কাফের ভাই
অনেকগুলো বছর আগের কথা। তখন আমি বিদেশে, ইউরোপীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এসময় সেই শহরে এক বাংলাদেশী ভাইয়ের আগমন। বয়সে তিনি আমার পাঁচ বছরের বড়। তবে সেখানে পড়ালেখার দিক থেকে হয়ে গেলেন আমার দু’বছরে জুনিয়র। শহরের সেন্ট্রাল স্কোয়ারে তার সাথে প্রথম পরিচয়। পড়ালেখায় পিছিয়ে থাকলেও, কথাবার্তায় বেশ স্মার্ট মনে হল। আমাকেও সম্ভবত তার ইমপ্রেসিভ মনে হয়েছে। আমার ডরমিটরির ঠিকানা নিলেন। ৪/৫ দিন পর আমার রুমে এসে উপস্থিত হলেন। বিদেশে দেশী ভাই খুবই কম, স্বভাবতই ওনাকে দেখে ভালো লাগল। চায়ের আসর জমে গেল। একথা সেকথায় বুঝতে পারলাম রাজনীতির প্রতি তার আগ্রহ প্রচুর। দেশে কম্যুনিস্ট রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। এই রাজনীতির ভুত ঘাড়ে চাপার ফলে পড়ালেখা বেশীদূর হয়নি, এইচ এস সি পাশের পর অনেকদিন বসেই ছিলেন। অবশ্য তিনি বলেন, বসে ছিলেন না রাজনীতি করছিলেন। সমাজ পরিবর্তনের বিপ্লবের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পরিশেষে যখন বুঝলেন মৃগতৃষ্নিকার পিছনে ছুটেছেন, আর এভাবে কেবল নিজেকেই পিছিয়ে দিয়েছেন, তখন সিদ্ধান্ত নিলেন নতুন করে পড়ালেখা করার। এতগুলো বছরের গ্যাপে দেশে কোথাও ভর্তি হওয়ার সুযোগ ছিলনা। আর তখনো দেশে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি চালু হয়নি। অগত্যা বিদেশে পারি জমালেন, নিজ খড়চায় পড়ালেখা করার উদ্দেশ্যে। সেদিন বোধহয় ঘন্টাখানেক গল্পগুজব করেছিলাম। উঠে যাওয়ার সময় তিনি বললেন। আপনাকে আমার ভালো লেগেছে, আপনার এখানে মাঝে-মাঝেই বেড়াতে আসব।
এরপর থেকে তিনি মাঝে-মাঝেই আমার রুমে বেড়াতে আসতেন। আমার সুবাদে আরো অনেকের সাথে তার পরিচয় হয়। কথাবার্তায় তিনি যথেষ্ট শালীন ও ভদ্রচিতো। আমাদের বাংলাদেশীদের যেই স্বভাব, মজলিশে বসলেই আলাপ-আলোচনায় রাজনীতি চলে আসে। সেই রাজনৈতিক আলাপ করতে গিয়ে জানলাম, তিনি বাম রাজনীতিতে প্রবল ভাবে বিশ্বাসী। এই ঘরানার লোকজনদের সাথে আগেও কথাবার্তা হয়েছে। তবে ইনাকে খুব বেশী মাত্রায় কট্টরপন্থী বলে মনে হল। আবার এই লাইনে পড়ালেখাও মোটামুটি আছে বুঝলাম। দর্শন ও ধর্ম বিষয়ক আলোচনা করতে গিয়ে যা শুনলাম তাতে তো আমার চোখ কপালে উঠে গেল। তিনি খোদা-সৃস্টিকর্তায় বিশ্বাস করেন না, পুরোপুরি নাস্তিক। তাকে আমি আমার দৃষ্টিকোন থেকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম, কিন্তু কোন কাজ হলোনা। তিনি কট্টরপন্থী । বরং আমাকেই অজ্ঞ ভাবতে লাগলেন। একসময় বেশ কয়েকজনার উপস্থিতিতে তিনি ঘোষণাই দিলেন, “আপনারা যারা ধর্ম তথা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করেন, তাদের বিচারে আমি কাফের“। বড় সাংঘাতিক কথা। এরকম স্বঘোষিত কাফেরদের কথা বই-পত্রে পড়েছি, কিন্তু চোখে দেখিনি। এই প্রথম চোখের সামনে দেখলাম। বেশ একটা ধাক্কা খেলাম। তারপরেই সামলে নিয়ে বললাম, “আপনি তো তাহলে আমাদের কাফের ভাই“। তার চোখের দৃষ্টি একটু পরিবর্তিত হলো কিন্তু কিছু বললেন না। এরপর থেকে তার সাথে দেখা হলেই বলতাম, “কাফের ভাই কেমন আছেন?” আমার দেখাদেখি অন্যরাও বলতে শুরু করল, “আরে কাফের ভাই দেখছি, কেমন আছেন?”। তিনি স্বঘোষিত কাফের এই সম্বোধন তার কাছে মধুর অন্ততপক্ষে স্বাভাবিক লাগার কথা। প্রথম প্রথম তিনি কিছু বলতেন না। ধীরে ধীরে তার মধ্যে ভ্রকুটি লক্ষ্য করলাম। একদিন বললেন, “যদিও আমি কাফের, কিন্তু অন্যের মুখে এই সম্বোধনটা শুনে বিব্রত বোধ করি“।
অনুরূপ আমার চারপাশে অনেক কাফের ভাইকে দেখি। খোঁজ নিয়ে দেখেছি এদের পিতৃপুরুষরা আস্তিক তথা মুসলমানই ছিলেন। কিন্তু তিনি যেন কোন মায়াবলে কাফের হয়ে গিয়েছেন। আমি আমার মোটামুটি দীর্ঘ জীবনে, দেশ ও বিদেশে বসবাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে দেখেছি, কোন হিন্দু কখনোই তার ধর্মের সমালোচনা করেনা, এমনকি আমরা সমালোচনা করলে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে। কেবল তার ধর্ম নয় ভারতের সমালোচনা করলেও সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। কোন বৌদ্ধকেও কখনো তার ধর্মের সমালোচনা করতে দেখিনি, বরং তার ধর্ম যে কতো মহান এটাই বোঝানোর চেষ্টা করে। কোন খ্রীষ্টানকেও দেখিনি তার ধর্মের সমালোচনা করতে। আর ইহুদীদের কথা তো বলাই বাহুল্য। করেন তো তার ধর্মের সমালোচনা। আপনাকে মুখের উপর কিছুই বলবে না, কিন্তু চোখ দিয়ে মেপে নেবে। তার সময়-সুযোগ মত আপনাকে সাইজ করবে। আমি বাংলাদেশের বাইরের মুসলমানদেরও নিজ ধর্মের সমালোচনা করতে বিশেষ একটা দেখিনি। যত সমস্যা এই বাংলাদেশী মুসলমানদের নিয়ে। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ, নিজ পিতৃপুরুষের ধর্মের সমালোচনা করে বেশ একটা আত্মতৃপ্তি পায়। কেন?
:-/ কেন??
প্রথমত, আপনার পর্যবেক্ষণ সত্য হলেও সার্বিক বিচারে ব্যাপারটা ঠিক নয়। খ্রিস্টান ধর্মের সাথে তুলনা দিতে পারি। আজ থেকে ৪০০ বছর আগে খ্রিস্টান ধর্মের যে তুমুল সমালোচনা হতো আজ আর তেমন হয় না, কারণ আজ সেই ধর্ম মানুষের স্বাধীনতাকে টুটি চেপে ধরতে চায় না। যা ক্ষতিকর নয় তার সমালোচনা খুব একটা না হওয়াই স্বাভাবিক। হিন্দু ধর্মের সমালোচনা হয় না এটা আপনার পর্যবেক্ষণ হতে পারে, আমার নয়। তাছাড়া হিন্দু ধর্মের এতো গোঁড়া ও আদিম ভিত্তিও নেই যে সেটার সমালোচনা করা যাবে। হিন্দু অনেকাংশেই একটা আদিম ফ্লেক্সিবল সংস্কৃতি।
ইসলাম ধর্মের ক্ষেত্রে, অন্তত বাংলাদেশে ইসলামের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অনেক আলাদা। প্রথমত, বর্তমানে ইসলাম ধর্মই সবচেয়ে গোঁড়া, সে-ই মুসলিমদের স্বাধীনতায় সবচেয়ে বেশি হস্তক্ষেপ করে, যথারীতি তার সমালোচনাও বেশি। আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বলতে হয়, ইসলাম নামক একটা আরবীয় সংস্কৃতি বা আরবীয় ধর্মের কারণে বাংলার অনেকে তার নিজস্ব সংস্কৃতিটা পালন করতে বাঁধাগ্রস্ত হন।
ইউরোপে আজ নির্ধর্মী হওয়াটা কোন বিস্ময়ের ব্যাপার নয়। এজন্য এটা নিয়ে হম্বিতম্বিও হয় না। আমার ইউরোপীয় ৬ ক্লাসমেটের ৫ জনই ধর্মে এক বিন্দু বিশ্বাস করে না। কিন্তু বাংলাদেশে কেউ নির্ধর্মী শুনলেই ধার্মিকদের যেন পিলে চমকে যায়। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন দরকার। বাংলাটা যেমন মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবার তেমনি নির্ধর্মী ও নাস্তিকেরও। দেশে যে নির্ধর্মীদের সংখ্যাটা একেবারে কম নয় সেটা সবাইকে বোঝাতে পারলে এই পিলে চমকে যাওয়ার ব্যাপারটা আর থাকবে না আশাকরি। এর জন্য দরকার আরও সামাজিক মিথস্ক্রিয়া।
আর ধর্মের সমালোচনা অবশ্যই থাকতে হবে। ইউরোপে খ্রিস্টান ধর্ম সেই সমালোচনার পর্বটা ২০০ বছর আগেই পার হয়ে এসেছে যে কারণে এখানে কারও ব্যক্তিগত ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। বাংলাদেশেও যদি এই স্টেজটা পার হয় তাহলে আশাকরি আজ থেকে ১০০ বছর পর সেখানেও কারও ব্যক্তিগত ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে কেউ উচ্চবাচ্য করবে না। যার দরকার ধর্ম পালন করবে, যার দরকার সে ধর্মের সমালোচনা করবে।
হিন্দু ধর্মের মতো একটা গোড়া কট্টরপন্থী ধর্ম কিভাবে ফ্লেক্সিবল? হিন্দু ধর্মের কোন ভিত্তি আছে? নাকি আছে কোন প্রচারক!" ফানি
আমার অভিজ্ঞতা যে একেবারেই আলাদা তার কিছু উদাহরণও দিচ্ছি। আমার দুই ইউরোপীয় বন্ধু: একজন ইতালিয়ান, আরেকজন মেসিডোনিয়ার। দুজনেরই বাব-দাদার ধর্ম খ্রিস্টান। কিন্তু দুজনের কেউই সেটা বিশ্বাস করে না এবং খ্রিস্টান ধর্মের সমালোচনা নিয়ে আমাদের অনেক আলোচনা হয়েছে।
আমার আরও দুই বন্ধু: একজন তুরস্কের আরেকজন পাকিস্তানের- দুজনেই মুসলিম। একজনও ধর্মে বিশ্বাস করে না এবং আমাদের আড্ডার অধিকাংশটা জুড়েই থাকে ধর্মের সমালোচনা। তুরস্ক ও পাকিস্তানে ব্যাপারটা আরও ডেঞ্জারাস। সেখানকার নির্ধর্মীদের জন্য সেদেশের পরিস্থিতি মেনে নেয়া আরও কষ্টকর এজন্য তাদের প্রতিবাদ ও সমালোচনার ভাষা আমার মত বাংলাদেশী নাস্তিকের চেয়েও অনেক বেশি প্রবল। সুতরাং প্লিজ আপনার পর্যবেক্ষণটাকে সার্বিক ধরে নেবেন না।
আমরা বরাবরই বাঙালী ছিলম: এটা কতটুকু সত্য? সময়ের স্রোতে আমাদের ধর্ম যেমন পাল্টেছে আমাদের জাতিগত পরিচয়ও পাল্টেছে। বাঙালী নামটা আসলো তো এই সেদিন, সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ্-এর দেয়া এই নাম। তার আগে আমাদের জাতির নাম কি ছিল? আর্য সনাতনীদের আগ্রাসনের আগে আমাদের জাতির নাম কি ছিল? প্রাচীন গঙ্গারিডি জাতি তো আমাদের পূর্বপুরুষরাই, অথচ দেখুন জাতির নামটা কিন্তু ভিন্ন, তাও ইউরোপীয়দের দেয়া নামটা জানি, তারা নিজেদেরকে কি নামে ডাকতেন? আর্য সনাতনীদের আগ্রাসনের পর দ্রাবীড়দের সাথে তাদের রক্তের ব্যাপক মিশ্রন ঘটেছে, এবার এই জাতির নাম কি হলো? ভারতের কেরালা রাজ্য থেকে এসে গেরে বসে অত্যাচারী সেন রাজবংশ, উত্তর ভারত থেকে প্রচুর ব্রাহ্মন আমদানী করে আমাদের শংকরত্ব বাড়ায়। নতুন পূর্বপুরুষের আমদানী হলো, এবার জাতির নাম কি হলো? আমাদের দেশের সমৃদ্ধির খ্যাতি জগৎ জোড়া হওয়াতে, সারা পৃথিবী থেকে মানুষ এখানে আসে, খোঁজ নিলে দেখবেন আপনার/আমার পূর্বপুরুষদের কেউ হয়তো তাদেরই একজন ছিল। এবার এই জাতীর নাম কি হলো? ইসলাম ধর্মের আগমন আমাদের দেশে কবে ঠিক ক্লিয়ার না। তবে নবীনতম ধর্ম হিসাবে এর আগমন সবশেষে হবে এটাই তো স্বাভাবিক। এ তো শুধু আমাদের দেশে নয় সব দেশেই, এমনকি খোদ আরবেও। আরবরাতো একসময় প্যাগান ছিল। পৃথিবী যেহেতু পরিবর্তনশীল, মন ও মতের পরিবর্তন করা ওয়েল একসেপটেড। আমাদের দেশে মুসলিম শাসনের সুত্রপাত হয় ১২০৫ সালে। ইখতিয়ার উদ্দীন কিন্ত আরব নয়, নিগ্রো ছিলেন। আমাদের দেশে বহিরাগত মুসলমানরা নানা জাতির ছিল আফগান, তুর্র্কী, ইরানি, উজবেক, মোগল, পাঠান, আরব, নিগ্রো, তাতার, এমন আরো অনেক। ইউরোপীয় অনেক জাতির রক্তও আমাদের রক্তে মিশে আছে। এরা সবাই আমাদের পূর্বপুরুষ।
জার্মানদের পিওরিটির কথা লিখেছেন, যেটা অল্প কিছুদিন টিকে থাকা একটা আদর্শ ছিল। হিটলারের বই পড়লে দেখবেন, মাস্টার পিস তার বই 'মেইন কাম্প'-এর 'ন্যাশন এন্ড রেইস' অংশটি একেবারেই খাপছাড়া। জার্মানরা পিওর জাতি নয়। খোদ হিটলারের রক্তেই শংকরতা ছিল। তারপরেও হিটলারের এই চিন্তাধারা শুধু জার্মানী না সমগ্র বিশ্বেই হরর নামিয়ে নিয়ে আসে। যাহোক অনেক কিছু লিখে ফেললাম, পরবর্তিতে 'জাতীয়তাবাদ ও আন্তর্জাতিকতাবাদ' এই নামে একটি আর্টিকেল লেখার ইচ্ছা আছে। সময় করে উঠতে পারলেই লিখব। রক্ষণশীলতা কি প্রগতিশীলতা কি পরিবর্তন কি এই আলোচনাগুলো খুব ব্যাপক। যেমন কম্যুনিস্টরা মনে করে এবং প্রচারনা চালায় যে তারা প্রগতিশীল। আমি কিন্তু স্পস্ট দেখি যে তারা মৌলবাদী।
অনেকের মতে ধর্মীয় চেতনা প্রাচীনপন্থী ভাবধারণা এযুগে এটা অচল : এটি একটি মহলের প্রচারনা, কেন কি উদ্দেশ্যে তা করা হচ্ছে, আমি আপনাকে সাক্ষাতে বলব।
অনেকে বলেন আমাদের যে মানসিক দীনতা তার পিছনে আছে বিপরীত মুখী ধর্ম ও সংস্কৃতি : আমাদের বলতে কাদের? বাংলাদেশীদের না মানবজাতির? মানবজাটিকে কিন্ত ধর্ম বারংবার প্রগতিই এনে দিয়েছে।
অনেকে বলেন বর্তমানে তারা ধর্মের জগত থেকে বেরিয়ে এসেছে ( এর প্রকৃষ্ট উদাহরন আমেরিকা ): একমত নেই। আপনি পশ্চিমা বিশ্ব দেখেছেন কিনা জানিনা। আমি বহু বছর সেখানে কাটিয়েছি। আমার পড়ালেখা তো ইউরোপেই। ইল্যান্ডে কিন্ত এখনো রাণীই চার্চের প্রধান। বৃটিশ আর্মির একটি বড় দায়িত্ব তাদের ধর্মবিশ্বাসটিকে রক্ষা করা। ভারতের পতাকা দেখেছেন? কেমন জ্বলজ্বল করছে ধর্মচক্র।আমেরিকা মুসলিম দেশ গুলা আক্রমন করে কেন? - আমেরিকা বহু দেশই আক্রমন করে। সেখানে মাল্টি পলিটিক্স কাজ করে। বিশ্ব রাজনীতির কথা বলেছেন, বিশ্ব রাজনীতিতে ধর্ম একটা গুরুত্বপূর্ন এলিমেন্ট।
রাষ্ট্রের প্রশ্ন যখন উঠবে , তখন ধর্ম নিয়ে চিন্তা না করাই ভাল : ঠিক উল্টাটা। অনেক গুলো সবসময়ই হবে। রাজনৈতিক মতাদর্শে পৃথিবীর প্রতিটি রাস্ট্রই নানা ভাগে বিভক্ত নয় কি? ধর্মকে তুলে দিয়ে আপনি তাদের ঐক্যবদ্ধ করতে পারবেন ভাবছেন? আমি আমার দেশের প্রেক্ষাপটে লিখেছে সংখ্যাগরিস্ঠের ধর্ম ইসলাম - তাই এটার গুরুত্ব বেশি। যেমন সংখ্যাগরিস্ঠের ভাষা বাংলা বলে এটা রাস্ট্রভাষা। আরেকটি বিষয় ব্যাক্তির সমস্টিই কিন্তু রাস্ট্র।
খুব দ্রুত লিখলাম। সময় নিয়ে পরে আরও বিস্তারিত লিখব।
আমি ধর্ম তুলে দিতে বলিনি কোথাও। ধর্মের কি হবে আর না হবে সেটা আমার ভাবনাতে একেবারেই নেই। ধর্ম ব্যবহার করলে রাষ্ট্রের ভাল হবে না খারাপ হবে সেটাও আমি ভাবছি না। আমি যা বলতে চাই তা হল:
- ধর্মের সমালোচনা করার অধিকার থাকতে হবে
- ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সমানাধিকার থাকতে হবে
- রাষ্ট্রের সাথে ধর্মের কোন যোগাযোগ থাকতে পারবে না
- ধর্মের সমালোচনা শুধু বাঙালি মুসলিমরা করে এটা ভুল কথা
- ধর্মের সমালোচনা অন্য দেশের মুসলিমরা করে না এটা ভুল কথা
এই, আর কিছু না.... সমাজে ধর্মবিরোধী প্রচারণা চলছে কিনা সেটা জানি না, আমি জানি আমি কোন প্রচারণায় প্রলুব্ধ হয়ে কিছু বলছি না। আমি বলছি যা বলতেন এপিকুরোস, বার্ট্রান্ড রাসেল, ডিমোক্রিটাস, বারুখ স্পিনোজা, ভিটগেনস্টাইন। সেটা নতুন শুরু হয়েছে এমন কিছু না, আজ থেকে ২০০০ হাজার বছর আগেও এমনটি হোত।
সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টটল, বুদ্ধ, মোযেস, ডেভিড, যীশু, আমাদের রসুল, বার্কলি, .............. উনারা দর্শন জগতের এক একজন তারকা। উনারা কি বলেছেন সেটাও ভেবে দেখ।
সেকুলারিজমের আগমন তো এই সেদিন। তাও ঐতিহাসিক কারণে ও অসৎ উদ্দেশ্যে।
উপরের এতো লোকের কথায় যাবো না।
কিন্তু এখন ইতিহাস বলে রামেসিস সেকেন্ড একজন মহান শাসক ছিলেন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
তুমি একবার লিখছ: 'ধর্ম ব্যবহার করলে রাষ্ট্রের ভাল হবে না খারাপ হবে সেটাও আমি ভাবছি না।' আবার লিখছ, - রাষ্ট্রের সাথে ধর্মের কোন যোগাযোগ থাকতে পারবে না
। কনট্রাডিকশন।
ধর্ম ব্যাবহার করে রাষ্ট্র, বা সমাজ কখনো উপকৃত হতে পারে না।
তবে গুটিকয় স্বার্থান্বেষী অবশ্যই সুবিধাভোগী হয়।
ধর্ম মানা বা না মানা ব্যাক্তিগত ব্যাপার।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
তোমার পর্যবেক্ষনগুলো নতুন কিছু নয়। ওরকম পর্যবেক্ষণ আমারও আছে। আমিতো ইউরোপে ১৭ বছর কাটিয়েছি। তিনটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছি। কিন্তু ঐ যে তুমি বললে জেনারেল আর স্পেশাল, ঘটনাটা ওখানেই। তোমার অবজার্ভেশনগুলো স্পেশাল অবজার্ভেশন, জেনারেল নয়। তুরস্ক বহু আগেই ইসলাম ধর্মের বারোটা বাজিয়েছে। সেখানে একজন নিধর্মীর নিগৃহিত হওয়ার কোন কারণই নাই। পাকিস্তানী-আফগানী অনেক বন্ধু আমার ছিল, আমি জানই ওদের মধ্যে নানন চিন্তাধারার মানুষ আছে।
ইন্টারেস্টিং! সেখানে বারোটা বেজে তো দেখছি ভালোই হলো, অন্তত মানুষের অধিকারের কথা যদি বিবেচনায় আনা হয়।
ইসলাম যেখানে গৌরবের সংগে অধিষ্ঠিত, সেখানে নিধর্মী, বিধর্মী সবার নিগৃহীত হবার ব্যাপক সুযোগ থেকে যায় তাহলে!
