জামায়াত-শিবিরের প্রতিষ্ঠান: আসুন চিনে রাখি

সকালে ফেসবুকে ঢুকেই একটা ম্যাসেজ পেলাম।
‌’ভাইয়া, কেমন আছেন?
সম্ভব হলে আপনার এই ব্লগটা সিসিবিতেও পোষ্ট করেন। সবাই জানুক, শিখুক এবং এদের এঁড়িয়ে চলুক।’
আমরাবন্ধুতে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। আসলে পোস্টটা আরো আগের লেখা। সামুতে তখন ছাগা তাড়াতাম। তখন আমার আরেকটা নিক ছিল, সেই নিক ছিল মূলত ছাগু তাড়ানোর নিক। তখন এটি লিখেছিলাম। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেটি আবার কিছুটা সম্প্রসারণ ও পরিমার্জন করে লেখা। যদিও আমি বিশ্বাস করি, যে যার জায়গা থেকেই যুদ্ধ করবে। এই যুদ্ধে যুক্ত থাকবে আবার আবেগও থাকবে। তারপরেও মনে করি এই যুদ্ধের প্রয়োজন আছে। এর নানা ধরণের ব্যাখ্যা হতে পারে। অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোন থাকতে পারে। অনেকের কাছে চরমপন্থা মনে হতে পারে। তারপরেও আমি মনে করি আমিই সঠিক এবং সবারই সচেতন হওয়া উচিৎ, বিশেষ করে যার যার সাধ্য আছে।

এবার মূল পোস্ট

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সরকারের রাজনৈতিক ও নৈতিক দায়িত্ব। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেক তরুণ ভোটারকে আকৃষ্ট করে ক্ষমতায় এসেছে। মাঝে অনেকেই এ নিয়ে হতাশ ছিলেন। এখন বিষয়টি আবার আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে। আমরা আবার আশায় বুক বেঁধেছি।
আশা করছি সরকার তার নিজের কাজটি করবেন। সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমাদের কাজ সরকারকে প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেওয়া, চাপ অব্যাহত রাখা। একইসঙ্গে সাধারণ এবং সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের আরও একটি দায়িত্ব আছে। আমাদের চারপাশে নানা ভাবে বেড়ে উঠছে জামায়াত-শিবিরের অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। আপনার গলির মোড়ের যে ছোট্ট মুদি দোকানটি, সেটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জামাতীদের অর্থে পরিচালিত। সংগ্রাম এসব দোকানে আপনি অবশ্যই পাবেন। আপনি কি বাসার কাছে বলে এই দোকানটির উপরই ভরসা করেন। নিজের অজান্তেই কে মৌলবাদী ও স্বাধীনতা বিরোধীতের হৃষ্টপুষ্ট হতে দিচ্ছেন না? টাকা আয় করে তারা কি কেবল সংসার চালায়, নাকি আরও বড় কোনো নাশকতা বা পরিকল্পনায় শক্তি সঞ্চয় করে। আপনার ভাই বা সন্তান কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে। কি শিখছে সেখানে। একবার খোঁজ নিয়ে দেখেছেন?
মৌলবাদীদের অর্থনীতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অধ্যাপক আবুল বারকাত এ নিয়ে ২০০৫ সালে একটি গবেষণা করেছিলেন। বিষয় ছিল: মৌলবাদের রাজনৈতিক-অর্থনীতি। সেখানে তিনি বলেছেন,
মৌলবাদীদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে ৭ থেকে ৯ ভাগ। তারা প্রতি বছর প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় করে শুধু রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে। এর মধ্যে, জঙ্গি কর্মকান্ড ছাড়াও সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনা ব্যয়, রাজনৈতিক কর্মীদের বেতন, জনসভা আয়োজন ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ।
তাদের ১ হাজার ৫শ কোটি টাকা মুনাফার ২৭ শতাংশ আসে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে যার মধ্যে রয়েছে, ব্যাংক, বীমা ও লিজিং কোম্পানি। ২০ দশমিক ৮ শতাংশ আসে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে, ১০ দশমিক ৮ ভাগ আসে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে। ১০ দশমিক ৪ ভাগ আসে ওষুধ শিল্প ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকে। ৯.২ শতাংশ আসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। ৮.৩ শতাংশ আসে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে। যোগাযোগ ব্যবসা থেকে আসে ৭.৫ শতাংশ এবং তথ্য প্রযুক্তি ও সংবাদ মাধ্যম থেকে আসে ৫.৮ শতাংশ। ‌

তাহলে আমাদের দায়িত্ব কি? আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জামায়াত শিবিরের ব্যবসায়ীক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বয়কট করা, যাতে এসব প্রতিষ্ঠান আরও ফুলে ফেঁপে বড় হতে না পারে।

১. ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড: এটিই জামায়াতের সবচেয়ে বড় এবং লাভজনক সংগঠন। ধর্মের নাম ব্যবহার করে ব্যবসা করে তারা। এই ব্যাংকটির মূল কাজ হচ্ছে জামাত-শিবির যারা করে তাদের ঋণসহ নানা ধরণের আর্থিক সুবিধা দেওয়া। এখানে যারা চাকরি করেন তারাও পরীক্ষিত জামায়াত কর্মী।
তাহলে আসুন দেখি ইসলামি ব্যাংক কারা চালায়। ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এখন অধ্যাপক আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহের। । একাত্তরের ঘাতক দালাল কে কোথায় বইটিতে আছে ৭১-এ তার ভূমিকার বিবরণ।
এই লোকটি একজন কুখ্যাত রাজাকার-আলবদর। ৭১ সে ছিল আল বদর হাইকমান্ডের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সে ছিল চট্টগ্রাম জেলা প্রধান।
এই ব্যাংকের আরেক পরিচালক ছিলেন মোহাম্মদ ইউনুস। এখন মৃত। সেও ছিল আল বদর হাইকমান্ড-এর একজন সদস্য। সে আবার জামাতের মজলিসে সূরার সদস্য ছিল। আরেক পরিচালক ছিল মীর কাশেম আলী। মীর কাশেম আলী প্রথমে চট্টগ্রাম জেলা প্রধান। পরে আল বদর হাই কমান্ডের তিন নম্বর সদস্য হিসাবে স্থান লাভ করে। আর তার স্থানে আসে আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহের। মীর কাশেম আলী নয়া দিগন্ত পত্রিকা ও টেলিভিশনের চেয়ারম্যান। সেও একসময় মহানগর জামায়াতের আমীর ছিল। বলা যায় মীর কাশেম আলি জামায়াতের অর্থ ভান্ডার ও রক্ষক।

২. ইবনে সিনা ট্রাস্ট- জামাতের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে আয়ের বড় অংশ আসে। এই ট্রাস্টের নামে আছে ইবনে সিনা হাসপাতাল, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইবনে সিনা ফার্মাসহ ৬টি প্রতিষ্ঠান। কর্মীদের লালন-পালন করার আরেকটি বড় উদ্যোগ এই ট্রাস্ট। ট্রাষ্টিদের নামগুলো জেনে নেই-
01. Mr. Advocate Mujibur Rahman, Chairman

02. Commodore (Retd.) Md. Ataur Rahman, Member, Ex-chairman TCB

03. Dr. Shamsuddin Ahmed, Member, Professor, International University of Technology

04. Mr. Shah Abdul Hannan, Member, Ex. Secretary. Govt. of Bangladesh

05. Mr. A.N.M.A. Zaher, Member Finance, Chairman, Islami Bank

06. Mr. Mir Quasem Ali, Member Administration

07. Prof. Chowdhury Mahmood Hasan, Member, Professor. Dhaka University.

08. Prof. A.K.M. Sadrul Islam, Member, Professor, International University of Technology.

09. Mr. Nazir Ahmed, Member, Ex-Chairman, Islami Bank

10. Mr. Kazi Harun Al Rashid, Member, Ex-Chairman, Islami Bank

৩. দৈনিক নয়া দিগন্ত, দিগন্ত টেলিভিশন ও সংগ্রাম: তাদের দলীয় পত্রিকা ও টেলিভিশণ মাধ্যম। এর মাধ্যমে তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে যেতে চাচ্ছে। বিশেষ করে সংগ্রামের কোনো ধরণের জনপ্রিয়তা বা গ্রহনযোগ্যতা না থাকায় তারা নয়া দিগন্ত পত্রিকা বের করে এবং দিগন্ত টেলিভিশন চালু করে।

