আমরা কোথা থেকে এসেছি???????
মানুষ যখন থেকে তাদের আশে-পাশে জগত নিয়ে চিন্তা করেছে তখন থেকে এক প্রশ্ন আমরা কোথা থেকে এসেছি?
এই প্রশ্নের উত্তর আমরা বিভিন্ন ভাবে দিয়েছি।কিন্তু আমরা যদি খুব ভাল ভাবে চিন্তা করি তাহলে মূলত এই প্রশ্নের দুইটি উত্তর আমাদের জানা এবং তা এসেছে দুইটি বিখ্যাত তত্ত্ব থেকে তা হল-
১.ঐশ্বরিক তত্ত্ব
২.ডারউনের র্বিবতনবাদ তত্ত্ব
আমরা এই দুটি মতবাদ সর্ম্পকে খুব ভালো করে জানি।তবে একটা কথা বলতে হয় তা হল বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আর আবিষ্কার বর্তমান কালে ডারউনের মতবাদের ভিত্তি যেমন দূর্বল করে দিয়েছি, আবার তেমনি কোন ক্ষেত্র শক্তিশালী করেছে।এর মানে ঐ তত্ত্ব নিয়ে বির্তকের সুযোগ আছে।আর থাকে ঐশ্বরিক তত্ত্ব।তবে একথা সত্য যে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ এটা প্রমাণ করে যে বিগ ব্যাং (big bang) এর পর কোন এক শক্তি কাজ করেছিল সে সময়ের অস্তিতিশীল বিশ্বকে একটি কঠোর নিয়মের মধ্যে আনতে।বিজ্ঞানীরা এই শক্তিকে বলছেন প্রাকৃতিক শক্তি আর আমরা বিশ্বাসীরা বলি ‘সৃষ্টিকর্তা’।
আমার আগের একটি ব্লগে আমি ভিন্নগ্রহের প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে কিছু কথা বলেছি আসলে কি আমাদের এই পৃথিবীর বুকে এসেছিল কোন ভিন্নগ্রহের প্রাণী? আসলে এর সর্ম্পকে আমাদের কাছে জোরালো কোন প্রমাণ নেই।যা আছে অধিকাংশ বানেয়াট।
পুরাতত্ত্ববিদ দানিকেন আমাদের সামনে কিছু প্রশ্ন রেখেছেন আর কিছু জিনিষের ব্যাখা চেয়েছেন যা আমাদের বর্তমান বিজ্ঞান দিতে পারেনা।আর সে যেসব ব্যাখা দিয়েছে তা একদম উড়িয়ে দেওয়া যায়না।
আর আমি গত লেখায় মিথ,পুরাণ,ধর্মগ্রন্থ থেকে কিছু প্রমাণ রেথেছিলাম।আপনারা অনেকে বলেছেন এগুলো বিশ্বাস যোগ্য নই।কিন্তু আমি বলব আসলে এগুলো সত্যি হাওয়ার সম্ভবনা বেশি।কেন বেশি আমি ব্যাখা করছি।
আমরা অনেক সময় অনেক রূপকথা পড়েছি আর আধুনিক কালে পড়ছি জাফর ইকবালের সাইন্স ফিকশন।আমি জানিনা আমরা কতটা মনোযোগ সহকারে পড়ি।আচ্ছা ‘হাট্টি মাটিম টিম’ কবিতাটি পড়িনি এমন কেউ খুজে পাওয়া যাবেনা মনে হয়।
আচ্ছা অদ্ভুত জন্তুটার কয় শিং ছিল?
উত্তর:দুই শিং
আবার গ্রিক মেথোলজির সাইক্লপস কিংবা হ্যারি র্পটারের ইউনিকর্ণ এর কয় শিং?
