(লেখাটা শুরু করেছিলাম কামরুলের কালো দিনের মন্তব্য করতে গিয়া। এতো বড় হইয়া গেলো যে লেখা হিসাবেই দিয়া দিলাম।)
সিলেটের আরও অনেক কাহিনী পাওয়া যায়। পামোশ যেখানেই গেছেন অনেক কাহিনীর জন্ম দিয়েছেন। ব্যাক্তিগত জীবনে প্রবল ধর্মকর্মকরা এই মানুষটির ভাগ্য কেন এমন; কে জানে? ঝিনাইদহের এক বড় ভাই অইদিন পামোশের কথা বললেন। পামোশ কুমিল্লা থেকে আমাদের কলেজে বদলি হয়ে আসলেন অইখানে ঝামেলা করার জন্য। কুমিল্লায় দুই ব্যাচের মধ্যে বেশ ভাল রকম মারামারি হয়। পিছনে ছিলেন উনি। আমাদের কলেজে আসার পর প্রথমে ছিলেন লাইব্রেরির দায়িত্বে। চমৎকার ক্লাস (বাংলা) নিতেন। তার কথা বলার ঢং, পড়ানোর স্টাইল আমাদের অদ্ভুত এক জগতে নিয়ে যেতো; ঘটনাগুলি যেনো চোখের সামনে দেখতে পেতাম। আমরা স্বভাবতই অনেক প্রশংসা করতাম তার। খুব সম্ভবত মোল্লা (অংক) স্যার বদলি হওয়াতে উনি আমাদের শেরে বাংলার হাউস মাস্টার হন। সাথে সাথে তার আসল রূপ বের হয়ে আসলো। আমাদের অন্য দুই হাউস মাস্টার রাও যে ধোয়া তুলসি পাতা ছিলেন তা বলা যায় না। তাদের নামগুলো বলছি। চিপা প্যান্টালুন (বায়োলজি), মোদা পীর (ইংলিশ) নামে পরিচিত ছিলেন। অ্যাডজুটান্ট ছিলেন দোলন আপার স্বামী (ঝিনাইদহের আউট ক্যাডেট)। এখন বিগ্রেডিয়ার। এইসব আউট ক্যাডেট বা নন ক্যাডেটদের কেন যে HQ অ্যাডজুটান্ট হিসাবে ক্যাডেট কলেজে পাঠায় আল্লাহ মালুম। পামোশ থাকাকালীন আমাদের কলেজে যত ঝামেলা হয়েছিল তার সবগুলোর পিছনে পামোশ ছিল বলে ধারণা করা হয়। বেশ কয়েকবার মারামারি হয় সেসময়। ব্যাক্তিগত ভাবে পামোশ আমার কিছু উপকারও করেছিলেন। আমাদের প্রিন্সিপাল ছিলেন ডেভিড অসীম কুমার দেওয়ারী। তার এক ছেলে ছিলেন এক্স ক্যাডেট। দেওয়ারী স্যার চমৎকার লোক ছিলেন। তার মূল চেতনা ছিল ডিসিপ্লিনড ক্যাডেট। তো ঘটনা হইল সেই অ্যাডজুটান্ট আউট হওয়ার পিছনে নাকি ছিলেন দেওয়ারী স্যার (তৎকালীন হাউস মাস্টার) আর পামোশ(তৎকালীন হাউস টিউটর)। । হাউস গারডেনিং বাদ দিয়া সে নাকি ক্রিকেট খেলতে গেছিলো। ব্যাস আউট। সেই ছেলেই অ্যাডজুটান্ট হইয়া কলেজে আইসা এদেরকে উত্যক্ত করতে থাকেন। পামোশ আমাদের হাউস মাসটার হওয়ায় আমরা সবচেয়ে বেশি ভুগতাম। আমরা তখন টুয়েলভে, ৯৬ সাল। ইলেভেনের সাথে অ্যাডজুটান্ট আর ভিপি ফারুক স্যার (তার স্ত্রী তাহমিনা ম্যাডাম; বাংলা) এক্সকারসনে। বৃহস্পতিবার; পোলাপাইন ভিডিও দেখার জন্য অপেক্ষায়। লিডাররা গেছে ডাক্তার মেজর আমিনের (মির্জাপুরের? এক্স ক্যাডেট) অন্তর্বর্তীকালীন অ্যাডজুটান্টের কাছে ছবির লিস্ট নিয়া। পামোশের প্রিয় ছাত্রদের একজন ছিলেন আবার এই আমিন স্যার। সে আবার পামোশরে দেখলেই স্যার স্যার করতো; শান পজিশন হয়ে