১. ক্লাস সেভেনের ফয়সালের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা হাতঘড়ি সিজ করার পর জুনিয়র প্রিফেক্ট আরাফাত ভাইয়ের মন্তব্য, “ঘড়ি তো ঘোড়া হয়ে গেছে ফয়সাল”।
২. সাইফুল ইসলাম স্যার (বাংলা) কক্ষনও ইংরেজি শব্দ উচ্চারণ করতেন না। অহর্ণিশ আমরা যেসব ইংরেজি শব্দ বাংলায় ব্যবহার করি উনি তাও করতেন না। যেমন:
“আমাকে একটা লৌহ গোলকযুক্ত কলম (বলপেন) দাও তো”।
“অন্ধকার হয়ে আসছে, লাঠিবাতিটা (টিউব লাইট) জ্বালাও”।
একবার কুমিল্লার অফিসার্স মেসে কোন একটা অনুষ্ঠানে অ্যাটেন্ড করে তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন, “আচ্ছা মামুন, আমি যদি জল বিয়োগ করার ইচ্ছা পোষণ করি তবে কোন পথ অনুসরণ করব”?
৩. একদিন হঠাৎ ক্লাস টাইমের নৈঃশব্দ খান খান করে ভেঙ্গে পড়ল করিডোরে গণিত স্যারের চিৎকার আর হ্যান্ডস ডাউনরত কারও একজনের পশ্চাৎদেশে ঠাশ ঠাশ করে ডাস্টারের বাড়ির শব্দে। কি হল? কি হল? ঘটনা আর কিছুই না, অপরাধী আইনস্টাইনের সূত্র ভুল প্রমাণ করার মতোন বিশাল কাজ করে পাক্ষিক পরীক্ষার মত একটা ক্ষুদ্র ব্যাপারে ফেল করেছে।
৪. ক্যাডেটদের উপর মাঝে মাঝে ইংরেজিতে কথা বলার বাধ্যবাধকতা খুব করে চেপে বসত। আর ছোট ক্লাসের ক্যাডেটদের জন্য সব বাংলা শব্দের ইংরেজি খুঁজে পাওয়াও এক মহা কষ্টকর ব্যাপার। কেন মারামারি করেছে – ক্লাস সেভেনের দুইজনকে এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হলে উত্তর এল এরকম, “স্যার, এ্যাট ফাস্ট হি কিলড্ (পিঠের উপর কিল) মি দেন আই কিলড্ হিম”।
৫. শোনা গল্প: ক্লাস সেভেনের একজন খুব ভাব নিয়ে ক্লাসমেটকে বলছে, “জানিস, এ্যাসেম্বলিতে প্রিন্সিপাল ইংরেজিতে যা যা বলে আমি সব বুঝি”।
ক্লাসমেট অবাক, “ক্যামনে বুঝিস”?
“খুব সহজ। যখন প্রিন্সিপাল তার কথার মধ্যে বলে ‘ডিসিপ্লিন’ তার মানে হোল ডিসিপ্লিন ঠিক রাখতে হবে। কলেজের নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে, দুষ্টামি করা যাবে না। তা না হলে শাস্তি দেয়া হবে। যদি স্যারের কথার মধ্যে ‘স্টাডি’ থাকে তাহলে মানে হোল ভালো করে লেখাপড়া করতে হবে। ‘এক্সামিনেশন’ বলার মানে হোল সামনে পরীক্ষা আছে, বেশি বেশি লেখাপড়া করতে হবে। ফেল করলে খবর আছে। ‘কম্পিটিশন’ মানে হলো সামনে ইন্টার হাউস অথবা ইন্টার ক্যাডেট কলেজ কম্পিটিশন আছে, সেখানে পার্টিসিপেট করতে হবে। ‘ইন্সপেকশন’ মানে গতটা ভালো হয়নি আর সামনেরটা যেন ভালো হয়। ‘ভ্যাকেশন’ মানে সামনে ছুটি আছে। ছুটিতে যেয়ে ভালো করে লেখাপড়া করতে হবে।
এইগুলো ছাড়া আর কিইবা বলবে বল?
৬. টয়লেটের দরজায় একদিন সাইন পেনে লেখা একটা লাইন দেখা গেল এরকম,
“কিছু ফালাইয়া গেলেন কি”?
পরদিন কোন এক রসিক জনের হাতে সেই লেখাটার খানিকটা মুছে যেয়ে হয়ে গেল,
“কিছু ..লইয়া গেলেন কি”?
তার পরের দিন আবার আরেক লাইনের আবির্ভাব,
“ফালাইতে আইছি। লমু ক্যান”?
