যার হিন্দু ছিলেন।
( পানি শব্দটি সংস্কৃত থেকে এসেছে। )

জন্মই আমার আজন্ম পাপ
দাউদ হায়দার

“জন্মই আমার আজন্ম পাপ, মাতৃজরায়ু থেকে নেমেই জেনেছি আমি
সন্ত্রাসের ঝাঁঝালো দিনে বিবর্ণ পত্রের মত হঠাৎ ফুৎকারে উড়ে যাই
পালাই পালাই সুদূরে

চৌদিকে রৌদ্রের ঝলক
বাসের দোতলায় ফুটপাতে রুটির দোকানে দ্রুতগামী
নতুন মডেলের
চকচকে বনেটে রাত্রির জমকালো আলো
ভাংগাচোরা চেহারার হদিস

ক্লান্ত নিঃশব্দে আমি হেঁটে যাই
পিছনে ঝাঁকড়া চুলওয়ালা যুবক। অষ্টাদশ বর্ষীয়ার নিপুণ ভঙ্গী
দম্পতির অলৌকিক হাসি প্রগাঢ় চুম্বন

আমি দেখে যাই, হেঁটে যাই, কোথাও সামান্য বাতাসে উড়ে যাওয়া চাল-
অর্থাৎ আমার নিবাস।

ঘরের স্যাঁতসেতে মেঝেয় চাঁদের আলো এসে খেলা করে
আমি তখন সঙ্গমে ব্যর্থ, স্ত্রীর দুঃখ অভিমান কান্না
সন্তান সন্তুতি পঙ্গু
পেটে জ্বালা, পাজরায় তেল মালিশের বাসন উধাও-
আমি কোথা যাই? পান্তায় নুনের অভাব।

নিঃসংগতাও দেখেছি আমি, উৎকন্ঠার দিনমান জ্বলজ্বলে বাল্বের মতোন
আমার চোখের মতো স্বজনের চোখ-
যেন আমুন্ড গ্রাস করবে এই আমাকেই
আমিই সমস্ত আহার নষ্ট করেছি নিমেষে।

শত্রুর দেখা নেই, অথচ আমারি শত্রু আমি-
জ্বলন্ত যৌবনে ছুটি ফ্যামিলি প্ল্যানিং কোথায়
কোথায় ডাক্তার কম্পাউন্ডার
যারা আমাকে অপারেশন করবে?

পুরুষত্ব বিলিয়ে ভাবি, কুড়ি টাকায় একসের চাল ও অন্যান্য
সামান্য দ্রব্যাদী মিলবে তো?
আমার চৌদিকে উৎসুক নয়ন আহ্লাদী হাসি
ঘৃণা আমি পাপী
এরা কেন জন্ম নেয়?
এরাই তো আমাদের সুখের বাধা অভিশাপ।
মরণ এসে নিয়ে যাক, নিয়ে যাক
লোকালয়ের কিসের ঠাঁই এই শত্রুর?
-বলে
প্রাসাদ প্রেমিকেরা

আমিও ভাবি তাই, ভাবি নতুন মডেলের চাকায় পিষ্ট হবো
আমার জন্যই তোমাদের এত দুঃখ
আহা দুঃখ
দুঃখরে!

আমিই পাপী, বুঝি তাই এ জন্মই আমার আজন্ম পাপ।

১৪ টি মন্তব্য : “ছোট কথা, বড় কথা – ধর্মনিরপেক্ষতা/ সেক্যুলারিজম”

  1. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    বহুদিন পর তোমার আড্ডাবাজ মেজাজের লেখা পাওয়া গেলো।
    মানবতাকে ধর্মের 'প্রয়োজন' তার নিজের অস্তিত্বের জন্যই, ধর্ম না হলেও মানবতার চলবে।
    ধর্মের প্রসংগ এলে বরং বেশিরভাগ লোকের মানবতার মুখোশটা কেমন জানি টুপ করে খসে পড়ে।
    যাক, মেঘনাদ সাহা কইছিলেন, 'সবই ব্যাদে আছে'।
    ভাইস্তা হাসতেছিলো কেনো তার জবাব তো পাইলাম না।

    জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      দাদা সালাম।
      মন খারাপ তাই লেখা হয় না। একদিন এক বন্ধু ফেসবুকে নক করে বললো ফ্রি কিনা? কথা আছে।
      ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, আসলে বাংলাদেশ থেকে ফোন আসলেই যে কোন সংবাদের জন্য মনকে রেডি রাখতে হয়।
      জানালো আমাদের এক ব্যাচমেট, বন্ধু, দীর্ঘ দিনের রুমমেটের লাং ক্যান্সার ধরা পড়েছে। চিকিতসা চলছে। এতোদিন সে কাউকে বলে নাই।
      তারপর থিকা লিখতে ভালো লাগে না।তবে একটা প্লান মাথায় আসছিলো। একটা উপন্যাস লিখবো। প্রত্যেকটা ক্যাডেট ক্যাডেট কলেজে পাঠাবো, এসোসিয়েসনগুলায় পাঠাবো। বিক্রির টাকা ওকে দিয়ে দিবো।
      দেখি লিখতে পারি কিনা?
      দোয়া কইরেন।
      আর এরপর ঘটলো রামুর ঘটনা।
      আর ধর্মগাধারা রামুর সাথে রোহিঙ্গা মিলায়।
      গাধারা বোঝে না বামিয়ানের একটা বৌদ্ধ মূর্তি, শুধু একটা মূর্তি না, একটা সভ্যতার ইতিহাস। টাইম মেশিনে কইরা ২০০ বছর আগের আমার চামার পূর্বপুরুষরে (যে কিনা শূকরের পাল চড়াইতো তারে ) মাইরা তার বউ রে কোন ইরান, তুর্কির বিছানায় ঠেলে দিয়ে যদি আসতে পারতাম তবে বেশ হইতো। আমিও তখন নিঃসন্দেহে ধর্মগাধাদের মতোন কথা কইতাম।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
  2. মাহমুদুল (২০০০-০৬)

    অসাধারন লিখেছেন ভাই।

    ধর্ম নিরপেক্ষতা আর হবে না ভাই। ধর্ম আমাদের মজ্জার কতটা গভীরে গেছে তা আমি বলেছিলাম একবার। জাতীয় সংসদের স্পীকারের মাথার উপরে বিশাল করে একটা বাণী ঝুলছে। বাণীটা কি তা সবার অনুমেয়। আমি যেদিন সেটি দেখেছিলাম, সেদিন আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। নিজের জন্য নয়, সংসদে বসা অন্য ধর্মীয় এমপি দের কথা চিন্তা করে। রাষ্ট্র প্রথমেই তাদের দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিকে পরিনত করে দিয়েছে।

    কাল মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা ছিল টেরোরিজমের উপরে। আমি লিখতে গিয়ে খেয়াল করলাম বাংলাদেশে যত ধর্মান্ধ উগ্র সংগঠন আছে সবগুলোর উত্থান ৯০ এর দশকে। কেন? তার আগেও তো বাংলাদেশে ধার্মিক ছিল কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েনি। এখন তো মানুষ আরো অমানুষ হয়েছে। তাহলে ধর্মের বেলায় এতো ঢাল তলোয়ার ব্যবহার হয় কেনো? আসলে তখন ধর্ম নিয়ে রাজনীতি ছিল না। ৮০ এর দশক থেকে ধর্মের রাজনীতি শুরু হয় ব্যাপক হারে যার ফল আমরা দেখছি এই জামাতের হুমকি, শিবিরের, হুজি, জেএমবি, হিযবুত তাহরীর এর মত জঙ্গী সংগঠন গুলোর উত্থান। আর অন্য ধর্মের মানুষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে স্পীকারের মাথার উপর ঝুলে আছে সেই বানী।

    আরো লেখা যাবে তবে কমেন্ট অনেক বড় হয়ে যাবে। অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া পড়ে।


    মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য

    জবাব দিন
  3. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    নিজেই কমেন্ট করতে আসলাম।
    আসলে কপি-পেষ্ট।
    আমার লেখাগুলো আমি সাধারণত ক্যাডেট সার্কেল বা গ্রুপ গুলাতে শেয়ার করে থাকি।
    বলা বাহুল্য সহমত গ্রহণ করার পাশাপাশি আমি আংশিক ভিন্নমত, বা পুরাপুরি ভিন্নমত ও সমান ভাবে গ্রহণ করে থাকি। ভারচ্যুয়াল জগতের তর্ক, বিতর্ক (যুক্তিগ্রাহ্য) কারো সাথে হলে সেটা বাস্তব জীবনে তার সাথে আমার সম্পর্কের অবনতি বা কোন বিচ্যুতি ঘটায় না।

    এক বড়ভাই আমার লেখা পড়ে চমৎকার একটি কমেন্ট করেছেন। সেটা তুলে দিচ্ছি। আর দুঃখ প্রকাশ করছি সেটা ইংরেজিতে হওয়ায়। নিচে বাঙলায় আমার উত্তর ও দিয়ে দিলাম যা ঐখানে দিয়ে দিলাম। (এর উদ্দেশ্য ভবিষ্যতে কেউ কমেন্ট করতে চাইলে বা লেখাটি সম্পর্কে বুঝতে চাইলে সহায়ক হবে)
    Prio Rajib
    tomar lekhata porlam. Shundor hoeche tobe aro shundor hoto jodi udahoron gulo shob dhormer kach thekei ashto. Priest der child molestation er kintu onek udahoron ache. Abar dhormio unmadonar shikaro kintu Muslim ra kom hoyni deshe deshe. Ami jani je tumi hoyto bolbe je tar mane ei noy je amader deshe shegular protishodh nite hobe. Amar kinu mone hoy jati hishebe bangalira onek beshi shohonshil. Onnanno dehse kintu nana vabe discrimination hoy ar Indiar kotha to bad e dilam. Amar ebong amar ashe pasher kono Bangali ke ami aj porjonto kono Hindu ba Christian ke dhormer karone discriminate korte dekhini. tomar lekhata tai aro broader aspect e likhle aro valo hoto. Amar mone hoy dhormandhotar shonga te tumi thik thakleo udahorone eshe kintu Islam ar dhormandhotake tumi mishie felecho jeta tothakothito western secularism er boishishto ebong lokkho. Amar kache kintu mone hoy je nijer dhormo bishshash kore onner dhormo bishshash ke respect kora ar dicriminate na koratai holo real secularism. Niropekkho hobar jonno kintu nijer pochondo ba bishshash ke tyag korar proyojon nei.

    Valo theko

    Barrister Manir Chowdhury

    Legal Consultant

    AK Solicitors LLP

    166 Commercial Road

    London E1 2JY

    Mobile: +44(0)7956236722
    Office:+44(0)20777027555

    Fax: 02077027666

    আমার উত্তর

    ভাইয়া আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
    আমি আসলে এখানে তুলনা করতে চাইনি ধর্মগুলোর সাথে। কিনবা ধর্মের দোষগুণের সাথে।
    একথা অনস্বীকার্য যে আশে পাশের দেশের চাইতে বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভালো, অন্তত ধর্মীয় সহনশীলতার দিক দিয়ে।
    ভারতে কোন কোন জায়গায় আপনি মুসলমান হলে ফ্লাট কিনতে পারবেন না।
    ওদের দেশে মৌলবাদীরা সরাসরি ক্ষমতায় এসেছে।
    বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা ওরা বন্ধ করতে পারেনি।
    পাকিস্থানের ওরা তো বিচারে রেপ পর্যন্ত করার পক্ষে রায় দেয়।
    বার্মায় কি হচ্ছে সবাই জানি।

    কিন্তু ওরা পুরীষ খাইলে কি আমরাও খাবো?
    আর অনেকেই অনেক সময় বলে অন্য ধর্মের কথা ক্যানো বলি না?
    বাংলাদেশ যদি হিন্দু বা খ্রিষ্টান প্রধান হইতো তাইলে অবশ্যই বলতাম।
    কিন্তু আপনি তো অস্বীকার করতে পারবেন না কোন না কোন ভাবে বাংলাদেশে অন্য ধর্মালম্বীরা নির্যাতিত।
    জামাতিদের হাজারটা প্রতিষ্ঠান আছে; যেখানে শুধু মুসলিম হলেই হবে না জামাতি হতে হবে।