৪. বেসরকারি শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়: জামায়াতের অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। যেমন চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, ঢাকার মানারত বিশ্ববিদ্যালয়, সাঈদীর বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এর বাইরে আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যেগুলোর মুল বা সিংহভাগ মালিক জামাতীরা। যেমন, নর্দান ইউনিভার্সিটি ও ইষ্টার্ণ ইউনিভার্সিটি।

৫. কোচিং সেন্টার: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘ফোকাস’, মেডিকেলে ভর্তির জন্য ‘রেটিনা’, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির জন্য ‘কনক্রিট’, ‘কনসেপ্ট’ ও ‘এক্সিলেন্ট’ কোচিং সেন্টারগুলো মূলত জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন ফাউন্ডেশনের নামে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত। এসব কোচিং সেন্টার আবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গেও জড়িত।

৬. ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান: মীর কাশেম আলরি কেয়ারি গ্রুপ রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে জড়িত। সেন্টমার্টিন যেতে যে কেয়ারি সিন্দবাদ নামের ফেরি জাহাজ আছে, সেটিও মীর কাশেম আলীর।
আবুল কাশেম হায়দার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের নেতা ছিলেন। তার ইয়ুথ গ্রুপ থেকে তৈরি হতো ভার্জিন ড্রিংকস। মেট্রো শপিং সেন্টারের মালিকও জামাতী।
রিয়েল এস্টেট মিশন গ্রুপও জামাতীদের।

৭. বীমা ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান: ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টম্যান্ট লিমিটেড।
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কো. লি. ইসলামী ইন্সুরেন্স কো. লি.

এখানে সব নাম দেওয়া গেলো না। এটি আপডেট করা যেতে পারে। আপনারাও বলতে পারেন এরকম আরও নাম।

১৩,৪৬৪ বার দেখা হয়েছে

৮৯ টি মন্তব্য : “জামায়াত-শিবিরের প্রতিষ্ঠান: আসুন চিনে রাখি”

  1. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

    বস,
    অনেক কাজের একটা পোস্ট...নামগুলা আবার চিনে রাখলাম...

    তবে ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি যে, লাইফ সেভিং সেক্টরের ইবনে সিনা কে বয়কট করাটা সবচেয়ে কঠিন হবে। আমাদের বিকল্প যে খুব কম।


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন
  2. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    আমার বন্ধুতে পড়ার পরে দুটো নাম মনে হয়েছিল বাদ পড়েছে,

    ১। ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল (বা এই রকম কিছু একটা নাম) প্রতিটি বড় জেলা শহরে এদের একটা করে শাখা খোলার কথা ছিল, রংপুরে আছে একটা, এখন এই প্রজেক্টের কি অবস্থা জানি না।

    ২। গ্রীন লাইন পরিবহন, ( আমি অবশ্য নিশ্চিত নই, তবে ডিপেন্ড করার মত সোর্স থেকে জেনেছি)।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  3. আন্দালিব (৯৬-০২)

    আজকে যুগান্তর আর ইত্তেফাকের নিউজে দেখলাম জামাত নিজেদের ভাবমূর্তির স্বার্থে সরাসরি বোমাবাজি, নাশকতা না করে জেএমবি এবং হিজবুত তাহরিরকে দিয়ে করাতো। এদের পেছনে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতাও তাদেরই ছিলো।

    আর ড. হুমায়ুন আজাদের উপরে হামলা করেছিলো যে চারজন জেএমবি'র জঙ্গি তাদের প্রধান ভাগ্নে শহীদ স্বীকার করেছে যে সাঈদীর নির্দেশেই এই হামলা করা হয়েছিলো।

    এখনকার বিচারে এটা খুবই প্রাসঙ্গিক পোস্ট মাসুম ভাই। এই প্রতিষ্ঠানগুলো চিনে রাখা খুব জরুরি! আমি এদেরকে একটা পয়সাও দিয়ে সাহায্য করতে চাই না।

    জবাব দিন
  4. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    এইরকম একটা তালিকা বহুদিন আগে সামুতে করা হয়েছিল মাসুম। তাই না? ভালো কাজ করেছো। সেন্টমার্টিন যেতে কখনো কেউ ভুলেও 'কেয়ারি সিন্দাবাদ'-এ যাবেন না!!

    আর একটা কথা। প্রতিটি জেলায়-উপজেলায় জামাতিদের স্কুল, ক্লিনিক আছে। আছে নানা নামে এনজিও। এগুলোর তালিকা করা যায়।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  5. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    গাবতলী- উত্তরা= দুলদুল পরিবহন। এছাড়াও অনাবিল, ছালছাবিল।

    ফয়েজভাইয়ের কথা সঠিক। ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল।

    জামাতি পন্য বর্জনের এই প্রচারণা চালানো বড্ড প্রয়োজন।

    জবাব দিন
  6. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    ইউরোপ-আমেরিকায় সক্রিয় অনেক সংগঠন চালায় জামাতিরা। এগুলো এখন যুদ্ধাপরাধের বিচারবিরোধী প্রচারে নেমেছে। লর্ড অ্যাভেবুরিকে বগলদাবা করে "জাস্টিস কনসার্ন" নামে এক জামাতি সংগঠন কিছুদিন আগে লন্ডনে হাউস অব লর্ডসে সেমিনার করেছে! এইসব সংগঠনেরও তালিকা করা দরকার।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  7. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    গ্রামাঞ্ছলে কিছু প্রজেক্টে কাজ করতে গিয়ে দেখি এরা সবাই ইসলামী ব্যাংক ব্যবহার করে। বাধ্য হয়ে সে ব্যাংকই ব্যবহার করতে হয়। আবার শহরে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিত সমাজের একটা বিরাট অংশ ইসলামী ব্যাংকে টাকা রেখে নিশ্চিত। মাস গেলে জমা টাকার উপর লাভের অংশ পাওয়া যায়, যা সুদ না বিধায় হালাল (উনাদের কাছে), মোটামুটি ইসলামী ব্যাংক সবকালকেই নিশ্চিত করে দিচ্ছে। ইসলামী ব্যাংকের লাভের অংশের সাথে অন্য ব্যাংকের সুদের কী পার্থক্য তা নিয়ে কী কোন অর্থনীতিবিদের পোস্ট আছে?


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
  8. সামিয়া (৯৯-০৫)

    এটা নিয়ে একটা ডাউট দেই মাসুম ভাই।
    আমাদের অর্থনীতিতে এরা জালের মত ছড়িয়ে আছে। এখন এই পণ্যগুলো যদি আমরা বয়কট করি, তাহলে আমরাই কি গ্যাড়াকলে পড়ে যাব না যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সামনে বিকল্প না আসছে? কারণ এগুলার প্রোডাকশন থেকে শুরু করে সবই দেশে হচ্ছে। এই পণ্য বাদ দিলে বিদেশের দিকে ঝুঁকতে হবে, শেষমেশ ক্ষতি আমাদেরই হচ্ছে।

    কিন্তু আমরা আবার কোনমতেই ওদের পণ্য ব্যবহারও করতে চাই না।
    এই দুইয়ের মধ্যে ব্যালান্স কিভাবে করা যায়?

    জামাত শিবির খুবই প্রশংসার দাবীদার যে তারা এমন একটা স্ট্রাটেজিকাল রাজনীতি শুরু করেছে (এমনকি শিক্ষাতেও!! শিবিরের ব্রেন ওয়াশ পদ্ধতি উল্লেখযোগ্য) বিধায় আজকে আমাদের তালিকা করতে হচ্ছে কি করে আমরা তাদেরকে বয়কট করতে পারি। এই স্ট্রাটেজি যদি আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি (ধরে নিচ্ছি তারা জামাত থেকে আলাদা দল) আর অন্যান্য দলগুলো নিত, তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতি আসলেই রাজনীতি হয়ে উঠত। দুঃখের বিষয়, সেটা হয়নি। কিন্তু রাজাকারদের ধরতে গিয়ে এখন দেখা যাচ্ছে যে তারা কিছু ক্ষেত্রে আমাদেরকে তাদের ওপর নির্ভরশীল করে রেখেছে। আজকে আমাদের সামনে বিকল্প নাই।

    আমাদের একটা অংশ কিন্তু সচেতনভাবেই এই পণ্যের বিকল্প খুজে বের করতে পারব, কিন্তু আরেকটা অংশ কিন্তু আবার পারবও না। যেমন লাবলু ভাই পপুলারে যেতে পেরেছেন, কিন্তু একটা গরীব মানুষ যাবে না, কারণ ইবনে সিনা তাকে কিছু সার্ভিস ফ্রীতে দেবে, পপুলার দেবে না। স্বভাবতই সে ইবনে সিনার দিকেই ঝুঁকবে।
    এই সমস্যার সমাধান কোথায়?

