আমার প্রথম লং লীভ(ক্লাস টেন)

ক্লাস টেনে আমি, মুস্তো সহ আরো ২ জন লং লীভ থেকে ফিরে আসি। আমাদের আসার কথা ৯ তারিখ। আমি এবং মুস্তো আগে আসলেও বাকি ২ জন আসেনাই। ওয়েটিং রুমে ফনীন্দ্র ষ্টাফ আমাদের ব্যাগ চেক করে। তখন আমাকে বলা হয় হাউজে মুস্তো এবং হাঁসপাতাল রবি ছাড়া আমাদের ক্লাস এর কেউ আর কলেজে নাই। আমিতো অবাক্‌!!! কেন বাকিরা কোথায়??? ষ্টাফ জানালো তারা এক্সকারশানে মংলায় গেছে। আমার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো। এত ইচ্ছা ছিল সবার সাথে মংলা যাবো সেখানে আমাদের কী হলো??
তারপর মন খারাপ করে হাউজে গিয়ে দেখি সব ভাইয়ারা কেমন যেন অবাক্‌ হয়ে আমার দিকে তাকাচ্ছে। প্রথমে ভাবলাম আমি এক্সকারশানে যাইনাই বলে ভাইয়ারা অবাক্‌ হয়েছে। পরে শুনলাম ঠিক তা না আমি এবং মুস্তো কলেজে ফিরে আসছি বলে তাদের এই অবস্থা। কী করা গিয়ে দেখি আমাদের রুম চেঞ্জ। এই প্রথম আমি এবং মুস্তো আলাদা রুমে(এই প্রথম এবং শেষ)। কী আর করা আমি মুস্তোকে লং লীভে থাকাকালীন আমার প্রথম প্রেমের(প্রথম এবং শেষ)কাহিনী শোনালাম। একটু পর থার্ড কল জেপি নাঈম ভাই আমাদের ডাকলেন। এবং এখন থেকে ভালো হয়ে চলার জন্য বললেন। আমরা ভাইয়াকে কথা দিলাম এখন থেকে আমরা আর ইন্ডিসিপ্লীন কাজ করবোনা। উনি বললেন দেখ তোমাদের ২ জনেরই কিন্তু ২টা করে বন্ড আছে “সো বি কেয়ারফুল” ।তারপর বললেন তোমাদের ২জনের আজকে গেমস এ নামতে হবে।
কী আর করা খুব লজ্জা নিয়ে আমরা ২জন গেমস এ নামলাম। তারপর মস্কে। ওখানে অবশ্য আমরা একদম
পিছনে বসলাম। তবে নামাজ শেষে যখন শুনলাম আমাদের প্রেপেও যেতে হবে তখন তো মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো কি আর করার সেখানেও গেলাম। পুরো ফর্মে আমরা ২ জন কেবল। স্যাররা এসে জোক্স করে যায়, ভাইয়ারা টয়লেটে যাওয়ার সময় আমাদের দেখে হাসতে হাসতে টয়লেটে ঢোকে। ডিনার এর সময় ওরা ফিরে আসলো। উফফফফফফ বাচলাম একসাথে ডিনার করলাম এবার আর ২ জন না। কিন্তু ডিনার এর পর শুনলাম আমরা ২ জন বাদে বাকিদের নাইট প্রেপ এক্সকীউজ। পরের দিন থেকে আমাদের সমস্যা হয়নাই।
লং লীভে যাওয়ার কারণঃ
ওইবার আমাদের ক্লাস আগে ছুটিতে যাবে কারণ আগে সব সময় এস এস সি কেন্ডিডেটরা ছুটি তে গেলে ক্লাস সেভেন আসে কিন্তু আমাদের সময় ব্যতিক্রম। আমাদের আগে ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে আমাদের জায়গায় ক্লাস সেভেন আসবে। আমরা খুশিতে পাগল। তো এই আগে ছুটিতে যাওয়াটা আমরা সেলিব্রেট করতে চাইলাম। তখন আমরা পাইপ ব্যাবহার করতাম এক হাউজ থেকে অন্য হাউজ কিংবা ছাদে যাওয়ার জন্য। ভেকেসান এর আগের দিন রাতে আমরা পাইপ বেয়ে ছাদে উঠলাম কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর ট্যাংকির উপর চোখ পড়লো। এত সুন্দর লাগছিল যে আমরা তৎক্ষণাৎ প্ল্যান করে ফেললাম ওখানে যাওয়ার। কিন্তু ধুপিখানা পর্যন্ত যাবার পর গার্ড ধরল খুব অনুরোধ করলাম আমাদের যেন যেতে দেয় কিন্তু সে বেচারা রাজি হলোনা। আমরা প্ল্যান করলাম তাহলে লাইনিং হলের ছাদে যাবো।