    আপনাকে একটা কথা বলি ভাইয়া, আমি কিন্তু পাকিস্তান বা ভারত কাউকেই দেখতে পারি না (মানুষ্কে নয়) কিন্তু আমি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে খুবই পছন্দ করি। কারণ তিনি একজন সেকুলার মানুষ ছিলেন।
    ভারতীয় প্রত্যেক্টা ছবি শুরু করার আগে নমো নমো করে। আর বাংলাদেশে জাতীয় সঙ্গীত বাদে আর কোন ফাইজলামি নাই।
    আপনার দেখা হলে কথা হবে ভাইয়া।
    আর পড়েছেন বলে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর মতামতের জন্যও আরো বেশি ধন্যবাদ। Manir Chowdhury ভাই


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  4. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)
    Amar ebong amar ashe pasher kono Bangali ke ami aj porjonto kono Hindu ba Christian ke dhormer karone discriminate korte dekhini.

    শোনেনওনি বোধ করি।তাহলে তো হয়েই গেলো! ঘটেওনি তাহলে।
    ঘটে এই পরিমাণ ঘিলু নিয়ে আইন ঘাঁটাঘাঁটি করলে কি পরিমাণ ঘ্যাঁট উৎপন্ন হওয়া সম্ভব তা ভাবছি।
    বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম বলে একটা ব্যাপার যখন থেকে যুক্ত হয়েছে (যেই সেটা করে থাকুক), সেটা নিয়ে যখন সরব (বা মৌন) সম্মতি যখন বেশির ভাগের রয়ে গেছে - ইতিহাসের এই উল্টোরথ ফের উল্টোপথে ঘোরানোর মন, দম কোনটাই যখন কোন 'সেকুলার' পক্ষেরই নেই তখন 'মন্দের ভালো'ত্ব নিয়ে উদগার ছড়ানোই শুধু যায়; বাঙালির সহনশীলতার গল্প শুনে মন ভরানো যায়, ইতিহাসের দায়মুক্তি ঘটবেনা।

    জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      নূপুরদা
      সরি। আমার উচিত ছিলো মনীর ভাইয়ের পরিচয় দিয়ে দেয়া। উনি ক ক ক র ৮৭-৯৩ ব্যাচের। লন্ডনে আছেন।
      আপনার উষ্মার কারণ বুঝতে পারি।
      আসলে মনীর ভাই কে এই ব্যাপারে দোষ দেয়া যায় না।
      আমরা আসলে উদাসীন জাতি। এতো বেশি দ্বিধা আর সংশয় আর কোন জাতির মধ্যে আছে কিনা সন্দেহ। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি মসজিদে জিমার নামায শেষে ফিলস্থিনের জন্য দোয়া আর ইসরাইলের জন্য লানত দেয়া হয়। আমরা এতে এতোটাই অভ্যস্ত যে এর অন্যথা মেনে নিতেই পারিনা।
      বুয়েটের ঘটনা দেখছেন?

      আর আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থাও ক্যামন জানি?
      আপনার খেয়াল আছে কিনা, ছোটবেলায় আমরা পড়তাম রাম ও রহীম দুই ভাই।
      আরে ভাই হয় ক্যামনে? হিন্দু, মুসলিম ভাই হয়?
      লিখলেই পারতো রাম ও রহীম দুই বন্ধু। তারা এক সাথে স্কুলে যায়।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
  5. দিবস (২০০২-২০০৮)

    অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিস সামনে নিয়ে আসছেন ভাই,আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তণ দরকার।

    ক্লাস সেভেনে মনে হয় আমরা কারবালার কাহিনী পড়ছিলাম,হাসান,হোসেনের কাহিনী পড়ছিলাম বাংলা বই তে।অথচ আমরা সূর্যসেন এর কোন কাহিনী পাই নাই। মুক্তিযুদ্ধের গল্পগুলা অত্যন্ত দায়সাড়াভাবেই আমাদের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত।কিন্তু সেখানে আরব্য রজনীর কোন এক যুদ্ধের কাহিনী দরদ ভরে ধর্মীয় আদলে সবাইকে পড়ানো হচ্ছে বাংলা বইতেই।