    জবাব দিন
    • I like Sami's comments. We have seens GFC whr allmost every western country were crying for jobs jobs and jobs. Jamat is the only team who is injecting most of thr money in our country creating jobs thousands of PPL are working and millions of families are surviving. Amra dekheci amader (Shudha and Hawa bhovoner) vaigula kivabe tader takagula onno deshe invest korcen and still doing tht. Well if we avoid jamat’s product are we not heading towards india!!! I think so. If we dont use ‘কেয়ারি সিন্দাবাদ’ then we have to use Tareq Zia's one. And ths money will fly to Malaysia for the production of Mushroom or it might bring money for another house for Joy bhaijan in UK
      Yes Ami post 71 er kotha bolci.

      জবাব দিন
      • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

        ভাইজান, এই ব্লগ মনে হয়না আপনার জন্য ঠিক জায়গা।এখানে জামাত-শিবিরকে একবিন্দু ছাড় দেয়া হয়না।কাজেই যত দ্রুত সম্ভব এখান থেকে কেটে পড়লেই মনে হয় ভালো করবেন।অন্য পরিবহন খারাপ,জামাতীরাও খারাপ-কিন্তু জামাতি রাজাকারছানা আর আমার পিতৃহন্তার মধ্যে একজনকে ক্ষমা করতে হলে আমি সম্ভবত আমার পিতৃহন্তাকেই ক্ষমা করব,রাজাকারের বাচ্চাদের না।এই ব্লগের বেশিরভাগ মানুষও এমনটাই ভাবেন বলে আমার এতদিনের অবজারভেশন বলে।মনে হচ্ছে ভুল জায়গায় এসে পড়েছেন।

        জবাব দিন
        • Sorry Bro- ami kokonoi boli nai Rajakarder maf kore deua uchit.
          I will not cut my hand if I hv a sore finger. Almost whole nation wants Nizami r Kader Mollader bicar howa uchit. Tar mane ei noi je hajar hajar manush k na kheye morte hobe. I blv in movin 4ward.We just want to get rid of this loop. Amra muktijodda n rajakar issue nia deshtak totally divide kore felci which is very damaging for any nation at present world.?
          Well- I can’t rembr any single day ei blog ami dhuki nai in last 6 months.
          Hence I got little idea about this blog. Infact it’s a decent one but that doesn’t mean that different/additional opinion thaka mane blog e dhuka jabe na…….

          জবাব দিন
          • ইফতেখার (৯৫-০১)

            আপনার পশ্চাৎদেশে যদি একটা বিরাট ফোড়া থাকে, আপনি কি সেটা নিয়েই দৌড়ানো শুরু করবেন নাকি আগে ডাক্তারের কাছে যাবেন?

            এইখানে দুটোকে আলাদা আলাদা করে দেখছেন কেনো? ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের সময় কি সবগুলো দেশ থমকে দাড়িয়েছিলো? তারা এগিয়ে যায় নি সে সময়?

            অতীতভুলে যাওয়ার অনুরোধ/দাবী তো একটি বিশেষ ব্যাপারই প্রকাশ করে ... নাকি?

            জবাব দিন
            • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

              Amra muktijodda n rajakar issue nia deshtak totally divide kore felci which is very damaging for any nation at present world.?

              ভাইজান, এই একটা লাইন থেকেই অধিকাংশ মানুষ বুঝে নেবে আপনার চিন্তাধারা কোন লাইনের। মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকার ইস্যু টেনে "দেশ বিভক্ত" করার কথা একমাত্র পাকি ক্রস-স্পার্ম বেজন্মা রাজাকারের বাচ্চারাই বলে।আমি বলছিনা যে আমি নিশ্চিত আপনি ওই ঘরানার,তবে আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধের চিন্তাধারার ধারক হয়ে থাকেন তাহলে এইটুকু আপনার বোঝা উচিত এইটা কোন "লুপ" না,এইখানে দ্বিধা-দ্বন্দ্বেরও কোন স্থান নাই, আর "আগের কথা ভুলে গিয়ে" মুক্তিযোদ্ধা-রাজাকার ভাই ভাই বানানোরও কোন সুযোগ নাই।ভিন্নমত এই ব্লগে অবশ্যই আসতে পারে এবং আসেও কিন্তু সূক্ষ্ণ বা স্থুল কোনভাবেই রাজাকারসুলভ কথাবার্তাকে এইখানে প্রশ্রয় দেয়া হয়না-তা যতই মিষ্টিমধুর ভাষায় কেউ বলুক না কেন।আর "পোস্ট ৭১" ধরণের কথাবার্তা তারাই বলে যাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিটা গৌরবজনক কোন ইতিহাস না বরং পরাজয়ের ইতিহাস।আমাদের কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন এবং প্রতিদিনের অনুপ্রেরণার উৎস।কাজেই আবারো বলছি,সম্ভবত আপনি ভুল জায়গায় এসে পড়েছেন।বরঞ্চ ডক্টর ফিরোজ মাহবুব কামাল বা ত্রিভুজের ব্লগে ট্রাই মারতে পারেন-আপনার মতের সাথে মেলার কথা।

              জবাব দিন
    • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

      সামিয়া, ব্ল্যাকবেল্ট, পোস্ট৭১ এবং মাহবুব : আসলে সামিয়া আর মাহবুবের যুক্তিগুলো কাছাকাছি। তাই এর জবাব দিচ্ছি।

      ১. এক ইবসে সিনা কতোজনের চিকিৎসা বা কমমূল্যে পরীক্ষার সুযোগ দিচ্ছে? ২৫% কম মূল্য- এটা ওদের প্রচারের কৌশল। আমি তো পপুলারে ৩০% কমে এমআরআই করিয়েছি। আমার ধারণা এরকম কম খরচে চিকিৎসা সম্পর্কিত পরীক্ষা আরো অনেক জায়গায় করা যায়। আমি জানি সবাইকে হয়তো এ ব্যাপারে সচেতন করতে পারবো না; তবে যতোজনকে পারা যায় ওদের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে যাওয়া আরকি। হিসাব করলে দেখবে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের ইবসে সিনা বা ইসলামি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর অর্থও নেই। যাদের সামর্থ্য আছে তারা যাবেন কেন?

      ২. সৌদি আরব, কুয়েত, আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতকে আর্থিক সাহায্য করে গেছে। ওই টাকা দিয়ে তারা সচেতনভাবেই এমন সব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে যা দিয়ে মানুষের কাছাকাছি যাওয়া যায়। পাশাপাশি আয়ও হবে। এতে করে এক সময় মধ্যপ্রাচ্যের অর্থ বন্ধ হয়ে গেলেও ওদের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে এখন মুনাফা আসছে। যা দিয়ে তারা দল চালাচ্ছে। ক্যাডার পুষছে। দেশকে অন্ধকারে দিকে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত করছে। যুদ্ধাপরাধের বিচারবিরোধী প্রচারণায় ব্যয় করছে। আমরা জেনে শুনে বুঝে জামাতিদের পকেটে টাকা দেবো কেন?

      ৩. হ্যা, জামাতিরা পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান চালায়। মানুষ ওদের সেবায় মুগ্ধ হয়। মানুষ ভুলে যায়, ওরা '৭১-এ আমাদের ভিন্ন চেহারা দেখিয়েছিল। সুযোগ পেলে আবারো সেই হিংস্র নখর দেখাবে। জামাত ক্ষমতায় আসলে এ দেশের নারীদের কি হবে? যারা কাজ করছে? প্রগতিশীল চিন্তার মানুষদের কি হবে? বিজ্ঞানীদের? মুক্তচিন্তার মানুষকে ধরে আবারো বধ্যভূমিতে নেবে না? গল্প, কবিতা লেখা, চলচ্চিত্র বানানো, পেইন্টিং, নাটক, গান- এসব করা যাবে? এসব নিয়ে মানুষকে সচেতন করবে কে? কে জানাবে সত্য?

