সুনিতা প্রথম যেদিন ক্লাসে এসেছিল সেদিন অন্য সবার মত আমিও তাকে স্প্যানিশ ভেবে ভুল করেছিলাম। সুনিতা স্প্যানিশ না হোক, নিদেনপক্ষে কলম্বিয়ান তো হতে পারতো। এমনটা হয়নি। সুনিতা একজন নাক উঁচু দক্ষিণ ভারতীয় ছিল। ওর আবার ছিল বাড়তি সুবিধা। সুনিতার চোখ টানা টানা না হলেও সে চোখের গভীরতার জন্য তাকে অনায়াসে দশে সাড়ে আট দিয়ে দেওয়া যায়। নীল চোখের মেয়েদের প্রেমে পড়ে যাওয়াটা যাদের অভ্যাস ছিল, তারা অন্তত সুনিতার কালো চোখের দিকে তাকিয়ে অভ্যাস পরিবর্তনের একটা চেষ্টা করে ফেলতে পারতো। সুনিতা রজনীকান্ত সাহেবের এলাকার লোক হলেও আমরা কখনো তাকে রজনীকান্তের মত কালো সানগ্লাস পড়তে দেখিনি। সে প্রতিদিন খোলা চোখে ভারত মহাসাগরের গভীরতা নিয়ে ক্লাসে আসতো। তাই ঘুম ঘুম ক্লাসগুলোতে সুনিতার চোখে হারিয়ে যাওয়াটা অন্তত আমার কাছে দোষনীয় কিছু মনে হয়নি।
ক্লাসে আমি ছাড়া সুনিতার কাছের কেউ ছিল না। কেরালা থেকে ঢাকা তো খুব একটা বেশি দূরের পথ না, তাই না?? কিন্তু সুনিতার ভূগোল জ্ঞান খুব খারাপ ছিল। তাই ব্রেকের সময়গুলোতে সুনিতাকে তার মতই খাড়া নাকের ডাচ কিংবা বেলজিয়ান ছেলেগুলোর সাথে কফি হাতে বেশি দেখা যেতো। নির্ভাব সহজ সরল এই বাংলাদেশীকে সুনিতার চোখে পড়েনি।
সুনিতার সাথে আমার প্রথম কথা হয় ‘ইনফ্লুইয়েন্সিং অডিয়েন্সেস’ নামের নিদারুণ ঘুমবান্ধব একটি ক্লাসে। বরাবরের মত বিরক্তিকর একটি গ্রুপ প্রজেক্টের কাজে মিস্টার ফার্ন্সেন সুনিতাকে আমার গ্রুপে দিয়ে দিলেন। মিস্টার ফার্ন্সেন হয়তো ভেবেছিলেন, এতে সুনিতার সবিধা হবে। উপমহাদেশীয় লোকজন কী ধরনের খবর শুনতে পছন্দ করেন, এই বিষয়ে আমরা দুইজন মিলে হয়তো বিস্তর গবেষণা করে চমৎকার একটা প্রজেক্ট দাঁড় করিয়ে ফেলতে পারবো। আর হাজার হলেও ঢাকা থেকে দিল্লী তো খুব একটা দূরের পথ না, তাই না??
সুনিতা আমাকে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছিল, পাকিস্তানী মনে করে। হায়! হায়! মেয়ে বলে কি? ইতিপূর্বে ছোট ছোট চোখ হওয়ার জন্য ইন্দোনেশিয়ান কেউ কেউ বলেছে। সে অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর না হলেও গ্রহণযোগ্য ছিল। কিন্তু একী হায়?? পাকিস্তানী কেন!! পরিচয় পর্বের প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠানোর পর একটা বিশেষ ব্যাপারে আমার লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছিল। সেটা হচ্ছে-সুনিতাকে বাংলাদেশ চেনাতে হবে।
সুনিতার সাথে আমার কিছু ব্যাপারে মিল ছিল। আমার মত সুনিতাও হিন্দী বুঝতে পারে কিন্তু বলতে পারে না। আমি অবশ্য হিন্দী যে বুঝতে পারি, এই ব্যাপারটাও চেপে গিয়েছিলাম। আমাদের কথা হতো অন্য সবার মত ইংরেজিতে। ক্লাসে একদিন এই ব্যাপারটা নিয়ে এক জার্মান ছেলে একটু কৌতূহলী হয়ে ওঠে। জার্মান ওই ছেলের ধারণা ছিল সুনিতা আর আমার ভাষা বোধহয় একই হবে। সে বলেই ফেলে, ‘কী ব্যাপার তোমরা তোমাদের নিজেদের ভাষায় কেন কথা বলছো না? তোমাদের বলিউডের ভাষাটা তো ‘প্রীটি কুল’।
সুনিতা কিছু বলার আগেই আমি বলে ফেললাম, “ক্লাসটা পড়াশুনার জায়গা। নাচ-গানের না। নাচ-গানের সময় হলে হিন্দী আসবে।”
কথাটা বলে ফেলেই বুঝলাম বোকামি হয়েছে। আমি আমার নিজের ভাষা যে বাংলা শুধু এইটুকু বলাটাই যুক্তিযুক্ত ছিল। অযথা অন্য একজনের ভাষাকে কটাক্ষ করে কথা বলা টা ঠিক হয়নি। আমি আর কথা না বাড়িয়ে কাজে ফিরে গেলাম। সুনিতাও কিছু বললো না। পরে ক্লাস ব্রেকের সময় সুনিতা আমাকে জিজ্ঞেস করে, তুমি আসলেই হিন্দী জানো না??
আমি উত্তর দিলাম, আসলেই জানিনা।
-আমার তো মনে হয় তুমি ভুল বলছো। তোমার দেশের অধিকাংশ মানুষই হিন্দী জানে। এবং পুরোপুরি হিন্দীভাষী এমনদের সংখ্যাও খুব একটা কম না।
-তোমার এমন ধারণা হওয়ার কারণ কী?