উত্তর:এক শিং
আমি বাজি ধরে বলতে পারি আমরা দুই আর এক শিং বাদে কোন অদ্ভুত প্রাণী খুজে পাবনা।কারণ মানুষ যা দেখে তার থেকেই কল্পনা করে।একারনে আমরা দুই আর এক শিং বাদে কোন অদ্ভুত প্রাণী কল্পনা করতে পারিনা কারণ আমাদের বাস্তবের কোন প্রাণীর এর চেয়ে বেশি শিং নেই।
এবার আপনি একটু চিন্তা করেন তাহলে বুঝতে পারবেন আসলে এটা সত্যি কথা।আর একটা কথা হল কোন চাক্ষুস ঘটনার বর্ণণা পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে প্রত্যক্ষর্দশীর ঘটনা সর্ম্পকে অজ্ঞতার কারণে।উদাহরণ দিচ্ছি আজ থেকে হাজার বছর আগের কোন মানুষকে যদি কেপ কেনেডি মহাকাশযান উত্তরণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয তাহলে মহাকাশযান উড্ডয়ণ এর ঘটনার আসল র্বণণা তার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।কারণ মহাকাশযান সর্ম্পকে তার অজ্ঞতা।
আসলে আমাদের পূর্বপূরুষদের সাথেও হযত এমনি কিছু একটা ঘটেছিল।আর একারণেই তারা ঘটনার বর্ণণা দিয়েছে অন্যরকম ভাবে।আমি আপনি যদি র্বণণাটা পড়ি তাহলে বুঝে পারব।মায়া পুরাণে বলা হয়েছে
“অবশেষে দেবতা চলে গেলেন তার রথে চড়ে।আর সে সময় আশ-পাশ প্রকম্পিত হল।আর দেবতার রথ করল অগ্নি উদগিরণ।“
আপনি ঘটনাটা চিন্তা করে দেথুন আপনার সামনে কিন্তু অন্য ছবি আসে তা হল একটি রকেটের উড্ডয়নের চিত্র এটি।
আর আমাদের পূর্বপূরুষরা আমাদের সামনে এমন সব ধাধা রেখে গেছেন তার উত্তর অনেকেই খোজার চেষ্টা করেছেন কিন্তু উত্তর নাই।
আসলে আমাদের পূর্বপূরুষরা এমন কিছু তথ্য জানত যা আমরা জেনেছি খুব আধুনিক কালে।যেমন ধবুণ আফ্রিকার “ডোগান” উপজাতির দেবতা হল “লুব্ধক” তারা।তাদের পুবানে আছে দেবতার নাকি এক
অদৃশ্য সঙ্গী আছে।মজার বিষয় কি জানেন সত্যি এই তারাটি একটি অদৃশ্য বস্তুকে ঘিরে ঘুরছে।একে বলে ব্ল্যাক ম্যাটার(black matter)।প্রশ্ন জাগে অতি আধুনিক কালে আবিষ্কৃত এই তথ্যটি তারা জানল কি করে???????????????
আজ আর একটা কথা বলে শেষ করব তাহল ফ্রান্স নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল পিরি রইসের কাছে কিছু অতি প্রাচীন ম্যাপ ছিল যাতে ইউরোপ ও আফ্রিকার কিছু অংশ দেখান হয়েছে।তিনি খুব অবাক হলেন আসলেই ম্যাপটি কত পুরানো জানার জন্য তিনি এর কার্বন টেষ্ট করান পুরা ছয় হাজার বছর পুরানো।
তবে এটা ঠিক প্রমাণিত হয় যে এই ম্যাপটি আসল থেকে নকল করা।আধুনিক কালেও এই ম্যাপ নিয়ে বিস্তর গবেষণা করে একটি মজার তথ্য বেরিয়ে এসেছে তা হল কোন মহাকাশযান থেকে যদি পৃথিবীর ছবি নেওয়া হয় তাহলে লেন্স থেকে যে জায়গা গুলো দুরে তার ছবি বেকে যায় অ্যাডমিরাল পিরি রইসের ম্যাপেও এই বাকা দাগ দেখা যায়।প্রশ্ন হল এই ম্যাপ এর আসল কপি তাহলে মহাকাশ থেকে তোলা কোন ছবি ছিল???????
এই প্রশ্নের আসল উত্তর আমরা এখন জানিনা তবে আশা করি আমাদের উত্তরপুরুষেরা হয়ত এই ধাধার উত্তর খুজে বের করবে।
র্নিঘন্ট:
গ্রহান্তরের প্রাণী-সেবা প্রকাশনী
দানিকেন এর ওযেব সাইট
সাদিক, কিছু একটা লেখার আগে ন্যূনতম চিন্তাভাবনা করে লিখছো তো? নাকি যা মনে আসছে তাই উগরে দিচ্ছো। বিবর্তন তত্ত্বকে কোন প্রমাণ দিয়ে "দূর্বল" করা হয়েছে? তার চেয়েও বড়ো কথা, যে তত্ত্ব বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত, সেটা নিয়ে বিতর্ক কিভাবে থাকে?