      ৪. জামাতের ওপর আমরা নির্ভরশীল না। আমরা ভাবছি বলে মনে হচ্ছে। আবাবিল পরিবহনে না উঠলে কি বাস নেই? কেয়ারি সিন্দাবাদ ছাড়া সেন্টমার্টিন আর কোনো ফেরি যায় না? আমরা জানিনা বলে এমন ভাবছি। সেন্টমার্টিন রুটে আরো বেসরকারি ফেরি আছে। তাই কেয়ারি না থাকলে দারুচিনি দ্বীপে সাঁতরে যেতে হবে এমন ভাবনার কারণ নেই।

      ৫. মাসুমের এই পোস্ট, আমাদের নানা মন্তব্যের পরও অনেক মানুষ ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক হবে, অনেক মানুষ ওদের হাসপাতালে যাবে, বাসে চড়বে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবে। কিন্তু আমরা যারা জানলাম, তারা অন্ততঃ বয়কট করা শুরু করি। প্রচার চালাই। এভাবেই হয়তো একদিন আমরা জয়ী হবো। পানি না পেলে গাছ যেমন বাঁচবে না, টাকা না থাকলে জামাতও গায়েব হয়ে যাবে। ওরা টিকে আছে টাকার জোরে। আদর্শ-ফাদর্শ, ধর্ম-টর্ম কিছু নয়। ধর্মের নামে রাজনীতি করে সবচেয়ে বেশি মিথ্যা বলে, মুনাফেকি করে জামাত।


      "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

      জবাব দিন
    • ১) আন্তর্জাতিক ভাবে এসব জংগীদের বয়কট করার ব্যবস্থা করতে হবে।
      ২) স্থানীয় ভাবে জংগী দের যে কোন প্রতিষ্টানের বিকল্প সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে।
      ৩ ) জংগী বিরুধী মাদ্রাসা গুলোকে অতি সত্তর সহজ শর্তে অনুমোদন পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
      ৪) প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ফী দুপুরবেলা খাবার আয়োজনের প্রস্তাবটা বিশাল এক জংগ ও ঝামেলার। যা সুনামের চেয়ে দুর্নাম বাড়বে নিশ্চিত।
      বরং ঐ বিশাল বাজেটের টাকা গুলো
      দিয়ে উপরের ১ নাম্বার ও ২ নাম্বারে ব্যয় করা গেলে, আপন লোক গুলো আরো কাছে আসার সুবর্ন সুযোগ হবে। এবং দেশের ৪৫% উত্তাপ হ্রাস হবে নিশ্চিত। ধন্যবাদ।

      জবাব দিন
  9. মুহিব (৯৬-০২)

    ভাই আপনার পোষ্টটা পইড়া খুব ভালো লাগছে। একটা তথ্য নির্ভর লিখা। মনে হচ্ছে কিছু জিনিস জানা হইল। কিন্তু সামিয়ার কথা শুইনা কেমন জানি লাগতাছে!!!! আসলে আমরা বাঙ্গালীরা জানি কিমুন?????? :-/ :-/ :bash: :bash:

    জবাব দিন
  10. মাহবুব (৯৯-০৫)

    আসলেই আমাদের হয়ত কিছুই করার নেই । কারন সবগুলা সেক্টর ই তাদের দখলে
    আমরা এখনো বিকল্প কিছুই গড়ে তুলতে পারিনি
    সামিইয়া'র কথাগুলো আর গুছিয়ে লেখা আছে দেখতে পারেন

    বর্জন তো করলাম, অর্জন কিভাবে করা যায়...?!

    আর গ্রিনলাইনের কথা আমিও শুনছি (সম্পাদিত)

    জবাব দিন
    • সামিয়া (৯৯-০৫)

      চমৎকার পোস্ট! ঠিক এই কথাগুলোই আমি বলতে চেয়েছিলাম।
      এখানেরই এক ব্লগারের কমেন্ট কোট করলাম।

      এইগুলা না কইরা যা করা উচিত তা হইতেছে- জনতা, অগ্রণী, সোনালী এই ব্যাঙ্কগুলারে কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা। এর কর্মকর্তা/কর্মচারীদের কাস্টোমার সার্ভিস ট্রেনিং দেয়া হোক, দরকারে এগুলোর পর্যাপ্ত শেয়ার মার্কেটে ছাড়া হোক। এই দাবীগুলা আমাদের ভীতরেই গুনগুন কইরা চালায়া যাইতে হবে। বর্জন করাটা খুব সিলি সমাধান...না কানলে মায়েও দুধ দ্যায় না...

      আর, অচিরেই পর্যটন ও বি আই ডব্লিউ টিসি-র গর্ধবগুলোকে লাত্থায়া সোজা করণের কাম করা উচিত... এই দাবীতে জনগণরে ক্রমাগত লাথি কষায়া যাইতে হবে। এইটা একটা কথা হইলো, দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপে যাবো- তা-ও যাইতে হয় জামাতি জাহাজে চইড়া!??? আফসুসের আর সীমা থাক্লো না...

      জবাব দিন
      • কিবরিয়া (২০০৩-২০০৯)

        আপু,
        জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান duds'এর এক ফাংশনে বলছিল, জনতা ব্যাংক এই বছর সবচেয়ে বেশি মুনাফা পাইছে, যা নাকি গত কয়েক বছর ধরে ইসলামী ব্যাংক পাইত, আসলে আপু এইটা কিন্ত ধীরে ধীরে একটা পরিবর্তনের আশ্বাস দেয়।।

        আর কি বলব আপু, জামাতীদের মাষ্টার প্লান ( যার শুরু একটি শিশুর জন্ম ইসলামী হাসপাতালে, তারপর লেখাপড়া ইসলামী প্রি-ক্যাডেট সেখানে "ফুলকুড়ি" তারপর ছাত্রশিবির পরে জামাত-ঈ-ইসলামী, আর মাঝখানে সবগুলান অংগসংগঠন সাভির্স নিয়া স্বাগতম জানানোর জন্য দাত কেলায় থাকবে......) নিয়া আমাদের অন্য পলিটিক্যাল পার্টিগুলান কিছুই ভাবে না বরং তারা নগদ নগদ লাভ নিয়া তুষ্ঠ থাকে!!
        এই চান্সে জামাতীরা অন্ধকারের বাতি দিয়া দেশটারে ঢাইক্যা ফেলাইতেছে।।
        এই অক্ষমতা কই রাখি!!!??


        যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
        জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
        - রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

        জবাব দিন
  11. সাইফ শহীদ (১৯৬১-১৯৬৫)

    শওকত,

    তোমার লেখা ও মন্তব্যকারীরা সবাই এই প্রজন্মের। খুব ভাল লাগলো যে তোমারা সবাই কত সহজে তোমাদের সৎ চিন্তা ভাবনা ও মতামত প্রকাশ করতে পারছো দেখে। আমাদের গড়ে উঠার সময় নিয়ম-কানুনের বেড়াজালের মধ্যে আবদ্ধ থাকার কারনে এই ভাবে মত প্রকাশ করার সাহস সহজে হয়ে ওঠেনি। যদি সেই সাহস গড়ে উঠতো তবে বহু আগে এই বিষয়গুলি বলার সাহস পেতামঃ

    ১) ইসলামের সব চাইতে বড় শত্রু আজ সৌদি রাজ পরিবার।

    ২) আপাতঃ গণতান্ত্রিক দেশ হলেও আমেরিকার বিশেষ বিশেষ কার্যক্রম পরিচালিত হয় বিশেষ গোষ্ঠির সুক্ষ পরিচালনায়। ওবামা প্রেসিডেন্ট হলেও তার সাধ্য নেই এই শক্তির বিরুদ্ধে কিছু কাজ করার।

    ৩) এই শক্তির অনুরূপে বাংলাদেশে কার্যক্রম করে চলেছে বর্তমানের জামাত ও অনুরূপ দল সমূহ - কিছু প্রকাশ্যে, কিছু আড়ালে।

    ৪) দলের মধ্যে গণতন্ত্রের অনুশীলন না থাকায় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বি এন পি, জাসদ, ওয়ার্কাস পার্টি - কোন দলই এই ধরনের সুবিধাবাদী শক্তির সাথে 'কিছুটা আতাত' না করে চলতে পারবে না।

    ৫) যদিও মাও বলেছিল - "রাজনৈতিক শক্তি আসে বন্দুকের নল থেকে" - শক্তি প্রয়োগ করে গণতন্ত্র আনা যায় না। এটা আমরা বার বার দেখেছি - পাকিস্তান আমলে আইয়ুব, ইয়াহিয়া, জিয়া ও পরে বাংলাদেশে মুজিব, জিয়া, এরশাদ, মইনুল, ইত্যাদির ক্ষেত্রে।

