বিঃদ্রঃ এই তালিকার অসংগতিগুলো দূর করে শীঘ্রই নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে।
শহীদ
সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা
১. মেঃজেঃ শাকিল আহমেদ (বিডিআর এর ডিরেক্টর জেনারেল)
– ব্রিঃজেঃ এম এ বারী (বিডিআর এর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল)
– কর্নেল আখতার হোসেন (আরসিসি, ১২/৬৬১/কাসিম হাউস)
– কর্নেল আনিসুজ্জামান
– কর্নেল আফতাবুল ইসলাম (আরসিসি, ৭৭-৮৩, ১৪/৭৮৮) [বাড়ি ফেরা হলো না কর্নেল আফতাবের]
– কর্নেল ইমাম শওকত
– কর্নেল এমদাদুল ইসলাম
– কর্নেল কাজী এমদাদুল হক
– কর্নেল কুদরত এলাহী রহমান শফিক (জেসিসি, ১১তম ব্যাচ)
– কর্নেল এহসান
– কর্নেল জাকির হোসেন (সিসিবি-র সামিয়ার [৯৯-০৫] বাবা, সিসিআর-এর মেডিক্যাল অফিসার ছিলেন) [কর্ণেল জাকির হোসেন], [গুড বাই আংকেল জাকির]
– কর্নেল জাহিদ হোসেন
– কর্নেল নকিবুর রহমান
– কর্নেল নাফিজউদ্দিন আহমেদ
– কর্নেল মশিউর রহমান (জেসিসি, ১১তম ব্যাচ)
– কর্নেল মুজিবুল হক (ইমরান [৯৭-০৩] ভাইয়ের মামা, মুজিবুল হকের বাসার ১২ বছর বয়সী কাজের মেয়েকেও হত্যা করেছে বিডিআর জওয়ানরা)
– কর্নেল কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন
– কর্নেল রেজাউল কবির
– কর্নেল লতিফুর রহমান
– কর্নেল শামসুল আরেফিন আহাম্মেদ
– লেঃকঃ এনায়েতুল হক
– লেঃকঃ এরশাদ
– লেঃকঃ ইনশাদ ইবনে আমীন (এফসিসি, ১৮তম ব্যাচ)
– লেঃকঃ আবু মূসা আইয়ুব কায়সার আহমেদ (এফসিসি, ২২তম ব্যাচ)
– লেঃকঃ গোলাম কিবরিয়া এম নিয়ামতউল্লাহ (এমসিসি, ১২তম ব্যাচ)
– লেঃকঃ (অবঃ) দেলোয়ার হোসেন (সিসিবি-র এহসান [৮৯-৯৫] ভাইয়ের ফুপা)
– লেঃকঃ বদরুল হুদা
– লেঃকঃ লুৎফর রহমান (সিসিবি-র জিহাদের [৯৯-০৫] কাজিন, এমসিসি-র ১৪তম ব্যাচের কলেজ প্রিফেক্ট, এসসিসি-র অ্যাডজুট্যান্ট ছিলেন [৯৭-৯৮])
– লেঃকঃ লুৎফর রহমান খান
– লেঃকঃ সাইফুল ইসলাম
– লেঃকঃ শামসুল আজম
– লেঃকঃ কাজী রবি রহমান
– লেঃকঃ সাজ্জাদুর রহমান
– মেজর আজহারুল ইসলাম
– মেজর আজিজ (আরসিসি, সিসিআর ও এমসিসি-র অ্যাডজুট্যান্ট ছিলেন; উনার ছেলে সিসিআর-এ পড়েন)
– মেজর মোস্তফা আসাদুজ্জামান (বিএমএ ৩৬ লং কোর্স)
– মেজর সৈয়দ মোঃ ইদ্রিস ইকবাল (জেসিসি, ২২তম ব্যাচ)
– মেজর খালিদ হোসেন
– মেজর মমিনুল ইসলাম সরকার
– মেজর মশিউর
– মেজর মাকসুম-উল-হাকিম (আরসিসি, ২০/১১২৫/খালিদ হাউস)
– মেজর এস এম মামুনুর রশীদ
– মেজর মাসুম
– মেজর মাহমুদ হাসান অপু (এফসিসি, ২৬তম ব্যাচ; লাভলু ভাইয়ের [৭৪-৮০] ছোট ভাই ফয়েজ ভাইয়ের কলেজ ব্যাচমেট)
– মেজর মাহমুদুল হাসান
– মেজর মাহবুব (বিসিসি, ৮১-৮৭) [এলোমেলো স্মৃতিগুলো]
– মেজর মাহবুব
– মেজর মিজান
– মেজর মুশতাক আহমেদ
– মেজর মোবাশ্বের (সিসিআর, ৭ম ব্যাচ; ৯৯-০০ এ কক্সবাজারে ডিজিএফআই-এ কর্মরত ছিলেন)
– মেজর মোশাররফ হোসেন
– মেজর কাজী মোসাদ্দেক হোসেন
– মেজর রফিকুল ইসলাম
– মেজর হোসেন সোহেল শাহনেওয়াজ (সিসিআর, ১ম ব্যাচ, ১ম কলেজ প্রিফেক্ট; সিসিবি-র আশিক [৯৬-০২] ভাইয়ের কাজিন, পকক-র রাব্বি [৯২-৯৮] ভাইয়ের বড় ভাই) [মেজর শাহনেওয়াজ স্মরণে……]
– মেজর আবদুস সালাম খান
– মেজর মোঃ সালেহ
– মেজর হায়দার (সিসিসি, ৯১-৯৭) [মাজহার ভাই, হায়দার ভাই………]
– মেজর হুমায়ন (এমসিসি) [একজন হুমায়ুন হায়দার]
– মেজর হুমায়ুন কবির সরকার
– ক্যাপ্টেন মাজহারুল হায়দার (সিসিসি, ৯২-৯৮; নুসরাত জাহান বাঁধনের সঙ্গে তার বিয়ের তিন মাসও হয়নি) [মাজহার ভাই, হায়দার ভাই………] [বন্ধু, সি ইউ এগেন] [বন্ধু…তোমায় মনে পড়ে]
৬৪. ক্যাপ্টেন মাসুদ
বিডিআর এর নন-কমিশন অফিসার ও সৈনিক
– সুবেদার আবুল কাশেম
– নায়েক সুবেদার বছির উদ্দিন
– ল্যান্স নায়েক মানিক
– সহকারী পরিচালক (এডি) খন্দকার আব্দুল আওয়াল
সেনা কর্মকর্তাদের পরিবার-পরিজন ও সিভিলিয়ান
– নাজনীন শাকিল শিপু (ডিজি মেঃজেঃ শাকিলের স্ত্রী, ২৮ তারিখ দুপুড়ে পাওয়া গেছে)
– লাভলী বেগম (দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী, সিসিবি-র এহসান [৮৯-৯৫] ভাইয়ের ফুপি)
নিখোঁজ (অসম্পূর্ণ তালিকা)
– কর্নেল গুলজার উদ্দীন আহমেদ (RAB এর ইন্টেলিজেন্স উইং এর প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টর)
– লেঃকঃ মঞ্জুর এলাহী
– মেজর কাজী আশরাফ হোসেন
– মেজর আহমেদ আজিজুল হাকিম পলাশ (আরসিসি, ১৪/৭৬৩/তারিক হাউস)
– মেজর আবু সৈয়দ গাজ্জালী দস্তগীর
– মেজর নাজমুল (এফসিসি)
– মেজর মকবুল হোসেন
– মেজর শাহরিয়ার (এফসিসি)
– ক্যাপ্টেন তানভির হায়দার নূর (সিসিসি, ৯১-৯৭)
সূত্র:
– Janaza of 7 army officers after Asr prayers – দ্য ডেইলি স্টার
– 42 more bodies retrieved from BDR headquarters – দ্য ডেইলি স্টার
– প্রথম আলোর সূত্রমতে ২০ জনের লাশ সনাক্ত করা হয়েছে
– Families wait in tears, shock
– 3 more mass graves found at BDR HQ, 10 bodies retrieved
– Army officers’ janaza held
এই মাত্র নিহতদের তালিকায় লে ক লুৎফর রহমানের নাম চ্যানেল আইতে দেখলাম...
