বাংলা সিনেমার ট্রাম্পকার্ড- খোঁজ ‘The Search’

কিছুকাল আগে লোকে রাজনীতির ময়দানে জলিলের ট্রাম্পকার্ডের খেলা দেখেছে, এবার বাংলা সিনেমার জগতে ট্রাম্পকার্ডের খেলা দেখা গেছে। আর এই ট্রাম্পকার্ডের ও মূল চরিত্র সে একই নাম- আবদুল জলিল। তবে এই জলিল সাহেব ব্যাঙ্ক ব্যবসায় মন দেননি তিনি মূলতঃ মন দিয়েছেন কাপড় ব্যবসায়, যার আজকাল কেতাবী নাম হয়েছে তৈরী পোষাক শিল্প। আর বস্ত্রবালিকাদের শ্রম নিংড়ানো এই ফটকাবাজিতে কিছুলোক দেশে বেশ টাকাওয়ালা হয়ে উঠেছে। এমনই একজন ব্যক্তিত্ব-এম,এ,জলিল ওরফে অনন্ত। পৃথিবীর সব মানুষেরই কিছু না কিছু শখ থাকে যার পূর্নতা মেলে আর্থিক স্বচ্ছলতায়। তাই টাকা হলেই অনেকেই তার আজন্ম লালিত স্বপ্ন পূরণে নেমে পড়েন। আর আমাদের জলিল সাহেব তাই নিজেই কাপড় ব্যবসার মুনাফা দিয়ে প্রযোজক কাম নায়ক হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন। আর তার সেই কালজয়ী ধ্রুপদী চলচ্চিত্রটির নাম- খোঁজ ‘The Search’।

প্রথমেই মনে আসবে কি ধরনের সিনেমা এটি? ট্রেলার দেখে আমার নিজের মনে হয়েছিল অ্যাকশানধর্মী,কিন্তু সিনেমা দেখে আমি এখন ধন্ধে পড়ে গেছি। সেনাবাহিনীর কঠোর সুশৃংখল জীবনের মধ্যে ও ক্যাপ্টেন ববি আর বর্ষার সাথে যে কল-কাকলী দেখা গিয়েছে তাতে একে রোমান্টিক ছবি বলে ও চালিয়ে দেয়া যাবে। আবার নায়কের রোবটিক চরিত্র আর অ্যালিয়েন টাইপ উচ্চারণ ধর্তব্যে নিলে একে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বললেও এতটুকু বাড়িয়ে বলা হবেনা। কখনও কখনও জোড়াতালি দেয়া দৃশ্য দেখে এটাকে অ্যানিমেটেড মুভি ভেবে ভুল করেছি। তার উপর দেশপ্রেমের যে উত্তাপ নায়কের শিরায় বয়ে চলেছে তাতে স্বদেশপ্রেমের সিনেমা মনে হতেই পারে। এর উপর ছবিতে সমাজ জীবন নিয়ে যে গূঢ় ও নিবিড় বক্তব্য রয়েছে তা সচেতন দর্শকের মন কাড়তে ও সে খুবই পারঙ্গম। কোন নায়িকাকে নায়ক চাইতে পারে পুরো ছবি ধরে পরিচালক যেভাবে দর্শকদের একটা নৈর্ব্যক্তিক অপেক্ষায় রেখেছেন, তা বোঝার জন্য নায়কের মনসতাত্ত্বিক চরিত্র বিশ্লেষনে কখন ও এটিকে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ভাবাটা ও বোকামী বলে মনে হবেনা। আবার নায়কের ঘোড়ায় চড়ে মারামারির ধরনে কখন ও ওয়েষ্টার্ন কিংবা তার গলফ খেলার ভাব-চক্করে স্পোর্টস ক্যাটাগরীতে ও একে ফেলে দিতে পারেন। পুরো ছবি জুড়েই যে টানটান উত্তেজনাময় অ্যাডভেঞ্চার আর একই সমান্তরালে অপরাধ জগতের বিভীষিকা মহামতি ‘নিনো’ আর শামসুদ্দিন নওয়াবের সাথে যা হল তাকে ফ্যান্টাসি বললে ও কোন অত্যুক্তি হবেনা। নাটকীয়তায় ভরপুর রহস্যধর্মী এই মিউজিক্যাল ছবি তাই ছেলেবুড়ো মানে গোটা পরিবার নিয়েই দেখে আসার মত ছবি। কারণ একটাই,আমার কাছে মনে হয়েছে এ এক নির্মল বিনোদন যা আমাদের জাতীয় জীবনে চরমভাবে অনুপস্থিত। তাই বিষন্নতায় যদি কেউ ভুগে থাকেন এ সিনেমা দেখা আপনার উপর ফরয করা হল। তবে হাসতে হাসতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার দায়ভার এই ব্লগারের ঘাড়ে চাপাবেন না।

আমার এক বিশিষ্ট চলচ্চিত্রবোদ্ধা বন্ধু একে আবার ভৌতিক সিনেমা বলে রায় দিয়েছে। তার কারণ দর্শাতে সে বলেছে, নায়ক দেখতে নাকি অশরীরীদের মত। আমি কিন্তু এটা একেবারেই মেনে নিতে পারেনি,বরং প্রতিবাদ করেছি ওর এহেন বর্নবাদী কথায়। আমি বলেছি নায়কের এরকম ঘি খাওয়া শরীরটাকে অশরীর ভাবাটা বড্ড বাড়াবাড়ি আর তার উপর আশরাফুল মাখলুকাতের গড়ন নিয়ে এধরনের কথা বলাটা রীতিমত পাপ বলেই আমি জানি। আমি এককথায় সেরে ফেলার লোক,তাই বলি এটি একটি কমেডি শো। শুধু একটি কথাই নিশ্চিত হয়ে বলে দেয়া যায়, এটি কোন ডকুমেন্টারী সিনেমা নয়, তবে এটি নিয়ে একসময় জনমনের আগ্রহের চাহিদা বিবেচনা করে কোন সাহসী পরিচালক হয়ত জলিল সাহেবের টাকা দিয়েই একটা ডকু বানিয়ে ফেলতে ও পারেন।কালজয়ী ছবি নিয়ে তো আজকাল হরহামেশাই প্রামান্যচিত্র তৈরী হচ্ছে,তাহলে এক্ষেত্রে বাধা কোথায়?

ছবির কাহিনীর পর্যালোচনায় আমি যাব না,কারন ছবির যে অসাধারণ কাহিনী তাতে কাহিনিকার ভদ্রলোককে অনেকেই গঞ্জিকাসেবী বলে তার মানহানি করতে চায় আমি বরং এই কাহিনীর জন্য তাকে রবীন্দ্রনাথের পর বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে দুখানা নোবেল দেয়ার জন্য আর্জি রেখে গেলাম। আর তাই ছবিটি নির্বাক চলচ্চিত্রের যুগে ও রিলিজ দিলে ব্লকবাষ্টার গরম(হিট)হত তাতে আমি পুরোপুরি সন্দেহমুক্ত। কারন আর কিছু নয় নায়ক কথা বললেই হলভর্তি দর্শক কেন যে হেসে উঠেন তা আমি এখন ও বুঝে উঠতে পারিনি। এই দর্শককূল এতই পাষান যে নায়কের মা মারা গেছে তাতে নায়কের কান্না দেখে ও দুষ্টগুলো হাসে। এই দেখে আমার মনে হয়েছে,এই দুনিয়া এখনতো আর সেই দুনিয়া নাই ,মানুষ নামের মানুষ আছে দুনিয়া বোঝাই,সব পাষান!

