– বুঝলা, যতদিন জুনিয়র আছো কখনো মাথা উঁচু করে হাঁটবানা। সবসময় মাথা নিচু। লুকডাউন পজিশন।
লকারের উপরের তাকে কাপড় গুছিয়ে দিতে দিতে ফাহিম ভাই কথাগুলো আমাকে বললেন।
– জ্বী আচ্ছা।
– তোমাকে না একটু আগে বললাম সিনিয়রের সাথে যে কোন কিছু বলার আগে কাইন্ডলি বলতে হবে।
ফাহিম ভাইয়ের কন্ঠে হালকা অসন্তোষের ছাপ। আমি মুখ কাঁচুমাচু করে ফেলি।
শুকনো গলায় বললাম – কাইন্ডলি জ্বী।
কলেজে সেদিনই মাত্র এসেছি। একাডেমী ব্লক থেকে ফাহিম ভাই আমাকে রিসিভ করে হাউসে নিয়ে এসে সব কিছু গুছিয়ে দিতে দিতেই কলেজে সারভাইভ করার প্রথম পাঠ শিক্ষা দিচ্ছিলেন। আমিও ছেলে হিসেবে বেশ বাধ্যগত টাইপের। সিনিয়রদের সাথে তো বটেই। ফাহিম ভাইয়ের কথাগুলো তাই মাথায় গেঁথে নেবার চেষ্টা করি… অলওয়েজ লুক ডাউন । মুখ খুললেই কাইন্ডলি জ্বী। হাউসের কাজ শেষে ফাহিম ভাইয়ের সাথে আবার একাডেমি ব্লকের দিকে পা বাড়াই। আমার প্যারেণ্টস সেখানে অপেক্ষা করছে। রুম থেকে বের হয়ে এবার আর ভুল করিনা। চিবুকটা একেবারে বুকে এসে ঠেঁকে। আমার দুনিয়ার আর কিছু দেখার দরকার নেই। কিছু জানার দরকার নেই। আমি আমার চারপাশটা এড়িয়ে শুধু পায়ের সামনের পথটুকু বুঝে বুঝে লুক ডাউন হয়ে হাঁটতে থাকি। পরবর্তী সাত দিনও তার ব্যত্যয় ঘটেনা। সময়ের কাঁটা থেমে থাকা সেই সাতটি দিনও কেমন কেমন করে যেন একসময় শেষ হয়ে যায়। ক্যাডেট লাইফের প্রথম ছুটিতে বাসায় গেলাম।
দুনিয়ার আর সব ভাল জিনিসের মত একুশ দিনের বড়সড় ছুটিটাও চোখের পলক ফেলার আগেই একসময় দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেল। ছুটি শেষে বাসা থেকে ফিরে আসার পর হাউসের পাশের রাস্তা দিয়ে যাবার সময় মনের ভুলে লুকডাউন না হয়ে ডানে তাকালাম। ভুলে যাবার জন্য একুশ দিন কম সময়তো নয়। এবং ডানে তাকিয়ে আমি বেশ বড় সড় সাইজের একটা ধাক্কা খেলাম। এত বিশাল একটা সবুজ ঘাসে মোড়া মাঠ আমাদের কলেজে আছে সেটা আমি সেই সাত দিন কলেজে থেকে একটুও টের পাইনি!!