তবে এক নামে অনেকেই থাকতে পারেন...
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
জিহাদকে ধৈর্য্য ধারণ করতে বলা ছাড়া কিছুই বলার নেই আসলে। আমরা কি ই বা বলতে পারি।
তবে জিহাদকে বলছি, বাসায় ফোন করে নিশ্চিত হয়ে নিতে।
আম্মার সাথে কথা হলো। সম্ভবত ঠিকই আছে। মুহাম্মদ, আপডেট করে দাও।
গত দুইদিন ধরে মনের মধ্যে মেঘ জমে ছিল। আজকে আর পারলাম না। কতদিন পর যে বাচ্চা ছেলের মত কাঁদলাম নিজেও জানিনা। এখন ঠিক আছি। আমার বারবার শুধু ভাইয়ার হাসিখুশি মুখটা মনে পড়ছে।
ভাবী আর ছোট ছেলেটা টয়লেটে লুকিয়ে ছিল। তারা আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন এখন। আশা করি ভাইয়াও ভাল থাকবেন।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
একজনের নাম নিখোঁজ থেকে কেটে নিয়ে নিহতের তালিকায় যোগ করার সময় যে কেমন লাগল সেটা বলে বোঝাতে পারব না। জিহাদের দুঃখটা বোঝার শক্তি আমার নেই, বরাবরের মতই কেবল সান্ত্বনা দিচ্ছি।
মেজর মাহবুব (বকক, ১৯৮১-১৯৮৭) এখনও নিখোঁজ আছেন।
মেজর গাজ্জালী এখনও নিখোঁজ আছেন বলে জানি।
ক্যাপ্টেন মাজহারুল হায়দার (ককক, ১৯৯২-১৯৯৮)............।
Life is Mad.
ডেইলি স্টারের নিহতের তালিকায় মেজর মাহবুব নামে একজন আছেন। বরিশালের ইনিই যে সেই মাহবুব ভাই নন, এ ব্যাপারে কি আপনি নিশ্চিত? নিশ্চিত হলে মাহবুব ভাইয়ের নাম নিখোঁজ তালিকায় যোগ করে দেব।
এই ব্যাপারে নজরানার (বকক, nTV) সাথে কথা হলো ঘন্টা দুয়েক আগে।
তিনি এখনও নিখোঁজ।
Life is Mad.
ঠিক আছে।
শহীদ ক্যাপ্টেন মাঝহার (ককক ৯২-৯৮)
নিখোজ ক্যাপ্টেন তানভির (ককক ৯১-৯৭)
আমার শঙ্কা হচ্ছে এই সব পড়তে পড়তে আমরা না আবার সব বোধশক্তি এবং ধৈয্র্ হারিয়ে ফেলি । তানভির আমার খুবই প্রিয় এক ছোটভাই । ৪ বছর একসাথে ছিলাম । আমার হাতে ওর রেজিমেন্টেশন হয় । ভাবী বাচ্চাদের কি খবর ॥ খুব টেনশন হচ্ছে। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
মেজর জেনারেল শাকিল (ডিজি বিডিআর)
.........................................
মেজর শাহনেওয়াজ (১ম ব্যাচ রংপুর)
আশিকের কাজিন, আশিক কনফার্ম করার পর যোগ করিও
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই, নিখোঁজ না নিহত সেটা লিখেননি।
নিখোজ, আমি আসলে ঠিক জানিনা,
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আচ্ছা। তাহলে আশিক ভাইয়ের কাছ থেকে জানার আগ পর্যন্ত নিখোঁজে যোগ করে রাখি।
এখনো নিখোঁজ...মাঝখানে কথা উঠসিল বডি পাওয়া গেছে কিন্তু উনার ভাই গিয়ে দেখে আসছে ইনফরমেশন ভুল ছিল......
কয়েকজনের পরিচয় আরেকটু ডিটেইলস দেয়া যায় কিনা দেখি। মুহাম্মদ মন্তব্যগুলি থেকে নিয়ে আপ-ডেট করে দিস।
লেঃকঃ লুৎফর রহমান (মকক, ১৪তম ব্যাচ), সিলেটের এডজুট্যান্ট ছিলেন।
আমরা তাকে পেয়েছি ক্লাস নাইন-টেনে। অসাধারন মানুষ। জিহাদ কে শ্বান্তনা দেবার ভাষা নেই আমার।
মেজর হায়দার (ককক ৯১-৯৭)
মেজর হায়দার ভাই আর্মীতে তানভীর নামে পরিচিত।
লে. ক. লুৎফর অসাধারণ অসাধারণ একজন মানুষ । আমরা তাকে পাই মেজর লুৎফর হিসাবে। এডজুট্যান্ট ছিলেন তিনি আমাদের কলেজের।
কর্নেল আফতাব
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, তিনি ১৯৮১ সালে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে এসএসসি এবং ১৯৮৩ সালে এইচএসসি পাশ করে সেকেন্ড লেফটেনন্ট হিসাবে সেনাবাহিনীতে ঢাকায় যোগদান কেরন।
ফৌজদারহাটের ২২তম ব্যাচের যিনি নিহত হয়েছেন তাঁর নাম সিসিবিতে সবাই বলেছেন কায়সার আহমেদ। কিন্তু ডেইলি স্টারের খবরে নামটি আছে Lt Col Abu Musa Md Ayub Kaiser
এই দুজন কি একই ব্যক্তি? সেক্ষেত্রে কি কায়সার আহমেদ না হয়ে আবু মূসা মু. আইয়ুব কায়সার হবে। নাকি দুজন আলাদা? কেউ জেনে থাকলে জানান।
মুহাম্মদ. নিহত এর পরিবর্তে শহীদ লিখলে মনে হয় ভাল হত। উনারা সবাই দেশের কাজ করতে গিয়ে মৃত্যুবরন করেছেন।
আমার মনে হয়...সবচেয়ে ভালো হয়...,তাঁরা "দেশপ্রেমিক" কুত্তার কামড়ে অসুস্থ্য হয়ে শহীদ হয়েছেন বলা।
অথবা...
বাংলার দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধে বর্বর হানাদারদের পাশবিক নির্যাতনের দ্বারা শহীদ হয়েছেন বলা।
সরি, মাথা ঠিক নেই মনে হয়...আমি বরং সিসিবি থেকে কয়েকদিনের জন্যে বিদায় নেই
মাথা ঠান্ডা কর...
আর সিসিবি থেকে বিদায় নেবার কি আছে???
আমাদের দুঃখ-কষ্ট আমাদেরকেই ভাগাভাগি করে নিতে হবে...
সবসময়...
