অভিজিত রায়ের সাথে পলিটিক্যালি বা ফিলোসফিক্যালি আপনি এলাইনড না, আবার তার হত্যাকান্ডের নিয়ে নীরবও থাকতে পারছেন না। অতএব, অভিজিত রায়ের মৃত্যুর সংবাদে বেকায়দায় পড়ে গেছেন? তাহলে এই চোথা আপনার জন্য।
১) প্রথমেই ইহা ‘প্রকৃত’ ইসলাম না বলে ফেলুন। এবার আপনার কাজ সহজ। ইসলামের দৃষ্টিতে নন মুসলিমদের সাথে কীভাবে আচরণ করতে হবে তা নিয়ে আলোচনায় খুন ইত্যাদি অনেক দুরে নিয়ে এটাকে ইসলামী আলোচনা বানিয়ে ফেলুন।
২) বিধর্মীর (নাস্তিক) নামে কেন রেস্ট ইন পিস লেখা হলো, সেটা লেখা মুসলিম হিসাবে কেন উচিত না এই মর্মে ত্যানা প্যাচানোর আয়োজন করুন।
৩) অভিজিত রায়ের মৃত্যুতে আপনি হয়তো দুঃখিত নন। তাতে কি? সেটা প্রকাশ করবার দরকার নেই। তার মতের সাথে না মিললেও (এটা বলে গুরুত্বপূর্ণ কেননা তা না হলে উগ্রপন্থীরা আপনাকে ইসলামবিরোধী ভাবতে পারে) আপনি তার মত প্রকাশের ব্যাপারে কতটা সচেতন সেটা উল্লেখ করুন। এখানে কিন্তু কাজ শেষ হলো না। কেননা যুগ এখন ব্যালেন্স থিউরীর। আপনি বলবেন, “অভিজিতকে মারা ঠিক হয়নি, তবে ,” এই তবের পরেই আপনার ক্ষোভকে খুব সাবধানে উগড়ান। অভিজিতের এমন কোন লেখার লিঙ্ক বের করুন যাতে সাধারণ মানুষের কাছে তার নাস্তিক ব্লগার রূপ স্পষ্ট করা যায়। তারপরে বলে দেন, ” তারও উচিত হয় নি মানুষের ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়া।
৪) তারপরে হলো গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অভিজিতের মৃত্যু যে কেবলই একটি বিশেষ ঘটনা না সেটা বুঝানোর জন্য দেশে মানবাধিকারের অভাব, গুম খুন , বিশ্বজিত সাগর রুনি ইত্যাদি যত ইস্যু আছে সেগুলো হাইলাইট করেন। এখন আপনার কাজ সোজা হয়ে গেছে। মূল ঘটনা হতে ফোকাস অনেকখানি দূরে চলে গেছে।
৫) কে কোন বিষয়ে কথা না বলে এখন অভিজিত নিয়ে কথা বলছে সেটা নিয়েও হালকা খোঁচা মেরে রাখতে পারেন।
৬) সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো কনসপিরেসি থিউরী। সেটার জন্য মাঠ এখন প্রস্তুত। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে কেন সরকারী দলই পরিকল্পিতভাবে অভিজিতকে মেরেছে এমন থিউরী বলতে পারেন চাইলে। তবে এক্ষেত্রে রিস্ক থাকে সরকারের কোপানলে পরার। অতএব অনির্দিষ্টতা আরোপ করুন। কেন কারা কীভাবে এ কাজ করলো কখনোই বুঝা যাবে না — এমন একটা হেঁয়ালি ভাবে পুরো ব্যাপারটা বায়বীয় করে তুলুন।
৭) অতপর কয়েকদিন আগের লঞ্চডুবির ঘটনা ফোকাসে আনুন। এমনকি যদিও আপনার সেটা নিয়ে কোন আগ্রহ ছিলো না, তবে অভিজিতের ইস্যুকে লঘু করবার জন্য এর চেয়ে ভালো উপায় নেই।
বাস ব্যালেন্স মোটামুটি সমাপ্ত। অতপর এখন বিজ্ঞভাবে বলতে থাকেন, অভিজিতকে মারা ঠিক হয় নি তবে অভিজিতেরও উচিত হয় নি ধর্মকে আঘাত করে কথা বলার। দুই কুলই রক্ষা করবার জন্য।
উপরের কথা গুলো কোন জেনারালাইজড কথা না। কোন নির্দিষ্ট ধর্ম বা পলিটিক্যাল গ্রুপের উদ্দেশ্যেও না। তবে ধর্মের নাম দিয়ে অধর্ম হলে আমার পরিচিত অনেক ধার্মিককেই দেখি এটা ‘প্রকৃত’ ধর্ম না বলে ধর্মের পিঠ বাঁচিয়ে নিজেদের দায়িত্ব শেষ মনে করেন। কিন্তু ‘অপ্রকৃত’ ধর্মের হাত থেকে ধর্মের হাত থেকে ‘প্রকৃত’ ধর্মকে বাঁচাতে অধর্মের বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ কখনও সেভাবে দেখি না। সেই আক্ষেপ থেকেই কথা গুলো লেখা।
আর জোর গলায় বলি, যেসব লোকজন নাস্তিক মরছে বইলা মনে মনে খুশি হয়া নাচতেসেন, তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেই, আপনাদের অনেকেই তো গাজা নিয়া হ্যাশট্যাগ দেয়ার সময় লিখছিলেন, গাজা সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুসলিম হওয়ার দরকার নাই, অনলি মানুষ হওয়াই যথেষ্ট। তো এই জায়গায়ও কই অভিজিতের হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করতে নাস্তিক হওয়ার দরকার নাই, মানুষ হওয়াই যথেষ্ট।
অভিজিত রায়কে আমি চিনি না। তবে তার কিছু লেখা আমার পড়া হয়েছে। বিজ্ঞানকে সহজভাবে চমৎকার ভাষায় উপস্থাপন করার অসাধরণ ক্ষমতা ছিলো তার। বিবর্তন আর পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে আমার মাঝে আগ্রহ তৈরি করাতেও তার লেখা বইয়ের ভূমিকা ছিল। যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন অভিজিত রায়।
৩৬ টি মন্তব্য : “অভিজিত রায়ের মৃত্যু পরবর্তী ফেসবুকীয় চোথা (টু হুম ইট মে কনসার্ন)–”
মন্তব্য করুন
:boss: :boss: :boss:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
না জানাটা দোষের কিছু না, কিন্তু জানতে না চাওয়াটা দোষের। এইগুলানের শাস্তি হওয়া উচিৎ!!
