বিবর্তন সম্পর্কে সাধারণ ধারণার জন্য এই লেখায় ঢুঁ দিতে পারেন।
আমাদের পূর্বপুরুষ এইপ (ape) রা গাছের ডালে ডালে ঘুরে বেড়াতো। যাদের বলা হয়, পুরাতন পৃথিবীর বানর। এই “এইপ” দের থেকেই উদ্ভব হয় Australopith বর্গের (order)। এই বর্গের অন্তগর্ত হলাম আমরা মানুষ, আমাদের সাথে আছে শিল্পাঞ্জি ও গরিলারা। প্রাকৃতিক পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওনার জন্যই এইপ থেকে Australopith, এবং Australopith থেকে হোমোসেপিয়ান অর্থাৎ আধুনিক মানুষের বিবর্তন ঘটেছে- ফসিল রেকর্ড দেখে এমনটাই বোঝা যায়। ফসিল রেকর্ড পরীক্ষণের মাধ্যমে তিনটি অনুমিত তত্ত্বের (হাইপোথিসিস) মাধ্যমে বিবর্তন এই ধাপ ব্যাখ্যা করেছেন বিজ্ঞানীরা। যেগুলো হলো, ক) সাভানা হাইপোথিসিস, খ) দ্য উডল্যান্ড হাইপোথিসিস, গ) ভ্যারিয়াবিলিটি হাইপোথিসিস। এর মধ্যে সাভানা হাইপোথিসিসটি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা হিসেবে বৈজ্ঞানিক মহলে সমাদৃত।
পাঁচ থেকে আট মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর আবহাওয়া হঠাৎ করেই ঠান্ডা ও শুষ্ক হতে শুরু করে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনে কারণে আফ্রিকার ঘন জঙ্গলের পরিধি কমে আসে। পূর্বদিকে সৃষ্টি হয় গাছবিহীন শুষ্ক তৃনভূমির, পশ্চিমে ঘন জঙ্গল। প্রাকৃতিক এই পরিবর্তনে পূর্বের এইপরা বিপদে পড়ে যায়। কারণ এতোদিন তারা গাছে গাছে থাকতো, তাদের খাবার দাবারের সংস্থান হতো গাছে গাছেই। এখন সেই গাছই নেই। প্রচুর সংখ্যক এইপরা প্রকৃতির এই পরিবর্তনে বিলুপ্ত হয়ে যেতে থাকে। আর কিছু বৈশিষ্ট্যপূর্ণ এইপ পরিবর্তিত প্রকৃতির সাথে খাপ খাওয়াতে সমর্থ হয়, তারা তৃনভুমিতে জীবন যাপন শুরু করে। এই বৈশিষ্ট্যপূর্ণ এইপ দের খটমটে বৈজ্ঞানিক নাম, Australopith।
শুষ্ক তৃনভুমিতে খাবারের অভাব, পানির অভাব। জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার জন্য এখন তাহলে কী কী বৈশিষ্ট্য প্রয়োজন। ১) দলবদ্ধ হওয়া ২) খাবার সংগ্রহে দূর-দূরান্তে ভ্রমণ শুরু করা ৩) যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নতি। ৪) শিকারের জন্য অস্ত্র সস্ত্র তৈরী করা ও প্রয়োগ জানা। এ কাজগুলো মস্তিষ্কের সহায়তা ছাড়া হবে না, অর্থাৎ বুদ্ধিমান প্রানীরাই একমাত্র উপযুক্ত। কিন্তু তখনও মস্তিষ্কের বিকাশ শুরু হয়নি ফলে বেশিরভাগ Australopith রাই জীবন সংগ্রামে পরাজিত হয়ে হারিয়ে গেল। বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কিছু কিছু প্রজাতি টিকে যেতে সমর্থ হলো। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের বিবর্তনের সূচনা। সময়ের সাথে সাথে মস্তিষ্ক বড় হতে থাকলো। এখানে একটা জিনিস উল্লেখ্য “মস্তিষ্ক বড়” বলতে কার মস্তিষ্ক কত বড় সেটা নয়, বরঞ্চ প্রানীর দেহের সাথে মস্তিষ্কের অনুপাত বোঝায়। Australopith দের মস্তিষ্ক ছিল প্রায় (৩০০- ৪০০) সিসি। অন্যদিকে আধুনিক মানুষের মস্তিষ্ক ১৩০০ সিসি। লক্ষ বছর ধরে প্রকৃতিক সাথে টিকে থাকার যুদ্ধের কারণেই মস্তিষ্কের এই বিবর্তন হয়েছে।
