দাজ্জালের আগমন ২

(আগের লেখায় যারা মন্তব্য করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।আর আমার ফ্রন্ট জনিত সমস্যার কারণে কিছু বানান ভুল আসে এজন্য সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।এই লেখায় ভুল পাওয়া যাবেনা আশাকরি।)

প্রথম লেখার পর আমার এই লেখার উদ্দেশ্য সর্ম্পকে অনেকে ভুল ধারণা করেছেন,প্রথমেই সেগুলো দূর করার চেষ্টা করছি।তবে যারা ইচ্ছা করে ঘুমাই তাদের ঘুম ভাঙানো য়ায় না।

আমি কিন্তু ইবলিসকে ফেরেশতা বলিনি বলেছি সে ছিল ফেরেশতাদের মধ্যে শ্রেষ্ট।আর হযরত ঈসা (আ) কে ক্রুশ বিদ্ধ করার আগেই আল্লাহতালা তাকে আসমানে তুলে নেন।মুসলমান হিসেবে আমি এটা বিশ্বাস করি তবে আমি ইতিহাসের কথ্ বলেছি।

আর যারা ভাবছেন আমি অনেক জঙ্গী মুসলমান আর কট্টরপন্থীদের মত খ্রিষ্ঠান ধর্মের দূর্নাম করছি,তাহলে আমি একটা কথাই বলব সেটা হল আপনি কি র্দূগন্ধ নাকে আসলে বলবেন আহা আমের বোলের গন্ধ।নিশ্চয় না তাহলে যেটা যা খারাপ দিক তা বলতেই হবে।আমি বলেছি খ্রিষ্ঠান ধর্মের ভিতরে শুধু আধ্যাত্মিক ব্যাপার গুলো ছিল কিন্তু সামাজিক রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে কোন দিকনির্দেশনা ছিলনা।এটা যদি বিশ্বাস না হয় তাহলে বাইবেল পড়ে দেখতে পারেন।

আর যারা ভাবছেন আমি পশি্চমাদের সবকিছুকে খারাপ বলছি তারা ভুল ভাবছেন।কারণ জ্ঞান বিজ্ঞান সহ সব ক্ষেত্রে যে উন্নতি সেটা আমি অস্বীকার করছিনা।সেগুলোর বিরুদ্ধেও আমার লেখা না।আমি বলতে চাইছি পশ্চিমানীতি হল দাজ্জালের আসল বূপ,ওটাই হল সেই দাজ্জাল।আসলে আমরা দাজ্জালকে সবাই চিনতে পারবনা কারণ হাদীসে আসছে”দাজ্জালের কপালে কাফির লেখা থাকবে।” যদি তার কপালে কাফির লেখা থাকে তাহলে সবাই তাকে সহজে চিনতে পারবে।সেক্ষেত্রে এত সাবধান হওয়ার দরকার নেই কারণ দেখা মাত্রই মানুষ চিনতে পারবে।ব্যাপারটা এমন হলে মানুষতো তার ভুল পথে চলবে না।তাহলে মানুষ কেন তাকে চিনতে পারবেনা?
এখানেও কাফির লেখার ব্যাপারটা রূপক অর্থে এসেছে কাফির লেখা থাকবে কপালে আর কপাল হল মস্তিষ্কের বাইরের একটা আবরণ।তাহলে বোঝা যাচ্ছে দাজ্জালকে চিনতে হলে প্রজ্ঞাময় হতে হবে।
আমি যে পশ্চিমানীতিকে দাজ্জাল বলেছি তার জন্য আমাকে কট্টরপন্থী ভাবতে পারেন।কারণ আমাদের বিশ্বাসই হবেনা দাজ্জাল কোন অজৈবিক বস্তু।হাদীসে আসেছে”যে বছর দাজ্জাল আসবে সে বছর তিনভাগের দুই ভাগ বৃর্ষ্টি হবে আর শস্যও হবে তাই।দ্বিতীয় বছর বৃর্ষ্টি হবে তিনভাগের এক ভাগ,শস্যও হবে তাই।আর তৃর্তীয় বছর কোন বৃর্ষ্টি হবেনা।মানুষ,পশু পাখি সর মরতে থাকবে।
দাজ্জাল তখন এক লোকের সামনে আসবে যার উঠ মারা গেছে,আর বলবে”আমি যদি তোমার উঠকে জীবিত করে দেয় তাহলে কি আমাকে রব মানবে।লোকটা বলবে”কেন নয়্”
দাজ্জালের সংগে শয়তান থাকবে সে তখন উটের রূপ নেবে।”

আমরা কি বর্তমান বিশ্বে কি তাই দেখছিনা পশ্চিমাণীতির কারণে পৃথিবীর আবহওয়ার যে বির্পযয় তাতে অনেক দেশ অনাবৃর্ষ্টির শিকার,অনেক দেশে বন্যা।আর এরকম হলে পশ্চিমারা কি করছে কিছু ত্রাণ পাঠিয়ে দিচ্ছে যা কখন আসল ক্ষয় ক্ষতির সমান হতে পারেননা।ঠিক দাজ্জালের
মিথ্যা উঠের মত।

হ্দীসে আসছে “দাজ্জালের জন্ম হবে শ্যাম আর ইরাক এর মাঝখানে আর তার মুল অনুসারী হবে ইহুদীরা ।”
বর্তমানে পশ্চিমা দেশগুলোর অনুসারী হল ইহুদীরা।

আরো আসছে”যারা দাজ্জালের অনুসারী হবে তাদের উপর সে বৃর্ষ্টি বর্ষিত করবে,তাদের শস্যক্ষেত্র অনেক ফসল দেবে,তাদের গবাদি পশু গুলো হবে তরতাজা।আর যারা তাকে মানবেনা তাদের অনাহারে কষ্টে দিন কাটবে।
বর্তমানে আমরা তাই দেখি যারা পশ্চিমা দেশগুলোর অনুসারী তার ধনী আর যারা করেনা তাদের কি অবস্থা ইরাকের দিকে তাকালে বোঝা যায়।

দাজ্জাল আসার কিছু লক্ষণ আছে সেগুলো হল
১.মানুষ আল্লাহর ইবাদত প্রায় ছেড়ে দেবে।
২.অসততাই জীবন চলার আদর্শ হবে।
৩.মিথ্যাকথা বলা একটি গুণ বলে বিবেচিত হবে।
৪.মূর্খরা জ্ঞানীদের থেকে বেশি সম্মানীয় হবে।
৫.নিরাপরাধ মানুষের রক্ত ঝরবে।
৬.শাসকরা দূর্নীতিগ্রস্থ হবে।
৭.মানুষের লজ্জা কমে যাবে।
৮.মানুষের যৌন জীবন সবার সামনে প্রর্দশিত হবে।
৯.শিশুরা তাদের মায়ের বিরুদ্ধে যাবে।
১০.পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যৌন সর্ম্পক থাকবে।
১১.অনেক মানুষ শয়তানের পূজা করবে।
১২.বৃদ্ধদের কোন সম্মান থাকবে না।

