[কৈফিয়ত-ইদানিং বেকার সময়টা বড্ড বেশী যাচ্ছে,তাই এক মাসে চারটা পোষ্ট! তবে একঘেয়েমিতে পেয়ে বসতে ও আমার সময় বেশী লাগেনা, তার আগেই যা পারি সেরে নেই। 😀 ]
ভালবাসা মানেই কী একধরণের বিনিয়োগ? অন্ধ প্রেম মানেও তো আবেগের চরম বাসনায় প্রতিদানে ভালবাসা ফিরে পাওয়া।এও তো একধরণের স্বার্থপরতা নাকি? তাই একে মুনাফা না বলে কী আর উপায় আছে? তবে মাঝেমাঝে বিনিয়োগটা বড্ড বেশী হয়ে যায় যার আসল উঠে আসেনা অত সহজে।
এইরকম আমার ও এক প্রেমিকা ছিলেন,তার পিছনে আমার পুরো বিনিয়োগটাই গেছে শুধু খাবার বিলে। অন্য কোন কিছুর বিশেষ চাহিদা ছিলনা,চাহিদা একটাই-ভোজন।যখনই দেখা হত রেষ্টুরেন্টে যাবার আবদার ধরত।কোথাও দেখা করতে হলেও ভেন্যু হত খাবারের দোকান। কোথাও বসে দু-খানি মনের কথা বলব,তাও একই।ওর জন্মদিনে উপহার দেবার বেলায় ও কিছু নিবেনা,শুধু রেষ্টুরেন্টে খাওয়াতে হবে। খাওয়ার প্রতি ওর এই কাঙ্গালিপনা দেখে আমি একদিন ওরে বলেই বসলাম-‘এই তোমার বাসায় রান্না-বান্না হয়না’? আমার কথায় ও এতটুকু রাগ না করে শুধু গোমড়ামুখে বলল-‘বাসায় কাজের লোক রাখা হয়না আর মা ও সারাদিন ব্যস্ত থাকেন টিভিতে প্রোগ্রাম করে,তাই রান্না-বান্না হয় না ঠিকমত। আর ছুটির দিনগুলোতে মা রান্না করেন,কিন্তু ওনার রান্না দেখতেই ভালো খেতে নয়’। এই কথা শুনে খুব একটা অবাক হইনি,পরে বড্ড মায়া হল যখন জানতে পারলাম ওর মা চ্যানেলে রান্নার অনুষ্ঠান করেন!এই হচ্ছে দশা,যিনি পাকা রাঁধুনি হবার জন্য নসিহত করেন,তিনি নিজের ঘরেই রাঁধুনি নন।
বড় অভাগা আমার এই দেশ।সব জায়গাতেই তো এরকম। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশী সোচ্চার ভাব দেখান দুর্নীতিবাজেরা,অমুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অতিরিক্ত আবেগ দেখান, দেশ নিয়ে সবচেয়ে ভাবেন স্বার্থবাদীরা,আকাটমূর্খরা বড় পন্ডিতের বেশ ধরে থাকেন! আর এই ব্যাপারটা মনে হলে আমার নিজের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের কথা সবচেয়ে বেশী মনে পড়ে। শামসুন্ননাহার হলের সেই বর্বোরোচিত ঘটনায় আমার মত হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জীবন থেকে প্রায় একটা বছর ঝরে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় খুলবার জন্য কারও কোন উদ্যোগ ছিলনা। নীতিনির্ধারক রাজনীতিবিদের সন্তানেরা তো আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার গরীবীপনার মিছিলে আজকাল আর থাকেনা। তারা হয় উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশগমন আর না হয় স্বদেশেই অর্থ পকেটস্থ শিক্ষার ক্ষমতামৈথুনে ব্যস্ত। তাই তাদের এই নিয়ে চিন্তা থাকবে কেন? তাদের আর দোষ কীভাবেই দেই বলুন,আমাদের সবচেয়ে প্রভাবশালী দুজন শিক্ষক নিজেরাইতো তখন তাদের সন্তানকে এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করালেন। তাই বলি,নিজের মাথায় ব্যথা না থাকলে কার এত মাথাব্যথা! আর আজকাল এতো আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।অভ্যাস কী আর সহজে বদলায় বলুন?
