রাজীবের লেখার আমি ভক্ত। সময় পেলে আমি কখনোই রাজীবের লেখা মিস করিনা। রাজীবের এই লেখাটি আমি বেক্সকা গ্রুপ মেইলে পড়েছি। পরবর্তীতে দেখলাম এটা সিসিবি’তে ও দেয়া হয়েছে। লেখাটির একটা বিশেষ অংশ আমাকে কষ্ট দিয়েছে বলেই লেখা পড়া বাদ দিয়ে কি-বোর্ডে আঙ্গুল চালালাম। বেক্সকা গ্রুপ মেইলেও আমি একটি রিপ্লাই দিয়েছি। সেটিকেই একটু সাজিয়ে গুছিয়ে এখানেও লিখছি।
সেনাবাহিনী কে নিয়ে দুই চারটা চরম নেগেটিভ কমেন্ট করে লাইম লাইটে চলে আসা এখন পুরনো স্টাইলে পরিণত হয়েছে (দয়া করে কেউ ভুল বুঝবেননা, এই ফোরামের কাউকে আমি সে দলে ফেলছিনা)। মফস্বল শহরগুলোতে ছোটবেলায় দেখতাম, ক্লাশে ফেল করতে করতে শেষ পর্যন্ত আজীবন ছাত্র রাজনীতিতে নিজেকে সঁপে দেয়া কিছু মূর্খ; “সেনাবাহিনী”, “স্বৈরাচার”, “স্বৈর শাসন” ইত্যাদি শব্দের মধ্যে ঘুরপাঁক খেতে খেতে নিজের বক্তৃতা সাজাতো আর কতিপয় অশিক্ষীত লোকজন এই শব্দগুলোর মানে না বুঝে বক্তার গলার শব্দের আবেগে আবেগতাড়িত হয়ে মুহুর্মুহু হাতে তালি দিত। আর এভাবেই এই শব্দগুলো কিভাবে জানি বক্তৃতার মঞ্চে কিছু জ্বালাময়ী বিশেষণে পরিণত হয়ে গেছে।
রাজীবের লেখার “তার উপর গলফ খেলে আর মিশনে গিয়ে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী ভালই আছে” এই অংশটুকু রাজীব কি ভেবে লিখেছে জানিনা, তবে আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক এটিকে ঘৃণাত্মক ব্যংগ হিসেবে বুঝতে পেরেছে।
আচ্ছা, গলফ কি সেনাবাহিনীর অফিসাররা-ই শুধু খেলে? আর কেউনা? রাজীবকে বলছি, ছুটিতে দেশে আসলে দয়া করে একবার গলফ কোর্স গুলো ঘুরে যেও। দেখবে গলফ ক্লাবের মোট খেলোয়াড়দের মধ্যে শতকরা কতভাগ সামরিক কর্মকর্তা আর কতভাগ বেসামরিক হোমরা চোমরা। আর সামরিক কর্মকর্তা যত জন খেলছেন, তারা পুরো সেনাবাহিনীর শতকরা কতভাগ সেটি হিসেব করতেও ভুলোনা ভাইয়া। আর তার পরে হিসেব করে দেখ, ঢালাওভাবে সেনাবাহিনীকে নিয়ে তোমার গলফ খেলা সংক্রান্ত কমেন্ট টা কতটুকু যুক্তিসংগত।
এবারে আসি মিশন প্রসঙ্গে। হ্যা, মিশন টা হচ্ছে যেকোন সেনাসদস্যের কাছে একটা ঈশ্বর প্রদত্ত আশীর্বাদ। সীমিত আয়ের মাঝে নিজস্ব জীবনধারা বজায় রাখা সেনাসদস্যদের জন্য আজ দেশ রক্ষার চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। তাই মিশন ই হচ্ছে হালাল উপায়ে মান সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার একটা বড় সম্বল। মিশন থেকে ফিরে এসে বেশির ভাগ সেনা কর্মকর্তা যে কাজটি করেন তা হলো, মিশনের সব টাকা দিয়ে একটি গাড়ি কেনা। মিশনের সব টাকা গাড়ি কেনার পিছনে যে কেউ খরচ করতে পারে, এটা সাধারণ মানুষ ভাবতেও পারেনা। আর তাই তাদের ধারণা, গাড়ি কেনার পরে নিশ্চয়ই আরো অনেক অনেক টাকা আছে। আর কেন সব টাকা দিয়ে গাড়ি-ই কিনতে হয় জানো? কারণ, একজন অফিসার এক সপ্তাহে এক দিন সরকারী গাড়ী ভাড়া নিতে পারে ৬ ঘন্টার জন্য এবং তাও ৮০ কিঃমিঃ এর বেশী চালানো যাবেনা। এখন তুমিই বলো, তোমার নিজের ও তো সংসার আছে। সংসারের সব প্রয়োজন কি বলে কয়ে আসে? তার উপরে বাসা থেকে অফিসে যাওয়া – আসা, পিটি-গেমস এ যাওয়া – আসা এগুলোর জন্য আমাদেরকে তো গাড়ী দেওয়া হয়না। সুতরাং এত কষ্ট করার চেয়ে কিংবা নিজ পরিবার পরিজনের কাছে ছোট হওয়ার চেয়ে সব টাকা খরচ করে গাড়ী কেনাকেই শ্রেয় মনে করে বেশীরভাগ সেনা কর্মকর্তা। আমার বর্তমান স্ট্যাটাস একজন উপ-সচিবের সমতুল্য। আমাকে কি একটু দেখাবে বাংলাদেশের কোন উপ-সচিব পায়ে হেঁটে অফিসে যান বা যেতে হয়? অথচ আমি তোমাকে কয়েক শত মেজর কে দেখাতে পারব যাদের কে আমার মত পায়ে হেঁটে অফিসে যেতে হয়। কিন্তু কই, আমি বা আমার মত মেজররা এটা নিয়ে কি কখনো চীৎকার করেছে?
মিশনে যাওয়া আর মিশন থেকে কাড়ি কাড়ি টাকা আনার গল্পই তোমরা কর। জান একটা অফিসার কত টাকা পায় একটা মিশন থেকে? আমি আমার মিশন থেকে সর্ব সাকুল্যে ১৪ লক্ষ টাকা পেয়েছি। তার মানে প্রতি মাসে প্রায় ১ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা। প্রতি মাসে এই বেতনে আমি একটি বছর আমার পরিবার পরিজন ছেড়ে যুদ্ধের মধ্যে থেকেছি। প্রায় ১৫/১৬ বার আমি নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে পড়ে তওবা পড়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হয়েছিলাম। বোনাস হিসেবে শরীরে করে নিয়ে এসেছি আফ্রিকান ম্যালেরিয়া, যা আমাকে কিছুদিন পর পর ভোগায়। ঝড় – বৃষ্টি, গা পোড়ানো রোদ কিংবা প্রচন্ড শীতের তীব্রতায় একটি বছর তাবুতে কাটানোর কথা কখনো ভাবতে পারো? কিন্তু আমরা থেকেছি। অন্যান্য অনুসর্গ কিংবা উপসর্গের কথা আর নাইবা বললাম। এর পরেও কি তোমার মনে হয় যে আমার এক বছরে প্রতি মাসে ১লক্ষ ১৭ হাজার টাকা অনেক বেশি বেতন? আরে বাংলাদেশের যেকোন থানার ওসি ও তো এর চেয়ে বেশী উপার্জন করে। একজন ডাক্তার শুধু চেম্বারে বসে কত টাকা উপার্জন করে তুমি জানো? একজন ইঞ্জিনিয়ার একজন ঠিকাদারের বিল পাশ করা বাবদ কত আয় করেন, ধারনা আছে তোমার? ঢাকা শহরে একজন শিক্ষক টিউশনি করিয়ে কত টাকা আয় করে বলো তো। কই সেগুলো তো তোমাদের চোখে পড়েনা। তোমরা শুধু খোঁচা দিয়ে বলো বাংলাদেশের সেনাবাহিনী মিশন করে ভালোই আছে। আমার বাবার ওপেন হার্ট সার্জারী হয়েছে আমার মিশনের টাকায়। মিশন না করলে আমি ২০০৬ সাল থেকে বাবা ডাকার জন্য কাউকে পেতাম না। মিশনের টাকা দিয়ে আমি বিয়ে করেছি। মিশন না থাকলে আজ আমার একটা ছোট্ট সংসার থাকতনা। আমাদের এই ভাল থাকা টুকুও কি তোমাদের সহ্য হয়না?
মিশনে যুদ্ধ করতে যে সরঞ্জামাদি লাগে, সেগুলো জাতিসংঘের নিয়মানুযায়ী না হলে তার ভাড়া পাওয়া যায়না। জাতিসংঘ কতৃক এই নিয়ম করা হয়েছে যাতে করে ভালো সরঞ্জামাদীর মাধ্যমে শান্তি রক্ষীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। অথচ আমরা আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুরনো এবং ঝুঁকি-পূর্ণ সরঞ্জামাদি দিয়ে মিশন করে আসি। আমাদের মোটিভেশন, আমার দেশ গরীব, নতুন সরঞ্জাম কেনার পয়সা নেই। কষ্টটা না হয় আমরাই করি। যখন জাতিসংঘ থেকে ইন্সপেকশনে আসে, তখন, আমরা আমাদের সাধ্যের সব কিছু দিয়ে সেই পুরোনো জিনিষ গুলোকে “যুদ্ধোপযুক্ত” হিসেবে সার্টিফাই করাই। কারণ, যুদ্ধোপযুক্ত না হলে রিম্বার্সমেন্টের টাকা পাওয়া যাবেনা। রিম্বার্সমেন্টের এই টাকা কিন্তু আমরা নিজেরা পাবোনা। পাবে সরকার। মিশনে আমাদের থাকার জন্য পাঁকা ঘড় পাওয়ার কথা। জাতিসংঘ সেই ঘর না দিতে পারলে বিনিময়ে টাকা দেয়। আমরা তাবুতে থেকেছি। কই তাবুতে রাখার কারনে সরকার আমাদেরতো কোন টাকা দেয়নি। বরং আমাদের তাবুতে থাকার কারণে প্রাপ্ত মোটা অংকের পুরো টাকাটাই সরকারী কোষাগারে জমা হয়েছে। আমাদের কিন্তু তাতে কোন আফসোস নেই। বরং গর্ব লাগে এই ভেবে যে, আমাদের এই ত্যাগ দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও অবদান রেখেছে। এত ত্যাগের পরেও তোমাদের চোখে পড়ে মিশনের পুরো টাকা খরচ করে কেনা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির দিকে আর ব্যংগ করে বলো, মিশন করে সেনাবাহিনী ভালোই আছে…।
সেনাবাহিনী নিয়ে সচরাচর ভালো মন্তব্য কোথাও শোনা যায়না। কারণ, তাদের কাজের ধরন টা ই আলাদা। যুদ্ধের মাঠে মানুষ খুন করা সহজ কাজ না। এই কাজের জন্য তাকে ভিন্ন ছাঁচে প্রস্তুত করা হয়। যাহোক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী’র কপাল তো আরো খারাপ। নানাবিধ কারণে সেনাবাহিনীকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। যেকোন প্রতিষ্ঠানের অতীতে কলংক থাকতেই পারে। কিন্তু তাই বলে সেই প্রতিষ্ঠান “আজন্ম কলুষিত” এই ধারনা পোষন করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা আমার বোধগম্য নয়।
সেনাবাহিনীর সদস্যরা তো এই সমাজ থেকেই এসেছে। নিশ্চয়ই মংগল গ্রহ থেকে আসেনি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ নিজস্ব সুনাম রক্ষায় কঠোরভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অতীত কালীমা মুছে দেশের মানুষের মন জয় করতে সর্বদা সচেষ্ট। এই অবস্থায় যদি এখনো তোমরা সেনাবাহীনিকে নিয়ে এভাবে বিরুপ মনোভাব পোষন করতে থাকো, তাহলে আমার মতো লাখো দেশপ্রেমী সেনাসদস্য দেশের জন্য কাজ করতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে, দেশকে ভালোবাসতে ভুলে যাবে। তুমি নিজেই বলো, কত দিন তুমি একাধারে বিরুপ মন্তব্য শুনতে পারবে?
অভিমান থেকে আমরাও কিছু কথা শোনাতে পারি। যে দেশ সেনাবাহিনী ছাড়া একটা স্বাধীন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারেনা, সাধারন মানুষের কাছে খাবার পানি পৌঁছে দিতে পারেনা, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনা, নির্ভূল ভোটার তালিকা প্রস্তুত করতে পারেনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা দূর্ঘটনা সামাল দিতে পারেনা এমন কি সাফ গেমসের মত আয়োজনেও যাদের সেনাবাহিনী লাগে, তাদের কি সেনাবাহিনীর প্রতি এতো বিষোদ্গার সাজে?
তাই বলছি, সমাজের অংশ এই সেনাবাহিনীকে আলাদা করে না দেখে তাদের কাজগুলোর প্রশংসা করো, ভালো কাজগুলোর স্বীকৃতি দাও, তাদের কষ্টগুলোকে মূল্যায়ন করো, তাদের ত্যাগ গুলোকে অভিনন্দন জানাও তাহলে দেশের প্রতিটি সেনাসদস্য ভালো কাজ করার আরো উৎসাহ পাবে। জীবন বাজী রেখে দেশের জন্য কাজ করে যাবে। আর সবচেয়ে বড় কথা প্রশংসা করলে তুমি কিছু হারাবেনা বরং যাদের প্রশংসা করছো, সেই মানুষ গুলোর অনেক ভালোবাসা অর্জন করবে।
অনেক দীর্ঘ করে ফেললাম। লেখাটি রাজীবকে উপলক্ষ করে সবার উদ্দেশ্যে লেখা। কারো প্রতি ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়।
ভালো থাকবেন সবাই।
বস, প্রথমে পড়লাম। তারপর ৫ তারা দিলাম। তারপর ফেসবুকে শেয়ার দিলাম। এরপর মন্তব্য।
আমি লন্ডনে যখন একা ছিলাম অন্যান্য ছেলেপেলের সাথে রান্না করে খেতাম। আমার রান্নায় নাকি চোরা ঝাল থাকতো। দেখতে নিরীহ, বোঝা যায় না। খেতেও মজা। কিন্তু খাওয়ার পর মুখ জ্বলে। যাই হোক আমি টের পেতাম না, হাসতাম।
আমার লেখাও বোধহয় সেরকম হয়ে গেছে। সরি ভাই মাপ চাই।
কিন্তু সত্যি বলতেছি আমার সেইরকম কোনো উদ্দেশ্য নাই, বা ছিলোনা।
আমরা বাঙ্গালীরা আবেগপ্রবণ কিন্তু সামরিক বাহিনীতে যারা আছে তাদের আবেগ যে আমাদের চাইতে বেশী তা মাঝে মাঝে ভুলে যাই। ভাই ফান করতেছিনা। প্লিস ফান হিসাবে নিয়েন না। একমাত্র আপনারা আছেন বলেই আমরা নিশ্চিতে ঘুমাতে পারি। রাজনৈতিক দল বা পুলিশের কারণে হয়তো হরেক রকম আশান্তি রয়েছে। কিন্তু দেশ সেবায় আপনারা আছেন বলেই বাংলাদেশ এখনো আছে।
ভাই আপনারা মিশনে কতো টাকা পান তা আমি জানতে চাইনা, মিশনে যে আপনারা খেলতে যান না তাও জানি। গাড়ি কিনেন, কোনও সমস্যা নাই। দেশে গেলে ঐ গাড়িতে তো আমিই চড়বো; নাকি চড়াবেন না!
এইজন্যই তো বলি আপনি এতো শুকাইছেন ক্যামনে? কলেজেও যদি চিকন ছিলেন।
কয়দিন আগে hsbc ব্যাংকের জন্য গলফে দুইটা বাড়ি দেওয়ার একটা চান্স আসছিলো কিন্তু মিস করছি।
ভানুর এতো সুন্দর একটা জোকস বললাম তাতে কি কোনও বাহবা পাবোনা?
ভাই ভালো থাইকেন আর আমার জন্য দোয়া কইরেন।
আর পসিতিভ যে কথাগুলো বলছি তার কি কোনো দাম নাই?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এই দুষ্ট ছেলে,
তুমি অবশ্যই ভালো লেখ এবং তোমার লেখার আমি একজন ভক্ত। তোমার লেখার যে অংশটুকুতে আমি অসংগতি পেয়েছি, সেটুকু নিয়ে লিখেছি মাত্র। তোমার লেখার বাকি অংশ কিন্তু তাই বলে নেগেটিভ হয়নি।
ভালো থেকো। আমার এবং আমাদের জন্য দোয়া করো।
bashae giya comments korbo
বাসায় দেখি এখনো পৌঁছাতে পারো নাই... :))
আহসান ভাই আপনার লেখা শেয়ার দিলাম সি সি গ্রুপে। ফেসবুকে আপনারে পাইতেছিনা। আবার খুইজা দেখি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
অসুবিধা নাই।
আজ দেখলাম তো... খোমাখাতায় পেয়ে গেছো আমাকে...
ঐ আহসান, তোমারে দেখি পাওয়াই যায় না। বিয়া কইরা সেই যে ডুব মারলা, মারলা তো মারলাই। 😀
সব ঠিক আছে লেখায়, কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারদের যে ঝাড়িটা দিলা এইটার উত্তর পাওনা থাকলো :grr: (সম্পাদিত)
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাইয়ের কথায় পূর্ণ সহমত। খালি তুমি র জায়গায় আপনি হবে ।
নামটা ভুল লিখেছিলাম, যেইনা ঠিক করলাম, সম্পা আপায় গিট্টুটা খাইলো 🙁
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমিন,
ফয়েজ ভাইরে যে কমেন্ট টা করছি ঐটার আপনির জায়গায় তুমি কইরা পইড়া নিও... 😛
ফয়েজ ভাই,
আসসালামুয়ালাইকুম। কেমন আছেন বস?
বিয়া না...বুড়া কালে ছাত্র হইয়া মাইনকা চিপায় পইড়া গেছি... তাই ডুব মারা আর কি...।
আর বেয়াদবী নিয়েননা বস। সিনিয়র ভাই রে ঝারি দিমু আমার মাথা কয়ডা? :duel:
ব্যক্তিগত ভাবে নিয়েন না। আপনি কি তা কি আমরা জানিনা? তবে হ্যাঁ, এভাবে বললে কষ্ট লাগার ই কথা...আমিও যেমনটা পেয়েছি। এই কষ্টটা যেদিন সব পেশার মানুষ পাবে সেদিন আমরা আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ কে খুঁজে পাবো। আসুন আমরা হাতে হাত ধরে সেই দিনটার অপেক্ষা করি।
অনেক গুছিয়ে মনের কথাগুলো বলে দিয়েছেন। কিছুদিন আগ পর্যন্ত কেউ নেগেটিভ কমেন্ট আমি এই সব বলার চেষ্টা করতাম, এখন এইসব কমেন্ট শোনা 'পার্ট অফ জব' মনে করি 🙂
আপনার লেখা পড়ার জন্য শুভকামনা ... ::salute::
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আহসান,
চুপ করে থাকলে তো সাধারণ মানুষ আসল কথা গুলো জানবেনা। মাঝখান থেকে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ সেনাবাহিনী এবং সাধারণ মানুষের মাঝে একটা দেয়াল তৈরী করে দেবে। তার চেয়ে কি মানুষের ভূল ভেঙ্গে দেয়াটা উচিৎ না?
লেখার সাথে সহমত =))
সহমত তো বুঝলাম, তা তুই এভাবে গড়াগড়ি দিয়ে হাসি দিচ্ছিছ কেন? 😕
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
দিলাম...
ধন্যবাদ মেহেদী।
http://www.bbc.co.uk/bengali/in_depth/kafaujibanijjya1.shtml
আহসান ভাই, কোন লেখাই বেদবাক্য নয়। তারপরেও উপরের লিঙ্কের অনুষ্ঠান শুনে ও লেখাগুলো পড়ে আপনার কি মনে হয় দয়া করে জানাবেন।
সামীউর
চমৎকার একটা লিঙ্ক দিয়েছিস।
নানা তথ্য পাচ্ছি।
তবে মন্তব্য নাই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সামীউর,
আমি অবশ্যই জানাবো। তবে একটু সময় দাও ভাই। লেখা পড়ার চাপে পিষ্ট হয়ে আছি। চাপটা একটু কমলেই মতামত লিখবো ইনশাল্লাহ।
৪ বছর পরে এই লেখাটা পড়লাম, আর আহসান স্যারের হয়ে সামীউরকে জবাবটা দিয়ে দিচ্ছি।
একজন বেসামরিক ব্যাক্তি কয় বছর পর্যন্ত চাকরী করে? বর্তমানে ৫৯ বছর। যে ছেলেটা ১৮ বছর বয়সে সেনাবাহিনীতে ঢুকেছে, ২০ বছর বয়সে কমিশন পেয়েছে, সে যদি মেজর হিসাবে যদি অবসর নেয়, তাহলে ২৫ বছর চাকরী করে অর্থাৎ ৪৫ বছর বয়সে অবসর নিবে। লেঃ কর্ণেল হলে ৪৭, কর্ণেল হলে ৮৯, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হলে ৫১ আর মেজর জেনারেল হলে ৫৩ বছর বয়সে অবসর নিবে। অল্প কিছু কোর্স বাদে বেশীরভাগ কোর্স থেকে কম-বেশী ১০০ জন ক্যাডেট পাস আউট করেছে। তার মধ্যে বড়জোর ২৫ জন লেঃ কর্ণেল বা এর উপরে যাবে। এরা যদি রীতি অনুযায়ী অনুমতি পাওয়ার পর দিনই বিয়ে করে, তাহলে ২৬ বছর বয়সে বিয়ে করবে। ২ বছর পর যদি বেবী নেয় তাহলে ২৮ বছর বয়সে বাবা-মা হবে। আর যে ৭৫ জন মেজর পদবীতে অবসর নিবে, তাদের অবসরের সময় প্রথম সন্তানের বয়স থাকবে ১৭ বছর। তাদের তো ছেলেমেয়েকে পড়াতে হবে, বিয়ে দিতে হবে, সংসার চালাতে হবে। পেনশনের টাকা দিয়ে তো সব চলবে না। ফৌজি বাণিজ্য এই বাকী ৭৫ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছে। আর যদি সৈনিকদের কথা ধরি, তারা আরো ২/১ বছর আগে অবসরে যাবে। তাদের পরিবারের দেখাশোনাও তো করতে হবে। ফৌজি বানিজ্য তাদের চাকরীর ব্যবস্থা করে রেখেছে।
সেনাবাহিনীতে অনেক খরচ আছে যা বিধিসম্মত, কিন্তু যার জন্য বাজেট বরাদ্দ নাই। যেমন ২১শে নভেম্বরের অনুষ্ঠান, উচ্চতর বৈদেশিক চিকিৎসা। ফৌজি বাণিজ্য এই খরচ যোগায়।
সেনাবাহিনীতে বিবাহিত জনবলের ৪০% পরিবার কাছে রাখতে পারে। এটা আগে আরো কম ছিলো (প্রায় ২৫% ও ছিলো একসময়)। চিন্তা করে দেখো, একটা মানুষ, প্রতি চার বছরে একবার ফ্যামিলি নিয়ে থাকার সুযোগ পেত। নাহলে প্রতি ৩ মাস পরপর ১০ দিনের ছুটি পরিবারকে দেখার জন্য (ছেলে বাপরে আংকেল ডাকার মত অবস্থা)। এখন, সরকার এই ২৫-৪০% বিবাহিত সৈনিকদের মধ্যেও অর্ধেককে সরকারী বাসা দিতে পারে। বাকীরা সেনানিবাসের আশেপাশে বাসা ভাড়া করে থাকে। পারলে একবার দেখে এসো তাদের বাসার কি অবস্থা আর তার বিপরীতে কি পরিমান ভাড়া দিতে হয়। যার জন্য প্রত্যেক সেনানিবাসে বড় বহুতল আবাসিক ভবন তৈরী হবে যা স্বল্পমূল্যে সৈনিকরা ভাড়া নিবে। এতে তারা সরকারী বরাদ্দ বাড়ী-ভাড়া ভাতার মধ্যে ভালো বাসায় থাকবে। তো, এই ভবন নির্মানের টাকা যদি সরকার দেয়, তাহলে কিন্তু শিক্ষা স্বাস্থ্য খাত থেকে বরাদ্দ কেটে নিয়ে করতে হবে। তখন কিন্তু সামীউর তুমি নিজে আবার প্রশ্ন তুলবে। তাই তুমি যাতে প্রশ্ন তুলতে না পারো, আর সৈনিকরা যাতে কিছুটা ভালোভাবে পরিবার নিয়ে থাকতে পারে, সেইজন্য সেনাবাহিনী সরকারের বাজেটের উপর চাপ না বাড়িয়ে নিজের সৈনিকদের ভালো রাখার জন্য নিজ খরচায় এই ভবনগুলো বানাবে। প্রাথমিক ভাবে ঘাটাইলে এটি শুরু হয়েছে। এই টাকা কে দিয়েছে? ফৌজি বানিজ্য। তারপরেও তুমি প্রশ্ন তুললে।
এখন প্রশ্ন তুলবে এত টাকার মূলধন কিভাবে এলো। কি, তুলবে না সামীউর? পাকিস্তান আমলে সেনাবাহিনী বৃটিশদের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূ্ত্রে অনেক জমি জমা পেয়েছিলো। সেই জমিজমা ফেলে না রেখে তারা এটা ইনভেস্ট করে। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সেইগুলো পায়। আর প্রত্যেক সেনাসদস্য তার বেতন থেকে এই ফান্ডে কিছু টাকা চাঁদা দেয়। এটা আমাদের কষ্টের টাকা। বিপদে আপদে বৈদেশিক চিকিৎসার জন্য আমার পাশে দাড়ায়। ৪৫/৪৬ বছর বয়সে আমার অবসরের পরে আমার জন্য একটা চাকরীর ব্যবস্থা করে। সরকারের বাজেটের উপর চাপ না বাড়িয়ে আমার সৈনিকের একটু ভালো ভাবে ঠাকার ব্যবস্থা করে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খরচ মিটায়। এতে খুব অন্যায় হয়ে যাচ্ছে কি?
আহসান, ভালো লিখেছো, একটু যোগ করি ; মিশনে কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্তে পাঠানো হয়। কোন সেনা সদস্য কি চাইলেই যেতে পরে? আর কি পরিমান ঝুকি থাকে সেখানে। এ পর্যন্ত কয়জন শহীদ হয়েছেন তা কি সবাই জানেন? তাছাড়া বর্তমানে পুলিশও যাচ্ছে মিশনে এটা কি সবাই জানেন? জানলেও কোন কিছু বলবেনা!
শফিউল্লাহ ভাই,
আসসালামুয়ালাইকুম।
ঠিক বলেছেন। ব্যাপারগুলো নিয়ে কখনোই সেভাবে কেউ কথা বলেনি কোনদিন।
আহা........গলফ খেলতে মঞ্চায় :dreamy:
কিন্তু আফসুস, বয়স হয় নাই :((
কবে যে মিশন এ যাব.......লোন আর ওভার ড্র তো ক্লিয়ার করতে হবে 🙁
তোর শেষ লাইনে সুপার লাইক :thumbup:
কিন্তু গলফ ভাল পাই না, বোরিং :thumbdown:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
মঞ্চাইল কি জন্য সেইটা শুনবেন না ?
এইটা খেললে যদি ভালই থাকা যায় তাইলে আপনি কেন খেলবেন না ?
আর ওডি আর লোনের ধাক্কায় তো পুরা শুইয়া গেছি ......তারপরও উরাধুরা খরচ কইরাই যাইতেছি............আজকে একাউন্ট ক্লার্ক পে স্লিপ নিয়া আসল। দেখেই মনটা ভরে গেল........কালকে ইনশাল্লাহ একটা কপি এখানে দিয়া দিব 🙁
পে স্লিপের কথা আর বলিস না, সামনের মাস থেকে আবার জলসিড়ির টাকা দিতে হবে... কই যে যাই 🙁
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
রেজু,
ওই বান্দর, তুই গলফের কি বুঝিস রে? যা গিয়া আ্যপ্রেশিয়েসন কর কেমনে ব্যাংকের ওডি ক্লিয়ার করবি...
আহসান ভাই,কেমনাসেন?ভালানি? আপনার লেখা পড়ে মরমী গায়ক আইয়ূব বাচ্চুর একটা গান মনে পড়ে গেল,
জগতের সবাই ভাল থাকুক :guitar:
সবাই ভালো থাকুক...
ভাবতে খারাপ লাগলেও এই লেখাগুলার জন্য কষ্ট লাগে।
সামিয়াপু,
দোয়া করো যেন কষ্টের ইতি খুব তাড়াতাড়ি চলে আসে...
বস, দুঃখ পেয়েন না। কারো বলায় কিছু এসে যায় না। আপনি নিজে কি করলেন সেটাই বড় কথা। তবে সিভিল-মিলিটারি বিভেদটা আমাদের দেশের একটি রাজনৈতিক বাস্তবতা। ব্যাপারটা সম্পূর্নই অবাস্তব এবং অমূলক সেটা কিন্তু আমার মনে হয়না। আবার এই বাস্তবতার যে অপব্যবহার হয় সেটাও ঠিক। তবে আমাদের দেশের কোন প্রতিষ্ঠানই ঠিক আইডিয়াল অবস্থায় নাই। সেটি সিভিল, মিলিটারি, পলিটিক্যাল, কর্মাশিয়াল, এডুকেশন্যাল কোনটাই না। উন্নত দেশগুলোতে আর্মি এবং সাধারণ মানুষের বিভেদ রেখা এতটা প্রখর না আমাদের মতো এবং আর্মি রাজনৈতিক সরকারের পূর্ন নিয়ন্ত্রনে থাকে। আমাদের দৈনতা এতো বেশি যে কিছু করার তেমন উপায় আর থাকে না। খালি কামড়াকামড়ি। ঠেলাঠেলির ঘর, খোদায় রক্ষা কর!
একটা ব্যাপার, একজন উপ-সচিব হলেন যতটুকু জানি জেলা প্রশাসক পদমর্যাদার যখন তিনি ফিল্ড পোস্টিং-এ থাকেন। এটি যদি মেজর সমতুল্য হয় সেটি কিন্তু ঠিক সমান হয় কিনা পদমর্যাদায় আমি নিশ্চিত না। গলফ, গাড়ী, বাড়ী নিয়ে আসলে কোন সমস্যা নাই। অন্তত আমার দৃষ্টিতে নাই। গলফ তো দেশে নতুন কিছু না। কিন্তু এটারে চক্ষুশূল এবং একই সাথে আকর্ষনীয় স্ট্যাটাস সিম্বল বানিয়েছে এরশাদ এন্ড গং। যাইহোক, বাংলাদেশের গলফ হিরো কিন্তু ঠিকই অশিক্ষিত মূর্খ বল-বয় সিদ্দিকুর! 'স্বৈরাচারী' শব্দটার জনপ্রিয়তা তৈরি হয় আইয়ুব খান এবং এরশাদের কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। দেশে একসময় ছাত্র রাজনীতি করতো ভাল ছাত্ররাই। তবে সেটা এখন আর নাই। বাম ছাত্রসংগঠনগুলোতে হয়তো এখনো ছিঁটে-ফোটা কিছুটা আছে। সেইসব প্রতিবাদগুলো তখন সবমানুষ ধারণ করতো বলেই নূর হোসেনের মতো অতি সাধারণ মানুষ লিখতে পেরেছিল, স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। যদিও গণতন্ত্র এখনো মুক্তি পায় নাই।
পিসকিপিং মিশনটা আসলে আক্ষরিক অর্থে খুব ঝুঁকিপূর্ন। আমার মিশন শুনলেই হোটেল রোয়ান্ডা ছবিটার কথা মনে হয়্। মূল ব্যাপার মিশনে একটাই ভাল দিক তা হলো এটাতে কিছু আর্থিক প্রাপ্তি যোগ হয়। আর সরকারী বেতনে সম্মানজনক জীবনধারণ এখন কষ্টসাধ্য তা নিয়ে আমার কোন দ্বিমত নেই। তবে মিশনে কিন্তু গৌরবের ব্যাপার আসলে কম। গরীব দেশের আর্মিকে উন্নত দেশরা তাদের তৈরি করা স্বার্থের ঝামেলায় টেনে এনে নাম দিয়েছে শান্তিরক্ষা মিশন। কিছু কিছু জাতিসংঘ ম্যানডেটের সাথে আমাদের দেশের আর্মির বেশ ক্লিক করে। বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের আর্মি স্বল্পমূল্যে পাওয়া যায়। ন্যাটো ফোর্স খুবই ব্যয়বহুল। তারচেয়ে বড় কথা ন্যাটো ফোর্স গেলে পতিতাবৃত্তি বেড়ে যায় সাংঘাতিকভাবে সেসব দেশে। বিশেষভাবে শিশু পতিতাবৃত্তি। যেটা জাতিসংঘের ম্যানডেটের সাথে সাংঘর্ষিক।
তবে শান্তিরক্ষী মিশনের সবচেয়ে বড় সুফল যেটা বাংলাদেশ পেয়েছে তা হলো মইনউদ্দীন এন্ড গং গেলবার আর জিয়া বা এরশাদ হতে পারেনাই। আবার এটাও ঠিক আর্মিতে জিয়া-এরশাদ-মইনউদ্দিনরা খুবই সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু যারা সৎ, কষ্ট করে সাধ আর সাধ্যের সমন্বয় করে চলে, তারা এদের উচ্চাভিলাসে ব্যবহৃত হয়ে সাধারণ মানুষের ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হয়। মানুষজন প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে সংখ্যাগুরুদেরকেই খোঁচা দেয়। অথবা তারা ভাল দেখেই তাদের গায়ে লাগে বেশি। এরশাদ-মইনুদ্দিনদের কখনো গায়ে লাগেও নাই, কোনদিন লাগবেও না হয়তো। তাদের গায়ের চামড়া অনেক মোটা।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
রাব্বী,
সব খোদার হাতে ছেড়ে দিলে কি করে চলবে বলো? ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তো স্বয়ং খোদা ও চেষ্টা করতে বলেছেন।
উপ-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার পোস্টিং এর একটি ক্ষেত্র হলো জেলা প্রশাসক। সেনাবাহিনী যদি ইন্টারনাল সিকিউরিটি ডিউটিতে কোন জেলায় যায় তবে সেই জেলার জেলা প্রশাসক প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে উক্ত জেলায় দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তার চেয়ে প্রোটোকলে আগে থাকবেন। কিন্তু অন্য সব জেলা প্রশাসক কিংবা উপ-সচিবরা এই মেজর পদমর্যাদার অফিসারের সমতুল্য।
তোমার লেখার পরের অংশের মন্তব্য নিয়ে আমি কিছু বলবোনা। তবে এটুকু বলি, সেনাবাহিনীতে দেশপ্রেমিক সদস্যের অভাব নেই, যারা দেশ এবং দেশের মানুষের কষ্টে কাদে। দেশের এবং মানুষের প্রয়োজনে নিজের পরিবার, বাবা-মা, ভাই-বোন কে দূরে ঠেলে দিয়ে কর্তব্যে ঝাপিয়ে পড়ে। এই নিঃস্বার্থ মানুষগুলো যদি তাদের এই ত্যাগের ন্যূনতম স্বীকৃতিটুকুও না পায়, তাহলে নতুন কোন কর্তব্যে ঝাপিয়ে পড়ার প্রেরণা কোথা থেকে পাবে?
রাজীব ভাই@ একটি দেশের সেনাবাহি্নী একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়, ঠিক ধর্মের মতো,এখানে বোধহয় অনেক কিছু মনে আসলেই বলে ফেলা যায় না(সত্য বা মি্থ্যা) ।তবে কোন অবস্থাতেই যে কোন পেশা সম্বন্ধে ঢালাও মন্তব্য করা ঠিক না।আপনার বক্তব্যে ব্যাংগটা বাড়াবাড়ি হয়েছে বলেই মনে হয়।তবে সতর্কতার সাথে গঠনমূলক আলোচনা অবশ্যই করবেন।কাউকে না কাউকে তো অস্বস্তিকর বিষয় নিয়ে কথা বলতে হবে।ভুল হলে যেমন অকপটে ক্ষমা চাইতে হবে, তেমনি সত্য হলে শেষ পর্যন্ত বক্তব্যে স্থি্র থাকতে হবে। আপনাকে জ্ঞান দিচ্ছিনা ভাই,শুধু নিজের উপলব্ধি ভাগাভাগি করছি।
আহসান ভাই@"মফস্বল শহরগুলোতে ছোটবেলায় দেখতাম, ক্লাশে ফেল করতে করতে শেষ পর্যন্ত আজীবন ছাত্র রাজনীতিতে নিজেকে সঁপে দেয়া কিছু মূর্খ; “সেনাবাহিনী”, “স্বৈরাচার”, “স্বৈর শাসন” ইত্যাদি শব্দের মধ্যে ঘুরপাঁক খেতে খেতে নিজের বক্তৃতা সাজাতো আর কতিপয় অশিক্ষিত লোকজন এই শব্দগুলোর মানে না বুঝে বক্তার গলার শব্দের আবেগে আবেগতাড়িত হয়ে মুহুর্মুহু হাতে তালি দিত। আর এভাবেই এই শব্দগুলো কিভাবে জানি বক্তৃতার মঞ্চে কিছু জ্বালাময়ী বিশেষণে পরিণত হয়ে গেছে।"আমি আপনার বক্তব্যের এই অংশের তীব্র বি্রোধিতা করি,এক্ষেত্রেও কিন্তু ছাত্র নেতা বা ছাত্ররাজনী্তিকে অতি সরলী্করণ করার বিষয়টা ঘটেছে।তারচেয়ে বড় কথা হল এ কথাটাকে সত্য ভাবতে গেলে বেমালুম ভুলে যেতে হয় এরশাদ আমলের সমস্ত ঘটনা।ডাঃ মিলন বা নূর হোসেনের আত্মাহুতি্র কথা। শুধু সেনাবাহি্নী্র প্রতি যে এ জাতীয় আক্রমন হয়,তা না। এদেশের সমস্ত পেশাজিবী্দের প্রতিই সাধারণ মানুষের প্রবণতা এরকম। আমি ব্যক্তিগত জীবনে চিকিৎ্সক।আপন কী জানেন প্রতি বছর কতজন ডাক্তার শারীরিক ভাবে আক্রমনের শিকার হয়? কতজন ডাক্তারকে মধ্যরাতের পর সরকারী নেতার বাসায় গিয়ে কোন কারণ ছাড়া প্রেসার মাপতে হয়? এমবিবিএস পাশ করার পরও বিনা বেতনে ৪ বছর ট্রেনিং নি্তে হয়? আপনি ভাবতে পারেন ইউনিফরম পরা অবস্থায় কেউ আপনাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্জিত করছে? বা কোন নেতা আপনাকে রাত তি্নটায় তার বাসায় গিয়ে তার সদর দরজার নি্রাপত্তার মান পরীক্ষা করতে বলছে?আর পদমর্যাদার বিষয়ে বিস্তারিত পরে কোন একদিন বলব। মূল কথাটা হল,আমরা সব পেশাজিবী্রাই কম বেশী সাধারণ মানুষকে চরম ভাবে আশাহত করি।তারাও যে ধোয়া তুলসী পাতা তাও নয়। কিন্তু ওই যে সরকারী বেতন পাই,সেই অধিকার থেকেই এটা বলা।আমরা যেমন কিছু ডাক্তারের নির্লজ্জতার বলি,তেমনি আপনারাও এরশাদ,জিয়া'র ক্ষমতা দখল ও ক্যু সমূহের বোঝা বইছেন।সম্ভবতঃ মুক্তিযুদ্ধ ও মিশন মিলিয়ে যত অফিসার শহীদ হয়েছেন তার কয়েকগুন সেনাবাহি্নী্র অন্তর্দ্বন্দে প্রাণ হারিয়েছেন(এ বিষয়ক তথ্য এখনি আমার কাছে নেই, তবে যোগাড় করা সম্ভব)।এ দায় নিশ্চয়ই হত্যাকারীদের কিন্তু তাদের কিছু না বলতে পারার হতাশা বা রাগটা শেষে এসে প্রকাশ হয় এভাবে।
"অভিমান থেকে আমরাও কিছু কথা শোনাতে পারি। যে দেশ সেনাবাহিনী ছাড়া একটা স্বাধীন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারেনা, সাধারন মানুষের কাছে খাবার পানি পৌঁছে দিতে পারেনা, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনা, নির্ভূল ভোটার তালিকা প্রস্তুত করতে পারেনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা দূর্ঘটনা সামাল দিতে পারেনা এমন কি সাফ গেমসের মত আয়োজনেও যাদের সেনাবাহিনী লাগে, তাদের কি সেনাবাহিনীর প্রতি এতো বিষোদ্গার সাজে? " আপনার এ প্রশ্নের উওরে আমি চীৎকার করে বলতে চাই- না, অবশ্যই না।এটা জাতি হিসেবে আমাদের চরম সামাজিক ও রাজনৈ্তিক পরাজয়, নি্রন্তর লজ্জার বিষয়।
তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত হল আমরা অনেকেই খুবই ঈর্ষাকাতর,পরশ্রীকাতর। ফলে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে হেয় করে আমরা নি্রমল আনন্দ পাই। মজার ব্যাপার হল আমরা কিন্তু এখনো এরশাদকে ভোট দেই,জিয়ার দলকে সরকারে বসাই,মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি্র টোটকা গোগ্রাসে গিলি!একটা কথা অবশ্যই আমাদের মনে রাখা দরকার এই আর্মি বনাম সিভি্লিয়ান খেলাটা একটা রাজনৈ্তিক কূটচাল।এভাবে আলাদা থাকলে একটা গোষ্ঠী্র মানুষের খুব লাভ। কারণ ১৯৭১-এ তারা দেখেছে যখন জনতা ও সেনা কাধে কাধ মেলায় তখন কী হয়!ভাই এ দেশে গুটিকয় রাজপুত্র,রাজকন্যা ছাড়া সব পেশার প্রত্যেকটা মানুষের ঘামে দেশের ঘানি্টা ঘোরে, কিন্তু মাখন কিন্তু তাদের ভাগ্যে জোটে না। সবশেষে এসে যদি ইতিহাসের দিকে ক্ষনেক দৃষ্টি ফেরাই অত্যন্ত হৃদয়বি্দারক একটা সত্য কিন্তু মানতেই হবে,রাষ্ট্র যখন তার জনগণের ওপর চূড়ান্ত নিপীড়ন শুরু করে তখন সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করার চেষ্টা করে, সেনাবাহি্নীকেই সিদ্ধান্ত নি্তে হয় সে কোন রূপে আবির্ভূত হবে?? দেশের তরে সর্বস্ব বাজি রাখা "মুক্তিসেনা" না অপারেশন সার্চলাইট-এর রাতে উম্মত্ত "নরপশু"।
আসিফ,
দুনিয়ার কোন জিনিস্টা স্পর্শকাতর না!
আজ যদি বলা হয় খুনিদের ফাঁসি চাই।
তারা বলবে, আদালতে মামলা চলতেছে; বাইরে এইটা নিয়া কথা বলা যাবে না।
রাজনীতিবিদদের চোর বললে তারা বলবে এটা বলা যাবে না; অসাংবিধানিক।
আমি সামরিক বাহিনী সম্পর্কে কি বলেছি?
খুব কি কটু কথা?
ব্যাপার হচ্ছে আমার বাপ রাজাকার হইলে কেউ এইটা নিয়া কিছু বললে আমি বলবো মিথ্যা কথা। ভাই চোর হইলেও মানবনা।
একটা খুব সহজ সত্য আমরা ভুলে যাই যে, আমাদের সামরিক বাহিনীতে যারা চাকুরী করেন তারা এই পৃথিবীরই মানুষ; বিশেষ করে দুর্নীতিতে রেকর্ড করা বাংলাদেশের। যেখানে আমি নিজে দুর্নীতিবাজ, আমার বাপ দুর্নীতিবাজ, আমার মা দুর্নীতিবাজ সেখানে সামরিক বাহিনীতে চাকুরীরত আমার ভাইটি নিখাদ সোনায় মোড়া সৎ মানুষ হবে এটা আশা করা হাস্যকর বইকি!
বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের সবচাইতে সুশৃঙ্খল বাহিনী এবং গোটা দেশবাসীর গর্ব।
আহসান ভাই যা বলেছেন তার সাথে দ্বিমত পোষণ করার কোন উপায় নাই। আমি সি সি র যেসব জায়গায় আমার লেখা দিয়েছিলাম তার প্রত্যেকটা জায়গায় আহসান ভাইএর এই লেখাটা শেয়ার করেছি।
কিন্তু কথা সেটা নয়, কথা হচ্ছে আমটি আমি খাবো পেড়ে।
ছোটবেলায় যখন নকশাল নিয়ে পড়তাম তখন প্রথম পড়েছিলাম ক্রসফায়ারের কথা। ঠিক শব্দটা ভুলে গেছি যেটা ওরা ব্যাবহার করতো। ওদের পুলিশ বাহিনী যা করতো তা হল বন্দি নকশালদের নিয়ে রাতে গাড়িতে করে বের হতো। নির্জন জায়গা আসলে গাড়ি থামিয়ে বন্দীকে বলতো তুমি মুক্ত, চলে যাও। অতঃপর বন্দীকে পিছন থেকে গুলি করা হতো।
বাংলাদেশেও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যখন প্রথম সামরিক বাহিনী নামানো হল, তাদের হেফাযতে থাকা যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মৃত্যুটা হয়েছে হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে।
আল্লাহ্র মাল আল্লাহ্ নিয়া গেলেও আমি বিশ্বাস করি তারা হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়েই মারা গেছে। আমি আমার কোনো ভাইকে খুনি হিসাবে ভাবতে পারিনা।
এবারো গত ১০/১২ বছর ধরে যারাই মারা যাচ্ছে র্যাবের হেফাযতে তারা সবাই ক্রস ফায়ারে মারা যাচ্ছে। আমি এবারো অবিশ্বাস করিনা আমার ভাইদের। কেননা আমি জানি আমার ভাইরা যা আছেন তারা কখনো আইন নিজেদের হাতে তুলে নিতে পারেন না।
তবে কিনা আমরাই কেবল আবু গরিব, গুএন্তেনামো নিয়ে প্রশ্ন করবো আর ওরা মুখ বন্ধ করে থাকবে তা তো হবে না।
কিন্তু আমাদের সামরিকবাহিনী, বা র্যাবের উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে, কিন্তু ওরা তো জানে আমরা দুর্নীতিপ্রবণ দেশ। আমি মনে করি র্যাব যদি ভবিষ্যতে ক্রস ফায়ারের ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখতে পারে তবে আর কারো মনেই কোনও প্রশ্ন থাকবে না।
মনে পড়েছে ভারতের ওটা ছিল এঙ্কাউন্টার।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব ভাই- আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। তবে আমি এ সংক্রান্ত কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার স্বীকার- আমি একবার আমার কিছু আর্মি অফিসার বন্ধুকে প্রশ্ন করেছিলাম,গুনে গুনে তিনটা।ক্যুতে প্রাণ হারানো কয়েকশ অফিসারের বিচার কী তারা কখনো চেয়েছে?সেনাবাহি্নীকে যে কোন লাভজনক অর্থকরী কাজ থেকে বি্রত রাখার জন্য তারা কী করেছে? এবং এদেশের পাহাড়ীদের হত্যার বিচার তাদের পরিবাররা কোন দিন পাবে কীনা?(১৫ বছরের বেশী হয়ে গেল,আজো কল্পনা চাকমার পরিবার জানেনা তার কী হয়েছিল) অবাক বিষয় হল তারা প্রশ্নের জবাব বেমালুম এড়িয়ে গিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল এবং আমাকে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করল।এরপর থেকে আমি আর বাড়াবাড়ি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম,কিন্তু আহসান ভাইর লেখার প্রথম অংশ পড়ে কিছু না লিখে পারলাম না। এই অবসরে আরেকটা বিষয় মনে পড়ল খালেদ মোশাররফ,কর্নেল তাহের,জেনারেল জিয়া,জেনারেল মঞ্জুর, বিমানবাহি্নী্র অফিসাররা এদের সকলের হত্যাকারী কারা? আর একটা দেশের নি্রাপত্তা নিয়ে সে দেশের সাধারন মানুষ মতামত দিতে না পারলে তারা কেন কর বা মূসক দেবে?
আপনি কী নেসার আহমেদের সংকলিত, চিন্তা প্রকাশনের "ক্রসফায়ার" বইটা পড়েছেন?এদেশের ক্রসফায়ারের উপর বস্তুনিষ্ঠ একটি বই।
সামীউর ভাই@ মারাত্মক এক লিংক দিয়েছেন। কিন্তু এ বিষয়ে মন খুলে মন্তব্য করার সাহস আমার নেই। 🙁
যে দেশ সেনাবাহিনী ছাড়া একটা স্বাধীন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারেনা, সাধারন মানুষের কাছে খাবার পানি পৌঁছে দিতে পারেনা, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনা, নির্ভূল ভোটার তালিকা প্রস্তুত করতে পারেনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা দূর্ঘটনা সামাল দিতে পারেনা এমন কি সাফ গেমসের মত আয়োজনেও যাদের সেনাবাহিনী লাগে, তাদের কি সেনাবাহিনীর প্রতি এতো বিষোদ্গার সাজে?
:boss: :boss:
ভাই - কারো কারো বিষোদগারের দায় গোটা দেশের ওপর কেন চাপাচ্ছেন??
আর দেশটা কাদের নিয়ে? সবচেয়ে বড় কথা এ দেশের রাজনিতীর এই হাল কেন বা কারা করেছে , ইতিহাস কী বলে? আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান,টিক্কা খান, বংগবন্ধুর খুনীরা,জেনারেল জিয়া, এরশাদ - এত গুলো স্মৃতি ভুলতে কিছুটা সময় লেগে যাচ্ছে।
"রাজনীতি" বানান ভুলের জন্য দুঃখিত।
ভাইয়া অনেক দিন পর মনে হল মনের ভিতরের অনুভুতি গুলোর প্রকাশ ঘটল। সত্য কথা হল আমাদের পারস্পারিক শ্রধাবোধ এত কম যে এক পেশার মানুষ অন্ন পেশার মানুষ দের অপসন্দ করে! দৃষ্টিভঙ্গিতে বড় পরিবর্তন আবশ্যক।
Major Abu Md Shahnoor Shawon
তোকে এখানে দেখে ভাল লাগলো শাহনুর 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ধন্যবাদ আমি তো ছিলাম ই... 🙂
Major Abu Md Shahnoor Shawon
🙂
এই লেখাটির জন্য লেখককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সকল প্রকার অপপ্রচার, কটুক্তি, ব্যঙ্গ বিদ্রুপের অবসান কামনা করি।
মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায় থেকে শেষ অবধি সেনাবাহিনীর অকুতোভয় বীর সেনানী ও অফিসারদের গৌরবোজ্জ্বল অবদান কৃতজ্ঞ জাতি চিরদিন স্মরণ করবে, সকল উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা রটনাকে উপেক্ষা করে।