ভাইয়া, ব্লগ লেখার সময় দয়া করে ওয়ার্ড প্রেস এডিটর কিংবা উইন্ডোজ এক্সপিতে নোট প্যাড ব্যবহার করুন। এম এস ওয়ার্ড বা অন্য কোথাও ব্লগ লিখে যদি এখানে সরাসরি কপি পেস্ট করেন তাহলে প্রচুর অনাকাংক্ষিত ট্যাগ যুক্ত হয়। আপনি একটা লেখা সরাসরি এম এস ওয়ার্ড থেকে এডিটরে পেস্ট করে নিজেই html মোডে গিয়ে ব্যাপারটা চেক করে দেখতে পারেন।ফলে হয় কি, এই অনাকাংক্ষিত ট্যাগগুলোর এক্সিকিউশনের খপ্পরে পড়ে হোমপেজের এবং নির্দিষ্ট পোস্টটির সাইডবার গায়েব হয়ে যায় । 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
অই জিহাদ, সিক রিপোর্ট করছি তো...
দেখো না একটু...
তথাস্তু :boss:
থ্যাংকস বাডি 🙂
Life is Mad.
সায়েদ ভাই
এইটা কি লিখলেন? হাসতে হাসতে জ্বর উইঠা গেলো।
অফ টপিকঃ
জিহাদ শয়তানটার জন্য, কোনদিন সবার আগে কমেন্ট করতে পারিনা। সারাদিন ব্লগে বইসা থাকে।
x-( হেইডা তো বুঝলাম মাগার আফনের নয়া সিরিজ কই?
সায়েদ ভাই, লিখা পুরা মাখানি হইছে।চালায় যান গুরু আমরা আছি আপ্নার লগে... 😀
আমরা পি কে পাল স্যার এর কাছে বিভিন্ন খেলার বাংলা নাম শিখেছিলাম-
ফুটবল= পদগোলক
বাস্কেটবল= ঝুড়িগোলক
ক্রিকেট= গদাগোলক
তবে সবচেয়ে মজার ছিল হকি'র নাম
অগ্র বক্র দন্ড গোলক :))
=)) =)) =))
:))
সায়েদ ভাই, গুল্লি হইছে পুরা.........ঠা ঠা ঠা.........
=)) =)) =))
সিরাজ
তোর পুরা কমেন্টই কোটেশনের ভিতরে চলে যাচ্ছে। যেটুকু কোট করবি শুধু ওইটুকু কপি-পেস্ট করে, সিলেক্ট করে উদ্বৃতিতে ক্লিক কর।
বাকি কথা ওইটার পরে লেখ।
বস,জটিল ও কঠিন ............।আমরা হাসতে চাই,.. =)) =)) ..........স্টক থাইক্যা আরো বের করতে থাকেন..................।। :boss:
হলো নাকি.........
আমাদের একাডেমি ভবনের টয়লেটেও এইরকম লিখা ছিল।
সামনের দরজায় লিখাঃ একটু ডাইনে তাকা, একটা মজার জিনিস আছে ডাইনে।
ডাইনের দেয়ালে লিখাঃ বামে তাকা, মজার জিনিসটা ডাইনে না বামে।
বামের দেয়ালে লিখাঃ কষ্টকরে পিছনে তাকা, মজার জিনিসটা পিছনে।
পিছনের দেয়ালে লিখাঃ এত তাকাতাকি করতেছিস কেন? টয়লেটে যা করতে আসছিস তা কর। চারিদিকে এত তাকাতাকি ভাল না।
=)) =)) =))
উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা না করে পারছিনা। :))
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
হুমমমমমম...।
সায়েদ...জটিল হইছে...। এক্কেবারে টুশকী টাইপের...।
By the way টুশকী মানে কি? 🙁
আহসান ভাই
থ্যাংকস।
মাফ চাই - 'টুশকি' মানে জানি না।
আগের আর্টিকেলটা কম্পোজ করার পর নাম কি দেব ভেবে আকুল হচ্ছিলাম। একবার মনে হল দেই "টুকিটাকি"। আবার মনে হল "টুকটাক" মন্দ না। আবার ফুলটোকা বা এই ধরনের একটা শিশুতোষ খেলায় "টুকি" বলে একটা শব্দ আছে যেটা মাথায় খুব করে খেলে যাচ্ছিল। তো এই 'টু'এর পাল্লায় পড়ে নাম দিয়ে দিলাম "টুশকি"।
আর এরকম টুনি টুনি স্মৃতিকথার জন্য নামটা মনে হয় একেবারে বেমানান না - কি বলেন?
Life is Mad.
🙁 ... 🙂 ... 😀 ... :)) ... =)) ...
=)) =)) =)) =))