– তুমি হয়তো জানো না, আমি এখানে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে এসেছি। সুইডেনের যে এলাকায় আমার ইউনিভার্সিটি সেখানকার উপমহাদেশীয়’রা খুব ভাল হিন্দী বলতে পারে। সেখানে অনেক হিন্দীভাষী বাংলাদেশীকে দেখেছি আমি।
আমি সুনিতার এই কথার উত্তর দেওয়ার মত তাৎক্ষণিক কিছু পেলাম না। কথাটা সত্যি। প্রবাসী বাংলাদেশী যারা আছেন, তারা সময় অসময়ে বিভিন্ন প্রয়োজনে হিন্দী বলে থাকেন। বিশেষ করে যাদের ব্যবসা আছে তারা। এদিকের অধিকাংশ বাঙ্গালী রেস্তোরাঁর নাম খানিকটা ভারতীয় গোছের। নামগুলো হয় তাজমহল, নাহয় ইন্ডিয়া প্যালেস! দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের উপমহাদেশীয়দের সাথে উঠা বসা, সেই ক্ষেত্রে হিন্দী হচ্ছে ব্যবসার ভাষা। এই সত্যটা আমিও জানি। আমার সামনে কোন বাংলাদেশী চমৎকার হিন্দীতে যখন অন্যান্য উপমহাদেশীয়দের সাথে কথা বলল, তখন অন্য সবার মত আমারও হয়তো মেজাজ চড়ে যায়। কিন্তু এই মানুষগুলোই ক্ষেপে গেলে যখন বাংলায় গালি দেয় কিংবা আবেগতাড়িত হলে সে শুদ্ধ আবেগের ভাষাটা যখন বাংলা হয়, তখন আবার মনটা ভরে যায়।
আমার কেন যে মনে হলো, সুনিতাকে একটা গল্প শোনাতে হবে। আমি একটা গল্প শুরু করলাম।
একবার বাঘ আর ছাগলের মধ্যে সন্ধি হলো। বাঘদের শরীর খারাপ করেছিল। বাঘ হয়ে তো আর বাঘের দুধ খাওয়া যায় না। তাই বাঘ ঠিক করলো তারা এখন থেকে তিনবেলা নিয়ম করে ছাগলের দুধ খাবে। বাঘদের সরকার দলীয় প্রধান নেতা এবং বিরোধী দলীয় বাঘ নেতা একমত হলেন যে, যেকোন মূল্যে ছাগল রক্ষা করতে হবে। এখন থেকে নির্বিচারে ছাগল খাওয়া ব্যান।
এতে ছাগলরাও খুব খুশি হলো। যাক, এখন থেকে মনের আনন্দে এখানে সেখানে ঘাস খাওয়া যাবে। এর বাইরে সময় পেলে উইকেন্ডের দিকে ছাগীকে নিয়ে নদীর ধারে যাওয়া যেতে পারে। নদীর পাড়ের বাতাস স্বাস্থ্যকর, ঘাসগুলিও খেতে চমৎকার।
কিন্তু সমস্যা হলো-আপামর ছাগল সমাজ বাঘ দেখলেই ভয় পায়। বাঘরা যখন তাদের দুধ খাবে সে আশায় ডাক দেয়, তখন তারা উল্টা ঘুরে দৌড় দেয়। বাঘের ডাক মানেই হুংকার, ছাগলরা এমনই ভাবতো। ফলে তাদের ভয়ও কমলো না, বাঘদেরও আর ছাগলের দুধ খাওয়া হলো না।
এই দূরাবস্থা থেকে বের হয়ে আসার জন্য ঈশ্বর বাঘদের স্বপ্ন দেখালেন। সকল বাঘ একসাথে স্বপ্নাদৃস্ট হয়ে সিদ্ধান্ত নিল যে-যে করেই হোক, তাদের ছাগলদের ভাষা শিখতেই হবে। এতে আরেকটা সুবিধা ছিল, সেটা হলো-ভেড়াদের এবং ছাগলদের ভাষা প্রায় একই। শুধু ভেড়াদের বর্ণমালাটা একটু আলাদা ছিল, এই যা পার্থক্য। তাই ছাগভাষা শেখার সুফল ছিল বহুমুখী এবং অবশ্যই সুদূরপ্রসারী।
অতঃপর বাঘেরা মনের আনন্দে ছাগভাষা শিখতে লাগলো। বলাবাহুল্য,স্বল্পতম সময়ের মাঝে বাঘেরা তাদের হারানো স্বাস্থ্য ফিরে পেয়েছিল। কারণ ছাগলের দুধ ছিল খুবই পুষ্টিকর এবং পর্যাপ্তভাবে বল বৃদ্ধিকারক।
আমি গল্প শেষ করে সুনিতার তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “বলতো এই গল্প থেকে আমাদের শিক্ষা কী?”
সুনিতা উত্তর দেয়, “কোন শিক্ষা নাই। বাড়াবাড়ি রকমের অবাস্তব গল্প।”
আমি বললাম, “সন্দেহাতীতভাবে এটা একটা অবাস্তব গল্প, এতে আমারও দ্বিমত নাই। কিন্তু এই গল্পের একটা শিক্ষা আছে। শিক্ষাটা হলো- বাঘদেরও ছাগলের দুধ দরকার হতে পারে। সে জন্য তারা ছাগলের ভাষায় ছাগলদের সাথে কথাও বলতে পারে। কিন্তু বাঘ যখন হুংকার দেয়, তখন সেটা সে তার নিজের ভাষাতেই দেয়। ছাগলের ভাষায় হুংকার সম্ভব না।”
সুনিতা বলে,”এই গল্পের সাথে আমাদের সাথে আমাদের আলোচনার বিষয় কিভাবে সম্পর্কিত?”