আবার পাইপ বেয়ে উপরে উঠলাম তারপর শেড দিয়ে মাত্র যাওয়া শুরু করলাম তখন আমাদের এক ক্লাসমেট করিডর থেকে জোড়ে শব্দ করে শেডে লাফ দিল। তাও ডিউটি মাষ্টার এর রুমের সামনে দিয়ে আমরা তখন শেডের মাঝখানে। আর ও পালায় গেলো ডিউটি মাষ্টার রুম থেকে বের হয়ে লাইট মারা শুরু করল গার্ড ও বাঁশি দিল আমরা মাথা নিচু করে ফেললাম কিন্তু বাঁচতে পারলামনা। ইচ্ছে করলে আমরা পালায় যাইতে পারতাম কিন্তু আমাদের মাঝে একজন কয়েকদিন আগে হস্পিটাল থেকে ফিরে আসছে তার পা ভাঙ্গা ছিল বলে তাই আর পালালাম না। স্যার কে অনেক অনুরোধ করলাম কিন্তু স্যার বললো যে অনেকে জেনে গেছে এখন আর ব্যাপারটা তার নিজের হাতে নাই পরের দিন সকালে বাসের ফলিন এর সময় আমাদের হাউজের এক্টিং হাউজ মাষ্টার ওয়াহেদুজ্জামান স্যার এসে মেজর আলম কে রিপোর্ট করল। আমাদেরকে আলম স্যার তার অফিসের সামনে যেতে বললো এবং বাকিদের একটা মাইল টেস্টে পাঠাল কারণ তারা কেন আমাদের নিষেধ করেনাই।
আলম স্যার এর অফিসে আমরা ৪ জন দাঁড়িয়ে আছি। বুকের ভিতর যে কেমন অনুভূতি তা বোঝানো যাবেনা। কিছুক্ষণ পর উনি আসলেন আমাকে দিয়ে বিসমিল্লা পরলেন। প্রথমে হেন্ডস ডাউন করালেন।তারপর সিরিয়াস মাইর দিল আমি হ্যান্ডস ডাউন অবস্থা থেকে শুয়ে পড়লাম। উনি আমার কপালে তার শক্ত কেডস টা রাখলেন এবং সিগেরেট খাওয়ার পর আমরা যেভাবে জুতা দিয়ে আগুন নিভাই সেভাবে আমার কপাল আর মাথাকে পিষে ফেললেন। সেই সাথে ছিল তার চিকন বেতের বাড়ি আমাদের সামনে ছিল ফনীন্দ্র ষ্টাফ আমি দেখলাম উনি কান্নাকাটি করতেসে আমার এই অবস্থা দেখে তারপর মেজর আলম যখন আমাকে দাড় করালেন তখন আমার কপাল ফুলে রক্ত বের হচ্ছে(আমার আবার কান্নাকাটি খুব কম আসে) তাই উনি আবার ক্ষেপে গেলেন কিন্তু কিছু বললেন না। ফনীন্দ্র ষ্টাফ কে বললেন আমাকে তাড়াতাড়ি হাঁসপাতাল নিয়ে যেতে। আর ড্রেস ফিটিং এখান থেকে ঠিক করে নিতে। তখন মুস্তাকীম কে মারলো।আমার মতো করে না কিন্তু কম মারেনাই পরের ২ জন কে ২/৩টা করে বাড়ি দিয়ে ছেড়ে দিলেন।ফনীন্দ্র ষ্টাফ কে বললেন প্রীন্সিপাল আসার আগে যেন এটা ঠিক হয়ে যায়।হস্পিটালে তখন ডিউটি তে ছিলেন তাহমিনা সিস্টার(আমি আর মুস্তো আম্মা বলতাম)উনি দেখে অনেক্ষণ আমাকে বকলেন তারপর মেজর আলম কে। আর ফনীন্দ্র ষ্টাফ আমার কপাল বারবার বরফ দিয়ে ডলতেসিল। কিছুক্ষণ পর আলম স্যার আমাকে ডাকলেন এবং বাসের ভিতর বসিয়ে দিলেন। অন্যারা মোনাজাত করে বাসে আসলো। আমাকে যেন প্রীন্সিপাল না দেখে তাই আগেই বাসে বসিয়ে রাখলেন। আর আমার পাশে বসালেন রউফ ষ্টাফ যার দায়িত্ব ছিল একটু পর পর আমাকে জিজ্ঞাসা করা কিভাবে আমার কপাল ফুলে গেছে?? প্রথমে আমি আলম এর কথা বললাম উনি আমাকে ঝাড়ি দিলেন তারপর বললাম বাস্কেট খেলতে গিয়ে এই অবস্থা। ষ্টাফ এর আথে আমার কমিটমেন্ট হলো যে আমি যে কাজটা করসি সেটা আমার বাসায় জানানো হবেনা এবং আলম আমার সাথে যা করসে তা আমি বাসায় জানাবোনা। আমার আমার কথা রেখেছিলাম কিন্তু আলম কিংবা ষ্টাফ তাদের কথা রাখেনাই। ভেকেশান শেষ হবার একদিন কিংবা ২ দিন আগে আমার এক হাজার টাকা জরিমানা,লং লিভ এবং একটা বন্ড সই দিতে হলো।

