বেসরকারী টিভি চ্যানেল এনটিভির “আপনার জিজ্ঞাসা” অনুষ্ঠানের আলোচক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মানুষের ইসলাম সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাব দিয়ে ধার্মিক মহলে বেশ জনপ্রিয় হয়েছেন তিনি। মাওলানাকে আমিও চিনেছি এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই। গত কয়েকদিন আগে বিভিন্ন মানুষের কাছে এই মাওলানা সম্পর্কিত স্তুতি বাক্য শুনে আমার ইচ্ছে হলো, তার সম্পর্কে একটু খোঁজ খবর নেবার। যেহেতু তার দাঁড়ি আছে এবং বয়স দেখলে বোঝা যায় মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি যুবক ছিলেন তাই খোঁজখবর নেওয়া মানে হলো, তিনি রাজাকার বা এই জাতীয় কোন কিছুর সাথে জড়িত ছিলেন কিনা, স্বাধীনতা যুদ্ধের তার ভূমিকা কী ছিল সে সম্পর্কে জানা। জানার উদ্দেশ্যে আমি বিভিন্ন মানুষকে মেইল দেওয়া শুরু করি। মেইলা মেইলি শেষ হঠাৎ মনে হয়, কী নির্বোধ আমি গুগলকেই জিজ্ঞেস করা হয়নি। তারপর গুগলে মাওনালা আবুল কালাম আজাদ রাজাকার লিখে সার্চ দিতেই বের হয়ে এলো অসংখ্য তথ্য।
লেখা শুরুর আগে একটা ঘটনা বলি। এবারের রোজায় আইইউটির ইসলামী স্ট্যাডিজ সোসাইটির উদ্যোগে এক ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। ইফতার পার্টির আগের দিন দুপুরে স্পন্সর হিসেবে ওয়ামি (WAMY) এর নাম জানতে পেরে আমি, আমার কয়েকজন সহপাঠী ও জুনিয়র মিলে নেট থেকে এবং পরিচিত কয়েকজনকে ফোন দিয়ে এদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করি। সব তথ্যগুলো এক করে রাতে এই মর্মে পোস্টার লেখা লেখা হয়, ওয়ামি একটি মুসলিম টেররিস্ট ফান্ডিং গ্রুপ। মধ্যপ্রাচ্যের এই ইয়ুথ অর্গানাইজেশন বিশ্বের বিভিন্ন টেররিস্ট ফ্যানাটিক গ্রুপকে সরাসরি অর্থ সাহায্য প্রদান করে থাকে। এছাড়াও বাংলাদেশ ইসলামী শিবিরের সাথে তাদের চমৎকার সুসম্পর্ক বিদ্যমান [[সূত্রঃ শেষ প্যারা]]। ওয়ামির উত্তরার অফিসে শিবিরের বিভিন্ন মিটিং হয়ে থাকে, এছাড়াও যেসব জায়গায় শিবির নিজ নামে প্রবেশ করতে পারেনা সেসব জায়গায় মূলত তারা ওয়ামির ব্যানার ব্যবহার করে থাকে।
আমাদের এই পোস্টারিং এ বিব্রত ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা (পড়ুন শিবিরপ্রাণ) প্রচার চালায়, আমরা মূলত ইসলাম ধ্বংসের জন্য এই পোস্টারিং করেছি। আমাদের সকল তথ্যই ভুয়া। তথ্যগুলো ইন্টারনেটে ইহুদি- খ্রিস্টানদের সাইট থেকে কপি করা, যাদের একমাত্র কাজ হলো এইসব ভুয়া তথ্য প্রচার করে শান্তির ধর্ম ইসলামের সেবাদানকারী একটি প্রতিষ্ঠানের মুখে কালিমা লেপন করা।
এই ঘটনা এখানে বলার মূল উদ্দেশ্য হলো, মাওলানা আবুল কালাম আজাদকে নিয়ে লেখা এই প্রবন্ধ অনেকেরই ভালো লাগবেনা। যেহেতু লেখাটির প্রধান সূত্র ইন্টারনেটের বিভিন্ন পেপার পত্রিকা, মূলধারার বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন ভার্সন, ব্লগ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ফোরাম, অনেকেই তাই তথ্যগুলোকে ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যা দিয়ে বাতিল করে দিবেন। তারা বাদে বাকি সবার উদ্দেশ্যে বলছি তথ্যগুলো নেট থেকে গ্রহণ করা হলেও, যতদূর সম্ভব অনান্য সুত্রের সাথে যাচাই করে দেখা হয়েছে, অতিরঞ্জিত ব্যাপারগুলো বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে, সর্বোপরি পাঠকের জানার সুবিধার্থে মূল লিংকটি সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে, এছাড়া বইয়ের পৃষ্ঠা, মামলা নং ও উল্লেখিত হয়েছে।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের বড় খাড়দিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ তার এলাকায় পরিচিত “খাড়দিয়ার বাচ্চু” নামে। দরিদ্র পরিবারে বড় হওয়া বাচ্চু মাদ্রাসা শিক্ষা শেষ ভর্তি হন ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে। বাকপটুতার কারণে কলেজে সহজেই পরিচিতি পেয়ে যান বাচ্চু। কলেজে থাকাকালীন সময়েই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। পাকি সেনাদের সাথে সখ্যতা গড়ে বাচ্চু কবজা করেন প্রচুর অস্ত্র, গোলাবারুদ। এই গোলাবারুদ, অস্ত্র নিয়ে তিনি খাড়দিয়ায় তৈরি করেন নিজস্ব এক মিলিটারি বাহিনী। গ্রামের প্রায় শতাধিক যুবককে নিয়ে তৈরি এই মিলিটারি বাহিনী স্থানীয়দের কাছে পরিচিত ছিল, “খাড়দিয়ার মেলিটারি” নামে। পাক- বাহিনীর দোসর এই বাহিনী খাড়দিয়ার আশে পাশের প্রায় ৫০ গ্রাম জনপদে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে চালিয়েছিল তান্ডবলীলা। স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, এই বাচ্চু ও তার বাহিনী একাত্তরে নৃসংশ ভাবে হত্যা করে হাসামদিয়ার হরিপদ সাহা, সুরেশ পোদ্দার, মল্লিক চক্রবর্তী, সুবল কয়াল, শরৎ সাহা, শ্রীনগরের প্রবীর সাহা, যতীন্দ্রনাথ সাহা, জিন্নাত আলী ব্যাপারী, ময়েনদিয়ার শান্তিরাম বিশ্বাস, কলারনের সুধাংশু রায়, মাঝারদিয়ার মাহাদেবের মা, পুরুরার জ্ঞানেন, মাধব, কালিনগরের জীবন ডাক্তার, ফুলবাড়িয়ার চিত্তরঞ্জন দাস, ওয়াহেদ মোল্লা, দয়াল, মোতালেবের মা, যবদুল, বাদল নাথ, আস্তানার দরবেশ সহ বিভিন্ন জনপদের প্রায় শতাধিক মানুষকে। [[১]]
ফতোয়া সম্পর্কিত হাইকোর্টের যুগান্তকারী রায়ের রিরুদ্ধে লিভ আবেদন কারী ও বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ বাচ্চুর বর্তমান অবস্থা দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন, নগরকান্দা উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের নতিবদিয়া গ্রামের শোভা রানী বিশ্বাস। একাত্তরে তিনি এই আবুল কালাম আজাদের কাছে হয়েছিলেন ধর্ষিত। এ গ্রামেরই নগেন বিশ্বাসের স্ত্রী দেবী বিশ্বাসেরও সম্ভ্রম লুটেছিলেন বাচ্চু। নতিবদিয়ার প্রবীন দুই মৎস্যজীবি নকুল সরদার ও রঘুনাথ দত্ত ২০০০ সালে প্রকাশিত জনকন্ঠের “তুই রাজাকার” শীর্ষক ধারাবাহিক রিপোর্টের রিপোর্টার প্রবীর সিকদারকে জানান [[২]], লুটপাট- হামলা না করার শর্তে আমরা চাঁদা তুলে বাচ্চুকে দু’হাজার চার শ’ টাকা দিয়েছিলাম। তারপরও সে লুটপাট করেছে, গ্রামের দুই নববধূর ইজ্জত হরণ করেছে। পুরুরা গ্রামের জ্ঞানেন জীবন বাঁচাতে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে কচুরিপানার নীচে আশ্রয় নিয়েছিল। বাচ্চু সেখানেই তাকে নৃসংশ ভাবে হত্যা করে। বাচ্চুর রাইফেলের গুলিতে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারান ফরিদপুরের ফুলবাড়িয়ার চিত্তরঞ্জন দাস। সেদিন তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী জ্যোৎস্না পালিয়ে রক্ষা পেলেও একাত্তরে বিনা চিকিৎসায় মারা যায় তার তিন শিশু সন্তান। স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘদিন জ্যোৎস্না শুধু তার স্বামী হন্তারকের বিচার চেয়েছিলেন মনে মনে। অবশেষে এ বছর ৩ মে জ্যোৎস্না রানী দাস রাজাকার মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ও তার শ্যালক মোহাম্মদ কাজীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলা করেন। [[৩]]
এছাড়াও ২০ এপ্রিল সালথার পুরুরা গ্রামের ভক্ত রঞ্জন বিশ্বাস (৬৫) মাওলানার নামে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে [[৪]]। মাওলানা ছাড়াও তার শ্যালক মোহাম্মদ কাজীসহ অজ্ঞাত আরও ১০/ ১২ জনকে আসামী করে দায়ের করা এই মামলার আদালত ও এজহার সূত্রে বাদী পক্ষ থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালের পহেলা জ্যৈষ্ঠ দুপুর ১টায় জেলার সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের পুররা নমপাড়া গ্রামে আবুল কালাম আজাদ ও তার শ্যালক মোহাম্মদ কাজীসহ ১০/১২ রাজাকার সশস্ত্র অবস্থায় বাড়ি ঘেরাও করে। এ সময় তার বাবা মাধব চন্দ্র বিশ্বাস পালাতে গেলে আবুল কালাম আজাদ তার হাতে থাকা রাইফেল দিয়ে গুলি করে তাকে হত্যা করে। মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, ঘটনার দিন মাধব চন্দ্রের বাড়িতে আসা (আত্মীয়) জ্ঞানান্দি বিশ্বাসকে আবুল কালাম আজাদ, শ্যালক মোহাম্মদ কাজী ও তার সঙ্গীরা নিষ্ঠুরভাবে গুলি করে হত্যা করে। পরে তারা তার প্রতিবেশী মন্টু বকসির বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে চলে যায়। মামলায় বলা হয়, আসামিরা মাধব চন্দ্র বিশ্বাস, জ্ঞানান্দি বিশ্বাসকে হত্যা করা ছাড়াও নগরকান্দার ওহাব সরদার, মো. টুকু মোল্লা, কাঞ্চুন ফকির, আ. আদম মোল্লা, আ. হাচেন মিয়াসহ বহু মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আসামিরা মুক্তিযোদ্ধা চলাকালে পাক হানাদারদের সঙ্গে আঁতাত করে এলাকার মুক্তিবাহিনী ও নারীদের ধরে পাক সেনাদের কাছে তুলে দিতো। পরে জেলা জুডিশিয়াল কোর্টের প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক মোতাহারাত আক্তার ভূইয়া সালথা থানাকে মামলা হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন।
সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম এর দেওয়া ৫০ যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় ৪২ নম্বরে থাকা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ সম্পর্কে ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ ক্যাপ্টেন বাবুল সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘বাচ্চু রাজাকার ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে পাকবাহিনীর কাছে ধরিয়ে দিয়েছে এবং আর্মি ক্যাম্পে গিয়ে বন্দিদের মধ্য থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের শনাক্ত করেছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে মেয়েদের ধরে এনে বাচ্চু রাজাকার পাক সেনাদের ক্যাম্পে সাপ্লাই দিত। ’৭১ সালের মাঝামাঝি সময়ে আমি মুক্তিযোদ্ধাদের বড় একটি দল নিয়ে ফরিদপুর শহরে প্রবেশের পথে বাচ্চু রাজাকারের বাহিনীর বাধার সম্মুখীন হয়েছিলাম, যদিও তাদের পরাস্ত্র করে আমরা শহরে ঢুকে পড়ি। ’৭১ সালের আনুমানিক ২ মে পাকবাহিনী ফরিদপুরের হাসামদিয়া ও ময়েনদিয়া গ্রামে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এ সময় তাদের প্রধান দোসর হিসেবে বাচ্চু রাজাকার তাদের সঙ্গে ছিল এবং সে নিজে চারজন নিরীহ গ্রামবাসীকে হাত বাঁধা অবস্থায় গুলি করে হত্যা করে। [[৫]]
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে মাওলানা আবুল কালাম আজাদের স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকার প্রত্যক্ষদর্শী জেলা বোয়ালমারীর কালিনগরের মুক্তিযোদ্ধা মো. ইদ্রিস ফকির জানান, ’৭১ সালে জুলাই মাসের শেষদিকে বাচ্চু রাজাকারের (আবুল কালাম আজাদ) নেতৃত্বে বোয়ালমারী ডহরনগর এলাকার বাবুবাড়ীর সুধাংশ বাবু ও তার পরিবারের সদস্যদের গুলি চালিয়ে হত্যা এবং তাদের বাড়ি লুটপাট করে। তিনি বলেন, সেদিন তারা (আবুল কালাম আজাদ) বাবুবাড়ীতে হত্যাকা- চালিয়ে ডহরনগর এলাকার সাব-রেজিস্ট্রার অখিল চন্দ্রের বাড়িতে গিয়ে জীবন চক্রবর্তীকে ধরে এনে রূপাপাত বাজারের হারান সাহার দোকানের সামনে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। [[৬]]
মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম আবু ইউসুফ সিদ্দিকী জানান, আমি পাকবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে ফরিদপুর স্টেডিয়ামের পাশে বন্দিশিবিরে আটকা পড়ি। তিনি বলেন, আমি দেখেছি বাচ্চু রাজাকার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী-পুরুষ এনে পাক সেনাদের হাতে তুলে দিতো। তিনি জানান, বাচ্চু পাক দোসরদের সঙ্গে বন্দিশিবিরের আটককৃতদের নির্যাতন করতো। আমি একদিন বাচ্চুর এ কাজের প্রতিবাদ করলে সে আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালায়।
ফরিদপুরের মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজ জানান, বাচ্চু রাজাকার জেলার নগরকান্দা, সালথা ও বোয়ালমারী অঞ্চলে রাজাকার আলবদর বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিল। সে (বাচ্চু) মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এনে পাক সেনাদের হাতে তুলে দিতো।
ফরিদপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাস্টার জানান, ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বরের পর দীর্ঘদিন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিল বাচ্চু রাজাকার। তিনি বলেন, রাজাকার আবুল কালাম আজাদ দেশ স্বাধীনের পর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে দীর্ঘদিন হাজতবাস করেছে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন নগরকান্দা এলাকার কমান্ডার আলতাফ হোসেন জানান, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজাকার বাচ্চু পাকিস্তানি হানাদারদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করে। সে এলাকায় সশস্ত্র রাজাকার বাহিনী গড়ে তুলে ফরিদপুর, নগরকান্দা ও বোয়ালমারীতে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালায়। তার বাহিনীকে এলাকার মানুষ ‘খাড়দিয়ার মিরিটারি’ নামে চিনতেন।’ তিনি আরো বলেন,‘৭১ সালে আমি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ৩ বার তাকে ধরার জন্য হানা দেই। কিন্তু রাজাকার বাচ্চু তার শ্বশুর চাঁন কাজীর বাড়িতে পালিয়ে যাওয়ায় প্রতিবারই জানে বেঁচে যায়।’
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে মুক্তিযুদ্ধে চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত হবার পরএলাকা থেকে পালিয়ে যান বাচ্চু। আবু সাঈদ খান প্রণীত ‘মুক্তিযুদ্ধে ফরিদপুর’ গ্রন্থের ১৬৯-১৭০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানায় ’৭২ সালে দালাল আইনে যে মামলা হয়েছিল তার নম্বর-১৯ ও ২০, তারিখ ২৩/৩/৭২, ধারা। এই মামলার কারণে পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতার করে হাজতে ঢোকানো হয়। কিন্তু পঁচাত্তর পরবর্তী রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে জেল থেকে ছাড়া পান বাচ্চু। জেল থেকে বের হয়ে তিনি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ নাম নিয়ে নতুন জীবন শুরু করেন। স্বাধীনতার সময় লুট করা কোটি টাকার সম্পদ দিয়ে ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন তিনি। আগের বাহিনীর সদস্যের জমা করে শুরু হয় স্বাধীন দেশে বাচ্চুর নতুন তান্ডব। ততদিনে বিশিষ্ট মাওলানা হয়ে যাওয়া বাচ্চুর একাত্তরের কুকীর্তি প্রচার করতে যেয়ে খুন হন, ফরিপুরের যুবলীগ নেতা ছিরু মিয়া। আদালতে তার (বাচ্চু) নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জামিন পেয়ে যান তিনি। [[৭]]
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে সাংবাদিক প্রবীর সিকদার দৈনিক জনকণ্ঠে বাচ্চুসহ ফরিদপুর অঞ্চলের রাজাকারদের নিয়ে ‘তুই রাজাকার’ শীর্ষক প্রামাণ্য সিরিজ প্রতিবেদন করায় (মূল প্রতিবেদনের স্ক্যানড কপি) তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র, গুলি ও বোমা হামলা চালানো হয়। এ হামলার পেছনে তখন কুখ্যাত রাজাকার নূলা মুসা ও বাচ্চুর ইন্ধনের অভিযোগ ওঠে। চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণকারী বর্তমানে দৈনিক সমকালের সিনিয়র সহ সম্পাদক প্রবীর সিকদার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ বাচ্চু যে কুখ্যাত রাজাকার ছিল এটা সবাই জানেন। তার রাজাকারির প্রমাণপত্র সবই আছে। তাছাড়া আমি প্রতিবেদন করেছিলাম আট বছর আগে। সে সময়তো সে কোনো প্রতিবাদ জানায়নি। এতোদিন পরে এ ধরনের দম্ভোক্তি ও বিষোদগার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সন্তান ও দেশের নাগরিক হিসাবে আমি সারাজীবন তার ও যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি চেয়ে যাবো।’ [[৮]]
