( লেখাটি উৎসর্গ করলাম বাংলা সিনেমার সেই সব নায়িকাদের,যারা এই দেশের খেটে খাওয়া অতিসাধারণ মানুষের স্বপ্নের রাণী হয়ে আজো বিনোদন যুগিয়ে যাচ্ছেন।)
সবসময়ই একটা কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় এই বাংলা সিনেমাওয়ালাদের। কিন্তু মজা হল,প্রশ্নটা না যত কঠিন এর উত্তরটা ততটাই সহজ।নায়িকারা এত মোটা কেন?এই স্থূলকায় স্বাস্থ্যবতী মেয়েদেরই কেন এত চাহিদা?পেশাগত কারণে আমি এই প্রশ্নটা করার সুযোগ পেয়েছিলাম সিনেমাসংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে।একজন পরিচালক আমার এই অতিসাধারণ প্রশ্নে সরাসরি যা বলেছেন-‘দর্শকের চাহিদা হল নায়িকার গায়ে গোস্ত থাকতে হবে!তা না হলে ভালো বাজার পাওয়া যায়না’।একই প্রশ্নে একজন জনপ্রিয় নায়িকার উত্তর ছিল-‘আমি যখন প্রথম আসি বেশ স্লিম ছিলাম,কিন্তু আমাদের দেশের সিনেমার সাধারণ দর্শক চায় নায়িকা একটু মোটা হলে ভালো হয়,তাই আমি ইছেকরেই মোটা হয়েছি,এছাড়া অন্য কিছু নয়’।
এখন আসল প্রশ্ন হল-বাংলা সিনেমার মূল দর্শক মানে নিম্নমধ্যবিত্ত আর নিম্ন আয়ের পেশাজীবী মানুষের কাছে মানে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশেষ এই পছন্দের তাৎপর্যটি কি?মোটাদাগে বলতে গেলে প্রথম কথাটি হল-এই দেশে জীবনের কষাঘাতে লড়াই করে কোনরকম টিকে থাকা এই নারীরা সংসারে,সমাজে প্রতিটিক্ষেত্রেই বরাবরই সুবিধাবঞ্চিত।এইদেশের কয়েক প্রজন্ম নারীর জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে শুধু চুলোর আগুনের পাশে বসে আর গৃহস্থালীর যাবতীয় কাজসম্পন্ন করার মধ্যে দিয়ে,অনাহারে আর অপুষ্টিতে ভোগা এই সংখ্যাগরিষ্ঠ নিপীড়িত অংশটি ভোগের এই সামাজিক ব্যবস্থায় ক্ষমতায় থাকা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষের মনের ও শারীরিক সাধ মেটাতে অপারগতা প্রকাশ করে এসেছে।তাই আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নায়িকাদের মোটা থাকার একটা বিশাল চাহিদা রয়েছে।তার কাছে পুষ্টির একটা বিশেষমূল্য আছে কারণ তার অপুষ্টিতে অরুচি ধরে গেছে।কিন্তু তার আয়ক্ষমতা আর জীবনযাত্রার মান এই পুষ্টির নিশ্চয়তা দিতে পারেনা।আর এই সামাজিক নপুংসকতাই তার অজান্তেই এই চাহিদা তৈরী করে ফেলেছে।
এ প্রসঙ্গে আমি ফরহাদ মজহারের লেখা থেকে কয়েকটি লাইন না বলে পারছিনা-‘ এটা আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষণীয় যে, বাংলাদেশের মতো অনগ্রসর, ও কৃষিপ্রধান দেশগুলোতে সিনেমার নায়িকা মোটা আর স্বাস্থ্যবতী হয়, যা পশ্চিমের সম্পূর্ণ বিপরীত। পশ্চিমের ধনী দেশগুলোতে নায়িকাকে হতে হয় স্লিম, পলকা গা আর অনিবার্যভাবেই চাপা ভাঙা। বিশেষত মাজা হাতের বেড়ের মধ্যে না থাকলে পশ্চিমের কোনো নায়িকা পুরুষ দর্শকের মন কাড়তে সক্ষম হয় না। যৌনতার প্রতীক হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে এটা তাদের এক নম্বর গুণ। কিন্তু আমাদের নায়িকার মেদবাহুল্য যৌনতার ভিন্ন সংজ্ঞা খাড়া করে। আমাদের কৃষক ও নিম্নবিত্ত দর্শক প্রতিনিয়ত অপুষ্টি ও অনাহারে থাকেন বলেই কি সৌন্দর্যের সংজ্ঞা এখানে মোটা ও স্বাস্থ্যবতী হওয়া? আর অতি আহার ও অতি পুষ্টির জন্য পশ্চিমে তার উল্টা?
