এক ছোটভাই মুঘলদের কিছু ঘটনাকে মিথ আখ্যা দিলো।
সমস্যা?
কোনও সমস্যা নাই।
তারপরও মনে হলো আরও খানদুয়েক অ্যাড করি।
আকবর যে দিল্লিশ্বর বা বিরাট মাপের বাদশাহ ছিলেন এটা অনেকেই জানেন।
আরও জানেন যে আকবর নতুন এক ধর্মের প্রবর্তন করেছিলেন, দ্বীন-ই-ইলাহি। অনেকটা আজকের শিখ ধর্মের মতন; সকল ধর্মের জগাখিচুড়ি।
তবে এও শোনা যায়, মৃত্যুর পূর্বে তার নবরত্নদের একজন; খুব সম্ভবত আবুল ফজলের কাছে মুসলমান হয়েছিলেন।
নবরত্নের একজন বীরবলের কাহিনী কমবেশি আমরা সবাই জানি। ছোটোবেলায় আমি বীরবল আর গোপাল ভাড়ের কাহিনী খুব উপভোগ করতাম।
নবরত্নদের আরেকজন ছিলেন মিয়া তানসেন। উনি ছিলেন গ্রেট মিউজিশিয়ান; সুরের ধারায় নাকি আগুন জ্বালাতে পারতেন; এমনকি বৃষ্টি ঝরাতেন। একবার তার এক শিষ্য গান গেয়ে আগুন ধরালে উনি গান গেয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে আগুন নেভান।
সেনাপতি মানসিংহ (নবরত্নদের আরেকজন) দুইজন বাদে সবাইকে পরাজিত করেছিলেন যুদ্ধে; এক রানা প্রতাপ সিং, দুই আমাদের বাংলাদেশের ১২ ভুইয়াদের একজন ঈশা খাঁ। ঈশা খাঁর সেই বীরত্বপূর্ণ এবং মহান ঘটনার কথা আমরা সবাই জানি। শাহানামার রুস্তম, পুত্র সোহরাবের বুকে ছুরি বসান আর আমাদের ঈশা খাঁ শত্রুর হাতে নিজের তরবারী তুলে দেন।
রানা প্রতাপ সিং এর সঙ্গে বিবাহসুত্রে আকবর মিত্রতা স্থাপন করেন।
অন্যান্য রাজ-রাজড়াদের মত আকবরেরও বহু পত্নী এবং অগুণতি উপপত্নী ছিল।
আকবরের নাকি ১০০০/ ১০০০০ কবুতর ছিল; এবং তিনি নাকি প্রত্যেক কবুতরকে আলাদা করে চিনতেন; নামও ছিল। (আমিও একসময় কবুতর পালতাম; প্রথম কবুতরটার নাম ছিল মহারাজ)
সাধারণত বদ্ধ অবস্থায় (চিড়িয়াখানায়) চিতাবাঘ বাচ্চা প্রসব করেনা। আকবরের চিড়িয়াখানায় এই অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছিলো। (খুব সম্ভবত কয়েক বছর পূর্বে বাংলাদেশ না কোনও এক দেশে এই ঘটনা আবার ঘটেছিলো)
যাই হোক মিথে ফেরত যাই।
এখনও যেমন চারপাশ মাজারে ছেয়ে আছে; সেই সময়টাতেও ঘটনা অনেকটা সেইরকম হয়ে গিয়েছিলো। বাদশাহ ঠিক করলেন মাজার ধ্বংস করে দিবেন। লোকজন নিয়ে রওয়ানা হলেন এক মাজার থেকে আরেক মাজারে। বাদশাহ প্রত্যেক মাজারে গিয়ে সালাম দেন; উত্তর না পেলে ভেঙ্গে দেন। বলা বাহুল্য মৃত ব্যাক্তি সালাম দেয় কি করে? তো যথারীতি আকবর বাদশাহ একের পর এক মাজার ভেঙ্গে চলছেন।
অবশেষে আসলেন খাজা বাবা বা মঈনুদ্দিন চিশতীর মাজারে (লাল-সাদা সুতা এই মাজার থেকে আসে; পোলাপান ভাব ধইরা এই সুতা হাতে পইড়া ঘুইড়া বেড়াইত; বাংলাদেশের জালালি কবুতরও এই মাজার থেকে আসছে)। আকবর সালাম দিলেন; উত্তর আসলো না। সবার তো মাথা খারাপ অবস্থা।
আকবর আবার সালাম দিলেন; কোনো উত্তর নাই এবারো। সবার অবস্থা অনুমেয়। ঘেমেনেয়ে সবাই একাকার।
আকবর তৃতীয়বারের মতো সালাম দিলো। এইবার সালামের উত্তর আসলো। আকবর প্রশ্ন করলেন; প্রথম দুইবার সালামের উত্তর না আসার কারণ কি? খাজা বাবা উত্তর দিলেন, প্রথম সালামের সময় তিনি হারাম শরীফে সালাম ফিরাচ্ছিলেন (নামাজ পড়ছিলেন), দ্বিতীয় সালামের মসজিদে নববিতে সালাম ফিরাচ্ছিলেন (নামাজ পড়ছিলেন), তৃতীয় সালামের সময় তিনি আজমিরে ফেরত আসায় তিনি আকবরের সালামের উত্তর দিতে সক্ষম হন। রাজ-রাজড়াদের ব্যাপারটাই আলাদা।