বেসরকারী টিভি ব্যক্তিত্ব ও ইসলামের সেবক হিসেবে নিজেকে জাহির করা বাচ্চু ওরফে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ২০ শে সেপ্টেম্বর ২০০৮ সালে বেসরকারী এক টিভি চ্যানেলে তিনি রাজাকার ছিলেন না বলে দম্ভোক্তি করেন। একই সঙ্গে তিনি সাংবাদিক প্রবীর সিকদারসহ কয়েকজন সংবাদিকের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে তাদের নিয়ে কটুক্তি করেন।
এই বক্তব্য টিভিতে প্রচারিত হবার পর, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ফরিদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খোকন এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘খাড়দিয়ার বাচ্চু এখন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ সেজে টিভিতে যেসব কথা বলছে তা হাস্যকর। ফরিদপুরের সর্বস্তরের মানুষ জানেন, ৭১ সালে সে রাজাকার ছিল। সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে বিলম্ব করাতে এসব মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ব্যক্তি এতো বড়ো বড়ো কথা বলার সাহস পাচ্ছে। এই বাচ্চু একাত্তর সালে তার নিজ এলাকা ও ফরিদপুর শহরে পাকিস্তানি সেনাদের সহায়তায় নারীদের ধরে এনে নির্যাতন চালাতো। ফরিদপুর শহরের দুটি হিন্দু বাড়ি দখল করে সেখানে নির্যাতন ক্যাম্প বসিয়েছিল এই কুখ্যাত রাজাকার। লুটের টাকা দিয়ে সে ঢাকার মিরপুরের ২নং পুলিশ ফাঁড়ির সামনে একটি বাড়িও কিনেছে। তাকে ধরে আইনের আওতায় এনে পুরো জাতির সামনে বিচার করতে হবে। সাংবাদিক প্রবীর সিকদারসহ অন্যান্য সাংবাদিকদের ব্যাপারে সে যেসব কটুক্তি করেছে তার জন্য তাকে প্রকাশ্যে নি:শর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। নইলে আমরা তার শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামবো।’
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন খবর এবং বর্তমানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের গন দাবী ওঠায় দেশ ছেড়ে কয়েকদিন আগে আমেরিকা চলে যান বাচ্চু। এনটিভি বাচ্চুকে বাদ দেয় তাদের অনুষ্ঠান থেকে। আমেরিকা চলে গেলেও কুকর্ম করা ছাড়েন নি মাওলানা। ২৫ জানুয়ারী২০০৯ সন্ধ্যায় জ্যামাইকার একটি মসজিদে তহবিল সংগ্রহের নামে মৌলবাদীদের তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা রাখার সময় প্রতিবাদ জানায় এবিসিডিআই সহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সংগঠনসমূহ। এই সময় বিক্ষোভকারীদের অশালীন ভাষায় (মা-বোনসূচক) গালাগালি করা হয়।এবং পরে প্রতিবাদী সমাবেশের উপর কুখ্যাত রাজাকার বাচ্চু ও ৭১’এর ঘাতক রাজাকার আশরাফুজ্জামানের প্ররোচনায় জনৈক মকবুল হোসেন জহির ছুরি নিয়ে হামলা করে। মুখঅবয়বে ঘুষি ও ছুরি দিয়ে আঘাত করে বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিকলীগ সভাপতি এম,আর,আমিনকে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে নিউইয়র্ক পুলিশ এসে হামলাকরী জহিরকে গ্রেফতার করে এবং তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠান বাতিল করে দেয়। [[৯]] (মূল খবরের লিংকটি এখন আর কাজ করছেনা)
এংলো আমেরিকান রাজনীতিবিদ ও দার্শনিক থমাস পাইন যিনি তার লেখার মাধ্যমে আমেরিকান ও ফরাসী বিল্পবকে প্রভাবিত করেছেন, বাইবেল সম্পর্কে করা এক মন্তব্যে বলেন, বাইবেল এমন একটি গ্রন্থ যা পৃথিবীর অন্যান্য সকল বইয়ের চেয়ে বেশি পড়া হলেও পরীক্ষিত হয়েছে সবচেয়ে কম। মাওলানা সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া শেষে আমার এই কথাটাই আবার মনে পড়লো। আসলেই আমরা একটু খোঁজ নেবার আগেই সব বিশ্বাস করে বসে থাকি, সবাইকে গুরু মানা শুরু করি। বড় বেশি বৃত্তাধীন আমরা …
আপডেট- ১০ই এপ্রিল, ২০১২
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের সুষ্ঠু ও কার্যকর তদন্তের স্বার্থে আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে ৩ এপ্রিল, ২০১২ সালে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তাঁর বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় ফরিদপুরে হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধের তথ্য পেয়েছে তদন্ত সংস্থা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর দীর্ঘদিন গোয়েন্দা নজরদারীতে থাকা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সদস্য (রুকন) হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। এ কাজে তাঁকে সহায়তা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জামায়াতপন্থী এক শিক্ষক। গ্রেপ্তারের পর আযাদের দুই ছেলে ও শ্যালক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউল আহসান জানান, আবুল কালাম আযাদ বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পর তাঁর দুই ছেলেও আত্মগোপন করেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর গতকাল সকালে রাজধানীর লোহারপুল এলাকায় মামাশ্বশুরের বাসা থেকে বড় ছেলে এস এম ফয়সাল আযাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ছোট ছেলে এ কিউ মুশফিক বিল্লাহ জিহাদকে তাঁর মামা কাজী এহতেশামুল হকের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এহতেশামকেও গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মুশফিক বিল্লাহ জানান, তাঁদের বাবা গ্রেপ্তারের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুযায়ী গত ৩০ মার্চ সন্ধ্যার পরে একটি মাইক্রোবাসে করে তাঁরা বাসা থেকে বের হয়ে প্রথমে যান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আবু ইউসুফের আগারগাঁওয়ের বাসায়। সেখানে পাকিস্তান বা নেপালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে মুশফিক আরও জানান, তাঁরা আবু ইউসুফের গাড়িতে করে ওই রাত সাড়ে তিনটার দিকে হিলি সীমান্তে পৌঁছে একটি হোটেলে ওঠেন। আবু ইউসুফও সঙ্গে যান। ওই হোটেলে দুই দিন থাকার পর তাঁর বাবা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যান। ৩ এপ্রিল তিনি পরিস্থিতি জানতে ভারত থেকে এহতেশামকে ফোন করেন।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার এম সোহায়েল প্রথম আলোকে বলেন, হিলি স্থলবন্দরের ওই হোটেলের মালিক আবুল কাশেমকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আযাদের দুই ছেলে, শ্যালক, আবু ইউসুফ ও কাশেমের বিরুদ্ধে পরোয়ানার আসামিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করার অভিযোগ এনে মামলা করা হচ্ছে। ইউসুফকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সূত্রঃ প্রথম আলো
প্রথম রায়ে আযাদের ফাঁসি
চার দশক আগে বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামকে দমাতে ব্যাপক গণহত্যা, খুন, ধর্ষণ, লুটপাটের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ হয়েছে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ সোমবার ১১২ পৃষ্ঠার এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালে এটিই প্রথম রায়।
আযাদের বিরুদ্ধে আনা আটটি অভিযোগের মধ্যে সাতটিতে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল প্রধান।
:thumbup:
অনেক দিনের নিরলস প্রচেষ্টা , ঘাম ঝরানো পরিশ্রম , অক্লান্ত সাধনার পর পাইলাম ইহাকে পাইলাম......১ম হবার স্বাদ পাইলাম :grr: :grr: :grr:
এই লেখা পড়ে আর অফ দ্য গ্রিড থাকা সম্ভব হল না।
সাবাস রায়হান, সাবাস।
হাত নিসপিস করে, কিছু করতে পারতাম যদি!
ওয়ামির ঘটনা নিয়ে একটা ব্লগ লিখে ফেল। ছোট ভাইয়েরা এদের থেকে সাবধান হতে পারবে।
চিপায় পড়ার মতো তো বহু কাজ করলাম আইইউটিতে। তবে সত্যিকারের চিপায় পড়ছিলাম ওয়ামি ইস্যুতে। সত্যিকারের চিপা 🙁
গুড জব রায়হান।
:salute: :salute: :salute: তোমাকে।
আর বাচ্চুর জন্য .........
শাস্তির ভাষা আমার জানা নাই। এই ব্যাটারে আমি কোন কালেও ভালো পাই না। কিন্তু অনেকে তারে গুরু মানে বইলা তেমন কিছু জোরে সোরে বলা যাইত না। আফটার অল যুক্তি প্রমাণের কিছু ব্যাপার ছিল।
আপাতত তোমার পোস্ট টা আমর রেফারেন্সে রাখলাম।
হ্যাগো ভক্ত হইতে লাগে এক সেকেন্ড। আর আমি যে তার ভক্ত না, সেইটার প্রমান দাড়া করাইতে আমার লাগে একদিন। 🙁
:khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
এই হারামির বাচ্চা বনানী মসজিদের ইমাম । শত শত লোক তার পিছনে দাঁড়াইয়া নামাজ পড়ে! আফসোস।
সমকালে তার কুকীর্তি নিয়া একবার বিশাল রিপোর্ট হইছিল। এইটা দেইখা নাকি সে সবার সামনে আফসোস কইরা বলতেছিল ' আল্লাহ তুমি সমকালরেই যদি দুনিয়ায় পাঠাইবা, তাইলে আমারে পাঠাইছিলা কেন'। :))
পোস্টে যতোবার তার নাম পড়ছি ততোবার মনে মনে তারে 'শুয়োরের বাচ্চা' বইলা গালি দিছি।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
সমকালের রিপোর্টটা পড়ছিলাম। কিন্তু অনলাইন লিংক খুঁজে পেলাম না। আর রিপোর্টা তো প্রবীর সিকদার এরই লেখা যদ্দুর মনে পড়ে।
আর বনানী মসজিদের মুসল্লিরা আপাতত বাঁচলো। বসে তো দেশ ছেড়ে পালাইছে।
কামরুল ভাই ইটা কী শুনাইলেন??
এক বার বনানী মসজিদে জুমা পড়ছিলাম। তখন ইমামের গলা শুইনা সন্দ করছিলাম। এখন শিউর হইলাম....... :(( :((
তওবা কইরা আল্লাপাকের কাছে মাফ চা।
আর একবেলা দুইটা ফকির খাওয়াইয়া দে। ফকির শর্ট পড়লে আমারে ডাক দিস। :grr:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
ভালো কইছেন ভাই .... । তওবা আস্তাগফিরুল্লাহ।
পরথম ফকির কামরুল ভাই আর দ্বিতীয় ফকির আমি 🙁
😀
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ওরে পাঠাইছে সমকাল এর রিপোর্ট পড়ার জন্য। :)) :))
বাহ ব্লগে আরেকজন ৯৭ ব্যাচ,দুস্তো স্বাগতম!ওই রকিব,কড়া লিকার ফ্রেশ পাত্তি দিয়া তুরন্ত চা নিয়া আয়!
অফ টপিক-সাম্প্রদায়িকতার জন্য আমি আমার ব্যাঞ্চাই।
:khekz: :khekz: :khekz:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
অসাধারন লেখা
=))
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
গুড জব রায়হান...
নির্মান-এ দিছস??
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
সিসিবি আর্কাইভে থাকলে হবে না ভাই? আমি তো সবার সাথে যোগ দিতে পারতেছিনা অনিয়মিত থাকার কারণে, তাই আজকে সময় পেয়ে দুই ফোটা যোগ করে দিলাম।
দোয়া করি...তুই টপ টপ করে আরো অনেক ফোঁটা ফেলবি... 😉
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
বুঝছিলাম 😀
জুনা ভাইয়ের কমেন্ট শুইনা...নাহ থাক কিছু কমুনা 😛
@ জুনায়েদ,
ছোট্ট একটু সংশোধনী - নির্মাণে না, WCSF (War Crimes Strategy Forum) এ।
WCSF একটা কোয়ালিশন। নির্মাণ/মুক্তাঙ্গন, সিসিবি-সহ আরও সংগঠন আছে সেখানে, আরও যুক্ত হবে ভবিষ্যতে। URL-টার জন্য কনফিউশন তৈরী হচ্ছে আসলে। WCSF এর আলাদা ডমেইন নেয়া আছে; মনে হচ্ছে স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে শিগগিরই। পাইপলাইনে যে প্রকল্পগুলো আছে সেগুলোর বাস্তবায়নের জন্য আরেকটু উন্নত সার্ভারেরও দরকার হবে। সে জন্যও আমাদের তহবিল সংগ্রহ করতে হতে পারে।
এই পোষ্টটা শেয়ার করা উচিৎ। আমাদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসাগুলো যাতে কোন নরকের কীটের দিকে না যায়, এটা সবার জানা উচিৎ।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ধন্যবাদ। রাশেদ শেয়ার করছে। প্রথম মন্তব্যটা দেখ 😀
'যুদ্ধাপরাধ ও বিচার' নামে একটা নতুন ক্যাটাগরী করা হইছে। এই লেখাটা সেই ট্যাগভুক্ত করার অনুরোধ করছি। তাহলে অটোমেটিক 'যুদ্ধাপরাধ ও বিচার' আর্কাইভে চলে আসবে।
অনুসন্ধানী লেখার প্রশংসা করতে ভুলে গিয়েছিলাম। গুড জব।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
শেয়ার করছি লেখাটা...
ধন্যবাদ। আমাদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসাগুলো যাতে কোন নরকের কীটের দিকে না যায়, এটা সবার জানা উচিৎ।
:gulli2: দিলাম 😀
একটা জুক্স না কইরা পারতেছি নাঃ
Moulana Azad’s Statement on the defamatory report concerning 1971
Maulana Abul Kalam Azad, Chairman of Masjid Council said in a statement on 13 May 2009: “The list of 36 Bangladeshi civilians who are accused of war crimes during Bangladesh’s liberation war in 1971 is being circulated in the media. The name of someone called Maulana Abul Kalam Azad is included in this list of accused, which is creating unwanted confusion about me. I would like to inform everybody that I have never fought any war in my life and have never been a member of any military force. I was never related to any of the political organizations formed during the liberation war such as Razakar, Albadar, Mujahid, al-shams etc. He added: “After Passing FM exam (equivalent to SSC) from Madrasah at that time I was studying in HSC first year in Faridpur Rajendra College. Shah Mohammad Abu Jafar, an eminent politician, former MP and chief coordinator of the freedom fight in Faridpur district is my school friend. Bir Protik Najrul Islam of Alfadanga, who fought from air force, currently residing in NY, US, also knows me from childhood. They are fully aware of my activities during the liberation war”.
“It is interesting to note that few years back when the popularity of my Islamic Question Answer program of ATN Bangla (first private Channel in Bangla) was at the peak a national daily spread propaganda against me with false accusation although nothing ever heard against me before that. After 3 decades of the liberation my name is now being mentioned as war criminal. Why now?”
“When terrorists bombed 63 districts of Bangladesh, as the founding chairman of Masjid Council I have gone door to door to the Ulamas and Imams risking my life to incorporate about half a million mosques of Bangladesh in the anti-terrorist programs of the Ministry of home affairs of Bangladesh Government and distributed over one million posters with hadiths condemning terrorism in Islam. This effort has upheld Bangladesh’s image as a peace loving country and put her among the world’s most peaceful countries. I thank Allah for allowing to serve my beloved country within my limited ability”.
“Masjid Council has earned a reputation for working with national and international organizations like USAID, Commonwealth of Learning (Canada), Asia Foundation, UNICEF, UNFPA, BRAC etc. It has supported significantly the HIV/AIDS prevention programs in Bangladesh by creating awareness through Imam training. Defaming the chairman of Masjid Council with false accusation will definitely affect these services adversely. I am calling upon my fellow brothers at home and abroad not to be misled by this immoral propaganda and urging the government to withdraw all false charges against me.”