অপরদিকে হাতের বেড়ের মধ্যে মাজা পেয়ে যাওয়ার মধ্যে নারীকে খেলনার মতো ব্যবহার করার আকাংখা নগ্নভাবে ব্যক্ত। নারী হচ্ছে পুতুল, যাকে উল্টেপাল্টে ব্যবহার করা যায়। এই সৌন্দর্যবোধ নারীর ব্যক্তিসত্তার চূড়ান্ত অস্বীকৃতি। পশ্চিমে নারী সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে এই ব্যক্তিসত্তাহীন জায়গায় নিক্ষিপ্ত হয়েছে। সে নিক্ষেপ এতো গভীর যে, মাজা পুরুষের হাতের বেড়ের মধ্যে রাখা এখন নারীদেরও সাধনার বিষয় হিশেবে পরিগণিত।
কিন্তু বাংলাদেশে পরিস্থিতি এ পর্যায়ে নেই। তার মানে এই নয় যে, আমাদের নারীরা ভালো আছেন। এতটুকুই কেবল বলতে চাচ্ছি যে, যৌনতা ও কামের উপলব্ধির ক্ষেত্রে প্রাচ্যে ও পাশ্চাত্যে কি দেশে দেশে সুস্পষ্ট পার্থক্য আছে। বড়ো কথা, কাম ও যৌনতারও শ্রেণীভেদ আছে এবং একটি দেশের বৈষয়িক বিকাশের সঙ্গে অবদমিত ইন্দ্রিয়াকাক্সক্ষার যোগসাজশ অলঙ্ঘনীয়’।
সহজ করে কেউ যদি ব্যাপারটা দেখেন, চর্বি আর কোলষ্টেরলমুক্ত ডায়েট নিয়ন্ত্রণ করার মত একটা আকর্ষনীয় খাবারমেন্যূ আর শারীরিক কাঠামো নিয়ন্ত্রনে রাখার মত বর্তমানে যে জিম আর ব্যায়ামাগার সুবিধা হাতের কাছে পাওয়া যায়,তাতে স্বাবলম্বী আর উপার্জনক্ষম এই নায়িকারা আমাদের মত রুচিশীল দর্শক দাবী করা মানুষের চাহিদা মেটাতে চাইলে কাল থেকেই নিরলসভাবে ব্যায়াম শুরু করে দিতে পারে,কিন্তু এতে তাদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই।কারণ তারা ভালো করেই জানে তারা কাদের মনে স্বপ্নের রানী হয়ে টিকে আছেন।আর এই সহজ ব্যাপারটি তথাকথিত বিশেষ রুচিশীল মানে ড্রইংরুম কেন্দ্রিক দর্শক অনেকেই বুঝতে চাননা।অথচ সমীকরণটি কিন্তু অতি সহজ,শুধু চাহিদা আর সরবরাহের সমন্বয়।আর পুঁজিতান্ত্রিক সমাজ চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে ও এই ধরণের বাজারব্যবস্থায় বিশ্বাসী।আর তার মাঝে আমাদের মত কিছু মানুষ একে অরুচিকর আখ্যায়িত করে নিজেকে নারীবাদী হিসেবে হাজির করবার ফ্যাশনে যোগ দিয়েছে!
