এই ব্লগে যারা লিখছে তাদের পরিচয় পাওয়ার জন্য আমাদের কথায় গেলাম। গিয়ে দেখি আমিই এই ব্লগের সিনিয়র মোস্ট রাইটার। বেশির ভাগই ৯৯ ব্যাচ। এরপর রাতে শুয়ে ভাবছি ৯৯ ব্যাচ কোনটা আমাদের কলেজের। সাথে সাথে আমার সেই দুঃস্বপ্নের দিনের কথাটা মনে পড়ে গেল। এতদিন যা লিখেছি সবই মজার কাহিনী। আজ তাই সেই দিনের কাহিনী লিখার চেষ্টা করি। আমি কোনদিন কাউকে এই কাহিনী ভালো করে বলতে পারিনি। এমন কি বলতে চেষ্টা করিনি। যারাই আমার কাছে জানতে চেয়েছে খুব সযতনে বলেছি খুব বাজে দিন ছিল। এর বেশি কিছু না। আজও মনে হয় পুরাটা বলতে পারবনা।
১১ নভেম্বর ১৯৯৯। আমরা তখন ১০ম শ্রেণী টেস্ট পরীক্ষা চলছে। কলেজে তখন এথলেটিক্স এর তোড়জোড়। সেই সাথে ঝিনাইদহ তে হতে যাওয়া ICCAM নিয়ে বেশ তোড়জোড়। আমি তার আগের বছর ৯ এ থাকতেই কলেজের দ্রুততম বালক হয়ে যাওয়াতে এসএসসি পরীক্ষা থাকা স্বত্বেও আমিও ICCAM এর সদস্য। সাদা রঙের কলেজ ট্র্যাকস্যুট পরে খুব ভাব মারি। যাই হোক টেস্ট চলছে তাই প্র্যাকটিস কিছুদিনের জন্য বন্ধ। সেই দিনের কথা আমি জীবনে ভুলবনা। ঐদিনই ক্লাস ১২ এর প্রিটেস্ট শুরু হবে। দু ক্লাসেরই অডিটোরিয়ামে পরীক্ষা হতে হবে তাই আমাদের তার আগের ৬টা সকালে হলেও সেদিন থেকে আমরা বিকেলে পরীক্ষা দিব। ওইদিন আমাদের ধর্ম পরীক্ষা। সকালে এথলেটিক্স গ্রাউন্ডে ফলইন। সিলেটের শীতকালের সাথে যাদের পরিচয় নেই তাদের জন্য নভেম্বর মাস থেকেই আমাদের বাড়তি কম্বল নিতে হত। আর মাঝে মাঝেই আমরা পিটি করতাম একাডেমী ব্লকে কারণ কুয়াশা। আমরা আর ক্লাস ১২ এর ভাইয়ারা এক কোনায় দাঁড়ানো কারণ পরীক্ষা আমরা চলে যাব। এনাম স্টাফ এর ওই কথা আমার এখনো কানে বাজে ১২ এর মাথা গুনে উনি চীৎকার করে বলেছিলেন ফিফটি ওয়ান। খুব সাধারণ একটা দিন। রুমে এসে ড্রেস চেঞ্জ করে একটু ফ্রেশ হয়ে এসে ধর্ম বইটা নিব এমনই চিন্তা। রুমে ঢুকতেই দেখি ১২ ব্লকের সামনে সবাই বেরিয়ে এসেছে খুব চিল্লাছে। আমি ভাবলাম পোলাপান সবাই যখন হাউসে আসে তখন একটু হইহই হয় ওটা শুনে মনে হয় ১২ এর পড়ার ডিস্টার্ব হয়েছে তাই শান্টাচ্ছে। রুমে ঢুকে পড়ছি এমন সময় ১১ এর শামীম ভাই আমার সামনে , কামরুল ক্যাডেট মারা গেছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম কোন কলেজে। আমাদের হাসপাতালে কোন রোগী নেই ওইরকম তাই আমার খুব একটা বিকার হয়নি। শামীম ভাই বলল আমাদের কলেজের গ্রাউন্ডে রোলার এর নিচে পড়ে ক্লাস সেভেন। আমার মাথা আউলিয়ে গেল পুরাপুরি বলে কি? অসম্ভব। দৌড়ে গেলাম ক্লাস সেভেনের ব্লকে। সবাই চীৎকার দিয়ে কাঁদছে। আমাদের রুমের পিছনে ছিল হাউস প্রেয়ার রুম। ওখান থেকে কাউসার এর উচ্চকন্ঠের কোরান পড়া এক মুহূর্তের মধ্যে সাধারণ সেই দিন বদলে গেল। কিছু ভাবতে পারছিনা।