৬,৭০৩ বার দেখা হয়েছে

৪৮ টি মন্তব্য : “আমার প্রথম লং লীভ(ক্লাস টেন)”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    এডজুটেন্টের আচরন কোন ভাবেই মেনে নিতে পারলাম না, কিভাবে সম্ভব? x-( তারপর আবার বাসায় মিথ্যা বলার কমিট করানো... দুঃখজনক, সত্যি দুঃখজনক।

    আর পানিসমেন্ট হিসেবে লংলিভে পাঠানো শুরু হয়েছে কবে থেকে? কত দিনের জন্য ?


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  2. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    উনি আমার কপালে তার শক্ত কেডস টা রাখলেন এবং সিগেরেট খাওয়ার পর আমরা যেভাবে জুতা দিয়ে আগুন নিভাই সেভাবে আমার কপাল আর মাথাকে পিষে ফেললেন

    আমি দুঃখিত,এই আচরণ কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না।ক্যাডেট কলেজ মিলিটারি একাডেমি বা কমান্ডো ট্রেনিং সেন্টার না যেখানে "ইন্টারোগেশন" ট্রেনিং এর নামে এগুলো করা যায়েজ হতে পারে।এই এ্যাডজুটেন্ট যে-ই হোক না কেন সে যা করেছে তা মানবতার চরম লঙ্ঘন এবং এজন্যে তার শাস্তি পাওয়া উচিত।মানুষ তার পোষা কুকুরের সাথেও এ আচরণ করেনা ওই লোক একটা ক্যাডেটের সাথে যা করেছে।অপরাধ করলে তার শাস্তি দেবার বিভিন্ন উপায় ক্যাডেট কলেজে রয়েছে-তা নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই।প্রয়োজন হলে কলেজ থেকে বের করে দেবার ব্যবস্থাও রয়েছে-কিন্তু এরকম আচরণ করা কোনভাবেই সমর্থন করা যায়না।আমি আমার ৬ বছরের কলেজ জীবনে কখনো এ ধরণের আচরণের মুখোমুখি হইনি।

    আমার মনে হয় এ জাতীয় আচরণ বন্ধ করতে আমরা ক্যাডেট কলেজ ব্লগ থেকে উদ্যেগ নিতে পারি-যাতে আর কোন ক্যাডেটকে এ ধরণের বর্বরতার শিকার হতে না হয়।

    অ্যাডজুটেন্ট নামধারী ওই পশুটার প্রতি একরাশ ঘৃণা। আর সহানুভূতি নাজমুলের প্রতি।একজন ক্যাডেট হিসেবে লজ্জিত বোধ করছি।

    জবাব দিন
  3. নাজমুল (০২-০৮)

    পরে কোনো এক পেরেন্টস ডে তে আমার আম্মা জানতে পারে এবং খুব ক্ষেপে যায় আমার উপর কেন আমি এটা আম্মাকে আগে জানাইনাই তাই।
    কিন্তু কোনো আম্মা এটা সহজ ভাবে গ্রহণ করতে পারবেনা তাই আমি এটা জানাইনাই 🙁

    জবাব দিন
  4. রকিব (০১-০৭)

    মুখ খারাপ করতে খুব ইচ্ছে করছে !!!
    ক্যাডেট সামলাতে গেলে মাঝে মাঝে রূঢ় হতে হয়, কিন্তু উনি যেই নমুনা দেখালেন সেটা জঘন্যতম অপরাধ। ***