তবে কাজের কাজ একটা হয়েছে।দিলদারের মৃত্যুর পর বাংলা সিনেমায় কমেডিয়ানের যে শূন্যতা তৈরী হয়েছিল, এই ছবির নায়ক আবদুল জলিলের আগমনে সেই শূন্যস্থান বোধহয় পূরণ হতে চলেছে। তার উপর আরো চমক হল,পুরো ছবি জুড়ে নায়কের ইংরেজী সংলাপ। নায়কের এংরাজী(নায়ক এভাবেই বলতেন) জ্ঞানে মনে হয়েছে তার জন্য BBC জানালা ১৭ সদস্য বিশিষ্ট একটা কমিটি গঠন করে নিবিড় প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করে এই কমেডি বন্ধ করার কথা ভাবতে পারে। অথবা FM Method পদ্ধতিতে দিনে তিন বেলা করে তিন যুগ ধরে এই জলিল সাহেবকে শক দেয়া যেতে পারে। তা না হলে শুধু ইংরেজী কেন, নায়কের বাকপটুতায় বাংলা ভাষা ও টিকে থাকতে পারবেনা। তবে নায়কের এই উচ্চারন শৈলীতে মনে হয়েছে,উনি হয়ত হিব্রু ভাষায় বিশেষভাবে পারদর্শী!

এই সিনেমা দেখে আরো আশা জন্মেছে আমার মনে। মনে হয়েছে উত্তম কুমারের পর আরেক মহানায়কের আবির্ভাব ঘটেছে বাংলা ভাষার সিনেমায়। যার উপমা দিতে গেলে শুধু হ্যালির ধূমকেতুর সাথে তুলনা চলে। আপসোস একটাই,হ্যালির দেখা মেলে ৭৬ বছর পর পর,কিন্তু এই আইটেমের মত আর কেউ আগামী ৭৬ হাজার বছরে ও বাংলা সিনেমায় আসবে না,এই ব্যাপারটায় আমি ষোল-আনা নিশ্চিত।

এখন প্রশ্ন রাখতে পারেন-ছবিটা কেমন হয়েছে? এর উত্তরে আমি বলব-ভবিষ্যতে সিনেমা ঐতিহাসিক কিংবা গবেষকরা ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে তারা একটা ব্যাপারে সবাই একমত হবেন যে,বাংলা সিনেমাকে মোটা দাগে দুভাগে ভাগ করা যাবে।
১, খোঁজের পূর্ববর্তী সিনেমা
২,খোঁজের পরবর্তী সিনেমা।
এমনটি বলার কারন,এই পরিচালক আর প্রযোজক নাকি আরো সিনেমা বানানোর খায়েশ করেছেন (খোদা তুমি রহম কর)!

যাই হোক শত চমকের মধ্যে পরিচালকের সবচেয়ে বড় মুন্সিয়ানা হল, তিনি ভালোভাবেই উপলব্দি করতে পেরেছেন যে, নায়কের যে সহজাত অভিনয় প্রতিভা তাতে রোবট ছাড়া আর কিছুতেই মানাবেনা। তবে নায়ক নিজেই প্রযোজক বলে বাধ্য হয়ে হয়ত কিছু সংলাপ রাখতে হয়েছে। দর্শক যাতে এই ব্যাপারে পরিচালকের চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার না করেন,তাই নায়িকার মুখে নায়ককে প্রশ্ন রেখেছেন-‘আপনি রোবটের মত কেন?’

তবে প্রযোজক আর পরিবেশককে বিশেষভাবে কৃতিত্ব দিতে চাই তাদের স্বাভাবিক বিবেচনাবোধ আছে বলে। কারন,আর যাই করুক ছবিটি বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মুক্তি দেননি তারা। এমনটি হলে সেনাবাহিনীর রোষানলে পড়াটা অবাক করার মত কোন ব্যাপার হতনা। তবে আমি এখন ও কিছুটা উদ্বিগ্ন এই কারনে যে, এই ছবির মেজর মাহমুদের স্মার্টনেস দেখে বর্তমান মেজররা না যেন আবার চাকুরির প্রতি উদাসীন হয়ে পড়েন! সেরকমটি ঘটলে আমার অনুরোধ রইল,আপনারা ক্যাপ্টেন ববির কথা ভেবে চাকুরীতে মনোনিবেশ করুন।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার হল যে,দুই জলিলের মধ্যে একটা ব্যাপার হুবহু মিলে গেছে। রাজনীতির খেলোয়াড় জলিল যেমন নির্যাতনের জন্য নাকি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন আমাদের নায়ক জলিল ও এক মাষ্টারের নির্যাতনে নিজের পরিচয়ই ভুলে গেছেন। তিনি জানেন না তিনি কে? তাই তার প্রশ্ন ছিল-আমি কে? এর উত্তরে হলের দর্শকদের একটু ও সমস্যা হয়নি,তাদের চটপট জবাব- ‘তুই ছাগল’!

তারপর আসে নায়কের নিজস্ব কিছু কথা।যেমন নায়কের পোষাকের রঙয়ের রুচিবোধ দেখে মনে হয়েছে তিনি ইলিয়াস কাঞ্চনের বিশেষ ফ্যান(সিলিং ফ্যান নয়)। আবার তার হাত-পা ছোড়াছুড়ি দেখে মনে হতে পারে তিনি নায়ক ওমর সানির ও আজন্ম ফ্যান(টেবিল ফ্যান নয়)। তবে দিনশেষে তিনি যে এম,এ,জলিল এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।

আর নায়কের একজন একনিষ্ঠ ভক্ত হিসেবে আমি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করে একটা কথা পেশ করতে চাই। নায়ক জসিম যেমন ভিলেন হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করে পরে নায়ক হয়ে বেশ সফল হয়েছেন আবার হালের জনপ্রিয় ভিলেন ডিপজল নায়ক হবার চেষ্টা করেছিলেন। তাই জলিল সাহেব আপনাকে বলি,আপনি এই দেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নিয়ে সিনেমা তৈরী শুরু হলে নিয়মিত ভাবেই অ্যালিয়েন চরিত্রে অভিনয় করবেন,তার আগে গার্মেন্টস ব্যবসায় আরো মন দিন। আর এই কাজটি করলে বাংলা চলচ্চিত্রের শান্তিরক্ষা ভূমিকার জন্য আপনাকে শান্তিতে নোবেল প্রদানের জন্য নোবেল কমিটির কাছে হরতাল ডেকে দাবী জানাব। আর আমাদের এই দাবিতে ছবির ৫০/৫০ নামে যে চরিত্র আছে তিনি ও কোর্ট-টাই পরে শরীক হবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

যে বিষয়টি নিয়ে আমি কোনপ্রকার আলোচনায় যাবনা, তা হল এই সিনেমার নায়িকাগণ। এদের স্বচক্ষে দেখে আসুন 😉 ।তাই বলি-

‘এরা জানে দর্শক পটাতে কিভাবে দিতে হয় পোজ,
তা বুঝতে হলে আগে দেখতে হবে,সার্চ-‘দ্য খোঁজ’।’

১৮,৩৫৯ বার দেখা হয়েছে

২১৬ টি মন্তব্য : “বাংলা সিনেমার ট্রাম্পকার্ড- খোঁজ ‘The Search’”

  1. মামুন (০০-০৬)
    যে বিষয়টি নিয়ে আমি কোনপ্রকার আলোচনায় যাবনা,তা হল এই সিনেমার নায়িকাগণ। এদের স্বচক্ষে দেখে আসুন 😉

    😡 😡

    ‘এরা জানে দর্শক পটাতে কিভাবে দিতে হয় পোজ,
    তা বুঝতে হলে আগে দেখতে হবে-‘দ্য খোঁজ’।’

    :boss: :boss: :thumbup: :thumbup:

    জবাব দিন
  2. মেলিতা

    এই মুভিটা আসলেই এক্টা বিপ্লবের সূচনা করেছে। 😀
    গোটা দশেক উঁচু মানের রম্য ব্লগ রচনা হয়েছে এর উপর।
    আমরা অনলাইনে অনেক খুঁজে পেলাম না, তাই ববির অভিনয় করা(পরিচালক ও মনে হয় একই) ঈদের নাটক ক্রসফায়ার দেখে ফেল্লাম।
    (লেখা অতি+অধিক ভাল লাগায় ফেইসবুকে শেয়ার দিলাম)

    জবাব দিন
  3. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    ইয়ে,মান্নাদা-ভয়ে ভয়ে দুই একটা কথা বলি... 🙁
    আপনার প্রতিটা কথাই সত্য,কিন্তু এত কিছুর পরেও আমি সিনেমাটাকে এ্যাপ্রিশিয়েট করি।একই টাইপ গাঁজাখুরি জিনিস আরেকটু ভাল কলাকুশলী আর টেকনিকাল সাপোর্ট দিয়ে বলিউডে বানানো হইলে বহু বাঙ্গালি সেই সিনেমা সোনামুখ করে দেখে আসত,এখনো দেখে।আর নায়িকা তিনটাকেই(বিশেষ করে ক্যাপ্টেন ববি ফ্রম বাংলাদেশ সিক্রেট সার্ভিস 😡 ;;; ) আমার যথেষ্ট প্রেজেন্টেবল বলে মনে হয়েছে-একটু ঘষামাজা করলে বলিউডের সাথে ভালভাবেই পাল্লা দিতে পারবে।জলিল সাহেব এই সিনেমাতে নিজে নায়ক না হয়ে প্রফেশনাল কেউ,যেমন সাকিব খান বা রিয়াজকে নিলে সিনেমাটা হয়তো আরো ভাল হত।হোক গাঁজাখুরি, ঢালিউডের টিপিকাল এ্যাকশন সিনেমাগুলোর চেয়ে এইটা আমার কাছে বেশি ভাল লেগেছে।

    অফ টপিকঃ

    ১) "আমি তিনমাস কোমায় সিলাম", "দেশের জন্য সবকিসু করতে পারি" , " ডোন্ট ওরি, নো পবলেম" - নায়ক মুখ খুলে আর হলের তিন চাইরজন হাসতে হাসতে চেয়ার থেইকা পইড়া যায় =)) =)) =))

    ২) নায়কের বাড়ি আক্রান্ত হবার পর আকাশ থেকে ক্যাপ্টেন ববির ( :-* 😡 ;;; ) আগমন এবং পিস্তল ছুঁড়ে দেবার সময় "মেজর!" কে " মেএএএএএএএএএঈঈঈঈঈঈঈজাআআআআরররর" বলে চিৎকার করার ফলে বিএমএ ফেরত আমি এখন ধন্ধে আছি আসল শব্দ কোনটা :-/

    ৩) ট্রেনে ঝুলন্ত অবস্থায় নিনোর বুকে গ্রেনেড (অথবা মাটিবোমা-কারণ যতবার গ্রেনেড ছোঁড়া হয়েছে ততবার মাটি ছাড়া আর কিছু ওড়েনি-নো ফ্লেম) বেঁধে দেবার সময় নায়কের কালজয়ী ডায়ালগ খুব মনে পড়ে- "ইউ ওন্টেড টু ডেষ্টয় ( destroy) মাই কান্ট্রি, আই উইল ডেষ্টয়র(your) লাইফ :gulli2: :gulli2:

    ৪) বাংলাদেশ সিক্রেট সার্ভিসের চীফ সোহেল রানার খাঁটি বাংলা প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক ইফতেখার চৌধুরীর খাঁটি আমেরিকান উচ্চারণ ( ভদ্রলোক নিউইয়র্কে বড় হয়েছেন কিনা!) বিষ্ময়ের উদ্রেগ করে-এইটা কি মাল্টি লিঙ্গুয়াল ছবি??!! 😮

    ৫) আহ ক্যাপ্টেন ববি ফ্রম বাংলাদেশ সিক্রেট সার্ভিস... 😡 😡 😡 :dreamy: :dreamy: বাংলাদেশ সিক্রেট সার্ভিসে এইরকম উচ্চ তাপমাত্রার (hot) নারী এজেন্ট আছে জানলে আপনেদের মাস্ফ্যু বিএমএ থেইকা না আইসা আজকে ডিজিএফআইতে থাকতো... :-B :duel:

    ৬) আরো ডজন খানিক চোখে পড়ার মত জিনিস বাদ গেল...সময় সময় মনে হইলে কমুনে...মান্নাদা,রিভিউ ব্যাপক হইছে...

    জবাব দিন
    • শাহাদাত মান্না (৯৪-০০)

      মাস্ফ্যু, প্রথমেই বলি তুই একটা জলিল।
      সবসময়ই এই কাজটা করিস,আর সেটা হল অনেক ক্ষেত্রে এত সুন্দর ও গোছানো মন্তব্য করিস যা নিয়ে আলাদা ব্লগই লেখা যায়।এই ব্যাপারটি এখন থেকে খেয়াল করিস।

      ভয়ে ভয়ে কেন? তোর লেখার সাথে আমি নিজে ও একমত।
      তবে খেয়াল করিস আমি কিন্তু সামগ্রিক আলোচনা করেছি,কাহিনী কিংবা কারিগরী বিশ্লেষনে ও যাইনি।
      আর তুই একেবারেই মাইক্রো লেভেলে আলোচনা করেছিস। :clap:

      জবাব দিন
      • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

        ভাইজান আপনের প্রশংসায় আমি তো পুরা হাওয়ায় ভাসা শুরু করছি :shy: :shy: :shy: :shy: :shy:

        আসলে বস আমার সিনেমা সম্পর্কে কুনো কারিগরী জ্ঞান নাই-আমার দৌড় সিনেমা আম-দর্শকের চোখে দেখার পর অনুভূতি প্রকাশ করা পর্যন্তই।এই কারণে ইচ্ছা থাকা সত্বেও মুভি রিভিউ লিখি নাই।আপনার এই ফাটাফাটি রিভিউটা আমাকে সেই অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ কইরা দিছে।আপনেরে ধইন্যাপাতা।

        অফ টপিক-
        ১) এই ব্লগটা আপনেরে না বইলা ফেসবুকে শেয়ার করছি,একটা নোটে লিঙ্কও দিছি।তয় লিঙ্ক আপলোড করার সময় সেইখানে আদনান ভাই(৯৮ ব্যাচ)এর ছবি কেমনে জানি চইলা আসে-ফলে অনেকেই উনার ছবিকে শটগান জলিল ভাইবা ভুল করছে।বুঝতেছিনা কি করুম-আদনান ভাই দেখলে আমারে মাইরাই ফেলবো 🙁

        ২) সকাল ১০টায় টিএসসি অডিটোরিয়ামে ওরিয়েন্টেশন কেলাস-অনার্সের ছাত্রছাত্রীদের সাথে 😡 😡 😡 খাস দিলে দোয়া কইরেন যাতে ডিইউ চ্যাপ্টার ভালোভাবে পার করতে পারি :-B

        জবাব দিন
  4. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    ৭) বলিউডে যেমন আমির খান-শাহরুখ খান ইগো ক্ল্যাশ লাগে, "আমিই এক নম্বর"-এইরকম একটা ক্ল্যাশ অনন্ত(শটগান জলিল) আর শাকিব খানের মধ্যে ইতোমধ্যে লেগে গেছে বলে ঢালিউডে গুঞ্জন উঠেছে।জনশ্রুতি অনুযায়ী, অনন্ত নিজেকে শাকিব খানের চেয়ে অনেক বড় মাপের "বস" বলে দাবী করেছেন-তবে শাকিব খান এ ব্যাপারে বলেছেন "নো কমেন্টস" 😀
    ৮) শখের দাম লাখ টাকা- ৪৫ বছর বয়েসি গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জলিল সাহেবের শখ ছিল সিনেমার নায়ক হওয়া-তিনি তা পূরণ করেছেন।জোকিং এপার্ট- আমার কাছে এই জিনিসটা দুর্দান্ত লেগেছে।শখ অনেকেরই থাকে, সাধ্যও থাকে কিন্তু দুইটার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে সেতাকে বাস্তবের মাটিতে নামিয়ে আনার মত সাহস সবার থাকেনা।এই একটা দিক দিয়ে আমি জলিল সাহেবকে সেলাম জানাই।

