স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের বয়স চল্লিশের বেশী। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ নামক এই দেশটিকে নিয়ে চলে আসছে দেশী বিদেশী নানান ষড়যন্ত্র। যে দলটি ৭১ সালে আমাদের এই দেশটির জন্মই চায়নি আজকে তারাই আবার আমাদের দেশটাতে দাপটের সাথে রাজনীতি করে যাচ্ছে। আবার তাদের গাড়ীতে বাংলাদেশের পতাকাও উড়তে দেখা গেছে।দেশের পতাকাকে অসম্মান করলে তার বিরুদ্ধে মামলা করার বিধান আছে জানি। আমার প্রশ্ন হল যদি যুদ্ধাপরাধীদের বাড়িতে,গাড়ীতে জাতীয় পতাকা উড়ে সেটা কি জাতীয় পতাকার অবমাননা নয় ? উল্টো প্রশ্ন আসতে পারে তারা যে যুদ্ধাপরাধী সেটাই বা কিভাবে বলি? হ্যা এখনো সেটা আমরা বলতে পারি না আইনের দিক থেকে, কারন এখনো এসব প্রমাণিত হয় নি।কিন্তু তারপরও কিছু কথা থাকে,কারন দেশের মানুষ হিসেবে আমরা ইতিহাস তো কিছু হলেও জানি সেই দিক থেকে ৭১ এর বিখ্যাত!!! কিছু রাজাকারের নাম যদি বলতে বলা হয় তখন সেটা চোখ বন্ধ করে এক নিঃশ্বাসেই বলে দেওয়া সম্ভব।বাংলাদেশের পাঁচজন সুনামধন্য! রাজাকারের নামের মধ্যে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর নাম অবশ্যই আসবে। মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম কর্তৃক প্রকাশিত ৫০ শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর তালিকার চার নম্বরে স্থান পায় এই রাজাকারের নাম।যাকে অনেকে দেউল্লা রাজাকার বলেও চিনেন।বিশেষ করে তার এলাকার লোকজন এই “দেউল্লা রাজাকার” নামটির সাথে বিশেষ পরিচিত। কিন্তু লোকটির কথা বলার কৌশলের মাধ্যমে অনেক মানুষের কাছেই ইতিমধ্যে একজন উঁচু মানের মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। এই লেখাটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সাঈদী নামক রাজাকারটার কিছু কাজের হলফনামা প্রকাশ করা। তথ্যগুলো মূলত ইন্টারনেটেভিত্তিক। তবে যাচাই করার পরই প্রকাশ করা হচ্ছে এবং যতটা সম্ভব উৎস দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি (বর্তমান জিয়ানগর) থানার বালিয়াপাড়া ইউনিয়নের ইউসুফ আলী সিকদারের ছেলে।একাত্তরে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী পিরোজপুরের একজন সাধারণ তাবিজ বিক্রেতা । মূলত ৭১ এ দেলোয়ার হোসেন সাঈদী কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক বা কর্মী হিসেবে আর্বিভূত হয় না মঞ্চস্থানে। পিরোজপুরে তার গড়ে তোলা ‘পাঁচ তহবিল’ নামক সংগঠনটি সে গড়ে তুলেছিলো তার অনুগামীদের দ্বারা মূলত তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা- আর মুক্তিকামী বাঙালীদের নিপীড়ন, হিন্দুদের বাড়ীঘর লুন্ঠন আর তাদের সম্পত্তি লুট করার জন্য। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থেকে ভোল পাল্টে পুরোদস্তুর মাওলানা সেজে যায় সে।ওয়াজ মাহফিল করে খুব সহজেই মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়ার একটা জোড় চেষ্টা চালায় এবং বলা যায় তার উদ্দেশ্য বেশ সফল হয়।
পাঁচ তহবিল
পিরোজপুরে সাঈদী এবং আরও চার রাজাকার মিলে একটি দল গঠন করে, যা পাঁচ তহবিল নামে পরিচিত ছিল। এই দলের অন্য চারজন ছিলেন দানেশ মোল্লা, সেকেন্দার সিকদার, মাওলানা মোসলেমউদ্দিন ও হাবিবুর রহমান মুন্সি। দানেশ মোল্লা ও সেকেন্দার সিকদার ছিলেন ওই দলের নেতৃত্বে। তবে আরবি ও উর্দু ভাষায় কথা বলতে পারায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্ব ছিল সাঈদীর। ওই সূত্রে সাঈদী সহজে পাকিস্তানি সেনাদের ঘনিষ্ঠ হন।