একটু ভালো করে কেউ যদি খেয়াল করেন,কোন ছবিতে নায়ক যদি নায়িকার হাতে কষে চড় খান অথবা তার কাছে অপমানিত হন,যতক্ষন পর্যন্ত নায়কমশাই তা ফিরিয়ে না দিয়েছেন অথবা নায়িকার নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা অথবা প্রণয়ঘটিত ব্যাপারগুণে তা দেখতে না পাচ্ছেন দর্শকের মধ্যে একধরণের উৎকন্ঠা কাজ করে।আর এই শর্তটি মানতে কোন চলচ্চিত্র ব্যর্থ হলে আর যাই হোক তা জনপ্রিয় হয়ে উঠতে যোগ্যতা হারাবে।কারণ পুরুষ দর্শক নায়কের এই অক্ষমতাকে মেনে নিতে নারাজ বলে অসন্তষ্ট হন।আর এর মধ্যে এই দেশের নারী দর্শক ও নিজের নারী হয়ে ওঠা খুঁজতে ব্যর্থ হন বলেই সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশটির কাছে নারীর ক্ষমতায়ন ব্যাপারটি যে আজো অনীহা আর অজ্ঞতার মুখোশে আচ্ছাদিত,তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
হাতের বেড়ের মধ্যে মাজা পেয়ে যাওয়ার মধ্যে নারীকে খেলনার মতো ব্যবহার করার আকাংখা পাশ্চাত্যে লক্ষণীয়।কিন্তু আমাদের এই দেশে একদিকে স্থূলকায় নারীর বিশাল চাহিদা,অন্যদিকে তা হাতের বেড়ের মধ্যে ধরে রাখা-দুটো একসাথে হয়ে উঠে না বলে সংগতকারণেই মাজার বেড় না পাওয়া পুরুষ তার ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে আঘাত করে,আর আঘাতের ধরণের বৈচিত্র্য লক্ষণীয়।তাই এই দেশে নারীনীতি তৈরী করতে এখনও নারীদের মতামত উপেক্ষা করে মোল্লাদের মতামত চাপিয়ে দেয়াটা খুবই সাধারণ অভ্যাসে দাঁড়িয়েছে।
প্রথম হইলাম
😀 😀 😀
১ম।
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
ওরে খাইছে.........
পড়তে ধরলাম কি, শেষে পড়লাম কি? :-/ :-/
বুজলাম না!! :gulli2:
আমিতো ভাবতাম, নায়কেরা চিকন হবে, কোর্ট-টাই-ফুল প্যান্ট পড়বে আর নায়িকারা উল্টা কাম করবে, মাঝে মাঝে নায়কেরা নায়িকাদের তুলে শক্তি জাহির করবে, না হয় ফাস্টফুড খাওয়ার শট দিতে একশবার (জাঙ্ক ফুড) নতুন শট দেয় এইলাইগাই আমাদের নায়িকারা মোটা।
***** উল্লেখ্য শাবানাযুগের নায়িকারা কিন্ত এই ময়ূরী্যুগের নায়িকাদের মতন মোটা ছিলেন না (যতটুকু মনে পড়ছে এইমহুর্তে)
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
হিন্দি ছিঃনেমায় আরেকটা বৈশিষ্ট্য আছে।নায়ক কোট,টাই,ওভারকোট,হ্যাট,বুট সবকিছু পরবে আর নায়িকা হবে পুরা উল্টা...বরফের মধ্যেও সমুদ্রসৈকতের পোশাক...মনে হয় উপমহাদেশের নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার প্রতিফলন দেখানে চরম শীত আর চরম গরম পোশাকের এ্যাভারেজ দেখাতে এই ব্যবস্থা 😕 ~x(