আমি উত্তর বললাম, “ওই যে তুমি হিন্দীভাষী বাংলাদেশীদের কথা বললে, সে জন্য বলা। তোমার হয়তো ধারনা-যেসব বাংলাদেশী হিন্দীতে কথা বলছে, তারা বহুকাল ধরে আবহমান এই উপমহাদেশীয় বলয়ে থাকায় এখন তাদের ভাষা হয়ে গিয়েছে হিন্দী। ব্যাপারটা এমন না। এই ক্ষেত্রে হিন্দী বলাটা নিছক ব্যবসা প্রসারের একটা কৌশল ছাড়া আর কিছু না। অনেকটাই বাঘদের ছাগলের ভাষায় কথা বলার মত। বাঘদের দুধ দরকার আর ধূর্ত বাংলাদেশীদের টাকা।”
আমার অবাস্তব গল্প সুনিতা কতটা বিশ্বাস করেছিল, সেটা আমার জানা জানা হয়নি। তবে সুনিতাকে আমি পরে, যেচে পড়ে কিছু তথ্য দিয়েছিলাম। ওকে জানিয়েছিলাম যে ভাষাটায় আমি কথা বলি, সেটা ভাষাভাষী জনসংখ্যার হিসাবে পৃথিবীতে চতুর্থ। পৃথিবীর অভিজাত অনেক ভাষার নিজস্ব কোন বর্ণমালা নেই। আমাদের নিজেদের একটা বর্ণমালা আছে। এবং গঠনতন্ত্রের দিক থেকে আমার ভাষাটাকে ধরা হয়, পৃথিবীর অন্যতম সুগঠিত একটি ভাষা হিসেবে।
আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, এই ভাষাটা এখন পর্যন্ত পৃথিবীর একমাত্র ভাষা যাকে অন্য একটি দেশ ভালোবেসে তাদের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিয়েছে। তুমি যদি ‘সিয়েরা লিওন’ নামের পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটায় কখনো যাও, তাহলে দেখবে সেখানের রাস্তাগুলোর নাম ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায় লেখা।
অতঃপর...
সুনিতা আমাদের ক্লাসে তিনমাস ছিল। এই তিনমাস তার সাথে আমার বিশেষ কোন কথা হয়নি। সুনিতাকে আমি প্রথম দিকে নাক উঁচু দক্ষিণ ভারতীয় বলেছিলাম। আমার মনে হয় শেষের দিকে আমার সম্পর্কেও সুনিতা ঠিক এমন ধারণাই পোষণ করতো।
আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।
::salute::
::salute::
সিদ্দীক, আমার মাঝে মাঝে গর্ব হয় এই ভেবে যে তোর মতো একটা মানুষের সাথে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় আছে...............
অতিথি (বন্ধু) নাম বলে গেলে ভাল হতো। অনেক ধন্যবাদ।
শাওন, আসলে 'আমাদের শত্রু বাইরের কেও নায়, আমরাই'!
ভিনদেশ বা বিদেশীদের প্রতি আমাদের কিছু মানুষের মাত্রাতিরিক্ত আনুগত্য, বিগলিত আচরণ মাঝে মাঝে মীর জাফরীয় বংশোদ্ভুদ্ধ বলে মনে হয়।
লিখা খুবি ভাল লাগলো। শুভেচ্ছা।
Smile n live, help let others do!
আজিজ ভাই অনেক ধন্যবাদ। "মীর জাফরীয় বংশোদ্ভুদ্ধ" নিয়ে কিছু বলার নাই আজিজ ভাই। এই লেখাটা বাংলাদেশিদের জন্য।
থাম্বস আপ শাওন। অসাধারণ লিখেছো, তোমার লেখা বারবার ফিরে এসে পড়া যায়।
www.tareqnurulhasan.com
তারেক ভাই অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি নিজেও আপনার একটা লেখা শখানেক বার পড়েছি। কোন লেখাটা সেটা বললাম না। কুইজ হিসেবে রেখে দিলাম। B-) B-)
😐 কুইজ ফেইল! কোনটা?
( জন্মদিনের শুভেচ্ছা তোমাকে, আজকেই তো, না?)
www.tareqnurulhasan.com
বলে দিলাম। যাই হোক ফেইল করাটা ব্যাপার না।
( জী ভাইয়া অনেক ধন্যবাদ। আপনি মনে হয় প্রথম উইশ করলেন)
খুব অহঙ্কার করার মত একটা লেখা হইছে! হাততালি নাও!
হাততালি আর অনুপ্রেরণা একসাথে নিলাম আন্দালিব ভাই।
' :boss: আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।'
:hug:শেয়ার দিলাম
শওকত ভাই ধন্যবাদ। 😀 😀
অসাধারণ একটা লেখা শাওন... মনটা ভরে গেল 🙂
আহমেদ ভাই অনেক ধন্যবাদ।
অসাধারণ লেখা ভাইয়া। খুব ভালো লাগলো।
ভাষা নিয়ে কিছু কথা আছে, আমি প্রাইমার্ক নামে একটা আইরিশ কোম্পানীতে কাজ করতাম।
প্রচুর এশিয়ান আর ইয়রোপিয়ান কাজ করতো। বাঙ্গালীদের দেখতাম খুব স্টাইল করে হিন্দী বলে, উর্দূ বলে। এবং তাদের নিষেধ করা হলে তারা বলতো, এটা তাদের একটা প্লাস পয়েন্ট তারা অন্য ভাষাতে কথা বলতে পারে। বলতাম যে কেন ?? স্প্যানিশ কিংবা ফ্রেঞ্চ শিখা ওই ভাশায় কথা বলেন।
তাইলে বুঝমু কামের কাম করছেন।
এখন ইন্ডিয়ান আর বাঙ্গালীর পার্থক্য করা কঠিন হয়ে পড়তেসে, এরা ঠিক কইরা বাংলায় বলতে পারেনা হিন্দী বলে পট পট কইরা।
সেদিন এক আপু বলতেসিলো এখানে তারেক মাসুদের রানোয়ের একটা শো করতে পারে, আমি বললাম লাভ কি কইরা কেউ আসবেনা।
সবাই ধুম আর ডন দেখতে ইন্ডিয়ানদের আগে লাফাইয়া লাফাইয়া হলে যায়।
হিন্দী-উর্দুকে চাইলেও একেবারে আলাদা করা সম্ভব না। আমি নিজেও চাইনিজ শিখতেছি। কয়দিন পর হিন্দী শেখার দরকার হলে শিখবো। কাজের প্রয়োজনে বলতেও পারি।
কিন্তু 'সেলফ রেস্পেক্ট' বলে একটা ব্যাপার যাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র পরিমানে আছে, তারা স্টাইল করে ছাগভাষায় কথা বলতে পারে না। আর যাদের নাই, তাদের নিয়ে কোন আলাপও নাই।
আমাদের সবার হুংকারের ভাষা বাংলা হোক। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সফল হোক।
ভাইয়া আপনি কি মনে করেন, ইংল্যান্ড/নেদারল্যান্ড এ বসে আপনার হিন্দী দরকার হতে পারে ???