অভিযোগে বলা হয়, ওই পাঁচজন লুটপাট করে পাওয়া স্বর্ণালংকার এবং অর্থ-সম্পদ ‘গণিমতের মাল’ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ভাগ করে নিতেন। দলটি পরে ‘পাঁচ তহবিল’ নামে পরিচিত হয়।একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলনের সময় গঠিত গণতদন্ত কমিশন যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, তাতেও পাঁচ তহবিলের তথ্য পাওয়া যায়। ১৯৯২ সালে গঠিত ওই গণতদন্ত কমিশনের প্রধান ছিলেন প্রয়াত কবি সুফিয়া কামাল।
দেলোয়ার হোসেন সাঈদী এর আগেও বহুবার তার আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দিয়েছেন। আর এই বক্তব্য দিতে গিয়ে অনেক নতুন নতুন ব্যাখ্যা হাজির করছিলেন। এর আগে একবার তিনি বলেছিলেন, ভারতের জন্যই ওই সময়ে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ নিতে পারে নি। আর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ না নিতে পারলেও তারা বাংলাদেশের সে সময়কার বাস্তবতা অর্থাৎ পশ্চিম পাকিস্তানী পরিচয়ের বাইরে নিজেকে বাংলাদেশী বলে পরিচিত হবার বাস্তবতা মেনে নিয়েছিলেন। এই বক্তব্য তিনি দিয়েছিলেন কানাডায় অবস্থানকালে সেখানকার কয়েকটি শহরে আয়োজিত ওয়াজ মাহফিলে বক্তৃতার সময়। সেখানে টরেন্টো এবং মন্ট্রিয়েলে দুটো ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য রাখার সময় তার মাহফিলে তুলকালাম কান্ড ঘটে যায় সেখানে অবস্থানরত বাঙালী অভিবাসীদের উপস্থিতিতে। সেসময় শত শত জুতা নিক্ষেপ করা হয় সাঈদীকে উদ্দেশ্য করে।
সাঈদীর নৃশংসতা
পিরোজপুরে একাত্তরে ৩০ হাজার মানুষ হত্যার দাবি তুলে তদন্তদল ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে- তখন ৩৫ জনের সাক্ষ্য আর জবানবন্দি রেকর্ড করে। সেই তদন্তকারী দল মোট ২৯ হাজার ৯০৬ জনকে হত্যার খবর জানায়। পিরোজপুরের পাড়েরহাট, জিয়ানগরসহ কয়েক অঞ্চেলে প্রায় কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়, যার অসংখ্য নজির এখনো সেখানে উপস্থিত- সেই জেলায় মোট ১২টির মতো বদ্ধভূমিও রয়েছে। সে সময় পাকিস্তানী সৈন্যদের যত কুকর্ম সংঘটিত হয় তার সাথে দেলোয়ার রহমান সাঈদীর প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে- এই অভিযোগগুলোর প্রথম কাতারেই রয়েছে উপরের এই উনত্রিশ হাজার লোককে হত্যার, পিরোজপুরের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় তিনশত নারীর উপর হত্যা-ধর্ষন-নিপীড়ন-নির্যাতনের, মহকুমা ট্রোজারী সহ অন্তত ৩৫টি বাড়ির মাঝে লুটপাট চালানো আর প্রায় ১৪৬-১৪৭টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া।এই সংবাদ আসে বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর এর সেপ্টেম্বর মাসে, ২০১০ এ [১]
এই একই খবর আসে কালের কন্ঠ পত্রিকাতেও। তদন্তকারী দল ঘটনাস্থলের জুজখোলা বধ্যভূমি, তেজদাসকাঠী প্রাথমিক বিদ্যালয় বধ্যভূমি,মন্ডলপাড়া গনহত্যার স্থান, হুলারঘটা স্টিমার বধ্যভূমি আর সদরের বলেশ্বর খেয়াঘাট বধ্যভূমি ঘুরে ঘুরে- উপরের বর্ণনার একই সংখ্যার নির্যাতন-হত্যা, লুটপাট-অগ্নিসংযোগের একটা পরিসংখ্যান দেয়।
জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৬ মে পিরোজপুর থানার সামনে থেকে সাঈদীর সহযোগীরা লেখক হুমায়ূন আহমেদের বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদকে ধরে নিয়ে যায় বলেশ্বর নদীর পাড়ে। সেখান থেকে তিনি আর ফিরে আসেননি। ৭ মে আবার তাদের বাসায় সাঈদীর নেতৃত্বে লুটপাট হয়। পাকিস্তান বাহিনীর ক্যাপ্টেন আজিজের সঙ্গে তার সম্পর্ক থাকায় বিভিন্ন সময় জোর করে নারীদের পাঠানো হতো পাকিস্তানি ক্যাম্পে।