তিন মহারথির পতন

থ্রি স্টুজেস

২০০৮ এর ২৯ শে ডিসেম্বর এ অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেশ কিছু মহারথী ছিটকে পড়ে রাজনীতির রঙ্গমঞ্চ থেকে। এবং বলা বাহুল্য গত পাঁচ বছর এরাই টিভি, টকশো, রাস্তা মাতিয়ে রেখেছেন। বিষয়টা এতোটাই আমোদের যে সবার সাথে শেয়ার করতে মন চাইলো।

Screen Shot 2013-11-21 at 13.08.01
Screen Shot 2013-11-21 at 13.06.07

বিভাগওয়ারি ফলাফল
Screen Shot 2013-11-21 at 13.07.26Screen Shot 2013-11-21 at 13.10.06Screen Shot 2013-11-21 at 13.10.33পাই চার্ট
Screen Shot 2013-11-21 at 13.16.17Screen Shot 2013-11-21 at 13.18.05Screen Shot 2013-11-21 at 13.18.16একাধিক আসনে
চট্টগ্রাম ১৪ তে অলি আহমেদ জামাতের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। কিন্তু ১৩ তে জেতেন।
সালাহউদ্দিন কাদের চট্টগ্রাম ২ এ জেতেন ৬ এ হারেন।
রওশন এরশাদ দুটোতেই হারেন, এরপর স্বামী এরশাদের ছেড়ে দেয়া সিট থেকে উপ নির্বাচনে সংসদে আসেন।

Screen Shot 2013-11-21 at 13.20.47

 

Screen Shot 2013-11-21 at 13.21.00

 

বিএনপি-জামাতের যেসব হাই ভোল্টেজ নেতারা পরাজিত হয়েছেন তাদের তালিকা। কিছু নাম আবার দাগানো আছে। বুঝতে সুবিধা হবে। মওদুদ আহমেদ ও জমির উদ্দিন সরকারকে খালেদা জিয়া তার ছেড়ে দেয়া সিট দেন। কিন্তু বাকি নেতারা যেমন মির্জা ফখরুল, নোমান,আমির খসরু, রফিকুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন, সাদেক হোসেন খোকা, পিন্টু, ব্যারিষ্টার মাহবুব, গয়েশ্বর রায়, হান্নান শাহ, তানভীর সিদ্দিকী প্রমুখ বঞ্চিত হন।  জামাতের তিন মূল নেতা মুজাহিদ, নিজামী এবং সাঈদী পরাজিত হন।

কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৪৭ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৪৫ টিতে জামানত হারায়।
মেজর জেনারেল ইব্রাহীমের বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ৩৭ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩৭ টিতেই জামানত হারায়।
প্রাপ্তন প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্প ধারা বাংলাদেশ ৬৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬১ টিতে জামানত হারায়।
গণফোরাম ৪৫ এর মধ্যে ৪৪ টিতে জামানত হারায়।

এখন যে কারণে এই ব্লগ লেখা
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম ১৩২, টাঙ্গাইল ৩ আসনে। সেখানে তিনি হয়েছেন চতুর্থ, জাকের পার্টির চেয়ে কম ভোট পেয়েছেন। ১০৮১ ভোট। হয়েছে জামানত বাজেয়াপ্ত।
Screen Shot 2013-11-21 at 12.51.27১৩৭, টাঙ্গাইল ৮ এ হয়েছেন তৃতীয়।
Screen Shot 2013-11-21 at 12.52.26এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী তার নিজের আসন ১৭১, মুন্সিগঞ্জ ১ এ হয়েছেন তৃতীয়
Screen Shot 2013-11-21 at 12.54.29১৭৯, ঢাকা ৬ থেকে দাড়িয়েও হয়েছেন তৃতীয়, কিন্তু সেই সাথে হারিয়েছেন জামানত ও। ৫২১৫ ভোট।

Screen Shot 2013-11-21 at 12.55.05 Screen Shot 2013-11-21 at 12.55.21

 

সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম ১৮১, ঢাকা ৮, ১৮৬, ঢাকা ১৩ এবং ১৯০, ঢাকা ১৭ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১ম দুইটায় চতুর্থ এবং ১৭ থেকে তৃতীয় হয়েছেন কিন্তু জামানত হারিয়েছেন সব্গুলোতেই।

Screen Shot 2013-11-21 at 12.56.45Screen Shot 2013-11-21 at 12.57.00

Screen Shot 2013-11-21 at 12.57.14

 