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  5. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    মনে আছে আমার বাপ আলমকে একবার ফোনে স্টুপিড ননসেন্স বলে বিরাট চিৎকার করে ঝারি দিসিলো।

    আর নাজমুল, আমার খুবি ইচ্ছা আছে এই "খানকির পোলারে" (সরি মুখ ঠিক রাখতে পারলাম না) যেদিন সামনে পাবো কইষা একটা লাথি দিবো। তারপর তোরে ফোন দিবো। তুই আসিস। শালারে ইচ্ছা মতো বানামু।

    জবাব দিন
    • নাজমুল (০২-০৮)

      রায়হান ভাই ওনার জয় ভাইএর সাথে ব্যাবহারটা কি ছিল??
      জয় ভাইএর পুরো পিঠ কেটে ফেললো x-(
      ভাই আমি বলি কি উনি যত ইচ্ছা তত মারুক কিন্তু জুনিয়র এর সামনে মারার কি দরকার ?????
      ক্যাডেট হয়ে সে কিভাবে এই কাজটা করে আল্লাহ জানে।
      তার চাইতেও খারাপ ব্যাপার হলো পেরেন্টস এর সাথে এতো খারাপ ব্যাবহার করতো উফফফফফফফফফফফফফ
      আমি কখনো সিগেরেট নিয়ে ধরা খাইনাই কিন্তু সে আমার যখন পেরেন্টস কল হইসিলো তখন আমার আম্মাকে বলসে আপনার ছেলে কি করেনা সেটা ওরে জিজ্ঞাস করেন। সে চেইন স্মোকার। কিন্তু উনি কোনো প্রমাণ দেখাইতে পারবেনা।
      কলেজ থেকে বের হওয়ার পর একদিন মেসেঞ্জারে এই কথা জিগাইসিলাম সে বলসে তোমারে তো আমি ছাইড়া দিসি আমি চাইলে তোমারে দিনে ৫ বার আউট করতে পারতাম।
      ১।তার কাছে সিনিয়ারিটির মূল্যনাই(সে যেহুতু ক্যাডেট তার এটা বোঝা উচিৎ)
      ২।নিজে পশুর মত মারে এবং অথরিটির কাছে রিপোর্ট করে
      ৩।পেরেন্টস এর সাথে খুব ই খারাপ ব্যাবহার করে। x-(

      জবাব দিন
  6. একজন অ্যাডজুটেন্ট হিসাবে একজন লোককে যথেষ্ঠ রূঢ় হতে হবে।একজন শিক্ষক হিসাবে,পথপ্রদর্শক হিসেবে হাতে বেত শোভা পেতে পারে,কিন্তু তার মানে এই না যে একজন মানুষের সাথে পশুর ন্যায় আচরণ করতে হবে।একটা কিশোর বয়সী ছেলের মাথা জুতা দিয়ে পিষে দেয়া সুস্থ মানুষের পক্ষে অনেকটাই অসাধ্য।এই মেজর আলম লোকটার নাম অনেক শুনেছি,যাদের কাছে শুনেছি কেউই সন্তোষজনক রিপোর্ট দেয়নি।
    মেজর আলমের ন্যায় আরেকজন অ্যাডজুটেন্ট ছিলেন আমাদের মেজর শহীদ,আমি ক্যাডেট থাকা কালে তাঁকে কখনো তাঁর নিজের বুদ্ধিতে কলেজ পরিচালনা করতে দেখিনাই।অনেক সময় তাঁকে দেখতাম কলেজের সিএসএমের বুদ্ধিতে শাস্তি দিতে।আমাদের এক ব্যাচমেটের সাথে সিএসএমের গোলমাল ছিল।অই ব্যাটা সার্জেন্ট আমাদের ক্লাসমেটকে বানোয়াট অভিযোগে ফাঁসিয়েছিল,মেজর শহীদ তখন আমাদের ক্লাসমেটের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা যাচাই না করেই তাকে অমানবিকভাবে পিটিয়েছিলেন।
    ঠিক তাঁর পুর্বে ছিলেন মেজর মামুন আল মাহমুদ স্যার,উনি ছিলেন জাঁদরেল একজন লোক,সেই সাথে প্রচন্ড কড়া।কিন্তু কোন ক্যাডেট বলতে পারবে না যে তিনি কোন ক্যাডেটকে অন্যায় শাস্তি দিয়েছেন।পরে মেজর শহীদ যাবার পর মাত্র কিছুদিনের জন্য জালাল স্যারকে পাই......এখনও মনে হয় স্যারকে কম দিনের জন্য পেয়ে আমরা দূর্ভাগ্যবান।স্যারকে আমি অনেক শ্রদ্ধা করি,তিনি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে অনেক সাহায্য করেছেন।বর্তমানে মেজর জালাল স্যার ঢাকাতে (৪ বেঙ্গল) কর্মরত আছেন।আমাদের ব্লগের শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা দেবার দিন তিনি এসেছিলেন।

