আমার দেখা সেরা ১০ মুভি

তালিকাটা করেছিলাম প্রায় বছর খানেক আগে। আমার প্রিয় ছবি। তবে এখানে স্থান দিয়েছি ইংরেজী ভাষার মুভিকে। বলা যায় হলিউড মুভি। প্রায় বছর খানেক পর লিস্টটা নিয়ে ভাবছি। বুঝতে পারছি না, ক্রামার ভার্সেস ক্রামার রাখবো কিনা। দি রিডার কি রাখবো। কিংবা হোটেল রোয়ান্ডা বা সিন্ডলার্স লিস্টটাও রাখতে ইচ্ছা করছে। মনে হচ্ছে ব্রাড পিটের বাবেল-এর কথা। গড ফাদার-টু আমার বেশি পছন্দ। খুব টানছে কিলিং ফিল্ডস। এমনকি সিংগিং ইন দ্য রেইনও আমার অনেক পছন্দের ছবি। উইটনেস আরেকটা ভাললাগার ছবি।
শেষ পর্যন্ত পুরানেরা লিস্টটাই রেখে দিলাম। তবে আমি নিশ্চিত তালিকা আবার বদলাবে।

১। দি শওশাঙ্ক রিডেমশন: এ ছবিটি বার বারই দেখতে চাই। আমার আজও বিষ্ময় এই ছবিটি কেন পুরস্কারের দৌড়ে খুব বেশি ভাল করলো না। তবে ইন্টারন্টে ব্যবহারকারীদের ভোটে এই ছবিটির স্থান সর্বকালে দ্বিতীয়।
জেল জীবন ও জেল পালানো ছবি। নির্মাণ এবং অভিনয় দুই দিক থেকেই এটি একটি সেরা ছবি। টিম রবিনস এবং মর্গান ফ্রিম্যান এই ছবির প্রধান দুই অভিনেতা।
২। বিফোর সানরাইজ: দুই দেশের দুই জনের দেখা হলে ট্রেনে। মাঝে তারা নেমে গেলো অষ্ট্রিয়ায়, কিছু সময় কাটাতে। বলতে গেলে এইটুকুই ছবি। কিন্তু একবার দেখা শুরু করলে চোখ ফেরানো যায় না, কান রাখতে হয় সজাগ। ছবিতে আমরা খুব বেশি কৃত্তিম সংলাপ শুনি, যেগুলো হয়তো বাস্তব জীবনে আমরা বলি না। বিফোর সানরাইজ এই দিক থেকেই টানে বেশি। আহা! আবার দখতে হবে। ইথান হক ও জুলি ডিপলি আছে এই ছবিতে। পরের পর্ব বিফোর সানসেট। দুটোই দেখতে হয়।
৩। অ্যামাদিউস: অনেক আগে ছবিটা যখন প্রথম দেখি আমি নিশ্চুপ বসে ছিলাম অনেকক্ষন। মোৎসার্টের জীবন নিয়ে ছবি। শেষ বয়সে বৃদ্ধ একজন দাবি করে যে সেই মোৎসার্টকে খুন করেছে। কিভাবে? সেটা নিয়েই ছবি। একজন ঈশ্বর প্রদত্ত প্রতিভা নিয়ে এসেছেন, আরেকজন চেষ্টা করে শিখেছেন মিউজিক। সেটা নিয়ে ঈর্ষার গল্প অ্যামাডিউস। গডকে যখন আনকাইন্ড বলে-সেই দৃশ্য ভোলার না।
৪। ডেড পয়েট সোসাইটি: এই ছবিতে রবিন উইলিয়ামসকে দেখে চমকে উঠেছিলাম। উইটনেসের পরিচালক পিটার উইয়ারের এই ছবিটি ভিন্ন রকমের এক অনুভূতি নিয়ে আসে। এক স্কুলে শিক্ষা দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে ছবি। এক কথায় অসাধারণ।
৫। দি পারস্যুট অব হ্যাপিনেস: ক্রিস গার্ডনারের জীবন সংগ্রামের ছবি। ক্রিস (উইল স্মিথ) ও তার ছেলে ক্রিস্টোফারের (জাডেন স্মিথ) জীবনের কাহিনী এই ছবি। ক্রিস ও তার বান্ধবি জমানো সব অর্থ দিয়ে চিকিৎসা সামগ্রী-এক ধরনের স্কানার বিক্রি করে। সহজে বিক্রিও হয় না। বাড়ি ভাড়া বাকি, গাড়ি ক্রমাগত পার্কিং টিকেট খেতে খেতে এক পর্যায়ে গাড়িটাই হাতছাড়া হয়, ডে কেয়ারে রাখা ছেলের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে হিমসিম ক্রিস। স্কানারও চুরি হয় ক্রিসের। বান্ধবিও এক সময় ক্রিসকে ছেড়ে চলে যায় নিউইয়র্কে।
সেই ক্রিস একদিন এক ব্রোকার হাউজের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় একদল সুখী মানুষের চেহারা দেখে তারও ইচ্ছা হয় এখানে কাজ করতে। কিন্তু ক্রিসের সেই শিাও নেই, নেই কোনো পরিচিত। তারপরেও চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। কিভাবে সে ইন্টার্নির সুযোগ পায় সেও এক বিশাল গল্প। তারপরের কাহিনীও আরেক গল্প। সত্যি কাহিনীর এই ছবি যারা দেখেননি তারা জানেন না কি তারা দেখলেন না।
৬। জাজমেন্ট অ্যাট নুরেমবার্গ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে ছবি। ছবিতে দেখানো হয়েছে জার্মান বিচারকদের ট্রায়াল, যারা বিচারের নামে বিরুদ্ধবাদিদের বিভিন্ন ক্যাম্পে পাঠাতো।
মুভিটা ৩ ঘন্টার। দেখতে বসলে কখন শেষ হবে টেরই পাওয়া যায় না। ছবির শুরুটা মার্কিন জাজ ডান হাওয়ার্ডের নুরেমবার্গ পৌছানোর মধ্য দিয়ে। এই চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন স্পেনসার ট্রেসি। যুদ্ধাপরাধী চার বিচারকের একজন ড. আর্নস্ট জেনিং (বার্ট লানকাসটার)। জুডি গারল্যান্ড ও মন্টোগোমারি কিফট ছোট্র দুই চরিত্রে অভিনয় করলেও তাদের অসাধারণ অভিনয়ের রেশ সহজে যায় না। আর আছে জার্মান অভিনেতা, অভিযুক্তদের পরে আইনজীবী হান্স রোলফ (ম্যাক্সিমিলিয়ান স্কেল), সেরা অভিনেতার অস্কার পেয়েছিলেন।
৭। অন দ্য ওয়াটার ফ্রন্ট-মার্লোন ব্রান্ডোর এই ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৫৪ সালে। সাধারণ মানুষের জেগে ওঠার ছবি। আমির খানের গুলাম এই ছবির নকল। ছবিতে আমরা নায়ক চরিত্র তৈরি করা হয় অসাধারণ করে। এই ছবিটি একদমই বাস্তবতার ছবি। সাধারণ মানুষ কিভাবে এক হয় সেটাই মূল কথা।
৮। ট্যাক্সি ড্রাইভার- এই ছবিতে কেনো মার্টিন স্করসিজকে সেরা পরিচালকের অস্কার দেওয়া হয়নি-সে বিতর্ক আজও যায়নি। এই বিতর্ক ঢাকতেই স্করসিজকে তার মানের তুলনায় একটি দুর্বল ছবির জন্য অস্কার দেওয়া হয় গতবার। রবার্ট ডি নিরো আছে, আছে জুডি ফস্টার। এই ছবিতে জুডি ফস্টারকে দেখেই একজন রিগ্যানকে গুলি করেছিল। এক অস্থির সময়ের গল্প ট্যাক্সি ড্রাইভার।
৯। ক্রামার ভার্সেস ক্রামার- ডাস্টিন হফম্যানের ভাল ছবির অভাব নেই। তালিকায় অনায়াসে চলে আসে গ্রাজুয়েট ও রেইনম্যানসহ অনেক ছবি। তবে আমার বেশি পছন্দ এটি। এই ছবির আবেগ বেশি টেনেছিল বলেই হয়তো। সাথে আছে মেরিল স্ট্রীপ।
১০। মিসিং- ১৯৮২ সালে মুক্তি পেয়েছিল গ্রীক পরিচালক কোস্তা গাবরাসের (উচ্চারণ ঠিক হলো?) এই ছবিটি। ছবিতে ছিলেন জ্যাক লেমন ও সিসি স্পাসেক।
১৯৭৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। ক্যু হয়েছে চিলিতে। চিলির প্রেসিডেন্ট সালভাদর আলেন্দেকে সরিয়ে দিয়ে জেনারেল অগাস্টো পেনোসে মতা দখল করে কমিউনিস্ট বিরোধী একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে, যা ছিল ১৯৯০ পর্যন্ত। ক্যুতে খুন হন আলেন্দে।
এই দিন মার্কিন সাংবাদিক চার্লস হরমান ফিরছিলেন চিলিতে। আসতে গিয়ে পথে তিনি হয়তো সাী হয়েছিলেন এই ক্যুর। দেখে ফেলেছিলেন কিছু। তাই আর বাসায় ফিরতে পারেননি তিনি। চিলিতে ছিল বউ সিসি স্পাসেক। আমেরিকা থেকে ছেলের খোঁজে চলে আসলো বাবা জ্যাক লেমন। তারপর খোঁজার পালা।
এখানেই তৈরি দৃশ্য আর ক্যুর সময় তোলা ডকুমেন্টশন এক করে দিয়েছেন পরিচালক কোস্তা। স্টেডিয়ামে আটক হাজার হাজার চিলিবাসী বা নদীতে ভেসে যাওয়া লাশ-মনে করিয়ে দেয় ৭১ কে।
বাবা এবং ছেলের বউ ঠিকই খুঁজে খুঁজে এই ক্যুর পেছনে মার্কিন দূতাবাস ও সিআইএর হাত বের করে ফেলতে শুরু করলে এক পর্যায় পাওয়া গেছে বলে ছেলের লাশ ফেরত দেওয়া হয় বাবা ও স্ত্রীকে।
এখন কে না জানে এই ক্যুর পেছনে ছিল সিআইএ। বাবা পরে মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন, কিন্তু রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার স্বার্থে সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। সত্য ঘটনা নিয়ে ছবি এই মিসিং।
আরেকটা তথ্য দিই, সেসময়ের চিলির মার্কিন রাষ্ট্রদূত নাথানিয়েল ডেভিস কোস্তা গাবরাসের বিরুদ্ধে ১৫০ মিলিয়ন ডলারের তিপূরণ মামলা কএরছিএলন।