    ৬) মুক্ত গণতন্ত্র চর্চার মধ্যেই গণতন্ত্র গড়ে ওঠে - এর কোন বিকল্প নেই। কথা বলার স্বাধীনতা, ব্যাক্তি স্বাধীনতা, সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতা এবং 'সত্যিকারের সৎ আইনের' শাসন অতীব প্রয়োজনীয়।

    ৭) নতুন প্রজন্মের শিক্ষা, নতুন ভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা এবং ইন্টারনেট জাতীয় মাধ্যম - এক নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।

    ৮) জাতি হিসাবে আমরা একটু বেশী 'ইমোশনাল'। ফলে যারা আওয়ামী লীগ সমর্থক তারা মুজিব, হাসিনা বা জয়ের কোন সমালোচনা শুনলে মাথায় তাদের রক্ত উঠে যায়। তেমনি অবস্থা বি এন পি সমর্থকদের বেলায় যখন জিয়া, খালেদা বা তারেকের সমালোচনা হয়। আশা করবো নতুন প্রজন্ম এই 'সিনড্রম' থেকে বের হয়ে এসে সব সময় সত্য এবং ন্যায়ের পক্ষে কথা বলার সাহস রাখবে।

    শুভ আগামী দিনের কামনায়।

    জবাব দিন
    • মাহবুব (৯৯-০৫)
      জাতি হিসাবে আমরা একটু বেশী ‘ইমোশনাল’। ফলে যারা আওয়ামী লীগ সমর্থক তারা মুজিব, হাসিনা বা জয়ের কোন সমালোচনা শুনলে মাথায় তাদের রক্ত উঠে যায়। তেমনি অবস্থা বি এন পি সমর্থকদের বেলায় যখন জিয়া, খালেদা বা তারেকের সমালোচনা হয়। আশা করবো নতুন প্রজন্ম এই ‘সিনড্রম’ থেকে বের হয়ে এসে সব সময় সত্য এবং ন্যায়ের পক্ষে কথা বলার সাহস রাখবে।

      :boss: :boss: :boss: :boss:
      অতীব সহমত

      জবাব দিন
  12. সামিয়া (৯৯-০৫)

    প্রথমে এই খবরটা পড়ুন।

    এর থেকেই বুঝা যাচ্ছে কি ধরণের সুক্ষ স্ট্রাটেজি নিয়ে তারা এগিয়েছে এবং এগোচ্ছে।অভিজ্ঞ ও পুরনো দল বিএনপি পর্যন্ত ধরপাকড়-এর অভিশাপে দুভাগ হয়ে গেল। সেখানে জামায়াত আগে থেকেই সব গুছিয়ে রেখেছে। এবং বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, জামাত আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আমাদের দেশের জন্য সেটা হবে অত্যন্ত বিপজনক একটা অবস্থা।

    এই ব্লগটা পড়ুন। মনের মাঝে অসহায়ত্ব নিয়ে এবার ঘুমাতে যান।

    জবাব দিন
    • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

      অসহায়ত্বে আসলে কিছু দেখছি না। সব কাজ প্রথমে শুরু করতে হয়, শুরু করে একটা পর্যায় পর্যন্ত আসতে সময় নেয়। এই সময়টা তাকে দিতে হয়। প্রথম থেকেই যেমন রেজাল্ট আশা করাটা বোকামি, তেমনি রেজাল্ট আসতে দেরী হবে ভেবে শুরু না করাটা আরও বড় বোকামি। আমরা তো দেশের ভালোর জন্য চিন্তা করছি, নিজের জন্য নয়। আমি শুরু করতে পারি, ফলাফল হয়তো পাবে পরের প্রজন্ম, আমাকে কস্ট করতে হবে ফলাফল না আসার আগ পর্যন্ত, হয়তো আমি ফলাফল দেখে যেতে পারবো না, বেশির থেকে বেশি এটুকুই।

      আমি আগেও একবার বলেছি অন্য ব্লগে, আজ আবারও বলি, আমাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ১৪ ই ডিসেম্বর। সৃষ্টিশীল মানুষের একটা শুন্যতা তৈরী হয়েছে, সেই জায়গাটা ভড়ে গিয়েছে জ্ঞানপাপী মানুষে। পুরো একটা প্রজন্মের গ্যাপ।

      আশার কথা হচ্ছে গ্যাপটা পুরন হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। আজ থেকে দশ বছর পরে কাজ আরও অনেক সহজ হয়ে যাবে আশাকরি।


      পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

      জবাব দিন
  13. সাইফ (৯৪-০০)

    মাসুম ভাই, আমার ব্যক্তিগতভাবে চোখের সামনে দেখা অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।মফস্বলে মানে একবারেই থানা শহরে এদের কিছু পাঠাগার আছে ইকরা,আল আমিন,কিছু সঙ্গঠন আছে ফুল কুঁড়ি ...এইরকম নামে।প্রাইমারি লেভেল থেকেই বাচ্চাদেরকে এইসব সঙ্গঠনে তালিম দেয়া হয়।মাদ্রাসা মক্তব এর কথা ত বাদ ই দিলামিছু কিছু জায়গায় আবার এরা ক্যাডেট মদ্রাসা নামে কিছু স্কুল খুলেছে।অইখানে শারীরিক কসরত ,অবস্ট্যাকল কৌর্স সব ই করা হয়।

    জবাব দিন
  14. রায়হান রশিদ (৮৬ - ৯০)

    অনেক ধন্যবাদ শওকত মাসুম ভাই। এই পোস্টটার খুব দরকার ছিল। উপরে সানাউল্লাহ এবং সাইফ ভাইয়ের প্রতিটি যুক্তির সাথে সহমত প্রকাশ করছি। শুধু কয়েকটি ছোট বিষয় যুক্ত করছি:

    ১) জামাতের দলের ভেতর গণতন্ত্র আছে, এটা একটা মিথ। গণতন্ত্র থাকলে এতো অসুবিধা হবে জেনেও চিহ্নিত কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীকে কেউ দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বে রাখে? আর গণতন্ত্র থাকলে দলীয় তহবিলের কোটি কোটি টাকা চিহ্নিত কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীকে রক্ষা করতে ব্যয় করা হয়? বোঝাই যাচ্ছে এই অপরাধীরা নিজেদের বাঁচাতে দলীয় তহবিল ব্যবহার করছে, একে বলে - 'ব্যক্তিস্বার্থে দলীয় রিসোর্স ব্যবহার, একে বলে ব্যক্তিস্বার্থে দলকে ব্যবহার।'

    ২) জামাত সরকার পরিচালনায় থাকলে সৎভাবে দেশ শাসন করে - এটাও একটা মিথ। নিজামী নিজেই ক্ষমতায় থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার গুণধর এক আত্মীয়কে কনট্রাক্ট পাইয়ে দিয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকাকালে সে সব ফাঁসও হয়েছে। আর শিবির এর তহবিল আত্মসাৎ ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে কয়েকদিন আগে তো এর প্রাক্তন সভাপতি-সাধারণসম্পাদকদেরই দলের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হয়েছিল। পত্রিকায় সে সব এসেছিল - শিবির এর সেই আন্দোলনের নাম ছিল 'সেভ শিবির', খুঁজলে এখনো হয়তো ফেসবুকে গ্রুপটি পাওয়া যাবে। আর সে আন্দোলনকে শ্বাসরুদ্ধ করায় গুণধর মুজাহিদের ভূমিকার কথাও দেশবাসীর জানা আছে।

    ৩) কিছুদিন আগে ফৌজদারহাটের আমাদের ব্যাচের কয়েকজন একটি ব্যাচভিত্তিক লাভজনক প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য অর্থ উত্তোলন করছিল। সবার মনোনীত ব্যাংক ছিল ইসলামী ব্যাংক, কারণ, সেখানে নাকি সুদ নেই!! ব্যাচের বন্ধুদের বোঝাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল, অথচ ওরাই বেড়ে দেশের সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছায়ায় বড়ো হয়েছে, লাভ করেছে উচ্চ শিক্ষা। সুদ আছে কি নেই, সেটিই হয়েছে মূল নির্ধারক-মানদন্ড, ইতিহাস আর দেশ না। একে বলে অন্ধত্ব।

    ৪) আর জামাতী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সুবিধাগ্রহণ ছাড়াও আমাদের অবশ্যই বহু বিকল্প রয়েছে। আর যদি তা নাও থাকতো তারপরও জামায়াতের তহবিলকে নিজের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে শক্তিশালী করবার পক্ষে কোন যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না। নিজের পাঁচ টাকা সাশ্রয় হতে পারে - এই লোভে যখন দেশের এবং দেশের ইতিহাসের চিরশত্রুদের শরণাপন্ন হওয়ার পক্ষে যুক্তি খোঁজা হয়, তার আরেক নাম - মেরুদন্ডহীন সুবিধাবাদ। একে সুবিধাবাদই তো বলে, বলে না?