    জবাব দিন
    • এফসিসি দোষী না......দোষী নুরুল আলম,
      নুরুল আলমের সাথে আমার ১টা সাদৃশ্য আছে,তাঁরও নাকি ঠিক আমার সমান ১টা বিশাল ভূঁড়ি আছে।
      এতদিন নিজের ভূঁড়ি নিয়ে গর্ব করেছি,একথা জানার পর আর খুশি হইতে পারি নাই।

      জবাব দিন
      • রকিব (০১-০৭)

        ঠিক কইসেন, এফসিসি বা ক্যাডেট কোনটাই এখানে আসবে না, কারণ কিছু মানুষ থাকে যারা এক্সসেপশন, এদের সাথে সব ক্যাডেটকে জেনারালাইজড করাটা বোধহয় ঠিক হবেনা মনে হয়।উনাদের জন্য মাঝে মাঝে বাকিদের সবাইকে লজ্জা পেতে হয়। 🙁


        আমি তবু বলি:
        এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

        জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      আরে আদনান এইটা কি কস?
      এফ সি সি র রেপুটেশনে বাঁশ দেয়?
      এরা নামে ক্যাডেট; কামে না।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
  7. সাজিদ (২০০২-২০০৮)

    দোস্ত কাহিনী শুনে খারাপ লাগলো। আমাদের এ্যাডজুটেন্ট (যতগুলি পাইসি) এরকম ছিল না। শাস্তি দিত ঠিকিই কিনতু তা সীমা লংঘন করত না। ক্যাডেট হয়ে সে এরকম কাজ করসে ভেবে খারাপ লাগতেসে। তাকে মেসেন্জারে এই লেখাটার লিন্কদে, কি বলে দেখি.......

    জবাব দিন
  8. তাওসীফ হামীম (০২-০৬)

    আমার মনে আছে নাজমুল সেই কথা, হু গিভস আ শিট এবাউত দিস মেজর, জীবনে অনেক বড় হবি, অনেক দূর জাবি, তখন দেখবি হাসি পাবে, আমার মাকে বলছিল, আপনার ছেলে জীবনে মানুষ হবে না, হু কেয়ারস?? উর্দি পরলেই যে সর্ব ক্ষমতার অধিকারী হওয়া যায় না ,এই টা তারে কে বুঝাবে?? অনারে ডেকে বলতে ইচ্ছা হয়,আমি যদি মানুষ না হইতে পারি,আপনিও মনে রাখবেন, আপনি অই উর্দি পড়া কর্নেল এর থেকে বেশি কিছু হতে পারবেন না।


    চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।

    জবাব দিন
  9. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    নাজমুল তোর লেখাটা আগে পড়েছিলাম কিনা মনে নাই।
    শুনলাম ঐ ভদ্রলোক (?) নাকি বেক্সকা কে নালিশ করেছিলো তোর নামে?
    কেন?
    তুই মিত্থা বলেছিস?
    তাইলে সে আইসা সত্যিটা বলুক।
    শুনি তার কথাও শুনি।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  10. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    নাজমুলের ঘটনাটা আমার এক পোস্টের মন্তব্যে পড়েছিলাম। এখন আবার ডিটেইলস পড়লাম। মেজাজ খিচড়ে গেলো যখন শুনলাম বেক্সকার কাছে নালিশ করছে। আমার ইচ্চা করতেসে এডুর খাছে আবেদন করি এই পোস্ট টা স্টিকি করার জন্য। আর ঐ শা*র পুত কাপুরুষের মতো বেক্সকার কাছে নালিশ করছে কেন?? পারলে এইখানে আইসা তারে ডিফেন্ড করুক।

    জবাব দিন
  11. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    লেখাটা পড়লাম ঘটনার অনেক কাল পরে।
    ক্যাডেট কলেজের এই বুলিগুলা যে দীর্ঘ্যস্থায়ি ক্ষত রেখে যায়, ব্যাপারটা আরেকবার বুঝলাম.........


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।