কথাটা ফাহিম ভাই কোনদিন শুনে থাকলে নিশ্চিত ভাবেই খুশি হবেন। তার ফলোয়ার কেমন অক্ষরে অক্ষরে তার শেখানো নিয়মগুলো মেনে চলেছিল ভেবে। আর বাকি সবাই যে আমাকে বেকুব ভেবে মনে মনে হাসাহাসি শুরু করে দিয়েছেন সেটাও নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
সেই সাতটা দিনেই কেবল প্রথম এবং শেষবারের মত মাঠটাকে না দেখে থাকা। মাঠ নিয়ে সেদিনের সেই বিস্ময়বোধের জায়গাটুকু পরবর্তী ছয় বছরে কেবল ভালোবাসা দিয়ে পূর্ণ হয়েছে। সেভেনে থাকতে নভিসেস ড্রীল করতে করতে চোখে মুখে অনেক যন্ত্রণা নিয়ে মাঠটার দিকে তাকিয়ে থাকতাম। সিনিয়র ক্লাসগুলো কি মজায়ই না গেমস করছে! আর ভাবতাম কবে নভীস থেকে পুরোপুরি ক্যাডেট হবো আর স্টাফের পশ্চাৎদেশে লাথি মারার চিন্তা বাদ দিয়ে ফুটবলের গায়ে লাথি মারতে পারবো। কষ্টকর সময়গুলো খুব দীর্ঘ হয়। কিন্তু সৌভাগ্যের কথা যে তা একসময় শেষও হয়। নভিসেস ড্রিল শেষ করে একসময় পুরোদস্তুর ক্যাডেট হলাম। আমাদের প্রতি সিনিয়রের মনোভাবে যদিও তেমন কোন পরিবর্তন আসেনি। কিন্তু তাতে কি। তখন আমরা আর সবার মত সকালে উঠে পি টি করি। লেফট রাইটের ঝামেলা চুকিয়ে সাত পিরিয়ড ক্লাস করি। আর হ্যা… বিকেল বেলা গেমস আওয়ারে একটা ফুটবল এর পেছনে ব্যাচের তিপ্পান্ন জন মিলে দৌড়াদৌড়ি করি। আমরা এখন অন্যদের চে আলাদা কেউ নই।
সেই তখন থেকেই বিকেল বেলার গেমস আওয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে করতে আমার প্রতিটি দিনের শুরু হতো। ক্লাস টুয়েলভে ঊঠতে উঠতে অনেক কিছুই বদলে গেছে। বদলায়নি শুধু অপেক্ষার বিষয়টি। সবসময় শুধু ছটফট করতাম গেমস আওয়ার কখন আসবে।
ক্লাস টেন পর্যন্ত গেমস আওয়ারের আগে তখন “ফার্স্ট প্রেপ” নামের একটা বস্তু পার করতে হত। আমার মনে হয় দুনিয়ার বোরিং জিনিসগুলোর টপ চার্ট করা হলে এই জিনিসটা আর সবকিছুকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে ফার্স্ট প্লেস দখল করে নিবে। ক্লাস এইটে এসে সেটাকেও আমরা রীতিমত এক্সাইটমেন্টে কনভার্ট করি আমি আর ইকবাল মিলে। ইকবাল আর আমার পাশাপাশি ডেস্ক ছিল। আমাদের ফার্স্ট প্রেপের পুরো সময়টুকু কাটতো গেমস আওয়ারে যার যার ফুটবল টিমের জন্য প্লেয়ার সিলেকশন আর স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে করতে। আমরা দুজন প্রেপ গার্ডের কাছ থেকে অনুমতি নিতাম ক্লাসমেটের কাছ থেকে পড়া বুঝে নেয়ার কথা বলে। আর তারপর সবার ডেস্কে ডেস্কে ঘুরতাম কার দল কত ভাল সেটা বুঝিয়ে ভালো প্লেয়ারগুলোকে ভুলিয়ে ভালিয়ে হাত করার ধান্দায়। মাঝে মাঝে বুঝানোর মাত্রা বোধহয় একটু বেশিই জোরে হয়ে যেত। ফলাফল হিসেবে তখন কেউ করিডোরে উঁকি মারলে মেরুন রঙ করা ডাস্টবিনের পাশাপাশি হ্যান্ডস ডাউন অবস্থায় আমাদের দুজনকেও আবিস্কার করতো।