আমি কোনো ভাবেই মনে করিনা।
যারা সখ করে হিন্দী বলছে তাদের ব্যাপারে কোন আলাপ নাই, এই ব্যাপারে জিরো টলারেন্স।
কিন্তু যে লোকটার রেস্টুরেন্টের ব্যাবসা এবং প্রচুর ভারতীয় সেখানে যাচ্ছে, তার কথা কিন্তু আলাদা।
বিশ্বায়নের যুগে কোন ভাষাকে হয়তো ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। কিন্তু নিজের পরিচয়টা যাতে, একজন বাংলা ভাষাভাষী হিসেবে দিতে পারা যায়, এই ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে।
এটা ঠিক বলছেন, কিছু ক্ষেত্রে দরকার আছে,
কিন্তু এই ইন্ডিয়ানরা সবসময় আমাদের নেগ্লেক্ট করার ধান্দায় থাকে 🙁
শাওন ভাই কিছু বলার ভাষা নাই, এককথায় অসাধারন :boss:
আপনারে ::salute::
পাঁচ তারা, ভালো লাগা এবং ছড়িয়ে দিলাম :thumbup:
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
ক্যাসপার ধন্যবাদ। অফিস টাইমে ব্লগে কি করিস???
dost tor lekhata khub valo laglo
অনেক দিন পর লিখতে মন চায়।
কেমন অাছিস?
তালুকদার সাহেব আমি ভাল আছি। তোর মিশন কেমন চলে??
মুগ্ধ! খালি একটাই কথা, ভাষার প্রতি আমাদের যে ভালবাসা, তার কিছু অংশ দিয়েও যদি আমাদের শিক্ষকরা ব্যাকরণটা পড়াতেন তাহলে চারিদিকে এত ভুল বানান আর অদ্ভুত উচ্চারণ শুনতে হত না।
সামীউর ভাই অনেক ধন্যবাদ। আরেকবার রিভিশন দিয়ে আসলাম। বানান আর ব্যাকরণের ভুলটা আসলেই বিশাল সমস্যা। নিজেরাও এই সমস্যা থেকে মুক্ত না।
সব দোষ অবশ্য স্যারদের। 😛 😛
ড. অনাথ বন্ধু মল্লিক স্যারের মত একজন বাংলার শিক্ষক পেয়েছিলাম; আমার ভাগ্য। তিনি কলেজে থাকতে ডেকে ডেকে আমার বানান শুদ্ধিকরণ করিয়েছিলেন ছোটকালে।
জনাব আলীমুজ্জামান স্যার কে যিনি বা যাঁরা পেয়েছেন...
ভাই তুমি আসলেই দিনকে দিন আমাকে অভিভূত করে দিচ্ছ।
তোমাকে নিয়েও অহংকার হচ্ছে আমার। প্লিজ সিসিবি ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যেও না। সবসময় যেন তুমি শুধু আমাদেরই থেকো। একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যায় তাও তোমাকে শুধু সিসিবির দেখতে পাওয়াটাও আমাদের সবার অহংকার হবে।
কামরুল ভাআআআআআই !!!
😀
তপু ভাই অনেক অনেক ধন্যবাদ। এই ধরণের অনুপ্রেরণা পেলে হাজার পাতা হিজিবিজি লেখাও লিখে ফেলা যায় ভাইয়া।
আর আমি সিসিবি ছাড়া অন্য কোথাও লিখি না ভাইয়া। মন থেকে সায় পাই না আসলে।
আপনি ভাল থাকবেন তপু ভাই। শুভ কামনা সব সময়।
হুমম। তোমার লেখা বরাবরের মতই... কেমন তা আর বললাম না। সবাই তো বলছেই। আমাদের আবেগটা কাজে লাগাতে হবে...
গুলশান ভাই অনেক ধন্যবাদ।
সুন্দর, দোস্ত।
ধন্যবাদ...দোস্ত।
::salute::
:boss: :boss: :boss:
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
😀
::salute::
😀 😀
:hatsoff: তোমার জন্য রেজা শাওন।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ইহা আমি কাহাকে দেখিলাম!!