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
বিদায় নিয়েন না জুলহাস ভাই, বরং আগুন টা জ্বালান। এত জোরে জ্বালান যে যাদের বুকে এখনো জ্বলেনি, তারা খাক হয়ে যাক।
আর, মাথা যে ঠিক নাই, এইটাই ঠিক। এবং, ওই সব বুদ্ধিজীবিদের চামড়া আর শত্রুদের প্রাণ উতপাটন না করা পর্যন্ত যেন ঠিক না হয়।
এই মাত্র একটা এসএমএস পেলাম,
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
টিভিতে মাহবুবের ছবি দেখে আতকে উঠলাম। আমার দুই ব্যাচ জুনিয়র। চোখের সামনে ভাসলো মাহবুব।
আমার চোখ আবার ঝাপসা।
মুহাম্মদ, নিহতের জায়গায় শহীদ করে দাও। উনারা লাইন অব ডিউটিতে মৃত্যুবরণ করেছেন। এই সম্মানটুকু উনাদের প্রাপ্য।
ধন্যবাদ মুহাম্মদ, জরুরী এই তালিকার কাজটা শুরু করার জন্য। মৃত এবং নিরুদ্দেশদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর কাজটা এটা ছাড়া ঠিকভাবে শুরু করা যেত না। এখানে নীচের কয়েকটি দিকেও যদি আমরা সবাই মিলে নজর দিতে পারি, তাহলে মনে হয় একইসাথে আরও কিছু কাজ হয়ে যেতো:
১। উল্লেখিত প্রতিটি নামের সাথে তাঁদেরকে যাঁরা ব্যক্তিগত বা পেশাগতভাবে চিনতেন, তাঁরা যদি উদ্যোগ নিয়ে প্রত্যেকের সম্বন্ধে কয়েকটি করে লাইন যুক্ত করে দেন তাঁহলে তাদের চোখ দিয়ে হলেও এই মানুষগুলোকে আরও কাছ থেকে জানতে পারতো সবাই। যেমন: কেমন ছিলেন সেই মানুষটি, কি ধরণের উদ্যোগে সবসময়ই থাকতেন তিনি, বিশেষ কি অবদান তিনি রেখেছেন (যেমন কর্নেল গুলজার এর বিশাল ভূমিকা ছিল জেএমবি দমনে), দু'একটি স্মৃতি। এখানে সব মন্তব্যাকারে টুকরো টুকরো তথ্যগুলো নিয়েই তাহলে সম্পাদিত আকারে পরবর্তীতে সিসিবি হয়তো একটি ই-বুক সংকলন বের করতে পারতো।
২। পরিবারের নিখোঁজ অসামরিক সদস্যদেরও একটা তালিকা তৈরী করা দরকার মনে হয়। যাঁরা নির্যাতিত বা লাঞ্ছিত হয়েছেন কোন না কোনভাবে তাদেরও কথা কোথাও কোন ফর্মে তালিকাভূক্ত করা যায় কিনা, সেটা অবশ্য ভেবে দেখার বিষয়।
৩। বিডিআর এর যে সব জওয়ানদের মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে, নাম বের করা গেলে তাদেরও একটা তালিকা মনে হয় রাখাটা জরুরী, পারলে এখানেই। এটা মনে হয় ধরেই নেয়া যায় যে এই সব জওয়ানরা জীবন দিয়েছেন এই হত্যাকান্ডের বিরোধিতা বা প্রতিরোধ করতে গিয়ে। পরিস্থিতির শিকার এঁরাও, সেটা মনে হয় দেশবাসীর ভুলে যাওয়াটা ঠিক হবেনা।
সবশেষে, কিছু ব্লগে কিছু টকশোতে অনেক ধরণের আলাপ আলোচনা উঠে আসবে এখন। তাতে যে কারোরই আক্ষেপ বা ক্ষোভ হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক, betrayed বা unappreciated ফীল করাও স্বাভাবিক। যাঁরা স্বজন হারিয়েছেন কিংবা এখনো স্বজনের লাশ হাতড়ে বেড়াচ্ছেন, তাঁদের মানসিক অবস্থা যে কি তা মনে হয় স্রেফ ভুক্তভোগী ছাড়া আর কারও পক্ষেই অনুধাবন করা সম্ভব না। কিন্তু এমন সময়ে সবাইকে আহ্বান করবো আরেকটু ধের্য্য ধারণ করার। ক্ষোভের বশে, আবেগের (যথার্থ হলেও) বশে আমরা যদি সত্যিকারের দায়ীদের বা ঘটনার পেছনের শক্তিগুলোকে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হই, তাহলে লাভ কাদের আর ক্ষতি কাদের? সেটা করলে মৃতদের প্রতি দায়িত্ব পালনে আমাদের সামষ্টিক ব্যার্থতাই প্রমাণিত হবে। এটা কোন আর্মি বনাম বিডিআর ইস্যু না, কিংবা সশস্ত্র বাহিনী বনাম জনগণ ইস্যু না। এটা এখন জাতীয় ইস্যু, জনগুরুত্বপূর্ণ, অস্তিত্ব রক্ষার ইস্যু - সারা জাতির জন্য।
স্থির পরিবেশের শান্তিময় নিরাপত্তায় যৌক্তিক বা rational থাকাটা হয়তো খুব কঠিন না। কিন্তু আক্রান্ত বা আহত অবস্থায় স্থির থাকা সত্যিই অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জটি শুধু দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিই ছুঁড়ে দেয়া হয়নি এ ঘটনার মাধ্যমে। ছুঁড়ে দেয়া হয়েছে সারা দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী, শান্তিকামী, সহজ সাধারণ decent মানুষের প্রতি। সেটি যেন আমরা না ভুলে যাই। we owe this to the dead and to the living.
:thumbup: :thumbup:
Life is Mad.
রায়হান রশিদ ভাই, আপনার কথাগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ।
সবার প্রতি অনুরোধ:
শহীদদের অনেককে নিয়ে বিভিন্ন ব্লগে ও ওয়েবসাইটে লেখা আসছে। সেগুলোর লিংক দেয়ার অনুরোধ রইল। আর শহীদ সম্পর্কে কয়েক লাইনে কিছু লিখতেও পারেন যার মাধ্যমে তার জীবনের একটা বড় দিক আমাদের সামনে ভেসে উঠবে। এই কথাগুলোও নামের সাথে যোগ করে দেয়া হবে।
সবচেয়ে ভাল হয় যদি ভাল প্রস্তুতি নিয়ে সবাই যার যার পরিচিত ও কাছের জনদের কাছ থেকে জেনে শহীদদের নিয়ে আলাদা ব্লগ লিখেন। সেই লেখাগুলোর লিংক এখানে যোগ করে দেয়া হল। এতে পরবর্তীতে ই-বুক বের করা যাবে। তবে অবশ্যই অনুরোধ করব, পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে তারপর সেরকম লেখা লিখতে, যাতে সেটাতে তার জীবনের কিছুটা হলেও ফুটিয়ে তোলা যায়।
পরিশেষে আপনার কথার সাথে একমত পোষণ করে বলি:
we owe this to the dead and to the living.
প্রথম আলোর নিউজ আপডেটে ২০ জনকে সনাক্ত করার কথা বলছে...
আমি কিছুক্ষণ আগেই দেখেছিলাম। কিন্তু এটাতো মনে হয় না নির্ভরযোগ্য। শাহনেওয়াজ ভাইয়ের নাম ইতিমধ্যে ভুল করে যোগ করেছে।
দেখছিস কিন্তু বলিস নাই ক্যান রে হতভাগা!
আশিক ভাই, আমার উবুন্টুতে প্রথম আলো ঠিকমতো দেখা যাচ্ছে না। আপনি একটু কষ্ট করে ঐখানে উল্লেখিত ২০ জনের নাম একটু এখানে মন্তব্যে টাইপ করে ফেলতে পারবেন? তাহলে আমি দেখে দেখে মূল তালিকায় যোগ করে দেব।
৩৮ জনের মধ্যে ২০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে,
কর্ণেল মোয়াজ্জেম
কর্ণেল ইনসাদ
কর্ণেল মশিউর রহমান
কর্ণেল নকিবুল
কর্ণেল রেজা
কর্ণেল ইমাম
লেঃ কর্ণেল এমদাদ
লেঃ কর্ণেল রবি রহমান
লেঃ কর্ণেল লুৎফর রহমান
লেঃ কর্ণেল সাজ্জাদ
লেঃ কর্ণেল এরশাদ
লেঃ কর্ণেল ইলাহী
লেঃ কর্ণেল বদরুল
মেজর রফিক
মেজর হায়দার
মেজর খালিদ
মেজর মোসাদ্দেক
মেজর শাহনেওয়াজ
মেজর সালেহ্ এবং
ক্যাপ্টেন মাসুদ
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
দেখে দেখে সব যোগ করলাম। কয়েকটা জায়গায় কনফিউশন আছে। ডেইলি স্টার বলছে কর্নেল এমদাদ ও কর্নেল ইলাহী, আর প্রথম আলো বলছে ইনারা দুজনেই লেঃকঃ এখন কোনটা ঠিক বুঝতে পারছি না। তাই আপাতত ডেইলিস্টারের টাই রেখে দিয়েছি।
প্রথম আলো লিখেছে কর্নেল নকিবুল, কিন্তু ডেইলি স্টার লিখেছে নকিবুর রহমান। আপাতত ডেইলি স্টারই রেখে দিয়েছি। ইনারা দুজন আলাদা ব্যক্তি হওয়ার কথা না। সম্ভবত নাম টুকে নেয়ার ক্ষেত্রে একটু গড়মিল হয়ে যাচ্ছে।
সাধারণ মানুষ অনেকেই বলার সময় লেঃকঃ কে শুধু কঃ বলে......মেজর জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল এদেরকে শুধু জে্নারেল বলে... সেটা একটা কারণ হতে পারে...
