রাজিব ভাই একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি ।কুরআন এর আয়াত যদি মানুষ সৃষ্টি হতো তাইলে তো মানুষ নিজের সুবিধা মতো সবকিছু সাজিয়ে নিত। তাইলে তো আর ৪০ দিন রোযা রাখার নিয়ম মানুষ বানাত না না খেয়ে থাকতে হবে বলে, কুরবানি, ফেতরা, দান-খয়রাত রাখত না সম্পদ কমে যাবে বলে , প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ এর পরিবর্তে এক অথবা দুই ওয়াক্ত নামাজ রাখত সময় সাশ্রয় করার জন্য ।এই ক্ষেত্রে আপনার মতামত কি?
কিছুদিন আগে কোন এক লেখার আলোচনায় এক ছোটভাই আমাকে উপরোক্ত প্রশ্নটি করে। নিচে তার উত্তর দেবার একটা চেষ্টা করেছি মাত্র। কারো ধর্মবোধে আঘাত দেওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়। তবে যারা অল্পতেই উত্তেজিত হয়ে যান তারা দয়া করে লেখাটি পড়বেন না। আরেকটি অনুরোধ ধর্মের পক্ষে- বিপক্ষে যাই মন্তব্য করতে চান না কেন দয়া করে শালীনতে বজায় রাখুন। একই কারণে আমি খুব বেশি ঘাটাঘাটি করিনি বিষয়গুলোকে নিয়ে।
মুসলিমরা দাবী করে এমনকি কোরআনে আছে যে পূর্বোক্ত কিতাব সমূহে মুহাম্মদের কথা বলে আছে। খুবই ভালো কথা কিন্তু দাবীকৃত সেই কিতাবগুলো কই? সেই সময়ের মুসলিমরা যারা সেইসব কিতাব চাক্ষুষ করেছেন তারা তো অন্তত ১ কপি সংগ্রহ করে রাখতে পারতেন!
আয়েশার চরিত্র নিয়া রটনা হইলে এমন আয়াত নাযিল হয় যে তাতে আর আয়েশার ব্যাপারে কোন সন্দেহের অবকাশ থাকে না। (চার জনের সাক্ষ্য লাগবে) নবী মধু খাওয়া বন্ধ করার সাথে সাথেই আয়াত আসলো খাওয়া যাবে বলে। মারিয়া কিবতীর ঘটনা নবীর স্ত্রী (উমরের মেয়ে) তার অন্য সতীনদের জানালে সবাই যখন নবীর কাছে সত্য জানতে চান তখন তাদেরকে তালাক দেবার হুমকি আয়াত আসে।
আলীর সংগৃহীত কোরানের কপিটি কই?
আর রোযা রাখলে (বোযার মাসে) মুসলিমরা অন্যান্য মাসের চাইতে বেশি খরচ করে এবং বেশি বেশি খায়। মদের মত রোযার সময় স্ত্রী গমন নিষেধ ছিল। কোন কোন সাহাবী বিরত থাকতে না পারলে স্ত্রী গমনের বৈধতা দিয়ে আয়াত আসে। আল্লাহ যখন সর্বজ্ঞানী তাইলে প্রথমেই তো সেইরকম আয়াত আসাটাই যুক্তিযুক্ত ছিল। এই যে নরমপন্থী কথাবার্তা তা কেবল সন্দেহেরই জন্ম দেয়। তবে কেন আল্লাহর পাশে লাত, উজ্জাকে প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করে নেওয়া হলো না। আর রোযার মূল কথা কি? ক্ষুধার কষ্ট, গরীবের কষ্ট অনুধাবন করা। বাংলাদেশের কথাই ধরি। গরিবের কষ্ট বুঝলে আর সেই অনুযায়ী কাজ করলে তো কোনো গরীব থাকার কথা না বাংলাদেশে। আমি যখন রোযা রাখতাম তখন সেহেরি(সাহরী) না খেয়েই রাখতাম। আমার সেইরকম কষ্ট হতো বলে তো মনে পড়েনা।
কুরবানীর সাথে মুসলিমদের সংশ্লিষ্টতার চাইতে ইহুদীদের বেশি। এভাবে ধরে নেওয়াটা অবান্তর হবেনা যে আল আকসাকে কিবলা করা বা রোমানদের বিজয়ে (পারসিকদের উপর) খুশি হওয়াটা যেমন খ্রিস্টানদেরকে খুশি করার জন্য ছিলো তেমনি কুরবানী করার ব্যাপারটাও তেমনি ইহুদিদেরকে খুশি করার জন্য। আমি কুরবানী বা ধালাও ভাবে পশু হত্যার বিরোধী। আমি তাই কুরবানী দেই না। তবে আমার বউ যে দেয় তাতেও বাধা দেই না। আর বাংলাদেশে আমরা যেরকম ভাগে কুরবানী দেই তাতে আদৌ কুরবানী হয় কিনা আমার সন্দেহ রয়েছে।
রণদা প্রসাহ সাহার নাম হয়তো শুনছো (যদিও মুসলিমরা হাজী মুহাম্মদ মহসিনের নামই বেশি জানে)। তিনি কি আল্লহর হুকুমে দান-ধ্যান করতেন? আমি ব্যাক্তিগতভাবে খুবই কৃপণ স্বভাবের। ৭ বছর আগে একটা ভারী জ্যাকেট কিনছিলাম ওইটা এখনো ব্যাবহার করি। অথচ কিছুদিন আগে বউ দেশে গেলে সে সাথে নিয়া গেছে ১০০ কেজি মাল; যার মধ্যে ৮৫ কেজির উপর ছিলো আত্মীয়স্বজন আর বন্ধুদের জন্য উপহার। এটাই শেষ নয় সে দেশে থাকাকালীন আরো ৪০০ পাউন্ড খরচ করে ১০০ কেজি মালপত্র পাঠাই। এই ৪০০ পাউন্ড শুধুমাত্র মাল পাঠানোর খরচ; উপহারের মূল্য না হয় নাই বলি। বিভিন্ন সময় আমি আমার কোনো কোনো আত্মীয়দের পাউন্ড পাঠাই যাতে তারা কিছুমিছু (ঈদের সেলামির মতন) কিনতে পারে। আশা করি অনেকেই এই কাজটি করে থাকে। তাই কোনো ঢোল পেটাচ্ছিনা বলে ভেবে নিচ্ছি।
আর নামায ৫০ (১০০) ওয়াক্ত থেকে ৫ ওয়াক্ত হবার কাহিনীটি খুবই অযৌক্তিক। ধর্মের চাইতে অধর্ম প্রবল এর প্রমাণ স্বরূপ খোদ সৌদিতেও স্পেশাল পুলিশ আছে যাদের কাজ সবাই নামায পড়ে কিনা সেই বিষয়ে তদারকি করা। ৫ বেলা নামায কেন পড়তে হবে এইটা আমার মাথায় ঢোকে না। যেহেতু গাফেল অবস্থায় কালাতিপাত করতেছি তাই এভাবে বলতে পারলাম। যেইদিন আবার ধর্মে ফেরত আসবো সেইদিন (আল্লাহ যদি চান) কুরআন, হাদিস, ইসলাম এসব নিয়ে আলোচনা করবো। সমগ্র সৃষ্টি যার উছিলায়, আল্লাহর হাবীব পেয়ারা নবী, সমগ্র ইনসান ও জীন জাতির পথ প্রদর্শক হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রশংসা গাথা সেইদিন গাইবো। কিন্তু তার পূর্বে তিনি আমার কাছে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ হিসাবেই থাকবেন।
Smile n live, help let others do!