ইহুদিরা খ্রীস্টান মৌলবাদীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, ইসলামি খেলাফতে আশ্রয় নিত। অথচ সেই মুসলমানদের উপরই ইহুদিরা কি হরর নামিয়ে এনেছে।
উ হুঁ। আমার মনে হচ্ছে আপনি আমার কনফিউশনটি ধরতে পারেননি।
তুরস্কে (বা যে কোথাও)ইসলামের 'বারোটা' বেজে যাবার ব্যাপারটা মনে হয় আপানার কাছে হতাশাব্যঞ্জক, সেখানে নিধর্মীদের আর নিগৃহীত না হবার পরিস্থিতিও কি তাহলে আপনার কাছে হতাশার? অন্তত বাক্যদুটোর পরিপূরক অবস্থান তাই বলছে।
ইহুদীরা না বলে আরো ক্লিয়ার করে ইসরায়েল বলাটাই মনে হয় যৌক্তিক হবে।
তো ইসরায়েল এক ফিলিস্তিন ছাড়া আর কার উপর অত্যাচার করছে?
সরি আমার জানা নেই।
আমাদের বিশেষ করে বাংলাদেশের মুসলিমরা এতো উচ্চকিত কেনো এই নিয়ে! উত্তর একটাই। মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই। আসলেই কি??? ইতিহাসে যাবো না। সবাই জানি।
তবে?
মুসলমানই কি তথাকথিত ঈশ্বর বা আল্লাহ্র সৃষ্টি!!!
ইহুদি, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, শিখ, নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদীরা তবে হাওয়া থেকে আসছে???
যেইদিন পর্যন্ত না আমরা মানুষ মানুষ ভাই ভাই বলবো তার আগ পর্যন্ত মুসলমানরা চারিদিকে শুধু শত্রুই দেখবে। এর থেকে মুক্তি নাই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ইহুদীরা সবার উপরেই অত্যাচার করছে তোমার জানা নেই। পৃথিবীর ৯০% সন্ত্রাসের পিছনে আছে এই ইহুদীরাই। কম্যুনিজম কিন্তু ইহুদীদেরই সৃস্টি, একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে। অমুসলিম হিটলারের লেখা বইটা একটু পড়ে দেখ। হিটলারের একটা বাণী তোমেকে বলছি,
"I could have annihilated all the Jews of the world, but I left some, so that one day the world understand why I was killing them."
নূপুর ভাই
গোড়া মুসলিমরা কামাল আতারতুক কে পছন্দ করে না যদিও নজরুল লিখেছিলেন
কামাল তুনে কামাল কিয়া।
অবশ্য নজরুল সেকুলার ছিলেন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এই কামাল আতাতুর্কই আবার ভারতবর্ষে খেলাফত আন্দোলনের প্রধান ছিলেন। বিষয়গুলো খুব অস্পষ্ট।
😀
নুপুর ভাই একদম হাঁচা কথা কইছেন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
তুরস্ক ইসলাম ধর্মের বারোটা বাজিয়েছে এটা মুসলমান হিসেবে আপনার মত হতে পারে। আমার মত হচ্ছে, তুরস্ক ধর্ম ও রাষ্ট্রকে আলাদা করেছিল সেক্যুলার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। কিন্তু সেটাও অনেক আগের কথা। গত সম্ভবত ৮ বছর ধরে তুরস্কে যারা ক্ষমতায় আছে তারা খুব তীব্রভাবেই ধর্মকে ব্যবহার করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে, মানুষের ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাসে কোন হাত না দিলেও তুরস্কে এখন রাষ্ট্রের একটি ধর্ম তৈরির চেষ্টা চলছে।
তবে ইতিহাস আলোচনা এখানে অপ্রাসঙ্গিক। আপনি যেহেতু কিছু ব্যক্তিগত অবজার্ভেশনের কথা বলেছিলেন তাই আমিও কিছু ব্যক্তিগত অবজার্ভেশন তুলে ধরেছিলাম। আপনি যখন কোন গবেষণা থেকে ডেটা তুলে দেবেন তখন আমিও সেরকম ডেটা তুলে দেয়ার চেষ্টা করব। তবে প্রমিজ করতে পারছি না। আমি আসলে এখানে কমেন্ট করেছিলাম মূলত আপনার লেখায় ভিন্নমতাবলম্বীদের প্রতি যে অশ্রদ্ধার ভাব আছে সেটা দেখে।
আরও উদাহরণ না দিয়ে পারছি না:
আমার এক ইরানী বন্ধু। ধর্মের নামই শুনতে পারে না। আমি নিজে নাস্তিক, কিন্তু তার সাথে তুলনা করলে বলতে হয় আমি বোধহয় ধর্মকে ভালবাসি। সে ইউরোপে এসেছে এক বছর হল, জীবনে এই প্রথম বোরকার অত্যাচার থেকে মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু ইরানী সরকার ধর্মের নাম করে ব্যক্তি স্বাধীনতায় এতোটাই হস্তক্ষেপ করে যে, তার দাবী অনুসারে, বিদেশেও কিছু ইরানী মেয়ের পেছনে স্পাই লাগানো হয়েছে তারা বোরকা পরে কিনা সেটা চেক করার জন্য। আগামী বছর সে কিভাবে দেশে ফিরে যাবে সে নিয়ে বেজায় চিন্তিত।
আমার আরেক বন্ধু ছিল, বাংলাদেশী এবং ধার্মিক তো বটেই এমনকি একেবারে বৌদ্ধ ভিক্ষু। ছোটবেলা থেকেই সে ভারতীয় সংস্কৃতি ও বৌদ্ধ দর্শন নিয়ে পড়াশোনা করছে। তার মনে আমি কিছু বাংলাদেশী মুসলিমদের মত কোন ধর্মীয় গোঁড়ামি দেখিনি। আমি যখন স্বয়ং গৌতম বুদ্ধের সমালোচনা করলাম সে বলল, বুদ্ধের সমালোচনা অপরাধের কিছু নয়, বুদ্ধ নিজেই বলে গেছেন, আমি যা বলি সেটা সরাসরি গ্রহণ করো না, নিজে বিচার কর, সত্য মনে করলে গ্রহণ কর। এমনকি সে নিজেও আধুনিক বৌদ্ধ ধর্মের অনেক কিছু পছন্দ করে না এবং বুদ্ধকে প্রধানত একজন সাধারণ মানুষ ও দার্শনিক হিসেবে দেখতে পছন্দ করে।
মুহম্মদ তোনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমার সময় কিছুটা কম। একটু সময় করে আমি তোমার মন্তব্যের উত্তর দিব। বাংলাদেশী মুসলমানদের তুমি যেমন গোঁড়া বানি্যেছ, বাংলাদেশীরা কিন্তু মোটেও সেরকম নয়। আমরা ভীষণ লিবারেল। টু সাম এক্সটেন্ট ইউরোপীয়ানদের চাইতে বেশী। তুমি নিজেই তো একজন উদাহরন। যা হোক, ঐ ইরান, বৌদ্ধ, হিন্দু, খ্রীষ্টান সবার সম্পর্কেই আমি বলব। সবাইকেই তো কাছ থেকে দেখেছি। সময়ের স্বল্পতার জন্য এখন বিস্তারিত লিখতে পারলাম না। একটু সময় করে আমি তোমার মন্তব্যের উত্তর দিব।
বাংলাদেশিদের লিবারেল হওয়ার প্রমাণ তসলিমার দেশত্যাগ
আর হুমায়ুন আজাদের হত্যাকাণ্ড।
শামসুর রাহমানের উপর ও তো আক্রমণ হইছিলো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমি এখন পর্যন্ত কোন ইরানী পাই নাই যারা খোমেনী যুগের থেকে শুরু করে কাউকে ভালো বলে।
একই কথা গাদ্দাফী সম্পর্কেও।
আমরা বাইরের দেশের মুসলমানরাই আহমেদিনিজাদের ছেড়া শার্ট, মেঝেতে ঘুমানোর ছবি ইত্যাদি শেয়ার কইরা বেড়াই।
আমরা যেমন গান গাই, আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম ঠিক তেমনি ইরানিরা শাহের সময়ের স্বপ্ন দ্যাখে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
একমত হতে পারলাম না। আমার অনেক ইরাণী বন্ধু ছিল। তাদের মধ্যে আমি শাহের পক্ষে এবং বিপক্ষে দু'ধরনের লোকই দেখতে পেয়েছি। তোমার কি জানা আছে রেজা খান (রেজা শাহ) নিজেই নিজেকে বাদশা বলে ঘোষণা করেছিলেন? এটাও কিন্তু গণতন্ত্র বিরোধী।
তুমিও দেখছি একপেশে মন্তব্য করছ।
ভাইয়া ইসলাম কোন তন্ত্রের কথা বলে?
আইউব খানের বেসিক ডেমোক্রেসির কথা।
আর ভাইয়া আমি কোথায় বললাম শাহ মহান লোক ছিলেন?
কিন্তু খোমেনিদের চাইতে নিঃসন্দেহে ভালো ছিলেন।
আর খোমেনিদের সাপোরটার থাকবে না কেনো? শয়তানের চ্যালা থাকে। আর তো খোমেনী!
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব ইসলাম ইসলামতন্ত্রের কথা বলে। এই দেখো কেমন একপেশে কথা বলছ। তুমি যাদের মতামতকে সমর্থন করছ না তাদের দ্রুত শয়তানের চ্যালা বানি্যে দিচ্ছ। কোথায় তোমার অপরের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ? কোথায় তোমার নিরপেজক্ষতা?
ভাইয়া শয়তান (কাল্পনিক) আমার কাছে ততটা খারাপ না যতটা ধারমিকেরা মনে করে।
আমার বিবেচনায় শয়তান সুপুরুষ। মোটেই তার দুইটা শিং বা লেজ নাই।
ফেরেশ্তাদের মতোই তারো ডানা আছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমার মনে হয় এর প্রধাণ কারণ, দেশে থাকাকালীন খুব সহজেই কারো সাথেধর্ম নিয়ে আলোচনা করা যায়না, এমনকি বিদেশ এ আসার পরো আমরা ব্যাপারটা অন্যভাবে দেখি, মুসলমান হয়ে জন্ম নিয়েছি বলে কি ধর্ম নিয়ে আলোচনা করা যাবেনা?? ধর্ম নিয়ে ডাউট থাকলে কারো সাথে আলোচনা করলে যেই উত্তর সাধারনত পাওয়া যায় তা হলো, নাস্তিকের মত কথা বলবানা, খোদায় বিশ্বাস করো নাকি তাওনা। এইসব আরকি।
তবে ইদানিং ফেইসবুকে ধর্ম নিয়া প্রচুর গালাগালি হয়, নাস্তিকরা যেমন দেয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরাও দেয়, তখন বুঝে গেসি ফেসবুকে এইসব নিয়া আলোচনা মানে গালাগালি।
ধর্মকারী নামে একটা ব্লগে পড়তাম আগে, সেখানেও দেখি আলোচনার থেকে গালাগালি এবং বাজে ছবির ছড়াছড়ি, সেখানেও বাদ দিলাম।
আমি ভেবেছিলাম ক্যাডেট কলেজ ব্লগ হবে আলাদা। কোন গালাগালি হবেনা, সবাই সুন্দর ভাবে তাদের যুক্তি দিয়ে ব্লগ দিবে কমেন্ট করবে।
নাহ এখানেও ঝামেলা হইসে। তাইলে আর কোথায় আশা করবেন ভালো পরিবেশ!!!
এখানে ঝামেলাটা কোথায় হইছে দয়া করে বলবা? আমি লেখার সময় ভাবিনি অসুন্দর কিছু লিখতেছি। অবাক হলাম তোমার কমেন্টে। আমি তো যদ্দূর মনে হয় সুন্দরভাবেই যুক্তি দিলাম, নাকি?
ভাইয়া আমাকে ক্ষমা করবেন যদি আপনাকে মিন করে থাকি। আমি আপনার এই ব্লগের ব্যাপারে কিছু বলতে চাইনাই। আগের কিছু কাহিনীর কারণে বললাম। তখন ব্লগে খুব সমস্যা হয়েছিল ধর্মীয় ব্লগের কারণে
আবারো ক্ষমা চাচ্ছি যদি আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকি.
মুহাম্মদ ভাই, আপনার এখানে কোনো কথায় সমস্যা ছিল না। বরং খুব সুন্দর ভাবে কথা গুলো বলেছেন। লাইক মারার ব্যাবস্থা থাকলে লাইক দিতাম ঃড
আমি আগের কথা বলতে চেয়েছিলাম। মনে পড়ে এডমিন্দের কাছে গালাগালির চিঠি গুলার কথা, যেই চিঠি গুলা ছিল ক্যাডেটদের কাছে থেকে পাওয়া।
গালাগালিতে ভর্তি সব কথাবার্তা। আমি সেটাই বোঝাতে চেয়েছিলাম,
মোবাইলে লিখতেসি বলে ঠিক ভাবে বুঝাইতে পারিনাই, সরি
না ঠিক আছে। আমিই ভুল বুচ্ছি... সরি... 🙂
আমি আসলে অনেকদিন অনিয়মিত ছিলাম বলে মাঝখানের কিছু কাহিনী জানি না।
বস
মাইন্ড কইরেন না আপনি আমার ৮ ব্যাচ সিনিওর।
যুক্তি তর্ক পরে আবার দিবো।
শুধু এক্ষণে বলে যাই, আমি মানি না ঈশ্বর আছে। :)) :)) :))
যদি এইটারে ভাইয়া বলেন অজ্ঞেয়বাদী তবে তাই, যদি বলেন নাস্তিক তবে তাই, যদি বলেন মুরতাদ তবে নাই।
যে ধর্ম গুলায় নারী -পুরুষ উচা- নিচা ভেদ করা হইছে তা যে মনুষ্য (পুরুষ) সৃষ্ট তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ভাইয়া বেয়াদবির জন্য মাপ চাই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রমিত ভাই
আপনি আমার ৮ ব্যাচ সিনিওর। মাপ কইরা দিয়েন।
আমি মনে করি না ঈশ্বর আদৌ আছে। আসলে কোন প্রয়োজনীয়তা নাই।
যেসব ধর্মে নারী- পুরুষ ভেদাভেদ করা হইছে তা আকাশ থিকা নাজিল হইছে না মানুষজন (পুরুষ মানুষ) লিখছে এটা যথেষ্ট সন্দেহের ব্যাপার।
যদি বলেন আমি নিধারমিক তবে তাই, যদি বলেন নাস্তিক তবে তাই, যদি বলেন অজ্ঞেয়বাদী তবে তাই।
আপনারা তো আর ভালোবাইসা ঐ ভদ্রলোকরে কাফের ভাই ডাকতেন না, ডাকতেন টিজ কইরা। সে খুশি হবে কি কইরা! এভাবে ভাবেন আপনারে সবাই যদি আস্তিক বা হুজুর ভাই আপনার কি ভালো লাগবে!
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আস্তিক ভাই ডাকলে কোন সমস্যা নাই। আমি তো আস্তিকই।
:boss: :boss: :boss:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
'আস্তিক' ভাই ডাকাটা হয়তো আপনার কাছে সমস্যার নয়, কিন্তু ব্যাপারটা কি অতই সরল? আপনাকে এভাবে ডাকতে শুরু করলে একটা শিশুও বুঝবে আমি আসলে আপনার এই 'সমস্যাহীনতা'-র সুযোগ নিচ্ছি। এবং আপনাকে ব্যবহার করে আর যাঁরা ঈশ্বর বিশ্বাসী আছেন তাঁদের বিশ্বাসবোধকে একদাগে উপহাস করছি। এ অবস্থায় আমার এহেন আচরণ নিন্দনীয় হবেনা কেন?
:thumbup:
নুপুর ভাই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আপনার লেখাটায় বেশ হোঁচট খেয়েছি বলতে পারেন। কথিত কাফের ভাই লেখায় যেভাবে উপস্থাপিত হয়েছে তাতে ভিন্নমতালম্বীর প্রতি অশ্রদ্ধাটা বেশ প্রকট এবং স্পষ্ট।
কাফের চরিত্রটি লেখাপড়া করা; কথাবার্তায় স্মার্ট, শালীন, ভদ্রোচিত; দেশের মানুষের জন্য সচেতনভাবে সক্রিয় রাজনীতি করলো, যখন বুঝলো এপথে তার উদ্দেশ্যে সাধিত হবে না নিজ খরচে পড়তে বিদেশ গেলো। টিজ করলে পাল্টা জবাবটি না দিয়ে বিরক্তির সীমা ছাড়ালে শুধু ভদ্রোচিতভাবে তার অনুভূতি কেমন হচ্ছে জানালো। অপরাধ লোকটি সচেতনভাবে ধর্মে বিশ্বাস করে না। এইতো? বেচারা!
লেখার শেষ প্যারাটা এপিক!
আমার বন্ধুয়া বিহনে
একই অনুভূতি হয়েছিল আমারও। আমি নিজে ধর্মে বিশ্বাস করি না বলেই হয়েছিল কিনা কে জানে, তবে আমার মনে হয় আমি যদি ধর্মপ্রাণ মুসলিমও হতাম তাহলেও এই অশ্রদ্ধা ও সংকীর্ণমনতাটা চোখে পড়তো। লেখক যেন বলছেন: 'তোরা সব মুসলমান হয়ে গেলেই পারিস'।
‘তোরা সব মুসলমান হয়ে গেলেই পারিস’ : এমন কথা আমি বলিনি, আমি কেবল এটাই বলতে চেয়েছিলাম যে অন্য ধর্মের লোকজন ইন জেনারেল তাদের ধর্মকে শ্রদ্ধা করে ও ডিফেন্ড করে। আমাদেরও এমনটি করা উচিত। আমার এই মতামত প্রকাশে দোষের কি আছে?
আপনি চাননি, কিন্তু আপনার লেখার টোনে আমার তেমনটাই মনে হয়েছে, সুতরাং কথা ফিরিয়ে নিচ্ছি না।
আমি দোষের কিছু আছে সেটা বলিনি। বলেছি আপনার কিছু তথ্য আমার ভুল মনে হয়েছে।
অন্য সবাই ধর্মকে ডিফেন্ড করে, মুসলমানরা করে না- এটা ভুল কথা। বরং মুসলমানরাই তাদের ধর্মকে সবচেয়ে বেশি ডিফেন্ড করে। মুসলমানরা তাদের নবী নিয়ে কেউ কার্টুন আঁকলেই তাকে হত্যা করে, উপন্যাস লেখার জন্য সালমান রুশদীর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে। বিপরীতে যিশু খ্রিস্টকে চূড়ান্ত ব্যঙ্গ করে কিছু বললে বা তার ভয়ানক সমালোচনা করলেও খ্রিস্টান বিশ্বে সেটা বেশ স্বাভাবিক হিসেবে গৃহীত হয়। সেদেশে প্রকাশ্য টেলিভিশনে গড নিয়ে ব্যঙ্গ করা যায়- উদাহরণ হিসেবে Ricky Gervais এর স্ট্যান্ড আপ কমেডি দেখুন। একবার ভাবুন তো, বাংলাদেশে আল্লাকে নিয়ে এমন স্ট্যান্ডআপ কমেডি করলে কমেডিয়ানের কল্লা কতোক্ষণ ধরে থাকবে?
জার্ভেইসের মত কমেডি তো দূরের কথা, আবুল মনসুর আহমদের মত ধর্মপ্রাণ মুসলিমের লেখা সম্পূর্ণ নির্বিষ ও উদারপন্থী কেবলা হুজুর নাটক মঞ্চস্থ করলেই বাংলাদেশের মানুষ ক্ষেপে ওঠে। ভেবে দেখুন কারা বেশি ডিফেন্ড করে। বাংলাদেশে খুবই স্বাভাবিক ও নির্দোষ কার্টুন লেখার জন্য পত্রিকা পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়ার হুমকি আসে। তারপরও শুনতে হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ নাকি ধর্মকে ডিফেন্ড করে না।
খ্রিস্টান ধর্মের বিস্তারিত সমালোচনা করেছেন যারা:
Richard Dawkins
Sam Harris
Christopher Hitchens
Daniel Dennet
Bertrand Russel
David Attenborough
ডেভিড অ্যাটেনব্রো সম্প্রতি ডারউইনের জীবনের উপর একটা প্রামাণ্য চিত্র করেছেন। সেটার শুরুতে বাইবেল হাতে নিয়ে সেটা খুলে পড়া শুরু করেছেন। বাইবেলের জেনেসিস পড়ে সবাইকে শোনালেন কি লেখা আছে। তারপর প্রাণের জন্মের প্রকৃত ইতিহাস শোনালেন। শেষে সিদ্ধান্ত টানলেন বাইবেলের বর্ণনা সম্পূর্ণ ভুয়া। এটা সে বছর হয়তো ব্রিটিশ টিভিতে সবচেয়ে জনপ্রিয়গুলোর একটা ছিল। বলুন তো বাংলাদেশে কেউ কোনদিন এমনটি করেছে কিনা কিংবা অদূর ভবিষ্যতেও এমনটি কারও পক্ষে করা সম্ভব কিনা।
বাংলাদেশের কেউ ধর্মকে ডিফেন্ড করেনা এমন কথা আমি বলিনি। আমি বলেছি আমাদের একাংশের কথা যারা এটা করেনা। অবশ্যই অন্য একটি অংশ ইসলাম ধর্মকে ডিফেন্ড করে। আমি নিজেই তো তাদের একজন। ঠিকই করে, পিতৃপুরুষের সংস্কৃতি-ঐতিহ্য রক্ষা করা যেমন দায়িত্ব, তেমনি পিতৃপুরুষের ধর্মকে রক্ষা করাও পবিত্র দায়িত্ব। এটা আমার মতামত, আমার মতামতের প্রতি অন্যদের শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিৎ।
😀
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
@ মুহাম্মদ:
আমার মনে হয়না রমিত ভাই ‘তোরা সব মুসলমান হয়ে গেলেই পারিস’ এমনটা বলতে চেয়েছেন। বরং উনি ধর্ম (এক্ষেত্রে ইসলাম। যদিও সেটা হিন্দু বা বৌদ্ধ যে কোন ধর্ম হতে পারতো)-কে একটা সাংস্কৃতিক অবস্থান থেকে দেখেছেন। বিশ্বাসকে দেখেছেন উত্তরাধিকার হিসেবে, তাই পুর্বপুরুষ থেকে যা পেয়েছেন তার প্রতি একটা এ্যাটাচমেন্ট বা দুর্বলতা থাকাটাকে উনি স্বাভাবিক (এবং এর অনুপস্থিতিকে অস্বাভাবিক) প্রবণতার অংশ হতে বলছেন। আমি মনে করি এটা একটা প্রবলেম।
মানুষ কি ইসলাম (বা কোন বিশ্বাস)ইনহেরিট করবে?বাপদাদার ধর্ম ব্যাপারটা আসলে কি।ইসলাম কি বলছে এ ব্যাপারে। 'বাপদাদার' ধর্ম বলে তাকে কি ডিফেন্ড করতে হবে? ডিফেন্ড করাটাই যদি কাম্য প্রবণতা হবে, তাহলে কি মেনে নেয়া হচ্ছেনা যে তার অনেক ইনহেরেন্ট উইকনেস আছে?