    জবাব দিন
    • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

      ৯) নায়কের ঘোড়াটা নিঃসন্দেহে তাগড়া এবং সুন্দর একটা ঘোড়া- টিপিকাল হার-জিরজিরে ঘোড়া না।তবে একটু খেয়াল করলে দেখবেন,ট্রেনে পলায়মান ভিলেনকে ঘোড়ায় চড়ে তাড়া করার ঠিক আগ মুহূর্তে নায়ক যখন ঘোড়ার উঠতে যাচ্ছে-নায়কের দশাসই ওজন নেবার ভয়ে ভীত হয়ে সেই তাগড়া ঘোড়াও প্রথমে মুখ ঘুরিয়ে পলাতে নিয়েছিল-পরে জোর করে লাগাম টেনে তাকে বশ করা হয়... :((

      জবাব দিন
      • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

        জলিল সাহেবকে "শটগান জলিল" না বলে শুধু জলিল বলার কারণে আপনাকে নিনোর সাথে রেসলিং ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যবস্থা করা যায় কিনা চিন্তা করতেছি :duel:

        জবাব দিন
                • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

                  :shy: আচ্ছা,ববি আপুকেও আমাদের ডিপার্টমেন্টে ভর্তি করা যায়না? :shy: সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্ট হিসেবে উনার একটা এমডিএস ডিগ্রি থাকলে ফরেন এম্বাসির ইকনমিক এ্যাডভাইজারদের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে সিক্রেট কথা বের করতে সুবিধা হবে ,প্লাস আমরাও আপুর সাথে ক্লাস করতে পারব :-B

                  জবাব দিন
                • শাহাদাত মান্না (৯৪-০০)

                  বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকদের চরিত্র নিয়ে কথা বলতে চাইনা।তবে এরা আছে বলেইতো পরীক্ষার খাতায় এক বর্ণ না লিখে ও তোর আপু পাশ করে যাবে ইনশাল্লাহ। 😉

                  তুই এত ভালো হাডুডু খেলিস,তারপর ও সামান্য সাফ গেমসে কোন সোনা জুটেনা আমাদের কপালে। বড়ই আপসোস। :))

                  জবাব দিন
                  • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

                    🙁 দুর মিয়া এইমাত্র ওরিয়েন্টেশন কইরা লাঞ্চ হিসেবে নান্নার বিরিয়ানি আর ফাউ হিসেবে গানের তালে তালে বিডিএসের (মানে অনার্সের) তন্বীদের নৃত্য দেইখা আইলাম আর আপনে আইছেন আমারে ডিমরালাইজ করতে।আসলে আপনে পাস কইরা গেছেন তো,তাই মজার লাইফ শ্যাষ হওয়ায় আমার লগে হিংসা করতেছেন।তয় ভাইজান, আমার সহপাঠীদের দেইখা আমি পুরাই টাশকি- ম্যাক্সিমামের এইটা সেকেন্ড/থার্ড মাস্টার্স- তাঁদের এভারেজ বয়েস ত্রিশ এবং এদের মধ্যে আইবিএর এমবিএ গোল্ড মেডালিস্ট, ৫ বছর জাপানে অবস্থানের পর স্বদেশে ফেরত আসা মনবুশো স্কলার, বাংলাদেশ আর্মির প্রাক্তন কমান্ডো এবং ডিফেন্স স্টাডিজে প্রথম হওয়া মেজর ,বুয়েটের চার পাঁচজন ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারসহ দেশের যত বাঘা বাঘা ডিপার্টমেন্ট আছে তার সেরা সেরা ছাত্রছাত্রীরা আছে।এইসব রথী-মহারথীদের ভীড়ে আমার মত প্রাইভেট ভার্সিটিতে টাইনা টুইনা পাস করা পোলা সারভাইভ করবে কেমনে এইটা নিয়া আমি বড়ই দুশ্চিন্তায় আছি।খাস দিলে দোয়া কইরেন ভাইজান যেন আল্লাহ পাক ইজ্জতটা রাখেন 🙁 🙁 🙁 -ফেল কইরা রাস্টিকেট-ফাস্টিকেট হয়া গেলে গলায় দড়ি দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবেনা :(( :(( (সম্পাদিত)

                    জবাব দিন
                    • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

                      @মাসরুফ,

                      এইসব রথী-মহারথীদের ভীড়ে আমার মত প্রাইভেট ভার্সিটিতে টাইনা টুইনা পাস করা পোলা সারভাইভ করবে কেমনে এইটা নিয়া আমি বড়ই দুশ্চিন্তায় আছি

                      - ক্লাস শুরু হলে দেখবা এইসব মহারথীদের আসল অবস্থা। কাজেই ভয় পেয়ো না একদম। আর হ্যাঁ, ওমর ফারুক আমাদের ব্যাচ, বিসিসি, ঐখানে লেকচারার; ওর চিন্তা-ভাবনাও বেশ ভালো লাগবে আশা করি। (সম্পাদিত)


                      There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

                    • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

                      উৎসাহ দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।আসলে ক্যাডেট কলেজের বাইরে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এরকম হাই প্রোফাইলের কম্পিটিশনের সামনে পড়িনি কখনো।ফলাফল যা-ই হোক,আমার সাধারণ প্রোফাইল নিয়েই যেটুকু পারি ফাইট দিতে চেষ্টা করবো।আর আপনাকে শিক্ষক হিসেবে কবে পাচ্ছি?(ক্লাসে অবশ্যই স্যার বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলবো 😛 )

                    • শাহাদাত মান্না (৯৪-০০)

                      মাহমুদ ভাই,যার কথা বললেন তার চিন্তা-ভাবনা ভালো লাগতে পারে কিনা তা আমি জানিনা।তবে সহযোগিতা যে একেবারেই পাবেনা এটা বলে দিতে পারি।
                      অবশ্য মাস্ফ্যুর ক্ষেত্রে আমার এই ধারণা ভুল প্রমানিত হলে আমি খুবই খুশী হব। 🙂

                    • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

                      🙁 🙁 দুরো মান্নাদা-আপনি খালি ডিমরালাইজ করেন। :shy: বিডিএসের (ব্যাচেলর অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের) তন্বীদের উদ্দাম নৃত্যের যোশ আপনি মনে হয় পান নাই 😀 (সম্পাদিত)

                    • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

                      @ মান্না,

                      সহযোগিতা বলতে যদি কম পড়ে বেশি নম্বর বা এই জাতীয় কিছু ভেবে বলে থাকো, তাইলে আমিও তোমার সাথে একমত। তবে পড়াশোনায় গাইড করার ব্যাপারে আমি নিশ্চিত সে অন্যান্য শিক্ষকদের থেকে নিজেকে আলাদাভাবে চিনাবে।

                      @মাসরুফ,
                      ঢাবি'তে শিক্ষক হওয়াটা মনে হয় হলোনা আমার। হয়তো আমার পিএইচডি শেষে অনেক দেশেই চেনাজানা কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার ডাক পাবো, কিন্তু নিশ্চয় ঢাবি তাদের মতো বোকামী করবে না, কারণ আমার এখানে শিক্ষক হওয়ার মতো যোগ্যতা আমার নাই 😛

                      তোমার ক্লাস কবে শুরু হচ্ছে? আমি মাঝেমধ্যেই কলাভবনে+তোমার ডিপার্টমেন্টে যাই। আগে থেকে জানা থাকলে তোমাদের কলাভবনে দেখা করা যাবে। 😀


                      There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

                    • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

                      🙁 দুইদিনের (আক্ষরিক অর্থেই দুইদিন গেছি) বৈরাগি হইয়া আমি এখনই ভাতেরে অন্ন (আমাদের কলাভবন) বলা শুরু করছি আর আপনে ৫ বছর ক্লাস কইরা এইভাবে পর করে দিতেছেন-কাজটা কি ঠিক হইলো মাহমুদ ভাই?