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সাঈদীর অপকর্ম সম্পর্কে মানিক পশারী বলেন, একাত্তর সালের ৮ মে সাঈদী আমার চোখের সামনে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। টাকা-পয়সা সব কিছু লুটে নিয়েছে। এসময় তিনি তার ঘরের পোড়া অংশ এবং টিনের গায়ে লেগে থাকা গুলির চিহ্ন দেখান। তারা যখন এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তখন সাঈদী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এই তাণ্ডবে উৎসাহ দিয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুল আলম জানান, ১৯৭১ সালে এরা পাড়েরহাট বন্দরের ব্যবসায়ী বেনিমাধব সাহা, নগরবাসী সাহা, তারক সাহা এবং উমিতপুর গ্রামের হিন্দু পাড়ার চিত্তরঞ্জন তালুকদার, রবি তালুকদারসহ আরো অনেকের বাড়ি লুট করেছিল। এরাই বিনা বালীকে একাত্তরের ৪ জুন নারকেল গাছের সঙ্গে বেঁধে হত্যা করেছে।
পিরোজপুর জেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গৌতমনারায়ণ রায়চৌধুরী বলেন, বিএনপি আমলে সাঈদী যুদ্ধাপরাধী নয় মর্মে স্বাক্ষর অভিযান শুরু করেছিল। আমি তখন মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করেছিলাম যাতে কেউ স্বাক্ষর না করে। এ বিষয়ে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা একেএমএ আউয়াল বলেন, সাঈদী যে যুদ্ধাপরাধী এর অনেক প্রমাণ আছে। জিয়ানগরের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, যুদ্ধকালীন সময় এই সাঈদী ছিল দেলোয়ার শিকদার নামে পরিচিত।
মানিক পশারী পিরোজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলামের আদালতে হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ এনে ১৩৫/০৯ নং ধারা ৩০২, ৩৮০, ৪৩৬ ও ৩৪ নং মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলার প্রধান আসামি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। অন্য তিন আসামি হলেন, মো. মহসীন, মমিন হাওলাদার ও হাকিম ক্বারী। মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদুরার ইব্রাহিম হাওলাদারকে ধরে হানাদার ক্যাম্পে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা অভিযোগ রয়েছে। এদিকে জিয়ানগর থানায় অনুরূপ আর একটি মামলা দায়ের করেছেন মুক্তিযোদ্ধা মো. মাহাবুবুল হাওলাদার। এই মামলার প্রধান আসামিও দেলোয়ার হোসেন সাঈদী। অন্য তিনজন হলেন তার সহযোগী হিসেবে উল্লেখিত মো. হাবীবুর রহমান মুনসি, মো. মোস্তফা হাসান সাঈদী ও মাওলানা মোসলেউদ্দিন [তথ্যগুলো এখান থেকে সংগৃহীত]
প্রথম আলো পত্রিকায় “ সাঈদীর বিরুদ্ধে হত্যা লুণ্ঠনে সহযোগিতার তথ্য-প্রমাণ মিলেছে” নামক প্রতিবেদনের প্রথম কলামে লিখা হয়- ১৯৭১ সালের ৪ মে, মুক্তিযুদ্ধের সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৯-২০ জন লোক মধ্য মাসিমপুর বাসস্ট্যান্ডের পেছনে জমায়েত হন। এ সংবাদ পেয়ে স্থানীয় পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী রাজাকার দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ও তাঁর এদেশীয় সহযোগীরা পাকিস্তানি সেনাদের গোপন খবর দিয়ে মধ্য মাসিমপুর বাসস্ট্যান্ডের পেছনে নিয়ে আসে। পরে সেখানে পাকিস্তানি বাহিনী তাঁদের গুলি করে হত্যা করে। তারপর পাকিস্তানি বাহিনী সাঈদীর দেখানো মতে, মণীন্দ্রনাথ মিস্ত্রির বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ওই দিন যাঁরা মারা যান, তাঁরা হলেন: বিজয়কৃষ্ণ মিস্ত্রি, উপেন্দ্রনাথ, জগেন্দ্রনাথ মিস্ত্রি, সুরেন্দ্রনাথ মিস্ত্রি, মতিলাল মিস্ত্রি, জগেশ্বর মণ্ডল, সুরেন মণ্ডল ও অজ্ঞাতনামা আরও ছয়জন।’