আওরঙ্গজেব নতুন মসজিদ প্রতিষ্ঠা করবেন। জনসমাবেশে বললেন; যার জীবনে কোনোদিন তাহাজ্জুদের নামাজ বাদ যায় নাই সে এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবে। কেউ এগিয়ে আসলো না। সম্রাট বললেন, তাইলে আমাকেই করতে হবে।
খুঁজলে হয়তো এমন আরও অনেক পাওয়া যাবে।
ব্যক্তিগত ভাবে আমি মাজারের ঘোর বিরোধী। জীবনে কোনও মাজারে গিয়েছি মনে পড়েনা। এস এস সি পরীক্ষার ছুটিতে বেড়াতে গেলাম চাটগা। চাটগা আবার মোটামুটি মাজারের শহর হিসাবে বিখ্যাত। বোধহয় সব পীর ফকিরেরা মাছের পিঠে চড়ে বা জায়নামাজের উপর বসে চাটগার তীরে এসে ভিড়েছিলেন। অনেক পীর-ফকিরেরা আবার বাঘের পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়াতেন। কেবল যে যিশুই মৃতের প্রাণ ফেরত দিয়েছেন তাই নয় আমাদের সিলেটের শাহ পরান সাহেবও ফেরত দিয়েছেন। মৃত কবুতর ফেরত দিয়েছিলেন তাঁর চাচা শাহজালাল কে। কাঁঠাল নিয়াও কি জানি এক কাহিনী আছে। ছোটবেলায় কোনও এক বইয়ে পড়েছিলাম কেউ একজন হজ্জ শেষে তাঁর সাথে থাকা বাক্সটি (মূল্যবান কিছু ছিল) জমজমে ফেলে দেন। সিলেটে এসে শাহজালালের মাজারের খাদেমের কাছ থেকে সেই বাক্সটি বুঝে পান; কুপে নাকি ভেসে উঠেছিল। ভূতত্ত্ববিদেরা বলতে পারবেন আসল ঘটনা।
প্রতিদিন তো আমার সাথে যারা যারা চাটগা গিয়েছিলেন তারা এই মাজার থেকে আরেক মাজারে দৌড়ান; আমাকে তো নিতে পারেননা। এমনকি আমাকে বেয়াদব বলতেও বাদ রাখলেন না। মনে হয় পীর-বাবাজিদের বদদোয়ায় আমি এস এস সি তে স্ট্যান্ড করতে পারি নাই।
এইস এস সির পর গেলাম সিলেট; এক বন্ধু কোনো কারণে মাজারে যাওয়ার নিয়ত করেছিলো; তো সে যাচ্ছে একের পর এক মাজারে; আমি আর আরেক দোস্ত মাজারের নিচে গাড়িতে বসে বিড়ি টান্তেছি। ভয়ে তো তো অস্থির কি না জানি হয়। এমনিতেই তো নায়ক রহমান পা ভাইঙ্গা শাহ পরানের মাজাররে বিশাল মর্যাদা দিয়া গেছে। যারা এই প্রজন্মের তাদেরকে বলছি বাংলাদেশে এযাবৎ যত নায়ক এসেছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রতিভাবান, সবচেয়ে সুদর্শন ছিলেন রহমান। রাজ্জাক যদি নায়করাজ হয় তবে রহমান নায়কদের আব্বাহুজুর। জানিনা উনি বেঁচে আছেন কিনা? যাই হোক ইন্টারে স্টার ও পেলাম না। বুঝলাম সিলেটের পীরেরা বেশি পাউয়ার নিয়া শুইয়া আছেন।
বর্তমানে ফেরত আসি। এক ছোটভাই সংবিধান সংশোধন নিয়ে চমৎকার একটা লেখা দিয়েছে। সেটা নিয়ে ভাবছিলাম। ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ ইত্যাদি ইত্যাদি।
ভাবলাম আমার ভাবনাটাও একটু শেয়ার করি।
বংশলতিকা বলে একটা ব্যাপার আমরা অনেকেই জানি। বিশেষ করে যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্টদের বংশলতিকা বেশ ঘটা করে পত্রিকায় ছাপা হয়। এই বস্তুটার মাধ্যমে আমরা অজানা অনেক কিছু জানতে পারি। যেমন রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষকে দত্তক নেওয়া হয়েছিলো। ইত্যাদি ইত্যাদি।
তো যা বলছিলাম আমাদের কয়জনের কাছে এই জিনিস আছে। ১% এর কাছেও নেই। কেনো নেই এই প্রশ্নটি কি কেউ নিজেকে জিজ্ঞাসা করে দেখেছি??? মনে হয় না। যাদের কাছে এই বস্তুটি আছে তারা একটু অফ যান। যাদের নেই তাদের বলছি, একটু জিজ্ঞাসা করুন; সম্ভব হলে বাথরুমে গিয়ে আয়নায়, কেন নেই???