আমার মনে হয় ইন্টারনাল হিটিংয়ের একটা ব্যবস্থা আছে :grr: :grr:
হ, ঠিকই কইছেন, মাগার ইন্টারনাল হিটিং মাঝে মাঝে সাররাউন্ডাল হিটিং হইয়া যায়।
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
=)) =)) =))
ঠিক ঠিক :))
আমাদের এইখানকার ডাইরেক্টর সাব গো কি মতামত জানতে মঞ্চায় 🙂
হুমায়ুন আজাদ স্যারের কোটেশন আছে অনেকটা এরকম-"আমাদের দেশে খাদ্যাভাব তাই নায়িকারা হচ্ছে স্থূলাকৃতি,আর পশ্চিমে খাদ্যের প্রাচূর্য তাই নায়িকারা হচ্ছে ক্ষীণকায়"(কিছুটা রিফ্রেজ করলাম কারণ মূল কথাগুলো পুরোপুরি মনে নেই)
অফ টপিক-ইয়ে,এ্যাঞ্জেলিনা জোলি আপা,সালমা হায়েক আন্টি ইনাদের ক্ষেত্রে এই ক্ষীণ কটির ব্যাপারটা কি প্রয়োগ হবে?মনে তো হয়না... :no:
সালমা হায়েক আন্টি ???? 😮 😮 😮
সালমা খালা যে কয় নাই শোকর গুজার যান 😛
এরাও আপ্নের আত্মীয় হয়??? 😮 😮 😮
:shy: মানুষ মানুষ সব ভাইবোন :shy:
:-B 😮 😮 :just: ফ্রেন্ডরাও কি তাইলে আপনের বইন হয়??? 😡
মনে হইতেছে তাই! :khekz:
মশি ভাই খালি কপি-পেষ্ট মারোস কেলা??? 😐 😐 😐
আর তোর পোস্ট কই???
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
কি নিয়া পোস্ট দিমু ? আমার কি আর তোর মতো ডজন ডজন নায়িকা আছে ? তোর জীবনী কি শেষ নাকি ?? ফাকি মারোস কেন ?? @কিবরিয়া
কইস কি??? 😮 😮
আরে একটা থাকলেও তো কাম ছিল:dreamy: :dreamy:
কিন্ত :no: :no:
আর আমার জীবনী কই পাইলি?? অইটা একটা গল্প। :just: গল্প।
জীবিত অথবা মৃত কারো সাথে মিলে গেলে লেখক দায়ী না।
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
ঠাকুর্ঘরে কে রে?
ভাই,আপনার লেখা যথার্থ,সহমত। :thumbup:
কিন্তু, মেদেরও তো একটা লিমিট আছে।পোশাক-আশাকের রুচির ধার না ধেরে এই শরীরে সংক্ষিপ্ত (মানে না পড়লেই নয়) পোশাক পড়লে দেখতে ঘিঙ্ঘিন লাগে।মানছি,আমাদের দেশের নিম্নবিত্তদের চাহিদার কথা,কিন্তু 'দৈহিক সৌন্দর্য' বলেও তো একটা কথা আছে!যদিও আমার ব্যক্তিগত সৌন্দর্যবোধ সবার সাথে মিলার কথা না,তারপরও একটা মিনিমাম লেভেল আছে,তো!শাড়ি-সালোয়ার এসবেও কিন্তু অনেক মোটানায়িকাকেও ভালো লাগে।
যাইহোক,ব্যক্তিগত মতামত,দেখতে ভালো লাগলেই হল :dreamy:
ঠিক কইছোস রে পিন্টু...
