নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ভাবনা-৩

নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ভাবনা-১
নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ভাবনা-২

আমরা সবাই গনতন্ত্রের একটা চরিত্রের ব্যাপারে কিন্তু একমত যে গনতন্ত্রই হলো সবচেয়ে উপযুক্ত পন্থা যা বিভিন্ন মত ও পথকে ধারন করতে সক্ষম। এটা সত্য হলে গনতন্ত্রে এই ব্যবস্থা থাকাটাও জরুরী যাতে করে ভিন্নমত-পথ তৈরী হলে তা যেন উপস্থাপন করা সম্ভব হয়। কিন্তু গনতন্ত্রের আরেকটা চরিত্র যেহেতু সংখ্যাধিক্যের শাসনাধিকার, তাই ক্ষুদ্রতর জনগোষ্ঠির মতামত শোনার দরকার আছে কি নেই, সেই প্রশ্ন করাটাও অগনতান্ত্রিক না হলেও গনতান্ত্রিক চরিত্রের সাথে সাংঘর্ষিক।

এই সংঘর্ষ এড়ানোর সবচেয়ে উপযুক্ত পন্থা হল এমন একটা নির্বাচন পদ্ধতি যা ক্ষুদ্রতর মত-পথের জনগোষ্ঠির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে। সেটা নিশ্চিত করা না গেলে ক্ষুদ্র আরো ক্ষুদ্র এবং বড় আরও বড় হয়ে যায়।

২০০১ সালের নির্বাচনের উদাহরন থেকে দেখা যায় যে ঐবার ৪৫% ভোট তথা জনসমর্থন পেয়ে এবং ৫৫% জনগনের সমর্থন না পেয়েও প্রায় ৭৫% জনগনের প্রতিনিধিত্বকরার জন্য দায়িত্ব পেল একটি জোট। অর্থাৎ ঐ ৪৫% মানুষের মত দেয়ার, কথা বলার অধিকার পদ্ধতিগত কারনে বেড়ে গেল। আর তাই বাকি ৫৫% মানুষের ঐ অধিকার একই কারনে খর্ব হতে বাধ্য হল।

এর উত্তর হতে পারে, দুপক্ষই তো আধিকার বাড়ানোর সমান সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়, কোন একটা পদ্ধতির মাধ্যমে অধিকার বাড়িয়ে নেয়াটা সুবিচার, নাকি নিজের ওজন বুঝে নিজের মাপের মধ্যে থাকাটাই সুবিচার?

সৌভাগ্যক্রমে বেশিরভাগ দেশের বেশিরভাগ মানুষই পরের মতটি কেই সঠিক মনে করছেন বলেই আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (proportional representation) বা পি আর গনতন্ত্র প্রয়োগের স্বাভাবিক পন্থা হিসাবে বেশী গ্রহনযোগ্যতা পাচ্ছে।

আসুন পি আর মানে কি একটু দেখি।

একটি নির্বাচনের পর তাতে অংশগ্রহনকারীদের মতামতের প্রতিফলন ও অংশিদারিত্ব ফলাফলে যথাসম্ভব নিশ্চিত করতে যে সব বিভিন্ন উপায় ও পদ্ধতিসমুহ ব্যবহৃত হয় সেগুলোকে একত্রে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বলে ডাকা হয়।

এই পদ্ধতির অনেকগুলো ফরম্যাট-এর নির্বাচনই হয় দলের মধ্যে, ব্যক্তির মধ্যে না। দল গুলি নির্বাচন করে আসন পাবার জন্য। এরপর প্রাপ্ত আসনে সাংসদ নির্ধারন হয় পূর্বনির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে। এজন্য সম্ভাব্য সাংসদদের একটি র‍্যাংকড তালিকা দেয়া হলে তাহয় “ক্লোজড লিস্ট” আর তালিকা বিহীন হলে তা হয় “ওপেন লিস্ট”।