আজ সারাদিন মুখ গুঁজে কাজ করে গেছি। ভাবতে চাইনি কেন, কিভাবে, কারা। স্তম্ভিত হবার অবকাশ দেইনি নিজেকে।
ভাববার শক্তি ভোঁতা হয়ে গেছে। ফেসবুকে বুলি কপচানোরও কোন মন নেই
:bash:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
উনাকে নিয়ে কেন ভাবতেই হবে গুরু? উনি ব্লগ জমানার গুরুত্বহীন এক লেখক। তার লেখার অধিকার যেমন ছিলো তার লেখা্য় ক্ষুব্ধ হবার অধিকারও লোকের ছিলো। তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং ইশ্বরের কাছে তার জন্য ক্ষমা চাই।
ক্ষুদ্ধ হবার অধিকার থাকা মানে কি খুন করারও অধিকার থাকা?
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
না। খুনের অধিকার কারোই নেই। তবে সমস্যা হলো যারা খুন করিয়েছেন তারা কিন্তু ঈশ্বরের প্রতি অবমাননা হয়েছে এ কারণে খুনটা করাননাই। এটা ইডিলজিক্যাল ফাইটের একটা অংশ যেখানে হত্যা অতি স্বাভাবিক ব্যাপার। ইডিয়লজিক্যাল কারণে নবীজিও হত্যা কান্ডের নির্দেশ দিয়েছেন, কারণ তা প্রয়োজনীয় ছিলো। একই ভাবে একজন খলিফাকে হত্যা করা হয়েছিল ইডিয়লজিক্যাল কারণে, সেটাও প্রয়োজন ছিলো। একাত্তরে আমরা পাক বাহিনীকে হত্যা করেছি ইডিয়লজিক্যাল কারণে। আবার পাক বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে ইডিয়লজিক্যাল কারণে। তিনি ঈশ্বর প্রশ্নে বৈজ্ঞানিক যুক্তি নির্ভর কথা লিখেছেন। মননশীলরা অবশ্বই ঈশ্বরের কালচারাল অস্তিত্বে প্রশ্ন তুলবেন। কিন্তু যেখানে সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ বিষয়টা পছন্দ করেননা সেই খানে এত প্রচারের দরকার কি? মনে রাখবেন এই পৃথিবীতে শেষ পর্যন্ত কেউই নাস্তিক থাকতে পারেননি। মৃত্যুকে আপনি যখন দেখতে পারবেন তখন আপনার নাস্তিক থাকার উপায় নেই। এটাই মানব সংস্কুতি।
একবিংশ শতাব্দিতে শান্তিকালিন সময়ে একটি হত্যাকান্ড ঘটেছে আর "সুশিক্ষিত" জনেরা তার পক্ষে সাফাই দিচ্ছেন আনকোয়ালিফাইং এনালজি টেনে টেনে। এর চেয়ে হতাশার বিষয় আর কি হতে পারে, আমার জানা নাই।
১) "ইডিয়লজিক্যাল কারণে নবীজিও হত্যা কান্ডের নির্দেশ দিয়েছেন, কারণ তা প্রয়োজনীয় ছিলো।"
ভুল এনালজি কারন,
এখন থেকে হাজার-দেড় হাজার বছর আগের সমাজে কনফ্লিক্ট রিজলভের কালচারটাই ছিল শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে। তখন যা ঘটেছে, তা সেদিনের কালচার মেনে। এখন সেটা করতে চাওয়া কি ভাবে যুক্তি গ্রাহ্য হয়?
২) "একাত্তরে আমরা পাক বাহিনীকে হত্যা করেছি ইডিয়লজিক্যাল কারণে"
প্রথম কথা হলো, আমরা পাক বাহিনিকে কোন "ইডিয়লজিক্যাল" কারনে মারি নাই, মেরেছি আত্মরক্ষার্থে। ওরা যে কারনেই মারুক, তার পক্ষে "যুদ্ধকালিন" পরিস্থিতি ওদের জন্য একটা যুক্তি হতে পারে। যুদ্ধকালিন অবস্থা ও শান্তিকালিন অবস্থার কিছু ভিন্নতা থাকা স্বাভাবিক।
এই এনালজিটাও ভুল কারন এখানে শান্তিকালিন পরিস্থিতিতে ঘটা একটা অপরাধকে যুদ্ধকালিন অবস্থায় সংঘটিত কর্মকান্ডের সাথে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে।
৩) "মনে রাখবেন এই পৃথিবীতে শেষ পর্যন্ত কেউই নাস্তিক থাকতে পারেননি"
মেরে ফেলা হলে মানুষ আর নাস্তিক থাকে কি করে? তবে আপনার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে। পিউ রিসার্চ বলছে, পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম জনগোষ্টিই (প্রায় ১৯%) হলো ধর্মহীন। শুধু তাই না, এদের বৃদ্ধির হার অন্যদের চেয়ে বেশী। তো কবে নামছেন এই ১৩৫ কোটির মত ধর্মহীন মানুষ নিধনে?
কারন আপনিই তো বললেন পার্থক্যটা "ইডিয়লজিক্যাল", তাই তাঁদের নিধনও তো প্রয়োজন, তাই না?
এটাও ঠিক, আপনার লিখাটা একটা বড় রকমের আই ওপেনার। কোমলমতি ছাত্রদের কিসব ভুলভাল এনালজির মাধ্যমে মানুষ হত্যার মত এইসব অপরাধ্মূলক কর্মকান্ডে ঢোকানো হচ্ছে, তা বুঝলাম।
আমি খুবই আশাবাদি যে রাজিব হায়দার কেইসের মত এবারের হামলাকারিরাও চিহ্নিত ও ধৃত হবে। আবার আমরা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে দেখবো, ঐ একই বা অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ছাত্রই কাজটা করেছে, এইসব খোঁড়া যুক্তি শুনে।
আমারা দুঃখ পাবো কিন্তু একবারও কি ভাববো, এই জন্য ঐ ভিক্টিম শুধু নয়, ঐ ছাত্রদের পরিবারগুলোকে কি কি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে তাঁদের বাকিটা জীবন?
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ধন্যবাদ পারভেজ ভাই আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য।
১. ধর্মের বিকাশ যে মূলত রাজনৈতিক কারণে এটা আপনি হয়তো স্বীকার করবেন। আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগেও পলিটিকসের মূল উদ্দেশ্য ছিলো নিজের ইডিয়লজি প্রতিষ্ঠা করা এবং অপোজিট ইডিয়লজিকে সাপ্রেস করা। এই মহূর্তে আমরা যেমন পরস্পরের ইডিয়লজিকে সাপ্রেস করার চেষ্টা করছি। মূল উদ্দেশ্য কি? "আমি" যে সঠিক তা প্রমান করা।(যদিও আমি সঠিক এটা প্রমান করে কোন লাভ নেই, তারপরও মানব প্রকৃতিএই যে এমন! হা হা হা ) তো আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগেও পলিটিক্যাল হত্যা কান্ড প্রয়োজন ছিলো, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
২.একাত্তরের প্রশ্নে আপনি যদি সরাসরি আত্মরক্ষার প্রসংগ টেনে আনেন তাহলে আমি দু:খ পাবো। আত্মরক্ষার শুরু হয়েছিলো ফর্মাল ফাইট আরাম্ভ হবার পর। ইডিয়লিজক্যাল ফাইট শুরু হয়েছিলো পশ্চিম আর পূর্ব পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই। মানব সভ্যতার ইতিহাসে শান্তি কালীন কোন সময় নেই। হয়তো সব সময় তারা কামান-বন্দুক নিয়ে যুদ্ধ করেনা তবে, ক্ল্যাশ কিন্তু চলতেই থাকে। এই প্রসংগে আপনাএ ফুকোর পাওয়ার নিয়ে লেখাটা পড়ার পরামর্শ দেবো। আপনি তাহলে অনগোয়িং ইডিয়লজিক্যাল ক্ল্যাশ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাবেন।
৩. প্রচলিত ধর্মহীন গোষ্ঠীর কাউকে নাস্তিক বলা যায় কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। নাস্তিক সম্ভবত সেই ব্যক্তি যিনি প্রচলিত কোন ধর্মে জন্ম নিয়েছেন কিন্তু পরবর্তীতে চিন্তার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছন আসলে ঈশ্বরের যে প্রচলিত ধারণা আছে তার কোন যুক্তি নেই। যার ক্ষেত্রে জন্ম থেকেই কোন ধর্ম নেই তার ক্ষেত্রে তো ধর্মহীনতাই ধর্ম!! তবে হ্যা, এমন ধর্মের লোক প্রচলিত ইশ্বরের শাস্তি বা অনুকম্পার আশায় থাকবেনা সুনিশ্চিত। তবে যে ব্যক্তি যুক্তিনির্ভর চিন্তার মাধ্যমে নাস্তিকে পরিনত তিনি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত ভয় পাবেন, আশা করবেন মৃত্যু পরবর্তী জীবনের। কারণ আপনি একটি বায়োলজিক্যাল এবং সোশ্যাল এনটিটি মাত্র। এই বিষয়ে বিশদ ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজন মনে হয় নেই।
৪. আমি আসলেই এখনো একজন কোমল মতি ছাত্র। মতি এখনো কঠিন হয়নাই বিধায় অধিকাংশ নতুন বিষয় ধারণ করতে পারি। আপনাকেও পরামর্শ দেবো মতি কোমল করার। নাইলে তো ভাই একটা যায়গায় আটকে যাবেন!!
সর্বশেষ আরেকটা কথা বলি ভাই। সামাজিক ডিসকোর্সে ভুল এনালজি বলে আসলে কিছু নাই। এনালজি কন্ট্রাডিক্টরি হতে পারে। মানুষের সামাজিক আচরণ আপনি পানির দুইটা হাইড্রোজেন আর একটা অক্সিজেনের polar covalent bond দিয়ে নির্ভুল ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবেননা। ভালো থাকবেন।
আরেকটা বিষয়ও কিন্তু মাথা থেকে একেবারে উড়িয়ে দেয়া উচিত হবেনা। আপনি আমি যেই গোষ্ঠীটিকে সন্দেহাতীত ভাবেই সন্দেহ করছি, তারা হয়তো আদৌ ঘটনাটি ঘটায়নি। দীর্ঘ দিন ক্রিমিন্যাল-আর্মি-পুলিশ নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে কথাটি বল্লাম।
হাহাহাহা, কত্ত মজার আলোচনা হচ্ছে, তাইনা মাহমুদবাবু? নাস্তিকতা কি ধর্ম নাকি ? নাস্তিকরা কি আসলে পরে আস্তিক হয়ে যায় নাকি ? অভিজিত রায় কি ইম্পরট্যান্ট ব্লগার নাকি? কত্ত গিয়ান জাহির করা যায় আলোচনায়। আর বিভিন্ন রকম ত্যানা প্যাচানর পরে নানারকম কন্সপিরেসি টেনে এনে আলোচনার মুখ বিভিন্ন দিকে ঘুরান যায়।
"আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগেও পলিটিক্যাল হত্যা কান্ড প্রয়োজন ছিলো, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।"
মানে এটা পলিটিক্যাল হত্যা। আপনি আগে থেকেই বুঝে ফেলছেন।
"আপনি আমি যেই গোষ্ঠীটিকে সন্দেহাতীত ভাবেই সন্দেহ করছি, তারা হয়তো আদৌ ঘটনাটি ঘটায়নি। দীর্ঘ দিন ক্রিমিন্যাল-আর্মি-পুলিশ নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে কথাটি বল্লাম।"
খুনের ধরন, জায়গা, সময়, যেভাবে আগে ঘোষণা দিয়ে ও পরে দায় স্বীকার করা হয়েছে - সবকিছু থেকে সন্দেহের তীর কোনদিকে যায় এটা বুঝতে রকেট সাইন্টিস্ট হওয়া লাগে না।
আর শেষ কথা, যখন অপ্রাসঙ্গিক আউল ফাউল জিনিস আলোচনায় ঢুকাচ্ছেনই, মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্তে যখন বুঝবেন যে এর পরে আর কিছু নেই, থাকতে পারে না, আর সেই জন্যই বায়লজি আপনাকে টান দিয়েছে বংশবৃদ্ধির জন্য, ঠিক তখন আপনি নাস্তিক হয়ে যাবেন, ঠিক যেমন আপনার নবী হয়েছিল।
আপসোস, মরার পরে আর কোরানে চ্যাপ্টার ঢুকানো যায় না।
ইডিলজিক্যাল ফাইট, যুক্তি নির্ভরতা, মননশীল, নবীজি, বেশ ভাল ভাল কিছু শব্দ ব্যবহার করেছেন. মন্তব্যটা দেখতে বেশ ভারী ভারী লাগছে. ভাল.
জানতে ইচ্ছে করে, মানব সংস্কৃতির যে সংজ্ঞা দিলেন,
এটি কার মস্তিষ্ক প্রসূত?
এই অসত্য তথ্যরই বা রেফারেন্স কি?
সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ এর পছন্দের বিষয়ই যদি মাথায় রাখতে হত তবে এ পৃথিবীতে কালোরা কোনদিন মানুষের মর্যাদা পেত না, ইসলাম ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি পেত না, কিংবা সূর্য পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে এ ধারণাও পরিবর্তন হতনা. পরিশেষে, গাজায় মানুষ মারা গেলে দু:খ পান, চিন্তা জাগে বাংলাদেশে মানুষ মরলে তখন দু:খের জায়গাটা কই থাকে?
সামিয়া আপুকে শুধু এইটুকুই বলব, নিজেকে জানার প্রক্রিয়া শুরু করুন। আপনি যা পড়ছেন তার সবই কিন্তু ফাইনাল নয়। শুধু পড়লেই হবেনা, যুক্তি দিয়ে বিবেচনা করতে হবে এবং কম্প্যারেটিভ এনালিসিসে যেতে হবে। এবং মনে রাখতে হবে আপনি যা অনুধাবন করছেন তা তার অধিকাংশই সাবজেক্টিভ। যুক্তির ব্যাপারে হৃদয় কি বলে তা শুনুন। স্বীকার করতেই হবে এমন কিন্তু নয়!! তবে হৃদয় খুবই গুরুত্বপূর্ন। আবার ভেবে নেবেননা আমি জেন্ডার বায়াস্ট মন্তব্য করলাম। হা হা হা । হৃদয় সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ন। ধন্যবাদ।
যুক্তি আর হৃদয়, মিউচুয়ালি এক্সক্লুসিভ।
তাই নো কমেন্ট।
বাকিটা পরে বলছি।
এখন একটু ব্যাস্ত...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
আপনারে যদি উনি জোর করে ওনার লিখা পড়তে বাধ্য করে থাকেন, আপনার অবশ্যই ক্ষুদ্ধ হওয়ার অধিকার আছে।
কিন্তু আপনি যদি স্বেচ্ছায় ওনার লিখা পড়ে থাকেন, আপনি আপনার ক্ষুদ্ধ হবার অধিকার হারিয়েছেন।
যদি ক্ষুদ্ধ হবার অধিকার চান তো, এখন বলেন, কবে কখন কোথায় উনি আপনারে জোর করে উনার লিখা পড়তে বাধ্য করেছেন?
যদি তা প্রমানে ব্যার্থ হন, আপনাকে জঙ্গি হামলার সাফাই প্রদানকারি হিসাবে একজন জঙ্গির কাছাকাছি অপরাধি হিসাবে চিহ্নিত না করার কি কি যুক্তি আপনার আছে?
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
এত অল্পে উত্তেজিত হলে তো হবেনা পারভেজ ভাই। আমাকে একেবারে জঙ্গি হামলার সাফাইকারী আর ইডিয়ট বানিয়ে দিলেন? হা হা হা । আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যিনি সম্ভবত মৃত অভিজিৎ রায়ের চেয়ে ঈশ্বরের প্রচলিত ধারণায় অধিক অবিশ্বাসী। তার লেখায় আমার ক্ষুব্ধ হবার প্রশ্নই ওঠেনা। তবে এটা এখন প্রমানিত যে তার লেখার ধরণে একটি শক্তিশালী গোষ্ঠী ক্ষুব্ধ ছিলো। অভিজিৎ রায় অতো গুরুত্বপূর্ণ কেউ নন। বিষয়টা গভীর ভাবে লক্ষ্য করুন, তাকেই কেন মারা হলো? কারণ তিনি একজন "আমেরিকান ব্লগার" কাজেই তার মৃত্যু অধিক ভার বহন করে থাবা বাবার চাইতে। এটা একটা ইডিয়লজিক্যাল ফাইট। এখানে আপনারা যারা ফাইটার তাদের বিষয়টা মেনে নিতে হবে এবং নতুন স্ট্র্যাটেজী সেট করতে হবে। আমি ফাইট দেখাতে বেশি মজা পাই। হা হা হা ।
আরেকটা বিষয় আপনার ভালো লাগুন আর না লাগুক আল্লাহ এবং নবীর বিরোধিতাকারী শরিয়ত অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য। আপনাদের মধ্যে বিভেদ আছে ওদের মধ্যে নাই। আপনার জ্ঞানী কাজেই আপনাদের মধ্যে বিভেদ বেশি। তারা বিশ্বাসী তাই তারা একাট্টা এবং আপনাদের চাইতে অনেক শক্তিশালী। ধর্ম মানবজীবনে অতি গুরুত্বপূর্ন বিষয় এটা একজন অবিশ্বাসী হিসেবে আমি স্বীকার করি এবং বিশ্বাসীদের বিশ্বাসে আঘাত করতে চাইনা। প্রসংগত আবারো উল্লেখ্য, এই পৃথিবীতে কারও পক্ষে শেষ পর্যন্ত নাস্তিক থাকা সম্ভব নয়। আপনাকে ধন্যবাদ।
১. পারভেজ ভাইয়ের মন্তব্য উত্তেজিত নয়। অত্যন্ত ঠান্ডা আর যুক্তিযুক্ত।
২. অভিজিৎ রায় গুরুত্বপূর্ণ কেউ নন, আবার ওনার মৃত্যু অধিক ভার বহন করে। পরস্পরবিরোধী হল না?
৩. আল্লাহ ও নবীর বিরোধিতাকারী শাস্তিযোগ্য, সিরিয়াসলি? এই পৃথিবীর 23.4% মানুষ মুসলমান, বাকি সব কি তাহলে কাটা কলাগাছ হয়ে যাবে? আর মুসলমানদের মাঝে বিভেদ নেই? ভাই এটা কি বললেন? শীয়া, সুন্নী, কাদীয়ানি, আহমাদীয়া, খাওরিজ, এলোয়াইটস...
4. ফাইট দেখতে মজা পান? আবারও, সিরিয়াসলি?
5. আহমেদ শরীফ, অভিজিত রায়, আহমেদ ছফা, মোতাহার হোসেন চৌধুরী, ভিক্টর স্টেনগার, ক্রিস্টোফার হিচেন্স ( তার এমনকি ক্যান্সার ছিল, খুব কষ্ট পেয়েই মারা গেছেন, তবু তার ধর্মে ভক্তি আসেনি) এরা সকলেই নাস্তিক হিসেবেই মারা গেছেন. আরো নাম চান?
বেটার বলুন, যাই লিখুক না কেন অজুহাতের ছলে তাকে খুন করা থিক হয়েছহে। আমি অবশ্যই তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং ইশ্বরের কাছে কিলারদের রাস্তার কুকুরের মত ধ্বংস চাইগ
আমি বিস্মিত!যে ব্লগার নিজের নামের সাথে এখনো মোহাম্মদ এবং ইসলাম যুক্ত রেখেছে সে কিভাবে এই লিখা লিখতে পারে?
এই ধরণের নীচু মানসিকতার মানুষ এখানে কমেন্ট করতে আসল কিভাবে? আমি বিস্মিত!
দেশে অভিজিত রায়ের পাচ হাজার পাঠকও ছিল কিনা সন্দেহ।
অভিজিত রায়ের পাঠক সংখ্যা এখন দেশে-বিদেশে ধা ধা করে বাড়লে কি খুব অবাক কিছু হবে তা?
আভিজিত রায়ের একটা মতাদর্শ ছিল। অভিজিত রায়ের লিখা না পড়ে সেই মতাদর্শের অনুসরন সম্ভব ছিল না। এখন তাকে পাঠ করার কারনে সেই মতাদর্শের অনুসারীও বাড়বে। এবং তা গ্লোবালি।
এর ফলশ্রুতিতে একটা সময়ে যদি ২৬শে ফেব্রুয়ারি কে বিশ্ব মুক্তমনা দিবস ঘোষনা করা হয়, প্রশ্ন উঠবেই যে, কে তাকে মেরেছিল?
আজ যদি এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ না করি, আমরা কি সেদিন নিজেদের সিমপ্যাজাইজার পরিচয় থেকে বাচাতে পারবো?