মেজর আসাদুজ্জামান.......৩৬ লং েকাস্
মেজর আসাদুজ্জামান সম্পর্কে কি আপনি নিশ্চিত জানেন? অন্য কোথাও পাচ্ছি না। আপনি কোথা থেকে জেনেছেন সেটা জানালে ভাল হতো।
ভাইয়া আিম িনেজ েমজর আসাদ ভাই এর লাশ সনাক্ত করলাম গতকাল । Am sure bro...His body was found from gonokobor-1
এখনই যোগ করে দিচ্ছি।
ভাইয়া মেজর শাহনেওয়াজের স্ত্রী এখনো উনার স্বামীকে খুঁজছেন এটা সত্যি...... ব্লগে পড়ার পর আমি নিজেও একটু আগে চ্যানেল আইতে উনাকে এটা বলতে শুনেছি......
শেষ থেকে দুই নাম্বার নামটা আমার খালাতো ভাইয়ের......
ঢাকা থেকে এখনও ফ্যামিলি মেমবার দের থেকে কেউ সনাক্ত করে কিছু বলে নাই...
Muhammad, thank you for taking this initiative to list the deceased.
মুহাম্মদ, লুৎফুল কবীর ভাইকে নিঁখোজ দেখিয়েছ কেন???
উনি পরিবার সহ সহী সালামতে আছেন...
অফটপিকঃ ঘটনার দোষীদের একটা লিস্ট পেলে ভাল হত...এরপর...
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ওহ সরি, ঠিক করে দিয়েছি।
Kabir,
Jonoiko Nayek Shohid-er kotha besh koekbar potro potrikai uthe esheche (see naya Digonto report)...doshider obilombe shonakto kora dorkar...ar thik kotojon shoitan paliye gese etao find out korata khub joruri...specially family-der upor jara torture koreche tader-ke khub joldi chinhito korte hobe..also the killers....ashole amar mathai kaj kortese na...ki je bolbo ..ar likhbo...May Allah help us
ব্লগ অ্যাডজুট্যান্ট...এডু এবং মডু...
বুক ফাটা কান্নার একটা ইমো চাই।
অবশ্যই আর একটা ইমো চাই দৃপ্ত অঙ্গীকারের।
আর যেন অবশ্যই থাকে শহীদ-এর ইমো।
এবারের মত শেষ রিকোয়েস্ট...
"কুত্তা-র বাচ্চা"র একটা ইমো যেন কোনমতেই বাদ না যায়
আর লাত্থানোর একটা......
লেঃকঃ লুৎফর রহমান (মকক, ১৪তম ব্যাচ)।সিলেটের আ্যডজুটেন্ট ছিলেন। সাদা টি-শার্ট আর ট্রাউজার পরে সকালের পিটিতে ক্যাডেটদের সাথে দৌড়ানো প্রাণবন্ত এই মানুষটি আর নিজের পায়ে দাঁড়াবেন না, শেষ আশ্রয় স্থলে যাবেন তাঁর সহকর্মীদের কাঁধে চড়ে জাতীয় পতাকায় আবৃত হয়ে এটা ভাবতেই চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। স্যারের আত্মা শান্তি পাক।
পিলখানায় মাটিচাপা অবস্থায় ডিজিসহ ৪০ সেনা কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার
আজ বিকেলে বিডিআর সদর দপ্তরের চত্বরের হাসপাতালের পাশে একটি খালি জায়গা থেকে মাটি খুঁড়ে ৩৮ সেনা কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের লাশটিও রয়েছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী যে ৩৮ জন কর্মকর্তার লাশ পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে ২০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। যাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কর্ণেল মোয়াজ্জেম, কর্ণেল ইনসাদ, কর্ণেল মশিউর রহমান, কর্ণেল নকিবুল, কর্ণেল রেজা, কর্ণেল ইমাম, ক্যাপ্টেন মাসুদ, লেঃ কর্ণেল এমদাদ, লেঃ কর্ণেল রবি রহমান, লেঃ কর্ণেল লুৎফর রহমান, লেঃ কর্ণেল সাজ্জাদ, লেঃ কর্ণেল এরশাদ, লেঃ কর্ণেল এলাহি, লেঃ কর্ণেল বদরুল মেজর রফিক, মেজর হায়দার, মেজর খালিদ, মেজর মোসাদ্দেক, মেজর শাহনেওয়াজ ও মেজর সালেহ।
তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো
আমার জানামতে শাহনেওয়াজ ভাইয়ের আত্নীয়রা তাঁর লাশ এখন পর্যন্ত সনাক্ত করেন নাই। তিনি এখনো নিখোঁজ আছেন।
যোগ করা হয়েছে। কিছু কনফিউশন আছে যা জুনায়েদ ভাইয়ের মন্তব্যের জবাবে লিখেছি।
ভাইরে...
ঘটনা হলো...তিনদিন হয়ে গেছে...লাশ বেশির ভাগই ডিফরমড...
একজনের লাশ নিয়ে কথা উঠছিল মেজর শাহনেওয়াজের বলে, কিন্তু ঐটা আসলে না সেইটা কনফার্ম করে আসছে উনার ভাই...
কিন্তু প্রথমআলো যেই তালিকা ছাপাইসে সেখানে মেজর শাহনেওয়াজের নাম আসে...কেউ কেউ বলতেসে, নেমপ্লেট দেখে নাকি অনেক লাশ আইডেন্টিফাই করা হইতেসে...কেউ কেউ বলতেসে নেমপ্লেট নাকি সব মিশে টিশে গেসে...
উনার সাথে আরো তিনজন নাকি কাজ করত...তাদের কাউকেও এখনো পাওয়া যায় নাই...
ঘটনার দিন উনারও দরবার হলে থাকার কথা...
জানি না...
samiur lutfor sir er kono pic ase.?
vai zihad allah r kase doa koro. amrao korbo inshallah.tomer vai amar dekha shera adj silen . ami ekhon feel korsi amra onek kisui hariyesi. sir er bacha tar khotha khuv mone porse. sobar proti request pls amra morhumder attar magfirater jonno allah r kase doa kori jar joto tuku shujuk hoi. eta inshallah tader kase asbe.
আল্লাহ তুমি এদের রহমত দান করো
Sorry Mod, office-e asi..banglai lekhar babostha nai..karon user permission nai bangla install korar ..but na likhe parsi na..ar koto shojjo korbo ?
Julhash vai-er lekha pore plus aro koekjon specially Saif-er lekha pore mon khub kharap hoye ase ........BDR premik so called shuorer bacha budhijibider khun korte icha kortese!!!
It was a pre-planned and indiscriminate merciless holocaust
No sympathy for those killers who didn't think a bit before commiting these heinous jobs
The tragedy is all the unverified information of uncertain origin is turning true though we are praying for it not to be!!!
find those bastards killers who were directly involved
find those bastards planners who made it happen
find those bastards looters
find those bastards rapists
and then Dear Army, you decide what you wanna do with them!!
But please do proper investigation, don't do harm to any innocent or loyal and helpful soldiers who rescued lots of Ofiicers lives.
and finally f**k those so called intellectuals who are still praising the heroic deeds of those bastards inda TV Channel and News media
I'm not sorry at all to say this
And our brothers in Army need our moral support...yes we should stand beside them now.
আমাদের ব্যাচমেট ইমরান জানাল, কর্নেল মুজিবুল হক হলেন ওর মামা। বিডিআর নাকি তাঁর বাসার কাজের মেয়েটাকেও (১২ বছরের) খুন করেছে।
amin
এই মাত্র নিউজে কর্নেল জাকিরের শহীদ হবার সংবাদ পেলাম। কেউ একজন কনফার্ম করুক ইনিই সামিয়ার বাবা কি না। দুঃখ লাগছে প্রচন্ড। 🙁
যেন না হয়।
ধুত কিছু ভালোলাগেনা
আদনান, এইটা কি শুনাইলা?...
কামরুল বা রায়হান, তোমরা কি কিছু জানো?