এখন কথা হচ্ছে আমরা (সেসব কথিত উইকনেস নিয়ে) আলোচনা করবো কি করবোনা। প্রশ্ন তুললেই কি আমরা অফেন্সিভ অবস্থানে চলে যাচ্ছি? ধর্ম আমাদের এমন অবস্থানে যেতে নিরুৎসাহিত করে কেন?
নূপুর তোমার প্রথম প্যরাটাই আমার লেখার সঠিক বিশ্লেষণ। তোমাকে ধন্যবাদ।
আর কেবলমাত্র উত্তরাধিকার সুত্রে নয়, দর্শন হিসাবে ইসলামী ডকট্রাইনের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এটা একদিনে গড়ে ওঠেনি। আমি বহু বছর ধরে এই নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেছি। মোটামুটি পড়ালেখা করেছি, আমার বাসায় এলে দেখবে, বুকশেলফে কোরাণ, বাইবেল, গীতা, তোরা সবগুলোই আছে। এই সবগুলো বইই আমার পড়া। আমি বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথেও কথা বলেছি, তাদের সাথে মেলামেশা চলাফেরা উঠাবসা করেছি। মধ্য এশীয় ও ইউরোপীয় সংস্কৃতির মধ্যেই বসবাস করেছি অনেকগুলো বছর। পরিশেষে আমার কাছে মনে হয়েছে 'ইসলাম ইজ দ্যা বেস্ট'।
২০০১ সালে যুক্তরাজ্যের অবস্থা
Religions in United Kingdom, 2001
Religion/Denomination Current religion Percent %
Christian 42,079,000 71.6
No religion 9,104,000 15.5
Muslim 1,591,000 2.7
Hindu 559,000 1.0
Sikh 336,000 0.6
Jewish 267,000 0.5
Buddhist 152,000 0.3
Other Religion 179,000 0.3
All religions 45,163,000 76.8
Not Answered 4,289,000 7.3
No religion +
Not Answered 13,626,000 23.2
Base 58,789,000 100
Source: UK 2001 Census.[10]
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রমিত ভাই,
আপনি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়ে, নানান ধর্মগ্রন্থ দর্শন, নানান দেশ ও সংস্কৃতি দেখে তুলনামূলক বিচারে গিয়ে, শেষে এই উপলব্ধিতে পৌঁছেছেন যে, 'ইসলাম ইজ দ্য বেস্ট'। এই উপলব্ধির পরবর্তী ধাপে গিয়েই আপনি আশা করছেন, মুসলমানের ঘরে জন্ম নেয়া অন্য সবার আপনার মতো উপলব্ধিতে পৌঁছুবে, আপনার মতো প'ড়ে, কিংবা না পড়েও? এটাকে আপনি দায়িত্ব হিসেবে বলছেন? তারা তো ভিন্নতর উপলব্ধিতেও পৌঁছুতে পারে (তেমনটাতো ঘটছেও)। তাদের প্রতি আপনি এতো নাখোশ কেন? আপনার এত শিক্ষিত, পড়ুয়া মন কেন এমন উদ্ভট আকাঙ্খা করছে, ভেবে দেখেছেন কখনো? আপনার স্ত্রী যখন 'স্বেচ্ছায়' ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, তখন কি বলেছিলেন 'তাঁর'-ও দায় ছিলো স্বীয় পৈতৃক ধর্মের প্রতি? তাঁকে মানা করেছিলেন তো? আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে। আপনার বিচারে তিনি তো তাঁর দায়িত্ব থেকে বিচ্যুত হয়েছেন।
অনেক পড়াশোনা করে আমার (বা যে কারো) যদি মনে হয় ইসলাম বেস্ট নয়, তখন আপনার কষ্ট পাবার কারণটা আমি বুঝে উঠতে পারিনা।আপনি তো দর্শন তথা জ্ঞানচর্চার প্রাথমিক শর্তকেই কনট্রাডিক্ট করছেন এভাবে।
দীর্ঘ পথপাড়ি দিয়ে একটি প্রান্তে পৌঁছে আপনি দাবী করছেন সেখানে পৌঁছুতে পারার জন্য (আপনার সেই মতামতে পৌঁছুতে পারার জন্য)আপনার প্রতি সবার শ্রদ্ধা থাকা উচিত। ঠিক। আমিও তাই মনে করি। কিন্তু সেই আপনিই যখন অন্য প্রান্তে পৌঁছুনো কারোর প্রতি তাচ্ছিল্য প্রদর্শন করেন এবং বলতে থাকেন আপনার পথই ঠিক (এবং নানান দায়িত্ববোধ থেকে তাদেরো উচিত তেমনটাই মনে করা), তখন আপনার প্রতি শ্রদ্ধাবোধের এই দাবীটা খুব ফাঁকা শোনায়।
মনে হয় এত পড়ে অনেক কিছু আপনি জেনেছেন কিন্তু জ্ঞানী হতে পারেননি।
অনেকের কথা পড়লাম এখানে।
এতগুলো মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যের পরেও আপনি এখনো মানতে অপারগ, যে ওই ভদ্রলোকের জীবনদর্শনের প্রতি আপনার অশ্রদ্ধা ছিলো। আপনি কি করে আপনার নিজের বিশ্বাসের জন্যে শ্রদ্ধা আশা করতে পারেন?না, কাফের ভাইয়ের পুরো কাহিনী শোনার জন্যে আমি অপেক্ষা করতে চাইনা। তাছাড়া আপনি বলেনওনি এটা প্রথম পর্ব। হয়তো দেখা যাবে, কাফের ভাই হিপোক্রেট। হয়তো খুব বিপদে পড়ে ধর্মের আশ্রয়ে চলে গেছিলেন, হয়তো বিশাল মিরাকেল দেখে আমূল পাল্টে ফেলেছিলেন নিজেকে --- অনেক কিছুই সম্ভব পরিণতি হিসেবে। যাই হোক সেই পরিণতি -- কোন কিছুই আপনাদের এই কৌতুকমাখানো অসংবেদনশীল আচরণকে জস্টিফাই করবেনা।
আরেকটা কথা রমিত ভাই।
আপনি এই মুহুর্তে আসলে অনেক ব্যস্তও আছেন।হয়তো হালকা চালে লিখেছিলেন লেখাটা, ভাবেনওনি এত কথা গড়াবে। নানান মতান্তর হওয়াতে আমরাও মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য ছুঁড়ে যাচ্ছি। আপনিও কিন্তু বেশ ঠাণ্ডা মাথায় জবাব দিয়ে যাচ্ছেন। এটি আমার বেশ ভালো লাগছে। ধর্ম নিয়ে আলোচনায় পরিস্থিতি একটু উত্তেজনাময় হতে বেশী সময় লাগেনা, কিন্তু আপনি ও অন্য মন্তব্যকারীরা বেশ সহনশীল ভাবেই এখনো কথা বলে যাচ্ছেন। আমি সাধারণত ধর্ম নিয়ে আলোচনায় যেতে ভয় পাই। তবে আপনার আগের পোস্টগুলো পড়ে একটা ধারণা তো হয়েছে আপনার সম্পর্কে, তাই কোমর বেঁধে তর্ক করতে আমিও নেমে পড়লাম।
আশা করি আপনিও উপভোগ করছেন।
ভালো থাকুন।
ইউ আর কাম কাম ভাইয়া।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:hatsoff: নূপুরদা, এই কথাগুলোই বলতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু আপনার মত গুছিয়ে বলতে পারতাম না কখনোই।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
নূপুর তোমার সুশোভন বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আসলেই আমি মোটামুটি হালকা চালেই লিখেছিলাম। এমন ঝড় উঠবে বুঝতে পারিনি। তবে উপভোগও করছি। পাশাপাশি শিখছিও অনেক। আমরা কেউই সবজান্তা নই। অপরের কাছ থেকে সবসময়ই জানার ও শেখার থাকে। আমি বরাবরই চেষ্টা করি অপরের কাছ থেকে জানার ও শেখার। এই লেখার মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য থেকেও অনেক কিছু শিখেছি।
রমিত ভাই,
আপনি আমার চেয়ে অনেক বড়, তাই জ্ঞান দেয়ার দুঃসাহস করবোনা।
কিন্তু আপনার এই মন্তব্যের একটি বাক্য পড়ে হাসি আটকাতে পারলাম না। তাই মনে হলো এ ব্যাপারে কিছু বলে যাই।
আপনার দাবী অনুযায়ী আপনি বেশ হালকা চালে মন্তব্য করেছেন যে কারনে এতোটা ঝড় উঠবে বুঝতে পারেননি।
আপনার হালকা চালের মন্তব্যের কিছু উদাহরণ হচ্ছে, “বাংলাদেশের সব হিন্দুদের আছে ভারতপ্রীতি, ইহুদীরা সবাই খুব খারাপ (অনেক বড় বড় নেতাদের ভাষ্য অনূযায়ী) ইত্যাদি”।
এসব বক্তব্যের পর কী কারনে ঝড় উঠলো তা যদি কেউ না বোঝে তবে বেশ নিশ্চিত হয়ে বলতে হয় যে আমাদের যোগাযোগের মধ্যে বেশ ভালো কোনো সমস্যা আছে।
আপনি যদিও দাবী করেছেন যে অনেক পড়াশোনা আপনি করেছেন, তথাপি আমি বোধ করছি যে বিংশ শতাব্দীর ইতিহাসটি ভালো ভাবে পড়া থাকলে আপনি বোধহয় অনুভব করতে পারতেন সমস্যাটি কোথায় হচ্ছে।
আমি খানিক চেষ্টা করি।
১।
আপনি ৪৭এর ভারত ভাগের কথা বললেন। এর কিছু ডকুমেন্টারী দেখলে হয়তো এতোদিনে জেনে গেছেন যে এসময় এমন ঘটনাও ঘটেছে যেখানে “কোনো শিখ পিতা নিজের কৃপাণ দিয়ে হত্যা করেছে নিজ কন্যাদের আবার নিজ হাতে পরিবারের মুখে তুলে দিয়েছেন বিষ কোনো মুসলমান গৃহকর্তা”।
আপনি চাইলে প্রত্যক্ষদর্শী কিংবা কোনোভাবে বেঁচে যাওয়া ওই পরিবারগুলোর কনিষ্ঠদের ভাষ্য ইউটিউব থেকে তুলে দিতে পারবো।
আমি একটি উদাহরন দিলাম, চাইলে এমন আরো হাজার উদাহরন খুঁজে দিতে পারবো আপনাকে।
যে মৃত, সে মৃত। তাই আসুন জীবিতদের নিয়েই কথা বলা যাক।
যে ব্যাক্তিটি এটি করতে বাধ্য হয়েছেন পরবর্তী জীবনে তার কাছে অনেক কিছুই মিথ্যা হয়ে যায়। আর কী কী মিথ্যা-ভুল হয়ে যায়, তার একটি ছোট লিস্ট দেয়া যাক।
পৃথিবীর প্রতিটি সৌন্দযর্্য- মিথ্যা এবং ভুল হয়ে যায়।
প্রতিটি রাষ্ট্র মিথ্যা এবং ভুল হয়ে যায়।
প্রতিটি জাতি ও সম্প্রদায়, মিথ্যা এবং ভুল হয়ে যায়।
প্রতিটি ধর্ম ও আদর্শ, মিথ্যা এবং ভুল হয়ে যায়।
প্রতিটি আইন ও নিয়ম, মিথ্যা এবং ভুল হয়ে যায়।
প্রতিটি কবিতা ও উপন্যাস, মিথ্যা এবং ভুল হয়ে যায়।
সর্বোপরি পুরো বিশ্বজগত পরিণত হয় একটি প্রচন্ড মিথ্যায়- ভুলে।
একটি মাত্র শতাব্দীর ভেতর দুটি বিশ্বযুদ্ধ এবং ছোট বড় শখানেক যুদ্ধ শেষে এধরনের লক্ষা কোটি ঘটনার ভান্ডারের মাঝে হতভম্ব হয়ে বসে থেকে আমরা একটি শিক্ষাই পাই।
সে শিক্ষাটি হচ্ছে পৃথিবীর সাথে আমাদের সম্পর্ক অনুভূতির। বেদনা, হাসি, কান্না, ক্ষোভ, অভিমান এবং ভালোবাসার অনুভূতি দ্বারা আমরা সম্পর্কিত পৃথিবীর সাথে। এছাড়া আপাত দৃষ্টিতে আর প্রত্যেকটি ব্যাপারই অর্থহীণ।
এসময় থেকেই মূলত আমরা ব্যাক্তি মানুষের অনুভূতিকে মূল্য দিতে শিখি; গাল ভরা একটি নাম দেই তার, “সম্মান ও তার অধিকার”। যে কারনে বাংলাদেশ ছাড়া আর কোথাও উঁচুগলায় কথা বলার জন্য রিক্সাওয়ালার গালে চড় কেউ মারেনা। জোড় গলায় কারো মুখের উপর আমরা বলিনা তুমি অবিশ্বস্ত এবং বেঈমান।
বেশ গুরুগম্ভীর ভংগিতে একাডেমী ব্লকের বিভিন্ন স্থানে সেটে দেয়া বাণীর মতো করে এ দরজার সামনে এটে দিই একটা নোটিশ, “যে মূহূর্তে মানুষের প্রতি মানুষের সম্মান ও অধিকারের এই দরজাটি কেউ পেরিয়ে যাবে সে মূহূর্তে নেমে আসবে ধ্বংস।”
২।
বাংলাদেশে প্রায় দশ হাজার এর অধিক কওমী মাদ্রাসাগুলোতে প্রায় বারো লক্ষের অধিক ছাত্রদের পড়াশোনা এবং থাকা খাওয়া চলে মানুষের পয়সায়। এ ক্ষেত্রটির উপর সরকারের কোনো হাত এবং ভর্তুকি নেই। যে কারনে দেখা যায় বিবিধ কারনে লালন পালনে অক্ষম (বেশীর ভাগ সময়ই আর্থিক) পিতা মাতাদের একটি বিশাল অংশ তাদের সন্তানদেরকে প্রেরণ করেন এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
এ মাদ্রাসাগুলোর কোনোটি তাদের পাঠ্যসূচী নিয়ে কারো কাছে জবাবদীহি করতে বাধ্য নয়, তাদের একটি বোর্ড আছে যার উপর সরকার তথা জনগনের নেই কোনো হাত। পরিসংখ্যানের উপর বিশ্বাস থাকলে এটি বোধহয় মেনে নেয়াটা ভুল হবেনা যে, কেউ না কেউ এ প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যাবহার করবে তার ব্যাক্তিগত ইচ্ছায়। বেশ স্বাভাবিক ভাবেই সেটি ঘটছে।
জেএমবির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এসেছে কওমী মাদ্রাসাগুলো থেকে। যে কারনে সুশীল সমাজ এবং নিধার্মিকেরা বেশ উঁচু গলায় এটি মাঝে মাঝেই বলে থাকে যে “কওমী মাদ্রাসাগুলো হচ্ছে জংগীদের জন্মস্থান”।
তারা পরিসংখ্যানের আরেকটি ব্যাপার ভুলে যায় যে, এখানে এ সম্ভবনাটিও থাকে যেখানে কোনো ব্যাক্তি চাইতে পারেন তার মাদ্রাসায় গোটা দশেক আইনষ্টাইন পয়দা করতে, কিংবা লিংকন। কিন্তু তার সে সদিচ্ছাটির উপর পানি ঢেলে পরবর্তী জীবনে এই বারো লক্ষাধিকের অধিক ছাত্র ছাত্রীরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে পাবে একটি বাঁকা দৃষ্টি। সে দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণের উপর আমাদের কারো কোনো হাত থাকবেনা।
সরকার তাদের প্রতিপালন করেনি তাই তাদেরকে দাড়া করানোর চেষ্টাও করবেনা কারন সরকার তাদের বিশ্বাস করেনা; তাদের শিক্ষার উপর আস্থা রাখেনা। যে কারনে তাদের খুব ক্ষুদ্র একটি অংশের ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘটেছে বোমার আকারে; যেটি খুবই স্বাভাবিক।
মানুষ চায় তার যোগ্যতার স্বীকৃতি, হতে চায় আত্মবিশ্বাসী, চায় কেউ না কেউ তাকে মূল্য দিক, ভালোবাসুক। সেটি না ঘটলে জন্ম নেয় ক্ষোভ এবং এই ক্ষোভ যে উপায়গুলোতে বের হয় তার কোনোটিই অন্য কারো জন্য সুখকর কিছু হয়না।
একই ব্যাপার আমরা ঘটতে দেখি বিডিআরের ঘটনায়!
এটি কার দোষ? জনগণ তথা সরকারের? নাকী তাদের নিজেদের?
এটি সকলেরই দোষ কিংবা কারোরই দোষ না। এর দায়িত্ব হয় নিতে হয় সবাইকে কিংবা কাউকেই না।
কিন্তু সাধারণীকরনের এই দোষে আক্রান্ত হচ্ছে কারা? যাদের সাথে ঘটনার হয়তো কোনো সম্পর্কই নেই!! হয়তো একজন ছাত্র চেয়েছিলো আইনষ্টাইন হতে, কিন্তু সে পদার্থবিদ্যায় এডমিশন নিতে পারছে না!
এই সব ক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় দেখা যাচ্ছে মানুষ হত্যা করছে ৬০ লক্ষ ইহুদী, ৭ লক্ষ তুতসী, ৫ লক্ষাধিক হিন্দু মুসলমান, ১৫ হাজার শিখ(ইন্দিরা গান্ধী হত্যা পরবর্তী সময়ে)।
উইকিপিডিয়াতে রায়ট সার্চ দিয়ে এক দিক থেকে পড়া শুরু করলে দিনের পর দিন চলে গেলেও লিস্ট শেষ হয়না।
দেখা যাচ্ছে, এই সাধারণীকরণ যে একটি অপরাধ এই শিক্ষাটি আয় করতে আমাদের যে পরিমান ক্ষতি মেনে নিতে হয়েছে তা খুব কম নয়।
৩।
একজন মানুষের হঠাত করে মনে হলো সে রাস্তায় বন্দুক চালিয়ে ১০-১২ জন মেরে ফেললো কিংবা কাউকে ধর্ষণ করে স্তণ-যোণী ছুরিকা দ্বারা ক্ষতবিক্ষত করলো।
আমরা ব্যাপারটা নিয়ে দুঃখিত হতে পারি কিন্তু শেষবেলায় এটা মেনে নিতে হয় যে ৬ বিলিয়ন মানুষের মাঝখানে ৬ জন থাকবে যাদের মাথা হঠাত করে গরম হয়ে যাবে; এটা বিশুদ্ধ গণিত। এমনকী কারো প্রতি তার কোনো ক্ষোভ না থাকা সত্বেও এ ৬ জন এধরনের কাজ করতে পারে। যা আমরা আটকানোর চেষ্টা করতে পারি বন্দুক না বেঁচে কিংবা অন্যান্য কোনো উপায়ে।
কিন্তু একদিন ঘুম ভেংগে দেখা গেলো কয়েক হাজার মানুষের মাথা হঠাত করে গরম হয়ে গেলো; তারা দলে বলে হাতের কাছে যা পেলো তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লো পৃথিবীর উপর। ব্যাপারটা কেমন দাঁড়াবে?
দৃষ্টিনন্দন কিছু নয় অবশ্যই।
ব্যাপারটা কখন ঘটবে? যখন তারা নিজেদের মতামতের মধ্যে কোনো একটি মিল খুঁজে পাবে; সে মিলটি কেমন হতে পারে?
আমার অপছন্দে বিয়ে করলো কেনো- হত্যা করো, এ কবিতাটি আমার ভালো লাগেনি তাই কবিকে মেরে ফেলো, ও মুখ খুলে এতো হাসে কেনো- পেটাও, খুব ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সব বিষয় আশয় যা কীনা মানুষের বিভিন্নতার প্রমান তাই নিয়ে তারা একজোট হয়।
যেকারনে তাদেরকে শারীরিক ভাবে আঘাত না করা সত্বেও বিবিধ কারনে তাদের কাছে মনে হতে পারে পৃথিবীটি পুড়িয়ে দেয়া খুব যুক্তিযুক্ত একটি কাজ।
এ গোষ্ঠীটির চাহিদা কী? তাদের চাহিদা পৃথিবীটি তাদের উপায়ে চলবে, তারা যা বলবে তাই হতে হবে এবং তারা যা মনে করে তা খুবই চমত্কার!!!!
