প্রথমেই জুম্মা মোবারক।
হ্যা, ইসলাম এখন ডিজিটাল।
আমার ২য় মেয়ের জন্মের সময় আজান ও দিয়েছিলাম ডিজিটালি।
ইন্টারনেট- ফেসবুকের আগে কোনদিন শুনি নাই জুম্মা মোবারক।
মুহাম্মদ নবী ও জুম্মা মোবারক বলেছেন এমন হাদিস ও পাই নি।
কিন্তু কথা দিচ্ছি আজ রাতেই চেক করবো বুখারি।
প্রথমে একটু বিনোদন দিই।
খেলাধূলা কি ইসলাম ধর্ম সম্মত???
আরবে নবীর সময় কুস্তি লড়া হতো।
তিরন্দাজি করা হতো।
একবার দুই দল তিরন্দাজি র প্রতিযোগিতা করছিলো। নবী সেখানে গেলেন। একদলকে বললেন, আমি তোমাদের পক্ষে/সাথে আছি। আরেকদল এই শুনে বললো, ইয়া রাসূল তাহলে তো আমরা হেরে যাবো।
নবী তখন বললেন, যাও আমি দু দলের সাথেই আছি।
এনিওয়ে জুম্মা মোবারক।এনশায়াল্লাহ যত্দিন বেঁচে থাকবো, ততদিন শুক্রবার আসলে জুম্মা মোবারক দিবো।
এসলাম আজ বিপন্ন।
জুম্মা মোবারক দিলে যদি এসলাম বাঁচে, অক্সিজেন পায় – ক্ষতি কি..।
বিনোদন শেষ। এবার কাজের কথায় আসি।
বেশ কিছুদিন আগে ক্যাডেটদের বিভিন্ন ফেবু গ্রুপে ইসলামিয়াত ক্লাস চলতো।
না, ইসলাম নিয়া আমার কোন চুলকানি নাই। কলেজে ৬ বছর ইসলাম পড়ছি। ছোটবেলায় নবী রাসূলদের কাহিনী পড়তাম।
এখনো কুরান-হাদিস-তাফসির সহ অন্যান্য ইসলামিক বইপত্র পড়ি। ধর্ম, ইতিহাস এইসব আমার প্রিয় বিষয়।
কিন্তু আমি পছন্দ করি বলেই গ্রুপগুলাতে শুক্রবার আসলে জুম্মা মোবারকের ঢল নামবে এইটা কেমন কথা!
কোরান-হাদিসের আয়াত শেয়ার হবে এইটা কেমন কথা!
হ্যা ; জানার শেষ নাই। ভালো জিনিস ছড়ানোটাও আনন্দের। ফুলের গন্ধই আমরা পেতে চাই, পুরীষের গন্ধ নয়। আর তাইতো বাথরূমে ব্যবহার করি এয়ার ফ্রেশনার।
যাই হোক কথা হলো, এরিষ্টটল, নিউটন, শ কি বলছে তা শেয়ার দিলে যদি কারো আপত্তি না থাকে তবে কোরান-হাদিসের বাণিতে সমস্যা কি?
আসলেই তো, সমস্যা কি!
দৃশ্যত নেই।
কিন্তু শ, আইনষ্টাইন, প্লেটোর বাণী শেয়ার করা হইলে তাতে যেমন লাইক ও পজিটিভ কমেন্ট আসে, ঠিক তেমনি সমালোচনাও হতে পারে।
কিন্তু কোরান-হাদিস ; সেটার সমালোচনা কি সম্ভব?
আবারো জিজ্ঞাসা করছি, সম্ভব? আদৌ কি সম্ভব?
আমি আজ পর্যন্ত এমন কোন আলোচনা দেখি নাই ধর্ম নিয়া যেখানে পাবলিক শান্ত মতো আলোচনা শেষ করতে পারছে।
এই পর্যন্ত অনেক গ্রুপ, বন্ধুত্ব, সংসার অনেক কিছুই ভাঙ্গছে ধর্ম নিয়া আলোচনায়।
এখানে ধর্ম বলতে স্পেসিফিকালি ইসলাম কেই নেয়া হলো।
ইসলাম যদি হয় জীবন দর্শন তবে তা কেমন জীবন দর্শন যে এর সামালোচনা করলেই ইসলামের রক্ষকদের হাতে উঠে আসে খড়গ???
এই পর্যন্ত অনেক জুনিয়র আমাকে গালি দিছে শুধুমাত্র ধর্ম নিয়া সামলোচনা করায়, সিনিয়র-ক্লাসমেট আনফ্রেন্ড করছে ফেবুতে।
কয়দিন আগে এক জুনিয়র তো বলেছে একটা কমন প্লাটফর্মে যে দেশে গেলে সে যদি আমাকে হাতের কাছে পায় তবে আচ্ছামতো পিটাবে। এখন তো আমার গায়ে আংশিক শ্বেতি/ ভিটিলিগো ; সে পিটাইয়া আমারে সমস্ত শরীরে ভিটিলিগো করে দিবে। (যদিও কথাটি সে বলেছে অন্য প্রসঙ্গে ; কিন্তু এর মূল হচ্ছে ধর্ম)
এমন আরো অনেক উদাহরণ দেয়া যাবে।
এটা শুধু বাংলাদেশেই নয়, যে দেশে অবস্থান করছি সেখানেও অনেক ক্যাডেট আমাকে অপছন্দ করে, আমার বিরুদ্ধে বলে; কারণ কি? ধর্ম। ইসলাম। ইসলাম নিয়ে আমার সমালোচনা।
আমাকে বেশ কয়েকবার এক আপা বলেছিলেন,
” ফেসবুকে আসলে এমন কিছুই পোষ্ট করা উচিত যা কিনা সবাই পছন্দ করবে। ”
এরপর আমি চেক করে দেখেছি আমার ফেসবুক। কই না তো আমি তো কোন গ্রুপে কোন পলিটিকাল লেখা, ধর্ম রিলেটেড লেখা পোষ্ট করি না। রাজনীতি বা ধর্ম বা ৭১ নিয়ে কিছু বলার থাকলে সেটা ফেসবুকে বলি বটে কিন্তু সেটা নিজের ওয়ালে।
তবে?
হা ব্লগে লিখি বটে অনেক কিছুই। কিন্তু কিছু তো ফেবুতে যাবেই। যেমন ভারতে এইবার মোদি জিতেছে। ভারত থেকে ঈদে গরু আসা বন্ধ হবে এটা যখন মোদি ভক্তের মুখে শুনলাম তখন আমি ব্যাপক খুশি হলাম।
এখন আমি যদি হিন্দু হতাম এবং আমার পরিবারের লোকজন যদি সমস্যা বহুল এলাকায় বা গ্রামে থাকতো তবে আমি তাদের ঢাকায় নিয়ে আসতাম এবং আগামী ৬ মাস ঢাকাতেই রাখতাম। বাঙলাদেশে অলরেডি গণধর্ষণের মৌসুম চলতেছে। পত্রিকাগুলার সুসময়। সামনে আরো শুভ দিন। হিন্দুদের গণধর্ষণ এই শুরু হলো বলে।
উপরের প্যারাটি আমি গত কিছুদিন যাবৎ ফেবুতে দিবো ভাবছি এবং এটা ফেবুতেই যায়। এই তিন লাইনে আর যাইই হোক ব্লগ হয় না। এখন উপরের তিন লাইনে কাদের রেপিষ্ট বলা হলো? অবশ্যই মুসলমানদের। বাংলাদেশের বাংলাদেশি মুসলমানেরা হিন্দু মেয়েদের রেপ করতে খুব পছন্দ করে। গণিমতের মাল মনে করে এইটা বলা কি খুব অন্যায় হবে????
বাংলাদেশ কি আজ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানদের দেশ, উপজাতিদের দেশ???
এই বাঙলাদেশ ৩০০ আউলিয়ার দেশ।
১৬ কোটি মুসলমানের দেশ।
আর তাই ভারতে মোদির বিজয় মানে বাঙলাদেশের মুসলমানের মনে আনন্দ।
আমি যদি মুসলমান বাংলাদেশি হতাম তবে পাড়ায় পাড়ায় হিন্দু মেয়েদের লিষ্ট করা শুরু করতাম। সারা বাংলাদেশে গ্রাম-পাড়া কতো।
খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে।
ছোটবেলায় পড়েছিলাম বাঙলাদেশে ৮৬ হাজার গ্রাম-পাড়া রয়েছে।
হুমায়ুন আজাদের পাক সারের ২১,২২,২৩ নম্বর পেইজ তুলে দিলাম।
তবে পাঠকেরা মাইন্ড করবেন না। এসব কাজ মুসলমানেরা করতে পারে না। ঘটনা কল্পনামাত্র। তবে বেশি বেশি কল্পনা করার কারণে আমরা হুমায়ুন আজাদকে হত্যা করি।
কনকলতা-বকুলমালার বাবা হরিপদকে হুমায়ুন আজাদের নায়ক বলে মায়াবড়ি খাওয়াতে।
হিন্দু মেয়েরা জন্মের পর থেকে মায়াবড়িই খাবে।
ছি! ছি! বাঙলার মুসলমানেরা কখনোই এটা করতে পারে না।
আসুন নিচের ভিডিও কয়টি দেখি।
লিঙ্ক ১
যাই হোক বাঙলাদেশে হিন্দুদের ঘর-বাড়ি জ্বালানো হবে, মেয়েদের ধর্ষণ করা হবে এইটা হইলো বাঙলাদেশের হিন্দুদের নিয়তি। আমি নাস্তিক কিন্তু খুশি যে হিন্দু ঘরে জন্মাই নাই। ৫-৬-৭-৮ নম্বর পূর্বপুরুষরে সালাম তিনি মুসলমান হইছিলেন বইলা। না হইলে পত্রিকায় নাম দেখতাম আমার মেয়ের- বোনের-মায়ের, বিলে লাশ ভাসতো আমার ছেলের-ভাইএর-বাবার।
“হে আমার প্র-প্র-পিতামহ তুমি ইসলামের ছায়াতলে আসছিলা বলেই আজ আমরা নিরাপদ।”
অনেক প্যাচাল পারছি। আসল কথায় আসি।
ইদানিং ক্যাডেট গ্রুপ গুলায় ইসলামের চেতনাধারীরা আবার কলরব শুরু করেছেন। ভাবলাম ক্যাডেটদের ও যে ইসলামী ফোরাম আছে এইটার খোঁজ এদের দিয়া আসি। যা গ্যাড়ানোর তা ঐসব ইসলামী গ্রুপে গিয়া গ্যাড়াক। আমরা মুক্তি পাই। আর আমরা গ্যাড়ামি দেখতে চাইলে ঐসব গ্রুপ ভিজিট করবো।
ফেবু তে ইসলামী ফোরাম দিয়া সার্চ দিলাম। চক্ষু কপালে।
ছেলেদের বা উপরের গ্রুপটা আগে থেকেই ছিলো। প্রায় ১১০০ মেম্বার এখন। এইটা খুব আনন্দের কথা।
এডমিনেরা এটাকে ভালোই চালাচ্ছেন বোঝা যায়। যতদূর মনে পড়ে আগে এডমিন ৫ জন ছিলো। ২ জন মেবি আমারে ব্লক করে রাখছে। তাই এদের আর দেখি না।
তবে মেয়েদের আলাদা গ্রুপ টা দেখেও ভালো লাগছে। যদিও মেম্বার খুব কম। আরো আরো বেশি করে বোনেরা ইসলামের নিচে আসবেন ভাবতে ভালো লাগে।
এডমিন ২ আপাকে আরো কর্মবীরাঙ্গনা হতে হবে।
সে অনেককাল আগে; এক বছরের বেশি হবে। দুই বছর ও হতে পারে।
একবার ভাবলাম দেখি না গিয়ে ইসলামিক ফোরাম কি কি আলোচনা করে?
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সব পোষ্ট – কমেন্ট পড়লাম। বেশ কিছু রেসিয়াল কমেন্ট পাইলাম।
এবং সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হইলো এক সিনিয়র ক্যাডেট; ৮০ সালের আগে পাশ করা ভাইএর করা লিষ্ট দেখলাম। তখন ৬ জনের নাম ছিলো ওতে। আমার নামটি ওতে রেখে ঐ বড়ভাইটি আমাকে আজীবন কৃতজ্ঞতা পার্শ্বে আবদ্ধ করলেন।
* ঐ পোষ্টটি বেশ কয়েকবার এডিট করা হয়।
** কি কি উদ্দেশ্য থাকতে পারে এই ধরণের লিষ্ট করার পিছনে।
আমি তাদের এই এহেন কুকর্ম অন্য ক্যাডেট ফোরাম গুলোতে তুলে ধরি। এরপর থেকেই এই ইসলামিক গ্রুপটি মুটামুটি আন্ডারগ্রাউন্ডে (???) চলে যায়। হয়তো এখনো তারা লিষ্ট বানায় গোপনে। হয়তো সেটা ওপেন হয় না ১১০০ জনের সামনে। হয়তো ১০-১৫ জনের কোন কোর গ্রুপ আছে সেখানে তারা কার পায়ের রগ কাটতে হবে, কার কল্লা নামাতে হবে তার হিসাব করেন, আলোচনা করেন।
লাষ্ট কথাটি হচ্ছে ইসলাম কি গোপনীয় একটা বিষয়???
এই লোকগুলা তো চেয়েছিলেনই অন্য গ্রুপে ইসলাম প্রচার করতে।
আজ তবে তাদের গ্রুপ গুলা ক্লোজ কেনো????
প্রিয় গানটি দিয়ে লেখাটি শেষ করি।
পাক সার জমিন সাদ বাদ
তুনিশানে আজমে আলিশান
আপনাদের খেদমতে গ্রুপ দুইটার লিঙ্ক
১ম
২য়
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
জাজাকাল্লাহ! আপনার লাইনে আসার সময় হয়ে গিয়েছে!
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
যাযাকাল্লাহ।
আই লাইক দিজ ওয়ার্ড।
কেমন একটা ভালো লাগার অনুভুতি ছড়িয়ে যায় দেহে-মনে। সাথে খয়রান বা খায়রান বললে আরো বেশি ভালো লাগে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমি চিন্তিত।
😕
আর হ্যাঁ, এডমিন আমিও ঐ তিনজনকেই দেখছি
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
আমার কাছে খারাপ লাগে নাই এই ধারণাটা।
কিন্তু এই যে হাইডিং হাইডিং গেম খেলা এইটার মধ্যে খেলা আছে।
ইসলাম নিয়া কথা কেনো লুকাইয়া বলতে হবে।
আর যদি বলতে হয় তবে সেটা ক্যানো???
বাট ইউ নো ডিজিএফআই ওয়াচিং দেম।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
নিরীশ্বরবাদ একটা আতঙ্কের নাম এক, দুই বা বহু ঈশ্বরে আস্থাজ্ঞাপনকারী সকলের কাছেই। গোষ্ঠীবদ্ধতার একটা প্রধান উপাদান বিশ্বাসজনিত সংস্কৃতির চর্চা এবং প্রসার। ঈশ্বর নেই, ছিলোনা কখনো -- এ দর্শনকে যুক্তি দিয়ে বা ধৈর্য দিয়ে মোকাবেলা করতে গেলে বহু আগেই ধর্ম বিলীন হয়ে যেতো। কেবল সন্ত্রাস, কেবল ভয় কেবল কণ্ঠরোধ করেই আরো কয়েক শতক পাড়ি দেবে 'বিশ্বাস'। ততদিনে অনেক রক্ত গড়াবে।
:boss: :boss: :boss:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সিরিয়াস প্রসঙ্গে কথা পাড়ার আগে এইটু হাইস্যা নেই-
=)) =)) =))
রাজীব,
অনেক দিন পর প্রাণ খুলে হাসার উপলক্ষ্য করে দেওয়ার জন্য তোকে ধন্যবাদ। দাবী করলি 'কুরান-হাদিস-তফসির' পড়ার, আর উদ্ধৃতি দিলি হুমায়ুন আজাদের থেকে। ক্যামনে কি?!!
সিরিয়াস প্রসঙ্গটা হচ্ছে এই ব্লগের বিষয়বস্তু নিয়ে- সেটা কি? পুরো পোষ্ট পড়ে একখানে পাইলামঃ
তাইলে কাহিনী হইলো এই যে, তুই ইসলামী চেতনার গ্যাড়ানী থেকে মুক্তি চাইছোস। ক্যাডেটদের ইসলামী ফোরাম গিয়ে ওদেরকে ইসলামের চেতনা গ্যাড়াইতে পরামর্শ দিছোস। খুবই উত্তম প্রস্তাব। আমি সম্পুর্ণ সমর্থন করি।
এখন আমারে ক'- তুই এইখানে এইসব গ্যাড়াইতেছোস ক্যান? সেইসব ইসলামী চেতনাধারী কি সিসিবি'তে এসেছে? ওরা যেখানে গ্যাড়াইছে সেইখানে এই ব্লগ দেওয়াই ত' যথার্থ ছিল।
শুধু বন্ধু হিসেবে নয়, সিসিবির একজন সদস্য হিসেবে আমার অনুরোধ, এইসব চুলকানী-পোষ্ট দিয়ে অযথাই নিজের সময় নষ্টের পাশাপাশি সিসিবি'কে নষ্ট করিস না।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
😀
:teacup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ইসলাম নিয়া আমার অনেক চুলকানি।
৫ ওয়াক্ত নিয়ম কইরা চুলকাই।
দাদ হইয়া গেছে।
এখন আর চুলকাইতে সুখ ও পাই না।
কিচ্ছু টের পাই না।
মনে হয় কুষ্ঠই হইয়া গেলো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
১ টা হাদিস দিছি, হুমায়ুন আজাদের পাক সার দিছি, শাহরিয়ার কবীরের ডকুর লিঙ্ক দিছি। খালেদা জিয়ার বাণী দিছি।
মাশাল্লাহ তোর পছন্দ ভালো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সৈয়দ হকরে নিয়া কয়দিন আগে তোর যে চুলকানি হইলো তা কি হক সাহেবরে মেইল কইরা জানাইছস?
দিলে ভালো।
না দিলে, এইখানে দিলি ক্যান???
তোর জ্ঞানিঅসুলভ যুক্তি অনুযায়ী বাশের কেল্লা নিয়া সমস্যা হইলে বাশের কেল্লায় গিয়া সেইটা বলতে হব্য ঠিক কিনা!
সুভানাল্লাহ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এবং আমি বুঝতে চাইছিলাম কিসে পরিবেশ নষ্ট হয়?
০১। হিন্দু রেপ করার কথা হইলে
০২। নাস্তিকদের লিষ্ট করা হইলে
০৩। ফেসবুকীয় ভন্ড ইসলামী চেতনার কথা বলা হইলে>>>>
আমি আসলেই বুঝতে চাই কিসে পরিবেশ নষ্ট হয়। ::salute::
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব,
তোর লেখা থেকেই উদ্ধৃতি দিয়ে দেখিয়েছি আমার সমস্যা কোথায়- তারপরেও না-বুঝলে সমস্যা আমার না, তোর। আজাইরা প্যাচাইস না, এখানে সবাই বোঝে কে কি বলছে। অনেকগুলো পোষ্টে অপ্রাসঙ্গিক ভাবে ইসলাম-বিদ্বেষ নিয়ে এসেছিস। ক্যান? এইসবের মাধ্যমে বুদ্ধিজীবি নাম কামাইতে চাইলে ত ফেসবুক আছে, আরো গন্ডাখানেক ব্লগ আছে, সেইসবে গেলেই ত' হয়।
পাঁচ ওয়াক্ত নিয়ম কইরা কি চুলকাইলি, আর তা'তে কোথায় কি হইছে সেইটা তোর ব্যক্তিগত সমস্যা। সিসিবিতে এইসব নিয়ে আসার মানে কি? এইটা কারো ব্যক্তিগত ডায়েরী বা রাফ খাতা না যে, মনে যা আসবে তাই লিখবে। তোর যতখানি অধিকার আছে সিসিবিতে, আমার বা অন্য কারো একতিল কম নেই সেই অধিকার। এই অধিকারের জোরেই বলছি, এইসব বাদ দে। অবশ্য তুই নিজেই যদি মডারেটরের পদে আসীন থাকিস, তাইলে ত' হিসাব অন্য।
তোর ব্লগে এইটাই আমার শেষ কমেন্ট। ক্যান সেইটা উপরে পারভেজ ভাইয়ের সিগ্নেচারে আছে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আমিও পারভেজ ভাই কে ধন্যবাদ দিতে চাই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
দোস্ত, তোর জটপাকানো চিন্তাভাবনা আর প্যাঁচাল একটু থামা প্লিজ। থাক না তুই তোর নিজস্ব ভাবনাগুলো নিয়ে। লোকজনকে খামোখা এত না খোঁচালেই কি নয়? ভালো থাক্।
সরি দোস্ত তোদের এইভাবে ট্রাবল দেই, খারাপ লাগে।
সত্যি খারাপ লাগে।
কেনো, বলি।
তুই তো সাধারণত কমেন্ট করিস না।
এইটাও যে করছিস তাও ই মেইল এড্রেস দিয়া।
তুই সচরাচর আমার লেখা পড়িস এইটা মনে হয় না।
পড়লে আগে জানাইতি।
তাইলে কি কারণ থাকতে পারে?
আমাদের কোন ক্লাসমেট-সিনিয়র-জুনিয়র তোরে বলছে এই রাজীব ছেলেটা ব্লগে নোংরামি করতেছে। বা এমন কিছু।
স্বাভাবতই ক্লাসমেট হিসাবে তোর খারাপ লাগছে।
আর তাই কষ্ট করে এইখানে এসে কথা গুলি বললি।
স্বীকার করি আমার মাথা জট পাকানো।
কিন্তু দোস্ত বাংলাদেশে শুধু মাত্র ধর্মের কারণে কেউ নিগৃহীত হবে, রেপড হবে, হত্যা হবে, দেশত্যাগে বাধ্য হবে আর আমি ধর্মীয় সম্প্রীতির গান গাইবো সেটা তো দোস্ত করতে পারবো না।
যদি দেখাতে পারিস এইখানে মিথ্যা কিছু বলেছি তাহলে মাথা পেতে সব মেনে নেবো।
কিন্তু নিজেরা নিজেরা নিজেদের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ বলবে আর এরপর ভন্ডামি করবে - এটা মেনে নিবো তা হয় না দোস্ত।
তোর কষ্ট টা বুঝলাম দোস্ত। তাই সরি আছি। 🙁
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ধন্যবাদ ভাই।
এইটাই যে বটম লাইন এইটাই পাবলিকে বুঝে না।
এরা সবাই মোদিরে ঘৃণা করে অথচ প্রত্যেকের বুকের ভেতর একটা কইরা মোদি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:duel:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
:teacup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
যাহা বলিব,সত্য বলিব,সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না
😀
:teacup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ক্যাডেট, এক্স-ক্যাডেটরা স্মলগ্রুপে কিছু একটা নিয়ে ফিসফিস করলে তার মধ্যে সামথিং "ফিসি" - বাকিদের এটা ভাবাটাই সবচেয়ে যৌক্তিক। না ভাবাটাই অস্বাভাবিক।
আমাদের সময়ে এইরকম দুইটা ফিসফিসানি ছিল আমাদের কলেজে। এখন জানি তার একটি বাম পন্থা কেন্দ্রিক। ফিসি পাবলিকগুলো প্রায় সবাই এখন ঘোর পুজিবাদি। বেশিরভাগই আমেরিকার বুকে দোর্দন্ড প্রতাপে পুজিভাবের চাষ করছেন।
একজনই ব্যাতিক্রম। পুরনো নীতিতে অবিচল থেকে বিদেশের হাতছানি উপেক্ষা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বসে সেই বামের চাষ এখনো করে যাচ্ছেন।
অন্যটি ছিল শিবিরের রিক্রুটিং ভেঞ্চার। যতদুর জানি প্রায় সবাই জামাতের টাকায়-অর্থায়নে কি কি যেন করছেন। খোলাচোখে বোঝা মুশকিল। তবে পুরো ব্যাপারটা ফিসি যে তাতে সন্দেহর কোন অবকাশ নাই।
এই দুইটা গ্রুপের লোকজনকে আমাদের আর সব এভারেজ ক্যাডেটের কাছে চিরটা কালই দুর্বোধ্য ঠেকেছে, এখনো ঠেকে। এখনো আলাপে আলোচনায় উনি কেমন আছেন, কি করছে জাতীয় আটপৌড়ে প্রশ্নের চেয়ে "উনি কি এখনো 'সেইরকমই' আছেন" -টাই প্রথমে ঘুরে ফিরে আসে।
এই লিখাটাকে আমার কাছে গড়পড়তা ক্যাডেটচিত একটা পোস্ট বলেই মনে হয়েছে।
কয়েক জন সমমনা এক্সক্যাডেট ধর্ম নিয়ে নিজেরা এমন কি শেয়ার করতে পারে যা গোপনেই করা লাগবে? ধর্ম কি কোন গুপ্ত বিষয়? নাকি এতে তাঁদের স্মার্টনেস কমে যায়? একটু খোলাসা করার দাবি রাখেই।
(ওহ, দ্যাট স্মার্টনেস! কলেজে থাকা কালে সব ক্যাডেটদের বৃহত্তম কনসার্ন এবং সোর্স অব স্ট্রেস...)
সেই ধরনের কোন আলাপ হবে বলে আশা করছিলাম। দেখি আরও অপেক্ষা করে।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
শিবির আর বাম নিয়া যে তথ্য দিলেন তা পড়ে ভালো লাগলো।
ধর্ম নিয়া আমারো কথা সেই টাই, গুপ্ত কেনো।
ফিস ফিস করে তখনই কথা বলা হয় যখন গোপন করার কিছু থাকে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আর যেহেতু গোপন করা হচ্ছে তখন ফিসফিসানির পাশাপাশি সন্দের দৃষ্টি আনাটাও যুক্তিযুক্ত। হাদীস ও কুরআনের আয়াত, প্রার্থনার সুফল নিয়ে আলোচনার জন্য লুকানো লাগে না। যারা অন্তর দিয়ে এই পথে আছেন তারা কখনো লুকিয়েছেন বলে মনে পড়ে না। বরং তালিকা তৈরী করতে, জীবনঘাতি কিংবা উগ্রপন্থী পরিকল্পনা করতে গেলেই লুকানো প্রয়োজন। সবাই লুকিয়েই করে। এখানে রকেট সায়েন্সের কিছু নাই। লুকাচ্ছেন মানে সন্দেহ করবো।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
😛
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ব্রাদার, মনে আছে কি আমাকে? জনাব অভিজিৎ রায়ের মৃত্যুর পর একটি লেখায় কিছু কথোপোকথন হয়েছিল। সর্বশেষ আমাকে হিজড়া বলে কথোপোকথন শেষ করেছিলেন। অবশ্য আপনাকেও আমি প্রায় বিস্মৃত হয়েছি। যদি ভুল লোককে এই বার্তাটি দিয়ে থাকি, ক্ষমা করবেন।
মনে করতে পারছি না। সাধারণত আমি কাউকে গালি দেই না। আর হিজড়া বলবো ক্যানো!!!!
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সরি ব্রাদার আপনি সেই ব্যক্তি নন। আমি আন্তরিক ভাবে দু:খিত। তিনি পারভেজ ভাই ছিলেন।
::salute:: ::salute:: ::salute::
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
এইখানে এসেই ধরা পড়ে যে "মুসলিম" আর "ইসলামিস্ট" এক জিনিস না।
😀
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