    ক্যাডেট কলেজের পতাকাবাহীদলের বাংলাদেশের পতাকার স্ট্যান্ডের উপরে আরবীতে কিছু একটা লেখা থাকে।সেটা থাকার উপযুক্ত ব্যাখ্যা নিজেই অনেক খুজছি,একমাত্র ধর্মীয় ব্যাখ্যা ছাড়া কিছুই পাই নাই।আমার দেশের পতাকাটিকে এভাবে শুধুমাত্র একটা বিশেষ ধর্মের করে ফেলার কারনটা কি? ক্যান্টনমেন্টের বিভিন্ন জায়গায় আরবীতে অনেক কিছু লিখা দেখতে পাওয়া যায়। আরবী তো আরবদের একটা ভাষা,এটাকে নিয়ে আমাদের এত মাতামাতি কেন?আমার আবছা মনে পড়ে বিএমএর বাংলাদেশের পতকার মধ্যেও আরবীতে কিছু লেখা থাকে এমন একটা ছবি দেখছিলাম।আমি শিওর না।আর্মির কোন ভাই এটা নিশ্চিত করতে পারবেন। তাছাড়া বাংলাদেশের আর্মিতে কতজন হিন্দু অফিসার নিয়োগ পায়? প্রতি ব্যাচে সর্বোচ্চ ২ জন? এটা কি হিন্দুদের অযোগ্যতা নাকি সাম্প্রদায়িকতা এটাও গভীরভাবে দেখার বিষয়।

    ক্যাডেট কলেজের কলেজ প্রিফেক্ট এবং ডাইনীং হল প্রিফেক্ট অন্যধর্মের কেউ হতে পারবে না মোটামুটি শিওর।কারন ডাইনীং হলে "বিসমিল্লাহ" বলতে হয়।আমাদের কলেজে একবার দেখছিলাম কলেজ কালচারাল এন্ড মস্ক প্রিফেক্ট বানানো হইছিল।তার মানে আরেকটাকে সাম্প্রদায়িকরন করা হইছিল।পরের বছর যদিও শুধু কালচারাল প্রিফেক্ট হিসেবেই ছিল।

    আমাদের সিলেবাসের আমূল পরিবর্তন দরকার।হাসান হোসেনের কাহিনী পড়ে আমাদের কি লাভ? আদম-হাওয়া, মনু-ঈষার মাধ্যমে মানুষের সৃষ্টি এটা মুখস্ত করানোর থেকে বিবর্তন জিনিসটা কি এটা শিখিয়ে দেওয়া উচিত ছোটবেলা থেকেই


    হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি

    জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      দিবস প্রথমে এক কাপ :teacup: দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য।
      তোর সাথে অনেকাংশে সহমত। পুরোটা নয়।
      আকাশ থেকে পতন আর বিবর্তন বাদ সবই পড়ানো উচিত।(ইংল্যান্ডে যেমন আকাশ থেকে পড়া মতবাদ বন্ধ হয়ে গেছে।)
      আর কারবালার কোন অংশটা পড়ানো হয় দেখেছিস; বিধর্মী এক পরিবার যে হোসেনের মাথার জন্য জীবন দেয় সেই অংশটা।
      কে মোরে শোনালো মোরে আযানের বাণী কবিতা বাদ দিয়ে দেয়া উচিত পাঠ্যসূচী থেকে।
      মূল লালসালু তে বয়ষ্ক বাপ পোলা (প্রথমে যে দুই ভাই মাছ ধরছিলো) র মুসল্মানি করানো হয়। সেইতা আবার পাঠ্যবই এ নাই। কেনো নাই। ওই টা কিন্তু ইম্পরট্যান্ট জিনিস।
      তবে আমাদের সময় ইলিয়াডের কিছু কাহিনী ছিলো।

      কারবালা, মহাভারত, ইলিয়াড সবই থাকা উচিত পাঠ্যে।
      আবার ডারুইন ও থাকতে হবে।

      আর ডাইনিং হল প্রিফেক্টের উদাহরণ তা ব্যাপক হইছে।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।