যদি সত্যিকার অর্থেই ঈশ্বর ধারণাকে তত্ত্ব বলে উল্লেখ করো, তাহলে বুঝতে হয় যে তত্ত্ব শব্দটাই তুমি বুঝো না। সুতরাং এখানেই ক্ষেমা দিলাম।
এভাবে ব্লগ লিখে নিজের স্বল্প জানা এবং ভুল জানাগুলোকে বার বার সবার সামনে না এনে, আগে পড়াশোনা করো। আলটপকা কথা একটা পর্যায়তক সবাই শুধরে দিবে কিন্তু তুমি নিজে সেটা গ্রাহ্য না করলে যারা পড়ছেন তাদের কাছে সেটা বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়াবে।
একটা ছোট্ট কথা আন্দালিব:
বিতর্ক সবসময়ই থাকবে। কোন প্রমাণই শেষ প্রমাণ নয়, যে তত্ত্বই হোক না কেন। এটাই ঈশ্বরবাদী আর নিরীশ্বরবাদীদের মধ্যে পার্থক্য। বিনা সংশয়ে কোন কিছু মেনে না নেয়া।
DRAWBACKS OF DARWIN'S THEORY
During nineteenth century, Darwin's theory of natural selection was widely accepted. But still it has following drawbacks:
* The origin of variation is not explained in his theory. He has not explained the Origin of Variations which is an important factor in the evolutionary process and has accepted it as natural occurrence.
* Sometimes survival of the fittest would not be possible because variations selected by nature may be harmful to the life of organism.
* Many times it is seen in nature that along with the misfits the fittest also become extinct in natural calamities. Besides, those which survive may not always remain fit. Thus, luck also seems to play an important role is survival.
* The presence of vestigial organs in animals is not explained in the Darwin's Theory.
* Darwin in the discussion of his theory has taken into account only the minute and fluctuating variations but has ignored the large visible and accidental variations i.e. mutations.
* Variations, found in the organisms considered to be the fittest are doubtful as they arise due to the effect of the environment. Because of this heredity is a matter of discussion, (dispute).
* Thus Darwinism is very reasonable but because of all these drawbacks it fails to explain the evolutionary process very clearly.
আন্দালিব ভাই একটু মিরায় নিবেন এর সাথে
উহুঁ, হইলোনা। মানলাম ডারউইন তত্ত্বের অনেক গলদ, পুরাটাই ভুল।
তা হলেও কি তোমার তত্ত্ব (বা যে তত্ত্ব এখানে হাজির করছো) ঠিক হয়ে যায়?
ডারউইনের তত্ত্বকে ভুল বা ঠিক প্রমাণ করবে বা আরো শুধরে নেবে (upgrade) বিজ্ঞান, শুধু বৈজ্ঞানিক নিরীক্ষা।
ঈশ্বরবাদের আলৌকিক তত্ত্বের সারময়তা প্রমাণ করতে কেন বিজ্ঞানের দ্বারস্থ হতে হবে ( যেমন বিগব্যাং) বা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিকে (যেমন ডারউইনের গবেষণা ) মিথ্যে হতে হবে?
আসল কথা হচ্ছে আমরা সত্যের পথে কি করে যাবো? প্রশ্ন করে, না বিনা প্রশ্নে?
এই শেষ প্রশ্নটির উত্তর যদি জানা থাকে তাহলে দিয়ে যেয়ো কাইন্ডলি।
আনন্দের সাথে এক তারা।
সাদিকের আচার আচরণে মুগ্ধতা প্রকাশ করে গেলাম।
ফাজলামি করার জন্য আর কোন যায়গা খুইজ্যা পাও না ভাই x-(
উত্তর পুরুষের অপেক্ষায় থাকো... শুভ কামনা
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
সিসিবিতে এ্যাগনোস্টিক বা সংশয়বাদীর সংখ্যা কয়জন জানার ইচ্ছা পোষন করলাম।
যারা এইসব পোস্ট পরে অতি হাই মোরালে ধার্মিক হয়ে যাবে।
লেখাটা পুরো পড়লাম না তবে লেখকের রেফারেন্সে উল্লেখিত এরিখ ফন দানিকেন(যাঁর কাছ থেকে উপরোক্ত কনসেপ্টটি ধার করা) সম্পর্কে উইকিপিডিয়ায় পাইঃ
Däniken's run-ins with the law started at an early age. In the 1960s, while working in hotels and restaurants across Switzerland, he was convicted of fraud, serving a prison sentence for defrauding his boss at one hotel. In 1967, soon after Chariots of the Gods? was published he was arrested and charged by Interpol with fraud and tax evasion for non-payment of GB£7,000. During the investigation, authorities uncovered a large personal debt totaling about GB£350,000. Däniken was found guilty of embezzlement, and served more than three years in Swiss prisons.