কয়েকদিন আগে এক বন্ধুর সাথে ফোনে কথা হচ্ছিল, একই কথা তাঁর, যে দেশে ৮৫ থেকে ৯০% লোক মুসলিম, সে দেশ ইসলামি দেশ হতে বাধা কোথায়? আসলেই তো ইসলামি দেশ, বা বিসমিল্লাহ্তে সমস্যা কি?
কোনো সমস্যা নেই। আমার বাবাও তো বলেন এটা কেন পরিবর্তন করা হবে?
আমিও ভাবি কেন পরিবর্তন করা হবে?
আমি আমার পিতার দিক থেকে দাদার বাবার নাম জানি, মার দিক থেকে নানার বাবার নাম। ব্যাস এই পর্যন্ত। না আমার কোনও বংশলতিকা নেই। তবে কি?
তবে কি ধরে নেবো আমার পূর্বপুরুষ ছিলেন হিন্দু বা অন্য ধর্মাবলম্বী???
আয়নার দিকে তাকিয়ে যারা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তারা নিশ্চয়ই কিছুটা বিব্রত। হিন্দু বন্ধুর পাশে আমরা হেঁটে দেখেছি কি, কি কি তুলনার আছে আমাদের মাঝে; খৎনা, সিঁদুর, শাঁখা, আর কিছু। নজরুলও তো ধুতি পড়েছেন। আমার নানিকে কোরআন শিখিয়েছেন হিন্দু এক লোক। কোরআন প্রথম বাংলায় অনুবাদ করেছেন (দাদাভাই) গিরিশচন্দ্র সেন। এখনো বলা সেই হিন্দুর করা অনুবাদটাই আরবি মূলের কাছাকাছি।
আরেকটু ধাক্কা দেই। হিন্দু থেকে মুসলমান হয়েছি খুব ভালো কথা; কিন্তু কি জাতের হিন্দু ছিলাম???
নির্দ্বিধায় বলে দেয়া যায় আমার পূর্বপুরুষ ছোট জাতের হিন্দু ছিলেন।
কেন???
এদেশের মানুষের মুসলিম হওয়ার পিছনের মূল কারণ ইসলামে সবাই সমান। ইসলামে কোনও দলিত, অচ্ছুত, বা ছোট জাত নাই, সবার কোরআন স্পর্শ করার, পাঠ করার অধিকার রয়েছে। সবাই এক কাতারে কাঁধে কাধ মিলিয়ে নামাজ পড়ে। তো আমি যদি ব্রাহ্মণ হই তবে কেন আমি ধর্ম পরিবর্তন করবো; আমার তো সব অধিকার রয়েছে; এমনকি রাজার উপর আমার মান। আমি পতিত ছিলাম বলেই না মুসলমান হয়ে মানুষের অধিকার পেয়েছি।
যদিও আমাদের সমাজ ব্যাবস্থায় কিছুটা সমস্যা থেকেই গেছে। যেমন, জোলাদের সাথে কেউ আত্মীয়তা করতে চায়না। কোনো কোনো জায়গায় জোলাদের আলাদা মসজিদ পর্যন্ত আছে। বড় ভাইদের আবদুল্লাহ উপন্যাস পাঠ্য ছিল; সেখানেও দেখা যায়, আব্দুল্লাহর শ্বশুর নামাজ না পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে এসেছে ইমাম জোলার সন্তান বলে।
বাংলা ভাষা নিয়ে পড়া আব্দুল হাকিমের সেই বিখ্যাত কবিতাটা আমরা কেউই হয়ত ভুলে যাইনি,
“যেসব বঙ্গেতে জন্মি হিংসে সেসব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।” এটা কিন্তু আশরাফ মুসলমানদের উদ্দেশ্য করে লেখা ছিল। আমাদের প্রিয় সোহরাওার্দি সাহেব কিন্তু বাংলা জানতেন না। ফজলুল হক সাহেবের একটা বংশধারা পাকিস্থানে আজো আছে।
পাকিস্থান আমলেও বাংলা হরফকে পরিবর্তন করার প্রয়াস নেয়া হয়। যারা এই প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত ছিলেন সেইসব দালালদের উদ্দেশে তখন বাঙালি বুদ্ধিজীবীরা বলেছিলেন, এদের মাথার মদ্ধিখানে চুল কামিয়ে সুপুরি রেখে খড়ম দিয়ে টাকাতে।
আমাদের সবার দুর্ভাগ্য, আমাদের দেশমাতার দুর্ভাগ্য যে স্বাধীনতা নামক সোনার হরিণটি পাবার পরও আমরা তাঁর কদর করতে পারছিনা। আমরা কেউই না। না আমি, না আপনি, না তৃতীয় ব্যাক্তি।
কামরুল হাসান বলেছিলেন দেশ আজ বিশ্ববেহায়ার খপ্পরে। সেই বিশ্ববেহায়া আজো রঙ্গমঞ্চে।
আমরা আজ দৃঢ়কণ্ঠে রাজাকার, আলবদর, আলশামশদের বিচার দাবি করি। কয়েক বছর আগেই এই রাজাকারদের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা তুলে দিয়েছিলাম আমরা। কেনো ভুলে যাই!!!
বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা প্রেসিডেন্ট, স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ জিয়াউর রহমান তাঁর মন্ত্রিসভায় তুলে আনেন বিখ্যাত রাজাকারদের। রাজাকারদের হাতে তুলে দেন স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক।
পাকিস্তানী জারজেরা (পরে ব্যাখ্যা করবো এরা জারজ কিভাবে) আমাদের ৩০ লাখ লোককে হত্যা করেছে, তিন লাখ মা-বোনের ইজ্জত নিয়েছে। কিন্তু আজো যে আমরা প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে চলছি আমার দেশমাতাকে, তাঁর হিসাব কে রাখে, তাঁর বিচার কে করবে???
আমরা কেন হাসিনাকে গণভবন দেব, আমরা কেন খালেদাকে মইনুদ্দিন রোডের বাড়ি দেব, আমরা কেন নামজাড়ি নিয়ে যুদ্ধ করবো?
আমরা কি পারবো সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে; মুজিব হত্যা, খালেদ মোশাররফ ও অন্যান্য হত্যা, তাহের হত্যা, মঞ্জুর হত্যা, হাজার হাজার সামরিক বাহিনীর সেনা হত্যা, পিলখানা হত্যার বিচার করতে।
আমরা কি এই দুই কুৎসিত, জঘন্য পরিবারতন্ত্রের প্রতিভু মহিলা/ মাতারিদের হাত থেকে রক্ষা পাবোনা। এই দুই অসভ্য মহিলার সাথে মিলে রাজাকারেরা আর লে জে হু মু এরশাদ দেশমাতৃকার আজ সব, সব শেষ করে দিয়েছে, ধর্ষণের পর ধর্ষণ করে দেশকে আজ প্রতিবন্দি বানিয়ে দিয়েছে।
এদের এই থাবা থেকে কি আমাদের মুক্তি নেই?
আমরা কি কিছুই করতে পারিনা।
ভাই লেখাটা ভালো লাগলো অন্যান্য পর্বের মতই।
রাজাকারদের নিয়ে করা প্রশ্ন থেকেই বলছি, আমি নিজেও সাঈদিকে রাজাকার বলে গালিগালাজ করতাম। কয়েকদিন আগে সাঈদির একটা ভিডিও দেখলাম ইউটিউবে। সেখানে সে বললো সে সংসদে চ্যালেঞ্জ করেছে, কেউ তাকে রাজাকার প্রমাণ করতে পারলে সে আর সাংসদ থাকবেনা।
তাকে আমরা রাজাকার বলি, সে যখন চ্যালেঞ্জ করেছে, তার চ্যালেঞ্জ কেউ গ্রহণ করেনাই(তার মতে)।
আমি মনে করি আমাদের এমন বড় পদগুলোতে, যেমন মন্ত্রী, এমপি। যারা রাজাকার আছে সেরকম প্রমাণ সহ যদি সবার সামনে ধরে তুলতে পারি তাহলে তাদের জনপ্রিয়তা কমে যাবে বলে আমার ধারণা।
আর এই দুই নেত্রীর কেউ যদি না থাকে তাহলে কে আসবে?? আমাদের দেশে রাজনিতী করা অনেকেই ভালো চোখে দেখেনা। সে কারণে ভালো কেউ অনেক কিছু চিন্তা করেও আসেনা। জাফর ইকবাল, আনিসুল হক এরা কেউ কিন্তু কখনো আসবেনা।
তাহলে কাদেরকে আমরা ভোট দিব। অচেনা অজানা নতুন কাউকে ??
ড. ইউনূস আছে না!!!!!! 🙂
মহিউদ্দিন,
ডক্টর ইউনুস???