কলেজের গ্রাউন্ড সমান করার জন্য সবসম্য সিটি করপোরেশনের একটা রোলার আসে। ওইবার আমাদের কলেজের ক্রিকেট পিচ বানাবার জন্য একটা রোলার কেনা হল। ৫টন ওজন। সেটাকে কাজে লাগাবার ভালো বুদ্ধি পেয়ে গেলেন এডজুট্যান্ট। করপোরেশনের রোলার লাগাবার আগে ক্লাস সেভেনের বাচ্চাদের দিয়ে পুরা ৪০০ মিটার ট্র্যাক সেই রোলার দিয়ে সমান করা। সবাই মোটামোটি এথলেটিক্সে অংশগ্রহন করে শুধু ক্লাস সেভেন থেকে বড়জোড় ২-১ জন। তাই তাদের দিয়েই করানো। আমি তখন ICCAM এর সদস্য। সকাল বিকাল প্র্যাকটিসের মাঝেই দেখি ক্লাস সেভেনের বাচ্চা গুলা খুব আনন্দের সাথেই সেই জিনিস টেনে নিয়ে যাচ্ছে। রোলারের সাথে একটা লম্বা রশি লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। আর ওরা সবাই সেই রশি ধরে হইহই করতে করতে ওটা টানছে। কেউবা রসিকতা করছে। খুব অমানবিক খুব অপমানকর জিনিসের মধ্যে থেকেও মজা করার যেই ক্যাডেটীয় গুন ততদিনে তাদের আত্মস্থ করা হয়ে গেছে। প্রতিদিন আমাদের স্যার কে বলি স্যার যে কোন দিন একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। স্যার রেগে গেলেন শেষে আমি কি করব। শুনলাম স্যার গীবতখানায় এই কথা প্রিন্সিপ্যাল কে বলেছিলেন। স্যারের ছেলে ছিল ক্লাস ৭ এ সৌরভ। তাই প্রিন্সিপ্যাল এর কথা আপনার ছেলে আছে দেখে আপনার গায়ে লাগছে? ও কিন্তু এখন ক্যাডেট। ছেলে হিসেবে ভাববেন না। গাধা গুলার মাথায় কিছুতেই ঢুকানো যায়নি যে এই প্রক্রিয়াটা ভয়ংকর। সেজন্যই আল্লাহ বুঝি বোঝানোর দায়িত্ব নিলেন। সেই কুয়াশার দিনও ওদেরকে দিয়ে রোলার টানানো হয়েছিল। ফলাফল দুই ক্যাডেট রোলারের পড়ে গিয়েছিল। সামনের যারা টেনেছিল তাদের জানার আগেই দুইজন রোলারের নিচে।(আমার আর লিখতে ইচ্ছা করছেনা )
এবারও সেই সকালের কাহিনী আমি এড়িয়ে গেলাম। আর বেশি কিছু বলতে পারলাম না। আমরা তখন সবাই বেড়িয়ে আসলাম হাউস থেকে। সবাই হতভম্ব। বিশ্বাস করেন তখনো আমাদের কোন বিদ্রোহ করার চিন্তা নেই। ক্ষোভ থাকার থেকে হতভম্ব ভাবই বেশি। সবাই তখনো আমরা হাহাকার করছি আমাদের কথাটা যদি কানে তুলত তাহলে এটা হতনা। আমরা হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে আছি এই সময় আমাদের ভিপি (পামোশ) বেরিয়ে এসে বললেন কি ব্যাপার তোমরা এখানে কি কর যাও রুমে যাও। ক্লাস ১২ তোমাদের না পরীক্ষা যাও পড়ালেখা কর। ব্যাস শুধু এই কথাটাই আমাদেরকে ক্ষেপিয়ে দিল। সবাই মিলে আমরা চলে গেলাম এথলেটিক্স গ্রাউন্ডে। সেখান থেকে গেট ভেংগে আমরা রাস্তায় বসে পড়লাম। এনাম স্টাফ ছিলেন সেই রোলার টানার দায়িত্বে। সবার মুখে শুনলাম উনি নাকি ধাক্কা মেরেছিলেন তাই সবাই তার উপর খেপে আছে। ওনাকে তখন হাতের কাছে পেলে আমরাও খুনী হয়ে যেতাম। আমি জানি উনি কোন অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ধাক্কা মারেননি কিংবা ধাক্কা হয়ত মারেননি তাও আমার কানে এখনো ওনার সেই ফিফটি ওয়ান কথাটা কেন যেন খুব বাজে। উনি কি পারেন এখনো সেই দিনটির কথা ভুলে যেতে? ওনার নিজের ছেলের দিকে তাকিয়ে কি ওনার সেই দুটি কচি মুখের কথা মনে পড়ে যায় না?
দুপুর পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিলাম আমরা। এয়ারপোর্টের একমাত্র রোড হওয়ায় কিছু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ক্যান্সেল হয়ে গিয়েছিল। আমি এক রোগীকে দেখেছিলাম এম্বুলেন্স নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু আমাদের দেখে আর কাহিনী শুনে ওনারা কিছু বলেন নি। আমরা সেই এম্বুলেন্সকে যাওয়ার রাস্তা করে দিয়েছিলাম। আমি জানিনা তাঁকে নিয়ে তার প্লেন যথাসময়ে উড়েছিল কিনা। তাও আমার তার জন্যও খারাপ লাগে। একসময় ডিসি দাংগা পুলিশ পাঠিয়ে দিলেন। সে সময় আমরা কি করেছি তার কোন দিশা ছিল না। পামোশ এসে বলল তোমরা এইরকম করছ কেন। সেই ছেলে গুলা কি আমার ছেলে না । তার সেই মায়াকান্নায় আমরা একটুও সহমর্মিতা পাইনি। তাই ক্ষোভে তিনি যখন বললেন তোমরা আমার মাথায় মার। তখন কে যেন সত্যি সত্যি একটা পাথর মেরে দিল ওনাকে লক্ষ্য করে। অনেক ভালো স্যারকেও তখন আমরা অপমান করেছি। শেষে এরিয়া কমান্ডার এসে আমাদের রাস্তা থেকে তুলে নেন। দুপুর বেলা সবাইকে ডাইনিং রুমে নেওয়া হয়। আমার মনে পড়ে না আমি কাউকে খেতে দেখেছি। সেটা কোন প্রতিবাদ ছিলনা। মুখ দিয়ে খাওয়া যাচ্ছিল না। ইকবাল আর রেজা দুজন কেই তখন খুব মনে পড়ছিল। আমার সাথে কারোই কোন কথা হয়নি। শুধু রেজা ছিল আমার পাশের টেবিলে। ও খাওয়ার সময় মুখ হা করে খেত। আমি ওর গাইডকে বলেছিলাম ওকে বল যেন মুখ বন্ধ করে খায় দেখতে ভাল লাগেনা। হয়তবা সেজন্য তাকে শান্টিং খেতে হয়েছিল। আমার শুধু সেই কথাই মনে হচ্ছিল। ইকবাল ছিল আমার ছোট ভাইর পাশের রুমে। খুব মিষ্টি (চিকি শব্দটা এখন ওর জন্য বলতে খুবই বিশ্রী লাগছে) ছিল তার চেহারা আমি পরে ছবি দেখে চিনেছি কারণ ক্লাস সেভেনের সবাইকে ওইভাবে মনে রাখা হয়ে উঠেনি তখনো। আমার ছোটভাই কাছে তখন শুনছিলাম ভাইয়া দুইদিন আগেই আমি ওকে ভয় দেখিয়েছি। ওর রুম আর আমার রুমের মাঝে একটা ছোট ফুটা আছে। সেদিন সবাই সিনেমা দেখছে আমিও সিনেমা দেখিনা দেখলাম ঐ ছেলেও একা একা রুমে বসে আছে আমি রুমের লাইট বন্ধ করে সেই ফুটা দিয়ে একটু আওয়াজ দিলাম। এরপর দেখি সেই ছেলে রুম থেকে বেরিয়ে আসল। আমিও বের হলাম বলে ভাইয়া আমার রুমে ভুত। আমি ওর সাথে রুমে গেলাম। গিয়ে কিছুক্ষণ থেকে আবার বেরিয়ে এসে একই কাজ করলাম। কিছুক্ষণ পরে দেখি ইকবাল চলে গেল সিনেমা দেখতে একা রুমে থাকতে আর সাহস পায়নি। এখন কেমন আছে ইকবাল। সেখানে একা একা কেমন করে থাকে ও। (কাহিনীটা কনকের মুখে শোনা ওর গলাতেই বললাম)
এটা নিয়ে আর লিখতে ইচ্ছা করছেনা। এতদিন পরেও আবার চোখে পানি চলে আসল। সেদিন আমরা অনেক কিছু করেছিলাম। তার বিবরণ দিতে পারছিনা। কারণ এখনো এরপরের সবকিছুকে বড় অর্থহীন মনে হচ্ছে। ক্যাডেট কলেজে আর আমরা আসব কিনা সেটাও সেই রাতে আমাদের সংশয় ছিল। কিন্তু তারপর আমরা ৩ মাসের অনির্দিষ্ট কালের ছুটি কাটিয়ে আবার কলেজে গিয়েছি আবার হাসি ঠাট্টা করেছি আবারো জুনিয়র পিটিয়েছি আর খুব সযতনে ভুলে যেতে চেষ্টা করেছি ইকবাল আর রেজার নাম। সিনিয়র দের নাকি জুনিয়র দের নাম ব্যাচ মনে থাকেনা। তাই ওদের ব্যাচের কাউকে যখন জিজ্ঞেস করি তোমরা কোন ব্যাচ। ওরা বলে আমরা ইকবাল রেজার ব্যাচ। কোনদিন যদি আমার ইকবাল রেজার সাথে দেখা হয়ে যায় আমি সবার আগে ওদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিব। কেন জানিনা কিন্তু আমার থেকে ছোট হয়ে ওরা চলে গেল আর আমি বহাল তবিয়তে কলেজে সব মজা করলাম আমার নিজেকেও খুব অপরাধী মনে হয়।
(আমি কাঁদছি , বিদেশ এসেছি ৪ বছর প্রথম দিকে মাঝেই মাঝেই কাঁদতাম। অনেক দিন পরে চোখে পানি আসল। অন্য কারো চোখে যদি পানি নিয়ে আসি আমি সরি। কলেজের সব ঘটনা যে শুধু মজার তেমন কথা নেই। অনেক কষ্টের ঘটনাও যেমন পানিশমেন্ট পরে মজা লাগে কিন্তু এই ঘটনা আমার জীবনের কোনদি আমি ভুলবনা যদি এইটাই আমি ভুলে যেতে চাই। খুব জানতে ইচ্ছা করে ইকবাল রেজার মা কেমন আছে। ইকবাল একমাত্র ছেলে ছিল শুনেছিলাম পরে আরেকটি ছেলে হয়েছিল। আর রেজার বাবাকে দেখতাম আমরা যখন কলেজের ছুটিতে বাসায় ফিরতাম উনি স্টেশনে আসতেন। নাহ আর পারা যাচ্ছেনা। নার্ভের ও তো একটা সহ্য করার লিমিট আছে। অনেকদিন ভুলে ছিলাম)
২০ টি মন্তব্য : “কালো দিন”
মন্তব্য করুন
জটিল লিখছেন তপু ভাই.. ক্লাস সেভেনের ছেলেদের দিয়ে রোলার টানানোর আইডিয়াটা কিন্তু এডজুডেন্টের ছিল না.. প্রিন্সিপালের মাথায়ই আসে প্রথম ব্যাপারটা.. যাইহোক, আল্লাহ রেজা ও ইকবালকে জান্নাত নসীব করুক.. আমিন।
মর্মস্পর্শী লেখা। খালি মারা যাবার কাহিনীটাই শুনেছিলাম আগে। খবু ভাল লিখছেন আপনি...
কি বলব বুঝতে পারছি না। কাঁদতেও পারছি না, আবার না কেঁদেও থাকতে পারছি না। আল্লাহ ওদের আত্মার শান্তি দিন।
Pamosh was our VP.And we were in class 12.Same Story there.Some people are sadistic who love to bother the cadets.These shitheads should face their nemesis someday.
5th November 1999, Special parents day for class seven boys and i guess i was the only person from class twelve who was an special attendee (Based on the request made by Cadet Reza's parents). Over there they told me to take care of their son and i assured them not to worry.
11th November 1999, Cadet Iqbal was just on my left while we were saying our Fazar prayer. I told him to leave the house masque and attend the fall in. I did not let him to say even the munajat (coz we were too late).
I am Hassan (964). House Cultural Prefect, Titumir House and i used to take care of Class Seven Boys. From that very day my life has been changed. Reza and Iqbal Bhaia where ever you are, both of you are always in my heart.
হাসান ভাই কেমন আছেন। কামরুল আমি। মনে আছে তো। এখন জাপানে।
কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। পড়ার পর অনেক্ষণ স্তব্ধ হয়ে থাকতে হলো।
আমিও কেবল কাহিনীটা শুনেছিলাম যার মধ্যে আজগুবি অনেক কিছুও ছিল। লেখাটার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ইকবাল, রেজা নাম দুটি '৯৯ ব্যাচের সব ক্যাডেটের অন্তরে গেঁথে থাকবে।
why life has to be so cruel sometimes???
They say,death takes only the best souls first.Reza and Iqbal were probably the best souls among all of us.So the angel of death chose them.
May their souls rest in peace.
Kamrul Bhai,I will not belittle you by thanking for this blog.It really touched my heart.
I am from 10 batch. I remember I read the news in a bangla newspaper in New York, but there wasn't much detail . After reading this one I couldn't hold my tears...
ইকবাল-রেজা, ভাইয়েরা আমার-শান্তিতে ঘুমাও...
ক্যাডেট হিসাবে যেখানেই পরিচয় দেই-বুকটা আপনাআপনিই বেড়ে থাকে...শুধু এই প্রসঙ্গটা উঠলে আমি আমার ক্যাডেট পরিচয়ের জন্য ভীষণ লজ্জা পাই...মানুষ হিসাবেও খুব লজ্জা লাগে...
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
ইকবাল রেজার কথা মনে করিয়ে দিলি। আমি আজকে অনেকদিন পরে কী মনে করে ব্লগে ঢুকলাম। মনে হয় ওদের আত্মার শান্তির প্রার্থনাই টেনে নিয়ে এলো আমাকে! মন খারাপ হয়ে গেলো মনে পড়ায়। ভালো থাকিস কামরুল।
kamrul vai apnar lekhatar jonno onek dhonnobad. ami 24th e ri ekjon. reja ar iqbal amader pray shobar lide eri ekta boro part hoye ase. apni reza iqbal er ma r kotha jante cheyesen. amra shob somoy chesta kori onader sathe jogajog rakhar. onara amader dekhle khub khushi hon. amader onekei 11/11 e borisal e giyechilo reza r kobor ziyarat korar jonno. ami ekhon japan e ei karon e trip ta miss korsi. jai hok oder 2 joner baba mar shunnota amra hoyto kokhonoi puron korte parbo na. but amader shobar moddhe reza ar iqbal shob somoyi beche thakbe.
sorry vai amar font thik kaj korte se na. tai banglish lekhte hoilo 😕
আজ এতদিন পরও লেখাটা পরে কান্না আসছে,আমার ওনেক দিনের ইচ্ছা ভাইয়াদের কবর যিয়ারত করতে যাবার 🙁
আগেও চেষ্টা করেছি পারিনি, আজো কিছু লিখতে পারলাম না। .............................................
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
অনেকক্ষণ ধরে এই পৃষ্ঠা তা খুলে বসে আছি..
আমার ছোট্ট vaia দুটোর জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো.. আর দোয়া রইলো ওদের বাবা মাএর জন্য. স্রষ্টা যেন তাদের প্রতি সদয় হন!
জানি না এই লেখাটা কিভাবে নিলে ভালো হবে ....
ওই দুইটা ছোট্ট ভাইয়ের জন্য আর ওদের পরিবারের সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো.....
আল্লাহ এর কাছে রেজা আর ইকবাল ভাই এর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি । (সম্পাদিত)
অনেক দিন পরে আবার পড়লাম লেখাটা।
কিছু বলার নাই। ১৯৯৯ সালের সেই দিনে খবরটা শুনে আমরা বুঝার চেষ্টা করেছিলাম ওখানে কী হয়েছিল। সত্যটা না জেনেও আমরা কষ্ট পেয়েছিলাম। ইকবাল নামে ছেলেটা মনে হয় সাই ফাই লিখতো মুহম্মদ জাফর ইকবালকে অনুকরণ করে। তার কিছু অংশ পত্রিকায় এসেছিলো। কেমন যেনো শুন্যতার বোধ হয়েছিলো। সেই ছেলে যে এর লেখক সে আর ফিরে আসবে না। আজ একযুগ পড়ে যখন ফিরে তাকাই আমার নিজের মনে হয় আমিই কতটুকু ছিলাম আর সেই চেলেগুলৈ বা কতটুকু ছিলো।
এতো অকালে চলে যায় !! কেমন যেন কষ্ট লাগছে হঠাৎ করেই ।
কিছু বলার নাই।
এই লেখাটাও পড়লাম আর লোপা আপাদের নিয়ে লেখাটাও পড়লাম।চোখের পানিটা ধরে রাখেত পারলাম না ভাইয়া।সব দুঃখের মাঝখানেও একটা কথা ভেবে ভাল লাগে সুখে দুঃখে ক্যাডেটরা সবাই যেন আষটেপৃষঠে জড়ানো।
কিছু বলার নাই ভাই