কিছু মনে করবেন না আজিজ ভাই আপনার কথায় মনে হল বিশেষ করে এই কথাটায় তাতে ১.৭ বিলিয়ন মুসলিমদের তো কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা নাই।
কেমন যেনো লাগলো। আমার কোন কথাটায় মনে হলো যে ১.৭ বিলিয়ন মুসলিমদের ক্ষতি করতে চাই জানালে প্রীত হতাম।
আর সৃষ্টিকর্তায় যেহেতু আর বিশ্বাস নেই তাই তিনি কি চান না চান তাতে আর বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই ভাইয়া।
আর ঐ যে পরিপূর্ণ মুসলিম, পরিপূর্ণ বিধর্মীর কথা বললেন তা ঠিক পরিষ্কার হলো না। তবে কি ধরে নিবো যে ১.৭ বিলিয়ন মুসলিম বলতে আপনি ১.৭ বিলিয়ন পরিপূর্ণ মুসলিম বুঝিয়েছেন? তবে তো এই পরিপূর্ণ মুসলিমরা কোথায় অবস্থান করছেন এই মুহূর্তে তা জানতে ইচ্ছা করে, কোন সে দেশে তারা বসত করে তাও জানতে ইচ্ছা করে।
না ভাইয়া কনফ্লিক্টিং আইডিয়েন্টি ক্রাইসিসে আপাতত ভুগছি না। তবে কোনো কোনো মহামানব সিজোফ্রেনিক ছিলেন বলে মনে করা হয়।
তবে আর যাই হোক আমার লেখা কারো উপকার না করুক ক্ষতি করছে না জেনে ভালো লাগলো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আজিজ ভাই সালাম।
আপনারে সিসিবি তে মিস করি অনেক।
রাগ কি এখনো কমে নাই?
রাগ কমলে সিসিবি তে পায়ের ধূলা দিয়েন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজিব ভাই আপনার সাথে জোব্বাধারী মৌলবাদিদের কোন প্রাথক্য নাই।আর
আপনার কাছে থেকে একটু শালীন ভাষা আমরা কি আশা করতে পারিনা।
আর আমার মনে হয় কাউকে থাপ্পর মেরে তার কাছে মাফ চাওয়ার মানে কি?
আর সবাই পড়তে পারে এমন ভাবে আমাদের লেখা উচিত।
আর আমি মনে করি এ ধরনের লেখা আমাদের বল্গের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। (সম্পাদিত)
কি একটা নামায আছে না যেইটা পইড়া ঘুমাইলে স্বপ্নে ইশারা পাওয়া যায় সেইটা কইরা তুমি দেখতে পারো তাইলে নিরপেক্ষতা কি জিনিস তাইলে বুঝতে পারবা আশা করি।
তোমার যা চিন্তা ভাবনার গতিপ্রকৃতি দেখা যাচ্ছে তাতে বলার আর কিছুই নাই। তবে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় এই লেখা তোমার জন্য না।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আপনার সংগ্রহ করা একটা লেখা পড়ছিলাম ব্লগে।এই জন্য আপনার কমেন্ট গুলা পইড়া দেখার এনার্জি পাইতেছি না।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
রাজীব ভাই,
আপনার এই ব্যাপারে তো জাকির ভাই প্রত্যেকদিনই লেকচার দিয়ে যাইতেসেন। কই কোন অমুসলিমদেরতো প্রশ্ন তুলতে দেখিনা। তারা তাদের ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে নিশ্চয়ই একেবারে মূর্খ না।
আর ভাইজান চারজন সাক্ষীর যে প্রয়োজন কারো বিরূদ্ধে ব্যভিচারের অভিযোগ আনতে, এই প্রসংগটা তোলায় আপনাকে ধন্যবাদ। এখন আপনিই বলেন, আপনার কি মনে হয় যে কোন একজন মানুষের সামনেও কেউ ব্যভিচারে লিপ্ত হয়????? হয়না। তার মানে কি জানেন? প্রথমত, ইচ্ছা করলেই কোন সুন্দরী, রমনীয়, কমনীয় মেয়ে যার প্রতি প্রেম জন্মানোই স্বাভাবিক এবং না পাওয়ার বেদনায় তার প্রতি জমা হিংসা আর বিদ্বেষ দিয়ে তাকে ফাঁসানো যাবে না, তাইলে নিজেকেই ফাঁসতে হবে। দ্বিতীয়ত, এইযে গ্রামে গঞ্জে অশিক্ষিত মূর্খ হয়তো কোন স্কুলে আরবী পড়ায় কিংবা মসজিদে আযান দেয় (তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলছি), তাদের দিয়ে গ্রামের মাতব্বররা নিজেদের স্বার্থে দোররা মারার ফতোয়া দেয়ার ব্যবস্থা করে, তা সম্পূর্ন অনৈসলামিক। আসলে ইসলামে ব্যভিচারের অভিযোগে অভিযুক্তদের তালিকা খুবই সংক্ষিপ্ত আর কিভাবে অভিযোগ হতে পারে সেদিকে যাচ্ছি না। তবে এইটুকু জেনে রাখেন যে ইসলাম চায় মানুষের দোষ গোপন রাখতে এবং মন্দ থেকে ফিরে আসার সুযোগ দিতে। তাই অপরের দোষ চর্চাও নিষেধ। এমনকি পরকীয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে কথা বার্তা চলতেছিল। এই ব্যাপারটিও ইসলাম অনেক ভদ্রভাবে সুরাহা করে দেয়। সেদিকেও আগাচ্ছি না।
আর বললেন আলী (রাঃ) এর সংগৃহীত কোরানের কপিটি কই। কিছু মনে কইরেন না, যেমনে বলতেসেন মনে হইতেছে আপনার কাছেই আছে। তো ভাই একটু আধটু ঝলক দেখান ঐটার। মুহাম্মাদ (সাঃ) এর সময়ও ওহী লেখার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন যায়িদ বিন সাবিত (রাঃ) এবং আবুবকর এবং উসমান (রাঃ) যখন তা পুনরায় সংরক্ষন করা হয় তখনও ছিলেন যায়িদ বিন সাবিত (রাঃ)। তখন আলী (রাঃ)-ও জীবিতই ছিলেন। উনার কাছে থাকা কোরানের সাথে পার্থক্য থাকলে উনি কি তখন নাকে তেল দিয়া ঘুমাইতেছিলেন নাকি????
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ হচ্ছে ইসলামের মূল ভিত্তি, সকল দ্বীনের মূল ভিত্তি। সকল নবীর দাওয়াতই ছিল এইকথা দিয়ে। এর মূল তাৎপর্য মনে হয় বুঝেন নাই। বুঝলে আর এই প্রশ্নটা করতেন না।
কোরবানীর কথা বললেন, ইহুদীদের সাথে বেশি সাযুজ্যপূর্ন? ইতিহাস আরো ঘাটেন। তাইলে আরো কারো সাথে সাদৃশ্যপূর্ন পাবেন।
আর ভাই ৫ বার নামাজের ব্যাপারটা আপনার মাথায় ঢুকতেছে নাতো, আগে তার চাইতে জরুরী জিনিসটা ঢুকুক। আগে তো ঈমান। ঐটা ঢুকার পর নামাজের ব্যাপারটা ঢুকলেও চলবে।
ভালো থাকবেন। (সম্পাদিত)
:thumbup: :thumbup:
রাজিব ভাই আপনার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি এই ধরনের পোষ্ট ব্লগে না দিলেই ভাল হয়। আপনি যদি আল্লাহকে বিশ্বাস না করেন বা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে কোন নেতিবাচক ধারনা পোষন করেন তা নিজের মধ্যেই থাকুক না...... কি দরকার তা ব্লগে লিখে ব্লগের পরিবেশটাকে নষ্ট করার???
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
মুস্তাকিম আমার প্রতি তোর পূর্ণ শ্রদ্ধার দরকার নাই। যদি থাকতো তাইলে প্রথম দুই প্যারার পর আর পড়তি না।
আর এই লেখায় আরমি আসলো কি কইরা?
তবে উমর ডিক্রি জারি করেছিলেন যে ৩ মাসের অধিককাল সেনারা তাদের স্ত্রী ছাড়া থাকতে পারবে না।
আমি জানিনা নারী সেনার ক্ষেত্রে কি নিয়ম প্রযোজ্য?
আর এই লেখার ক্ষেত্রে আমি অনেক সচেতনভাবে শব্দ প্রয়োগ করেছি। ব্লগের পরিবেশ নষ্টের প্রশ্নই ওঠেনা।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
মুস্তাকিম ছোট ভাই
এখন যদি কৈ "তুমি যদি আল্লাহ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারনা রাখ তাহলে সেগুলো নিজের মধ্যে রাখ, প্রকাশ কর না" তাহলে কি তুমি মানবা? কেন মানবা না? বাই ডিফল্ট ধরে নিছো ধর্ম প্রকাশে সমস্যা নাই কিন্তু নাস্তিকতা প্রকাশে সমস্যা আছে? এই জাজমেন্টে আসার অথোরিটি তোমারে কে দিল?
এই লেখায় কিছু প্রশ্ন করা আছে যেগুলা উত্তর জানলে উত্তর দিবা, দ্বিমত হইলে জানায় দিবা, কিন্তু লিখতে না করবা কেন?
কার কথা ভুলে গেছি, একজন দার্শনিকের সম্ভবত,
"তোমার কথার সাথে আমি একমত না হতে পারি কিন্তু তোমার কথা বলার অধিকারের জন্যে আমি জীবন দিয়ে দিব"
সহনশীলতার চর্চা করা খুব দরকার। এইটা খুব খিয়াল কোইরা।
আর ব্লগের "পরিবেশ সংরক্ষণ" প্রকল্প কেউ হাতে নিছে বলে তো মনে পরতেছেনা।
ব্লাস্ফেমী আইন বা এইধরনের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন মানুষের চিন্তাকে সীমিত করে দেয়। এইটা নিয়ে এই ব্লগে আগে বহুত কথা হইছে। মনে হয় তখন ছিলা না।
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
মুস্তাকিম@ ব্লগ কেন বানানো হয়েছে? স্তুতি,স্তাবকতা করার জন্য? মত প্রকাশের স্বাধীনতার একটি সমসাময়িক পদক্ষেপ হল ব্লগ।এখানে প্রত্যেকটি বিষয়ের যুক্তিযুক্ত সমালোচনা করা হবে। ধর্ম সেখানে রক্ষা পাবে না এক ফোটাও।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
শিশির তোর সবই ভালো ছিল কিন্তু মনে হইল তুই তর্কের খাতিরে তর্ক করলি।
আমার কাছে কোনও কপি আসলে জানাব। সংগ্রহ করার চিন্তা করতেছি।
তবে সেইটা হাতে আসলেও বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আসবে না বলে মনে হয়। যেমন তোরও আসবে না।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সেই প্রতীক্ষায় থাকলাম। 🙂
ভাই আপনার মেইলটা চেক করেন।
করছি। পরে জবাব দেই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজিব ভাই আমার একটা কথার শুধু জবাব দেন আচ্ছা আমরা যখন ধর্মের বারোটা বাজিয়ে ব্লগে লিখি তখন আমরা ইসলাম কে কেন বিষয় হিসেবে নেই। আমি এই ব্লগে অনেক লেখা দেখেছি শুধু ইসলাম ধর্মের নানা ভুল দেখিয়ে । এটা কি খুব একপেশে না?
ধর্মের বারোটা বাজানোর দরকার নাই। অলরেডি বেজে আছে।
আমার বিষয় তুলনামূলক ধর্মচর্চা না। তবে কোনোদিন প্রয়োজন হলে লিখবো।
এই ব্লগে যেমন ইসলামের অনেক ভুল (ভুল আচার) নিয়ে যেমন ব্লগ লেখা হয়েছে তেমনি ইসলামের ভালো নিয়েও ব্লগ লেখা হয়েছে। তুমিও তো লিখছো। নাকি?
তাইলে বল অন্য ধর্মের ভালো দিক গুলা নিয়া কি কোনো ব্লগ লেখা হইছে?
তোমার শেষ লাইনে কি বলছো তা দেখো আবার
এটা কি খুব একপেশে না?
আর ভালো কথা আমারে দয়া কইরা তোমার আল্লাহর ওয়াস্তে আর কোনো প্রশ্ন কইরো না। এইসব নিম্নমানের প্রশ্ন শুনতে ভালো লাগে না।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
মানসিকতার উন্নতি আমাদের প্রয়োজন মনে হচ্ছে।আর একটা কথা গেগ্রর জোহান মেন্ডেল যখন বংশগতির সুত্র দিয়েছিলেন মানুষ তা তখন বুঝতে পারিনি, কিন্তু একসময় তা প্রমাণিত হয়েছে। আস্তিক আর নাস্তিক এই দুজনের মধ্যে একজন তো ঠিক কে সেটা সময় তা জানিয়ে দেবে। (সম্পাদিত)
তা মেন্ডেল কি মুসলিম ছিলেন নাকি?
না পরবর্তীতে যারা মেন্ডেলের ক্রোমোজম নিয়া করা কাজটির প্রমাণ করেছেন তারা আলেম সম্প্রদায়ের ছিলেন?
কি উদাহরণ দিলা?
এর চেয়ে তো এইটা বলা ভালো ছিলো যে আমার বাসার সামনে একটা তালগাছ ছিলো। এই বৈশাখের ঝড়ে তা উপড়ে গেছে। তাই আল্লাহ আছে।
আর কে ঠিক তা হাঁ হাঁ হাঁ, মরণের আগে তুমি জানতে পারবা না এইটা নিশ্চিত করে বইলা দিলাম এই বেলা। আর খ্যামা দেও আমারে এখন।
আজিজ ভাই কি বলছে দেখো নাই; ১.৭ বিলিয়ন মুস্লিমের কিছু যাবে আসবে না।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
মেন্ডেলের কথা বললেন, খোদ ইসা নবির জন্ম তাহলে ক্রমোজম এর সুত্র দিয়ে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন? বিজ্ঞান না জেনে দয়া করে বিজ্ঞান নিয়ে টান বাধাবেন না। আরবি লেখা বিশ্বাস করেন সেইখানেই থাকেন।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
হামীম এখানে (ঈশার ক্ষেত্রে) গডের নূর থিকা y ক্রমোজম আসছে। কিংবা এভাবেও বলা যায় গ্যাব্রিয়েল পরম পিতার কাছ থিকা পাক রুহ নিয়া আইসা ম্যারির গর্ভে ফুঁৎকার করছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
পরিনত মানুষের কোন কাল্পনিক প্রভু,বন্ধু কিম্বা পথ পরিদর্শক থাকতে পারে না। ধর্মের কল ভাই এমনিতেই বাতাসে নড়ে। কবে উইরা যায় দিন গুনতে থাকেন।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
রাজীব ভাই, আমার নিজের এলেম কম বলে আমি ব্লগে ধর্ম সংক্রান্ত আলোচনা গুলোতে খুব বেশি অংশ নেই না। একাডেমিক নলেজ ছাড়া হাওয়ার উপর তর্ক করা কঠিন। তবে আমি সবসময় এই আলোচনাগুলো মনযোগ দিয়ে ফলো করার চেষ্টা করি নিজের উন্নয়নের জন্যই। আপনার পোস্টের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার চেয়ে পোস্ট পরবর্তী আমার ভাবনাতেই সীমিত থাকবে কমেন্ট।
প্রথমত যে কমেন্টের বেসিসে আপনার এই ব্লগের সূত্রপাত সেটাকে আমার কাছে তেমন কোন প্রশ্ন মনে হয় নি। তবে সে বিষয়ে আলোচনা আপাতত না করে বরং বলি, এই পোস্টে আপনার উপস্থাপনার কারণে যুক্তিগুলো দুর্বল ঠেকেছে। মানে আরেকটু ইলাবোরেট করে উপস্থাপনার সুযোগ ছিলো। অনেক জায়গায় মনে হয়েছে আপনি ঠিক কী বলতে চাইছেন সেটাই স্পষ্ট না। প্রশ্নের পিঠে সরাসরি প্রশ্ন করাটা কি ঠিক ভাইয়া এর চেয়ে বরং আপনি কেন সেটা ঠিক মনে করেন না সেটা বলাই ভালো ছিলো। আর রেফারেন্সগুলো সংযুক্ত করলে বুঝতে সুবিধা হতো। আর যে সব কাহিনীর উল্লেখ করেছেন সেগুলোর সোর্স দিয়ে দিতে পারতেন। ডাটার বেসে পাঠক নিজেই সিদ্ধান্তে আসতে পারতেন।
এবার পরের ব্যাপারগুলো নিয়ে কথা বলি। আমার কাছে মনে হয়েছে ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে আপনি নিজেও কাঠমোল্লাদের মত কিছুটা উগ্র হয়ে গিয়েছেন। রোযা আর যাকাত নিয়ে যে বিষয়গুলো তুললেন সেগুলো আউট অফ কনটেকসট মনে হলো। রোযার উদ্দেশ্য গরীবের দুঃখ বুঝা না। মানুষের আত্মিক উন্নতি সাধন। রোযা মতো রোযা রাখতে পারলে মানসিক শান্তি দেয় এতে কোন সন্দেহ নাই। আপনি প্রয়োগিক ভাবে রোযাকালীন বিলাস দেখিয়ে ধর্মকে দোষী করাটাও ভালো লাগলো না। রোযাকালীন বিলাসটা মূলত আমাদের কালচার উদ্ভুত পুঁজিবাদের চুড়ান্ত রূপ। ধর্মকে পণ্যায়িত করে গড়ে উঠা এই বড় 'ধর্ম' জিম্মি করেছে সব কিছুকেই। তার জন্য নিরীহ রোযা কিছু হয় না এমন কথা বলা মনে হয় ঠিক না।
যাকাতের ব্যাপারে আপনার উদাহরণও আউট অফ কনটেকসট। কারণ আপনার মনে রাখতে হবে ধর্মের উদ্দেশ্য মূলত এভারেজ মানুষদের মূল্যবোধ ও আচরি পরিবর্তনে। যারা এভাব এভারেজ তাদের কাছে ধর্ম খুব বেশি উপকারী হয়ে ধরা দিবে না। তবে যাকাতের নামে খোদার ভয়েও যদি কিপটা লোকটা একটু গরিব লোকরে কিছু দেয় তাতে তো দোষের কিছু নাই।
কুরবানীর পয়েন্টে অবশ্য আপনার সাথে একমত। আর কুরবানীর ব্যাপারে ধর্মীয় ব্যাপারের চেরে অনেক বড় ব্যাপার হলো আমাদের সংস্কৃতিগত। মজার কাহিনী কই। আমার চাচা, বিশিষ্ট তাবলীগওয়ালা। ধর্ম আর আল্লাহর প্রেমে দিওয়ানা। তো ২০০৯ সালে উনি কুরবানীর জন্য গরু কিনলেন। এবং কিনার পরের দিনই তা চুরি হয়ে গেলো। খবরটা যখন আমি শুনলাম আমি বললাম, আলহামদুলিল্লাহ। আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টি হেনে চাচা বললেন, ইন্না লিল্লাহ না বলে আলহামদুলিল্লাহ কেন?? আমি বললাম আর কারো কুরবানী কবুল হোক না হোক আপনার কুরবানী কবুল হয়ে গেল তাই। আমার ধার্মিক চাচা অবশ্য কবুল কুরবানীতে সন্তুষ্ট হয়ে সামাজিক চাপ বাদ দিতে পারেন নি। বরংহ ঘন্টা ছয়েকের মাঝে বাসায় গরু নিয়ে আসছেন আবার। একই ভাবে যেই ব্যাটা ঘুষ খায় সে নিজেও জানে তআর কুরবানী হইবো না। তার পরেও সে কিনে। কারণ তা না হলে তো স্ট্যাটাস থাকে না। তাই আমার মনে হয় আমাদের বেশির ভাগ ইসলাম ই লোক দেখানো ও সাংস্কৃতিক।
একই কথা নামাযের বেলায়ও প্রযোজ্য। ঈদের দিন সকাল বেলা ফজরে কয়জন যায় আর ঈদের নামাযে কয়জন যায়?? অথচ ফজর নামায ফরয আর ঈদের নামায ওয়াজিব।তার মানে কি? মানে হইলো নামাজ আদায় আসলে সামাজিকতার কারণে।
অফটপিক অনেক কথা বললাম। আপনার পোস্ট নিয়ে আমার খারাপ লাগার জায়গাটাও আশা করি ক্লিয়ার করতে পেরেছি। ব্লগের মন্তব্যের ঘরে শুরুতে অনেকগুলো বুলশীট কমেন্টের কারণে বাদানুবাদে আগ্রহ নাই। আমি সাদা কালো পক্ষ বিপক্ষে বিশ্বাসী না। আপনার সাথে অফ ব্লগ কথা হতে পারে মেসেঞ্জার বা জি টক কিংবা ফেসবুকে।
ভালো থাকবেন। (সম্পাদিত)
আমিন ক্লিয়ার।
এই যে কত সুন্দর করে বলেছিস।
খুব ভালো লাগলো।
কিন্তু উগ্র হবার বিষয়টি স্পষ্ট না।
কারণ আমার ত মনে হইল অনেক মোলায়েম করে বলেছি।
মেইল করিস বরং।
এখানে বেশি কিছু বলে এখনি কল্লা হারাইতে চাইনা।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমি আমিন ভাই্ এর সাথে সহমত কারণ আমরা র্ধমীয় আচার-অনুভূতি গুলোকে লোক দেখানো বস্তুতে পরিণত করেছি।
আর কেউ যদি এসব করে র্ধমের কি দোষ?
