কী মানি কেন মানি

(ইসলামী আমল-আখলাকের দিক দিয়ে খুব দুর্বল একজন মুসলমান আমি। কেবল ঈমানটা নিয়েই বেঁচে আছি। তবে সে ঈমান ঠুনকো কোনো ফিলিংস নয়, তাই নিয়েই এই লেখা। সঙ্গত কারণে লেখাটি মুহাম্মদ এবং সাদীদ ভ্রাতৃদ্বয়কে উৎসর্গ করলাম।)

বিশ্বাস ব্যাপারটা সবসময় যুক্তি-তর্কের গন্ডিতে আবদ্ধ না-ও হতে পারে। আমাদের চিন্তাজগতের সীমাবদ্ধতার কারণে যুক্তির বাইরেও অনেক কিছু মেনে নিতে হয় আমাদেরকে। বাস্তবতা হলো, ঈমান বা বিশ্বাসের সাপোর্টে জ্ঞান অত্যন্ত আবশ্যক, তবে তার অযাচিত প্রয়োগে বিশ্বাসভঙ্গ ঘটারও সুযোগ রয়ে যায়।
এবার আমি আমার নিজের কথা বলি। আমি একেশ্বরবাদী। আমি ধর্মে বিশ্বাস করি, ইসলাম ধর্মে। আমি ধর্মগ্রন্থে বিশ্বাস করি, কুরআনে এবং কুরআনে বর্ণিত অন্য সব গ্রন্থে। আমি প্রাগৈতিহাসিক পয়গম্বরদের বিশ্বাস করি যাদের গল্প কুরআনে এসেছে। আমি মৃত্যুর পরের জীবনকে বিশ্বাস করি, বিশ্বাস করি পুনরুত্থানে। এসব নিয়ে আমার বিশ্বাসে কোনো ঘাটতি নেই। জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে মাঝেমাঝে এগুলো নিয়ে দ্বিধা-বিভক্তও হই, তবে বিশ্বাসভঙ্গ করিনা। কারণ কী?
এর কারণ হলো, এই মহাগ্রন্থ কুরআনের বক্তব্য কখনোই মিথ্যা হতে পারেনা, আমার ধারণা, কুরআনের “মুখরোচক কেচ্ছা-কাহিনীও” বানোয়াট হতে পারেনা। যে গ্রন্থটি স্রষ্টার নিজ হাতে প্রেরিত এবং সংরক্ষিত (এবং যে স্রষ্টা মানবীয় চাহিদা-ক্ষমতা-বাসনার একান্ত উর্ধ্বে) তার বিষয়বস্তু কখনোই “পাগলের প্রলাপ” হতে পারেনা! তাই আমি কুরআনের যেকোনো বাক্য-শব্দ-অক্ষরকে পরম সত্য বলে মানি। এদের খন্ডন করার জ্ঞান যে আমায় দেয়াই হয়নি, এদের ‘আলতু-ফালতু জিনিস’ বলার ধৃষ্টতাও তাই দেখাইনে।
এটা ঠিক যে, এই “সত্যের সন্ধান” আমি জন্মসুত্রে পেয়েছি, অনেকেই এমনটা পাননা। তবু আমি নিত্যদিন ভাবি, আমি সত্যিই সত্য পথে আছিতো, আমার বাপ-দাদারা আমায় কোনো ‘মূর্খের স্বর্গে’ রেখে যাননি তো? আমি কি ‘বংশীয় ধর্ম টিকিয়ে রাখার অন্ধ প্রচেষ্টায়’ মত্ত? হ্যাঁ, অনেক কিছুই যুক্তির আড়ালেই
রয়ে যায়; তবু আমি হাসিমুখে মেনে নেই। এ বিশ্বাস নিয়েই আমার বুকটা ফুলে উঠে গর্বে। কারণ কী?
ওই একটাই কারণ, যেখানে এসে আমি প্রতিনিয়ত হার মানি, মহাগ্রন্থ আল-কুরআন। যে পুস্তকের সুচনাতেই রচয়িতার দম্ভোক্তিঃ “এটা সেই কিতাব যাতে একবিন্দু ভুলের অবকাশ নেই”। যে পুস্তকের আলোচনায় একাধারে সন্নিবেশিত দর্শন, মানুষ, প্রাণী, উদ্ভিদ; ইতিহাস, পৌরনীতি, ভূগোল। যে পুস্তকে অদ্যবধি আবিষ্কৃত-অনাবিষ্কৃত সকল তথ্যের হয়েছে ছন্দময় সমাবেশ, তা কি করে ভুল হতে পারে?

