মোবাইলে পর্নোগ্রাফি, বর্তমান প্রজন্ম ও বাবা-মা

(অন্য ব্লগে আমার এ লেখাটি এসেছে। ক্যাডেটদের জন্য এখানে আবার দিলাম)।

ঢাকার একটি পরিচিত চেইন রেস্টুরেন্টে বউ-বাচ্চাদের নিয়ে খেতে গিয়েছি। আমাদের টেবিলের পাশে দু-তিনটি টেবিল একসাথে করে দশ-বারোজন অল্পবয়স্ক স্টুডেন্টদের একটি গ্রুপও বসেছে। রুরো গ্রুপে বোধ হয় তিনিটি মেয়ে ছিলো। আমরা বসতে না বসতেই অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম ছেলেমেয়েগুলো নিঃসংকোচে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে চুমু খাচ্ছে। ওদের কোন লজ্জার চিহ্ন নেই, এদিকে আমরাই যেন লজ্জায় মরে যাচ্ছিলাম। দ্রুত খাওয়া শেষ করে আমরা উঠে পড়লাম, মনটা বিষন্নতায় ছেয়ে গেলো।

ছোটবেলায় টেলিভিশন দেখার সুযোগ আব্বা খুব কমই দিয়েছেন। বাবা-মা’র সাথে একসাথে বসে টিভি দেখেছি এমনটা মনে করতেও কষ্ট হচ্ছে। তবে এটা মনে আছে, সেসময় যদি এমন কোন দৃশ্য আসত যখন কোন মেয়ে ওড়না ছাড়া টিভি পর্দায় এসেছে, তাহলে আব্বার ভয়ে আমরা কুঁকড়ে যেতাম আর কোন মতে উঠে চলে আসতে পারলেই যেন বাঁচতাম। শেষ পর্যন্ত আব্বা ঘর থেকে টিভিই বিদায় করে দিলেন।

আমরা যারা বর্তমান প্রজন্মের ইমিডিয়েট আগের প্রজন্ম, তারা প্রায় সকলেই এমন সময় কাটিয়েছি। কোন কোন স্কুলে মেয়েদের সাথে পড়েছি বটে, তবে বন্ধুত্বের নামে মেয়েদের সাথে কোথাও গিয়েছি বা একসাথে বসেছি এমনটা আমাদের অধিকাংশের সুদূর কল্পনাতেও ছিলো না। কেজি থেকে টুয়েলভ পর্যন্ত পুরো ছাত্র বয়সে আমাদের অসংখ্য বন্ধুদের মধ্যে দুই কি তিন জনের হয়ত কোন মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো, তবে একজনেরও এখনকার মত বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিলো না তা নিশ্চিত। আমরা বন্ধুরা তা যে ধর্মের অনুসারীই ছিলামনা কেনো, সকল বাবা মা-ই এমন সুনির্দিষ্ট শাসনে আমাদের বড় করেছেন, আল্লাহ তাদের উপর রহম করুন যেরূপ রহম তাঁরা আমাদের উপর করেছেন।

সময় বয়ে গেছে দ্রুত। বিগত প্রজন্মের আমরা আজ বাবা-মা’র আসনে। আজ হতভাগা এই আমরা চেয়ে চেয়ে দেখছি আমাদের সন্তানেরা সাথে বসে শুধু টিভি নয়, অশ্লীল হিন্দি নাচ দেখে চলেছে। এসব দেখে তারা লজ্জা পায়না বরং আমরা লজ্জায় উঠে পড়ি কিংবা দেখেও না দেখার ভান করে ব্যাপারটাকে সহজ করে নেই। এয়ারটেল, গ্রামীন বা বাংলালিংকের সুদৃশ্য বিজ্ঞাপনগুলোতে আমরা দেখছি ছেলে আর মেয়ে বন্ধুরা কেমন হেসে হেসে গলা জড়িয়ে ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে বা মজা করছে। আমরা নিশ্চিত হয়েছি, এটাই বর্তমান যুগের বন্ধুত্ব। তবে অনেক কষ্ট নিয়ে আমরা দেখছি, আমাদের সন্তানেরা আজ শুধু মেয়েদের সাথে বন্ধুত্বের নামে ফ্রি মিক্সিংই শুরু করেনি, বরং রাতের পর রাত মোবাইলে অজানা সব আলাপে ব্যস্ত থাকছে। আমরা? আবার সেই দেখেও না দেখার ভান করছি আর ভাবছি, যুগের হাওয়া, বাচ্চা তো আর যুগের বাইরে যেতে পারেনা। পেপারে, খবরে দেখছি ছোট ছোট কিশোর কিশোরীর দল পর্নগ্রাফীতে আসক্ত হচ্ছে। আমরা ভাবছি, আমার সন্তানটা নিশ্চয়ই এতোটা খারাপ হবেনা।

এক সময় আমরা অবাক হয়ে দেখছি, আমাদের বাচ্চারা আজ আমাদের বন্ধন থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। যুগের হিসাব করে যে কাজগুলোতে আমরা প্রথমেই বাধা দেইনি, আজ সেগুলোতে জড়িয়ে তারা বাবা-মাকে এখনই বোঝা ভাবতে শুরু করেছে। অনেকে জড়িয়ে পড়ছে ড্রাগসের নেশায়, কেউ নারীর নেশায় কেউবা পুরুষের নেশায়। আজ এই ধ্বংস হয়ে যাওয়া সমাজ ব্যবস্থায় আমাদের বৃদ্ধ বাবা-মা’রা এখনও আমাদের সাথেই আছেন। তবে আমরা যখন বার্ধক্যে উপনীত হবো, তখন আমাদের অধিকাংশের অসহায় সময়টা হয়ত বৃদ্ধাশ্রমের বন্দীশালায় জুড়ে যাবে।

পৃথিবীর ইতিহাস এখন সত্যিই ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এত দ্রুত আর কখনও যুগের সাথে সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়নি। আমরা যেমন দেখছি আমাদের সন্তানদের বেলায়, তা থেকে আমাদের নিজেদের কৈশোর ছিলো অনেক পরিচ্ছন্ন, আবার আমাদের বাবাদের কৈশোর ছিলো আমাদের চেয়েও নিয়ন্ত্রিত আর পরিশুদ্ধ। আমাদের দাদা থেকে নিয়ে আজ যদি আমাদের সন্তানদের কৈশোরের সময়টা নিয়ে ভাবি তাহলে দেখতে পাবো মাত্র শ খানিক বছরের মধ্যে পৃথিবীর প্রতিটি কমিউনিটির সমাজ ব্যবস্থা অবিশ্বাস্যভাবে পরিবর্তিত হয়ে গেছে। এক সময় যা ছিলো ভীষণ অন্যায় আর অনৈতিকতা, আজ তা স্মার্টনেস হিসাবে পরিচিত হয়ে গেছে। এখন চলছে ২০১২, এবং আজ যদি আমরা ১৯১২ সালের সাথে নিজেদের সমাজ এবং মানসিকতাকে মেলাতে যাই তাহলে অবাস্তব মনে হবে। কিন্তু যদি ১৯১২ সালের সাথে ১৮১২ সালকে মেলাতে যাই, তাহলে সেটা ততটা উদ্বেগজনক হবেনা।

মনে পড়ছে ইসলামের ইতিহাসের সন্তানদের লালন পালনের সৌন্দর্যগুলো। আবু বাকর রাঃ যখন খলিফা, তখন তাঁর সন্তান আবদুর রাহমান বিন আবু বাকরকে এমনভাবে লালন পালন করেছেন যে, অধিকাংশ মানুষ তাকে চিনতোই না। উমার বিন খাত্তাব রাঃ যখন খলিফা হিসাবে মৃত্যু শয্যায়, তখন তাঁর পুত্র আব্দুল্লাহ বিন উমারের নাম উল্লেখ করে তিনি বলে যান “তাকে তোমরা পরবর্তি খলিফা কে হবে সে মত দেবার জন্য রাখতে পারো, কিন্তু সে খলিফা হতে পারবেনা”। বিখ্যাত তাবেয়ী উমার বিন আব্দুল আজীজ (যিনি পরবর্তিতে খলিফা হয়ে উমার রাঃ এর মতই ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন) যখন কিশোর, তখন তাঁর বাবা আবদুল আজীজ ছিলেন সিরিয়ার মতো বিরাট প্রদেশের গভর্ণর। তিনি ছেলেকে মদীনায় পাঠিয়ে দেন শিক্ষা গ্রহণের জন্য এবং শিক্ষককে বলে দেন, “আল্লাহর শপথ, যদি গভর্ণরের সন্তান হিসাবে তার প্রতি কোন পক্ষপাত আপনি করেন, তাহলে আল্লাহর কাছে আপনাকে আমি দায়ী করব”। এই উমার বিন আব্দুল আজীজ একবার মসজিদে সালাতে প্রথম রাকাত মিস করেন। তাঁর শিক্ষক তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, “কেন তুমি প্রথম রাকাত পাওনি”? তিনি জবাব দিয়েছিলেন, “আমার চুল আঁচড়াতে দেরী হয়ে গিয়েছিলো”। শিক্ষক তখন বললেন, “যেই চুল তোমার কাছে সালাতের চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে, সে চুল আমি আজই কেটে দেবো”। বালক উমারের বাবা তার কাটা চুলের এ ঘটনা শুনে বলেছিলেন, “আল্লাহ তার শিক্ষককে উত্তম বিনিময় দিন”।

যুগের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে যে সন্তানদের আমরা ভয়াবহ অনৈতিকতার দিকে ঠেলে দিয়েছি, সেই আমাদের মনে রাখতে হবে যে, যদি এমন কোন কাজের জন্য আমাদের সন্তান পরকালে আগুনের অধিবাসী হয় যা তার বাবা-মা শৈশবে শিক্ষা দেননি, তাহলে সে সন্তানেরাই আল্লাহর কাছে বলবে, “হে আল্লাহ, আজ আমাদের বাবা-মা’কে আমাদের পায়ের তলায় এনে দিন, আমরা আজ তাদের পিষে মারব, আর তাদেরকে আপনি দ্বিগুন শাস্তি দিন”।

আপনি নিশ্চিত থাকুন তা ঘটবেই, কেননা আল্লাহ তাই বলেছেন।

৩,৯৮৯ বার দেখা হয়েছে

২৫ টি মন্তব্য : “মোবাইলে পর্নোগ্রাফি, বর্তমান প্রজন্ম ও বাবা-মা”

  1. আজিজুল (১৯৭২-১৯৭৮)

    সময়ের চাকা আবর্তন প্রায় শেষ করে আবার শুরুর কাছা কাছি চলে আসছে।'আদিমতা' আবার 'স্মার্টনেসের' সমার্থক শব্দে পরিণত হতে চলছে।আরবিতে "আয়েমে জাহেলিয়াত" যুগের বর্ণনার পদধ্বনি কি আমরা শুনতে পাই????
    সুন্দর যুগপোযগি লিখার জন্যে ধন্যবাদ।


    Smile n live, help let others do!