                    • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

                      ইউসিএলএ এর পিএইচডি হইয়া আপনে যদি এই কথা কন মাহমুদ ভাই... 🙁 অন্যান্য অনেক ডিপার্টমেন্টে কি হয় জানিনা-তবে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের মত নতুন ডিপার্টমেন্টও কি এই অবস্থা? 🙁

                    • শাহাদাত মান্না (৯৪-০০)

                      মাস্ফ্যু,তুই এখনও অনেক কিছু টের পাসনাই।চোখ-কান খোলা রাখিস আমার মত,দেশটাকে চিনতে পারবি আরো ভালোমত।মাহমুদ ভাই যা বলছেন তাতে এই বিষয়ে বিন্দুমাত্র ভুল নেই।

                      ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এমনই এক ওজনদার প্রতিষ্ঠান যেখানে হার্ভাড,এমআইটি ফেরত লোক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি!শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দেশবরেন্য অধ্যাপক এখানে যোগদান না করতে পেরে কিন্তু ওখানে আশ্রয় নিয়েছেন।
                      আর আমি এমন একজনকে চিনি,যিনি এখানে যোগ্যতায় কূলোতে পারেননি কিন্তু ব্যর্থ হয়ে মোনাশে যোগ দিয়েছেন!তাহলে বুঝ।এরকম শ-খানেক উদাহরন আমার কাছে আছে। 😀
                      কি যোগ্যতা এখানে প্রাধান্য পায় তা আশা করি বুঝতে পারছিস।তবে ঢালাওভাবে এই অভিযোগ করিসনা।ব্যতিক্রম আছে বলেই এখনও প্রতিষ্ঠানটি টিকে আছে।

                      তবে হতাশ হসনা,আমার মত ঘাড়ত্যাড়ারা যতদিন আছে,এসব তথ্য ম্যাংগোপাব্লিককে জানায়ে যাব।তাতে সিজিপিএ ২ এর নিচে নামলে ও ভয় নেই। :))

                    • শাহাদাত মান্না (৯৪-০০)

                      মাহমুদ ভাই,জীবনটাকে নম্বরে মাপা আমি ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হবার সাথে সাথেই বিসর্জন দিয়েছি।
                      এ ব্যাপারে আমার বন্ধুরা ভালো বলতে পারবে। 😀

                      আপনি বন্ধুগুণে অনেক ভালো দেখতে পারেন,আমি ও বড়ভাই গুনে অনেক ভালো পাই,কিন্তু বাস্তবে আমি সত্যের কাছে এখনও হার মানি নাই বলে একটু মাঝে মাঝে প্রকাশ করি।
                      উনি অনেক মেধাবী,অনেক ডিগ্রীধারী,অনেক ভালো পড়ান আর সর্বোপরি একদিন নামজাদা শিক্ষক হয়ে এই সমাজে আলো ছড়াবেন এই আশা রাখি।

                      আর আমার সমস্যা হল এই ডিপার্টমেন্ট নিয়ে আমি না প্রায় অনেকেই পুরোপুরি হতাশ।শুধু নামের পাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শব্দটা আছে বলে এখনও টিকে আছে।কিন্তু শব্দটা কদিন আর এই ভার বইবে তাতে আমি সন্দিহান।তবে এমনটি না ঘটলেই আমি সবচেয়ে খুশী হব। 🙂

                      বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াটি কেমন তা আপনিও ভালো করেই জানেন,তাই এই বিষয়ে আমি বেশি কিছু বললামনা।
                      আর বড় কথা পড়াশোনা শেষে একখানা কাগজ দেয় যেটারে আমরা সার্টিফিকেট বলে জানি সেটা এখনও হাতে পাইনি,তাই সব বুদ্ধিমানদের মত এই নিয়ে আমি ও চুপ মারলাম এখানে। 😀

  5. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    মান্না ভাই খোঁজ যেমন তেমন আপনার রম্য দুরন্ত হইছে। পুএরা পাঁচ তারা।
    আমি ছবির ট্রেলার দেইখ্যা পাঙ্কা হয়া গেছিলাম। এখনো সিনেমাটা দেখা হয় নাই। তবে সেদিন এই পরিচালক আড় নায়িকাকে নিয়ে দেবাশীষের সাথে একটা টক শো দেখলাম এতেই ব উইঝা গেছি উনি বিরাট রসের আধার।

    জবাব দিন
  6. ভাইয়া আমি বলবো অন্তত চেষ্টা তো করছে। :clap: :clap: :clap: সিসিবেতে রিসেন্ট বাংলা ছবি নিয়া রিভিউ হইলো এটা কি কম পাওয়া?? নায়িকাদের জন্য ছবিটা দেখার ইচ্ছা আছে 😀 😀 😀 😀

    জবাব দিন
  7. আব্দুল্লাহ্‌-আল-আমীন (৯৮-০৪)
    এক মাষ্টারের নির্যাতনে নিজের পরিচয়ই ভুলে গেছেন।তিনি জানেন না তিনি কে? তাই তার প্রশ্ন ছিল-আমি কে? এর উত্তরে হলের দর্শকদের একটু ও সমস্যা হয়নি,তাদের চটপট জবাব- ‘তুই ছাগল’!

    শাহাদাত ভাই, কঠিন.............. :thumbup:

    এই পরিচালক আর প্রযোজক নাকি আরো সিনেমা বানানোর খায়েশ করেছেন (খোদা তুমি রহম কর)!

    এর পরের টার নাম "পাইছি.........the FOUND"

    জবাব দিন
  8. কিবরিয়া (২০০৩-২০০৯)

    রিসেন্তিলী দাউনলোদ লিঙ্ক চাড়া ছিনেমা রিভিউ দেওয়ার প্রবনটা খুব বেসি দেখা যাচ্ছে সি সি বি, ক্যাপ্টেন ববি the search করতো, বিদেশী চক্রান্ত কী না??? :gulli: ( কপি রাইট জলিল, কেস যেন না হয়)


    যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
    জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
    - রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

    জবাব দিন
  9. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    খোঁজ আর কিছু করতে না পারুক, এর কারনে এই রকম একটা অসাধারন মুভি রিভিও পেয়েছি, তার জন্য আ. জলিলকে ধন্যবাদ।

    মান্না ভাই, আপনি পাথরান :hatsoff: :hatsoff:


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  10. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    আমি সিনেমাটা দেখছি একেবারে প্রিমিয়ার শো-তে। ইনভাইটেশন ছিল। সেদিন যারা সিনেমা দেখতে গেছে তাদের সবাইকে নায়কদের ছবি সহ টি-শার্ট দেয়া হইছে। আমি এখন সেই টি-শার্ট পইড়া রাতে ঘুমাই।

    যাজ্ঞা, সিনেমাটা কিন্তু মজার। দেখার পর থেইকাই আমি জলিল ভাইয়ের পাঙ্খা হইয়া আছি। আমি ঠিক করছি এখন থেইকা তারে 'ওস্তাদ' বইলা ডাকুম।
    ওস্তাদ, আপনি আরো সিনেমা বানান। আর লগে ম্যাডাম ববিকেও নিয়েন।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  11. মুস্তাকিম (৯৪-০০)

    এই ছবি কিন্তু ব্যাপক হিট করবো (এতক্সণে কইরাও ফেলছে মনে হয়)। সিনেপ্লেকসে যেমনে হাউসফুল যাইতাসে!
    তবে কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর পাই নাই-
    ১. নায়ক গুলি খাইলো পায়ে। কিন্তু মা জিগায় "তোর হাতের অবস্থা কেমন?"। এরপর নায়কের হাতে ব্যান্ডেজ থাকলেও দৌড়াদৌড়ি করতে কেন সমস্যা হয় নাই?
    ২. মেজর কামরুল ও সোহেল রানা কে কাকে গুলি করেছিলো?
    এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজবো বলেই কি ছবির নাম "খোঁজ - দ্য সার্চ"?