এ বিষয়গুলো নিয়ে তারা আলোচনা করতেও আগ্রহী নয়। খারাপ বললে তো কথাই নেই, হাতের কাছে যা পাবে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়বে পাগলের মতো। সবাই তার নিজের মতামত অনুযায়ী জীবন নির্বাহ করবে, এ ব্যাপারে তাদের আছে ব্যাপক মাথাব্যাথা।
মজাদার ব্যাপারটি হচ্ছে এই যে যদিও তারা মনে করে সকলের জীবন সম্বন্ধে মতামত থাকার তার আছে পূর্ণ অধিকার তথাপি কেউ তাকে নিয়ে কথা বলতে পারবেনা, তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবেনা।
অর্থাত সে নিজে যে স্বাধীণতা চায় তা আর কাউকে দিতে একেবারেই প্রস্তুত নয়।
এদেরকে বোধহয় আপনি চিনতেও পারেন। তারা নিজেদেরকে বলে মুসলিম, মধ্যপ্রাচ্যে জন্ম নেওয়া একটি ধর্ম মেনে চলে তারা, মোহাম্মদের অনুসারী।
তাদের মধ্যে হাজারটি বিভাগ আছে। এ ধর্মের সবচেয়ে উদারেরা মনে করে আর সকল ধর্মের লোকজন খারাপ তবে তাদেরকে চাকরী দেয়াটা অন্যায় নয়(!), মধ্যমপন্থীরা মনে করে নারীরা শয়তানের আবাসস্থল ও চাষবাসের যোগ্য আর চরমেরা মনে করে গলা কাটা, পাথর ছুড়ে মারা, আগুন দেয়া খুব ভালো কাজ।
অর্থাত পৃথিবীতে একটি বিশাল গোষ্ঠী আছে যারা গত শতকে বড় কষ্টে আয় করা মানুষের উপলব্ধি “মানুষের সম্মান ও অধিকার রক্ষা করা” এবং “সাধারণীকরন একটি অপরাধ” এর প্রয়োজনীয়তা না বুঝে এবং মূল্য না দিয়ে, যত্রতত্র বাক্য ছড়িয়ে যদি আশা করে যে পার পেয়ে যাবে ঝড় না তুলে তবে আপনিই বিচার করুন তা ঠিক কতোটা বাস্তবসম্মত হবে? শুধু তাই নয় যদি তাদের সকলে মনে করে যে তাদের আচার আচরণে কোনো ভুল নেই, তবে ঠিক একই আচরণ করে অন্য কেউ যদি তাই মনে করে তবে সেটাই কী যূক্তিযূক্ত হয়না?
কখন বললাম এই কথা? আবারো বলছি আমি ১০০% মিন করিনি। সবখানেই ভালো ও মন্দ থাকে।
তাই কি?
এটাই ইসলামের শিক্ষা। আমি এর সাথে একমত
আমিও এই সব কিছুর বিরোধী
অত্যন্ত কটু মন্তব্য। একমত হতে পারলাম না।
অধিকতর কটু মন্তব্য। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান কম থাকলে এ ধরণের মন্তব্য হয়।
একমত নই।
হ্যারল্ড পিন্টারের নোবেল বক্তৃতাটি পড়ে নিও, বুঝতে পারবে এরা কারা।
সাব্বির,
তোমার এই দীর্ঘ মন্তব্যটি পড়ে আপ্লুত হলাম বিষণ্ণ হলাম আশান্বিত হলাম। ইতিহাসকে, মানুষকে, তাদের মধ্যকার সম্পর্ককে দেখার, পড়ার চোখ তুমি অর্জন করেছো। তোমাকে স্যালুট।
পুরো মন্তব্যটিকে একটি কবিতাই বলবো আমি, বারবার পড়তে চাইবো এমন কবিতা।
আমি ডকু গুলো দেখেছি।
আমার দুই মেয়ে আর এক বউ; বুঝে দেখ ক্যামন লেগেছে!
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সাব্বির
:clap: :clap: :clap: :teacup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:clap: :clap: :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ভাইয়া একটা লিঙ্ক দিলাম। তথ্য উপাত্ত ও পাবেন।
২০০১ সালে ইউ কে তে ২য় অবস্থানে ছিলো নিধরমীরা।
২০০৯ সালে প্রথম অবস্থানে।
২০০৯ সালের পরিসংখ্যানে অবশ্য রোমান ক্যাথলিক, প্রোটেস্ত্যান্টদের আলাদা করে দেখানো হয়েছে।
মুসলমানদের ও উচিত শিয়া, সুন্নী দের সংখ্যা আলাদা ভাবে দেওয়া। সুন্নীরা যেখানে শিয়াদের মুসলমান হিসাবে গণ্য করে না সেখানে মুসলিম জনসংখ্যায় শিয়াদের কাউন্ট না করাটাই যৌক্তিক।
ও ভাল কথা ইউ কে তে আদম- হাওয়ার কাহিনী বাতিল বই থেকে।
আপনার মূল বক্তব্যের তো সম্পূর্ণ বিরোধী ভাইয়া।
আপনার তথ্য অনুযায়ী ইসলামী দেশগুলোতে নিধরমীর সংখ্যা অন্তত ২য় অবস্থানে থাকা উচিত। মুসলমানরা যে উদার তার পরিচয় না হলে কিভাবে প্রচার হবে?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
তুমি আমাকে পাশ্চাত্য মিডিয়ার উপর পূর্ণ আস্থা রাখতে বলছ? 'মিডিয়া স্কেপটিসিজম' বিষয়টা একটু পড়ে নিও। আদম-হাওয়ার কাহিনী ধর্মীয় পুস্তক ছাড়া আর কোথাও থাকার কথাতো নয়। ইউকেতে বহু ধর্মীয় স্কুল আছে, সেখানে ধর্মীয় শিক্ষাই দেয়া হয়।
হ্যা ভাইয়া এখানে ধরমিয় শিক্ষা চালু আছে। আমার নেইবারের ছেলে-মেয়েরা মাদ্রাসায় যায়।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আর ভাইয়া আপনি কোন ডাটা ফলো করেন তাহলে?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ডাটা ফলো করার সময় ‘মিডিয়া স্কেপটিসিজম’ বিষয়টা মাথায় রাখতে হয়।
ইংল্যান্ডে কেবল মাদ্রাসা নয়, খ্রীস্টান মনাস্ট্রিও আছে। বাংলাদেশের বিতর্কিত মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা কিন্ত বৃটিশ শাসকদেরই সৃস্টি। আর এর প্রথম প্রিন্সিপাল ছিল বৃটিশ।
জি ভাইয়া।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
২০০৯ সালের ডাটা ইউ কের
Religions in Great Britain, 2009
Religion/Denomination Percent %
No religion 50.7
Church of England 19.9
Roman Catholic 8.6
Presbyterian/Church of Scotland 2.2
Methodist 1.3
Other Protestant 1.2
Christian (no denomination) 9.3
Other Christian 0.4
Muslim 2.4
Hindu 0.9
Sikh 0.8
Jewish 0.4
Other Religion 0.3
Refused / NA 0.4
Source: BSA Survey 2009.[25][26]
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাব্বী
অইটাই বিশাল অপরাধ।
ইসলামে মুরতাদের শাস্তি ভয়াবহ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কথাটায় দ্বিমত পোষণ করলাম ভাইয়া।ভারত তো আমার দেশ না, সেই দেশে সমালোচনায় আমার ক্ষিপ্ত হবার কারন কি?পাকিস্তানের সমালোচনায় ও তো অনেক মুসলমান ক্ষিপ্ত হয়ে যান,তাহলে কি আমি ঢালাওভাবে বলব পাকিস্তানের সমালোচনায় মুসলমানেরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে?অবশ্যই না।এটা ব্যক্তিপর্যায়েই সীমাবদ্ধ থাকা উচিৎ।
ধর্ম পরিবর্তনশীল এর জন্যই একসময়ের সতীদাহ প্রথাকে ধর্মের বিধি ধরা হলেও এখন সেটাকে বর্বরতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ বলতেও দ্বিধা নেই।ধর্মীয় নিয়ম নীতির সাথে বিজ্ঞান এর মিলগুলো হিন্দু বা বৌদ্ধ ধর্ম খোজার চেষ্টা কখনো করে না।হিন্দু, এবংবৌদ্ধ ধর্ম কখনো বলে না বর্তমান বিজ্ঞান তাদের ধর্মগ্রন্থের উপর ভিত্তি করে চলছে।এটা বললে সেই কথা যে মাঠে মারা যাবে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।অন্যদিকে মুসলমানেরা দাবী করে থাকেন বর্তমান বিজ্ঞান কোরানের আলোয় আলোকিত।চাঁদে গিয়েও আযান শুনতে পান এবং ইসলাম গ্রহণ করেন।এইসব কথাগুলো ইসলাম বাদে অন্য কোন ধর্ম প্রচার করে না।এর জন্য এদের সমালোচনাও কম।সময়ের সাথে এরা নিজেদের পালটে নিয়েছে অনেকটাই।মন্দির ভাংলেও কারো বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে উঠে না সবাই মিলে।কৃষ্ণের লীলাখেলার কথা শুনে এই চরিত্রটিকে "প্লে-বয়" চরিত্র বললেও তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে না লোকজন।অন্যদিকে কার্টুন এঁকে দেশ ছাড়তে হয় কার্টুনিস্টকে।"হরে রাম হরে রাম" হিন্দি গানের গীতিকারকে দেশ ছাড়তে হয়েছে এমনটা শুনি নি।ধর্মের আইন অনুযায়ী দেশ চালাতে হবে এমনটাও দাবী করে না হিন্দু বা বৌদ্ধ রা।আর এসব কারনেই এসব ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করার চান্সটাও কম নাস্তিকদের।
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
দিবস,
যেহেতু তুই জন্মগতভাবে অন্য ধর্মের (মুসলিম না) সেহেতু তুই কোরআন পড়ে দেখতে পারিস। আল্লাহ চাহেন তো তোর অন্তরের সকল জটিলতা ও ভ্রান্তি দূরীভূত হবে।
এই বিশ্বজগতের হেন জিনিস নাই যা কোরআনে নাই। ব্লাকহোল থিওরি, বিগ বাং, রিলেটিভিটি, টাইম মেশিন সব ঐ মহান গ্রন্থে আছে।
যারা মুসলিমের ঘরে জন্ম নিয়াও মুরতাদ হয়ে যায় তারা নালায়েক।
তোর জন্য হিসাব অনেক সোজা। আল্লাহ চাহেন তো সুদিন তোর সামনেই।
ট্রাই কর জাকির ভাইয়ের প্রোগ্রাম দেখতে।
জাকির ভাইয়ের মহান বাণী অন্তরে বাহিরে জিকির করবি,
আল্লাহ তোকে বেশি বুঝনেওয়ালাদের দলে তোকে শরীক করুন।
সেইদিন তোর এই নাদান ভাইয়ের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করিস।
...... রাব্বিল আলামিন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
প্রত্যেক ধর্মে গোঁড়া আছে। তা মুসলিম থেকে শুরু করে হিন্দু, বৌদ্ধ সবখানে আছে। তাই মুসলিমদের উদারপন্থী হিসাবে দেখার কোন সুযোগ নেই।
ফেসবুকে, মেইলে অনেকে আমাকে গালাগালি করে যায় আমি নাস্তিক বলে।
হুমায়ুন আজাদের একটা প্রবচনের অংশবিশেষ বলছি, মূর্তিপূজা নির্বুদ্ধিতা, আর ভাবমূরতিপূজা ভয়াবহ।
:frontroll: :frontroll: :frontroll:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
হুমায়ুন আজাদের সাথে একমত হতে পারলাম না।
আইকোনাইজেশন মানুষের দৃষ্টিকে সংকুচিত করে। আর এ্যাবসট্রাক্ট মানুষের দৃষ্টিকে করে প্রসারিত।
ভাইয়া, পুরো পোস্টে কেমন একটা "রেসিস্ট রেসিস্ট" গন্ধ পেলাম।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
রেসিস্ট কথাটি এসেছে রেইস থেকে। যারা অন্য রেইস-কে ঘৃণা করে তারা রেসিস্ট। আমার লেখায় রেসিজম কোথায় পেলে? আমি রেসিস্ট অথবা ফ্যাসিস্ট কোনটাই নই। আমার স্ত্রী একজন বিদেশিনী, ভিন্ন রেইসের, ভিন্ন জাতির, এবং ভিন্ন ধর্মের। রেসিজম, ফ্যাসিজম আমার মধ্যে থাকলে আমি কি এমন করতাম। এমনকি আমি তাকে ধর্ম পরিবর্তন করতেও অনুরোধ করিনি।(অবশ্য তিনি নিজে থেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন)
আমি কেবল এটাই বলতে চেয়েছিলাম যে অন্য ধর্মের লোকজন ইন জেনারেল তাদের ধর্মকে শ্রদ্ধা করে ও ডিফেন্ড করে। আমাদেরও এমনটি করা উচিত। আমার এই মতামত প্রকাশে দোষের কি আছে?
ইন জেনারেল কিছু মানুষ একটা কাজ করলেই কি তা করা উচিৎ? যদি আপনি বুঝতে পারেন আপনি নিজের মাঝে একটা ঘাটতি পাচ্ছেন, তা কি সারানর চেষ্টা করবেন না?
এটা দৃষ্টিভঙ্গির ব্যপার সামিয়া। আমি যদি মনে করি সেটা করা উচিৎ, তাহলে করব। কেউ যেটাকে ঘাটতি মনে করছে, আমি সেটাকে সঠিক মনে করতেই পারি। আমাকে যেমন অন্যের দৃষ্টিভঙ্গিকে শ্রদ্ধা করার সবক দেয়া হয়, সেরকম আমার দৃষ্টিভঙ্গিকেও শ্রদ্ধা করা উচিৎ।
রমিত ভাই,
আমার মনে হয় আমরা মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য করবো মূললেখার মেরিট দেখে।ব্যক্তিগত জীবনে লেখকের অবস্থানটি এক্ষেত্রে অনুল্লেখিত থাকলেও কি যায় আসে!
ইতোমধ্যে যখন জেনেই গেলাম আপনি ব্যক্তিগত জীবনে ভিন্নমত/বিশ্বাসকে এতটাই নিবিড়ভাবে নিতে পেরেছেন, তখন লেখায় মন্তব্যে আপনার অবস্থান (এবং এর আণ্ডারটোন) বরং আপনাকেই স্ববিরোধী ভাবতে পাঠককে প্রণোদিত করবে।
যে কোন মন্তব্য প্রকাশে আপনার পূর্ণ অধিকার আপনার রয়েছে তো বটেই, তবে কোন 'নির্দিষ্ট' বিশ্বাসে যার স্থিতি নেই তাকে উপহাসের বস্তু করে তুলে, উল্লিখিত ব্যক্তির নিজস্ব মতামতের প্রতি আপনার তাচ্ছিল্যকে প্রকটিত করে উল্টে(আপনার) মতপ্রকাশের 'সুযোগ' বা 'অধিকার'টি দাবী করার নৈতিক অবস্থানটি যেন আর ধরে রাখতে পারলেননা। অন্তত আমার তাই মনে হলো।
সহমত নুপুর ভাই
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
নূপুর এইখানেও কিন্ত অনেকেই ইসলাম ধর্মের সমর্থকদের তাচ্ছিল্য ও উপহাস করেছে।
:-/
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এখানে ভুল হচ্ছে একটা।
কেউ তার ধর্মকে ডিফেন্ড করবে এটা নিয়ে আপত্তি থাকার প্রশ্ন উঠে না।
আমার আপত্তি অন্য রেইসের মানুষের প্রতি নেতিবাচক ও হেয়কর দৃষ্টিভঙ্গি প্রচার এবং ভুল তথ্য সরবরাহ করাতে।
:clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ভাবী ভাগ্যবান ভাইয়া।
আমার ভাগ্য খুব খারাপ ভাইয়া।
আমার স্ত্রী প্রতিনিয়ত আমাকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আসার জন্য চাপ প্রয়োগ করে।
খুব টেনশনে থাকি কবে জানি আস্তিক হইয়া যাই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
@ রাজীব:
'স্বেচ্ছায়' আস্তিক হইলেই পারো! কে মানা করসে..
নূপুর ভাই 😀
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এটা প্রসঙ্গেও কিছু না বলে থাকতে পারছি না। আমার মাথায় ঢোকে না ভাইয়া আপনি কিভাবে এতো কথা বলতে পারলেন। আপনার ব্যক্তিগত ধারণা এমন হতেই পারে, আমি জানি বাংলাদেশের অনেক মুসলিম মনে করে হিন্দুদের দেশ ভারত এবং বাংলাদেশের সব হিন্দুও ভারত চলে যেতে চায়। কিন্তু তেমন কথা ব্লগে প্রকাশ করে তীব্র বর্ণবাদ ছড়ানো ঠিক হয়নি বলে মনে করি। এটা সমমনা বন্ধুদের অর্থহীন আড্ডার বিষয় হতে পারে, এমন ব্লগের হওয়া উচিত না।
কিন্তু আমি আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ এবং ঋত্বিক ঘটকের অনুপ্রেরণায় অন্তত এটুকু বলতে পারি: নিজের ঘরবাড়ি মৃত্যুর ভয় না থাকলে কেউ ছাড়তে চায় না, কেউ না, কক্ষনো না। নিজের বাড়ির চেয়ে আপন আর কিছু নেই।
১৯৪১ সালে এদেশে ২৯% হিন্দু ছিল যা বর্তমানে ৯% এ গিয়ে ঠেকেছে। এই পরিসংখ্যান দেখিয়ে অনেক মুসলিম বলে ওঠে হিন্দুরা ভারত চলে যেতে চায়। কিন্তু ভেবে দেখে না, হিন্দুদের ভারতপ্রেমের গুজবটা মানুষের মধ্যে ছড়ানোই হয়েছে হিন্দুদের উপর সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের ব্যাপারটা ঢাকতে।
- ১৯৪৬ সালে নোয়াখালী গণহত্যায় ৫০০০ হিন্দুকে হত্যা করা হয়, জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হয় প্রায় দেড় লাখ হিন্দুকে।
- দেশভাগের কথা বলবো না। দেশভাগেরও ৩ বছর পর ১৯৫০ সালে ১০ লক্ষ হিন্দু বাংলাদেশ ত্যাগে বাধ্য হয়
- ১৯৬৪ সালে আবারও চলে হিন্দুদের উপর হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণ।
শুধু বড় বড় নির্যাতনের ঘটনাগুলো বললাম, ছোটগুলো বললে শেষ করা যাবে না।
এতো ঘটনার পরও আজ যে বাংলাদেশে ৯% হিন্দু টিকে আছে এটাই মানুষের আদিম প্রবৃত্তি প্রমাণ করে- মৃত্যুর ভয় ছাড়া অন্য কোন কারণে মানুষ ঘর ছাড়তে পারে না। এমনকি ধর্ম পরিবর্তন করে হলেও যে অনেকে নিজের বাড়িতে থাকতে চেয়েছিল তার প্রমাণ নোয়াখালিতে দেড় লাখ হিন্দুর ইসলাম গ্রহণ। কান্না চলে আসে এসব দেখলে। এটাকে অন্য সবার মত ভারতে মুসলিমদের উপর অত্যাচারের সাথে মেলাবেন না দয়া করে। পৃথিবীর যেখানে মুসলিমদের উপর যতো অত্যাচারই চলুক সেটা দিয়ে আমার ঘরের পাশের হিন্দু ভাই বা বোনটিকে অত্যাচারের ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়া যায় না। আর আমার ঘরের পাশে বলেই এ নিয়ে কিছু করার ক্ষমতা আমাদের আছে, এ নিয়ে আমাদের দায়িত্ববোধও বেশি।
পৃথিবীর সব জায়গায় সবার উপর অত্যাচার বন্ধ হোক। কিন্তু এমন পৃথিবী চাই যেখানে মুসলিমের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করবে হিন্দু আর হিন্দুর উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করবে মুসলিম। আমি চাই, মুসলিম ভাই নয় বলা হোক মানুষ ভাই।
:boss: :boss: :boss:
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
আমার সময় কিছুটা কম, তাই বিস্তারিত লিখতে অক্ষম। কখনো মুখোমুখি দেখা হলে অনেক কথা বলা যাবে।
তুমি বাংলাদেশে হিন্দুদের নির্যাতনের কথা লিখেছ। আমি অস্বীকার করব না যে, এমন হয়নি। তবে অন্ততপক্ষে বাংলাদেশে এই মাত্রা ছিল খুবই কম। তারপরেও দুঃখজনক আমি স্বীকার করছি। তবে ভারতে এবং আরো অনেক রাস্ট্রে মুসলমানদের প্রতি অত্যাচারের মাত্রাটা যে কি ছিল, সেটাও নিশ্চয় জানো। এই তো সেদিন, ১৯৪৭ সালের আগে, এই বাংলাদেশেই হিন্দু জমিদারদের দ্বারা মুসলিম প্রজারা কি ভাবে নির্যাতিত ছিল! ঐ যে ২৯% আর ৭১% এর কথা লিখেছ না। ঐ ২৯% এর তুলনায় বাকী ৭১% -এর অনস্থাটা যে কতখানি খারাপ ছিল তা কি ইতিহাসে পড় নাই? আমরা পৃথক এনটাইটি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করার পর কতটা এগিয়ে গিয়েছি, এটা কি চোখে পড়েনা?
রমিত আজাদ ভাই, একটা অত্যাচারের দোহাই দিয়ে কখনো আরেকটা অত্যাচার কে যুক্তিযুক্ত করা যায় না। আর আপনি হিন্দু জমিদারদের কথা বলছেন, তাদের শোষণের কথা বলছেন কিন্তু নম্র শুদ্রদের কথা কেন বলছেন না। ২৯% এর মধ্যে কতজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী উচ্চবিত্ত বা জমিদার শ্রেণীর অংশ ছিল? আর বাংলার চিরস্থায়ী বন্দোবস্থ প্রথায় অত্যাচারী শুধু হিন্দু জমিদার নয় মুসলমান জমিদাররাও ছিল। জমিদাররা এখানে যতটা না ধর্মভিত্তিক সম্প্রদার তার থেকেও বেশি ছিল অর্থনৈতিক সম্প্রদায়।
আর ধর্মীয় দাংগায় ক্ষতিগ্রস্ত কিন্তু উচ্চবিত্তদের থেকে নিন্মবিত্ত আর মধ্যবিত্ত হিন্দুরাই বেশি হয়েছে। তাদের অপরাধ কী ছিল?