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
চ্যানেল ওয়ানে সন্ধ্যা থেকেই লেঃকর্ণেল জাকির নামটা দেখাচ্ছে। সামিয়ার বাবা কর্ণেল।
আপনি কোন চ্যানেলে দেখলেন? আরেকটু নিশ্চিত করে জানাতে পারেন? কে আইডেন্টিফাই করলো?
স্যামের কাছ থেকে নিশ্চিত হতে ইচ্ছা করছে না।
আমিও দেখেছি।চ্যানেল ওয়ানে। কিন্তু সবার সাথে শেয়ার করার সাহস করে উঠতে পারিনি।
রায়হান ছিলো আমার পাশে। আমাকে জড়িয়ে ধরে হুহু করে কেঁদে উঠেছে।
আমি বড়ভাই তাই ওর সামনে কাঁদতে পারিনি। ওকে চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে পাশের রুমে গিয়ে প্রাণখুলে কাঁদলাম ।
... ... ...
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
.............
Life is Mad.
কি বলব বুঝতে পারছি না......সামিয়ার মনের অবস্থা কল্পনা করার সাহসটুকুও পাই না......
ওরা এখনও ভেঙ্গে পড়েনি। আমি এতো দূরের একজন মানুষ অথচ আমিই ব্যাথাটা সহ্য করতে পারি নাই। বারবার চোখে পানি চলে এসেছে।
স্যামের সাথে কথা হয়েছিল কিছুক্ষণ আগে। ওরা এখনও নিশ্চিত না। কালকে ওকে নিয়ে ডিএমসি, সলিমুল্লাহর মর্গে যাবো।
লাভ কী? মানুষটা তো আর ফিরে আসবে না...
সুরভী আমাকে বলেছিল। ও দুপুর থেকে আমার পেছনে লেগেছে। আমি ওকে লেঃ কর্নেল আর কর্নেলের পার্থক্যটা ধরিয়ে দিয়েছিলাম। ও আমাকে পরে এস এম এস করে জানালো ব্যাপারটা।
আমি এখনো শিওর হইনি ইনি সেই ডঃ জাকির হোসেন কি না!
আমার ঘুম আসছে না; কাল অনেক দৌড়াদৌড়ি, গ্যাঞ্জামের কারণে আমার মিস হয়ে যাওয়া পরীক্ষাটা নিয়ে... কিন্তু কোন ফিলিংস হচ্ছে না সেসব নিয়ে। শুধু মনে হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত আশাটা যেন গুড়ো না হয়ে যায়। আমি এখনো আশা করে বসে আছি সামিয়ার বাবার একটা ভাল খবর শোনার জন্য।
এখনো আশা করে বসে আছি সামিয়ার বাবার একটা ভাল খবর শোনার জন্য।
আল্লাহ আমাদের বোনটাকে আরো শক্ত রাখুক মানসিক ভাবে ......
কি লিখব? আমার কাছে ভাষা নেই কোনো ।
কিছুই ভাল লাগছেনা।
আল্লাহ ঘুম থেকে উঠে যেন দেখি এটা একটা দুঃস্বপ্ন ছিল।
চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছা করছে।
পরশুদিন রাত ১টায় যখন কনফার্মড একটা মেসেজ পেলাম, মাজহার ভাই ইজ ডেড- গলার কাছে একটা দলা আটকে আছে। কিছুই ভাল লাগছেনা। একের পর এক এই রকম মৃত্যুর খবরে অসুস্থ বোধ করছি। আরো অসুস্থ বোধ করছি কতিপয় শিক্ষিত মানুষদের মতামত দেখে। হে বিধাতা, এদের বোধশক্তি দাও!
জ়ে মুবীনের বিবৃতি
বিবৃতিটি এখানে পাওয়া যাবে
রাইট ক্লিক করে "view image" অপশন থেকে বিবৃতিটি দেখতে পারবেন। প্রয়োজন হলে জুম করে নিন।
সূত্রঃ বিডিনিউজ২৪
বিবৃতিটা পড়ে ভাল লাগল...
ধন্যবাদ
আল্লাহ যেন সামিয়াকে শক্ত রাখে...
ভাইয়া আপনােদরেকউ িক মেজর গাজ্জালী এর েকানও খবর জােনন ??
ইতিমধ্যে শহীদের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৬২ তে। তবে এই ৬২ জনের মধ্যে সবার লাশ সনাক্ত করা যায়নি। যাদের লাশ সনাক্ত করা গেছে তাদের নাম এই তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। বাকিদের পরিবার-পরিজন এখনও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনযাপন করছেন।
বিডিআর সদর দফতরের একটি কম্পাউন্ডের গণকবর থেকে ৩৮টি লাশ পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া ড্রেন ও সুয়ারেজ লাইন থেকে আরও ২৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এরপর আরও দুটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু এই গণকবর দুটি থেকে কতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার
কেউ কি কাইন্ডলি সামিয়া আপুর বাবার আপডেট জানাতে পারবেন?
Proud to be an ex-cadet..... once a cadet, always a cadet
রায়হান আবীরের সাথে ১২ টার সময় কথা হয়েছে। সামিয়ার বাসার সবাই এখনও অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে। চ্যানেল ওয়ানে যে "লেঃকঃ জাকির" এর নাম বলা হয়েছে তিনিই "কর্নেল জাকির হোসেন" কি-না সেটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সামিয়ারা ডিএমসি ও সলিমুল্লাহর মর্গে যাবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য। আর ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে কিছু একটা জানা যাবে আশাকরি, আমরা সবাই ভাল খবরের আশায় আছি...
গতকাল গণকবর থেকে উদ্ধার করা ৩৩ জন আর্মি অফিসারের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে আজ বিকেল ৩:০০ টায়।
স্থান: আর্মি স্টেডিয়াম
এই ৩৩ জনের মধ্যে বিডিআর এর প্রাক্তন ডিজি মেঃজেঃ শাকিল আহমেদও আছেন।
সূত্র: Janaza of 33 officers at 3pm
মুহাম্মদ, পারলে ছবিটা তুলে দাও । দেখতে খুবই অস্বস্তি লাগছে। একজন মানুষের কষ্টবোধটুকুকে শ্রদ্ধা করে হলেও সেটা করা উচিত।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
সরি, এখনই তুলে দিচ্ছি...
নতুন যে দুটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে সেগুলো থেকে আরও ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে আজ সকালে বিডিআর হেড কোয়ার্টার এরিয়া থেকে আরও দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সিসিবি-র হিসেব মতে এখন উদ্ধারকৃত শহীদের সংখ্যা ৭৪
উদ্ধারকাজ চলছে।
সর্বমোট ১৬৮ জন আর্মি অফিসার শহীদ হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তাদের অনেকের লাশ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আশায় বুক বেঁধে আছি। দোয়া করে যাচ্ছি...আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে যাচ্ছি।
Proud to be an ex-cadet..... once a cadet, always a cadet
ডিজি মেঃজে শাকিলের স্ত্রী নাজনিন শাকিল শিপুর লাশ পাওয়া গেছে। মিসেস শাকিলের লাশের সাথে আরও নয়টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে গণকবর থেকে।
এখনও উদ্ধারকার্য চলছে।
উদ্ধারকৃত ১০ জনের মধ্যে আরও দুজনের লাশ সনাক্ত করা হয়েছে:
মেজর মকবুল এবং মেজর মোশাররফ।
শহিদ আর্মি অফিসার দের সংখ্য তাহলে ধরে নেয়া যায় ১৬৮ জন । কেউ কি জানে এর বাইরে আর্মি অফিসার দের পরিবার এর কত জন প্রান দিয়েছেন ?
পরিবার-পরিজনদের সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।
সামিয়ার বাবার কোন খবর পাওয়া গেছে?
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
মাথা পাগল লাগতেছে, এইসব কি হইল......কিছুতেই কোন লজিক খুজে পাচ্ছি না
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
আরেকটা দিন তো চলে যাচ্ছে বাংলাদেশে। নতুন কোন আপডেট আছে? কারও কোন খবর?