ক্লাস নাইনে উঠে ফুটবল নিয়ে আমাদের মধ্যে নতুন ক্রেজের শুরু। আমরা ক্লাবের নাম নিয়ে ফুটবল ম্যাচ খেলা শুরু করলাম। আরো নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে ম্যান ইউ ভার্সাস আর্সেনাল। পুরা সেইরকম ব্যাপার স্যাপার। তখন আর শুধু ফার্স্ট প্রেপেও কুলায় না। ঐ সময়টুকু যায় যার যার টীমের রণ কৌশল ঠিক করতে করতে। আর ইভনিং প্রেপ, নাইট প্রেপ যায় খেলা পরবর্তী উত্তেজনার রেশ সামলাতে সামলাতে। হারু পার্টিকে টীজ করতেও আমরা আমাদের পড়াশুনার সময়ের একটা বড় অংশ ব্যয় করি। ইট ইজ অলসো আ পার্ট অফ ট্রেইনিং!! সে এক কঠিন অবস্থা।
কলেজের বাকি সময়টুকুতেও খেলা নিয়েই মেতে থাকা হয়েছে বেশিরভাগ সময়। পড়াশুনা জিনিসটাকে কোনদিনই তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু হিসেবে ভেবে দেখা হয়নি। সবুজ মলাটে বাঁধাই করা শাহজাহান তপনের ফিজিক্স বইয়ের চেয়ে সবুজ ঘাসে মোড়া মাঠটার ভাষা আমি সবসময়ই ভাল বুঝতে পারতাম। বুকের একেবারে গভীরে কোথাও টান অনুভব করতাম। অপশনাল গেমসের দিনে কাঠফাটা রোদ দেখেও কখনো দুই বার চিন্তা করা হয়নি মাঠে নামবো কীনা। আর বেশির ভাগ সময়ই ফুটবল নিয়েই মেতে থাকা হতো। আমাদের ব্যাচটাকে ফুটবল ফ্রিক বললে বোধহয় খুব বেশি বলা হবেনা।
ক্লাস টুয়েলভে যখন কলেজকে শেষবারের মত বিদায় জানিয়ে ছুটিতে চলে আসার সময় হল আমার মনটা ভীষণ খারাপ থাকতো। যতটা না কলেজকে ছেড়ে যাবার কথা ভেবে তার চে বেশি আমার অতি অতি প্রিয় মাঠটাকে রেখে চলে যেতে হবে এটা ভেবে। বিকেল বেলা গেমস আওয়ার শেষে মাগরিব প্রেয়ারের জন্য রেডি হয়ে মাঠের পাশে কংক্রীটের বেঞ্চে বসে থাকতাম চুপচাপ। আমার ভালোবাসার মাঠটাকে সামনে রেখে। আমার তখন ক্লাস সেভেনের প্রথম সাতটা দিনের কথা মনে পড়তো। যে সাতটা দিন আমি এই মাঠকে না দেখেই কেমন অনায়াসে পার করে দিয়েছিলাম। মনে হতো পুরো ছয়টা বছরই যদি ভালোবাসার মাঠটাকে এভাবে চোখের আড়ালে রেখে পার করে দিতে পারতাম। চলে যাবার আগে তাহলে এতটা কষ্ট পেতে হতোনা।
সত্যি বলছি, অনেক কষ্ট হতো। এখনো হয়। সত্যিকারের ভালোবাসার অনুভূতিগুলো সবসময়ই বুঝি অনেক কষ্টের হয় …
ওয়াও। অনেক ভালো লাগলো পড়ে।
ঠ্যাঙ্কু
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
জিহাদ কে কথা দিয়েছিলাম বাংলায় মন্তব্য করব।কথা রাখছি।এই মাঠ এ আমার অনেক মজার স্মৃতি আছে।২০০১ এ ICCAM এ গিয়েছিলাম।আমি আর সিলেটের রেযা আক্তা গাছের তলায় বসে অনেক গুলো adult jokes ভাগাভাগি করেছিলাম।মনে পড়ে যায়া তাদের কয়েকটা...।
ভাই খালি বাংলায় মন্তব্য করলেই শুধু হবে? ডিসপ্লে নেমটা যে এখনো ইংরেজীতে 😕