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
মুসলমান জমিদার ছিল অপ্রতুল। হিন্দু জমিদারই বেশী ছিল। বৃটিশদের তাবেদারী করে এই জমিদারী পাওয়া। এরা মুসলমানদের উপর অত্যাচারের মাত্রা বেশী রাখত কেবল মাত্র তারা মুসলমান বলেই। আর উচ্চ বর্ণের হিন্দু কর্তৃক নম-শুদ্ররা তো নির্যাতিত অনাদি কাল থেকেই। এখানেই তো হিন্দু ধর্ম সমালোচিত।
আমি কোনরূপ ধর্মীয় দাংগাকে সমর্থন করিনা। কোন রূপ দাংগা অথবা যুদ্ধকেও সমর্থন করিনা। তবে ১৯৪৭ সালের পর ধর্মীয় দাংগাটি অনেকটা বুমেরাং হয়ে ফিরে এসেছিল।
ভারত কম করেনি, আমাদের জাতীয় নেতা সোহরাওরার্দী-কে ভারত তার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে কপর্দক শুণ্য অবস্থায় দেশ থেকে বের করে দেয়। এটি একটি উদাহরণ দিলাম এমন আরো অনেক আছে।
কোলকাতা থেকে একটা ট্রেন যখন রওয়ানা দিয়ে পূর্ব বাংলায় আসত, তার একটি মুসলমান যাত্রীও জীবিত থাকত না, একথা তো ইতিহাস বইয়েই পড়েছি।
আসলে আমার লেখার মূল সুর ছিল ভিন্ন। আলোচনা সেখান থেকে ভিন্ন খাতে গড়াচ্ছে। তোমারা সবাই মুসলমান ও ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করছ।
তুমি আমাকে অনুগ্রহপূর্বক হিন্দু লেখকের একটি লেখা দেখাও তো যেখানে সে তার ধর্মের সমালোচনা করছে। (অথবা অন্য কোন ধর্মের লেখকদের অনুরূপ লেখা দেখাও)
আমার এই অংশটুকু পড়ে থাকলে আপনি অন্যত্র বা সামন্ত যুগে মুসলিম অত্যাচারের বিষয়টি বোধহয় উত্থাপন করতেন না। যাহোক, উত্থাপন করলেও সেটা দিয়ে আপনার রেসিস্ট মন্তব্য বৈধ হয়ে যায় না।
আমি যে ফিলিস্তিনের মুসলিমদের উপর অত্যাচার সম্পর্কেও খুব সচেতন সেটা আমার আগের লেখা ঘাটলেই বুঝে যাবেন। আমি মোটেই অন্য সব অগ্রাহ্য করে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের কথা বলছি না, সবকিছু নিয়ে বলছি। আর এখানে বিষয়টা উত্থাপনের কারণ ছিল আপনার রেসিস্ট মন্তব্য।
আর হিন্দুদের হিন্দু ধর্মের সমালোচনা নিয়ে অনেক অনেক লেখা আছে, আমার মনে হয় না মুসলিমদের চেয়ে কোন অংশে কম। আমি মনে করি বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের সমালোচনা যত লেখা হয়েছে ভারতে হিন্দু ধর্মের সমালোচনা তার চেয়ে বেশি লেখা হয়েছে। নিচে একটা লিংক দিলাম। তবে এটা অতি সামান্য, আরও অনেক অনেক আছে:
- http://www.sachalayatan.com/avijit/18285
আর পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয়েছে খ্রিস্টান ধর্মের। রিচার্ড ডকিন্স, ক্রিস্টোফার হিচেন্স, স্যাম হ্যারিস ইত্যাদি ব্যক্তিদের দুয়েকটা ইসলামের সমালোচনা শুনলেই আমরা ভেবে বসি তারা ইসলামবিদ্বেষী কিন্তু তাদের লেখার মূল বিষয়বস্তু থাকে খ্রিস্ট ধর্মের সমালোচনা, ইসলামের সমালোচনা সে তুলনায় খুবই কম।
যে লিংকটা দিয়েছি সেটা অবশ্য ভারতের কেউ নয়, হিন্দু হলেই আপনি ভারত ভারত গন্ধ পান তো, তাই আগেই জানিয়ে রাখলাম। ইনি বাংলাদেশেরই।
হিন্দু ঘরে জন্মগ্রহণকারীদের হিন্দু ধর্ম সমালোচনার আরও লিংক দিচ্ছি:
- http://www.mukto-mona.com/project/Biggan_dhormo2008/chap4/Geeta_ananta.pdf
রমিত আজাদ ভাই, আমি এখানে মুসলমান বা ইসলাম ধর্ম কারো সমালোচনা করছি বলে দেখতে পাচ্ছি না। দেশভাগের সময় দাংগা নিয়ে আপনার যুক্তি আমার মনে হয়েছে সঠিক না তাই আমি আমার কথা গুলো বললাম।
নিজ ধর্মের সমালোচনাকারী হিন্দু ধর্মাবলম্বীর উদাহারণ মুহাম্মদ দিয়ে দিল বলে আমি আর নিজে থেকে সে উদাহারণ দিলাম না।
আর আপনার কমেন্ট থেকে মনে হল আপনি এই আলোচনা এই পোস্টে পছন্দ করছেন না তাই আর কিছু কথা বলার থাকলেও আর বললাম না। আশা করি দাঙ্গা, সাম্প্রদায়িকতা, সোহরাওয়ার্দী ইত্যাদি নিয়ে সিসিবিতে আপনি/আমি/অন্য কেউ লিখলে সেখানে কথা হবে আরেকদিন।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ভাইয়া কি ট্রেন টু পাকিস্তান রে ট্রেন টু বাংলাদেশ করে ফেললেন?
রায়ট চলাকালিন সুরাবরদির কাজকরম প্রশ্নবিদ্ধ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ও ভালো কথা ভাইয়া সুরাবরদী বাঙলা বলতে পারতেন না।
হুমায়ুন আহমেদ তার (ইদানিং তার বাতিক হইছে ইতিহাস নিয়া লেখার) কোন এক বইয়ে (মধ্যানহ? ) সোহরাওারদি কে কাটাকুটি মন্ত্রী বলেছেন।
কলকাতা রায়টের সময় তিনি যতদূর মনে পড়ে মেয়র ছিলেন কলকাতার।
অন্নদাশঙ্কর রায় যিনি ঐ সময় সরকারি চাকুরীতে ছিলেন সুরাবরদিকে দাঙ্গার জন্য অনেকাংশে দায়ী করেছিলেন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাশেদ
:clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এখানে আর উপরে যা বলেছিস মুহাম্মদ
সহমত।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এক পাক সার লেখার কারণে হুমায়ুন আজাদকে প্রাণ দিতে হইলো।
ইসলামের উদারতার এর চাইতে আর কি ভালো নমুনা আছে!
প্রতি ইলেকশনের পরে এখনো দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের উপর অত্যাচার হয়।
আর এই কথা যদি বলিস সাথে সাথে জানতে পারবি ভারতে কবে কোন দাঙ্গায় কতোজন মুসলিম প্রাণ আর সম্ভ্রম হারিয়েছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এই টপিকটি বোধ হয় হট টপিক। সব চাইতে বেশী মন্তব্য পেলাম এই লেখায়। তাও আবার অনেক বড় বড় সাইযের।
এর কারণ লেখার ধরণ নয়, বরং লেখার মধ্যে রেসিস্ট কন্টেন্ট যোগ করে দেয়া যেটা দেখে অনেকেই প্রত্যুত্তর দেয়াটাকে দায়িত্ব মনে করেছেন।
:thumbup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এখানে রেসিজম কোথায় পেলে?
🙂 🙂 🙂
ভেরি হট ভাইয়া।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ইউরোপ আমেরিকার খবর কইতে পারি না, তবে আমাদের দেশের মানুষ মোটামুটি সবাই দিনকে দিন মডিফাইড ধার্মিক হইয়া যাইতেছে.......................... 😉
আমিও ধারমিক হবো।
৩৪ চলতেছে।
৪০ থেকে ৪৫ বয়স হলে দেখবো বাবা-মা নাই। দু চার জন চাচা, মামারাও মারা যাবেন সেই সময়ে।
মাটির নিচে শুতে হবে।
একদিন মরে যাবো।
এই আই প্যাড, আই ফোন কোন কাজেই আসবে না সেদিন। সোনা দানা, ঘরবাড়ি সব তুচ্ছ হয়ে যাবে।
বিশ্বাসী না হইয়া উপায় আছে তখন!
হক মওলা বইলা নেটে ইসলামী বিপ্লব করমু তখন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব,
ক্লাসমেট হিসেবে শুধু একটি কথা বলব--তোর আসলেই সমস্যা আছে। তুই তোর বিশ্বাস নিয়ে তুই বসে থাক্না...ক্যাডেট কলেজের একজন বড় ভাইকে এভাবে টিপ্পনী না কাটলে কি হতো না। এই পুরাতন আস্তিক-নাস্তিক প্যাঁচাল লোকজন কিন্তু খুব বেশি খায়না। এসব প্যাঁচাল কি এই ব্লগে না পাড়লেই নয়!!!!
তোর ক্যান এই কথা মনে হইলো!
আর তুই কি বুঝাইতে চাইলি ক্লিআর কর।
মানে কি ধরমের পক্ষে বা বিপক্ষে কোন কথাই বলা যাবে না!
তাইলে তো রমিত ভাইএর এই লেখাটা দেউআ ঠিক হয় নাই।
যদি বলতাম রমিত ভাই আপ্নি আমাদের সবার মনের কথা বলেছেন তাইলে বলতি
রাজীব তোর মাথা ঠিক আছে।
যেই কইলাম ভাই আপ্নার কথার কথার সাথে দিমত আছে সাথে সাথে আমার প্রব্লেম আছে।
তোর কথা অনুযায়ী আমি যা খুশি লিখে যাবো কিন্তু কোন জুনিঅর আমার লেখার সমালোচনা করতে পারবে না।
আহা বেশ বেশ বেশ।।।।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
দোস্ত, না-- পোস্টে তোর দ্বিমত নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি এক্থাও বলিনি যে, রমিত ভাই আমাদের সবার মনের কথা বলেছেন। আমার কাছে শুধু মনে হয়েছে যে, তোর মন্তব্যগুলোর শব্দচয়ন ভালো হয়নি। তাই কথাগুলো বলেছি। আমরা আস্তিক কিংবা নাস্তিক যাই-ই হই না কেন, এই ব্লগে আমরা সবাই ক্যাডেট আর সর্বোপরি মানুষ। সুতরাং, ভালো মুসলমান অথবা ভালো সংশয়বাদী হওয়ার আগে কি ভালো মানুষ হওয়া জরুরী নয়(তোকে জ্ঞান দেয়া নয় বরং নিজেকেই রিমাইন্ডার দিলাম)?
আর রমিত ভাইয়েরও ইতঃমধ্যেই অন্য ব্লগের প্রকাশিত এরকম একটা পোস্ট দেয়া মনে হয় উচিত হয়নি। তারপরও আবার যেখানে ধর্মের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে!!
যাইহোক, মাইন্ড খাইস্ না দোস্ত। ভালো থাক্।
যা খাইলাম না। এখন তুই আমারে ফেস বুকে অ্যাড কর।
তোর গুণাহ মাপ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ধর্ম মানুষের এক বড় আশ্রয়। যে মানে না, নিজের মত থাকলেই হয়। যারা মানে তাদের সামনে এত সমালচনা করার কি দরকার ? এটা ব্যাক্তিগত আক্রমনের পর্যায়ে পড়ে বলে আমি মনে করি। নাস্তিকরা নিজেদের মনে করে সব যেনে গেছি, অন্যদের পেলেই সুধু জ্ঞান দেয়ার চেষ্ঠা। আমি নিজেও এও ব্যাপারটা দেখেছি। 🙂
সহমত
রিদওয়ান
ধর্ম অবশ্যই মানুষের এক বড় আশ্রয়। তোমার কথা শতভাগ ঠিক।
তবে কিছুটা অসম্পূর্ণ তোমার বাক্যটি।
আমার মতে ধর্ম দুর্বল মানুষের এক বড় আশ্রয়।
সবল মানুষের ধর্মের কোন প্রয়োজন নাই।
আর নিজের মত থাকার কথা বলতেছো? হাসাইলা, ভাইয়া।
ধারমিকেরা কি নিজেদের মতন থাকে! তারা তো পারলে সারা দুনিয়া তাদের মতোন পূন্যবান ধার্মিকে ভরে দিতে চায়। নাকি ভুল বললাম।
কোন ধর্ম আছে যেখানে অন্য ধর্মকে মর্যাদা দেওয়া হইছে?
ইসলাম ইহুদি, খ্রিস্টানদের নবীদের স্বীকার কইরা নিছে। কারণ তা না হইলে ইসলাম ধর্মেরই ভিত্তি থাকে না।
ধর্ম প্রচারে সমস্যা নাই, কিন্তু নাস্তিকতা নিয়া কথা বললেই সমস্যা!!!
উপরে জাকির ভাইয়ের একটা কথা বলে আসছি,
বেশি জানলেওয়ালারা আস্তিক।
তবে আমরা যারা কম বুঝি তারা একলাফে জ্ঞানী হইতে চাই না। মায়ের পেট থিকা পইড়াই কএক পারা মুখস্ত কইতে চাই না। বুইঝা দেখতে চাই ঐ বইয়ে কি আছে।
ভালো থাকো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
"কোন ধর্ম আছে যেখানে অন্য ধর্মকে মর্যাদা দেওয়া হইছে?
ইসলাম ইহুদি, খ্রিস্টানদের নবীদের স্বীকার কইরা নিছে। কারণ তা না হইলে ইসলাম ধর্মেরই ভিত্তি থাকে না।"
একবার বলছ, মর্যাদা দেওয়া হয়নাই, আরেকবার বলছ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আবার সেই মর্যাদা দেওয়াটারও একটা নেগেটিভ কারন খুঁজে বের করেছ। 'কনট্রাডিকশন!'
চিন্তায় ফেললেন ভাই
~x(
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমাকে দূর্বল ভাবার জন্য ধন্যবাদ। =))
রিদওয়ান তোমারে দুরবল -সবল কিছুই আমি বলি নাই।
তুমি নিজে ঠিক করবা, তুমি কি?
জিমে যাইতে হইলে কইয়ো।
বিসিসির ৮৭-৯৩ এর রফিক ভাই মিস্টার বাংলাদেশ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
অনলাইন জগতেই মোটামুটি ইনেকটিভ। তবে লেখাটা পড়লাম। লেখা পড়ে বেশ অস্বস্তি লাগছিলো। কেন লাগছিলো বলতে চা না নতুন করে উপরে অনেকেই মন্তব্যের ঘরে সেগুলো বলে গেছেন। তবে লেখাটা পড়েও আমি বেনিফিট অফ ডাউট দেবার কথা ভাবছিলাম। কিন্তু সত্যিকার অর্থেই হতাশ হলাম রামিত ভাইয়ের কমেন্ট গুলো পড়ে।
রামিত ভাই, আমি ইসলাম ধর্ম প্র্যাকটিস না করলেও মোটা দাগে অবিশ্বাসী বলা যায় না। ণিজেকে নন প্র্যাকটিসিং মুসলিমই বলি সব সময়। আমার কাছে আপনার লেখাটাকে আপত্তিজনক মনে হয়েছে সাম্প্রদায়িকতার দোষে দুষ্ট। তবে কমেন্ট গুলো সত্যিকার অর্থেই ভয়াবহ রকম খারাপ লেঘেছে। বিস্তারিত কিছু বলবো না। তবে সিসিবিতে আপনার আগের লেখা চিন্তাভাবনা এসব দেখে যে শ্রদ্ধা বোধ ছিলো তা পুরোপুরি চলে গেলো এই লেখা আর কমেন্টের কারণে।
আমি ইসলামী দর্শনে বিশ্বাস করি, কেবমাত্র এই কারণেই আমার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ চলে গেল?
একটু ভাবনা আমিন, যেই লোকটি অন্য সব লেখা লিখছে, সেই লোকটিই এমন লেখা লিখছে কেন।
না ভাইয়া। কেউ ইসলামী হিন্দু বৌদ্ধ ক্রিস্টান জৈন কিংবা নিধর্মী তার সাথে শ্রদ্ধাবোধের কোন সম্পর্ক নাই। তবে এই কমেন্ট টার মত খেলো অনেকগুলো কমেন্ট এবং মোটা দাগে জেনারালাইজেশন এবং কিছু আপত্তিজনক মন্তব্যের কারণে আমি খুবই হতাশ হয়েছি যা কিনা আপনার মাপের মানুষের থেকে আশা করা যায় না।
আমিন তোমার এই মন্তব্যটি খুব ডিসেন্ট হয়েছে। তোমাকে ধন্যবাদ।
আচ্ছা আমিন আমাকে একটা কথা বোঝাও তো 'সাম্প্রদায়িকতা' বলতে ঠিক কি বোঝায়? আমি যদি আমার দেশ ও জাতিকে ভালোবাসি এটাকে কি তোমরা খারাপ চোখে দেখবে? না কি বলবে এটা দেশপ্রেম? অনূরূপভাবে আমি যদি আমার ধর্মীয় সম্প্রদায়কে ভালোবাসি, তাহলে কি এটা সাম্প্রদায়িকতা? না কি এটা সম্প্রদায়প্রেম?
আমার ধর্মীয় সম্প্রদায়কে ভালোবাসাটা কি অপরাধ? কোথাও কোন বাধা আছে?
আমি অপরাপর ধর্মীয় সম্প্রদায়কে শ্রদ্ধা করি, আগেই বলেছি আমার সহধর্মিনী একজন ভীনধর্মী ছিলেন।
জেনারালাইজেশনের কথা বলছ? আমি নিজেই তো বারবার বলছি, আমার মন্তব্যটি ইন জেনারেল।
আমিন :thumbup: :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমি অপেক্ষা করছি আরো কিছু মন্তব্যের। তারপরে আরো একটি কথা লিখব। কাফের ভাইয়ের গল্প শেষ হয়নি কিন্তু। উনার সাথে বিদেশ জীবনের পুরো সময়টাই আমার সুসম্পর্ক ছিল। এবং একমাত্র আমার রূমেই তিনি রেগুলার আসতেন।
রমিত ভাই,
আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ। আপনি বলতে চেয়েছিলেন, "অন্য ধর্মের লোকজন ইন জেনারেল তাদের ধর্মকে শ্রদ্ধা করে ও ডিফেন্ড করে। আমাদেরও(মুসলিম) এমনটি করা উচিত"। আমার কেন যেন মনে হয়, বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে এটা কার্যকরি হবে না।
এর মূল কারণ, আমাদের পড়াশুনা করার এবং জানার ইচ্ছার অভাব (মুজতবা আলীর 'বই কেনা' গল্পে ভালোভাবেই বলা হয়েছে)। আপনি নিজেকে দিয়েই দেখুন না, আপনি বিভিন্ন ধর্ম ও দর্শণ নিয়ে পড়াশুনা করেছেন, অথচ খুব কম বাঙালী মুসলিম পাবেন, যারা কিনা কুরআন শরীফ সত্যি সত্যি পড়ে দেখেছেন।
আমাদের দেশে অনেক লোক আছেন যারা নিয়মিত কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করেন অথবা তেলাওয়াত শুনে থাকেন, অথচ কুরআন শরীফে কি শিক্ষা দেয়া হয়েছে তা জানেননা এবং জানার চেষ্টাও করেন না। আমাদের দেশে ইসলাম নামে যা আছে তা হলো Tradition not Religion. এবং এই Tradition অনেক ক্ষেত্রেই মূল শিক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক।
যারা নিজেদের দর্শণকেই ঠিকমতো জানেনা বা জানার চেষ্টা করেনা, তারা কিভাবে সেটাকে ডিফেন্ড করবে?
সহমত হায়দার। তোমার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া, আপনার পোস্টটা প্রথম যখন পড়ি তখনই মূল সুরটা ভাল লাগেনি, মাঝে আর সেভাবে ফলো করা হয়নি, তবে এখন পুরো আলোচনা পড়ার পরে নিজের আপত্তিটা জানানোর প্রয়োজন মনে করলাম।
আপনি বেশ কয়েকবারই আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে শ্রদ্ধা দেখানোর কথা বলেছেন। কিন্তু দুঃখিত, সব ক্ষেত্রে আমি অন্তত তা পারছি না। কোথায় কোথায় পারছি না একে একে বলছি।
" কেবল তার ধর্ম নয় ভারতের সমালোচনা করলেও সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে"। ছোট বেলা থেকেই এই মানষিকতার লোকদের দেখে আসছি, যারা হিন্দুদেরকে একান্ত ভারতপ্রেমী বলে মনে করে, তাদেরকে নিজের দেশের লোক ভাবতে, বাংলাদেশের প্রতি তাদের ভালবাসা সম্পর্কে সন্দেহ পোষন করে। বিভিন্ন সময়ে সক্রিয়ভাবে যারা হিন্দুদের নির্যাতন করেছে তাদের চেয়ে আমি এইসব হিন্দু বিদ্বেষী মৌন সমর্থকদের আমি কম দোষী মনে করি না।
ইহুদীদেরকে আপনি ৯০% সন্ত্রাসের কারন বলেছেন, এই পরিসংখ্যান যাচাই করতে যাব না, ইহুদিদের ডিফেন্ড ও করবো না, কিন্তু আপনি যখন হিটলারকে কোট করে তার ইহুদি নিধনের কারন উল্লেখ করা শুরু করলেন, তখন আপনা সেই দৃষ্টিভঙ্গিকে আর শ্রদ্ধা করতে পারলাম না। এ ধরনের মুসলিমও আশেপাশে অনেক আগে থেকেই দেখেছি, যারা হিটলারের উপর বেশ সন্তুষ্ট, কারন সে ইহুদিদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার চেষ্টা করেছিল।
আপনি উধাহরন চেয়েছিলেন অন্য ধর্মের কেই তা নিজ ধর্মকে সমালোচনা করেছে কিনা, আপনার মূল বক্তব্যই ছিল এরকম কাউকে পাওয়া যাবে না। কিন্তু আপনাকে যখন একাধিক উধাহরন দেয়া হলো তখন সেটি নিয়ে আপনি আর কথা না বাড়িয়ে স্বযতনে এড়িয়ে গেলেন, এটিও আমি সমর্থন করতে পারলাম না।
আমি যতটুকু পড়েছি তাতে এই পোস্টে কেউ আপনাকে ইসলামের পক্ষে বলার জন্য সমালোচনা করেনি, সরাসরি ইসলামের সমালোচনাও কেউ এই পোস্ট এ করেনি। যা করেছে সেটা হলো অন্য বিশ্বাষে বিশ্বাসীদের প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা। কিন্তু আপনি এটাকে দেখছেন আপনার ইসলাম ভক্তির সমালোচনা হিসেবে।
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে নির্যাতনের কোন কথা আসলেই আপনি সেখানে ভারতের উধাহরন টেনে নিয়ে এসেছেন, কেন? আমার দেশে বসে আমার পাশের বাড়ির লোকের উপরে অত্যাচার করা হবে আর সেটা নিয়ে কথা বললেই কেউ কেউ পাশের দেশের উধাহরন টেনে নিয়ে আসবে,কেন? এদেরকেও আমার এই অত্যাচারের মৌণ সমর্থক বলে মনে হয়, এদের কারনেই বার বার একই ধরনের নির্যাতন করেও ফ্যানাটিকরা পার পেয়ে যায়, তাদের বিরুদ্ধে কোন কোন জোরালো প্রতিবাদ হয় না, বিচার তো অনেক দূরের কথা।
অতিকায় মন্তব্যের জন্য দুঃখিত, আশা করি আমনার দৃষ্টিভঙ্গিকে কেন শ্রদ্ধা করতে পারছি না তা পরিষ্কার করতে পেরেছে। আর আবারো বলছি, আমনার ইসলামলে ডিফেন্ড করা নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই, আছে অন্য বিশ্বাষে বিশ্বাসীদের প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। ধন্যবাদ।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আকাশ ভাইয়ের মন্তব্যের সাথে একমত প্রকাশ করছি।
আকাশ
:thumbup: :teacup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
হায়দার আমার লেখার মোরালটি ধরতে পেরেছে: “অন্য ধর্মের লোকজন ইন জেনারেল তাদের ধর্মকে শ্রদ্ধা করে ও ডিফেন্ড করে। আমাদেরও(মুসলিম) এমনটি করা উচিত”।
অন্যেরা আমার লেখার মোরালটি ধরতে না পেরে নিজের মত করে ইন্টারপ্রেট করেছে। এখানে আমার আসলে কিছু করার নেই।
এখন আমার মনে হচ্ছে হায়দারের কথাটিই ঠিক: বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে এটা কার্যকরি হবে না।
ইহুদিদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার ব্যাপারে কিন্তু আমি কিছু বলিনি। আমার চমৎকার কিছু বন্ধু আছে যারা ইহুদী। তাদের নিশ্চিহ্ন করার তো প্রশ্নই ওঠে না, বরং আমি তাদের শুভ কামনা করি। আবারো তুমি আমার কথার সুর ধরতে না পেরে নিজের মত করেই ইন্টারপ্রেট করছ। আমি এখানে কি করতে পারি বল?
