অনেক হতাশা থেকে লিখতে বসা। প্রত্যেকটি বিষয় এর যুক্তিযুক্ত সমালোচনা বিষয়টিকে করে তোলে অনেক বেশি গ্রহনযোগ্য আর নিখুঁত। কিন্তু আমরা মনে হয় সব বিষয় ছেড়ে নারীর পোশাক নিয়ে মেতেছি। আমাদের সকল যুক্তি আলোচনা, সমালোচনা এখন পোশাকবদ্ধ। শালীন আর অশালীন পোশাকের পার্থক্য নিরূপণে আমরা বুদ্ধি যুক্তি আর ধর্ম ব্যবহার করছি। পোশাক স্বাধীনতা আমাদের কতটুকু??? আমরা কতটুকু স্বাধীন?? নাকি আমাদের ধর্ম, কৃষ্টি কালচার শুধু নারী নিবদ্ধ???
জাফর ইকবাল সাহেবের মেয়ের ছবি দেখলাম কোন এক ব্লগে। সাথে অনেক মন্তব্য। বলাই বাহুল্য যার অধিকাংশ ন্যাক্কারজনক। আমি হলফ করে বলতে পারি ঢাকা শহরের অনেক মেয়ে এর থেকে খোলামেলা পোশাক পরে। তবে তার মেয়েকে ধিক্কার দেবার কি দরকার?? নাকি উনি জাফর ইকবাল এর মেয়ে এটাই তার অপরাধ??? জাফর ইকবাল মুক্তমনা,প্রগতিশীল সমাজ গঠন এ সচেষ্ট, আমরা কি এই কারনেই তাকে আক্রমন করব??? অনেকে তাকে ইসলাম হেয় করার অভিযোগ এ অভিযুক্ত করল। তুলনা করল ধর্মের সাথে। আমার কথা হল ইসলাম আর জাফর ইকবাল কি তুলনীয়??? আমরা কি কুপমুণ্ডূক হয়ে যাচ্ছি না দিন দিন???
ফেইসবুক নামক সাইটে এখন তর্ক বিতর্ক যুক্তি পাল্টা যুক্তি দেয়া নেয়া হয়। স্বাগত জানাই। কিন্তু আমরা যখন কিছু বিষয় নিয়ে নগ্ন উল্লাস করি, বিকৃত লালসায়ে মাতি, তখন জাতি হিসাবে নিজেদের অনেক ছোট মনে হয়। কানিজ আলমাস, পরিমল, জাগো গ্রুপ এর ছবি, উদাহরন আছে আর অনেক। আমরা এই সাইট গুলোতে গালাগালি করতেও ঘৃণা বোধ করি না। আমরা চিন্তা করি না, একটা মানুষের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে টানাটানি করা শোভনতার পর্যায়ে পরে না। প্রখ্যাত চিত্র শিল্পি ডা ভিঞ্চি একজন সমকামি ছিলেন, ছিলেন অতিরিক্ত এলকোহল অনুরাগী, তাই বলে আমরা কি তার সৃষ্টি কে অস্বীকার করব?? মিখাইল গরভাচেব ভদকার বোতল নিয়ে মঞ্চে উঠতেন ভাষণ দিতে,তাই বলে কি রাশিয়ানরা তাকে গালি দেয় নাকি অপছন্দ করে??? আমরা কি ভুলে যাই নারীরা আমাদের এই অংশ, তাদেরকে হেয় করে আমাদের প্রগতি সম্ভব নয়। একটি নারী কেন তার সস্তিদায়ক পোশাক পড়তে পারবে না??কেন তাকে হতে হবে হাজার হাজার পুরুষ চোখের ভোগের শিকার?? কেন তার ছবিতে পরবে গালাগালি আর অশোভন মন্তব্য??? আমরা কি ভুলে যাই তারামন বিবি, সেতারা বেগম এর কথা?? তারা তো পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছিল। আমরা কি তাহলে দিনে দিনে পিছিয়ে পড়ছি?? ভোগবাদী সমাজ কি নারী কে পণ্য করে দিল??
ধরুন আপনি বাস এ বসে আছেন। আপনার পাশের সহযাত্রী আপনাকে জিজ্ঞাসা করল আপনি কি রঙের অন্তর্বাস পড়ে আছেন,তখন আপনার কেমন লাগবে?? ঠিক তেমনি নারীর পোশাক সমালোচনায় আমাদের অতি উৎসাহ বিরক্তির সৃষ্টি করছে জনমনে। পোস্ট পড়ার পড় জানি ধর্মের দোহাই দিবেন। আমার দিকে বাঁকা চোখে তাকাবেন। নাস্তিকতার গন্ধ পাবেন। কিন্তু তারপরেও আমাদের বিকৃত লালসা, আর নারী আক্রমন বন্ধ হবে না। আমরা তাদের হেয় করতেই থাকব,উদ্ধার করতে থাকব আমার সমাজ আর তথাকথিত কালচার কে। রাশিয়াতে একটা প্রবাদ রয়েছে, সব পুরুষের মধ্যে একটা পশু রয়েছে, আমরা কেউ কেউ সেই পশু টাকে বিড়াল এর পর্যায়ে রাখতে পারি, কারো কারো পশু বেড়িয়ে আসে হায়েনা রুপ ধরে।
তাই বলি বন্ধ করুন এই অশোভন আচরন, গ্রহন করত শিখুন। আপনি আমি হাফ প্যান্ট পরলে,পশ্চিমা হই না, আর নারী পরলেই পশ্চিমা আগ্রাসন, ষড়যন্ত্র?? বলছি না সব নারীকে অর্ধনগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াতে হবে, বলছি আপনার মানসিকতা কে বড় করতে, বলছি আপনার পশুকে বেড়ি পরাতে।
মনে রাখবেন –
“যা কিছু মহান চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী
অর্ধেক তার নর”
হামিম ভালো বলেছিস।
কিন্তু ছাগলেরা চিৎকার করবেই।
ধর্মের দোহাই দেবেই।
এরা পারলে পুরা দেশের মেয়েদের বোরখা দিয়া ঢাইকা দেয়।
আল্লাহই জানে এরা মিডল ইস্ট থিকা টাকা নেওয়া শুরু করছে কিনা সব বাঙ্গালী মেয়েদের বিনামূল্যে বোরখা দেওয়ার জন্য!
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমরা আমদেরকে নিজেরাই অচল করছি, বাস করছি বোকার স্বর্গে, আর তথাকথিত এক ইসলামি রাষ্ট্রের সপ্নে। ভাল থাকবেন ভাই।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
তুলনা চমৎকার লাগলো। এর পর থেকে ব্যবহার করবো।
অনেক রাজনৈতিক অধিকার এর মদ্ধে, একটি হল নিজের মতামত প্রকাশ,ও ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা। মনে হচ্ছে সেই সব এখন শুধুই বইয়ের পাতায় ছাপানো হরফ সমুহু। ভাল থাকবেন।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
hamim vi lekhata khub valo hoece.ami chai lekhata sei sob manush poruk jara dhormer dohai die mohilader dosh day.jara nije thik na hoe arekjoner vul dhore.akta probad ace banglay, nije valo to jogot valo.sobar eta bujha uchit.
তৌহিদ, ধন্যবাদ। ভাল থাকিস, মনে রাখিস, প্রত্যেকটি সচেতনতার একক প্রত্যেকটি বেক্তিসত্তা। তুই আজ সচেতন, অন্যজন কে সচেতন শুধু তোর পক্ষেই করা সম্ভব।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
চমৎকার লিখেছ হামিম, ইন্টারনেটের কল্যাণে আশেপাশের অনেক মানুষের ভিতরের রূপ দেখে প্রায়ই আঁতকে উঠি, হতাশ হই।
ব্লগে স্বাগতম, হাত পা সব খুলে লিখতে থাক... আর প্রথম ব্লগের সিস্টেম অনুযায়ী তেজ ১০ টা ফ্রন্টরোল ইয়ে দাও :grr:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
সৎ ভাবে পালন করিব,আপনার আদেশ,ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
আরে পোলা... সৎ ভাবে পালন তো ব্লগেই করতে হবে, ফিজিক্যালি না 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আমি একটা লাইন পড়সি ফেসবুকে,
""হয় ইসলামকে ভালোবাসো,
না হলে জাফর ইকবালকে""
হামিম লেখা ভালো হইসে
আমি পুরা নোটটাই পড়ছি,অই কাল্লেটেড নোট্স...... পুরাটাই জামাতিদের। আর একটা কথা,ছাগু সব জাইগায় লেদা পেঁচায়, সব লেদা সাফ করতে গেলে ত ঝামেলা। ভাল থাকিস।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
Hamim :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:))
Nazmul
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
হামীম, ভালো লিখসো।
চারপাশের কাণ্ডকারখানা দেখলে বাঙ্গালী হিসাবে ভীষণ হীনমন্যতায় ভুগি।
তবুও আশা পাই যে এখনো সবাই পচে যায় নাই...
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
ধর্মের নামে যারা ধোঁয়াশা তৈরি করে, আর সেই ধোয়াতে আটকে রাখে সাধারন মানুষকে, এটাও একটা বেবসা। আমরা দিনে দিনে অসাড় হচ্ছি,আর লোপ পাচ্ছে আমাদের সাধারন বুদ্ধি সমূহ। ধন্যবাদ ভাইয়া। ভাল থাকবেন।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
Good. Ei bishoye aro lekha porte chai. Poshak ki asholei kono importance bohon korena? ekta desher cultute er sathe ki poshaker konoi somporko nei? ami kinto hijab/borkar kotha bolchina, but shari/saloar-kamij e amar chokhe bangali meyera ononno. Temni cheleder jonno half pant/ three quarter ki adhou kono vodro poshak?
"আপনি আমি হাফ প্যান্ট পরলে,পশ্চিমা হই না, আর নারী পরলেই পশ্চিমা আগ্রাসন, ষড়যন্ত্র??"
লেখাতেই দিয়েছি, সব থেকে বড় কথা,এই বোরকা কিন্তু আমদের ধার করে আনা কালচার।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
সুপর্ণ
কালচার এখন একটা বিমূর্ত ধারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।
বাংলাদেশের জাতীয় পোশাক কি?
যতদূর জানি মেয়েদের শাড়ি আর ছেলেদের প্রিন্স কোট।
শাড়ির আবার ব্লাউস আনছে ঠাকুর বাড়ির মেয়ে বউরা।
আবার শাড়িকে ইসলামিক ড্রেসও বলা যায় না যদি সেভাবে দেখিস।
মাটি লজ্জাস্থান দেখে বলে অনেকে শাড়ির নিচে সালোয়ারও পড়েন।
আরবে সেই যুগে লুঙ্গির নিচে ল্যাঙট পড়তো কিনা জানিনা। আর মেয়েরা।
কালচার জিনিসটা বা লোক ঐতিহ্য অনেকটা যাদুঘরে চইলা গেছে। এখন আনুষ্ঠানিক প্যারেড আর বিদেশ থেকে দাওয়াত করে কাউকে আনলে কালচার নামক বস্তুটির উন্মোচন ঘটে। তখন আমরাও দেখি আরে শালা আমাদেরও দেখি কালচার আছে।
মুহাম্মদ আমাদের দেশে জন্মাইলে লুঙ্গি পড়তেন আর ঘাড়ের উপর গামছা রাখতেন। পর্ব বিশেষে খড়ম আর ফতুয়া।
পৃথিবীর অন্য এলাকার লোকের আর সুন্নত পালন করা লাগতো না।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
পোস্টের মূল ব্যাপারে দ্বিমতের কোন প্রশ্ঈ আসে না। আমাদের ধর্ষকামী পুরুষতান্ত্রিক মনের উম্মোচন ভার্চুয়াল মিডিয়াগুলোতে চরমভাবে। এর ফল দেখা যায় মোটামুটি কোন ব্যাপারে নারী কাউকে অপরাধী মনে করা হলে (কানিজ আলমাস হোসনে আরা) তাদের গালি নিয়ে নিজের মনের বিকৃত আনন্দ চরিতার্থ করা হয়। একই ভাবে ইসলামের সাথে জাফর ইকবালকে মেলনোর চেষ্টা খুবই হাস্যকর ও খেলো মনে হয়েছে আমার কাছে।
তবে কথার পিঠে কথা যেটা সেটা হলো আমাদের জ্ঞানী সমাজের মাঝেও যখন ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দেখি সেটা দুঃখজনক। জাফর স্যারের মেয়েকে নিয়ে নোংরামি হচ্ছে এটা নিঃসন্দেহে খারাপ একটা কাজ। কিছুদিন আগে কাছাকাছি লেভেলের নোংরামি ইউনুসের মেয়েকে নিয়েও হয়েছিলো। তখন ভার্চুয়ালের সুশীলেরা ইউনুসকে অপদস্থ করার জন্য কথা বলতে ছাড়েননি তার একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার নিয়ে, অথচ তারাই প্রাইভেসি বিষয়ক ব্যাপার নিয়ে সরব হয়ে গেছেন যখনঈউনুসের মেয়ের জায়গায় জাফরের মেয়ে আসলো। এই ব্যাপারটা কেন জানি চরম ভণ্ডামি মনে হয়।
সাইবার বুলিইং ব্যাপারটার আমি ঘোর বিদ্বেষী। একদিকে কাজটা যেমন ঘৃণ্য তেমনি এতে যা হয় তা হলো ঘটনার গুরুত্ব খেলো করা হয়। আর সেই সুযোগ নেয় কপোরেট বুদ্ধিজীবিরা (কানিজ হোসনে আরার ব্যাপারে) । এটা হচ্ছে এক ধরণের ফ্যালাসি। দুটি পরস্পরবিরোধী পক্ষের একপক্ষ ভুল হলে অন্যপক্ষকে যাচাই না করেই ঠিক বলে চালিয়ে দেয়া।
অফটপিক কথা অনেক বললাম। অনটপিক কথা হলো, আমাদের দেশে ইসলামী নাম ধারী জামাতি বুদ্ধিজীবির সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। তারা নিজেদের অজান্তেই ইসলাম ইসলাম করে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছেন ভার্চুয়াল মিডিয়া গুলো। যখন আমার পরিচিত ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের নিজের অজান্তেই এদের সাথে ব্যা ব্যা করতে দেখি একদম হতাশ হয়ে পড়ি।
পোস্ট টা ভালো লেগেছে।
ব্লগে স্বাগতম।
ধন্যবাদ ভাই, আপনার কথাগুলো ভাল লাগলো, যুক্তিযুক্ত। ভাল থাকবেন।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
আমিন তোর কথা ঠিক।
কিন্তু জাফর ইকবাল আর ইউনুসের মধ্যে কিন্তু ফারাক আছে।
তারমানে এই না যে তার মেয়েকে নিয়া বলা হালাল হইয়া গেলো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
Nognota manei oshlilota noi- purano funny dialogue. Ordhonognota noi e. Tobe keu abrita hole tar borka dhore tan deyar odhikaro nishchoi karo nei. Because this is also human n woman's right. Lekhata na jotota Dr. Jafor sir er meye proshonge, some comments tototai borka niye tana hechrar proshonge. Ar amader cheleder uchit lungi fotwa pore office-varsity te jawa because baki shob e to dhar kora.
বোরকা নিয়ে কেউ টান বাধায় নি, লেখাতেই বলেছি, আমাদের পশুত্ব আমাদের লালসা বিকৃত করছে, সমালোচনা করা বাদ দিয়ে, পরিমল এর লিঙ্গ কেটে নেয়া হোক, কানিজ আল্মাস কে পরিমলের সাথে বিয়ে দেয়া, এগুলি কি সুস্থ মস্তিষ্ক এর লক্ষন??? ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
ভাই কৌশিক, আপনার কমেন্ট টা দেখে কিছু বলবার লোভ সামলাতে পারলাম না।
আবৃতা হওয়া অবশ্যই ব্যাক্তিগত ইচ্ছা অনিচ্ছার ব্যাপার। সেটা কে টান দিলো সেটা বুঝলাম না যে ইঙ্গিত আপনি দিয়েছেন। জাফর সাহেব শুধু একটা সম্ভাবনার কথাই বলেছেন। হয়তো বা মৌলবাদের আগ্রাসন বোরখাকে প্রমোট করছে। মানছি এটা একমাত্র কারণ নয় । আর্থ সামাজিক অন্য কিছু কারণও আছে। কিন্তু বোরখার ব্যাপারটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাক্তিগত থাকছে না এটাই সমস্যার ব্যাপার। বোরখা মেয়েরা গ্রহন করছে পারিবারিক চাপে অথবা আশেপাশের মানুষের সামনে ভালো হবার চিন্তা থেকে। মানুষের ব্যাক্তিগত ইচ্ছা পরিচালিত হয় সিস্টেম দ্বারা। আমাদের সোসাইটির একটা সিস্টেম সূক্ষ্ম ভাবে মৌলবাদকে প্রমোট করছে। পর্দা করা আর বোরখা পরার মাঝে তফাৎ আছে।
যা হোক বিষয়গুলো নিরপেক্ষভাবে দেখার চেষ্টা করুন।
ধন্যবাদ।
বোরকা কবে থেকে আমাদের দেশের কালচার ???
It is man. It is indeed.
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:clap:
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
এই বিতর্কে বেশ জমে উঠছে।
@আমিন,
উল্লিখিত উক্তির মধ্যে মৌলবাদকে কিভাবে ডিফাইন করো? বর্তমানের নানা আলোচনার প্রেক্ষিতে এই বিষয়টার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা জানা জরুরী হয়ে পড়েছে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
সিস্টেম এবং সিস্টেমের ভিতরকার ব্যাক্তি নিয়ে যখন বলছিলাম তখনই আপনার কথা মনে হচ্ছিলো। আমি এখানে যেই কথার প্রেক্ষিতে উপরের উল্লেখিত উক্তিটি করেছি সেটা ব্যাখ্যা করতে পারি।
প্রথমত মৌলবাদ বলতে আমি বুঝিয়েছি মূলকে আঁকড়ে ধরা, মানে গোড়াভাবে কোন কিছু প্রিডিফাইনড ওয়েতে ধরে নেয়াকে।এই প্রিডিফাইনড ওয়েতে পারস্পরিকভাবে সম্পর্কযুক্ত দুই শ্রেণীর মৌলবাদ প্রমোটেড হয়। প্রথম শ্রেনীর মৌলবাদ বলা যায় সাধারণ মানুষের মাঝে ভালো খারাপের ভিত্তি কিছু গোড়া ধারণা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়া। যেমন এর উদাহরণ হতে পারে, ওমুকে খুব ভালো লোক কারণ সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। এখানে ভালো লোক হওয়া আর নামজ পড়া সম্পর্ক যুক্ত না অথচ আমাদের মাঝে এটা প্রিডিফাইনড ধারণা হলো ভালো হতে হলে নামাজ পড়তে হবে কিংবা নামাজ পড়লেই ভালো হওয়া যাবে। একই ভাবে বিপরীত মুখী স্রোতে ভিন্ন রূপে আরেক ধরণের মৌলবাদও বিকশিত হয় , কোন কিছুকে প্রত্যাখান করলে সেটা প্রশংসনীয়। এর উদাহরণ হতে পারে এমন, বোরখা থেকে নারীকে বের করে আনলে নারীর স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ ধরে নেয়া হচ্ছে বোরখা চাপিয়ে দেয়া জিনিস(তর্কের খাতিরে ধরে নেই সেটা)।সেটাকে যদি আরেকজন জোড় করে প্রত্যাখান করায় কিংবা এই ধারণা দ্বারা কোন মেয়ে প্রত্যাখান করে যে একে ত্যাগ করার মাঝেই আধুনিকতা নিহিত মনের স্বাধীনতা নিহিত সেটাও মৌলবাদ।
আমার কথার মূলসুর এটাই ছিলো বোরখা বিষয়ক ব্যাক্তিগত ব্যাপার ব্যাক্তিগত থাকছে না।কারণ আমাদের সমাজের প্রেক্ষাপট কিংবা ভাবনা গুলো যে মূল দুই স্ট্রীম দাঁড় করাচ্ছে দুটৈ মৌলবাদী ভাবে বোরখা পড়া বা না পড়ার ব্যাপারে মেয়েদের উপর প্রভাব বিস্তার করছে।
খতটুকু পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করতে পারলাম বুঝলাম না। তবে আলোচনার মধ্য দিয়ে হয়তো ভাবনাটা আরো পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা করতে পারবো।
আমিন,
মৌলিবাদের সংজ্ঞার তোমার সাথে প্রায় শতভাগ সহমত।
ডঃ জাফর ইকবালের উল্লিখিত বোরখা-বিষয়ক উক্তির পর থেকে বাংলা ব্লগে যে বিতর্কের সূত্রপাত, সেখানে এই দ্বিতীয় ধরণের মৌলবাদের বিষয়ে কি মনে করো? আমার ত' মনে হয় এই বিষয়টাও বিতর্কে আসা দরকার। তা' নাহলে শুধুমাত্র ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে চলতে চলতে আমরা যে নিজেরাই আরো নতুন নতুন মৌলবাদের সূচনা করবো, সে সম্ভাবনাও থেকে যায়। এই প্রেক্ষিতে দেশপ্রেম+আধূনিকতার অবস্থানই বা কি, আর আলোচিত বুদ্ধিজীবিদের অবস্থানই বা কি?
মাদ্রাসা-পড়া কাঠমোল্যারা বা জামাত-শিবিরের জিহাদী যোদ্ধারা ইসলাম নিয়ে মৌলবাদী অবস্থানে থাকবে তা' ত' জানা। কিন্তু এই মৌলবাদ মোকাবিলায় বিকল্প মৌলবাদের চর্চা কি আসলেই অবশ্যম্ভাবী? তাহলে "মুক্তমন"-এর কি অবস্থা দাঁড়ায়?
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখাটা নিয়ে চেচামেচি শুরু হয়ে যাওয়ার পরে সতর্কতার সাথেই তাঁর লেখাটা পড়ি। বাংলা ব্লগে চলমান বিতর্কের সূচনাটাই হয়েছিলো খুবই ভুলভাব. মানে জাফর ইকবালের কথাটাকে নিজের সুবিধা মতো রিফ্রেজ করা হয়েছে আর তারপরে জাফর ইকবাল আর ইসলামকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়ে সাধারণের মাঝে প্রপাগান্ডা চালানো শুরু হয় যেটা আমার কাছে উদ্দেশ্যমূলক মনে হয়। লেখাটায় জাফর ইকবাল উল্লেখ করেছেন কেন বোরখার হার বেড়ে গেলো সেটা গবেষখদের গবেষণার বিষয়। কিন্তু তা বলার পরেই নিজের মত ঢুকিয়ে দিয়েছেন কনসপিরেসি থিউরীর মতো যে থিউরীর পিছে তার যথেষ্ট তথ্য আছে কিনা আমি নিশ্চিত নই। তবে তথ্য থাকুক কিংবা না থাকুক কোন বিষয়ের পিছনে নিজের ভাবনা বলাটার মাঝে কোন দোষ নেই। অতচ সেটাই তার বিরুদ্ধে বিষেদাগার তৈরির অস্ত্র হয়ে ফিরে এসেছে।
জাফর ইকবাল লোকটার ব্যাপারে আমার ভাবনা যদি দেই তার প্রতি পজেটিভ ভাবনাই বেশি থাকবে। তবে তিনি নিজের অজান্তেই এক মুরীদানকুল পয়দা করেছেন যারা শুধু বিরক্তিকর নয় বিপজ্জনকও বটে। আমার কথিত দ্বিতীয় মৌলবাদে এসেছে তার মুরীদানকুলের থেকেই। এরা খুব অপ্রাসঙ্গিক ভাবেই এর সাথে জামাত যুদ্ধাপরাধী জাতীয় ত্যানা প্যাচানো শুরু করে। কথা সত্যি যে জামাতীরাই জাফর সাহেবের বিরুদ্ধে কথা শুরু করে, কিন্তু তার জবাব লজিক্যাল ওয়েতে দেয়াটা সবার জন্যই মঙ্গল ছিলো। কিন্তু সেই পথে না হেঁটে জাফর স্যারের পালক থেকে অপবাদের বোঝা পানির মতো ঝাড়া দিয়ে ফেলতে তারা লজিক্যাল প্রসঙ্গে না গিয়ে জাফর বিরোধীদের বিরোধিতা সমাধান মনে করলো।
ধর্মীয় মৌলবাদ মোকাবিলায় আরেকটা মৌলবাদ তৈরি করাটা কখনও আমাদের জন্য শুভ হতে পারে না। এর পরিণতি দাণনড়াবে ধর্মীয় মৌলবাদকে আরো শক্তিশালী করা। কারণ তখন কিছু লোক জামাতী কিংবা মৌলবাদীদের কথা ভাববে না, তারা দ্বিতীয় শ্রেণীর মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে প্লাটফর্ম খুঁজবে। আর এদের একটা অংশের উপর সুযোগ নিয়ে কনভার্ট করার ট্রাই করবে মৌলবাদীরা ( যেভাবে বাংলাদেশে এন্টি আওয়ামী সেন্টিমেন্ট জন্ম নেয় )।
মুক্তমন কিংবা আধুনিকতা ও দেশপ্রেম এর স্বার্থেই তাই পীরবাদী (জাফর ইকবালই হোক আর ইউনুসই হোক) চিন্তার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থানে দাঁড়াতে হবে।
এই হলো আমার মোটামুটি অবস্থান।
তা' আর বলতে! সামান্য ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলেই এটা বোঝা যায় যে, ডঃ জাফর ইকবালের উক্তিটা উপলক্ষ মাত্র, আলোচ্য বিতর্কের মূল আরো গভীরে, সেখানে তার আগে (ডঃ আহমদ শরীফ, ডঃ হুমায়ুন আজাদ) অনেকে ছিল, পরেও অনেকে আসবে। কিন্তু নতুন নতুন বক্তার উক্তিকে উপলক্ষ করে (ধর্মীয়সহ) যাবতীয় মৌলবাদ ঘুরে-ফিরে বারবারই আসে। - যাই হোক, তোমার ভাবনা জেনে স্বস্তি পেলাম এই ভেবে যে, এই লাইনে চিন্তা করার লোক আরো আছে। খেয়ে-না-খেয়ে ইসলাম (স্মরতব্য যে, ইসলাম মানে জামায়াতে ইসলাম না) বিরোধীতা না-করেও দেশপ্রেমিক হওয়ার পথ এখনো খোলা আছে।
ইতিহাসে নানা ঘটনার বিচারের মাধ্যমে আমরা নানান ঘটনা ও ব্যক্তি-বিষয়ক যে কার্যকারণ সম্পর্কে অনুমান/অনুসিদ্ধান্তে আসি, সেসব নিয়ে একটা আলোচনার সময় এসে গেছে মনে হচ্ছে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আর্থসামাজিক পরিবর্তনকে সমাজবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন মাপকাঠির মাধ্যমে বিচার-বিশ্লেষন এবং পর্যালোচনা করবেন- খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। সেখানে কেন বোরখার কিংবা জিন্স-ফতুয়ার ব্যবহার বেড়ে যাওয়া অথবা শাড়ীর ব্যবহার কমে যাওয়া ব্যাপারগুলো আসতেই পারে। কিন্তু ডঃ জাফর ইকবাল সমাজবিজ্ঞানী নন আর উনি পদার্থবিজ্ঞানী বলে সমাজবিজ্ঞান নিয়ে গবেষনা করতে পারবেন না, এমন বলছি না। তবে নিঃসন্দেহে উনার গবেষনার বিষয়বস্তু যখন হয় শুধু বোরকার ব্যবহার বৃদ্ধির আশংকাজনক হার তখন কিন্তু এটা জলবৎ তরলং যে কাউকে প্রমোট করতে কিংবা ইসলামকে আক্রমন করতেই উনার এই গবেষনা।
আমিন, তোর কথার সাথে একমত যে, ধর্মীয় মৌলবাদকে মোকাবেলা করতে যেয়ে অন্য মৌলবাদ প্রতিষ্ঠা কাম্য হতে পারে না।
তবে আমার জিজ্ঞাসা তোর কাছে, সঠিক আর শুদ্ধ ইসলাম যা কুরান হাদিস থেকে প্রাপ্ত তা মানা কি মৌলবাদ নয়? কেননা, তা কিন্তু মূলকে আকড়ে ধরা। এ ব্যাপারে তোর মতামত জানতে চাই।
এইটা কীভাবে জলবৎ তরলং হইলো সেটা আমার কাছে বোধগম্য হলো না। এমনকি জাফর সাহেব যদি বলতেন বোরখা পরা নিয়ম করে উঠিয়ে দেয়া হোক সেটা ব্যাক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হতো কিন্তু ইসলামের প্রতি তো কোন আক্রমন হতো না।
সঠিক আর শুদ্ধ বলতে কী বুঝাইলি? আজকাল সঠিকের দাবীকারী ইসলামের অভাব নাই। একদল জামাত তো আরেকদল তাবলীগ আরেকদল দেওয়ান বাগী আরেক দল রাজারবাগী আরেকদল সায়েদাবাদী আড়েকদল আটরশি কেউবা জাকির নায়েকের ন্যায় ডিসকো --সবাই নিজেরে শুদ্ধ সঠিক ইসলামের ধারক বলে। সঠিক ইসলাম কী সাহাবাদের সময়ে ছিলো?? তাহলে চার খলিফার দুই (নাকি তিন) কেন সাহাবীদের হাতেই শহীদ হলো??
আরে জলবৎ তরলং করার জন্যই তো আগের কথাগুলা বলছি। একটু ভালো কইরা পইড়া দেখ। কেউ তোরে আক্রমন করছে কিনা এইটা নিশ্চিত করার জন্য আগে তোর আঘাত পাইতে হইবো ব্যাপারটাকি তাই?
বোরখা আর পর্দা ভিন্ন জিনিস এই কথা বলতে চাচ্ছিস? সেই হিসেবে বোরখা উঠিয়ে দেয়ার কথা বললি নাকি? মানে কি যে, পর্দা করতে পারবে কিন্তু বোরখা পড়তে পারবে না? নাকি পর্দাও করতে পারবে না? ঝাইড়া কাশ। আর আরেকটু ভাইবা বলতো যে, আসলেই তা ইসলামের উপর কোন আক্রমন নয় কিনা?
পাশেই কিন্তু কইসি যা কুরান আর হাদিস থেকে প্রাপ্ত। নিশ্চয়ই দুষ্প্রাপ্য নয়।
দয়া করে একটু ঐ সময়ের ইতিহাসটা ঘাটিস। ইহুদিদের ষড়যন্ত্রে যদি খলিফারা আততায়ীর হাতে খুন হয়ে থাকেন তাহলে ইসলামের দোষ নাকি? আর সাহাবীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিও যে ইহুদিদের চক্রান্তে হয়েছিল, তাও জানতে পারবি।
মুয়াবিয়া সাহেব তো সাহাবী ছিলেন নাকি?? আলী কে মারার পিছনে তার হাত ছিলো না?? নবীর সান্নিধ্য পাওয়া সাহাবীরাই ইহুদিদের ষড়যন্ত্রে পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়ে শিয়া সুন্নী ক্যাচাল বাঁধাইছে সেখানে এই যুগে বসে বিশুদ্ধ সঠিক ইসলাম নির্ণয় করাটা কঠিনই। তাই না?
অবশ্যই দুষ্প্রাপ্য। কারণ কুরআন এ সরাসরি কিছু নাই। সব কিছুই ইনডাইরেক্ট রূপকে ভরা। নিজেদের ইচ্ছামতো যে কেউ ব্যভার করতে পারে। কুরআনের একই আয়াত আমি দেখি তাবলীগ ওয়ালারা তালীম করে বলে নিজের পক্ষে আবার জামাতিরা ব্যানার টানায়া বলে নিজের পক্ষে। আড় হাদীসের কথা কইলাম না। কারণ হাদীস এর কনটেক্স না বুঝলে বেশিরভাগ মিসলিডিং। আর ১৪০০ বছর আগে এখনকার অনেক জিনিসই ছিলো না। সো কুরআন হাদীস ঘেটে পাওয়া যাবে না। ইসলামে এসবের ক্ষেত্রে পরের ধাপ ইজমা কিয়াস। ইজমা হচ্ছে আলেম ওলামা দ্বারা নির্ধারিত। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আলেম ওলামা নামে মুখে আরবী আওড়ানো যেসব লোকদের দেখি তারা বেশিরভাগই আসলে তেমন কোন এলেম রাখেন না। আর ১৪০০ বছরের কোন একসময়ে কোন এক মূর্খ তথাকথিত আলেম দ্বারা যদি ইসলাম ডেভিয়েট হয় তাহলেই বিরাট ডেভিয়েশন হবার কথা সেখানে ১৪০০ বছরে অনেক অনেক মূর্খদের হাতে পড়লে কী হতে পারে সেটা বর্তমানে মুসলিমদের দলগুলো দেখলেই বুঝা যায়।
প্রথম কথাটাই শুধু আমি বলছি বা বলতে চাইছি। পরের গুলা কোনটাই বলি নাই বা ধারে কাছ দিয়েও যাই নাই। আমি বলছি বোরখা আরব কালচার থেকে উদ্ভুত। আমরা অন্ধভাবে একে পর্দার সমার্থক করে ফেলছি। আমি মনে করি বোরখা পরা ব্যক্তিগত ব্যাপার। কাউকে জোর করে পরানোও ঠিক না আবার কাউকে এটা খোলার জন্য কনভিন্স করাও ঠিক না। এটা উপরেও বলেছি এবং পরিষ্কার ভাবেই বলেছি। তারপরেও আমার নামে এই অভিযোগ করা যে পর্দা তোলার কথা বলছি কিংবা বোরখা নিয়ম করে তোলার কথা বলছি সেটা দুর্ভাগ্যজনক এবং মেনিপুলেশন। আর হ্যা বোরখা পড়া নিয়ে কিছু বলা অবশ্যই ইসলামকে আক্রমন করা নয়। সো এটা বলার পড়ে জাফর সাহেবের বিরুদ্ধে ইসলামকে দাঁড় করানো খুবই হাস্যকর। আমি নিজেও উপরে বলছি জাফর ইকবাল কনসপিরেসি থিউরী দিয়েছেন যা ভুল হবার সম্ভাবনাই বেশি কিন্তু তার সাথে ইসলামকে রিলেট করাটাভয় বোকামি নয়তো উদ্দেশ্য পূর্ণ।
শেষবেলায় একটা অনুরোধ, পয়েন্ট ধরে আলোচনা কর। মাঝখানের একটা লাইন কোট করে আলোচনা ডাইভার্ট করার বিরুদ্ধে আমি।
একমত হতে পারলাম না। আল্লাহর একত্ববাদ, রিসালাত, আখেরাত এইগুলো বাদে কুরআনে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে ইমফেসাইজ করা হইছে নৈতিক ও সামাজিক জীবনের উপর। কিভাবে পৃথিবীতে মানুষ সুস্থ, সুন্দর ও আদর্শ ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন যাপন করবে তার দিকনির্দেশনা দেয়া আছে তাতে। এখন তোর কথামত, কোন ব্যাপারটা ইনডিরেক্ট রূপকে বলা আছে বলবি? যদি বলিস, কই আইপ্যাডের কথা তো কুরআন বলে নাই, সুতরাং কুরআন দিয়ে চলবে না। তারও উত্তর আছে। কুরআনে যে সকল নৈতিক আদেশ উপদেশ আছে, তা তুই যদি মানুষ না হয়ে রোবট হইতি তাইলে হয়তো তোর উপর প্রযোজ্য হইতো না, কিংবা ক্রমবিবর্তনের (হাইপোথেসিস) ধারায় যদি মানুষের লোভ-লালসা, আবেগ-অনুভূতি, ক্রোধ-ঘৃনা, চিন্তা-চেতনা, যৌনতা-ভালোবাসা লোপ পেত যা এখনও হয়নি তাহলেও হয়তো প্রযোজ্য হতো না। কিন্তু যতদিন মানুষের অস্ত্বিত্ব পৃথিবীতে আছে, ততদিন তার এই মানবীয় গুনাবলীগুলো বিদ্যমান থাকবে স্বাভাবিক। তাই সেই ক্ষেত্রে নৈতিক এই আদেশ-উপদেশ গুলোও বহাল থাকবে। তাই আইপ্যাড ব্যবহার করে তুই কি করতে পারবি বা পারবি না, সে ব্যাপারে কুরআনের নীতিগত অনুমোদন বা অননুমোদনের ক্ষেত্রে সন্দেহ থাকার কথা না।
তুই নিজে পড়। ওইসব ওয়ালাদের কাছে যাওয়ার কি দরকার?
হাদীসগ্রন্থে হাদীসগুলো কনটেক্সটসহই উদ্ধৃত করা আছে। আর ওই যে কইলি বেশীর ভাগই মিস্লিডিং, এইগুলা শুইনা শুইনা বলা কথা। পইড়া তারপর বলিস।
আর বললি যে আলেমদের ক্ষেত্রে দেখছিস যে তারা বেশীরভাগই কোন এলেম রাখেনা। আর ডেভিয়েশনের যে সম্ভাবনার কথাটা তুই বললি তা অমূলক নয়, তবে ঢালাওভাবে আলেমদের উপর এভাবে দোষারোপ করা ঠিক না, কারন আমরা সাধারন মুসলামানরা এই দায়িত্ব এড়াতে পারি না কারন জ্ঞান অর্জন প্রত্যেক মুসলমানের উপর অবশ্য কর্তব্য।এবং আমাদের এই অজ্ঞানতার জন্যই মিলাদ, মাজার প্রভৃতি আরও অনৈসলামিক সামাজিক আচার-আচরন মুসলমানদের ভিতর প্রবেশ করেছে এবং আমি আমার আত্মীয়-স্বজন প্রতিবেশীর খোঁজ নেই না, অসহায়ে সাহায্য করি না, যেখানে সেখানে ফতোয়া দিয়ে দেই এবং নিজের সাথে মতের মিল পেলেই কাউকে সমর্থন করি আর না হলে বিরোধিতা করি। তবে ইসলামের মূল শিক্ষা বদলায়নি যদিও এর ধারক এবং বাহক অর্থ্যাৎ মুসলমানদের ভিতর সেই শিক্ষার অনুপস্থিতিই ইসলামের বদনাম করছে। মুসলামানদের জীবনে উৎকর্ষ সাধনের জন্য তাদের নিজস্ব যে নৈতিক ও সামাজিক শিক্ষা বিদ্যমান তাই যথেষ্ট। আমি জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চাকে অস্বীকার করি না আর অন্যান্য যুগের মুসলমানরাও অস্বীকার করেছে কিংবা এইসব চর্চা করেনি তাও বলছি না। ইতিহাসে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় মুসলমানদের সে অবদানও প্রমানিত। তবে বন্ধু, মানুষের দাসত্ব থেকে মানুষের যে মুক্তি ইসলাম দিয়েছিল, তা প্রভুত্ববাদী মানসিকতাসম্পন্ন মানুষগুলো মেনে নিতে পারে না বলেই নানা ছলে বলে কৌশলে ইসলামের অসারত্ব এবং প্রগতির প্রতিবন্ধকতা হিসাবে প্রতিপন্ন করার জন্য নানান রকম চেষ্টায় লিপ্ত।
উসমান (রাঃ) কে হত্যার বদলা নেয়ার জন্য আলী (রাঃ) এবং মুয়াবিয়া (রাঃ) এর মধ্যে যে দ্বন্দ্ব ছিল, তার সুযোগ নিয়ে যে ইহুদিরা এত বড় ক্ষতি করবে তাতো স্বয়ং আয়েশা (রাঃ) ও তখন বুঝতে পারেন নাই, অথচ পরে তিনি ঠিকই এটাকে বড় ভুল বলেছেন। আর শিয়াদের অনুমোদন কি আলী (রাঃ) ই দিয়েছেন নাকি? এটাও তো চক্রান্তের ফল।
আর আমি অভিযোগ করছি না যে তুই পর্দা তোলার কথা বলছিস, বা বোরখা নিয়ম করে তুলে দেয়ার কথা বলছিস। আমি শুধুমাত্র বুঝতে চাচ্ছিলাম তুই কোনটা মিন করছিস ডঃ জাফর ইকবালের কাজের ক্ষেত্রে। সেই ক্ষেত্রে কতদূর গেলে তা ইসলামের উপর আক্রমন হবে বা হবে না তা যাচাই করার চেষ্টা করছিলাম।
শেষ প্যারাটুকুর কথার প্রেক্ষিতে বলি , আমার কথা বুঝতে পারসস এইজন্য ধন্যবাদ।
আর আগের ব্যাপারগুলো নিয়ে ত্যানা প্যাচাপ্যাচির আগ্রহ পাইতেসি না কারণ তা আলোচনা ডাইভার্ট করে।
থ্যাঙ্কু।
ওয়েলকাম। আমিও আগ্রহ পাইতেছি না। কারন এভরি সেকেন্ড কাউন্টস। যাক তোকেও ধন্যবাদ। আশা করি বুঝছিস আমার আপত্তিটা কোথায়। অনেকটা বব ডিলানের ভাষায়-
''How many ways must Islam/hijab be attacked, before you call its attack?''
কারন তুরস্ক, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়ামে এভাবেই হিজাবের উপর আক্রমন এসেছে।
ইতি টানছি। ভালো থাকিস।
Shishir
I have no doubt that ali should be the first khaliph.
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
বস, কিসের ভিত্তিতে? পরিবারতন্ত্র? ইসলামে পরিবারতন্ত্র নেই। আর উনার প্রজ্ঞা আর বীরত্ব নিয়ে কারোরই সংশয় নেই।
শিশির যেকোনো হিসাবে।
আবু বকর মুহাম্মদের শ্বশুর।
উমর মুহাম্মদের শ্বশুর।
উসমান মুহাম্মদের জামাতা।
আলী মুহাম্মদের চাচাতো ভাই প্লাস জামাতা।
মুয়াবিয়া মুহাম্মদের চাচাতো ভাই।
এইটা গেলো প্রথম ৫ জনের কথা।
তোর কেন মনে হইল আমি ভুল বলছি?
আচ্ছা ধরলাম আমি ভুল বলছি। তুই বল কেন হবে না? বা তোর যুক্তি বল আবু বকরের পিছনে বা ক্রমের পিছনে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
@ রাজীব ভাই, মুহাম্মাদ (সাঃ) জীবনের শেষ সময়ে আবু বকর সিদ্দিকের ইমামতিতেই নামাজ পড়েছেন তাও সতেরো ওয়াক্ত। আপনি তো জানেনই মুসলমানদের নামাজে তাদের নেতাই ইমামতি করবে। আর অসুস্থাবস্থায় রাসুল (সাঃ)-এর তার পিছনে নামাজ পড়াই তো ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়া। তাই না?
শিশির এইটা কোনো ভাল যুক্তি না। পরে এইটা নিয়া আলোচনা হবে। তোর যদি সময় হয় তাইলে একটা লেখা দিতে পারিস খোলাফায়ে রাশেদিন তৎপরবর্তি মুয়াবিয়া, এজিদ, হাসান, হোসেন নিয়া। এক পর্বে সম্ভব না। সিরিজ করতে পারিস। এই বিষয়গুলা নিয়া প্রচুর বিভ্রান্তি রয়েছে।
আমি সিরিয়াস।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমিন তুই এমন ব্যাপারে কথা তুলছস যার উত্তর কেউ জানে না।
আমাগো দুই দল যেমন একে অপররে দোষ দেয় আর বিদেশী শক্তি খোঁজে মুসলমানরা তেমনি ইহুদি, নাছারা খোঁজে। কেয়ামত পর্যন্ত এইটা চলতে থাকবে।
এতেই বোঝা যায় ধর্ম কতটা অকার্যকর।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমিন সতর কেন ঢাকতে হবে এর পিছনের কাহিনী যদি পড়িস তবে হাস্তে হাস্তে মইরা যাবি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
নিরাপত্তার কথাটা যোগ করতি। তাইলে অন্তত স্কোপটা বাড়তো।
যা হোক আয় জরিপ চালাই। নিরপেক্ষ। কাউকে প্রমোট করতে নয়। তারপরেই মন্তব্য করা যাবে রেফারেন্স দিয়ে।
বোরখার সাথে নিরাপত্তার কোন সম্পর্ক নাই। মেয়েরা বোরখা নিরাপত্তার কারণে যদি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করে এবং ব্যবহার করে সেই কেসের উল্লেখ আমি তার আগের লাইনে করেছি এবং বলেছি সেটা সমস্যা না। সিস্টেম দ্বারা ডিফাইনড হওয়া ফোর্সের উদাহরণে আমি ঐ কথা বলেছি। মাঝখান থেকে কথা কোট করলে অর্থ ভুল দিকে ধাবিত করে।
বোরখার সাথে নিরাপত্তার সম্পর্ক কীভাবে আছে বলি ।বোরখা গায়ে দিলে ইভ টিসিং থেকে নিরাপদ ??
"বোরখা পড়া মেয়ে পাগল করেছে" -- গানের মধ্যে এমন লাইন বইলা দেয় বোরখা পড়া দেখলে সেকচুয়ালি এট্রাক্ট হয় এমন লোকও আছে সমাজে অনেক।
শরীর ঢেকে চলা গার্মেন্টস কর্মী আর ভারসিটি পড়ুয়া অর্ধনগ্ন মেয়ে, কে বেশি একপোজড(পোশাকে) আড় কে বেশি নিরাপত্তাহীন? এর উত্তর বলে দেয় শরীর ঢেকে চলার সাথে সামাজিক নিরাপত্তাড় কোররিলেশন জিরো।
এইরকম তো আরো গান আছে। লাল কুর্তাওয়ালা, পাঞ্জাবীওয়ালা। তয় এইগুলা নিয়া মনে হয় যুগে যুগে অসংখ্য গান হইতেছে? না হইলে তো এক্সেপশন। এইটা দিয়া তুই সমাজের চিত্র তুলে ধরতে চাস নাকি?
এইগুলাই কি তোর উদাহরন? ভিন্ন পরিবেশের দুইটা ভিন্ন জিনিসকে একই মাপকাঠিতে মাপা যে পদ্ধতিগত ভুল তা মনে হয় জানিস। (সম্পাদিত)
সবযুগে সব সময়ে যদি এমন গান থাকে (যদিও আমার জানা নাই) তাতে কি আমার কথা ভুল প্রমাণিত হয়। চলচ্চিত্র গান এগুলোর বেশিরভাগই সমসাময়িক চাহিদার প্রভাবে নির্মিত হয়। আড় সেই হিসেবেই আমি বলেছি বোরখা পড়া মেয়ে দেখলে যৌনদ্দীপ্ত হয় এমন লোক সমাজে একসিসট করে। সো বোরখা পড়াইলেই পুরুষের নজর (!!) থেকে সরে গেলো এমন ভাবনা ভুল।
ভিন্ন পরিবেশের ভিন্ন জিনিসকে মাপা পদ্ধতিগত ভুল?? তাইলে তো আমাদের সমাজে বোরখার ইফেক্ট মাপবো কিভাবে??? আমি বলতে চেয়েছি বোরখার সাথে সামাজিক নিরাপত্তার তেমন কোন সম্পর্ক নাই। ইভ টিসিং কিংবা যৌন হয়রানির মত ব্যাপার গুলো বোরখা পড়লেও হবে না পড়লেও হবে। আমার কাছের এক আত্মীয়া যিনি বোরখা পড়েন তিনি বলেছেন গাউসিয়ার ভিড়ে ধর্ষকামী লোকদের বিকৃত পীড়নের শিকার তিনি হয়েছেন। সো বোরখা পড়লেই সব থেকে দূরে সরে যাওয়া হচ্ছে এই ধারণাটা ভুল।
আমিন ঠিক বলেছিস।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
(সম্পাদিত)
সাব্বির, প্রিয় সাব্বির,
....................... (সম্পাদিত)
দূঃখিত নূপূর ভাই,
মুছে দিচ্ছি। (সম্পাদিত)
ধন্যবাদ সাব্বির ভাই 🙂
ধন্যবাদ সাব্বির।
অনেক ধন্যবাদ।
সাব্বির কি গরম কমেন্ট করছিলি মিস করছি।
কিছু মনে না করলে কি আমার ই মেইলে সেন্ড করতে পারবি?
rajib_638@yahoo.com
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কৌশিক
পুরানো চাল ভাতে বাড়ে।
পুরান হইছে বইলা সত্যি মিথ্যা হয়ে যায় না।
দেন তাইলে কোরান রে ফালাইয়া ১৫০০ বছরের পুরান তো হইছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমরা একটা বিচিত্র সমাজে আছি নারীকে আমরা বিভিন্ন শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখতে চাই।আমরা ঐ মেয়েটাকে বলি মৌলবাদী যে বোরখা পড়ে আবার যে একটু পশ্চিমা পোশাক পড়ে তাকে বলি অশালীন।
আমার মনে হয় একজন নারী কি ধরনের পোশাক পড়বেন এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
অতএব কাউকেই তার পোশাকের জন্য কটু কথা শোনানোর অধিকার আমাদের নেই।
সহমত। আমাদের কোন অধিকার নেই
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
লেখার বিষয়বস্তুর সাথে একমত নই । পর্দা মানেই বোরকা পরা নয় , বরং এমন পোষাক পরা যাতে শরীরকে লোভনীয়করে অন্যের নিকট পরিবেশন না করা । আর পুরুষ হাফ প্যান্ট পরলে নারী কেন পরতে পারবেনা ? এটা হাস্যকর যুক্তি । দয়া করে ভাই ইসলামের অপব্যখ্যা দিয়েন না । নিশ্চয় আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীকে পছন্দ করেন না ।
তেমনি সবাই আল্লাহ রে পছন্দ করে না। তাইলে কাটাকাটি; নাকি। কাটাকাটি খেলা জানেন্তো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সমকামীরা মানুষ হিসাবে খুব ভালো হয়।
এদেরকে মেয়েরাও খুব বিশ্বাস করে।
এরা বন্ধু হিসাবেও ভালো।
বদ্ধ সমাজের লোকজনের এইটা অবশ্য মাথার উপর দিয়া যাবে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এদের কাছে এক। এদের দেবতা হইল জাকির ভাই। জাকির ভাই নাকি বলেছেন, মানুষ কম জানলে হয় নাস্তিক, আর বেশি জানলে আস্তিক।
এখন তুই ঠিক কর তুই বেশি জানার দলে না কম জানার দলে।
আমরা কূপমণ্ডূক না দিনে দিনে বেশি জানা লোকের দলে নাম লিখাইতেছি।
হুমায়ুন আজাদের মুসলমান বাঙালি নিয়া একটা চমৎকার প্রবাদ আছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব ভাই, প্রবচন টা দিয়ে দিলাম।
আমিন ভাই,আপনার লেখা পড়ে খুবই ভাল লাগলো। অনেক ভাল থাকবেন
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
:clap:
আমিন
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমিন ভাই দিয়া দিল। আমার খুব প্রিয় একটা বচন
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
@ রাজীব ভাই, ইসলামের সাথে জাফর ইকবাল কেন পুরা দুনিয়ার কেউই তুল্য না। আর এইখানে ইসলামের সাথে জাফর ইকবালের তুলনা করা হয় নাই। তার উদ্দেশ্যকে উদ্দেশ্য করে কথা বলা হইছে। (সম্পাদিত)
ধন্যবাদ শিশির।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
শিশির সমস্যা তো সেইখানেই। মানে ইসলামের সাথে পৃথিবীর কোনো কিছুই তুল্য না এই কথাটিতে।
যদি বলতি সবার উপরে মানুষ সত্য তাইলে না হয় কথা ছিল।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব ভাই, ইসলাম হচ্ছে মানুষের জীবন ব্যবস্থা। আর মানুষ হচ্ছে মানুষ। সুস্থ সুন্দর স্বাভাবিক পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবন আর মানুষের মধ্যে বিদ্যমান নানারকম বৈষম্য দূরীকরনের জন্যই ইসলাম। আত্ত্বিক, তাত্ত্বিক এবং প্রায়োগিক সকল ক্ষেত্রেই ওয়েল ডিফাইনড। সবার উপরে মানুষকে তুলতেই ইসলাম। সকল দাসত্ব থেকে মুক্তি দিতেই ইসলাম।
আর ভাই, ইসলামের সাথে পৃথিবীর কোন কিছু তুল্য না সে তো আমার কাছে।আমি তো আর কাউকে সেইটা চাপিয়ে দিচ্ছি না। আর এতে যদি আমার কাছ থেকে কেউ ক্ষতির শিকার না হয়ে বরংচ উপকৃত হয়, তাহলে আমার মনে হয় কারোরই এতে কোন দোষ খুঁজে পাওয়া উচিত না।
তবে ভাই, ভালো কে ভালো আর মন্দকে মন্দ বলাটা পছন্দ করার লোক পৃথিবীতে অনেক আছে কিনা জানিনা আর থাকলেও তাদের গলার আওয়াজ জায়গামত পৌছায় না।
শিশির
তারপরেও চেষ্টা তো করতে হবে। তুই লিখ। i mean it.
এখন সবাই জাকির ভাই জাকির বলে। এক পোলারে আমি কইলাম গাজ্জালী কি বলছে সেই ব্যাপারে। সেই ছেলে গাজ্জালির নামই শোনে নাই।
মুহাম্মদ পরবর্তী ইসলাম বিশেষ করে খলিফা নির্বাচন, জঙ্গে জামাল নিয়া আমার অনেক প্রশ্ন আছে। তুই লেখার চেস্টা কর এই ব্যাপারে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
গাজ্জালীর কথা পড়লে আর জাকির ভাই জাকির করবো না, সোজা জংগলে দৌড়াইবো। বস, লিখমুনে পরে এক সময়। চিপায় আছি, চাপে আছি। এইখানে কিছু শুরু করলে নেশার মত হয়ে যায়। লিখবো অবশ্যই। একটু সময় বের করি। আপনার অপেক্ষা দীর্ঘায়িত করায় বেয়াদবি মাফ করবেন।
দের মে আয়া তো দুরস্ত আয়া।
কোনো প্রব্লেম নাই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ব্লগটাতে আবার ঘুরতে এসে দেখি দূর্দান্ত কিছু আলোচনা মিস করে গিয়েছি...
আমিন, তোকে :salute:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
Sabbir shaheb,
Apnar comment khana ami porechi. Amar dharona aro onekei porechen. Tobe dukkher shathe janacchi j er proshongsha korte parchina. Tobe Nindao janabo na. Apni thanda mathai arekbar pore niben. Apni ekti nirdishto srenike target kore hoito kothagulo bolechen, hoito tara joghonnou bote tobe porishilito manush hishebe apnar theke aro unnoto achoron kammo? Jehetu eita ekta open blog site, tai pora ebong montobbo korar onumoti shobar jonnoi projojjo. Guest comment bolei ki emon achoron? Apnara Bangladeshe joto cadet achen, shobari kintu relatives ache. Ar jara ei blog follow kore tara mone hoi sheshob relatives-e. Emon noi j bairer manushder shathe rude hote bolchi, tobe same side hoye jawa keu e pochondo kore na. Jak apnar 6 bochorer futfute ekta meye ache shune valo laglo. Ar take ei boyoshe keno, kokhonoi keu borka porte jor korbe na asha kori, tobe she porinoto boyoshe ta porte chaile asha kori apnarao badha diben na.
Dhonnobaad apnake ogrojder upodesh onushoron kore comment ta muche dewar jonno. Apnara susrinkhol hishebei jani, ebong eo jani apnara talented. Apnader kache kintu jati onek kichu asha kore. Ekta shusrinkhol rashtro ebong shomajbabostha apnara jatike dite paren. Jara eto shundor deyal potrika prokash korte pare, eto chomotkar shahitto ar shongskriti chorcha korte pare, tara to shudhumatro army noi. Apnarai vebe dekhun kon khetre apnara karo chaite kom? Othocho edeshe kader netritto? Joggo netritto deyar jonno je shokol gunaboli thakte hoi tar shokol bij e apnader moddhe bopon kora hoi. Othocho apnara take kaje lagacchen na. Shokol Manushke valobashun ar eidesher manusher valobasha orjon korun tader shothik ebong shujoggo netritto diye.
Karo kono montobber jobab dibo na. Asha kori apnara ei bloger gothonmulok alochonar maddhome deshke shamne egiye niben. Shuvokamona roilo shobar proti.
লিখেছেন আপনি জবাব দিবেন না তবুও লিখছি।
প্রথমত, কমেন্ট বা লেখা যাই হোক না কেন; বাংলা বা ইংরেজিতে হলে ভালো হয়। বাংলিশ লেখা পড়া আর তার থেকে অর্থ বোঝা খুবই দুরুহ ব্যাপার।
আমি জানিনা সাব্বির কি কমেন্ট করেছে।
দুঃখ প্রকাশ করছি আপনি আহত হওয়ায়।
আমি নিজে নন ক্যাডেটদের এখানে ব্লগ লেখার বিরোধী। কিন্তু মন্তব্যের ক্ষেত্রে নয়।
মানুষ মাত্রেরেই ভুল হয় বা হতে পারে। ভালো লাগা, মন্দ লাগা পাঠকরা জানাবে সেটাইতো কাম্য।
আর ক্যাডেট বলেই আমাদের সবকিছু করতে হবে জাতির জন্য, তা কেন? সবাইকেই তার দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে।
আপনি নন ক্যাডেট বলেই আপনাকে কেউ নিম্নমানের কথা শুনিয়েছে ভাবতে খারাপ লাগলো। মন্তব্যটা না পড়েই এরকমটা ভাবতে পারছিনা। আমি সাব্বিরকে সেই কমেন্টটা আমাকে মেইল করে পাঠাতে বলেছি।
আর আপনারা যারা মন্তব্য করেন তারা যদি দয়া করে নিজের ব্যাপারে কিছু লেখেন তবে ভালো হয়। এই যেমন আপনি যদি ডাক্তার হন বা আর্কিটেক্ট হন বাএইচ এস সি পরীক্ষার্থী হন তবে মানের পাশে লিখলেন আরকি।
এখন আপনি কি লিখেছিলেন দেখি।
এক আর্টিস্ট (নাম ভুলে গেছি) এক নগ্ন মেয়ের ছবি আকার পর তার বন্ধু এসে বলল এসব কি অশ্লীল ছবি এঁকেছ! শিল্পী তার বন্ধুকে বলল তুমি অশ্লীলতা কি তাই বোঝো না। এরপর সে নগ্ন মেয়েটার পায়ে জুতা একে দিয়ে বন্ধুকে বলল এখন দেখতো?
বোরখা নিয়া টানাটানি যারা বোরখার বিরুদ্ধে বলে তারা নয় বরং যারা পক্ষে বলে তারাই করে থাকে।
এখন বলেন বোরখা কেন পড়তে হবে? আল্লাহর আদেশ বইলা না পুরুষের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য। আল্লাহর আদেশ হইলে মুসলমানদের জন্য তো পালন করা কর্তব্য। কিন্তু পুরুষদের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য হলে বলতে হবে ঐ পুরুষরা মুসলমান নয়। কারণ ইসলাম কি মেয়েদের রেপ করতে ইভ টিজিং করতে বলেছে মেয়েরা বোরখা পড়লে।
আর আল্লাহর আদেশই যদি হয়ে থাকে তবে বলবো এটা পক্ষপাতিত্ব। কেননা পুরুষ যেমন মেয়ের প্রতি আকর্ষিত হয় তেমনি মেয়েরাও পুরুষ দেখলে আকর্ষিত হয়। বুখারী শরীফে আছে মুহাম্মদ বলেছেন যে মেয়েদেরও স্বপ্নদোষ হয়।
জাফর ইকবালের বোরখা নিয়া বলাতেই তো এতো কথার শুরু। তবে বোরখা নিয়া টানাটানি আমরা কেউ করি নাই। টানাটানির কথাটা মনে হয় আপনিই শুরু করেছেন।
আর জাফর ইকবাল কে আমি বা আমরা পছন্দ করি বা না করি তাতে কিছু আসে যায় না কিন্তু তিনি একজন গুণী মানুষ। এবং আজকের এই অবস্থান তিনি তেল মাইরা জনগণরে খুশি কইরা অর্জন করেন নাই, তার নিজ যোগ্যতায় করেছেন। জামাতশিবির যুদ্ধপরাধীদের বিরুদ্ধে কথা বলার ব্যাপারে উনি অগ্রে থাকেন। স্বভাবতই জামাত শিবিরদের টার্গেটে তিনি আছেন। আর তাকে হেয় করার জন্য তার মেয়ের যে ছবিগুলো নেটে এসেছে বলাই বাহুল্য তা জামাতপন্থীদের করা। এখন বলেন আমরা কি জাফর ইকবালের সাথে থাকবো না জামাতদের সাথে থাকবো?
ধার করা জিনিসে সমস্যা কি? মুহাম্মদও তো ইহুদীদের কাছ থেকে ধার করেছেন। প্রায় সমস্ত ইসলামি আচার ইহুদিদের কাছ থেকে ধার করা। আর টাকাপয়সা ধার। তাও উনি ইহুদিদের কাছ থেকে করেছেন।
আর আরব মানেই মুসলমান নয়। আইয়ামে জাহেলিয়ার পুরুষদের পোশাক আর ইসলাম যুগে পুরুষদের পোশাক একই; নাকি?
পোশাক আশাক সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত ব্যাপার, তবে সামাজিকতা বলেও একটা ব্যাপার আছে।
আমার এক আত্মীয়ার জামাতা কিছুদিন পূর্বে তাকে বলেছেন তিনি হিজাব নেন না কেন?
সউদি আরবের নতুন নিয়ম অনুযায়ী আপনি চোখ ঢাকা বোরখার প্রচলন শুরু করতে পারেন বাংলাদেশে। আপনাকে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সকল আকর্ষণীয় চোখ ঢেকে যাক বোরকার আড়ালে। সুবাহানাআল্লাহ।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
সুবাহানাল্লাহ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