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
কোথায় যেন একবার পড়েছিলাম ‘ভালো লেখক রা পথ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় অন্যদের উচিত সরে গিয়ে তাঁকে জায়গা করে দেওয়া।’
জিহাদ, আমি সরে দাঁড়ালাম। তুমি সামনে এগিয়ে যাও।
ভাই কি যে কন। একটু বেশিই হইয়া গেল মনে হয়। :>
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
জিহাদ ভাই,
আপনি কি জানেন আপনার লেখা পড়তে আমার বড়ই ভাল্লাগে। কি সুন্দর ছুটে চলা গদ্য আপনার।
ইতি,
আপনার আদরের ভাত্র।
তোরে কোনদিন আদর করছি বলে তো মনে পড়েনা ;))
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
খুব ভাল লাগল লেখাটা পড়ে। অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া স্মৃতি গুলো চোখের সামনে ভেসে উঠছে।
আমার কলেজ বরিশাল। তবু সবুজ মাঠটা দেখে নস্টালজিক হয়ে গেলাম।
আমার সবচেয়ে অচেনা মনে হত ডাইনিং হলকে। ক্লাস এইটে উঠার আগে কখনও বুঝিনি ডাইনং হলটা এতো বড় আর সুন্দর। কারণ নর্মাল, ক্লাস এইটেই প্রথম অ্যাঙ্গেল মারা শুরু করেছি।
লেখাটা খুব ভাল লাগল।
কথা সত্যি। এই ব্যাপারটা আমার ক্ষেত্রেও খাটে...
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
"আমিও ছেলে হিসেবে বেশ বাধ্যগত টাইপের.."........ ডাহা মিথ্যা কথা।
জিহাদ... চমত্কার একটা লেখা। ভেরি গুড।
আমিও রাস্তা ছেড়ে দিলাম।
হায়রে! প্রথমে শুরু করসিলো হাঁসের বাচ্চা। এখন তার পিছে পিছে বাকি সবাইও আমার পিছে লাগছে। খালি পঁচায় আমারে। আমি এখন যাই কই 🙁
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
এই ব্লগের লিখাগুলা পড়তে গিয়ে একটা কথা বারবার ঘুরেফিরে আসে, ক্যাডেটের ফিলিংস গুলা সব এক হয়ে যায় কেমনে?
আমার মাঠে কংক্রীটের বেঞ্চ ছিলো না, মাঠের সামনে ছিলো তিন হাউসের রঙ করা তিনটা শিকল। চলে আসার আগে আমি সেই শিকলে দুলতে দুলতে মাঠের দিকে তাকিয়ে থাকতাম, আমার ভালোবাসার মাঠ।
মাঠটার সাথে আমার অনেক অনেক অনেক স্মৃতি...
লেখা খুব সুন্দর হয়েছে, খুব খুব সুন্দর হয়েছে।
সব ক্যাডেট কলেজেই এরকম করে একটা মাঠ থাকে। আর যেহেতু ক্যাডেট কলেজ গুলোর স্ট্রাকচারাল ডিজাইনটা প্রায় একইরকম হয়। তাই এটা সত্যি সবার-ই জিহাদের এই মাঠের ছবিটা দেখে নিজের কলেজের মাঠটা চোখে ভাসবে! আর লেখাটাও মন ছুঁয়ে গেল!
ক্লাস সেভেন-এ আমাকেও আমার গাইড আপা প্রথম দিন বিকেলেই আমার লকার গোছাতে গোছাতে বলছিল-"সবসময় সিনিয়রদের সাথে কথা বলার সময় 'জ্বী আপা' বলবা। গায়ের সাথে টাচ্ লাগলে 'স্যরি আপা' বলে সালাম করার ভঙ্গিতে হাতটা বুকে ছুঁয়ে ঠোঁটে ছোঁয়াবা।"
সেটা ছিলো কলেজে শেখা আমার প্রথম ছবক্! এরপর তো আর কত কি হল...