আমি রেফারেন্স চেয়েছিলাম রেফারেন্স পেয়েছি। কিছু রেফারেন্স আমার আগে থেকেই জানা ছিল, কিছু নতুন পেয়েছি। ভালোই হলো। আমি পড়তে ভালোবাসি। নতুন রেফারেন্সগুলো সময় করে পড়ে নেব। যারা রেফারেন্স দিয়েছে তাদেরকে ধন্যবাদ।
তোমাকে একটা কথা বলি এমন রেফারেন্স পাওয়া যাবেনা, সেটা কিন্তু আমি কখনোই মনে করিনি। এই জগতে ১০০% বলে কিছু নেই। কোন রেফারেন্সই পাওয়া যাবেনা তা কি হয়? আমি একটা কথা বারবার বলছি, যেটা তোমারাও এড়িয়ে যাচ্ছ, তা হলো 'ইন জেনারেল'। পাশ্চাত্য জগতে এমন বহু লোক আছে যারা নিজ ধর্মের বিরুদ্ধে বলেছে ও লিখেছে। আরে এমন অনেকের সাথে তো পাশাপাশি বসে কথাও বলেছি। তারা প্রায় সবাইই বামপন্থী। অর্থাৎ কম্যুনিস্ট চিন্তাধারার লোক। আমি নিজেও একসময় ঐ চিন্তাধারার মানুষ ছিলাম। পরবর্তিতে আমি যখন তার স্বরূপ দেখলাম, এবং তার অন্তর্নিহিত কারণ জানতে পারলাম, তখন আমি নিজেই শিউরে উঠেছি। অন্য কোন এক আর্টিকেলে এই বিষয়ে লিখব।
আবারো বলছি কিছু রেফারেন্স আমার আগে থেকেই জানা ছিল। বারট্রান্ড রাসেলের অনেক বইই আমার বহু আগেই পড়া আছে। আমার বাসায় অথবা অফিসে আসলেই, শেলফে দেখতে পাবে।
বারট্রান্ড রাসেল তরুন বয়সে বামপন্থী চিন্তাধারার মানুষ ছিলেন। এই রাসেলই পরিণত বয়েসে বামপন্থী চিন্তাভাবনা ঝেরে ফেলে দিয়েছিলেন। আমার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। তোমাদের অনেকের ক্ষেত্রেই এমনটি ঘটবে বলে আমার ধারনা।
আরেকটা মিসকনসেপশন।
ভাইয়া বেয়াদবি নিয়েন না, আপনি বারবার বলছেন কেউ মূলসুর ধরতে পারছে না। এখানে কেউই ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করছে না, কিন্তু কেন করা যাবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
মিসকনসেপশনটা ক্লিয়ার না।
ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করা যাবে না তা আর বলি কি করে। সবাই যখন ঐক্যবদ্ধ।
তবে একজন মুসলমানের ছেলে অথবা মেয়ে যখন ইসলামের মত এত চমৎকার একটা ধর্মের সমালোচনা করে তখন মনে কস্ট পাই।
রমিত ভাই, with due respect এখানে আমি বা অন্যান্য পাঠকেরা যারা আলোচনায় অংশগ্রহন করছে তারা কিন্তু আপনার মূল লেখা এবং পরবর্তীতে আপনার করা মন্তব্যের উপর ভিত্তি করেই করছে, ব্যক্তিগতভাবে আপনার সাথে পরিচয় না থাকায় এটা জানার সুযোগ নেই আপনি ইহুদীদের সাথে কিভাবে মেশেন। কিন্তু কেউ যখন আপনার করা এই মন্তব্যটি পড়বে তখন তার কি বুঝে নেয়া উচিৎ?
ইহুদীরা সবার উপরেই অত্যাচার করছে তোমার জানা নেই। পৃথিবীর ৯০% সন্ত্রাসের পিছনে আছে এই ইহুদীরাই। কম্যুনিজম কিন্তু ইহুদীদেরই সৃস্টি, একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে। অমুসলিম হিটলারের লেখা বইটা একটু পড়ে দেখ। হিটলারের একটা বাণী তোমেকে বলছি,
“I could have annihilated all the Jews of the world, but I left some, so that one day the world understand why I was killing them.”
এটাকেই কি আপনার ভাষায় ইন জেনারেল বলে না?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আমার মন্তব্যটি পড়ে তুমি কি বুঝেছ, একটু বলতো?
আমি আবারো বলছি,
ইহুদীরা সবার উপরেই অত্যাচার করছে । পৃথিবীর ৯০% সন্ত্রাসের পিছনে আছে এই ইহুদীরাই। কম্যুনিজম কিন্তু ইহুদীদেরই সৃস্টি, একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে।
এটা শুধু আমিনা, অনেক বড় বড় রাস্ট্রনায়করা আমার বহু আগেই বুঝেছিল। হিটলার তাদের মধ্যে একজন ছিল।
আকাশ আবারো :thumbup: :teacup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আকাশ আবারো :thumbup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
হিটলারের উপর আমি মোটেও সন্তুষ্ট নই। যে সারা পৃথিবীর উপর হরর নামিয়ে এনেছিল তাকে সমর্থন করব? আমি শুধু উগ্রপন্থী ইহুদীদের কার্যকলাপ সম্পর্কে হিন্টস দিতে চেয়েছি। হিটলার আসলে উগ্রপন্থী ইহুদীদের বিশাল দাবা খেলার বোর্ডে একটি গুটি হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল, সেও অনেক কথা।
রমিত আজাদ ভাই: থলে থেকে সব বিড়ালই বেরিয়ে আসছে একে একে। ইহুদিরা কতোটা খারাপ সেটা শোনানোর জন্য আপনি ব্যবহার করেছেন হিটলারের বাণী, ব্রাভো!
আপনাকে জানাতে চাই, উগ্রপন্থী ইহুদিরা কতোটা খারাপ সেটা প্রমাণ করার জন্য হিটলার লাগে না। সেটা গত ২০০ বছরের ইহুদিদের ইতিহাস অধ্যয়ন করলেই বোঝা যায়। কিংবা হাসনাইন হাইকলের "ফিলিস্তিনের মুক্তিসংগ্রাম" পড়লেও বোঝা যায়। এত কিছু থাকতে আপনি হিটলারের দ্বারস্থ হলেন কেন? যে হিটলার সম্পূর্ণ নিরপরাধ ইহুদি নারী-শিশু-পুরুষ দের গণহারে হত্যা করেছিল, যে হিটলার জার্মান জাতিকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি প্রমাণ করার জন্য কিছু ভাড়া করা বিজ্ঞানীকে পর্যন্ত কাজে লাগিয়েছিল। যে হিটলার জেনেটিক্যালি জার্মানদের বিশুদ্ধ উন্নত রেইস তৈরির চেষ্টা করেছিল। সেই হিটলারের বাণী আপনার মুখে যতই ঘুরুক, আমাদের এই প্রজন্মের কারও মুখ থেকে বেরেচ্ছে না সেটা ভেবে কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হচ্ছি।
আরেকটা কথা হচ্ছে, আপনার এই লেখা এবং মন্তব্যগুলো পড়ে অন্তত একটা সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি: আপনি ভবিষ্যতে যাই বলেন সেটা কখনো বিশ্বাস করবো না, অবশ্য বিশ্বাস করার প্রশ্নও উঠে না। জানতে হলে বই পড়লেই হয়, আপনার রেসিস্ট লেখা আর মন্তব্যের আশ্রয় কেন নিতে হবে।
আবারো নিজের মত করেই ইন্টারপ্রেট করছ। আবারো প্রশ্ন করছি, রেসিজম কোথায় পেলে?
আমার ব হু আগের একটা লেখার লিংক দিলাম:
আমার সংগ্রাম (Mein Kampf): আলোচনা-সমালোচনা
http://www.somewhereinblog.net/blog/ramit/29316332
হিটলার সম্পূর্ণ নিরপরাধ নারী-শিশু-পুরুষ দের গণহারে হত্যা করেছিল বলেই তো তাকে সমর্থন করছি না। হিটলারের প্রতি আমার সমর্থন কোথায় পেলে? আমি শুধু ইহুদী চক্র সম্বন্ধে তার মনোভাবটাই বলতে চেয়েছি।
মুহম্মদ তুমি শেক্সপীয়ারের মার্চেন্ট অফ ভেনিস পড়েছ? শেক্সপীয়ারের মত এত প্রতিভাবান ব্যক্তি কেন ইহুদী নীতির সমালোচনা করলেন? আর আমি সমালোচনা করলেই দোষ হয়ে যায়?
ভাইয়া আপনি জানেন কি, শাইলক কে শেক্সপিয়ার ভিন্নভাবে ভেবেছেন বলে মনে করা হয়। কিছুদিন আগেই কোথায় জানি পড়লাম।
যাইহোক তথ্যটি হাতে আসলে জানাবো আপনাকে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব তোমার ধারণা ঠিক আছে। কিছুদিন আগে তুমি এইটা 'যদ্যপি আমার গুরু'তে পড়েছো। কিভাবে বুঝলাম সেটা আর উল্লেখ করলাম না।
সেখানে প্রফেসর আব্দুল রাজ্জাক তাঁর শিষ্য আহমেদ ছফাকে বুঝাচ্ছেন যে দেখ যখন সারা ইউরোপে ইহুদীদের বিরুদ্ধে ছিল তখন শেক্সপিয়ার "ইহুদীর রক্তও লাল" কথাটা বলে ইহুদীরাও যে সবার মতো মানুষ সেটা সাহস করে বুঝিয়ে দিয়েছিল।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
মার্চেন্ট অফ ভেনিস -এর মোরালটা তাহলে কি। ভিলেনের চরিত্রে ইংরেজ ব্যবসায়ীকে না দেখিয়ে, ইহুদী দেখানো হলো কেন?
আপা ঠিক বলেছেন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
শেষ প্যারাটা এপিক!
ধর্মাবলম্বী তো সব ধর্মেই আছে ,সেটা গোঁড়া বলুন আর আধুনিকই বলুন । রমিত ভাই যেটা বুঝাতে চেয়েছেন সেটা যারা বুঝতে পেরেছে তাদের ধন্যবাদ । কিন্তু রাজীব ভাই কে বলছি, আপনি কিন্তু নাস্তিক নন। আপনি শুধুমাত্র ইসলাম বিরোধী। যেভাবে কটাক্ষ করলেন এই ধর্মকে, শুধুমাত্র বিবেক এবং পড়াশোনাই যদি আপনার এহেন ধারণার কারণ হয়ে থাকে তবে বলব আপনি কি সব ধর্মের ধর্মগ্রন্থ পড়ে দেখেছেন ? তাহলে শুধু ইসলাম কে নিয়ে বললেন কেন ? রেসিজম এর ছোঁয়া পাচ্ছি আপনার মতবাদে। যেখানে ইসলামবিরোধীতা একটা রেস এবং আপনি তার পয়গম্বর। নাস্তিকরা সব ধর্মকেই কটাক্ষ করে। তেমনটা আপনি করেননি। একটি বিষয়কে অন্য খাতে প্রবাহিত করার প্রচেষ্টা করেছেন মাত্র।
এইযে তমাল ভাইজান
প্রশ্ন করার আগে একটু ভাইবা দেইখেন।
এইখানে কেউ অন্য ধরমের গুণ গাইছে?
না। লেখক মহান ইস্লাম ধরমের গুণ গাইছেন।
তাইলে কথা হবে কি নিয়া????
আমি নবী হইতে চাই না আর শিশু বিবাহ ও করতে চাই না।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
তা ভাইয়া এই যে শিশু বিবাহ বললেন, এতেই তো বোঝা গেল আপনার চিন্তাধারা ইসলামবিরোধী না নাস্তিকবাদী । যারা জানে না তারা আপনার এই ছোট শ্লেষ্মা মিশ্রিত কথাটাকেই সত্য বলে ধরে নেবে। কিন্তু কারণ অথবা কার্যকরণের দিকে যাবে না। আপনার ঝুলিতে আরেকটি ইসলামবিরোধী নাস্তিক জমা হবে। আশা করি অর্ধেক তথ্য না জেনে পুরোটা জানবেন।
Prisoner of Own Mind
ধন্যবাদ মহিউদ্দিন তমাল, আমার পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য।
মহিউদ্দিন আমি বুঝতে পারি নাই,আমার মনে হয় তুই বুঝতে পারছস,আমারে বুঝায় দে।এতগুলা কমেন্ট পড়ার পরও বুঝতে পারলাম না।ভাইয়া এখনো আমার প্রথম কনফিউশন নিয়ে কথা বলেন নাই।এখনো অপেক্ষা করছি ভাইয়া হয়তো আমার কথাটার ভুল ভাঙ্গাবেন।আর তুই যেহেতু বুঝতে পারছস তাহলে আমারে একটু বল এই বিষয়টা।
এখানে বাংলাদেশের হিন্দুদের কিভাবে দেখা হল?
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
দিবস আমি তোমার মনে আঘাত দিতে চাইনি বলে এই বিষয়ে নিশ্চুপ ছিলাম। এবার বলছি, তুমি মনে আঘাত পেলে আমাকে ক্ষমা করে দিও।
আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই ঐ কথাটি লিখেছি। এমন অনেককেই আমি দেখেছি। দেশে এবং বিদেশে। তুমি আবার দ্রুত সিদ্ধান্তে এসনা আমি ১০০%-এর কথা বলছি। যারা এমনটি করে আমি তাদের কথা বলছি। তাদের সংখ্যা আমার কাছে নেহায়েত কম মনে হয়নি। আমি আমার দেশকে ভালোবাসি। তাই তাদের এই পজিশন আমার কাছে অনেক বেদনাদায়ক মনে হয়েছে।
@ দিবস:
বাংলাদেশের হিন্দুদের ভারতের প্রতি দুর্বলতার কথাটিতো মিথ্যা নয়! ভারতে সহায় সম্পত্তি নিয়ে (বা না নিয়েই!)পাড়ি জমানোর ব্যাপারটাও নতুন কিছু নয় তো। আমরা জেনেও না জানার ভান করি, পাছে কথায় সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ ভেসে আসে। কিন্তু সত্যের মুখোমুখি হতে হলে কথাগুলো তো বলা উচিত, তাই না?
রমিত ভাইয়ের অভিজ্ঞতাতে যে ভুল নেই সেটা ঠিক। তবে তিনি উপসংহারে সেটাকে উল্লেখ করেছেন হিন্দুদের ধর্ম-বিশ্বাসের সাথে তুলনা করে। একটি অত্যন্ত জটিল সমস্যাকে এককথায় নাকচ করে দিয়েছেন 'হিন্দুদের উদ্বেলিত ভারতপ্রমের কথা' বলে।এই পোস্টের অন্যান্য বাক্যের মধ্যে এটি একটি অত্যন্ত প্রতিক্রিয়াশীল অংশও একারণেই, স্টেটমেন্টটি মিথ্যা না হলেও। বাংলা দেশের হিন্দুদের ভারত-প্রীতি আমার বিচারে রাজনৈতিক, সামাজিক।এইদেশত্যাগের বেশিরভাগটাই ঘটছে বাধ্য করা হয়ে, কোন শখের বশে নয়। যে কোন অসম অর্থনীতিতে যেমন দেখা যায়।এসব লোকের কাছে নিজ দেশে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রুখে না দাঁড়িয়ে পলায়নের রাস্তার নাম হয়েছে ভারত (আসলে পশ্চিমবঙ্গ, রাষ্ট্র ভারতের কাছে এ জনগোষ্ঠী সম্পূর্ণভাবে অপাঙ্ক্তেয়, সমস্যার কারণ বৈ কিছু নয়)। আর আমাদের কাছে? বাংলাদেশের কাছে? ভোটের রাজনীতির কাছে? আমার মনে হয় এসব নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা হওয়া উচিত।
কথা হচ্ছে, কে পালাচ্ছেনা?যাদের সামর্থ্য আছে তাদের অনেকেই পাশ্চাত্যে গিয়ে থিতু হচ্ছে সব সঞ্চয় নিয়ে। কোনভাবে দেশের বাইরে চলে যাবার জন্যে সবাই হন্যে হয়ে আছে। ওপারে আত্মীয়-স্বজন আছে বলে গরীব হিন্দুরা তো ভারতেই যাবে সীমান্ত পেরিয়ে, এতে আর অবাক হবার কি আছে। আমি বুঝিনা ভারত প্রীতির দুর্নামটা কেন শুধু হিন্দুদেরকেই নিতে হবে, যেখানে নানান উসিলায় গোটা দেশটাই ভারতের কব্জায় চলে যাচ্ছে।কেন হাজার সমস্যার মধ্যে তাদেরকেই প্রমাণ করতে হবে দেশপ্রেম, যেখানে রাষ্ট্রযন্ত্রের তাদের নিয়ে কিছুমাত্র ভাবিত হবার কোন নিদর্শন দেখা যায়না।
(ক্রমসংকোচমান হিন্দু জনগোষ্ঠীর এই ভারতমুখিতার জন্যে আমি নিজেও কিন্তু যথেষ্ট বিরক্ত, কারণ এদের কারণেই পেছনে পড়ে থাকা লোকগুলো আরো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে দিন কে দিন --- পরিণামে তাদের হয়ে কথা বলার কেউ আর থাকছেনা, থাকবেই বা কেন-- নিজেদের সমস্যা তো আর অন্য কেউ তো সমাধান করে দেবেনা।)
বাংলাদেশে যতদিন সংখ্যালঘুর সমস্যাটি মায়াকান্না আর সহানুভূতিতে সীমাবদ্ধ থাকবে, ততদিন কিছুই ঘটবেনা। রাষ্ট্র বাংলাদেশ যতদিনে বুঝতে পারবে, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ট অংশ যতদিনে বুঝতে পারবে মতের বৈচিত্র্য, বিশ্বাসের বৈচিত্র্য না থাকলে সংগীত থাকবেনা, শিল্প থাকবেনা, কবিতা থাকবেনা--- থাকবে শুধুই একটিই বিশ্বাসের ঠনঠনে ঊষর মরুভুমি--- যখন বাংলা তালেবান হবার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে উঠবে ততদিনে অনেক দেরী হয়ে যাবে, কিছুই আর পেছনে ফেরানো যাবেনা। চুপ করে থাকার, চোখে ঠুলি পরে থাকার মাশুল পুরো জাতিকেই দিতে হবে।
নূপুর'দা, আপনার কমেন্টটি খুব যথাযথ এবং গুরুত্বপূর্ন। এই সুযোগে একটি অনুরোধ করি, সময় পেলে গুছিয়ে এই চিন্তাভাবনাগুলোকে নিয়ে অকপটভাবে একটি ব্লগ দিন। সময়ের দাবি।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
বাংলা তালেবান হবেনা নূপুর। এটা ইসলামী শিক্ষা নয়। ইসলাম অনেক উদার। এই আমার মত লোকজনই সেই তালেবান হওয়া ঠেকাবে।
তোমার মন্তব্য খুব সুন্দর হয়েছে নূপুর। এই অসমতা যে আমার চোখে পড়েনা তা নয়। তবে এর একটা ব্যকগ্রাউন্ডও আছে। আজকের বাংলাদেশে এই অসমতা দেখে তোমার মন যেমন কাঁদে, তেমনি ১৯৪৭ সালের আগের অসমতা দেখে আমার চোখেও জল আসে। এখন তো তাও নির্যাতিত হিন্দুদের যাওয়ার জায়গা ভারত আছে। আর তখন নিগৃহিত মুসলমানদের যাওয়ার জায়গাও তো ছিল না। সব কষ্টই মুখ বুজে সহ্য করতে হয়েছে। সেই নিপীড়িতের পক্ষ হয়ে কথা বলা কি অন্যায়?
এগুলি সবই চেইন রিএ্যাকশন। আমি লাউড ভয়েসে বলতে চাই, এগুলো বন্ধ করা প্রয়োজনে। তবে এক পক্ষীয় হলে হবেনা। ভারত ও বাংলাদেশ দুপক্ষকেই উদার হতে হবে। সেই দায়িত্ব ভারত কতটুকু পালন করছে? আমার চোখে বারবার ভাসে কাটাতারে ঝুলন্ত ফেলাণীর লাশ!!!!!