আমার মনে হয় এই সব গুলো ব্যাপার আমরা আমাদের সমাজে দেখা দেখি।আর এসবই প্রমাণ করে দাজ্জাল আমাদের মাঝে আছে।আমরা তার স্বরূপ চিনতে পারছিনা।যদিও এব্যাপারে হাদীস এসেছে।আমরাও চিনতে পারব যদি আমরা একটু গভীরভাবে চিন্তা করি।আর জীবনটা খুব ছোট এর মধ্যে অনেক সময় আমরা পার করে ফেলেছি্।যদি আল্লাহ আর তার রাসূলকে বিশ্বাস করে থাকি তাহলে মনে এখনই চিন্তা করা উচিত আমাদের কি করার কথা আর আমরা কি করছি।সবশেষে বলতে চাই আসার অবস্থান কিন্তু সভ্যতার অগ্রগতির বিরুদ্ধে আমার কথা হল আমরা অবশ্যই ভালো জিনিষ গ্রহণ করব খারাপ নয়।আর ভালো খারাপ বোঝার ক্ষমতা আর পথ আল্লাহ আমাদের দেখিয়েছেন।
আরো জানেত চাইলে এই সাইটটি ঘুরে আসুন

৭,৩৪২ বার দেখা হয়েছে

৫৭ টি মন্তব্য : “দাজ্জালের আগমন ২”

  1. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    পুরা পোস্ট পইড়াও তোমার লেখার উদ্দেশ্য ধরতে ব্যর্থ হইলাম। যদিও আমি ইচ্ছা কইরা ঘুমাই না..... পাঠকের ব্যর্থতা স্বীকার করলাম।

    তবে কিছু পয়েন্ট বলি। পারলে টু দ্যা পয়েন্ট এনসার কইরো ।
    তোমার শেষ প্যারা অনুযায়ী ঐ লক্ষ্মন দাজ্জাল আগমনের বানী দেয় তাই না? এখন যেহেতু দাজ্জালের বয়স ৩৭১, তার বয়স যখন শূন্য তখন এগুলো প্রকাশ পাবার কথা।ঐতিহাসিক ভাবে কি পাওয়া যায় যে ১৬৩৮ সালের আগে ঐ লক্ষ্মঙুলো খুব ছিলো?
    পাবার সম্ভাবনা আছে।কারণ ঐ সময়টা জ্ঞান বিজ্ঞানের দিক থেকে গোটা পৃথিবীর জন্য অন্ধকার সময়। কিন্তু আমার তো মনে হয় না, ইসলামী উমাইয়া সাম্রাজ্য কালে এই লক্ষ্মণ একেবারেই ছিলো না। সম্ভবত তখন আরো খারাপ ছিলো।ইমাম হোসেন (রা:) কে বর্বোরোচিত হত্যা কাপুরুষের ন্যায় কে করছে? কোনো ক্রিস্টান শাসক? আর মুসলিম প্রথম যুগ গুলোর শাসন এবং রাজ্যাধিকলারের গল্প পড়ো। তাদের ভোগ বিলাসের গল্প পড়ো। তখন না আইসা দাজ্জাল সাহেবের এতো পরে আসতে মন চাইলো ক্যান?
    এবার আসো আরেকটি বিষয়ে। তুমি বলেছো ক্রিস্টান পাদ্রীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। ঠিক আছে। তাই যদি হয় তাহলে তাদেরকে রাস্ট্র ব্যবস্থা থেকে আলাদা করা তো ঠিকই আছে তাই না? অথচ সেই কাজেই তোমার কাছে মনে হলো দাজ্জালের জন্ম... এক দিকে বলতেসো ক্রিস্ট ধর্ম কোরাপটেড আবার তাকে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা থেকে সরানো হয়ে গেলো আরো খারাপ। তোমার মতে তাদের কি করা উচিত ছিলো?
    পশ্চিমা শব্দটি তুমি খুব ব্যবহার করেছো। পশ্চিমা বলতে কাদের বুঝিয়েছো?যদি যুক্তরাষ্ট্র বুঝাও তাহলে বলি, চীন তো তাদের কাছে মাথা নত করে নেই জাপান ও নেই। এরা তো ক্রিস্টানও না ইহুদীও না? দাজ্জাল কেন এদের শাস্তি দিলো না?

    আরো প্রশ্ন তোলা যাবে। সময় করে রেখে যাবো। আমার ব্যাক্তিগত উপদেশ বলতে পারো," একটা বিষয়কে ভাবো বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে। ডাউট করতে শিখো। তা না হলে সত্য বুঝবে না।" একটা জিনিস পড়লে সেটা কে লিখলো কারা প্রচার করছে উদ্দেশ্য কী সব কিছুই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      ও আচ্ছা আরেকটা কথা। তুমি বললা খ্রিস্টান ধর্মে রাষ্ট্রনীতি নাই।একদম ঠিক কথা। এইবার আসো ইসলাম ধর্মের ব্যাপারে বলি। ইসলামে তো সবই আছে। তারপরেও চার খলিফার দুইজন (নাকি তিনজন) কেন অন্য দের হাতে শহীদ হলেন? পরের কথাগুলো আর কইতে চাইলাম না। বিধর্মীদের কাছে শোনার দরকার নাই। সুন্নী শিয়া মারামারি লাগছে এমন কোন লিঙ্কে গেলেই অনেক কিছু পাইবা। দু পক্ষের পারস্পরিক বিষেদাগার শুনলে সত্যের কাছাকাছি কিছু বের হয়ে আসতে পারে।

      জবাব দিন
      • সাদিক (২০০০-২০০৬)

        আমিন ভাই আমি কিন্তু একবারও বলিনি দাজ্জালের বয়স ৩৭১ বছর এটা আপনি কোথা থেকে দেখেছেন আমি জানি।আর আপনাকে আমি বলব ভাই আমরা আসলে নিজেদের ভাল করে জানিনা।আর আমি আবারও বলব যে আমরা যদি কোন দানবের অপেক্ষায় থাকি তাহলে মনে হয় ভুল হবে।আর ধরলাম আমার ধারণা ভুল তবে আপনার কি ধারণা যেটা সর্ম্পকে আল্লাহর নবী নিজে সর্তক করেছেন তা মিথ্যা হবে।আর আমি আমার লেখায় এটাই বোঝাতে চেয়েছি যে দাজ্জাল কোন দানব।আর দাজ্জাল কোন মানব নয় তার জন্ম বলতে আর্বিভাব বোঝায়।আর ভাই দাজ্জাল হল একটা নীতি ,আর জী্বন ধারণের পথ বলতে কিন্তু রাজনীতি,অর্থনীতি,আইন,সামাজিক ব্যবস্থা সব বোঝায়।আর আমি পশ্চিমানীতি বলতে এসব বুঝিয়েছি।আর আমি বলেছি ধর্ম বলতে আপনি কি বোঝেন আমার জানা নেই তবে আমার কাছে ধর্ম বলতেএকটা জী্বন ধারণের পথ এর মাঝে রাজনীতি,অর্থনীতি,আইন,সামাজিক ব্যবস্থা সব থাকবে।আর যখই কোন ধর্ম এই বৈশিষ্ঠ্য ছাড়া হবে তখন অরাজকতা আর বিরোধ শুরু হবে।কারণ ভিন্ন উৎস থেকে আসা দুইটা জিনিষ এক সাথে থাকতে পারেনা।আর আপনি নবী পরবর্তি সময়ের অরাজকতার কথা বলেছেন এর কারণই এটি আমরা কিছুটা আল্লাহর বিধান মানছি আর কিছুটা নিজেদের বানানো।আর মানুষের নিজের বানানো জীবন ব্যবস্থা কখনোই পরিপূর্ণ হতে পারেনা।আপনি গোলাম মোস্তফার লেখা "হযরত ওমর (রা)" বইটি যদি পড়ে দেখেন তাহলে দেখতে পাবেন সেই যুগে ইসলামের অর্থনীতি ব্যবস্থা কত শক্তিশালী ছিল।কারণ ঐ অর্থনীতি ব্যবস্থার উৎস ছিল আল্লাহর বিধান।আর আমি বলছি দাজ্জালের অনুসারী যে কেউ হতে পারে,যে কোন র্ধমের হতে পারে।

        জবাব দিন
        • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

          ৩৭১ এর কথা আমি বলছি, তুমি যেখান থেকে চোথা মারছ তার রেফারেন্স ধইরা। কারণ সেখানে বলা হয়েছে যখন ধর্মকে রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে আলাদা করা হয় তখন জন্ম হয় দাজ্জালের। এখন তুমি যদি তা না বলে থাকো তাহলে বলো দাজ্জালের আগমন কিভাবে কবে কোন সময়ের মাঝে হয়েছে?