এছাড়াও ভূতপূর্ব অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান (বিএনপি) দুইটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩৮০০০ এবং ৩২০০০ ভোটের ব্যাবধানে পরাজিত হন
Screen Shot 2013-11-21 at 14.41.28Screen Shot 2013-11-21 at 14.41.45আর বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলম্গীর ৩, ঠাকুরগাঁও আসন থেকে ৫৭০০০ ভোটের ব্যাবধানে পরাজিত হন।

Screen Shot 2013-11-21 at 15.01.57 

তাই বলি কে কেনো বাজে বা কোন তালে নাচে তা কিন্তু আমরা বুঝি।

তথ্য্সূত্রঃ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন

৮ টি মন্তব্য : “তিন মহারথির পতন”

  1. টিটো মোস্তাফিজ

    তথ্য উপাত্ত দিয়ে বেশ ভাল লিখেছ। কিন্তু জনমত যে কোন সময় ইউ টার্ন নিতে পারে। ২০০১ সালের নির্বাচনের ফলটা এর সাথে মিলিয়ে দেখ। জিওফ্রে বয়কট যেমন বলতেন-
    You Never Know. সেটা অবশ্য ক্রিকেট খেলার ফলাফল নিয়ে বলতেন। আমরা কয়েকবার দেখেছি সাধারণ ধারণার সাথে নির্বাচনের ফলাফল মেলেনি :-B


    পুরাদস্তুর বাঙ্গাল

    জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      মোস্তাফিজ ভাই কমেন্ট করায় ভালো লাগলো।
      ২০০১ এ বিএনপি-জামাত জোট যে জিতবে এইটা কিন্তু জানা কথা ছিলো।
      আমি নিজে বিএনপি রে ভোট দিছি।
      কারণ ৯৬-০১ এ লীগ সন্ত্রাস দমনে ব্যার্থ হইছিলো।
      এবং আমি বিএনপি (বদরুদ্দোজার) মিষ্টি কথায় ভুলছিলাম।
      আর ৫ বছরে বাংলাদেশের সব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। আর তাই ৫ বছর পর পর আমরা বিরোধী দলকে ভোট দেই, যদি তারা অতীতের ভুল থেকে শেখে এইবার ভালো কিছু করে এই আশায়।
      শতকরা হিসাবে লীগ পাইছিল ৪০।০২% ভোট
      বিএনপি ৪১।৪০%
      জামাত ৪।২৮%
      এরশাদ ৭।২২%

      আওয়ামীলীগ খুব বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিলো আর তাই জোটের দিকে যায় নাই।
      অনেক জায়গায় আওয়ামীলীগ হারছে বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে।
      টাঙ্গাইল জেলায় কাদের সিদ্দিকী ট্রাবল দিছে।
      নাসিমের বিরুদ্ধে তো মনে হয় তার আপন বড় ভাই দাড়াইছিলো।
      আর সেইবার তো এরশাদের জাতীয় পার্টি কয়েক টুকর্া হয়ে গেলো।

      আর লতিফুর রহমান আইসাই তো বলছিলো, আমি হোমওয়ার্ক করে আসছি।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      ওর মধ্যেও লীগের রাজ্জাক মনে হয় দুইটা সিট পাইছিলো।
      মতিয়া চৌধুরী হারছিলো মনে আছে।
      আমি পরে এক ভাবীকে জিজ্ঞাসা করছিলাম ব্যাপারটা কি; ক্যামনে হইলো?
      আমার মনে পড়ে শামসুর রাহমান পর্যন্ত মতিয়া চৌধুরী হারায় কলাম লিখছিলেন।

      তো সেই ভাবী বল্লো, (মতিয়া র এলাকায় প্লাস আত্মীয়তা আছে ) মতিয়া বেশ কিছু সন্ত্রাসীদের জেলে থেকে ছাড়ানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নেন নাই যখন মন্ত্রী ছিলেন। এবং এরা নাকি লীগের ছিলো।
      লতিফুর রহমানের সময় বিএনপি জোট এদের ছাড়ানোর ব্যাবস্থা করে। এরা পরে লীগের বিরুদ্ধে কাজ করে।

      তবে আওয়ামীলীগের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ঐ মূল কারণ ছিলো ঐ নির্বাচনে হারার জন্য।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      ঢাকা ৮ থেকে পিন্টু পান ৮৯,৭৮৯
      হাজী সেলিম পান ৮৮,৬৯৭