বিবর্তনের প্রমান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ফসিল রেকর্ডকেই ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু আনবিক জীববিদ্যা এবং কোষবংশগতিবিদ্যা উদ্ভাবনের পর এখন আর ফসিল রেকর্ডের কোন দরকার নেই। জীনতত্ত্ব দিয়েই চমৎকারভাবে বলে দেওয়া যায় আমাদের বংশগতিধারা। জীববিজ্ঞানের এই শাখাগুলোর মাধ্যমে, আমাদের পূর্বপুরুষ কারা ছিল, তাদের বৈশিষ্ট্য কেমন ছিল, দেখতে কেমন ছিল তারা সব নির্ণয় করা হয়েছে। দেখা গেছে ফসিল রেকর্ডের সাথে অক্ষরে অক্ষরে মিলে গিয়েছে সেটা।
জীববিজ্ঞানীরা আমাদের পূর্বপুরুষের যেই ধারাটা দিয়েছেন সেটা হলোঃ
মানুষ –> নরবানর –>পুরোন পৃথিবীর বানর –> লেমুর
প্রমান ১:
রক্তকে জমাট বাঁধতে দিলে একধরণের তরল পদার্থ পৃথক হয়ে আসে, যার নাম সিরাম। এতে থাকে এন্টিজেন। এই সিরাম যখন অন্য প্রাণীর শরীরে প্রবেশ করানো হয় তখন উৎপন্ন হয় এন্টিবডি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মানুষের সিরাম যদি আমরা খরগোশের শরীরে প্রবেশ করাই তাহলে উৎপন্ন হবে এন্টি হিউমান সিরাম। যাতে থাকবে এন্টিবডি। এই এন্টি হিউমান সিরাম অন্য মানুষের শরীরে প্রবেশ করালে এন্টিজেন এবং এন্টিবডি বিক্রিয়া করে অধঃক্ষেপ বা তলানি উৎপন্ন হবে। যদি একটি এন্টি হিউমান সিরাম আমরা যথাক্রমে নরবানর, পুরোন পৃথিবীর বানর, লেমুর প্রভৃতির সিরামের সাথে মেশাই তাহলেও অধঃক্ষেপ তৈরী হবে। মানুষের সাথে যে প্রানীগুলোর সম্পর্কের নৈকট্য সবচেয়ে বেশি বিদ্যমান সেই প্রানীগুলোর ক্ষেত্রে তলানির পরিমান বেশি হবে, যত দূরের তত তলানীর পরিমান কম হবে। তলানীর পরিমান হিসেব করে আমরা দেখি, মানুষের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি তলানী পাওয়া যাচ্ছে, নরবানরের ক্ষেত্রে আরেকটু কম, পুরানো পৃথিবীর বানরের ক্ষেত্রে আরেকটু। অর্থাৎ অনুক্রমটা হয়-
মানুষ- নরবানর- পুরোন পৃথিবীর বানর- লেমুর।
অঙ্গসংস্থানবিদদের মতে উল্লিখিত প্রাণীদের মধ্যে সর্বাধিক আদিম হচ্ছে লেমুর, আর সবচেয়ে নতুন প্রজাতি হচ্ছে মানুষ। তাই মানুষের ক্ষেত্রে তলানির পরিমাণ পাওয়া যায় সবচেয়ে বেশি আর লেমুরের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম। দেখা যাচ্ছে বিবর্তন যে অনুক্রমে ঘটেছে বলে ধারণা করা হয়েছে রক্তরস বিজ্ঞানের ‘অ্যান্টিজেন এন্টিবডি’ বিক্রিয়াও সে ধারাবাহিকতাকেই সমর্থন করে।
প্রমান দুইঃ
১। প্রকৃতিতে মাঝে মাঝেই লেজ বিশিষ্ট মানব শিশু জন্ম নিতে দেখা যায়। এছাড়াও পেছনে পা বিশিষ্ট তিমি মাছ, ঘোড়ার পায়ে অতিরিক্ত আঙ্গুল কিংবা পেছনের ফিন যুক্ত ডলফিন সহ শরীরে অসংগতি নিয়ে প্রাণীর জন্মের প্রচুর উদাহরণ পাওয়া যায়। [[লেজ বিশিষ্ট মানব শিশুর কিছু সচিত্র বাস্তব উদাহরণ পাওয়া যাবে এখান]]। এমনটা কেন হয়। এর উত্তর দিতে পারে কেবল বিবর্তন তত্ত্বই।
বিবর্তনের কোন এক ধাপে অংগ লুপ্ত হয়ে গেলেও জনপুঞ্জের জীনে ফেনোটাইপ বৈশিষ্ট্য হিসেবে ডিএনএ সেই তথ্য রেখে দেয়। যার ফলে বিরল কিছু ক্ষেত্রে তার পূনঃপ্রকাশ ঘটে।
২। বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী পুর্ব বিকশিত অংগ-প্রত্যঙ্গ থেকেই নতুন অঙ্গের কাঠামো তৈরির হয়। বিভিন্ন মেরুদন্ডী প্রাণীর সামনের হাত বা অগ্রপদের মধ্যে তাই লক্ষ্যনীয় মিল দেখা যায়! ব্যাঙ, কুমীর, পাখি, বাদুর, ঘোড়া, গরু, তিমি মাছ এবং মানুষের অগ্রপদের গঠন প্রায় একই রকম।