    ধন্যবাদ।

    জবাব দিন
    • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

      নিজের পাঁচ টাকা সাশ্রয় হতে পারে – এই লোভে যখন দেশের এবং দেশের ইতিহাসের চিরশত্রুদের শরণাপন্ন হওয়ার পক্ষে যুক্তি খোঁজা হয়, তার আরেক নাম – মেরুদন্ডহীন সুবিধাবাদ

      কখনো আপনাকে সামনে পেলে একটা স্ট্যান্ডিং ওভেশন দিবো রায়হান ভাই।

      জবাব দিন
  15. গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

    একসময় ইন্টারনেটে জামাত-শিবিরের কোন সাইট আছে কিনা সে ব্যাপারে অনুসন্ধান টাইপের চালিয়ে 'DAHUK' নামের একটা গ্রুপ পাই। এদের কয়েকটা লিংক-

    - http://groups.yahoo.com/group/dahuk
    - http://dahuk-blog.blogspot.com
    - http://www.dahuk.org

    এসব সাইটে এদের বিভিন্ন মেইল পাওয়া যায়। যেগুলো থেকে এদের মানসিকতা বিশেষ করে সমকালীন মনোভাব বোঝা যায়। ২ নং লিংকটা বেশী কাজে লাগবে মনে হয়।

    জবাব দিন
  16. আরে ভাই জামাত এত খারাপ তো তারা এত প্রতিষ্টান কেমনে গড়ে তুলল . আর যারা মুক্তি যুদ্দের কথা বলে তারা কি দেখেনা মুক্তি জধারা না খেয়ে মরতাসে . আইসব ভন্ডামি রাখেন. দেশের জন্য জামাতিরাই ভালো করসে এবং করবে.

    জবাব দিন
    • আদনান (১৯৯৪-২০০০)

      ভাই হাবিব মুক্তিযুদ্ধ বানানটা দয়া করে শুদ্ধ করে লিখবেন । মুক্তিযুদ্ধ করিনাই সত্য, দেশের জন্য কিছু করিনা এটাও সত্য, কিন্তু তাই বলে জামাতিরা দেশের জন্য ভাল করছে এটা মানতে পারিনা । জামাত ইসলামের লেবাস পরা একটা ভন্ড, আর কিছুই না । দয়া করে এইসব আজাইরা মন্তব্য এখানে করবেন না ।

      জবাব দিন
      • সর্রী ভাই মুক্তিযুদ্দ বানানটা ইসসা করে ভুল করিনি . হয়ে গেসে . আমরা তো আসলে সত্যিকারের স্বাধীনতা চাই. যেখানে শুধু সত্যবাদী নেতারা থাকবেন. যারা ভন্ড তাদের কে আমরা বয়কট করব. যারা মুখে বলে ভালো কথা আর বাস্তবে করে না তাদের সাথে আমরা কেন থাকব.

        জবাব দিন
    • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

      (দয়া করে উপরোক্ত কমেন্টের লেখক হাবীব ব্যতীত কেউ পড়বার আগে একবার ভেবে নিন।ভদ্র ভাষায় আমার পক্ষে যতটা অশালীনভাবে গালি দেয়া যায় ঠিক সে ভাষা নীচে লেখা হয়েছে)

      ওহে পাকি ক্রস-স্পার্ম রাজাকারের সন্তান এবং নিজামী-গোয়াজম-মুজাহিদের মুখমেহনে সহায়তাকারী সারমেয়শাবক হাবীব,তোমার হয়তো ধারণা নেই যে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারা যদি না খেয়েও মরে তারপরেও তোমাদের মত পাকি প্রভুদের সাফাই গাইবেনা।তোমার আব্বাহুজুরেরা আপাতত ডিম থেরাপী নিচ্ছে,তুমি চাইলে আর কিছুদিন পরে আমিও তোমার জন্যে একই ব্যবস্থা করতে পারি।তুমি এবং তোমার মত রাজাকারের বাচ্চাদের জন্যে বরাদ্দ ডিম কেনার টাকা সিসিবি থেকে চাঁদা তুলে যোগাড় করা হবে,চিন্তা কোরনা।আপাতত ভালো চাইলে বিদায় হও,ভুলেও আর এমুখো হয়োনা।সিসিবি অনেক উদার একটা ব্লগ কিন্তু এখানে তোমার মত রাজাকারের বাচ্চাদের নাক গলানোরও সুযোগ নেই।

      জবাব দিন
      • আপনাকে আর কি বলব! আপনার কথার বলার ভাষা থেকে আপনার পরিচয় অনেক খানি স্পষ্ট হয়েসে. সম্ভবত কমেন্ট করে আপনি আপনার পরিচয় প্রকাশ করেসেন. মুসলিম তো সে যার হাত এবং মুখ হতে অন্য জন নিরাপদ থাকে.

        জবাব দিন
        • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

          সম্ভবত কমেন্ট করে আপনি আপনার পরিচয় প্রকাশ করেসেন. মুসলিম তো সে যার হাত এবং মুখ হতে অন্য জন নিরাপদ থাকে

          ওহে, তোমার মত রাজাকারের বাচ্চাদেরকে আমি "জন" এর মর্যাদা দেই সেইটা তোমাকে কে বলল?? আর পরিচয়ের কথা বলছ?এই ব্লগে কারো পরিচয় তো গোপন না।আমার বিশেষ কোন রাজনৈতিক মনোবৃত্তি নেই কিন্তু রাজাকারদেরকে ঘৃণা করতে সেটার দরকার আছে বলে মনে করিনা।রাজাকার যে দলের/যে স্থানেরই হোক না কেন সে আমার কাছে পাকি ক্রস-স্পার্ম বেজন্মা সারমেয়শাবক ব্যতীত কিচ্ছু না,এই যেমন তুমি।ভুল জায়গায় এসে পরেছো-গিয়ে ফিরোজ কামাল বা ত্রিভুজের ব্লগে বর্জ্যনিষ্কাশন করো-সিসিবি তোমার জায়গা নয়।

          জবাব দিন
  17. আমি মনে করি দেশের সবাই রাজাকারদের জানি, কিন্তু আমি আপনি কিসু করা দুরার কথা , গায়ে হাত ও দিতে পারবনা কারণ ওরা আমাদের ফু দিয়া যে কোনো সময় উড়িয়ে দেয়ার কমাটা রাকে. যারা দিনের আলোতে রাজাকারের বিচার চাই, সেই নেতারাই রাতের অন্ধকারে একেই খাবার থালায় বলে দোস্ত কিসু মনে করিস না. ভোটের জর্নী বাঙ্গালীদের একটু বোকা বানাতে কিসু সস্তা বক্তিতা দিতে হই আর কি ....আসলে আমি তো তুদারেই একজন. হি..হি.. হি...দে আর এক পেক দে.......