যেতো। উল্টাদিকে সফিউদ্দিন পামোশরে ডাকতো রফিক সাহেব বলে। পামোশ যথারীতি ভাব মারার জন্য প্লাস অন্য স্যারদের কাছে নিজেরে উচা করার জন্য ৭ দিনের অ্যাডজুটান্টের রুমে গিয়া বইসা থাকে। পোলাপাইন গিয়া আমিন স্যাররে ছবির কথা বলাতেই পামোশ বলে উঠলো না না ছবি দেখা চলবে না; সামনে পরীক্ষা, ইত্যাদি, ইত্যাদি। মেজর আমিন ও বাধ্য ছাত্রের মতোন পামোশের কথায় সমর্থন দিল। ক্লাসে ফেরত আসার পরপরই সবাই জানতে চাইল কি ছবি দেখছি ঐদিন। লিডারদের বোকা বোকা হাসিই বলে দিলো কি ঘটনা! তারপরো তারা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলো। পোলাপাইনের তো মাথা গরম। দুপুর থেকে সন্ধ্যা – লম্বা সময়। ছেলেপেলেরা তাদের কর্মপন্থা ঠিক করে ফেলতে দেরি করলো না। এমন কিছু না সন্ধ্যার পর পামোশরে হালকার উপর দিবে। ও ভালো কথা তখন আমাদের প্রিন্সিপাল ছিলেন ডেডবডি। তিনি ভিপি হিসাবেও আমাদের কলেজে ছিলেন। বলতে গেলে স্যারকে আমরা আমাদের প্রায় ৬ বছরই পেয়েছিলাম। খুব ঠাণ্ডা স্বভাবের ছিলেন। ঐদিনই প্রথম স্যারকে রাগতে দেখেছিলাম; তাও কিছু সময়ের জন্য। আমি তখন পা ভেঙ্গে হসপিটালে। লাংড়া পা নিয়া ক্রিকেট খেলি হসপিটালে। হাশেম ভাই নালিশ দেয় ডাক্তার আমিনরে।
আমিন স্যার আইসা যখন জিগায় কি রাজীব, তুমি নাকি ক্রিকেট খেলো?
আমি অবাক হওয়ার ভান করি আর মুখে চরম হতাশার ভাব নিয়া বলি, স্যার ক্রাচ ছাড়া আমি হাঁটতে পারিনা; ক্রিকেট খেলবো কি করে?
আর রাতের বেলায় লুকিয়ে লুকিয়ে হাউসে যাওয়া। আমাদের সময় হাসপাতালের ছাদের তালা খোলা যেত জোড়ে মোচর দিয়া; তারপর শেডের উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে হাউসের কার্নিশে চলে যাওয়া; দেওয়াল বেয়ে উঠে পড়া রুমের সামনে; আমি তখন থাকতাম ৭ নম্বর রুমে; হোসেন আর আমি রুমমেট। হোসেন সাইন্সে; ডাক্তার হবার খায়েশে (বাবা-মার স্বপ্ন পূরণের জন্য) আবার বায়োলজিও নিছে। পড়তে পড়তে তার জান কয়লা। আর আমি আর্টসের ফেল্টুস ছাত্র সারাদিন ঘুমাই নয়ত শরিয়তুল্লাহর ৪ নম্বর রুমে আড্ডা দেই আমাদের ক্লাসের বদগুলার সাথে।
পামোশ প্যারেন্টস ডেতে আমার মায়েরে বলে; রাজীবের সব ভালো, কিন্তু একটা বিশেষ রুমে যাওয়া বন্ধ করতে হবে (শরিয়তুল্লাহর ৪ নম্বর রুম)।
আমি বলি জি স্যার।
কিন্তু ঐ রুমে যাওয়া তো আর বন্ধ করতে পারিনা।
যাই হোক হাউসে যেতাম বিড়ি শেষ হয়ে গেলে। সেইবার হসপিটালে সপ্তাহের বেশি ছিলাম। পোলাপাইন আর বাঁদরামির কাছ থিকা দূরে থাকতে থাকতে প্রাণ আইঢাই করছিলো; ডাক্তারকে বলে ঐদিনই রিলিজ নিয়া নিলাম। হাসপাতালে টি ব্রেক কইরা হাউসে চইলা গেলাম। পোলাপাইন সব মসজিদে। রুম গোছাইয়া টেবিলে বসলাম বইখাতা নিয়া। ক্লাস সেভেন, এইটের পদশব্দ শোনা গেলো; রুমের পাশ দিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সবার মনমেজাজ এম্নিতেই ভালো থাকে; ইম্প্রুভ ডিনারের জন্য; ভিডিও শো তো উপরি। কিন্তু সত্যি বলতে কি কলেজের সেই প্রাণহীন- বিনোদনহীন জীবনে ভিডিও শো সবার মনেই এক অদ্ভুত প্রাণসঞ্চার করতো।
ক্লাস টুয়েলভ হাউসে ঢুকছে কি ঢুকে নাই এর মধ্যেই কারেন্ট নাই। ঐ সময়টাতে সন্ধ্যার দিকে এম্নিতেই কারেন্ট চলে যেতো। পোলাপাইন তো আনন্দে আটখানা। ঐ দিন রেস্ট টাইম কি বিকালে দিছে কনসল মোজা। তারমানে মোজার প্যাকেট। এইবার তো পোয়াবারো। হাউসে নিয়মিত যাতায়াত থাকায় জানতাম পোলাপাইনের প্লান। হোসেন রুমে আইসা আমারে দেইখা ঈদের চাঁদ দেখার হাসি দিলো। (ঐ বয়েসে আমি মুখ খারাপ করার ব্যাপারে চ্যাম্পিয়ন ছিলাম; খুবই অস্বস্তি লাগছে এখন এই কথাটা বলায়; কিন্তু অতীত কি সবসময় সুখস্মৃতির হয়!) আমাদের ক্লাস টুয়েলভের ৬ নম্বর রুমের পরেই আড়াআড়ি ফুটবল খেলার মাঠ; আর এরপরেই সিনিওর টিচারদের বিল্ডিং। পামোশ; ১৯৭১ সালে তিনি শব্দ সৈনিকও ছিলেন, সেই অর্থে মুক্তিযোদ্ধা); মোদা পীর (ইংরেজি ); হুক্কা (ইকনমিক্স ); আটকুইড়া/বিলু (কেমেস্ট্রি); চাইদ বাঁশ, চিপা পান্টালুন, ছোটলোক(বায়োলজি) স্যারদের বাসা। অনেকটা মির্জাপুরের হাউসের পর পুকুর আর পুকুরের পরেই যেমন প্রিন্সিপালের বাসা।
এর পরের ঘটনা না হয় নাই বলি। শুধু একটা কথাই বলি ঐদিন আমি স্যারকে একটা গালি ও দেই নাই। যদিও স্যার এই ভাবনা নিয়াই কলেজ থিকা বিদায় নিছেন যে আমিও তারে গালি দিছি।
এক্সকারশন থেকে কলেজে ফেরত এসে অ্যাডজুটান্ট সাহেব আমাদের কলেজ প্রিফেক্ট কে ডেকে ঐ সাতদিনের কলেজের হালচাল সম্বন্ধে জানতে চাইলেন। আমাদে কলেজ প্রিফেক্ট বেশ দুঃখ দুঃখ ভাব করে বলল আমাদের কুকীর্তির কথা। আমরা যে পরে স্যারের কাছে মাপ চাইছি তাও বলল।
অ্যাডজুটান্ট কি বলল উত্তরে তা কি বলবো;
তোমাদের লজ্জা করলো না তোমরা মাপ চাইছো?
ঐ ঘটনার দিন মাপ চাওয়া চাওয়ির পর আমরা স্যারদের সাথে রাতের স্পেশাল ডিনার খাই। স্যারদের বলি, আপনারা না খেলে আমরাও খাবোনা। জানিনা স্যারদের সেই স্পেশাল ডিনার কেমন লেগেছিলো? নিষ্ঠুর ক্যাডেটদের কিন্তু কোন প্রবলেমই হয়নি সেই ডিনার ইঞ্জয় করতে। আরেকটা কথা সেইদিন সেই মাপ চাওয়া চাওয়ির সময় আমরা (আমি না; আমি কাউরে গালি দেই নাই, আমি মাপ চাবো কেন?) যখন স্যারদের কাছে মাপ চাচ্ছিলাম তখন স্যাররা বলছিলো, আমাকে কেন, আমাকে কেন? যাকে গালি দিছ, তার কাছে মাপ চাও।
লেখার পরে পড়ে দেখা উচিত ছিল, লেখা বেশ অগোছালো আর বানান ভুল। তাড়াহুড়া করে মন্তব্য কে লেখায় পরিণত করার ফল হয়তো।
সামি বানান ঠিক করার চেষ্টা করলাম। কদ্দুর হইল কে জানে?
তুমি বিয়া করো, দুইখান গেদা পয়দা কর, তারপর বুঝবা লেখা নামাইতে কয়দিন লাগে।
আর অগোছালো এই ব্যাপারে কিছুই করার নাই।
এই মুহূর্তে হয়তো অরোরা বোরেয়ালিস নিয়া বলতেছি। পরের লাইনে চইলা যাইতেছি আমার নানাবাড়ির তালগাছে। হনুমানও বোধহয় এতো বড় লাফ দিতে পারে না।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এইজন্যই আমি ব্যাস্ত না থেকেও লেখা লিখি না, গোছালো লেখা না লিখতে পারার ভয়ে 😉
Sami believe it or not this is my most GOCHANO lekha.
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ভাই, সুন্দর হইছে লেখা,অনেক ভাল লাগিল।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
ধন্যবাদ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব, আশা করবো তুমি এই প্যারাটা বদলে দিবে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
I'll bhaiya.
Need some time.
Too busy.
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব,
তারাতারি প্যারাটা বদলে দে'। আমার ধারণা, আরো অনেক স্যার সিসিবি পড়েন।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
করতেছি রে বাপ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
বস খুব বিজি ছিলাম।
চেঞ্জ করছি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
অথরিটির নিজেদের মাঝে লাগালাগি থাকলে ক্যাডেটদের লাইফ জাহান্নাম হয়ে যায়। এডজুটেন্টের ডায়লগ শুনে মজা পেলাম। আবার খারাপও লাগল।
Kharap lagar motoi bishoy.
I wasn't pleased to heard that.
Some people never grown up.
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমরা কলেজে গিয়ে রফিক নওশাদ, দেওয়ারী স্যার আর মেজর আমিন কে পাইনি, তবে গল্প কম শুনিনি। বাকিদের সবাইকেই পেয়েছি আর শেরে বাংলা হাউসে থাকায় মেজর শফির ঘটনা বেশ ভাল ভাবেও টের পেয়েছি।
তবে ভাইয়া অনুরোধ করবো টিজ নামগুলো তুলে দেবার জন্য।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
I'll keep your request.
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
দিছি তুইলা। না ভুল বললাম। উল্টাটা করছি।
আসল নাম তুইলা দিছি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
Well done Rajib bhai. I never liked Shafi, he caught us smoking and called our parents after a good beating. He was 'harami' like others you mentioned. Love the nick names, keep up the good work. Those people were not good teachers nor good human beings. They made our college a circus.
You are right sayem.
But try to forget those bitter days; but the funny side.
Molla sir amar ek kan kinchit lomba koira diche.
Amar kintu molla sir er upor kono raag nai.
But had to change something like tease name. Didn't remember this blog is open to all.
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব এর লেকায গতিময়তা আছে। ক্যাডেট কলেজ জীবনে অনেক দুখঃ,ভূল বুজাবুজির কারনে শাস্তি পাওয়া ,এসব ঘটেছে। আমি নিজেও ছেলেদের মাস্তি দিয়েছি,কিন্তু ভালবাসার কমতি ছিলনা। ধুমপান,তাসখেলা,জুনিয়রকে বেল্টিং এসব কাজ কলেজ নিয়ম পরিপন্থি ছিল,ছেলেদের অভিভাবকদের কাছে কতৃপক্ষের দায় বদ্ধতা ছিল। এক জন ক্যাডেট কাপার্ড পতের উপর দিয়ে যেতে গিয়ে যদি পড়ে আহত হয় তাহলে তার দায় বার কতৃপক্স তথা হাউস মাসাটারের উপর ই বর্তায়। এখানে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে সিকদার সাহেব ছাড়া সবার সাতে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। তাদের ভাল করেই চিনি।
তবে আমি আমার ব্যাক্তি গত জীবনে একটা দৃস্টিভঙ্গি সব সময় অনুসরন করেছি। বাবা যেমন ছেলে কে আদর করে আবার শাসন ও করে,ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। খ্যাডেট কলেজে শিক্ষক বৃন্ধ সেই ভূমিকাটাই পালন করেন। তারা সেকানে পিতার ভূমিকা পালন করেন। পিতা মাতার বিচার করার অধিকার সন্তানের যেমন নেই, তেমনি যাদের ভবিষ্যৎ গড়ার কাজে নিয়োজিত সেই শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন করারও অধিকার ছাত্রদের নেই্ ক্যাডেট কলেজে একজন মিক্ষক তার ছেলেমেয়ের দিকে না তাকিয়ে কতৃপক্সের নির্দেশে যে কোন সময় যে কোন দায়িত্ব বিনা বাক্যে পালন করেন।
আমিও তো প্রাইমারী স্কুরে যখন পড়তাম শিাস্তি পেতাম পড়া না পাড়ার জন্য, এক জন ছলেন যিনি নিস্ঠুর বাবে মারতেন। কিন্তু তার প্রতি কোন রাগ আমি অনুভব করিনা,কারন আজ যে এ পর্যন্ত এসেছি তা তাদের জন্য॥ ক্যাডেট কলেজে তাকতে অনেকেই আমার কঠোর শাসনের শিকার হয়েছে, একন কিছুকিছু কাজের জন্য দুঃখ হয়,কিন্তু যে কাজ গুরি করেছি তার মধ্যে তাদের প্রতি মমমত্ববোদ ছিল বলেই করেছি। তাদের যাতে কোন ক্সতি াহয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার চেষ্টা করেছি।খ্যাডেট করেজে আমার ও কয়েকটা নিক নেম ছিল,কিন্তু আমি নামোনার বান করতাম। মোজার ফ্যাকেট ফাটিযে নাইট ডিউটি মাস্টারকে অভ্যর্থনা দেওয়া হয়েছে। তাদের হাতে নাতে ধরেছিও,কিন্তু কিছুই বলিনি। মানা করতাম সিগারেট খেতে, মোনেনি,একদিন প্রিন্সিপারে সামনে ধরা পরে বহিষ্কার। দায় টা কিন্তু ঞাউস অফিসিয়ালদের উপর পরে। তাদের ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যায়। আজ আমার সেই চেলেদের সাথেই ভাব,কাজ কর্ম। আমার একটা ছেলেও ব্লগে শ্কিষকদের অবমূল্যায়ন করে লিখেনি। তারা গল্প কবিতা,সাহিত্য সমালোচনা ,যা সমাজ পরিবর্তনে কাজ করতে পারে তাই নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
রাজী তোমার রেকার দারা পাল্টে যাচ্ছ্ তোমার লেখনি সমাজ পরিবর্তনের জন্য কাজে লাগাও। আমাদের মনোজগৎ টা পরিস্কার রাখতে পারে লেখকেরাই তাদের লেখনির মাধ্যমে। ভাল থেকো।
Sir salam. Wanted to write about something else. You obviously noticed my first line in bracket.
I'll try to follow what you said sir.
Thanks.
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
Sir i never disrespect my teacher.
At my primary school i had a techer named khalil sir. I was his favourite student. But used to get same treat like others. After coming home when i was taking shower my mom used to look at those spot at my hand and back.
But still khalilur rahman from Latifpur govt. primary school of kaliyakoir; gazipur is my best teacher.
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
স্যার আমরা নাইট ডিউটি মাস্টারের রুমে নাম্বার লক (নরমাল তালা লক করলে শব্দ হবে বলে) মেরে চুরি করতে বের হতাম। একবার বাথ্রুমে এক স্যারকে তালা মেরে দেওয়া হয়েছিল। পরে ঐ স্যার নাইট ডিউটি মাষ্টার থাকা অবস্থায় বাথরুমে গেলে হাউস বেয়াড়াকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখতেন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব ভাই আশা করি ভুল বুঝবেন না। আমি আপনার লেখার মোটামুটি ভক্তই বলা যায়। আপনার লেখার মাঝে সূক্ষ্ম রসবোধ সেই সাথে নানা রকম জিনিস উঠে আসে ছোট পরিসরে বড় আভ নিয়ে। তাই কালো দিন যখন শিরোনামে ছিলো আমি ভেবেছিলাম হয়তো সেই বিষয়ক আলোচনা দ্বারা পোস্ট টা এগুবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এই লেখাটিকে খুব সহজ ভাবে নিতে পারলাম না। প্রথমত লেখাটি অগোছালো হয়েছে সেটা কোন বড় ব্যাপার না, আসল ব্যাপার হলো মন্তব্য / লেখা এই দুইটার মাঝামাঝি জায়গায় গিয়ে আটকে গেছে বিষয়টি। স্যারদের টিজ নামের বিষয়টি ব্যবহার করার ব্যাপারেও আরো সতর্কতা দরকার ছিলো বলে মনে করি। সিসিবিতে কলেজ বিষয়ক স্মৃতিচারণ গুলোতে সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন। অতীতে আমি নিজেও হয়তো কিছু জায়গায় স্যারদের টিজ নেম ব্যভার করেছি। তে স্মৃতি চারণ গুলোতে মূল নাম ব্যবহার না করেও ঘটনা বলা যেত( রাব্বী ভাইয়ের মাই এডজুট্যান্টস লেখাটি এমন একটি উদাহরণ)। এ ব্যাপারে ভাইয়া অনুরোধ করবো পোস্ট টি সম্ভব হলে এডিট করার জন্য।
ধন্যবাদ।
Will edit today or tomorrow.
Thanks amin.
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমিন এডিট করে দিছি।
কালো দিনের ব্যাপারটা এতটাই দুঃখজনক যে ঐ ব্যাপারে কোন কথা বলার সাহস আমার নাই।
তুই আবার শিরোনাম দেখ লেখাটার।
রাগ করি নাই।
যতক্ষণ যুক্তির মধ্যে থাকবি রাগ করবো কেন?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ধন্যবাদ ভাই।
রাজীব ভাই আপনার লেখাটা ভালো লাগলো
কিন্তু একদিন কোট করে নাম আর পাশে টিজ নামটা একটু খারাপ দেখায়, এই ব্যাপারে সবাই বলসে, আর আমি ছোট মানুষ এত কিছু বলবোনা।
আমার একটা লেখা আছে ব্লগে আমাদের সময়ের এডজুটেন্ট নুরুল আলম স্যার কে নিয়ে।
কয়েকদিন আগে আমি একটা মেসেজ পেলাম আমাদের এক ব্যাচমেট এর কাছ থেকে যে, স্যার আমাদের কলেজের এক ভাইয়ার মাধ্যমে বেক্সকাকে রিপোর্ট করেছেন, আমাকে জানানো হয় আমি যেন লেখাটা সরিয়ে ফেলি অথবা এডিট করি। ব্যাপারটা আমার কাছে ভালো লাগেনাই,
স্যার এর যদি কিছু বলার থাকে তাহলে উনি আমাকে বলতে পারতেন, এবং ওই লেখায় যদি কোনো কিছু তার কাছে ভালো মনে না হয় তাহলে সেটা উনি ব্লগেই লিখতে পারতেন।
বেক্সকাকে না জানিয়ে ব্লগে জানানোটাই তার দরকার ছিলো বলে মনে করি।
ব্লগের মডারেটর আছে, ইমেইল আইডি দেয়া আছে, সিক রিপোর্ট আছে।
এখানে বেক্সকার তো কিছু করার নাই।
আমি নজরানা ভাইকে ইমেইল করে ব্যাপারটা বুঝাই লিখসি, যে কেন আমি লেখাটা রিমুভ কিংবা এডিট করবোনা।
ঐ গাধা তুই তো জানস, শনি-রবিবার আমি কি পরিমাণ বিজি থাকি।
তারউপর কাল রাতে এক জন্মদিনের পার্টিতে যেতে হয়েছিল।
তোর লেখা টা পইড়া দেখি।
ঐ মহান ব্যাক্তির অনেক কথা শুঞ্ছি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রফিক Sir যাই করুক না কেন,আমি personally উনার প্রতি Grateful থাকব আজিবন।উনি আমার sickness e onek sympathy dekhiechen...jeta ami konodin o expect korini...
Mahmud as a human being and as a person he is very good. I mention that if u see. He also helped me on several occasions.
Did u read the comment of nurul huq sir?
That's it.
😛
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজিব বন্ধু কে কি মন্তব্য করল সেইটা কোন বড় ব্যাপার না , ব্লগে কেও নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য লেখে না , স্যারদেরকে আমরা মিস করি বলেই তাদের কথা লেখা হয় , কাওকে হেও করার জন্য নয় । তুমি চালিয়ে জাও ।
একটাই তো জীবন , তাই জীবন যেখানে যেমন -- Life is Beautiful .
মামুন
:thumbup:
বুঝতে পেরেছিস; ধন্যবাদ।
সবাই তো বোঝে না; :bash:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