‘সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ: মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অপরাধী সাঈদীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একদল রাজাকার পাড়েরহাটের হিন্দুপাড়ায় ঢুকে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক হরলাল মালাকার, অরকুমার মির্জা, তরুণী কান্ত সিকদার, নন্দকুমার সিকদারসহ ১৪ জনকে আটক করে রশি দিয়ে বেঁধে পিরোজপুর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। পাকিস্তানি বাহিনী তাঁদের গুলি করে হত্যা করে নদীতে লাশ ফেলে দেয়।’
জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী মুক্তিযুদ্ধকালে পাড়েরহাট বন্দরের বিপদ সাহার মেয়ে ভানু সাহাকে নিয়মিত যৌন নির্যাতন করতেন। বিপদ সাহার বাড়িতেই আটকে রেখে অন্যান্য রাজাকারসহ ভানু সাহাকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়।একসময় ভানু সাহা দেশ ত্যাগে বাধ্য হন। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।[১ম প্যারা]
মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সাঈদীর নেতৃত্বে একদল রাজাকার পিরোজপুরের হুগলাবুনিয়া গ্রামে হানা দেয়। রাজাকারদের আগমন দেখে গ্রামের অধিকাংশ হিন্দু নারী পালিয়ে যায়। কিন্তু মুধুসুদন ঘরামীর স্ত্রী শেফালী ঘরামী ঘর থেকে বের হতে পারেননি। তখন সাঈদীর নেতৃত্বে রাজাকাররা তাকে ধর্ষণ করে। এর ফলে স্বাধীনতার পর তিনি একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এ নিয়ে গ্রামে বিভিন্ন কথা উঠায় শেফালী ঘরামী দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হন। [৪র্থ প্যারা]
সাঈদীর নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনী হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বিভিন্নভাবে নির্যতন চালাতো। তাদের বাড়ি-ঘর লুঠ করাসহ আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিত। পরে লোকজন সব হারিয়ে ভারতের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়। আর যারা যেতে পারেননি তাদের সাঈদী ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করেন। তাদের নিয়ে তিনি মসজিদে নামাজ পড়তেন, তাদের মুসলমান নামও দেন তিনি।[৫ম প্যারা]
দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ৭১ এর মানবতাবিরোধী অপরাধের ফিরিস্তি লিখতে ব্যয় হয় ৪০৭৪ পৃষ্ঠা।গণহত্যা-ধর্ষণ-লুণ্ঠনসহ নানা অভিযোগসংবলিত ১৫ খণ্ডের এ প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিলের জন্য তা প্রসিকিউশন টিমের কাছে দেওয়া হয়।
ATN এ প্রচারিত খবরের ফুটেজ সংযোজিত করা হল যেখানে খুব স্বল্প সময়ে পরিষ্কার এবং সহজভাবে তার রাজাকারনামার কিছু চিত্র তুলে ধরা হয়েছে ।
এতসব করার পরও যখন পাকিস্তান বাঁচানোর স্বপ্নে ছাই পড়ে তখন ৭১ এর ১৯ ডিসেম্বরের পর থেকে তাকে আর কোথাও দেখা যায় না।কথিত আছে এই কয় বছর সে সৌদিআরবে গা ঢাকা দেয়।১৯৮৫ সালে দেশে ফিরে নিয়মিত হারে ওয়াজ মাহফিল শুরু করে।জামাতের রাজনীতিতে যোগ দিয়ে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা বাংলার মাটিতে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয় এই দেউল্লা রাজাকার।
পতাকার অপমান অনেক করা হয়েছে।আর না।এইসব রাজাকারে বিচার বাংলার মাটিতে হতেই হবে।এই বিচারের দাবীকে যদি কেউ ‘জাতিকে বিভক্ত করা হচ্ছে’ বলে দাবী করে তাহলে তার চরিত্রটা খুব সহজেই অনুমান করা যাবে আর যদি কোন শান্তিপ্রিয় মানুষ বলে থাকেন এসব নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে চল আমরা সবাই সামনের দিকে এগিয়ে যাই তাহলে সেই শান্তিপ্রিয় পরিশীলিত মানুষটিকে বলব…পায়ে টিউমার হলে সেটি সহকারেই দৌড়ানো উচিৎ নাকি টিউমারটিকে যথাযোগ্য অপারেশনের মাধ্যমে অপসারণের পরে দৌড়ানো উচিৎ???