লাবলু ভাই অনেক ধন্যবাদ। আপনাকেও :hatsoff:
::salute:: ::salute:: ভাই
::salute::
ধন্যবাদ।
অসাধারন লাগলো তোমার এই লেখাটা। :boss: :boss: :boss:
দুবাইতে কাজ করার সময়ে প্রচুর হিন্দিভাষী বাংলাদেশীদের সাথে কথা হয়েছিলো। যারা ট্যাক্সি চালানো বা শ্রমিক হিসেবে বা ছোটখাট ব্যবসার কাজ করছে, তাদের জন্যে এই হিন্দি বলার ব্যাপারটা মেনে নেয়া যায়। কিন্তু বাকিরা যারা আছে, আমার মনে হচ্ছিলো নিজেকে just kool প্রমান করার জন্যে হিন্দিতে কথা বলছে।
আমার কলিগদের মধ্যেই দেখছি, তামিল যারা আছে, ওদের বোমা দিয়ে ভয় দেখালেও হিন্দিতে কথা বলেনা। হিন্দিভাষী ইন্ডিয়ানদেরও ওরা প্রথমেই বলে দেয় -- "হিন্দি জানি না"। খুবই কষ্ট লাগে যখন দেখি আমার বাংলাদেশী বন্ধুরা ওদের সাথে হিন্দিতে কথা বলছে।
মইনুল ভাই অনেক ধন্যবাদ। আপনার মত বোধটুকু যদি সবার থাকতো।
:clap: :thumbup:
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
😀
ধন্যবাদ ভাইয়া।
সবাই সব কইয়া ফেলছে; আমি আর ছোটমুখে বড় কথা কই কেমনে 😕
একটা ভাষা জানা আমিও আপত্তির দৃষ্টিতে দেখি না। তবে দুঃখজনক হলো যখন দেখি সেকেন্ড কিংবা ওয়ান এণ্ড হাফ জেনারেশন (ছোটবেলায় আসছে এমন) অনেক প্রবাসী বাঙালি পুত্র-কন্যা যখন অনর্গল হিন্দি বলিয়া চলে বলিউডি কারিশমা-কারিনার প্রভাবে; কিন্তু বাংলা বলতে গেলেই লঙ্কাকান্ড হয়ে যায়, দাঁত ভেঙ্গে যায়; তখন মুখ দিয়ে কেবল এটুকুই বেরোয়ঃ
যে জন বঙ্গেতে জন্মে হিংসে বঙ্গবাণী
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় না জানি!
অবশ্য এটাও সেকেন্ড জেনারেশন বাঙ্গালিদের জন্য প্রযোজ্য নয়; কারণ তারা তো বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেনি।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
এটা তোর লেখা??
ওই বেটা,তোর নাইন-টেনে ৪০০ বছর আগের সন্দীপের কবি আবদুল হাকিমের "বঙ্গবানী" পাঠ্য ছিলোনা?? x-( নাকি লকিভুলরে পচাইলি? 😛 নাহ,বুদ্ধিসুদ্ধি সব হাঁটুতে গেছেগা :((
ভাই আপনি কি রকিব প্যানেলের লোক নাকি? ওরে একটু পচাইতে চাইলাম 😛 😛
যাই হোক। কবির নাম মনে থাকলেও উনার দেশের বাড়ি মনে ছিল না। আপনি মনে করায়ে দিলেন। আপনার মাথায় এতো কিছু থাকে কিভাবে ভাই??
"মাথায়" থাকে কিডা কইলো? 🙁 থাকে তো হাঁটুতে... 🙁
দেখো নায়ক সাহেব, তুমি ভেজাল করবা না। মাস্ফ্যুদা আমার প্যানেলের লোক; আমরা এক বনের বৃক্ষ। সাবধান থাকবা, নইলে কইলাম ছায়া দিবো না। B-)
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আচ্ছা,রকিব্বা, এই গল্পের নায়িকা আর আমাদের নায়করে নিয়া "রাগ থেকে অনুরাগ" নামের একটা ছিঃনেমা করঞ্জায়না? আমাদের ডিরেক্টর কামরুল ভাই কুই?
ভাই এই ধরণের গল্পে ক্লাসে ব্যাক বেঞ্চার পোলা পান বেল পায় না। নায়িকা'রা প্রায়শই হ্যানছাম পুলিশ অফিসারদের প্রেমে পড়ে থাকে।
পরে ব্যাক বেঞ্চার হয় ভিলেন।
এমন সত্যিকার পটভূমিতে বই( সিনেমা) হইলে না নাই।
হুমায়ুন আহমেদের একটা লেখায় পড়েছিলামঃ "সবাই বলে হিন্দি নাকি খুব মিষ্টি ভাষা।হিন্দিতে লেডিস টয়লেটের নাম "দেবিয়োঁ কি হাগন কুঠি" বা দেবীদের হাগাঘর।যে ভাষায় লেডিস টয়লেটের এরকম কুৎসিৎ নাম সে ভাষাকে মিষ্টি ভাবার কোন কারণ দেখিনা"।
উপরের লাইনগুলো আক্ষরিক অর্থেই মাথা খারাপ করে দেবার মত।শাওন,তোকে কোটি কোটি ধন্যবাদ একের পর এর অসাধারণ লেখা উপহার দেবার জন্যে।শুভ জন্মদিন ভাই আমার!
ভাই আপনাকে আর কী বলবো। ইংলিশে কই...
U JUST MADE MY DAY.... ::salute:: ::salute::
=)) মাসরুফ, কইত্থেকে যে পাস এসব জিনিস! :pira:
অসাধারণ লিখেছ ভাই...গর্বে বুকটা ভরে গেল!
শরীফ ভাই অনেক ধন্যবাদ।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা . অসাধারণ লিখেছ
রবিন ভাই অনেক ধন্যবাদ।
ভাই ...... আর কিছু বলার নাই :just: ::salute:: ::salute:: ::salute::
থাক। না বলাই ভাল 😛 😛
অনেকদিন পরে সিসিবিতে ঢুঁ মারার সুযোগ পেলাম......... ভাল লাগছে যে এই লেখাটা চোখ এড়িয়ে যায়নি... লিখতে থাক, সেই রকম হয়েছে ...
শামীম মুরাদ
শামীম ভাই অনেক ধন্যবাদ।
সিদ্দিক দোস্ত তুই দেখি দুর্দান্ত লেখক।।।।।। ::salute::
আশফাক CCC (২০০১-২০০৭)
বন্ধু অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অসাধারন লেখা রেজা, গর্ব করার মতন :boss: :boss:
নিতান্ত প্রয়োজনে হিন্দি উর্দূ বলা যেতেই পারে, কিন্তু দুঃখ লাগে তখনই যখন দেখি একেবারেই ছোট বাচ্চারা হিন্দি বলছে, সে কারনে তারা আবার বাহবাও পাচ্ছে... আর স্মার্টনেস দেখানো হিন্দি শুনলে স্রেফ থাপড়াতে ইচ্ছে করে।
শুভ জন্মদিন...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
এইখানে থাপড়ানোটা আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে ভাইয়া।...