          আর আপনাকে আমি বলব ভাই আমরা আসলে নিজেদের ভাল করে জানিনা

          বুঝি নাই কথাটা? এখানে "আমরা" বলতে ঠিক কী বুঝিয়েছ?

          আল্লাহর নবী নিজে সতর্ক করেছেন বুঝলাম কিন্তু তিনি কখনো বলেলনি সেক্যুলার ব্যবস্থা হলো দাজ্জাল। তিনি কোন সময়ের প্রেক্ষাপটে বলেছেন সেটাও তো ধোঁয়াশা তাই না।

          পশ্চিমা বলতে কাদের বুঝিয়েছো এটা পরিষ্কার করোনি। পশ্চিমা কোন নীতি বলতে
          দাজ্জালের নীতি বুঝিয়েছো সেটাও পরিষ্কার করোনি।পরিষ্কার করলে হয়তো আরো কিছু বলা যাবে।

          নবী পরবর্তী সময়ে ডাইরেক্ট সাহাবারাই কেউ অর্ধেক মেনেছেন কেউ অর্ধেক মানেননি এটা বলেই আসলে তুমি স্বীকার করে নিয়েছো আসলে ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা নয়। কেননা আল্লাহর সাহাবারা তো কেউ আর ভুল পথে চলেলনি। তার পরেও তারা বিভেদে জড়িয়ে গেছেন, তাই না?

          ধর্ম আমার কাছে পার্ট অফ কালচার। ক্ষেত্র বিশেষে কন্ট্রোল মেকানিজমও বটে। সংস্কৃতিবান মানুষের সংস্কৃতি হলো ধর্ম আর সংস্কৃতিহীন মানুষের জন্য ধর্ম হলো সংস্কৃতি। ব্যাক্তিগত পর্যায়ে বিলিফ প্র্যাকটিসে সমস্যা নেই কিন্তু সামষ্টিক পরিচালনায় এটি মোটামুটি ব্যর্থ। ধর্মকে ভিত্তি করে গড়ে উঠা রাষ্ট্র অশান্তি ছড়িয়েছে। ১৯৪৭-৭১ পাকিস্তান কিংবা ইসরাইলকে দেখো .......তাইলেই বুঝবা।

          আবারও বলছি তুমি সুপারফিসিয়াল এনসার দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছো। কিভাবে পশ্চিমানীতি দাজ্জাল, এর পক্ষে রাসূলের হাদীস এগুলো ব্যাখ্যা করো তাইলে হয়তো আরো ভালো মত বুঝা যাবে। আর পন্নী সাহেব যেসব এনালোজি দিয়েছেন ঐ সব এনালোজি তো অনেক কালের অনেক শাসকের জন্য কিংবা আমাদের কলেজের প্রিন্সিপালের জন্যও প্রযোজ্য....। তাই না?

          জবাব দিন
          • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

            আমার একটা অতি প্রিয় উক্তি উল্লেখ করি(সম্ভবত সিসেরো এর,কেউ প্রকৃত উক্তিকারীর নাম জানলে শুধ্রে দেবেন প্লিজ)- "রিলিজিয়ন ইজ নেসেসারি ফর দা ইগনরেন্টস, আননেসেসারি ফর দা ওয়াইজ এন্ড ইউজফুল ফর দা রুলারস।"(কেউ পার্সোনালি নেবেন না প্লিজ)

            ভাই সাদিক,তুমি বলেছঃ আমার কাছে ধর্ম বলতেএকটা জী্বন ধারণের পথ এর মাঝে রাজনীতি,অর্থনীতি,আইন,সামাজিক ব্যবস্থা সব থাকবে

            রাজনীতি,আইন বা সমাজনীতি সম্পর্কে আমার হয়তো তেমন কোন জ্ঞান নাই,তবে অর্থনীতির ছাত্র হিসেবে তোমার কাছে আমার প্রশ্নঃ অর্থনীতির সবচাইতে বেসিক একটা ধারণা "সুযোগ ব্যয়" বা "অপরচুনিটি কস্ট" তোমার ওই জীবন ব্যবস্থার ঠিক কোন বই/পুস্তক/রেফারেন্সে খুঁজে পাব একটু জানাইলে অশেষ উপকৃত হব,তোমারও দোজাহানের নেকী হাসিল হবে 🙂

            উত্তর দিতে পারলে খুব খুশি হব এবং তোমার ওই মতামতের প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা চলে আসবে।কিন্তু যদি তা না পার তাহলে ধরে নেব যে তোমার ওই দাবী শুধু মিথ্যা-ই নয়, অর্থনীতির যেসব পন্ডিত তাঁদের সারাজীবনের পরিশ্রমের মাধ্যমে একেকটা তত্ব,সিস্টেম দাঁড় করিয়েছেন তুমি তাঁদের সাধনাকেও অপমান করছ।

            জবাব দিন
          • সাদিক (২০০০-২০০৬)

            আমিন ভাই "আমরা" বলতে আমি মুসলমানদের বুঝিয়েছি।আর আপনি বলছেন না নবী পরবর্তি যুগে ইসলামের যে ভগ্ন দশা হয়ছিল এর কারণ এই না যে ইসলাম পূর্ণ নয এর কারণ এই যে আমরা ইসলামকে পুরাপুরি মানতে পারিনি আমরা কিছু মেনেছি আর কিছু মানেনি।ভাই পশ্চিমা নীতি বলতে আমি কিন্তু কোন দেশ র্নিদিষ্ট করে বোঝায় নি।আমি বারবার বলচি দাজ্জাল কেন জৈব বস্তু না।আর পন্নী সাহেবের মতে দ্জ্জাল এর জন্ম ৩৭১ বছর আগে হলেও আমার মনে হয় তা আরো আগে।
            আর ভাই আমার পোষ্ট মনে হয় বিরক্ত হয়ে আর ভালো করে পড়েননি।নবী বলছেন "দাজ্জাল এক চোখ দিয়ে দেখবে আর অন্যচোখ সে আচ্ছাদিত করে রাখবে।"
            ভাই আপনি কি এর সাথে পশ্চিমানীতির কোন মিল খুজে পাননা।আমার মেন হয় আপনি মিল পেতে চাননা,অথবা খুজতে চাননা।কারণ পশ্চিমা সমরনীতি বলেন আর অর্থনীতি সবই একপেশে নীতি।একই উদ্দেশ্য তা হল নিজেদের ক্ষমতা প্রতিষ্টা করা।আর তারা সফল এ সম্পর্কে নবী বলেছেন"দাজ্জাল সার পৃথিবী ব্যপ্ত থাকবে।
            আর মাসরুফ ভাই আপনাকে বলচি আপনি তো অর্থনীতির ছাত্র আপনাকে বলি আপনি "ইসলামী অর্থনীতি ব্যবস্থা" বইটি পড়বেন দেখবেন আপনার ঐ অর্থনীতির গুরুদের থেকে ইসলামী অর্থনীতি ব্যবস্থঅ কত সুন্দর।আর আপনি যেটা বলেছেন সেটা ছাড়া কি কোন অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে।
            আর আপনি বলছেন ইসলাম যে অর্থনীতি ব্যবস্থা দিয়ে গেছে তা পরিপূর্ণ আপনি অর্থনীতির ছাত্র আপনি পড়লে ভাল বুঝবেন তবে আমার সীমিত জ্ঞান এটাই বলে যে ইসলাম পরিপূর্ণ।
            আর আমিন ভাই ধর্ম ভিত্তিক রাষ্ঠ্র ব্যর্থ হয়েছে কারণ কোন রাষ্ঠ্র পুরাপুরি ধর্ম মানেতে পারিনি।ইসলামের যুগে প্রতিষ্টিত "মদিনা" কে আপনি কোন দিক থেকে ব্যর্থ বলবেন ওকটু উতাতর দেবেন?