:shy: দেখোস না বিপাশা আপুকে ধুম টু তে কি সুন্দর লাগছে...আর এই পোশাক আমাদের ময়ুরী পরলে... :bash: :bash:
মাস্রুফ ভাই ও জীবন, কিঞ্চিত দ্বিমত পোষন করছি।
বাংলা সিনেমার সিংহভাগ দর্শকই খেটে খাওয়া,সাধারন মানুষ। পরিচালকরাও সিনেমা তাদের জন্যই বানান। আর সিনেমায় তারা তাদের ফ্যান্টাসি জগত দেখতেই বেশি পছন্দ করে(আমরা সবাই তাই করি)। তারা পছন্দ করে স্থূলকায়,সংক্ষিপ্ত পোষাকের নারীদের,সেটাই পরিচালক তাদের দেখান।যদি আমরা মেজরিটি দর্শক হতাম,তাহলে আমাদের রুচির কথা চিন্তা করেই নিশ্চয় সিনেমা বানানো হত।
আজহার তোর কথাটা ঠিক রে।মেজরিটি দর্শক ওরকম না চাইলে নিশ্চয়ই নায়িকাদের এই অবস্থা হতনা।কিন্তু দেখ,আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে কিন্তু গরীব মানুষ আমাদের চেয়েও বেশি-ওদের সিনেমাগুলো মধ্যবিত্ত/উচ্চবিত্ত মানুষ দেখে-কিন্তু সেই সাথে এই দুই শ্রেণির চেয়ে অনেক বেশি গরীব মানুষও কিন্তু দেখে।তারপরেও কিন্তু ওখানকার পরিচালকরা আমাদের "সুশীলীয়" দৃষ্টিতে সুন্দর নায়িকা নিজের সিনেমার জন্যে নিতে পারেন।আমার মনে হয় পরিচালকদেরও ভূমিকা আছে দর্শকদের রূচির গঠনে।খেটে খাওয়া গরীব মানুষগুলোই কিন্তু বছর বিশেক আগে রাজ্জাক-শাবানা-ববিতা-আলমগীরদের সুন্দর সুন্দর সিনেমাগুলো কাটপিসের সংযজন ছাড়াই দেখত।সেগুলো যদি বাদও দেই,সুঠামদেহী পলির ফায়ার বা ঋতুপর্ণার রাঙ্গা বউ,সাগরিকা কিন্তু সুপারহিট হয়েছিল।
যাহোক,স্বীকার করে নিচ্ছি বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে আমার চেয়ে তোর কথাটায় যুক্তির ধার বেশি।
বস, আপনি ঠিকই লিখসেন। :boss:
আসলে সিনেমার পরিচালকরা যদি চাইত, তাহলে হয়ত মানুষের রুচির পরিবর্তন আসত। হয়ত আস্তে আস্তে আসত,কিন্তু আসত।
লেখাটার প্রতিটি যুক্তির সাথেই সহমত। :boss:
আমি দেখলাম আজকাল আমাদের বাংলা সিনেমা কিছু কিছু ইংরেজীও ব্যবহার করা শুরু করছে।এতে আমাদের কিছু ইংরেজীও শেখা হচ্ছে।
যেমন-সিনেমার বাংলা নামঃভালবাসা দিবি কিনা বল।আর ইংরেজী টাইটেলঃlove me or kill me =)) =)) (সম্পাদিত)
তো??!!
এইটা দেইখ্যা গড়াগড়ি খাওনের কি আছে??!! 😛 😛
কেউ কি কিল কইরা ফালাইছে?? :-B
যে চিক্কুর পাইরা গরাগরি দিতাছেন??? :gulli2: :gulli2:
আবার শেষ্যে দেখি ব্রাকেটের মধ্যে নিজে অকাম কইরা "সম"রে দোষ দিতাছেন!!! 😮 😮
ছি ছি ছি আরিফ ভাই!! নিজের দোষ নিজেই নেওয়া ভালো, গুরুজনেরা বলে।।
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
তুমিতো মিয়ানা বুইঝাই ............
হালারে বাইন্ধা পিডা তো আমিন x-(
আমিআবারকিকরলাম????!!! 😮 😮
ও ~x( ~x( ~x( ও ও ও
আমি আসলে, আসলে আমি কইবার চাইছি আমিন ভাইয়ের "love me or kill me"র বিশেষ কোন তাৎর্পয আছে নাকি, মানে অই যে আছে না একটা হয় না, মানে থাকে না... অই রকম কিছু নাকি??!!