৩। পৃথিবীতে অগুনিত প্রজাতি থাকলেও সবচে মজার ব্যাপার হলো, ভেতরে আমরা সবাই প্রায় একই। আমরা সবাই “কমন জিন” শেয়ার করে থাকি। পূর্বপুরুষের সাথে যত বেশি নৈকট্য বিদ্যমান, শেয়ারের পরিমানও তত বেশি। যেমন, শিল্পাঞ্জি আর আধুনিক মানুষের ডিএনএ** শতকরা ৯৬% একই, কুকুর আর মানুষের ক্ষেত্রে সেটা ৭৫% আর ড্যাফোডিল ফুলের সাথে ৩৩%।
ডিএনএ
মানুষের দেহ অসংখ্য কোষ দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কোষের একটি কেন্দ্র থাকে যার নাম নিউক্লিয়াস। নিউক্লিয়াস এর ভেতরে থাকে ক্রোমোজোম, জোড়ায় জোড়ায়। একেক প্রজাতির নিউক্লিয়াসে ক্রোমোজোম সংখ্যা একেক রকম। যেমন মানব কোষের নিউক্লিয়াসে ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম থাকে। প্রতিটি ক্রোমোজোম এর ভেতরে থাকে ডিএনএ এবং প্রোটিন। ডিএনএ এক ধরণের এসিড যা দেহের সকল কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে। প্রকৃতপক্ষে ক্রোমোজোম এর ভেতরে কি ধরণের প্রোটিন তৈরি হবে তা ডিএনএ নির্ধারণ করে। এসব প্রোটিনের মাধ্যমেই সকল শারীরবৃত্তীয় কাজ সংঘটিত হয়। ডিএন-র আরেকটি কাজ হচ্ছে রেপ্লিকেশন তথা সংখ্যাবৃদ্ধি। ডিএনএ নিজের হুবহু প্রতিলিপি তৈরি করতে পারে, ডিএনএ ই যেহেতু জীবনের মূল তাই আরেকটি প্রতিলিপি তৈরি হওয়ার অর্থই আরেকটি জীবন তৈরি হওয়া, এভাবেই জীবের বংশবৃদ্ধি ঘটে। মোটকথা ডিএনএ জীবনের মৌলিক একক এবং কার্যকরি শক্তি, সেই জীবের সকল কাজকর্ম পরিচালনা করে এবং তার থেকে আরেকটি জীবের উৎপত্তি ঘটায়। ডিএনএ-র মধ্যে তাই জীবের সকল বৈশিষ্ট্য ও বংশবৃদ্ধির তথ্য জমা করা থাকে। ডিএনএ-র মধ্যে থাকে জিন, জিনের সিকোয়েন্স ই জীবদেহের সকল তথ্যের ভাণ্ডার।
৪। চারপাশ দেখা হলো। এবার আসুন একবার নিজেদের দিকে তাকাই।
ক) ত্রয়োদশ হাড়ঃ বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে ভর্তি হবার সুযোগ পেলো আমার এক বন্ধু। বাক্স পেটরা বন্দী করে সে চলে গেল ট্রেনিং এ চট্রগ্রামের ভাটিয়ারিতে। ছয় সপ্তাহ ডলা খাবার পর মিলিটারি একাডেমির নিয়ম অনুযায়ী একটি ফাইনাল মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষায় আমার বন্ধুর দেহ পরীক্ষা করে দেখা গেলো, তার পাঁজরে এক সেট হাড় বেশি। আধুনিক মানুষের যেখানে বারো সেট হাড় থাকার কথা আমার বন্ধুর আছে তেরোটি। ফলস্বরূপ তাকে মিলিটারি একাডেমির প্রশিক্ষণ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
পরিসংখ্যান থেকে পাওয়া যায়, পৃথিবীর আটভাগ মানুষের শরীরে এই ত্রয়োদশ হাড়ের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। যেটি কিনা গরিলা ও শিল্পাঞ্জির শারিরিক বৈশিষ্ট্য। মানুষ যে, এক সময় প্রাইমেট থেকে বিবর্তিত হয়েছে এই আলামতের মাধ্যমে সেটিই বোঝা যায়।
খ) লেজের হাড়ঃ মানুষের আদি পূর্বপুরুষ প্রাইমেটরা গাছে ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য লেজ ব্যবহার করতো। গাছ থেকে নীচে নেমে আসার পর এই লেজের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে। কিন্তু আমাদের শরীরে মেরুদন্ডের একদম নীচে সেই লেজের হাড়ের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
মানুষের লেজের হাড়
গ) আক্কেল দাঁতঃ পাথুরে অস্ত্রপাতি আর আগুনের ব্যবহার জানার আগে মানুষ মূলতঃ নিরামিশাষী ছিলো। তখন তাদের আক্কেল দাঁতের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও আমাদের তা নেই, যদিও আক্কেল দাঁতের অস্তিত্ব এখনও রয়ে গেছে।