এদেশে "লিমন"দেরকেই দাগী আসামীদের মত বিচারের সম্মূখীন হতে হয়।আর সাইদিরা স্বাধীনতার ৪০ পরও "ভালোমানুষ" থাকে।
অত্যন্ত চমত্কার ও তথ্যবহুল লেখা
সুন্দর কথা :thumbup:
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
পোস্ট প্রিয়তে, শুনলাম উনি নাকি অর্ধশত দেশ ভ্রমন করিয়াছেন,তাও আবার মানবতার পক্ষে???
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
Hamim
:))
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
🙂
উনি অর্ধশত দেশ ভ্রমণ করিয়াছেন আবার কিছু জায়গায় জুতার ঢিল ও খাইয়াছেন। :khekz:
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
অসাধারণ তথ্যবহুল একটা লেখা, লেখককে স্যালুট ::salute:: ::salute:: ::salute::
আমাদের কত বাপ-চাচা-দাদা-মামারা এখনো এই কুত্তাটার ওয়াজ ভক্তিভরে শোনে- সাঈদীর সমর্থনে ঢাকা শহরে শিক্ষিত ছেলেপেলে মিছিলে যায়, স্লোগান দেয়। যুদ্ধাপরাধের বিচার এখন একটা নির্বাচনী ইস্যু ছাড়া আর কিছুই না, শুয়োরের বাচ্চাগুলা নির্বিদাদে ঘুরে বেড়াবে সবজায়গায় ।
আলোর দিকে তাকাও, ভোগ করো এর রূপ। চক্ষু বোজো এবং আবার দ্যাখো। প্রথমেই তুমি যা দেখেছিলে তা আর নেই,এর পর তুমি যা দেখবে, তা এখনও হয়ে ওঠেনি।
নাফিজ এর সাথে একমত। আমাদেরও তো দোষ কম না, আমরা নতুন প্রজন্ম না হয় যুদ্ধ দেখি নি কিন্তু যারা দেখেছে তারা কিভাবে তাকে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য বানায়? জাতি হিসেবে আমরা যেমন মূর্খ সাঈদীরা তো আমাদের দেশেই জন্ম নিবে এতে অবাক হওয়ার কি আছে?
কথাটা ভুল,যুদ্ধাপরাধের বিচার এখন আমাদের প্রাণের দাবী।
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
স্পষ্ট এবং তথ্যবহুল লেখা। অভিনন্দন দিবস! খুব ভাল লেগেছে।
সত্যি কথা বলতে, ওয়াজ করে সাঈদী অনেক ভাল মানুষের কাছেও একজন উচ্চমানের লোক হিসেবে জায়গা করে নিছে। তবে তার ওয়াজ নিয়ে অনেক ধরনের কথাও প্রচলিত আছে একইসাথে। তার ওয়াজ সম্পর্কিত সুন্দর একটা লেখা পাওয়া যাবে এখানে। (সম্পাদিত)
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
সাঈদী তো বহুরূপী, বেহায়া; তার কাছ থেকে শুভবুদ্ধি লাজলজ্জা এসব আশা করিনা। অবাক হয়ে যাই যখন দেখি, আজকের প্রজন্মের একটা অংশ এই জানোয়ারকে 'আল্লামা' উপাধিতে ভূষিত করছে, এবং আল্লা-র খাস এবং নেক বান্দা বানিয়ে ছেড়েছে।
বছর বিশেক আগে মইত্যা রাজাকার বিশাল মাইর খেয়েছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, দেউল্লাকেও পাবলিকের হাতে তুলে দিলে ভালো হতো।
তোমার তথ্যবহুল পোস্টের জন্য ধন্যবাদ দিবস।
রাজাকার আলবদর দের প্রতি শুধু ঘৃণা যথেষ্ট নয়, এদের আস্তাকুঁড়ে ছড়ে ফেলতে আমাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে। (সম্পাদিত)
Dada
:clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
গাদ্দাফিকে যে স্টাইলে মারা হয়েছে একেও যদি তেমন করে মারতে পারতাম!
মানবাধিকারের গুস্টি কিলাই.....