তালিকায় আসতে পারতো
১। লিভিং লাস ভেগাস-নিকোলাস কেজের অভিনয়ের কারণেই বার বার দেখা যায়।
২। ক্যাসাব্লাঙ্কা-ইনগ্রিড বার্গমান ও হ্যামফ্রে বোগার্টের এই ছবি যুদ্ধের ছবি, রোমান্টিক ছবি। এখনো মনে করা হয় এটিই সর্বকালের অন্যকতম সেরা ছবি
৩। পাল্প ফিকশন-নতুন ভাবে ছবির গল্প বলা সবাইকে চমকে দেয়। টরানটেনোর সেরা ছবি।
৪। ওয়ান ফ্লু ওভার দ্য কাক্কুস নেস্ট-জ্যাক নিকলসন মুভি ইতিহাসে থেকে যাবেন এই একটি ছবির জন্যই।
৫। গেজ হু ইজ কামিং টু ডিনার-বাবা ও মা অপো করছে মেয়ের জন্য, মেয়ে আসবে নতুন বয় ফ্রেন্ডকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য। বাবা স্পেনসার ট্রেসি, মা ক্যাথারিন হেপবার্ন। মেয়ে নিয়ে আসে সিডনি পটিয়ারকে, একজন কালো। আমি এখনও মুগ্ধ এই ছবিতে।

৩০,৪২১ বার দেখা হয়েছে

১২৪ টি মন্তব্য : “আমার দেখা সেরা ১০ মুভি”