    জবাব দিন
  12. তানভীর (৯৪-০০)

    মান্নার পরামর্শেই আমরা বন্ধুদের একটা দল ছবিটা আজ দেখে এসেছি।

    আমার মনে হয় বিনোদনধর্মী ছবির এক বিপ্লব তৈরি হল এই ছবিটির মাধ্যমে। পুরো সময় ধরে উপভোগ করেছি ছবিটাকে। ছবিটি হাউসফুল করে চলেছে প্রতিটি শো তে।

    নায়ককে নিয়ে বলা শুরু করলে আর লেখা শেষ হবে না।
    সিনেমার শুরুতেই দেখা যায় নায়ক স্বাস্থ্যচর্চা করছেন, বুকডন দিচ্ছেন, নারিকেল গাছে লাথি-ঘুষি মারছেন (আমি অপেক্ষায় ছিলাম উনার লাথি খেয়ে দুই-একটা ডাব গাছ থেকে পড়ে যাবে আর নায়ক সেটা দিয়ে তৃষ্ণা মিটাবেন- আফসোস সেটা হয়নি!)।
    সুঠাম দেহের অধিকারী এই লোককে পুরো ছবিতে কমপক্ষে হাজারটার মত গুলি করা হয়েছে, তার মধ্যে শুধু একটা লক্ষ্যভেদ করতে পেরেছিল। গুলি পায়ে লাগায় উনাকে কয়েক সেকেন্ডের জন্য খুঁড়িয়ে হাঁটতে হয়েছে, পরে অবশ্য সেই জখম হাতে চলে গিয়েছে (উপরে মুস্তাকিমের কমেন্টে দ্রষ্টব্য)- দুষ্টু লোকেরা বলেন এই জখম নাকি ব্লু-টুথ দিয়ে পা থেকে হাতে ট্রান্সফার করা হয়েছে, কিন্তু বিশ্বাস করব কিনা ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা! 😕

    নায়কের মনের ক্ষমতাও লা-জওয়াব। স্পিডবোট ধ্বংস হওয়ার ঠিক পূর্বমুহূর্তে নায়ককে ওখান থেকে পানিতে লাফ দিতে দেখা যায় এবং সাথে সাথেই উপরে ভিলেন যে হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছুঁড়েছিল সেই হেলিকপ্টারকেও ধ্বংস হতে দেখা যায়। আমার ধারনা নায়ক মনে মনে হেলিকপ্টারে গুলি ছুঁরেছিলেন, তাতেই হেলিকপ্টার কুপোকাত! অবশ্য স্পিডবোটের আগুন উপরে উঠে গিয়ে হেলিকপ্টারে আগুন ধরিয়ে দেয়- এ ধারনাকেও ঠিক ফেলে দেয়া যায় না!

    নাহ্‌! আর লিখা উচিত হবে না। সবাই মিলে ছবিটি দেখে আসুন, নির্মল আনন্দ উপভোগ করুন এবং বাংলা চলচ্চিত্রকে আরও বেগবান করুন- এই শুভকামনা রইল। 🙂

    জবাব দিন
  13. মশিউর (২০০২-২০০৮)

    এই ছিনেমা না দেখলেই না । যে রিভিউ পড়লাম তাতেই হাসি আটকাইয়ে পারতেছি না আর দেইখা ফালাইলে না জানি কি হইব ।
    কবিতাটা কেউ বলে না কেন?
    চল্ চল্ চল্
    মান্না ভাই বস্ । :boss: :boss:

    জবাব দিন
  14. আব্দুল্লাহ্‌ আল ইমরান (৯৩-৯৯)

    trailer ত সিরাম !
    my mission: who am i
    my target:everyone
    স্পীড বোট থেকে ঝাপ দেয়া ত আছেই সেই সাথে ফ্লাইং গুলি করে কপ্টার জ্বালিয়ে দেয়া। :gulli2: ব্রীজ থেকে ময়লা পানিতে ঝাপ দিল।নায়ক ত মাশাল্লাহ।পয়সা থাকলেই ত মনে হয় নায়ক হওয়া যায় । ~x( তবে ববি ম্যাডাম মাশাল্লাহ। 😡
    বিদেশী আর্টিস্ট নিয়ে করা কিন্তু পরিচালক বাংলাদেশী আবার বাংলাদেশীদের জন্য বানানো।টিপিকাল বাংলা সিকোয়েন্স না থাক্লেই নয়।নায়ক গুলি খায় তার মা টের পায়! মা ত এমনই হওয়া উচিত।মানে বাংলা ইংরেজী মিক্স মিডিয়ামে বাংলা কারিকুলাম। :khekz:

    জবাব দিন
  15. তাইফুর (৯২-৯৮)

    কমপ্লিমেন্টারি টিকেট পাইয়া আমরা ১৪ জন গেছিলাম সিনেপ্লেক্সে ... রিয়েকশান গুলা বলি ...
    ১। হল ভর্তি দর্শক হাসতে হাসতে গড়াইতে গড়াইতে বাহির হইতেছে দেইখা পাশের হল থেকে GI Joe দেইখা বাইর হওয়া তরুণী তার বয়ফ্রেন্ড'কে 'কেন তুমি আমারে খোঁজ-দ্যা ছার্চ দেখাইলানা' বইলা গাল ফুলাইল
    ২। এমসিসি'র ২৪ ব্যাচের ছয় বড়ভাই বউ সহ আসছিলেন, ছবি শেষে তাদের সাথে হঠাৎ দেখা ... তারা প্রথম ১৫ মিনিট মিস কইরা হাহুতাশ করতেছিলেন। নাজমুল ভাবী আমার বউরে যখন জিজ্ঞেস করলেন প্রথম ১৫ মিনিট কি দেখাইছে ... আমার বউ কইতে পারে নাই। আমিও অনেক চেষ্টা কইরাও মনে করতে পারি নাই।
    ৩। আমি ব্যাক্তিগতভাবে এই ছিঃনেমা'র অনেক্কেই চিনি। পরিচালক সাহেবের ইংরাজীও মাশাল্লাহ ... তিনি তার কন্ঠ অন্য কারে দিয়া যেন ডাব করাইছেন। নায়ক সাহেব অতিরিক্ত কনফিডেন্ট হওয়ায় রাজী হন্নাই ... ভালই হইছে, তারটাও ডাব করাইলে আমরা ডাবের পানি থেকে বঞ্চিত হইতাম।
    ৪। শুক্কুরবার দেখছি ... এখনও হাস্তেই আছি ... হাস্তেই আছি


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  16. তানভীর (১৯৯৫-২০০১)

    আমার কাছে এই সিনেমা অনেক ভাল লেগেছে, আমরা তিন জিগরি দোস্ত সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম... সিনেমার নায়ক যেমনই হোক, নায়িকারা পুরা 😮 😮 😮 😮
    মান্না ভাই, হুদাই নায়কের পিছনে লাগছেন কেন, নায়িকা সম্পর্কে কিছু বলেন। নাহলে :gulli2: :gulli2: :gulli2:

    জবাব দিন
  17. আব্দুল্লাহ্‌ আল ইমরান (৯৩-৯৯)

    আমি ত মুক্তির দিনই শুক্রবার সিনেপ্লেক্সে গেছি দেখতে দেখি এরা কি বানাইছে।কিন্তু হাউসফুল,the search কইরা একটা টিকেটও নাই ~x( কাউন্টারে বলে যে ভাই বিয়াপক হিট।কালকের টিকেট অগ্রীম নিতে পারেন।আইছি এহন, কি কয় এইটা?এখন কি ঘুইরা যামু?বাধনের 'কি জানি(মনে নাই), অরন্যে' তারো টিকিট নাই।আসলে সিনেমা সম্পর্কে জানিনা বাধনরে দেখতে চাইছিলাম।তাও নাই।অগত্যা একমাত্র যা পেলাম তাই 'প্রিয়তমেষু'।সাবা'রে একটু ভাল পাই(চন্দ্রগ্রহন দেইখা মুগ্ধ),আর ফরিদি বস আছে, দেখি কি হয়।কিন্তু দেইখা পুরাই হতাশ।হুমায়ুন আহমেদের নাটক। নাটকরে টাইনা লম্বা করলে টেলি বলা যেতে পারে।এইটারে আমার সিনেমা মনে হলোনা।
    আরেকদিন টিকেট the found কইরা দেখলাম। ভাল বিনোদন :goragori: দেইখা ভাল হইছে।না দেখলে আগ্রহ থাকত যে না জানি কি বানাইছে।দেইখা সেই আগ্রহ মাটিচাপা দিলাম।বুঝলাম বাংলা সিনেমায় লাউ=কদু। :grr:

    জবাব দিন
  18. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    ব্লগে গ্রীষ্মের গুমোট আবহাওয়ার মধ্যে এই লেখাটা যেন দক্ষিণমুখী একটা খোলা জানালা।

    ধন্যবাদ মান্না। তোমার বেশিরভাগ লেখাই পড়তে মজা।


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  19. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    মান্না মিয়া তোমার এই লেখা পড়ে আমি পুরোপুরিই জলিল সাহেবের ফ্যান (কম্পিউটার প্রসেসর ঠান্ডা করার ফ্যান নয়) হয়ে গেলাম।
    আফশোস যে হলে গিয়ে ছবিটা দেখতে পারছি না।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
  20. আছিব (২০০০-২০০৬)

    নেট নাই,এই একটা অভাবে পইড়া এই মহা ব্লগে সরাসরি অংশ নিতে পারলাম দেখে দুঃখে আমার দিল ভাইঙ্গা শাহ্রুখ খান-গৌরী খান হইয়া যাইতেছে। m@nna ভাই এর রিভিউ নিয়ে তো আর নতুন করে কওনের কিছু নাই। :boss: :boss:

    সিনেমাটা আমাদের ৯ জন ফ্রেন্ড দেখে আসছে,ওরা বলতেছে পরে আরো ৩০ জন মইলে আবার যাবে।আমিও যামু।এ্যাকশন হোক আর কমেডি হোক।শটগান জলিল তার সার্কাস দেখাইতে পারতেছে লোক্সমাগম করিয়া,এটা বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য পজিটিভ মনে হয় :)) =))

    ববি :dreamy: O:-) 😡

    জবাব দিন
  21. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    ব্রেকিং নিউজঃ

    খোঁজ দ্য সার্চ ছবির পর প্রযোজক অনন্ত নতুন দুই ছবির নাম ঘোষণা দিয়েছেন।"আমার দেশ আমার যুদ্ধ" ও "নিঃস্বার্থ ভালোবাসা" নামের ছবি দুটি পরিচালনা করেছেন ঢালিউডের দুই খ্যাতিমান পরিচালক।গাজী মাজহারুল আনোয়ারের পরিচালনায় "আমার দেশ আমার যুদ্ধ" ছবিতে অভিনয় করেছেন অনন্ত,বর্ষা,তারিক আনাম,কবরী সহ আরো অনেকে।ছবির কাহিনী লিখেছেন পরিচালক নিজেই।১৫ জুন থেকে ছবির শুটিং শুরু হবে। মুক্তিযুদ্ধের আগে এবং মুক্তিযুদ্ধের পরের সময়ের উপর দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ছবিটি নির্মিত হতে যাচ্ছে।সোহানুর রহমান সোহানের পরিচালনায় "নিঃস্বার্থ ভালবাসা" ছবিতে অভিনয় করবেন অনন্ত,বর্ষা সহ আরো অনেকে।ছবির কাহিনী লিখেছেন অনন্য মামুন। দুর্নীতি বিরোধী কাহিনী নিয়ে নির্মিত হবে ছবিটি। প্রযোজক অনন্ত জানান,প্রথম ছবি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে নতুন দুই ছবির কাজে।আশা করি পরবর্তী ছবিতেও দর্শক সাড়া পাব।

    সুত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক,বিনোদন রিপোর্ট, ১১ মে ২০১০

    কমেন্টেটরের মন্তব্যঃ

    প্রিয় পাঠক-পাঠিকা,

    একশন-কমেডী সিনেমা না হয় সহ্য করা গেল,কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের মত সিরিয়াস বিষয় নিয়ে শটগান জলিলের মুভি বানানোটা আমার কাছে খুব স্বস্তিপ্রদ কিছু বলে মনে হচ্ছেনা।আমরা মজা করতে করতে এই খোঁজ-দ্য সার্চকে সুপারহিট বানিয়ে ফেলেছি,তাতে সমস্যা নাই(জলিলের বক্তব্য প্রমাণ করে যে সার্চ সিনেমাটি সুপারহিট,নাহলে আর দুইটা সিনেমা বানানোর সাহস পাওয়ার কথা না...)।

    কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জলিলের সিনেমা?!!!!! 😮 😮 😮

    সাধু সাবধান!!!!!!!

    জবাব দিন
    • শাহাদাত মান্না (৯৪-০০)

      সাধু সবধানের কিছু নেই।সব কিছু নিয়ে আজকাল পরিক্ষা-নিরীক্ষা হয়,মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে হতে সমস্যা কোথায়?সব কিছু নিয়ে এরকম আতঙ্কিত হয়ে পড়াটা মঙ্গলজনক নয়।

      যে দেশে জনগণই ভোট দিয়ে রাজাকারদের নির্বাচিত করে গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগানোর সুযোগ করে দেয় আবার যুদ্ধে পিতার মৃত্যুর পর ও তারুন্যের আহবানে সাড়া না দিয়ে উলটো রাজাকারের আশ্রয় প্রার্থনা করে অ-মুক্তিযোদ্ধা থেকে গিয়ে আজ হয়ে গেছেন স্বাধীনতার পক্ষের সবচেয়ে বড় চিন্তাশীল সেই দেশে একখান সিনেমা হলে এমন কোন জাত যাবেনা।

      আর ভয়ের কিছু নেই,ওস্তাদ জলিল নিজেতো আর পরিচালক নয়। :))

      জবাব দিন
      • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

        আসলে খোঁজ দ্য সার্চ নিয়ে আমরা যেরকম হাসাহাসি করছি মুক্তিযুদ্ধের কোন সিনেমা নিয়ে ওরকম হাসাহাসি হলে খারাপ লাগবে-সেইজন্য বলছিলাম।অবশ্য আপনার কথাই ঠিক-আসল জীবনেই যখন রাজাকার দেশের প্রেসিডেন্ট হয় তখন সিনেমার পর্দায় হাসাহাসি হলে কী-ই বা যায় আসে 🙁

        জবাব দিন
        • শাহাদাত মান্না (৯৪-০০)

          মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রকাশ্যেই তো দম্ভের সহিত একদল রসিকতা করে।
          একে গৃহযুদ্ধ বলে কটাক্ষ করে ও লোকে পার পেয়ে যায়।
          তখন এক জলিল আর কত নিচে নামাবে?