উকিপিডিয়াতে আরো পাই,প্রাচীনকালে উন্নত সভ্যতা কর্তৃক পৃথিবীতে আগমন সম্পর্কে দানিকেন প্রমান হিসেবে দিল্লীতে অবস্থিত একটি লোহার পিলারের কথা উল্লেখ করেছেন।এ সম্পর্কে পাইঃ
Däniken claimed that a non-rusting iron pillar in India was evidence of extraterrestrial influence. Later, Däniken admitted in a Playboy interview that the pillar was actually rusty and man-made, and that as far as supporting his hypotheses goes "we can forget about this iron thing."[
(এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়,১৯৯৭ সালে ভারত ভ্রমনের সময় এই লোহার পিলারটি আমি নিজে দেখেছি এবং স্পর্শও করেছি।অনেকে এটাকে বলেন ইচ্ছাপূরণ পিলার,দু হাত উলটো করে এই পিলারের গা ঘেঁষে ঘুরিয়ে যদি হাত স্পর্শ করা যায় তাহলে নাকি ইচ্ছা পূরণ হয়।বলাই বাহুল্য,আমার হাত অপেক্ষাকৃত লম্বা হবার কারণে আমি তা পেরেছিলাম,এবং আমার তৎকালীন ইচ্ছে(ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়া) সত্যি সত্যিই পূরণ হয়েছিলো 😮 )
নগ্ন নারীদেহের ছবিসম্বলিত প্লেবয় ম্যাগাজিনে ইন্টারভিউ প্রদানকারী(আমার সমস্যা নেই অবশ্য) দানিকেনের আজগুবি এবং বানোয়াট তথ্য যে আমাদের ধর্মপ্রাণ লেখককে বেশ উজ্জীবিত করছে তা বোঝাই যাচ্ছে।
লেখাটি স্টিকি করা হোক-সিসিবিতে রম্য পোস্ট দীর্ঘদিন ধরে আসছেনা...
আরে আমিও তো অই পিলারে নাগাল পাইসিলাম হাতের।
নিশ্চয়ই কুতব মিনার চত্বরের পিলারটির কথা বলছো তুমি!
......
আমারো নাই.... 😀
😮 নূপুরদা!!!!!! আপনিও??!!!!! 😮
ওই মিয়া বৌদির ইমেল এড্রেসটা শিজ্ঞিরি দ্যান-বৌদির সাথে আপনের বিষয়ে আমার জরুরী আলাপ আছে...আপনের চরিত্র দিন দিন ধুতুরা ফুলের মত হয়া যাইতেছে...ইট্টূ আগে ইরোটি থুক্কু ইরোইক পোস্ট দিলেন,তারো আগে প্রেমিকা এবং সুন্দরী সেক্রেটারি দুইজনরে নিয়া আমাদের ধন্ধে ফেললেন,এখন কইতেছেন কি সব ম্যাগাজিনে আপনের নাকি সমিস্যা নাই... 😮 😮 এ তো দেখছি ঘোর কলিকাল- ইয়ে মানে,আপনেই আবার লেখকের উল্লেখিত দাজ্জাল না তো?? 😮 😮 আমি তো ভূঈ পাঈতেছী 😕
😀 😀 😀
দেশে গেলে আবার অ্যারেস্ট করবা না তো?
বৌদির ইমেইল কি হাচাই দিতে হইবো নাকি...
🙁 🙁
😛 নাহ মাপ কৈরা দিলাম,দেশে আইসা আমারে পুরান ঢাকার বিউটি হোটেলে এক গেলাস লেবুর শরবত খাওয়াই দিয়েন 😀
চিয়ার্স!
