পিঙ্ক ফ্লয়েড

আজ থেকে দুই বছর আগেও যদি কেউ আমাকে পিঙ্ক ফ্লয়েড এর কথা জিজ্ঞাসা করতো তাহলে আমার উত্তর হত, নাহ আমি এদের গান শুনিনা। সত্য কথা বলতে আমার কোনও ধারণাই ছিলনা পিঙ্ক ফ্লয়েড নিয়ে। আমি প্রচুর বাংলা গান শুনতাম এবং এখনো শুনি। ইংরেজি গান শুনতাম কলেজে যখন কলেজে কমনরুমে কেউ বাজাতো তখন। কিন্তু কোনও ব্যান্ড এর প্রতি আমার আকর্ষণ ছিলনা বরং ছিল কিছু গানের প্রতি। আমি কলেজে থাকতে ভিডিও শো দেখতামনা। কলেজ থেকে বের হওয়ার পর বাসায় ইন্টারনেট কানেকশান নেয়ার পর থেকে শুরু হয় মুভি ডাউনলোড করা, ৪/৫ কেবিপিএস এ টরেন্ট ডাউনলোড হত আর ১৫/১৬ তে মিডিয়া-ফায়ার এর ফাইল। পার্ট বাই পার্ট ডাউনলোড করে সেগুলো আবার HJ Split দিয়ে জোড়া লাগাতে হত। মাঝে মাঝে কিছু ফাইল করাপ্ট থাকলে পুরো ডাউনলোড খতম। এত কষ্ট করে নামানো সিনেমার প্রতি আমার অন্য ধরণের একটা দরদ ছিল, মনোযোগ দিয়ে দেখতাম, এবং অবশ্যই সাব-টাইটেল দিয়ে। মাঝে মাঝে এসব সিনেমার কিছু গান ভালো লাগতো এবং আমি সেই গানগুলো ডাউনলোড করে শুনতাম। এভাবে আমার ইংরেজি গান শোনা শুরু।
ইউকে তে আসার পর নেট এর স্পীড দেখে আমার মাথা গরম। ওয়াও, টরেন্ট এর ফাইল নামে ২/৩ মেগা বাইটে, আর কি চাই। কোনও গান ভালো লাগলে শুধু ওই গাননা বরং ওই এলবামটা পুরো ডাউনলোড করতাম, মাঝে মাঝে এলবামের বেশ কিছু গান ভালো লাগলে শুরু করতাম ওই ব্যান্ডের পুরো ডিস্কোগ্রাফি। এভাবে প্রেমে পরে যাই Journey, Eagles, Air supply, Roxette এর।
তো একদিন Due Date মুভিটা দেখার সময় Zach Galifianakis কে দেখলাম গাঁজায় টান দিতে দিতে Hey You গানটা শুনছে। গানের শেষের দিকের লাইনটা ছিল, ”Together we stand, divided we fall.”
গুগল করে জানলাম এটা পিঙ্ক ফ্লয়েড এর Hey You। লিরিক্স পড়ে অসাধারণ লাগলো, ইউ টিউবে শোনার সময় আরও কিছু গানের সাজেশন আসলো। ”Another Brick In The Wall (Part 2)” শোনার সময় গানের কিছু লাইন খুব পরিচিত মনে হল, যেমন ” Hey Teacher Leave The Kids Alone”। তারপর থেকে শুরু হল আমার পিঙ্ক ফ্লয়েড শোনা।
আমার iPod এ এবং ল্যাপটপে ওদের সবগুলো এলবাম আছে এবং অন্য ব্যান্ডের মত শুধু বেস্ট অফ না শুনে প্রায় সব গানই শোনা হয়।

Pink Floyd

১৯৬৫ সালে চারজন সদস্য নিয়ে পিঙ্ক ফ্লয়েড গঠন করা হয়। চারজন সদস্যদের মাঝে ছিলেন Syd Barrett, Nick Mason, Richard Wright এবং Roger Waters. পরে ১৯৬৭ সালে ৫ম সদস্য হিসেবে David Gilmour এসে যোগদান করেন।
সিড ব্যারেট ছিলেন এই ব্যান্ডের প্রাণ, তার কারণেই সৃষ্টি হয় পিঙ্ক ফ্লয়েড। কিন্তু অতিরিক্ত এল এস ডি নেয়ার কারণে তাকে চলে যেতে হয় রিহ্যাব সেন্টারে। তিনি পিঙ্ক ফ্লয়েড ছেড়ে চলে যান ১৯৬৮ সালে, তার স্থানে বসানো হয় গিলমোরকে লিড ভোকাল হিসেবে।
পরে রিচার্ড রাইট এবং রজার ওয়াটারস ও দল ছেড়ে চলে যাবার পর গিলমোর এবং ম্যাসন চালিয়ে যায় পিঙ্ক ফ্লয়েড, মাঝে মাঝে রাইট পেইড আর্টিস্ট হিসেবে যোগ দিতেন। ২০০৫ সালে লাইভ এইট কন্সার্টের মাধ্যমে পিঙ্ক ফ্লয়েড রি ইউনাইটেড হয়।

পিঙ্ক ফ্লয়েডের প্রায় ১৭টা এলবাম বের হয়, আমার সবচেয়ে পছন্দের Wish you were here, The wall, The Dark Side Of The Moon, Animal.

The Wall Album কে নিয়ে বানানো হয়েছিল একটা সিনেমা। সিনেমার নাম দেয়া হয়েছিল Pink Floyd- The Wall.
পরিচালক এলান পার্কার ১৯৭৯ সালের পিংক ফ্লয়েডের ডাবল এলবাম দা ওয়ালকে বেজ করেই এই মুভিটা বানিয়েছেন। তবে এই ছবিটা খুব ঠান্ডা মাথায় দেখতে হবে, আশেপাশের শব্দ কিংবা চিন্তা নিয়ে ছবিটা না দেখাটাই উত্তম। পুরো ছবিতে খুব কম ডায়লগ ব্যাবহার করা হয়েছে, এবং প্রায় ১৫ মিনিট এর মত এনিমেশন ছিল, যা পলিটিকাল কার্টুনিস্ট জেরাল্ড স্কারফি করেছেন।

The Wall

Wish You Were Here আমার সবচেয়ে পছন্দের এলবাম, অবশ্য গান খুব কম, মাত্র ৫টা। এই এলবামটা সিড ব্যারেটকে উৎসর্গ করা। Shine On You Crazy Diamond(I-V) এবং (VI-IX) তাকে নিয়েই লেখা এবং গাওয়া।

আমার খুব পছন্দের কিছু গানের মাঝে আছে, Wish You Were Here, Have a Cigar, Mother, Money, Hey You, Eclipse, High Hopes, Shine On YOu Crazy Diamond etc.

Mother

পিঙ্ক ফ্লয়েড নিয়ে মানুষ কতটা পাগল তা বোঝা যায় ফেসবুকে পিঙ্ক ফ্লয়েড এর বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেইজে। মোবাইলের ওয়ালপেপার থেকে শুরু করে সব কিছুই তাদের পিঙ্ক ফ্লয়েডের। আমার একটা মগ আছে দা ওয়াল এর আর আছে ফেসবুকে একটা এলবাম।
যেহুতু আমরা পিঙ্ক ফ্লয়েড এর লাইভ কনসার্ট দেখার মত ভাগ্যবান না আমাদের দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর একটা ব্যবস্থা আছে।
কিছু ব্যান্ড আছে যারা পিঙ্ক ফ্লয়েড এর কভার করে, যেমন Brit Floyd এবং The Australian Pink Floyd. এটা খুব স্বাভাবিক যে অন্য কেউ পিঙ্ক ফ্লয়েড এর মত গাইতে পারবেনা এমনকি খুব কাছাকাছিও যেতে পারবেনা সুতরাং খুব বেশি প্রত্যাশা নিয়ে কভার শুনতে যাবেননা। তবে ব্রিট ফ্লয়েড এর কভার গুলো সুন্দর। বিশেষ করে ইন্সট্রুমেন্টাল তারা খুব ভালো বাজায়। কিন্তু গিলমোরের গিটার কিংবা ম্যাসন এর ড্রাম এর সাথে কারো তুলনা হয়না। সুযোগ পেলে এই দুই দলের কারো কনসার্ট দেখার খুব ইচ্ছা। আর একটা ইচ্ছা আছে দা ডার্ক সাইড অফ দা মুন এর কভার এর একটা ট্যাটু আঁকা। সত্য কথা বলতে ওদের প্রতিটা এলবাম এর কভার ছবিই অসাধারণ।

নিচে কিছু পছন্দের গানের লাইন দিয়ে ইতি টানছি 🙂

**Hey you, don’t tell me there’s no hope at all, together we stand, divided we fall. – Hey You

**Did they get you to trade your heroes for ghosts? Hot ashes for trees? Hot air for a cool breeze? Cold comfort for change? And did you exchange a walk on part in the war, for a lead role in a cage? – Wish You Were Here

**Got thirteen channels of shit on the TV to choose from. – Nobody Home

**Hey you, standing in the aisles with itchy feet and fading smiles, can you feel me? Hey you, don’t help them bury the light, don’t give in without a fight. – Hey You

**For long you live and high you fly, but only if you ride the tide. And balanced on the biggest wave, you race towards an early grave. – Breathe

**Mother, should I run for President? Mother, should I trust the government? – Mother

৭,৫৪৫ বার দেখা হয়েছে

৬১ টি মন্তব্য : “পিঙ্ক ফ্লয়েড”

  1. রকিব (০১-০৭)

    পিঙ্ক ফ্লয়েডের গান শোনার কিছু নিয়ম আছে। রুম অন্ধকার, মৃদু আলো থাকতে পারে। জানালা খোলা থাকা দরকার, একটু আধটু বাতাস (ইংরেজিতে যেটাকে বলে Gentle Breeze); চোখ বন্ধ করে গান শুনতে হবে।

    ক্যাম্পিং এ গিয়ে খোলা আকাশের নিচে তারাভরা রাতে শুনশান পরিবেশে (কোন ইলেক্ট্রিসিটি নাই, লেকের কাছে) মোবাইলে Wish you were Here ছেড়ে দিয়ে বসেছিলাম বন্ধুবান্ধবের সাথে। স্বর্গীয় অনুভূতি!

    নাজমুল, ভালো লিখেছো। তোমার লেখা অবশ্য বরাবরই ভালো।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  2. নাফিস (২০০৪-১০)

    পিঙ্ক ফ্লয়েড হলো এক ধরণের স্বর্গীয় জিনিস। রকিব ভাই ভালো বলছেন। অন্ধকার রুম, মৃদু আলো.. পিঙ্ক ফ্লয়েড আগে ছাড়া ছাড়া ভাবে শোনা হয়েছিল, কিন্তু গত বছর থেকে ভালো মতন ধরেছে এই জিনিস। হাই করে দেয় এক্কেবারে। 😛

    জবাব দিন
    • নাজমুল (০২-০৮)

      হাই করার জন্যই বোধহয় এধরণের রক কে সাইকাডোলিক রক বলা হয়। এর জন্য সিড ব্যারেট ছিল অসাধারণ। এরকক্ম টেলেন্টেড মিউজিশিয়ান পাওয়া টাফ। কিন্তু সেই ড্রাগসের কারণেই তার চলে যেতে হয় ফ্লয়েড ছেড়ে।

      জবাব দিন
  3. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    ভাল লিখেছো নাজমুল। আমার গানের জগত পুরোপুরি বাংলা দিয়ে তৈরী, সাথে কিছু সিলেক্টেড অন্য গান। তোমার লেখা পড়ে পিঙ্ক ফ্লয়েডের প্রতি আগ্রহ জাগলো, শুনে দেখতে হবে।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • নাজমুল (০২-০৮)

      এই গানটা আমার সবচেয়ে পছন্দের একটা গানের একটা। অসাধারণ লিরিক্স, মিউজিক এবং ভোকাল। তবে অনেকে ভাবে এই গানটা সিডকে নিয়ে লেখা আসলে এটা ভুল ধারণা, এই এলবামটা সিডকে নিয়ে বানানো হলেও ৫ টা গানের দুইটা গান পুরো সিডকে নিয়ে লেখা, Shine on You crazy diamond(1-5) & (6-9). এই পুরো এলবামটাই অসাধারণ। আমি অবাক হই ওদের লিরিক্স দেখে। যেমন হই লালন এর গানের কথা শুনে

      জবাব দিন
  4. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    পিংক ফ্লয়েডের যেই মানুষটা নিয়ে কথাবার্তা সাধারণত কম হয় কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে আমি যেই সদস্যের ব্যক্তিগত জীবনের ভক্ত সেই সদস্যের নাম হলো নিক ম্যাসন। তাকে ড্রাম বাজাতে দেখলেই মনে হয় প্রতিটি বিট তিনি উপভোগ করছেন। প্রতিটি ক্র্যাশ ও সিমবালে ব্রেক শেষ করে তৃপ্তিতে চোখ প্রায় বুজে আসছে। মানুষটিকে ভাল লাগে তার সঙ্গীত জগতের বাইরের সখগুল‌োর জন্য। পুরোনো গাড়ি সংগ্রাহক, একজন সখের রেসার এই ভদ্রলোক 24 Hours Le Mans রেসের মত এনডিউরেন্স টেস্টিং রেসেও যোগ দিয়েছেন। সংগ্রহের গাড়ির মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো ফেরারী এনজো যেটি সাড়া বিশ্বে তৈরী হয়েছে মাত্র ৪০০টি এবং এই ৪০০ গাড়ি কিনতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ফেরারী পক্ষ থেকে। যার মানে হলো, বিলিয়ন ডলারের মালিক হলে ও সখ থাকলেও এই গাড়ির মালিক কে হবেন তা নির্ধারণের দায়িত্ব ছিল ফেরারীর এবং হ্যা এই ৪০০ মালিকের একজন হলেন নিক। উনার সংগ্রহে আরো আছে বিখ্যাত ফেরারী জিটিও ২৫০, যা তৈরী হয়েছে মাত্র ৩৯টি। এর পাশাপাশি উনি একজন লাইসেন্সধারী পাইলট। নিজ সংগ্রহে থাকা এ্যারোস্প্যাশিয়াল স্কুইরেল হেলিকপ্টার নিয়ে উনি নিয়মিত ঘুরে বেড়ান।

    মজার ব্যাপার হলো এই ধরনের মজার সখের দেখা মিলবে আরো একজন বৃটিশ গায়কের জীবনে। হেভি মেটাল ব্যান্ড আয়রন মেইডেনের ভোকাল ব্রুস ডিকিনসন একজন বোয়িং ৭৩৭ পাইলট। ট্যুরে গেলে নিজের Ed Force One নামের বোয়িং ৭৩৭ নিজেই উড়িয়ে নিয়ে যান। উনাকে মাঝে একবার দেখেছিলাম বৃটিশ ট্যাংকের রিভিউ করতে। পাগলের কত খেয়াল। 😀

    ক্লাসিক গাড়ির প্রতি ঝোঁক আছে এরকম আরেকজন হলেন এসি/ডিসির গায়ক আংগাস ইয়ং। সম্ভবত সখের টুকিটাকি রেস উনিও করে থাকেন। বিখ্যাত মোটর শো বিবিসি টপ গীয়ারের মূল উপস্থাপক জেরেমি ক্লার্কসনের বন্ধু পর্যায়ের এই মানুষ গত বছরের এক পর্বে হাজিরাও দিয়েছেন। এদিকে ফেরারী এনজোর মত দুর্লভ গাড়ির রিভিউ করার লোভ সামলাতে না পেরে জেরেমি ধরনা দিয়েছিলেন নিকের কাছে। নিক এক শর্তে গাড়িটি জেরেমিকে ধার দিয়েছিলেন। রিভিউর পুরো সময় জুড়ে নিকের লেখা নতুন বই Inside Out: A Personal History of Pink Floyd এর প্রচারণা চালাতে হবে। সহজ শর্তে রাজি জেরেমি এনজো চালাতে চালাতে বেশ ভালই ক্যানভাসিং চালিয়েছেন বইয়ের। এমনকি স্টেরিও সিস্টেম বিহীন এই যন্ত্রসর্বস্ব ফেরারী এনজো রিভিউয়ের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসেবে পুরো সময় বেজেছে এনাদার ব্রিক ইন দ্য ওয়াল ২


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
    • নাজমুল (০২-০৮)

      আমার মতে পিঙ্ক ফ্লয়েডের সবচেয়ে বেশি যাকে নিয়ে কথা হয় সে হল সিড ব্যারেট। প্রতিষ্ঠাতা হলেও ফ্লয়েডের জন্য খুব বেশি অবদান রাখার আগেই হাসপাতালে চলে যায়। এটা মানতেই হবে সিডের মত এমন একজন টেলেন্টেড শিল্পী পাওয়া কষ্টের কিন্তু তাকে বেশি অবদান দিলে বাকিদের প্রতি ঠিক কাজ করা হবেনা।
      নিক এর ব্যাপারটা যদি খেয়াল করেন, সেই একমাত্র ফ্লয়েড যে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পিঙ্ক ফ্লয়েডের সাথে ছিল। গিলমোর পরে এসে যোগদান করে, সিড হাসপাতালে চলে যায়, এসে আর ফ্লয়েডের সাথে সম্পর্ক রাখেনাই, রিক কে বের করে দেয়া হয়, ওয়াটার্স ও চলে যায়। কিন্তু নিক শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পিঙ্ক এর সাথে ছিল। এবং বেঁচে থাকা তিনজন ফ্লয়েডের একজন 😀

      ভাইয়া ওই প্রোগরামের লীঙ্ক দেয়া যাবে??

      জবাব দিন
      • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

        এইখানে দেখ। পিংক ফ্লয়েডের প্রায় সব বিখ্যাত নাম্বারের উদ্ধৃতি দিসে পুরা গাড়ি রিভিউ করতে গিয়ে। আর শেষে একটা মজার চমক আছে। The epic use of the song. :boss:


        \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
        অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

        জবাব দিন
      • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

        সিড ওয়াজ টু হাই অন এল এস ডি।
        সো আদার্স লেফট হিম।
        এমনকি একটা শোতে সে অশ্লীল অংগভঙ্গি ও করে।
        শেষ গিগ গুলায় সে শুধু শো পিস হিসাবে ছিলো।

        এর আগেই ভোকালিষ্ট ও গিটারিষ্ট হিসাবে গিলমোর কে নেয়া হয়।

        রজার টু মাচ অবসেসড উইথ হিজ ডেড ফাদার।
        ওয়ালের পর ফাইনাল কাট নিয়া অনেক ঝামেলা হয়।
        রজার ওয়াজ টু মাচ ডমিনেটিং এট দ্যাট টাইম।
        সো রজার পিঙ্ক ফ্লয়েড লিভ করে ফাইনাল কাটের পর।
        এরপর রাইট ও ছেড়ে দেয় পিঙ্ক ফ্লয়েড।

        রাইটের সলো এলবাম মনে হয় দুইটা আছে।

        ও রাইট ও তো মারা গেছে।

        ওয়ালের মেইন ক্যারেক্টার রজার নিজে।
        ব্যান্ড আসলেই কঠিন টিকিয়ে রাখা।
        মেবি ব্যতিক্রম লেড জেপলিন। হয়তো মবিডিকের বনহ্যাম মারা যাওয়ায় বাকিরা ক্লোজ করায় এইটা সম্ভব হইছে।
        আর যতদূর জানি ওরা চারজনই সমান টাকা পাইতো।


        এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

        জবাব দিন
    • নাজমুল (০২-০৮)

      এই মুভী দেখে আমি কিছুই বুঝিনাই প্রথমে, বোঝা কষ্টের ব্যাপার। কার্টুনগুলো অসাধারণ, সেই কারণে বলা হয় ফ্লয়েড যুগের থেকে ২০ বছর সামনে ছিল সবসময়।
      আমি পরে এটার কাহিনী পড়সি পুরাটা পরে আবার মুভীটা দেখে অসাধারণ মনে হইসে

      জবাব দিন
    • নাজমুল (০২-০৮)

      ব্রিট ফ্লয়েড অসাধারণ বাজায়। ভোকাল আমার কাছে অত ভালো মনে হয়নাই। তবে কিছু গান অসাধারণ কভার করসে। যেমন- মাদার। এটা খুব ভালো কভার করেছে ওরা। অস্ট্রেলিয়ান ফ্লয়েড ও ভালো। বাকি কারো কভার শূনিনাই কখনো 😀

      জবাব দিন
  5. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    Studio albums
    The Piper at the Gates of Dawn (1967)
    A Saucerful of Secrets (1968)
    More (1969)
    Ummagumma (1969)
    Atom Heart Mother (1970)
    Meddle (1971)
    Obscured by Clouds (1972)
    The Dark Side of the Moon (1973)
    Wish You Were Here (1975)
    Animals (1977)
    The Wall (1979)
    The Final Cut (1983)
    A Momentary Lapse of Reason (1987)
    The Division Bell (1994)


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  6. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    Pink Floyd live performances

    Pink Floyd World Tour (1968)
    The Man and The Journey Tour (1969)
    Atom Heart Mother World Tour (1970)
    Meddle Tour (1971)
    Dark Side of the Moon Tour (1972–73)
    French Summer Tour (1974)
    British Winter Tour (1974)
    Wish You Were Here Tour (1975)
    In the Flesh Tour (1977)
    The Wall Tour (1980–81)
    A Momentary Lapse of Reason Tour (1987–90)
    The Division Bell Tour (1994)


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  7. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    আমরা যেমন ভাবি (বা আমাদের অভিভাবকরা যেমন ভাবতেন আর কি) -- ইংরেজী গান, বিশেষত রক ঘরানার, অপসংস্কৃতি। আতংকিত হতেন তাঁরা। রবীন্দ্র সংগীত শোনা লোকেরা এসব গান শুনলে নাক সিঁটকাবে, আবার এসবের ভক্তরা রবীন্দ্র সংগীত শুনলে। অবশ্য সেটা করার অধিকারও প্রত্যকের আছে।

    ক্যাডেট কলেজে দেখতাম সিনিয়ররা (এবং সেই প্রভাবে ধীরে ধীরে আমাদেরো অনেকে) রীতিমত নিষ্ঠার সঙ্গে ইংরেজী গানের খোঁজখবর রাখতেন। শুনের কিছুই বুঝতামনা -- আমি এখনো সাবটাইটেল ছাড়া ইংরেজী মুভিই ভালো করে ফলো করে উঠতে পারিনা। তবু সেই সময়ে কিছু কিছু গান স্রেফ মাথায় গেঁথে গেছে, শুনতে শুনতে একসময় ওই মুহূর্তগুলোর স্পর্শ নিয়ে আসার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ততটা আবেদন সৃষ্টি করতে না পারা কত সুর এভাবে অস্তিত্বের অংশ হয়ে গেছে।

    Wall তেমনি একটা গান। পিঙ্ক ফ্লয়েড শুনিনি তেমন, Mtv তে যতটা পাওয়া যায় তার বাইরে। তবে রাজনৈতিক দর্শনের যেটুকু পরিচয় পেয়েছি তার জন্যে স্যালুট। ভাবতে উদ্বুদ্ধ করে এমন যে কোন কিছুই আমার কাছে শিল্প -- কি মাধ্যম হয়ে সেটি আসছে সেটা বড় মুখ্য নয়।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।