            জবাব দিন
            • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

              মাসরুফ ভাই আপনাকে বলচি আপনি তো অর্থনীতির ছাত্র আপনাকে বলি আপনি “ইসলামী অর্থনীতি ব্যবস্থা” বইটি পড়বেন দেখবেন আপনার ঐ অর্থনীতির গুরুদের থেকে ইসলামী অর্থনীতি ব্যবস্থঅ কত সুন্দর।আর আপনি যেটা বলেছেন সেটা ছাড়া কি কোন অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে।

              আবারো অর্থনীতিবিদদের অপমান করলা।ইসলামী অর্থনীতি সম্পর্কে পড়াশোনা করিনাই এইটা তোমাকে কে বলল? আর হ্যাঁ,তোমার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে-ইকোনমিক্স ইজ আ সায়েন্স অফ চয়েজেস, "সুযোগ ব্যয়(opportunity cost)" এর ধারণা ছাড়া যে কোন অর্থনীতি( দ্যাট ইনক্লুডস ইয়োর সো কল্ড ইসলামিক অর্থনীতি) শুধু মুখ থুবড়ে পড়বেনা-সিস্টেমটা দাঁড়াতেই পারবেনা।

              তোমার সাথে এই নিয়ে আলোচনা করাটা বৃথা,কামরুল ভাই এর আগে আমিন ভাইকে মনে করায় দিলেও তুমি আমার নিজের কলেজ ভাই দেখে ভাবছিলাম হয়তোবা আলোচনা করলে কিছুটা হলেও লাভ হবে।কিন্তু রায়হান আবীর ঠিকই বলেছে-"দুইটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ইনটেলেকচুয়াল গ্রাউন্ডে দাঁড়িয়ে আসলে ঠিক আলোচনা চালিয়ে কোন ফলাফল আসেনা।সবশেষে এইটুকু বলি, ইকোনমিক্স কট্টর রকমের ম্যাটেরিয়ালিস্টিক একটি শাস্ত্র-এইখানে "সকল সম্পদ আল্লাহর দান" টাইপের ধারণার(যা কিনা ইসলামী অর্থনীতির মূলকথা) কোন স্থান নাই।
              ইসলামি অর্থনীতির উপরোক্ত মূলকথা অস্বীকার করেও বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভালোভাবেই টিকেছে এবং স্বাভাবিক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে সামনে অগ্রসর হচ্ছে( ওয়েলফেয়ার স্টেটগুলোর মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চমৎকার একটি উদাহরণ),তবে "opportunity cost" এর ধারণা অস্বীকার করা যতক্ষণ পর্যন্ত সম্পদ অসীম না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত অসম্ভবই থাকবে।

              আরেকটা সবিনয় নিবেদন করি, কোনকিছু সম্পর্কে জানতে হলে শুরুতেই হাজার বছর আগের কুরআন/বাইবেল/বেদ ঘাঁটাঘাঁটি করে সেইটার সাথে তালগোল পাকায়ে আন্দাজে একতা উদ্ভট মতবাদ দিয়ে নিজেকে হাস্যস্পদ করার চাইতে সেইটার সম্পর্কে প্রচলিত বর্তমান এবং আধুনিক টেক্সবইগুলো পড়ে নেয়া মনে হয় অধিকতর নিরাপদ ও গ্রহণযোগ্য।

              আমি এখানেই ফুলস্টপ,তোমার উত্তরের অপেক্ষাতেও রইলাম না।ভালো থাইকো।

              জবাব দিন
            • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

              মাসরুফ যেমন বলল আমিও তাই বললাম। এই কমেন্টের পর আর তোমার কোন জবাব আমি আশা করি না। কলেজে সাইফুল ইসলাম স্যার একটা জোক বলতেন। পুরোটা মনে নেই, যতটুকু মনে আছে সেটুকু বলি," এক বাড়িতে গরু চুরি গেছে সবাই গোয়েন্দা সেজে কাজে লেগে গেছে। এর মাঝে একজন বলল, আমি পাইছি , কে চুরি করছে? বাকিরা জানতে চাইল কে? তার উত্তর, চোরে চুরি করছে। সবাই বিরক্ত হয়ে তাকে থামিয়ে দিলো। বলল ফাজলেমি না করে ভালো করে খোঁজ। একটু পরে সে বলল, পাইছি। আবার সবার প্রশ্ন কে? এবার সে বিজ্ঞের ভঙ্গিতে বলল, গরু চোরে চুরি করছে।" এই জোক বললাম কারণ তোমার কাছে জানতে চেয়েছি ১৬৩৮ না হলে কবে দাজ্জালের জন্ম। তুমি বললে তারো আগে।৬৩২-১৬৩৮ মোট ১০০৬ টা সাল আছে,,,,,, তার মাঝে কোন সময় সময় স্পেসিফিক না হলে কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে, তা সম্ভব না হলে অন্ত একশত বছরের একটা ব্যান্ড কোনটাই না বলে তুমি বললে আরো আগে......কিছু বলার নাই।