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
তথ্যসূত্রঃ
বাংলাদেশ মসজিদ কাউন্সিলের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
পড়লাম। ভালো স্ট্যান্ড নিছে। তয় কলেজের নাম এইটা কইলো ক্যা! কইতে পারতো, আমি cockশোবাজার হাইস্কুলে পড়তাম তখন 😀
=)) =))
আমি সামুর ব্লগার এস্কিমো মারফত বাচ্চু রাজাকার নিয়া আগেই শুনছি। আরো ডিটেইল জানলাম। থ্যাংস দোস্ত।
এইগুলার জন্যে একটা জাতীয় থুতু দিবসের আয়োজন করা দরকার।
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
হুম।
সাবাস রায়হান।
অসংখ্য ধন্যবাদ। :clap: :clap: :clap: :clap:
- 🙂
সব রাজাকারকে থুতু সহ গদাম লাত্থি।
প্রস্তাবটা খুব পছন্দ হয়েছে আমার। ছোটবেলায় আমাদের বাসার সামনের মাঠে ওয়াজ মাহফিল হতো। সেখানে এই লোকের মিষ্টি ও সুরেলা কন্ঠ এ ইসলামের নামে সাম্প্রদায়িক প্রচারনা শুনেছি। তার কালো চরিত্রের আরো আরেকটি দিক আজ উন্মোচিত হলো।
রায়হানকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্টের জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
তোমারে লাল সালাম রায়হান মিয়া। চমৎকার তথ্যবহুল একটা অতি দরকারী পোস্ট।
আর এই পোস্টের মন্তব্যে ধর্ম নিয়া টানা-হেঁচড়া দেখে বিরক্ত হইলাম। যেইটা মূল উদ্দেশ্য "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার" সেইটা নিয়া প্রাসঙ্গিক আলোচনা হইতে পারে এবং হবে। লক্ষ্য থেকে যেন আমরা বিচ্যুত না হই।
ঐ :thumbup: :thumbup:
ধন্যবাদ রেজওয়ান ভাই। সত্যি বলতে ধর্মকে কটাক্ষ করা আমার একদম অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়নি। আমি মনে করি, আজকে ধর্মের নামে যে টেররিজম হচ্ছে পৃথিবীজুড়ে, সেই টেররিজম নিয়ে আলোচনায় অবশ্যই ধর্মের কথা আসবে। ধর্ম সাধু সন্ন্যাসী না। ভালো জিনিস নিয়ে বলা যাবে, আর খারাপটা বললে ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগছে বলে হই হই করা আমি ঠিক মেনে নিতে পারিনা। আপনার কী মনে হয় বাচ্চু রাজাকার যখন এই কাজ করছে তখন সে মনে করছিল আল্লাহ তার বিচার করবে, তাও করছে। মোটেও না। সে মন থেকে পরিষ্কার ছিল। আপনি লক্ষ করে দেখুন তার হাতে খুন হওয়া প্রায় সবাই হিন্দু। এখন আপনিই বলেন বাচ্চু রাজাকার নিয়ে আলোচনায় কেন ধর্মালোচনা অপ্রাসংগিক?
জুবায়ের অর্ণব তার করা মন্তব্য পরে ক্লিয়ারিফাইং করেছেন। তারপরও যাদের অবজেকশন আছে তারা বলুক। কিন্তু না বলে, বেয়াদব, সিসিবিকে ভাগাড় বানানো উপমা প্রদান কী সঠিক? আমার তো মনে হয় যুক্তি না থাকলেই মানুষ এই পথ ধরে।
যাই হোক, দেখলাম মন্তব্য মুছে দেওয়া হয়েছে। এখন কেউ শহীদ না হলেই হয়। ভালো থাইকেন।
জুবায়ের অর্ণবের কমেন্ট যেমন পোস্টের উদ্দেশ্যের সাথে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক ঠিক তেমনি যুক্তির পথ ছেড়ে উপমায় যাওয়াও অপ্রাসঙ্গিক। যুক্তির তোড় থাকলে খামাখা কটাক্ষেরও প্রয়োজন হয়না। যেখানে বিষয়ের সাথেই বিশ্বাসের ব্যাপক জড়াজড়ি সেখানে কটাক্ষ বাজে তর্ক উসকে দেয়ার একটি অনুঘটক।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
সকালে অর্ণবের সব গুলো কমেন্ট মনযোগ দিয়ে পড়েছি। এখানে কূট তর্ক করে পোস্টের উদ্দেশ্য ব্যাহত করতে চাইণি বলে কুতর্ক থেকে বিরত রইলাম।আপাতত এইখানে যুদ্ধাপরাধী ইস্যুটাই থাকুক।
আমি ধার্মিক কেউ না। নামে মুসলমান, নামাজ কতদিন পড়ি না হিসাব নাই। ধর্মকে টেনে নিয়ে আসা প্রাসঙ্গিক হতে পারতো যদি সেইটা পোস্টের মূল উদ্দেশ্য এবং মিথস্ক্রিয়াটাকে ব্যাহত না করতো। কিন্তু আমারতো মনে হইল একটা সময় শুধু ধর্ম নিয়েই কথা শুরু হইছিল।
যাঁরা ইসলাম ধর্মাবলম্বী তাঁরা সবাই কিন্তু বাচ্চু রাজাকার না, গোলাম আযমও না।
উপমা প্রদান বা ধমক দেওয়ার কথাটা বলতে ভুলে গেছিলাম। আমি কিন্তু ঐ মন্তব্যগুলারেও আমার টানা-হেঁচড়া ক্যাটাগরীর মধ্যে রাখছি। অবশ্যই ঐ ধরনের উপমা প্রদানের সাথে একমত হওয়া যায় না।
হুম। ঠিকাছে। ললনার ফটু পোস্টানোর কথা ছিল, তা কই?
ভাই রায়হান, আবারো তোমাকে ধন্যবাদ চমতকার লেখার জন্য। এমন একটা লেখার খুব দরকার ছিল।
তবে এইটুকু না বলে পারছি না ধর্ম নিয়ে কোন যুক্তি চলে না, কারন এর গোড়াতেই গলদ। ধর্ম মানেই যেখানে কোন যুক্তি নেই, শুধু অন্ধ বিশ্বাস। তাই আমার কাছে কোন যুক্তি নেই, আর সেটা আমার উদ্দেশ্যও নয়। আমার মূল কথা, যে নিয়ম আমরা ঠিক করেছি সেটা মেনে না চললে সেই নিয়ম রাখার দরকার কি? তুমি সবার সাথে মিলে নিয়মটা পালটে দাও, আমি সহাস্যে সব মেনে নেব। সেটা আমার পছন্দ না হলেও। কিন্তু সেটা যতক্ষন আছে ততক্ষন তুমি তার বাইরে যেতে পারনা। অর্নবের প্রত্যুত্তরে আমি কিছু কখনই বলিনি, কারন ওর মত পড়াশোনা আমার নেই এ বিষয়ে। তাই যুক্তি তোলার প্রশ্নই আসে না। তোমার কাছেও আমি যুক্তিতে হার মানব নিশ্চিত। আমার একটাই কথা, যতক্ষন নিয়ম আছে তুমি অন্যের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করতে পারবে না, ততক্ষন তুমি সেটা করবে না। আলোচনার ভিত্তিতে সেই নিয়ম বদলে গেলে ইউ আর মোস্ট ওয়েল্কাম।
লেখা চমৎকার হয়েছে। আই ইউ টি'র খবর শুনে খুবই দুঃখিত হলাম। আজকাল শিবির ঢুকে যাচ্ছে, আশঙ্কাজনক ঃ(
ধন্যবাদ আদনান ভাই। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।
raihan,
chomotkar hoise. sobcheye valo lagse je tumi ref gula diyeso and tottho somriddho o silo besh. amader sotorko korar janna abar o dhonnobad. ccb er keu jadi faridpur thake tahole amader aro kisu update janao please.
jubayer ornob, very poor. tomar motamot eikhane na bole sei janna alada post koro, alochona kora jabe. Nastik hoilei ki beyadob hoite hoibe. Miya kisu sistachar mene cholo. Nastik ra nischoi adob kaida mene chole. evabe kisu sosta dailog na diya sundor vabe bolte parta.....jai hok asha kori ei post e tumi r likhba na.
raihan, abaro dhonnabad (dukkhito, english e likte holo, ei comp e bangla likhar kisu nai)
naim/ccc
ধন্যবাদ।
ভালো লাগলো। অনেক তথ্য সমৃদ্ধ লেখা। তবে আর তথ্য সম্ররধ্য করা যেত মনে হয় 😛 😛 কোনো অপরাধী যেন বিনা বিচারে পার পেয়ে না যায়। শুধু রাজাকার নয়, মুজিবনগর সরকার পক্ষের যাদের বিরুদ্ধে এধরনের মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযগ আছে, সেগুলোরও তদন্ত ও বিচার করার দরকার আছে।
*জন্য-সম্ররধ্য
*পড়ুন- সমৃদ্ধ :bash: :bash:
😮 😮 😮 😮
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
বুঝচি।
মেহেদী দেওয়া দাড়ি,পবিত্র ইসলামের বানী আর নুরানী চেহারার আড়ালে যে এত বড় শয়তান ছিল তা জানতাম না,রায়হানকে অনেক ধন্যবাদ এই পরিশ্রমসাধ্য পোস্টটার জন্য।নরহত্যা আর নারী নির্যাতন করার পর মানুষকে দ্বীনি শিক্ষা দিতে আসে-কি আশ্চর্য! আল্লাহ কি এদের এক ফোঁটা বিবেকও দেননাই!!!!
ব্যাটার থাকলে তো অন্যরে দিবো!
আবার এক্টা দারুণ কাজ করলে রায়হান :hug:
:hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
খাওয়ান। অনেকদিন চাইনিজ খাইনা
ওকে ....শুক্কুরবার আওয়াজ দিস
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
:shy: আমিও আসি?
:gulli2: মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)
if you dont mind, can I share this in my FB ac?
আমার লেখা অন্যেরা পড়বে এতে মাইন্ড করবো কেনু? অবশ্যই শেয়ার করুন। 🙂
সিসিবি'র নীতিমালায় আপত্তিকর এবং অপ্রাসংগিক অন্য কিছু মন্তব্য মুছে দেয়া হলো।
সবার কাছ থেকে আরো সহনশীলতা কাম্য।
জুবায়ের অর্ণব, কারো ব্যক্তিগত ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন মন্তব্য করা থেকে আপনাকে বিরত থাকতে অনুরোধ করছি। আগেও আপনি এ ধরণের মন্তব্য করেছেন। সুতরাং ভবিষ্যতে আপনার কাছ থেকে চুড়ান্ত সতর্কতা কাম্য। অন্যথায় আপনার মন্তব্য মডারেশন প্যানলে অনুমোদনের জন্যে পাঠানো হবে।
নাইম, বাংলায় লেখার জন্যে সিসিবি'র কমেন্ট বক্সের সংগে এম্বেডেড অভ্র এবং আরো একটি সহজ অপশন যোগ করা হয়েছে। বাংলায় না লেখার পক্ষে এখন আর কোন অজুহাতই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। আশাকরি আপনি পরবর্তীতে বাংলায় মন্তব্য করবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ।
ব্লগ এডু রক্স।
:clap: :clap: :clap:
:salute: :salute: :salute:
রায়হান ভাই,
চমৎকার তথ্য সমৃদ্ধ লেখা।
এদের মুখোশ উন্মোচন করা জরুরী।
যুদ্ধাপরাধের বিচার চাই.....................
কবে যে বিচার পাব জানিনা।
অঃটঃ আপনার লেখার লিংক অন্য গ্রুপে দিতে আপনার অনুমতি চাচ্ছি।
সিউর।
দারুন একটা পোস্ট দিছ রায়হান মিয়া ।
বেশ ভাল লাগল পড়ে, তয় বাচ্চু **র পুতরে পিডাইতে পারলে মন টা ঠান্ডা হইত।
আপাতত আমারে খাওয়াইয়া আমার পেডটা ঠান্ডা করেন।
তোদের এত খাই খাই স্বভাব কেনু x-(
অ ট আমার দেশে যাওয়ার টিকিট পাঠা, তাইলে দেশে গিয়া ফার্স্টেই তোরে ভর পেট খাওয়ামু :grr: :grr:
সামহোয়ারইন ব্লগের লিংক থেকে এই পোস্টটার কথা জানলাম........ খুব চমৎকার লিখা হইসে আবির....... খুবই চমৎকার.......
একটা অনুরোধ করব, তোমার লিখার স্টাইলটা উইকিপিডিয়ার মত হইসে সুতরাং তুমি এই লিখাটাই উইকিতেও দিয়ে দাও.....
যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে এই ব্লগে এরকম একটা ভাল উদ্যোগ চালু করা হইসে জানতাম না....... কাজটা করার জন্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ......
দেখি উইকিতে দেওয়া যায় কিনা। উইকির মতো হলেও ঠিক উইকিতে দেওয়ার উপযোগী না। ফরম্যাটিং করতে হবে।
রায়হান ভাই, সেইরকম লিখা :boss: :boss: :boss:
অনেক কিছু জানলাম :salute: লিঙ্কটা শেয়ার করতেসি বস্ :hatsoff:
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
ধন্যবাদ আশহাব, ছড়িয়ে দাও এ বাটপারের কথা।
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পড়ুন,
একাত্তরের আত্মঘাতের ইতিহাস
একাত্তরের স্মৃতি
Myth of 3 million
😀
ভুল জায়গায় চলে আসলেন না তো আবার।
আমাকে অনেকে অনেক কিছুই বলে, কিন্তু পাকিস্থান আর জামাত কবে ইসলামের ইজারাদারী নিল এইটা কেউ বলে না। ওহীটা নাজিল হইলো কবে? ঠিক কবে আল্লাহ পাক ঘোষনা করলেন "পাকিস্থান না হইলে ইসলাম থেকে খারিজ"।
আপনার জানা আছে নাকি সত্যভাই?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
এটা কি এক্টা মজাক ছিলো............. :-B
😮 😮 😮 😮 😮
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
এই ছাগলের কমেন্ট এপ্রুভ করলো কে?
ভুলেও কেউ এর দেয়া লিঙ্ক থেকে কিছু গ্রহন করবেন না। এটা রাজাকারের লেখা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস!