নূপুরদা, মানবাধিকার তো মানবের জন্য; ছদ্মবেশী পশুর জন্য না।
দিবস, পোষ্টটার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
খাঁটি কথা।
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
একটা যদি দিতে পারতাম বসরে কান বরাবর ,মানব জনমের অনেক কিছুই স্বার্থক মনে হইত। 😀
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
সেইরকম মাইর খাইসিলো মইত্যা। চুল দাড়িতে টান পড়া সহ লাথি ঘুষি চড় কম খায়নাই।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ছাত্রশিবির বেশ ঘটা করে মারপিটের ছবিসহ পোস্টার/দেয়ালিকা দিয়েছিলো চট্টগ্রাম মেডিকেলে।কষ্টে শিবিরের ছানা-রাজাকারগুলোর দিল একেবারে ফানা ফানা হয়ে যাচ্ছিলো তখন।
এরা এমনভাব কের যেন যুদ্ধাপরাধ একটা ঘোড়ার ডিম জাতীয় অলীক বস্তু; মাঝেমধ্যে অবশ্য মুক্তিযুদ্ধ যে হয়েছিলো সেটাই স্বীকার করতে চায়না, পাকিস্তানী বাপদের জন্য দরদটাকে নিয়ে কি করবে ভেবে পায়না।দেশের আর সব সমস্যা আর অবিচারের সুযোগে নিজেদের পাপকে হালাল করার সুযোগ খোঁজে। এদের বিচার না করা পর্যন্ত দুঃস্বপ্ন থেকে আমাদের মুক্তি নেই।
কিন্তু দাদা দুঃখজনক হলেও সত্যি দেশে এদের ভক্তের সংখ্যা কম না।সাঈদীর ওয়াজের সিডিও দোকানে দোকানে পাওয়া যায়।ধর্মের লেবাসে এরা অনেক সাধারণ মানুষের মনে জায়গা করে নিতে চায়।আরেক টা জিনিস আমার মাথায় ঢুকে না, দেশের অনেক মেধাবী ছাত্রগুলো শিবিরের রাজনীতি করে।এটা হবে কেন?ওদের মাথায় তো কিছু হলেও আছে,তাহলে ওদেরকে এত সহজে ব্রেইন ওয়াশটা কিভাবে করে?
যারা দেশটার জন্মই চাইল না তারা নাকি আবার দেশের উন্নতির জন্য রাজনীতি করে।হাস্যকর লাগে।
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
আমরা তো কো দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারিনি এদের সাইজ করে।ধর্মের কথা বলা লোকটা যে কোন আকাম কুকাম করতে পারেনা এটাও সরলপ্রাণে বিশ্বাস করি, আকাম কুকাম করা লোকেরা যে ধর্মের বর্ম পরে নিরাপত্তা পেয়ে যায় এটা কম বুঝি বা বুঝেও না বোঝার ভান করি।ধর্মের লেবাস পরে মানুষকে যত সহজে ভোদাই বানানো যায়, আর কিছুতে যায়না। ধর্ম যখনই ব্যক্তিগত বিশ্বাসের গন্ডি থেকে বের হয়ে যায় তখন সেটা বিষবাষ্প ছড়ায়, অন্ধ করে ফেলে আমাদের।তখন ধর্ম সত্য; মানবতা সহ বাকী সবকিছুকে তার অনুগামী হতে হয়।
আর বাংলাদেশ উল্টো পথে হাঁটছে তো বটেই। ধর্ম সবকিছুর সমাধান দেবে এমন আহাম্মকি আইডিয়াতে এ জাতি তলিয়ে যাচ্ছে চোখের সামনে, এ জাতির মুক্তি নেই।
আমরা ইতিহাস ভুলে যায়... অতীত আমাদের শিক্ষা দেয় না বলেই আজ আমরা অসহায়। আমাদেরকে আবার এক হতে হবে... তাহলেই শুধুমাত্র এদেরকে নির্মুল করা সম্ভব...