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
মহিউদ্দিন,
হঠাৎ কইরা মনে হইল, ইউনুস সাহেব আসলে ১৫ কোটি মানুষের হাতে গ্রামীণ ফোন ধরাইয়া দিব, আর সবাইরে লোন দিব।
আরেকবার শান্তিতে নোবেল পাইব ইনশাল্লাহ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
নাজমুল,
ধন্যবাদ।
আমি যদি তৃতীয় কারো নাম জানতাম তবে তাঁর নাম প্রস্তাব করে তোদের কাছে তাঁর জন্য ভোট চাইতাম।
আর রাজনীতিবিদদের কেউ ভালো চোখে দেখে না এইজন্য যে তারা ভালো কাজ করেনা; ৯৯% খারাপ, ১% ভালো কাজ।
বাংলাদেশে সন্ত্রাস এর মদদ দেওয়া হয় রাষ্ট্রীয় বা সরকারি পর্যায় থেকে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
পোস্টে পাঁচতারা।
আর এ বিষয়ে আমার ভাবনা বলে যাবো সময় নিয়ে।
আর বস আপনার টোনে মনে হইলো, আমার কথায় আগের পোস্টে মাইন্ড খাইছেন। মাইন্ড খাইলে আমি আগেই দুইহাত তুইলা গেলাম।
আমিন,
নারে মাইন্ড করিনাই। তোর তাই মনে হইলো!!!
আমিই সরি রে তোর কাছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এইডা কী কইলেন ভাই? এইডা না বইলা আমার ঘাড়ের উপর থাবড়া দিতেন তাও ভালো ছিলো। 🙁 🙁
এই পোস্ট টার টপিক এতো ব্যাপক আস্তে আস্তে মন্তব্য করতে হবে। পত্নী উপপত্নী যাই থাকুক জালাল সাহেবরে আমার খারাপ লাগে না। না, আকবর দ্যা গ্রেট নামক কোন সিরিয়ালের প্রভাব না, অন্তত নবরত্নের জন্য হলেও আকবর সাহেব ধন্যবাদ পাবেন। কয়েকজন গুণীকে তো তিনি সম্মান দিয়েছিলেন। মজার ব্যাপার হলো আমাদের এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এদেশে গুণীর কদর হচ্ছে না।
বীরবলের ব্যাপারে আমার জানাশোনা বেশি না থাকলেও গোপাল ভাঁড়ের আমি ব্যাপক পাঙ্খা। একটা লোক তেমন কোন কিছু না করে বুদ্ধি বলে সারা জীবন কাটিয়ে গেছেন ব্যাপারটা কম চমকপ্রদ না। আধুনিক গোপাল ভাঁড়রা সত্যিকার অর্থেই চাটুকারিতা দিয়ে নিজেদের ভাঁড় প্রতিপন্ন করলেও তাদের কথায় আমি কোন সারকাজম খুঁজে পাই না। যেটা বরং দেখা যায় গোপাল ভাঁড়ের অনেক গল্পেই। অচেতনে হোক কিংবা সচেতনে হোক সমাজব্যবস্থার ত্রুটির প্রতি তাঁর বিদ্রুপ লক্ষ্যণীয়।
আপাতত এই টুকুই আবার সময় করে পরের অংশ নিয়ে বলবো।
আমার সবচেয়ে প্রিয় ভানু।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ভাইয়া, পুরা পোস্ট এত মজা নিয়ে পড়ে শেষে এসে দুই নেত্রীকে এরম ভাবে গালি দেয়াটা ঠিক মানতে পারলাম না...মহিলা শব্দটা তাও ঠিক ছিল, পরবর্তী শব্দটায় আমার যথেষ্ট আপত্তি আছে। এরা অত্যন্ত খারাপ, অত্যন্ত অত্যন্ত অত্যন্ত খারাপ, তারপরেও নিদেনপক্ষে একটা মানুষকে যে সম্মান আমরা দেই, সেটুকু অন্তত দেয়া উচিৎ। বেয়াদবী নিবেন না আশা করি :frontroll: (সম্পাদিত)
সম্পা কি ফ্রন্টরোলও দিত নাকি?
সামিয়া,
এই দুইজন কি নবিবংশের নাকি যে এদের কে সালাম দিয়া কথা বলতে হবে???
মুজিব ছিল সাড়ে তিন বছর, মোস্তাক কয়েক মাস, পরের ১৫ বছর জেনারেলদের শাসন। সব মিলিয়ে ১৯ বছরের মতো। তাঁর আমাদের নয়নের মনি হাসিনা-খালেদা কয় বছর ধরে ক্ষমতায়?
