কতোদূর এগোলো মানুষ

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নামের এক শব্দবন্ধের সঙ্গে আমাদের তারুণ্যের বেড়ে ওঠার অনেক স্মৃতি জড়িত। মনে পড়ে, তখন হঠাত করেই পত্র-পত্রিকা, মিডিয়া, বিজ্ঞাপন কিংবা জনমুখে ‘ডিজিটাল’ শব্দের ব্যবহার বেড়ে গেলো। সে সময়ে মানুষের মস্তিষ্কে তা এমন অভিঘাত তুলেছিলো যে শহর কিংবা মফস্বলে বিভিন্ন দোকানপাটের নামের সঙ্গে দেদার্চে ডিজিটাল শব্দটি যুক্ত হওয়া শুরু করলো। ‘মায়ের দোয়া ফুচকা’ হয়ে গেলো ‘ডিজিটাল ফুচকা শপ’, ‘আল্লাহর দান বিরিয়ানি’ হয়ে গেলো ‘ডিজিটাল বিরিয়ানি হাউজ’ এমন অজস্র উদাহরণ রয়েছে।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট রম্যের দ্বিতীয় সংস্করণ ও ই-বুক প্রকাশ

‘ক্যাডেট রম্য’ নামে আমার একটা বই আছে। ২০১৬ সালের বইমেলায় বইপত্র প্রকাশন থেকে বইটি প্রকাশ পেয়েছিলো। মাত্র আটদিন বইটি মার্কেটে ছিলো। চাহিদা থাকা সত্ত্বেও মেলার পর বিভিন্ন কারণে বইটার হার্ড কপি আর প্রকাশ করা হয় নি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষ বইটির খোঁজ করেছেন। ‘ক্যাডেট রম্য’ নামে প্রথম আলোর অধুনালুপ্ত ফান সাপ্লিমেন্ট রস+আলো এবং দৈনিক ইত্তেফাকের ফান সাপ্লিমেন্ট ঠাট্টায় ২০১১-২০১৪ সময়কালে লিখেছি। ফলে, ‘ক্যাডেট রম্য’-এর এক ধরণের পাঠক শ্রেণী গড়ে উঠেছিলো।

বিস্তারিত»

রোজায় খাদ্যাভ্যাস কেমন হওয়া উচিত?

কলেজে রমজান পালনের সুযোগ হয় নি। তবে প্রতি বছর আমরা মহাসমারোহে পালন করতাম শবে বরাতের রোজা। ভোররাতে পাঞ্জাবি গায়ে চাপিয়ে ডাইনিং হলে সবাই মিলে সেহরি খাওয়ার স্মৃতি এখনো টাটকা। মেন্যু — ভাত, ডাল, সবজি ও মুরগী বা মাছ। আর আসর থেকে শুরু হতো ইফতারের জন্যে অপেক্ষা। মেন্যু—একাধিক ফল, চপ, বেগুনি, পেয়াজু, হালিম, মুড়ি, জিলাপি ইত্যাদি। এদেশের অধিকাংশ সামর্থ্যবান পরিবারে সেহরি-ইফতারের মেন্যু অনেকটা এরকমই। অথচ রোজাদারের জন্যে এরকম মেন্যু অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর।

বিস্তারিত»

মরণ তুঁহু মম শ্যাম সমান

কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের ছোটগল্প পড়ে বরাবরই মুগ্ধ হই। বিচিত্র সব বিষয়ের প্রতি পাঠককে তিনি আগ্রহী করে তোলেন, ভাবতে উদ্বুদ্ধ করেন। মাসখানেক আগে পড়লাম তার লেখা মৃত্যু সম্পর্কে আমার অবস্থান খুব পরিষ্কার। আইসিইউ-এর নির্জন শীতল ঘরে শুয়ে আছেন একজন মৃত্যুপথযাত্রী বৃদ্ধ। তাকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতির অভিনব সংযোজন লাইফ সাপোর্টের সাহায্যে। তার করুণ অসহায়ত্ব ও ভয়াবহ নিঃসঙ্গতার বিবরণ উঠে আসে তার পুত্রের বয়ানে।

বিস্তারিত»