রাজিব ভাই আপনার আলোচনাগুলো কেমন যেন একপেশে মনে হয়েছে ।
ভাই একটা কথা বলি । আমাকে যখন কেউ বলে
তখন আমি ধরে নেই সেই ব্যাক্তিটি আমাকে কিছু বলতে যাচ্ছে যাতে আমার মনে আঘাত লাগতে পারে ।আপনার এই কমেন্ট এর মাদ্ধমে অনেকের মনে হতে পারে আপনি আঘাত করার মত কিছু বলতে যাচ্ছেন ।
আপনি ব্লগ এর মেম্বারদের প্রতি একটা ধারণা নিয়েছেন যে অনেকেই অল্পতেই উত্তেজিত হয়ে যায় ।আপনার এই কমেন্টটি আরো সহণশীল হবার দরকার ছিল ।
মানতে পারলাম না ভাই । আমার মনে হয় আপনি অনেক বেশি ঘাটাঘাটি করেন । 😀
ভাই সব মুসলিম বেশি বেশি খায় এইটা আপনি কিভাবে জানলেন ভাই? তাইলে গরিব মুসলিমদের যায়গায় আপনার কমেন্ট কি হবে ? আর রোযা্র মূল কথা কি বেশি বেশি খাওয়া ? ইসলাম কি তাই বলে ?আমরা কতিপয় মুসলিম যেমন ভোগবিলাশিতার মাদ্ধমে
রোযা পালন করি ইসলাম কি তাই বলে?
ইসলাম এর নীতির ভিতর বাংলাদেশ এর প্রসঙ্গ টেনে আনার কারণ আমার কাছে পরিস্কার হল না ।
কন কি ভাই আমার সেহেরি খেয়ে রোজা রাখতেই খিদা লাইগা যায় । 😀
যাকাতের ব্যাপারে আপনার উদাহরণও আউট অফ কনটেকসট।
এই কথা না বলিলেও চলত । আমরা এমনিতেই বুঝছি । 😀
এই কথার উত্তর আপনি সেই ব্লগে কমেন্ট করেই উত্তর দিতে পারতেন । নতুন করে সেই কমেন্ট নিয়ে ব্লগ লেখার কোনো দরকার ছিল না ।
দেইখেন ভাই আমার এই কমেন্ট এর উত্তর দিতে গিয়ে আবার নতুন করে ব্লগ লিখেন না । 😀
শরীফ
যথার্থ বিশ্লেষণ।
ধন্যবাদ।
অইটা আজিজ ভাইয়ের পোষ্ট ছিলো যতদূর মনে পড়ে।
এই লেখার পরেই আজিজ ভাই সিক রিপোর্ট করছে আমার নিষিদ্ধ ফল ফলের দোকান থেকে সরানোর জন্য।
আর অইখানে লিখলে বা উত্তর দিলে আজিজ ভাই উত্তর ডিলিট কইরা দিতে পারতো। সেই রিস্ক কি কইরা নেই।
না তোর উত্তরের প্রেক্ষিতে আর লেখা লিখবো না। প্রয়োজন নাই।
তোর ঈমান অনেক মজবুত। তোরে নাস্তিক বানানোর প্রজেক্ট আপাতত স্থগিত।
আল্লাহ্ তোরে দুনিয়া নামক প্রলোভনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সত্য, ন্যায়ের পথে রাখুক।
একজন ঈমানদার ও প্রকৃত মুসলিম হিসাবে তোর জীবনের বাকি দিনগুলি কাটুক দোজাহানের মালিক পরম করুণাময়, অসীম দয়ালূ আল্লাহতায়ালার কাছে সেই প্রার্থনা করছি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব ভাই...... আপনি আমার অনেক সিনিওর......তবুও একটা মন্তব্য করতেছি......... অনুগ্রহ করে জুনিয়র হিসেবে প্রাপ্য মূল্যায়ন করবেন...।।
আমি বর্তমানে পেশায় একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার...... আপনার পেশা সম্পর্কে অবগত নই...... অলসতা করে অবগত হবার চেষ্টা করিনি...... মাফ করবেন......
আপনি ধর্ম নিরপেক্ষতা বা নাস্তিকতা বা ধর্ম বা ইসলাম ধর্ম ইত্যাদি বিষয়েই নানা সময়ে নানা লেখা লিখেছেন...... আপনার লেখা পড়ে মনে হল অনেক বিশ্লেষণ ধর্মী লেখা...... কিন্তু একটা বিষয় জানতে ইচ্ছে হচ্ছে ......আপনি যেভাবে ইসলামকে বিশ্লেষণ করেন তাতে মনে হয় যে আপনি ইসলাম কে অনেক গভির ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন...... গভিরভাবে পর্যবেক্ষণ বলতে আমি ইসলামের সাথে আপনার সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা বলছি...... উদাহরণ দিয়ে বলতে গেলে.......ইসলামে শিক্ষা অর্জন, গবেষণা, পরিপূর্ণ ইসলাম অনুসরন ও তদানুযায়ী ইসলামকে প্রচারের ক্ষেত্রে অনেকেই অনেক মতাদর্শ অনুসরণ করেন...... কেউ তাবলীগ করেন...... কেউ মাদ্রাসাতে(বিভিন্ন মতাদর্শের মাদ্রাসা আছে) পড়েন এবং এই পথেই শিক্ষা,গবেশনায় নিয়োজিত থাকেন...... কেউ পূর্ববর্তী অন্য পেশা ত্যাগ করে বা অবসর নিয়ে ইসলামিক দিক্ষা গ্রহণে নিজেকে নিয়োজিত করেন...... বিভিন্ন দেশ, সংস্কৃতি ও জাতিগত সংখ্যা গরিষ্ঠতা ভিত্তিতে বিভিন্ন ভাবে ইসলামের সাথে সরাসরি সংস্পর্শে থাকেন...... ইসলামের ব্যাপারে তাদের মন্তব্য একজনের টা আরেকজন যুক্তিখণ্ডন বা সমালোচনা করেন এবং তা সাধারণ মানুষের বোধগম্য হবে এমন উপায়ে তা সাধারণ মানুষের কাছে সঠিক ভাবে প্রচার করার চেষ্টা করেন(তবুও অনেক ক্ষেত্রেই অনেক ভুল ভ্রান্তি ও সমালোচনা থেকেই জায়,সেদিকে যাচ্ছিনা) আর নৈতিক ও যৌক্তিক দিক থেকে এরাই উপযুক্ত বলে আমি মনে করি...... কেননা, আমার মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যাপারে কোন মেরিনার ব্যতীত অন্য কারো মতামত আমি খুব বেশি মূল্যায়ন করবনা...... তেমনি নাসার কোন গবেষকের কোন গবেষণা নিয়েও আমার মন্তব্য প্রায় বা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে বলেই আমার মনে হয়...... তারপর ও নিজের স্বাভাবিক চিন্তাধারার বিপরিতে কারো কোন বক্তব্য পেলে আমি বা আমরা চেষ্টা করি একটু হলেও যাচাই বাছাই করে নেবার...... কিন্তু যতক্ষণ না বক্তব্যধারীর সমকক্ষ কেউ পর্যালোচনা করে কোন অভিমত না দিচ্ছেন আর আমাদের চাক্ষুষ বা অপ্রত্যক্ষ এবং উপলব্ধি যোগ্য কোন প্রমান পেশ না করছেন ততক্ষন পর্যন্ত আমরা আমাদের মনকে কোন রায় মেনে নিতে উৎসাহীত করিনা...... এতগুলো কথা বলার একমাত্র অভিপ্রায় হল আপনার কাছ থেকে একটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া...... আর তা হল......