  1. এহসান (৮৯-৯৫)

    জীবনে এই লিস্ট বারবার বদল হয় এবং আপনারটাও বদল হবে। কিন্তু কিছু সিনেমা আছে বয়স আর পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে মানে আপনি কখন, কিভাবে কার সাথে দেখেছিলেন? তাই অনেক ভুয়া সিনেমাও প্রিয় তালিকায় চলে আসে আর সারাজীবন ভাল লাগাটা থেকে যায়।

    আপনার লিস্ট এর বেশিরভাগ সিনেমাই দেখেছি। আজকে মেরীল স্ট্রীপ কে নিয়ে লিখবো ভেবেছিলাম। Doubt আর ক্রেমার ভার্সাস ক্রেমার নিয়ে কিন্তু লিখে ফেললাম Rumpology নিয়েI

    আপনি আপনার প্রিয় সিনামাগুলা নিয়ে আলাদা করে লিখেন। বলাবাহুল্য ব্যাপারটা মজার হবে। তাজা সিনেমা নিয়ে লিখতে হবে কথা নাই (খালি লেখাটা তাজা হলেই হয় 😛 )।

    আপনি ইতিহাস মারকা সিনেমাগুলাতে(kateyn) ডিটেইল কাহিনী বলে দেন ঠিক আছে কিন্তু এছাড়া বাকি সিনেমাগুলার কাহিনী একটু কম বললে ভালো হতো। এখনো নিক্সন দেখি নাই(টাইম পাচ্ছি না) তাই কাহিনী জেনে ফেলার ভয়ে আপনার ইয়াজুদ্দিন না পড়ে বসে আছি। যাই হোক এটা ব্যাক্তিগত মতামত।

    আমার অফিসে গোরাদের কাছে স্লামডগ সুপারহিট। একজন খালি সিনেমা শেষের গান নিয়ে কথা বলেছিলো; কিন্তু আমি হেভভী যুক্তি দিয়ে বুঝাইসি কেনো গান টার দরকার ছিলো। ফীল গুড বলে কথা। এখন আমার কিন্তু স্লামডগ রে বেশ ভালো সিনেমা মনে হয়। 🙂

    জবাব দিন
  2. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    আমি জীবনে ছবি খুব বেশি দেখিনি, তাও মনে হয় না সেরা দশ করার মতন সাহসী কিংবা কঠোর হতে পারব...যদি লিস্ট করতেই হয়, তাহলে বোধহয় অনেকগুলোকে যুগ্মভাবে রেখে মনকে বুঝ দিতে হবে... ;;;

    অফ টপিকঃ বস, লেখা মনে হয় দুইবার এসেছে, সময় করে এডিট করে দিয়েন... 😀


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  3. দি শওশাঙ্ক রিডেমশন: এ ছবিটি বার বারই দেখতে চাই। আমার আজও বিষ্ময় এই ছবিটি কেন পুরস্কারের দৌড়ে খুব বেশি ভাল করলো না।

    কঠিন প্রশ্ন। ৯৪ সালের ছবি সম্ভবত। ওই বছর অস্কারে দি শওশাঙ্ক রিডেমশন এর প্রতিদ্বন্দী ছিলো 'ফরেস্ট গাম্প' আর 'পাল্প ফিকশন'। স্বভাবতই জুরিরা ভালো বাটে পড়েছিলেন। আমি নিজেই এখনো চিন্তা করে বের করতে পারিনি এর মধ্যে কোনটা বেশি ভালো ছবি। 😀
    তবে আমি সেরা দশ ছবির তালিকা করলে এই তিনটাই থাকবে। কিন্তু সেরা দশ বেছে নেয়া আসলে খুব কষ্টকর কাজ। শওকত ভাইয়ের পোস্টে যতগুলি ছবির নাম আছে এর সবগুলি দেখেছি। সবগুলি ক্ল্যাসিক। আমার তালিকায় এর বেশির ভাগ গুলিই থাকবে। (আসলে ১০ ছবির তলিকা না করে সবসময়ের পছন্দের ছবির তালিকা করতে হবে আর কি)।

    হলিউডের বাইরে কিছু ছবি আছে, আমি বারবার দেখি। রবার্তো বেনিনি'র লাইফ ইজ বিউটিফুল, মাজিদ মাজিদি'র চিল্ড্রেন অব হেভেন, আব্বাস কিয়ারোস্তমির(আমার প্রিয় পরিচালক) টেস্ট অব চেরি, ভিটোরিও ডি সিকা'র বাইসাইকেল থিফ, আর অবশ্যই সত্যজিতের অরন্যের দিনরাত্রি (আমার ধারনা এই ছবিটা তার সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকা ছবি।)

    দারুন পোস্ট শওকত ভাই।
    আলোচনায় আশা করি অনেক দারুন দারুন ছবির নাম আসবে। সবাই এটলিস্ট তাদের পছন্দের ১০টা করে ছবির নাম বলে যাবে। আমরা মিলিয়ে দেখবো। কোনোটা দেখা না থাকলে দেখে নেবো।

    আমি ১০টা নাম বলছি। আপনার নামগুলির বাইরে। হলিউড আর ফরেন মিলিয়ে। তবে ক্রমটা ভালোলাগা অনুসারে না। দৈবচয়ন।

    লাইফ ইজ বিউটিফুল
    চিল্ড্রেন অব হেভেন
    ফরেস্ট গাম্প
    বাইসাইকেল থিফ
    টেস্ট অব চেরি
    গড ফাদার-১
    নর্থ বাই নর্থ ওয়েস্ট
    সিনেমা পারাদিসো
    অরন্যের দিনরাত্রি
    টু কিল এ মকিং বার্ড

    ধুর আরো লিখতে ইচ্ছে করতেছে। 😀

    জবাব দিন
  4. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    আমি এক মাস আগে একটা লিস্ট করেছিলাম। এর মধ্যে আরও অনেক ভাল সিনেমা দেখেছি। সেই লিস্টটা ছিল জনরভিত্তিক। ইচ্ছামত জনর বানিয়েছিলাম। অবশ্য এই সবগুলো জনরই বাস্তবে আছে। সেই লিস্টটাই এখানে দিয়ে দিই: (পাশে পরিচালকের নাম দেয়া আছে। আর অনেকগুলো জনরই সবার অপরিচিত লাগতে পারে। কারণ আমি উইকি ঘেটেই এই জনরগুলো বের করেছিলাম।)