    জবাব দিন
  18. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    হাবিব ও গৌতম নামধারী ব্যক্তিদ্বয়, আমার নিচের বাণীটি আপনাদের উদ্দেশ্যে বর্ষিত হলো। যদিও জানি এতে কোনো লাভ হবে না। কারণ আপনাদের হৃদয়-মস্তিস্ক সব 'মিথ্যার মোহর' দিয়ে সিল করা।

    "পানি না পেলে গাছ যেমন বাঁচবে না, টাকা না থাকলে জামাতও গায়েব হয়ে যাবে। ওরা টিকে আছে টাকার জোরে। আদর্শ-ফাদর্শ, ধর্ম-টর্ম কিছু নয়। ধর্মের নামে রাজনীতি করে সবচেয়ে বেশি মিথ্যা বলে, মুনাফেকি করে জামাত।"


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  19. ইফতেখার (৯৫-০১)

    শুধু একটা ডায়ালগই মনে পড়ে, some people are still alive because it is illegal to kill them. লোকজন আপনাদের বাস্তব পরিচয় পেলে যে আইনের তোয়াক্কা না করে কাচা চিবিয়ে খেয়ে ফেলবে তা তো জানেনই হাবীব আর গৌতম বরাহশাবক ... এবং আপনাদের ফাকিজাত পরিবারবর্গকেও।

    ত্রিশ বছর ধৈর্য ধরা হয়ে গেছে, এখন আইন নিজেদের হাতে তুলে নেয়ার পালা। আপনাদের বাহাত্তর হুরের কাছে এক্সপ্রেস মেইল হওয়ার সময় এসে গেছে এখন।

    জবাব দিন
  20. সাইফ (৯৪-০০)

    মাসুম ভাই,গত আড়াই বছর হলো আমি কুয়েত এসেছি।এইখান কার সবগুলা মানি এক্সচেঞ্জে একজন করে অথবা দুইজন করে বাঙ্গালি আছে শুধু বাংলাদেশে টাকা পয়সা পাঠানোর কাজ দেখার জন্য।ভালো কথা।এইখান থেকে টাকা পাঠালে ইস লামি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য এরা প্রথমেই বলে-শুধু বলে না,এক রকম মোটিভেশনাল লেকচার দেয়।রেট বেশি দিবে বলে প্রলুব্ধ করে,প্রথমেইবলে ইসালামি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পাঠান ।যদিকেউ বলে অন্য ব্যাঙ্কের রেট কত ,তারা এক বাক্যে বলে ইস্লামি ব্যাঙ্কের চাইতে রেট বেশি সোনালি কিংবা জনতা অগ্রনি তে নেই,কিন্তু আমি ভেরিফাই করে দেখেছি অই ডেস্কে যখন অন্য দেশী কেউ কাজ করে তাদেরকে জিজ্ঞেস করে দেখেছি ঠিক ই তারা সোনালি কিংবা অন্য ব্যাঙ্কের রেট বেশি বলছে ।এরপর আমি নিয়মিত প্রতি মাসে মনিটর করা শুরু করলামসবগুলাএক্সচেঞ্জে,দেখলাম আশ্চর্য জনক ভাবে বাংলাদেশি সবাই ইস্লামি ব্যাঙ্কের ব্যাপারেই ঔতসুক বেশি।আস্তে আস্তে সবার সাথেই পরিচয় হয়।বাড়ী আর লেখাপড়ার খোজ নিয়ে দেখলাম বেশির ভাগ ই পাবনা,সাতক্ষীরা,কক্সবাজার,চিটাগং এর লোক।অন্য ব্যাঙ্ক এর মাধ্যমে কেন টাকা পাঠাবো এই নিয়ে তাদের আগ্রহের শেষ নাই,ইস্লামি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পাঠালে অথবা অই ব্যাঙ্কের মাধ্যমে বণ্ড করলে সেইটা শরিয়া মোতাবেক হালাল,এইরকম লেকচার দিতে হর হামেইশাই শোনা যায়।আমাকে এক ইন্ডিয়ান জিজ্ঞাসা করে আচ্ছা তোমাদের দেশে কি ইস্লামি ব্যাঙ্ক এ সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক?আমি বললাম কেন?বলে যে তোমাদেরসবাই অই একই ব্যাঙ্কে কেন টাকা পাঠাতে চায়?
    কুয়েতে দেড় লাখের মত শ্রমিক আছে -এদের বিরাট অংশ অই ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই পাঠায়।একদিন আমি ইচ্ছে করে কোন ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পাঠাব সেইটা মেনশন করি নাই ,দেখলাম ঠিক ঠিক ই ইসালামি ব্যাঙ্কের নাম লিখসে।আমি সাথে সাথেই জিজ্ঞেস করলাম,আজকে কোন ব্যাঙ্কের রেট বেশি,পাশ থেকে ইন্ডিয়ান মহিলা বল্লেন,ইউনাইটেড কমার্শিয়াল এর।আমি তখন আমার দেশি ভাইকে বললাম ,ভাই আপনি কেন ইস্লামি ব্যাঙ্কে রেট কম হওয়ার পরেও দিচ্ছেন।হাজার রকম সবক শুনাইলো আমাকে।আমি ঝারি দিলাম,এরপর থেকে হারামজাদা আমাকে সালাম ও দেয় না,স্যার ও বলে না,ভালোমন্দো ও জিজ্ঞেস করে না।এদের চেইন এই লেভেলেও কাজকরে ।

    জবাব দিন
  21. হাবিব আর গৌতম হুজুরে আলারা, আপনেরা এইখানে না ল্যাদায়া বিসর্গে যান, ইহপারলৌকিক মঙ্গলের সাথে মগবাজারি হালাল ইনকামও হবে। ফাকিস্তানের একমাত্র সোল এজেন্ট এখন কেবল ওরাই আছে বাংলাদেশে!

    জবাব দিন
  22. সাবিহা জিতু (১৯৯৩-১৯৯৯)

    এতো সম্পদের দাপট, এতো গলার জোড়...কই গেল এখন? "দেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই", "মুক্তিযুদ্ধ নয়, ভারতে গিয়েছে সুন্দরী নারীর লোভে"... ইত্যাদি কম আরুচিকর কথা তারা বলে বেড়াননি একসময়। সম্পত্তি হিসেবে জামায়েত ইসলাম ঠিক কতখানি ধনী, তার হিসেব বোধহয় খোদ তাদেরও জানা নাই। অর্থের বৈভবেই এতোদিন তারা সরকার, প্রশাসন সব কিছুকেই জীম্মি করে রাখতে পেরেছিল। কোনরকম শর্মীয় মূল্যবধ থেকে বা আদর্শে বলীয়ান হয়ে নয়, জামায়েত-শিবিরের নেতা কর্মী এবং habib/ goutam/ joy এর মত সমর্থকেরা দলে ভিরেছেন কেবল্মাত্র অর্থ আর নিশ্চিত চাকরির লোভে পরে। ঔদ্ধত্বপূর্ণ মন্ত্যব্য দিয়ে তারা কেবল ক্ষমতা আর প্রতাপই দেখিয়ে এসেছে এতোদিন। কেউ নাকি তাদের গায়ে টোকা দিতে সাহস পাবে না! সৌদি আরব, পাকিস্তান, আমেরিকার মত শক্তিধর দেশের অবস্থান তাদের পক্ষে। তাদের কারো কিছু হলে দেশ অচল করে দিবে এমন ভাবও প্রকাশ তারা করেছে। এখন তাদের শীর্ষ নেতাদের যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সরকারের কঠোরনীতির সামনে তারা ভয়ে আঙ্গুল মুখে দিয়ে চুষছে, তখন আমাদের মত অতি সাধারণ মানুষের পেট ফেটে হাসি আসাটা কি অন্যায়? :khekz:


    You cannot hangout with negative people and expect a positive life.

    জবাব দিন
  23. ভাই মেলা তেজোদিপতো গালাগালি শুনলাম, আমাদের তেজ আছে, ভালো...।জামাতিরা **মারা খাক এই আশা আমাদের সবার..কিনতু রাজনিতি তে ওদের চাইতে ভালো strategy তো কাউকে বের করতে দেখি না, খালি ত নিজেরা কত % খাবে তাই নিয়া পাগল, এম্নে কইরা জামাত খেদান ত দুরের কথা, নিজেদের ** বাচাইতেই খবর হয়া যাবে......agree me or not, but this is reality
    একা আওয়ামি লিগ জামাত খেদাইতে পারবে না......হুদা ফশ ফশ না কইরা আসেন একসাথে জামাত কোপাই

    জবাব দিন
  24. কি বলব আর ?জামাত ভেঙ্গে যাবে বলে মনে হস্সে. আগামীকাল কালের কন্ঠ পর কিন্তু সবাই .কাল আমের ভাইয়ের রিপোর্ট আসবে. জামাতের সিরষ নেতৃত্বে তীব্র মতবিরদ্ঘ.এই তো সুযোগ.এদের এখনি সেস করতে হবে.নতুবা আমাদের নিজেদের অস্তিত্ব বিলীন করে সারবে এরা.