ক্লাসস সেভেনরা আমাদের কলেজে থাকে ফার্স্ট ব্লকে। যেখান থেকে এই সবুজ মাঠটা দেখা যায় সরাসরি। এমন কত যে রাত গেছে আমার। ক্লাস সেভেনে। আমার জানালাটার গ্রীল ধরে কেঁদে কেঁদে পার করছি সারাটা রাত। এই মাঠের দিকে তাকিয়ে। পরে টুয়েল্ভে উঠে ঐ মাঠেই ।কত হেঁটে হেঁটে কাটাতাম সময়। কলেজ ছেড়ে আসার আগে আগে। লেখা তো আছেই। সবুজ মাঠের এত সুন্দর দুটো ছবি দেবার জন্য,জিহাদ কে ধন্যবাদ!
ধন্যবাদ গৃহীত হলো!!
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
জিহাদ,অসাধারণ রচনাশৈলীতে এত সাবলীল ভাবে লিখেছ যে আমি তোমার ভক্ত হয়ে গেলাম।জ়াফর ইকবাল স্যার রা এই অনুভূতির কথা কখনও বুঝবেন না,শাকুর মজিদ ভাই এর লিখায় আছে.........ক্যাডেট কলেজের প্রতিটি ধুলি কণার কাছে আমারা ঋণী.........প্রতিটি ঘাস এ মিশে আছে আমাদের বেড়ে ওঠা,ভাল লাগা,ভালবাসা,সহমর্মিতা......সেই শাল বন বিহার,লালমাই পাহাড়.........বন্ধুদের ভালবাসা,স্যারদের শাস ন,ভালবাসা,সিনিয়রদের উতসাহ,খবরদারি,ভালবাসা,co -curricular,extra curricular activities,অনেক কঠীণ সমস্যায় সহপাঠীদের মিলিত সিদ্ধান্ত, কখনোবা নিজের একক সিদ্ধান্ত ............।এসবই একেক্টা ক্যাডেটকে অনেক বড়ো করে গড়ে তুলেছে............দিয়েছে সময়ের সাথে পরিপূর্ন মানসিক বিকাশ আর দূরদর্শিতা ............এই ব্যাপারগুলি তথাকথিত বুদ্ধি ব্যবসায়িরা ,নিন্দুক রা কখনও বুঝবে না, ওরা বুঝে ওদের কলম যত বেশি চলে তত বেশি টাকা আসবে
বেস্ট লাইন অফ দা ব্লগঃ
"সবুজ মলাটে বাঁধাই করা শাহজাহান তপনের ফিজিক্স বইয়ের চেয়ে সবুজ ঘাসে মোড়া মাঠটার ভাষা আমি সবসময়ই ভাল বুঝতে পারতাম।"
চরম...চরম...চরম...অতি চরম...!!!
িজহাদ এর েলখা খুবই ভাল হেয়েছ । আর েলখা expect করিছ ।
অসাধারণ !
গেমস টাইমে পলাইয়া গিয়া রুমে ঘুমাইতেই বেশি ভাল লাগতো। তবে অপশনাল গেমসের সময় ঠিকই নাইমা যাইতাম বাঁশখেটভল খেলতে...
দারুন লাগলো পড়ে।
সরে দাঁড়ানোর লাইনে নাম লেখালাম।
www.tareqnurulhasan.com
লেখাটা পড়ে মনে হল আমার জীবনে কাহিনী কেউ একজন হুবহু লিখে ফেলেছে যার প্রতিটি লাইনই আমার জীবন থেকে নেয়া..... কলেজের মাঠের প্রতিটা সেন্টিমিটার আমি যেভাবে মিস করি, আর অন্য কিছুকে ওভাবে মিস করা হয়ে ওঠেনা। ধন্যবাদ জিহাদ, এত সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলার জন্য। অসম্ভব সুন্দর হয়েছে।
শামস ভাই
আপনার ফিজিক্স বইয়েরও কি মলাট সবুজ ছিল নাকি?? ;;)
ছিল, তবে শাহজাহান তপনের না, তোফাজ্জল হোসেনের।:D
ধরা খাইয়া গেসি। বুঝেনই তো , কত মনযোগী ছাত্র ছিলাম। 😀
লেখাটা ব্লগে দেবার পরেই ব্যাপারটা মনে হইসিল। কিন্তু পরে আর আলসেমির জন্যে চেঞ্জ করে দেয়া হয়নাই...