              ধর্ম রাষ্ট্রব্যবস্থা পরিচালনায় সেই প্রগৈতিহাসিককালে সফল হয়েছিলো। তার মানে এই নয় এখনো তা প্রযোজ্য হবে। খুব সহজ একটা জিনিস তুমি বোঝনি। ধর্ম হলো স্ট্যাটিক। তার আদেশ উপদেশ সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয় না। কিন্তু সমাজ গতিশীল। যুগের নীতিবোধ আচার প্রথা এসব দ্বারা সে পরিচালিত হয়।
              তাই আধুনিক রাষ্ট্র যুগের চাহিদার ভিত্তিতে তার নীতিমালা পরিবর্তিত হয়।
              সহজ উদাহরণ দেই , ইসলামিক নিয়ম চুরি করলে তার হাত কেটে দেয়া হবে।তোমার কি মনে হয় এটা আধুনিক যুগে প্রযোজ্য হওয়া উচিত? বরং তার চেয়ে চুরির পিছনের কারণ বিশ্লেষণ করে সেটা বন্ধ করা হবে আধুনিক পদ্ধতি। পশ্চিমের অনেক দেশেই চুরি করলে হাত কাটা হ্য় না।কিন্তু সেখানে চুরির হার হাত কাটা আইন প্রয়োগ করা সৌদি আড়বের চেয়ে কম।
              তোমার কী ধারণা তোমার এক চোখা নীতির কথা আমি পড়িনি। সমস্যা হলো তুমি নীতিগুলো গায়ের জোরে দাজ্জালের সাথে তুলনা করে গেছো। এক চোখা নীতির দাজ্জালের খোঁজ করো। তোমার বাড়ির বাড়িওয়ালা অফিসের বস কলেজের প্রিন্সিপাল থেকে শুরু আরো অনেককেই পাবা।
              গোলাম মোস্তফার রেফারেন্স দেয়ার মাঝেই তোমার চিন্তার দৈন্যতা বুঝা যায়/ গোলাম মোস্তফা কী লিখেছেন তা আমি পড়িনি তবে সেসময়ের অর্থনীতির সার্টিফিকেট কখনো গোলাম মোস্তফা দিতে পারেন না। বর কোন অর্থনীতিবিদের রেফারেন্স দিলে খোঁজ করতাম।
              কারণ গোলাম মোস্তফার পরিচয় আমার কাছে বাবরের স্তুতিকারী একজন চাটুকারের চাইতে বেশি কিছু নয়।
              তোমার জন্য শুভকামনা। ভালো থেকো।

              জবাব দিন
              • রায়হান আবীর (৯৯-০৫)
                ইসলামিক নিয়ম চুরি করলে তার হাত কেটে দেয়া হবে।তোমার কি মনে হয় এটা আধুনিক যুগে প্রযোজ্য হওয়া উচিত?

                আমিন ভাই, একটা ভুল করলেন। এই ছেলে এই প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ বলবে, বলাই বাহুল্য।

                বহুকাল আগে, আমি এই যুক্তিটা ব্যবহার করতাম। কিন্তু কলেজের এক বন্ধু, যার বুদ্ধিবৃত্তির উপর আমার শ্রদ্ধা ছিলো, সে এই যুক্তিদানের পর বলেছিলো, অবশ্যই হাত কেটে দেওয়া উচিত! এরপর থেকে এই বিষয়ে আর কথা কইনা।

                জবাব দিন
              • সাদিক (২০০০-২০০৬)

                আমরা কি সব কি আদূনিক যুগের মানি আমাদের দেশে যে আইন তার আসল যে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর সেটা কিন্তু ১৮৯৮ সালের তা আজ ব্যবহৃত হচ্ছে।
                আর আমিও একটা খুব বাস্তব কথ্ বলিযুগে যুগে যারা অবিশ্বাসী আর অস্বীকারকারী হয়েছে তার ধ্বংস হয়ে গেছে মানুষের ধর্ম বিশ্বাস নয়।

                জবাব দিন
                • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

                  কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর এর উদাহরণ তুললা দেখে জবাব না দিয়ে পারছিনা।

                  সি আর পি সি ১৮৯৮ টা একজন হবু পুলিশ অফিসার হিসেবে আমার অবশ্যপাঠ্য।শুধু সি আর পি সি না, পুলিশ সার্ভিসে ব্রিটিশ আমলের বহু আইন এখনো ব্যবহার করা হয়। এই আইনগুলোর অনেক কিছুই এবং ঔপনিবেশিক আমলের অনেক বিধি বিধান ১০০ বছর পরের সময়ের সাথে সংগতিপূর্ণ না হওয়ায় আগাগোড়া সংস্কার করে "পুলিশ রিফর্ম এ্যাক্ট-২০০৮" গঠন করা হয়-যা এখনো অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। আশা করা যাচ্ছে খুব শিঘ্রি এই সংস্কার কাজ বাস্তবে রূপ পাবে এবং আমরা একটি আধুনিক পুলিশ বাহিনী দেখতে পাব যাদের মধ্যে ঔপনিবেশিক ক্ষতিকর মানসিকতা থেকে বেরিয়ে দেশের সত্যিকারের সেবা করার প্রবনতা দেখা দেবে।

                  মাত্র ১০০ বছরের পুরনো আইনকেই সংস্কার করে নেবার প্রয়োজনীয়তা যখন এত প্রকটভাবে দেখা দিচ্ছে-সেখানে হাজার বছরের পুরনো নিয়ম কানুনের কথা না তোলাই ভালো।

                  তোমার মন্তব্যের দ্বিতীয় অংশের উত্তরটা ইচ্ছে করেই দিলাম না,মনে কষ্ট পাইতে পারো।

                  জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      Amin,
      tumi khub valo bolecho.
      In my early age ('87, '88 er dike) liked and fond of INQUILAB newspaper. During that time they used best paper and printing method. Banglay bolle bolte hoy, "Jokjoke Chapa".
      Even in CC life got some Saimum book from some elder brothers.
      Thank God Je oi line e jai nai. either this topic could be written by me.
      Just think we even planed to kill Ahmad Sharif, Shamsur Rahman, Nilima Ibrahim.
      Ha ha ha; bojo taile.


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
  2. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

    সাদিক, আশা করেছিলাম তুমি এই পর্বটা একটু গুছিয়ে আর একটু নিরাবেগভাবে লিখবে ......... তোমার লেখাটা পড়ে এখনো মনে হচ্ছে তুমি কোনো বই থেকে বা কারো মুখ থেকে শুনে হুবুহু তুলে দিচ্ছ .....

    আপনি কি র্দূগন্ধ নাকে আসলে বলবেন আহা আমের বোলের গন্ধ। নিশ্চয় না তাহলে যেটা যা খারাপ দিক তা বলতেই হবে।

    আসলে আমি ইসলাম ধর্ম পালন করি দেখে অন্য ধর্মের কোনো কিছু আমার দেখতে
    খারাপ লাগলেই আমি সেটা সরাসরি খারাপ বলে ঘোষণা দিয়ে দিতে পারিনা ..... তারাও ওই ব্যাপারটা অনেক দিন ধরে প্র্যাকটিস করে আসছে, তার পেছনে নিশ্চয় কোনো কারণ আছে এবং সেই কারণ না জেনে না বুঝে আমি খারাপ বলতে থাকলে সেটা শুধু বিভেদ বাড়াবে .......

    তুমি এখানে অনেক বার পশ্চিমানীতি ব্যাপারটা বলেছ, কিন্তু এইটা দিয়ে কি বোঝায় সেটা একবারও পরিষ্কার করনি .... তুমি এই সিরিজটা কন্টিনিউ করবে কিনা বুঝতে পারছিনা, তবে তোমার লেখাতে অনেক বিষয় অস্পষ্ট রয়ে গিয়েছে ----
    ১) পশিমানীতি বলতে আসলে কি বোঝায় ??? পশ্চিমা বলতে তুমি যদি আমেরিকাকে বুঝিয়ে থাক, তাহলে আমার মনে হয়, তারা নিজেদের কালচার ছড়ানোর চাইতে ব্যবসা করতে বেশি আগ্রহী .....
    ২) তুমি দাজ্জাল আসার যে লক্ষনগুলো বলেছ, এইগুলো গত হাজার বছর বা তার চাইতেও বেশি সময় ধরে হয়ে আসছে ..... তাহলে এই সময়টাকে আমরা দাজ্জাল আসার সময় বলছি কেন??? একটা মজার ব্যাপার হলো, ইউরোপের অন্ধকার যুগে এক পোপ (নাম মনে আসছে না) প্রায় এই ব্যাপারগুলো উল্লেখ করে বলেছিলেন এইগুলোর জন্যে খ্রিষ্টানরা ধ্বংশ হয়ে যাবে ......
    ৩) তুমি বেশ কিছু যুক্তি দেখিয়েছ, ----

    আমরা কি বর্তমান বিশ্বে কি তাই দেখছিনা পশ্চিমাণীতির কারণে পৃথিবীর আবহওয়ার যে বির্পযয় তাতে অনেক দেশ অনাবৃর্ষ্টির শিকার,অনেক দেশে বন্যা।আর এরকম হলে পশ্চিমারা কি করছে কিছু ত্রাণ পাঠিয়ে দিচ্ছে যা কখন আসল ক্ষয় ক্ষতির সমান হতে পারেননা।ঠিক দাজ্জালের
    মিথ্যা উঠের মত।
    হ্দীসে আসছে “দাজ্জালের জন্ম হবে শ্যাম আর ইরাক এর মাঝখানে আর তার মুল অনুসারী হবে ইহুদীরা ।”
    বর্তমানে পশ্চিমা দেশগুলোর অনুসারী হল ইহুদীরা।

    এই যুক্তিগুলো এই প্ল্যাটফর্মে আরো অনেক ব্যাখ্যার দাবি রাখে .... শুধু এইটুকু বলাতে আমার কাছে মনে হচ্ছে তুমি জুজুর ভয় দেখাচ্ছ .....

    তুমি মনে ব্যথা পেলে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী, কিন্তু ওয়াজের স্টাইলের যুক্তি আমি কোনভাবেই গ্রহণ করবনা .....

    সবশেষে, দাজ্জাল বা দ্য বিস্ট (আমি যদি ভুল না করে থাকি, খ্রিস্টানরাও "coming of beast" ব্যাপারটা বিশ্বাস করে), এইটা পড়ার জন্যে খুব ইন্টেরেস্টিং একটা টপিক .... আমি আশা করেছিলাম, তুমি নিরাবেগভাবে মুসলমানদের এবং খ্রিস্টানদের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে ব্যাপারটা তুলে ধরবে, কিন্তু তোমার লেখাটা যেভাবে শেষ হলো তাতে আমি একটু হতাশ হয়েছি ..... একটা ব্যাপার একটু খেয়াল করে দেখো, অন্য ধর্মকে হেয় করে ইসলামিক লেখাগুলো কট্টর মুসলিমরা বাদে কেউ পড়বেনা ... তোমার উদ্দেশ্য যদি হয় ইসলামের ভালো দিকগুলো সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া, তাহলে তোমাকে অনুরোধ করব, তুমি তোমার লেখা নিরাবেগভাবে লেখ এবং সিদ্ধান্ত নেবার ভার পাঠককের ওপরে ছেড়ে দাও .....

    জবাব দিন
  3. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।
    সিসিবির পাতা এ রকম আরো গবেষনামূলক পোস্টে ভরে উঠুক।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  4. সাদিক (২০০০-২০০৬)

    আমাদের আসলে সবার বোঝার ভুল হচ্ছে কারণ আমি কিন্তু একটা যোগাযোগ স্থাপন করতে চেয়েছি যে আমরা যে সময়টার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি সেটা দাজ্জাল এর আগমনের বার্তা দেয়।আর আমি একটা কখা বলি কুরআন শরীফে বারবার বলা হয়েছে সুস্পষ্ট নির্দশন আসা সত্ত্বেও মানুষ বারবার ভুল করে আমাদের সামনে নির্দশন আছে আশা করি আমরা নিজেদের জ্ঞান দিয়ে আমরা সেটা বুঝতে পারব।

    জবাব দিন
  5. মঞ্জুর (১৯৯৯-২০০৫)

    সাদিক, এসব বিষয় নিয়ে লেখার আগে আরো জেনে তারপর লিখবে আশা করি। আর ইসলাম নিয়ে লিখতে চাইলে আরো basic টপিক নিয়ে লেখো।এগুলো অনেক পরের বিষয়।
    ভালো থেকো।

    জবাব দিন
    • রায়হান আবীর (৯৯-০৫)
      সবশেষে বলতে চাই আসার অবস্থান কিন্তু সভ্যতার অগ্রগতির বিরুদ্ধে আমার কথা হল আমরা অবশ্যই ভালো জিনিষ গ্রহণ করব খারাপ নয়।আর ভালো খারাপ বোঝার ক্ষমতা আর পথ আল্লাহ আমাদের দেখিয়েছেন।

      ফ্রণ্ট জনিত সমস্যায় বাক্যটা উলটা পালটা হইয়া গেছে। ধারণা করলাম, তুমি সভ্যতার অগ্রগতীর বিরুদ্ধে না। তুমি খালি ভালো জিনিস গ্রহণ আর খারাপ জিনিস বর্জন করার অনুরোধ জানাইতে চাইতেছ।

      ভালো জিনিস আর খারাপ জিনিস যে সম্পূর্ণ একটা আপেক্ষিক ব্যাপার সেটার নিয়া তোমার সাথে আলাপ ইচ্ছা নাই। যেহেতু এই পার্টের উদ্দেশ্য আগের পার্টের ভুল বুঝাবুঝি সমাধান করা, তাই বলতে চাই, আমি সহ আরও দুই একজন বলছিলো, তুমি হিজবুতদের একটা বই থেকে চোথা মারছ- সেটার ব্যাপারে কোন বক্তব্য নাই কেন?

      দ্বিতীয় পয়েণ্ট হইলো, পশ্চিমাদের ভালো জিনিস গ্রহণ মানে কি? তাদের ইউনিভার্সিটি পইড়া, তাদের দেশে চাকরি কইরা, তারপর তাগোরে ইহুদি দালাল কইয়া পোংগা মারা?

      তৃতীয় পয়েন্ট হইলো, এই পশ্চিমারা আসলে কারা? আম্রিকা? কিন্তু সেই ক্ষেত্রে জলবায়ূ দূষণে আম্রিকার পাশাপাশি তো চীনও অনেক আগায়ে আছে। চীনও কি পশ্চিমাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত?

      সবশেষে, তোমার লেখা নিয়ে মক বা অপ্রাসংগিকতা তুলে ধরাটা অপ্রয়োজনীয়। তোমাকে কেউ মগজ ধোলাই দিয়েছে। যারা দিয়েছে তারা আসলে আমাদের দৈন্যতাকে পুজি আমাদের ক্ষেপায় তুলে। দৈন্যতার জন্য অন্যকে দোষ দিলে কোনো লাভ হয়না, দৈন্যতা কাটাবার চেষ্টা করতে হয়।

      আজকের মুসলিম বিশ্বের দিকে তাকাও। এরা আছে ইহুদি- নাসারা ষড়যন্ত্র নিয়া। বর্তমান সময়ে পৃথিবীর জ্ঞান- বিজ্ঞানে মুসলিম বিশ্বের সামগ্রিক অবদানের কথা ভাবো। কুরআন- হাদিসে যে সব প্রশ্নের উত্তর নাই, এটা বুঝো। থাকলে আজকে মুসলমানরা এতোটা পিছে পড়ে থাকতোনা।

      তোমার জীবন দীপাণ্বিত হোক। অন্যের শিখানো বুলি না আউড়িয়ে তোমার জীবন অগ্রসর হোক, অনেক বড় হও, হিজবুত তাহরির, শিবিরের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলো এই কামনা রইলো

      জবাব দিন
  6. রাব্বী (৯২-৯৮)

    হায়! হায়! দাজ্জাল আসার সবগুলো লক্ষনই দেখি বিভিন্ন ক্যাপাসিটিতে বাংলাদেশেই আছে। ব্যাপক চিন্তায় পড়লাম কিন্তু! মাথাটা গুরায়তেছে!


    আমার বন্ধুয়া বিহনে

    জবাব দিন
  7. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    আমি যেহেতু ইসলাম ধর্মাবলম্বী নই, সেহেতু অনেক কিছু জানতে ইচ্ছে করে এই ধর্মটি সম্পর্কে। পড়বো পড়বো করেও কোরআন শরীফ টা শেষ করা হয়নি এখনো।
    আমি মনে করি দাজ্জাল সম্পর্কে কোরআনে যে কথাগুলো লেখা আছে সেটা তুমি verbatim quote করো প্রথমে। তুমি ধরেই নিয়েছো, দাজ্জাল সম্পর্কে এখানে সবাই জানে। এই আমি যেমন কিচ্ছু জানিনা। মানি বা না মানি, ইসলামে (কোরআনে) 'দা্জ্জাল' নিয়ে কি বলা আছে তার তাৎপর্যে যাবার আগে সেটি জানা/জানানো জরুরী বলে মনে করি। সেই তথ্যগুলো মিসিং এই সিরিজে।

    তারপর আসছে, 'দা্জ্জাল' ব্যাপারটির interpretation. এখানে বহু মতভেদের অবকাশ রয়েছে। তা পশ্চিমা সভ্যতা ( এবং তার প্রকট লক্ষ্মণ সমূহ)-র সংগে দাজ্জালের যে সাদৃশ্য তুমি খুঁজে পাচ্ছো সেটি কি তোমার একার উপলব্ধি, না একটা বহুল প্রচলিত থিওরি? অন্যান্য মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে পরেরটিই সত্যি। এ ব্যাপারটা খোলাসা হওয়া প্রয়োজন।

    কাজ শেষে বাড়ি ফিরে যখন চিঠির বাক্স খুলি, তখন প্রায়ই দেখতে পাই brotherhood, christian fellowship, আর চার্চ এ যাবার নিমন্ত্রণ। আমার খারাপ লাগেনা। দেশেও তবলীগ জামাত-এর লোকজন কতবার বিনয়ের সংগে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন। ইন্ডিয়াতেও অনেকবার ইসকন এর আমন্ত্রণ পেয়েছি। কিন্তু যখন letter box এ দেখি পড়ে আছে, 'The Beast is coming', আর সেটা উল্টে পাল্টে যখন দেখি নানান খোঁড়া উল্টাপাল্টা যুক্তি দিয়ে, বাইবেলের রেফারেন্স দিয়ে একটা কাল্পনিক শত্রু দাঁড় করানো হচ্ছে, যখন লেখা থাকছে ' when a christian kills a Christian' [ যার মানে এই আমি সংখ্যালঘুর কাছে: একজন খৃস্টান আরেকজন অখৃস্টানকে খুন করলে কিছু যায় আসেনা] তখন আমি কিছুমাত্র দ্বিধা করিনা সেই booklet টিকে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করতে।

    এই থিওরিতে অনুপ্রাণিত হয়ে যে কাউকে দাজ্জাল বানানো খুব সহজ। দিব্যদৃষ্টি লাভ না করে যে কেউ আমার মাথাটা ফাটিয়ে দেখে নিতে চাইতেই পারে সেখানে কাফির লেখা আছে কি না । (কারো কারো তো মনে হতেই পারে আমার মাঝে সেই লক্ষণগুলো প্রকট, তাই না?)

    জেগে যারা ঘুমিয়ে আছে (ন), তাঁদের জাগাতে চাইছো ভালো কথা। কিন্তু জাগলে কন্ট্রোল করতে পারবা তো! এরই মধ্যে একজন জিহাদি ডাক দিয়া গেলেন তোমার আগের পোস্টের মন্তব্যে।

    জবাব দিন
  8. সাল্লু (৯২/ম)

    অবশ্যই পশ্চিমারা দাজ্জাল, তাদের সব কিছু বর্জন করবা - ইন্টারনেট বর্জন করা দিয়া শুরু করবা। দাজ্জাল পার্ট-থ্রি ব্লগে না লিখ্যা অরিজিনাল কুরান-হাদিস স্টাইলে গাছের পাতায় লিখবা, তারপর ঘোড়ায় চইরা (খবরদার গাড়ি/বাসে উঠবা না, ঐগুলা পশ্চিমাদের তৈরী = দাজ্জালের বাহন) সিসিবির সবাইরে এক কপি বিলায়া আসবা। আর ব্লগে উপস্থিত নাস্তিক/ইহুদী/নাসারাদের ধাতানি খাইয়া মাথাব্যাথা হইলে পানিপড়া খাইবা, ভুলেও পারাসিটামল খাইবানা, এইগুলা দাজ্জালীয় ভুজুং-ভাজুং।

    জবাব দিন
  9. আয়েশা ( মগকক) আয়েশা

    সাদিক,
    তুমি কি আরেকটু স্পেসিফিকলি লিখতে পারবে যে পশ্চিমের কোন কোন নীতিগুলো দজ্জাল হবার শর্তগুলো সিদ্ধ করছে? যদিও তুমি যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে কিছুই লিখনি, কিন্তু পশ্চিমা সভ্যতার দিকে আঙ্গুল তুললে মোটামুটি ইউ এস এ কেই ইঙ্গিতে বোঝানো হয়। মানছি ওদের কিছু পলিসি বিরক্তিকর। তারপরও বারবার ওদেরকে দজ্জাল বলে কি আমরা নিজেরাই একচক্ষুবিশিষ্ট দজ্জাল হয়ে পরছিনা? মানলাম একটা সময় আসবে যখন আমাদের ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে, মানুষ সত্যকে অস্বীকার করবে. কিন্তু ভাইয়া আমার দৃষ্টিতে তুমি নিজেই ঘুমিয়ে আছ, সব দোষ শুধু এই নন্দ ঘোষ( পশ্চিম সভ্যতা) কে দিয়ে।

    তোমার এই পোস্ট টার মূল সুর কি ছিল? পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর? ওদের পণ্য বর্জন করার?

    আমি জানিনা তুমি নিজেই আরবী বুঝো কিনা। যদি নিজে আরবি না বুঝো তবে বিভিন্ন translator দের ব্যাখ্যাগুলো কে পড়বে। একজনের অনুবাদ পড়েই সিদ্ধান্তে এসনা। এর পাশাপাশি তুমি ফার্স্ট ক্রুসেড থেকে শুরু করে, অত্তমান, সাফাভিদ এবং মুঘল পড়তে পার। দেখতে পাবে ধর্মকে বিবর্ণ করে কতটা হানাহানি হয়ে গেছে। তাই বলি, যখন কোনো ধর্মকে হাতিয়ার করে একটি নির্দ্দিষ্ট জাতি বা অন্য ধর্মের প্রতি উস্কানিমূলক kotha urbe, তার folafol valo hobena....ar shekhane একটি gota shovyotake দজ্জাল bo'le ovihito korar folalfol তো marattok।

    ফ্রিম্যাসনদের নিয়ে একটা ডকুমেন্টারি দেখার সময় ওদের একটা সিম্বল দেখেছিলাম সেটা ছিল অল সিইং আই. তোমাদের হাইপোথিসিস অনুসারে তারাও তো দজ্জাল হতে পারে। আবার ব্রিটিশরা কিংবা পাক বাহিনীরাও কি দজ্জাল নয়?