মানুষ বড় অদ্ভুত। আজ প্রায় চারদিন হয়ে যাচ্ছে, মানুষগুলোর খোঁজ নাই। তবু মনের মাঝে ঠিকই আশা উকিঁ দিয়ে যাচ্ছে।
মেজর শাহনেওয়াজের মৃতদেহ পাওয়া গেছে
ইন্নালিল্লাহ।
আল্লাহ তাঁর আত্নাকে শান্তিতে রাখুন। আর আমাদের শোক বইবার ক্ষমতা দিন।
ইন্নালিল্লাহ।
আর কিছু বলতে পারছি না।
🙁 🙁 🙁 মানতে পারছি না কিছুতেই এতগুলো মানুষের এমন নির্মম মৃত্যু।
ফৌজদারহাটের২৬ তম ব্যাচের মেজর হাসান ভাই শহীদ হয়েছেন । আর কত??
ইন্নালিল্লাহ।
মেজর মাহমুদ হাসান অপু বিডিআর সদর দপ্তরে পোস্টেড ছিল। ফৌজদারহাট ২৬তম ব্যাচ। শুক্রবার ৩৯ জনের গণকবর থেকে উদ্ধার হয়েছে ওর মরদেহ।
জিহাদ: এর নামটা ওপরের তালিকায় দেখলাম না। যোগ করে নিও। আমার ছোট ভাই ফয়েজের কলেজ ব্যাচমেট। ফয়েজ নিশ্চিত করেছে ওর মরদেহ মিলেছে।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
আশার প্রদীপগুলো একটার পর একটা দপ করে নিভে যাচ্ছে......
Maj. Shahnewaz is the elder of brother of Rabbi (92-98) PCC.
অবশেষে সেই কষ্টের-যন্ত্রণার খবরটা আমাকে দিতে হচ্ছে। কান্নায় আমার চোখ ঝাপসা হয়ে আছে, তবু আমি লিখছি। কারণ ব্লগের সব ভাই-বোনেরা একটা খবরের আশায় বারবার আমার কাছে জানতে চেয়েছে। আর সামিয়াও আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে নির্মম সত্যটা আমি যেন সবাইকে জানিয়ে দিই।
আমাদের সবার আদরের ছোট্ট বোন সামিয়া তার বাবাকে খুঁজে পেয়েছে। ঢাকা মেডিকেলের মর্গে বিডিআরের মেডিকেল সার্ভিসেস-এর ডিরেক্টর কর্নেল ডা. জাকির হোসেনের মরদেহ সনাক্ত করেছে তার আদরের কন্যা ও স্ত্রী।
আজ সকালে গণকবর থেকে যে ১০ দশ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়, তাদের মধ্যেই ডা. জাকির ছিলেন।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
....................
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
কি বলব? কথা আগেই ফুরিয়ে গেছে.........
আল্লাহ উনাকে শান্তিতে রাখুন আর আমাদের আর একটু ধৈর্য্য দিন।
বুকফাটা কান্না প্রকাশের কোন ভাষা আছে কি? কেউ জানেন ?
হে আল্লাহ!
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ইন্নালিল্লাহ , আল্লাহ আরতো সহ্য হয়না ।
..............
Life is Mad.
ডাক্তার বলেছে আমার চোখের পানি শুকিয়ে গেছে তাই আজীবন আমাকে টিয়ার্স ন্যাচারাল দিতে হবে চার ঘন্টা পর পর। ডাক্তারকে এখন বলতে ইচ্ছে হচ্ছে আমার চোখের স্বাভাবিক পানি শুকায়নাই, দেখেন কতো পানি।
স্যাম আমাদের ক্ষমা করে দিস। তোর এতগুলা ভাই থাকার পরও আমরা তোর বাবাকে বাঁচাতে পারলাম না।
সামিয়া আপু অনেক শক্ত থেকো ।আর কিছু বলতে পারছিনা।
---------------ইন্নালিল্লাহ
কী বলতে হয় জানি না ........
উনার আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করি
............................
.........................
................
..................
মুহাম্মদ তোমার তালিকা আপডেট করো। আমাকে কিছুক্ষণ কাঁদতে দাও।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
রকা সিসিআর গ্রুপ মেইল থেকে পাওয়া আরও কিছু তথ্যঃ
নিখোঁজঃ
১। মেজর মোবাশ্বের (৭ম ব্যাচ সিসিআর)
২। মেজর আজিজ (এক্স আরসিসি, এক্স এ্যাডজুটেন্ট সিসিআর, ওনার ছেলে এখন
সিসিআর এ,নিজে আরসিসি-র হলেও ছেলেকে সিসিআর-এ দিছেন কারন ছেলের জন্ম
সিসিআর ক্যাম্পাসে। আমরা তাকে ক্লাশ সেভেনে পাইছিলাম। খুউবি স্মার্ট এবং অত্যন্ত
ভাল মানুষ ছিলেন। যদি ভুল শুনে না থাকি তাহলে উনি বি এম এ-তে সোর্ড অব অনার
পাইছিলেন)
এখনও নিখোঁজ কর্নেল জাকির সিসিআর এর এক্স-মেডিক্যাল অফিসার ছিলেন । উনিই খুব
সম্ভবত সামিয়া(৯৯-০৫) -র বাবা।
আজিজ স্যার কি মির্জাপুর থেকে সি সি আর এ গিয়েছিলেন ? ইয়া আল্লাহ আমি আর পারছিনা ।
মেজর আজিজ কে আমরা টুএলভএ পেয়েছিলাম। অনেক স্মৃতি জমে আছে। কি বলবো...............
এভাবে আর কতো...............
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
উনি আমার সবচেয়ে প্রিয় আ্যাডজুটেন্ট । স্যার আমি আমার যায়গা থেকে আপনাদের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব । স্যার You were the best :salute:
আজিজ স্যারের খবরটা শোনার পর থেকেই আরো আউলা লাগতেসে...
স্যারের সাদা টি-শার্ট আর সাদা শর্টস পড়া, গলায় সোনার চেইন ঝোলানো চেহারাটা কিছুতেই চোখের সামনে থেকে সরাইতে পারতেসিনা...আমরা কলেজে থাকার সময়েই স্যার বিয়ে করসিলেন...আমরা ডাইনিং হলে মিষ্টি খাইসি...স্যার একেকদিন থার্ড প্রেপের পরে প্রত্যেক হাউসের রুমে রুমে ম্যাডামকে দেখা করাইতে নিয়ে আসতেন...
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
Lt. Col Saiful Islam
Ami uncle er chele Tito ke class 6/7 er private poraitam, neighbour chilo. bhasha nei.
[Sorry, ami notun, ekhono bangla editor download kortesi.]
অসহায় লাগছে.........খুব বেশী.........
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
মেজর মাহবুব (বকক, ৮১-৮৭) কে আইডেন্টিফাই করা হয়েছে। বেক্সকার মেইলে জানতে পারলাম। তাকে শহীদদের লিস্টে নাও। কোনো এক পেপারে পড়েছি লাইবেরিয়া থেকে ফিরে বিডিআর এ জয়েনের প্রথম দিন ছিল তার। আমার চার বছর সিনিয়র ছিলেন কলেজে। শরীয়তুল্লাহ হাউসের গেমস প্রিফেক্ট ছিলেন। জুনিয়রদের খুব হেলপ করতেন। খুব ভাল মানুষ একজন।
মাহবুব আর আমি একই হাউসে ছিলাম। পরেও দেখা হয়েছে। হাসিটা চোখে ভাসছে।
নিখোঁজ থেকে আরেকজন কমবে।কেউ একজন বলে দিন প্লিজ।আমি বলতে পারব না।
আপডেট করেছি। করার সময় খুব কষ্ট হচ্ছিল। দুইজনের নাম নিখোঁজ থেকে সরিয়ে নিয়ে শহীদের তালিকায় যোগ করতে হল...
কর্নেল রহমান শফি (ঝকক) হলেন প্রেসিডেনট এরশাদ এর nephew.
আমি অধিক শোকে পাথর ।
লিস্ট দেখে আরো বেশি নিথর , টানা ৩০ ঘন্টা ঘুমাতে পারিনি গতকাল পর্যন্ত ।
সকল বিদেহী আত্মার শান্তি হোক ।
কিছুটা উস্কানিমূলক কথা বাদে আপনার সামুতে সংগ্রামকে সালাম জানাই । আমারে চিনছেন ?