"আপনি ইসলামের সাথে কীভাবে ও কতটুকু সরাসরি সংস্পর্শে থেকে কি পরিমাণ নলেজ অর্জন করে এরূপ বিশ্লেষণ ধর্মী লেখা প্রকাশ করছেন?"
উত্তরটা পেলে আশা করি আপনার লেখাগুলো আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের বুঝার ক্ষেত্রে অনেক উপকার করবে । আর ইতিমধ্যেই আপনার পূর্ববর্তী কোন লেখায় তা প্রকাশ করে থাকলে তার লিঙ্ক দিয়ে আমার এই উপকার টা করবেন বলে আশা রাখি।
আর যদি আপনার ইসলামের সাথে এধরণের কোন সরাসরি সম্পৃক্ততা না থাকে তাহলে আপনাকে অনুরধ করবো আপনিও যাচাই বাছাই করে ইসলামের সঠিক মতাদর্শ অনুসরণ করে এর সরাসরি সংস্পর্শে কিছু সময় ব্যয় করুন এবং আপনার ততঃ পরবর্তী আলোচনা আমাদের জন্যে তুলে ধরুন।
ধন্যবাদ।।
কোন সিসি?
কোন ব্যাচ?
রেজিষ্ট্রেশন করে লেখা শুরু কর।
পুরানো এই লেখা কই খুঁজে পাইলা?
তোমার প্রশ্নের বিশদ আলোচনায় যাবো না।
তোমার প্রশ্ন মূলত ১ লাইনের।
সেইটারে ফেনাইয়া মুটামুটি একটা ব্লগের সাইজ বানাইয়া ফেলছো।
পার্সোনাল এটাক হিসাবে নিও না।
টেক ইট এজ এ ফান।
তুমি কি কলেজে গল্প বলা প্রতিযোগিতায় যাইতা???
এখন তোমার প্রশ্নে আসি।
আসলে তুমি প্রশ্ন করো নাই। প্যাচাইয়া উপদেশ দিছো।
সিনিয়ররে উপদেশ দিতে খারাপ লাগছিলো হয়তো তাই চিনির কোটিং দিছো।
তোমার ভাষায় তুমি যেহেতু মেরিনার, সো তুমি তোমার এরিয়ায় মাষ্টার।
ডাক্তার যে সে ডাক্তারি তে।
সো মোল্লা যে সে ধর্মে।
নাও পয়েন্ট ইজ ডাক্তারি জীবনব্যবস্থা না।
মেরিন জীবন ব্যবস্থা না।
কিন্তু ইসলাম পরুপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা।
এই আমিই যদি অন্য ধর্মের হইতাম হিন্দু, খ্রিষ্টান বা অন্যকিছু। আর তারপর ইসলামের ভালো কিছু দিক বের করে লিখতাম তখন তুমিই বলতা,
এরপর আবার ফেবুতে শেয়ার দিতা,
আর যেহেতু আমি সমালোচনা করছি তাই বলতেছো, ভাই আপনি ইসলাম কতোটুকু জানেন। আগে জানেন। তারপর লিখেন।
কথা কত্য।
আসলেই অনেক কিছুই জানি না ইসলামের।
কিন্তু যতই পড়ি ইসলাম নিয়ে, যতই ভাবি ইসলাম নিয়ে ততই শংকিত হই।
কারণ যেভাবে ইসলামকে সত্য ধর্ম বলা হয়, ইসলাম কে হাই লাইট করা হয়।
আল্লাহ-নবী-কুরআনকে উচ্চে তুলে ধরা হয়।
চিন্তা ভাবনা আর পড়ে উল্টোটা পাই।
আরেকটা কথা ধর্মে বিশ্বাস নেই এই কারণে না যে স্মার্ট সাজতে চাই।
পরকাল, আঙ্গুর, বেদানা, হুর, গেলমান এছাড়া এই পৃথিবীর নায়িকাদের খুব বেশি করে চাই।
এই কালে পাবার উপায় নাই। এক পত্নী তে আমি খুশি। কিন্তু মন মানে না।
প্রকালে পাবার সুযোগ আছে জেনে বিশ্বাস করতে চাই ধর্ম সত্য। পরকাল সত্য। অনন্ত-অনন্তকাল সঙ্গম সত্য।
বিশ্বাস করো জাষ্ট কোনভাবে যদি প্রমাণ পাই আল্লাহ-নবী-কোরান সত্য আমি লাফ দিয়া ইসলামে চলে আসবো।
কিন্তু এখনো পর্যন্ত যেটা মনে হচ্ছে তা হলো, ইসলাম ক্যান্ট বি দিজ।
ইসলাম ক্যান্ট বি দিজ ব্যাড।
ভালো থাকো।
কথা কড়া মনে হইলে সরি।
এক কাপ চা খাও। :teacup:
যেহেতু মেরিনার তুমি তাই লন্ডন আসলে আওয়াজ দিও।
সুযোগ পেলে দেখা হবে।
এবং অবশ্যই আমরা তখন কোন ধর্ম নিয়ে আলোচনা করবো না।
আর রেজি করে লেখা শুরু করে দাও।
মেরিন লাইফ নিয়ে সেরকম কোন লেখা নেই এখানে।
নাবিক জীবন হাতছানি দিতো।
সায়েন্সে পড়লে নেভি বা মেরিনে ট্রাই করতাম।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
🙂 ভাই, যেরকম উত্তর আশা করছিলাম সেরকম উত্তর ই দিলেন......
আমি ক্যাডেট হাবীব, সিসিসি,গ-১২১০,২০০৩ ইনটেক।
সিসিসি তে গল্প বলা প্রতিযোগিতা কখনও পাইনাই...... 🙁
"কিন্তু যতই পড়ি ইসলাম নিয়ে, যতই ভাবি ইসলাম নিয়ে ততই শংকিত হই।
কারণ যেভাবে ইসলামকে সত্য ধর্ম বলা হয়, ইসলাম কে হাই লাইট করা হয়।
আল্লাহ-নবী-কুরআনকে উচ্চে তুলে ধরা হয়।
চিন্তা ভাবনা আর পড়ে উল্টোটা পাই।"
শুধু পড়ে আর ঘরে বসে চিন্তা করে আপনি ইসলামকে বুঝবেন না, যেমন টা আমিও বুঝিনা, পরার আর চিন্তা করার পাশাপাশি আপনার আমার উচিৎ হবে কাছ থেকে ইসলামকে দেখা,বুঝার চেষ্টা করা, ইসলাম কীভাবে চলতে বলে সেটা না হয় আপনি আমি ব্যবহারিক ক্লাস টেস্ট করেই দেখি, তাত্ত্বিক জানাশুনা আর সেসব নিয়ে ভাবনা চিন্তা তো অনেক হইসে,তাইনা ভাইয়া?