    তুমি অনেক choto, হয়ত তোমার সামনে অনেক poriborton আসবে, তোমার কাছ থেকে ভবিষ্যতে ইসলামিক shundor পোস্ট পাবার আশায় রইলাম।

    জবাব দিন
  10. মুহিব (৯৬-০২)

    সাদিক যদি কোন বই থেকে copy-> paste মাইরা থাক তাইলে কাজটা খুব খারাপ হচ্ছে। আমার মনে হয় কি তুমি দাজ্জাল-৩ লিখার আগে এই সম্বন্ধে আরও কিছু পড়াশুনা কর। তুমি যে ১০ টা বিষয় বলেছ আসলেই এগুলো খারাপ লক্ষণ আর এগুলো এখন সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে। এসবতো আমরা দেখছি। কিন্তু তুমি দাজ্জালকে মনে হয় রূপক অর্থে বুঝানোর চেষ্টা করছ। আমিও মুসলমান। কিন্তু ভাই সবাই কি সব কিছু জানে? মনে কর কিছুই জানি না। কাজেই আমার মত যারা আছেন তাদেরকে যখন কিছু বলবা একটু নিজে আগে ভালো মত জেনে নিলে ভাল হবে তোমার জন্য। তখন দেখবা অনেকের অনেক যুক্তি সহজেই খন্ডন করতে পারবা। ভাল থাইক ভাইডি।

    জবাব দিন
  11. শিবলী (১৯৯৮-২০০৪)

    ভাই সাদিক,
    আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে , যেহেতু এই পোষ্ট তুমি লিখেছো, তাই একে ঘিরে সৃষ্ট বিতর্ক থামানোটাও তোমারই দায়িত্ব । এখানে যে প্রশ্নগুলো উঠেছে তার জবাব না পেলে পরে অনেকেই তোমার লেখা দেখেও দেখবে না । হয়তো আমি নিজেই সে মিছিলের নেতৃত্ব থাকবো ।বড় ভাই হিসেবে আমার অনুরোধ , প্লিজ প্রশ্নগুলোর রিপ্লাই দাও । আর রিপ্লাই জানা না থাকলে ছোট্ট একটা সরি বইলা হাত উঠাইয়া দিতে পার ।

    জবাব দিন
  12. আসাদুজ্জামান (১৯৯৬-২০০২)

    ভাই সাদিক, দাজ্জালের আগমন নিয়ে যে হাদীসগুলো আছে দ্য়া করে ওগুলো quote করো। নিজে থেকে কোন ব্যাখ্যা করতে যেও না। জ্ঞানী বুঝে অল্পে। আর আমার ধারনা, you dont need to feed the people here... just give us food. We'll eat by ourselves. তুমি হাদীসের ব্যাখ্যা যেমন করছ, তেমন করার সামর্থ সবারই আছে। better you bring some famous tafsirs....
    Good luck. hope you dont misunderstand me... nothing different without point of view....

    জবাব দিন
  13. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    এর মধ্যে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করে জানতে পারলাম, দাজ্জালের ভবিষ্যৎবাণী আসলে করেছিলেন হজরত মুহম্মদ। কাজেই হাদিসেই তার উল্লেখ থাকার কথা, কোরানে নয়।
    আমার এই ভুলটা কেউ শুধরে দিলোনা। 🙁

    জবাব দিন
  14. ওহ মাই গড !!
    ক্যাডেট কলেজ ব্লগেও দেখি 'ছাগু' আসা শুরু হইছে ।
    এই নব্য ছাগুকে ভালোভাবে বুঝানো হউক (যদিও ছাগুরা কিছুই বুঝতে চায়না, সবসময় তালগাছটা তাদের চায়) । শতচেষ্টার পরেও যদি ছাগুটা মানুষ না হয় তাহলে অন্যান্য ব্লগে ছাগুদের সাথে যা করা হয় একেও তাই করা হবে ।

    অট: ছাগমাংসে কি অ্যানথাক্স আতংক আছে নাকি ?

    জবাব দিন
  15. জুলফিকার (২০০০-২০০৬)

    সাদিক, তুমি কি ইদানীং কালে কোন তাবলীগ বা কোন ইসলামী অলোচনা সভা থেকে ঘুরে এসেছো। আর সেই আলোচনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই লেখাগুলো দিয়েছো ভাই।
    এই বিষয়গুলো খুবই স্পর্শকাতর তাই এগুলো সম্পর্কে লেখার আগে তোমাকে অবশ্যই এ বিষয়ে অনেক পড়াশোনা করতে হবে।

    খুবই মর্মাহত হইলাম 🙁 🙁 🙁

    জবাব দিন
  16. Karim (1988-1994)

    আমি সবগুলো লেখা ও কমেন্ট পড়িনি। জনৈক ইমাম পন্নী নামে একজন একটা বই লিখেছে এনিয়ে। সে নাকি হিযবুত তাওহীদ নামে একটা বিতর্কিত মতবাদের প্রচারক। এমনিতেই অসংখ্য মতবাদে জর্জরিত ইসলাম, তাই আর নতুন কোন মতবাদের প্রতি আমার কোন আকর্ষণ নাই। তবে তার বইটা আংশিক পড়লাম। বাংলা ভাষার ব্যকরণ ও বানানের ভূলে ভরা। তবে তার অনেকগুলো কথা আমার বেশ যৌক্তিক মনে হয়েছে। যেটাতে সাদিকের মতেরই প্রতিফলন ঘটেছে।
    পুরো লেখা ও মন্তব্য পড়ে, পরে আরো জবাব লেখার আশা রইলো। দাজ্জালের লেখার লিংকটা দিলাম।

    http://www.hezbuttawheed.com/dajjalbook/dajja-lpreface

    জবাব দিন
  17. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ১ ও ২ দুইটাই প্রিও তে নিছি।
    সেইরকম জিনিস।
    মাঝে মাঝে আমার কপালে ব্যাথা করে।
    মনে হয় নতুন চোখ উঠবে।
    শেষে আমি ই কি দাজ্জাল হইয়া যাবো।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  18. আসসালামু আলাইকুম

    অনেক ভাইয়ের অনেক প্রশ্ন শুনলাম।সবাইকে একটা সাজেসন ই দিবো বর্তমানে আপনাদের যে প্রশ্নগুলো আছে ওগুলো যদি আপনি (জাকির নায়েক)এর কাছে করেন আশা করি আপনেরা নাস্তিক থেকে প্রকৃত মুসলিম হতে পারবেন।সাদিক ভাই হইতো ওতটা ভালো করে বুঝাতে পারেনি.....তো সবাইকে বলবো কষ্ট করে সঠিক জায়গায় প্রশ্ন করুন যেখান থেকে উওর পাবেন....মহান আল্লাহ তাআলা আপনাদের দ্বীনের সহী বুঝ দান করুক।আর আরেক টা প্রশ্ন পবিএ কোরআনে ১৪০০ বছর আগে যা বলে গেছেন আধুনিক বিজ্ঞান কি তার কোন একটা ভুল প্রমান করতে পেরেছেন.....???
    যেখানে অন্যন ধর্ম গ্রন্থে ভুলের শেষ নেই।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।