মাসরুফ ভাই আপনপর সর্ম্পকে আমার ধারণা ছিল আপনি সব বাজিয়ে দেখেন ভাই কিন্তু আপনিও সবার মত কথা বললেন ভাই দানিকেন যা বলেছেন তার ব্যাখা সে নিজের মত কের দিয়েছে এটা একজনের নিজস্ব ব্যাপার আর মানুষ কি করছে তা দিয়ে তার চিন্তা-ভাবনা বিচার শুধু আমরাই বোধ হয় করি।
আমি যে ম্যাপটা দিয়েছি তা হল পীরি রাইমের ম্যাপ আপনি নিজে এর সর্ম্পকে একটু পড়াশোনা করেন তাহলে বুঝতে পারবেন।
আর ভাই মানুষ এর কথা কেন বিম্বাস করবেন নিজে চিন্তা করুন না
ভাই সাদিক,
রাম ছাগলের মত খালি ব্যা ব্যা করলেই চলবে? তুমি
দানিকেনের রেফারেন্স দিছো-সেইটা বাজিয়ে দেখেই কিন্তু উপরোক্ত তথ্যগুলো চলে আসলো।দানিকেন সম্পর্কে পড়াশোনা করার পরেই কিন্তু এই চমকপ্রদ তথ্যগুলো জানা গেলো-১) সে একজন জেলখাটা জালিয়াত এবং ২) তার দাবীর পেছনে যেই প্রমানের কথা সে বলছে সেই প্রমাণটা যে মিথ্যা তা সে নিজেই স্বীকার করছে।এইরকম একজন মানুষের রেফারেন্স দিয়া তুমি যা দাবী করলা(এইটা আসলে তোমার দাবী না, দানিকেন সাহেবের দ্বারা জনপ্রিয়কৃত এনশিয়েন্ট এস্ট্রোনাট হাইপোথিসিস ) সেইটা মাইনা নিতে হবে কেন আমারে একটু বুঝাও তো? তুমি একটা রেফারেন্স দিছো,সেই রেফারেন্স ঘাঁটাঘাটি করার পর আমি দেখাইলাম কেন এই রেফারেন্সটা কোন অকাট্য প্রমাণ হইতে পারেনা।ঠিক একইভাবে তুমি অর্থনীতি সম্পর্কে,সিআরপিসি সম্পর্কে উদাহরণ দিছো-আমি প্রত্যেকটা বাজিয়ে দেখে তারপরেই মন্তব্য করেছি।এর পরেও ঠিক কোন যুক্তিতে তোমার মনে হইতেছে যে আমি নিজে চিন্তা না করে মানুষের কথা বিশ্বাস করতেছি তা একটু বল তো?
আমাকে সহ সিসিবির প্রায় প্রত্যেকটা মানুষকে বিরক্তির শেষ সীমায় নিয়ে যাচ্ছে তোমার এইসব কথাবার্তা সেইটা কি তুমি বুঝতেছো? রেকর্ডসংখ্যক ২০+ টা একতারা পরার পরেও তা যদি তোমারে বুঝায়ে দিতে হয় এর মানে হচ্ছে চক্ষুলজ্জা তো তোমার নাই-ই,দাজ্জালের তো এক চোখ আছে তোমার সেইটাও আছে কিনা তা নিয়া আমি সন্দেহ পোষণ করি।
সাদিক-এর প্রতিঃপ্রয়োজনের তুলনায় কিছুটা বেশি কর্কশ আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।ভাই সাদিক-তুমি যে বার বার ভুল রেফারেন্সে ভুল তথ্য দিচ্ছ এবং দেখিয়ে দেওয়ার পরেও সেইটা নিয়ে চিন্তা করছনা এই ব্যাপারটা খুবই আশঙ্কাজনক।আমরা সবাই-ই জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্ব/কথাবার্তা দ্বারা প্রভাবিত হই।এই প্রভাব যদি সুপ্রভাব হয় তাহলে দোষের কিছু নেই কিন্তু এই যে তোমাকে বার বার দেখিয়ে দেবার পরেও তুমি পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা করছনা-এইটা অবশ্যই কুপ্রভাব।এইখানে আমি এবং অন্য অনেকেই তোমাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করেছেন,আমি সম্ভবত সবচেয়ে বেশি কর্কশ হয়েছি।এইটুকু বলতে পারি,তোমার মঙ্গল ছাড়া একবিন্দু অমঙ্গল কামনাও আমাদের কারো উদ্দেশ্য না।
তোমার কলেজের বড়ভাই হিসেবে আমি তোমার কাছে মিনতি করছি-ঠান্ডা মাথায় আমি যেগুলো বললাম চিন্তা কর।বার বার ভুল ধরিয়ে দেবার পরেও অন্যকে উপদেশ না দিয়ে নিজের দিকে কষ্ট করে একটু তাকাও।আত্মসমালোচনা সব সময়েই কঠিন,কিন্তু যত তাড়াতাড়ি তা করা যায় ভবিষ্যতের জন্যে তা ততই মঙ্গলকর।
শুভকামনা তোমার জন্যে।
এত খারাপ কথা বলিস কি করে?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ঐশ্বরিক তত্ত্ব ও র্বিবতনবাদ তত্ত্ব দিয়ে শুরু হলেও গ্রহান্তর তত্ত্ব চলে এলো দেখছি,
না কি ঈশ্বরের ভিনগ্রহ হতে আগমন তত্ত্ব। আমি হয়তো মিস করে গেছি পয়েন্ট টা।
'দেবতারা কি গ্রহান্তরের মানুষ' পড়ে ছোটবেলায় কি যে থ্রিল্ড হয়েছিলাম!