    নাট্য চলচ্চিত্র

    রোমান্টিক ড্রামা - বিফোর সানরাইজ (রিচার্ড লিংকলেটার)
    ট্র্যাজেডি - অ্যাটোনমেন্ট (জো রাইট)
    লিগ্যাল ড্রামা - ১২ অ্যাংগ্রি মেন (সিডনি লুমেট)
    টিন ড্রামা - জুনো (জেসন রাইটম্যান)
    এলজিবিটি ড্রামা - ব্রোকব্যাক মাউন্টেইন (অ্যাং লি)
    ফ্যামিলি ড্রামা - চারুলতা (সত্যজিৎ রায়)
    মনস্তাত্ত্বিক - ওয়ান ফ্লু ওভার দ্য কুকুস নেস্ট (মিলশ ফরমান)

    ব্যাঙ্গ-রসাত্মক

    ড্রামেডি - ফরেস্ট গাম্প (রবার্ট জেমেকিস)
    রোমান্টিক কমেডি - রোমান হলিডে (উইলিয়াম ওয়াইলার)
    ওয়ার কমেডি - লা ভিতা এ বেলা (রবার্তো বেনিনিয়ি)
    ব্ল্যাক কমেডি - ডক্টর স্ট্রেঞ্জলাভ (স্ট্যানলি কুবরিক)
    স্ক্রুবল কমেডি - ইট হ্যাপেন্‌ড ওয়ান নাইট (ফ্রাংক কাপরা)
    স্ল্যাপস্টিক কমেডি - দ্য কিড (চার্লি চ্যাপলিন)
    কমেডি হরর - শন অফ দ্য ডেড (এডগার রাইট)

    সেটিংভিত্তিক জনর

    ঐতিহাসিক - ডের উন্টারগাং (অলিভার হির্শবিগেল)
    ওয়েস্টার্ন - দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দি আগলি (সের্জিও লেওনে)
    নব্য ওয়েস্টার্ন - নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন (কোয়েন ভ্রাতৃদ্বয়)
    রুপকথা - দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য ফেলোশিপ অফ দ্য রিং (পিটার জ্যাকসন)
    যুদ্ধ - অ্যাপোক্যালিপ্‌স নাউ (ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা)
    যুদ্ধবিরোধী - অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট (লুইস মাইলস্টোন)
    সামুরাই - সিচিনিন নো সামুরাই (আকিরা কুরোসাওয়া)

    থিমকেন্দ্রিক জনর

    আর্ট - রাশোমোন (আকিরা কুরোসাওয়া), অপু ত্রয়ী (সত্যজিৎ রায়)
    দার্শনিক - থ্রু আ গ্লাস ডার্কলি (ইংমার বারিমান)
    পরাবাস্তববাদী - মুলহল্যান্ড ড্রাইভ (ডেভিড লিঞ্চ)
    অতিবাস্তববাদী - ফুল মেটাল জ্যাকেট (স্ট্যানলি কুবরিক)
    অস্তিত্ববাদী - ইকিরু (আকিরু কুরোসাওয়া)
    স্পোর্টস - রেইজিং বুল (মার্টিন স্করসেজি)

    অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার-সাইফাই

    অ্যাকশন - ক্রচিং টাইগার হিডেন ড্রাগন (অ্যাং লি)
    অ্যাডেভেঞ্চার - আগুইরে, ডের জর্ন গটেস (ভের্নার হেরৎসগ)
    ডিজাস্টার - অ্যাপোলো ১৩ (রন হাওয়ার্ড)
    ডিস্টোপিয়ান - আ ক্লকওয়ার্ক অরেঞ্জ (স্ট্যানলি কুবরিক)
    সুপারহিরো - দ্য ডার্ক নাইট (ক্রিস্টোফার নোলান)
    সায়েন্স ফিকশন - ২০০১: আ স্পেস অডিসি (স্ট্যানলি কুবরিক)
    অতিপ্রাকৃতিক - দ্য গ্রিন মাইল (ফ্র্যাংক ড্যারাবন্ট)

    ক্রাইম ফিল্ম

    ক্রাইম ড্রামা - সিটি অফ গড (ফের্নান্দু মেইরেল্লিশ)
    ক্রাইম থ্রিলার - দ্য ডিপার্টেড (মার্টিন স্করসেজি)
    গ্যাংস্টার - ওয়ান্স আপোন আ টাইম ইন অ্যামেরিকা (সের্জিও লেওনে)
    মব - দ্য গডফাদার (ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা), আ হিস্টরি অফ ভায়োলেন্স (ডেভিড ক্রোনেনবার্গ)
    হাইস্ট - দ্য কিলিং (স্ট্যানলি কুবরিক)
    নয়ার - ডাবল ইনডেমনিটি (বিলি ওয়াইল্ডার)
    নব্য নয়ার - দি ইউজুয়াল সাসপেক্ট্‌স (ব্রায়ান সিংগার)
    প্রিজন - দ্য শশ্যাংক রিডেম্পশন (ফ্র্যাংক ড্যারাবন্ট)

    থ্রিলার

    সাইফাই থ্রিলার - ব্লেড রানার (রিডলি স্কট)
    কন্সপাইরেসি - দি ইনসাইডার (মাইকেল মান)
    ইকো - চিলড্রেন অফ মেন (আলফোনসো কুয়ারোন)
    ইরটিক - লাস্ট, কশন (অ্যাং লি)
    লিগ্যাল - ডার্টি হ্যারি (ডন সিজেল)
    রাজনৈতিক - শেরেড (স্ট্যানলি ডনেন)
    সাইকোলজিক্যাল - ভার্টিগো (আলফ্রেড হিচকক)
    সাইকো থ্রিলার - দ্য সাইলেন্স অফ দ্য ল্যাম্ব্‌স (জোনাথন ডেমি)