কুরআনের অপূর্ব বিন্যাসের একটা সহজ উদাহরণ দেখুনঃ
যখন কাফিরেরা মুহাম্মদকে একজন ‘পাগল’ বলে তিরস্কার করতো এবং কুরয়ানকে তারই স্বরচিত একটি বই বলে উপেক্ষা করতো, ঠিক সেসময় কু্রআন যে “মানুষের রচনা-জ্ঞানের উর্দ্ধে” তা প্রমাণ করে আল্লাহ এ আয়াতগুলো নাযিল করেনঃ আল্লাহ ১৯-এর গাণিতিক বিন্যাস দিয়ে দুনিয়া এবং বেহেশত-দোযখ তৈরি করেছেন, তেমনি ১৯-এর বিন্যাস দিয়ে কুরআন রচনা করেছেন। অতঃপর আল্লাহর
ভাষ্যঃ “ইহার উপর ১৯” (সুরা মুদ্দাসসিরঃ ২৫-৩০)। বর্তমানে বৈজ্ঞানিক গবেষনায় পদার্থ, শক্তি, মানুষ, উদ্ভিদ ও কীটপতঙ্গে ১৯-এর অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়েছে। যাহোক, কুরআনে ১৯-এর বিন্যাস অনেকটা এরকমঃ
‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’-এ মোট অক্ষর ১৯।
সর্বপ্রথম নাযিলকৃত ৫টি আয়াতে (সুরা আলাক) মোট শব্দ সংখ্যা ১৯, তাতে মোট অক্ষর ৭৬ (যা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য)।
সর্বপ্রথম নাযিলকৃত পূর্ণাংগ সুরার (সুরা আলাক) আয়াত সংখ্যা ১৯।
সর্বশেষ নাযিলকৃত সুরায় (সুরা নসর) শব্দ সংখ্যা ১৯।
সর্বশেষ নাযিলকৃত আয়াতে (সুরা নসর-১) অক্ষর সংখ্যা ১৯।
পুরো কুরআনে ‘কুরআন’ শব্দটি এসেছে ৫৭ বার (যা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য)।
কুরআনের সর্বমোট সুরার সংখ্যা ১১৪ (যা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য)।
কুরআনের সর্বমোট আয়াত সখ্যা ৬৩৪৬ (যা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য)।
এক কথায়, কুরআনের গাণিতিক সমীকরন এরকমঃ
The units comprising the Quran= 19 * an integer= exact multiple of 19.

এমন অসম্ভব বিন্যাস যে গ্রন্থে তা ‘সপ্তম শতকের একজন অশিক্ষিত মানুষের রচিত কোনো সাধারণ গ্রন্থ’ হতে পারেনা!! এমন গ্রন্থের বক্তব্য কী করে খন্ডনীয় হতে পারে? এমন জ্ঞানগর্ভ যার ভাষণ, আমাদের সীমিত কল্পনায় তাকে কী করে যাচাই করতে যাই?
তাই আমি কুরআনে বিশ্বাস করি, বিশ্বাস করি এর শ্রেষ্ঠত্বে, বিশ্বাস করি এর প্রতিটি অক্ষর-শব্দ-বাক্যে। আমি মানি, কুরআনের প্রতিটি আদেশ-নিষেধ আমাদের কল্যাণ-লক্ষ্যে প্রবর্তিত। এ মহাগ্রন্থে যদি ‘আপাত দৃষ্টিতে বৈষম্যপূর্ণ’ কিছুও বলা হয়, আমি তার যুক্তিসন্ধান করিনা, আমি তা মেনে নেই। এ পুস্তকে উল্লেখিত স্বামী বিনে মরিয়মের গর্ভলাভের ঘটনা আমি মানি, ঈসার উর্দ্ধারোহন মানি, মুসার লাঠির ঘায়ে নীলনদ ফুঁড়ে রাস্তা বেরোবার কাহিনী মানি, যুলকারনাইনের ‘বিশ্বভ্রমণ’ মানি, আসহাবে কাহাফের নিদ্রায় ৩০০ বছর পার করার গালগল্প মানি। এ সুচিন্তিত গ্রন্থে যদি নারীর উপর পুরুষের প্রাধান্য দেয়া হয়, তবে তা আমি মানি। এ কালোত্তীর্ণ পুস্তকে যদি পুঁজিবাদ/রাজতন্ত্র/সামন্তবাদ/সমাজতন্ত্র/জায়নবাদের বিপক্ষে সংঘবদ্ধ জেহাদ করতে বলা থাকে, তবে তাই মানি। কুরআনের মতো বইয়ে যদি বলা থাকে আমার সৃষ্টি ‘আকাশ থেকে পড়ে’, বানর থেকে বিবর্তিত হয়ে নয়, তাই মানি; যদি “সমতল পৃথিবীর আকর্ষণীয় বর্ণনা” থাকে, বর্ণনাভংগী বুঝে তাও মানি। যদি স্বর্গের “লোভ” দেখানো থাকে, তবে আমি সেই লোভে লোভী; যদি কুরআন ও বিজ্ঞানকে ‘তুলনা করে’ দেখতে বলে, তবে আমি তাই দেখতে রাজি। যদি বলা থাকে চুলের চেয়ে সরু এবং তরবারীর চেয়ে ধারালো পুলসিরাত বিদ্যুতবেগে পেরিয়ে জান্নাতে যেতে
হবে, তাই মানি; যদি বলা থাকে দুনিয়ার লাগামহীন পংকিলময় জীবনের ফলাফল হবে জাহান্নাম, তাও মানি। আরজ আলী মাতুব্বরের মতো কুরআনের একটি ব্যাখ্যাকেও ‘চতুরতা’ প্রমাণের সাধ্য যে আমার নেই। এর “ছাইপাশ” (??) বক্তব্য সবই দিনে দিনে বাস্তব বলেইতো প্রমাণিত হচ্ছে; বিজ্ঞানের সমৃদ্ধির সাথে সাথে কুরআনের জ্ঞানইতো বেরিয়ে আসছে। তাইতো আমি কুরআন মানি।

কতিপয় “মুক্তমনা” জ্ঞানপাপীর ‘মিথ্যা কলংক রটানোতে’ কুরআনের তীক্ষ্ম লেখনী ভোঁতা হয়ে যাবেনা; সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই গ্রন্থ কেয়ামত অব্দি বেঁচে রবে অবিমিশ্র। নজরুলের ভাষায় তাই বলতে পারিঃ

চারিদিকে এই গুন্ডা এবং বদ্‌মায়েসির আখ্‌ড়া দিয়ে
রে অগ্রদূত, চলতে কি তুই পারবি আপন প্রাণ বাঁচিয়ে?
নিন্দাবাদের বৃন্দাবনে ভেবেছিলাম গাইব না গান,
থাকতে নারি দেখে শুনে সুন্দরের এই হীন অপমান।
ক্রুদ্ধ রোষে রুদ্ধ ব্যথায় ফোঁপায় প্রাণে ক্ষুব্ধ বাণী,
মাতাদের ঐ ভাঁটিশালায় নটিনী আজ বীণাপাণি!

কোয়েটা, ২৭.১২.২০০৮।

২০ টি মন্তব্য : “কী মানি কেন মানি”

  1. ব্লগ এডজুট্যান্ট

    রেডবুক থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছি:

    ৬। রাজনীতি ও ধর্ম সংক্রান্ত এবং যে কোন ধরণের বিতর্কিত বিষয় কেন্দ্রিক লেখাকে আমরা পুরোপুরি না বলছি।

    এই নীতিমালার আলোকে আপনার লেখাটি প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে নেয়া হল। আপনি আপনার লেখায় অন্য এক ব্লগের লিংক দিয়েছেন যাতে ধর্মের পক্ষে বিপক্ষে অনেক আলোচনা হয়েছিল। সেটা বন্ধ করা হয়নি বলে আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে। কিন্তু আমরা বলছি, সেই ব্লগ থেকেই আমরা শিক্ষা নিয়েছিলাম যে এ ধরণের লেখা আর প্রকাশ করা উচিত হবে না। সেই শিক্ষা থেকেই বলছি। ভবিষ্যতে এ ধরণের কোন লেখাকে সেভাবে উৎসাহিত করা হবে না।

    আর নিজে থেকে কোন ব্লগে কমেন্ট বন্ধ না করার অনুরোধ করা হচ্ছে। কোন লেখায় কমেন্ট বন্ধ করতে হবে বলে মনে হলে বরং সেটা লেখা থেকেই বিরত থাকুন।

    

    জবাব দিন
      • ব্লগ এডজুট্যান্ট

        "মন্তব্য করতে দিন" অপশনটি ব্লগারদের প্রতি আস্থারই পরিচায়ক। এটা দেয়া আছে, কিন্তু ব্লগারদের প্রতি আস্থা রাখা হচ্ছে যে, তারা এটার অপব্যবহার করবে না।

        রাজনীতি ও ধর্ম সংক্রান্ত বিতর্কিত বিষয়কেই আমরা না বলেছি। তাই বলে ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে কিছুই লেখা যাবে না এমন না। এখন কেউ যদি মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জীবনী বা সাহাবাদের নিয়ে বা ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের নিয়ে কিছু লেখে, তাহলে সেটা ধর্ম বা দর্শন ক্যাটাগরির অধীনে থাকতেই পারে। কিন্তু যখন লেখায় অন্য কারও নামোল্লেখ করে তাকে হেয় করা বা অন্যের ধারণাকে কটাক্ষ করা হবে, তখনই তা সমর্থনের অযোগ্য হয়ে পড়বে। আপনার লেখায় এ বিষয়গুলো স্পষ্ট। তার উপর আপনি নির্দিষ্টভাবে দুইজন ব্লগারের নাম উল্লেখ করেছেন।

        রাজনীতি ক্যাটাগরির লেখাগুলো দেখুন। লেখার কোথাও কোন দলের প্রচারণা করা হয়নি, কেউ অন্যকে হেয় করে কিছু লিখেনি। সবগুলোই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশীদের আশা ও চিন্তাধারার কথা। সবাই সেখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিতে পেরেছে।

        কিন্তু এ নিয়ে অন্য কেউও নিজের অভিমত জানাতে পারেন। এজন্য নিম্নোক্ত ঠিকানায় মেইল করুন:
        contactএটcadetcollegeblogডটcom

        জবাব দিন
  2. আলম (৯৭--০৩)

    ভাইজানেরা, 'ব্লগ এডজুটেন্টের' যেকোন পদক্ষেপের উপর আমার আস্থা আছে। তাই আমি তার সিদ্ধান্ত বিষয়ে দ্বিমত করিনি। এখন আপনারা "ভিন্নমত" লেখাটির সাথে সম-গুরুত্ব দিয়ে এটিকেও প্রথম পাতায় আনতে চাচ্ছেন বলে আমি আনন্দিত।
    আসলে আমি আমার বিশ্বাসের কথা এখানে লিখেছি, একজন ব্লগার হিসেবে আমার ব্যাক্তিগত বিশ্বাসই এখানে আসবে। আমি চাইনি অন্য কেউ এটা নিয়ে তর্কে জড়িত হোক। তাই মন্তব্য বন্ধ ছিল। রেডবুকেও এটা ছিলোনা যে, কমেন্ট অফ থাকলে 'প্রথম পাতায়' থাকতে পারবেনা।

    এই লেখায় 'অন্যের ধারণাকে কটাক্ষ' করা হয়নি, কেবল আমার ধারণাই বলা হয়েছে, তবে কিছু টার্মস ইনভার্টেড কমা'র ভেতর আছে যেগুলো বিরোধীদের বক্তব্য থেকে সংগৃহীত, এমনকি সেসব ক্ষেত্রেও তাদের নাম বা লিংক উল্লেখ করা হয়নি।...
    এই কথাগুলো আমি সেখানেও ("ভিন্নমত") লিখতে পারতাম, তবে সামিয়া এবং তারেক ভাইয়ের মন্তব্যে আমার বক্তব্য পুরোটাই এসে গেছে, সো সেখানে আমার 'আত্মপক্ষ সমর্থনের' দরকার দেখিনি। ধন্যবাদ সবাইকে। 🙂

    জবাব দিন
  3. তৌফিক (৯৬-০২)
    কতিপয় “মুক্তমনা” জ্ঞানপাপীর ‘মিথ্যা কলংক রটানোতে’ কুরআনের তীক্ষ্ম লেখনী ভোঁতা হয়ে যাবেনা; সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই গ্রন্থ কেয়ামত অব্দি বেঁচে রবে অবিমিশ্র।

    শুধু কোট করলাম। এই লাইনটা নিয়েই আমার নিজের আপত্তি ছিল। তুমি পোস্ট পরিবর্তন করবে না- তোমার ইচ্ছাকে শ্রদ্ধা জানাই।

    ধন্যবাদ। তোমার পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় রইলাম।

    পুনশ্চঃ আপত্তিটা একান্তই ব্যক্তিগত। সুতরাং তোমার ব্যাখ্যা আশা করছি না।

    জবাব দিন
  4. আলম (৯৭--০৩)

    এই লেখায় আমি কেবল দেখিয়েছি "সংশয়মুক্ত ঈমান", অর্থাৎ একজন প্রকৃত ঈমানদারের বিশ্বাসের পরিধি কেমন হতে হবে... ব্যস, অন্যকোন যুক্তিতর্ক এখানে আলোচ্য বিষয় নয়। :hug:

    জবাব দিন
  5. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)
    সর্বপ্রথম নাযিলকৃত পূর্ণাংগ সুরার (সুরা আলাক) আয়াত সংখ্যা ১৯।

    ভুল।
    ফাতেহা প্রথম পুরনাঙ্গ নাযিল হওয়া সুরা। (সম্পাদিত)


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  6. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)
    কুরআনের সর্বমোট আয়াত সখ্যা ৬৩৪৬ (যা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য)।

    এতদিন কি ভুল জানতাম যে কোরানে আয়াত ৬৬৬৬ টি???
    আবার হিসাব কইরা দেখতে হইব মনে হয়। (সম্পাদিত)


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  7. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)
    এ সুচিন্তিত গ্রন্থে যদি নারীর উপর পুরুষের প্রাধান্য দেয়া হয়, তবে তা আমি মানি।

    ভালো লাগলো পড়ে।
    কোরানে বা ইস্লামে নারী পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলা হয়নি জেনে ভালো লাগলো।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  8. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)
    আরজ আলী মাতুব্বরের মতো কুরআনের একটি ব্যাখ্যাকেও ‘চতুরতা’ প্রমাণের সাধ্য যে আমার নেই। এর “ছাইপাশ” (??) বক্তব্য সবই দিনে দিনে বাস্তব বলেইতো প্রমাণিত হচ্ছে; বিজ্ঞানের সমৃদ্ধির সাথে সাথে কুরআনের জ্ঞানইতো বেরিয়ে আসছে। তাইতো আমি কুরআন মানি।

    আরজ আলী ভুল কি বলেছে জানতে পারিকি?
    মুসলিম রা একটা জিনিসে খুব পটু। তা হলো হাইজ্যাক করা। যখনই কোনও কিছু আবিষ্কৃত হয়; পেটেন্ট করার আগেই মুসলিম রা বলে ফেলে; এইটা কোরানে আছে।
    তা বাপু নিজে আবিষ্কার কইরা দেখাও না ক্যান? এতো লজ্জার কি আছে?
    আচ্ছা কোরানে কি হিরোইন আবিস্কারের কথাও লেখা আছে?


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  9. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)
    নজরুলের ভাষায় তাই বলতে পারিঃ

    চারিদিকে এই গুন্ডা এবং বদ্‌মায়েসির আখ্‌ড়া দিয়ে
    রে অগ্রদূত, চলতে কি তুই পারবি আপন প্রাণ বাঁচিয়ে?
    নিন্দাবাদের বৃন্দাবনে ভেবেছিলাম গাইব না গান,
    থাকতে নারি দেখে শুনে সুন্দরের এই হীন অপমান।
    ক্রুদ্ধ রোষে রুদ্ধ ব্যথায় ফোঁপায় প্রাণে ক্ষুব্ধ বাণী,
    মাতাদের ঐ ভাঁটিশালায় নটিনী আজ বীণাপাণি!

    আজকাল নজরুলের লেখাও ধর্মের পক্ষে ব্যাবহার হয় দেখে অবাক হলাম। যার মাথার দোষ হইছিল সিফিলিস থেকে তার লেখা???
    আশা করি সিফিলিস কি ধরণের রোগ সবাই জানি। দূষিত পানি থেকে ছড়ায়।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  10. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    কুরআন শরীফে যা বলা হইছে তাই সংক্ষিপ্ত আকারে ফাতেহাতে বলা হয়েছে। সেখানে ১৯ কই?
    আবার আলিফ লাম মিম এর মধ্যে সবকিছু আছে। সেখানে ১৯ কই?
    আসমান ৭ টা। সেখানে ১৯ কই?


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  11. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    এমন চমৎকার এবং প্রাণবন্ত একটা লেখা প্রিয় তে না নেওার কোনো কারণই থাকতে পারে না।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।