দজ্জাল, সাদিকের পরের পর্ব কোথায়? আগ্রহ ভরে অপেক্ষা করছি।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
দুঃখিত,ভুল হয়ে গেছে। 🙁
জন্যঃ দজ্জাল, সাদিকের পরের পর্ব কোথায়?
পড়ুনঃ সাদিক, দজ্জালের পরের পর্ব কোথায়?
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
উপরেরটাই ঠিকাছে =))
🙂 =))
:)) 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
=)) =))
পড়াশোনা করছি গভীর ভাবে এ ব্যাপারে...........
sadik, please cut this crap . maan somman thuili na r ~x( :bash:
চরম যুক্তি। কিন্তু হাট্টিমাটিম টিম পুরোটা পড়ে একটু ধাঁধাঁয় পড়ে গেলাম। কারণ,
" হাট্টিমাটিম টিম
তারা মাঠে পাড়ে ডিম
তাদের খাড়া দুটি শিং..."
খাড়া শিং আছে কিন্তু মাঠে ডিম পাড়ে এমন কোন প্রাণী আমি দেখি নাই। কেউ দেখছে এমনও শুনি নাই। এমন কিছু কোথায় দেখা গেছে জানতে মঞ্চায়।
"এখন অনেক রাত/ খোলা আকাশের নিচে/ জীবনের অনেক আয়োজন/ আমায় ডেকেছে/ তাই আমি বসে আছি/ দরজার ওপাশে"
লাইন গুলো নিয়া ভাবতেসি। এক লোক খোলা আকাশের নিচে বইসা আছে অনেক রাতে। "জীবন" এখানে রূপক অর্থে ভিনগ্রহের জীবন । ওরা ডেকেছে মানে সম্মোহন করেছে। আর তার ফল আমি মহাকাশযানের দরজার ওপাশে। মানে ওরে ধইরা নিয়ে গেছে।
ভাগ্যিস এই কথাগুলো পুরাণে লিখা নাই।
বিকল্প আরেকটা জিনিসও মাথায় আসে। মডুর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। রাতে খোলা আকাশের নীচে বসে থাকা এক লোকেরে প্রকৃতি ভীষণভাবে ডেকে উঠছে। তাই তিনি দরজার ওপাশে মানে টয়লেটে...।
মাথা চুলকাইতাসে রুপকে রুপকে দুনিয়া সয়লাম।
আমিন পুলাটারে ছাইড়া দেও মিঞা ... পুরা যাতাকলে চাপতেসো ... এট্টু না হয় হাই যিল দেখাইলৈ ...
মাথা চুলকাইতাসে রুপকে রুপকে দুনিয়া সয়লাম।
ইডা কি কইলেন ভাই =))
কানাডা আসার পথে দুবাইয়ে বাচ্চু ভাইয়ের সাথে কিছুক্ষণ কথা হইছিলো।তখন এই রূপক উনারে ধরায়ে দিতে পারলে উনিও নিশ্চয় ধেই ধেই কইরা নাচতেন আর কইতেন, '' সাবাস বাচ্চু, তুই কী গাইলি?"
আপসুস তখন রূপকময় দুনিয়াটা আবিষ্কার করতে পারি নাই 🙁
ভাই আপনি হয়ত জানেন না "গিলগামেস" হল এক প্রাচীন লেখক।তার লেখায় ঠিক এধরনের বর্ণণা আসছে আর আমি এই যুক্তি এ কারণেই দেখিযেছিলাম যে আমরা যাই লিখিনা কেন তার মধ্যে বাস্তবের একটা প্রভাব থাকে।ভাই আমি তো ক্যাডেট ছিলাম তাদের ব্যাপার স্যাপার আমার জানা আছে
তোমার অবগতির জন্য জানান যাচ্ছে,
গিলগামেশ কোন প্রাচীন লেখক না- এইটা একটা রাজার নাম এবং তাকে নিয়ে লেখা বীরগাঁথা পৃথিবীর প্রাচীনতম সাহিত্যের অন্যতম।
ক্যাডেট পরিচয় দিয়া এখনো পর্যন্ত নিজের "জানাশোনার" যেই নমুনা তুমি দেখায়ে যাচ্ছো তাতে ইতোমধ্যেই তোমার কলেজ ভাই হিসেবে আমি খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে আছি- এইবার থামলে ভালো লাগে।
ভাই, আপনি কি বিগ ব্যং পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানেন? ব্যরিওযেনেসিস, কিংবা প্লাঙ্ক টাইম জাতীয় টেকনিকাল টার্ম সম্পর্কে না জেনে কিভাবে আপনি আপনার আল্লাকে এর মধ্যে ঢুকিয়ে দিলেন? পরের পোস্ট এ হয়ত বা বলবেন, দজ্জাল আন্টিপার্টিক্যাল খেয়ে আমাদের পার্টিক্যাল জগত তৈরী করেছে.........
দুনিয়ার কত কিছুই জানা বাকি......... :-/
আপনি পোস্ট দিতে থাকুন, পড়তে কিন্তু খারাপ লাগে না :goragori:
🙁 পড়তে আরো ভালো লাগত যদি মৌলিক হইতো।এই পোস্টের কাহিনী আমি কেলাস সেভেনে এরিক ফন দানিকেনের একটা বইয়ের বঙ্গানুবাদে পড়ছি।আমি এবং লেখন যেহেতু একই কলেজের ছাত্র কাজেই সেইম বই বংশানুক্রমে দুইজনের পড়া হইলেও অবাক হমুনা।মুশকিল হইলো এর পর একে একে পেরিয়ে গেছে ১৩ টি বছর...বেচারা ওই সেভেনেই আটকায়ে রইছে 🙁
ইয়ে মানে বস, এক কলেজের ছাত্র হইলেও কি হইছে, বৃক্ষের মধ্যেও তো অনেক গোত্র-বর্ণ-প্রজাতি আছে, তাই নে? :grr: 😛
সহমত 😛 =))
x-( x-(
ভাই সাকিব তুমি মনে হয় ফিজিক্সের ছাত্র তোমাকে বলি কোন কিছু বলার আগে নিজে সে ব্যাপারে জান,বোঝ,চিন্তা কর।
সবারমত যদি একই ভাবে চিন্তা কর তাহলে তোমার মুক্ত বুদ্ধির কোন ব্যবহার হলনা।আর হকিংসের ঐ বইটা ভাল করে পড়বে আর খুব ভাল করে চিন্তা করবে।
১) হকিন্সের রেফারেন্স দেয়ার সময় খুব খিয়াল কইরা(১), তার কথা বিশ্বাস করলে কিন্তু তুমি ধরা খাবা তার কারণ হইতেছে এই।
২) তুমি সাকিবরে (এবং একটু আগে আমাকেও) উপদেশ দিলাঃ
কোন কিছু বলার আগে নিজে সে ব্যাপারে জান,বোঝ,চিন্তা কর।
বড়ভাই হিসেবে তোমারে একটা ফ্রি প্রবাদ মনে করায় দেইঃ
"আপনি আচরি ধর্ম পরকে শিখাও"
(খিয়াল কইরা(২)- এই ধর্ম সেই ধর্ম না 😀 )