প্রথমে আসি সরকার গঠনের ফয়সালা নিয়ে। ধরা যাক দলগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল এরকমঃ ক-৩৬%, খ-৪৫%, গ-৭%, ঘ-৬%, অন্যান্য-৬%; (২০০১-এর ফলাফলের কাছাকাছি), এখন সরকার গঠনে ক ও খ উভয়েরই সুযোগ থাকবে। ক-এর জন্য গ, ঘ ও অন্যান্যদের সাথে নিয়ে ৫৫% আসনের দাবী করে যেমন সরকার গঠন করার সুযোগ থাকবে, খ-এর জন্যও শুধু গ বা শুধু ঘ বা শুধু অন্যান্যদের সাথে নিয়ে ৫২% বা ৫১% আসনের দাবীতে সরকার গঠনে সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এরপর প্রশ্ন হল সাংসদ হবেন কে? ক্লোজড লিস্ট পদ্ধতির ক্ষেত্রে প্রতিটি দল তিনশো জনের একটি র‍্যাঙ্কড তালিকা প্রকাশ / প্রচার করবে। ক দল ৩৬% ভোট পাওয়ায় এদলের তালিকা থেকে প্রথম ১০৮ জন সাংসদ বলে ঘোষিত হবেন। একই ভাবে খ দলের তালিকার প্রথম ১৩৫ জন, গ দলের তালিকার প্রথম ২১ জন, ঘ দলের তালিকার প্রথম ১৮ জন এবং অন্যান্য থেকে বাকি ১৮ জন সাংসদ আসবেন।

নেক্সট প্রশ্ন, কোন ১০৮ টি আসন ক দল পাবেন? ধরা যাক ক দল ৮০ টি আসনে প্রথম ও ১৪০ টি আসনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। তাঁরা ১০৮ টি আসনের দাবীদার বলে প্রথম হওয়া সবকটি পাবেন। দ্বিতীয় হওয়া ১৫০টির মধ্যে নুন্যতম ব্যবধানে দ্বিতীয় হওয়া ২৮টি আসনও তাঁরা পেয়ে যাবেন। এইভাবে মোট আসন দাঁড়াবে ১০৮টি। এটা বৃটিশদের প্রস্তাবিত বেস্ট রানার-আপ রুল।

ধরা যাক খ দল ১৫৫টি আসনে প্রথম। তাঁরা যেহেতু ১৩৫ টি আসনের যোগ্য, নুন্যতম ব্যবধানে বিজয়ী ২০টি আসন তাদেরকে ছেড়ে দিতে হবে।

শেষ প্রশ্নঃ কোন আসনে সাংসদ হবেন কে?

এখন দলের কাছে তো সাংসদের তালিকাও আছে, প্রাপ্ত আসন এর তালিকাও আছে, কষ্ট করে বসিয়ে নিন কে কোথায় ঠিক মত ফিট হবেন। এটাও যদি না পারেন তো, কিসের দল? কিসের রাজনীতি? সব ছেড়েছুড়ে আমার মত ব্লগ লিখতে কী বোর্ড গুতাগুতি করলেই হয়…

পি আর পদ্ধতিগুলোর মধ্যে মোটামুটি সহজ ও বহুল ব্যবহৃত দুটি পদ্ধতি হলো ডিহন্ট (D’Hondt) এবং লার্জেস্ট রিমাইন্ডার পদ্ধতি। সিম্পল প্লুরালিটি (FPTP) ব্যবহার না করে ১৯৯১ সালে এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহৃত হলে সংসদে আসন বিন্যাস হত এইরকমঃ

 প্রাপ্ত ভোটের এফপিটিপি ডিহন্ট (পি আর) লার্জেস্ট রিমাইন্ডার
ক্রমিক দল ভোট হার আসন হার আসন হার আসন হার
বিএনপি 10507549 30.81% 140 46.67% 101 33.67% 93 31.00%
আঃলীগ 10259866 30.08% 88 29.33% 98 32.67% 90 30.00%
জামাত 4136461 12.13% 18 6.00% 39 13.00% 37 12.33%
জাপা 4063537 11.92% 35 11.67% 39 13.00% 36 12.00%
বাকশাল 616014 1.81% 5 1.67% 5 1.67% 6 2.00%
জাকের পার্টি 417737 1.22% 0 0.00% 4 1.33% 4 1.33%
কমুনিস্ট পার্ট 407515 1.19% 5 1.67% 3 1.00% 4 1.33%
ন্যাপ (মোজাফফর০ 259978 0.76% 1 0.33% 2 0.67% 2 0.67%
জাসদ (রব) 269451 0.79% 0 0.00% 2 0.67% 2 0.67%
১০ ইসঃ ঐকোজোট 269434 0.79% 1 0.33% 2 0.67% 2 0.67%
১১ জাসদ (ইনু) 171011 0.50% 0 0.00% 1 0.33% 2 0.67%
১২ গনতন্ত্রী পার্টি 152529 0.45% 1 0.33% 1 0.33% 1 0.33%
১৩ এন ডি পি 121918 0.36% 1 0.33% 1 0.33% 1 0.33%
১৪ বাং জনতা দল 120729 0.35% 0 0.00% 1 0.33% 1 0.33%
১৫ বাং ইউনাইটেড কমুঃ লীগ 110517 0.32% 0 0.00% 1 0.33% 1 0.33%
১৬ বাং খেলাফত আন্দোলন 93049 0.27% 0 0.00% 0 0.00% 1 0.33%
১৭ ফ্রীডম পার্টি 90781 0.27% 0 0.00% 0 0.00% 1 0.33%
১৮ জাসদ (সিরাজ) 84276 0.25% 1 0.33% 0 0.00% 1 0.33%
১৯ মুসলিম লীগ (আইনউদ্দীন) 66575 0.20% 0 0.00% 0 0.00% 1 0.33%
২০ বাং ওয়ার্কারস পার্টি 63434 0.19% 1 0.33% 0 0.00% 1 0.33%
২১ স্বতন্ত্র 1497396 4.39% 3 1.00% 0 0.00% 13 4.33%
২২ অন্যান্য (০.১% বা এর কম ভোট) 324020 0.95% 0 0.00% 0 0.00% 0 0.00%
 মোট 34103777 100.00% 300 100.00% 300 100.00% 300 100.00%

একটু লক্ষ করলে দেখা যাবে, আঃলীগ ও জাপা তাদের প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে আসন পেলেও বিএনপি পেয়েছে প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে অনেক বেশী। এবং সেই সুত্রে সরকার গঠনের দাবীদার। রুল অব দ্যা গেম অনুযায়ী বল পজেশন যাই থাকুক, গোল দিয়েছে বেশী তাই তারই বিজয়ী। কিন্তু রাজনীতি, দেশ পরিচালনা, জনগনকে প্রতিনিধিত্ব করা, এসবকে খেলার চেয়ে উপরে স্থান দেয়ার যে দায় থাকে, সুবিচারের যে দাবী থাকে, সেই দৃষ্টিকোনে এটা সঠিক হতে পারে না, হওয়া উচিৎ নয়।

পি আর ইমপ্লিমেন্টেশনের গ্লোবাল চাহিদা তাই সুবিচার ও সুবিবেচনা প্রসুত। মাইনরিটিকে কথা বলতে দেয়ার অধিকারের স্বপক্ষে।

একটা কথা মনে রাখা দরকার যে, নতুন যে কোন ধারনাই শুরুতে মাইনরিটি ধারনা হিসাবে আসে। মাইনরিটি ধারনা – এই অজুহাতে তা প্রকাশে বাধা দেয়া হলে তা নতুন ধারনা সৃষ্টি বাধা দেয়ার সমতুল্য অন্যয় বলেই বিবেচিত হওয়া উচিৎ। সিম্পল প্লুরালিটি পরিত্যাগের এটাও একটা গুরুত্ব পূর্ণ যুক্তি।

রানঅফ-এর ব্যাপারটা খুব সংক্ষেপে বলি। বিজয়ি মানে নুন্যতম ৫০% (কোন কোন ক্ষেত্রে আরো বেশী তবে পূর্বনির্ধারিত) কাস্টেড ভোট পাওয়াটা এক্ষেত্রে শর্ত। প্রথম প্রচেষ্টায় এটা অর্জন সম্ভব না হলে শীর্ষ দুই বা পূর্বনির্ধারিত থ্রেসহোল্ড অতিক্রমকারীদের নিয়ে দ্বিতীয় এমন কি তৃতীয় রাউন্ডে নির্বাচন করে বিজয়ি নির্ধারন করা এই পদ্ধতির উদ্দেশ্য। এই পদ্ধতিতে প্রথম রাউন্ডে তৃতীয় স্থান অধিকারীর শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হবার নজিরও রয়েছে। অনেক প্রার্থীর গুতাগুতিতে আপাত মাইনরিটি যে প্রকৃত পক্ষে তা নয়, এই পদ্ধতি তার একটা উদাহরন।