ঘ) অ্যাপেন্ডিক্সঃ আমাদের পূর্বপুরুষ প্রাইমেটরা ছিল তৃনভোজি। তৃণজাতীয় খাবারে সেলুলোজ থাকে। এই সেলুলোজ হজম করার জন্য তাদের দেহে এপেনডিক্সে বেশ বড় ছিল। ফলে সিকামে প্রচুর পরিমান ব্যাকটেরিয়ার থাকতে পারতো যাদের মূল কাজ ছিল সেলুলোজ হজমে সহায়তা করা। সময়ের সাথে আমাদের পূর্বপুরুষদের তৃনজাতীয় খাবারের উপর নির্ভরশীলতা কমতে থাকে, তারা মাংসাশী হতে শুরু হলে। আর মাংসাশী প্রাণীদের অ্যাপেন্ডিক্সের কোন প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন বৃহৎ পাকস্থলীর। ফলে অপেক্ষাকৃত ছোট অ্যাপেন্ডিক্স এবং বড় পাকস্থলীর প্রাণীরা সংগ্রামে টিকে থাকার সামর্থ লাভ করে, হারিয়ে যেতে থাকে বাকিরা। পূর্বপুরুষের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে সেই অ্যাপেন্ডিক্স আমরা এখনও বহন করে চলছি।
ঙ) গায়ের লোম: মানুষকে অনেক সময় ‘নগ্ন বাঁদর’ বা ‘নেকেড এপ’ নামে সম্বোধন করা হয়। আমাদের অনেক বন্ধুবান্ধবদের মধ্যেই লোমশ শরীরের অস্তিত্ব দেখা যায় এখনো। আমরা লোমশ প্রাইমেটদের থেকে বিবর্তিত হয়েছি বলেই এই আলামত এখনো রয়ে গেছে।
এই তো গেলো মানুষের পূর্বপুরুষদের কথা। আচ্ছা এমন কী হতে পারে না, আফ্রিকা বাদে অন্য কোথাও অন্য কোনভাবে মানুষের ভিন্ন একটি প্রজাতির উদ্ভব হয়েছে?
প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে থাকলে দেখা যায়, হরেক রকমের ফিঙ্গে পাখি, বিভিন্ন রকমের বাঘ, ভালুক। প্রায় সব প্রাণীরই বিভিন্ন প্রজাতি আমাদের চোখে পড়ে। “ট্রি অফ লাইফ” এর শাখা প্রশাখায় তারা একে অপরের থেকে আলাদা হয়েছে।
এ আলোচনার আগে জেনে নেই প্রজাতি বলতে আসলে কী বোঝানো হয়। প্রজাতি হলো এমন কিছু জীবের সমষ্টি যারা শুধু নিজেদের মধ্যে প্রজননে সক্ষম। যেমন ধরুন আমরা অর্থাৎ আধুনিক মানুষ বা homo sapiens একটি প্রজাতি যারা আর কোন প্রজাতির জীবের সাথে প্রজননে অক্ষম।
পৃথিবীজুড়ে এখন শুধু আধুনিক মানুষ চোখে পড়লেই ভেবে নিবেন না, মানুষের একটিই প্রজাতি। ২০০৩ সালের অক্টোবরে বিজ্ঞানীরা ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরস দ্বীপে মাটি খুঁড়ে পান এক মিটার লম্বা এক মানুষের ফসিল- কঙ্কাল। কার্বন ডেটিং এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা গণনা করে দেখেন, নব্য আবিষ্কৃত এই মানুষটি মাত্র ১২,০০০- ১৪,০০০ হাজার বছর আগেই এই দ্বীপটিতে বাস করতো। বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা গেছে, তারা আমাদের হোমিনিড (মানুষ এবং বনমানুষ বা ape দেরকে hominid গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত ধরা হয়) গ্রুপের অন্তর্গত হলেও তাদের চোয়াল এবং মস্তিষ্কের মাপ আধুনিক মানুষের মতো নয়। উচ্চতায় মাত্র ১ মিটার। অপেক্ষাকৃত লম্বাটে হাত। আধুনিক মানুষের মস্তিষ্ক যেখানে প্রায় ১৩৩০ সিসি সেখানে তাদের মস্তিষ্ক মাত্র ৩৮০ সিসি। তাহলে কী তারা আধুনিক মানুষের মতো অস্ত্র বানিয়ে শিকার করার মতো বুদ্ধিহীন, গাছে গাছেই যাদের সময় কাটানো বানর কিংবা শিল্পাঞ্জি ছিল? এই প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায়, তাদের ফসিলের পাশে রাখা ১২,০০০- ৯৫,০০০ হাজার পুরানো পাথুরে অস্ত্র দেখে- যা কিনা শুধুমাত্র বুদ্ধিহীন প্রাণীদের পক্ষেই তৈরি করা সম্ভব। বিজ্ঞানীদের ধারণা, অনেক আগেই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া homo erectus এর একটি দল এই দ্বীপে এসে বসবাস শুরু করে। হাজার হাজার বছর ধরে এই দ্বীপে বিচ্ছিন্নভাবে বাস করার ফলে তারা বিবর্তিত হতে হতে এক সময় ভিন্ন একটি প্রজাতিতে রূপান্তরিত হয়। আধুনিক মানুষের আরেকটি প্রজাতি! কিন্তু ১২,০০০ বছর আগে দ্বীপটিতে একটি ভয়াবহ অগ্ন্যুতপাতের ফলে অনান্য প্রাণীর সাথে তারাও বিলুপ্ত হয়ে যায়। পরবর্তীতে আরও অনেক গবেষণার মাধ্যমে দেখা যায়, এই বামন মানুষদের মতো আরও অনেক প্রজাতির সাথে একসময় আমরা এই পৃথিবী ভাগ করে নিয়েছি- যারা পরবর্তীরে বিভিন্ন কারণে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। টিকে রয়েছে শুধু আধুনিক মানুষ বা homo sapiens।
মানুষের বিবর্তনের আলচনার শেষ পর্যায়ে এসে আরেকটা জিনিস পাঠকের মনে হতে পারে, আচ্ছা বিবর্তনের মাধ্যমে আমরা (আধুনিক মানুষরা) এক উন্নত প্রজাতি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছি। আমাদের পরবর্তী গন্তব্য কোথায়? উন্নতির পরবর্তী ধাপ কী?
এমন প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক। তাই বিবর্তন তত্ত্বের একটা ব্যাপার এখানে পরিষ্কার করে বলে দেওয়া দরকার। বিবর্তন কিন্তু মই বেয়ে বেয়ে উন্নতির শিখরে আরোহন করা নয়। এটা অনেকটা ট্রেডমিলে দৌড়ানোর মতো, যেখানে মূল ব্যাপার হচ্ছে টিকে থাকা। প্রকৃতিতে তেলাপোকার মতো প্রানী দীর্ঘদিন উন্নতি না করেই টিকে আছে, আর ডায়নোসার এর মতো অতিকায় প্রানী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সুতরাং উন্নতি হতেই হবে এমন কিছু বিবর্তন দিব্যি দিয়ে বলে না।
তথ্যসূত্রঃ
১। মাইক্রোসফট এনকার্টা> হিউম্যান এভোলিউশন
২। বিবর্তনের পথ ধরে- বন্যা আহমেদ
🙂
আমাদের গল্পটা পড়েন। না বোঝার কিছু নাই। 😀
বাহ! বাহ! আমার পড়াশুনার বিষয়.............. :awesome: :awesome:
ভালো লিখছিস.............
বন্যা আহমেদের বইটা তো পড়ি নাই.....আমাদের অবশ্য অরিজিনাল ডারউইন পড়তে হয়েছে।
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
ধন্যবাদ টিটু ভাই মন্তব্যের জন্য। আপনি তো লেখাটা পড়লেন, এখন একটা জিনিস জানতে চাই।
সাধারণ পাঠককে মানুষের বিবর্তন সম্পর্কে ধারণা দেবার জন্য এই লেখাটি কী স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে? যদি না হয়, তাহলে আর কী কী বিষয় আলোচনা করা যেতে পারে। বা এই লেখা থেকে আপনার মনে কী কোন প্রশ্ন তৈরী হয়েছে, যার উত্তর আপনি জানতে চান?
নৃ-িবজ্ঞানের ছাত্র। কাজেই ছয় বছর এই বিষয়েই পড়তে হয়েছে। আগে কি ধারনা ছিলো এ সম্পর্কে এখন মনে নাই..তবে এত দিনে টের পেয়েছি মহাবিশ্ব আর মানেষের সিরিয়ালটা খুব সহজ । বিগ ব্যাং...এমিবা.........বহুকোষী প্রাণী..........প্রাইেমট...আধুনিক মানুষ। এর মধ্যে আর কোনো ম্যজিক নাই। কাজেই আমার তোর লেখার আসামঞ্জস্যতা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কারণ আমি জানি প্রতিটা লাইনই সত্য।
তবে প্রমাণ হিসেবে আদি জীবন যাপনে অভ্যস্ত জুলুদের মত বিভিন্ন ট্রাইবদের আলোচনাও করতে পারিস। তারা একটা বড় প্রমাণ....