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
হা হা হা... ব্যাপারনা। মাঠের রঙ যে সবুজ ছিল এইটাই বড় ব্যাপার.. 😀
Zihad.....tui etto bhalo kemne likhish??
বলবোনা!! ;))
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
এই কি সেই বর্ষা??
😕
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আবার জিংগায়....
হে হে হে আবার জিগস!!
জিহাদ, ভালো লাগলো। দারুণ লিখ। নস্টালিজক হয়ে পড়েছি। শুভ কামনা তোমার জন্য।
সবার এত সুন্দর সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। বলতে দ্বিধা নেই, এরকম কমেন্ট পড়লে যে কারোরই ভাল লাগবে। আমারও অনেক ভাল লাগলো। উৎসাহও পেলাম অনেক।
সবার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা। 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
অসাধারন লেখা। খুব ভাল লাগছে লেখাটা পড়ে।
নতুন পোস্ট কই! 🙂
ফুটবল খেলা নিয়ে দল ভাগাভাগি আমাদের সময় ও অনেক হইসে! 😀 প্রথম প্রথম সাদামাটা এ-ফর্ম ভার্সেস বি-ফর্ম। বেশি সুবিধা হতো না। :(( কারণ বেশিরভাগ তারকা প্লেয়ারগুলি এ-ফর্মে। আমরা হারতে হারতে বোরড হয়ে গেলাম......ওরা জিততে জিততে বোরড হয়ে গেলো :shy: । তার পর শুরু হলো আর্জেন্টিনা ভার্সেস ব্রাজিল। এর পর মোহামেডান ভার্সেস আবাহনী। ঢাকা ভার্সেস রেস্ট অব ঢাকা। পাকিস্তান ভার্সেস ইন্ডিয়া (ফুটবলের গ্রুপিং ক্রিকেট দিয়ে! 😮 )। এমনকি অডড ভার্সেস ইভেন ক্যাডেট নাম্বারও!! :))
এইগুলান আমাদের ব্যাচেও কম হয়নাই 😀
একবার মনে হয় হইসিল বাপের বড় পোলা আর বাপের ছোট পোলার মধ্যে :))
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আমাগো পুলাপাইনের কোন কলেজে শুনছি আরেকটা ইস্পিশাল গ্রুপিং ছিলো।হাজাম পার্টি বনাম ডাক্তার পার্টি...(যাদের সুন্নাত ডাক্তারদের কাছে হইসে বনাম যাদেরটা হাজামের হাতে...)
ক্যাডেট রে...তুই এমন কেন বাজি??? :)) :))
চমৎকার লাগলো।
তোমার লেখা খুব সাবলীল ভাইয়া।
অনেক ভাল লাগলো।
ছবির দিকে তাকিয়ে ছিলাম অনেকক্ষন।
সোহরাওয়ার্দি হাউসের সামনে মানে ড্রিল গ্রাউন্ডের কাছে দাঁড়িয়ে তোলা না ছবিটা ?
ভালোবাসার রং আর গেমস নিয়ে কিছু কথা আছে।
সময় করে একদিন পাড়তে হবে...