তবে বাংলাদেশের ভোট অনুষ্ঠানে বিশাল ব্যয় বিবেচনায় এই পদ্ধতি যত যৌক্তিকই হোক, ঠিক প্রাকটিক্যাল না। তবে ক্লোজড লিস্ট ডিহন্ট  মেথডটা আমার কাছে খুবই উপযুক্ত বলে মনে হয়েছে।

৩,৬৯৩ বার দেখা হয়েছে

২২ টি মন্তব্য : “নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ভাবনা-৩”

    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      ধন্যবাদ রাজীব।
      আমার এখানকার সবগুলা পোস্টের পিছনেই তোমার হাত আছে, এইটা মনেহয় অনেকেই জানে না।
      তাই শুধু ধন্যবাদ বলাটা কমই হচ্ছে।
      ফেসবুক কমেন্টটা তুলে দিচ্ছি রেকর্ড রাখার জন্য।
      রাজীব আহমেদ বল্লেনঃ
      হিসাব জটিল মনে হলেও আসলে তেমন জটিল কিছু নয়।
      হয়তো খুব নিকট ভবিষ্যতেই এই নিয়ম এপলাই করা হবে বাংলাদেশ এর নির্বাচনে।
      Kazi Ahmad Pervez এর উত্তরঃ
      ঘটুক বা না ঘটুক, এ রকম আশাবাদ দেখলেও ভালো লাগে। মন ভালো হয়ে যায়। আবার এটা না ঘটার পিছনে কোন যুক্তি স্বার্থ খুঁজে না পাওয়াটাও ভাবায়। একটা আধুনিক পদ্ধতি যা সকল স্টেক হোল্ডারের স্বার্থ রক্ষা করবে, সুবিচার নিশ্চিত করবে, তা নিয়ে কেন যে কারো কোন মাথা ব্যাথা নাই, ভাবনা চিন্তা নাই, বোঝা ভার। "সরকার স্ট্রং হবে না" শুধু এই যুক্তিটা ছাড়া আর তো কিছু শুনি না। কিন্তু এটা কেন ভাবেন না যে ৩০-৪৫% ভোট পেয়ে স্ট্রং সরকারের দাবিদার হওয়া কতটা নৈতিক? ৫৫-৭০% মানুষ আপনাদের চায় নাই, তারপরেও সরকার গঠন করেছেন, এটা কি যথেষ্ট নয়? স্ট্রং সরকার গঠন করতে চান ভালো কথা, জনগনের সমর্থন বাড়াতে, তাদের রাজি খুশি করতে কিছু একটা করেন আগে। কিছুই না করে এমনি এমনি সব ক্ষমতার মালিক হতে চাওয়াটা কোন ধরনের আবদার, একটু বুঝিয়ে বলেন তো?


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      তালিকাটা বিশাল। আশিটার বেশী দেশে কোন না কোন ফর্মের পি আর প্রচলিত আছে। আরও আশার কথা হলো, তালিকার এই সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছে।
      এখানে দেখা যাবেঃ Table of voting systems by country (সম্পাদিত)


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
      • পারভেজ (৭৮-৮৪)

        ইউকে তে আলোচনার শুরু হয়েছিল ৮০-৯০ বছর আগেই। আইন করা হয়েছে, তাও বছর দশেক হল। শুধু শুরুটা কবে হবে, সেটা নির্ধারন করা আটকে আছে। এটা যে শুরু করতেই হবে, নীতিগত ভাবে সবাই তা মেনেও নিয়েছেন। ২০১১-তে এক বিতর্কিত গনভোটে শুরু করাটা আটকে যায় কিন্তু শুরু যে করতে হবে সে সিদ্ধান্ত কিন্তু বাতিল হয় নাই। গনভোটটাকে বিতর্কিত বলার কারন, ওটার প্রশ্নে ক্লারিটির অভাব ছিল। তাছাড়া কনজারভেটিভরা যে কোন সাইড নেয় নাই সেটা মিসইন্টারপ্রেটেড হয়েছিল। সর্বোপরি, পার্লামেন্টারী গনতন্ত্রের সুতিকাগার হয়েও ইউকে তার বিনির্মিত শত শত বছরের ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি ত্যাগ করবে, এটা ইংলিশরা ঠিক নিতে পারে নাই। ওদের এজন্য বেশ মনঃকষ্টও সৃষ্টি হয়েছিল।
        নেক্সট এটেম্পটে ইউকে-তে পি আর অবশ্যই প্রবর্তিত হয়ে যাবে, কোন সন্দেহ নাই।


        Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

        জবাব দিন
  1. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    পারভেজ ভাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ। 😀

    যা বুঝলাম-সিম্পল প্লুরাটি'তে অনেক ভোট গুরুত্বহীন হয়ে ওঠে, বিশেষ করে যেখানে প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হয়। অথচ পি আর এ প্রতিটি ভোটই গুরুত্বপূর্ণ! এভ্রি ভোট কাউন্টস!! এটা বেশ পছন্দ হয়েছে...তবে,

    ১।

    ক্লোজড লিস্ট পদ্ধতির ক্ষেত্রে প্রতিটি দল তিনশো জনের একটি র‍্যাঙ্কড তালিকা প্রকাশ / প্রচার করবে

    এই লিস্ট তৈরির সময় 'পলিটিক্স' বা 'বানিজ্য' এর সম্ভাবনা থেকে যাবে না?

    ২।

    ক দল ৩৬% ভোট পাওয়ায় এদলের তালিকা থেকে প্রথম ১০৮ জন সাংসদ বলে ঘোষিত হবেন।

    ভোটে না জিতলেও কি তিনি সাংসদ হবেন? নাকি শুধু জয়ীদের মধ্যে সাংসদ ঘোষিত হবেন?

    ৩।

    এখন দলের কাছে তো সাংসদের তালিকাও আছে, প্রাপ্ত আসন এর তালিকাও আছে, কষ্ট করে বসিয়ে নিন কে কোথায় ঠিক মত ফিট হবেন।

    তাহলে তো কোন আসনের সাংসদ কে হবেন এটা নিয়ে মত বিরোধ তৈরির সুযোগ থেকে যাচ্ছে... 🙁


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      ১) "এই লিস্ট তৈরির সময় 'পলিটিক্স' বা 'বানিজ্য' এর সম্ভাবনা থেকে যাবে না?"
      - তাতো একটু থাকবেই। তবে প্রথম কথা হল, তার আকৃতি, গুরুত্ব অনেক কম হবে। আসন পাইয়ে দেবার কোন গ্যারান্টি থাকবে না। পেমেন্টের ব্যপারটা তাই সেইরকম আহামরি কিছু হবে না। তাছাড়া পুরো প্রক্রিয়াটা বানিজ্য নিরুতসাহকর হওয়াই স্বাভাবিক।
      বাংলাদেশে সমর্থন-ডিসট্রিবিউশন এমন যে খুব শক্তিশালী দলের ১২০-১২৫টার বেশী আসন পাওয়া কঠিন। সে ক্ষেত্রে তালিকায় ধরা যাক ১৫০নম্বরে আমার নাম তোলার জন্য টাকা দিয়ে তা পানিতে ফেলার রিস্ক আমি কেন নেব?
      আবার এমন হতে পারে যে আমি অনেক টাকা দিলাম আমার নাম প্রথম ৫০ জনের মধ্যে আনার জন্য। সেক্ষেত্রে আমার সাংসদ হওয়া গ্যারান্টেড। কিন্তু দলের দীর্ঘদিনের পোড় খাওয়া নেতাদের প্রতিরোধের মুখে পরাটা, জবাব দিতে দিতে ক্লান্ত হওয়াটা, সর্বোপরী একজন ঘুষদাতা, নমিনেশনক্রেতা হিসাবে চীরদিনের মত চিহ্নিত হয়ে যাওয়াটা কি বন্ধ করতে পারব? মনে হয় না। শেষকথা, কোন পদ্ধতিই অপব্যবহার রোধে ফুলপ্রুফ নয়। তবে তারপরেও কোন পদ্ধতিকে তুলনামূলকভাবে উত্তমতর বা মন্দতর ভাবে বর্ননার যে মাপকাঠি তৈরী করা যায়, সেই বিচারে পি আর সিম্পল প্লুরালিটি থেকে "নমিনেশন বানিজ্য" নিরুৎসাহিত করনে অনেক এগিয়ে থাকবে।
      ২) "ভোটে না জিতলেও কি তিনি সাংসদ হবেন? নাকি শুধু জয়ীদের মধ্যে সাংসদ ঘোষিত হবেন" - আমি একটা হাইপোথেটিক্যাল কেস বলেছি যেখানে ভোট হচ্ছে দলের মধ্যে, ব্যক্তির মধ্যে না। তাই ব্যক্তির জেতা হারা গুরুত্বপুর্ন না। ৩৬% ভোট পাওয়া মানে ১০৮টি আসন পাওয়া যে আসন গুলো পরে বরাদ্দ হবে তালিকা থেকে। অন্য ফরমেটও আছে যেখানে ভোট না দিয়ে পছন্দের গুরুত্ব জানাতে হয়। এর উপর নির্ভর করে এক এক জন করে প্রার্থি বাদ পরেন এবং তার ভোট অন্যদের মধ্যে বিতরন করা হয়।
      শেষ পর্যন্ত যারা আসন পান, তারা কোন না কোন বিবেচনায় কিন্তু বিজয়ি।
      ৩) "কোন আসনের সাংসদ কে হবেন এটা নিয়ে মত বিরোধ তৈরির সুযোগ থেকে যাচ্ছে"
      দল মানেইতো বিরোধের সুতিকাগার। আর এজন্য বিরোধনিস্পত্তির বিভিন্ন ব্যবস্থা যে দলে থাকতে হবে, সেটা তো একটা দল হয়ে ওঠার প্রধান শর্ত।
      এইখানে যে হাইপোথেটিক্যাল কেসটা বলেছি তা অনেকভাবেই ধাপে ধাপে সমাধান করা সম্ভব। কিভাবে শেষে পর্যন্ত করা হবে তা দলই নির্ধারন করুক। আর না পারলে রাজনীতি করার তাদের কোন অধিকার নাই, এটাই বলতে চেয়েছি।
      ১০৮ জন মানুষের জন্য ১০৮টা চেয়ার আছে, কেউতো আর বাদ পড়বে না। তাহলে এমন কোন বিরোধ বাধার সুযোগ নাই যা সমাধানের অতীত।


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
      • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

        যাক পোস্ট ও মন্তব্যগুলো পড়ার পর বেশ একটা পরিষ্কার ধারণা পাওয়া গেল! গতকাল ফেরদৌস ভাইয়ের সাথে এক কথা প্রসঙ্গে উনি বললেন বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী হবার মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই টার্ম করা হোক রাজনীতির গতিবিধি পরিবর্তন হয়ে যাবে। সেটার সাথে যদি পি,আর যোগ করা যায় তাহলে অবশ্যই ফলপ্রসূ হবে বলে আমার ধারণা।


        \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
        অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

        জবাব দিন
      • জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

        @ পারভেজ ভাই, বাংলাদেশে ক্লোজড লিস্টেড ডি'হন্ট মেথড প্রয়োগ করতে গেলে আইনগত ও কাঠামোগত কি কি ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে এটা নিয়ে বিস্তারিত বলবেন কি?

        @মোকা, শুধু 'প্রধানমন্ত্রী হবার মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই টার্ম' করলেই হবে না...প্রেসিডেন্ট হবারও করতে হবে, নাহলে পুতিনের মতন কাহিনী হবে। এছাড়া প্রয়োজন দলের প্রধান হবার সময়সীমা নির্ধারন করারও, নাহলে এরা বছরের পর বছর দলকে শুষে খাবে...


        ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

        জবাব দিন
        • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

          ঠিক মত চিন্তা করলে কিন্তু করাই যায়। দেখেন আমাদের দু-চারজনের কথায় বেশ কয়েকটি অপশন উঠে আসছে কিন্তু কথা হলো সবকিছু এমন ভাবে সিস্টেম করা যে এই বিষয়গুলো আমাদের আলোচনা পর্যন্তই। এর বেশী কিছু করতে হলেই সেটার জন্য বৈপ্লবিক পরিবর্তন দরকার। কথা হইলো বেড়ালের গলায় ঘন্টি পরাবে কে? ভবিষ্যতে নিজ এলাকা আশুগঞ্জ থেকে নির্বাচন করার স্বপ্ন দেখি কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন হয় কিনা সেটা সময় বলে দিবে! 🙂


          \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
          অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

          জবাব দিন
        • পারভেজ (৭৮-৮৪)

          চমৎকার প্রশ্ন।
          আগে দেখা যাক সংবিধানে কি আছে। সংবিধানের ৬৫(২) ধারায় উল্লেখ আছে যে:
          "একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাসমূহ হইতে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচিত তিন শত সদস্য লইয়া ...... সংসদ গঠিত হইবে; সদস্যগণ সংসদ-সদস্য বলিয়া অভিহিত হইবেন। "
          সাংবিধানিক শর্তসমুহ হলো
          ১) একক অঞ্চল অর্থাৎ যাকে বলে Single Member Constituency যা Multiple Member Constituency নয়।
          ২) প্রত্যক্ষ ভোট যা পরোক্ষ ভোট নয়।
          ৩) নির্বাচন হতে হবে আইন অনুযায়ী।
          প্রশ্ন উঠতে পারে যে প্রত্যক্ষ ভোট কি ব্যক্তিকে দেয়া জরুরী নাকি তা দলকেও দেয়া যায়। এখানে প্রত্যক্ষ ভোটের সংজ্ঞা দেখুন:
          "Direct election is a term describing a system of choosing political officeholders in which the voters directly cast ballots for the person, persons or political party that they desire to see elected"
          তাহলে দেখা যাচ্ছে যে আমাদের প্রচলিত ব্যক্তি নির্বাচনের পদ্ধতির পরিবির্তে দল নির্বাচন ব্যবস্থা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক নয়।
          সেক্ষেত্রে ব্যক্তি নির্বাচন হচ্ছে কিভাবে? এটা হচ্ছে নির্বাচন পরিচালনার আইন বলে যা Representation of the People Order, 1972 (as amended in 2009) নামে পরিচিত।
          এখন যদি ডি'হন্ট মেথডে নির্বাচন করতে হয় তবে কোন রূপ সাংবিধানিক পরিবর্তন না এনে কেবল রেপ্রেসেন্টেশন অব দ্যা পিপল অর্ডার সংশোধন করেই তা করা সম্ভব। এজন্য যেকোন সরকার সিম্পল মেজরিটি দিয়েই তা করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
          এবং এই সংশোধনের সময় ক্লোজ লিস্টের কথা উল্লেখ করে দিলেই হবে।


          Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

          জবাব দিন
          • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

            ঠেলেঠুলে এই প্রস্তাবনাটি মনে করেন সংসদে বিল হিসেবে উত্থাপিত হলো, কতজন সাংসদ হাঁ ভোট দিবে এতে আমার সন্দেহ আছে। বরং যদি ভুল না করে থাকি বাংলাদেশের ইতিহাসে সম্পূর্ণ না ভোট পেয়ে এই বিল বাতিল হবার সম্ভাবনা আমি দেখতে পাচ্ছি।


            \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
            অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

            জবাব দিন
            • পারভেজ (৭৮-৮৪)

              সংসদে উত্থাপিত হলে তো সবাই ৭০(খ) ধারা অনুযায়ী হ্যাঁ ভোট দিতে বাধ্য। প্রশ্ন হলো উঠাইতে দিবে কিনা?
              দল মানে দলের নেতা (বা নেত্রি) যদি কনভিন্সড হয়, সংসদে উঠানো বন্ধ করার মত হ্যাডম আজকালকার কোন সাংসদের নাই।
              এখন প্রশ্ন, দল বা দলের নেতা (বা নেত্রি) কনভিন্সড হবেন কিভাবে?
              এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা, লিখালিখি চালিয়ে যেতে হবে এই আশায় যে একদিন তিনি/তারা ব্যাপারটা বুঝবে। বৃটিশদের বুঝতে ৭০-৮০ বছর লেগে গেছে। তাঁরা বুঝেছেন কিন্তু এখনো পুরাপুরি ইমপ্লিমেন্ট করতে পারেন নাই।
              তবে যত তাড়াতাড়ি বুঝেন, আমার মনে হয়, দেশের জন্য দলের জন্য ততই মঙ্গল।


              Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

              জবাব দিন
              • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

                যেই ভুলটা আমি নিকট অতীতে করতাম সেটা হলো এই ধরনের আলোচনায়ও অংশগ্রহণ না করা। যুক্তি দেখাতাম এইসব আলোচনা করে কোন কিছুই হবে না। যেই লাউ সেই কদু। রাজনৈতিক নিস্পৃহ মনোভাবের আখড়া। এদুটো মনোভাবই বাংলাদেশের মোটামুটি জ্ঞানবুদ্ধি সম্পন্ন জনগোষ্ঠীর বেশীরভাগের মাঝে প্রবল।