আর আধুনিক মানুষও যে নিযত পরিবর্তিত হচ্ছে যা কিনা বিবর্তনবাদকে পুরোই সাপোর্ট করে এই যুক্তিটাও টানতে পারিস।
এছাড়া ঠিকই আছে.....বলার ভঙ্গি পছন্দ হইছে.....আমপাশ দিয়ে উদাহরণ দিলে যেকোনো বিষয় বেশি বিশ্বাসযোগ্য হয়............
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
ধন্যবাদ। ধন্যবাদ।
বন্যা আহমেদের বইটা আমার পড়া সুতরাং এটা বুঝতে কোন সমস্যা হয় নাই।
অন্যদের বুঝতেও কোন সমস্যা দেখি না। তবে বুঝার আগ্রহ কিভাবে তৈরি হবে, সেসম্পর্কে কোন ধারনা দিতে পারছি না।
আমার এক চিকিৎসক বন্ধু যখন জানতে চাইলো, "তুই ডারউইনিজম, বিবর্তনে বিশ্বাস করিস?" আমার চেয়ার থেকে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল।
আমি বলে ছিলাম, "বিজ্ঞান কি বিশ্বাস অবিশ্বাসের জিনিষ যে আমি বিশ্বাস করলে তা আছে আর না করলে তা নেই?"
আর বললাম, "বিবর্তনের তত্ব ব্যবহার করে ভালোই তো চিকিৎসা সেবা দিয়ে চলেছিস, এন্টিবায়োটিক-রেজিস্ট্যান্স কেন ঘটে, বদলে দিলে কেন কাজ করে, কখনো জানতে ইচ্ছা হয় নাই?
বন্ধু খুউবই বিরক্ত হল...
যা বলতে চাইছি, " ডারউইনিজম, বিবর্তন" - এগুলো ট্যাবু, এনিয়ে ভাবাও নিষেধ - মাথায় গেড়ে বসা এরকম ধারনা থেকে বের হতে না পারলে যতসহজ করেই লিখা হোক না কেন, পাঠক তা পড়বে না।
একান্তই যদি পড়ে ফেলেও, "বিশ্বাস" করবে না। (আসলে নিজের সাথে প্রতারনা করবে এই বলে যে "আমি বিশ্বাস করলাম না"।)
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পুরাই অফ টপিক: ১৩০০ সিসির বাইক না জানি কত জোরে চলে ;)) ;))
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
:thumbup: :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
লেখা দারুন হইছে!! 😀
আচ্ছা একটা প্রশ্নঃ আফ্রিকাতে যে পিগমি ( আমার ভুল হতে পারে বামন মানুষের প্রজাতি) তারা কি মানুষের একটা প্রজাতি??
ভালো প্রশ্ন করছিস। কয়েকটা পয়েন্ট বলি। উত্তর পেয়ে যাবি।
১। পিগমা হোমসেপিয়ানস। তারাও মানুষ তবে এভারেজ উচ্চতা কম।
২। আমরা যেমন চাইনিজ থেকে আলাদা, চাইনিজরা যেমন আমেরিকান থেকে আলাদা, পিগমিরাও তেমন আলাদা একটা গ্রুপ। বাইলোজিক্যাল ট্রেইটের কারণে উদ্ভুত একটা হিউম্যান রেস। তারা আলাদা প্রজাতি নয়।
৩। আফ্রিকা ছাড়াও অন্য অনেক জায়গায় পিগমিদের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তারা একে অন্য থেকে আলাদা।
এককথায় যেই জনগোষ্টির "গড় উচ্চতা কম" তারাই পিগমি।
উত্তর পাইছিস? কনফিউসন থাকলে জানাইস। আর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
শ্রীলংকায় নাকি এক সময় পিগমি টাইপ মানুষ ছিলো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
পিগমি টাইপ মানুষ মানে?ওরা তো মানুষই। খাটো হইছে বইলা কি ওদের মান ইজ্জত নাই।মানুষ থাইকা আলাদা করে দিলেন!!!!! :)) :)) :))
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
তুই দিন দিন মুহাম্মদের মতো গবেষক হইয়া যাইতেছিস। 😀