যাই হোক, অনেক ধন্যবাদ আহসান ভাই।
চমৎকার আবেগময় একটা লেখা। খুব ভাল লাগলো তোর এই উপলব্ধিগুলার জন্য। তবে একটা কথা, হিন্দী নিয়ে ওভাবে বলে আসলেই ভাল করিসনি। ভেবে দেখ হিন্দীভাষী কাউকে এ কথাটা বললে সে কতটা আঘাত পেত। আঘাত পাওয়াও হয়ত বড় কথা না, কিন্তু পৃথিবীতে সাড়ে তিন হাজারের মত ভাষার মাঝে শুধু শুধু একটা ভাষাকে কেন খাটো করব, যেখানে দোষ ভাষাটার নয়, দোষটা আসলে আমাদের? আমরাই তো হিন্দীকে জানের প্রাণের বানিয়ে ছেড়েছি।
দক্ষিণ ভারতীয় এই মেয়েটা কিন্তু কোনদিন হিন্দী কে নিজের ভাষা হিসেবে নেবে না। এইটুকু বোধ যেদিন আমাদের মাঝে আসবে সেদিন তোর এই আবেগগুলো সার্থক হবে।
ওরে নারে, অনেক গুরুগম্ভীর কমেন্ট করে ফেলেছি, যা নিজে নিজে একটা চড় খেয়ে নে রেজা, এত চমৎকার লেখা লেখার জন্য। c: আবুল হোসেন স্যার।
আপা আমি কিন্তু কখনোই অন্য কোন ভাষাকে ছোট করে কিছু বলিনি। কমেন্টেও একি কথা বলেছি যে, বিশ্বায়নের যুগে আসলে বিশেষ কোন ভাষাবিদ্বেষী হয়ে লাভ নাই। তবে অস্তিত্ব রক্ষার এই যুদ্ধে, আমাদের পরিচয়টা যেন আমরা বাংলায় দিতে পারি।
আর হিন্দীকে নৃত্য-গীতের ভাষা বলা ঠিক হয়নি। আমি শুধু গল্পে 'বাংলা'কে নিয়ে একটা পরিস্কার ধারণা দিতে চেয়েছি। সেটা আসলে পুরোপুরি দেওয়া হয় নাই। ভাবতেছি বাকী কথাগুলা নায়িকাকে মেইল করবো। 😛 😛
অনেক ধন্যবাদ আপু, এমন চমৎকার একটা মন্তব্যের জন্য।
গর্ব করার মত একটা লেখা লিখেছ ভাইয়া। হ্যাটস অফফ।
সেঁজুতি আপু অনেক ধন্যবাদ।
দারুন সুন্দর একটা লেখা পড়লাম!
লেখককে অভিনন্দন!
আপু ধন্যবাদ।
আসাধারন!!! ফাটাফাটি!!! সময়উপযোগী :clap: :clap: :clap:
অনেক দিন বাদে CCB তে লগঅইন করলাম, শুধুমাত্র তোমার লেখাটায় মন্তব্য করার জন্য । আমি সেই দুর্মুখদের একজন যে শুধু লেখা পড়ে ;;; , কিন্ত লিখে না । এমনকি আমার মন্তব্য পর্যন্ত করা হয় না লগইন করতে হবে, সেই কষ্টের কথা চিন্তা করে।
লেখাটা অনেক গোছান, আমার আভিজ্ঞতালব্ধ বিচ্ছিন্ন অনেক ভাবনা গুলা আমি তোমার লেখায় পেলাম।
তোমার "আভিবাদন বাংলাদেশ" লেখাটাও দারুন ছিল, আমার মন ছুয়ে গেছে।
আহমেদ ভাই অনেক ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত হলাম ভাইয়া।
আমার সাথে দুবাই এয়ার পোর্টে এক ভারতীয় কথা বলছিল হিন্দিতে, কিছু সময় পরে সে বুঝল, আমি তার কথা বুঝতেছিনা! সে আমার দিকে বিস্ময় ভরা চোখে তাকিয়ে বলল- তুমি হিন্দি পারো না!
আমি বলেছিলাম- তোমারও তো একটা বড়ো অংশের ভাষা বাংলা, তাইলে তুমি বাংলা জাননা কেন?
অনেক দিন পরে আপনার লেখাটা পরে সেই কথাটা মনে পরল! খুবই ভাল লেখা, ধনবাদ।
কাজের বাইরে হিন্দী বলতে না পারা টা বিশাল গর্বের। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
::salute:: অসাধারণ...অনেক ভাল লাগল।
ইশতিয়াক ভাই ধন্যবাদ।
অসম্ভব সুন্দর একটি লেখা...অনেক ভালো লাগলো ... 🙂
আদনান
১৮/৯৭
ককক
আদনান ভাই অনেক ধন্যবাদ। :thumbup:
একবার ভাবলাম এতজন প্রশংসা করেছে আমি আর নতুন কি বলব। তারপর মনে হল ভাব মেরে হিন্দী বলা দের চর মার যেমন কর্তব্য তেমন এই লেখাটাকে অসাধারণ বলাটাও কর্তব্য। চালিয়ে যাও ভাই...