    জবাব দিন
      • ফাইয়াদ (৮৯-৯৫)

        @ আমিন

        সোনাব্লগ সম্বন্ধে আমি জানি। ব্যক্তিগতভাবে আমি জামাতকে ইসলামের মূল ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন বলেই মনে করি।

        তবে ইসলামের কথা বলার প্ল্যাটফর্মের বড় অভাব। আমি তাই নাস্তিকতায় পরিপূর্ণ সামু থেকে শুরু করে জামাতি অধ্যুষিত সোনাব্লগ সবখানেই লেখার পক্ষপাতি।

        জবাব দিন
        • শরিফ (০৩-০৯)

          @ আমিন ভাই
          প্রথমত আমি বলি সোনা ব্লগে আমি কখনো ঢুকিনি । তাই ঠিক বলতেও পারবো না ঐ ব্লগ টা জামাতি ঘরণার ব্লগ কিনা ? তবে আমি একটা ব্যাপার খেয়াল করেছি এমন অনেকেই আছেন ইসলামের পক্ষে কোন কিছু বলতে গেলে প্রথমেই তাকে জামাতি বলে সাব্যস্ত করেন । আমার এখনো মনে আছে একদিনের ঘটনার কথা । আমি এক সময় নামাজ খুব একটা পড়তাম না । রুয়েটে ভর্তি হবার পর আমি একটু নামাজি হলাম । বাসায় গিয়ে মসজিদে নামাজ পড়া শুরু করলাম । আমার এই হঠাৎ এই পরিবর্তন দেখে একজন প্রশ্ন করলো যে আমি জামাতি ইসলামে যোগদান করলাম কিনা ? কারণ রাজশাহীতে নাকি জামাতি ইসলামের আধিপত্য অনেক ।
          আমার কথা হচ্ছে কেন আমাকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে আমি জামাতি ইসলাম? আমি নিজেও জামাতি ইসলাম পছন্দ করিনা । নামাজ পড়া শুরু করলে আর ইসলামের পক্ষে কোন কথা বললেই সে জামাতি হয়ে গেলো । রাজশাহীতে যদি জামাতি ইসলামের আধিপত্ত যদি থেকেও থাকে তাইলে আমি জামাতি হয়ে যাব ?
          আপনার কথা অনুযায়ী যদি সোনা ব্লগ যদি জামাতি ঘরণার ব্লগ হয়ে থাকে ঐ ব্লগের সবাই কি জামাতি ? সব কিছুতেই ভাল খারাপের মিশ্রণ থাকে । লেখক যদি ইসলাম প্রচারের এক মাধ্যম হিসেবে ঐ ব্লগে লেখা লেখি করেন তাতে ক্ষতি কি ? তিনি নিজে তো জামাতি ইসলাম করেন না তা আপনি উনার কমেন্ট দেখেই বুঝতে পারবেন । এই রকম ঐ ব্লগে এমন অনেক লোক পাবেন তারা জামাতি ইসলাম করেন না । সেই ক্ষেত্রে আপনার মতামত কি ? ঠিক তেমনিভাবে লেখক কে সোনা ব্লগ যে জামাতি ঘরণার ব্লগ সেইটা প্রশ্ন করার কারণ কি ?

          জবাব দিন
          • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

            তোমার চোখ আছে , ব্রাউজারও আছে। আমার কথাতে তোমার বুঝার দরকার কি যে সোনা ব্লগ জামাতি নাকি অ-জামাতি? একটু কষ্ট কইরা ঐটা ব্রাউস করলেই বুঝা যায়। তোমার কমেন্টের প্রথম প্যারাটা পুরা যে ইররিলিভেন্ট এটা কি বুঝ?? ইসলামের কথা বলায় কাউরে জামাত কি আমি কিংবা সিসিবির কেউ কখনো বলছে?? সোনা ব্লগ জামাতি ঘরণার ব্লগ -এটা যারা অনলাইন দুনিয়ায় যারা ঘোরে সবাই জানে। ঐ ব্লগে জামাত বিরোধী কিছু লোক আছে, এই বাইরে যারা সবাই হয় জামাত শিবির পছন্দ করেন অথবা ঘুরায়া প্যাচায়া পিছলায়া জামাত কম খারাপ এই জাতীয় স্ট্যান্ড নেন। অথবা জামাতের সমালোচনা হালকা কইরাও জামাতের যেই কাজের জন্য সেটাকে ঘৃণা করা উচিত তাকে পাশ কাটিয়ে যান। ফাইয়াদ ভাই কোন স্ট্যান্ড নিয়া এসবি ব্লগিং করেন সেটা জানতেই আমি প্রশ্ন করছিলাম। এটা বুঝার জন্য তো রকেট সায়েন্টিস্ট হইবার দরকার নাই। লেখক ইসলাম প্রচারের জন্য ব্লগিং ঐখানে করতেই পারেন তবে জামাত শিবিরের পক্ষ লেখা বুলশীটগুলারে যদি তিনি সুশীলের মতো পাশ কাটাইয়া যান এবং জামাতিদের সাথে খাতির রাখেন তাতে অন্তত তার ব্যাপারে আমার স্বাভাবিক শ্রদ্ধা থাকবে না।

            জবাব দিন
            • শরিফ (০৩-০৯)

              তোমার কমেন্টের প্রথম প্যারাটা পুরা যে ইররিলিভেন্ট এটা কি বুঝ??

              ভাই এইটা আমার অফটপিক একটা কথা । আমি শুধু আমার ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতাই এখানে শেয়ার করেছি ।

              ইসলামের কথা বলায় কাউরে জামাত কি আমি কিংবা সিসিবির কেউ কখনো বলছে??