মডারেটরদের অনুরোধ করছি, এই ধরনের কমেন্ট এপ্রুভ করার আগে লিঙ্ক চেক করে নিতে। ছাগল না চিনে কেউ যদি এর দেয়া লিঙ্ক থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়তে বা জানতে যায় তাহলেই সর্বনাশ। এই ব্যাটার দেয়া লিঙ্ক থেকে কয়েকটা লাইন তুলে দিলাম, পড়ে দেখেনঃ
কোন দেশে ব্যাপক হারে পশু নির্যাতন হলে সেটিও খবর হয়। কিন্তু বাংলাদেশে কয়েক লক্ষ অবাঙ্গালীর উপর যে নিষ্ঠুর নির্যাতন হল তার কোন বিবরণ দেশটির ইতিহাসের বইতে স্থানই পেল না। তাই বাংলাদেশের লিখিত ইতিহাস শুধু পক্ষপাতদুষ্ট এবং সত্যবর্জিতই নয়, অপূর্ণাঙ্গও। বরং যারা সেদিন বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম দেশটি ভাঙ্গতে অমুসলিম কাফেরদের অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করলো ও বহু মুসলিম হত্যা করল তারা চিত্রিত হয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী রূপে। অবশ্য বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী চেতনায় এমনটিই স্বাভাবিক। কারণ, এখানে নিরেট বাঙ্গালী হওয়া এবং অন্য যারা বাঙ্গালী তা সে পৌত্তলিক কাফের বা নাস্তিক কমিউনিস্ট হোক তাদের সাথে একাত্ম হওয়াটাই গুরুত্ব পায়, মুসলমান বা প্যান-ইসলামিক হওয়া নয়। তাই এ ইতিহাসে বাঙ্গালী যুবকেরা কেন বিপুল সংখ্যায় মুক্তিযোদ্ধা হল সেটি বিশদ ভাবে আলোচিত হলেও লক্ষ লক্ষ বাঙ্গালী সন্তান কেন স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধীতা করল, কেন তারা রাজাকার হয়ে পাকিস্তানের একতা রক্ষায় নির্যাতীত হল, এমনকি প্রাণও দিল তার একটি দর্শনগত বা তত্ত্বগত বিশ্লেষণ এ ইতিহাসে পাওয়া যায় না।
সে সময় বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি অর্থাৎ ৭৫ মিলিয়ন। যে কোন স্কুল ছাত্রও হিসাব করে বের করতে পারে, তিরিশ লাখ মানুষের মৃত্যু হলে প্রতি ২৫ জনে মারা যেতে হয় একজনকে। যে গ্রামে ১ হাজার মানুষের বাস সে গ্রামে মারা যেতে হয় ৪০ জনকে। ঘটনাক্রমে সে গ্রামে কেউ মারা না গেলে পরবর্তী গ্রামটি যদি হয় ১ হাজার মানুষের তবে সেখান থেকে মারা যেতে হবে ৮০ জনকে। যে থানায় ১ লাখ মানুষের বাস সেখানে মারা যেতে হবে ৪ হাজার মানুষকে।
প্রতি থানায় ও প্রতি গ্রামে মৃত্যুর সংখ্যা এ হারে না হলে ৩০ লাখের সংখ্যা পূরণ হবে না। তাই এটি কি বিশ্বাসযোগ্য? সে সময় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাক-বাহিনীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৭০ হাজার। ৭০ হাজার পাকিস্তানী সৈন্যের পক্ষে কি সম্ভব ছিল বিল-হাওর, নদীনালা, দ্বীপ ও চরাভূমিতে পরিপূর্ণ একটি দেশের প্রায় ৭০ হাজার গ্রামে পৌছানো? গ্রাম দূরে থাক প্রতিটি ইঊনিয়নেও কি তারা যেতে পেরেছিল? প্রতিটি গ্রামে ও ইউনিয়নে গেলে সীমান্তে যুদ্ধ করলো কারা? কারা পাহারা দিল দেশের বিমান বন্দর, নদীবন্দর, সবগুলো জেলা-শহর ও রাজধানী? ৩০ লাখ মানুষের নিহত হওয়ার এ তথ্য বিশ্বের দরবারে গ্রহণযোগ্য করা দূরে থাক, বিশ্বাসযোগ্য করতে পারেনি তাদের পার্টনার ভারতীয়দের কাছেও ।
ছাগল ছাড়া আর কেউ এই ইতিহাস লিখতে পারে? মুখভর্তি গালি আসতেছে। ভদ্রলোকের জায়গা বলে দিতে পারতেছিনা।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
হয়তো ছাগল পেটাতে আগ্রহী কোন দুষ্টু মডুর কাম এইটা 😀
হাহাহা, সব টাইপ চিইন্যা রাখাও জরুরি :)) :)) মডু স্যারদেরকে অনুরোধ, পিডায়া পুডায়া তারপর দিয়েন এইগুলানরে :grr:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
এই "একাত্তরের আত্মঘাতের ইতিহাস" নিয়া এই অধমের একখানা লেখা আছে সামুতে।ফিরোজ সাহেবের ম্যাথমেটিক্সের নমুনা দেখানো হইছে ওইখানে।লিঙ্ক দিলেই হইত কিন্তু তাও অংশবিশেষ তুইলা দিলাম-
ডঃ ফিরোজ বলেছেন-
“খুঁটিনাটি বিষয় দুরে থাক,তাদের পেশ করা প্রধান প্রধান তথ্যগুলো যে কতটা অসত্য সে প্রমাণ কি কম?লেখা হয়েছে, পাক-বাহিনী একাত্তরে তিরিশ লাখ বাঙ্গালীকে হত্যা করেছিল।হুশজ্ঞান ও বুদ্ধিবিবেচনা আছে এমন ব্যক্তিকে দিয়ে এ তথ্য কি বিশ্বাস করানো যায়?তিরিশ লাখের অর্থ তিন মিলিয়ন।সে সময় বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি অর্থাত ৭৫ মিলিয়ন।যে কোন স্কুল ছাত্রও হিসাব কষে বের করতে পারে, তিরিশ লাখ মানুষের মৃত্য হলে প্রতি ২৫ জনে মারা যেতে হয় একজনকে।যে গ্রামে ১ হাজার মানুষের বাস সে গ্রামে মারা যেতে হয় ৪০ জনকে।ঘটনাক্রমে সে গ্রামে কেউ মারা না গেলে পরবর্তী গ্রামটি যদি হয় ১ হাজার মানুষের তবে সেখান থেকে মারা যেতে হবে ৮০ জনকে।যে থানায় ১ লাখ মানুষের বাস সেখানে মারা যেতে হবে ৪ হাজার মানুষকে।প্রতি থানায় ও প্রতি গ্রামে মৃত্যুর সংখ্যা এ হারে না হলে ৩০ লাখের সংখ্যা পূরণ হবেনা।“
আমার উত্তরঃ
শুরুতেই বলেছি,এ লেখার ইতিহাসগত বিকৃতি নিয়ে লেখার জন্যে আমার চাইতে অনেক যোগ্য ব্যক্তি এ ব্লগে আছেন-তাঁদের উপস্থিতিতে সে ধৃষ্টতা দেখানোর মত ইচ্ছেও আমি পোষণ করিনা।আমি শুধু লেখকের এ হাস্যকর যুক্তির পরিসংখ্যানগত ত্রুটি তুলে ধরছিঃ
স্কুলে আমরা সবাই গড় অঙ্ক করেছি।বন্যায় যদি ৫ জন কৃষকের মোট ১০০ টন ফসল নষ্ট হয় তাহলে গড়ে প্রত্যেকের ক্ষতি হয়েছে ২০ টন,১০০ টনকে ৫ দিয়ে ভাগ করে আমরা সহজেই এটি পাই।কিন্তু তার মানে কি এই যে প্রত্যেক কৃষকের আলাদা আলাদা ভাবে ২০ টন করে ক্ষতি হয়েছে?পরিসংখ্যানের একেবারে প্রাথমিক জ্ঞান যার আছে সে খুব সহজেই এ দাবীর অসারতাটি ধরতে পারবে।ধরা যাক ৫ জন কৃষকের একজনের একারই ক্ষতি হয়েছে ৫০ টন কেননা সে কোনরকম প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়নি।বাকি ৪ জনের মধ্যে ১ জনের ৪০, ১ জনের ১০ টন ক্ষতি হয়েছে আর শেষ দুইজনের কোন ফসল নষ্ট হয়নি কারণ তারা আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করেছিল।পাঠক দেখুন, ৫ জনের মোট ক্ষতি ৫০+৪০+১০+০+০=১০০ আর একে ৫ দিয়ে ভাগ করলে গড় ক্ষতি ২০।এখানে কিন্তু ৫ জনের ১ জন কৃষকেরও ব্যক্তিগত ক্ষতি ২০ না হবার পরেও মোত ক্ষতি হয়েছে ১০০ টন,আর গড়ে প্রত্যেকের ক্ষতি এসেছে ২০ টন করে।আমরা এবার আসি লেখকের দাবীতে।লেখক যে দাবী করেছেন, “প্রতি থানায় ও প্রতি গ্রামে মৃত্যুর সংখ্যা এ হারে না হলে ৩০ লাখের সংখ্যা পূরণ হবেনা”- পূর্বোক্ত উদাহরণের সাথে মুক্তিযুদ্ধে নিহত মানুষের ব্যাপারটি যদি আমরা মিলিয়ে দেখি,উপরোক্ত কথাটি কি আদৌ কোন যুক্তিযুক্ত দাবী বলে মেনে নেওয়া যায়?সর্বমোট শহীদের সংখ্যা ৩০ লাখ বলেই প্রতি থানায় ও প্রতি গ্রামে আলাদা আলাদা ভাবে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যাক(৪ হাজার) লোক মারা যেতে হবে- এ দাবীটি কি আসলেই হাস্যকর নয়?আচ্ছা যে গ্রামে/থানায়(ধরা যাক পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম,বসতিহীন কোন অঞ্চলে) লোকসংখ্যা ৪০০০ এর কম,লেখকের দাবী অনুযায়ী সেখানে কি মাইনাস সংখ্যক মানুষ মারা গিয়েছে?
এ ত্রুটিটি আসলে গড়কে পরিমাপ হিসেবে নেয়ায় পরিসংখ্যানগত সীমাবদ্ধতা হিসেবে ধরে নেয়া হয়(এই বেলা বলে নেই আমি পরিসংখ্যানবিদ নই,কিন্তু এ বিষয় গুলো অর্থনীতি,মার্কেটিং বা অধিকাংশ অনার্স কোর্সে,এমনকী উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর কোন কোন পাঠ্যবইতে একেবারেই প্রাথমিক তথ্য হিসেবে দেয়া থাকে) ।এরকম উদাহরণ হিসেবে জিডিপি বা জিএনআই(GNI=Gross National Income)এর কথা আনা যেতে পারে।বাংলাদেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় ২০০৭-২০০৮ সালে পাওয়া যায় ৫৯৯ ডলার, যা মোট আয়কে জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে পাওয়া গিয়েছে।কিন্তু এ কারণে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের আর মঙ্গায় আক্রান্ত অনাহারি শ্রমিকের প্রত্যেকের বার্ষিক আয় ৫৯৯ ডলার হিসেবে যদি ঘোষণা করা হয়, সে ঘোষণাকারীকে আপনি কি বলবেন,মূর্খ,উম্মাদ না জ্ঞানপাপী?
ফিরোজ সাহেব এ লেখায় স্কুল ছাত্রের হিসাব কষার কথা বলেছেন।আমি আমার নিজের জ্ঞান তাদের চেয়ে খুব বেশি বলে মনে করিনা।কিন্তু আমার মত বালখিল্যের চোখেও যখন এটি এড়াল না, এরকম হাস্যকর হিসাব দিয়ে বাকীদের চোখে ধূলা দেবার আশা তিনি করতে পারেন কী?
ব্লগে জুক্স এর দরকার আছে ...
নাহ ! আর পারতেছিনা। যতোবার হারামজাদার লিঙ্কগুলি দেখতেছি, মুখভর্তি গালি আসতেছে।
ছাগলটারে গালি না দিয়া শান্তি পাইতেছিনা। সবাই ক্ষমা কইরা দিয়েন।
সত্যসন্ধানি, তুই রাজাকার। তুই বেজন্মা শুয়োর।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
নাহ কামরুল ভাই আপনের মনে হয় শরীর খারাপ।এইডা কুনো গালি হৈল???? আমি কই সত্যসন্ধানী একটা *******(সেন্সর্ড) 😀
হচ্ছেটা কি এইখানে? এভাবে ইচ্ছামতো আজেবাজে এবং ফালতু, বস্তাপচা ও রাজাকারদের প্রচার চালাবার জায়গা সিসিবি হতে পারে না। আমাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পাটি, জামায়াত ইসলামী, বামদল বা যেকোন রাজনৈ্তিক মানুষ থাকতে পারে কিন্তু কোনো মুক্তিযুদ্ধবিরোধী প্রচারণা চালাবার জায়গা সিসিবি না বলে আমি দৃঢ়্ভাবে বিশ্বাস করি। প্রিন্সিপাল স্যার, মডারেটর অথবা ব্লগ এডজুট্যান্ট কে "অসত্যসন্ধানি"র মন্তব্যটা মুছে ফেলতে অনুরোধ করবো।
মডুদের করজোর অনুরোধ সত্যসন্ধানইর কমেন্ট না মোছার
জন্য কারণ লিন্ক্গুলায় koয়েকদিনের
বিনোদন আছে আমার...
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
তীব্র সহমত :)) =))
লিঙ্কগুলো পড়লাম এবং হতবাক হলাম। টিটোর সাথে একমত, লেখা বিনোদনমুলক। তবে "পাগলের পাগলামি" টাইপের ট্যাগ থাকলে যথোপযুক্ত হত। জুনায়েদ ব্যারন মুনশের (নামটা ঠিক মনে নেই) অনুকরনে একটা লেখা দিয়েছিলো। ওর গল্পগুলো তুলনামুলক ভাবে বেশী বিশ্বাসযোগ্য ছিলো।
সত্যসন্ধানীর নামধারী জনাব মিথ্যার ভাগাড়, জবাব দেবেন কি?
এক. ৩০ লাখের জায়গায় ৩ লাখ বাঙালি হত্যা করলে কি অপরাধ হয় না?
দুই. আমাদের মা-বোনদের নির্বিচারে ধর্ষন, হত্যা, লুটতরাজ, আগুন দিয়ে গ্রামের পর গ্রাম উজাড় করা, গণহত্যা কি যুদ্ধাপরাধ নয়? ধর্ষক, হত্যাকারী, লুন্ঠনকারীর সহযোগিতা করা কি অপরাধ নয়? এইসব অপরাধী আর মিথ্যাবাদীদের পক্ষে এখন যারা ইসলাম ধর্মের নামে সাফাই গাইছে তারাও কি সমঅপরাধী নয়?
তিন. আপনাদের পেয়ারা আবর দেশে ধর্ষকদের কিভাবে বিচার হয়?
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
সত্যসন্ধানী?
এই পাকি বলদ পয়দা হইলো কইথেকে?
পাায় লাথি মারমু শালা হারামজাদা সত্যসন্ধানী.....আজিব !!!
রায়হান ......
অসাধারণ হয়েছে পোস্টটি ........... :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
আপনার মতো একজনকে খুজছিলাম। যেই ইমেইল ঠিকানা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছেন সেখানে মেইল করবো আজকে রাতে। 🙂
রায়হান
কেমন আছো ? তুমি কি আমাকে ঐদিন মেইল করেছিলা ? আমি একটু ব্যস্ত ছিলাম তাই মনে হয় তোমার মেইল টা মিস করেছি | তুমি আমাকে ইয়াহু তে এড করতে পারো | rcc_buet_08@yahoo.com
ভালো থেকো |
আমার কমেন্ট মুছে গেল কিভাবে । যাইহোক সাব্বাশ রায়হান ।
ধন্যবাদ আদনান ভাই। সবাইরে বলবেন ব্যাটার কথা।
ফেসবুকে শেয়ার করতেছি ।
PURA KOPANI HOISE :thumbup:
HARAMIR PUT RE :gulli2:
বাংলা ase তো ase না...ei rokom hoitese ken ?????
arekjoner pc তে boisa dilam 🙁
ধইন্যা 🙂
আমিও অনেক কিছু না জেনেই বিশ্বাস করতাম...
ধন্যবাদ একটা রাজাকারকে চিনিয়ে দেয়ার জন্য.....
ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১
["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]
লেখা সার্থক।
বাচ্চু রাজাকার তখন দোর্দন্ড প্রতাপে এন টি ভির ইসলামী অনুষ্ঠান সামলাইতেছে। সত্যি কথা বলতে কি চ্যানেলগুলোর ইসলামী প্রোগ্রামের যুদ্ধে সবচেয়ে উদারপন্থী পার্টটা নিতো এই বাউচ্চা রাজাকার। ল্যাপটপ নিয়ে মাহফিলে হাজির হয়ে মডার্ণ হুজুরের তকমাটাও দখলে নিলো। দেয়ানবাগীর মুরিদদের ভাষায় ওলামাএ ছ্যু তে টার্ণ করলো সে :)) :))
তখনি গুগলে একদিন মইত্যা রাজাকার টাইপ নামগুলো নিয়ে সার্চাইতে গিয়ে বাচ্চু রাজাকারের খোজ পাই।
এর পর মাঝখানে ফরিদপুরের কেইসটা নিয়ে বেশ কিছু মাতামাতি হলো, বাচ্চু রাজাকার পালিয়ে গেলো দেশ থেকে। এখন দেখি হারামী টা আবার ফিরে এসেছে এনটিভির পর্দায়।
আমাদের দুর্ভাগ্য, আমাদের দেশে ইসলামের ইজারা এইসব অমানুষদের হাতে। শুধু কি আমাদের দেশে?
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ও হ্যা, গুড পোস্ট রায়হান। এইভাবে সবকয়টারে ডিটেইলে বের করে আনতে হবে। কষ্টসাধ্য কাজটা করার জন্য রায়হানকে :salute: :hatsoff:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ঘুম থেকে উঠেই দুঃসংবাদ পাইলাম। হালায় ফিরা আসছে!!!!!!!!!!!
কস কি??? x-( তুই তো এইবার শ্যাষ রে!
মৃত্যুর পর একটা ব্লগ দিয়েন 🙁 🙁
অনেক কিছু জানলাম। কিন্তু কিছুই হয়নি এদের, আর কিছু কি হবে?
🙁
দিনের সেরা জুক্স সত্যসন্ধানি (!!!) এর কমেন্ট ..... হাস্তেই আছি......... রাজাকাররা সিসিবিতেও ঢুকে গেছে। সত্যি ওরা আসলেই অর্গানাইজড।
রাজাকার শুওরের বাচ্চাদের(মাপ করবেন,গালি না দিয়ে থাকতে পারলাম না) সিসিবিতে কোন স্থান নাই।
সহমত।
30 লক্ষ মানুষের মারা যাওয়া নিয়ে এই ******টার জবাবে সামহোয়ারইনে ব্লগার লাইটহাউজ একটা পোস্ট দিয়েছিলেন...... আমি লিংকটা শেয়ার করলাম:
ত্রিশ লক্ষ শহীদ : মিথ নাকি বাস্তবতা ?
পড়লাম লেখাটা। দারুন।
দারুন কাজ রায়হান। যতভাবে সম্ভব এই লেখাটা ছড়িয়ে দেয়া দরকার। মুক্তাঙ্গনেও পোস্ট করার অনুরোধ থাকলো (এ ধরণের জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সেখানকার ডুয়েল পোস্টিং নীতির আওতায় পড়বে না)।
ধন্যবাদ ভাইয়া। পোস্টানো হয়ে গ্যাছে
অসামান্য একটা কাজ করেছো রায়হান!! আসলেই অসামান্য।
আমি অনেক আগে এই লোকের টিভি প্রোগ্রাম দেখে বলেছিলাম লোকটার চেহারা খারাপ। দেখলেই মনে হয় পেটে বদ-মতলব। তখন সবাই অবশ্য বলেছিলো না জেনে কেনো একজনের সম্বন্ধে খারাপ কথা বলছি! তারও অনেকদিন পরে জানতে পারলাম ব্যাটা পাঁড় রাজাকার। তখন বেশ আনন্দ পেয়েছিলাম যে আমার অনুমান ভুল হয় নাই জেনে।
পোস্টে অনেক মারামারি হয়ে গেছে মনে হলো। আমার কপালটাই খারাপ, সব মারামারি মিস করি! 🙁
তবে রাজাকার ইস্যুতে সকল "সত্য*ুন্দানি"দের ধরে দিবানি করা উচিত। আমার মনে হয় মডুস্যার এই কমেন্টটা ছেড়ে ভালো কাজ করেছেন। এই প্রোপাগাণ্ডা বহুত পুরানা, শহীদদের সংখ্যা এবং আরো খুঁটিনাটি নিয়ে তাদের অযথা ব্যাকুল শঙ্কা! বার বার সত্যটা আমাদেরও পড়া হয় এটাও ভালো দিক! 😉
===
লেখাটা আসলেই অনেক ভালো হৈছে রায়হান। অফিসে বসে লগইন না করে পারলাম না -- এতটা ভালো! 😀
===
শিবিরের কাহিনীগুলা শেয়ার কইরো সময় পাইলে।
ধন্যাবাদ আন্দাভাই!