    জবাব দিন
  25. Towfique 36th

    বিদ্রোহী [Lyrics] - তৌফিক ও ফয়সাল রদ্দিShare

    সারা শরীর তার ঘামে ভেজা সাঝে সে ফেরে ঘরে,
    ঋনী তুমি , আমি, আমরা শীত ও তাপ ঘরে,
    শূণ্য গোলা তার ফলেনি ফসল তবু মুক্ত হাসি ঝরে,
    যান্ত্রিক যাতাকলে পিষ্ট তুমি-আমি হাসি না ভয়ে।
    তবু জীবনের ঈশারায় শুধু হেতে যাই-
    হাসিহীন জীবনে আধারে হারাই,
    তোমার আমার অদৃশ্য দেয়াল
    শ্রেনীহীন সমাজের গান গেয়ে যাই।

    ঘর্মাক্ত শরীর, মাথা ভরা বোঝা,
    পরাজিত জীবনে ভোগ করে সে সাজা
    সপ্নহীন, বর্ণহীন, জীবন তার ছন্দহীন, ঠিকানাবিহীন হাহাকারে গড়া।
    শাষকে শোষিত তুমি, শোষোণে লালিত তুমি,
    আঘাতে আঘাতে চূর্ণ প্রলয়ে ধংস তুমি,
    অধিকার-সাধিকার, পরাধিন চিতকার-
    মানবতার চরম লজ্জা করো সীয় সৎকার ;
    সংগ্রাম-বিপ্লব মহযজ্ঞের হুংকার,
    মজুরের রক্ত প্রশ্নে নিজের ধিক্কার !
    মিলগুলো সিলড কেন , কার দোষে দোষাব?
    সংসদে বসে রাজা আর কত রোষানল?
    যুদ্ধ দেখিনি তবু শুনেছি মুখে
    বিপ্লব শিখিনি তবু যে রক্ত জলে
    অনাচার অবিচার আর কত করবি কর
    নিশ্চুপ নিরাবতা দেখে ভেবনা নির্বোধ !
    লাল বিপ্লব হবে জনতার বিচার হবে
    মিথ্যে জিহাদি হবে কালেরি কালিমা
    অবাক পৃথিবী রবে তাকিয়ে তোদেরি দিকে
    ঘৃণায় ফেরাবে মুখ বলবে রাজাকার !!

    গান - বিদ্রোহী
    কথা ও সুর - তৌফিক ও ফয়সাল রদ্দি
    আলবাম - Rajotto

    [বানানের ভুলের (কিঞ্চিত) কারনে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত !]

    Bidrohi - Official Music Video Link - - http://www.youtube.com/watch?v=K6Sk4wxO3uw

    জবাব দিন
  26. জামায়াত শিবিবের প্রতিষ্ঠানগুলোঃ

    ১।সংস্কৃতি সংগঠনঃ

    সিএনসি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, স্বদেশ সাংস্কৃতিক পরিষদ, উত্সঙ্গ, সৃজন চিন্তন, মৃত্তিকা একাডেমী, প্রতিভা ফাউন্ডেশন, শহীদ মালেক ফাউন্ডেশন, কিশোর কণ্ঠ ফাউন্ডেশন, সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী, বিপরিত উচ্চারণ, পল্টন সাহিত্য পরিষদ, ফররুখ পরিষদ, চত্বর সাহিত্য পরিষদ, কিশোর কলম সাহিত্য পরিষদ, ফুলকুঁড়ি সাহিত্য পরিষদ, নতুন কলম সাহিত্য পরিষদ, আল হেরা সাহিত্য পরিষদ, মাস্তুল সাহিত্য সংসদ, সম্মিলিত সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংসদ, স্পন্দন সাহিত্য পরিষদ, রেলগাছ সাহিত্য পরিষদ, কবি সংসদ বাংলাদেশ, কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য সংসদ, কানামাছি সাহিত্য পরিষদ, অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ, শীলন সাহিত্য একাডেমী, পারফর্মিং আর্ট সেন্টার, সংগ্রাম সাহিত্য পরিষদ, উচ্ছ্বাস সাহিত্য সংসদ, ইসলামী সাহিত্য পরিষদ, দাবানল একাডেমী, মওদুদী রিসার্চ সংসদ,বাংলাদেশ সাহিত্য কেন্দ্র নামে ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী [বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের কপি]

    ২।প্রিন্টিং আই মিন প্রকাশনী বাণিজ্যঃ

    সিদ্দিকীয়া পাবলিকেশন্স, আধুনিক প্রকাশনী, প্রীতি প্রকাশন, কিশোর কণ্ঠ প্রকাশনী, ফুলকুঁড়ি প্রকাশনী, মিজান পাবলিকেশন্স, ইষ্টিকুটুম, আল্পনা প্রকাশনী, গণিত ফাউন্ডেশন, মদিনা পাবলিকেশন্স, প্রফেসর’স, কারেন্ট নিউজ, সাজ প্রকাশন, সৌরভ, সাহিত্যকাল, নবাঙ্কুর, সাহিত্যশিল্প, শিল্প কোণ, আযান, অনুশীলন, ফুলকলি, দিগন্ত, পাঞ্জেরী, আল কোরআন প্রকাশনী,প্রফেসরস গাইড

    ৩।কোচিং বাণিজ্যঃ

    রেটিনা,প্রবাহ,ফোকাস,কনক্রিট,ইনডেক্স,রেডিয়াম,অপ্টিমাম,শুভেচ্ছা,সাকসেস কোচিং সেন্টার।

    ৪।ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠানঃ

    ইসলামী ব্যাঙ্ক লিমিটেড। ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টম্যান্ট লিমিটেড,

    ৫।ইন্স্যুরেন্সঃ

    ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কো. লি., ইসলামী ইন্সুরেন্স কো. লি.,তাকাফুল ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স

    ৬।ডেভেলাপারঃ

    কোরাল রীফ,মিশন ডেভেলাপারস,এস.এ.এফ,এম.ডি.সি গ্রুপ,কেয়ারী,ইনটিমেট হাউজিং,সোনারগাঁ হাউজিং,লালমাটিয়া হাউজিং,সিলভার ভিলেজ হাউজিং,ওয়ান সিটি,আবাসন সিটি।

    ৭।বাস সার্ভিসঃ

    পাঞ্জেরী,আবাবিল

    ৮।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ

    ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি(আইআইইউসি),এশিয়ান ইউনিভার্সিটি,সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি,ইউ আই ইউ,ইসলামী ব্যাঙ্ক বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ,মানারত (স্কুল আর বিশ্ববিদ্যালয়),গ্রীন ইউনিভার্সিটি,লাইসিয়াম কিন্ডারগার্টেন,

    ৯।সংবাদপত্রঃ

    দৈনিক সংগ্রাম,দৈনিক নয়া দিগন্ত

    ১০।টিভি চ্যানেলঃ

    দিগন্ত টিভি,ইসলামিক টিভি

    ১১।হাসপাতালঃ

    ইসলামী ব্যাঙ্ক হাসপাতাল,ইউনাইটেড হাসপাতাল,ইবনে সিনা,আদ দ্বীন হাসপাতাল,ফুয়াদ আল খতিব মেডিকেল ট্রাষ্ট।

    ফার্মাসিউটিক্যাল

    ১. ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড

    ২. বায়োফার্মা ল্যাবোরেটরীজ লিমিটেড

    এছাড়া

    কেয়ারী সিন্দাবাদ :))

    জবাব দিন
  27. সাদিক (২০০০-২০০৬)

    নর্দান ইউনির্ভাসিটি এর বর্তমান ট্রাস্টি এর চেয়ারম্যান হল আবু ইউসুফ আবদুল্লাহ উনি JCC 13 intake আমার জানা মতে জামাত শিবির এর সাথে কোন ভাবে নেই উনি। তাই লিস্ট থেকে নর্দান ইউনির্ভাসিটি বাদ আমার মতে।

    জবাব দিন
  28. আসসালামুআলাইকুম,ভাই,এডমিন সাহেব,এই ব্লগে জামায়াতীদের প্রতিষ্ঠান নিয়ে অনেক লেখা দেখলাম,অনুরোধ করব এসব বাদ দিয়ে আল-কুরআন,আল- হাদিস পড়ুন এবং নিজের কাজ ব্যবসা নিজের উন্নতিকল্পে কাজ করুন যা দুনিয়া ও আখিরাতে লাভ হবে।ধন্যবাদ

    জবাব দিন
  29. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    এই সব ফালতু লোকের কমেন্ট মডারেশনে ফেলে দেয়া যায় না?? x-( 😡
    প্রতিটা খা**কির পো'র রায়ের আগে পরে *জাদাদের চুলকানি বেড়ে যায়... :gulli: :gulli:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।