              ভাই আমার কথায় আমি কই বলেছি যে আপনি অথবা সিসিবির কেউ ইসলামের কথা বলায় তাকে জামাত বলেছে । আমি শুধু কথার প্রসঙ্গে আমি আমার ব্যাক্তি গত জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি এই জন্য যে এখনো অনেক মানুষের এই ধরনের চিন্তা ভাবনা আছে । তারা ইসলাম আর জামাত কে মিক্সড করে ফেলে । এই কথা আপনাকে অথবা সিসিবির কাউকে আমার মিন করে বলা নয় ।

              তবে জামাত শিবিরের পক্ষ লেখা বুলশীটগুলারে যদি তিনি সুশীলের মতো পাশ কাটাইয়া যান এবং জামাতিদের সাথে খাতির রাখেন তাতে অন্তত তার ব্যাপারে আমার স্বাভাবিক শ্রদ্ধা থাকবে না।

              ভাই আপনার মতো আমারও একই চিন্তা ভাবনা । জামাতিদের আমি কখনো পছন্দ করিনি এবং ভবিষ্যতে করবও না ।
              তাদের আমি ঘৃণা করি ।
              ফাইয়াদ ভাই এর কমেন্ট দেখে মনে হইছে তিনি জামাতি দের সাপোর্ট করেন না । তিনি আরও বলেছেন যে এই যে ঐ ব্লগে যে সকল নাস্তিক নিক আছে তারা খুবই সক্রিয় এবং সামু থেকেও ওখানকার নাস্তিকদের দ্বারা যে কোন ইসলামিক আর্টিকেল আক্রান্ত হয়।

              তোমার চোখ আছে , ব্রাউজারও আছে। আমার কথাতে তোমার বুঝার দরকার কি যে সোনা ব্লগ জামাতি নাকি অ-জামাতি?

              😀 ভাই এমনিতেই ছাত্র মানুষ । ফেসবুক আর ক্যাডেট কলেজ ব্লগের পিছনে অনেক সময় ব্যয় করি । আবার নতুন করে সোনা ব্লগ এর ব্লগ গুলো পড়ে ঐ ব্লগের কয়জন জামাতি আর কয়জন অজামাতি এইটা নির্ণয় করতে পারবো না ভাই । 😀 আর অন্য ব্লগে খুব একটা যাওয়া হয় না । আমি আপনার কথা শুনে মেনেই নিয়েছি যে ঐ ব্লগে জামাতিরা আছে । জামাতিদের বাইরে অন্য কেউ আছে কিনা সেই ব্যাপারে জানতে চেয়েছি ।

              আরও একটি অফটপিক নিয়ে কথা বলি । আমি যেমন জামাত কে পছন্দ করিনা ঠিক তেমনি ভাবে যারা ইসলাম কে কটাক্ষ, ব্যঙ্গ , বিদ্রূপ করে কথা বলে তাদের কেও পছন্দ করিনা । এইটা আপনাকে অথবা সিসিবির কাউকে মিন করে আমি বলছিনা । নিতান্তই ব্যক্তিগত মতামত ।

              জবাব দিন
  2. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    ভাইয়া, ঐ জড়িয়ে ধরে চুমু খাওয়াটা কি passionate kissing ছিল, নাকি সাধারন hugging & kissing ছিল?

    অশ্লীল হিন্দি নাচ দেখার জন্য আমি দায়ী করবো গার্জিয়ানদের। বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই টিভি চ্যানেল দেখা নিয়ন্ত্রনের দ্বায়িত্ব তাদের, এর মাঝে বাচ্চারা আশেপাশে থাকলে তারা নিজেরা কোন চ্যানেল দেখছে সেটাও পড়ে। আমি নিজে হিন্দি নাচ গানের চ্যানেল অন করে রেখে এটা আশা করতে পারি না যে তখন ছেকে মেয়েরা আমার পাশ থেকে উঠে যাবে।

    ছেলে মেয়েতে সাধারন বন্ধুত্ব হচ্ছে, তারা এক সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে এতে আমার কোন আপত্তি নেই, বরং এটাই স্বাভাবিক হওয়া উচিৎ। তবে তাদের কি কি করা উচিৎ এবং উচিৎ না (ছেলে,মেয়ে উভয়ের জন্য) সেটা সম্পর্কে বিষদ ধারনা দেবার দায়িত্ব অবিভাবকদের।

    শেষে দুদিন আগে প্রথম আলোতে প্রকাশিত এই খবর সম্পর্কে আপনার মতামত জানতে চাচ্ছি।

    সোনার বাংলা ব্লগে আপনার ব্লগিং এর বিষয়টি ঠিক হজম করতে পারলাম না।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • ফাইয়াদ (৮৯-৯৫)

      থ্যাংকস আহসান।

      প্রথমতঃ কিসিং কোনটা কি সংজ্ঞায় পড়ে আমি জানিনা। তবে ১২-১৩ বয়সীদের ওপেন কিসিং সেটা আমরা যাই বলিনা কেনো, ভয়াবহ একটি ব্যাপার। আজ আমি যদি বাইরে গিয়ে দেখি আমার ছোট ভাইটি বা বোনটি কোন জড়তা ছাড়া এমন কাজটি করে যাচ্ছে তাহলে হয়ত এর ভয়াবহতাটা আমরা বুঝতে পারব। কিসিং নয়, ড্রেস-আপের ব্যাপারেই আমার একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি। আমার পেশাগত ক্ষেত্রে একজন বাবা তার ১৪ বছর বয়সী একটি মেয়েকে নিয়ে এসেছিলো। মেয়েটি ড্রেসের বর্ণনা আমি দিচ্ছি না, তবে তা ছিলো ভীষণ দৃষ্টিকটু। বাবার সামনে বলা আমার উচিৎ হয়নি, তবে আমি বলে ফেললাম "মা, তোমার এই ড্রেসটা মুসলিম হিসাবে পরা ঠিক হয়নি"। আমি কোন ভিগোরাস রি-একশন আশা করছিলাম, তবে আলহামদুলিল্লাহ, তা না হয়ে মেয়েটি মাথা নীচু করে সায় জানালো। দুজন বের হয়ে যাবার পর বাবাটি আবার একা ফিরে এসে আমার হাত ধরে বলল- "নিজের কাছে খুব খারাপ লাগলেও যুগের কথা চিন্তা করে তার সব আবদারে আমি সায় দিয়েছি, কখনও মেয়েকে কিছু বলিনি। আজ আমার বড় উপকার হলো"। আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন, সবার হিসাবে এটা আমার অনধিকার চর্চা হয়েছে কিনা জানিনা, তবে মুসলিম হিসাবে তা আমার ভালো লেগেছে।

      তুমি ভালো বলেছো, অশ্লীল নাচ-গান দেখার প্রায় পুরোটা দোষ গার্জিয়ানের, কোন সন্দেহ নেই।

      ছেলে-মেয়ের সাধারণ বন্ধুত্ব বলতে এখন যেটা হচ্ছে, গোঁড়া বা কট্টর মনে হলেও মুসলিম হিসাবে এটা আমি কিছুতেই সমর্থন করতে পারিনা। এক্ষেত্রে আমি অভিযুক্ত।

      পাকিস্তানের খবরের যে লিংক তুমি পাঠিয়েছো তা সম্পর্কেঃ

      প্রথমতঃ যদি খবরটি সত্যিই হয়ে থাকে যে শুধুমাত্র একত্রে নাচ-গান করার অপরাধে কাউকে হত্যা করা হবে, তাহলে তা কোনভাবেই ইসলামিক রুলিং নয় এবং যে কেউ আল্লাহর দেয়া আইনকে টুইস্ট বা মাস্ক করে, তার সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই।
      দ্বিতীয়তঃ আশংকা ও দুঃখজনক কথা হলো এই যে, এসব খবরের প্রায় সবগুলোই অতিরঞ্জিত বা সত্যের ভগ্নাংশ মাত্র। কোন লোক, সে যদি সত্যিই ইসলামকে জেনে ধর্মীয় নেতা হয়ে থাকে, তাহলে সে কিছুতেই এমন রুলিং দিতে পারেনা, কেননা সে জানে অন্যায়ভাবে কোন একটি মানুষ হত্যার হুকুম করা হলে তার পরজীবনের পুরোটাই শেষ। ইসলাম এবং ইসলামী শরিয়াহকে যতভাবে সম্ভব কালারড আর অপদস্ত করা যায়, তার সবটাই করে ইসলাম বিরোধীদের নিয়ন্ত্রিত বিশ্ব মিডিয়া। সুতরাং ইসলাম বিষয়ক তাদের কোন খবরে চোখ বুঁজে বিশ্বাস করা কোনভাবেই ঠিক হবে না।

      সোনার বাংলা ব্লগ সম্পর্কেঃ

      জামায়াত সম্পর্কে আমি আবার বলি, আমি এর কেউই নই এবং জামায়াত ইসলামের নামে ক্ষমতা ভোগের নির্লজ্জ চেষ্টায় আছে বলেই আমি মনে করি। তবে যদি একাত্তরের বিষয়টি উহ্য রেখে চিন্তা করি, তাহলে বাংলাদেশের অন্যান্য ধর্ম ব্যবসায়ী আর ইসলামিক দল থেকে ইসলামিক লিটারেচারের প্রচার ও প্রকাশনায় জামায়াত এগিয়ে আছে। কিছু মার্কামারা আলিম আর মওদুদীর বই বাদ দিয়ে অথেন্টিক ইসলামী অনেক লিটারেচার ওদের মাধ্যমেই প্রকাশিত হয়েছে, ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থেই যা কোনদিনও করবেনা। সোনার বাংলা শুধুমাত্র জামাতীদেরই নয়, এখানে সবাই আছে। লক্ষ্যনীয় ব্যাপার হলো এই যে অখানে যে সকল নাস্তিক নিক আছে তারা খুবই সক্রিয় এবং সামু থেকেও ওখানকার নাস্তিকদের দ্বারা যে কোন ইসলামিক আর্টিকেল আক্রান্ত হয়। তবে ইসলামের কথা সব মানুষের কাছেই বলা কর্তব্য, এজন্যই আমি এসবিতে লেখার পক্ষপাতি।

      থ্যাংকস আবারো।

      জবাব দিন
      • রায়হান আবীর (৯৯-০৫)
        >তবে যদি একাত্তরের বিষয়টি উহ্য রেখে চিন্তা করি, তাহলে বাংলাদেশের অন্যান্য ধর্ম ব্যবসায়ী আর ইসলামিক দল থেকে ইসলামিক লিটারেচারের প্রচার ও প্রকাশনায় জামায়াত এগিয়ে আছে। কিছু মার্কামারা আলিম আর মওদুদীর বই বাদ দিয়ে অথেন্টিক ইসলামী অনেক লিটারেচার ওদের মাধ্যমেই প্রকাশিত হয়েছে, ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থেই যা কোনদিনও করবেনা

        যা বুঝার বুইঝা গ্লাম! উহ্য কইরা চিন্তা করা আবু উসাইদা সাহেব সম্পর্কে নিশ্চিত হৈলাম!

        জবাব দিন
  3. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ফাইয়াদ ভাই
    আপনার ব্লগটি আমাকে বেশ ভাবিয়েছে।
    প্রথমে অনুরোধ থাকবে (২ টি)।
    ০১ নামটি বাংলা করে দেবার জন্য এবং কলেজে অবস্থানকাল সংযুক্ত করার জন্য। মনে হয় আপনি ৮৯-৯৫ ব্যাচের।
    ০২ আপনার লেখা সিসিবি তে অগ্রে দিলে খুশী হতাম। অন্য ব্লগে আগে দিয়ে আমাদের টাতে পরে দেওয়াটাকে ঠিক মেনে নিতে পারছি না। একটু ভেবে দেখবেন।

    প্রথমে যে কাহিনী বর্ণনা করেছেন তা বেশ হতাশাব্যাঞ্জক।
    ধরে নেওয়া যায় ওদের বয়স ১৬-১৭।
    বাংলাদেশের সমাজব্যাবস্থার সাথে এবং ঘরের বাইরে এরকম মেনে নেওয়াটা বেশ কঠিন।
    তবে একই সাথে আপনার ইসলামপ্রীতি (ব্যাঙ্গারথে নয়) ঘটনাটিকে ভিন্নভাবে ভেবে দেখতে উতসাহিত করছে।( প্রসঙ্গত বলে রাখি আমি আল্লাহ-খোদা মানি না।)
    একটু খোলাসা করি। নেটে মাঝে মধ্যেই বাংলাদেশের প্রেমিক-প্রেমিকাদের ছবি দেখা যায়। সেগুলোর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জুটি গুলির সামনে ছাতা থাকে। সেখানে আপনি যেভাবে বর্ণনা করলেন তাতে কিছুটা বিস্মিত হয়েছি।
    যদিও আপনি ঘটনা চাক্ষুষ করেছেন, বিবরণ ও দিয়েছেন তারপরও মনে হলো ঘটনাটা এমন ঘটেনি তো।
    কারো জন্মদিন ছিলো, বা অইরকম কিছু একটা। বন্ধু-বান্ধবদের সাথে দেখা হয়েছে। একে অন্যেকে জড়িয়ে ধরেছে, গালে গাল ছুইয়েছে, কিংবা গালে চুমু দিয়েছে।

    এবং এই প্রারম্ভিক প্যারাটির সাথে আপনার পুরা লেখাটার কোন যোগসূত্র খুজে পেলাম না।

    টিভি দেখার প্রসংগ এসেছে। (আধুনিক বিজ্ঞানের সব আবিষ্কারের কথা নাকি কোরআনে- হাদিসে আছে)
    আপনি কি টিভি জিনিসটাকেই বাতিল করে দিতে চাচ্ছেন!
    ক্লিয়ার না ভাই।
    তবে আপনাদের বাসা থেকে টিভি বিদায় প্রমাণ করেছে আপনি বেশ ধর্মীয় পরিমন্ডলে বড় হয়েছেন।
    আমাদের ছেলেবেলায় বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম ছিলো টিভি, দুপুরে অনেকে রেডিও শুনতেন। (আমিও সিনেমার গান ও নাটকের বেশ ভক্ত ছিলাম)
    আজকের মতোন তখন ২৪ ঘন্টার অনুষ্ঠান হতো না। শুক্রবার মনে হয় তিনটায় টিভি খুলতো; অন্যান্য দিন পাঁচটায় কি?!
    টিভি খোলার আগে বেশ কিছুক্ষণ একটানা শব্দ হতো। তারপর বোধহয় লোগো সহ আরো পাঁচ মিনিট। তারপর অনুষ্ঠান শুরু। ঘোষক শুরু করতেন সালাম দিয়ে (মনে নেই, নাকি শুভ বিকাল বা এই রকম কিছু বলতেন), তারপর বিভিন্ন ধর্মের ইমামরা আইসা তাদের ধর্মের কথা বলতেন।
    ঐ টিভিতে কার্টুন, নাটক, সিনেমা, খবর, গান, ম্যাগাজিন ছাড়াও কিন্তু ইসলামী গান (রোযার সময়), আযান, কোরানের আলো, কোরআন শিক্ষার আসর ইত্যাদি অনুষ্ঠান হতো।
    আর নায়িকার ওড়না ছাড়া লাফালাফি, বা চুড়ির শব্দ, বা নাচ,এমনকি গান ইত্যাদি যৌন উত্তেজক হতে পারে সমাজ, পারিবারিক কাঠামো, ব্যাক্তিগত রুচি ইত্যাদির উপর নিরভর করে।
    হাম্মামখানা বলে একটা জিনিস আমরা অনেকেই জানি। বাংলাদেশ নদী-নালার দেশ বলে আমরা যৌথ হাম্মামখানার কথা চিন্তা করতে পারি না যা কিনা অনেক রাষ্ট্রেই একসময় ছিলো।
    মোল্লা উমরের শাসনামলে মেয়েদের হাম্মামখানার পাশ দিয়ে পুরুষদের যাতায়াত নিষিদ্ধ ছিলো। কারণ কল্পনাপ্রবণ পুরুষেরা পানির শব্দে অনেক কিছুই ভেবে নিতে পারে।