নতুন নতুন জামাই হইছিস, কোথায় কিছু রোমান্টিক গল্প/কবিতা লিখবি তা না করে খালি বিবর্তন। ফুলন দেবীরে বইলা আচ্ছাসে ধোলাই দেয়ামু নাকি ভাবতেছি।
সচিত্র বাস্তব উদাহরনের সাইটটা দেখে খুব মজা পাইছি। ইন্টারেস্টিং। লেজঅলা মানুষের ছবি দেখতে দেখতে একবার নিজের পিছনে হাত দিয়াও দেখলাম। 😛
লেখা ভাল হইছে। তথ্যসুত্র গুলোর লিঙ্ক দিয়া দে।
গুড জব। :thumbup:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
ছবিগুলা গা ঘিন ঘিনে, তাই পোস্টে এড করিনাই? লেজ খুঁইজা পাইছেন? আমি যেই হারে বিবর্তন নিয়া লাফাইতেছি কোন দিন যে, পিছ দিয়া লেজ গজাইবো কে জানে! 😀
রায়হান আবীর প্রথমেই তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিতে হবে তোমার এই পরিশ্রমসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ পদক্ষেপের জন্য। কয়েকটি তথ্য আমার মনে হয় একটু পুনঃবিবেচনা করে দেখা উচিত। তুমি বলেছো-
এইপরা বা প্রজাতি যারা ট্যাক্সোনমিক র্যাঙ্ক হোমিনইডিয়া সুপারফ্যামিলির অন্তর্ভুক্ত- তারা শুধু আমাদের পূর্বপুরুষই নয়, বরং আমরা নিজেরাও এইপ। হোমিনইডিয়ার মর্ফোলজিকাল বৈশিষ্ট পিঠপেট বা ডর্সোভেন্ট্রাল এক্সিসের ডর্সাল দিকে বা পিঠের কাছাকাছি স্ক্যাপুলার অবস্থান। স্ক্যাপুলা হলো হাতকে সংযুক্তকারী পাতের মতো হাঁড় মুখ-পায়ু বা ক্র্যানিওকওডাল এক্সিসে যার অবস্থান ঘাড়ের ঠিক নীচে। আরও একটি মর্ফোলজিকাল বৈশিষ্ট হলো অন্যান্য ক্যাটারিনি যা কিনা হোমিনইডিয়ার ঠিক আগের ট্যাক্সোনমিক র্যাঙ্ক বা পার্ভাঅর্ডার- তাদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ছোট এবং রিজিড স্পাইন বা মেরুদন্ড যার কওডাল ভার্টিব্রাই বা ভার্টিব্রাই যাদের অবস্থান পায়ুর বেশি কাছাকাছি (ভার্টিব্রাই হলো ছোট অংশ যা দ্বারা স্পাইন গঠিত) সংখ্যায় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। মূ্লত এই কারণেই হোমিনয়েডদের লেজ নেই। আরও জানতে ডেভেলপমেন্টাল বায়োলজি পোর্টালে উইকিপিডিয়া করো এক্সিস স্পেসিফিকেইশন। খেয়াল করো যে এই দুটি মর্ফোলজিকাল বৈশিষ্টই আমাদের মধ্যে বিদ্যমান। যার মানে আমরাও এইপ বা হোমিনয়েড। ট্রাক্সোনমি মূ্লত একটি ওয়ান ওয়ে রোড, একবার একটি ট্যাক্সোনমিক র্যাঙ্কে পড়ে গেলে তুমি আর সেটা পরিবর্তন করতে পারবে না। মূলত এই কারণেই কোন প্রোক্যারিয়ট মেটাজোয়া তুমি পাবে না কিংবা অমেরুদন্ডী ম্যামাল।
সিমিফর্মেস ইনফ্রাঅর্ডার জন্ম দিয়েছে দুটি পার্ভাঅর্ডারের- ক্যাটারিনি বা ওল্ড ওয়ার্ল্ড মাঙ্কি এবং প্ল্যাটিরিনি বা নিউ ওয়ার্ল্ড মাঙ্কি। এইপদের পুরাতন পৃথিবীর বানর বলা হয় না বরং পুরাতন পৃথিবীর বানর বা ক্যাটারিনদের একটা অংশকে বলা হয় হোমিনয়েড বা এইপ, আরেকটি অংশকে বলা হয় সার্কোপিথেসয়েড। সব ক্যাটারিনই হোমিনয়েড নয় যদিও সব হোমিনয়েডই ক্যাটারিন।