আমি যেখানে থাকি সেখানে বাংগালিদের মধ্যে অন্তত কোন দলাদলি ছিল না। এখানকার একমাত্র বাংগালি সংগঠনের আমন্ত্রনে এই রাজাকার এখানে আসার পর বাংগালিরা দুভাগে বিভক্ত হয়ে গেল।
একজন সরাসরি প্রশ্ন করেছিলো একাত্তুরে উনার ভূমিকা নিয়ে। আমি সেই অনুস্টানে ছিলাম না তবে শুনেছি রাজাকার সাহেব নিরুত্তর ছিলেন।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
হুম
অসামান্য একটা কাজ। প্রিন্ট করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছি্ আমার শশুর বাড়ির কেউ কেউ তার ভক্ত। এইটা কাজে লাগবে।
রায়হান, আরো কয়েকজনকে নিয়ে একটা সিরিজ করো পারলে। আর ওয়ামি নিয়ে বিস্তারিত চাই।
যুদ্ধাপরাধী সিরিজ? ভালো আইডিয়া। দেখি সেলিব্রেটিদের ধরে ধরে আগানো যায় কিনা।
ওয়ামি নিয়ে লেখা আসবে। আরও অনেককিছুই আসবে। তবে এখন না। 🙁
"যেহেতু তার দাঁড়ি আছে এবং বয়স দেখলে বোঝা যায় মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি যুবক ছিলেন তাই খোঁজখবর নেওয়া মানে হলো, তিনি রাজাকার বা এই জাতীয় কোন কিছুর সাথে জড়িত ছিলেন কিনা, স্বাধীনতা যুদ্ধের তার ভূমিকা কী ছিল সে সম্পর্কে জানা"
অস্ত্র হাতে নিয়ে জীবন বাজী রেখে যারা যুদ্ধ করেছে তাদের কত শতাংশ নাস্তিক ছিলেন জানতে মঞ্চায় ।
গায়ে লাগছে কথাটা?
যাই হোক, আমারটা গনিতের ভাষায় হাইপোথিসিস বলতে পারিস। একটা জিনিস ধরে আগানো। প্রমান পাওয়া গেলে সত্য, না পাওয়া গেলে মিথ্যা।
পোস্ট টা মোটামুটিভাবে অসাধারন বলা যায়। বিশেষ করে বিভিন্ন মানুষের রেফারেন্সগুলো।
সামুব্লগে এই রাজাকারের বাচ্চারে নিয়ে আগে পড়ছিলাম। তারপর থেকে এর ইসলাম বিষয়ক কোন পরামর্শ আর শোনার প্রয়োজন মনে করি নি।
যাই হোক, আমারটা গনিতের ভাষায় হাইপোথিসিস বলতে পারিস। একটা জিনিস ধরে আগানো। প্রমান পাওয়া গেলে সত্য, না পাওয়া গেলে মিথ্যা। - এই উত্তরটা দায়সারা মনে হল।
তাকে কী তাহলে মুক্তিযোদ্ধা ধরা উচিত ছিল?
যাই ধরিনা কেন, তাতে কী আসে যায়?
সে তো রাজাকার, নাকি?
“যেহেতু তার দাঁড়ি আছে এবং বয়স দেখলে বোঝা যায় মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি যুবক ছিলেন তাই খোঁজখবর নেওয়া মানে হলো, তিনি রাজাকার বা এই জাতীয় কোন কিছুর সাথে জড়িত ছিলেন কিনা, স্বাধীনতা যুদ্ধের তার ভূমিকা কী ছিল সে সম্পর্কে জানা”
এর সাথে মুক্তিযোদ্ধারা নাস্তিক ছিল এইটার যোগসূত্র ঘটাইলি ক্যামনে? ব্যক্তিগত আক্রোশ বাদ দে ভাই, তোর ইসলামের ক্ষতি কর্তেছিনা।
রায়হান যে লাইনের আলোচনায় এটা আসল সে লাইনটা আমার কাছেও খটকা লেগেছিলো কিন্তু সেটা আলোচনার দরকার মনে করিনি বলে বলা হয়ে উঠে নি। আপাতত যদি তোমার হাইপোথিসিস যদি যুদ্ধাপরাধী খুঁজতে টুপি দাড়িওয়ালা লোক খোঁজ সেটা কিন্তু ভুল পথে লিড করে। এজন্য যে তার মানে টুপি দাড়ি নাই নাই এমন লোক রাজাকারের খাতা থেকে বাদ। আবার অনেক দাড়িওয়ালা লোক আছে যারা মুক্তিযোদ্ধা যাদেরকে আমি ব্যাক্তিগতভাবে চিনি এবং যারা সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। এই লাইনটিকে এডিট করা যায় কিনা এজন্য বিবেচনার অনুরোধ রইলো।
আর জাফর ইকবালের মত যদি তুমি বোঝ যে টুপি দাড়িওয়ালা মানে রাজাকার তাহলে
আমার আর বলার কিছু নাই।
বুঝতে ভুল করতেছেন। শুধুমাত্র মাওলানাকে নিয়ে কথা হচ্ছে এখানে। তাকে দেখলে আপনি কী হাইপোথিসিস নিতেন? মুক্তিযোদ্ধা, না রাজাকার? যদি মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে থাকতেন তাইলে আমার কিছু বলার নাই। আসলে আপনি যাই ভেবে নেন না কেন আমার কিছুই বলার নেই। কারণ ব্যাটারে দেখেই আমার রাজাকার ঠাওর হইছিল। আর আমি সামগ্রিক ভাবে রাজাকার সমগ্রে এই লাইন ব্যবহার করছিনা এইটাও মাথায় রাখা দরকার।
আর হ্যাঁ! এডিট করার প্রশ্নই আসেনা। আমি এইটা আন্ধা বাট্টা লিখিনাই, আমি এইভাবেই ভেবেছি, এভাবেই কাজ করেছি। ভাবনা পরিবর্তনের উপায় নেই।
দাড়িওয়ালা ধরে ধরে যুদ্ধাপরাধী ধরতে কে যায়। লিস্ট তো আছেই!!
সেটা তো আমিও জানি এবং লিস্ট ধরে আগানোটাই যথার্থ এবং যুক্তি সংগত কিন্তু রাজী র কমেন্টের উত্তর দেখে বিভ্রান্ত হইলাম।
ওকে বক্তব্য পরিষ্কার করার জন্য ধন্যবাদ।
তবে দেখে যাই ঠাহর করার কিছু নাই। সেটা ব্যাক্তিগত ভাবনায় হতে পারে। যখন বিশ্লেষণের ব্যাপার , তখন নিরপেক্ষ ভাবে দুটোর সম্ভাবনা সমান ধরে নিয়ে না আগালে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিজের অজান্তে বায়াসের সম্ভাবনা থেকে যায়।
আচ্ছা আমিন ভাই, আরেকটু পরিষ্কার করি।
আপনি আমার জায়গায় আপনাকে বসান। এখন মনে মনে ভাবুন তো এই লোক রাজাকার এই সন্দেহ আপনার না হলে আপনি কী তারে নিয়ে খোঁজাখুজিতে যাইতেন? যাইতেন না।
আচ্ছা এখন ভাবুন, রাজাকার এই সন্দেহ কেন আসতো? মুক্তিযোদ্ধা কেন না? আশা করি উত্তর পাবেন।
আপনি আরেকবার লাইনগুলো পড়ুন। দেখুন তো এখানে আসলেই সব দাড়িয়ালাকে রাজাকার বলা হয়েছে কিনা। অবশ্যই বলা হয় নি।
রাজী এই প্রসংগ তুলছে, শুধুমাত্র আমি ধর্মবিশ্বাস করিনা তাই আমাকে বাটে ফেলার জন্য। আপনি বিশ্বাস করবেন না, ও আমাকে এও বলেছে আমি কেন আইইউটিতে পড়ি, আর অবশ্যই আমি যেন বিয়ে না করি, কেননা বিবাহ একটি ধর্মীয় ইন্সটিটিউশন।
ও কাছে ধর্ম বিশ্বাস যে করেনা সে হলো দুঃশ্চরিত্র, লম্পট, নেশারু। অথচ এইসব "গুন" ৫০% এর বেশী ধর্ম বিশ্বাস করা মানুষেরও আছে। ধর্ম সবাইকে এইসব বিষয় থেকে বিরত রাখতে পারেনা। আপনে হয়তো বলবেন পারে, কিন্তু আসলেই পারেনা। কথায় আছেনা, ভার্জিনিটি ইজ নট এ ডিগনিটি, ইটস এ ল্যাক অফ অপরচুরিনিটি। রাজিকে বন্ধ রুমে একটি নগ্ন যুবতির সামনে ছেড়ে দিলে তার ধর্ম বিশ্বাস কই যাবে এইটা আমার খুব জানা আছে।
এইসব মন্তব্য করা, লাইনের ভুল ব্যাখ্যা করার উদ্দেশ্য কী এইটা আর না বললাম।
বুঝলাম রাজীর কমেন্ট টা তুমি একটু পারসোনালি নিয়ে ফেলছো। আর পিছনের ঘটনার কিছুটা আঁচে বুঝলাম ব্যাপারটা বেশ জটিল। আমার কমেন্টের প্রেক্ষিতে ব্যাক্তিগত কথা ব্লগে চলে এল বলেও আমি দুঃখিত।
আমি শুধু এজন্য এডিটের কথাটা বলেছিলাম "যেহেতু তার দাড়ি আছে" এই কথাটায় তুমি যা বুঝাতে চাইছ তা অন্যভাবে প্রকাশ করা সম্ভব যাতে কেউ লেখার শুরুতেই এই লাইন দেখে কোন রকম সরলীকীকরণে না যায় ( যে ব্যাপারটা হবার সম্ভাবনা যথেষ্ট বলে আমার মনে হয়েছিলো। ) আমার নিজের মনে হয়েছে এই লেখাটার গণ্ডি শুধু আমাদের মাঝে না সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়া দরকার এবং সাধারণ মানুষ সবাইকে এইসব ভণ্ডগুলির মোহ থেকে বের করাটাও একটা তাৎপর্যপূর্ণ কারণ , সব রকম পাঠকের বুঝার ধরণ টা একটু খেয়াল করা যেতে পারে।( অবশ্যই নিজের মতাদর্শ কে না বিলিয়ে )।
রাজী এই প্রসংগ তুলছে, শুধুমাত্র আমি ধর্মবিশ্বাস করিনা তাই আমাকে বাটে ফেলার জন্য।
তোর সাথে আমি মাত্র একদিন কথা বলছি এই বিষয় নিয়ে। যতই চিল্লাচিল্লি করি, বন্ধুত্বের ঘাটতি ছিল বলে আমার মনে পড়ে না।হোসেন এর সাথে আমি ঘন্টার পর ঘন্টা, দিনের পর দিন আমি এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি, হোসেন রাগ করছে, আমি রাগ করছি কিন্তু এই কথাগুলা কখোনই ১০০৯ নাম্বার রুমের বাইরে গিয়েছে বলে আমার মনে পড়ে না। তর্ক করছি বলেই যে বাটে ফেলনোর উদ্দেশ্য নিয়ে কোন কাজ করছি এরকম ধারনা দুঃখজনক । আমিন ভাইয়ের সাথেও যে আমার কোনদিন তর্ক হয় নাই ব্যাপারটা এরকম না।
আইইউটি তে পড়া নিয়ে কথা বলার আগে কোন কারনে হিপোক্রেসি নিয়ে কথা হয়েছিল আমার স্পষ্ট মনে আছে ।
৭১ সালে সব রাজাকারই মুসলমান ছিল যাদের সবারই আজকে দাড়ি আছে বলে ধরে নেওয়া যায়, কিন্তু দাড়িওয়ালা লোক মাত্রই রাজকার না এটা আমি মনে করি। তোর লেখার মাঝে দাড়ির ব্যাপারটা অপ্রাসাংগিক ভাবে এসেছে বলে আমার মনে হয়েছে। এই অংশটুকু বাদ পড়লে লেখাটা আরো বেশি অসাধারন হতো বলে আমার মনে হয়। এবং এই মনে হওয়াটা নিতান্তই ব্যক্তিগত ।
তোর সাথে আমার সেইদিন পাপ-পুন্যের স্টান্ডার্ড নিয়ে কথা হয়েছিল। তাই বলে বিশ্বাসীরা সব ধোয়া তুলসি পাতা এরকম আমি কখোনো বলেছি বলে মনে পড়ে না।
আর ধর্ম বিশ্বাস করি বলে আমি খুব চরিত্রবান, সৎ এই সার্টিফিকেট আমি কারোর কাছে চাই নি।
কোন ভাবেই আমার দাড়ি সংক্রান্ত লাইন সব হুজুর রাজাকার ও সব মুক্তিযোদ্ধা নাস্তিক এইটা মিন করেনা।
দাড়িওয়ালা সবাই রাজাকার না, এইটা তুই মনে করিস, ভালো কথা। এইটা আমিও মনে করি, সামান্য জ্ঞান বুদ্ধি আছে সবাই এইটাই মনে করে। তবুও তুই এইটা নিয়ে ঘোট পাকাইছিস!!!
রাজী আর রায়হান...তোগো দুইডারে ধইরা একসাথে বাইন্ধা রাখতে মঞ্চাইতাছে।ঝগড়া করার আর জায়গা পাস না ?
অসাধারণ একটা লেখা। এইরকম তথ্যবহুল লেখার জোয়ার না আসলে যুদ্ধাপরাধীদের মোকাবেলা করা সম্ভব হবে না। কারণ দেশে এখন হাজারটা ইসলামী দল এবং প্রায় প্রত্যেকটা দলই একাত্তরের ঘাতক-দালাল ধর্ষকদের আখড়া। দলবদ্ধ হওয়ার কারণেই এদের মোকাবেলা করা যাচ্ছে না। বিপরীতে আমাদেরও দলবদ্ধ হতে হবে। ধর্মের উপরে স্থান দিতে হবে মানবতাকে।
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই.....
- হুম।
আবীর, কাজটা দারুণ হয়েছে। পড়াশুনা তো একটা পর্ব শেষ হইলো, এখন নিয়মিত বাউনিয়া না গিয়া (মাঝে-মধ্যে যাও, আপত্তি নাই) "রাজাকারনামা" শুরু করো। আইসক্রিম খাইতে কবে আইতাছো?? গইল্যা গেলো তো!! :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
একটা রাজাকারের (মিথ্যার ভাগাড়) লাদানি দেখলাম মনে হয়!! ওর হিসাবের বহর পইড়া হাহাপিগে......!! আমাদের এক প্রবাসী বন্ধু কয়েকদিন আগে গ্রুপে এই জাতীয় একটা লাদানি দিছিল। সবাই মিল্যা হেরে এমুন প্যাদানি দিছি!! পুরা ঠান্ডা মাইরা গেছে।
বাচ্চুর মহব্বতের এই মালটারে মাস্ফ্যুর হাতে ওইডারে ছাইড়া দেও!! :duel: :duel: :duel:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
লাবলু ভাই মাঝে মাঝে কথাবন্ধুদের দিয়ে দুইলাইন রাজাকারনামা পড়ানোর ব্যবস্থা করবেন? পরিচিত যাদের অতীত সম্পর্কে আমরা জানিনা? খুব রিস্কি হবে কাজটা?
ইয়ে সানা ভাই, এট্টা কথা কই? আব্বা আম্মার সাথে বইসা সেইদিন টিভিতে খবর দেখতেছিলাম-হঠাৎ দেখাইল আপনি আইনমন্ত্রীরে সওয়াল করতেছেন।আমি এইটা দেইখা লাফায়া উঠছি-"আরে,এইটা তো আমাদের সানা ভাই!!!!" আবার আব্বা আম্মা একটু ভ্রু কুঁচকায় কইলেন- আদব কায়দা সব গুইলা খাইছিস নাকি? আমার কাছাকাছি বয়েসের একজনরে এমনে ডাকতেছিস যেন ভদ্রলোক তোর ভার্সিটির হলমেট x-(
আমি হেভী পার্ট নিয়া কইলাম,তোমরা বুঝবানা-উনাকে আমরা সবাই সানা ভাই বইলাই ডাকি-উনি আমাদের ক্যাডেট কলেজের বড়ভাই B-) B-)
আব্বা আম্মা আর ছুডো ভইন কিছুক্ষণ কনফিউজড হয়া তাকায় থাইকা হাল ছাইড়া দিল 😀
যতোই রেলের চাক্কায় তেল দেও লাভ নাই।
কপালে সেই রঙ চা। >:)
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
আর আমার জন্য আইসক্রিম! 😀
🙁 🙁 🙁 :(( :(( :((
:khekz: :khekz:
ইয়ে মানে কে জানি জানতে চাইছে আমার ওই ফেলার্টার বড়ভাই কেমন আছে :shy:
কে এই কে?
ফেইসবুকে দিয়ে দিলাম। বাকিগুলারেও আস্তে আস্তে চিইপ্যা ধর।
“যেহেতু তার দাঁড়ি আছে এবং বয়স দেখলে বোঝা যায় মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি যুবক ছিলেন তাই খোঁজখবর নেওয়া মানে হলো, তিনি রাজাকার বা এই জাতীয় কোন কিছুর সাথে জড়িত ছিলেন কিনা,
লেখা ভাল :boss: :boss: :boss: । অামি অবশ্য তার সম্পর্কের্ অগে জানতাম কারন অামার রুমমেট এর বাড়ী ফরিদপুর এবং সে তার সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছে ,সে অবশ্য অার একজনের কথাো বলেিছল অাশা করি ফরিদপুর দিেয় শুরূ করায় তার কথাো অামরা জানতে পারব । তবে উপরের কথাটা ভালো লাগে নি।কারন অনেকের দাড়ি থাকতে পারে কিন্তু তাই বলে যে রাজাকার তা কিন্তু না ।মাোলানা ভাষানীর দাড়ী ছিলো । তিনি কি রাজাকার ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর চার খলিফার অন্যতম সিরাজুল ইসলাম খান এর দাড়ি অাছে
তিনি মুজিব বাহিনীর অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন তাহলে।
এরকম উদাহরন না দিলেই ভাল হত।
কারন একটি অসাধারন লেখা শুধুমাত্র একটা বাক্য এর জন্য কেমন জানি লাগছে।
but keep going...........