তবে প্রেম করলেও প্রেমিকারা আমার কিছু অভ্যাস বদলে দেয়নি।যেমন খাওয়ানোর মত তাদের আরেক আবদার সিনেমা দেখানো।তাই আমাকে আজকাল নিয়ম করেই সিনেমা দেখতে হয়।এই মাল্টিপ্লেক্সগুলো এসে আমার পকেটের আরো বারোটা বাজিয়েছে। শুধু কী সিনেমা দেখা,ভুট্টাভাজা আর পানীয় না হলে আজকাল নাকি সিনেমা ও হজম হয়না। এও নাকি হজমের দাওয়াই! আর তাতে লাভের গুঁড় বলতে আমার সিনেমা দেখার অভ্যেসটা রয়ে গেছে। শুধু ধরণটা বদলেছে,এই আমি আগে যেমন ১ টিকিটে ২ ছবি দেখতাম,প্রেমিকা আসার পর তা ২টিকিটে ১ ছবিতে রুপান্তরিত হয়েছে। কী চমৎকার এই বিবর্তনবাদ! আর এটা বোঝার জন্য আমাকে ডারউইন হতে হয়নি বরং নিজেকে মনে হয়েছে দানবীর হাজী মহসিন। শুধু দিয়েই গেলাম,একেবারে সম্প্রদান কারকে! ভালোবেসে শুধু কর্তৃটাই হলাম,প্রিয়তমাকে ভেবেছি কর্মের আশ্রয়স্থল,আবেগ সেখানে স্থান নিয়েছে করণের, হৃদয় নিয়েছে অপাদানের ভূমিকা আর এই অসময়টা দখল নিয়েছে অধিকরণের। তাতে নিখাঁদ ভালবাসার জন্ম না হলেও অবহেলায় কারকের জন্ম হয়েছে!
😀
"এই আমি আগে যেমন ১ টিকিটে ২ ছবি দেখতাম,প্রেমিকা আসার পর তা ২টিকিটে ১ ছবিতে রুপান্তরিত হয়েছে"-মানে কি ভাই?? :))
মনপুরা'র দুইটা টিকিট কিনা প্রেমিকা সহ দেইখা আয় ...
তারপর কইতেছি
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
আপনার জন্য খারাপই লাগে-আহারে ১ টিকিটে ২টি ছবি আর দেখবার পারেন্না!! :goragori: :goragori:
ভাই, মন আর কত পুরবে মনপুরা দেখে... 😀
ইশারায় বুঝে নে। 😉
বুঝছি মনে হয় :grr:
ছেলে বড় হয়ে গেছে,সব বুঝে ফেলে। :))
আপনার সঠিক দিক-নির্দেশনা আর কি :grr:
কি কঠিন সাহিত্য! ~x( :boss:
ভুট্টাভাজা আর কোক দেন, নাইলে হজম হচ্ছে না।।
আনোয়ারের টেষ্টি হজমি আছে,হকাররা বিক্রি করে,চেষ্টা করে দেখ। 😀
বিছিঃএসের কারক শিক্ষায় এই লাইন ইউজ করুম এখন থিকা :boss:
দুঃখ লাগতেছে প্রেমের এমন করুন দশা দেখে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপু, এখন ও তো বিসর্জন দেইনি। 😀
এই আমি আগে যেমন ১ টিকিটে ২ ছবি দেখতাম,প্রেমিকা আসার পর তা ২টিকিটে ১ ছবিতে রুপান্তরিত হয়েছে। =)) =)) =))
তোর তো দেখি কাইয়ূম ভাইয়ের রোগে ধরছে। :))
:shy: আমি প্রথম(এবং এখনো পর্যন্ত একমাত্র) এক টিকিটে দুই ছবি দেখি "পর্বত" সিনেমা হলে-ক্লাস ফাইভে থাক্তে-ছিঃনেমার নামও মনে আছে কিন্তু এইখানে কমুনা,শরম লাগে :shy:
ক্লাস ফাইভে থাকতেই ... ছিঃছিঃ তুই এত খারাপ
ভালোবাসা যত বড় জীবন ততো বড়ো নয় ।
তোমায় নিয়ে হাজার বছর হো ও ও ও
বাচতে বড় ইচ্ছে হয় ।
:thumbup: :thumbup: :awesome:
তুই কি কচ্ছপ হতে চাস? নইলে এত বছর বাঁচার শখ কেন? :))
সাথে একটা কিউটি খরগশী থাকলে কচ্ছপ হইয়াও বাচিতে আপত্তি নাই ভাই। একটা ব্যাবস্থা করেন ।
খরগোশীটাকে মনে হয় চিনি 😀 :grr: :duel: @মশিউর
চরম মান্না ভাইয়ের গরম সব প্রেমিকা :grr: :khekz:
ভালোবেসে শুধু কর্তৃটাই হলাম,প্রিয়তমাকে ভেবেছি কর্মের আশ্রয়স্থল,আবেগ সেখানে স্থান নিয়েছে করণের, হৃদয় নিয়েছে অপাদানের ভূমিকা আর এই অসময়টা দখল নিয়েছে অধিকরণের। তাতে নিখাঁদ ভালবাসার জন্ম না হলেও অবহেলায় কারকের জন্ম হয়েছে!