মজা টা এখানেই! আমি ফিজিক্স এর ছাত্র না, এই সামান্য জ্ঞানের জন্য ফিজিক্স এর ছাত্র হওয়া লাগে না। হকিন্সের বই ও আমি পড়েছি, আপনি এই বই'র মাঝে কোথায় "মুক্তবুদ্ধি"র হদিস পেলেন তাও বুঝতে পারলাম না। আপনার প্রতি অনুরোধ থাকল, আপনার যে ভুল ধারনাটি রয়েছে যে, ফিজিক্স এর ছাত্র ছাড়া ফিজিক্স বোঝা যায় না, সেটা পরিহার করে আপনিও কিছু পড়াশনা করুন, মাথা ঠান্ডা করে বোঝার চেস্টা করুন, আর কথায় কথায় বিজ্ঞানের মাঝে আপনার আল্লাকে আনা বাদ দিন। এম্নিতেই জোকার নায়েকরা লোক হাসিয়ে মান ইজ্জত ডুবিয়েছে, দয়া করে ঐ পথে যাবেন না।
দানিকেন এর বই সম্ভবত সব ক্যাডেট কলেজেই আছে, আমার হাতেও ক্লাস সেভেন এ একটা পড়েছিল, নাম সম্ভবত "সাক্ষ্য সিন্দুক" টাইপ কিছু। যাই হোক, আপনি এই ধড়িবাজ লোকের বই দিয়ে কিভাবে আপনার ঐশ্বরিক তত্ব প্রমান করতে চাইলেন তা বুঝলাম না। শত শত বছর আগে আল্লা খামাখা রকেট পাঠান, আর সিডর আইলার পর দুইটা ত্রাণবাহী হেলিকপ্টার পাঠাতে পারেন না, চিন্তার বিষয় না?????
লাস্ট লাইনটার জন্য হাজার হাজা্র প্লাস...উত্তম জাঝা 😀
তোরা দেখি আমারে পুরা নাস্তিক বানাইয়া দিবি। না সি সি ব্লগে সাবধানে আস্তে হবে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এই পোস্ট-এর কমেন্টগুলা , বিশেষ করে লেখক-এর উত্তর-গুলা....নির্ভেজাল আনন্দের উৎস =))
ভাই আমি কিন্তু দানিকেনের সব কাহিনী জানি ভাই এই পোষ্টের কারণ ছিল আসলে আমি বোঝতে চেয়েছি যে মানুষ এর চিন্তা আর কল্পনা বাস্তব দ্বারা প্রভাবিত আসলে আমরা যা কিছু লিখি নিজের কল্পনা থেকে তার মধ্য বাস্তবের ছোয়া থাকে।
কোন কিছু লেখার সময় তার "সব" কাহিনী কিরকম জানো তা তোমার "গিলগামেশ একজন প্রাচীন লেখক" এই অমৃতবানী থেকেই বুঝা যাইতেছে(উপরে গিলগামেশ সংক্রান্ত আমার মন্তব্য দ্রষ্টব্য)।আর "বাস্তবের ছোঁয়া" থাকে বলতে কি বুঝাইতে চাইতেছো? "লর্ড অফ দা রিংস" বা "পার্সি জ্যাকসন এ্যান্ড দা লাইটনিং থিফ" টাইপের পিউর ফ্যান্টাসিগুলোতে অনেক অদ্ভুত অদ্ভুত জন্তুজানোয়ারের কল্পনা করা হইছে-তার মানে এদের প্রত্যেকের মধ্যেই বাস্তবের ছোঁয়া আছে? আমাদেরকেও এইসব গল্প-কাহিনী পড়ে সেই কারণে তা বিশ্বাস করে সেইগুলা থেকে সিদ্ধান্তে আসতে হবে যে এই জীবজানোয়ারের কিছু কিছু বাস্তব? "সাদিক এর প্রতি" লিখে তোমাকে উপরে কিছু কথা বলছিলাম,কষ্ট করে আবার একটু দেখে নিও।
গুড ... মানলাম বাস্তব এর ছোঁয়া থাকে ....হমম ...চোর বাটপার রচিত সাহিত্য কর্মের বাস্তবতা চিন্তা কইরা হাসতে হাসতে পিরা গেলাম =))
এই লেখক আমার প্রিয় লেখকে পরিণত হয়েছেন। তার তিনটা লেখা আমার প্রিয়তে চলে আসছে। ভানুর পর কেউ আমারে এত হাসাইতে পারে নাই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