যাক হাতে কিছু সময় পাওয়া গেল।
আবুল কালাম আজাদ সম্পর্কে নতুনরা এত কম জানে ব্যাপারটাই আমার কাছে অবাক লাগলো। সেই সাথে এটাও বুঝলাম, আমরা আসলে কত পিছিয়ে আছি, ইতিহাস কিভাবে ভুলে যাচ্ছি।
মিডিয়ার উপরে কাজ করা দরকার, সাংবাদিক। ধর্মীয় অনুভুতিকে এরা কাজে লাগাচ্ছে, এনটিভি কিংবা এটিএন ধরে ধরে রাজাকার এনে কেন আমাদের ইসলামের সবক দিচ্ছে এটা আমার বোধগম্য হয় না। এতে সাধারন মানুষের মধ্যে তাদের জন্য একটা সহানুভূতি তৈরীর উপায় করে দিচ্ছে তারা। কেন বাংলাদেশে কি স্বাধীনতা পন্থী একজনও ভালো আলেম-মওলানা নেই যিনি ধর্মীয় আলোচনা করতে পারেন? তাদের বাদ দিয়ে এদের পেট্রোনাইজ কেন করছে মিডিয়া, উদ্দেশ্য কি?
ধর্মেরর সংগে এদের মিলাতে গেলে সমস্যা আছে, আর এরাও সর্বান্তকরনে চাচ্ছে ধর্মীয় লেবাস নিয়ে সমস্ত অপরাধ ঢাকা দিতে। এখন কেউ যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে গিয়ে ধর্মকেই কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে ফেলে তবে সে একটা নির্বোধ, এবং অবশ্যই সে এখানে একটা বাধা তৈরী করছে।
তোমরা তো এগুলো বুঝ, নাকি বুঝ না?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
😀 😀 😀
কেমনে বুঝি বলেন। এখন তো ডিজিটাল বাংলাদেশ।
এক গোয়ালের একটা খারাপ হলে সবাই খারাপ বুঝলেন না।
এটা নিয়ে আলোচনা অবান্তর মনে করছি। বরং আরও কিভাবে আগানো যায় সম্মিলিতভাবে সেটা নিয়ে ভাবতে অনুরোধ করছি।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
এসব লোকেরা আমাদের এভাবেই বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে। বাচ্চু রাজাকার নিজের মেয়ের বিয়ে দিয়েছে আরেক রাজাকারের ছেলের সাথে- রংপুরের মিঠাপুকুরের মোজাফ্ফর আহমদের ছেলের সাথে। এই মোজাফ্ফরও মুক্তিযোদ্ধার জন্য বরাদ্দ বাড়ি দখল করে ভোগ করছে বহুবছর। মীরপুরের নামকরা খারাপ কাজকারবারের অংশীদার বাচ্চু রাজাকারের বেয়াই।
আপনার লিখায় +
:thumbup: :thumbup: :hatsoff: :hatsoff:
Life is Mad.
ফেসবুক এ শেয়ার করলাম।
হয়তো অনেকেই পড়েছেন তবু নিচের লিঙ্ক টা দিলাম
http://www.sachalayatan.com/ragib/27130
জোশিলা লেখা.
রাজাকারের পাছায় লাত্থি !!
চমৎকার পোষ্ট। গতকালই পড়েছি।
ফাটাফাটি রায়হান, সাবাস! চলুক :clap:
:clap: অনেক ভালো একটা লেখা, আপনি লিখেছেন চমৎকার।
ভাল হয়েছে। কনক ধন্নবাদ
লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো, অনেককিছু জানাও থাকলো। লিংকটা পেয়েছিলাম ফেসবুক থেকে। ধন্যবাদ লেখককে, এবং অবশ্যই, পোস্ট দেবার জন্য, শামীমকে।
কৌতুহল থেকে প্রশ্ন: এই সাইটটা কি কেবলই এক্স-ক্যাডেট ব্লগারদের জন্য? মানে আমার মত "নেভার বিন আ ক্যাডেট" কেউ কি এই ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করতে, অ্যাট লিস্ট, নিয়মিত লেখতে পারবে? আমার কিছু অন্যরকম লেখা জমে আছে, যা কেউ পড়লে ভালো লাগে। আমার তো তেমন টাকা-পয়সা নেই, কোনও দিন হবেও না (হলেও, টাকা হবার আগেই টাকার জন্য হাহাকারগুলো আরো বেশি বেড়ে যাবে); তাই বই আকারে কোনওদিনই সেগুলো প্রকাশ পাবে না। এজন্যেই শুধুই সন্ধানে থাকি, যেখানেই সমঝদার পাঠকদের অনেক ভীঁড় দেখি, সেখানেই এগুলোকে পোস্ট করতে চেষ্টা করি। সামুতে এককালে লিখতাম। সেখানে এক "মিথ্যার ভাগাড়"মার্কা দালাল এমন গালাগাল শুরু করলো (অত্যন্ত আপত্তিকর তার ভাষা, মা বোনদের সে কী করবে- এই জাতীয় কুৎসিত কথা), তার প্রতিবাদ করতে গেলাম বলে মডারেটর আমাকেই ব্যান করে দিলো! পরে খোঁজ নিয়ে জানলাম, আমার কয়েকজন লেখক বন্ধুরও একই পরিণতি হয়েছে। কী আর করা... বাধ্য হয়েই ফেসবুকে "নোট" লিখে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছি (সেখানেও বিপত্তি, ফেসবুকের ইউজার'রা বেশিরভাগই বাংলা পড়তে জানেন না!)...
যাই হোক, খাজুড়ে প্যাচাল অনেক পেড়ে ফেললাম। এখন বুঝতে পারছিনা, আমার কমেন্ট-এর জবাবটা কে দেবেন। এই পোস্টের লেখক, নাকি মডারেটর, নাকি আর কেউ?
রায়হান আবীর, তোমাকে ধন্যবাদ।
এই ছোট্ট এক কথায়-ই আপাততঃ তোমার লেখা...তোমার প্রচেষ্টা...তোমার আন্তরিকতা...সবকিছুকে ধন্যবাদ এবং সাধুবাদ জানালাম। :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: :salute: :salute: :salute:
# ব্লগের এডু...মডু...এবং অন্যান্য জ্যাকফ্রুট জনতা (আমার মতন)-র কাছে আমি অতিথি (গুঞ্জন চৌধুরী)-র প্রশ্নটির বিষয়ে কোন গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ নেয়ার অবকাশ রয়েছে কি না...সে ব্যাপারে (রেড বুকের পাশাপাশি)...বিবেচনার অনুরোধ জানাচ্ছি
** আমার দৃষ্টিতে সম্ভাব্য উপায়
* গুঞ্জন চৌধুরী-ভাইয়া, আপনার আপত্তি না থাকলে...
আপনি আপনার পরিচয়...শিক্ষাগত বর্ণনা...ইত্যাদির মাধ্যমে আমাদের এই ব্লগের কাউকে পেয়ে যাবেন...যিনি আপনার ব্যাচমেট কিংবা সমসাময়িক...অথবা পরিচিত।
আমার মনে হয়..., আবারও বলছি...আপনার আপত্তি না থাকলে..., আপনি তাঁর (আমাদের ব্লগে...আপনার বন্ধু) মাধ্যমেই...আমাদের এখানে লেখা দিতে পারবেন (অবশ্যই আপনার রেফারেন্স তো অবশ্যই থাকবে!!)
* আমার মা-এর একটি লেখা আমার ছোটভাই (জুনায়েদ কবীর) এভাবেই শেয়ার করেছিল...।
*** বুঝেন-ই তো ভাইয়া..., আপনি আমাদের কেউ একজন হলে তো আমরাই আরও সমৃদ্ধ হতাম...(আফসোস্...ভুতাপেক্ষ ক্যাডেটশীপের কোন সুযোগ নেই...থাকলে আমরা আরও অনেক-কেই আমাদের অন্তর্ভূক্ত করতে পারতাম!!)
Proud to be an ex-cadet..... once a cadet, always a cadet
ওয়েল, অনেক কথা বলে ফেলেছি গুঞ্জন চৌধুরী-ভাইয়া...স্যরি।
এবং স্যরি...ব্লগের এডু...মডু এবং ম্যাঙ্গো...জ্যকফ্রুট জনতা!!!
Proud to be an ex-cadet..... once a cadet, always a cadet
এই ব্যাপারে এডু/মডু কেউ জবাব দিলে ভাল হয়।
একজন লেখক এখানে লিখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এটা জেনেও যে এটা শুধু ক্যাডেটদের ব্লগ, সেটাকে আমি পজিটিভলি নিতে চাই। আমার আগের পোষ্টেও আমি বলেছিলাম কেউ যদি ক্যাডেটদের আদর্শের সাথে চলতে পারে তবে আমরা কেন তাঁদের স্বাগতম জানাবো না। অন্তত তাদের অতিথি হিসেবে নিতে পারি। লেখা মডারেশন হয়ে আসবে আর মন্তব্য সরাসরি করবে বা মডারেশন হয়ে আসবে। যদি কেউ সিসিবির আদর্শের সংঘাতে যায় তবে তাঁকে ব্যান করার অপশনতো থাকেই।
বাকিদের কি মতামত?
আরেকটু যোগ করছি। আমরা যদি ইন্ডিভিজুয়ালি সবাইকে অতিথি একাউন্ট নাও দিই, আমরা কি একটি কমন অতিথি একাউন্ট রাখতে পারি না (সচলের মত) যেটি ব্যবহার করে নন-ক্যাডেট কেউ চাইলে তাঁর লেখা জমা দিতে পারবে? আর মন্তব্যের জন্য তো একাউন্ট না হলেও চলে। তাহলে বাহিরে জগতের সাথে আমাদের যোগাযোগের একটি পথ অন্তত খোলা থাকে।
বাকিদের মত কি জানি না, আমি মোস্তফা ভাইয়ের সাথে মোটামুটি একমত। অতিথি একাউন্ট হিসানে গুঞ্জন চৌধুরীকে সুযোগ করে দেয়া যায় । যদি তিনি আমাদের মাঝে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তবে থাকলেন, এতে আমি কোন সমস্যা দেখি না। তবে সচলের মত পার্মানেন্ট অতিথি একাউন্টের আমি বিপক্ষে। সিসিবিতে সেটা আছে কিনা আমি ঠিক জানিনা।
বাইরের লোক ক্যাডেটদের সাথে চলবে তাদের কথা জানবে এতে কোন সমস্যা দেখি না। তবে শেষ কথা ঐ তাই এতা যেহেতু ক্যাডেট কলেজ ব্লগ স্মৃতিচারণ পোস্ট আসবে। কথা বাড়্তায় কিছু ক্যাডেটিয় প্রভাব থাকবে। কমেন্টের ব্যাপারে তো কোন বাঁধাই নাই।
বাইরের জগতের সাথে আমাদের যোগাযোগ কি এখন বন্ধ আছে?
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
অতিথিদের মন্তব্য এখানে আমরা সব সময় স্বাগত জানাই। কিন্তু ক্যাডেট কলেজ সংশ্লিষ্ট কাউকে ছাড়া (পরিবার/শিক্ষক/বন্ধু) অন্যদের সদস্যপদ দেয়ার ব্যপারে আপত্তি জানালাম। 'ক্যাডেট কলেজ ব্লগ' এক্সক্লুসিভলি ক্যাডেট পরিবারের জন্যেই থাকুক।
ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
অতিথি সদস্যপদ দেয়ার ব্যাপরে সহমত|
মোস্তফা ভাইয়ের কথার সাথে একমত।অতিথি সদস্যপদ দিলে ভালো হয়।
আর কামরুল ভাই...কেউ যদি তার নিজের লেখা শেয়ার করতে না পারে তবে মন্তব্য দিয়ে কতদিন যোগাযোগ করবে?কেউ যদি এখানকার পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে তবে সমস্যা কোথায়?
@রায়হান...লেখাটা অনেক অনেক ভালো হয়েছে।অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া
একটা অতিথি লেখক আইডি অলরেডি আছে। সেটা গুঞ্জন ভাইকে দেওয়া যায়। যেহেতু আগেও অতিথি লেখকরা লেখেছেন। কামরুল ভাইর সরাসরি না করে দেওয়াটা মানতে পারলাম না। সবাইকে আলাদা আলাদা আইডি না দেওয়া হলেও অতিথি লেখক হিসেবে অনেকেই লেখেছে এর আগে সেটা আবার দিলে সমস্যা দেখতে পারছি না।
অতিথি সদস্যপদ দেবার ব্যাপারে আমার আপত্তি আছে। আমাদের সবার মানসিকতা এবং চিন্তাধারার আমি একটা মিল খুজে পাই। অতিথিরা সেই ইউনিফরমিটি ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। যে কারনে আমি অন্য ব্লগে সাচ্ছন্দ পাই না , সে কারন এই ব্লগ এ ঘটলে খুব খারাপ লাগবে।
এর আগে যদি কেউ লিখেই থাকেন তবে উনি হয় কোন ক্যাডেটের ভাই ছিলেন, অথবা খুব কাছের বন্ধু কেউ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি শেষ মেষ উনারা কেউই সেটা আর কন্টিনিউ করেননি।
আমি কামরুলের সাথে এই কথায় একমত, ‘ক্যাডেট কলেজ ব্লগ’ এক্সক্লুসিভলি ক্যাডেট পরিবারের জন্যেই থাকুক।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
@ কামরুল
একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি, শুধু মন্তব্য দিয়ে কি বাহিরের জগতের সাথে যোগাযোগ রাখা যায়? ব্লগ একটি মাধ্যম যেখানে ব্লগার নিজেই লেখক আবার নিজেই অন্য লেখার পাঠক। তাই কারোর লেখা না থাকলে সে কেন শুধু মন্তব্য করার জন্য আর লেখা পড়ার জন্য সিসিবিতে আসবে? তবে, তোমার মতামত যদি হয় যে ক্যাডেট কলেজ ব্লগ শুধু ক্যাডেট কলেজ সংস্লিষ্ট মানুষদের জন্য তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই।
পুরোপুরিই সহমত
আর বাইরের জগতের সাথে আমাদের যোগাযোগ কি আমার ঘরে কাউকে ডেকে আনলে বৃদ্ধি পাবে না আমি বাইরে ঘোরাফেরা করলে বেশি হবে? :-/ :-B
আমার তো মনে হয় বাইরের কাউকে না ডেকে যার যার ইচ্ছা হয় সে সে বাইরের ব্লগগুলোয় ঘোরাফেরা করলেই বাইরের জগতের সাথে আমাদের যোগাযোগ বেশি বৃদ্ধি পাবে।
সরি রায়হান, তোর পোস্টে অন্য টাইপের কথা বলতে হইল
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
ভাইয়া আমার মনে হয় ক্যাডেটদের ব্লগ ক্যাডেটদের থাকলেই ভাল হয়।
ভাই আদীব, এট্টুস খানি কারেক্সন। তোমার ক্যাডেট কলেজে অবস্থান কাল ৯০৬ বছর। ১০৯৯ এর যায়গায় ১৯৯৯ হবে বোধহয়। :pira: =)) =))
আল্লাগো,আমি কি ১০০০ বছরের প্রেতাত্মার সাথে কথা কৈতাছি 🙁 ?
এইসব মানুষের মুখে ধর্মের কথা শুনে মানুষ। চোরের মুখে ধর্মের কাহিনী।
আমার কিন্তু একটা ব্যাপার বরং ভালোই লাগছে, আপনাদের নিজেদের ব্লগের স্বকীয়তা অক্ষূণ্য রাখার জন্য আপনারা যথেষ্ট সোচ্চার। এটাই তো চাই... আমার লেখা কোনও না কোনওভাবে, কোথাও না কোথাও প্রকাশ হয়েই যাবে.. কিংবা হয়তো হবে না, তাতেই বা কী? আমি তো জীবনানন্দ দাশ নই যে, আমার লেখা প্রকাশ না হলে বাংলা সাহিত্যের বিরাট কোনও ক্ষতি হয়ে যাবে। তার চেয়ে অনেক বেশি জরুরী দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা, মনযোগ আর আন্তরিকতায় গড়ে তোলা একটা প্লাটফর্মকে স্বমহিমায় ভাস্বর রাখা। আমি দু:খিত, অনধিকার চর্চা করার জন্য। lets forget it...
আমি বরং আমার সম্পর্কে একটু বলি, দেখি ক্যাডেটকূলে আমার পরিচিত বন্ধু কেউ বেরোয় কিনা...। আমার নাম তো আগেই লিখেছি, এই নামে একজন গীতিকারও বহাল আছেন। যারা সমসাময়িক প্রকাশিত বাংলা গান মোটামুটি শোনেন, FM চ্যানেলগুলো শোনেন, তারা হয়তো পারভেজ (হায় চোখ, পথ, প্রিয় দেশ আমার...), হৃদয় খান (বলনা, ছুঁয়ে দাও আমায়, ধোঁয়া ধোঁয়া) নামগুলো এবং তাদের গানগুলো শুনে থাকবেন। এঅতি বিনয়ের সাথে জানাচ্ছি,সেই গুঞ্জন চৌধুরী আ এই গুঞ্জন চৌধুরী একই ব্যক্তি।
আমার কলেজ জীবন কেটেছে আধা ক্যাডেট জাতীয় একটা প্রতিষ্ঠানে, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, বগুড়া-এ। সেটা '৯৪ থেকে '৯৬। তারপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাস্টার্স। থিয়েটার করতাম বলে রাবি ক্যাম্পাসে আমার কিঞ্চিত জনপ্রিয়তা ছিলো। আমার ব্যাচের মাত্র দুজনের সম্পর্কে জানতাম, যারা এক্স ক্যাডেট ছিলো। তাদের একজন তোহা, অন্যজন জামান; দুজনই আইন বিভাগে পড়তো, রাজশাহী ক্যাডেট থেকে এসছিলো। তোহা এখন কোথায় জানিনা, সরকারী চেয়ারে বসার কথা মনে হয় শুনেছিলাম। জামান দেশের বাইরে, তবে কোন দেশে তা জানিনা। তো, সংক্ষেপে এই হলো আমার আমি এবং সেই আমি'র ক্যাডেট কানেকশান।
আমি মনে হয় এই ব্লগে আর লিখবো না, তবে সুযোগ পেলেই একবার চোখ বুলিয়ে যেতে ছাড়বো না। কারণ আমার ধারণা, কিছু মাথাওয়ালা ছেলেমেয়ে (যদিও এখনও কোনও মেয়ের লেখা পড়িনি) লিখছে এখানে। যাই হোক, যাবার বেলায় একটা কবিতা শোনাতে ইচ্ছে করছে খুব। আর হ্যাঁ, আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগের পথগুলো চিনিয়ে দিই: ০১৯১৫৬০১৯১৪, goonjohn@live.com (ফেসবুক-এ আসুন) এবং/অথবা paperweight78@gmail.com
যুদ্ধপাপী
আমার মতো বলতে পারে কে বলো আর
পঙ্গু হয়েই জীবনটা যে কাটছে আমার
ভাই হারালাম, বন্ধু স্বজন একাত্তরে
সেই খুনিদের বিচার আজকে কে আর করে!