অনেক ভাল লাগলো শহীদ ভাই। ধন্যবাদ।
টুপি খোলা অভিবাদন :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
যাক তাও ভাল। পেন্ডিং কমেন্ট খাওয়ার চেয়ে এটা অনেকই ভাল ছিল।
চমৎকার লেখা।
আসলেই, হুংকার তো নিজের ভাষাতেই সবচেয়ে আরাম করে দেওয়া যায় :grr:
জী ভাই। মনের আনন্দে হুংকার চলুক। অনেক ধন্যবাদ।
হুঙ্কারের ব্যাপারস্যাপার তো। ফয়েজ ভাই ভালো জানে।
গল্পটা পড়তে পড়তে শিহরিত হলাম। আমাদের সবার মাতৃভাষার প্রতি বোধ, যদি প্রবল হতো; দেশকে ভালোবাসার জায়গা থেকে টান যদি আরো বিকিরিত হতো, জাতি হিসেবে আজ এতো মতের বিভক্তি থাকতো না।
হাসিব ভাই অনেক ধন্যবাদ। আশাটুকু ধরে রাখেন ভাইয়া। আপনার মত এই আশাটুকু আমারও।
খুব সুন্দর লেখা। :clap:
গত এক বছরে চাকুরির কারনে অনেক সরকারী অফিস, অধিদপ্তরে যেতে হয়েছে। এমন কোন জায়গা নেই যেখানে কাজ 'বিলম্ব না করিয়া সম্পাদনের জন্য' স্পিড মানি চেয়েছে। জয়েন্ট ষ্টক এক্সচেঞ্জ, ট্যাক্স অফিস, ভ্যাট অফিস, ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য কমিশনার এর অফিস, বোর্ড অফ ইনভেস্টমেন্ট, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ফিল্ম এন্ড পাব্লিকেশন ডিপার্টমেন্ট...লিস্ট করলে শেষ হবে না...!!! চার পাতা (আক্ষরিক অর্থেই!) নীতিমালার জন্য 'প্রিন্ট করার খরচ' একশ টাকা দিতে হয়...!
বাপ পেনশনের টাকা তুলতে গিয়ে শোনেন, 'আপনি স্যার টাটকা হজ্জ্ব করে আসছেন, আপনাকে কি আর বলব...অমুক স্যার অল্প ক'টা টাকার জন্য তনমুক পরিমান দিয়েছেন আপনার তো স্যার টাকা আরো বেশি...বোঝেনই তো স্যার...' পরে আমার বাপ এলাকার বড় আলেম এর কাছে গিয়ে এ ব্যাপারে কি করা যায় আলাপ করে যা বুঝলেন তা হল 'অস্তিত্ব রক্ষায় আপোশ করা' যায়েজ এবং সমীচিন!!!
একই চিত্র দেশের সকল সরকারী-বেসরকারী-আধাসরকারী অফিস গুলোয়...
এরপর রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে দেখি একের পর এক দেশের স্বার্থ বিরোধী চুক্তি-সিদ্ধান্ত। দেশের জন্য হানিকর সরকারী-বিরোধী দলের কর্মসূচী। উন্নয়ন মূলক কাজের নামে দেশের টাকার অপচয়...ভাঙ্গা রাস্তা-ঘাট...যানজট...সড়ক দূর্ঘটনা...
শিক্ষা খাত তো সেই চিরন্তন নড়বড়ে...নোংরা ছাত্র রাজনীতি, সেশন জট...নেই গবেষণামূলক কার্যক্রমের পরিবেশ, সুযোগ-সুবিধা...মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ক্ষেত্রে একের পর এক পরীক্ষামূলক নীতিমালা...অপরিকল্পিত ও নিম্নমানের কারিকুলাম...বই...বেসরকারী স্কুল্গুলোর আগ্রাসী মনোভাব...ইংরেজী মাধ্যম স্কুলগুলোর অবিশ্বাস্য ফিস...!!
সরকারী হাসপাতালে সুচিকিৎসা পাওয়া যায় না। ডাক্তার-নার্স রা ধর্মঘট করে আর ওদিকে রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা যায়...! কেউ মফস্বল শহরে যেতে চায় না...
ইঞ্জিনীয়ার, উকিল, অর্থনীতিবিদ সবাই সাদা-লাল দলে বিভক্ত। দেশের মঙ্গলের জন্য হলেও তারা কোন বিষয়ে ঐক্যমতে আসতে পারেন না!
বিদেশী আগ্রাসনে জর্জরিত আমাদের সংস্কৃতি, হিন্দী চ্যানেল নামক ভাইরাস...বস্তা পচা দেশী নাটক, সিনেমা...এফ এম সংস্কৃতি...
ক্রীড়া অঙ্গন অস্থিরতায় ভুগছে...ক্রিকেট ছাড়া অন্যান্য খেলাগুলো আর্টিফিশিয়াল লাইফ সাপোর্টে চলছে...ক্রিকেটেও সাফল্য আসছে অনেক দিন পর পর...
আজ শুধুই নিরাশার কথা বললাম...
তবে হ্যাঁ-
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
😀
আলাদা পোস্ট হইতে পারত একটা জুনা.........। 😛
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ভাই আপনার কমেন্টশিল্পী নামকরণ যথার্থ। সালাম নেন। ::salute::
সবাই সব কিছু বলে ফেলার পরেও আমার মুগ্ধতা জানানোর জন্যই শুধু লগিন করলাম।
আমি আসলেই ইদানীং খুব আশাহত হয়ে যাচ্ছিলাম চারপাশ দেখে। আজকাল মনে হয় ঘরে ঘরে ছোট বাচ্চারা পর্যন্ত কার্টুন দেখে নিঁখুত হিন্দী বলতে শিখে যাচ্ছে। যেকোন প্রোগ্রামে বলিউডি গান চড়া সুরে বাজতে থাকে। স্টেজ শো গুলোতে হিন্দী পারফর্মার না থাকলে ক্লাস মেনটেন্ড হয়না। এইসব হীনমন্যতা থেকে আমরা কবে নিজেদেরকে মুক্ত করতে পারব কে জানে...