আর মাস্ফ্যু ভাই তাতেই রাগ করলেন??? :bash: :bash:
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
কিব্রিয়া,তুই আবার ফ্লপানো শুরু করছস?এক্কেরে থাব্রিয়া চিব্রিবার দাঁত ফালায় দিমু x-( x-(
:chup: কিবরিয়া তুই খাড়া,আমি পিডায় তোর ছাল তুইলা ফালাইতাছি :duel:
হুম। তাইলে এখনি সিনেমার পরিবেশ পাল্টাবে এমন পসিবিলিটি নাই, মিনিমাম ২০~৩০ বছর লাগবে কারণ এরমাঝে পোস্টে বলা পরিবেশের অ্যাবরাপ্ট চেঞ্জ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই
=)) =)) =))
পোস্ট পইড়া যেমন মজা পাইছি, কমেন্ট পইড়াও তেমন মজা পাইছি 😀
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
আপনার সিরিজটা ভাল হচ্ছে। পরের পর্ব জলদি চাই।
মেডিকেলে আমার ২টা ক্লাসমেট আছে তার মধ্যে একটা আমার রুমমেট যাদের কিনা মাদ্রাজী মোটাসোটা নায়িকা গুলা খুবই পছন্দের।
আমারো ভাল্লাগে :tuski:
কারিনা কি জিরো ফিগার আমদানি করে পশ্চিমে জনপ্রিয় হতে চেয়েছিল?
আহ,... কত্তোদিন হলে গিয়া ছবি দেখি না , লাস্ট দেখছিলাম, কোপা সামছু, সেকেন্ড ইয়ারে।
কি সুন্দর হাসের বাচ্চা, আর আপনি লিখছেন "কুচ্ছিত হাঁসের ছানা"!!!! ক্যান :-/ :-/
একটা কাম করেন লেখেন " সুন্দর হাসের কুচ্ছিত ছানা" 😛 😛
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
তুই তো দেখি আসল দেশপ্রেমিক।
দেশি চলচ্চিত্র ও একটা পণ্য,
দেখে হও ধন্য।
বাংলা সিনেমা দেখা হয় না, কিন্তু তোমার লেখাগুলোতে বেশ মজা পাচ্ছি। ব্লগে তুমি নতুন মাত্রা এনে দিয়েছো।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
একটু বেশীই বলে ফেলেছেন মনে হচ্ছে... :shy:
দোস্ত, লেখাটা আরো ভালো হইতে পারত. 🙂
পেশাদারিত্বের অভাব আছে আমার...। 😉
দক্ষিণ ভারতের নায়ক-নায়িকারা কিন্তু মোটাতাজা হয়! বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির রেপ্লিকা এক্কেবারে!! ;)) ;)) ;))
মান্না, ভালোই লিখতাছো। কিন্তু ফরহাদ মজহাররে গুরু মানলা মনে হইতাছে?? খারাপ না। আমাদের পরিচালকদের কিছু বিশ্লেষণ যোগ করলে তো দারুণ হইতো! অন্ততঃ তোমার বন্ধু, হবু পরিচালক কি কয়?? ;;;
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ভাইয়া,এত সহজে কাউকে গুরু মানা যায় বলেন? 😛
তিনি আমার বিশেষ পছন্দের মানুষ নন,কিন্তু যে প্রবন্ধটা থেকে কথাগুলো তুলে ধরেছি,সেই লেখাটা আসলেই উন্নতমানের লেখা।আর আমি আবার সবার থেকে ভালোটুকু নেবার ব্যাপারে আগ্রহী শুধু রাজাকার ছাড়া। 🙂
আপনিতো জানেন আমার পেশা বদলে গেছে তাই পরিচালকদের অনেক বিশ্লেষণ যোগ করতে পারছিনা,তবে সামনের লেখাগুলোতে কিছু কিছু থাকবে।
আর পরিচালক বন্ধুর ঠ্যালা খেয়েইতো আমার ব্লগিং শুরু। 🙂
ফরহাদ মজহার দেখে আর এই পোস্টে বিশেষ কিছু বলার আগ্রহ পাচ্ছি না। লোকটারে আমি এত অপছন্দ করি যে তাঁর কাছ থেকে ভালো কিছু নেয়ার মত আছে বলে মনে হয় না। আর থাকলেও নিতে চাই না।