    একটা জিনিস ভুলে গেলে চলবে না সঙ্গম একটি আদিতম ব্যাপার। সঙ্গম ছাড়া কোন কিছুই সম্ভবপর নয়। তাই বলেই কি সঙ্গম অশ্লীল?
    উপমহাদেশের কোন একটি ছবি (ফিল্ম) দেখে পশ্চিমের এক সমালোচক বলেছিলেন, তোমরা কি কাপড়ের উপর দিয়েই সেক্স করো নাকি?
    সিনেমাতে বাসর রাতের পরদিন সকালে নায়িকার ঈষৎ ভেজা চুল দেখে ঝানু দর্শকেরা বুঝে যান রাতের বেলা কি হয়েছে।
    একসময় বাংলাদেশে ভিসিয়ারে ছবি দেখা হতো। আর সেসময় ভারতীয় ছবিগুলো পাকিস্তান বা মধ্যপ্রাচ্য ঘুরে আসতো। নায়ক-নায়িকার কোন উত্তেজক গান, বা আবেগঘন দৃশ্য, কিংবা ভিলেনের ধর্ষণের দৃশ্য থাকলে ঐ সময় কাটপিস দেখানো হতো; সাগরের ঢেউ বা ঘোড়ার ছুটে চলার দৃশ্য।
    মহানায়ক এরশাদ কিন্তু খবরপাঠিকাদের খবরপাঠ করতে দেখেই উত্তেজিত হতেন। কথিত আছে, অনেক কিছুই।
    আমার এক বন্ধু একবার এক বোরখা পরিহিতার গলঃদেশ দেখে এতোটাই উত্তেজিত হয়ে হয়ে পড়ে যে ঐ বোরখাওয়ালী নিয়মিত তার স্বপ্নে হানা দিতে থাকে।
    আরেকবার কোন এক অনুষ্ঠান উপলক্ষে আমার বাসায় বেশ কয়েকজন বন্ধুবান্ধব রাতে ছিলো। পরদিন সকালে এক বন্ধু আরেক বান্ধবীর জন্য বাথরুমে গরম পানি দিয়ে আসে। অতঃপর বন্ধুটি এসে আড্ডায় এক কুতসিত হাসি দেয়।
    আরেকবার এক বন্ধু জনৈক নারী নেত্রীর গলার ভয়েস আমি খেয়াল করে শুনেছি কিনা জানতে চায়। আমি বললাম, কেনো? সে উত্তর দিলো, দোস্ত ওই মহিলার খুব হাস্কি ভয়েস, পুরা ঘষা দিয়া যায়। পাঠক অনুমান করুন কই ঘষা দেয়।
    আরেকবন্ধু তো এক মেয়ের পায়ের গোছা দেইখা রাইতে আইসা ঘুমাইতে পারে না।
    তাইলে?
    তবে কি আমরা নারীকে গৃহবন্দী করে রাখবো?

    একবার আমি পায়রা পোষা শুরু করি; এক জোড়া দিয়ে শুরু। এক ছোটভাই এসে বলে, ভাই আপনার পায়রা কি পিঠ দেয়? আমি তো বুঝি না পিঠ দেওয়া মানে কি! কিছুদিন পর দেখি পায়রারা দেখি সারাদিন পিঠ দেয়।
    নিজেদের গাভীটারে আমরা পশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়া যাই অস্ট্রেলিয়ান ষাড় দিয়া পাল দেওয়ার জন্য। একবারে গর্ভ না হইলে আবার নিয়া যাই।
    খুব ছোটবেলায় যখন ইংরেজি জ্ঞান ইয়েস, নো, ভেরি গুড, আই গো, ইউ গো এর মধ্যে সীমাবদ্ধ তখন BREAST শব্দটি প্রথম শুনি। কেনো জানিনা শব্দটি আমাকে ভাবিয়ে তোলে, আমি মাকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করি, আম্মা ব্রেষ্ট মানে কি? আম্মা জানতে চাইলেন কোত্থেকে শুনেছি?
    (চলবে)


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
    • ফাইয়াদ (৮৯-৯৫)

      রাজিব

      তোমার প্রথম পরামর্শ মতো নিক বাংলা করেছি আর সন জুড়ে দিয়েছি। দ্বিতীয় পরামর্শ মতো সিসিবি তে লেখা দেব, যদি আল্লাহ চান।

      ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ব্যাপারেঃ

      ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধিকাংশ অনুবাদ ও বেশ কিছু স্থানীয় লেখকের প্রকাশনা আছে যা ক্লাসিক ইসলামী লিটারেচারের ভেতরে পরে। আমাদের দেশের হুজুর শ্রেণীর লেখার ভাষা খুব উন্নত নয় (আর এটাও সমাজের উচ্চশিক্ষিত শ্রেনীর ইসলামিক কিছুতে এলার্জির একটি অন্যতম কারণ)। তবে বুখারী, মুসলিম, তিরমিজি, ইবন মাজাহ, আবু দাউদ ইত্যাদি হাদীস গ্রন্থের ঝরঝরে অনুবাদ ইসলামী ফাউন্ডেশন বের করেছে। পৃথিবীময় বিখ্যাত কুরআনের ব্যাখ্যা 'তাফসীর ইবন কাসীর' ইসলামী ফাউন্ডেশন বের করেছে, তবে সাধু ভাষায় হওয়াতে আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা পড়ে খুব স্বাচ্ছন্দবোধ করিনি। বিপরীতে জামাত নিয়ন্ত্রিত আধুনিক প্রকাশনীও বুখারী, মুসলিম সহ হাদীস গ্রন্থের প্রাঞ্জল অনুবাদ বের করেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন ইসলামী প্রকাশনীর পুস্তক সম্ভার পীর-ওলী-বুজুর্গের নামে বানোয়াট কাহিনীর প্রকাশনা দিয়ে ভর্তি, অথচ রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সাহাবাদের বিশুদ্ধ জীবনী কেউই বের করেনি। এক্ষেত্রে এগিয়ে আছে আধুনিক প্রকাশনী। তারা 'আসহাবে রাসুলের জীবনকথা' নামে ৬ খন্ডের একটি সিরিজ বের করেছে যার প্রতিটি বর্ণনার সূত্র উল্লেখ করা আছে। এ কাজে এদেশে তারা পাইওনিয়ার। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে বিশুদ্ধ ইসলামিক বইয়ের অন্যতম সোর্স, তবে এর সব বই-ই তা নয়। আওয়ামিলীগ বা বিএনপি ক্ষমতায় যাবার পর বঙ্গবন্ধু আর জিয়ার নামে ছাপানো বইগুলো ছাড়াও বিচিত্র সব ভ্রান্ত মতবাদের বই আর আউলিয়া কাহিনীও ইফাবা প্রকাশ করেছে। তবে বাংলাদেশের সকল সোর্সের বিবেচনায় ইফাবা নিঃসন্দেহে প্রধান সোর্স।