                আমরা আলোচনা শুরু করলেই ৫০-৬০ বছর পরে সেটা বাস্তবায়নের একটা রব হয়তো উঠবে। কিন্তু ভিত্তিপ্রস্তরটাই হলো আমাদের আলোচনা। সেটা স্থাপন না করলে সেই চোখ বেঁধে রাখা কলুর বলদ ঘুরতেই থাকবো তো ঘুরতে থাকবো! 🙂


                \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
                অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

                জবাব দিন
                • পারভেজ (৭৮-৮৪)

                  ভাই মোকাব্বির, এই কমেন্টটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। এই বিষয়ে লিখালিখি শুরু করাতে আমারও ভিষন সংকোচ ছিল। এই লিখাটাও বেশ ডিজ-অরগানাইজড এইজন্যই। তারপরেও কি এক অনুপ্রেরনায় বিচ্ছিন্নভাবে দুচারটা স্ট্যাটাস দিতে দিতে রাজীবের খপ্পরে পড়ে ব্লগ পোস্ট করতে বাধ্য হওয়া।
                  কিন্তু সবসময়ে ঐ মনভাবটা কিন্তু কাজ করে গেছে, কার জন্য লিখছি? কে পড়বে এইসব? প্রথম পর্বের নাম খুবই অনিচ্ছা সত্বেও ১ দিয়েছিলাম এই আশায় যে কেউ না পড়লে, ওখানেই ইতি।
                  কিন্তু কি একটা হলো, একজন দুজন করে তুমিসহ শেষ-মেশ বেশ কিছু কোয়ালিটি পাঠককে পেয়ে গেলাম এবিষয়ে উৎসাহ দেখানোতে। আর একটা কিস্তি লিখে আপাতত একটু ব্রেক দেবো ভাবছি।
                  আরেকটা কথা এমন একটা বিষয় নিয়ে লিখা শুরু করেছিলাম যেটার উপর আমাদের প্রেক্ষাপটে কারো কোন লিখালিখি এখনো চোখে পরে নাই। সেরকম কিছু থাকলে এবং জানালে আরেকটু এনরিচড হতাম, এটাকেও করতাম।
                  আশাকরি একদিন আমাদের দেশেও কোন একটা পি আর পদ্ধতি চালু হবে। আমাদের জীবিদ্দশায় হলে ভালো, না হলেও মন্দ কি, হলেই হোল।
                  সাথে থাকার জন্য সকল পাঠককে ধন্যবাদ।


                  Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

                  জবাব দিন
                  • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

                    সমস্যাটা এখানেই ভাই। আমি ধরে নিচ্ছি আপনাদের বয়সসীমার আসেপাশে যারা আছেন তাদের অনেকেই এই বিষয়ে জানেন। এই আমাদের মাঝে ক্যাডেটই হয়তো। কিন্তু এগিয়ে আসবেন না। পারভেজ ভাইয়ের ব্লগের উত্তর হিসাবে আরেকটি ব্লগ লিখে এখানে পোস্ট করবেন না। এটাই খারাপ লাগে!


                    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
                    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

                    জবাব দিন
                    • পারভেজ (৭৮-৮৪)
                      আমি ধরে নিচ্ছি আপনাদের বয়সসীমার আসেপাশে যারা আছেন তাদের অনেকেই এই বিষয়ে জানেন।

                      এইটাও একটা সমস্যা। একাডেমিক প্রয়োজনের বাইরে এবিষয়ে কেউ খুব একটা কিছু জানে এরকম চোখে পরে নাই। হয়তো আমার মতই সংকোচ করে খোলাখুলি আলাপ করে নাই।
                      আবার কারো কারো মধ্যে অল্প বিদ্যা র কারনে FPTP-এর বাইরে "সব ঝুট হ্যয়" অবস্থা।
                      পুরো ব্যাপারটা গোলমেলে, হতাশাব্যাঞ্জক...


                      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

          • জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

            তারমানে পি আর পদ্ধতি খুবই সহজ একটি প্রসেসের মাধ্যমেই চালু করা সম্ভব। কুখ্যাত ৭০ (খ) ব্যবহার করে অন্ততঃ এই একটি ভালো কাজও যদি করা যেত... :dreamy:


            ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

            জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।