সীমান্ত , অসংখ্য ধন্যবাদ ভ্রাতা সাথে থাকার জন্যে ।
খুব বেশি কাছের শোক দেখা থেকে যে কি পরিমান ক্ষোভ জন্ম নেয় তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয় ।
চিনতে পেরেছি এবং আবারো আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।
একটু আগে ক্লাস থেকে এসে শুনলাম, জাকির আঙ্কেলের ডেডবডি DMC তে......ক্লাসমেট রা ওখানে গেছে আমাদের প্রিয় আঙ্কেলকে শেষবারের মত দেখতে...আর আমি এত দুরের দেশে থেকে খালি খবর দেখে গেলাম আর শুনে গেলাম...গলা ফাটায় যে কাদব, তারও উপায় নেই...
সামিয়া , ভালো থাকিস রে বোন . . . . আর কিইবা বলব
আঙ্কেল এর জন্য দোয়া করি আল্লাহ উনাকে বেহেশত নসিব করুন
নিজেকে খুব ছোট মনে হয় ।
................
মেজর মমিনুল ইসলাম সরকারের স্ত্রী অন্ত্বঃসত্বা। ওনি আমার রুমমেটের পূর্বপরিচিত, সে জানিয়েছে, তাঁর english vocabulary ছিল চমৎকার, তাঁর একটি বাংলা কবিতার বইও প্রকাশ হয়েছিল। তাঁর সম্পর্কে কনফার্মড আরো কিছু তথ্য আমি পরে জানাব।
নিখোঁজ অনেকের খবর এসেছে এখানে। দু'একটা তথ্য পাওয়া যাবে বলে লিঙ্কটা দিলাম। ছবিতে বোধহয় সামিয়ারা... কী কষ্টের সময় কাটছে যে তাদের!!
মেজর মমিন ভাইয়ের লাশ সনাক্ত হয়েছে। দেশ থেকে আমরা SMS পেলাম, মনেহয় এটা তারই নিউজ লিংক। পেপারে কন্ফার্ম নাম আসলে 'শহীদ' লিস্টে এড্ করে নিও।
আর পারলাম না রে ভাই ..... এটা তুমি কি দেখালে
কর্ণেল জাকির হোসেন স্যার আমদের ১১তম এবং ১২ তম ক্লাশে পড়ার সময় (১৯৮৪-৮৫)মেডিকেল অফিসার ছিলেন। যতদূর মনে পড়ে, তিনি তখন ক্যাপ্টেন এবং ওখানেই মেজর র্যাঙ্ক পড়েন।ওই সময় কিছুদিন এডজুটেন্ড না থাকার জন্য ভারপ্রাপ্ত এডজুটেন্ডের দায়িত্ন পালন করেন। বিশেষ করে উনাকে চিনি কারন উনি রংপুর মেডিক্যালে পড়ার সময় আমার মামার এক ব্যাচ সিনিয়র ছিলেন। এত সরল সোজা মানুষ ছিলেন যে উনার মতো মানুষ খুব কম দেখা যেত। আমার মামার পরিচিত হওয়াতে উনি আমাকে বিশেষ স্নেহ করতেন।আমি কমিশন পাবার পর ১৯৮৭-৮৮এর দিকে ঢাকা সি এম এইচের সামনে একবারি দেখা হয়। এরপর উনার প্রমোশনের খবর শুনি কিন্তু কোথায় আছেন তা জানতামনা।২৫ তারখে ব্লগে জানতে পারলাম উনি ডি এম এস আর একসাথে আমদের বোন সামিয়ার বাবা। উনার নিঁখোজ সংবাদে সবসময় চোখ রেখেছি। এতোদিন উনার সাথে যোগাযোগ নাই অথচ যখন উনার খবর জানলাম, কেমন আছেন উনি সেতা জিজ্ঞাসা করার সুযোগ নাই। এই কষ্ট আমি কোথায় রাখবো।আজ সারাদিন এজন্য মন খুব অশান্ত ছিল।
মেজর আজিজ (আরসিসি, সিসিআর-এর অ্যাডজুট্যান্ট ছিলেন) উনি কি ১২ তম লংকোর্সের এবং ইঞ্জিনিয়ার্সের? কেউ কি আমকে বলতে পারবে?
হ্যা ভাইয়া, উনি ইঞ্জিনিয়ার্সের ছিলেন। কোন লংকোর্সের তা বলতে পারবো না।
মেজর শাহনেওয়াজ (সিসিআর, ১ম ব্যাচ)এবং ১ম কলেজ প্রফেক্ট। আমরা যোগদানের কিছুদিন পর উনারা আসেন ৩০ জন। উনার ডাক নাম ছিল পিকু। সবচেয়ে চৌকশ হবার জন্য উনি ১ম কলেজ প্রফেক্ট হিসেবে দায়িত্ন পান।উনি আবার ছিলেন আমার হাউসের(তিতুমির) তাই উঠতে বসতে দেখা হতো উনার সাথে। আমি একটু বোকা প্রকৃতির হবার জন্য উনি আমাকে নিয়ে খুব ফান করতেন।সিসিবিতে ক্যডেট কলেজের দিনগুলু তে ঐসব দিনের কথা লিখার আগেই উনি চলে গেলেন।
মেজর মোবাশ্বের (সিসিআর, ৭ম ব্যাচ)। আমদের দুই ব্যাচ জুনিয়র আর তিতুমির হাউসের হওয়ার জন্য সবসময় ওদের দেখতাম। ১৯৯৯-২০০০ এ কক্সবাজারে পোষ্টিং থাকার সময় মোবাশ্বের ডিজি এফ আই কক্সবাজারে এ দীর্ঘদিন ধরে ছিল। সবসময় পড়ে থাকতো ১৭ ইসিবিতে। আমদের সেদিন গুলুর স্মৃতি আজ মনে পড়ে।
মেজর আজিজ (আমাদের পলাশ ভাই) এমসিসি র এ্যাডজুটেন্ট ও ছিলেন। আমরা যখন এস্কারসনে গিয়েছিলাম এক রাত এমসিসি তে ছিলাম তখন উনাকে ওখানে পাই। ১৪তম ব্যাচের কলেজে উনাকে পাই নাই, আমাদের দেখে প্রথমেই বলেছিলেন এখানকার ক্যাডেটরা আমাকে আজিজ স্যার ডাকে তোমরা আমাকে পলাশ ভাই বলবা। উনার প্রচুর গল্প এমসিসির পোলাপানের কাছে শুনেছি। আমাদের ব্যাচকে প্রায়ই ওদের অফ পিরিয়ডে গ্যালারীতে নিয়ে গল্প করতেন। আমার এখন মনে পড়তেছে খালি উনার সেই হাসি হাসি মুখটা, গলায় একটা সোনার চেইন।
লিস্ট টা মনে হয় নাম্বারিং করলে ভাল হতো।
র.ক.ক. এর বি. ডি. আর. পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের তালিকা:
১. মেজর আজিজুল হাকিম পলাশ (১৪/৭৬৩/তারিক হাউস) এখনও নিখোঁজ।
২. কর্নেল আফতাবুল ইসলাম, পি. এস. সি. (১৪/৭৮৮), মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
৩. কর্নেল আখতার হোসেন, পি. এস. সি. (১২/৬৬১/কাসিম হাউস), মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
৪. মেজর মাকসুম-উল-হাকিম (২০/১১২৫/খালিদ হাউস), মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
৫. একমাত্র জীবিত কর্নেল আব্দুল মুকিম সরকার (১৫/৮৫৪)।
বুক ফেটে কান্না আসে। চোখ ঝাপসা হয়ে আসে।
মুহাম্মদ
মামুন রশিদ ভাইয়ের 'ওহ ক্যাপ্টেন ! মাই ক্যাপ্টেন !' লেখাটায় এবং এই পোস্টের মন্তব্যে অনেক সেনা কর্মকর্তার এক্স-ক্যাডেট পরিচয় এসেছে। একটু কষ্ট করে আপডেট করে দিবি ?
টিভিতে দেখলাম ৭২ জন নিখোজ আছেন এখনো। সেই ৭২ জন কারা? এখানে নিখোঁজের তালিকায় দেখতে পাচ্ছি ৭ জন। কেন?