ভাল থেকো।
সৈয়দ সাফী
হ্যা। সোহরাওয়ার্দী হাউসের সামনের লন থেকে তোলা।
এই ছবিগুলা আমি নেট থেকে পাইসি। অনেক সিনিয়র ব্যাচের একজন বড় ভাই তার ফটোশেয়ারিং এ দিয়ে রাখসে। আমি গুগল করে খোঁজ পাইসিলাম। 🙂
লেখা ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
মনটা বিষন্ন করে দিলা ভাই । এই মাঠ আমার বড় প্রিয় বড় ভালোবাসার। মাঠ আমাকে মনে না রাখুক আমি মাঠকে আমি ভুলব না কখনও।
বারো মাস ফুটবল খেলে এমন ক্যাডেট ছিলাম আমি।তাই আরো নস্টালজিক হয়ে গেলাম।ফুটবল মাঠের অনেক স্মৃতি একে একে ভীড় জমাচ্ছে মনে।
ছবিটা চমৎকার হয়েছে জিহাদ। অনেক ধন্যবাদ তোমাকে এমন একটা সুন্দর পোস্টের জন্য।
ধন্যবাদ আমিন ভাই। সত্যিই, মাঠটার মত করে ক্যাডেট কলেজের আর কিছুকে এত বেশি মিস করা হয়না।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
এইজন্য আমি বারবার তোমাদের বলি, "সবুজ রে ভাই সবুজ রঙ হইলো গিয়া সবুজ, হাল্কা টিয়া সবুজ"
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
গ্রীন গ্রীন আপ আপ :thumbup: :thumbup:
অনেকদিন ধরে আমার প্রিয় লেখার তালিকায় থাকা এই লেখাটায় আমার কোন মন্তব্য ছিল না এতদিন!!
অসম্ভব সুন্দর একটা লেখা জিহাদ, তোমার এরকম লেখাগুলা মিস করি।
ইসসস...আরেকবারের জন্য যদি ফিরে যেতে পারতাম কলেজ লাইফে...আসলেই অনেক স্মৃতি সবুজ মাঠ টার সাথে..
...এক্কেরে হাছা কথা।
ফয়েজ ভাই, তানভীর ভাই, নাবিলা - সবাইরেই ধন্যবাদ!
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
😀
ছেলেবেলাটা কেতেছে (ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হবার আগে) মফস্বল শহরে। তাই খেলার মাঠের অভাব আমি প্রথম হাড়ে হাড়ে টের পাই HSC'র পর, যে সময়টা ক্যাডেটরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলর ভর্তি যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য বহুবিধ কোচিং এ ভর্তি হয়। প্রথম কিছুদিন বহু কষ্টে কাটে। কিন্তু একটা সময় ঐ কষ্ট একেবারে অসহনীয় মনে হয়। কোচিং থেকে বাসায় যাবার পথে স্টেডিয়াম......... গেট খলা দেখলেই ঢুকে যাই একটু খেলার জন্য। কিন্তু স্টেডিয়ামের সবুজ প্রান্তর যে আমাদের মত সাধারণ মানুষের জন্য নয়......... একদিনের ঘটনা...........................
বরাবর মত কোচিং শেষে বাসায় ফিরছি। ওসমানী উদ্দানের পাস দিয়ে যাবার সময় দেখালাম বেশ কিছু ছেলে সেখানে ক্রিকেট খেলছে...... কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে তাদের খেলা দেখালাম......... একসময় ফিল্ডার এর ব্যর্থতায় বল আমার দিকে এল। আমি বল ফেরত দিতে যেয়ে তাদের একজনকে বললাম "ভাই আমাকে তমাদের সাথে খেলেতে নেবে?" তারা তাদের নেতাকে জিজ্ঞেস করল। জানিনা সেই ছেলেটি আমার চোখে কি দেখেছিল, তারা আমাকে খেলার মাঝ থেকেই খেলতে নিল। অনেকক্ষণ অদের সাথে খেললাম। বহুদিন পর মনে হল নিঃশ্বাস নিতে পারলাম।
কলেজে কোন দিন মনেই হয়নি মাঠের জন্য এমন ভাবে কখনো ছটফট করতে হবে। আজো আমি আমার কলেজের মাঠের অভাব তিব্র ভাবে অনুভব করি।