ইতিহাসের গোলকধাঁধা ও বিভ্রান্ত প্রজন্ম

মুঘল সম্রাটদের মধ্যে যাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক হয় তিনি ষষ্ঠ সম্রাট আওরঙ্গজেব। ভারত ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক ময়দানে ‘আওরঙ্গজেব’ এখনো প্রাসঙ্গিক ইস্যু। ভিন্নধর্মের প্রতি আওরঙ্গজেবের তীব্র বিদ্বেষ ও যুদ্ধ-উন্মত্ততা সবিস্তারে রসিয়ে রসিয়ে বর্ণনা করেছেন এমন ঐতিহাসিকের সংখ্যা নেহায়েৎ কম নয়।

এমনকি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু তাঁর বিখ্যাত দি ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া বইয়ে মন্তব্য করেছিলেন, Aurungzeb .. a bigot and an austere puritan,

বিস্তারিত»

সুনিতা কিংবা বিদ্যাঃ দখিন থেকে পুব

আমার গল্পের চরিত্র কিন্তু একই দেশের। তবে সুনিতার মত মাতাল দক্ষিণা হাওয়ার সাথে তার চলাফেরা কখনোই ছিল না। ছিল উত্তর-পূর্বের নদী বরাক, ইম্ফালের সাথে তার গভীর সংযোগ। বাড়ির পাশের লোকটাক লেকের শান্ত নীল জলের মত তার গতি। উচ্ছ্বাস নেই, মাদকতা আছে। সাদা মেঘের মত পেলব, ছুঁতে ইচ্ছে করে। সুনিতার মত অবশ্য তার চোখ গভীর কালো নয়, বরং কিছুটা ঘোলাটে বলা যেতে পারে। তবে সে চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে এক মুহূর্ত ক্লান্তি আসেনি আমার।

বিস্তারিত»

বিনয়ীরাই বিজয়ী

“You must be humble, as it is one of the greatest [forms of] worship.”
-হযরত আলী (রা)

জার্মানির বন শহরে সুরসম্রাট বিটোভেন-এর বাড়ি। তার মৃত্যুর পর সেই বাড়িটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়। জাদুঘরের একটি ঘরে রাখা আছে সেই মহামূল্যবান পিয়ানো যা দিয়ে বিটোভেন সৃষ্টি করেছিলেন অমর সব রাগ।

একবার সেই জাদুঘর পরিদর্শনে এলো লিবারেল আর্টসের জন্যে বিখ্যাত মার্কিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাসার কলেজের একদল শিক্ষার্থী।

বিস্তারিত»

কেন প্রয়োজন ভিন্নপাঠ?

দারিদ্র্য নিরসনসংক্রান্ত যে-কোনো বৈশ্বিক সম্মেলনে আফ্রিকার প্রসঙ্গ উঠতে বাধ্য। কিন্তু আফ্রিকা কি সত্যিই দরিদ্র ও যুদ্ধ-কবলিত নাকি তাকে দরিদ্র করে রাখা হয়েছে? গুণীজন কহিবেন, উহারা দরিদ্র না হইলে ধনী দেশগুলো অকাতরে হাজার হাজার কোটি ডলার সাহায্য বা সহজ শর্তে ঋণ দিতেছে কেন?

নরওয়েজিয়ান স্কুল অব ইকোনমিকস পরিচালিত সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ধনী দেশ কর্তৃক দরিদ্র দেশকে সাহায্য প্রদানের প্রচলিত এ ধারণার মধ্যে রয়েছে শুভঙ্করের মস্ত ফাঁকি।

বিস্তারিত»

আম বৃত্তান্ত

তখন আমি ক্লাস ইলেভেন এ। একাডেমিক ব্লকে ক্লাস টেন বি ফর্মের কোনায় শেডের পাশে একটা ছোট আম গাছ ছিল। গাছে লিচুর চেয়ে সাইজে সামান্য বড় আম গুলো অনেকদিন ধরে চোখে চোখে রাখি, কবে পাকবে। তো আমগুলো কেবল মাত্র পাকা শুরু হয়েছে। এক বৃহস্পতিবার মিল্কব্রেকের পর কোনো এক স্টেজ কম্পিটিশনের সময় অডিটোরিয়াম থেকে পালিয়ে গিয়ে শেডে উঠলাম, সাথে বন্ধু শাহাদুজ্জামান। দুজন মিলে গাছ ছাফা করে দিলাম।

বিস্তারিত»