এক এক করে পেরিয়ে গেল তিনখানা যুগ
ন্যায্য বিচার চাইলে এখন বলছো হুজুগ
রাজনীতিতে অংক কষো তোমরা যারা
শুনতে কি পাও কাঁদছে কত স্বজনহারা?
তাড়িয়ে বেড়ায় স্বপ্ন আমায় দেখবো কবে
এই মাটিতে যুদ্ধপাপীর বিচার হবে ॥
চারটা দশক খুনের হিসাব রাখছি জমা
চারশ’ বছর গেলেই কি কেউ পাবে ক্ষমা!
আমার বাবার পাঁজরে যে করাত ঘষে
সেই খুনিদের কে দেয় ক্ষমা কোন সাহসে!
রক্তচোখে শপথ জ্বলে এবার তবে
এই মাটিতেই যুদ্ধপাপীর বিচার হবে ॥
কথা: গুঞ্জন চৌধুরী
সুর: ফোয়াদ নাসের বাবু
* কবিতা নয়, গানই পোস্ট করলাম। এটা আমার লেখা একটা গান, যাতে সুরারোপ করেছেন ফিডব্যাক-এর দলনেতা, সঙ্গীত পরিচালক ফোয়াদ নাসের বাবু। গানটা তৈরি করা হয়েছিলো সেক্টর কমান্ডার্স ফোরম-এর অনুরোধে, কোনও এক বিচিত্র কারণে তারা এখন গানটা প্রকাশ করতে দ্বিধা করছে!!!
গুঞ্জন ভাই আপনার গানের কথাগুলো অসাধারণ লাগল।
ধন্যবাদ। আমি তো মূলত গীতিকার, তাই চেষ্টা থাকে যা কিছু ভাবছি তার সবটাই যেন গানের কাঠামোয় প্রকাশ করতে পারি। গান লেখায় আমি 'প্রফেশনাল' হলেও এটা কিন্তু এখনও আমার পেশা নয়। তাই'ই হয়তো এখনও পর্যন্ত আপনাদের কাছ থেকে "ভালো লাগলো"-সুলভ মন্তব্য শুনে ছেলেমানুষী-ধরণের ভালোলাগায় ভরে যায় মনটা।
গুঞ্জন চৌধুরী ভাইয়া,
আপনার লেখা গানটা অনেক অনেক ভালো লাগলো।আশা করছি শীঘ্রই শুনতে পাবো।
"সেই খুনিদের কে দেয় ক্ষমা কোন সাহসে"
সম্ভবত এই লাইনটার জন্যেই প্রকাশ করতে দ্বিধা
ধন্যবাদ, আপনার ভালো লাগলো বলে। ... আর ওই লাইনটার কথা বলছেন? আপত্তি জানালে কী আর করা! সততার সাথে বলছি, ওই রকম একটা লাইন লিখবো বলেই তো গানটা লিখেছি। "রাজনীতিতে অংক কষো তোমরা যারা..." এই রাজনৈতিক গণিতবিদেরা আমাদের প্রায় সবকিছুই গ্রাস করেছে, তাই বলে কি ৭১-এর চেতনা বলেই কিছু আর থাকবে না? আমার এখন সন্দেহ হয় (কেবল এই গানটা প্রকাশ হতে না দেবার জন্যে নয়, সাম্প্রতিক ধারাবাহিক কিছু সিদ্ধান্তহীনতা ও আপোষকামিতার কারণে), যাদের উদ্যোগে এই গানটা তৈরি করা, সেই সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামই হয়ত নতুন কোনও অংক কষতে বসে পড়েছেন...
আপনার গানটা রেকর্ডিং হয়ে গিয়ে থাকলে এমপি৩ তে পাওয়া যাবার কি কোন ব্যবস্থা আছে গুঞ্জন ভাই? গানের কথাগুলো শুনে খুব আগ্রহ জাগছে গানটা শোনার... অবশ্য কপিরাইট বা এ জাতীয় ঝামেলা থাকলে দরকার নেই...
আপু আপনি মাথাওয়ালা শ্রেণীতে না পড়লে আমি বৃক্ষ শ্রেণিতে পড়িনা x-(
দু:খিত মাসরুফ, গানটা ফাইনাল-রেকর্ড করাই এখনও সম্ভব হয়নি। ওই যে বললাম, যথাযথ কর্তৃপক্ষের টালবাহানা...। আমরা চাইলে নিজেরাই রেকর্ড করে ফেলতে এবং প্রকাশ করে ফেলতে পারতাম, তাতে প্রফেশনাল এথিক রক্ষা করা সম্ভব হতো কি? যাঁরা ফোয়াদ নাসের বাবু-কে ব্যক্তিগতভাবে এবং অবশ্যই প্রফেশনাল কাজের প্রেক্ষিতে চেনেন, তারা জানেন, বাবু ভাই কখনও একজনের কাজ অন্যজনকে দেন না, বা যার কাজ তা, তার অনুমতি ছাড়া পরিবর্তন করেন না, এমনকি নিজের প্রয়োজনেও কখনও ব্যবহার করেন না। যেহেতু গানটা সেক্টর কমান্ডারস' ফোরাম কর্তৃপক্ষের অর্ডারে তৈরি করা হয়েছিলো, তাই এটার ভবিষ্যত নির্ভর করছে একমাত্র তাদেরই সিদ্ধান্তের ওপর। আমরা তাদের সুবুদ্ধি ও সদিচ্ছার অগ্রগতি কামনা করা ছাড়া আর কীইবা করতে পারি?
আপনার গান, মন্তব্য, বিনয় সব বেশ ভালো লাগলো। আপনার সাফল্য কামনা করছি। আমি অবশ্য বয়সে আপনার বড় হবো।
- এ লেখার পরিপ্রেক্ষিতে বলছি, মাথাওয়ালা শ্রেনীতে হয়তো পরি না তবে এখানে মাঝে মাঝে লিখে থাকি।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপু,
আপনার পেজ থেকে ঘুরে আসলাম। অনেকগুলো লেখা, সবই মনে হলো ফিকশন। পরিচিত মহলে ফিকশন প্রসঙ্গে আমার "উইপোকা" নাম আছে। আমি ঠোঙ্গা'র কাগজে গল্প লেখা দেখলে ঠোঙ্গার ভেতরের চিনি-ডাল ফেলে দিয়ে গল্প পড়েছি এবং আমার পিটে বেদম মার পড়েছে- এমন রেকর্ডও আছে।
আমার বাসায় নেট লাইন নেই, নেয়া যাচ্ছে না একটা মাফিয়া চক্রের কারসাজিতে (এটা আবার আরেকটা বিরাট ইতিহাস, ঘরে ছিলনা কেরসিন... থাক এখন।), তাই অফিসে বসেই নেট ব্রাউজ করতে হয়। অনেক কষ্টে লোভ সামলালাম, কিংবা বলতে পারেন চাকরি বাঁচালাম। আরেকদিন কখনও পড়বো আশা রাখি। আর "মাথা" আছে কি নেই, সেই হিসেব তখনই দেখা যাবে, হা হা হা।
সবার মন্তব্য পড়ার সময় পেলাম না। তবে লেখাটা পড়ে মোনে হল কিছু যদি করতে পারতাম... হাত নিশপিশ করছে...
সম্পূর্ন একমত।
আরেকটা জিনিষ কি চিন্তা করতে পারি, সিসিবি কোথাও একটা অতিথি কর্নার জাতীয় কিছু? :just: মাথায় আসলো তাই বললাম।
আমারও আসলে এরকম মনে হয়।সদস্যপদ এক্সক্লুসিভলি ক্যাডেটদের জন্যে থাকুক কিন্তু অতিথি সমমনা লেখকদের জন্যে অতিথি কর্নার জাতীয় কিছু করা যেতে পারে।এতে গুঞ্জন চৌধুরি বা এঁনাদের মত অতিথি লেখকরা যদি এখানে লেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তবে তা পূর্ণতা পাবে(প্রয়োজন হলে মডারেশনের মাধ্যমে-যেখানে খতিয়ে দেখা যেতে পারে যে লেখাটি ক্যাডেট কলেজ ব্লগ নীতিমালা পরিপন্থী কিছু হচ্ছে কি-না)।এ ব্যাপারে মডারেটরদের এবং শ্রদ্ধেয় সিনিয়র ভাইদের মতামতই চুড়ান্ত,তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আলাদা কর্নার হিসেবে অতিথি লেখকদের জন্যে একটা কর্নার থাকলে মন্দ হয়না।
আপনাদের আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করলো। আমার ধারণা, ব্লগের সদস্যদের মনভাব আমি প্রায় পুরোটাই বুঝতে পেরেছি। আমাকে (বা আমার মতো নন-ক্যাডেট অতিথিদেরকে) লিখতে দেবার ব্যাপারে অধিকাংশ সদস্যকেই বেশ আগ্রহী বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, নিয়ম ভেঙ্গে আমাকে এখানে একটা জায়গা করে দিতেই হবে। একটা নিয়ম করা হয়েছে, ক্যাডেট ফ্যামিলি'র বাইরে কেউ এখানে নাক গলাতে পারবেন না- সেটা কেন করা হয়েছে? নিশ্চয়ই সেটার কোনও যৌক্তিকতা আছে। সেটা কোনও একটা অবস্থার প্রেক্ষিতে এসে যদি হোঁচট খায়ই, তাই বলেই তো আর ভ্রান্ত হয়ে যাবে না। আমিই বা কীভাবে গ্যারান্টি দিবো যে আমি আপনাদের নিজেদের মতো করে গড় তোলা এই ছিমছাম উঠোনে বুনো ফুলের ছদ্মবেশে বস্তুত কোনও আগাছা নই? নিয়মটা যখন করা হয়েছিলো, তখন নিশ্চয়ই অভিজ্ঞতা, উপলব্দি আর প্রয়োজনীয়তার নিমিত্তেই সেটা করা হয়েছিলো। এখন সেটা বার বার রিভিউ করতে চাওয়ার কী মানে? থাক না, এই তো ভালোই... পড়ছি আপনাদের লেখা, বেশ মন্তব্যও করতে পারছি (যদিও সেটা মডারেশন সাপেক্ষে ছাপা হচ্ছে, তাতেই বা কী ক্ষতি? আমি চাই কেউ না কেউ পড়ুক, তা শুরুতে যদি মডারেটরই পড়েন, আপত্তি কী?)... এর বেশি না হলেও চলবে। আমি নাহয় এমন মন্তব্য'র ঘরেই দু-একটা ছড়া-কবিতা পোস্ট করে দেবো।
গুঞ্জন ভাই.....
অনেক ধন্যবাদ আপনি আমাদের এখানে আসছেন এবং লেখা পড়ছেন এবং কমেন্টও করছেন :hug:
এবং আরও ভাল লাগল আপনার ব্যবহার এবং মন্তব্যের সুচিন্তিত প্রত্যুত্তর :hug:
আসেন একটা গান শুনাই :guitar:
ভাই রেজওয়ান,
আপনার গানটা সেই ক-বে-এ থেকে বেজেই যাচ্ছে, আমার "দেখার" সুযোগই হয়নি! (দেখার, কারণ আমি যে পিসিতে ব্রাউজ করি, তাতে শোনার ব্যবস্থা নেই, সাউন্ড কার্ডই নেই! কী আর করা, নিতান্তই হাতের লেখা খারাপ তো...!) আমি ক'দিন প্রায় বিছানায় পড়ে ছিলাম, নানান রকম অসুখ এবং অসখী হবার মতো কারণে। অফিসেও আসিনি, নেট-এও বসিনি। তাই সবার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম, বলতে পারেন। অবশ্য সময়টা খুব যে খারাপ কেটেছে, তাও না। সহকর্মী বেশ ক'টা ডিভিডি পৌছে দিয়েছিলেন, আমি প্রায় চারদিন ব্যাপি "আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সব" উদযাপন করলাম। তবে উত্সবের কনভেনার (আমার স্ত্রী) আরেকটু আন্তরিক হতে পারলে চারদিন-এর জায়গায় চাররাত ব্যাপিও হতে পারতো... যাই হোক।
আমার লেখা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ফেসবুকে আমার লগ-ইন নেম Goonjohn Chowdhury, goonjohn@live.com এই ই-মেইল দিয়ে অপারেট হয়। আপনি এবং আপনারা সবাই সুস্বাগতম। (জলদি চলে আসুন, কারণ রায়হান বেচারা তার পাতায় এই অপ্রাসঙ্গিক প্যাচাল দেখে নিশ্চয়ই মহা বিরক্ত। শুধু আমার ওয়েবক্যাম নাই বলে রক্ষা, নয় তো চোখের দৃষ্টিতেই ভষ্ম করে দিতো আমাকে!)
আরে নাহ! একদম বিরক্ত না। দৌড়ের উপর থাকায় মন্তব্যের জবাব দেওয়া হয়নি আর শেষ দিকে এসে। ভুল বুঝবেন্না প্লিজ।
আমি নতুন একটা লেখা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। এটা আমার লেখা একটা টিভি-নাটক'এর পান্ডুলিপি। বুঝতে পারছিনা, সেটা কীভাবে পোস্ট করবো। ওয়ার্ড ফাইলে ১২ পয়েন্ট ফন্টেই প্রায় ১৪ পাতা হয়ে যায়...
DOC ফাইলটা মিডিয়া ফায়ারে আপ্লোড করে করে সিসবিতে লিংক শেয়ার করতে পারেন। আগ্রহীরা ডাউনলোড করে অবশ্যই পড়ে নিবে। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ রায়হান, পরামর্শের জন্য। কিন্তু মিডিয়া ফায়ার বিষয়টা কী, তা বুঝতে পারলাম না (আমি টেকনিক্যাল বিষয়ে বেকায়দা রকম আনাড়ি!)। যাই হোক, আমার ব্লগের লিংক দিলাম, ঘুরে আসরে মনে হয় ভালোই লাগবে। আবারও ধন্যবাদ।
দিলাম একটা লিংক। দেখা যাক, এই লিংকে গিয়ে আমার লেখাটা পড়া যায় কিনা।
আমি নিজেও নিশ্চিত নই, ফাইলটা আদৌ পড়ার যোগ্য অবস্থায় আপ করা গেছে কিনা, তার পরও এখানে ক্লিক করুন
ফাইল আপ করা গেছে, কিন্তু একটা ছোট্ট ঝামেলা হয়ে গেল যে! আমি তো বুঝিনি, এই সাইটে ফাইল সোজা র' কপিটাই আপ হয়ে যায়। মুশকিল হচ্ছে, যে ফাইলটা আপ করেছি, তা একটা নাটকের স্ক্রিপ্ট, যা এখনও তৈরি হয়নি। এই অবস্থায় সেটা কারো হাতে পড়ুক চাইছিলাম না। বুঝতেই পারছেন...। কিন্তু লিংকটা মুছতেও তো পারছিনা। রায়হান, যেহেতু পেজটা আপনার, হয়তো আপনার হাতে ডিলিট অপশনটা থাকলেও থাকতে পারে। একটা ছোট্ট অনু্রোধ, আমার কমেন্টটা (লিংক লোকেশনসহ) মুছে ফেলবেন কি?