হিন্দুদের প্রতি আমার ব্যক্তি জীবনে কোন ডিসক্রিমিনেশন নাই। এই কমেন্ট লেখার সময়ই একজন হিন্দু আমাকে ফোন করেছিল, তার চাকরীতে একটু সাহায্য করতে। ছেলেটির ঢাকায় বড় কোন অবলম্বন নাই, তাই আমাকেই অনুরোধ করে। অতীতেও আমি তাকে চাকরী নিয়ে দিয়েছি। আবারো সাহায্য করব। কেন করব না? মানুষ হিসাবে আমার তো কর্তব্যই অন্য একজনকে সাহায্য করা।
শুধু 'হিন্দুদের' প্রতি 'বাংলাদেশে' অসমতা নয়, আমার যে কোন অসমতা দেখলেই মন কাঁদে। সে ৪৭ পূর্ব হোক, কি পরবর্তী।কালো হোক, সাদা হোক -- আদিবাসী কি বাঙালি, সব ধরণের অসাম্যই আমাকে নাড়া দেয়। ভারতে আমিও ছাত্রজীবন কাটিয়েছি ৭ বছরের মতো, দেখেছি মুসলমানেরা কি রকম প্রান্তিক জীবনযাপন করে। নিজদেশে সংখ্যালঘু বলে সেদেশের সংখ্যালঘুদের কষ্ট বুঝতে পারি।
শুধু মুসলমানদের, শুধু হিন্দু, বা শুধু ইহুদী বা শুধু আদিবাসীদের দিকে আঙুল তুলে কথা বলার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো উচিত বলে আমি মনে করি। একটি জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব যখন করেন আপনি, ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়, শুধু নামের কারণেও, তখন অনেক কথা উঠে আসে। সে সব কথা আমাদের বলতে হয়। মানছি।
কিন্তু আপনার যুক্তিগুলো খাপছাড়া; মুসলমানদের অতীত কষ্টের কথা, বা আজকের পৃথিবীর বৈষম্যমূলক আচরণগুলোকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আপনি একবার ইহুদীদের টানেন, আরেকবার ভারতকে টানেন। আপনার মতো লোকেরা হিন্দুদের সংগে ভারতকে গুলিয়ে ফেলেন, আপনার মতো কিছু ভারতীয়ও আমাকে হিন্দু জেনে গদগদ হয়ে জানতে চায় বাংলাদেশে কয় % হিন্দু আছে। তার প্রতিবেশী মুসলমানটি কেমন আছে তার জানারো ইচ্ছে নেই, পাকিস্তানীর তকমাটি যার জন্যে চিরবরাদ্দ। এধরণের লোকের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে।
তাই একজন মানুষ যখন আপনাকে সাহায্যের জন্যে ফোন করে, তখন সে শুধুই 'হিন্দু'। তাকে সাহায্য করে আপনি বলেন, একজন হিন্দুকে হেল্প করলাম।দাবীও করেন , ব্যক্তিগত জীবনে ডিসক্রিমেশন করেননা। আমি বলার মতো কিছু খুঁজে পাইনা।
সামুতে বীরেন্দ্র নামক ওই ভদ্রলোকের মন্তব্যের জবাবে বললেন, আপনি বাংলাদেশী হিন্দু, না ভারতীয় হিন্দু, নাকি কোন কাফের। এধরণের কুরুচিপূর্ণ কথা এখানে বলতে পারবেন না জেনে বোঝাতে চাইছেন, আপনি কত পড়েছেন, কয়টি ধর্মগ্রন্থ গুলে খেয়েছেন। এসব জেনে আমি কি করবো। আপনি কত জ্ঞানী হয়েছেন তার প্রমাণ পাবার জন্যে আপনার ঘর পর্যন্ত দৌড়াতে হবে কেন, কথায় মনোভাবে তার প্রমাণ দিতে পারেন না বলে?
এই একটি পোস্টেই আপনার যে প্রতিক্রয়াশীল ও সাম্প্রদায়িক চরিত্রের পরিচয় পেয়েছি তাতে করে আমার মনে হয়েছে আপনার মতো লোকেরা ব্লগে অন্তর্জালে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ায় আবার একজন দুজন হিন্দু (ইহুদী বা অন্য যে কোন সম্প্রদায়)কে বন্ধু করেছেন বলে, হেল্প করেছেন বলে আত্মশ্লাঘায় ভোগে।
আপনার মতো লোকেরা সমাজের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর সাতক্ষীরায় যারা ঘর পুড়িয়েছে তাদের চেয়েও, এটা বোঝেন?
দেশে আমি কোনদিন বিপদে পড়লে আপনার বাসায় অতিথি করে নিয়ে আমাকে যে পোলাও কোর্মা খাওয়াবেন সেটা ঠিকই জানি, কিন্তু একই সাথে মব-কে কোনপথে উসকানি দেবেন তাও ভালোভাবে আঁচ করতে পারছি।
অনেক কথা বলে ফেললাম। ভব্যতার উর্ধ্বে উঠেই বললাম।'পলিটিক্যালি কারেক্ট' থাকার মতো ভণ্ডামি আর করলামনা (রেফ: সাব্বির)। আপনার পোস্টে (বোধ করি আর সব পোস্টেও) এই-ই আমার শেষ মন্তব্য।জ্ঞানচর্চা অব্যাহত রাখুন, কিন্তু তা যেন আপনার কমনসেন্সকে মেরে না ফেলে সেটাও খেয়াল রাখুন।
কারেকশন:
ডিসক্রিমেশন -> ডিসক্রিমিনেশন
নূপুর তুমি একটি বীরেন্দ্রর ব্লগে ঢুকে দেখ, যে সে কিভাবে মুসলমান ও ইসলাম বিরোধী কথাবার্তা লেখে। আমি তার সামান্য জবাব দিয়েছি মাত্র। ওপক্ষের বন্দুকের জবাবে, এপক্ষের বন্দুক যখন গর্জে ওঠে, ঠিক তখনই ওপক্ষের বন্দুক স্তদ্ধ হয়ে যায়।
আবার ফিরে এলাম রমিত ভাই।
একটা কথা আপনাকে বুঝতে হবে, বীরেন্দ্র বা যদু মধু দের সংখ্যা কম নয়। তারা তো বহু কিছু বলেই যাচ্ছে।বীরেন্দ্র-এর চেয়ে আপনাকে আমি অনেক বেশি আপন মনে করি বলেই (সেটাও সাম্প্রদায়িক করণে অবশ্য, :)) ) আপনার সাথে খোলামেলা, ছাঁচাছোলা দ্বিমত পোষণ করার ব্যাপারে দ্বিধা করিনা। বীরেন্দ্র যতই সাম্প্রদায়িক কথাবার্তা বলুন, তার জবাব সেইরকম কথাবার্তা দিয়ে জাস্টিফাই করা যায়না, অন্তত আমরা (যারা নিজেদের একটু বেশি আলোকিত বলে কি না মনে করছি) করতে পারিনা।
'৪৭ (বা তারো আগের) -এর চেইন রিঅ্যাকশন বন্ধ করতে তো হবে কোন একসময়। আর আপনার এ পোস্টের স্পেসিফিক মন্তব্যে বীরেন্দ্র যা বলেছেন (আমি তার অন্য মন্তব্য ঘেঁটে দেখিনি), তা তো যথেষ্ঠ যুক্তিপূর্ণ মনে হয়েছে আমার কাছে। কোন ধর্মীয় সিস্টেমের সমালোচনা করলেই সেটা অবমাননা হয়ে যাবে কি?
সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে বড় হয়েছি বলে দৈনন্দিন জীবনে ইসলামকে, তার নানান পর্যায়ের অনুসারীদের কাছ থেকে দেখেছি তো। অতটা নিজের ধর্মকেও (জন্মসূত্রে যা পেলাম আর কি) বোঝার চেষ্টা করিনি। এত কাছ থেকে দেখে (কিছুটা পড়েও)ইসলাম সম্পর্কেও আমার প্রশ্ন তাই সংগত কারণে অনেক বেশী। টেক্সট এ কি আছে, আর মানুষ কি জীবানাচরণ করছে -- টেক্সটের কি কি আমার ভালো লাগছেনা, কোন কোন বিষয়গুলোকে প্রার্থনাগৃহের ভেতেরেই রাখা শ্রেয় সেগুলো নিয়ে আমার কথা বলাটা স্বাভাবিক প্রবণতার অংশ মনে আমি মনে করি। এখানটায় দাঁড়িয়ে আমাকে যদি কেউ মনে করিয়ে দ্যায়, তুমি হিন্দু সেটাকে আমার অশ্লীল মনে হয়। যে ধর্ম সম্পর্কে না চাইতেই আমি অনেক কিছু জানি, যে ধর্মের প্রভাব (সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত) আমার সমস্ত সত্তায় তা তো আমার নিজেরি অংশ হয়ে গেছে কোন কালে। তাকে নিয়ে (তার ভালো বা 'খারাপ' দিকগুলো নিয়ে) কথা আমি বলবো কি না, বললেই কি আমাকে শুনতে হবে, আমি বাংলাদেশী, না ভারতীয়?
আবারো, আপনি কি বললেন সেটা আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্ব পায়, আপনি আমার বড়ভাই বলেই। আপনার আচরণে 'সাম্প্রদায়িক' মনোভাব তাই হৃদয়টাকে গুঁড়িয়ে দেয়, তা হলে দেশে এত ব্লগে এত মিলাদ মাহফিলে এত ধর্মসভা এত আড্ডায় কম মারমার কাটকাট তো হচ্ছেনা, কম হিংসা তো ছড়াচ্ছেনা, সেসবকে ইগনোর না করলে চলবে কি করে।
শেষে একটা কথা, ওই যে আপনি বলেছেন না বাংগালি মুসলমান অনেক উদার, আপনার কথাটি ঠিক। কিন্তু তার জন্যে আপনি ইসলামকে ক্রেডিট দিচ্ছেন সেটাই ভুল। কারণ যে শুধু ধর্মকে ধারণ করেনা, তার স্বাভাবিক মানবিক বুদ্ধি, তার বাঙালিত্বের ইতিহাস তাকে শুধু ধার্মিক করে রাখেনা --- বাংলাদেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ ঔদার্যকে ধারণ করেছে জীবনবোধ দিয়ে কেননা ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা তাকে কোথাও পৌঁছে দেয়না। একজন সাধারণ কৃষক বা রিকশাঅলা সেইজন্যে আমার আপনার থেকে অনেক বেশি জ্ঞানী।দিনের শেষে সে প্রান্তিক মানুষ, আমার কাছেও আপনার কাছেও। মুসলমান আপনার থেকে একজন হিন্দু মুচি বা নাপিত তার অনেক আপনার লোক।এদেরকে ক্ষেপিয়ে তুলেই আমরা 'বিপ্লব' ঘটাবার স্বপ্ন দেখি, যে যার মতো।
মোতাহার হোসেন চৌধুরীর 'সংস্কৃত কথা'-র একটি উদ্ধৃতি দিচ্ছি।
আমি সম্ভবত খুব সাধারণ মানুষ নূপুর।
:hatsoff:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রমিত ভাই,
খুবই সত্য কথা। ইসলাম অনেক উদার।
তবে রমিত ভাই, আমার কাছে মনে হয় আইনটিকে অবশ্যই শরীয়া হতে হবে। এ ব্যাপারে ছাড় দেয়াটা উচিত হবেনা। কারন শরীয়া আইন ছাড়া আমরা কোনোভাবেই খিলাফতের পথে হাটতে পারবো না। খিলাফত না এলে মুস্লিম বিশ্ব এক পতাকাতলে সমবেত হতে পারবেনা।
মুস্লিম বিশ্ব এক পতাকার তলে সমবেত না হতে পারলে মুস্লমানরা কখনোই সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারবেনা।
আজ বিশ্বের দিকে দিকে চেয়ে আমরা দেখতে পাই একেকটি ইস্লামিক রাষ্ট্র শুধুমাত্র আইনের ভিন্নতার কারনে একেকজন একেক দিকে দড়ি ছেড়া হয়ে হাটছে। তাই শরীয়া আমাদের চাই ই চাই।
তাই এ ব্যাপারে আমাদেরকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে।
সাব্বির =))
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz:
=)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =))
গত বেশ কয়েকদিন আমি আপনার(এ পোষ্টটিরও) কার্যকলাপ বেশ উত্সাহ নিয়ে লক্ষ্য করছিলাম, কারন আমার জানার ইচ্ছে ছিলো যে ঠিক কোন ধাপে গিয়ে পলিটিক্যাল কারেক্টনেস মাঠে মারা যায় 😀 ।
আপনার এ মন্তব্যের সুর অন্যান্যগুলো থেকে বেশ কিছুটা আলাদা হবার কারনে আর সবার মতো শকুনের বেগে পাশে এসে বসার সাহস পেলাম।
বিগত কিছুদিনে ঘটে যাওয়া দুটি ঘটনায় (চট্রগ্রাম এবং সাতক্ষীরা) রাষ্ট্রযন্ত্রের মুখভংগী আমাকে আক্ষরিক অর্থেই বেশ কিছুদিনের জন্য অসুস্থ বানিয়ে ফেলে। সেখানে হিন্দু পরিবার(এমনকী নাস্তিক হলেও) থেকে আগত কোনো ব্যাক্তির অনুভূতি ঠিক কী হতে পারে তা আমি চিন্তা করে বের করতে পারিনি ঠিক।
এছাড়া অর্পিত সম্পত্তি আইনের মতো যে প্রচন্ড অমানবিক একটি এইন এখনো বলব্ত আছে এব্যাপারেও আমার কোনো ধারনা ছিলোনা পূর্বে।
তাই এসুযোগে রাব্বী ভাইয়ের মতো একটা লেখার অনুরোধ জানিয়ে যাই।
(আপনার শেষ প্যারার একটি বাক্য আমি ঠিক বুঝতে পারিনি।
"সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সংখ্যালগিষ্ঠ এর মতো ব্যাপার আমাদের জীবনযাত্রায় দাগ রাখার মতো গুরুত্ব পাক" এটি আশা করি আপনি বলতে চাননি, তাই কী নয়?)
রাজীব আর মুহম্মদই বেশী লিখছে। তোমাদের লেখার হাত ভালো।
তোমরা কে কোন দেশে থাক? আর কার কোন সাবজেক্ট?
আমার সময় খুব কম। নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। হরতালের সুযোগ নিয়ে কিছু কমেন্ট করেছিলাম। এরপর স্লো হয়ে যাব। অনেকগুলো কমেন্ট জমা হলে, আবার কোন হরতাল বা উইকএন্ডের সুযোগ নিয়ে উত্তর দিব।
রমিত ভাই আমি আছি লন্ডনে।
একসময় ইচ্ছা ছিলো সাহিত্য নিয়া পড়ার। বাবা-মার জন্য ব্যাবসা পড়তে হইছে। এখন ভাবছি ফিল্ম নিয়ে পড়বো।
উপরে একটা লিঙ্ক দিয়েছেন মেইন কেম্পের। সামুতে লেখা। গেলাম ওখানে। আপনার প্রোফাইলে গিয়ে দেখলাম ওইখানেও একই লেখা। ভাবলাম দেখি কার কি মন্তব্য।
আশাহত হই নি মোটেই।
এখানকার মন্তব্যের সাথে মিলালাম।
এখানে যারা মন্তব্য করেছে বিশেষ করে রমিত ভাইয়ের মন্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছে তাদের সাধুবাদ জানাই।
তবে হ্যাঁ ঐ ব্লগে গিয়ে লেখকের করা মন্তব্যগুলো পড়ার পর থেকে এখানে এসে আলোচনা করার আর বিন্দুমাত্র আগ্রহ বোধ করছি না।
আমি দুঃখিত। :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll:
আর সবাইকে ধন্যবাদ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমিও চরম হতাশ রাজীব।
সত্যি হতাশ।
মনে হচ্ছে খামাখাই সময় নষ্ট করলাম আর হাত নোংরা করলাম এত বুলি কপচিয়ে।
মুহম্মদ বলছিল, আমি হিটলারকে সমর্থন করি । আমি যে হিটলারকে সমর্থন করি না, এং রেসিজম ও ফ্যসিজমে আমার কোন বিশ্বাস নেই বরং বিরোধী, সেটা প্রমাণ করার জন্যই আমি সামুর ঐ লিংকটি দিয়েছি। তোমরা কিন্ত বিষয়টা এড়িয়ে গেলে।
হ্যাঁ রাজীব, ঠিকই লক্ষ্য করেছ সামুতে এক বীরেন্দ্র ছাড়া, আর সবাইই আমাকে সমর্থন করেছ এবং আমার হয়েই অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে।
সাহিত্য নিয়া পড়ার নিজের ইচ্ছা প্রতিষ্ঠা করতে পারলে না রাজীব! আমার বাবা-মার ইচ্ছা ছিল আমি আর্মীতে জয়েন করি অথবা ইন্জিনীয়ারিং পড়ি। আমি দুটোর কোনটিই না করে, আমার পছন্দ অনুযায়ী ফিজিক্স নিয়েই পড়েছি। তারপর বিদেশে ভালো চাকরী পাওয়ার পর, তাদের ইচ্ছা ছিল আমি সেখানেই স্থায়ীভাবে থেকে যাই। আর আমি কেবল মাত্র দেশের কাজ করার জন্যই দেশে ফিরে এসেছি। ফিরে আসার পরও তাদের নিন্দা পেয়েছি, দেশের মানুষের কাছ থেকেও নিগৃহিত হয়েছি। তারপরেও আছি, চেষ্টা করছি যদি দেশের কিছু করতে পারি।
রমিত ভাই
:hatsoff:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
@ মডারেশনে যাঁরা আছেন:
অন্য ব্লগে প্রকাশিত লেখা দেবার আগে কোন ডিসক্লেইমার দেবার নিয়ম কি করা যায়?
নিয়ম না থাকলেও আমার মনে হয় এটা একটা এথিকাল ইস্যু। লেখকের উচিত বলা এই লেখা আগে কোথাও প্রকাশ করেছেন কিনা তিনি। সিসিবির অনেকেই এটা করে থাকেন।
আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো: অন্য ব্লগে প্রকাশিত লেখা এই ব্লগে না আসাই উচিত। নিয়ম করে এটা করার পক্ষপাতী আমি। সিসিবিতে লিখতে চাইলে ফ্রেশ লেখাই দিন, বাসি লেখা কেন? তেমন কালজয়ী মনে করলে সিসিবি নিশ্চয়ই পূর্বপ্রকাশিত লেখা প্রকাশে অনুমতি দেবে!