এইবার আরেকটা বধ করো 🙂
মতি দাদুরে বধ করবার মঞ্চায়। 😀
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
সাঈদীর প্রত্যেকটি অন্যায়ের উপযুক্ত বিচারের দাবী জানাই।
তবে সে অধম তাই বলিয়া আমরা উত্তম হইবো না কেন। যথার্থ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ও স্বাভাবিকভাবেই তার বিচার এবং শাস্তিবিধান করা উচিত যাতে ফাঁসিতে ঝুলার অন্তত আগে হলেও সে উপলব্ধি করতে পারে যে তার এই অন্যায়-অত্যাচার-লুটপাট কতটা পাশবিক ছিল।
এই শ্রেণীর জানোয়ারদের আদালতে কোন আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়ার কোন প্রয়োজন দেখি না।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
না রকিব। আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার/সুযোগ সবার জন্যেই।ইতিহাসের জন্যেই এটা প্রয়োজন।বিচার প্রক্রিয়া ঠিকমতো হলেই বাবাজিরা ঝুলে পড়বে।সেটাই এ সময়ের দাবী।
ক্ষোভ থেকে কত কথা বেরিয়ে আসে (সেটা আসলে নিজেদেরি ব্যর্থতার কারণে), কিন্তু বিচার ছাড়া এদের কোন কিছু করার সুযোগ নেই।
নূপুর ভাই, আপনার সাথে অনেক ব্যাপারেই দ্বিমত থাকতে পারে, কিন্তু এখানে সহমত।
(সম্পাদিত)
মাঝে মাঝে রজনীকান্ত হইতে ইচ্ছা করে। সব গুলারে কিলায় ঠিক কইরা দেওন লাগব।
🙂 (সম্পাদিত)
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
দিবস অনেক ধন্যবাদ এমন একটা তথ্যবহুল লেখা দেয়ার জন্য, এক কথায় অসাধারণ
অনেক দেরি হয়ে গেল কমেন্টস করতে, কাজে ছিলাম।
এই ভদ্রলোককে আসলে ফাসি টাসি দিয়া লাভ হবেনা। তার জন্য দেশের অনেক মানুষ পাগল, জেমস এর কনসার্টেও এত মানুষ যায়না তার ওয়াজে যত মানুষ যায়। বিশেষ করে আমাদের নোয়াখালী এবং চট্টগ্রামের লোকজন.
আমার শাস্তির প্ল্যানটা হলো এরকমঃ
সারা দেশে ১ মাস আগে প্রচার করা হবে আল্লামা দেলোয়ার হোসেইন সাঈদী সাহেব বিশাল ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করেছেন চটগ্রামে, সেদিন অনেক নাস্তিক, আস্তিক হবে অনেক, হিন্দুরা হবে মুসলিম কালেমা পড়ে, সাথে জমজমের পানি।
যখন অনেক মানুষ আসবে তখন তারে বাইন্ধা চরম মাইর দিতে হবে
তারপর সবার কাছে মাফ চাইবে তার এই অপরাধ গুলোর জন্য
১ম বুকিং দিলাম,কান বরাবর ঠাডায়া ১ টা বন মারমু বস রে। 😀
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
অনেক আগে এই মাদার(দ্যাশ) ফাকারের ওয়ায শুনেছিলাম এক বন্ধুর বাসায়। সে নারী আর পুরুষ ক্যান সমান না তা বলতে গিয়া কি বলেছেন, পড়েন নিচে।
এক ঘরে একজন নারী আর একজন পুরুষ বন্দী আছে, বা আটকা পড়ছে কোন ভাবে। এক সময় দুইজনারই পিশাব পাইলো। রুমের উপরের দিকে (৫-৬ ফুট) একটা জানালা ছিলো। পুরুষটি মহিলাটিকে কহিল, তোমার কাধে দাড়াইয়া আমি ঐ জানালা দিয়া পিশাব করিব। তারপর তুমি করিবে।
যথারীতি পুরুষটি তার জরুরত পুরা করিল। এখন মহিলাটি উঠিয়া দাড়াইলো পুরুষটির কাঁধে। কি হইতে পারে এখন ভাবিয়া দ্যাখেন।
আমি বলি কি এই শুয়োরটির পয়দা হইয়াছিলো ইবলিশের ঔরসে আর কোন বদ জিনের গর্ভে।
এই হারামী আবার তাফসীরে মুফাসসির!