যা পড়ছি এখন ।। ভাঙো দুর্দশার চক্র

কদিন ধরে পড়ছি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের নতুন বই ভাঙো দুর্দশার চক্র । কয়েক পৃষ্ঠা পড়ার পরই মনে হলো হতাশাগ্রস্ত লক্ষ্যহীন কিশোর-তরুণ কিংবা কেবল অর্থ উপার্জনের পেছনে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটতে থাকা বন্ধুটির হাতে এই বইটি পৌঁছে দেয়া অত্যন্ত জরুরি।

চারপাশে বাড়ছে আত্মকেন্দ্রিকতার খোলসে বন্দী মানুষের সংখ্যা। এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ, আত্মহত্যা, পরমত অসিহষ্ণুতা। মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে,

বিস্তারিত»

অজেয়

(উইলিয়াম আর্নেস্ট হেনলি রচিত এই কবিতাটা অনুবাদের আগ্রহ জাগে Invictus সিনেমাটি দেখার পর। মূল কবিতার স্বাদ অনুবাদে রইল কতটুকু তা নিয়ে যদিও সন্দিহান। )

কুমেরু থেকে সুমেরু নামছে রাত অবিরাম
সব ছেয়ে যায় নরকের আঁধারে
তারই গহ্বর হতে জপি ঈশ্বরের নাম
যিনি হয়তো দিয়েছেন অজেয় সত্তা আমারে।

দুঃসময়ের ছোবলে আহত হয়েছি বারবার
কিন্তু শিউরে উঠি নি আমি,

বিস্তারিত»

আমরা সবাই রাজা

লিজার্ড লগ পার্কে পৌঁছুতে মনে হলো কোন অলিম্পিক ভিলেজে এসেছি বুঝি। উনিশশো ছিয়ানব্বইতে আটলান্টা অলিম্পিকে বিভিন্ন ইভেন্ট দেখার পাশাপাশি ঘুরে ঘুরে শহরের সাজসজ্জা দেখেছিলাম। ইসিএফ অস্ট্রেলিয়া আয়োজিত ক্যাডেটস ডে আউটের বর্ণাঢ্য আয়োজন দেখে অলিম্পিকের পুরনো স্মৃতি ফিরে এলো মনে। পার্কে আমরা পৌঁছুতেই চারপাশের উৎসবমুখরতা চোখে পরে! এখানে শীতের শেষে গাছে গাছে নবীন পাতা আর রংবাহারী ফুলের মেলায় আলো ছড়াচ্ছে প্রিয় সব মুখ। ব্যানার, ফেস্টুন, বেলুন আর কলেজের পতাকায় বর্ণময় বসন্ত সকাল!

বিস্তারিত»

অশান্ত শহরটি যেভাবে বশ মেনেছিল

( বিখ্যাত ব্রাজিলিয়ান লেখক পাওলো কোয়েলহোর How the city was pacified গল্পের মর্মানুবাদ এটি।)

অনেককাল আগের কথা। পিরিনীজ পর্বতমালার পাদদেশে ছিল এক শহর। কিংবদন্তি অনুসারে, শহরটা নাকি গুণ্ডা-বদমাশদের জন্যে ছিল রীতিমতো অভয়ারণ্য। আর দুষ্টের শিরোমণি ছিল আহাব নামের এক আরব। এহেন দুষ্কৃতিকারীর জীবন পুরোপুরি বদলে গেল স্থানীয় পাদ্রীর কাছে ধর্মবাণী শোনার পর। তার বোধোদয় হলো যে, শহরের পরিস্থিতি বিশৃঙ্খলভাবে চলতে দেওয়া উচিত হচ্ছে না।

বিস্তারিত»

বিস্মৃত নক্ষত্রের আলোয়

কবিগুরু যে বছর জন্মগ্রহণ করেন সে বছরই খুলনার রাড়ুলি গ্রামের জমিদার বংশে জন্ম হয় আরেক মনীষীর। তিনি আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়। ‘প্রাণে প্রাণে মুখরিত হন রবীন্দ্রনাথ। তিনি থেকে যান কেমন যেন অজ্ঞাত অন্ধকারে।’ (১) অথচ, আচার্য পি সি রায় ভারতবর্ষে রসায়নের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার প্রথম সার্থক চরিত্র। ইন্ডিয়ান স্কুল অব কেমিস্ট্রি ও ইন্ডিয়ান কেমিক্যাল সোসাইটি গঠনের উদ্যোগ নিয়ে এই উপমহাদেশে আধুনিক রসায়নচর্চাকে তিনি শক্ত বুনিয়াদের ওপর প্রতিষ্ঠিত করেন।

বিস্তারিত»