      এই সিটটা হাজী সেলিমের পাবার কথা ছিলো, জেলখানার ভোটে তিনি হারেন।
      বলা বাহুল্য এই জনই সন্ত্রাসী।
      পিন্টুর নাম ছবি প্রতিটা ক্যান্টনমেন্টের ঢোকার গেইটে আছে। চোরাচালানী হিসাবে উল্লেখ আছে।
      হাজী সেলিমের সেই নাইন শুটার ক্যাডারের কথা মনে আছে নিশ্চয়ই।
      ইকবালের মিছিলে সেই লীগের ক্যাডারদের বন্দুকবাজি।
      গোলন্দাজ তো কারে পিটাইয়া ঝুলাইয়া রাখছিলো মনে পড়ে।
      জয়নাল হাজারি এক সাংবাদিকের হাত পা ভেঙ্গে দিলো না।
      নাঃ গঞ্জের শামীম ওসমান ও তো বিশাল ক্যাডার।
      মকবুলের ব্যাপারে জমি দখল না কি যেনো কেইস ছিলো।
      কামাল মজুমদারের মনে হয় মেয়ে ঘটিত কিছু কেইস ছিলো।
      সো এদেরকে আপনি নমিনেশন দিলে দল তো হারবেই।

      আর ৫ বছর রব, আনোয়ার মঞ্জুরে মন্ত্রীত্বের ঘি-দুধ খাওয়াইয়া কোন সরই ঘরে তুলতে পারে নাই লীগ।

      আর সত্যি বলতে কি সেই সময় তত্বাবধায়ক সরকারের কিছু কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      আপনি এইভাবে হাসতেছেন মোস্তাফিজ ভাই!
      বদরুদ্দোজা লোক ভালো।
      পোলাটা হইছে ধুরন্ধর।

      তবে বদরুদ্দোজার জামানত বাজেয়াপ্ত হইছে এইটা আসলেই অভাবনীয় ব্যাপার।
      তার মাপের এক লোকের এই অবস্থা ভাবা যায় না। 🙁


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
  2. টিটো মোস্তাফিজ

    রাজনীতির মেরুকরণে উত্তরে যাও না হলে দক্ষিণে। মেরু থেকে যত দূরে থাকবে আকর্ষন করার ক্ষমতা তত কমবে। তা তুমি যতই ভাল ধাতুর হও। :-B


    পুরাদস্তুর বাঙ্গাল

    জবাব দিন
  3. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে দেশে সন্ত্রাস ও দুর্নীতি হবে না- মর্মে খালেদা জিয়ার কাছে কোরান শরীফ হাতে শপথ চেয়েছেন বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী
    “মুখের কথা বললে আমরা গ্যারান্টি পাই না। যে উদ্দেশ্যে জিয়াউর রহমান, আমি বিএনপি করেছিলাম সেটার একটা গ্যারান্টি ছিল।”
    বি চৌধুরী বলেন, “জিয়া সব মন্ত্রীদের লেফট-রাইট করিয়ে বর্তমানে যেখানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সেখানে নিয়ে এসেছিলেন। সেখানে নিয়ে এসে মন্ত্রিসভার প্রত্যেকটি সদস্যকে কোরানের উপর হাত রেখে শপথ করিয়ে ছিলেন যে, ‘আমি কখনো দুর্নীতি করব না, সন্ত্রাস করব না’। এরপর কার সাহস থাকে দুর্নীতি করার?
    “আমি একই দাবি আবার উত্থাপন করব- পাবলিক মিটিংয়ে যেন খালেদা জিয়া এই আশ্বাস দেন যে, আমার সংসদ সদস্যরা পবিত্র কোরানে হাত দিয়ে, অন্যদের নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থ হাতে নিয়ে শপথ করতে হবে, তারা সন্ত্রাস-দুর্নীতি-লুটপাট করবে না।
    “দ্বিতীয়তঃ তাদের সরকারে উচ্চ-নিম্ন পদস্থ যারা থাকবে, তারাও দুর্নীতি করতে পারবে না।”
    এ বিষয়ে মৌখিক প্রতিশ্রুতিতে কাজ হবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এটার গ্যারান্টি দিলে পবিত্র ধর্মগ্রন্থে হাত দিয়ে শপথ করে বলতে হবে। আমি গ্যারান্টি দিলাম বললে হবে না। ইহা যথেষ্ট নহে।”
    লিঙ্ক।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।