ভাষা হিসেবে হিন্দীর সাথে আমার কোন দ্বন্দ্ব নাই। বরং অনেক হিন্দী গান আমি পছন্দ ই করি। কিন্তু আমার মনে হয় আমরা যেন নিজেদের স্বত্তা বিকিয়ে দিয়ে 'সো কলড হিন্দী স্মার্টনেস' দেখানোর ধারায় ঢুকে যাচ্ছি ক্রমশঃ
অনেক ভারী কথা বলে ফেল্লাম কি? 😛 এই কথাগুলি মনে হয় প্রায় ই আজকাল, বলা হয়ে ওঠে না।
শুভ জন্মদিন, শাওন। :party: আরো অনেক অহংকারী গল্প লিখ, এই প্রত্যাশায় ....
আপু অনেক ধন্যবাদ।
হিন্দী কার্টুন আর সিরিয়ালের ব্যান চাই।
ওয়াও, অসাধারন লাগলো
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
😀 :thumbup:
আরে দারুণ লিখছ :hatsoff:
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ধন্যবাদ ভাই
:hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
::salute:: ::salute::
একটা বিষয় এখানে টেনে আনা ঠিক হবে কিনা বুঝতে পারছিনা,তবে যেহেতু আমরা আমরাই- এনেই ফেলি।
আমেরিকায় পিএইচডিরত আমার এক ক্যাডেট বন্ধু এই চমৎকার লেখাটি শেয়ার করার পর জনৈক কলকাতার দাদার মন্তব্যঃ
মেজাজটা চরম খারাপ হল পড়ে।উত্তর দিলামঃ
এর পরের কথোপকথন অনেকটা এরকমঃ
কলকাতার দাদা(কদা): কি বললাম আর কি বুঝলো! হায় রে খোদা! "কথা না বাড়ানোই ভালো" - হ্যাঁ, আমারো তাই মনে হয়।
আমিঃ ছাগভাষার দেশের লোকের কাছে হুংকারের ভাষার লোকদের কথাবার্তা ওইরকমই লাগার কথা।ভাষা নিয়ে ওই এফ-ওয়ার্ডটা ঢাকার মাটিতে ব্যবহার না করাই নিরাপদ, পৈত্রিক প্রাণ নিয়ে আর কলকাতা ফেরত যাওয়া লাগবেনা তাহলে।
কদা
আমিঃ
আমিঃ
...................................................................................................
স্বীকার করছি আমি উত্তেজনাবশতঃ কিছুটা ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বসেছি।কিন্তু ভাষা নিয়ে আমার আবেগকে কেউ "ফেটিশ" শব্দ দ্বারা খেলো করবে(পরবর্তীতে ফেটিশের যতই ফিলোসফিকাল ব্যাখ্যা দিক না কেন) এতা আমার পক্ষে মেনে নেয়া অসম্ভব।এবং এর ফলে যে কোন ধরণের অপবাদ আমি মাথা পেতে নেবো।
কেউ আমার অবস্থানগত ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরিয়ে দেবেন কি? (সম্পাদিত)
ভুল-ত্রুটির কোন ব্যাপার নাই ভাই। শসা- টমেটো কাহিনী। বড় বড় বয়ানের আগে মন টাকে একটু বড় করে নিতে হয়। সেই ব্যাপারে যারা পিছিয়ে আছে, তাদের নিয়ে আলাপ করে লাভ নাই।
এনারা আজীবনই কেন্দ্র সরকারের বৈষম্যমূলক নীতির শিকার। নিজেদের নিজস্বতার জায়গাটা অর্জনের ইচ্ছা তাদের আদতেই নেই নাকি মেরে ফেলা হয়েছে, এই ব্যাপারে জানিনা।
ভাল লিখেছিস। তোর লেখা আসলেই পড়ে ফেলি। সাথে প্রতিবারই তর প্রফাইল ঘেটে কোনটা পড়া বাদ গেল কিনা দেখি। কমেন্ট অবশ্য করা হয় না। অলস কিনা 😛
গল্পটা আসলেই অহংকারের...
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
ভাই ধন্যবাদ।
অসাধারন
::salute::
Shahnewaz
BCC 21
ধন্যবাদ ভাইয়া।
শাওন,
এতো কঠিন কঠিন কথাগুলো যে এতো সহজ সাবলীলভাবেও লেখা যায় সেটা নতুন করে বুঝলাম ভাই তোমার পোস্ট পড়ে। ::salute::
রায়হান ভাই অনেক ধন্যবাদ।
আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি। অনেক ধন্যবাদ
What we do in life echos in eternity.
সাকিব ভাই আপনাকেও ধন্যবাদ।
অসাধারণ লিখেছেন রেজা ভাই!
ধন্যবাদ মঞ্জুর ।
বাঙলা আমার অহঙ্কার। কিন্তু ইংরেজি আর ফরাসিটা জানিনা বলে দুঃখ হয়।
আর হিন্দি বুঝলেও বা বলতে পারলেও না বোঝার ভান করি।
ভারত বা পাকিস্তানের কেউ আমার সাথে হিন্দি বা উর্দুতে কথা বললে মন যদি ভালো থাকে তবে জবাব ইংরেজিতে দেই। আর মন-মেজাজ খারাপ থাকলে বলি বুঝি নাই, কি বল্লা আবার বল।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এমনটাই তো হওয়া উচিৎ ভাইয়া।
অসাধারন হইছে... ::salute:: ::salute:: ::salute::
খালি একটা জিনিস বুঝবার পারলাম না
ক্যামনে সম্ভব ??? 😛
::salute:: ::salute::
বন্ধু 🙂
অসাধারণ!
::salute:: DULA
::salute:: ::salute:: ::salute::
সিয়েরা লিওনের এই তথ্যটা কয়েকদিন আগে এক ছোটবোনকে জানাইলাম। সে বলল, ভাইয়া এই নামে কোনও দেশ আছে নাকি?
আমি বললাম, চোখকান বুজে রাখলে অহংকারের বিষয়টা তো জানাই যাবেনা।
আপনার লেখাটা ওকে পড়তে দিবো।
যে জীবন ফড়িঙের দোয়েলের- মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা