৬০ বছরের সেরা ছবি, ১০ ডিডিভিতে

অস্কার পেলেই যে ঐটাই বছরের সেরা সিনেমা সেইটা ভাবার কোনো কারণ নাই। তবে অন্যতম সেরা সেটা মনে হয় বলা যায়। কিছু পুরস্কার পাওয়া ছবি দেখলে কপাল কুচকাইয়া যায়। কিছু আসলেই অসাধারণ।
ঢাকায় সব ছবি পাওয়াও যায় না। তবে অনেকগুলাই পাওয়া যায়। চোখে পড়লেই কিনি, সেরা পুরস্কার পাওয়া ছবিটি। আমার কাজ ডিভিডির দোকানগুলোতে ঢু মারা। আমি নতুন ছবির চেয়ে পুরান ছবি বেশী খুঁজি। পেয়েও যাই কোনো এক দুর্লভ ছবি। কিছু ছবি খুঁজতেই থাকি, পাই না। পাবো সেই ভরসাও ছিল কম।
আজ বসুন্ধরা যেয়ে পাইলাম অনেকগুলা ছবি। এসসাথে।
অস্কার পাওয়া প্রথম ছবি উইংস। ১৯২৭ সালে। ১৯২৭ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত ৬০ বছরের ৬০টা ছবি। ১০টা ডিভিডিতে। ঝকঝকা প্রিন্ট। কার না লোভ হয়। আমারও হইলো, আমি কিনলাম।
গাড়ির শো রুমে যাবো, নতুন মডেল আসলেই কিনবো-এই জীবন তো আমি চাই নাই। চাইছি, একটা বই বা গানের অ্যালবাম বা নতুন আসা মুভিটা যেন সাথে সাথেই কিনতে পারি। এই জীবন পাইছি। ভোররাতে উইঠা টিভিতে যাই, চাপাবাজি করতে। আমার গান, বই আর মুভির সখ পূরণ হয়।
১৯৩২ সালের গ্রান্ড হোটেল দেখার চেষ্টা করছিলাম। ভাল ছবি। অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ণ ফ্রন্ট বইটা (সেবার অনুবাদ) পড়েই দো বড় হলাম। এইটা ১৯৩০ সালের সেরা ছবি। দি ব্রডওয়ে মেলোডির (১৯২৯) অনেক নাম শুনছি।
ইট হ্যাপেন্ড ওয়ান নাইট (১৯৩৪) তো মজার একটা ছবি। রেবেকা (১৯৪০) সালের হিচককের ছবি। ১৯৬০ সালের দি এপার্টমেন্ট ছবিটা খুঁজছি অনেকদিন ধরে। আজ পেলাম। সিডনি পটিয়ারের ইন দ্য হিট অব দ্য নাইটও (১৯৬৭) আমার তালিকায় ছিল। ১৯৬৯ সালের দি মিডনাইট কাউবয় আমার অনেক পছন্দের এক ছবি। বেন-হার (১৯৫৯) দেখেছিলাম মধুমিতায়। বিশাল ক্যানভাসের ছবি।
আবার ডান্সেম উইথ দ্য উলভস (১৯৯০) ও আনফরগিভেন (১৯৯২) আমার খুব একটা ভাল লাগেনি। আবার এনিহল, ডিয়ার হান্টার, অ্যামাদিউস, ওয়ান ফ্লু ওভার দ্য কাক্কুস নেস্ট, প্লাটুন, ক্লামার ভার্সেস ক্রামার, কাসাব্লাঙ্কা, ওন দ্য ওয়াটার ফ্রন্ট, এগুলো সব সময়ের প্রিয় ছবি। সংগ্রহে আছে। এখন এএক জায়গায় সব পাওয়া গেল।
আমি কিনেছি বসুন্ধরার ওয়েলকাম মিউজিক থেকে। দাম ৭শ টাকা। পৃথিবীতে এতো সস্তায় আর কোথাও এই ছবি পাওয়া যাবে না। ভাল প্রিন্ট। সিলভার ডিস্ক।

Winners

2008 – “Slumdog Millionaire”

2007 – “No Country for Old Men”

2006 – “The Departed”

2005 – “Crash”

2004 – “Million Dollar Baby”

2003 – “The Lord of the Rings: The Return of the King”

2002 – “Chicago”

2001 – “A Beautiful Mind”

2000 – “Gladiator”

1999 – “American Beauty”

1998 – “Shakespeare in Love”

1997 – “Titanic”

1996 – “The English Patient”

1995 – “Braveheart”

1994 – “Forrest Gump”

1993 – “Shindler’s List”

1992 – “Unforgiven”

1991 – “The Silence of the Lambs”

1990 – “Dances with Wolves”

1989 – “Driving Miss Daisy”

1988 – “Rain Man”

1987 – “The Last Emperor”

1986 – “Platoon”

1985 – “Out of Africa”

1984 – “Amadeus”

1983 – “Terms of Endearment”

1982 – “Gandhi”

1981 – “Chariots of Fire”

1980 – “Ordinary People”

1979 – “Kramer vs. Kramer”

1978 – “The Deer Hunter”

1977 – “Annie Hall”

1976 – “Rocky”

1975 – “One Flew over the Cuckoo’s Nest”

1974 – “The Godfather Part II”

1973 – “The Sting”

1972 – “The Godfather”

1971 – “The French Connection”

1970 – “Patton”

1969 – “Midnight Cowboy”

1968 – “Oliver!”

1967 – “In the Heat of the Night”

1966 – “A Man for All Seasons”

1965 – “The Sound of Music”

1964 – “My Fair Lady”

1963 – “Tom Jones”

1962 – “Lawrence of Arabia”

1961 – “West Side Story”

1960 – “The Apartment”

1959 – “Ben-Hur”

1958 – “Gigi”

1957 – “The Bridge on the River Kwai”

1956 – “Around the World in 80 Days”

1955 – “Marty”

1954 – “On the Waterfront”

1953 – “From Here to Eternity”

1952 – “The Greatest Show on Earth”

1951 – “An American in Paris”

1950 – “All about Eve”

1949 – “All the Kings Men”

1948 – “Hamlet”

1947 – “Gentleman’s Agreement”

1946 – “The Best Years of Our Lives”

1945 – “The Lost Weekend”

1944 – “Going My Way”

1943 – “Casablanca”

1942 – “Mrs. Miniver”

1941 – “How Green Was My Valley”

1940 – “Rebecca”

1939 – “Gone with the Wind”

1938 – “You Can’t Take It with You”

1937 – “The Life of Emile Zola”

1936 – “The Great Ziegfeld”

1935 – “Mutiny on the Bounty”

1934 – “It Happened One Night”

1932/1933 – “Cavalcade”

1931/1932 – “Grand Hotel”

1930/1931 – “Cimarron”

1929/1930 – “All Quiet on the Western Front”

1928/1929 – “The Broadway Melody”

1927/1928 – “Wings”

৪,১৩১ বার দেখা হয়েছে

২১ টি মন্তব্য : “৬০ বছরের সেরা ছবি, ১০ ডিডিভিতে”

  1. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    সেইরকম একটা খবর দিলেন। হিসাব করে দেখলাম এর মধ্যে ২৮টা মুভি দেখছি। বাকি ৩২ টার জন্যই ডিভিডি কালেকশনটা সংগ্রহ করার ইচ্ছা আছে। সেই সুযোগে দেখা ২৮ টাও কালেকশনে চলে যাবে।

    অস্কার পেলেই যে ঐটাই বছরের সেরা সিনেমা সেইটা ভাবার কোনো কারণ নাই। তবে অন্যতম সেরা সেটা মনে হয় বলা যায়।

    একদম ঠিক কথা। অস্কার পাওয়াটা বছরের ভাল মুভিগুলার মধ্যেই একটা হয়। তবে হলিউডের বিশাল অংশগ্রহণ, তাদের লাভ-ক্ষতি, তাদের ব্যবসা বিবেচনা করেই অস্কার দেয়া হয়। শিল্পের বিচার অনেক ক্ষেত্রেই গৌণ হয়ে যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সুবিচার হয় না। পলিটিক্স এসে যায়। শিল্পের কদর হয়, তবে যথেষ্ট না।
    এ কারণেই বোধহয় আমার প্রিয় ডিরেক্টরদের প্রিয় সিনেমাগুলো জীবনেও অস্কার পায় নাই। অধিকাংশ বস ডিরেক্টরই সুসময়ে সম্মাননা পায় নাই, অনেকে আবার জীবনেও পায় নাই। যেমন স্ট্যানলি কুবরিক বা হিচকক অস্কার পায় নাই। মার্টিন স্করসেজির মত ডিরেক্টর পাইছে জীবনের শেষভাগে এসে।

    তারপরেও অস্কার পাওয়া সবগুলা একসাথে পেলে খুব ভাল হবে। সবগুলাই দেখার ইচ্ছা আছে। টাকা পয়সার ব্যবস্থা হলেই কিনে ফেলব।
    খবরটা দেয়ার জন্য আবারও ধন্যবাদ।

    জবাব দিন
  2. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    লিস্টের ৩৩ টা ছবি দেখে ফেলেছি 😮 😮 😮

    তবে সেগুলো যে অস্কার পাওয়া তা এই পোস্টের মাধ্যমেই জানলাম, জানলে হয়তো দেখাই হতো না অনেক গুলো, কারন আমার মতো দর্শকের কাছে পুরষ্কার পাওয়া মুভি মানে বোরিং মুভি 😛


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  3. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    কিন্যা ফ্যালাইসি :awesome: :awesome:
    যদিও এর মাধ্যমে মাসের মাঝামাঝিতে 'অর্থনৈতিক ফ্যালাইসি'তে পিড়ছি :((
    সিক্সটি অস্কার নাইটস শুরু করতাছি আইজকা থেইকাই :thumbup: :thumbup:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  4. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    অস্কার পাওয়াটাই বড় কথা না, এইটা মাসুম ভাই সুন্দর বলেছেন।
    আল পাচিনোর অস্কারের জন্য অনেক অনেকদিন অপেক্ষা করতে হইছে (সেন্ট অফ এ ওম্যান)।
    কিন্তু নমিনেশন পাওয়াটাও একটা বিশাল ব্যাপার।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  5. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    মাসুম ভাই কোন এক পোলার প্রিয়তে পোশটটা দেইখা আবার ঢু মারলাম।
    Dances with the wolves টা পুরা দেখা হয় নাই, তাই মন্তব্য করতে পারতেছি না। সংগ্রহে আছে। দেখে বল্বো।
    তবে Unforgiven নিয়া আপ্নার সাথে দিমত আছে।
    এইটা এই কারণেও হইতে পারে যে, ClinT Eastwood আমার প্রিয় অভিনেতাদের মদ্ধে একজন।
    আনফরগিভেন কেনো প্রিয় তা বলি।
    ডিরেকশন অসামান্য।
    বড় মাপের চার অভিনেতা একত্রে।
    পশ্চিমের রুক্ষ মেজাজি মানুষ।
    কঠিন জীবন।
    মানুষের মরযাদা, বেশ্যার ও।
    আপাত মূল্যহীন জীবন।
    খ্যাতির মোহ।
    বন্ধুত্ত।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।