ভাই গুঞ্জন, মনে হয় আমরা সেম ইয়ার এইচ এস সি। বগুড়া আমার স্থায়ী ঠিকানা। আপনাকে আমার ভাল লাগল। মনের অসুখ সারাতে পারি না। শরীর খারাপ হলে মনে করলে খুশী হব। ঢাকাতেই থাকি। ০১৭১১১৩০৮৮৮।
শুভ কামনা।
আমাদের অবস্থান বুঝতে পারার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ গুঞ্জন ভাই।
মাসরুফ ভাই, আমি তো মন্ত্রী-সাংসদ বা পলিটিশিয়ান গোত্রভুক্ত কেউ নই যে, বুঝবো না (কিংবা বুঝতে চাইবো না)। চাই- বললেই তো হবে না, চাইবার যৌক্তিক প্রেক্ষিত থাকতে হবে। জীবনে কতকিছুই তো চেয়েছি... সবথেকে বেশি চাওয়াটাই হয়তো বা এই জানতে চাওয়া, বলতে চাওয়া, বুঝতে চাওয়া...। প্রথম চাওয়াটা খুব কম মানুষকেই চাইতে দেখা যায়, তুলনায় পরেরটা অনেক বেশি জনপ্রিয়। আর শেষেরটা? সেটার চর্চা নেই বললেই চলে। ... আমার আবার একলা পথেই চলার আনন্দ।
গুঞ্জন ভাই, আপনার লেখা গল্পটা পড়লাম।আমার নিজের ছোটবেলায় পোষা কুকুর ছিল-এবং সেটার নামও ছিল ভুলু,তাই মূল গল্পের সাথে সাথে ভুলুর কাহিনীটাও হৃদয় ছুঁইয়ে গিয়েছে ভীষণভাবে।আমার ওয়ার্ডপ্রেসে একাউন্ট নেই দেখে ওখানে মন্তব্য করতে পারলামনা-এখানেই ভাললাগাটা জানিয়ে দিলাম।
ধন্যবাদ। আশা করি ওই পাতা আর যে লেখাগুলো আছে, সেগুলোও পড়বেন সময় করে।
বাই দ্য ওয়ে, গল্পের ভেতর যে গল্পটা সাজ্জাদ বলেছে, সেটা কিন্তু সাজ্জাদের গল্প নয়, বরং তা গুঞ্জন চৌধুরী'র নিজের গল্প। সেটাই যে আপনাকে বেশি ভাবিয়েছে তা জেনে ভালো লাগলো।
একটা প্রায় বিষ্ময়কর ব্যাপার লক্ষ্য করছি। এই ব্লগে আমি সদস্যপদ না পেলেও আমার নামটা এখন এমনভাবে লেখা হচ্ছে যে, এতে ক্লিক করলে সরাসরি আমার ব্লগে (শান্তিনগর চৌরাস্তা) চলে যাওয়া যাচ্ছে! আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে...। যে'ই করে থাকুন, এই মহান দায়িত্ব পালন করবার জন্য তাঁর মুখে ফুলের টব্...থুক্কু ফুল-চন্দন পড়ুক। ধন্যবাদ... অসংখ্য ধন্যবাদ...
খুব ভাল কাজ হয়েছে । সে জন্য রায়হান আবিরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
রায়হান তুই তো পুরা স্লেব্রিটি হইয়া যাইতাছস B-)
হুমমম ....২০০ তম কমেন্ট মারতেছি B-)
কয়েকদিন পর সিসিবিতে এসে প্রথমে এই লেখাটাই পড়লাম... অসাধারন কাজ হয়েছে রায়হান। সিরিজ হিসেবে চালিয়ে যাবার জন্য তীব্র আবেদন জানাচ্ছি।
বাচ্চু রাজাকার সম্পর্কে ছোট বেলা থেকেই শুনেছি। প্রথমবার যখন তাকে টিভির পর্দায় দেখেছিলাম তখনই আব্বু তাকে পরিচয় করিয়েছিল বাচ্চু কসাই হিসেবে, সেই সাথে তার কুকীর্তির কাহিনি। পরবর্তীতে তার অনেক ভক্তকূলকে এ সম্পর্কে বললেও কোন রেফারেন্স দিতে পারিনি। তোর লেখাটা এখন রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
লেখার জন্য আবারো :hatsoff: :salute:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
অসাধারণ কাজ করেছেন। এনটিভিতে আমিও এই রাজাকারকে দেখেছি, কিন্তু এর ব্যাপারে প্রকাশ্যে প্রচার কম হওয়ায় এর কুকীর্তি সম্পর্কে একদমই জানতাম না। অনেক ধন্যবাদ
good....................................job
আমার ব্লগ-পেজ-এর ঠিকানা দিয়ে দিলাম, সবাইকে স্বাগতম। পড়ুন এবং মন্তব্য করুন। সবচে' বস্তুনিষ্ঠ, চাঁচাছোলা মন্তব্যগুলো শুনতে চাই বলেই এইখানে আমার লেখাগুলো পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। অপেক্ষায় থাকলাম, আপনাদের মেধাবী পর্যবেক্ষণের।
চলে আসুন, এখনই
Many many thanks. Some days ago, I read a article about Wikipedia and about 1971. Many information is not true and since that site is a contribution, depends on us to give right info. I suggest, we should upload this type of info for wiki also....
Thanks for the Maulana Bachu Rajakar.
নতুন একটি পোস্ট দিয়েছি আমার ব্লগে। পড়তে চাইলে এখনই চলে আসুন শান্তিনগর চৌরাস্তায়
অনেক আগেই এটা চোখে পড়েছিল, ফেসবুকে বিভিন্ন মানুষের শেয়ার করা লিঙ্কে। কিন্তু ভেতরে ঢুকে পড়া হয়নি, কেবল বিষয়টাই জেনেছি তখন। এবং কিছুটা অবাকও হয়েছিলাম। যাই হোক, অনেক দেরিতে হলেও আজ ভেতরে ঢুকে দেখলাম। দারুণ একটা কাজ হয়েছে এটা, শুধু এটুকু জানাই, আর তার সাথে অনেক ধন্যবাদ।
অসাধারন রায়হান, অসাধারন। কিন্তু একটা রাজাকার এর জন্য আবারো ধ্রম কে না টানলে কি হত না?????? 'সত্যি বলতে ধর্মকে কটাক্ষ করা আমার একদম অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়নি।'
খারাপ কাজ তো ওরা ধর্ম দিয়েই জাস্টিফাই করে। আমার অবস্থান পরিষ্কার। ধর্মকে এই দায়ভার নিতে হবে। বিভেদেই যার মূল মন্ত্র, যেই কারণেই হিন্দুদের বাচ্চু রাজাকারের হাতে প্রাণ দিতে হলো, সেই ধর্মকে টেনে আনাটা অস্বাভাবিক অন্তত আমার কাছে না।
বাচ্চু শুয়োরের বাচ্চাকে ১৫ ডিসেম্বরেও দেখলাম বয়ান দিচ্ছে টিভিতে x-(
:clap: চরম
জটিল দেখাইছেন ভাই।
এই শুওরের বাচছা টারে আমি দেখছি Channel i তে
হাইরে দেশ আমাদের,১টা রাযাকার এর কাছে আমাদের ধর্ম শিখতে হয় :((
এইগুলারে শুওরগুলারে(How many times I read his name,I have given him the same compliment & I think he deserves so) কেন যে ফাসি দেইনা এখনো :grr:
Sorry for not writing Bangla so well(I wrote the comment using phonetic key-board),actually I am not used to write in Bangla in computer 🙁
But thanks again for such a nice & resourceful topic.Go ahead bro. 😀 :
:clap: :clap: :clap:
কয়েক দিন আগে কি ভাবতাম লোকটা সম্পকে।আল্লাহ আমাদের সাহায্য করুন।
সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।
সেইদিন এন্টিভির প্রোগ্রামটা চলার সময় জান লাগায়া আমি আর আমার বউ কল করার টেরাই নিছিলাম ... লাইন পাইলে ... যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু নিয়া তার মন্তব্য কি ... জানতে চাইতাম
লাইন পাই নাই ... আবার টেরাই নিমু ... দেখি
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
মামা আর মামীরে :boss:
লাইভ প্রোগ্রাম ... সবাই মিলা টেরাই নিলে মন্দ হইত না ...
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
চ্রম আইডিয়া। নেক্সট দিন আমি আছি।
আমিও
বাচ্চু শুয়োরের বিচারের পাশাপাশি আমাদের মধ্যে ছড়িয়ে থাকা তাদের ছানাদেরও নিধন করতে হবে।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
আজকে আমার সারাদিন গেছে এইটারে **ন্দাইতে x-(
good job
ধন্যবাদ রায়হান এই দারুন লেখাটার জন্য, তুমি যদি অনুমতি দাও তাহলে এই লেখা টা আমার facebook এ লিঙ্ক করতে চাই.
মশিউর
CCC (86-92)
লেখা শেয়ারে অনুমতির কী দরকার ভাই। এই লেখা ভালোভাবে ছড়ালেই আমি খুশী হবো।
ভাই রায়হান,
অনেক ভালো পোস্ট :clap: :clap: :clap: , মন্তব্যগুলোও চমৎকার, যদিও অফিসে বসে পুরোটা পড়তে পারলাম না। 🙁
kuttr bascha baschu rajakar..............
যারা ছাগল দেখতে চান কষ্ট করে একটু এখানে ঢু মারেন। অনেক মজা পাবেন। তবে স্বজাতির কেউ দুঃখ পাইলে তার দায়িত্ব নেব না।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
😀 😀 কামরুল ভাই-ঠিক্কইছেন।
কামরুল ভাই পোষ্ট দেখা যায় না। মানে জিহাদ ভাইয়ের ফ্রেন্ড না হলে দেখতে পারবে না। এই মেসেজ আসেঃ
This content is currently unavailable
The page you requested cannot be displayed right now. It may be temporarily unavailable, the link you clicked on may have expired, or you may not have permission to view this page.
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
জিহাদরে কও ওয়াল ফটুর প্রাইভেসি ওপেন করে দিতে, তাহলেই দেখা যাবে ... ছাগু চেনা জরুরী 😀
শামিম ফেরদৌস শুভ ...
নামটা বোধকরি মনে থাকবে
খুইজা দেখি বর্তমানে কই আছে
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
এদের বিরুদ্ধে ফর্মাল অভিযোগ করার কোন উপায় থাকলে একটু জানাবেন তো মামা।
তবে তুই কি আমার বন্ধু না? ;;;
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আমি দেখতে পাই, কিন্তু আপনার অবান্ধব-গোষ্ঠী কিন্তু দেখতে পাচ্ছে না। তাই আর কী !!! 😛
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
Rajakarer Bachcha re cholun gono dholai die ...........
এই ভদ্রবেশী শয়তানের চেহারা দেখলেই আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যেত। তাই কখনই তার টিভি প্রোগ্রাম দেখি নাই। আমার সন্দেহও ছিল। তোমার লেখায় তার সত্যতা পেলাম। খুবই উপকার করলে দেশের মানুষের। আমি ফেসবুকে শেয়ার করলাম। আর তোমাকে এই অক্লান্ত পরিশ্রম করার জন্যে ধন্যবাদ। ভাল থাক।
:clap: :clap: :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
good job vai
এটা আওয়ামী ও আমেরিকানদের ষড়যন্ত্র! বাচ্চু ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন শুধুমাত্র জামাতের রাজনীতি করাতে তার মতো নেক মুমিন বান্দার এই অবস্থা। যা হবার তা অতীতে হয়ে গেছে তিনি হয়তো ভুল কিছু ভুল করেছেন তবে বর্তমানে তিনি অনেক ভাল ও কিউট একটা মানুষ।....ছাগু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বললাম।
কুত্তার বাচ্চা হবে গালি দেব না কারণ কুকুর সবচেয়ে প্রভু ভক্ত ও বিশ্বাসি প্রাণী। তবে বাচ্চুকে শাপের বাচ্চা বলা যায়। ওর পুটু দিয়ে রাজ হাসের ডিম দেওয়া উচিত।
আমি ঢাকায় ছিলাম ২০০৩-০৮ আর north south university- টে পোরাটাম, ওনেক টিচার কাছের মোসজিডে নামাযে যেটোনা এই রাযাকার এর জোননো। যোখোন আমি লোনডোন ছিলাম ১৯৮৬-৯০ লিখেছিলাম WAYA-ড় বিভিননো কাজের আগাইনসটে। টোখোন golam azam's son was involved with the organization, I donno if he is now. But anyway thanks for bringing out some info to more readers
খুব কষ্টসাধ্য কাজ কিন্তু অত্যন্ত প্রশংসনীয়।। আমরাও জানলাম খুব খারাপ একজন মানুষকে। ধন্যবাদ।।
আজ বিচারের রায় হবে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
শুওরটার ফাঁসি হইছে। আনন্দে চিৎকার করতে ইচ্ছা করতেছে - রায়হান আবীর (৯৯-০৫)
আমরা বাংলাদেশীরা আজব একটা জাতি। যুদ্ধপরাধ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলংক জনক অধ্যায়। বাংলার মাটিতে সেই সব কুখ্যাত হানাদারদের বিচার করা অবশ্যই উচিত। কিন্তু প্রশ্ন আমার ভিন্ন জায়গায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হল প্রায় চার দশক হয়ে গেছে। অথচ এই সব অপরাধীর কোন বিচার বাংলার মাটিতে হল না। যেই সব পাকিস্তানী সেনাবাহিনী সরাসরি যুদ্ধ করে এদেশের নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে তাদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছেনা। শুধুমাত্র কয়েক জন বিশেষ ব্যাক্তিকে যেনতনভাবে বিচারের মাধ্যমে ফাসির কাষ্টে ঝুলালেই কি বাংলাদেশ কলংক মুক্ত হয়ে যাবে? বর্তমানে যাদের কে যুদ্ধপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা যদি এমন জঘন্যতম অপরাধ করে থাকে তাহলে কেন স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা করা হল না? তখন তো স্বাধীন বাংলাদেশের কর্ণধার শেখ মুজিব জীবিত ছিলেন? সব স্বাক্ষী, পত্যক্ষদর্শী জীবিত ছিল। তখন তো এদের কেউ এত প্রভাবশালী কোন নেতা ছিলনা যে তাদের বিচার করলে কেউ বাধা প্রদান করত। স্বাধীনতার চড়াই উৎড়াই পার হওয়ার পর আজ কেন বিচারের নামে জাতিকে এই বিভক্তির আয়োজন। যাদের কে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাদের মাঝে দুই একজন ছাড়া বাকী সবাই জামাতের প্রথম সারির নেতা। এদেরকে কখনো বলা হয় যুদ্ধপরাধী, আবার কখনো রাজাকার, কখনো মানবতাবিরোধী। এদেশে তো এখনো অনেক রাজাকার জীবিত আছে কিন্তু তাদের কে তো বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছেনা? যারা পাকিস্তানী বাহিনীকে সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে সহযোগীতা করেছিল। যাদের অনেকেই বর্তমান সরকারের মন্ত্রী সভায় আছেন। কিন্তু সব বলির পাঠা হল জামাত নেতারা। যাদের সাথে একসময় বর্তমানে তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কর্ণধাররা মিছিল, মিটিং থেকে শুরু জাতিয় পর্যায়ের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আন্দোলন, সংগ্রাম করেছিল। কিন্তু তখন তো তাদের কাছে এরা যুদ্ধপরাধী বলে তাদের গায়ে দুর্ঘন্ধ পায়নি। কিন্তু ২০০৮ এর নির্বাচনে এসে কেন হঠাৎ তাদের পিছু লেগেছে তার একটা প্রশ্ন আমার মতো আরো অনেক সাধারণ মানুষের অবশ্যই থাকবে।এখানে যারা বিরোধীতা করে আসছে তারা কিন্তু যুদ্ধপরাধের পক্ষে অবস্থান করছেনা বিরোধীতা করছে তার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে। আপনি যদি সত্যিকারের অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার করেন তাহলে তো কোন সমস্যা নেই। কিন্তু এখানে যেটা করা হচ্ছে সেটা আমার সাথে থাকলে তুমি মুক্তিযুদ্ধা আর তা না হলে রাজাকার। এটা তো চলতে পারে না। এদেশের স্বাধীনতা নিয়ে রাজনীতি করতে দেয়া যায় না।আমরা এই দেশের নতুন প্রজন্ম আমরা এই দেশকে ভালবাসি।এই দেশ আমার, আপনার সবার, এই দেশকে উন্নত করার জন্য প্রয়োজন সকল মতের মানুষের সহযোগীতা। কিন্তু সেটা না করে আপনি যদি নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিভক্তির বীজ বপন করেন তাহলে দেশ তো রসাতলে যাবেই। আর আমরা ১৬কোটি বাংলার সাধারন মানুষ হব এই অপরাজনীতির বলি। এবার আসি ধর্ম প্রসংগে। ইসলাম ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী কেউ অন্যায় করলে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। ধর্মীয় নেতা বলে তার সাত খুন মাফ হবে না। বাংলাদেশে যতগুলা খুন, ধর্ষন,হত্যার ঘটনা ঘটে সেই নর পশুগুলো নামে মাত্র মুসলমান তাই বলে ইসলাম ধর্ম কে আপনি দোষারোপ করতে পারেন না। দাড়ীওয়ালা কোনো ব্যক্তি হত্যাকারী হলে সব দাড়ীওয়ালারা হত্যাকারী হয়ে যায় না। তাই আমি একজন ব্যক্তির জন্য পুরু মুসলিম জাতির কালচার নিয়ে তামাশা করতে পারি না। এই সব বিকৃত মানসিকতা পরিহার করা উচিত। যেমনটা এখন করা হয়। রাজাকারদের ছবি আখলেই সবাই দাড়ীওয়ালা কোনো ব্যাক্তির ছবি একে বসে থাকে। যুক্তির খাতিরে যদি মেনে নিয় তারপরে ও তো বলতে হাজার হাজার রাজাকার রা সবাই দাড়ীওয়ালা ব্যক্তি ছিল । অথচ কুলংগার সেই সব পাকিস্তানী সেনাবাহীনির কারো মুখে দাড়ী ছিল না । এর কোন জবাব দিবেন কি?
১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা দেশ ও জাতির সাথে বেঈমানী করে দখলদারদের সহযোগিতা করেছিল তাদের প্রতি ছুড়ে দিচ্ছি একরাশ ঘৃণা।
এমন একটি রাজাকারের দল ১৯৭১-এ আমাদের ঢাকার বাড়িতে আক্রমণ চালিয়েছিল। পিটিয়ে আধমরা করেছিল আমার চাচাকে। আমার বড়-ভাই বোন যারা তখন শিশু ছিল তাদেরকেও এক লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করতে উদ্যত হয়েছিল। অনেকটাই বরাত জোরে সেদিন বেঁচে যায় সবাই।
এই নরপশুদের বিচার হওয়া উচিত।