গুরু :boss: :boss:
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
তোর জন্য সাফারী পার্কে জায়গার ব্যবস্থা করছি। 😀
:khekz: :khekz: :just: :pira:
:hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
কীরে কমন পড়ছে? প্রেমিকার কথা বলছি না ,ব্যাকরণের কথা বলছি। 😀
মরার আগে বলে গেছেন খোদা বক্স
মান্না ভাইয়ের সব প্রেমিকা বেজায় রক্স! :thumbup: :thumbup:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
চ্রম চ্রম চ্রম
কমেন্টেটর'কে নিয়ে কমেন্টে লিখা কোবতেটা ব্যাপক হইছে 😀
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
সাবধানে থাকিস,প্রেমিকারা ও কিন্তু আজকাল ব্লগ পড়ে। 😀
:khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz:
আহারে, সেই প্রথম যখন এক টিকিটে দুই ছবি দেখতে গেছিলাম একটা সিনেমা হলে, টিকিটম্যান বলে, পুলাপানের ঢুকা নিষেধ। মন খারাপ কইরা চইলা যাইতে নিছিলাম, পিছন থিকা গেটম্যান ডাক দিয়া কয়, ওই পোলা, শুন। ১০ ট্যাকা কইরা বাড়ায়া দিয়া ঢুইকা যা। :goragori: :goragori: :goragori: :goragori: :goragori: :goragori: :goragori:
সেদিনের সেই মজা আজকাল আর পাই না। বনফুলের "পাঠকের মৃত্যু" গল্পটার মত "দর্শকের মৃত্যু" ঘটিয়াছে মনে হয়।
পুরাই কোপানি হইছে বস।
ছিঃ ... ১০ ট্যাকা বাড়ায়া ...
ছিঃ
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
আহা,সেই যে হাঁসের ছানার নানান রঙের দিনগুলি... 😉
:(( :)) :(( ১ টিকিটে ২ ছবি দেখতাম,প্রেমিকা আসার পর তা ২টিকিটে ১ ছবিতে রুপান্তরিত হয়েছে। (সম্পাদিত)
আহারে ... কত স্মৃতি মনে পড়ে যায়। সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।
চ্রম হইসে। :boss: :boss: :boss:
এখন তো ২ টিকেটে ১ ছবি।
কয়দিন পর ৩ টিকেটে এক ছবি দেখতে হবে। প্রেমিকার সঙ্গে তাঁর মা ও থাকবে। 😉
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
:no: :no: :no:
=)) =))
:khekz:
ভাই,পেরথম এক টিকিটে দুই ছবি দেখতে গেছিলাম কলেজ থেকে বের হওয়ার দিন,২২ জন মিলে রাজশাহীর একটা ছিঃনেমা হলে ঢুকছিলাম,লোকজন ভাবছিল হল ভাংচুর করতে আসছি :))
তখন তাইফুর ভাইরা (কালাকুর্তা) সারা দেশে সরব ,তাই পুরা ছিঃনেমাতে একটাও কাটপিস ছিল না,অরিজিনালটা দেইখা কালাকুর্তাগো শাপান্বিত করতে করতে হল থেকে বেরিয়ে আসছি :((
ইয়ে তাইফুরদা, মাইন্ড খাইয়েন না,পেটের যত্ন নিয়েন :frontroll:
শুধুই কি তাই,ভাই এর উপর রাগ কইরা ফোন আছার মারলো,টাকাটা খসলো আমার পকেট থিকা। :-B কথা বন্ধু হবার কারনে আরজাহা বকর বকর,voip কার্ড কিনতে কিনতে :just: ফতুর।সবশেষে যা পাইলাম,তা হইল ১ চুমুর মুল্য ১ ইউরো। 😉 মনে হয় আর ৩-৪ বছর পরে আপনার মতো আমার এইরকম একটা ধারাবাহিক সিরিয়াল লেখা শুরু করা লাগব :khekz:
আপনার এই সিরিজটা আমি সবসময়ই পড়ি এবং ভাল লাগে। অপেক্ষায় থাকি পরের পর্বের। অসাধারন। :hug:
তাই? 🙂 । আমি আরো ভাবছি এটাকে হিন্দি সিরিয়ালের মত না ঝুলায়ে শেষ করে দিব।
:khekz: :goragori:
তবে প্রেম করলেও প্রেমিকারা আমার কিছু অভ্যাস বদলে দেয়নি।যেমন খাওয়ানোর মত তাদের আরেক আবদার সিনেমা দেখানো।তাই আমাকে আজকাল নিয়ম করেই সিনেমা দেখতে হয়।এই মাল্টিপ্লেক্সগুলো এসে আমার পকেটের আরো বারোটা বাজিয়েছে। শুধু কী সিনেমা দেখা,ভুট্টাভাজা আর পানীয় না হলে আজকাল নাকি সিনেমা ও হজম হয়না। এও নাকি হজমের দাওয়াই! আর তাতে লাভের গুঁড় বলতে আমার সিনেমা দেখার অভ্যেসটা রয়ে গেছে। শুধু ধরণটা বদলেছে,এই আমি আগে যেমন ১ টিকিটে ২ ছবি দেখতাম,প্রেমিকা আসার পর তা ২টিকিটে ১ ছবিতে রুপান্তরিত হয়েছে। কী চমৎকার এই বিবর্তনবাদ! 😀
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
:khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz:
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য