          জবাব দিন
          • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

            x-( সামনা সামনি সাহস পায়না,অন্ততঃ আমার সামনে এই জাতীয় কথা কইয়া ইজ্জত নিয়া কেউ পার পায়নাই-সেইটা আপন মামাই হোক আর পাশের বাড়ির চাচাই হোক।তবে ক্ষমতায় যখন তাদের মন্ত্রীরা আসবে,আমাকে যখন তাদের কাউকেই স্যার স্যার করতে মুখে ফেনা তুলতে হবে-তখন বোঝা যাবে আমার "সাহস" কতটুকু।

            আজকাল যখন কাউকে দেখি দেশে থাকার যাবতীয় প্রয়োজনীয় সুযোগ থাকা সত্বেও বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে- মাঝে মাঝে মনে হয় শালা ঠিকই করতেছে,অথচ মাত্র কিছুদিন আগেও এমনটা হইতোনা।

            জবাব দিন
      • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

        যাঁর কথা কইলেন বুঝতে পারছি তিনি কে।তবে বস,মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে উনার লেখাগুলো,বিশেষ করে এক বন্ধুর নামে যেই উপন্যাস-সেইটা আমার কাছে অসাধারণ লাগছে।মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে উনার আবেগটা অন্ততঃ আমার কাছে খাঁটি বলেই মনে হয়,যদিও উনার অন্য সমস্যা আছে।

        জবাব দিন
        • শাহাদাত মান্না (৯৪-০০)

          না আমি নিজে ও তার ভক্ত।আমি তার আবেগকে হাল্কা করতে এটা বলিনি। বলেছি ক্ষোভ থেকে।আর সেই ক্ষোভ ও মূলতঃ মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে।
          এমন ও আছেন মুক্তিযুদ্ধে যার এতটাই অবদান,অন্যদেশ হলে জীবিত থাকতেই তার একটা স্ট্যাচু করা হত। আর সেই তিনি জনগনের টাকায় এমনই লুটপাট করেছেন এখন তাকে স্মরন করতে আমাদের দুইদিকে রাস্তা ছাড়া কালভার্ট আর ব্রীজের কথা মনে করতে হয়।
          কারে দোষ দিব আজ? তাই নিজেরেই দূষি আমি।

          জবাব দিন
  22. লেখা পড়ে আর ট্রেইলার দেখে আব্দুল জলিলের ফ্যান হইলাম আমিও। 😀
    ধর্মযুদ্ধের ডামাডোলে এইরকম একটা বিনোদন দেরিতে চোখে পড়লো - এজন্য বড়ই আফসুস। 🙁

    মজার লেখা মান্না।

    জবাব দিন
  23. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    আবারো আ....সি.....তে.....ছে....... "খোঁজ দ্য সার্চ- ২"!! সিসিবি (!!) হার্টথ্রব নায়িকা বর্ষার বিপরীতে নায়ক খোঁজা হচ্ছে। সম্ভাব্য আগ্রহী মাস্ফ্যু, ওবায়দুল্লাহ, জি....হা.....দ...... এবং মান্না ভাইসহ আরো বাকিরা পরিচালকের প্রধান সহকারী কামরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

    009

    (সম্পাদিত)


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  24. সামীউর (৯৭-০৩)

    গত শনিবার সার্চ দ্যা খোঁজ ছবিটা দেখিয়া বড়ই পুলকিত হইয়াছি! জলিল ভাই এর কাছে এমন চলচ্চিত্র আরো চাই, তবে "বোরকা পড়া মেয়ে" খ্যাত শরাফউদ্দিনের কন্ঠে "ও বন্ধু লাল গোলাপি" গানটি বড় পর্দায় দেখিতে না পাইয়া হতাশ। তাই ইউটিউবই ভরসা।এই গানে ববির নাচ অতীব সুন্দর 😀 ( এই গান খানা নাকি মূল সিনেমা হইতে কর্তন করা হইয়াছে, কারণ বুজলাম না)

    জবাব দিন
  25. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    যদি ভুল না করে থাকি বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা যেখানে আইটেম সং (Item Song) "ও বন্ধু লাল গোলাপী" এর প্রয়োগ ঘটেছে। ইউ টিউবে গানটি দেখে আমি ব্যাপক আনন্দ পেয়েছি এবং আরেক ক্যাডেট কলেজ বন্ধু মারুফ (মকক - ১৯৫৯) এর বিশেষ প্রেসক্রিপশান - মন খারাপ, হতাশ, ক্লান্ত, জীবনে নির্মল আনন্দের অভাব - দেখতে চলে যা "খোঁজ The Search" 😀
    একই প্রেশক্রিপশান যখন আপনার কাছেও পাওয়া গেল আর দেরী করা যাবে না...


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  26. আমীন (০১-০৭)

    টার্ম ফাইনাল শেষ হবার সাথে সাথেই দৌড়ে গিয়েছিলাম বলাকার গ্যালারীতে।সাথে ছিল আমার সব বন্ধুরা।এতদিন ট্রেইলার দেখে দেখে আর গান শুনে শুনে মনে মনে মিঃ অনন্ত সাহেবকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট হিরো বানিয়ে নিয়েছিলাম।
    অনেক আশা নিয়ে গেলাম-আশা পুরণ হল ঠিকই কিন্তু আমি ম্যুভি শেষ হবার ২০ মিনিট আগেই কেন যে বের হয়ে এলাম তা বলতে পারব না।
    জয়তু অনন্ত ভাই,ধন্য তোমার দেহখানা-স্বার্থক তোমার জনম।

    জবাব দিন
  27. শওকত (৭৯-৮৫)

    আজকে ছবিটা দেখলাম। দেখেই দ্বিতীয় বারের মতো রিভিউটা পড়তে বসলাম।
    আমার পড়া এইটাই বাংলা ছবির সেরা রিভিউ।
    আর বড় ভাই হিসেবে ক্যাপ্টেন ববির যাবতীয় নাম্বার পাওয়ার দাবীদার আমিই।

    জবাব দিন
  28. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    এই ছবির মেজর মাহমুদের স্মার্টনেস দেখে বর্তমান মেজররা না যেন আবার চাকুরির প্রতি উদাসীন হয়ে পড়েন!সেরকমটি ঘটলে আমার অনুরোধ রইল,আপনারা ক্যাপ্টেন ববির কথা ভেবে চাকুরীতে মনোনিবেশ করুন ;;; সায়েদ ভাই কই গেলেন? ;;;

    জবাব দিন
  29. সেইসময় ব্লগে ছিলাম না বলে এইরকম একটা জিনিশ মিস হয়ে গেল ~x( ~x( ~x(
    মান্না ভাই,এইটা আপনার বেস্ট অফ বেস্ট লেখা।বেশি উরাধুরা। :thumbup: :thumbup:
    আফসুস এই জিনিশ এখন দেখা হয় নাই,কেউ একজন বেইমানি কইরা আমারে ছাইড়া একাই দেখে ফেলছে,অরে :gulli2: :gulli2:
    এবং দেখার পর থেকেই ননস্টপ হাসতেসে(এখনো)
    আর আমি তো এই রিভিউ পইড়াই কাইত, =)) =)) =))
    দেরীতে হইলেঅ শেয়ার করলাম খোমাখাতাই

    জবাব দিন
  30. সাবিহা জিতু (১৯৯৩-১৯৯৯)

    :pira: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz:
    সিরিয়াসলি, এতা পরে আমার এই ইমোগুলার মতোই অবস্থা!!!এদু স্যার, প্লীজ... ট্রাই টু আন্ডারস্টান্ড :frontroll:


    You cannot hangout with negative people and expect a positive life.

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।