শেষ পর্যন্ত সিদ্বান্তটা নিয়েই ফেললাম। লাবলু ভাই হয়তো শুনেই আমাকে ঘৃনা করা শুরু করবেন। বলবেন, ‘ছেলেটাকে এতো পছন্দ করতাম ও কিনা শেষ পর্যন্ত এমন একটা কাজ করলো?’ রাগ করে হয়তো কথা বলা বন্ধ করে দেবেন আমার সাথে। দেখা হলে মুখ ফিরিয়ে নেবেন। কিন্তু তাতে আমার কিছু যাবে আসবে না। আমি আমার সিদ্বান্তে অটল থাকবো।
ফয়েজ ভাই শুনে হয়তো বলবেন, আমার বৃত্ত ভাঙ্গার গানটা তবে বৃথা গেলো। অফিসে এসেই আর কোনদিন সবার আগে মেসেঞ্জার খুলে আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না, ‘ওই কামরুল ক্যামন আছো?’ বরং আরেকটা পোস্ট লিখে জানিয়ে দেবেন ‘এ তোমার দেশ না, তুমি পাকিস্তান যাও।’ কিন্তু বিশ্বাস করুন এসব কিছুর আমি মোটেও পরোয়া করিনা।
কাইয়ুম ভাই আর জুনায়েদ হয়তো আক্রোশে ফেটে গিয়ে বলবেন “শিলার পিতেরে গিল্লি কিরা মিরা ফিলানো ইচিত।’ কিন্তু তাতেও আমি একটুও ভয় পাবো না। আমি তো আল্লার রাস্তায় যাচ্ছি। এইসব গুল্লি ফুল্লি আমি ভয় পাই না।
এতো দিনের যুদ্ধাপরাধী বিরোধী পোস্টগুলি জলে গেলো বলে মুহাম্মদ একা একা ঝিম মেরে বসে থাকবে। কোনদিন আর বাসায় এসে আমার সাথে সিনেমা নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা আলাপ করবে না।
শেষ চেষ্টা হিসেবে রায়হান ‘কামরুল ভাই একটু শুনবেন প্লিজ’ বলে একটা পোস্ট দিতে পারে। কিন্তু আমি সেই আহব্বানে সাড়া দেবো না মোটেও। ও বাচ্চা ছেলে। এখনো কিছুই বুঝে না। আমি বরং চেষ্টা করবো ওকেও আমার দলে নিয়ে আসতে।
সিসিবির বাকি সবাই শুনে চোখ কপালে তুলে ফেলতে পারেন, কিন্তু, ভাইয়েরা আমার, একটু চিন্তা করলেই দেখবেন আমি কতো চমৎকার সিদ্বান্ত নিয়েছি। ওই সব ধুনফুন জামাত ,যুদ্ধাপরাধী, শাস্তি এই গুলি বলা ছাড়েন। বরং আমার সাথে যোগ দিন। কাঁধে কাঁধ আর কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে আমার সাথে বলুন ‘ আবার যুদ্ধ হলে আমি রাজাকার হবো।’
কখনো যদি আরেকটা যুদ্ধ হয় এই দেশে, পুরানো অথবা নতুন হানাদাররা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খার করে দিতে চায় সব, দাউ দাউ করে লাগিয়ে দেয় আগুন বিশ্বাস করুন আমি তখন রাজাকার হব। আমি হাতে হাত আর বুকে বুক মেলাবো সেই পশুদের সাথে।
আমার বাবা চাচারা যেই ভুল করেছে সেই ভুল আমি কি আর করতে পারি ? আপনারাই বলেন? একবার দেখুন না তাদের অবস্থাটা? কেউ পঙ্গু ,কেউ ভিক্ষুক, কেউ চিকিৎসার অভাবে ধুকে ধুকে মরার প্রতীক্ষা করছে। এই তো সেদিন একজন সবার সামনে লাথি খেলেন। তারপরও আমি সেই রাস্তায় যাবো? কখনো না। আমি রাজাকারই হবো।
যুদ্ধে যদি আমার প্রভুরা জিতে যায় তাহলে তো কথাই নেই। চাঁদ তারায় ভরে দেবো এই দেশ। আর যদি হেরে যাই তাহলেও চিন্তা নেই। আবার কোন এক নেতার সাধারন ক্ষমায় আগের গুছিয়ে নিতে বেশি সময় লাগবে না। কোনরকম একটা সার্টিফিকেট যোগাড় করে নিলেই হবে। বলা যায় না মন্ত্রী-টন্ত্রী এমনকি রাষ্ট্রপতিও হয়ে যেতে পারি।
তাই বলছি খামাখা, কেন এই সব ধুনফুন ঝামেলায় যাচ্ছেন। দেশপ্রেম-টেশপ্রেম ফেলে আমার সাথে যোগ দিন সবাই।
ভয় নেই। এই আত্ব-বিস্মৃত জাতি একদিন আমাদেরকেই অভিনন্দন জানাবে।
যেমন এখনো জানাচ্ছে।
****************************************************************************
পাদটিকাঃ
কলেজে আমাদের দুই ব্যাচ সিনিয়র নাসির ভাই অনেক আগে কলেজ ম্যাগাজিনে একটা কবিতা লিখেছিলেন। ‘আবার যুদ্ধ হলে রাজাকার হবো’ এই শিরোনামে। কবিতাটা আমার এতো পছন্দ ছিলো যে আমি পুরোটা মুখস্ত করে ফেলেছিলাম। কেনো জানি বার বার মনে হচ্ছে আজকের বাস্তবতায় ওই কবিতাটা আরো বেশি সময়োপযোগী।
আজকের এই লেখাটা সেই কবিটাটির মুলভাব থেকে ধার করা।
শিবির করলে বহুত লাভ। ছাত্রজীবনে টিউশনি, কোচিং-এ ক্লাস। পাস করার পর চাকুরীর নিশ্চয়তা। পরকালে হুর-পরী।
হুর্পোরী, তাও আবার পরোকালে.... বোহুদ্দেরী ভাই, নগদ থাকলে দেন। ইশটকে যুদি হুর্পোরী থাকে দুই এক্টা। একা একা লাগে ইদানিং
আমিও হুর্পোরি নিপো :((
আমি হুর পরী খাপো :(( :((
কথা সত্য
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
kamrul
i m with u.ami achi ei line.abar judhdho hole rajakar hobo.
কিন্তু আমি জানি আসল সময় আপনি আমার সাথে থাকবেন না
আপনি মুক্তি হইয়া যাবেন। 😉
হ, রাজাকার হইবা বইল্যাই তো প্রোফাইলের ছবিটা বদলাইছো?? বুকে এতো ক্ষোভ নিয়া বাঁচো কেমনে? ওই যন্ত্রণা নিয়া ভালো কইরা একটা ফিল্ম বানাও।
শুনো বোকা, লাত্থি-গুতা খাইলেও, ভাত-রুটি না পাইলেও আমরা জনমে জনমে মুক্তিযোদ্ধাই হবো। আমরা মায়ের-বোনের অসম্মান সহ্য করতে পারবো না, আমার বাবার লাশে কোনো শুয়রের বাচ্চা (দুঃখিত) লাথি দেবে সেটা আর হতে দেবো না। আর বিচার? মনে রেখো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই একদিন দেখে নিও। আমাদের কাজ শুধু একটাই, জাগাও মানুষকে।
জহির রায়হানকে মনে আছে? বলেছিলেন, আসছে ফাগুনে আমরা দ্বিগুন হবো।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
শুধু এই আশা নিয়েই এখনো বেঁচে আছি।
এই অভাগা দেশে আরেকবার জেগে উঠবে নুরুলদীন
এই অভাগা দেশে আরেকবার কাল পূর্নিমায় নুরুলদীন দিবে ডাক
জাগো বাহে ,কোনঠে সবাই .........।
একটা কথা আছে আমাদের গ্রামে, "কাঁচা আমে যতই মজা পাও, পাঁকা আমের গন্ধ না পাইলে গরম আইসে বইলা মনে অয় না"। এটা বলা হয় অভিজ্ঞতার কদর বোঝানোর জন্য। লাবলু ভাই আপনাকে সালাম ও :salute: । আমি আপনার সহযোদ্ধা আছি।
:boss: :boss: :boss:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
......................................
:salute: :salute: :salute: :salute: :salute: :salute:
বোহুদ্দুক্ষো নিয়া কাম্রুল্ভাই লেক্সে কতাগুলা। আমি জানি, এহঞ্জুদি আবার্যুদ্ধোলাগে, কাম্রুল্ভাইরেই সবার আগে দেখমু।
😀 😀 😀
অ অ অ অ ......... তা কোন গুরুপ এ দেখপ ???? 😉 😉 😉 😉
ভাল কৈরা হাঁটু খাটাইয়া চিন্তা কর। বুঝপি, কুন গুরুপে। 😀
কোন এক বড়ভাইয়ের কাসে একটা ঘটনা শুনেছিলাম, এক বৃদ্ধ রিকশাওয়ালার গল্প, যিনি কিনা নিজেকে মুক্তি্যোদ্ধা পরিচয় দিতে ঘৃণা বোধ করেন। কারণঃ যে পতাকা সমুন্নত রাখার জন্য উনি জীবন বাজি রেখেছিলেন, তা আজ রাজাকারদের গাড়ীর সামনে শোভা বাড়ায়।
তবুও ভাবছি, আবার যুদ্ধ হলে আমি মুক্তিই হবো, ৭১ এর অসমাপ্ত কাজগুলোর সমাপ্তি টানতে এবারে আর ভুল হবে না!!
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
তোমার আশা যেনো পূরন হয়। :thumbup:
রকিব :thumbup: :thumbup:
হয়তো এই ঘটনাটাই অথবা এর কাছাকাছি কোন একটা ঘটনা চ্যানেল আই এর সুবাদে দেখার সুযোগ হয়েছিল।
৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা রিকশাওয়ালা বলছেন, "আমি নিজেরে নিয়ে কষ্ট পাই না। আমার তকদীরে আল্লাহ তায়ালা যা লিখে রাখছিলেন তার উপরেই আমি কিছু একটা কইরা কাইটা খাইতেছি। কিন্তু যন্ত্রণা হয় তখনই যখন দেখি ৭১ এর রাজাকাররা জাতীয় পতাকা লাগানো গাড়ীতে চলে......."।
Life is Mad.
মন্ত্রী-এমপি না শুধু, ঘোষিত রাজাকার এদেশের প্রেসিডেন্ট হয়ে পাঁচ বছর ছিলো। আর মুক্তিযোদ্ধা বীরবিক্রম সেনা প্রধান তাকে উঠতে বসতে স্যালুট দিয়ে গেছেন, তাকে প্রটেকশন দিয়েছেন।
ওই পাঁচ বছর যতবার টিভিতে, খবরের কাগজে আমি এই দৃশ্য দেখেছি মনে হয়েছে নিজের গায়ে আগুন ঢেলে মরে যাই। মনে প্রানে ঘৃনা করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারিনাই।
ঐ সাধারণ ক্ষমা ঘোষণাটাই যত নষ্টের মূল।
না, এ জিনিসটা এত সহজে ব্যাখ্যা করার না। সাধারণ ক্ষমা বলতে আমাদের সর্বসাধারণের মধ্যে যে ধারণা প্রচলিত রয়েছে- যে শেখ মুজিব সকল ধরণের যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন, সেটা সত্য নয়।
খেলা দেখতে যাই। পরে বিস্তারিত।
হম রায়হান। আমিও কথাটা ধরতে চেয়েছিলাম
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
🙁 🙁 🙁
সৌদী তো সরাসরিই থ্রেট দিছিল সকল সাহায্য বন্ধ করব .....
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
:thumbup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আবার একটা যুদ্ধ হলে বিজয় অর্জনের পর নিজের মাথায় একটা গুলি করে শান্তিতে মরে যাব...তাহলে, এখনকার মতন পরিস্থিতি আবার হলেও তা আর আমাকে দেখতে হবে না...!!!
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আর তাহলে আমাদের গুলি করবে কে?
নারে তোকে গুলি করবোনা।
সময় শেষ হয়ে যায়নি মোটেই
বাবা চাচারা একটা ভুল অবশ্য করেছে। দেশটাকে আমাদের জন্য বানিয়ে দিয়ে সেই যুদ্ধটা শেষে অমানুষ হয়ে যেতে পারেনি। নাইলে কি আর মানুষ ভেবে ভুল করে বেজন্মাগুলোকে ক্ষমা করে দেয়! আমরা তাদের ঋণটা যদি শতকের দশমিকও শোধ করতে চাই তাহলে বেশি কিছুনা, আমাদের একটু অমানুষ হলেই হবে। আমি নিশ্চিত আমাদের এই প্রজন্মই সেটা হবে। দুঃখ করিস কেনো বোকা ছেলে, তুই নিজেই সেই অমানুষ হবি, আমি হবো, জুনা হবে, এই সিসিবির, এই দেশের বেশিরভাগ সদস্যই হবে। হবেই....
দিনটা বেশি দূরে নাইরে।
আসছে ফাগুনে আমরা দ্বিগুন হবো
আমি নিশ্চিত, আমরা বহুগুণ হবো।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
সাম্নের ফাগুনটা যেনো খুব তাড়াতাড়ি আসে।
কামরুল,
দুঃখ, অভিমান করা আমাদের অবশ্যই মানায়...। কিন্তু সব কিছুর পরেও একটা কিন্তু থেকে যায়। মা'র সাথে ঝগড়া করে বাসা থেকে না খেয়ে বের হলেও মাকে অবমাননা করে কেউ কিছু বললে কিন্তু আমরা তাকে ছেড়ে দেইনা। আর এই মা-ই কিন্তু আমার জন্য খাবার নিয়ে বসে থাকবেন আর মনে মনে কষ্ট পাবেন এই ভেবে, "কেন ওকে না খেয়ে যেতে দিলাম।"
আমি জানি, তুমি হচ্ছো সেই সূর্য্য সন্তান, যে মা রুপী দেশের অবমাননা কখনোই সইতে পারবেনা। তোমার এই ক্ষোভকে আমি শ্রদ্ধা করি...সালাম জানাই। বুকের মাঝে সযতনে লালন করে রেখ এই ক্ষোভটুকুকে। এই ক্ষভটুকুই একদিন ওই বেজন্মাগুলিকে তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেবে। শুধু একটু ধৈর্য্য ধর। "নাথিং গোজ আনপেইড ইন দিস আর্থ।"
আসছে ফাগুনে আমরা অবশ্যই দ্বিগুন হবো ইনশাল্লাহ। তুমি দেখে নিও।
সেই আশাতেই আছি।
কথাটা বিএমএ'তে শিখছিলাম। বলা হতো, "নাথিং গোজ আনপেইড ইন বিএমএ"। পরে নিজে নিজে বিএমএ'র জায়গায় 'আর্থ' শব্দটা বসিয়ে নিয়েছিলাম। আজ অনেকদিন বাদে আহসান ভাইয়ের পুনরাবৃত্তিতে কথাটা সাহস খানিকটা বাড়ালো বৈকি।
সেই দিনের অপেক্ষায়।
Life is Mad.
আমাদের এইসব গালিগালাজ শুনে তাদের যে অভিব্যক্তিটা হয় সেটা দেখেই আমার জ্বালা বেড়ে যায়। নিজেদের মধ্যে ওরা এইভাবে বিষয়টাকে ট্যাকেল দেয়ার চেষ্টা করে:
আরে নবীর জমানার কথা ভেবে দেখ। নবীকে ধর্ম প্রচার করতে গিয়ে যত গালিগালাজ খেতে হয়েছিল আর লাঞ্ছিত হয়েছিল সেটা বেশী নাকি আজকের জমানার এইটা বেশী। উপস্থিত সবাই বলে, নবীর জমানারটা বেশী। নেতা তখন বলে,
"মনে রাখবা, যে দলের বিরুদ্ধে ইসলাম বিরোধীরা সবচেয়ে বেশী সোচ্চার তারাই সবচেয়ে খাঁটি দল। এই যেমন, তাবলীগওয়ালাদের দ্যাখো। ওদের বিরুদ্ধে কেউ তেমন কিছু কয় না। কারণ কি?"
সবাই সমস্বরে বলে, "ওরা খাঁটি না, ভিজাল আছে।"
এভাবেই ওরা দিনকে দিন নিজেদের ঈমানটাকে পাকাপোক্ত করে নিচ্ছে। 😀 সেই রাজাকারী ঈমান থেকে কি তারা কখনই বিচ্যুত হবে না? ভাববার বিষয়...
কারন আমাদের অশিক্ষা।
আমরা টুকটাক পড়াশুনা করছি বটে, কিন্তু আসলে শিক্ষিত হচ্ছি না। আর ধর্মীয় গোঁড়ামি পাশ কাটিয়ে যতদিন না সামনে যেতে পারছি ততদিন এ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না।
মানুষ যত বেশি স্বশিক্ষিত হবে তার ভিতরের অন্ধকার ততো বেশি মুছে যাবে। তাহলেই তাকে আর যা ইচ্ছে তাই বলে ব্রেন ওয়াশ করা যাবে না।
ছাত্রীরে জৈব যৌগ চ্যাপ্টার দেখাচ্ছি। সেখানে একটা কথা ছিল- প্রান শক্তির মতবাদ কি সঠিক। আলোচনা কর।
উত্তর ছিলঃ না।
আমরা সবাই এই জিনিস পড়ে আসছি। অথচ আমরা প্রাণশক্তির মতবাদ মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, আমরা বিশ্বাস করি আত্মায়। কারণ যেই বিশ্বাসের ভাইরাস আমাদের মধ্যে ঢুকে আছে ছোট বেলা থেকে বড় বেলার পাশ করা বিদ্যায় তা দূর হচ্ছে না। দুঃখজনক।
আপনার মন্তব্য পড়ে সেটা মনে পড়ে গেল।
হাহাহহাহহা
এই রকমই একটা ঘটনা মনে পড়ে গেলো।
ইউনিভার্সিটিতে আমাদের মলিকুলার জেনেটিক্স পড়াতেন যে স্যার তিনি ছিলেন পাক্কা হুজুর ও জামাত। একদিকে তিনি ক্লাসে পড়াচ্ছেন এমাইনো এসিড থেকে প্রানের উৎপত্তি অন্যদিকে তিনিই আবার ক্লাস শেষে সবাইকে সৃষ্টির অন্য গল্প বলছেন। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করতো স্যার আসলে কোনটা বিশ্বাস করেন। কিন্তু এই ধরনের সব স্যারদের কাছ থেকে বরাবরই দূরে থেকেছি বলে কোনদিন জিজ্ঞেস করা হয়নি।
অফটপিকঃ
তুই ছাত্রী পড়াস বললি না তো? আমাকে না বলছিলি স্টুডেন্ট ? 😉 😉
সিরিয়াস পোস্টে ফাইজলামি স্টার্ট করার জন্য আপনাকে ম্যাগনিফাইং গ্লাস ও আইপি শুদ্ধা তিন মাসের জন্য ভ্যান করার দাবী জানাই।
সরি। 😀
যা ফাজলামি করুম না। 😉
গুঢ় রহস্য ফাস করে দেয়ায় আপনাকে অভিনন্দন :hug: :hug: :hug:
এবং রায়হানের বাচ্চারে পাক্কা ৩ টা ছাত্রী কাহিনীর ব্লগ ইস্যু... :chup: :chup: :chup:
:duel:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কি জানি...কিচ্ছু বলার নাই।
অফটপিকঃ-
ফেসবুক এ এক ফ্রেন্ডের জামাতি প্রচারণা দেখে দুঃখ পাইলাম। সব শালায় জামাত।
ফ্রেন্ডলিস্ট ছোট করার সময় এসেছে। 🙂
আসছে ফাল্গুনে আমরা দ্বিগুন হবো। আসছে নির্বাচনে আমরা ১৫ কোটি মানূষ হবো। পরের নির্বাচনে আমরা রাজাকারমুক্ত হবো।
আমি পঙ্গু হবো, ভুখা হবো, নাঙ্গা হবো - কিন্তু রাজাকার গালি সইতে পারবো না। দরকার হলে আবার যুদ্ধে হাড় চিমসানো মুক্তি হবো, বুলেটে বুলেটে ঝাঝরা হবো, রক্তে রন্জিত হবো-কিন্তু রাজাকার নাম নিতে পারবনা। প্রয়োজনে রাজপথে খালি পায়ে হাঁটবো কিন্তু কোন রাজাকারকে পতাকাবাহী গাড়িতে চড়তে দেব না।
আসছে নির্বাচনে আমরা ১৫কোটি মানুষ একহবো।
মান্নান ভাইকে :salute:
অন্তরের অনেক কাছাকাছি পৌঁছে গেল তোমার বলার মাঝে না বলা কথাগুলো।
Life is Mad.
:shy: :shy: :shy:
বুঝতে পারছি না কি কমেন্ট দিমু.........।।তবে দোস্ত কথা গুলা চরম সত্য... :boss: :boss: :boss:
কিন্তু সময় এসেছে কিছু কথা মিথ্যা প্রমান করার।
আমাদের এমন হৃদয় ছোঁয়া আরো অনেক লেখা চাই আর এই কথা গুলো সাধারণ মানুষদের কাছে পৌছানোর মত ভয়েস চাই। একদিন নিশ্চয় সেই দিন আসবে যখন সত্যি সত্যি সেই পশুদেরকে বয়কট করা হবে, ছুঁড়ে ফেলা হবে আবর্জনা হিসেবে। সেই দিনের প্রতীক্ষায় আছি আমরা সবাই...।
সেই দিনের প্রতীক্ষায় আছি আমরা সবাই…।
কামরুল তোর আবেগ আমি হয়ত ছুঁতে পারব না। এ নিয়ে বিস্তর চিল্লাপাল্লা করতাম। এখন ক্লান্ত লাগে...
বরং সমাধানের কথা শুনতে ইচ্ছা করছে খুব। প্লিজ তুই বা কেউ একজন একটা পোস্ট দিবেন .....যাতে থাকবে নতুন পথের কথা......... আবর্জনা পরিস্কারের কথা.......কিংবা কিছু জানোয়ারের সমূলে ধ্বংসের কথা।
হতে পারে কমেন্টের মাধ্যমেই এটা সেই পোস্ট
সরি কামরুল.......আমি...
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
খাড়াও ইলেকশনটা হইয়া যাক, কামরুলরে আমি সাইজ করতেছি। ব্যাটা মামদোবাজি শুরু করছে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ক্যান বস, আমি আবার কি করলাম? 😉 😉
আবার যুদ্ধ হইলে তো আপনি প্রেথ্যম ছুটবেন মিলাপু'র পিছে...এইডা চিন্তা কইরাই বস খেপছে... :-B
(আমি পলাই... B-) )
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:khekz: :khekz: :khekz:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
কামরুল তুই পাবনা গিয়ে নিজামীর দলীয় প্রচারণায় অংশ নিতে পারিস।
আমাদের দেশে এখনো রাজাকার রা নির্বাচন এ পাশ করে এমপি হয় গাড়ীতে পতাকা লাগায় ......
এই ব্যর্থতা কার ......??? আমাদের ......??
:hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: :salute:
বাংলাদেশী; বাঙালী বলে গর্ব করি......কিন্তু;
এই একটা জায়গায় এসে থেমে যাই।
কামরুল...ঠিক কি বলব বুঝে উঠতে পারছিনা। যখন খুব রেগে যাই কিংবা মন খারাপ হয়ে যায় তখন কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলি।
আসছে ফাল্গুনে আমরা দ্বিগুন হবো।
অফ টপিকঃ কামরুল ভাই, রবিন ভাইয়ের না থাইল্যান্ড যাওয়ার কথা ছিল, উনি কি ফিরসে?
আবোগী লেখাটা ভাল লাগলো । কিন্তু আমাদের নেতারা টাকা-ক্ষমতা ছাড়া কিছু বোঝেনা । পরিবর্তন আসবে কিভাবে?
🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂
আমার মনে হয়না আমাদের মুক্তিযোধধারা নিজেদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে যুধধ্য করতে গিয়েছিলেন। আর কামরুল, সবার সাথে করতে পারলেও, মানুষ কি নিজের সাথে প্রতারণা করতে পারে ?????
কামরুল হাসান (৯৪-০০) ভাইয়ের এই লেখাটা অনেক দিন আবার পড়লাম। আর নাসির ভাইয়ে কবিতাটার কথাটাও মনে পড়লো (নিচে কবিতা টা দেয়া আছে)। আমিও এই কবিতাটার খুব ভক্ত।
ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১
["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]
তথ্যে একটু ভুল আছে। তখন আসলে মন্ত্রী ছিলো রাজাকার। সেটা ১৯৯৭ সাল। অন্য একটা কবিতার সাথে গুলিয়ে রাস্ট্রপতির কথা বলা হয়েছে যেটা এটার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
কবিতাটা খুব সম্ভবত ১৯৯৭ সালের (১৯৯২ এর নয়) কলেজ ম্যাগাজিনের।
ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১
["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]
দুঃখিত। সাল টা খুব সম্ভবতঃ ১৯৯৬।
ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১
["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]
তথ্য বিভ্রাটের জন্য দুঃখিত এবং ক্ষমা প্রার্থী। আসলে মন্ত্রী হবেনা। হবে রাষ্টের প্রধান ব্যক্তির কথাই। কিন্তু এডিট অপশন না থাকায় সেটা করা হয়নি এবং বিলম্ব হয়েছে শুধরে নিতে।
ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১
["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]
কামরুল হাসান (৯৪-০০) ভাইয়ের উপরের লিংকের লেখাটা অনেক দিন আবার পড়লাম। আর নাসির ভাইয়ে কবিতাটার কথাটাও মনে পড়লো (নিচে কবিতা টা দেয়া আছে)। আমিও এই কবিতাটার খুব ভক্ত। ১৯৯২ সালের কলেজ ম্যাগাজিন (সিলেট ক্যাডেট কলেজ) এ ছাপা হওয়া।
আমার মনে আছে তখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন আব্দুর রহমান বিশ্বাস। বলা বাহুল্য রাজাকার ঘরানার। বিএনপির শাসনামল সেটা।সেই কঠিন সময়ে অনেকের রক্ত চক্ষু ফাঁকি দিয়ে এই লেখাটা ছিলো সাহসিকতার একটা অনন্য উদারণ ( কর্তীপক্ক আর সেনাবাহিনীর বহু বিভাগের কাছে যেতো কলেজ ম্যাগাজিন এবং অনুমোদনও লাগতো প্রায় সময় কিছু ছাপা হওয়ার আগে)।
ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১
["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]
তথ্যে একটু ভুল আছে। তখন আসলে মন্ত্রী ছিলো রাজাকার। সেটা ১৯৯৭ সাল। অন্য একটা কবিতার সাথে গুলিয়ে রাস্ট্রপতির কথা বলা হয়েছে যেটা এটার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১
["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]
তাছাড়া কবিতাটা খুব সম্ভবত ১৯৯৭ সালের (১৯৯২ এর নয়) কলেজ ম্যাগাজিনের।
ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১
["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]
৯৭ এ লীগের কোন মন্ত্রী রাজাকার ছিলো?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
দুঃখিত। সাল টা খুব সম্ভবতঃ ১৯৯৬।
ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১
["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]
রহমান বিশ্বাস রাজাকারই ছিলেং ঘরানা এই ক্ষেত্রে অনেক হালকা শব্দ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
তথ্য বিভ্রাটের জন্য দুঃখিত এবং ক্ষমা প্রার্থী। আসলে মন্ত্রী হবেনা। হবে রাষ্টের প্রধান ব্যক্তির কথাই। কিন্তু এডিট অপশন না থাকায় সেটা করা হয়নি এবং বিলম্ব হয়েছে শুধরে নিতে।
ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১
["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]
Vabsi ei name a amio akta kobita likhbo. lekhata khub valo lagse.