"বিশ্বাস করো জাষ্ট কোনভাবে যদি প্রমাণ পাই আল্লাহ-নবী-কোরান সত্য আমি লাফ দিয়া ইসলামে চলে আসবো।"
ইসলামে কখনও লাফ দিয়া আসা যায়না, প্রমান পেলে আপনি লাফ দিয়ে হয়ত আসতে পারবেন কিন্তু ইসলামে ওই লাফ দিয়ে আসার চেয়ে ইসলামে এসে ইসলামে সঠিক ভাবে থাকতে পারার মূল্যায়ন বেশি। তারপরও, যদি নাই আসেন তাহলে আর থাকবেন বা থাকার চেষ্টা করবেন কীভাবে? তাই, আল্লাহের কাছে দোয়া করি যেন কোন না কোন ভাবে আল্লাহ আপনাকে বুঝাইয়া দেন যে তিনি,তার রাসুল আর তাঁর মনোনীত ইসলাম সঠিক।
চিন্তা করে আপনি আমি ইসলাম কে এখন আর বুঝব না কারণ আমরা যারা এখন ইসলাম ফলো করি তারা কেউ আদর্শগত ভাবে মুসলিম নই, শুধুমাত্র বাপ দাদার ধর্ম ইসলাম বলেই আমরা মুসলিম। আদর্শগত ভাবে ইসলামের অনুসারী এখন বিরল ও বিলুপ্তপ্রায়, আর এর সুযোগ নিয়েই এখন ইসলাম আমার আপনার জবাব্দিহিতার কাঠগড়ায়। তাই ভাবনা-চিন্তা গুলোকে ছুটি দিয়ে আমাদের উচিৎ ব্যবহারিক ভাবে ও আদর্শগত দিক থেকে ইসলামকে একটু টেস্ট করা, তারপর না হয় আমরা নিজেরা টেস্টের ফলাফল মেনে নিলাম। টেস্ট ই করলাম না আর বলে দিলাম আমার জন্যে ইসলাম না তাহলে আর কেমনে কি? যুক্তি দিয়ে ইসলামের সব ব্যাখ্যা করা গেলেও আল্লাহের ব্যাপারটা কে কীভাবে ব্যাখ্যা করবে? ইসলাম তো মূলেই বলে দেয় যে আল্লাহ ব্যাখ্যার অতিত। আর ব্যাখ্যার অতিত এমন কিছুর সাথে যখন আদর্শ বিচ্যুত মানুষগুলোর ফাকা বুলি কে একত্রিত করে ওই আদর্শের বিপরিতে কাঠগড়ায় হাজির করা হয় তখন স্বাভাবিক ভাবেই রায়ের কাঁটা আদর্শের উল্টো দিকে ঘুরে যায়।
"তোমার ভাষায় তুমি যেহেতু মেরিনার, সো তুমি তোমার এরিয়ায় মাষ্টার।
ডাক্তার যে সে ডাক্তারি তে।
সো মোল্লা যে সে ধর্মে।
নাও পয়েন্ট ইজ ডাক্তারি জীবনব্যবস্থা না।
মেরিন জীবন ব্যবস্থা না।
কিন্তু ইসলাম পরুপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা।"
ডাক্তার,মেরিনার এসব তো ছিল উদাহরণ যে, আমরা যেখানে যার বিশেষজ্ঞ না সেখানে আমরা কোন মন্তব্য করলে তা তেমন একটা বিবেচ্য না। কিন্তু আমি যে উদাহরণ দিয়ে আপনাকে অন্য কিছু বুঝাইতে চাইছি সেটা না বুঝে আপনি আমার উদাহরন ও যে জিনিসটা তুলনা করছি ওই দুটোর মধ্যে পার্থক্য করলেন। ধরেন, একজন খোঁড়া আর একজন সুস্থ মানুষের মধ্যে তুলনা করতে যেয়ে আমি যদি বলি যে এই দুইজন মানুষ একটি খোঁড়া ঘোড়া আর সুস্থ ঘোড়ার মতো তাহলে কি এভাবে এই উদাহরণ দিয়ে তুলনা করাটা ভুল হবে? নাকি বলবেন যে মানুষ আর ঘোড়া কি এক জিনিস? কাউকে কটাক্ষ করতে যেয়ে বললাম যে এই লোক তো রাক্ষসের মতো খায়,আর তখন যদি আপনি বলেন যে মানুষ হল বাস্তব আর রাক্ষস হল কাল্পনিক, তাহলে কি এভাবে উপমা দিয়ে ব্যাখ্যা করাটা কি ভুল? ভাইয়া, আমার মনে হয় উদাহরণ মানেই যে সম্পূর্ণ সমারথক হতে হবে তা নয়, উদাহরণ দিয়ে তুলনা করাটা ব্যাখ্যা করতে পারলেই উদাহরণটি সার্থক । তাই ডাক্তার,মেরিনার দিয়ে 'কোন ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ' এটা বুঝাতে চেয়েছি; কারণ, ইসলামে পারদর্শী না হয়ে,ইসলামে যেভাবে এলেম অর্জন করতে বলছে সেভাবে তা অর্জন না করার চেষ্টা করে যদি কেউ ইসলামের ব্যবচ্ছেদ করে তাহলে ওই ময়না তদন্ত কে কি নিতান্তই আনাড়ি বলতে হয়না?
"এখন তোমার প্রশ্নে আসি।
আসলে তুমি প্রশ্ন করো নাই। প্যাচাইয়া উপদেশ দিছো।
সিনিয়ররে উপদেশ দিতে খারাপ লাগছিলো হয়তো তাই চিনির কোটিং দিছো।"
সিনিয়র ভাইয়া কে কি উপদেশ দেয়া হারাম? যদি সেটা না হয় তাইলে আমার খারাপ লাগে নাই, আর যদি সেটা হয় তাহলে রেগুলেশন টা আমার জানা ছিলনা বলেই খারাপ লাগবে এবং আমি দুঃখিত। ভাইয়া,আপনাকে প্রশ্নই করছিলাম, আমি চিনির কোটিং দিয়ে ফেনাইয়া এত কথা লিখসিলাম শুধু আমার প্রশ্নটা ব্যাখ্যা করার জন্যে, আর প্রশ্নটা করছিলাম এটা জানার জন্যে যে আপনি ইসলামকে সরাসরি কতটুকু চর্চা করছেন/জানছেন? প্রশ্নের উত্তরের উপর নিরভর করছিল যে উপদেশ টা কি আপনার জন্যে প্রযোজ্য নাকি প্রযোজ্য না।
আগের মন্তব্যের ফেনা আর চিনির কোটি ং বাদ দিলে মূল কথা যা থাকে সেটা আবার তুলে দিলাম
"আপনি ইসলামের সাথে কীভাবে ও কতটুকু সরাসরি সংস্পর্শে থেকে কি পরিমাণ নলেজ অর্জন করে এরূপ বিশ্লেষণ ধর্মী লেখা প্রকাশ করছেন?উত্তরটা পেলে আশা করি আপনার লেখাগুলো আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের বুঝার ক্ষেত্রে অনেক উপকার করবে । আর ইতিমধ্যেই আপনার পূর্ববর্তী কোন লেখায় তা প্রকাশ করে থাকলে তার লিঙ্ক দিয়ে আমার এই উপকার টা করবেন বলে আশা রাখি।
আর যদি আপনার ইসলামের সাথে এধরণের কোন সরাসরি সম্পৃক্ততা না থাকে তাহলে আপনাকে অনুরধ করবো আপনিও যাচাই বাছাই করে ইসলামের সঠিক মতাদর্শ অনুসরণ করে এর সরাসরি সংস্পর্শে কিছু সময় ব্যয় করুন এবং আপনার ততঃ পরবর্তী আলোচনা আমাদের জন্যে তুলে ধরুন।
ধন্যবাদ।।"
সিসি ব্লগে খুব একটা আসা হয়না, ইদানিং মেরিনারদের চাকরির বাজারটা ভাল জাচ্ছে না, তাই অবসরে আছি, যাও একটু ব্লগে ঢুকি শুধু আপনার লেখা গুলোই পড়ি। মেরিন লাইফ নিয়ে লেখার মতো অভিজ্ঞতা বা সময় এখনও হয়ে উঠেনি, সুযোগ হলে অবশ্যই লিখব।
আপনার সাথে দেখা হলে তো সেটা নিতান্তই সৌভাগ্য,সুতরাং সেই আশাও আছে। 🙂
ভালো কথা কেনো বললাম সারাজীবন কেটে যাবে তা বলে দিই।
ধর্ম বা ইসলাম হইলো এক ধরণের গর্ত বা চোরাবালি। (নেগেটিভ-পসেটিভ কোন অর্থে না )
এই চৌদ্দশ বছরে এর তল পাওয়া যায় নাই। সো আমি-তুমি হুট করে পেয়ে যাবো সেটা ভাবাটাও ঠিক না।
তবে চেষ্টা করতে পারো।
সাধনায় কি না হয়।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ভাইয়া, আসেন না, আপনিও একটু সাধনা করেন, জীবনে ভুল সঠিকের জোয়ার ভাটা তো অনেক হইল, আর অল্প একটু হক না...... কি বলেন? আমার এক ফ্রেন্ড আমাকে তাব্লিগে যাইতে বলে, আমি ওকে বড় সড় কোন যুক্তির পেচে ফেলে ফিরাইয়া দিতে পারতেসিনা, আমার মনে হইল যে তাব্লিগে গেছে এমন কেউ যদি তাবলীগ থেকে ফিরে এসে আপনার মতো কোন বিশ্লেষণ ধর্মী কোন বক্তব্য তুলে ধরত তাহলেই ওদের নিমন্ত্রন ফিরানো যেত এবং উপরন্তু ওদের কেও ওই চোরাবালি থেকে ফিরানো যেত...... আমার তো সাহস হচ্ছেনা ভাইয়া, আপনি তো অনেক বিচক্ষণ, একটু চেষ্টা করে দেখতেন যদি তাহলে হয়ত অনেক কেই এই চোরাবালি থেকে বাঁচানো যেত। আবারো একটা অনুরধ করলাম, আশা করি আপনি স্বার্থপর না।
দেখো আমি কিন্তু প্রিচার না.
আমি সুযোগ পাইলে চার্চে যাই.
কিন্তু আমি এটাও জানি যিশু বাষ্টার্দ চাইল্ড.
মহরমে যারা শরীর কাটে তারা বোকা কিন্তু এই ভালোবাসাটা, এই প্রকাশ অদ্ভুত লাগে.
কে তাবলিগে যাবে না যাবে এইটা নিয়া আমি মোটেও চিন্তিত না.
ধরা যাক যে চায় না দেশে পতিতাবৃত্তি চলুক সে কি এখন পাড়ায় গিয়ে কোন পতিতা যখন খদ্দের নিবে তখন পতিতার হাতে তার রেট গুজে দিয়ে বলবে, বইন, শরীর বিক্রি করিস না, আজ থেকে তোর দায়িত্ব আমার.
বেটার বি কেয়ারফুল যারা তোকে তাবলিগে নিয়ে যেতে চাইছে তাদের থেকে
Why?
If your this particular friend used to go to Bar then he will insist you to do so, if he likes to go to prostitution then he'll drag you too.
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ইসলামে লাফ, দৌড়, হাটা সব চলে।
তোমার ইসলাম সংক্রান্ত আগ্রহ থাকলে এই পোষ্টটা পড়তে পারো।
দুইটা গ্রুপের লিঙ্ক দেয়া আছে।
ক্লিক করো।
কারণ ধর্ম এমন একটা বস্তু বা অবস্তু যে এইটা অন্যের বলায় বা টেষ্টে বুঝা যায় না।
এমন না যে আমি সকল যুক্তিতর্ক দিয়া তোমারে প্রমাণ করে দিলাম আল্লাহ আছে বা নাই। তাতে কি তোমার সেই বিশ্বাস আসবে বা অবিশ্বাস!
তবে তোমারে একটা আলগা উপদেশ দিই।
ধর্মে বিশ্বাস রাখো। এতে উপকার ছাড়া অপকার নাই।
কারণ তুমি ঐ যে এক্সপার্টিজ এর কথা বল্লা তা কিন্তু হইতে গেলে সারাজীবন ট্রাই করে যাইতেই হবে। যদি না কোন বোধি জ্ঞান লাভ হয়।
সো সারাজীবন এই হ্যা না র মধ্যে না থাইকা বিশ্বাস করো। মানো। জীবনে-মনে শান্তি আসবে।
ভাইবো না তোমার সাথে মকারি করতেছি।
সিরিয়াসলি বললাম।
আল্লাহ-খোদা-কোরান-নবী-পরকাল এইসবে বিশ্বাস জীবনকে অনেক বেশি রকম আনন্দের করে তোলে, এমনকি মৃত্যু কেও।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
"বেটার বি কেয়ারফুল যারা তোকে তাবলিগে নিয়ে যেতে চাইছে তাদের থেকে"
"ধর্মে বিশ্বাস রাখো। এতে উপকার ছাড়া অপকার নাই।"
দুইটাই আপনার কথা......... কিন্তু কেমন যেন ম্যাটার-এন্টিম্যাটার ঠেকল...
যাই হক ভাই, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর......
ভাল থাকবেন......
আর এটা আপনার প্রতি আমার আহ্বান এবং আমার দায়িত্ব, প্লিজ, বলুন,
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।
হেদায়েতের মালিক তো এক আল্লাহ।
ইসলাম আর তাবলীগ এক জিনিস না এইটা তুমি বুঝতেছো না; নাকি বুঝতে চাচ্ছো না!
আমি তোমারে ধর্মে বিশ্বাস রাখতে বলছি, তাবলীগে না।
আর ঐ যে বললা বিশ্বাসে মিলায় বস্তু এইটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা; অন্তত ধর্ম র ক্ষেত্রে।
যে লোকটা বিশ্বাস করে হিন্দু, বৌদ্ধ, পার্সি, কনফুনিয়াস হইছে তুমি কি তাদের ক্ষেত্রে বলবা তারাও মোক্ষম বস্তু পাবে???
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এইটা তুমি কি বললা!
আমি বৌদ্ধ হইলে তুমি কি আমার সাথে বলবা বৌদ্ধং শরনং গচ্ছামি।
তোমার কি ধারণা আমি কুরান পড়িনা!
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