আমার সীমাবদ্ধতা। 🙁
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
@মান্না,
এই পর্বটা আগেরটার মতো হয়নি। আরো বিশ্লেষণের স্কোপ ছিলো।
বিডি নিউজের একই সেকশনে ফুকো'র অনুসরণে বাংলা সিনেমায় অশ্লীলতার একটা বিশ্লেষণ আছে; বাংলা সিনেমা-বিষয়ক আমার পড়া এযাবৎকালের সেরা লেখা।
@কামরুল,
ফরহাদ মজহারের প্রতি তোমার এই বিরাগের কারণ সম্ভব হলে জানিও। যদি মজহারের মাঝে ভয়ানক কিছু থাকে, তাইলে আগে থেকেই সতর্ক হই। কারণ, 'মোকাবিলা' আর 'ভাবান্দোলন' পড়ে তার চিন্তাধারা আমার খুব ভালো লেগেছে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহমুদ ভাই
'মোকাবিলা' আমারও পড়া আছে।
ধর্ম আর মার্ক্স-এঙ্গেলস নিয়ে তাঁর চিন্তা ভাবনা আপনার মতো না হলেও আমি কিছুটা অন্তত বুঝেছি।
কিন্তু এই লোকটাই আবার বিন লাদেনকে স্টালিনের সঙ্গে তুলনা করেছেন আর বাংলা ভাইয়ের কর্মকান্ডকে প্রলেতারিয়েত বিপ্লব বলেছেন।
আসলে তাঁর ঘনঘন বিবর্তন হয়। অন্তত গত দশ বছরে আমি তার এবং তাঁর সাগরেদদের ব্যক্তি জীবন ও সাংগঠনিক তৎপরতা দেখে তা-ই বুঝেছি।
আমি আপনার সঙ্গে উনাকে নিয়ে তর্কে যাব না, বা তার সম্পর্কে সতর্ক হতে বলবো না। তারচেয়ে আপনার ভালোলাগাটা আপনার কাছে থাকুক, আমি আমার খারাপ লাগাটা নিয়ে খুশি থাকি। 😀
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
লাদেন=স্ট্যালিন আর বাংলা ভাই=প্রলেতারিয়েত বিপ্লবী? 😮 😮 😮 😮 😮 কন কি?!!!
লেখাটা আমার ও ভালো লেগেছে তাই পরে এটা থেকে ও কিছু কথা আসবে। 🙂
দক্ষিন ভারতের বর্তমান নায়িকারা আর মোটা হয়না।দেখতে দারুন লাগে আমার
:shy: অসিন,জেনেলিয়া ডি সুজা, শ্রিয়া শরণ 😡 😡 😡
ওদের দুই ধারাই আছে।
যার যা পছন্দ বেছে নাও।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
@ কামরুল,
- 😮 😮 এইটা কি কইলা !?
বাদ দেও, এটা এই পোষ্টে অফটপিক।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ভাইয়া,এই ব্লগে অফটপিক বলে কিছু নেই। 🙂
অন্য ব্লগগুলা থেকে তাই একে আলাদা করা যায়।সিরিয়াস গুরুগম্ভীর আবার হাল্কা মেজাজে মশকরা এই ব্লগের স্বকীয়তা বলতে পারেন। তাই মন্তব্যের বিচারে এটি অনন্য।
আর আমি সেটাই উপভোগ করি। 🙂
হালকা চালে হলেও ফাটাফাটি সিরিজ হচ্ছে। :hatsoff: :boss:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ভাই,লেখা তো বাদ দিছেন সেই কবে,ইদানিং কপি-পেষ্ট করা ও দেখি ছেড়ে দিছেন। 😛
আমার মনে হয় এইটা ফালতু কথা। মানে নায়িকাদের মোটা হওয়ার পেছনের যুক্তি।
আজাদ স্যারের অইটা সম্ভবত প্রবচন গুচ্ছ থেকে।
আমরা তো হলে যাইনা। তো কি আর করা।
যারা যায় তারা কাটপিছ দেখতে চায়। কিংবা সুড়সুড়ি (থাব্রা থাব্রি) দেখতা চায়।
আর অশ্লীলতা ভালো খেলে মোটা দেহে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