এইপ বা হোমিনইডিয়া সুপারফ্যামিলি থেকে উদ্ভব হয় দুটি ফ্যামিলি হোমিনিডাই বা গ্রেইট এইপ এবং হাইলোবেটাইডাই বা লেসার এইপ। অস্ট্রালোপিথেকাস নামে কোন অর্ডার নেই অস্ট্রালোপিথেকাস বরং একটি জেনাস যেই জেনাস উদ্ভুত হয় প্রাইমেট অর্ডারের হোমিনইডিয়া সুপারফ্যামিলির হোমিনিডাই ফ্যামিলি থেকে। অস্ট্রালোপিথেসিনরা হোমিনিড, হোমিনয়েড, প্রাইমেট। এমনকি অস্ট্রালোপিথেকাস নামে কোন অর্ডার থাকলেও এইপ যা কিনা একটি সুপারফ্যামিলি- থেকে তা উদ্ভব হওয়া সম্ভব নয় কেননা অর্ডার সুপারফ্যামিলির পূর্ববর্তী একটি ট্যাক্সা। ট্যাক্সোনমিতে পিছে যাওয়া বলে কোন ব্যাপার নেই।
হোমিনিডাই ফ্যামিলি থেকে উদ্ভুত হয় দুটি সাবফ্যামিলি হোমিনিনাই এবং পঞ্জীনাই। হোমিনিনাই সাবফ্যামিলিতে আছে মানুষ,শিম্পাঞ্জী এবং গরিলা। তুমি সম্ভবত অর্ডার বা বর্গ বলতে ফ্যামিলি বোঝাতে চেয়েছো। এটা তোমার ভুল নয় আমি বলবো। বাংলায় অর্ডার ও ফ্যামিলি দুটি শব্দেরই প্রতিশব্দ করা হয় বর্গ আমি দেখেছি। চেষ্টা করো ক্লেইডের নামসমূহ ইংরেজীতে লিখতে।
তোমার প্রবন্ধের প্রথম তিন লাইন আমি মনে করি এমন হওয়া উচিত ছিলো-
পদার্থবিজ্ঞানে গনিতের সমীকরণে বক্তব্য স্পষ্টতা পায় আর বায়োসাইন্সে বক্তব্য স্পষ্টতা পায় ভাষার ব্যাবহারে। জীববিজ্ঞানিরা ভাষা ব্যাবহার করেন সমীকরণের মত করেই কেননা ভাষার ব্যার্থ ব্যাবহার বক্তব্যকে ভুল প্রমানিত করতে পারে যদিও ভাবটি সঠিক, এই ফিয়াস্কো দেখে থাকবে আমার একটি পূর্বতন পোস্টে। ট্যাক্সোনমি বোঝা কঠিন, আমরা অধিকাংশই এটা বুঝি না, বুঝলে বিবর্তন সম্পর্কে অনেক হাস্যকর প্রশ্ন করা থেকে আমরা বিরত থাকতে পারতাম। তুমি যেহেতু ইভোলিউশনারি বায়োলজি সম্পর্কে আগ্রহী আমি নিশ্চিত ট্যাক্সোনমিও তোমার আগ্রহ জাগাবে। ট্যাক্সোনমি নিয়ে আমি সিসিবিতে আগে একটি পোস্ট লিখেছিলাম দেখতে পারো।
আমিও অস্ট্রালোপিথেকাস এবং পুরাতন পৃথিবীর বানর নিয়ে কনফিউজড ছিলাম। এই সুযোগে ক্লিয়ার হয়ে গেল। ধন্যবাদ অর্ণব ভাই।
অনেক সহজ করে লেখা। বুঝতে কোন সমস্যা হয়নি। ভালো লাগল। :thumbup:
লেজওয়ালা মানুষদের ছবি দেখে ভয় পেয়ে গেলাম!!
অর্নব ভাই,
ধন্যবাদ আপনাকে। মানুষের বিবর্তন নিয়ে মাত্র পড়া শুরু করেছি। বেশ কিছু ব্যাপারে অজ্ঞ। প্রথমদিকের প্যারাগুলোর ভাবপ্রকাশ আমি যা করতে চেয়েছি তা সঠিক কিনা এটা যাচাই করার প্রয়োজনীয়তা আমারও মাথায় এসেছিল। মুহাম্মদকে এতো করে বললাম, ব্যাটা আজ কাল করতেছে খালি। তাই সিসিবিতে পোস্টাইলাম। কামরুল ভাই কিংবা আন্দালিব ভাই সহ অন্য কেউ কোন প্রশ্ন তুলেন কীনা দেখা যাক এই উদ্দেশ্যে। আরও ভালো হলো, আপনি আসাতে। পুরা ব্যাপারটাই এখন পরিষ্কার হলো। আপনি যেভাবে লিখেছেন, সেটা আমি আরেকটু সহজ করে লিখে প্রবন্ধে লাগিয়ে দিবো।
আপনার কাছে ইনব্রিডিং নিয়ে লেখাটা চাইছিলাম, পাঠান নাই তো? অপেক্ষায় থাকলাম।
ব্রাভো!
চালায়া যা...
পড়লাম... ভাল লাগলো, অনেক কিছু সহজ করে লেখার জন্য ধন্যবাদ... :hatsoff: :hatsoff:
আবীর,রায়হান,খামোকা মাথার উপরে এত প্রেসার দিস ক্যান,এম্নিতেই মগজনাই ভাই বুদ্ধি ত হাটুতেও নাই আমার এখন......যাই হউক ভালো লাগ্লো পড়ে।লেজ না থাকলে কি হইছে এখনো কি মানুষ মানুষ হইছে নাকি?