মুখে "আমি মুসলমান কিন্তু আমি জঙ্গি না" বলে আত্মতৃপ্ত হবার বা নিজে জঙ্গি না হওয়ার কোন কিছু প্রমানিত হয় না।
জঙ্গিবাদ ও জঙ্গিদের ঘৃনা করা, তাদের বিচারের সম্মুখিন করা, তাদের কাজের প্রতিবাদ করার মধ্যেই আছে নিজে জঙ্গি না, এটা প্রমানের একমাত্র পথ।
যারা তা করবে না, তারা জঙ্গি না হলেও তারা যে "ইসলামি জঙ্গিবাদের" সমর্থক ও পৃষ্ঠপোষক - একথাটা কি অতিরঞ্জিত এমনটা ভাবার কোন কারন আছে?
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
হাজার দিয়ে বিচার করা যায় কিনা জানি না। তবে অভিজিত রায়ের পাঠক একেবারে কম ছিলো না। ক্ষুরধার যুক্তি ও সুন্দর উপস্থাপনার জন্য তিনি বেশ জনপ্রিয় ও ছিলেন। তাছাড়া তিনি গালিবাজ ও ছিলেন না আশেপাশের অনেক নাস্তিক বা অতি নাস্তিকের মতোন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
মুক্তমনা এখন বন্ধ। পাঠক বাড়ার সুযোগ নেই।
মুক্তমনা এখন না, দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে ইনএক্সেসেবল করে রাখা আছে। আর এইজন্য এটার সম্পর্কে মানুষ জানতো না।
যারা জীবনেও মুক্তমনার কনটেন্ট নিয়ে আগ্রহি হতেন না তারা অনেকেই এখন আভিজিত রায়ের নিহত হওয়ার করানে সেগুলো খুজবেন।
মুক্তমনা বন্ধ আছে বলে সেসব কনটেন্ট আর কেউ পাবে না, এটা যারা ভাবে, এই ইনফরমেশন এইজে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
আমি খুব অবাক হয়ে পড়ি যখন দেখি অভিজিত দের মরনে এক শ্রেনীর মানুষ কষ্ট পান আর খুব লেখালেখি করেন আবার বিচার বহির্ভূত হত্যা কান্ডে অনেকে কষ্ট পান লেখালেখি করেন। দুই হত্যাকান্ডে কষ্ট পাওয়া মানুষ কম বলেই এই সব হতেই থাকে হয়ত।
মনটা এত খারাপ। মনে হচ্ছে খুব কাছের কেউ মারা গেছেন। এভাবে কারো মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছিনা
আমি ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করি। সেটা যদি অপরাধ না হয় তাহলে আরেকজন অন্য ধর্মে বিশ্বাস করলে সেটা অপরাধ হবে কেনো? আমি বিশ্বাসী, আস্তিক; আমার আস্তিকতা যদি অপরাধ না হয় অন্যের নাস্তিকতা কেনো অপরাধ হবে?
তবে বাংলাদেশের নাস্তিকদের প্রতি আমার বিরক্তি আছে। তাঁদের অনেকেই জ্ঞানচর্চার পরিবর্তে পরচর্চায় লিপ্ত থাকেন বেশি। খামোখা বিশ্বাসীদের মনে আঘাত দিতে সদা ব্যস্ত থাকেন। হঠাত একটা কোনো খোঁচামারা কথা বলে নিজের 'সাহস' দেখানোর একটা বালখিল্য প্রবনতা আছে তাদের মধ্যে। তাঁরা যেমন উগ্র তেমনি 'উহারা'ও উগ্র। তাই যতোটা আগ্রহ নিয়ে মাতুব্বরকে পড়তে পেরেছি, রাজিবকে তা পারিনি।
কিন্তু অভিজিৎ রায় তেমন ছিলেন না। নাস্তিক ছিলেন তা নিজেই বলেছেন কিন্তু মূলত ছিলেন জ্ঞানচর্চাকারী। বিশ্বাসীরাও তাঁর লেখা থেকে উপকার পেতে পারেন। যেমন সমকামিতার উপর লেখা একমাত্র বাংলা গ্রন্থের তিনি রচয়িতা। যৌন সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষায় যারা কাজ করেন তাদের জন্য বইটা কাজের।
তিনি লাগাতার খুনের হুমকিতে ছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্র বা তিনি নিজে কী সাবধানতা নিয়েছিলেন জানি না । কিন্তু তিনি অবশেষে খুনই হয়েছেন এবং তাঁর স্ত্রী লড়ছেন মত্যুর বিরুদ্ধে।
আমরা আমাদের প্রিয় জন্মভূমিতে ইতোমধ্যে এক তীব্র ঘৃণার সংস্কতির ( culture of hatred) জন্ম দিয়ে ফেলেছি। এ কেবল একে অপরকে অপছন্দ করা নয়। এ হচ্ছে এমন এক ঘৃণা যা কেবল নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে চায়। চিরতরে মুছে ফেলতে চায় ব্যক্তিকে। মনে করে ব্যক্তি মুছে গেলেই বুঝি কজ বা আইডিয়াও মুছে যায়।
মনে তীব্র ক্ষোভ তাই। কী করে এর নিরসন হবে জানি না। মনে হচ্ছে রাষ্ট্র হয় ব্লাসফেমি আইন করে ফেলুক না হয় এই অশিক্ষিত হত্যাকারীদের শিক্ষিত করুক । এই মৃত্যু, এমন মৃত্যু আর ভালো লাগে না। নিজের স্বাধীন ভূমিতে নিজেকে নিরাশ্রিত মনে হয় ।
ভাল লিখেছ। সকাল থেকে এই ধরণের কিছু ভাবনা বিক্ষিপ্তভাবে মাথায় ঘুরছিল। সেগুলোই খুব গোছানোভাবে পেলাম এই লেখায়।
"চুপচাপ ঘাপটি মেরে বসে আছি। কারণ আমি চাপাতির কোপ খুব ভয় পাই।"
উপরের কথাটা বলেও ভয় পাচ্ছি। উপরে যেই কিছু চিন্তাধারার নমুনা দেখতে পাচ্ছি, অদূর ভবিষ্যতে পরিস্থিতির কবলে পড়ে তেনারা কোপ খাইয়ে দিতেই পারেন। জীবনবীমা করি নাই! চাপাতির কোপে খুব ব্যাথা লাগে। রক্ত বের হয়। মারাও যায় মানুষ। আমি বরং আবোলতাবোল না বকে আবার ঘাপটি মারি।
অনটঃ দুঃখ একটাই, আমার অনুভূতিতে আঘাত লাগছে কিন্তু আমার হাতে চাপাতি উঠে আসছে না।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
) গোটা ব্যপারটাই ইসলাম বহির্ভূত!
২) এই খুনকে জাস্টিফাই করার কোন কারন নেই!
৩) অভিজিত একটি আইডি নয়!
৪) অভিজিতের দোষ আছে তাই তাকে মারতে হবে এমন কোন কারন নেই! তাহলে নবীজি স: বহু খুন করতেন!
৫) তার অনেক লেখাই অনলাইন থেকে রিমুভড!
অবশেষে, তায়েফের ঘটনাটাই বলে দেয় এইসকল কাজ ইসলাম বহির্ভূত!
অভিজিত কতটা বিশ্লেষন ধর্মি আর কতটা একপেশে লেখা লেখত তা 2-4টা লেখা দেখে বুঝবেননা!
সে যাই হোক... তাকে মারার কোন এখতিয়ারই আমাদের নেই!
ইসলাম ধর্ম মতে বা ইসলাম ধর্ম অমতে- যাই বলুন না কেন।
আই এম নট কন্সারন্ড!
প্রথমেই অভিজিত রায়ের 'হত্যাকান্ডের' নিন্দা এবং সুবিচার দাবি করি। এরপর একটা বিষয় পরিস্কার করা দরকার মনে করছি- 'মাহমুদ' নামে একজন অনেকগুলো মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্য করেছে। দেখলাম সে ফুকো, ডিসকোর্স- এইসব শব্দও ব্যবহার করেছে। "এই জন" দয়া করে নিজের পরিচয়টা পরিস্কার করেন। তা নাহলে ঠিক যুত লাগছেনা; সংগত কারণে আস্তিক/নাস্তিক বিতর্ক এড়িয়ে চলছি বলে।
আর হ্যাঁ, আমিনের সাথে নিম্নোক্ত বিষয়ে আমি পুরো একমত-
এরপর যদি আবার সময় পাই সিরিয়াস ব্লগিংএর, তাইলে হয়তো এই লাইনে খানিকটা যাতায়াত করা হবে। (সম্পাদিত)
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ফুকো ও ডিসকোর্স আক্রান্ত মাহমুদের প্রতি (এই দুটি টার্ম কল্লোল মোস্তফার অনুসারি ও অন্যান্য বামপন্থিদের খুবই পছন্দের)
১) "আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগেও পলিটিক্যাল হত্যা কান্ড প্রয়োজন ছিলো, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।"
অতিতের শাসকগণ সেটা যত নিশ্চিন্তে ও আইনের উর্ধে থেকে তা করতেন, এখন তা ততটা নিশ্চিন্তে ও আইনের উর্ধে থেকে সম্ভব না। ভবিষ্যতে আরও কঠিন হওয়াই স্বাভাবিক।
বেনিগনো একুইনো হত্যা কিন্তু সামাল দিতে পারেননি মার্কোস। অথচ আওরঙ্গজেবের কিন্তু কোনই সমস্যা হয় নি।
২) সুনির্দিষ্ট ভাবে "একাত্তরে হত্যা"-র ঘটনা উল্লেখের পর সেটাকে "পূর্ব পশ্চিমের ফাইট" (যার শুরু ৪৭-এ) দিয়ে গুলিয়ে ফেলাটা হাস্যকর।
৩) "যার ক্ষেত্রে জন্ম থেকেই কোন ধর্ম নেই তার ক্ষেত্রে তো ধর্মহীনতাই ধর্ম!!" - সেই পুরোন এনালজিই দিতে হচ্ছে "যে জন্ম থেকেই ক্রিকেট খেলে না, ক্রিকেট না খেলাটাই তার ক্রিকেটিং"। এই ধর্মহীন ১৩০ কোটি মানুষ আসলেই একটা "বিগ পেইন" অনেকের জন্যই। যারা অত্যন্ত উদার মনভাব নিয়ে ধর্মের আধ্যাত্বিক ব্যবহার ও মানব জীবনে স্পিরিচুয়ালিটির প্রয়োজনিয়তা নিয়ে মতবাদ দেন, তাঁরা এইখানে এসে সব যুক্তি গুলিয়ে ফেলেন।
প্রসঙ্গত "এই পৃথিবীতে কারও পক্ষে শেষ পর্যন্ত নাস্তিক থাকা সম্ভব নয়" - এই ১৩০ কোটি মানুষ কিভাবে আস্তিকতা বরন করেন, সেটা জানতে আগ্রহী।
৪) "মানব সভ্যতার ইতিহাসে শান্তি কালীন কোন সময় নেই" - ভয়ঙ্কর কথা। ভাবের কথা। "দ্যা কান্ট্রি ইজ এট ওয়ার" - বলে যে ঘোষনা আসে সেই সময় থেকে "দ্যা ওয়ার ইজ ওভার" ঘোষনার সময়টা হলো একটি দেশের "যুদ্ধকালিন সময়"। এর বাইরের সময়টা শান্তিকালিন সময় ততক্ষনের জন্য যতক্ষন না আবার ঘোষিত হচ্ছে "দ্যা কান্ট্রি ইজ এট ওয়ার"। এর মধ্যে মানব সভ্যতার আমদানি করে কনফিউশন তৈরীর অর্থ কি?
৫) "সামাজিক ডিসকোর্সে ভুল এনালজি বলে আসলে কিছু নাই" - আন কোয়ালিফাইড এনালজি বলে অবশ্যই আছে। আর তা না থাকলে "ফলস এনালজি" বলে কোন টার্ম "লজিকাল ফ্যালাসি"-র লিস্টে থাকতো না। বাই দ্যা ওয়ে, এনালজির স্ট্রেন্থ ক্যামনে মাপতে হয়, তা নেটে আছে। এখানে আর দিতে চাচ্ছি না।
আপনার বক্তব্যের মূল সমস্যাটা একাত্তর দিয়েই নির্দেশ করি।
তখনকার বামেরা "দুই কুকুরের কামড়া কামড়ি" বলে মধ্য পন্থা নিতে চেয়েছেন। বোঝেন নাই, ইতিহাসে সময় সময় ডাইকটোমাস পরিস্থিতির উদ্ভব হয়।
তাঁদের ঐ অবস্থান মুক্তিযুদ্ধে সংশ্লিষ্টদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল। তাঁদের তখনকার অবস্থানের বেনিফিট পেয়েছিল পাকিস্তানিরা।
একইভাবে, এই ঘটনায় ভিক্টিমের অবস্থানকে দুর্বল করে, এই রকম যেকোন মধ্যপন্থি কথাই এইক্ষেত্রে কার্যতঃ জঙ্গিবাদের হাত কে শক্তিশালি করে। সেটা আপনি আপনার লিখায় যথেষ্ট পরিমানে করেছেন। এখনো করে যাচ্ছেন।
এটা যে ন্যয় বিচারের পরিপন্থি একটা অবস্থান, সেটা দেখানোই আমার উদ্দেশ্য ছিল।
অন্য কিছু না।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ আমার সাথে আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য। আপনাদের যুক্তিতে পরাজিত করা কিংবা আমার মতবাদ প্রতিষ্ঠা করা আমার মূল উদ্দেশ্য ছিলোনা। অভিজিতের মৃত্যুর পর আসলে আমার মনে প্রশ্ন জেগেছিলো "মুক্ত" এবং "বদ্ধ" চিন্তার ব্লগাররা কিভাবে ভাবেন, তা বোঝা। আপনারা সহ আরো তিনটি মুক্তচিন্তার ব্লগে আমি একই ধরনের আলোচনা চালিয়েছি। আরো তিনটি বদ্ধচিন্তার ব্লগে (জামাত-শিবির) আমি ঠিক উল্টোটা করেছি। এবং উভয় প্রজাতি সম্পর্কে একটা মোটামুটি ধারণা পেয়েছি। আমার বক্তব্যে কেউ ব্যথিত হলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনি কোন প্রজাতির মধ্যে পড়েন সেটা একটু পরিষ্কার করবেন কি ? না কি আপনি দুই প্রজাতির মধ্যবর্তি কোন প্রজাতি ? 😕 😕 😕
এই কমেন্টটা বেস্ট... 😛 😀 😛 😀
এই "মধ্যবর্তি প্রজাতি"-কে হিন্দিতে "দারমি আন" বলে। ওরা আবার হিজড়া বোঝাতেও এই শব্দটা ব্যবহার করে।
এদেশে কারা সবসময়ে মধ্যবর্তি অবস্থানে থাকতে চেয়েছে আর সেই জন্য কি কি পরিনতি ভোগ করেছে, সেটা জানতে খুব বড় কোন গবেষণা করার দরকার পড়ে না। একাত্তর থেকেই তা ভালোই দেখে বা জেনে আসছি।
এই ঘোলা পানিতে মৎস্য শিকারের প্রচেষ্টা আখেরে ভাল না হওয়ারই কথা...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
মধ্যপন্থা খারাপ , তা মতান্তরে 'হিজড়া' পন্থা!
কোন একপেশে পন্থা আরও খারাপ কারন তা 'মৌলবাদ''!!
সবচেয়ে চালু পন্থা হলো 'বুশ ' পন্থা " Either you support us, or u support terrorist' - simple theory.
কথিত মৌলবাদ রা " আমিও বিচার চাই, তবে " বলে 'ত্যনা পেচায় ৷ আর কথিত উন্মুক্তমনা রা " তাঁর বিজ্ঞান বিষয়ক ওপদার্থ বিজ্ঞান লিখা পড়ে পুলকিত হবেন ৷
একগ্রুপ তার 'বিজ্ঞান' রচনা পড়েনি তাই ফালায় , আবার জ্ঞানী ও আলোকিত গ্রুপ তার ধর্ম নিয়ে আজাইরা খাইজ্জানি লিখা পড়েন নি ( পড়লেও অবশ্য আওয়াজ দিবে না)
One thing is very clear to me both the group are 'Hypocrite' , whoever is more educated here should be term as 'superior hypocrite' .
So find yourself where u r?