নূপুরদা আমি মডারেশনে নাই, তবে এই ব্যাপারে কিছু কথা বলতে পারি। সিসিবির নিয়মকানুন মডারেটরদের ইচ্ছায় হয় না সবার মতামতের সাপেক্ষেই হয়। ডুয়েল পোস্টিং এর ব্যাপারে অতীতে অনেক আলোচনা হয়েছে। মূলত এখানে ব্লগাররা অনেকেই অন্য অনেক ব্লগে লেখেন। কিছু কিছু ব্লগের ডুয়েল পোস্টের নীতিমালার কারণে নির্ধারিত সময়ের পরে সেটা সিসিবিতে দিতে পারেন। তবে অনেক আগের পোস্ট দেয়ার ব্যাপারে সরাসরি নীতিমালা না থাকলেও সিসিবির পাঠকরা জেনারেলি এই প্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করেন।
আমার মতামত হলো অন্য ব্লগের লেখা একই সময়ে সিসিবিতে প্রকাষহিত হতে পারে কিংবা ওি ব্লগের নীতিমালায় যদি বাইন্ডিং থাকে তার পরে। তবে কোন লেখক যদি অনেক পুরান লেখা এখানে প্রকাশ করতে চান সেক্সেত্রে ডিসক্লেইমার দিলেই ওকে।
নূপুর, আমি সামুতে আগে থেকেই লিখতাম। এই ব্লগে আমি আসি ব্লগের দায়িত্বে আছে এমন একজনের অনুরোধে।
রামিত ভাই, সময়ের অভাবে ঠিক মন্তব্য করে উঠতে পারছিলাম না। অনেক আলোচনা হয়েছে। সমস্যা হলো আপনি আলোচনা ছেড়ে বেলাইনে হেঁটেছেন আর তা পরে আরো দৃষ্টি কটু হয়ে উঠেছে। আমার খারাপ লাগার জায়গা গুলো আমি একে একে ব্যাখ্যা করবার চেষ্টা করি।
প্রথমেই পোস্ট নিয়ে বলি। পোস্টে কথিত হয়েছে কাফের ভাই নামে একজন মানুষের কথা। যিনি ভদ্র শালীন বাম রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি নাস্তিক এই কথাটা বলার সময় পোস্টের টোনে তীর্যকভাব যথেষ্ট দৃষ্টি কটু। তবে সেটাকে বাদ দিতে পারি। তারপরে আমরা দেখতে পাই আপনারা তাকে কাফের ভাই বলে একধরণের শ্লেষের চেষ্টা করতেন। যাতে তিনি অস্বস্তি বোধ করতেন আর সেই অস্বস্তিও আপনাদের কাছে বেশ কৌতুকপ্রদ। কাফের ভাই বলে টিজ করা আর সেই টিজ উনি নিতে পারছেন না সেটায় মজা পাওয়া আর শেষটায় সেটাকে বীরত্বের সাথে ব্লগে জাহির করা বেশ দৃষ্টি কটু লেগেছে। কেন লাগলো? তার আগে একটা কাহিনী বলি, অনলাইন চ্যানেলে খেলা দেখছিলাম। ঐখানে খেলার সাথে চ্যাটও করা যায়। তো ম্যানসিটির খেলা হচ্ছে। ম্যান সিটিতে বসনিয়ান খেলোয়াড় জেকো খেলে। এর ফলে ঐ চ্যাট রুমে একটু পরপরই বলা হচ্ছিল মুসলিমটা বল ধরলো, মুসলিমটা মিস করলো ইত্যাদি । এখন মুসলিম হিসাবে আমার কাছে তাদের কমেন্টিং রেসিস্ট মনে হয়েছে যদিও তারা মুসলিমকেই মুসলিম বলছিল। মূল ব্যাপার আসলে টোনে। আপনাদের কাফের ভাই বলার টোনটায় তিনি বিরক্ত হতে পারেন ই। সেটাকে সারকাস্টিক ওয়েতে বলে বাহাদুরি নেবার ব্যাপারটা প্রীতিকর নয়।
এবার আসি অন্য প্রসঙ্গে, আপনি উপরে ইন জেনারেল ইন জেনারেল বলে বুলি বারবার বলে যাচ্ছেন। তার একটা মন্তব্য ছিলো দেশের হিন্দুদের ব্যাপারে। তারা ভারতের সমালোচনা শুনতে পারে না। ব্যাপারটা সত্যি কি মিথ্যার চাইতে হিন্দু হওয়া আর ভারত প্রীতি দুইটার কো রিলেশন কত আর সেই কোরিলেশনের ভিত্তি কি সেটা বুঝা দরকার। নূপুর ভাই বলেছেন হিন্ডু সম্প্রদায়ের সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার কারণেই ভারত পাড়ি জমানোর ব্যাপার হচ্ছে। সেটা কিন্তু জেনারেলি ভারত না। আমরা সুযোগ পেলেই তো ইউরোপ আমেরিকা পাড়ি জমাই তখন হিন্দু মুসলিম বিবেচ্য হয় না কিন্তু হিন্দু ভারতে পাড়ি জমালে তার সাথে ভারতীয় কো রিলেশন খোঁজা কতটুকু যুক্তিযুক্ত। তারা পাড়ি জমাচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার জন্য। তা আমি আপনি তার জন্য কততুকু কী করেছি? আরেকটা ব্যাপার খুবই দুঃখজনক সেটা হলো মুহম্মদ ম্যানসন করে দিছে ভারতে মুসলিম নির্যাতন রিলেট না করতে, তারপরেও আপনি অত্যন্ত হাস্যকরভাবে অপ্রাসঙ্গিক প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন।
নূপুরদা বলেছেন মআিও বললাম। আপনার এই কথা দ্বারা কী বুঝা যায়? ইসলাম ধর্মের বারোটা বাজানোর কারণে নির্ধর্মীর নিগৃহীত হবার সুযোগ নেই, তার মানে ইসলাম যদি বারোটা না বেজে তার জায়গায় থাকতো তাহলে তার নিগৃহীত হবার সুযোগ থাকে। আর সেই নির্ধর্মী নিগৃহীত হবার ব্যাপারটায় আপনি পজেটিভ তাই কি? আপনি কায়দা করে প্রশ্নটা এড়িয়ে ইসরাইল নিয়ে বহু অপ্রাসঙ্গিক এবং ক্লিশে কথা বার্টা তুলছেন। ইসরাইল যদি সন্ত্রাসী হয় তার মানে তো এই না ইঃুদী ধর্ম খারাপ বা তাদের প্রতি ঘৃণা রাখতেঝবে। হিটলারের মনোভাবকে সমর্থন করেন বললেন, তার মানে তো এই না ইহুদী বলে একটা লোকে ঘৃণা করতে হবে।
নাস্তিক কমুউনিস্ট সব এক পাল্লায় মেপে আপনি জেলারেল থিউরী দেবার চেষ্টা করেছেন। এগুলো হলো সোজা ভবাংলায় সরলীকরণ যার কথা আমি আগের মন্তব্যেও বলেছি। এর সাথে তুলনা হয়, "নোয়াখালীর লোক টাউট" বরিশালের লোক লোক ধান্দাবাজ" -- জাতীয় কথার। যার আদতে কোন ভিত্তি নাই। আপনি এক হাজার জনরে একরকম দেখতে পারেন কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে আপনার স্যাম্পলের বাইরে আরো পাঁচ হাজার থাকতে পারে আর ১০০১ তম লোক আপনার স্যাম্পলের অবজার্ভেশনকে ফলো না করবার সম্ভাবনাই বেশি।
লেখাটার শেষ প্যারায় আপনি বলতেছেন মুসলিম হয়ে কেন ইসলামকে সমালোচনা করব? এখন আবার আপনার আপত্তি নাস্তিকদের সমালোচনায়। নাস্টিকরা সমালোচনাতো করতেই পারে। তারা তো ইসলাম মানছে না তাই না। সেই সমালোচনা করলে সেটার জবাব দেবার চেষ্টা করাই তো ভালো তাই না, তাদেরকে হেয় করে তো না। আর নলেজের প্রথম ধাপই ডাউট করা। ডাউট থেকেই আসে পরমত সহিষ্ণুতা।
আপনি বারবার বলার চেষ্টা করতেসেন আপনি ইসলামী দর্শনে বিশ্বাস করেন বলে আপনাকে এটা বলতেসে ওটা বলতেসে। খুব সম্ভবত এই ধারণা আসছে আপনার প্রি ডিটারমিনেশন থেকে। এখানে ইসলামী দর্শনে বিশ্বাস করায় সমস্যা নাই। ব্যাপার হলো ইসলামকে প্রশ্ন করা নিয়ে আপনি কটাক্স করার চেষ্টা করছেন সেটাকেই সবাই 'না' বলার চেষ্টা করছে।
ইসলাম পালন করলে বা সেই অনুযায়ী চললে কারো কোন সমস্যা নাই, তেমনি ইসলাম পালন না করলেও কারো কোন সমস্যা হওয়া উচিত না -- তাই না?? সমস্যা তখনই যখন নিজেকে আরেকজনের চেয়ে উন্নত মনে করার প্রবণতা চলে আসে। কেউ যদি নাস্তিক বলেই নিজেকে উন্নত ভাবে সেটাও সমস্যা আবার কেউ যদি নিজেকে মুসলিম বলে আরেকজন নন মুসলিমের চেয়ে উন্নত ভাবে সেটাতেও সমস্যা।
অনেক কথাই বললাম। আর অনেক কথাই কমেন্ট লিখতে লিখতে ভুলে গেছি। আমি শুধু আমার নিজের অবস্থান জানিয়ে গেলাম।
ভালো থাকবেন।
শুভকামনা।
হিটলারের মনোভাবকে সমর্থনের কথা কখনো বলিনি সুধু তার মনোভাবটা তুলে ধরেছি।
আমি কি ইন্ডিভিজুয়ালী কোন ইহুদিকে ঘৃণা করতে বলেছি? আমার নিজেরই বহু ইহুদি বন্ধু ছিল বা এখনো আছে। ইহুদী চক্রের বিশ্ব ব্যাপী রাজনৈতিক জাল বিস্তারের বিষয়ে বলেছি। ইহুদী ধর্ম খারাপ কি ভালো, এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে। আমি তোরা (ইহুদীদের ধর্মগ্রন্থ ) পড়েছি, তুমি কি পড়েছ? তুমি পড়ে থাকলে আমি আলোচনায় যেতে পারি। আরেকটা প্রশ্ন - তুমি কোন কোন ধর্মগ্রন্থ পুরোটা অর্থসহ পড়েছ? আমার চারটাই পড়া আছে (ত্রিপিটক বাদে, তবে বৌদ্ধ দর্শনের উপর আমি পড়ালেখা করেছি, হেরমান হেসের সিদ্ধার্থ পড়ে অভিভুত হয়েছি।)
একজন মুসলমানের সন্তান, ইসলাম ধর্ম থেকে কেন সরে গেল, এই প্রশ্ন কি করে দেখেছ? সেটা কি নিছক ফ্যশন না জেনে বুঝেই করেছে। আর জেনে বুঝে করলে কি বুঝল আর কি জানল? কে তাকে কি জানালো? আমি কাফের ভাইয়ের সাথে দীর্ঘকাল আলোচনা করেছি। পরবর্তিতে কোন একটা সময় তিনি আমার সাথে অনেকটাই একমত হয়েছিলেন। উনার অনেক ভুলও স্বীকার করেছিলেন। উনার জীবন থেকে অনেকগুলো বছর ঝরে যাওয়ার পিছনে যারা ছিলেন, তাদেরও কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। এই সবকিছুই আমার প্রভাবে ঘটেছিল। a
মুহম্মদ এই লেখার প্রচুর সমালোচনা করেছে, তারপরেও একবার নিজেই বলে ফেলেছে:
বিষয়টা একটু মনযোগ দিয়ে দেখ।
উগ্রপন্থী ইহুদিরা কতোটা খারাপ আর ইহুদিরা কতোটা খারাপ -- দুইটা কথা তো এক না। আর মুহম্মদের কথায় আমি মোটা দাগের জেনারালাইজেশনও তো দেখি না। এখন ধরেন বিন লাদেন কত খারাপ সেটা দেখে কেউ যদি বলে ফেলে মুসলিমরা কত খারাপা সেটা অবশ্যই জেনারালাইজেশন, কিন্তু জঙ্গীবাদী মুসলিমরা কত খারাপ সেটা বললে তো মনে হয় না জেনারালাইজেশন হবে। আমার অন্তত তাই মনে হয়।
তোমরাও কিন্তু অনেক কিছু বলেছ প্রি ডিটারমিনেশন থেকে। যেমন, আমি বার বার নিজের অবস্থান তুলে ধরার পরও তোমরা বলেছ আমি রেসিস্ট, আমি ফ্যসিস্ট, আমি হিটলারের সমর্থক, ইত্যাদি। আমি ব্যাক্তিগত জীবনে আমার কার্যক্রম তুলে ধরার পরও কিন্ত তোমরা ঐ একই মন্তব্য অব্যহত রেখেছ। শোন আমিন আমার এক বন্ধু বরাবরই নিজেকে উদারপন্থী বলে প্রচার করে এসেছে। তারপর তার প্রেম হলো একটি বিধর্মী মেয়ের সাথে। মেয়েটিকে শেষ পর্যন্ত সে বিয়ে করিনি কেবলমাত্র সে বিধর্মী বলে। আমি তাকে বলেছিলাম, "কেন এমন করলি, মেয়েটা মনে কষ্ট পাবেনা?" সে কারণ হিসাবে দেখালো মেয়েটা ভীনধর্মী। আমি বললাম, "তুই তো বরাবরই উদারপন্থী কথাবার্তা বলিস, কাজে দেখাতে পারলি না?" সে বলল, "তা হোক আমাকে সমাজের কথা ভাবতে হয়।" এখনো তার সাথে দেখা হয়, এখনো সে উদারপন্থী কথাবার্তা বলে বেড়ায়।
তোমরা শব্দটা ব্যবহার হওয়ায় বিব্রত হলাম। যা হোক বাকিদের মন্তব্যের দায়ভার আমি নেব না। আমি আমার কমেন্টগুলোর কথা বলতে পারি , আমি কোন কমেন্টেই প্রি ডিটারমাইনড কোন ধারণা থেকে লিখি নি। বরং আপনার এখানে লেখা কমেন্ট আমার কাছে যেভাবে উপস্থাপিত হয়েছে তা বলবার চেষ্ট করেছি। আপনি মুসলিম দর্শনে বিশ্বাস করেন বলে কেউ আপনাকে কিছু বলেছে এমন আমি কোথাও দেখলাম না। অতএব আমিও এখানে আমার আগের অবজারভেশন থেকে সরছি না।
আমি আপনাকে রেসিস্ট বলি নি ফ্যাসিস্ট ও বলি নি। আমি বলেছি আপনার মন্তব্যটিকে সাম্প্রদায়িক বলেছি মাত্র। ব্যাক্তিমানউস আপনাকে জানবার সুযোগ হয় নি। এবং এখানে যতটুকু জানা যায় তা দিয়েই শুধু জাজ করবার চেষ্টা করি এবং মূলত মতামতকেই জাজ করা হয়। কোন ব্যাক্তিমানউষ কেমন এমন জাজমেন্টে কেউ যদি যেতে চায় সেটা আসলে ভুল।
হিটলারের মনোভাবকে সমর্থনের কথা কখনো বলিনি সুধু তার মনোভাবটা তুলে ধরেছি।
আমি কি ইন্ডিভিজুয়ালী কোন ইহুদিকে ঘৃণা করতে বলেছি? আমার নিজেরই বহু ইহুদি বন্ধু ছিল বা এখনো আছে। ইহুদী চক্রের বিশ্ব ব্যাপী রাজনৈতিক জাল বিস্তারের বিষয়ে বলেছি। ইহুদী ধর্ম খারাপ কি ভালো, এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে। আমি তোরা (ইহুদীদের ধর্মগ্রন্থ ) পড়েছি, তুমি কি পড়েছ? তুমি পড়ে থাকলে আমি আলোচনায় যেতে পারি। আরেকটা প্রশ্ন - তুমি কোন কোন ধর্মগ্রন্থ পুরোটা অর্থসহ পড়েছ? আমার চারটাই পড়া আছে (ত্রিপিটক বাদে, তবে বৌদ্ধ দর্শনের উপর আমি পড়ালেখা করেছি, হেরমান হেসের সিদ্ধার্থ পড়ে অভিভুত হয়েছি।)
একজন মুসলমানের সন্তান, ইসলাম ধর্ম থেকে কেন সরে গেল, এই প্রশ্ন কি করে দেখেছ? সেটা কি নিছক ফ্যশন না জেনে বুঝেই করেছে। আর জেনে বুঝে করলে কি বুঝল আর কি জানল? কে তাকে কি জানালো? আমি কাফের ভাইয়ের সাথে দীর্ঘকাল আলোচনা করেছি। পরবর্তিতে কোন একটা সময় তিনি আমার সাথে অনেকটাই একমত হয়েছিলেন। উনার অনেক ভুলও স্বীকার করেছিলেন। উনার জীবন থেকে অনেকগুলো বছর ঝরে যাওয়ার পিছনে যারা ছিলেন, তাদেরও কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। এই সবকিছুই আমার প্রভাবে ঘটেছিল।
এখানে এসে আর কোন মন্তব্য করার ইচ্ছা ছিলো না যা আগের কমেন্টে বলে গেছি। কিন্তু ব্যাক্তিগতভাবে কয়েকটি মেইল আসায় আবার এখানে এসে উত্তরগুলো দিয়ে গেলাম।
সবাই ভালো থাকবেন।
আর আপনাদের জন্য একটা ভিডিওর লিঙ্ক দিয়ে গেলাম। উপভোগ করুন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব ভাই, এইডা কই থিকা খালাস করলেন। হাস্তে হাস্তে পেট ব্যথা হয়ে গেল।
তবে ব্যাপারটা খুবই এলার্মিংও একই সাথে যে এই স্টুপিডের কথায় হাজার হাজার নিরীহ মানুষ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতেসে।
রাজীব,
যে কোন কার্টুনিস্ট বা রুশদীর চেয়েও এই ছাগলের ইসলাম অবমাননার উদাহরণ অনেক বেশি প্রত্যক্ষ ও ব্যাপক। তবু এরে নিয়ে কেউ কথা বলবেনা, কারণ সে ছাগল। তার পাশে বসা লোকগুলা তো রামছাগল। কিন্তু যে কোন স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ানকে হার মানায় এই জন্তুগুলো। অথচ কি মজা দেখো, কোন প্রফেশনাল স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান এদের টেক্কা দেবার চেষ্টা করলেই দেখা যাবে সে মঞ্চ থেকে কল্লাটি হাতে করে নামছে।হা হা হা....
আমাদের ধর্মানুভূতিটি তখন 'জাগ্রত' হবে কি না!
এইটাও দেখেন যদি সময় হয়...
জাহিদ ধন্যবাদ।
উহা ব্যাপক মজার। আগে একবার দেখেছিলাম। আবার দেখেও মজা পেলাম।
বিনোদন। =))
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
না আইসা পারলাম না। রিকি ভাইয়া
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রমিত ভাই, এই পোস্ট থেকে আপনার কাছে থেকে একটা জিনিষ অন্তত শিখেছি। সেটা হলো তর্ক/আলোচনার সময় অন পক্ষের যে পয়েন্টগুলোতে আমি জোরালো নই বা ব্যাকফুটে থাকবো সেটা সম্পূর্ণ রুপে এড়িয়ে যাওয়া, তারা সেই পয়েন্টগুলোকে হাইলাইট করার যত চেষ্টাই করুক না কেন, আমি শুধু আমার নিজের পছন্দের নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্টের উপরেই আমার মত করে যুক্তি দিয়ে যাব। তাহলে কার ক্ষমতা আছে আমাকে ভুল প্রমানিত করার 😀
এই পোস্টে আর কথা বাড়াবো না বলে ঠিক করেছি, কোন বেয়াদবি করে থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলে আশা করি, ভাল থাকবেন।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
এই পোস্টে আসলে, এককথা থেকে অনেক কথায় চলে গিয়েছিলাম যেমন আমি, তেমন মন্বব্যকারীরা। অবশ্য এটাই স্বাভাবিক। আলোচনায় ডাইভারশন কিছু আসবেই।
আমার আরও কিছু বলার আছে। তবে সব চাইতে বড় সমস্যা আমার সময়। আগামী দুই উইক ভীষণ ব্যস্ত থাকব। এরপরে আবার সময় করে লিখব।
ড.রমিত আজাদ ,
আপনি যে একজন ভদ্রবেশী সাম্প্রদায়িক জামাত-শিবিরপন্থি মোছলমান সেটা আপনার লেখা একবার পড়লেই যে কেউ বুঝবে ।ইরানে আপনার মত জ্ঞানপাপীদের জন্যই মৌলবাদী ছাগলগুলো ক্ষমতায় ।কি দরকার ব্লগে নাস্তিক দের সাথে তর্ক করার।তার চেয়ে হজ্ব করে আসুন।দোজাহানের অশেষ সওয়াব কামাই হবে ।
মনি ভাই
আপনি ক্যাডেট না নন ক্যাডেট বোঝা যাচ্ছে না।
কিছু মনে করবেন না আমরা এখানে মন্তব্য করার খেত্রে বিশেশ করে সিনিঅরদের কোন লেখায় মন্তব্য বা উত্তর দেবার খেত্রে শালীনতা বা ভদ্রতা বজায় রাখার চেশ্টা করি।
আশা করছি অন্য ভাবে নিবেন না আমার অযাচিত উপদেশ।
ধন্যবাদ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এই পোস্ট নিয়ে যা কিছু বলার উপরে অনেকেই বলেছেন , তাই আমি এ নিয়ে কিছু বলব না। আমি অন্য দুয়েকটা কথা বলতে চাই।
রাজীব ভাই যথার্থই বলেছেন ধর্ম হচ্ছে দুর্বল মানুষের আশ্রয়।মানুষ সব সময় আশায় বাঁচতে চাই। পরীক্ষার প্রস্তুতি ভাল না হলেও আশা করে পরীক্ষা ভাল হবে , খারাপ দিয়ে এসেও রেজাল্ট ভাল হবার আশা করে। এর জন্য প্রার্থনা করে যার যার সৃস্টিকর্তার নিকট। আশানুরূপ ফল হলে বলে প্রার্থনা কবুল হয়েছে আর না হলে বলে কবুল হয় নাই। আমি এক সময় ক্লাস টেন ইলেভেনে দেখতে চাইতাম কিছু না চাইলে কি হয়? দেখেছি যা হওয়ার তাই হয় কিন্তু মনের উপর প্রেশার পড়ে। কিছু একটার উপর ভরসা করলে মনে চাপ থাকে না। যারা যুক্তি মেনে চাপ নিতে পারে তাদের ধর্ম বিশ্বাস না করলেও চলে কিন্তু যারা দুর্বল ধর্মের আশ্রয় তাদের নিতেই হয়। ধর্ম হল সম্পূর্ন বিশ্বাসের জিনিস একে যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না।
আর আমাদের দেশের হিন্দুদের ভারত যাওয়া নিয়ে নুপুর ভাই যে সামাজিক নিরাপত্তার কথা বলেছেন আমি তার সাথে সম্পূর্ন একমত। আমি একটা ঘটনার কথা বলি। আমি যখন ক্লাস ২-৩ তে পড়ি তখন একবার ওয়াজ শুনতে গিয়েছিলাম। মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই, কিভাবে একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানকে উপকার করতে পারে এই প্রসংগে বলা হচ্ছিল যে "আমরা মুসলমানরা যখন বাজারে কেনা কাটা করতে যাই তখন যেন একজন মুসলমানের দোকান থেকেই কিনি হিন্দু দের দোকান থেকে যেন না কিনি।" এই কথাটা তখনই আমার কানে লেগেছিল কারন আমরা আমাদের সারা মাসের বাজার এমন এক দোকান থেকে করতাম যার মালিক একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। তিনি বাজারে সবচেয়ে বড় মুদীর দোকানী ছিলেন। কথাটা তখনই সেই বয়সেই আমার কেমন যেন লেগেছিল এই জন্যে এত বছর পরেও মনে আছে।
আমি সকালবেলা স্কুলে যেতাম স্যারের কাছে ব্যাচে প্রাইভেট পড়তে।
আর মসজিদে আরবী পড়তে যাওয়া ছেলেপেলেরা গান গাইতো
যেজন নামায পড়ে না, সেজন শয়তানের নানা।
আমরাও যেসব দোকান থেকে মাস্কাবারি বাজার করতাম সেসব দোকানের মালিকানাও হিন্দু সম্প্রদায়ের ছিলো।
কালিয়াকইর, শ্রিপুর, জয়দেবপুরের বড় দোকান সব হিন্দুদের বলেই হয়তো।
আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি মুসল্মান দোকানদাররা ওজনে কম দেয়, আর হিন্দু দোকানীরা ধইরা দেয়। (ফাও দেয়)
হোজ্জার ফাও নিয়া এক্টা পাঙ্খাওয়ালা গল্প আছে; মুজতবা আলীর কোন গল্পে পড়েছিলাম হয়তো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কত মূর্খ মানুষও আজকাল ব্লগ লেখে...
একখানা ঐতিহাসিক পোষ্ট। পড়ুন, উনার পিছলামি দেখুন, আর নেকি হাসিল করুন
আমার নিজের কমেন্ট গুলো দেখে মায়া লাগতেসে।
ইস!! নষ্ট করার মত এত টাইম ছিলো?
শুধু টাইম না আমিন, আমাদের ধৈর্যও ছিল।
কথা হচ্ছে সবই বিফলে গেল
এই সেই মহান বাণীসমূহের একটি। বাঁধিয়ে রাখা উচিত।
মীরাক্কেল আবার শুরু হচ্ছে।
ওখানে একজন মুসলমান এংকরের উপস্থিতিতে তারই প্ররোচনায় (?) যে ভাবে হিন্দু ধর্মের দেব-দেবীদের নিয়ে কৌতুক (মতান্তরে হাসি-তামাসা) হয়, তাঁর হাজার ভাগের একভাগ এদেশে অন্য কিছু নিয়ে হলে, লাসের স্তুপ জমে যেতো।
দেখি কোন লিংক পাই কিনা...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
এই বিনোদন (প্যাথেটিক বিনোদন) শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। প্রিয়তে নিয়া রাখতে হবে এবার। কোন মিস নাই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
প্রিয়তে নিতে গিয়া দেখি আগেই এই লেখা প্রিয় তে রাখা। 😀
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ইসস ... কত কিছু লাইফে মিস করে গেছি।
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার