মুসলমানিত্ব

বাঙালি মুসলমানের মন যে এখনো আদিম অবস্থায়, তা বাঙালি হওয়ার জন্যও নয় এবং মুসলমান হওয়ার জন্যও নয়। সুদীর্ঘকালব্যাপী একটি ঐতিহাসিক পদ্ধতির দরুন তার মনের ওপর একটি গাঢ় মায়াজাল বিস্তৃত রয়েছে, সজ্ঞানে তার বাইরে সে আসতে পারে না। তাই এক পা যদি এগিয়ে আসে, তিন পা পিছিয়ে যেতে হয়। মানসিক ভীতিই এই সমাজকে চালিয়ে থাকে।

(বাঙালি মুসলমানের মন/আহমদ ছফা)


পৃথিবীতে বর্তমানে মানুষের সংখ্যা সাতশ কোটির কাছাকাছি (প্রায় ৬৯৭,৩৭,৩৮,৪৩৩)। পাঁচ লাখ বা তার বেশি অবলম্বনকারী আছে এমন ধর্মের সংখ্যা একুশটি। কোন রকম ধর্ম মানে না, এমন শ্রেণীটি জনসংখ্যার দিক থেকে খ্রিস্টধর্ম এবং ইসলাম ধর্মের ঠিক পরে আছে। খ্রিস্টধর্ম ইসলামের আগে এসেছে, ছড়িয়েছেও বিপুল বিক্রমে, এবং চতুর্দিকে। ইসলাম একটু নতুন আর ছড়ানোর পরে গুটিয়েও গেছে অনেক জায়গা থেকে। এই উপমহাদেশে ইসলাম এসে অবশ্য বুদ্ধধর্ম ও হিন্দু/সনাতন ধর্মের ভাত মেরেছে। অন্যদিকে এই যে ধর্ম-না-মানা গ্রুপ, এটার জনসংখ্যা প্রায় ১২০ কোটি! তার মানে মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-পঞ্চমাংশ। এদের নির্দিষ্ট কোন জাতি বা রাষ্ট্র নেই, মতামতেও তারতম্য আছে। অন্যান্য আধিভৌতিক ধর্মে নানা শাখা-প্রশাখা হয়ে গেছে, কোন অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা সেসব ধর্মাবলম্বীদের যে কোন একটা নিয়ম মানতে বাধ্য করতে পারে নি। বলা চলে, কোন একটি নিয়মে সকলকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে একত্রীভূত করার মত কোন নিয়ম এইসকল অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতাশীল সৃষ্টিকর্তা কিংবা তা(দে)র প্রেরিত পুরুষরা দিতে পারে নি। ও হ্যাঁ, এখানে আরো উল্লেখযোগ্য যে এই সকল প্রধান ধর্মই পুরুষ দ্বারা প্রবর্তিত। মানব জাতির যে অর্ধেক গড়নে অপেক্ষাকৃত সুন্দর, যে অংশটি প্রজাতির জন্ম ও সংরক্ষণে নিয়োজিত, তাদের মাধ্যমে কোন ধর্ম পাঠানো হয় নি। কেন হয় নি, সে ব্যাখ্যা ধর্মগুলো দিয়েছে। কিন্তু সেই বর্বরোচিত, মধ্যযুগীয় এবং প্রবল পুরুষতান্ত্রিক ব্যাখ্যাটা ভুলে যাওয়াই শ্রেয়।

ইসলামের যে শাখাটি উপমহাদেশে এসেছে, সেটির সাথে এই অঞ্চলের প্রাগৈতিহাসিক অধিবিদ্যা ও পারস্যের সুফিবাদ এসে মিশেছে। এই সবগুলোই মূলত আগ্রাসী মানুষের লেজুড় হিসেবে আসা ধর্ম। আগ্রাসনকারী নেতাগুলো এই অঞ্চল দখলের পরে সম্প্রদায়গুলোকে নিজেদের সাথে মেশানোর মাধ্যমে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা আরোপ করতে ধর্মের আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু বিদেশি ধর্ম শেখার চাইতে নিজের ধর্মতে প্রজাদের কনভার্ট করাটাই সহজ। তাই চলেছে ধর্মান্তরকরণ। এর পরেও এখানে বেশ কিছু নিয়মনীতি একেবারে উঠিয়ে দেয়া যায় নি, বিধায় উপমহাদেশীয় ইসলাম একটি জগাখিচুড়িপূর্ণ ধর্ম। এই অঞ্চলের মানুষের মনে ধর্মের অনেকটাই অভিনব বিবর্তনের কারণে নানাবিধ কূপমণ্ডুক ও গোঁড়ামিপনায় ভরপুর। প্রকৃত গ্রন্থটি পাঠে অনীহা, নেতা বা প্রভুর বক্তব্যে পূর্ণ সমর্থনের পথ ধরে চলা এই ধর্মশাখা বিস্তারের মূল চাবিকাঠি। এই ব্যাপারটিকে আমি নাম দিয়েছি ‘মুসলমানিত্ব’। ছোটবেলায় মুসলমানি নামক যে একটি শল্যচিকিৎসার বিভীষিকার মধ্য দিয়ে বাঙালি মুসলমানদের যেতে হয়, সেটার সাথে রূপকার্থে এই অবস্থার মিল আছে। আমাদের যাবতীয় সংশয় ও প্রশ্ন করার মন-মানসিকতা যেন ওই এক টুকরো চামড়ার সাথে খসে গেছে। যা রয়ে গেছে, তা হলো উন্মুক্ত, স্পর্শকাতর ধর্মপালন ও ধর্ম-অন্ধবিশ্বাস, এর নাম মুসলমানিত্ব।

আর এক সপ্তাহ পরে রোজা রাখার মাধ্যমে এই অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এক অচলাবস্থা সৃষ্টি করবে। কিছু উদাহরণ দেই, আপনি, পাঠক, রেগে কাঁই হয়ে ওঠার আগে। যেমন-
১) সারা দেশে হঠাৎ করেই বাজারে জিনিসের দাম প্রচণ্ড বেড়ে যাবে। এটা সাময়িক ব্যাপার নয়, এই মূল্যবৃদ্ধি হুট করে হলেও এক মাস পরে কমে আসবে না। বরং ক্রমবৃদ্ধির যে রেট আগে বজায় ছিল, সেই রেটে বাড়তে থাকবে। কিন্তু এই এক মাসের যে উল্লম্ফন, সেটা আসলে হয়ত প্রায় ছয় মাসের ধাক্কা। এই ধাক্কা খেয়ে তাবত বাংলাদেশি মানুষের চৌদ্দটা বেজে যাবে। যে খাদ্যবস্তুগুলোর দাম বাড়বে সেগুলো হলো ছোলা, তেল, বেগুন, শশা, নানাবিধ ফলমূল, সেই সাথে নিত্যদিনের খাদ্য। বিজাতীয় কিছু খাবারের আমদানি হবে, যেমন খেজুর, সেই খেজুর যদি সৌদি থেকে আসে তাহলে সোনার ভরির দামে বিক্রি হবে। কিছু রঙ-মেশানো ক্ষতিকারক জুস বিক্রি হবে। মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাবে, তবু এগুলো খাওয়া চাই-ই চাই!

২) খাবারের দোকানগুলোর অযৌক্তিক আচরণ। একটি ধর্মীয় প্রথার কারণে মেজরিটি কর্মজীবী মানুষের বাইরে খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে এই একমাস। মেজরিটি? বুঝলেন না তো? বুঝাচ্ছি, ধরি একশ জনের মাঝে সম্ভাব্য-রোজাদারের সংখ্যা বের করতে চাচ্ছি। বাংলাদেশে শতকরা ৯০ জন মুসলমান, তার ভেতর ৪৫ জন নারী ও ৪৫ জন পুরুষ। তার মাঝে রোজা রাখার বয়স হয়েছে বা আছে মোটামুটি ৬৫ ভাগের (অর্থাৎ ৫৮ জনের)। এই ৫৮ জনের মধ্যে ২৯ জন নারী, যাদের এক চতুর্থাংশ মেনস্ট্রুয়েশনের কারণে রোজা রাখেন না মাসের যে কোন দিন। রইলো বাকি একান্ন। এই একান্ন জনের মাঝেও আবার শারীরিক আঘাত, অসুস্থতা, সফরকারী, পেশার কারণে খাদ্যগ্রহণকারী কিংবা কায়িক শ্রমিক যারা রোজা রাখলে হয়তো মারাই যাবেন, এমন মানুষ ধরলাম ৫ জন। তাহলে রইলো বাকি ছেচল্লিশ জন। এবার বলুন, ৪৬ জন “পটেনশিয়াল-রোজাদার”-এর জন্য সারা শহরের খাবারের দোকান বন্ধ করার যুক্তিটা কী? যদি গণতন্ত্রই মানি, তাহলে বাকি ৫৪ জনের মতামতটাই প্রাধান্য পাওয়া উচিত, অথচ এই ব্যাপারটা মুখ বুজে সহ্য করাটাই দস্তুর। আমার দুপুরের খাওয়া খেতে হয়ে ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিন থেকে। সেটা থাকবে বন্ধ। বাইরেও সব বন্ধ, আমি খাবো কোথায়? পর্দা লাগিয়ে চোরের মত লুকিয়ে?

৩) এই একমাস বিভিন্ন অফিসে কী পরিমাণ কাজ হয়, এটা একটু ভাবুন। ধর্মের একটা প্রাগৈতিহাসিক প্রথা, যা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত পারলৌকিক লাভে আসবে, সেটার জন্য স্বার্থপরের মত আমরা সারাদিন ঝিমাই। কাজ করি দায়সারাভাবে। এমনকি, মুখ থেকে বের হওয়া দুর্গন্ধ নিয়ে কিছু হাস্যকর বাণী শোনা যায়! এগুলো কে শিখিয়েছে, কে জানে!

এরকম নানাবিধ সমস্যা তৈরি হচ্ছে, যেগুলো একান্তই ধর্ম থেকে উৎসারিত। আমরা ম্যানেজ করছি। ম্যানেজার হিসেবে বাঙলাদেশিরা প্রবলভাবে একনিষ্ঠ। ম্যানেজ করতে করতে একটুও খেয়াল করছি না যে আমাদের সমস্যাগুলো কতটা প্রকট হয়ে উঠছে। যে ধর্ম ও ধর্মপালন হওয়ার কথা ছিল ব্যক্তিগত, সেটা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় প্রথায় পরিণত হয়েছে। আমি তো ইফতার পার্টি নামক অপচয়ের নামটা বাদই রাখলাম। [অন এ সেকেন্ড থট, এই ইফতার পার্টির টাকাটা পদ্মাসেতুফান্ডে দেয়া যায় না?]

এই বিষয়গুলো নিয়ে কোনোকিছু বলা হয় না কেন? সম্ভবত আমরা একটি বর্বর ও অসভ্য সমাজে বসবাস করি, যেখানে ব্যক্তি তার সমস্যার কথা জানালে সকল প্রতিষ্ঠান (যথা ধর্ম, রাষ্ট্র, আইন) এসে তার গলা টিপে ধরে। তার বেঁচে থাকাটাই বিপন্ন হয়ে যায়। যৌক্তিক ও র‍্যাশনাল আলোচনার কোন স্থান এই ‘স্তান’-এ নেই। এখানে কেবল জোর, জবরদস্তি, কুপ্রথা, অপপ্রথা, নিপীড়ন, অপচয়।

৯,১৪৩ বার দেখা হয়েছে

৯০ টি মন্তব্য : “মুসলমানিত্ব”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    রোজায় খাওয়া নিয়ে সবচেয়ে বিপদে পড়েছিলাম বিএমএতে ট্রেনিং এ থাকতে, এক শুক্রবারে শহরে যাবার সুযোগ পেয়ে ভালমন্দ খাবার লোভে রোজা রাখলাম না। কিন্তু চট্টগ্রাম শহরে গিয়ে পুরো বেকুব বনে গেলাম, একটাও খাবারের দোকান খোলা নেই, জুম্মারাগে আগে বলেই কিনা কে জানে, পর্দা সিস্টেমও নাই। এক বেকারিতে দেখলাম আগের সন্ধ্যার সিঙ্গাড়া আছে, আশার আলো দেখতে পেয়ে দোকানে ঢুকলাম, দোকানদার বিক্রী করলো ঠিকই কিন্তু দোকানে বসে খেতে দিলনা। শেষ পর্যন্ত আমরা দুই বন্ধু রিকশায় উঠে হুড তুলে চোরের মত সিঙ্গাড়া খেলাম, তারপরো আমাদেরকে যারা দেখছিল তাদের অগ্নি দৃষ্টি আমাদের প্রায় পুড়িয়ে ফেলে।

    রোজার মাসে আগে টিভিতে খবর পাঠিকা, উপস্থাপিকাদের মাথায় ঘোমটা উঠতো (এখনও আছে কিনা জানি না), মজা লাগতো চাঁদ দেখার ঘোষনার সাথে সাথেই সেটা সেটা নেমে যেতে দেখে।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      ঘোমটা এখনো ওঠে মনে হয়। টিভি দেখি না তাই সঠিক বলতে পারি না। এরকম ভণ্ডামি মানুষের মজ্জাগত হয়ে গেছে। নিজেরাও করে, অন্যেরাও করলে কিছু মনে করে না। কিন্তু এটা স্রেফ ভণ্ডামি।
      সারাদিন যেসব রেস্তোরাঁ এরকম সাহারা মরুভূমি হয়ে থাকে, সেগুলোই আবার দুপুর দুইটার পর থেকে খাবার দাবার সাজিয়ে রেডি। আর মানুষ যে পরিমাণ ইফতার কেনে, যে রকম উন্মাদের মত আচরণ করতে থাকে ইফতারের আগে আগে, তাতে আমার তাদেরকে আর সভ্য ভদ্র মানুষ বলে মনে হয় না। ক্ষুধার জ্বালায় কষ্ট পাওয়া জন্তু-জানোয়ার মনে হয়। এতে মুসলমানিত্বের ঝাণ্ডাটাই উচা হইতে থাকে!

      জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      মাইনষে চোরের মতন চুমু খায় আর তুই খাইছোস সিঙ্গারা!
      হা হা হা।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
  2. ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পন করা

    অনেকেই ইসলাম শব্দের অর্থ করেন শান্তি। বর্তমানে বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তৃতায়, আলোচনায় প্রাজ্ঞজনেরা ইসলামকে শান্তির ধর্ম বলে আখ্যায়িত করে থাকেন, তাদের সারবক্তব্য হল ইসলাম খুব নিরীহ, গোবেচারা টাইপের একটি ধর্ম। অনেকটা খ্রীস্টবাদের একগালে চড় দিলে আরেক গাল পেতে দাও, তোমার কোর্তা নিয়ে গেলে জোব্বাটিও দিয়ে দাও - এমন। আসলেই কি তাই? বরং এটা সত্যের চরম অপলাপ। উদ্দেশ্য প্রণোদিত চক্রান্তের একটি অংশ মাত্র।

    ইসলাম আরবী শব্দ যার অর্থ আত্মসমর্পন করা। আর শান্তির আরবী শব্দ হচ্ছে সালাম।
    আরবী ভাষার বিখ্যাত ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অভিধান ইবনে মানজুর রচিত ‘লিসান আল আরাব’ এ বলা হয়েছে, ইসলাম শব্দটি ‘ইসতিসলাম’ (استسلاما) শব্দ থেকে নেয়া হয়েছে যার অর্থ হচ্ছে কারো কাছে নত হওয়া, আত্মসমর্পণ করা।
    অনেকে মনে করেন سلم এই তিনটি অক্ষর থেকে যেহেতু ইসলাম ও সালাম উভয় শব্দের উৎপত্তি, তাই উভয় এর অর্থ একই হবে। অথচ বাস্তবে একই মূল ধাতু থেকে উৎপন্ন বিভিন্ন শব্দের অর্থ ভিন্ন ভিন্ন হয়। যেমনঃ سلم থেকে উৎপন্ন শব্দ সমূহ হলোঃ
    ইসলাম - اسلام - আত্মসমর্পণ
    সালাম- سلام - ভালো থাকা / শান্তি
    সালামা- سلما - চামড়ার প্রস্তুতি (ট্যানারী)
    সালিমা-سليما - বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া (স্ত্রী বাচক)
    সালিম -سليم - বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া (পুং বাচক)
    আসলাম- اسلم -সপে দেয়া (submit)
    ইসতিসলাম- استسلاما -আত্মসমর্পণ করা
    মুসাল -مسل -যাতে কোন মতদ্বন্দ হয়নি (Undisputed)

    বিস্তারিত জানতে দেখুনঃ সাহিব বিন আব্বাদ [الصاحب بن عباد] (মৃত্যুঃ ৩৮৫ হিজরী) রচিত আল-মুহিত ফিল লুগাহ [المحيط في اللغة] এর سلم অধ্যায়।

    হানাফী মাজহাবের প্রসিদ্ধ ফিকাহ গ্রন্থ ইমাম ইবনে আবেদীন (রঃ) রচিত রুদ্দুল মুহতারে (رد المحتار على الدر المختار شرح تنوير الأبصار) বলা হয়েছেঃ
    اعْلَمْ أَنَّ الْإِسْلَامَ عَلَى وَجْهَيْنِ : شَرْعِيٍّ ، وَهُوَ بِمَعْنَى الْإِيمَانِ . وَلُغَوِيٍّ ، وَهُوَ بِمَعْنَى الِاسْتِسْلَامِ وَالِانْقِيَادِ كَمَا فِي شَرْحِ الْعُمْدَةِ لِلنَّسَفِيِّ- رد المحتار- 6/298

    অর্থাৎ, জেনে রাখো, ইসলামের অর্থ দুইটি। ইসলামী শারীয়াতের পরিভাষায়ঃ এটার অর্থ হচ্ছে ঈমান। আভিধানিক / শাব্দিক অর্থে এর অর্থ হলোঃ আত্মসমর্পণ الِاسْتِسْلَامِএবং মান্য করা وَالِانْقِيَادِঠিক যেভাবে ইমাম নাসাফীর আল-উমদাহ এর ব্যাখ্যাগ্রন্থে এসেছে।

    ইমাম ইবনে তাইমিয়া মাজমু আল ফাতাওয়াতে বলেছেনঃ
    فَالْإِسْلَامُ يَتَضَمَّنُ الِاسْتِسْلَامَ لِلَّهِ وَحْدَهُ -مجموع الفتاوى3/91
    অর্থাৎ, ইসলাম এর অর্থের মধ্যে রয়েছে এক আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করা।

    ইসলামের শত্রুরা বিভিন্ন ভাবে আমাদের মধ্যে অনেক ভুল ধারনা ঢুকিয়ে দিতে চায়। যাতে আমরা প্রকৃত ইসলাম না জানি, সেটা থেকে দূরে থাকি, তাহলে তারা আমাদেরকে পরাজিত করে রাখতে পারবে। যার একটা উদাহরণ হলোঃ স্বয়ং ‘ইসলাম’ শব্দের অর্থ এর ভুল আভিধানিক অর্থের প্রচলন।

    অনেক মুসলমান সঠিক ব্যাপারটা না জানার কারণে ইসলাম মানে শান্তি বলে থাকেন। ইংরেজরা যখন কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে, তখন তৎকালীন ইংরেজ গভর্ণর ড• ম্যাকলিকে আলিয়া মাদ্রাসার সিলেবাস তৈরী করার দায়িত্ব দেয়। এই সুযোগে তারা ইসলামের অনেক মৌলিক পরিভাষা; যেমন ইসলাম, ইলাহ, রব, তাওহীদ, শিরক, তাগুত, জিহাদ ইত্যাদি পরিবর্তন করে। তন্মধ্যে ইসলামের জিহাদ তথা বাতিলের সাথে ইসলামের অনিবার্য দ্বন্দ ও সংঘাতকে এড়ানো জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইসলামের অর্থ শান্তি করে থাকে।

    আমাদের ইসলাম সম্পর্কিত সঠিক জ্ঞান অর্জনের শুরু হোক স্বয়ং ‘ইসলাম’ শব্দের অর্থ দিয়ে।
    আল্লাহ আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে কবুল করুন।

    এই বিষয়ে আরো জানতে পড়ুনঃ
    http://wikiislam.net/wiki/Islam
    http://islamqa.info/en/ref/10446

    সুত্রঃ
    http://www.facebook.com/pages/Only-Islam/316087461815607
    http://abcofislam.tk/

    জবাব দিন
  3. রাব্বী (৯২-৯৮)

    রোজার মাসে দেশে বা আরো নিদ্রিষ্টভাবে বললে ঢাকা বা বড় শহরগুলোতে যেটা হয় সেটাকে কিন্তু পশ্চিমের ক্রিসমাসের সময়ের সাথে তুলনা করা যায়। মূল ব্যাপার হলো পুঁজি এবং মুনাফা। আবার সাংস্কৃতিকও। সাংস্কৃতিক উপাদানকে ব্যবসায়িক পুঁজিতে বিনিয়োগ করা হয়। ধর্ম এখানে নামকাওয়াস্তে সারফেস লেভেলে। সব মিলে একটা ককটেল পরিস্থিতি। ব্যাপারটারে প্রিমিটিভ মর্ডানিজম বলা যাইতে পারে 😀


    আমার বন্ধুয়া বিহনে

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      পশ্চিমাদের ক্রিসমাসের সাথে মিলটা অনস্বীকার্য। সেজন্যই বলেছি খ্রিস্টধর্মের কথাটা। আমাদের মাঝে অনেক মিল! 🙂

      তারপরেও একটা অমিল কিন্তু আছেই। ক্রিসমাস অনেকটাই আনন্দ উদযাপন। কিন্তু রোজায় কোন আনন্দ নাই। প্রবল শারীরিক কষ্ট, আর পালন না করলে সামাজিক দুর্গতি। এভাবে একজন মানুষকে নির্যাতন করাটা ক্রিসমাসে নাই।

      বাণিজ্য অবশ্য সর্বত্রই, রাব্বী ভাই। ওটা নিয়ে আমি আপত্তিও করি না। কিন্তু সামাজিক চাপের কারণে যে অযথা খরচ আর সেকারণে মানুষের যে অনটন বাড়ছে, সেটা নিয়েই যত আপত্তি।

      একদম প্রিমিটিভ! 😀

      জবাব দিন
    • মামুন (৯০-৯৬)

      অনেকক্ষণ চুপ ছিলাম , ভাবছিলাম কিছু একটা লেখা উচিৎ , রাব্বি-র ক্রিসমাস তুলনাতে মনে পরে গেলো ; পৃথিবীর তাবৎ ধর্মীও উৎসবে যা করা হয় ঃ-

      ১। ক্রিসমাস এবং ইস্টার উৎসবের সময় সারা দুনিয়াতে খৃস্টীয় ধর্ম অনুসারী বাবসায়ীরা তাদের পণ্য বিক্রয়ে ছাড় দিয়ে থাকে যাতে তাদের ধর্মের লোকেরা সবাই খেতে-পরতে পারে ।
      ২। একই অবস্থা দেখা যাবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দীপাবলি বা অন্যান্য পূজার সময় ।

      ৩। চৈনিক নববর্ষ বা বুদ্ধ পূর্ণিমাতেও দেখা যাবে একিই অবস্থা ।

      এখন আমাদের মুসলিম বিশ্বে দেখা যাবে ঠিক তার উল্টোটা ঃ

      ১। রোযা/ঈদ আসলেই বারতে থাকবে নিত্য-পণ্যের দাম , আর পোশাক-আশাকের কথা নাই বা বললাম ।

      ২। হজ্জের সময় যখন হাজীরা সউদি-আরবে যায় তখন ওখানকার কাঙাল বাদশা পরিবার " খেজুর" এর উপর অতিরিক্ত কর বসায় তাদের 'সংসার' চালনর জন্য ।

      নির্ঘণ্ট ঃ সৌদি বাদে বাকিগুলা আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা । সৌদির খেজুর নিয়ে গতবছর কোনও এক পত্রিকায় পরেছিলাম ।


      একটাই তো জীবন , তাই জীবন যেখানে যেমন -- Life is Beautiful .

      জবাব দিন
  4. রেজা শাওন (০১-০৭)

    ক্লাস টেনের বইয়ে 'রমজানের ফজিলত'প্রশ্নটা মুখস্ত করেছিলাম। সহমর্মিতা, সহানুভূতি সহ বেশ কিছু তাত্ত্বিক শব্দ সেখানে দেওয়া আছে। বাস্তবের রমজানে এই শব্দগুলো কতটুকু জুড়ে থাকে, সেটা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়।

    আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে এভাবে সবকিছু থেকে গুটিয়ে নেওয়ার প্রবণতাকে একধরণের দৈনতা মনে হয়েছে। এই ধরণের দৈনতা আমাদের মত মানসিকভাবে অভাবী লোকদের একধরণের সুখ দেয়। নিজেও পাই মনে হয় কিছুটা।

    দোকানের ঝাপ ফেলে যেভাবে প্রকৃত রমজানের তাৎপর্য তৈরি করা যায় না, ঠিক সেভাবেই এটা না করলে রোজাদারদের খুব একটা যায় আসবে, এমনটাও না। বিশ্বাস( ঈমান) ব্যাপারটা দোকানের ঝাপের মত অন্তত টেম্পোরারি কোন ব্যাপার না।

    একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখবেন আন্দালিব ভাই। রাস্তায় হুটতোলা রিকশায় কোন জোড়া দেখলে, কিছু লোকজন কমেন্ট করে তীব্র সুখের অনুভূতি পায়। এই দলে যারা, তাঁরা রোজার শেষের দিকে বিভিন্ন মার্কেটের সামনে পজিশন নেয়। সেখানেও দৃশ্য প্রায় একই। এক কাঠি উপরে যারা তারা আবার ভিড় ঠেলে সামনে যায়, হাত আর কুনুইয়ের কাজ দেখায়। এদেরকে আসলে এখন খুব একটা দোষ দেওয়ার সুযোগ নাই, কারণ এই মানসিক দৈনতা দিনে দিনে আমাদেরই তৈরি করে দেওয়া।

    চারপাশে দেয়াল তুলে দিয়ে সব কিছুর সমাধান খোঁজার-এই ধরণটা থেকে আমাদের বের হয়ে আসাটা খুব দরকার। সবাই এভাবে খুব অভাবী হয়ে যাচ্ছে।

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)
      রাস্তায় হুটতোলা রিকশায় কোন জোড়া দেখলে, কিছু লোকজন কমেন্ট করে তীব্র সুখের অনুভূতি পায়। এই দলে যারা, তাঁরা রোজার শেষের দিকে বিভিন্ন মার্কেটের সামনে পজিশন নেয়। সেখানেও দৃশ্য প্রায় একই। এক কাঠি উপরে যারা তারা আবার ভিড় ঠেলে সামনে যায়, হাত আর কুনুইয়ের কাজ দেখায়। এদেরকে আসলে এখন খুব একটা দোষ দেওয়ার সুযোগ নাই, কারণ এই মানসিক দৈনতা দিনে দিনে আমাদেরই তৈরি করে দেওয়া।

      যথার্থ পর্যবেক্ষণ। আমি এর সাথে আরেকটু যোগ করি, আমি মনে করি এই শ্রেণীর লোকজনদের ব্যাপারে আমাদের কিছু ভ্রান্ত ধারণা আছে। যেমন এরা অশিক্ষিত, বা বস্তিবাসী, বা নিম্নবিত্ত যারা এটিকেট বা সভ্যতা শেখেনি। আমি যা দেখি, এই মানসিকতা শিক্ষিতদের মাঝেই বেশি। নিম্নবিত্তের মানুষের জীবনদর্শনে ভণ্ডামির পরিমাণ কম। সে যা বলছে, তা অজ্ঞতাপ্রসূত। কিন্তু বিত্তসম্পন্ন ও শিক্ষাসম্পন্ন মানুষের মাঝেও এইরকমের মানসিকতা অনেক অনেক বেশি। এগুলো নির্দেশ করে যে মুসলমানিত্ব আসলে মগজে বাসা বাঁধলে হাজার চেষ্টাতেও সেটা দূর হয় না, না শিক্ষায়, না বিত্তে।

      জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      হাত,কনুইয়ের কাজ।
      না না এ হতে পারে না। এরা মুসলমান হতে পারে না। এটা নিশ্চয়ই ভারতের ষড়যন্ত্র।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
  5. ফজলে রাব্বি নোমান (৮৬-৯২)


    আহমদ ছফা’র বক্তব্য থেকে-
    ১। বাঙালি মুসলমানের মন এখন আদিম অবস্থায়
    ২। এই অবস্থা বাঙালি কিংবা মুসলমান হবার জন্য নয়
    ৩। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে মুসলমানের মন মায়াজালে আচ্ছন্ন
    ৪। মায়াজালে আচ্ছন্ন হবার কারণে মুসলমানরা অগ্রসর হতে পারছে না
    ৫। মানসিক ভীতি হচ্ছে অনগ্রসতার অন্যতম কারণ

    মন্তব্যঃ লেখকের মূল আর্জি বোঝা না গেলেও এটা মনে হচ্ছে না যে ধর্মকে অগ্রসরতার প্রতিবন্ধকতা হিসাবে দায়ী করা হয়েছে।


    প্রথম প্যারায় পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্ম, ধর্মাবলম্বী ও সৃষ্টিকর্তা নিয়ে বলা হল এবং শেষ হল যে লাইনগুলো দিয়ে-“ মানব জাতির যে অর্ধেক গড়নে অপেক্ষাকৃত সুন্দর, যে অংশটি প্রজাতির জন্ম ও সংরক্ষণে নিয়োজিত, তাদের মাধ্যমে কোন ধর্ম পাঠানো হয় নি। কেন হয় নি, সে ব্যাখ্যা ধর্মগুলো দিয়েছে। কিন্তু সেই বর্বরোচিত, মধ্যযুগীয় এবং প্রবল পুরুষতান্ত্রিক ব্যাখ্যাটা ভুলে যাওয়াই শ্রেয়”

    মন্তব্যঃ ধর্মগুলো কি তাহলে পুরুষতান্ত্রিকতার প্রবর্তক ও সমর্থক? হবে হয়তো। তবে, ‘নারী স্বাধীনতা’ ও ‘নারীর ক্ষমতায়ন’ প্রকল্পে আমাদের বিলিয়ন ডলার প্রজেক্টগুলো একেবারে বৃথা গেছে বলা যায় না। দেশের প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলীয় নেতা, বিভিন্ন এন জি ও, সেই সাথে দুনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (হিলারী ম্যাডাম)ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক জায়গায় আমরা পুরুষতান্ত্রিকতাকে চপেটাঘাত করেছি। 😀

    আসলে কি তাই? মনে হয় না। :no:

    পুরুষতান্ত্রিকতা, নারীতান্ত্রিকতা, নারীপুরুষ সমঅধিকার এসবের ডেফিনিশন ধর্মে আছে বলে মনে হয় না। বরং নারীপুরুষের বিভিন্ন রোল বলা আছে।তাহলে আমাদের রক্তে এইসব শব্দ কোথা থেকে এলো? কবিতা, উপন্যাস, ইউ এন প্রোজেক্ট প্রপোজাল, বুদ্ধিজীবিদের কলাম? তাই তো মনে হয়।

    পড়লাম তো মানকার চিপায়! এখন কোনটার পক্ষে সাফাই গাই? সবার কাজ-কারবার ই তো দেখা আছে! :dreamy:

    দ্বিতীয় প্যারায় নেতা ও প্রচারকদের দ্বারা ধর্মের বিবর্তনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ধর্মকে আখ্যায়িত করা হল জগাখিচুড়িপূর্ণ, কূপমণ্ডুক ও গোঁড়ামিপনায় ভরপুর বলে। এক অর্থে ঠিকই।

    মন্তব্যঃ ধর্ম পালনে ব্যার্থ বা অদক্ষ মানুষদের জন্য ‘ইসলাম’ নামটাকেই বদলে দিতে হবে? নুতন নাম ‘মুসলমানিত্ব’। দায় তো পালনকারির উপর বর্তানোর কথা, ধর্মের উপর কেন? প্রকৃত ধর্ম গ্রন্থ পড়ার কথা বলা হল অথচ প্রকৃত গ্রন্থর সুস্পষ্ট নির্দেশকে অনেকে যে গোরামি ভাবে? 🙁

    “যা রয়ে গেছে, তা হলো উন্মুক্ত, স্পর্শকাতর ধর্মপালন ও ধর্ম-অন্ধবিশ্বাস, এর নাম মুসলমানিত্ব” কিভাবে?

    জবাব দিন
  6. ফজলে রাব্বি নোমান (৮৬-৯২)

    রমজানের অচলাবস্থা সম্বন্ধে উদাহরন-১

    মন্তব্যঃ সারাদিন রোজা রেখে ইফতার করা আর ইফতারির রকমারি আইটেম দুটোই আমার পছন্দের। কি জানি, হয়তো আমি বিবর্তিত ধর্মালম্বি । (বেইলি রোড, চকবাজার বড় টানে )আর আমার মত এমন অনেকের চাহিদার সুযোগে পুঁজিবাদী, বুর্জোয়া অর্থনীতি সবসময়ের মত নড়েচড়ে উঠে। সমস্যার ‘রুট কজ’ কোথায় রোজা পালনে না অন্য কোথাও? এই অকারণ অঙ্গুলি প্রদর্শন কোন জিনিস্টা থেকে আমাদের চোখ সরাবে?

    রমজানের অচলাবস্থা সম্বন্ধে উদাহরন-২

    মন্তব্যঃ রোজাদারদের পরিসংখ্যান নিয়ে গানিতিক আরগুমেন্ট এ নাইবা গেলাম।হায়রে মেজরিটি কনসেপ্ট! গনতন্ত্রের ধাধা। ছোট বেলা থেকে সেই যে দৌড়াচ্ছি সফলতার পিছনে, কবে মেজরিটির মধ্যে নিজেকে রাখতে চেয়েছি? মেজরিটির মধ্যে থাকলে তো আর ক্যাডেট কলেজেই পড়া হতো না।বেশির ভাগই তো টিকে না।
    বরং রোজার সময় হোটেলে খাওয়ার লোকই কম।আর কয়টা হোটেলই বা রোজা উপলক্ষে সারা রমজান বন্ধ থাকে? পর্দা দিয়ে লোকজন রোজা আর রোজাদারদের সম্মান দেখায়। ইসলামের/ধর্মগ্রন্থের সরাসরি এই নির্দেশকে কয়জনইবা অযথা নিজেকে কষ্ট দেয়া ভাবে?

    রমজানের অচলাবস্থা সম্বন্ধে উদাহরন-৩

    ১। অফিসে কাজকর্ম কম হয় ২। অনেকের মুখে বাজে গন্ধ হয়
    ৩। ইফতারে টাকা অপচয় ৪। ধর্ম ব্যাক্তিগত, সমাজে বা রাষ্ট্রে কেন টেনে আনা?

    মন্তব্যঃ
    উল্টা ঘটনাও তো ঘটে। যেহেতু চাকরীর বাজার খুবই খারাপ মানে সীমিত, মালিক কিংবা কর্পরেট গুলু দেড় থেকে দিগুন কাজ করিয়ে নেয় মানুষদের দিয়ে। জীবনের জন্য কাজ করি, কাজের জন্য জীবন না। আসলে ব্যাবসা আর অর্থনীতির অনেক কিছুই দেখা হল, রমজান মাসের প্রভাব আসলে যৎসামান্য। ২ ও ৩ নাম্বার অভিযোগ নিয়ে কিছুই বলার নাই। এগুলু এতো বড় করে না দেখলেই বা কি? ধর্মের সরাসরি নির্দেশ, হাদীস থাকা সত্ত্বেও কারো কাছে গ্রহণযোগ্য না হলে কি করা।

    “যে ধর্ম ও ধর্মপালন হওয়ার কথা ছিল ব্যক্তিগত, সেটা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় প্রথায় পরিণত হয়েছে” --পশ্চিমা বিশ্ব এবং ঈহুদী-খ্রীস্টান জাতির সবচেয়ে পছন্দের এই বাক্যের মূল কোথায়? অর্থ কি? এই আপাত ইনোসেন্ট মতবাদটি আমাদের পৃথিবীকে কি দিচ্ছে? কোন বৈশ্বিক অপরাধগুলুকে কাভার দিচ্ছে, তা নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ আর দৃষ্টি দেবার প্রয়োজন আছে। আমি নিশ্চিত লেখক এতো সাতপাঁচ ভেবে লিখেনি।এই বাক্যের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য কে আমি মনে প্রানে ঘৃণা করি।

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)
      লেখকের মূল আর্জি...

      এভাবে ভাববাচ্যে কথা বলাটা কেমন, নোমান ভাই? এভাবে না বলে, সরাসরি আমার সাথেই বাতচিত চলতে পারে। সিসিবি এই চর্চাটা আগে ছিল না, সরাসরি মন্তব্য হতো। এখন দেখছি সবাই ছুপাছুপি খেলে, নীরবে রেটিং করে, কমেন্ট করে মতপার্থক্যগুলো বলে না। যাও বা বলে (যেমন আপনি বললেন), সেটাও ভাববাচ্যে। আশ্চর্য!

      দেশের প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলীয় নেতা, বিভিন্ন এন জি ও, সেই সাথে দুনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (হিলারী ম্যাডাম)ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক জায়গায় আমরা পুরুষতান্ত্রিকতাকে চপেটাঘাত করেছি।

      আপনি যদি মনে করেন নারী মাত্রেই নারীতান্ত্রিক(!) তবে এখানে আমার বলার বা বুঝানোর কিছু নেই। ধর্ম প্রবলভাবে পুরুষতান্ত্রিক। সনাতন ধর্মগুলোতে নারীকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, সেটা জন্তুকেও করা হয় না। এমনকি স্বর্গের দেবীরাও দেবতাদের চেয়ে হীন, ঊন। যে দুয়েকজন দেবী শক্তিমান (যেমন কালী ও দূর্গা), তাদেরকে ভীষণ নেতিবাচক রূপ দেখানো হয়েছে। এই আদিম প্রবণতা থেকে কোন ধর্মই মুক্ত না।

      বরং নারীপুরুষের বিভিন্ন রোল বলা আছে।

      এই রোলগুলো বলাই হয়েছে পুরুষাধিপত্য দিয়ে। আপনি কেবল ইসলাম দেখছেন, বা টানছেন। আমি সবগুলোকে টানছি।

      দায় তো পালনকারির উপর বর্তানোর কথা, ধর্মের উপর কেন?

      দায় আমি পালনকারীকেই দিচ্ছি, কিন্তু পালনকারী যেমন নিজের চর্চিত ব্যাপারগুলোকে প্রকৃত ধর্ম ভাবছে, সেটাকে প্রশ্ন করছি। অযৌক্তিকতা ধর্ম আনয়ন করলে সেটাকেও প্রশ্ন করছি।

      সমস্যার ‘রুট কজ’ কোথায় রোজা পালনে না অন্য কোথাও?

      রুট কজ হলো মানুষের লোভ এবং ক্ষুধাকে পুঁজি করে ব্যবসা করার ধান্দা। এই ধান্দাকে যাবতীয় মুসলমান বেশ সাদরেই মেনে নিচ্ছেন (যারা ধান্দা করছেন, তারাও মুসলমান)। যারা মানছেন না, তারা ছফাবর্ণিত সামাজিক ভয়ে বন্দী, কিংবা প্রকাশ্যে না মানতে চাইলে সামাজিক নিগ্রহের শিকার।

      মেজরিটির মধ্যে থাকলে তো আর ক্যাডেট কলেজেই পড়া হতো না।বেশির ভাগই তো টিকে না।

      এটা কিন্তু, নোমান ভাই, একেবারেই বাজে যুক্তি। রোজাদার ও অরোজাদারের সংখ্যার হিসেবে সুবিধাটি পাওয়ার অধিকার ছিল যাদের, সেটা তারা পাচ্ছে না - এটাই আমার বক্তব্য ছিল।

      বরং রোজার সময় হোটেলে খাওয়ার লোকই কম।

      আমি হিসাব করেই দেখিয়ে দিলাম, কম না। আপনি দেখান কীভাবে কম।

      এগুলু এতো বড় করে না দেখলেই বা কি?

      তাইলে তো সবকিছু বাদ দিয়ে জপনামে বসি যাই। কিসেই বা কি আসে যায়, মরতে তো একদিন হবেই!

      এই আপাত ইনোসেন্ট মতবাদটি আমাদের পৃথিবীকে কি দিচ্ছে? কোন বৈশ্বিক অপরাধগুলুকে কাভার দিচ্ছে, তা নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ আর দৃষ্টি দেবার প্রয়োজন আছে। আমি নিশ্চিত লেখক এতো সাতপাঁচ ভেবে লিখেনি।এই বাক্যের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য কে আমি মনে প্রানে ঘৃণা করি।

      আপনার এই স্পেকুলেশন আপনি প্লিজ নিজের কাছে রাখুন, ভাই। আপনি আমাকে চেনেন না, জানেনও না আমি কী ভেবে লিখেছি না লিখেছি। এমন অনুমান কেবল ভুলই না, বিপজ্জনকও বটে। আমি যা বলি নি, যা ভাবি নি, সেটাও আপনি আমার হয়ে ভেবে নিতে পারেন (হয়তো নিয়েছেনও!)।

      ধর্মরাষ্ট্রের ক্ষতিকর দিক নিয়ে আমার বা আপনার চাইতে বহুগুণে জ্ঞানী ব্যক্তিরা অনেক কিছুই বলে গেছেন। এগুলো যে ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে, হয়েছে, সেটা বাস্তবিক কারণেই। এখন সে কারণগুলো দূর হয় নি, যে আবার সেগুলো ফিরিয়ে আনতে হবে। যে কোন ধর্মই অযৌক্তিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যক্তি নাগরিকের ওপর নিপীড়ন চালায়। এই ফ্যাক্টটাকে কেউই মনে হয় অস্বীকার করতে পারবেন না। আমি বিকল্প কোন ব্যবস্থাকে প্রমোট করছি না, কেবল এই প্রথাগুলোর গূঢ় ভুলটিকে আলোচনা করতে চাইছি।

      জবাব দিন
      • ফজলে রাব্বি নোমান (৮৬-৯২)

        "এভাবে ভাববাচ্যে কথা বলাটা কেমন, নোমান ভাই? এভাবে না বলে, সরাসরি আমার সাথেই বাতচিত চলতে পারে। সিসিবি এই চর্চাটা আগে ছিল না, সরাসরি মন্তব্য হতো। এখন দেখছি সবাই ছুপাছুপি খেলে, নীরবে রেটিং করে, কমেন্ট করে মতপার্থক্যগুলো বলে না। যাও বা বলে (যেমন আপনি বললেন), সেটাও ভাববাচ্যে। আশ্চর্য!"

        "লেখকের" বলতে তোমার কথা বলিনি, আহমদ ছফা কে বোঝাতে চেয়েছি।
        সিসিবি বিষয়ক তোমার মন্তব্য হয়তো সত্যি, আমি ঠিক খেয়াল করিনি।

        আপনি যদি মনে করেন নারী মাত্রেই নারীতান্ত্রিক(!) তবে এখানে আমার বলার বা বুঝানোর কিছু নেই। ধর্ম প্রবলভাবে পুরুষতান্ত্রিক। সনাতন ধর্মগুলোতে নারীকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, সেটা জন্তুকেও করা হয় না। এমনকি স্বর্গের দেবীরাও দেবতাদের চেয়ে হীন, ঊন। যে দুয়েকজন দেবী শক্তিমান (যেমন কালী ও দূর্গা), তাদেরকে ভীষণ নেতিবাচক রূপ দেখানো হয়েছে। এই আদিম প্রবণতা থেকে কোন ধর্মই মুক্ত না।

        আমি তা মনে করি না, পড়ের লাইনে বলেছি। ইসলাম পুরুষতান্ত্রিকতায় দুষ্ট, তাও আমার মনে হয়না। আসলে আমার ফোকাস ছিল এইসব টার্ম গুলুর ডেফিনেশন নিয়ে। এই ডেফিনিশন গুলোকে নানা ভাবে নানা কাজে লাগানোর জন্য বানানো হয়ে থাকে।

        এই রোলগুলো বলাই হয়েছে পুরুষাধিপত্য দিয়ে। আপনি কেবল ইসলাম দেখছেন, বা টানছেন। আমি সবগুলোকে টানছি।

        আবার পুরুষাধিপত্য! রোলগুলো প্রকৃতিগত ভিন্নতার আলোকে বলা হয়েছে। হ্যা, আমি ইসলাম কেই রেফার করেছি, অন্যগুলো ভাবিনি।

        দায় আমি পালনকারীকেই দিচ্ছি, কিন্তু পালনকারী যেমন নিজের চর্চিত ব্যাপারগুলোকে প্রকৃত ধর্ম ভাবছে, সেটাকে প্রশ্ন করছি। অযৌক্তিকতা ধর্ম আনয়ন করলে সেটাকেও প্রশ্ন করছি।

        ভাই, দায় তুমি ধর্মকে দিয়েছ, লিখায় তো তাই মনে হয়েছে। যদি তা না হয়, তবে কোন আরগুমেন্ট নাই।
        রুট কজ হলো মানুষের লোভ এবং ক্ষুধাকে পুঁজি করে ব্যবসা করার ধান্দা। এই ধান্দাকে যাবতীয় মুসলমান বেশ সাদরেই মেনে নিচ্ছেন (যারা ধান্দা করছেন, তারাও মুসলমান)। যারা মানছেন না, তারা ছফাবর্ণিত সামাজিক ভয়ে বন্দী, কিংবা প্রকাশ্যে না মানতে চাইলে সামাজিক নিগ্রহের শিকার।

        "মুনাফা, পূঁজি" এটা প্রায় সব সেক্টর এবং ইভেন্ট এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। শুধু রমজানের ব্যাপার না। এই সমস্যা ইসলাম তৈরি করেনি। মনে হয়, ইসলামী অর্থনীতি ঠিক তার উল্টা।

        এটা কিন্তু, নোমান ভাই, একেবারেই বাজে যুক্তি। রোজাদার ও অরোজাদারের সংখ্যার হিসেবে সুবিধাটি পাওয়ার অধিকার ছিল যাদের, সেটা তারা পাচ্ছে না – এটাই আমার বক্তব্য ছিল।

        নাহ, বাজে যুক্তি না। উচিত/অনুচিত নির্ধারণে 'মেজরিটি' একমাত্র ক্রাইটেরিয়া না। আমরা আমাদের জীবনে বেশিরভাগ সময়েই মাইনরিটির দলে থাকতে চাই। সত্যটা অনেক সময়ই সেখানে থাকে।

        আমি হিসাব করেই দেখিয়ে দিলাম, কম না। আপনি দেখান কীভাবে কম।
        আমি বলতে চাচ্ছি, রোজায় হোটেলে খাওয়ার লোক অনেক কমে যায়। ক্যালকুলেশন নিয়ে এতো কনফিডেন্ট কেন, এটা তো এজাম্পশন।

        আপনার এই স্পেকুলেশন আপনি প্লিজ নিজের কাছে রাখুন, ভাই। আপনি আমাকে চেনেন না, জানেনও না আমি কী ভেবে লিখেছি না লিখেছি। এমন অনুমান কেবল ভুলই না, বিপজ্জনকও বটে। আমি যা বলি নি, যা ভাবি নি, সেটাও আপনি আমার হয়ে ভেবে নিতে পারেন (হয়তো নিয়েছেনও!)।

        আপনার এই স্পেকুলেশন আপনি প্লিজ নিজের কাছে রাখুন, ভাই--- ভিন্ন মত/ধারনা তুমি না শুনতে চাইলে নিজের কাছে রাখলামই বা। আমি কিছু ভেবে নেইনি আন্দালিব, তোমার লিখা ধরে ধরে গেছি।

        যে কোন ধর্মই অযৌক্তিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যক্তি নাগরিকের ওপর নিপীড়ন চালায়। এই ফ্যাক্টটাকে কেউই মনে হয় অস্বীকার করতে পারবেন না। আমি বিকল্প কোন ব্যবস্থাকে প্রমোট করছি না, কেবল এই প্রথাগুলোর গূঢ় ভুলটিকে আলোচনা করতে চাইছি।

        ধর্ম নিপীড়ন চালায় কিভাবে? একমত না। তুমি কিসের ভূল ধরছ? ধর্ম না ধর্ম চর্চার? তুমি তো একটাও ধর্মের সঠিক চর্চার উদাহরণ দেওনি।

        “যে ধর্ম ও ধর্মপালন হওয়ার কথা ছিল ব্যক্তিগত, সেটা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় প্রথায় পরিণত হয়েছে”

        অমুসলিমদের ইসলাম বিরোধী মতবাদে এবং আক্রমণে আমি এই প্রিন্সিপালটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যাখ্যা দিতে দেখেছি। আমি মনে করিনি এবং এখনও করি না তুমি তাদের সাথে কোরাস করেছ। এটা তো মনে হয় অনেস্ট থিঙ্কিং। তুমি অন্য ভাবে নিলে কেন?

        ইসলাম ধর্ম সামাজিক আর রাষ্ট্রীয় আচরণেরও ফর্মুলা, ধর্মগ্রন্থ পড়ে আমার তাই মনে হয়েছে।

        (আন্দালিব, ডিবেট হতেই পারে, আমরা সেটাকে যুক্তিতর্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখি। প্লিজ, স্টে কুল। আর মেজরিটি তো ইম্প্রেসড উইথ ইওর থট, :thumbup: )

        জবাব দিন
        • আন্দালিব (৯৬-০২)

          @নোমান ভাই, আপনি আমাকেও 'লেখক' সম্বোধন করেছেন আগের মন্তব্যে, তাই বুঝি নি যে প্রথম লেখক ছফা বুঝিয়েছেন। [কিঞ্চিৎ অফটপিকঃ ছফাকে উদ্ধৃত করার সুবাদে লেখক হয়ে যাচ্ছি, ব্যাপারটা মন্দ না!]

          ভাই, দায় তুমি ধর্মকে দিয়েছ, লিখায় তো তাই মনে হয়েছে।

          প্রাথমিক দায় ধর্মের। আরো নির্দিষ্ট করে বললে, ধর্মপ্রথার যে দিকগুলো ক্ষমতাশীলদের যে যে ক্ষেত্রে সুবিধা দেয়, ক্ষমতাহীনদের নিয়ন্ত্রণ করার, সেই প্রথার। আমার লেখার মান খারাপ, তাই ব্যাপারগুলো হয়ত স্পষ্ট হয় নি।

          মুনাফা, পূঁজি” এটা প্রায় সব সেক্টর এবং ইভেন্ট এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। শুধু রমজানের ব্যাপার না। এই সমস্যা ইসলাম তৈরি করেনি। মনে হয়, ইসলামী অর্থনীতি ঠিক তার উল্টা।

          হুম। ইসলামী অর্থনীতির প্রয়োগ হচ্ছে এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা দেখাতে পারবেন, ভাই? আমি অর্থনীতি বিষয়ে তেমন কিছুই জানি না।

          ক্যালকুলেশন নিয়ে এতো কনফিডেন্ট কেন, এটা তো এজাম্পশন।

          অনুমান করি নি তো! হিসাবটা কি ভুল হয়েছে? ভুল না হলে সেটা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হওয়া তো স্বাভাবিক। 🙂
          হোটেলে খাওয়ার লোক কমে, কিন্তু শূন্য হয় না। সারা বছর লাঞ্চ আওয়ারে ভরাট থাকে - এমন রেস্তোরাঁগুলো রমজানেও লাঞ্চ আওয়ারে ভরাট থাকে। এটাই স্বাভাবিক। বেরোজাদার আমার হিসাবের চাইতে বেশিই হয়।

          তুমি কিসের ভূল ধরছ? ধর্ম না ধর্ম চর্চার?

          ধর্ম আর ধর্মচর্চা তো মিউচুয়ালি এক্সক্লুসিভ না। সঠিক চর্চা খুঁজলে ব্যক্তিগণ্ডির বাইরে কিছু পাই না। ব্যক্তিমানুষ ধর্মকে কীভাবে নিচ্ছেন, আর সমাজ কীভাবে নিচ্ছে, এই দুটা দুই জিনিস। আমি দেখছি সামষ্টিক প্রয়োগে ধর্ম যারপরনাই বিকৃত এবং ব্যর্থ।

          ইসলাম ধর্ম সামাজিক আর রাষ্ট্রীয় আচরণেরও ফর্মুলা, ধর্মগ্রন্থ পড়ে আমার তাই মনে হয়েছে।

          আমার কাছে মনে হয়েছে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় আচরণে একটি মতবাদ। আরো হাজারটা মতবাদের মতই এর প্রায়োগিক সাফল্য ও ব্যর্থতা আছে। কিন্তু অতিপ্রাকৃতিক কিছু বৈশিষ্ট্য প্রদানের কারণে সেগুলো নিয়ে যাচাই করার বা পরিবর্তন করার কোন ব্যবস্থা রাখা হয় নাই। এখানে এসে এটি একটি বদ্ধ ব্যবস্থা হয়ে পড়ে। মানুষ বদলে যাচ্ছে, মানুষের জীবনও বদলাচ্ছে। কিন্তু সেই জীবনকে চালিত করার পদ্ধতি বদলাচ্ছে না, এটা অযৌক্তিক।

          আমার আগের মন্তব্যটিতে একটু carried away ভাষাভঙ্গির প্রভাব আছে। আপনার মন্তব্যের টোন আমার কাছে অন্যরকম লাগায় এমন হয়েছে। কিছু বিষয় এখন পরিষ্কার হল। আশা করি আমার কথাতেও বুঝবেন, নোমান ভাই, আমি কোন নেতিবাচক মনোভাব রেখে মন্তব্য করছি না। 🙂

          জবাব দিন
          • ফজলে রাব্বি নোমান (৮৬-৯২)

            ধর্ম, ধর্মের নামে কিছু প্রথা, ধর্মপালনকারী--খুব খুব কাছাকাছি থাকা বিস্তর স্বতন্ত্র জিনিশ। যাই হোক, হেয়ার আই স্টপ। বিপরীতধর্মী ধ্যানধারণা শেয়ার করা মোটেও সহজ নয়। আশা করি অন্যরা ডিবেট-টাকে ভাল ভাবে নেবে। তোমার লেখা আর চিন্তার গভীরতা নিঃসন্দেহে সিগ্নিফিক্যাণ্ট। ভাল থেকো। 😉 :thumbup:

            জবাব দিন
            • ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

              ধর্ম এবং পুরুষতন্ত্র নিয়ে একটা কথা বলতে চাই তা হলো হাজার হাজার বছর আগে উদ্ভাবিত ধর্ম তো দূরের কথা এই কিছুদিন আগে ঊনবিংশ শতাব্দিতে ফ্রয়েড যখন মানুষের চেতন জগত সম্পর্কে ধারণা দিতে লাগলো তাও ছিল পুরো মাত্রায় পুরুষতান্ত্রিকতায় আচ্ছন্ন। ফ্রয়েডও নারীদের পুরুষদের সমতূল্য চেতন সর্বস্ব মানুষ ভাবেননি। বলতে গেলে ঊনিশ ষাট সালের সিভিল রাইট মুভমেন্টের পর মেয়েরা প্রমাণ করার সুযোগ পেয়েছে যে তারাও তাদের বাপ কিম্বা স্বামীদের কাজগুলো করতে পারে।


              “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
              ― Mahatma Gandhi

              জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      ভাইয়া কিছু মনে কইরেন না লেখকের (আন্দালিবের) বক্তব্য উদৃতি হিসাবে বা ইটালিক বা বোল্ড করে দিলে আপনার বক্তব্য আর লেখকের বক্তব্য আলাদা করে বুঝা যেতো। আপনার কমেন্ট পড়তে গিয়া গলদঘর্ম হয়ে গেছি।
      :((


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
  7. ফাইয়াদ (৮৯-৯৫)

    আহমদ ছফাঃ
    কনফিউজড লোক। তবে এখানে উল্লেখিত মূল্যায়নটা আংশিক সত্যি। 'না মুসলিম' হবার প্রধান কারণ মুসলিমদের ইসলামী জ্ঞানশূন্যতা।

    প্রথম প্যারাঃ
    ইনফরমেটিভ। তবে সেক্যুলার ১২০ কোটি ব্যাপারটা যাচাই করতে গেলে সংখ্যা অনেক কমে আসবে। ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ডের যারা নিজেদের সেক্যুলার বলে মাঠে ঘাটে পরচয় দেয়, তাদের পাসপোর্ট খুললে 'রিলিজিওন কৃশ্চিয়ান' কথাটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাওয়া যাবে। আবার মৃত্যুর সময় ফিউনারেলে পাদ্রী দিয়ে 'দোয়া পড়িয়ে' ধর্মীয় কায়দায় সমাধিস্থ করতে বলে যায় এদের সবাই। একইভাবে মুসলিম নাম ধারণ করা সেক্যুলার পন্থীরাও তাদের পাসপোর্টে ভুলেও নিজের আসল পরচয় দেয়না, আর তারাও 'পূর্ণ ধর্মীয় রীতিতে' সমাধিস্থ হতে চায়। এদের জানাজার নামাজ কোন হুজুর পড়াতে অস্বীকার করলে এরা তার চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করে। মুখে এদের হাজারো বুলি থাকলেও জীবনের শেষের সময়টায় এদের প্রায় সবারই ভন্ডামীর মুখোশ খুলে পড়ে।

    নারীদের প্রফেটিজমের প্রসঙ্গ নারী প্রসঙ্গে উদারতা বোঝাতে অতি বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছুই নয়। নবীদের বিশ্বাস বা অবিশ্বাস করা একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে নবীদের জীবনের কঠিন পরিস্থিতির যায়গায় নারীকে চিন্তা করলেই এ তত্ত্বের অসাড়তা পরিস্কার হবে।

    দ্বিতীয় প্যারাঃ
    চমৎকার বিশেষণ। উপমহাদেশের ইসলামের সাথে প্রকৃত ইসলামের তফাৎ আশংকাজনক। ইসলামের নামে পীর-ফকির-মাজার-কচ্ছপ-কুমির পূজা থেকে শুরু করে মিলাদ, মিলাদুন্নবী, আখেরী চাহা সোম্বা ইত্যাদি যা হয় তা গার্বেজ বললেও কম বলা হবে। সুফিবাদ, শি'ইজম সহ নানা ভ্রান্ত মতবাদের মিশেল হলো উপমহাদেশের ইসলাম। কুরআনকে বাদ দিয়ে কিচ্ছা কাহিনী আর বানোয়াট আমলের বই দিয়ে ভরা হলো এ অঞ্চলের ইসলামের বৃহত্তর রূপ।

    রমজান প্রসঙ্গে পরবর্তি প্যারাগুলোঃ

    খাবারের দাম বাড়া আর তার নিয়ন্ত্রনহীনতার ব্যাপারে সুন্দর বক্তব্য। সহমত।
    খাবারের দোকান বন্ধ রাখার প্রসঙ্গে ইসলামে কোন বিধিনিষেধ নেই বলেই জানি। পর্দা দিয়ে ঢেকে খাওয়াটা যারা রোজা রেখেছে তাদের প্রতি সম্মানবোধ থেকে হতে পারে। কোন একটা কারণে কেউ যদি নিজের প্রিয় কোন খাদ্য এড়িয়ে চলে, আর তার সম্মানে কেউ যদি তার সামনে ওটা না খায়, তাহলে তা নিশ্চয়ই সমর্থনযোগ্য।

    ইফতার পার্টি বলে ইসলামে কিছু নেই, এটা আমাদের দেশের তৈরী একটা ফেব্রিকেটেড ইসলামী কালচার।

    সবশেষে, ধর্ম শুধু ব্যক্তি জীবনের জন্য এ তত্ত্বটা ইসলামের জন্য প্রযোজ্য নয়। সূক্ষ্মতম থেকে বৃহত্তম সকল পর্যায়ের দিকনির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ব্যক্তি পর্যায়ে টুপি আর তসবিহ নিয়ে বসে থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চলবো ইচ্ছামতো-এটা ইসলাম নয়।

    সার্বিকভাবে লেখাটি ভালো লেগেছে।

    জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      সেকুলারের সংখ্যা যদি কমে তো মুসলিমদের সংখ্যাও কমবে। এই মাত্র কদিন আগে প্রথম কোন ফর্ম পূরণ করে গিয়া লিখছি নাস্তিক।
      আমার পাস্পোর্ট সহ অন্যান্য অনেক জায়গায় লেখা আমি হানাফী, সুন্নী, মুসলিম। :goragori:


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)
      তবে নবীদের জীবনের কঠিন পরিস্থিতির যায়গায় নারীকে চিন্তা করলেই এ তত্ত্বের অসাড়তা পরিস্কার হবে।

      খারাপ বলেন নাই।
      ব্যাডা মাইনষের হাড় দিয়া স্ত্রীলোক বানানো হইছে। এবং এদের তৈরিই করা হইছে ব্যাডাগো মনোরঞ্জনের জন্য। সেইখানে স্ত্রীলোক কি কইরা সমান অধিকার দাবি করতে পারে!
      আর মাইয়ালোক নবী হইলে তারাও যদি ১৩/১৪ খান বিবাহ করতে চায় তাইলে কি হইবো!


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)
      পর্দা দিয়ে ঢেকে খাওয়াটা যারা রোজা রেখেছে তাদের প্রতি সম্মানবোধ থেকে হতে পারে। কোন একটা কারণে কেউ যদি নিজের প্রিয় কোন খাদ্য এড়িয়ে চলে, আর তার সম্মানে কেউ যদি তার সামনে ওটা না খায়, তাহলে তা নিশ্চয়ই সমর্থনযোগ্য।

      অবশ্যই সম্মানবোধ থেকে নয়।
      আবার বলছি সম্মানবোধ থেকে নয়।
      পর্দা না দিলে এলাকায় সালিশ বসবে।
      মাস্তানেরা এসে দোকান ভেঙ্গে দিবে।
      আপনি মনে হয় আ আকাশের মন্তব্য পড়েন নাই।
      আর অন্যেরে খুশি করার যে থিউরি দিলেন তাতে তো মনে হইলো সংযম রাখতে হবে বেরোযদারদের।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      আহমদ ছফা নিয়ে আপনার দুই শব্দের মূল্যায়নটা একেবারেই ভুল। আপনি ছফাকে কতটা পড়েছেন, আমি জানি না। তাকে যারা পাঠ করে, তারা কেউ আপনার মূল্যায়ন করে নি। তাকে যারা পড়ে না, তারা লোকমুখে শুনে শুনে আপনার মত মূল্যায়ন করে। ওটাকে তাই আমি ইগনোর করলাম।
      'বাঙালি মুসলমানের মন' প্রবন্ধটা পড়ে নেবেন। কারণ সেই প্রবন্ধের আলোকে আপনার বাঙালি মুসলমানের ব্যাপারে ধারণাটি ভ্রান্ত।

      তবে সেক্যুলার ১২০ কোটি ব্যাপারটা যাচাই করতে গেলে সংখ্যা অনেক কমে আসবে।

      যাচাই করাটা কি সার্টিফিকেট দেখে যাচাই করা? নাকি প্রকৃতপক্ষে একজন মানুষ কীভাবে জীবন কাটায়, কী তার ফিলোসফি, সেটা? আপনি তুচ্ছ কাগুজে ধর্মকে গুনতে চাইলে গোনেন। কাগজে কলমে অনেক কিছুই থাকে যেটা বাস্তবে থাকে না। সেক্যুলার/এইথিইস্ট/অ্যাগনস্টিকদের বেঁচে থাকাই যেখানে নিরাপদ না, সেখানে কাগজে-কলমে সেটা বাস্তবায়ন করা যায় না। আর বাংলাদেশের দুর্নীতির হার দেখে তো কাগজে কলমে মুসলমানদের সকলকেই বকধার্মিক বলা যায়।

      তবে নবীদের জীবনের কঠিন পরিস্থিতির যায়গায় নারীকে চিন্তা করলেই এ তত্ত্বের অসাড়তা পরিস্কার হবে।

      হাহাহা! এত প্রবল উন্নাসিকতা নিয়ে আছেন কীভাবে? নারীরা কঠিন পরিস্থিতিতে টিকতে পারবে না, এই ধরণের মধ্যযুগীয় ফালতু মত খালি হাস্যকরই না, প্রচণ্ড আপত্তিকরও বটে! এটা পাবলিক ফোরাম বলে আমি আমার সৎ মনোভাবটি বলতে কুণ্ঠাবোধ করছি। মানসিকতাটিকে দোষ দিলেও আপনি সেটা নিজের ঘাড়ে তুলে নেবেন - সন্দেহ করি।

      পর্দা দিয়ে ঢেকে খাওয়াটা যারা রোজা রেখেছে তাদের প্রতি সম্মানবোধ থেকে হতে পারে।

      বিস্মিত হলাম। সম্মানবোধের প্রশ্ন আসছে কেন? যৌক্তিকভাবে ভাবেন তো, এখানে অপরের ব্যক্তিগত ধর্মপালনে আমি কেন সম্মান দেখাবো? তাও আবার নিজের ক্ষতি করে! এটা কি পাগলেও করে। এই পর্দা ঢাকা হয় সামাজিক ভীতি থেকে। এই সাধারণ ব্যাপারটা কেন বুঝছেন না, সেটা আমি বুঝছি না।

      ইফতার পার্টি বলে ইসলামে কিছু নেই, এটা আমাদের দেশের তৈরী একটা ফেব্রিকেটেড ইসলামী কালচার।

      হ, কিন্তু এইটারে ঠেকানোর মুরোদ কোন প্রকৃত, অপ্রকৃত, মডারেট মুসলিমের নাই। 😀

      ধর্ম শুধু ব্যক্তি জীবনের জন্য এ তত্ত্বটা ইসলামের জন্য প্রযোজ্য নয়। সূক্ষ্মতম থেকে বৃহত্তম সকল পর্যায়ের দিকনির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ব্যক্তি পর্যায়ে টুপি আর তসবিহ নিয়ে বসে থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চলবো ইচ্ছামতো-এটা ইসলাম নয়।

      এই দিকনির্দেশনাগুলো সময়ের সাথে সাথে মানুষের জীবনে আনফিট হয়ে গেছে বলেই বাতিল হয়ে গেছে। আপনি দেখাতে পারবেন না পৃথিবীর কোথাও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ইসলাম পালিত হচ্ছে। তার কারণ এই ব্যবস্থাটি অনুপযুক্ত। মানুষের জন্য নিয়ম, নিয়মের জন্য মানুষ না। যে ব্যবস্থায় মানুষের মতবৈচিত্রকে পাত্তাই দেয়া হয় নাই, সেই ব্যবস্থাকে মানুষ স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বাতিল করেছে। এখানে জোর-জবরদস্তি করে যেটা টিকে আছে, সেটা মুসলমানিত্ব। যেটা যা, তাকে আমি সেই নামেই ডাকি। 🙂

      জবাব দিন
      • ফাইয়াদ (৮৯-৯৫)

        সেক্যুলারিজমের অন্তসারশূন্যতা এবং সত্যিকার পরিণতি সম্পর্কে গোপন ভীতি আমি তুলে ধরেছি, মূল ফোকাসটা কাগজে নিজ ধর্ম সম্পর্কে লেখার জন্য নয়। যদি মনে কর আমাদের দেশে নাস্তিকদের বেঁচে থাকা নিরাপদ নয়, তাহলে যেটা ওদের স্বর্গরাজ্য সেই ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ডে তারা যে নিজেদের স্যক্যুলার না বলে নিজেদের খৃস্টান বলে পরিচয় দেয় আর পাদ্রীর হাত দিয়ে কবরে যায় সে দ্বিমুখিতাও আমার ফোকাস ছিলো। তোমার কথার সূত্র ধরেই বলছি, এদেশে নাস্তিকরাই সবক্ষেত্রে দেশের সব কিছুর উপর ছড়ি ঘুরিয়েছে। শওকত ওসমান, সুফিয়া কামাল, শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হকের মতো লোকেরা আমাদের ছোটবেলার মন মগজের বড় অংশই দখল করে ফেলেছে। তাদের লেখা কোন গল্প বা কবিতার আড়ালে তাদের আদর্শ আর ধর্মবৈরীতা (মূলতঃ ইসলাম)কে সুকৌশলে বড় করে দেখিয়ে তাদের গোপন মিশনই যেন সফল করা হচ্ছে। অজানা রয়ে যাচ্ছে ধর্মের সত্যিকার শিক্ষাটা। মিডিয়া নামের আলাদীনের চেরাগ আজ নাস্তিকদের হাতের মুঠোয় বন্দী। আর তাই ডারউইনের হাস্যকর থিওরীর তার প্রমাণের হাস্যকর চেষ্টা এবং 'ঈশ্বর কণার' মতো অবাস্তব হাইপোথিটিকাল ব্যাপার প্রথম পাতায় লিড নিউজ হিসাবে আসে আর ইসলামকে বাজেভাবে কটুক্তিকারী ব্যক্তির খবর ব্লগের সীমানা পেরোতে পারেনা।

        হাহাহা! এত প্রবল উন্নাসিকতা নিয়ে আছেন কীভাবে? নারীরা কঠিন পরিস্থিতিতে টিকতে পারবে না, এই ধরণের মধ্যযুগীয় ফালতু মত খালি হাস্যকরই না, প্রচণ্ড আপত্তিকরও বটে! এটা পাবলিক ফোরাম বলে আমি আমার সৎ মনোভাবটি বলতে কুণ্ঠাবোধ করছি। মানসিকতাটিকে দোষ দিলেও আপনি সেটা নিজের ঘাড়ে তুলে নেবেন – সন্দেহ করি।

        তুমি কি আসলে কোন নবীর অথেন্টিক জীবনী পড়েছো নাকি সেটা না জেনেই নারী নিয়ে সম্ভব-অসম্ভব গালভরা বুলি দিয়ে সস্তা পপুলারিটির সেই পরিচিত পথেই হাঁটছো? একটা কথা বলি, নারীদের নিয়ে যারা শ্রুতিমধুর সব বুলি আউড়ে এসেছে, এদের ভেতরের ছবিটা কিন্তু তসলিমা নাসরিন সহ অনেকেই প্রকাশ করে দিয়েছে। 'অধর্মের কলও বাতাসে নড়ে'।

        বিস্মিত হলাম। সম্মানবোধের প্রশ্ন আসছে কেন? যৌক্তিকভাবে ভাবেন তো, এখানে অপরের ব্যক্তিগত ধর্মপালনে আমি কেন সম্মান দেখাবো?

        আমিও বিস্মিত হলাম।

        এই দিকনির্দেশনাগুলো সময়ের সাথে সাথে মানুষের জীবনে আনফিট হয়ে গেছে বলেই বাতিল হয়ে গেছে। আপনি দেখাতে পারবেন না পৃথিবীর কোথাও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ইসলাম পালিত হচ্ছে। তার কারণ এই ব্যবস্থাটি অনুপযুক্ত।

        আমার পছন্দ নয় কিংবা আমার কাছে কষ্টকর বলেই আমি কোন একটা সিস্টেমকে আনফিট বলে দিতে পারিনা। ইসলামের গতিবিধি এবং এর আপস্‌ এন্ড ডাউনস্‌ সম্পর্কে যে ভবিষ্যৎবাণী রাসুলুল্লাহ সাঃ করে গেছেন, তার সামান্য ব্যতিক্রম কখনও হয়নি এবং রাসুলের কথা অনুযায়ী একটা ক্রান্তিকাল এখন ইসলাম পার করছে। কেউ চাক আর নাইবা চাক ইসলাম আবার বিজয়ী হিসাবে আসতে যাচ্ছে।

        এনিওয়ে আন্দালিব, কিছু মনে করোনা, কমেন্টগুলো তোমাকে ব্যক্তিগত করা নয়। তোমার লেখাটা ভালো লাগার দুটি কারণ- ভাষা সুন্দর আর এখানে আর দশটা নাস্তিক্যবাদীর মতো 'ইসলামের বিরুদ্ধে সবার আগে আছি আর অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে নাই কিংবা থাকলেও মিনমিনিয়ে আছি' দোষ থেকে মুক্ত।

        জবাব দিন
        • আন্দালিব (৯৬-০২)
          ...ডারউইনের হাস্যকর থিওরীর তার প্রমাণের হাস্যকর চেষ্টা...

          হাসতে হাসতে হাসতে হাসতে রিভলভিং চেয়ারে বসে থাকা মুশকিল করে দিলেন ভাই। ভাই একটা কথা বলি, কিছু মনে নিয়েন না, ডারউইন নিজেও এখন চাইলে গত ১৫০ ধরে প্রমাণিত, পরীক্ষিত, মীমাংসিত সূত্রটাকে এইভাবে বানচাল করতে পারতেন না, আপনি যেভাবে এক বাক্যে এইটারে উড়ায় দিলেন!!

          বিজ্ঞানের থিওরি আপনি না জানতেই পারেন, আমিও অনেক থিওরি জানি না। কিন্তু একটা প্রমাণিত থিওরিকে এভাবে উড়াতে গিয়ে নিজের ক্রেডিবিলিটির চৌদ্দটা বাজায়েন না, ভাই!

          জবাব দিন
    • রাব্বী (৯২-৯৮)
      ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ডের যারা নিজেদের সেক্যুলার বলে মাঠে ঘাটে পরচয় দেয়, তাদের পাসপোর্ট খুললে ‘রিলিজিওন কৃশ্চিয়ান’ কথাটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাওয়া যাবে

      এই তথ্য কোথায় পেলেন? কারো পাসপোর্টে ধর্ম উল্লেখ থাকে না। এমনকি বাংলাদেশের পাসপোর্টেও না। পশ্চিমা দেশগুলোতেও পাসপোর্টে কোথাও ধর্ম উল্লেখ থাকে না। তাই আপনার এই তথ্যটা সঠিক না।

      আর বর্তমানের "ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড" মানে শুধু কৃশ্চিয়ান বা সেক্যুলার না, আরব এবং মুসলমানরা এখন পশ্চিমে যথেষ্ঠ সংখ্যক দৃশ্যমান। অন্তত শহরগুলিতে।


      আমার বন্ধুয়া বিহনে

      জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)
      খাবারের দোকান বন্ধ রাখার প্রসঙ্গে ইসলামে কোন বিধিনিষেধ নেই বলেই জানি। পর্দা দিয়ে ঢেকে খাওয়াটা যারা রোজা রেখেছে তাদের প্রতি সম্মানবোধ থেকে হতে পারে। কোন একটা কারণে কেউ যদি নিজের প্রিয় কোন খাদ্য এড়িয়ে চলে, আর তার সম্মানে কেউ যদি তার সামনে ওটা না খায়, তাহলে তা নিশ্চয়ই সমর্থনযোগ্য।

      ভাইজান হিন্দু ধর্মে তো গরু খাওয়া হারাম। তো হিন্দুদের ধর্মরে সম্মান দেখাইয়া কবে আমরা প্রকাশ্যে গরু কুরবানী বন্ধ করছি বলতে পারেন?? অবশ্য হিন্দু ধর্মানুভূতিরে সম্মান দেখানো ভারতের অনেক জায়গায় নাকি হয় শুনছি। তো হিন্দু ধর্মরে সেই সম্মান যা ভারতে দেখানো হয় তার সাথে রমজানে আমাগো দেশে রোজারে যে সম্মান দেখানো হয় দুইটাই আসলে একই রকমের সম্মান (!!!) আর দুইটাই হইলো মানুষের উপর চাপায়ে দেওয়া। ইসলাম নিয়া অবসেসড না হইলে এই সোজা জিনিসটা আপনার মাথায় ঢুকতে সমস্যা হতো না।

      আন্দা, লেখাটা পড়লাম। বেশিরভাগ বিষয়ে একমত। ভিন্নমতের জায়গা খুব বেশি নাই। আপাতত গ্যালারিতে বইসা মডারেট মুসলিমদের সাথে মডারেট নাস্তিকদের উপভোগ্য আলোচনা দেখতে টিকেট কাটলাম। (সম্পাদিত)

      জবাব দিন
      • আন্দালিব (৯৬-০২)
        আপাতত গ্যালারিতে বইসা মডারেট মুসলিমদের সাথে মডারেট নাস্তিকদের উপভোগ্য আলোচনা দেখতে টিকেট কাটলাম।

        আমিও বিভিন্ন গ্যালারিতে, বিভিন্ন উপভোগে মজ্জিত! 😛

        জবাব দিন
      • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

        আমিন মজা দেখতে চাও তো ই সি এফে যাও।
        আমি কেনো এই ব্লগ ঐখানে শেয়ার দিলাম তা নিয়া অনেক কথা হয়ে গেছে। আমি কোন কমেন্ট করার আগেই আমার পোষ্ট ডিলিট করা হইছে।
        মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রমাণ স্বরূপ একজন ৩ এক্স এর লিঙ্ক আমার লিঙ্কে গিয়া কমেন্ট হিসাবে দিছে। জুনিয়ররা বলেছে তারা আর আমাকে সম্মান করবে না।
        এমন কথাও হয়েছে সিসিবিতে ধর্মের পক্ষে কোন লেখা এমনকি মন্তব্য মডারেট হয়ে ছাপা হয়।
        আর আমাকে ফাসাদকারী হিসাবে (তাগুত) চিহ্নিত করা হয়েছে।
        আর আমার শেয়ারটি ডিলিট করে দেওয়ায় আল্লাহ এডমিনদের উত্তম প্রতিদান দিবেন বলা হয়েছে। মহান ধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত তারা রুখবেন ভবিষ্যতে।


        এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

        জবাব দিন
  8. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    দৌড়ের উপরে থেকেও মন্তব্য করতে আসলাম অ-নে-ক-দি-ন পর আন্দালিবের ব্লগ দেখে

    বক্তব্য সম্পর্কে এখন কোন মন্তব্য করবো না, বিজি আছি (আমিনের মত) (সম্পাদিত)


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  9. A very cheap way of getting others attention is to hurt religion. My advice to writer and the comments provider....u cud give us some light on the real teaching of Ramadan. I wish if u had that knowledge. Possibly no muslim are hurting ur so called very modern/open minded anti religion thinking. Then why u r doing that. U cud at least say in the name of Ramadan many r doing wrong practice. But u r so hostile...u have attacked the one pillar of five on which Islam stands. I m not a very perfect Muslim....still I do have the basic understanding of Islam. I m really sorry that most of u r so ignorant of religion despite of being an intellectual personality in ur respective sector.

    Sorry...I can't type Bangla.

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      রব্বানী,
      ইসলামের একটি বড়ো স্তম্ভকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে যে চর্চা চলছে, তা হলো অপচয় এবং অবদমনের। একটি প্রথা যদি তা সামাজিক ভীতি, সঙ্কোচ ইত্যাদিকে ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে থাকে, তবে সেটার প্রতিবাদ আক্রমণাত্মক হতে হবে। আমি এই কথাগুলোই সুশীল ভাষায় ঢেকেঢুকে বলতে পারি, কিন্তু তাতে পরিস্থিতির ভয়াবহতা হয়ত বুঝতে পারবেন না। বাংলাদেশের ইসলাম সঠিক, এটা কেউই মনে হয় দাবি করবেন না। বাঙালিরা, যুক্তিমতে, প্রকৃত মুসলিম নন। সেক্ষেত্রে ইসলাম কী বলে? কোরানে শিরক ও বেদআত চর্চাকারী জাতিদের সাথে কী করা হয়েছে বলে বলা হয়েছে? যদি সত্যিকারের ইসলাম মেনে বিচার করি, তবে আদৌ একজন মুসলিম পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ, যিনি সর্বদা ইসলামিক জীবনযাপন করেন। এরকম কঠোর, অনমনীয় এবং অযৌক্তিক জীবনব্যবস্থাকে আমি সমালোচনা করছি, কারণ এই ব্যবস্থাটির প্রয়োগ আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। হরহামেশাই করে, এখন এই মাসে প্রকট রূপ ধারণ করছে বিধায় লিখলাম। এই প্রয়োগ কেউ বদলাচ্ছে না।

      পুঁথিগত সুন্দর স্বচ্ছ নিয়মকানুন বাস্তবে এসে বিকৃত দমনকারী হয়ে ওঠে। সেই নিয়ম সংশোধনও হয় না, প্রতিকার চাইলে নিরাময়ও হয় না। উল্টা যে সমস্যাগুলোকে বর্ণনা করতে চায়, তাকে দমিয়ে দেয়া হয় সামাজিক ভীতি দিয়ে।

      জবাব দিন
  10. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)
    আর তাই ডারউইনের হাস্যকর থিওরীর তার প্রমাণের হাস্যকর চেষ্টা এবং ‘ঈশ্বর কণার’ মতো অবাস্তব হাইপোথিটিকাল ব্যাপার প্রথম পাতায় লিড নিউজ হিসাবে আসে

    পদার্থবিজ্ঞান থেকে থেকে জীববিজ্ঞান- কি তিনি জানেন না। এমন একটি মানুষের পদচারণায় সিসিবি :just: ধন্য।

    জবাব দিন
  11. রিদওয়ান (২০০২-২০০৮)

    ১। আপনি শল্য চিকিৎসাকে বিভিষিকাময় বলছেন, তাহলে উন্নত খ্রীস্টান প্রধাণ দেশগুলোতেও কেন খ্রীস্টানরা এই কাজ অনুসরন করে? দয়া করে বিজ্ঞান বুঝে কথা বলুন।
    ২। প্রতিটা ধর্মের মূল কথাই অনেক সুন্দর। অসৎ মানুষরা যুগে যুগে এইসব ধর্মকে নিজেদের কাজে ব্যাবহার করে ধর্মগুলোকে বিকৃত করেছে।
    ৩। অফিসে ঝিমানোর কথা বলেছেন, এটা বাঙালীদের একটা সাধারন বদ অভ্যাস। রমজান মাসে ঘুমালে ব্যাপারটা বেশি চোখে পরে, আর আপনারা সেই সুযোগ নিয়ে ধর্ম নিয়ে আক্রমনাত্নক কথা বলেন।
    ৪. বাজারের আগুন লাগার কথা বলছেন। অন্য কোন মুসলিম দেশে এটা হয় না। এটা আমাদের জাতীয় চরিত্রের সমস্যা। যদি এই দেশ আজ হিন্দু প্রধান দেশ হত, তবে রমজান নয়, পূজার সময় এরকম হত।
    আপনি ধর্মকে বিশ্বাস করেন না বা ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা নেই, যেটাই হোক, সেজন্য আপনাকে মুর্তাদ বা পাপী বলার অধিকার যেমন কারও নেই, তেমনি অন্যের বিশ্বাসকে আঘাত করার অধিকার আপনারও নেই।

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      তুমি মনে হয় ধরেই নিয়েছ যে আমি খ্রিস্টানদের কিংবা পাশ্চাত্য তথা আমেরিকানদের 'সঠিক' মনে করেছি। এটা ভুল। আমি এমন কোন রেফারেন্স টানি নি, বা বলি নি। এই পোস্টটা ইসলাম বনাম খ্রিস্ট নয়, ইসলাম বনাম সনাতনও নয়। পোস্টে আমি ধর্মতত্ত্বের পুরোটিকেই ক্রিটিক করেছি।

      আধুনিক সমাজে ধর্মের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় প্রয়োগ শূন্য হওয়া উচিত বলে মনে করছি। সেটা যেমন বাংলাদেশের জন্য সত্য, তেমনি আমেরিকা বা অন্য যে কোন রাষ্ট্রের জন্যও সত্য। ধর্ম এখানেও উপকার করছে না, ওখানেও করছে না। শল্য চিকিৎসাটা (circumcision) যে বেহুদা, সেটা একটু যুক্তি দিয়ে চিন্তা করলেই বুঝা যায়, পৃথিবীতে আনসারকামসাইজড মেইলের সংখ্যাটা একটু দেইখো। 🙂

      অসৎ মানুষরা যুগে যুগে এইসব ধর্মকে নিজেদের কাজে ব্যাবহার করে ধর্মগুলোকে বিকৃত করেছে।

      প্রথমত এই একই যুক্তি সমস্ত সামাজিক ও রাজনৈতিক মতবাদের বেলাতেই খাটে। সব মতবাদের মূল কথাই অত্যন্ত সুন্দর। কিন্তু সমস্যা হয় মূল ছেড়ে শাখাপ্রশাখার দিকে গেলে। প্রতিটা ধর্মই তাই, সেখানে নানা শাখাপ্রশাখা। টারশিয়ারি সেসব নিয়মকানুন বারোটা বাজালেও মূল সুন্দর বলে স্তুতিবাক্য বিলানো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

      দ্বিতীয়ত, অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতাশীল স্রষ্টা(রা) তো সর্বদ্রষ্টা। তিনি বা তারা তবে ধর্মের মাঝে এমন ফাঁকফোঁকর রাখলেন কেন, যাতে তুচ্ছ মনুষ্য সেটার সুযোগ নিতে পারে? তিনি (তাদের) তো জানার কথা যে এমন নিয়ম বানালে এমন হবে।

      রমজান মাসে ঘুমালে ব্যাপারটা বেশি চোখে পরে,

      কেন চোখে পড়ে? সবাই ঘুমায় থাকলে চোখে পড়লো কার? 😛

      আর আপনারা সেই সুযোগ নিয়ে ধর্ম নিয়ে আক্রমনাত্নক কথা বলেন।

      না বুঝে ফট করে একটা কথা বলে বসলে। ধর্মকে কোথায় আক্রমণ করলাম? ধর্ম একটি মতবাদ, সেটাকে নিয়ে আলোচনা করছি। এটা আক্রমণ করা? এরকম অভিযোগের ভিত্তি কী? এই পোস্টে কোন কথাটা অযৌক্তিক এবং তথ্য ব্যতিরেকে বলা হয়েছে যে 'আক্রমণ'-এর প্রসঙ্গ আসছে?

      এটা আমাদের জাতীয় চরিত্রের সমস্যা। যদি এই দেশ আজ হিন্দু প্রধান দেশ হত, তবে রমজান নয়, পূজার সময় এরকম হত।

      উপরে রাব্বী ভাইও বলেছেন এমন ঘটনা সব দেশেই ঘটে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে পুঁজি করে ব্যবসা। তার মানে এই ধর্ম সমাজে ব্যবসার অঙ্গ। রাইট? এই ব্যবসা ঠেকানোর জন্য আদৌ কোন ব্যবস্থা কি ধর্মীয় বিধানে আছে?

      মানুষকে প্রভাবিত করার যে বিপুল ক্ষমতা আছে ধর্মের, সেটাকে আমি সমীহ করি। কিন্তু শ্রদ্ধা কেন করবো? এটা স্রেফ একটি মতবাদ। মানুষের জীবনযাপনের অবলম্বন হিসেবে বর্ণিত কিছু নিয়ম, যা অপ্রমাণিত ও অলৌকিক কল্পিত ক্ষমতাশীলের বানানো। এটিকে আমি আর দশটি মতবাদের মতই মনে করি। একে শ্রদ্ধা করাও যেমন অবান্তর, আক্রমণ করা(!)টাও বাতুলতা।

      বিশ্বাসে কীভাবে আঘাত আসে, সেটা আমিও বুঝতে চাই। জানিও।

      জবাব দিন
  12. মুস্তাকিম (৯৪-০০)
    পুঁথিগত সুন্দর স্বচ্ছ নিয়মকানুন বাস্তবে এসে বিকৃত দমনকারী হয়ে ওঠে। সেই নিয়ম সংশোধনও হয় না, প্রতিকার চাইলে নিরাময়ও হয় না। উল্টা যে সমস্যাগুলোকে বর্ণনা করতে চায়, তাকে দমিয়ে দেয়া হয় সামাজিক ভীতি দিয়ে।

    আস্তিক হলেও তোমার এ কথাগুলো ভয়ংকরভাবে সত্য, সেটা স্বীকার করতেই হবে৷

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      ধন্যবাদ মুস্তাকিম ভাই। ধর্মব্যবস্থাকে নৈর্ব্যক্তিকভাবে দেখার চর্চা শুরু করা উচিত। ব্যক্তিজীবনে আস্তিক বা নাস্তিক হওয়াটা একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু সামাজিক প্রভাব হিসেব করলে ধর্মকে ছাড় দেয়া হয় বরাবরই। আস্তিক ছাড় দেন ধর্মের নিষেধে, নাস্তিক ছাড় দেন সামাজিক ভীতিতে। 🙁

      জবাব দিন
  13. মুস্তাকিম (৯৪-০০)
    আস্তিক ছাড় দেন ধর্মের নিষেধে, নাস্তিক ছাড় দেন সামাজিক ভীতিতে।

    একদম ঠিক৷ আর সবচেয়ে খারাপ লাগে ধর্মকে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করার প্রবনতা দেখলে।

    জবাব দিন
  14. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    আন্দালিব,
    অনেকদিন পর!
    লেখাটা যেন হুট করে শেষ করে দিলে।শুরুতে মনে হচ্ছিলো আরো বিস্তারিত আলোচনা হবে।মন ভরলোনা।
    নিজের কিছু টুকরো টুকরো ভাবনা শেয়ার করছি:
    ক।বাঙালি, মুসলমান কি হিন্দু, মাত্রেই প্রবলভাবে অনুভূতিপ্রবণ।'প্রেরিত' পুরুষ-প্রচারিত মতবাদ ছাড়াও অন্য যেকোন কিছুকেই আমরা ধর্মের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি। সেটা রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে শেখ মুজিব কিংবা ফুটবল ক্রিকেটও হতে পারে।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিজের মতবাদটা অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে চাই - আমার/আমাদের 'ঠিক' লাগছে তো অন্যেরো লাগতে বাধ্য।মতপার্থক্য মেনে নেয়াটা কেন যেন আমাদের সংস্কৃতিতে নেই।

    খ।কোন বিশেষ ধর্ম যখন কেউ চর্চা করছে, ভুল বা ঠিকভাবে (কেতাবী হিসেবে), তার মূল প্রণোদনা কিন্তু সেই কেতাব (সমূহ) থেকেই আসছে। কাজেই ধর্মের চর্চাকে আঘাত করা হলে সেই বিশ্বাস বা সেই স্পেসিফিক কেতাব বাদ যায়না। ধর্মকে আঘাত বা আক্রমণ করলে সমস্যা কি? এই আক্রমণের ফলে বাঙালি (ধরি, মুসলমান)-র যে রেসপন্স, তা কি কেবল তার জাতিগত ইমোশনের জন্য, না এতে কেতাবেরও কিছু 'ইশারা' আছে?
    আমরা কি এগুলোকে আলাদা আলাদা করে ধর্তব্যের মধ্যে আনবো?
    ধর্মকে যে 'ভুল'ভাবে যে চর্চা করছে তাতে 'ধর্ম' (আরো স্পেসিফিকালি কেতাব)-এর দায় 'নেই' ধরে নিয়ে না হয় তাকে বেনিফিট অফ ডাউট দিলাম।যে/যারা এক্কেবারে ঠিকঠাক ফলো করছে, সেই জীবনাচরণ নিয়ে আলোচনা/সমালোচনা করলে কি তা 'আক্রমণ/আঘাত' হয়ে যাবে?

    গ।আমরা যদি মুসলমান/হিন্দু/বাঙালি/পাহাড়ি না হয়ে শুধু মানুষ হতে পারতাম, বা সেই ম্যাচুরিটির দিকে একটু একটু করে এগুতে পারতাম তাহলে সমস্যা কম হতো। কোন 'ধর্ম' বা মতবাদের পন্থী না হয়েও যে ভালো মানুষ হতে পারা যায়, এটা বুঝতে পারলে ভালো হতো। যা একইরকমভাবে সত্য কোন একটিতে বিশ্বাস বা তা পালনকারী মানুষদের ক্ষেত্রেও।

    ঘ।গোঁয়ার/অসংবেদনশীল লোকে ধার্মিক বা নিধার্মিক হলে কি তফাত।

    ঙ।চাই বা না চাই, সমাজ পাল্টাতে থাকে। শিক্ষা, রুচি দিয়ে সেই পরিবর্তনটাকে একটা শুভদিকে গড়িয়ে নিতে পারি। 'শিক্ষা' বা 'রুচি' যদিও খুবই সাবজেকটিভ, মনুষ্যত্ববোধ আর বিবেচনা যোগ করলে বোধ হয় একটা সার্বজনীনতা আনা যায়।

    চ। সামাজিক মানুষ যখন কোন ধর্মকে বুঝছে বা চর্চা করছে, তখন সেই ধর্মগ্রন্থসমূহ বা মতবাদে তো প্রাণের সঞ্চার হয়। সেই বিরাট প্রাণ নড়েচড়ে উঠে আরো হাজারো প্রাণকে উজ্জীবিত করছে না গলা টিপে মারতে চাইছে এটা বোঝার দায়িত্ব মানুষেরই।

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      নূপুর ভাই, আপনার মন্তব্যটা এতো চমৎকার, যে আমি এর সাথে কিছু বলার যোগ্য মনে করছি না নিজেকে। এই প্রশ্নগুলো আমার মনেও জাগে, কিন্তু এগুলো নিয়ে এ অবধি সুস্থ আলোচনা করতে পারি নি। যারা ইসলামকে বেদ-বিধি মেনে জীবন চলার চেষ্টা করছেন, তারা কি এক মুহূর্তের জন্য হলেও র‍্যাশনালি চিন্তা করতে পারেন না? ধর্ম-অধর্মের ভেদাভেদ রেখে, কেবল জ্ঞানবুদ্ধিজাত যৌক্তিক অবস্থান!

      জবাব দিন
      • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

        আন্দালিব,
        'যোগ্য মনে করছিনা' বলে কঠিন লজ্জা দিলা কিন্তু।আমি মনে করি, যে কোন তন্ত্র বা মন্ত্রই হুবহু মেনে চলা অসম্ভবের পর্যায়ে পড়ে। অ্যাডাপ্টেশন হয়, মডারেশন হয়, রীতিগত পরিবর্তন আসে - এগুলোই স্বাভাবিক।এই পরিবর্তনকে মেনে নিতে না পারাই তো 'মৌলবাদ', তাই না?

        জবাব দিন
        • আন্দালিব (৯৬-০২)

          হ্যাঁ, শাখাপ্রশাখাগুলোর বৃদ্ধি কোন দিকে হচ্ছে, এটা খেয়াল রাখা জরুরি। এখনো পর্যন্ত কোন মতবাদই সামষ্টিকভাবে মানুষের সমাজ বা রাষ্ট্রচিন্তাকে পুরোপুরি হিতকর দিকে নিয়ে যেতে পারে নি। মানূষের একক বৈচিত্র্যের কারণেই সকলকে একটি নিয়মের ফ্রেমে আটকানো দুষ্কর। এজন্যই মতবাদগুলো ক্রমশ বিবর্তিত হয়। এই বিবর্তনের পরিসর ও সম্ভাবনা না থাকলে সেই মতবাদ অচল হতে বাধ্য।

          খালি মূল কথা ধরে বসে থাকলে আসলে বেশিরভাগ মতবাদই চমৎকার!

          জবাব দিন
    • ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)
      baঙালি, মুসলমান কি হিন্দু, মাত্রেই প্রবলভাবে অনুভূতিপ্রবণ।’প্রেরিত’ পুরুষ-প্রচারিত মতবাদ ছাড়াও অন্য যেকোন কিছুকেই আমরা ধর্মের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি। সেটা রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে শেখ মুজিব কিংবা ফুটবল ক্রিকেটও হতে পারে।

      তীব্রভাবে সহমত।

      আসলে উন্নয়নশীল এলাকায় যেখানে অনেক অভাবী মানুষ আছে সেখানে দেখা যায় বড় এবং অবিসংবাদিত নেতা সৃষ্টি হচ্ছে। হাজার বছর আগে এজন্য অনেক প্রফেট দেখা যেত। এখন অভাব দূর না হলেও বিশ্বায়নের প্রভাব আছে। তাই অনু্ন্নত এলাকার অবিসংবাদিত নেতা সেই এলাকাতেই আটকে থাকছে। সারা বিশ্বের কাছে মুক্তিকামী নেতা হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না। অন্যকথায় আধুনিক মানুষের মানসিক পরিপক্কতার জন্য এখন আর কেউ সারাবিশ্বে অবিসংবাদিত নয়।
      ইদানিংকালে যেসব বড় নেতাদের নাম উল্লেখ করা যায় - যেমন ম্যান্ডেলা, গান্ধি, মাওসেতুং, শেখ মুজিব - তাঁরা সব আফ্রিকা বা এশিয়ার অন্তর্গত দেশগুলোর অধিবাসী। সমাজবিদ দিপাংকর গুপ্তার মতে এ অসব অঞ্ছলের মধ্যবিত্তের মানসিক পরিপক্কতার অভাব রয়েছে। তাই একজন ব্যক্তি নেতা হিসেবে অত্যাধিক গুরুত্ব পাচ্ছে। অন্যদিকে আমজনতা একক ব্যাক্তি হিসেবে নিজেদের ডিগনিটির ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন।
      পারলে দীপাংকর গুপ্তার "মিসটেকেন মডার্নিটি" বইটি পড়ে দেখতে পারেন। অসম্ভব ভালো একটি বই। (সম্পাদিত)


      “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
      ― Mahatma Gandhi

      জবাব দিন
  15. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    আন্দালিব,

    লেখা এবং মন্তব্য সব মিলিয়ে দারুণ ইন্টারঅ্যাকটিভ একটা ব্লগ। বেশ উপভোগ করলাম। অনেক দিন পর লিখলে। আশা করছি প্রবাস থেকে তোমার লেখা নিয়মিত পাবো।

    পোলাপাইন কই!! তোমার উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশ যাত্রা উপলক্ষে একটা ইফতার পার্টি তো হতেই পারে। 😀


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  16. তাওসীফ হামীম (০২-০৬)

    পলাশীতে এক ছাপরা দোকানের সামনে বসে বিড়ি খাচ্ছিলাম,এক পুলিশের হাবিলদার এসে আমাকে দুনিয়ার বাজে কথা শুনিয়ে গেল,শরীর হাতড়াল,ব্যাগ চেক করল। মানুষজড় হয়ে গিয়েছিল আশে পাশে,ভীতিকর অবস্থা।
    যে রোযার কারনে মানুষের ইচ্ছা অনিচ্ছাতে ব্যরিকেড পরে,চলাফেরাতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়,সেই ইবাদত আমাকে টানে না একফোটাও।
    লেখা খুবই ভালো লেগেছে। অনেক দিন পর সিসিবিতে এসেই এমন একটা ভালো লেখা পড়লাম।


    চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।

    জবাব দিন
  17. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    যারা ই সি এফের মেম্বার না তারা বঞ্চিত হচ্ছে তাই তাদের জন্য। কেউ অন্য কিছু খুজে পেলে দুঃখিত। কারণ এখানে ই সি এফের কোন সমালোচনা হচ্ছে না। তারা অনেক ভালো কাজ করছেন। আমাদের এক বোনের বিপদে তারা এগিয়ে এসেছেন, দেশ বিদেশ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া গেছে।

    গতকাল রাতে রাত ১২ টার আগে পরে দুইটা লেখা শেয়ার দেই একটা বিসিসির মাসুম ভাইয়ের লেখা আরেকটা জেসিসির আন্দালিবের লেখা; দুটিই ক্যাডেট কলেজ ব্লগে সদ্য প্রকাশিত।
    মাসুম ভাইয়ের লেখাটা পদ্মা সেতু (কল্পিত) নিয়ে লেখা। //cadetcollegeblog.com/shawkatmasum/36982

    আর আন্দালিবেরটা আশু রমযান বা রমযান উপলক্ষে জনজীবনে যে সমস্যা তৈরি হয় তা নিয়ে লেখা। //cadetcollegeblog.com/4thintheline/36977

    আমার কাছে শেয়ার করাটা দরকারী মনে হয়েছে তাই শেয়ার করা। আমার ব্যাক্তিগত চিন্তা-চেতনা বা ভাবনার সাথে সবার বা অধিকাংশের একমত হতেই হবে এমন কোন কথা নেই।
    কিছুটা বিরক্ত হয়েই মাস দশেক (!) আগে ই সি এফ ছেড়ে দিয়েছিলাম। মাস দুই তিন আগে হঠাত করেই মনে হলো এখন পর্যন্ত ই সি এফেই এক্স ক্যাডেট মেম্বার সবচেয়ে বেশি। সুতরাং এখানে না থাকাটাই (মেম্বার) বোকামি। যেসব পোষ্ট ভালো লাগবে না তা এড়িয়ে গেলেই হয়। মুটামুটি সেই পলিসি নিয়েই আবার মেম্বার হয়েছি।
    কিছুদিন আগে সিসিবির আরেকটা লেখা (মালাউনকা বাচ্চা কাভি নেহি আচ্ছা) এখানে শেয়ার দেই। ব্যাপক হিট হয়; না পসিটিভ অর্থে না, নেগেটিভলি।
    ভিন্নমত থাকা মানেই কি যার মতের সাথে মিল হচ্ছে না তার গলা টিপে ধরা?
    বাঙালি মুসলমানের ধরমানুভুতি এমনিতেই প্রখর, ই সি এফ ও মনে হয় ব্যাতিক্রম নয়।
    বলা বাহুল্য এই পোষ্টগুলি শেয়ার করার সময় আমি কোন সাম্প্রদায়িক কোন মন্তব্য জুড়ে দিইনি।
    আমার সন্দেহ রয়েছে যারা মুসলমানিত্ব লেখাটা সম্পর্কে মন্তব্য করেছে তাদের কতজন লেখাটি পড়েছে!
    সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ৬০ টার উপর মন্তব্য পড়েছে। পড়লাম। কিন্তু কোন প্রতিউত্তর দেবার ইচ্ছা হলো না।
    এখন এখানকার সদস্যসংখ্যা ৬১২৬ জন। এতোদিন মডারেটর ছিলেন মিকু ভাই আর বদরুল ভাই। দিন কয়েক আগে নতুন মডারেটর হলেন জিয়াউল কবির ভাই। আজকে হলেন নতুন আরো দুইজন।
    অনেক অবান্তর কথা ও ব্যাক্তিগত আক্রমণ মডারেটরর সহ মেম্বাররা করলেন আমার শেয়ার করা পোষ্টটিতে। না কোন আপত্তি নেই সেটা নিয়ে। আমার পোষ্টটি ডিলিট করা হয়েছে সেটা নিয়েও কোনো আপত্তি নেই; জাতীয় স্বার্থে বা তথাকথিত fraternity জন্য কোন কোন পোষ্ট ডিলিট হতেই পারে।
    কিন্তু আমার আপত্তি এইখানে যে পোষ্টটি ডিলিট করার আগে জনৈক মডারেটর তা আমাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করলেন না কেনো?
    এইখানে এক্স ক্যাডেট হিসাবে সবাই সমান অধিকার পাবে এই আশাই করি।
    ক্ষমতা প্রয়োগ আর অপ প্রয়োগ দুইটা ভিন্ন জিনিস তা মনে হয় মডারেটরদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে না।

    কমেন্ট সমূহ
    Sheikh Mostafa Aziz Moderates are thinking they got some power and abusing power is the religion in our country. By the way who moderates the moderators?
    Yesterday at 14:04 via Mobile · Like
    Sheikh Mostafa Aziz Well Bhaia, read what Rajib posted. I strongly believe there should be one moderator from each cadet college for a balance decision of deleting posts from members.
    Yesterday at 14:25 via Mobile · Like · 1
    Afif Mohammadad Abdul Huy mohan dhormo Islamer ekta important rokon nie somalochona kora hobe, ar socheton muslim-ra chup chap thaakbe, seta motei savabik na, amader admin vaia-ra khub-e socheton amader ei mohan dhormer bapare, tara Islamer pokkhe obosthaan nie awesome kaaz korechen, Allah taader-ke uttom bimnimoy daan korun.
    Yesterday at 14:38 · Like · 5
    Ziad Hossain Miku Im not in favour of having Admin frm all the CCs.as of today there r 5 Admins of ECF.all these Admins ve shown enough dedication nd positivity towards ECF nd most impottantly towards Cadet Fraternity.the only thing these Modertors are bias at,is the ECF.they shall always do everything wth in their means to up lift ECF and Cadets interest.and shall add this much,the nmbr of Moderator wont increase in recent future either.
    Hope the standing is very much clear to all.and be confident abt da credibility of the Admins.they r very well excepted nd respected among many many X Cadets across the Globe.
    Yesterday at 15:41 via Mobile · Like · 18
    Sheikh Mostafa Aziz I again believe that there should be representative moderators from each cadet college.
    Yesterday at 17:12 via Mobile · Like
    Shariful Islam Sozal ‎Sheikh Mostafa Aziz vai taile to JGCC , FGCC thekeo to taile moderator dea lagbe... ora to abar new college theke ber hoise 😀
    Yesterday at 17:15 · Like · 6
    Sazzad Hossain MANY men many minds.eto representative er dorkar nai.
    Yesterday at 17:52 · Like · 4
    Ziaul Kabir Why we need mod from every cc I dont know!!! What is the job of an admin here??? Nothing. only job is to digest gali & osshostite pora, in such condition... Ar, kono admin tar cc priti dekhieche, sheta ki kew dekhate parbe??? We all r excadets, this is the only identity...ar jarae admin hok na keno, ekhane ziad bhai & badrul bhaier kothae final.
    Yesterday at 17:57 · Like · 10
    Shariful Islam Sozal totally agreed with u kabir vai
    Yesterday at 17:59 · Like · 3
    Badrul Haider Chowdhury ei forum er boyosh almost 13 months... attodin dhore forum e theke jodi what to be written and not written er difference na bujha jay, tahole shei khetre khomotar opoproyog korata obosso kortobbo hoye jay admin der jonno...
    Yesterday at 18:20 · Like · 12
    Rajvi Hasan Rajib bhai, আপনার ফসলের ক্ষেতে যদি গরু ছাগল ঢুকে, আপনি কি তাকে তাড়ানোর আগে তার মালিকের খোঁজ করবেন ? নিশ্চয় নয় । যেটা ক্ষতিকারক , সেটা রিমুভ করে দেওয়াই শ্রেয় ।
    Yesterday at 18:25 via Mobile · Like · 10
    Ziaul Haider Rasel BORO VAI, mind koiren na "j post valo lage na, moter mil hoy na ta nia debate na kore ignore korlei hoy" ei forum er suror dike religious post nia amra kotipoy junior polapan apnader nikot abder korsilam kintu apni tokhon birodita korsilen,ekhon ki r kora apnake i onusoron kori
    Yesterday at 18:29 via Mobile · Like · 3
    Afif Mohammadad Abdul Huy Ziaul,dhaka ese amake call dio
    Yesterday at 18:31 · Like · 2
    Nafees Ahmed Romel I strongly oppose "1 moderator from 1 cadet college"...we are fine and happy with present numbers of moderator..if someone don't like, he/she can leave the group, make another group and keep 2-3 moderators from each cadet college..This forum was made by Ziad Hossain Miku bhai and here will be no voting in near future for selection of moderators / admins.... Thank you all....
    23 hours ago · Edited · Like · 12
    Sheikh Mostafa Aziz Hats off who started this forum. Still I believe there should be 1 moderator from each Cadet College.
    20 hours ago via Mobile · Like
    Abdur Razzaq odhik sannasi te gajon nosto......admin er moto admin ekta holei jotheso...thanks to All
    19 hours ago · Edited · Like · 7
    Abdur Razzaq ami assa korbo amader 5 sannasi vai ei samasto ajaira bogus false meaningless post gule agei bibechona kore tader odhel sannasipona prokas korben inshaAllah. I have that believe and thats why over 5000+ are still happy with our sannasi 5 big brothers...not oiling anyway but showing respect in other way. kisu kisu vai abar respect chai but tara tader senior der respect kore na [ they don't deserve respect as well] rather they mock with their seniors. amar elo melo lekha ekhanei ses....we will stand together.........thanks to Al
    19 hours ago · Like · 4

    Rajib Ahmed ‎Sheikh Mostafa Aziz ভাই প্রতি কলেজ থেকে মডারেটর থাকলেই যে সমস্যার সমাধান হবে তা কিন্তু না। আর বিষয়টা সেরকম ও না।
    এটা হাস্যকর কিন্তু সত্যি এটাই যে এখানে কে কমেন্ট বা পোষ্ট করেছে তার উপর লাইকের সংখ্যা ও কমেন্টের ধরণ নির্ভর করে।
    আপনার কি ইংরেজির রঞ্জিত চন্দ্র বণিক স্যারের কথা খেয়াল আছে?
    কোন বিচিত্র কারণে স্যার আমাদের মোস্তফা কে Mostofa Kamal অপছন্দ করতেন (আবার এটাও হতে পারে মোস্তফার কাছে স্যারের এক্সপেক্টটেশন বেশি ছিলো
    স্যার মোস্তফাকে নোট করে দেখাতে বললেন। মোস্তফা নোট নিয়ে গেলে স্যার আমাদের সাম্নেই এক গাদা ভুল ধরে নোট টাই ছুড়ে ফেললেন, এইগুলা কি লেখছোস বলতে বলতে।
    এরপর আরেকদিন মোস্তফা Ahsan Habib আমাদের আহসানের নোট কপি করে স্যারের কাছে নিয়ে গেলো কারেকশনের জন্য। স্যার আগের মতই কাটাকুটি করে খাতাই ছুড়ে ফেললেন। মজাটা হলো তখন যখন মোস্তফা আমাদেরকে আহসানের নোট আর ওর নোট এনে আমাদের সবাইকে দ্যাখালো (আহসানের ঐ নোটটাও স্যারের কারেকশন করা ছিলো, এবং স্যার ঐ নোট পড়ে খুশি হয়েছিলেন)
    6 hours ago · Like
    Anwar Hossain Palash Purai faltu alap.jara admin niye eto kotha bolen tara alada page khule or group khule admin hoye jan.respect junior ra emni korbe na.respect pawar jonno joggota lage.joggota na thakle amar junior rao amake gali dbe.r kichudin age amader immediate junior ra ja dekhaise,admin vaia ra eto snr hoyeo temn kichu bolen nai.main problem holo unar kichu bolen na.cdt clg er moto kichu bolle valo hoito.clg a ekta snr jodi legal reason a saradin o pitaito,tao oi snr k respect e korc.ekhne eshei kichu ajob ajob snr r jnr dekhi,jader mcsk te porar joggota ache kina jani na
    4 hours ago via Mobile · Like · 4

    Rajib Ahmed ‎Anwar Hossain Palash মডারেটরের কথা কিন্তু আজিজ ভাই তুলেছেন। উনি কিন্তু ৮৫-৯১ এর ব্যাচ। কোন কথা পছন্দ না হলেই কি এভাবে বলতে হয়; এটাই কি আজকের দিনের শিক্ষা!
    4 hours ago · Like · 1
    Shariful Islam Sozal ‎Rajib Ahmed ভাই একটা কথা না বলে পারলাম না । আমার কাছে ক্যাডেট কলেজ ব্লগের চাইতে এক্সক্যাডেটস ফোরাম বেশি উপকারী , সাহায্যকারী মনে হয় এবং ভাল লাগে ।
    3 hours ago · Like · 3

    Rajib Ahmed ‎Shariful Islam Sozal তোমাকে কেউ কি দিব্যি দিয়েছে কাকে বেশি বা কম পছন্দ করতে হবে! এই থট নিয়া আইসা তুমি কি বুঝাইতে চাইলা?
    3 hours ago · Like · 1
    Shariful Islam Sozal ঐ যে আপনি কমেন্ট করলেন না " এখানে(এই গ্রুপে) কে কমেন্ট বা পোষ্ট করেছে তার উপর লাইকের সংখ্যা ও কমেন্টের ধরণ নির্ভর করে। " যেহেতু এই গ্রুপের কথা আসল সেই জন্য কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক হলেও আমি আমার মনের কথা প্রকাশ করলাম ।
    3 hours ago · Like · 1

    Rajib Ahmed ‎Shariful Islam Sozal তোমার মনের ভাব প্রকাশ বেশ তাৎপর্যময়।
    3 hours ago · Like · 1

    Rajib Ahmed ‎Ziad Hossain Miku ভাই আপনি অন্যভাবে নিয়েন না।
    আপনি বা অন্য কোন এডমিনরা কিন্তু আমার প্রশ্নটির উত্তর দেন নাই।
    প্রশ্নটি ছিলো এই যে আমার শেয়ারটি যে ডিলিট করা হলো তা করার আগে আমাকে কেনো জানানো হলো না।
    আমার করা এই পোষ্টটি যে এডমিনদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায় নি তার প্রমাণ Sheikh Mostafa Aziz করা কমেন্টের প্রেক্ষিতে করা আপনার কমেন্ট। আপনার কমেন্টে লাইক দিয়েছে Badrul Haider Chowdhury, Ziaul Kabir ভাই।
    পরে বদরুল ভাই কমেন্ট করলেন, তার কমেন্টে কিছুই ক্লিয়ার হলো না। কেউ কি Anik Andalib এর লেখাটা পড়েছে? ঐ লেখায় কোথায় মহান ধর্ম ইসলামকে কটাক্ষ করা হয়েছে? সরি আন্দালিব তোকে এই নোংরামির মধ্যে টেনে আনার জন্য। কিন্তু কিছু ব্যাপার ক্লিয়ার হওয়া দরকার।
    জিয়াউল কবির ভাই ডিলিট করে দেওয়া পোষ্টটিতে কমেন্ট করেছিলেন এরকম যে
    তিনি আমার শেয়ারটি ডিলিট করে দিতে চেয়েছিলেন।
    এবং আমার বিষয়ে এই অভি্যোগ ও করলেন যে ঝামেলা বাধানোই নাকি আমার কাজ। সবাই আম খাওয়া নিয়া ব্যাস্ত, জনৈক এক্স ক্যাডেট কে সহায়তা করা নিয়া ব্যাস্ত, আর আমি এই মধুর সময়ে গেড়ো লাগাইতে আসছি। অনেকটা এরকম যে আমি আন্দালিব রে বললাম যে এই রোযা নিয়া একটা লেখা দে, আর আমি ঐটা ই সি এফে শেয়ার দেই। জিয়া ভাই নরমাল মেম্বার হইলে কথা ছিলো না, উনি আবার নতুন মডারেটর হইছেন।
    কলেজের নতুন জিপি দের কথা মনে পড়ে গেলো। মাইন্ড করলেন। হ্যাঁ করতেই পারেন। আমাকে ফাসাদ কারী বলবেন অথচ আমি মাইন্ড করতে পারবো না। আমার পোষ্টে ৩ এক্স এর লিঙ্ক দেওয়া হবে আমি মাইন্ড করতে পারবো না।
    আমাকে বলা হবে সিনিওরিটির গুষ্টি কিলানো হবে অথচ আমি মাইন্ড করতে পারবো না।
    বলা বাহুল্য আমি এখানে কোন অরুচিকর ছবি বা ভিডিও পোষ্ট করিনি, কাউকে ট্যাগ করি নি।
    এই যে Rajvi Hasan বেশ উত্তেজিত ধর্মের মান রক্ষার জন্য; তোমাকে তো আগেই বলেছি যে তুমি যেহেতু আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছো আমার দ্বারা, আমাকে ব্লক করে দাও না কেনো হে! নাকি আমার পোষ্টে এসে ৩ক্স এর লিঙ্ক শেয়ার করলে তোমার ধর্মের মান বাড়ে। বাড়াও, এভাবেই তোমার ধর্মের উত্তরোত্তর মান বাড়িয়ে যাও।
    আর এডমিনদের সংখ্যার ব্যাপারে বলছি। দুইজনই যথেষ্ট। আমি অনেক আগেও বলেছি বদরুল ভাই , মিকু ভাই গ্রেট জব করতেছে।
    তাইলে নতুন আরো তিনজন লাগলো ক্যানো? কই এরা কেউ তো বললেন না না আমরা এই পজিসন চাই না।
    তবে কি আমি নতুন তিনজনের ব্যাপারে খুশি না। মডারেটর আরো ১০০ জন হোক এইটা আমার মাথা ব্যাথা না। কিন্তু মডারেটররা কারণ না দর্শাইয়া পোষ্ট ডিলিট করে দিবেন এইটাও মানা যায় না। আমি আবারো বলছি আমার লিঙ্ক ডিলিট করা হয়েছে তাতে আমার আপত্তি নাই, আমার আপত্তি আমাকে কোনরূপ না জানিয়ে করাটাতে।
    আর রাজভি তো ফসল খাওয়া নিয়ে জটিল একটা উদাহরণ দিছো। আমি জানিনা তোমার, Afif Mohammadad Abdul Huy, Nafees Ahmed Romel এদের নিয়ত টা ঠিক কি?
    আফিফ তো মালাউনকা বাচ্চা পোষ্টটিতে কিছুক্ষণ পর পর আইসা কমেন্ট কইরা গেছো।
    মিকু ভাই আবারো সরি। কিন্তু সত্যি করে বলেন তো আপনি কি মুসলমানিত্ব লেখাটা পড়েছেন? রাযভি আপনারে টান দিলো আর আপনি আইসা কমেন্ট করলেন যে আমার এই পোষ্ট দেওয়া উচিত হয় না, বা আমার প্রব্লেম কি?
    ভাইরে আইজকা আপনারে আর বদরুল ভাই কে এরা বলতেছে আপনাদের কথাই ফাইনাল। এইটা কিন্তু ভালো লক্ষণ না। অফটপিকে একটা কথা বলি একসময় মুজিবের কথায় দ্যাশ চলছে, কেউ কোনো ডাউট দেয় নাই। সেই মুজিব রে আর্মিরা মাইরা ফালাইয়া রাখছিলো (প্লিজ অযথা আর্মিরা এতে উত্তেজিত হবেন না)।
    কারো কথাই শেষ কথা হতে পারে না।
    আমার স্বীকার করতে বিন্দুমাত্র আপত্তি বা দ্বিধা নেই আপনি আর বদরুল ভাই যা করেছেন বা করে চলেছেন ই সি এফের জন্য (এক্স ক্যাডেট দের জন্য) তা সবাইকেই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণে রাখতে হবে। আই স্যালুট ইউ।
    কিন্তু আবারো বলতে চাই আপনাদের দুজনের কথাই শেষ কথা নয়।
    3 hours ago · Like
    Shahriar Mizan sohoj ekta bepar niye keno eto pechano hoy bujhina...common sense er moto shomaj, religion, group e shob niyeo kichu common courtesy thake...eto din por keno abar kap jhap bujhlam na...just want to agree and repeat Badrul Haider Chowdhury bhai's comment...very clear.
    2 hours ago · Like · 4
    Ziad Hossain Miku ‎Rajib Ahmed tumi jodi shottikar orthe amar judgment er upore vorosha rakho,taile tomake na janiye je post delete kora hoise sheta niye ar mind kahio na...arekta shotti kotha ki jano Rajib:jodi shottikar orthei ECF ke thik moto chalate chai tahole shobbai ke Happy shob shomoy kora possible na... yes,etao thik je,amar or Badrul Haider Chowdhury kothai sesh kotha na.but so far bivinno bishoye je koy bari 'sesh kotha' ami kingba Badrul bolechi,so far shobi kintu thik karonei bola hoyeche.Insha Allagh amader judgement er upore amader astha ache ebong blv kori ECF er aro onek member dero same astha ache & thakbe.....but eto tukui bolte pari je,karo proti amader bishesh kono pokkho patitto nai.eta khub confidence er sathe bolte pari.jai houk...ei beoar ami ar kisui bolbo na or likhbo na.last but not the least,Amar kothay kintu ECF chole na.ECF chole ECF er Membder kothay.
    2 hours ago · Unlike · 9
    Shariful Islam Sozal রাজিব ভাই Miku ভাই যাদেরকে অ্যাডমিন বানিয়েছেন তারা ক্যাডেট fraternity এর খুব কেয়ারিং । তাই ওই ভাইয়াদের অ্যাডমিনশিপ নিয়ে আমাদের কারো কোন প্রশ্ন নেই । আর Ziaul Kabir ভাই কে কলেজের নতুন জেপি দের সাথে কেন তুলনা করলেন সেটাও বুঝলাম না । আর আপনি না জেনেই বলে ফেললেন জিয়াউল ভাই পোস্ট ডিলিট করেছেন। এটা কি ঠিক হল ? পরিশেষে এই কথাই বলতে চাই এই গ্রুপের অ্যাডমিন রা এই গ্রুপের ভালর জন্যই কাজ করে চলেছেন ।
    2 hours ago · Like · 2

    Rajib Ahmed ‎Shariful Islam Sozal তোমার বয়স বাড়তেছে, এখন তো ২য় বর্ষে পড়ো নাকি ৩য়তে। শুধুমাত্র কমেন্ট করার জন্য কমেন্ট কইরো না। কি লিখছি আবার পড়ো উপরে গিয়া।
    about an hour ago · Like
    Tariqul Haque ‎Rajib Ahmed, why are you bothered with peoples comment. I believe you enjoy creating controversy, enjoy creating fight amongst family member. Like before once again you are successful.we need 6128 people to create a family but we 2/3 like you to destroy. Keep trying brother. I'll be happy if you get pleasure by destroying our bondage. keep trying brother if enjoy being funny to people.
    about an hour ago · Like · 13
    Humaira Khan could you guys please stop arguing with each other.....lets have a enjoyable conversation.
    about an hour ago · Like · 5
    Shariful Islam Sozal দুঃখিত আমি একটু দেখতে ভুল করছি। আপনি কমেন্ট করেছিলেন" জিয়াউল কবির ভাই ডিলিট করে দেওয়া পোষ্টটিতে কমেন্ট করেছিলেন " আমি পড়েছিলাম " জিয়াউল কবির ভাইএর ডিলিট করে দেওয়া পোষ্টটিতে কমেন্ট করেছিলেন " । যাই হোক ভাই কে কলেজের নতুন জেপি দের সাথে কেন তুলনা করলেন সেটা একটু বুঝিয়ে দিলে ভাল হয় । আমি ৩য় বর্ষে পরলেও আপনার থেকে অনেক জুনিওর । তাই ব্যাপারটা একটু পরিস্কার করলে ভাল হয় ।
    about an hour ago · Like · 1
    Tariqul Haque Sheikh Mostofa Aziiz bhai, please try to search in FB, you'll find other ex-cadets group that represent by different cadet college's moderator. ECF was created not to uphold individual college rather to create forum of all college.
    about an hour ago · Like · 6
    Taosif Hamim ইসলাম নিয়া কথা বললেই কিছু কিছু মানুষের বিচি কুচকায় যায় কেন? ধর্ম যদি টেকসই হয় এমনিতেই টিকে থাকবে,না হলে ঝরে পড়বে। পৃথিবীর ইতিহাসে বহু ধর্ম এভাবে ঝরে পড়েছে টিকতে না পেরে। শেকড় সুদ্ধু বিলুপ্ত হয়েছে।
    বেগুনের দাম বাড়া নিয়া যদি সমালোচনা হইতে পড়ে,ধর্ম নিয়াও আলোচনা হইতে পারে। আলোচনা করে,যুক্তি দেন,যুক্তি গ্রহন করেন,গ্রহন করান। উত্তেজিত হবার তো কিছু নাই। অল্পতে উত্তেজনা হয় যাদের তাদের পতনও হয় খুব দ্রুত।
    about an hour ago · Like · 1
    Shariful Islam Sozal যারা বিশ্বাসী তারা অবিশ্বাসীদের হাজার পোস্ট পড়লে তাদের মতবাদ থেকে দূরে চলে আসবে না আর যারা অবিশ্বাসী তারা বিশ্বাসীদের হাজার পোস্ট পরলেও তাদের মতবাদ থেকে দূরে চলে আসবে না । এই আলোচনা শুধু অশান্তি সৃষ্টি করে ।
    about an hour ago · Like · 1

    Rajib Ahmed ‎Shariful Islam Sozalতোমার ধারণা ভুল। এটা অন্য সবার ক্ষেত্রে হতে পারে। আমার ক্ষেত্রে না। তুমি যে ১৯ নিয়া বইএর লিঙ্ক দিছিলা খেয়াল আছে? আমি তোমারে কোরান হাদিস থিকা উদৃতি দিছিলাম, কোন নাস্তিকের লেখা থিকা না। এবং সেই কোরান গুলি কাদের করা তাও দিছিলাম। তাফসির ও দিছিলাম। এখনো গবেষণা করতেছো নাকি ঐটা নিয়া।
    about an hour ago · Like

    Rajib Ahmed Tariqul Haque এরকম এডমিনই চাই। আপনাকে ধন্যবাদ। তা ভিলেন কে কিভাবে পরাজিত করবেন শেষ দৃশ্যে তা কি লিখে ফেলেছেন?
    about an hour ago · Like
    Shariful Islam Sozal ভাই আমি আপনাকে যে বই দিছিলাম সেইটাতে খালি ১৯ নিয়ে লেখা ছিল না । আরও অনেক কিছু নিয়ে লেখা ছিল । আমিও নিজেও ১৯ তত্ত্ব বিশ্বাস করিনা । আপনি কি ফোরামে সেই উদৃতি দিছিলেন ? পাইনি মনে হয় । ভাই "Exception can not be the example" আপনি হয়ত এই ভাবে চিন্তা করতে পারেন কিন্তু বাকিদের ক্ষেত্রে নয় । তাই সবার কথা চিন্তা করে পোস্ট দেয়া উচিত । আর জিয়াউল কবির ভাই কে নিয়ে আপনার কমেন্ট ভাল লাগে নি । আপনি Ziaul Kabir ভাই কে কলেজের নতুন জেপি দের সাথে কেন তুলনা করলেন সেটা একটু বুঝিয়ে দিলে ভাল হয়।
    about an hour ago · Like · 3
    Istiar Ali rajib vai apni ojotha ziaul vai k dosh dite paren na.....r ja korchen ta 1tu bsi besi e korchen...........
    about an hour ago via Mobile · Like · 2
    Istiar Ali apni jdi 1khn o na bujhen j apni valo kichu korchen na or ja korchen ta amra keu e lyk korchi na taile amr r kichu bolar nai...
    57 minutes ago via Mobile · Like · 1
    Istiar Ali apni khali ecf e ganjam e srishti krte paren r kisu paren na......@rajib vai
    56 minutes ago via Mobile · Like · 1
    Rajvi Hasan ‎Taosif Hamim bhai, কার কি কুচকাইয়া যায় এটা আপনার কমেন্ট দেখেই বোঝা যায়। এখানে কেউ কোন slang use করেনি। আপনিই একমাত্র লোক যে কিনা সেই কাজটি করেছেন। আর যার কাছে বেগুন আর ধর্ম এক জিনিস, তার থেকে এর বেশি কিই বা আশা করা যায়?? তবুও আশা করব যে কুঁচকানো ভাষা ব্যবহার করে নিজের কুঁচকে যাওয়া mentality এর পরিচয় দিবেন না... আর দয়া করে senior এর সাথে কেন এভাবে কথা বললাম তা জিজ্ঞেস করবেন না। আপনার কাছ থেকেই এই গুণটি পেলাম কিছুক্ষন আগে...
    48 minutes ago · Like · 3
    Ziaul Haider Rasel Rajib vai apni ebong r o oneke foreign country te bose ei gorib Bangladesh nia vaben,ei desher manusher somossa,dormo bishas nia onek lekhalekhi koren jinista valo,amra apnader kase kitoggo,kintu vai London & NewYork e boisa Dhaka sohorer traffic jam r load sheding er kosto buja somvob na, Tai boli ektu desh e asen vai, aisa 2 chokkor guren,telg-guta khan,apnar vasai BANGALI MUSOLMANER mentality bujen tarpor tader nia montobbo koren
    46 minutes ago via Mobile · Like · 4
    Jahid Masud দেশে বসে বললে কোন আপত্তি নাই? Ziaul Haider Rasel ভাই?
    25 minutes ago · Unlike · 1
    Ziaul Kabir My request to all of u, pls dont waste ur time here...
    Keep concentration on ur study. This is just an endless discussion. Ar ai discussion gula amader kono constructive shikkha dae na, just kivabe seniorder beadopi korte hoy ta shekhae...
    ((ami clg'e thakte non-prefect silam...ecf'e eshe adminship peye shei jala kisuta mitate perechi...thakx to ziad bhai & badrul bhai...this is a great achievement in my life...post or comment delete kora ek dhoroner poishakik anondo...ami khub'e anondito ai sujog peye...than x again to all to give me this opportunity))
    24 minutes ago · Like · 3

    Sheikh Mostafa Aziz The way some of members talking about Rajib is not fair. Are moderators reading those posts, hope they do something for this kind of verbal abusing.
    39 minutes ago via Mobile · Like
    Istiar Ali sheikh mostofa aziz........do u think the way rajib vai is talking with others is fair!!!!!!??????? J shomman dite jane na......se shommaner joggo noi........
    6 minutes ago via Mobile · Like
    Istiar Ali vai.......post rmv kore apnara thik kaj korsen......apnara bolei khali post ta rmv krsen.....ami hole unr ei rmv kore ditam.......@ziaul vai
    5 minutes ago via Mobile · Like
    Istiar Ali amr ager cmmnt e Aziz vai er naam er por vai mention krte slip krsi.....srry vai...onicchakrito vul 🙁
    4 minutes ago via Mobile · Like (সম্পাদিত)


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
          • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

            হুমমমম। কথা চালাচালি লম্বা কমেন্ট এই সব ঝামেলা এভোয়েড করলাম। তবে যা বলছিলাম সেই কথাটা ভদ্র ভাষায় বললে দাঁড়ায়, আমার অবজারভেশন হলো ইসিএফের কমেন্টিং দেখে বুঝলাম পোস্ট না পড়ে কিংবা অর্ধেক পড়েই এই পোস্টরে মহান ইসলাম বিরোধী ট্যাগ মারছে অনেকেই। এই পোস্ট শেয়ারে অনেকের গাত্রদাহের কারণ হইছে পোস্ট না পড়েই। ব্যাপারটা ব্যাপক ইন্টারেস্টিং। আর সিসিবির চাইতে ইসিএফ বেশি প্রতিনিধিত্বশীল ক্যাডেট প্রডাক্টের। আর আরো কিছু কথা বলছিলাম যেটা হয়তো অনেকের ভালো লাগবে না। সেটা নিয়ে ক্যাচ ব্যাচ করবার মতো যথেষ্ট সময় নাই বলেই কমেন্ট মুছলাম।

            জবাব দিন
      • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

        ভাষা, ফন্ট ভিন্ন হবার কারণে দাত ভাঙ্গার মতো মাথা ভেঙ্গে যাবে আমার পোষ্ট করা ই সি এফের মন্তব্য পড়লে। শুধুমাত্র অতি উৎসাহীরাই পড়বে কেবল।
        এটা ঠিক ওরা ওখানে লেখার কোন আলোচনাই করেনি। অথচ সেটাই স্বাভাবিক ছিলো। ফেস বুক ব্যাবহার করা তুলনামূলক ইজি বলেই সবাই এর মধ্যেই কাজ সারতে চায়। আলোচনা (সমালোচনা) বেশি এগুলে আমি তাদেরকে বলি (যদি লেখাটা আমার না হয়) মূল পোষ্টে গিয়ে সমালোচনা করতে।
        ফেসবুকে যেই পোষ্টটা দেখেছিস তা অনেকটা জবাবদিহিতা চাওয়া টাইপ পোষ্ট। কারণ আগের দিনে করা আমার লিঙ্কটি ডিলিট করে দেয়া হয়। এবং ঐ থ্রেডে কোন কমেন্ট তো দূরের কথা একটা লাইক পর্যন্ত দিইনি।
        সকালে উঠে দেখি ৬০ বা তার বেশি কমেন্ট। কিছু কমেন্ট পড়লাম। কিছু সদস্য ও এডমিনেরা ও এতে অংশ নেয়।
        কিছুক্ষণ পরে গিয়ে দেখি পোষ্টটি উধাও।
        এবং পোষ্টটি ডিলিট করার আগে এডমিনেরা আমাকে জানানোর প্রয়োজনও বোধ করেননি।
        এজন্যই আবার আমি কিছু কথাবার্তা বা প্রশ্ন দিয়ে আমার পোষ্টটি আবার দেই।
        দেখতেই পারছিস তারা কিসের সমালোচনা করছে।

        আর সদস্য আর এডমিন দের কিছুটা পার্থক্য থাকা দরকার আচরণে।
        এটা ঠিক যে প্রাথমিক ভাবে সবাই সদস্য। কিন্তু তারা কাকে ভোট দিবেন না দিবেন তাতো সবাইকে ব্যালট তুলে দেখাতে পারেন না। দেখ এডমিনদের কে কে লাইক দিয়েছে কোনটায়।
        ওইখানে তোকেও টেনে নিয়ে গেছি বলে সরি রে তোর কাছে।
        আর হ্যাঁ আগেও আমি একবার মালাউন সংক্রান্ত পোষ্টে একই কাজ করেছি, মানে ই সি এফের টা পোষ্টটা এখানে কপি পেষ্ট করে দিয়েছি।
        কারণ কি?
        সিসিবি, ই সি এফ, ফেকা, আরো বেশ কিছু জাতে ভিন্ন হলেও একটা জিনিস এক; আর তা হলো সবগুলোই ক্যাডেটদের প্লাটফর্ম।
        আর আলোচনা বা সমালোচনা যখন এক জিনিস নিয়ে সেখানে অন্যরা কি ভাবছে তা জানাতে লাভ না থাকুক, দোষ তো নেই।


        এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

        জবাব দিন
  18. আসিফ মাহমুদ

    ...লেখার ব্যাপারে কিছুই বলার নাই । একটা জিনিস খেয়াল করে দেখলাম; ইদানীং আস্তিক-নাস্তিক DEBATE চরম আকার ধারণ করেছে।আগে এই ব্যাপারে অনেক কথা বলেছি,কমেন্ট-পাল্টা কমেন্ট দিতে দিতে সত্যিই বিরক্ত। এখন নিজেই একটা নীতি মেনে চলি. "যে যার BELIEF নিয়ে থাকাই সবচেয়ে ভাল"..........

    " ই সি এফ " আমার কাছে মনে হয় ক্যাডেট দের group গুলোর মধ্যে সবচেয়ে দুঃখজনক একটা group। এর আগে ইসিএফ এ এরকম আগুন লেগেছিল, তবে ওখানের হিরো সিনিয়র রা হেভি ভাব এর সাথে কয়েক জন কে আউট করল…আলোচনা করার জন্য ওখানে GF-BF টপিক টা খুব চলে । 😛 দয়া করে এসব বুদ্ধিদীপ্ত টপিক উপস্থাপন করে কেউ অপমানিত হবেন না ... :no:


    ...একদিন সবকিছু মুছে যায় হিমেল হাওয়ায়, স্মৃতিমাত্র লিখে নাম...সেইখানে আমিও ছিলাম...

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।