    সাসপেন্স

    হরর - দ্য শাইনিং (স্ট্যানলি কুবরিক)
    রহস্য - রেয়ার উইন্ডো (আলফ্রিড হিচকক)
    অতিপ্রাকৃতিক হরর - দি এক্‌জরসিস্ট (উইলিয়াম ফ্রিডকিন)
    মনস্তাত্ত্বিক হরর - দ্য সিক্সথ সেন্স (এম নাইট শ্যামালান)
    প্রাকৃতিক হরর - জস (স্টিভেন স্পিলবার্গ)
    সাইকো হরর - সাইকো (আলফ্রেড হিচকক)
    গোয়েন্দা - ডায়াল এম ফর মার্ডার (আলফ্রেড হিচকক)

    ফরম্যাট

    এনিমেশন - পারসেপোলিস (মারজান সাত্রাপি), রাঁতাতুই (ব্র্যাড বার্ড)
    মিউজিক্যাল - দ্য সাউন্ড অফ মিউজিক (রবার্ট ওয়াইজ)
    জীবনী - লরেন্স অফ অ্যারাবিয়া (ডেভিড লিন)
    শিশুতোষ - বাচেহা ই আসমান (মাজিদ মাজিদি)
    নির্বাক - মেট্রোপলিস (ফ্রিৎস লাং)
    এপিক - শিন্ডলার্‌স লিস্ট (স্টিভেন স্পিলবার্গ)
    কাল্ট ক্লাসিক - ট্যাক্সি ড্রাইভার (মার্টিন স্করসেজি)
    প্রামাণ্য চিত্র - অ্যান ইনকনভেনিয়েন্ট ট্রুথ (ডেভিস গাগেনহাইম, আল গোর)
    সিরিয়াল - লর্ড অফ দ্য রিংস (পিটার জ্যাকসন), স্টার ওয়ার্‌স (জর্জ লুকাস)

    জবাব দিন
    • শওকত (৭৯-৮৫)

      ওয়াও। খুব ভাল একটা লিস্ট। এর ৬০% দেখা। বাকিগুলা দেখা কর্তেব্যর মধ্যে পড়ে। তবে জুনো আমার ভাল লাগে নাই, আ ক্লকওয়ার্ক অরেঞ্জ কেন জানি আমার সহ্য হইলো না, ক্রচিং টাইগার হিডেন ড্রাগনও ভাল লাগে নাই, লর্ড অব দ্য রিং সহ্য হয় নাই। কেন জানি এই জাতীয় রূপকথা আমার ভাল লাগে না।
      আমার দেখা সেরা তালকা এইটা।

      জবাব দিন
      • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

        ক্লকওয়ার্ক অরেঞ্জ দেখে আমি কিন্তু পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। দুই-তিনদিন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কেবল এইটাই দেখেছি। আসলে আমি স্ট্যানলি কুবরিকের ভক্ত। কুবরিক জীবনে মাত্র ১৩টা সিনেমা করেছেন। কিন্তু একেকটা আরেকটার চেয়ে বস। আমি কুবরিককে চলচ্চিত্রের ঈশ্বর বলে মানি। আমার নাম্বার ওয়ান ফেভারিট ডিরেক্টর। তার সবকিছু দেখেই আমি মুগ্ধ হই।

        এমনকি আমাকে যদি কেউ বলে তোমার দেখা সেরা দশটা সিনেমার নাম লিখে দাও, তাহলে সেই দশটার মধ্যে ৮টাই বোধহয় হবে কুবরিকের সিনেমা। কারণ আমি তার ৮টা সিনেমা দেখেছি। ১৩ দেখে ফেলার পর বোধহয় সবগুলোই কুবরিকের হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে আমি আসলেই ক্রেজি। 😀

        আর লর্ড অফ দ্য রিংস এর ব্যাপারে বলতে হয়, আসলেই এ ধরণের রূপকথার সিনেমা অনেকে পছন্দ করেন না। তবে যদি শুধু রূপকথার কথা বলেন, তাহলে এর চেয়ে বস কি আর কিছু আছে? আপনার ফেভারিট ফ্যান্টাসি মুভি কোনটা? এক্ষেত্রে অবশ্য হীরক রাজার দেশের নাম করতে পারেন। সেইরকম একটা মুভি। গুপী গাইন বাঘা বাইনও কম যায় না। এগুলাও আমার খুব ভাল লেগেছে। 🙂

        জবাব দিন
        • শওকত (৭৯-৮৫)

          কুবরিক আমারও খুব পছন্দ। তবে এইটা ভাল লাগলো না। এক হতে পারে শুরুর বিভৎসতা মনটা অন্য রকম করে দিয়েছিল। না, তোমার পাল্লায় পইরা দেখতাছি এইটাও আবার দেখতে হবে।

          জবাব দিন
          • কুব্রিকের 'ফুল ম্যাটাল জ্যাকেট।'
            অল টাইম গ্রেট ফিল্ম।
            কুব্রিক আমারো দারুন প্রিয়। '২০০১ স্পেস ওডিসি' অবশ্য বুঝতে বুঝতে অনেক সময় লাগছে। অনেকবার দেখতে হইছে। 😀

            আর 'আইজ ওয়াড শাট।' এইটা অবশ্য একটু অন্য কারনে ভালো লাগছিলো ;;;

            জবাব দিন
            • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

              আইস ওয়াইড শাট কিন্তু আমার ন্যুডিটি ছাড়াও ভাল্লাগছে। সেইরকম লাগছে। এইটার জনর দেখলাম সাইকোসেক্সুয়াল থ্রিলার। থিমটা অসাধারণ। যথারীতি আরেকটা কুবরিক মাস্টারপিস।
              এটা আমার মনে হয় একদিন না একদিন ক্লাসিকের মর্যাদা পাবেই।

              জবাব দিন
              • আমি একটু আগে দেইখা ফালাইছিলাম। তখন এতো কিছু বুঝতাম না। খুব সম্ভবত ৯৮ সাথে, যখন ক্লাস টেনে তখন দেখছিলাম। ফলে খালি সেক্সটাই বেশি চোখে পড়ছে।
                আর আমারে দেখতে বলছিলো কে জানো? তোমাদের মু. নূরুল হাসান তারেক ভাই। 😀

                দুঃখের কথা এর পরে আর একবারও দেখা হয় নাই ছবিটা। দেখি আবার দেখতে হবে। 😀

                জবাব দিন
    • এহসান (৮৯-৯৫)

      অনেকগুলোই কমন সিনেমা যা বেশীরভাগ সিনেমারসিক এর কমন পড়ার কথা। যাইহোক Atonmement কিভাবে তোমার ভাল লাগলো বুঝলাম না।

      যাই হোক বাফটা আজকে পুরস্কার দিবে

      জবাব দিন
        • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

          বলেন কি?! আমার তো অ্যাটোনমেন্ট খুবই ভাল লেগেছে। যুদ্ধের ট্রাজেডি আর মানুষের ট্রাজেডিকে একসাথে এর চেয়ে ভাল আর কোন সিনেমায় দেখেছি বলে মনে পরে না। একটা আপাদমস্তক ট্রাজেডি। আর "ফিকশন উইদিন আ ফিকশন" এর থিমটা তো অসাধারণ লেগেছে।
          সিরিয়াস, মুভিটা আসলেই ভাল লেগেছে।

          ট্রাজেডি হিসেবে প্রথমে ভেবেছিলাম কুরোসাওয়ার কোন মুভি দেব। তিনি শেক্সপিয়ারের বেশ কিছু ট্রাজেডি থেকে সিনেমা করেছেন। কিন্তু স্বীকার করছি, সেইসব আর্ট ফিল্মের পুরো স্বাদটা এখনও পাইনি। পেলে পরে অ্যাটোনমেন্ট বদলিয়ে কুরোসাওয়ার "থ্রোন অফ ব্লাড" বা "ড়্যান" দিয়ে দেব। 😀

          জবাব দিন
    • শওকত ভাই, কামরুল আর মুহাম্মদ

      একের পর এক ভাল ছবির তালিকা দিয়ে আমার কম্পিউটারের বারোটা বাজানোর ফন্দি করার জন্য আপনাদের সবাইকে দায়ী থাকতে হবে।

      সেদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ইন্টারনেট স্পীড দেখে ভাবছিলাম, ইশ! আমারো যদি....

      অন-টপিক: সবাইকে ধন্যবাদ। :boss: :boss:

      জবাব দিন
    • আসিফ (২০০১-'০৭)

      Muhammad ভাই, আমার মত আরেক মুভি ফ্রিক কে এখানে দেখে আসলেই খুব ভাল লাগতেছে !! এই লিস্ট টা আসলেই অসাধারন । আমি এই লিস্ট এর ৩ তা মুভি ছাড়া বাকি সবগুলাই দেখছি, অসাধারন সব মুভি, হলিউড, ইউরোপিয়ান , ল্যাটিন, এশিয়ান মিলিয়ে আমার প্রায় ৪ হাজার এর বেশি মুভি দেখা হয়ে গেছে, আপনার এই লিস্ট দেখে আমার একটা লিস্ট করতে ইচ্ছা করতেছে, ভাবতেছি তারাতারি করে ফেলব...! :clap: :clap: :clap: :clap: :clap: :clap: (সম্পাদিত)

      জবাব দিন
  5. আয় হায়! এই লিস্টের কিছু ছবি এখনো দেখি নাই। না দেখা গুলির লিস্ট কইরা রাখি। যোগাড় করতে হবে।

    ১২ অ্যাংগ্রি মেন (সিডনি লুমেট)
    দ্য কিড (চার্লি চ্যাপলিন)
    শন অফ দ্য ডেড (এডগার রাইট)
    ডের উন্টারগাং (অলিভার হির্শবিগেল)
    থ্রু আ গ্লাস ডার্কলি (ইংমার বারিমান)
    অ্যান ইনকনভেনিয়েন্ট ট্রুথ (ডেভিস গাগেনহাইম, আল গোর)
    আগুইরে, ডের জর্ন গটেস (ভের্নার হেরৎসগ)

    আর একটা কথা। ক্রচিং টাইগার হিডেন ড্রাগন এইটা বেশি ভালো লাগে নাই কেনো জানি। 😀

    জবাব দিন
  6. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    শওকত ভাই, আপনার ফেভারিট লিস্টের বেশ কিছু সিনেমা এখনও দেখি নাই। অনেক নাম শুনেছি। দেখতেই হবে। যেগুলা এখনও দেখি নাই:
    - ক্র্যামার ভার্সেস ক্র্যামার
    - অ্যামাদিউস
    - ডেড পয়েট সোসাইটি
    - জাজমেন্ট অ্যাট ন্যুরেমবার্গ
    - অন দ্য ওয়াটারফ্রন্ট
    - মিসিং
    - লিভিং লাস ভেগাস
    - গেস হু ইজ কামিং টু ডিনার

    হায় হায়, অধিকাংশই তো দেখি নাই। নিঃসন্দেহে সবগুলাই সেইরকম হবে। জোগাড় করা শুরু করতে হবে।

    জবাব দিন
    • শওকত (৭৯-৮৫)

      ক্রামার ভার্সেস মানুষের আবেগ নিয়া খেলছে। আর আছে তিনজনের ফাটানো অভিনয়। আমার ধারণা ডেড পয়েট সোসাইটি, অ্যামাদিউস ও অন দি ওয়াটার ফ্রন্ট অসাধারণ লাগবে তোমার কাছে। দেখো এবং জানাও।

      জবাব দিন
        • এহসান (৮৯-৯৫)

          আকেলে হাম আকেলে তুম খুব ভাল সিনেমা। মিউজিক গুলাও ভাল যদিও গান গুলোও এডাপ্টেড 🙂 আর ওই পিচ্চিটা দারুন করেছিল। (এখন দেখি সারেগামা তে উপস্থাপনা করে)

          জবাব দিন
          • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

            ক্র্যামার ভার্সেস ক্র্যামার দেখছি, অভিনয়ের জন্যই দেখতে পেরেছি। গল্পটাও সুন্দর। আকেলে হাম আকেলে তুম এডাপ্টেড জানার পর দেখিনি। আমার মনে হয়েছে ক্র্যামার দেখার পরে যে অনুভুতি হবে সেটা নষ্ট করে দিবে মনীষা।

            ডিসিসানটা কি ঠিক ছিল? জানি না? আমি মারদাংগা/থ্রিলার ছবি পছন্দ করি। কিন্তু ক্র্যামার আমি অনেক বার দেখেছি, দেখতে পারব আরও অনেকবার, কোন আপত্তি ছাড়াই।


            পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

            জবাব দিন
  7. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    চিলড্রেন অফ হেভেন
    সিনেমা প্যারাডিসো
    once
    ইন্টু দ্য ওয়াইল্ড
    সিন্ডারেলা স্টোরি
    ব্লেড রানার
    রং দে বাসন্তি
    হীরক রাজার দেশে
    রোমান হলিডে
    ক্যাসিনো
    once upon a time in america
    প্রেস্টিজ
    ডার্ক নাইট
    ডাউনফল
    এরিন ব্রকোভিচ
    নোবডি নো'স
    ইট হ্যাপেন্ড ওয়ান নাইট
    লাইফ ইজ বিউটিফুল
    মোটরসাইকেল ডায়রিস
    হোটেল রুয়ান্ডা
    লাস্ট কিং অফ স্কটল্যান্ড
    সেভিং প্রাইভেট রায়ান
    টার্মিনাল
    গ্রীন মাইল
    এন ইনকনভেনিয়েন্ট ট্রুথ।
    দ্য কাইট রানার
    The Butterfly Effect
    পারসুইট অফ হ্যাপিনেস
    আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স: এআই
    দ্য রিডার।
    বিফোর সানরাইজ

    দৈবচয়নে গ্রহণ করা। আরও অনেক পছন্দের সিনেমার নাম বাদ্দগেছে নিঃসন্দেহে।

    জবাব দিন
  8. রাব্বি (১৯৯৮-২০০৪)

    আমি এক্তু হতাস, আন্নেরা Once Upon A Time in America রে নিয়া কেউ ত বেসি কিচু কইলেন না, আর ভাইয়ারা Cast Away আমার ভাল লাগসে, দেখা যাইতে পারে।
    বানান ভুলের জন্য মাফ চাই, নতুন নতুন বলে এক্তু চাপে আছি। আর আছে A Beautiful Mind.

    জবাব দিন
    • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

      কাসাব্লাংকা দেখে হয়ত ভাল লাগতে পারে, কিন্তু এটা কেন এত বস, কেন এটার চিত্রনাট্যকে সর্বকালের সেরা চিত্রনাট্য বলা হয়, এউ প্রশ্নগুলার উত্তর পাবেন না বোধহয়। আমি পাই নাই।
      তবে কারণ অবশ্যই আছে। মুভি বোদ্ধারা তো আর এম্নিতেই চিল্লান না!

      জবাব দিন
  9. মান্নান (১৯৯৩-১৯৯৯)

    শওকত ভাই, আপনার লিষ্টে " ইটস আ ওয়ান্ডার ফুল লাইফ" এখনো নাই। এই মুভিটা কি দেখেছেন ?

    খুব ভালো লাগলো 'বিফোর সানসেট', 'বিফোর সানরাইজ' আপনার লিষ্টে দেখে।

    গানস অব নাভারন, হোয়ার ইগলস ডেয়ার মুভিগুলো টান টান উত্তেজনার মুভি। অন্তত এই ক্যাটাগরিতে সেরা।

    এক্সপেরিমেন্টাল মুভির মধ্যে হিচককের 'ট্রাবল উইথ হ্যারি" ভাল লেগেছিল।

    ভিন্নরকম ওয়েস্টার্ন দেখতে চাইলে 'ম্যাভরিক' দেখতে পারেন ।

    জবাব দিন
  10. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    রোমান্টিক কমেডিতে মেগ রায়ানের কোন ছবি নাই...কেম্নে কি???
    ইউ'ভ গট আ মেইল, স্লিপলেস ইন সিয়াটল, ফ্রেঞ্চ কিস,সিটি অব এনজেলস...
    কিংবা সেরেন্ডিপিটি, নটিংহিল, আ ওয়াক ইন দ্যা ক্লাউড...

    দ্যা লাস্ট সামুরাই, আর্মাগেডন আমি যতবার দেখি চোখে পানি চলে আসে...

    ভাল লেগেছে দ্যা ইটালিয়ান জব, ন্যাশনাল ট্রেজার, মাম্মি, ইন্ডিপেনডেন্স ডে, দ্যা এসাসিন, থ্রি মাস্কেটিয়ার্স, বার্ন সিরিজ (ম্যাট ডেমন), ওশান্‌স ইলেভেন ও থার্টিন...নাহ্‌ শেষ হইব না...


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
    • এহসান (৮৯-৯৫)

      ইউ’ভ গট আ মেইল, স্লিপলেস ইন সিয়াটল, সেরেন্ডিপিটি, নটিংহিল, আ ওয়াক ইন দ্যা ক্লাউড…
      আমার দিল্ ছুয়ে গেছে! কিন্তু এখন মনে হয় চিক ফিল্মের বয়সটা পেরিয়ে এসেছি। আবার বলি কিছু সিনেমা আছে বয়স আর পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে মানে কখন, কিভাবে কার সাথে দেখেছিলাম। তাই অনেক ভুয়া সিনেমাও প্রিয় তালিকায় চলে আসে আর সারাজীবন ভাল লাগাটা থেকে যায়।

      জবাব দিন
      • ফয়েজ (৮৭-৯৩)
        কখন, কিভাবে কার সাথে দেখেছিলাম।

        এহসান, তুমি এই কথা বারবার কইতেছে ক্যান? প্যাটের ভিত্রে কিছু বুক বুক করলে কইয়া ফেল না আমাদের, আর কারে কইবা এই কথা তুমি আমরা ছাড়া, 😀


        পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

        জবাব দিন
        • সাইফ (৯৪-০০)

          WALK THE LINE ...........reese wither spoon,joaquin phoenix এর,johny cash এর কাহিনি,যারা walk the line আর ফুলসম প্রিজন গান শুনেছেন...........তারা johny cash কে চিনবেন......।।cristina comencini,italian director er...........dont tell.....psychological dramaদেখতে পারেন.........robert redford,dustin hoffman er .......all the presidents men.......ভাল লাগবে...।christian bale er ...the machinist,the prestige ভালো লাগবে.........the man who loved women.......,remake ta দেখবেন না,১৯৭৭ এর টা দেখবেন...François Truffaut er film..........comedy,romance,drama........
          the legend of fall,malena,run lola run,life is beautiful-------roberto benino,tsotsi,mystic river.shooter,ballad of a soldier,the pianist......roman polanosky er film,ballad of a soldier,cinema paradiso,the terminal,no mans land,bourne identity,supremacy,ultimatum........secret window,nineth gate,perfume,grudge,midnight cowboy,the indecent proposal,generals daughter,i am a legend,in the pursuit of happiness,blodd diamond,gangs of new york,caste away,enemy at the gates,the bicycle thief,rainmaker,mystic river,the bridge on the river kwai,seven,the good shepherd,full metal jacket,B-13,french movie.italian job,hunted,gone in 60 seconds,tears of the sun,15 minutes,irreversible,good will hunting,......

          romantic.......fools rush in,notebook,never been kissed,sweet november,a walk to remember,a walk in the clouds,notting hill,roman holiday,50 first dates
          যেই কয়টা মনে আস্লো সেগুলা দিলাম,আর sobar valo laga ONEK movie er নাম ত ইতিমধ্যেই তালিকা আকারে সবাই প্রকাশ করেছেন,
          শওকত ভাইকে ধন্যবাদ,এই পোস্ট এর মাধ্যমে সবাই অনেকগুলা ভাল মভির নাম পেয়ে গেলাম,আগামি ৬ মাস সবার ঘুম হারাম,

          জবাব দিন
  11. তানভীর (৯৪-০০)

    আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে "সিনেমা পারাদিসো"। এই ছবি বারবার দেখতেও আমার কোন ক্লান্তি নাই।
    আমার আরেকটা প্রিয় ছবি হচ্ছে "বিহাইন্ড দা সান"- একটা ব্রাজিলিয়ান ছবি।
    রোমান্টিক ছবির মধ্যে আমার খুব ভালোলাগার একটা ছবি হচ্ছে সিটি অফ এঞ্জেলস। আসলে প্রিয় সিনেমার নাম লেখা শুরু করলে তালিকা মনে হয় শেষ হতেই চাইবেনা!

    শওকত ভাই, চমৎকার লেখার জন্য আপনাকে :salute: । সরাসরি প্রিয়তে।

    জবাব দিন
    • সামিয়া (৯৯-০৫)

      তানভীর ভাইয়ের প্রোফাইলেঃ

      আমার প্রিয় পোস্টঃ
      o আরো একটি অনু গল্প
      o অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ - ১
      o অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ - ২
      o অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ - ৪
      o অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ - ৫
      o অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ - ৬
      o অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ - ৭
      o অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ -৩
      o আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
      o আবার যুদ্ধ হলে রাজাকার হবো
      o আমার বন্ধুয়া বিহনে
      o আমার বন্ধুয়া বিহনে-২
      o আর্টসফিকশন
      o এই লেখাটা তোর জন্যে
      o একটা রূপকথা
      o একটু শুনবেন গল্পটা
      o একদিন স্বপ্নের দিন
      o কোনদিন আসিবেন বন্ধু
      o গল্পঃ ইঁদুর
      o চুলোচুলি
      o তেসরা জুন
      o না বলে চলে যাওয়া এক প্রিয় মানুষের কথা
      o নিছক তুমি অথবা অনুভূতির সরলরেখা
      o পলেন
      o প্রকৃত অনুভূতির চরিত্র বিষয়ক
      o বন্ধু তোর লাইগা রে ...
      o বিচ্ছেদের পরে...
      o বৃষ্টির জন্য
      o ভালোবাসার রঙ টা সবুজ
      o যে হাসি ঠোঁটেই শুকিয়ে যায়
      o লাল গোলাপ শুধু তার জন্যে
      o শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের প্রতিজ্ঞা
      o শীতের শুরুতে আর বছরের শেষে জমে থাকা কথারা কম্বলের ওম পোহাতে চায়
      o ‘এক্স’ ও ‘ওয়াই’ কেমন বন্ধু???

      আর ;

      সাম্প্রতিক ব্লগসমূহঃ
      o ইহাকে পাওয়া এবং শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ
      o ভালো লাগে

      :khekz: :khekz: :khekz:
      যাই পালাই

      জবাব দিন
  12. মেহেদী হাসান সুমন (৯৫-০১)

    আমার প্রিয় ৫ টি ছিঃনেমা - ৫ টি সিনেমা
    ১ রাঙাবউ
    ২ নীল-নিজনে (রেফ আসে না)
    ৩ চাচ্চু
    ৪ আমেরিকান পাই ১-২-৩-৪-৫
    ৫ হারল্ড এন্ড কুমার ১-২

    ৫ কোড নেম সিরি
    ৪ ফরেষ্ট গাম্প
    ৩ দি পিয়ানিষ্ট
    ২ বিহ্যানড দি এনিমি লাইন
    ১ পারসুট অফ হ্যাপি্নেস

    জবাব দিন
  13. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    আমি মনে হয় সারাজীবন ট্রাই করেও সেরা মুভির তালিকা তৈরি করতে পারবো না, কারন প্রতিবারই নতুন তালিকা তৈরি হতে থাকবে 😛
    হালকা-ভারী যখন যা ভাল লাগে সেটাই দেখি...তবে দেখি বিনোদনের উদ্দেশ্যে।
    হিন্দি মুভি যদিও বেশি দেখা হয়না, তবে রং দে বাসান্তী মুভীটা মনে হয় আমাকে সবচেয়ে বেশি আলোড়িত করেছিল।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  14. মিল্টন (৯৩-৯৯)

    ইংলিশ Cinema যদি বলি তবে হয়তো অনেক নাম আসবে। তবে হিন্দির মধ্যে RANG DE Basanti was trully outstanding. যদি কেউ না দেখে থাকেন... দেখলে ভাল লাগবে। বলিউড definately, deserves credit for making this type of film. মুন্না ভাই MBBS is good too. তবে আমার all time fev. The Shawshank Redemption.

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।