      আমার পয়েন্টটা তুমি ধরতে পেরেছো কি? বাংলাদেশের ইসলামিক দলগুলো যেমন-চরমোনাইয়ের ইসলামি আন্দোলন, খেলাফত মজলিশ, ইসলামি ঐক্যজোটের অন্যান্য সদস্য, বিভিন্ন পীর যেমন-আটরশি, দেওয়ানবাগী, শর্শিনা, ফুলতলী......... ইত্যাদি সবার নিজস্ব প্রকাশনা আছে। জামাতের মওদুলী, আব্বাস আলী খান, গোলাম আজম, নিজামী সহ নিজস্ব সার্কেলের কিছু লেখকের বইগুলো বাদে তাদের প্রকাশিত বই আর অন্য প্রকাশনাগুলো বইগুলো তুলনা করে দেখো। আশা করি বুঝতে পারবে। তবে আমার এ মন্তব্যের জন্য কেউ যদি আমাকে জামাত ঘেঁষা আখ্যা দেয়, তাহলে আর কিচ্ছু বলার নেই।

      তোমার লেখাটা শেষ করো, তারপর আমি রিপ্লাই দেব আল্লাহ যদি চান। এর আগে লিখলে প্রসঙ্গ পালটে যেতে পারে।

      জবাব দিন
      • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

        আমার কাছে আসহাবে রাসূল বইটির সফট কপি আছে।
        জামাতের সাইমুম পড়েছি একসময়।
        তবে সবাইকে বলবো জামাতের আশেপাশে না ঘেঁষার জন্য।
        আপনি আমার সিনিওর। আপনার যার বই ইচ্ছা পড়তে পারেন।
        আমার কাছে জামাত স্বাধীনতা বিরোধী ছাড়া আর কিছুই নয়।
        আমি আগে একটা লেখায় বা মন্তব্যে গো আযমের মিথ্যাচার সম্পর্কে বলেছিলাম।

        যাইহোক এতো কথায় না যেয়ে একটা কথাই বলি ঢাকা শহরে কোন এক ফাষ্ট ফুডের দোকানের কতিপয় কিশোর-কিশোরীদের খোলামেলা আচরণের সাথে ১৪০০ বছর আগের লোকজনের তুলনা বা আলোচনা আমার কাছে অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে।


        এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

        জবাব দিন
    • শরিফ (০৩-০৯)
      আমার এক বন্ধু একবার এক বোরখা পরিহিতার গলঃদেশ দেখে এতোটাই উত্তেজিত হয়ে হয়ে পড়ে যে ঐ বোরখাওয়ালী নিয়মিত তার স্বপ্নে হানা দিতে থাকে।আরেকবন্ধু তো এক মেয়ের পায়ের গোছা দেইখা রাইতে আইসা ঘুমাইতে পারে না।
      তাইলে?

      😛 হাহা রাজীব ভাই এক্সক্যাডেটস ফোরামে কোন একটা পোস্টে আপনার দেখে খুব মজা পাইছি। আপনার কোন এক বন্ধু (ছেলে ) নাকি বিয়ের সময়ে কেঁদেছিল । :khekz: আপনার লাইফে দেখি সব এক্সেপশোনাল ঘটনা ঘটছে । কিন্তু ভাই মনে রেখেন - Exception can not be the example 😀

      জবাব দিন
  4. আপনি বাঙালি হয়ে, বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বড় হয়ে বিদেশী ধর্ম থেকে নীতিবোধ টানেন? বিদেশী পরিবেশের সংস্কৃতির দালালী করেন? আশ্চর্য়?? একেই বোধহয় বলে সাংস্কৃতিক দাসত্ব।

    জবাব দিন
    • ফাইয়াদ (৮৯-৯৫)

      @ রায়হান আবীর

      ভাই আবীর, তোমার কমেন্টের প্রেক্ষিতে আমার আগের একটি লেখা থেকে একটি অংশ তুলে দিচ্ছি।

      "১৯৭১ সালে দুর্বৃত্ত পাকিস্তানী শাসক আর তাদের অনুগত হানাদার সেনাবাহিনী এদেশের নিরীহ জনগনের উপর যে অত্যাচার করেছে তার সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই, আর তাদের সাথেও ইসলামের সম্পর্ক নেই, যারা ইসলামের দোহাই দিয়ে স্যেকুলার পাকিস্তানী সেই সেনাবাহিনীকে সমর্থন করেছে। সাদ্দাম হোসেনের মতো প্রকাশ্য ইসলাম বিরোধী শাসক কুয়েত দখল করার পর যদি ইসলামের দোহাই দিতো, আর তাকে সমর্থনের জন্য একদল কুয়েতী যদি ইসলামের নাম দিয়ে তাকে সমর্থন করতো, তাহলে অবস্থাটা দাঁড়াতো ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পাক সেনাবাহিনী আর এদেশে তাদের সমর্থকদের মতো। কিন্তু প্রকৃত অর্থে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল এবং তাঁর মনোনীত দীন ইসলামের সাথে সে যুগের সেই বাহিনীর কোন সম্পর্ক ছিলোনা"।

      আমি বিষয়টা আগেই ক্লিয়ার করেছি। তবে তোমার যা খুশি তা তুমি বুঝে নিতে পারো।

      @ সাইফুল (ভাই)

      রাজিবের মতো আমিও কনফিউসড আপনি কাকে এটা বলেছেন। যদি ক্লিয়ার করেন তাহলে উত্তর দেব ইনশাআল্লাহ।

      @ ফিরোজ (ভাই)

      ধন্যবাদ আপনাকেও। বোঝাটাও অনেক বড় একটা অগ্রগতি। বোঝার পরও বসে থাকার অবকাশ কমে যাবে।

      জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।