এরা দুইজন তো হাট্টি মাটিম টিমের মতোন মাঠে ঘাটে আণ্ডা পেড়েই যাচ্ছেন। দেশকে ৫ বছরের জন্য ইজারা নিয়ে উন্নয়নের বন্যায় ভাসান আর ডোবান।
আমি তো এদের জন্য বরিশালের প্রতিশব্দ ব্যাবহার করেছি; খাঁটি বাংলা ব্যাবহার করি নাই।
ব্যাকরণে গিয়ে খাঁটি বাংলাটি দেখে নিতে পারো, ইচ্ছা থাকলে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:clap: :clap: :clap:
সোলায়মান,
ধন্যবাদ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:clap:
মরতুজা,
ধন্যবাদ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
না ভাইয়া, নবীবংশের কাউকেও সালাম দেয়ার দরকার নেই, তারাও তেমন কিছু ইম্পর্ট্যান্ট না, আবার খালেদা হাসিনাকেও না। তবে এটলিস্ট 'মাতারী' শব্দটার ব্যাবহার না। খাঁটি বাংলা অভিধান বর্তমানে নাই, তবে অনুমান করছি শব্দটার মানে প্রস্টিটিউট।
একটা মানুষকে অসম্মান না দিলে তো আমরা শেষ হয়ে যাচ্ছি না। দেখেন আপনার পুরো ব্লগটা কত সারকাস্টিক করে লিখেছেন, আকবর, শাহজালাল, শাহ পরাণকে ধুয়ে দিয়েছেন 🙂 , এই জায়গাটাতে পাঠক দ্বিতীয়বার চিন্তা করে, তাদের মাথার বিল্ট ইন সম্মানের জায়গা থেকে শাহজালাল শাহপরাণকে খসানোর চেষ্টা করে, কিন্তু ওই হাসিনা খালেদার জায়গায় এসে...হোঁচট খাচ্ছি। কারণ, ওই একটাই; এক্সপ্রেশন।
আমরা ক্রিটিসাইজ করতে করতে যে গালিগালাজেও পৌছে যাই, এটাতে আমার অত্যন্ত আপত্তি। অবশ্য আমার কাছে এই শব্দটা যেই লেভেলের আপত্তিকর, হয়ত আপনার কাছে তা না। এই সংঘর্ষটাকে মিনিমাইজ করার উপায় আমার জানা নেই 🙂
ভব্যতা, সভ্যতা একেকজনের কাছে একেকরকম।
যাই হোক দুই রমণীরত্নকে এভাবে বলায় তোমার খারাপ লেগেছে জেনে দুঃখিত হলাম।
কি করবো বলো; আশা ভরসার দুই বিন্দু ছিলো এরা; কিন্তু এরাই যদি দেশকে এভাবে ব্যাবচ্ছেদ করে তবে দুঃখ কই রাখি!
ফরহাদ মাজহারের নারী বিষয়ক একটা কবিতা আছে, পড়েছো হয়তো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:just: ভালো ছিল। :boss:
ফরিদ,
যাস্ট ধন্যবাদ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এইখানে যাস্ট আইলো কৈথিকা? x-(
বিশাল ঝামেলায় ফালাইয়া দিলা, মাসরুফ। এখন দেখি গবেষণা করতে হইবো।
ফরিদের কমেন্টটা দেখো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমি :just: জানতে চাই এইখানে মাসরুফ আইলো কই থিকা ? :)) :))
যাও ভাইয়া ঠিকমত পিটি কর আর :frontroll: দাও। 😀 😀
"এদেশের মানুষের মুসলিম হওয়ার পিছনের মূল কারণ ইসলামে সবাই সমান। ইসলামে কোনও দলিত, অচ্ছুত, বা ছোট জাত নাই, সবার কোরআন স্পর্শ করার, পাঠ করার অধিকার রয়েছে। সবাই এক কাতারে কাঁধে কাধ মিলিয়ে নামাজ পড়ে।" তার পর সব কিসু ভুলে যাই. x-(
রাজীব ভাইয়া, পোস্টে পাচতারা
@ "আমিন ভাইয়া" অনেক গুলি পোস্টে আপনি এই কত বলছেন "আর এ বিষয়ে আমার ভাবনা বলে যাবো সময় নিয়ে।" কিন্তু আপনি কোনো পোস্ট ও দেননা অনেক দিন আবার বিস্তারিত ভাবে ও কিসু বলতেছেন না . আমরা ছোটরা কিন্ত অপেক্ষায় থাকি. 😛
ঐ মিয়া, কীকৈবার্চাও??
একথা ঠিক আগে আমি অনেক পোস্টে এ জাতীয় কথা বলে পরে ট্র্যাক হারায়ে ফেলতাম। এই কারণে অনেক জায়গায় বলা হয় নাই। রিসেন্ট হিস্টোরি দেখো। রাজীব ভাইয়ের আগের পোস্টে রাব্বী ভাই্যের পোস্টে সব জায়গাতেই আমি সময় মতো আমার ভাবনা বলে এসেছি। এইখানেও বলে যাবো। 🙂 🙂
০৬ এর ক্যাডেট 😕 এত বড় হই গেলাম 😀
জিশান, ধন্যবাদ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমার পূর্বপুরুষ "জোলা" ছিলেন। সে হিসেবে আমিও।
খুব ভালো কথা গুলশান।
😀
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এক দমে পড়ে শেষ করলাম...অওসাম হইছে বড় ভাই... আরো লেখা চাই ::salute::
আবেদিন,
ধন্যবাদ।
দেখি সময় পাইলেই লিখবো।
তোর কাছে ভালো লাগলেও অনেকের কাছে কিন্তু লাগে নাই।
তোদের উত্তর দিতে গিয়া দেখি পোলাপান এক তারা দিছে বেশ কয়েকটা।
এরা বোধয় মাজারের খুব ভক্ত।
আর হাসিনা-খালেদার উপর এদের অগাধ বিশ্বাস।
যাই হোক সব মতই তো থাকবে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব ভাই,
বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের মতোই বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের দ্বন্দ্ব চিরদিলের। তাই বলে আপনার কলম থেমে থাকলে চলবে না।
আপনার সাথে আমার মতের মিল আছে দেখে ভালো লাগছে, যার মিল নাই তার ভালো লাগে নাই, সোজা হিসাব ;))
তাই বইলা আপনার অওসাম লেখা বন্ধ হইয়া যাইব তাতো হইতেই পারে না
আবারো, তোমার মুচমুচে লেখা পড়ে আমোদ পেলাম।
অনেক অজানা কথাও জানলাম।
তা শেষ করে দিলে কেন?
নূপুর ভাই,
ধন্যবাদ।
এরকম সিরিয়ালের মতো লিখলে কেমন যেনো চাপ থাকে।
মনে হয় পরেরটা তো লেখতে হবে।
দেরি হয়ে যাচ্ছে কিন্তা ইত্যাদি, ইত্যাদি।
যাই হোক লিখে যাবো ভিন্ন নামে হয়তো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব ভাই,
লেখা প্রিয়তে নিলাম- আমার মনের অনেক কথার বহিঃপ্রকাশ আপনার লেখাই ঘটেছে বলে। তবে বেয়াদবি নিয়েন না পরের কথায়- লেখাটাতে উগ্রতা একটু বেশিই ছিল যা আসলে রাগ/ক্ষোভের তীব্রতার ফল। তবে আমার মতে উগ্রতা লেখার/বক্তব্যের গ্রহণযোগ্যতা কমিয়ে দেয়। একটু ভেবে দেখবেন, প্লীজ
শহীদ,
জেনে খুব ভালো লাগলো আমার লেখা কারো প্রিয়তে যোগ হতে পারে দেখে।
সত্যি বলছি খুব ভালো লাগলো।
নিজের লেখা ব্যাখ্যা করতে হচ্ছে বলে একটু বিব্রত বোধ করছি।
মাজার এবং পরিবারতন্ত্রকে আমি এক সূত্রে গাঁথতে চেয়েছি। কতোটুকু পেরেছি জানিনা।
আমার পুরানো এক লেখায় এক জামাতি ছেলের দিনশেষে তওবা করার কথা বলেছিলাম। তো এক ছোটভাই আমার লেখাটাকে একটু ভিন্নভাবে ভাবল। আমি তার ভুল ভাঙ্গানোটাকে দায়িত্ব হিসাবে নেই নাই। ভেবেছিলাম যার যা ভাবনা ভেবে নিক না। তো যেই ছেলের কথা বলেছিলাম লেখায় তার চাকুরী চলে যায় কর্মক্ষেত্রে এক সহকর্মী মেয়েকে শিলতাহানি করার জন্য।
যাই হোক লোকজন তওবা করতে করতে ফাটাইয়া ফেলুক আমার কি?
মাজারের ব্যাপারটা কারো যদি কোনোরকম অনূভুতিতে আঘাত দিয়ে থাকে তবে তাদের বলছি,
ইসলাম মাজার কে কোনোভাবেই সাপোর্ট করেনা। বরং খলিফা উমরের শাসনামলে তিনি মদ্ধপ্রাচ্চের অনেক নবিদের কবর ধ্বংস করে দেন।
হযরত সাঃ এর কবর বাঁধানোর মূল কারণ হচ্ছে ইহুদিদের একটা দল রাসুলের মৃতদেহ চুরি করতে চাইলে রাসুলের কবরের নিরাপত্তার স্বার্থে কবর বাঁধানো হয়।
মসজিদ যে অলঙ্করনের যে ব্যাপারটা চলে আসছে অনেকদিন ধরে তাও রাসুল এবং চার খলিফার সময়ে করা হয় নাই। খুব সম্ভবত উমাইয়াদের সময়ে এটা চালু হয়। মাজার আর কবরপূজার মধ্যে পার্থক্য কি আমি জানিনা।
বাংলাদেশে বোমাবাজির ইতিহাসটা একটু স্মরণ করি।
প্রথমে বামদের মিটিঙয়ে বোমা ফাটলো।
১লা বৈশাখে রমনায় বোমা ফাটলো।
ময়মনসিংহে সিনেমা হলে বোমা ফাটলো।
শাহজালালের মাজারের গজার মাছ মারা হলো বিষপ্রয়োগে।
মাজারে বোমা ফাটলো।
চরম ইসলামপন্থিরা কিন্তু উপরের প্রত্যেকটাকে ইসলাম বিরোধী মনে করে। আমার জানামতে সাইদি প্রতিবছর মাজারের পাশের এক মাদ্রাসায় ওয়াজ করতে গিয়ে মাজারের বিরুদ্ধে একগাদা বলে আসে। আর এদের মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করার ব্যাপক ক্ষমতা।
এরা দুইলাইন নছিয়ত করেই এক লাইন আরবি বলে। (যার মানে শ্রোতারা কেউ জানেনা) মাসাল্লাহ এদের তেলাওয়াতের গলা অপূর্ব।
আমি ছোটবেলায় ওয়াজ শুনতে খুব পছন্দ করতাম; এখনো করি।
লেখা বড় হয়ে যাচ্ছি; আলাদা ব্লগ হিসাবেই লিখে ফেলব।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমিও ওয়াজের বিরাট ফ্যান। ভিতরের ইনসাইটের চেয়ে বিনুদনটাই বেশি প্রাধান্য পায়। তবে প্রত্যেক ওয়াজকারী হুজুরদের পাবলিক স্পিকিং দুর্দান্ত।
পোস্টের একটা পয়েন্ট আমার খুবই ভালো লেগেছে।
আমার নিজের চেহারা আয়নায় দেখবার দরকার নাই আমি খুব ভালো করেই জানি আমার রুট কোন এক নিম্ন বর্ণের হিন্দুই ছিলো। আর সেই নিম্ন বর্ণের হিন্দুরা মুসলিম হয়েছিলো তখনকার হিন্দু কৌলিন্য থেকে বাঁচতে। বাস্তবে সেই প্রথা থেকে আমরা বের হয়ে আসতে পারিনি আজও। মজার ব্যাপার হলো যখন সামাজিক বিজ্ঞান পড়ি ক্লাশ নাইনে সেখানে আমাদের একটা চাপ্টার ছিলো "সামাজিক স্তর বিন্যাস।" সেখানে কোন এক সমাজ বিজ্ঞানী (সম্ভবত মরিস জিন্সবার্গ) বলেছিলেন " প্রতিটা সমাজের কিছু লোক উৎকৃষ্ট কিছু লোক নিকৃষ্ট"। ভয়ঙ্কর ভাবেই আটকে উঠেছিলম সেই লেখা পড়ে।
সম্প্রতি জানতে পারি এই ব্যাপারগুলো সমাজবিজ্ঞানও স্বীকার করে না।
মাজার ব্যবসা নিয়ে লালসালু উপন্যাসটা খুব ভালো একটা প্রামান্য চিত্র কেনো মাজার ব্যবস্থার প্রসার আমাদের দেশে। কোন এক গোষ্ঠীর সারভাইবাল থেকেই এই কুৎসিত জিনিসটার জন্ম। এর জন্মের প্রয়োজনটা যেমন সত্য তেমনি সত্যের প্রয়োজনে এর নাশ হওয়াটাও জরুরী।
পরিবারতন্ত্রের ব্যাপারে আপনার মতামত খুবই ভালো লেগেছে। রুক্ষ্মতা কিছুটা থাকলেও আমার কাছে লেখার আবেদন হারায়নি মোটেও।
পোস্টের অনেক কিছু কি মিস করে গেলাম?? সব বিষয়ে আলাদা বলতে না পারলেও যেটা সত্যি কথা এই পোস্ট টা আরো ব্যাপক অর্থে এই সিরিজটা দারুণ লেগেছে। আপনার কাছ থেকে আরও চমৎকার লেখা পাবার প্রত্যাশায় থাকলাম।
আরো একটা মুচমুচে লেখা। একতারা নিয়ে ভাইবো না। ইহা বাংলাদেশের সংস্কৃতি।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
সংস্কৃতি - একটি বিশেষ বাদ্যযন্ত্র
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
ওয়াহিদা আপা,
ধন্যবাদ।
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
বাদ্যযন্ত্র বিষয়ক মন্তব্যটা বেশ ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