আসলে আমরা নিখোঁজদের কোন পূর্ণ তালিকা পাইনি। বিভিন্ন সময় যারা জানাচ্ছেন তাদের কথা মতো যোগ করে দিচ্ছি। শহীদদের নামগুলোই কেবল পাওয়া যাচ্ছে।
নিখোজ এর লিস্ট থেকে আরো দুজনকে পাওয়া গেলোঃ
১। কর্নেল গুলজার উদ্দীন আহমেদ (RAB এর ইন্টেলিজেন্স উইং এর প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টর)
http://bdnews24.com/details.php?id=77402&cid=2
২। লেঃকঃ গোলাম কিবরিয়া এম নিয়ামতউল্লাহ (এমসিসি, ১২তম ব্যাচ)
http://www.thedailystar.net/newDesign/latest_news.php?nid=15329
শহীদ মেজর সৈয়দ মোঃ ইদ্রিস ইকবাল জেসিসি'র ২২ ইনটেকের...
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
মেজর মাহবুব, আরমি মেডিকেল কোর, সিকক-এর MO ছিলেন বোলে শুনেছি কেওকি নিশচিত করতে পারবেন?
মেজর মাহবুব দুইজন আছেন। তুমি কার কথা বলছ?
সাজিদ মেজর মাহবুব একজন বকক এর ৪র্থ
ব্যাচের ক্যাডেট।
তুই কার কথা বলতেসিস
বুঝতে পারছিনা আমাদের এক ক্লাসমেট জানালো সে নাকি মেজর মাহবুব জিনি আমাদের MO
ছিলেন তার ছবি CH 1-এ দেখেছে কিন্তু আমার জানা মতে উনি ক্যাডেট ছিলেননা আর পরবর্তি খবরে এই সম্পর্কে আর কিছু বলেনি, তালিকার ২য় মেজর মাহবুব সম্পর্কে বিস্তারিত জানা গেলে নিশ্চিত হতে পারতাম।
ফৌজদারহাটের মেজর শাহরিয়ার এবং মেজর নাজমুল নিখোঁজ 🙁
কর্নেল মশিউর রহমান (জেসিসি, ১১তম ব্যাচ)।
কর্নেল এলাহী নাকি কাছাকাছি ব্যাচের। জেসিসির কেউ ভেরিফাই করে নিতে পারে।
কর্নেল এলাহী জেসিসি, ১১তম ব্যাচ
সর্বমোট ২০ জন এক্স-ক্যাডেটের তালিকা এ পর্যন্ত পেয়েছি, জে. সি. সি এর ক্যাপ্টেন আরিফ এর নাম দেখছি না।
মুহম্মদ, জে. সি. সি এর কারো নিকট নিশ্চিত করবে?
জুনায়েদ ভাই আশাকরি নিশ্চিত করতে পারবেন।
সেনা সদর আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে যে নিখোঁজ ৭ জন।
তাহলে ৭২ জন নিখোঁজের যে বিষয়টা বলা হচ্ছিল সেটার কি হবে? সবার মরদেহই কি পাওয়া গেছে? আমি দেখছি, আরও ৬০ জন নিখোঁজ আছেন।
কারণ গতকাল ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
শওকত ভাই, কতজন শহীদ হয়েছেন, কতজনের মরদেহ পাওয়া গেছে এবং কতজন নিখোঁজ আছেন তা ডিটেলস বলতে পারবেন?
আজ সেনা সদর প্রেস ব্রিফিং করে জানায় যে লাশ উদ্ধার হয়েছে ৫৬ জনের। এর মধ্যে বিডিআর যওয়ান ছাড়া। ৫৬ জনের মধ্যে বিডিআর কর্মকর্তার বাইরে আছেন ডিজির স্ত্রী, একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রী। আর জীবিত বের হয়ে এসেছেন ৪০ জন। এখনো নিখোজ ৭ জন।
টিভিতে তাই বলল দেখলাম। তাহলে বাকিদের কি হবে? 🙁
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
কর্ণেল গোলজার এখনো নিখোজ আছেন...
তাহলে ঘটনার পরপর অনেক কর্মকর্তা পালাতে পেরেছিলেন।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
এখন খবর পড়লাম, ৭২ জন না, ৭ জন নিখোঁজঃ
1. Col Gulzar Uddin Ahmed
2. Lt Col Manzur Elahi
3. Major Abu Sayed Gazzali Dastgir
4. Major Ahmed Azizul Hakim
5. Major Kazi ashraf Hossain
6. Major Makbul Hossain
7. Captain Tanvir Haider Noor
Source: http://bdnews24.com/details.php?cid=2&id=77662&hb=top
আজিব ব্যাপার, ওইদিনই এইখানে পড়লাম Col Gulzar এর dead body পাওয়া গেছে। খবরের কাগজগুলার কোন ঠিকঠিকানা নাই।
আমাদের নিখোঁজের তালিকায় ৯ জনের নাম আছে। কেউ একজন এফসিসির মেজর নাজমুল এবং মেজর শাহরিয়ার নিখোঁজ আছে বলে জানিয়েছিলেন। এই দুজনের নাম সেনা সদর জানায়নি। এ দুজন বাদ দিলে এখানেও ৭ জন হয়ে যায়। ইনাদের ব্যাপারে কেউ কি নিশ্চিত করতে পারবেন?
আর শহীদের তালিকা তো কিছুতেই মেরানো যাচ্ছে না। কিছু নাম হয়ত দুই বার এসেছে, কিছু নাম হয়ত ভুলে চলে এসেছে।
সম্ভবত বাকি কেউ নাই আর। কতজন উপস্থিত ছিলেন সেদিন দরবার হলে সেটি নিয়ে বিভ্রান্তির কারণে এটা হয়েছে। এখন বলা হচ্ছে নিখোজ ৭।
তার মানে সামরিক কর্তারাও হিসাবটা ঠিকমতো করতে পারে নাই। ৭২ জন থেকে ৭ জনে নেমে আসাটা অস্বাভাবিক নয়?
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
অন্তত এই ক্ষেত্রে সংবাদ পত্রের কোনো দোষ নেই। সেনা সদর থেকেই আগে বলা হয়েছিল ৭১ জনের কথা। আর কার কার লাশ পাওয়া গেছে সেটিও তাদের বলা। ভুল করলে তারাই করেছে।
বিভ্রান্তিতে পড়ে গেছি। সেনা সদর থেকে বলা হচ্ছে ৫৪ (স্ত্রী দুজন ছাড়া) জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু আমার তালিকায় অলরেডি ৬৪ হয়ে গেছে। কোথাও সমস্যা হয়েছে।
আর নিখোঁজের তালিকায়ও সমস্যা আছে। কারণ ডেইলি স্টার বলছে মেজর মকবুল হোসেনের জানাজা আজ সকালে হয়ে গেছে। তিনি এখনও নিখোঁজ থাকেন কিভাবে?
কিছুই মেলাতে পারছি না। একটু সময় লাগবে।
হুম সময় লাগবে। সেনা সদরের তালিকায় বিডিআর সদস্যদের রাখা হয় নাই।
সর্বশেষ শহীদ অফিসার কত জন?
কেউ কি একটু নিশ্চত করবেন?
চোখের পানিও এখন শুকিয়ে গেছে ভাই। মুখের ভাষা তো আগেই আটকে গেছে গলার কাছে একদলা কান্নার মত।
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক,
জ্যোস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই,
কিছুটাতো চাই, কিছুটাতো চাই।
এটা ছিলো আমার এবং আমার সাথের বাকি ৫২৭ জন নব সৈনিক এর জীবনের একটা নির্মম দিন আমরা কেউ এক রাউন্ড গুলিও করি নাই। তবে আমরা কেনো সাজা পেলাম সরকার কি পারবে জবাব দিতে যদি সরকার আমাদের কোন অপরাধ দেখাতে পারে হাসি মুখে গলায় ফাঁশির রশ্মি পড়ে নেবো। আমরা সরকার কে ওপেন চেলেঞ্জ করলাম আমাদের অপরাধ প্রমান করুক,না হয় আমাদের জীননটা কেনো ধংস করলো তার জবাব দিক----ছিঁ ধিক্কার আমাদের নিজেদের প্রতি কেনো এই দেশে জন্মালাম
দুঃখিত।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