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:just: :duel: :duel: :duel:
বাই দ্যা ওয়ে সে কিন্তু এখন বাংলার মেশিনম্যান। ইবলিশ আর শয়তান এক না হইলে এইরকম মেশিনম্যান পয়দা হওয়া সম্ভব না।
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
এর মেশিনের কাজ কাম দেখি বহু আগে থেকেই চলে আসতেছে...কাইট্যা রাইখ্যা দিলেই তো হয়... তার পর ফাঁসি না দিলেও ব্যাটা নিজেই সুইসাইড খাইবো... 😉 😉
:)) :)) :))
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
উপরোক্ত লেখাটি একটি কমেন্ট পড়েছি যাহা মঠবাড়িয়া উপজেলার ৭১সালের স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারের কাহিনী। সত্যিই সে যে একজন রাজাকার ছিলো তা একশত ভাগ নিশ্চিত। কারণ স্বাধীনতার এক সপ্তাহ পরেও উক্ত উপজেলায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করতে দেয় নাই। এসব রাজাকারদের পৃথিবীর যে দেশেই থাকুক না কেন ! তাদের ধরে এনে দেল্লা রাজাকারের মত ফাঁসি দেওয়া উচিত।দেল্লা রাজাকারের ফাঁসির রায় শুনে যারা এই স্বাধীন বাংলায় জিহাদের কথা বলে নারকীয় তান্ডব চালাচ্ছে যেমন- মানুষ হত্যা, গাড়ি ভাংচুর, দোকানপাঠ লুঠপাট ও ভাংচুর, আগুন দিয়ে হিন্দুদের মন্দির বাড়ি-ঘর ও নানা রকম সরকারী সম্পদ নষ্ঠ করছে, তারাও ২০১৩ সালের দেল্লু রাজাকারের সহযোগী নব্য রাজাকার।জিহাদের কথা বলে যারা দেশে সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছে, বোমাবাজি, জঙ্গীবাদ, খুন-খারাবী ও নিরীহ লোকজনকে হত্যা করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে সেটা কীসের জিহাদ ? এই ব্যাপারে পবিত্র কোরআন সুরা হজ, আয়াত ৭৮ এ উল্লেখ করা হয়েছে- "তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ কর যেভাবে জিহাদ করা উচিত।'' বতর্মানে আমরা কার জন্য জিহাদ করছি ? সেটা কি জিহাদ নাকি শিরক করা বুঝায়। এদেরকে আইনের মাধ্যমে না এনে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক বিচার করে কতল করা একান্ত প্রয়োজন। না হয় আমাদের ঈমান ও ইসলাম কিছুই রক্ষা করা যাবেনা।
বুঝতে পারলাম না ভাইয়া, কি বললেন 🙁
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
:clap: :clap: :clap:
ঈমান হলো গাছের মূল, আর ইসলাম হলো তার শাখা প্রশাখা। আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস করাই ঈমান। বর্তমানে একশেণীর আলীম ইসলামকে নিয়ে ও ইসলামের দোহাই দিয়ে, নাম ভাঙ্গিয়ে যেভাবে খেলা করছে, নিজেকে যাহিল করে নিজেরস্বার্থ সিদ্ধি হাসিল করছে, তাতে ইসলামকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে এবং মূল ঈমানও আস্তে আস্তে ক্ষয়প্রাপ্ত হতে চলছে। তাই আসুন আজ আমরা যারা আল্লাহর একত্ববাদ ও রাসুল (স:) কে মান্য ও বিশ্বাস করি; তারাই পারি এইসব আলিমদের হাত হতে ঈমান ও ইসলামকে রক্ষা করতে এবং আল্লাহ ও রাসুল (স:) বাণী কুরআন ও হাদিসকে সুন্দর ভাবে সমাজে প্রতিষ্ঠা করি।
রং দিয়ে লেখা লিখতে হলে তাকে জানতে হয় অনেক কিছু। না জেনে লিখতে গেলে অনেক মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। এই লেখক। কারণ এরা লেখা-পড়া করতে রাজী নয়। ওদের গুরু নাস্তিকেরা যা বলে তাই তাদের সবকিছু। নিজেরা কিছু করতে বা পড়তে রাজী নয়। কারণ তাদের মাথা আবর্জনা দিয়ে ভরা আছে। মাথাটা একটু ধোলাই করলেই দেখতে পেতেন যে, সাঈদীকে নির্দোশ প্রমাণ করার জন্য যে স্বাক্ষী আনা হয়েছিল, তাকে আদালতের গেট থেকে সরকারের পুলিশলীগ ধরে নিয়ে গিয়ে আজও গুম করে রেখেছে। এটা লেখক দেখতে পান না। একে আর কি উপদেশ দিতে পারি?
মামু খুব ভুল জায়গায় চইলা আইছ, এইখানে জামাত-শিবির,ছাগুরে জিরো টলারেন্সের সাথে হ্যান্ডেল করা হয়। :gulli2: :gulli2: :gulli2:
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
কবে ঝুলাবে চাঁদবাবা রে?
নাকি লইট্টা বাবা?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কুত্তার বাচ্চারে সরকার ঝুলায় না কেন? জলদি ঝুলিয়ে কাজ সম্পন্ন করা হোক
শুকরের বাচ্চা জল্লাদ শালার পো
অচিরেই ঝুলছে চন্দ্রবাবা
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