বৌ অসুস্থ।
নার্ভাস ব্রেক্ডাউন।
হাত-পা নাড়াতে চাড়াতে পারেনা। মুখ দিয়ে কোনরকমে বললো এম্বুলেন্স কল করতে। একে তো শুক্রবার ইভিনিং। হাসপাতাল বেশ বিজি থাকে। প্লাস বৌ হাসপাতালে গেলে বাচ্চাদের কে দেখ্বে এইসব নানা কারণে একটু ওয়েট করে নিশ্চিত হলাম যে কেস ডেঞ্জারাস। ট্রিপল নাইন কল করতে হবেই। সব এম্বুলেন্স বিজি। আসতে সময় লাগলো ওদের। বেশ কয়েকবার ফোন দিতে হলো।
দুই মেয়ে আর আমি, তিনজনে মিলে হ্যাপীর হাত-পা মালিশ করতে থাকলাম। পা খেতে চাইলে চামুচে করে পানি খাওয়ালাম। বেশ কিছুটা বাইরে পড়ে গেলো। চামুচে করে মায়ের পানি খাওয়া দেখে ছোট মেয়ে পানি খেতে চাইলো। সে গ্লাসে খাবে না, চামুচে করে খাবে। খাওয়ালাম। এবার বড়জনের ও পানি খেতে ইচ্ছা হলো। অতঃপর তাকেও চামুচে করে।
এম্বুলেন্সের দেরি দেখে আবার ফোন দিলাম।
নিচের রুমে একজন গান শুনছে বেজ বাড়িয়ে বিট দিয়ে। তারে গিয়া বললাম একটু আসতে শুনতে গান। হ্যাপীর শরীর খারাপের কথা শুনে গানই বন্ধ করে দিলো সে, বললো কোন হেল্প করতে পারে কিনা? বারান্দায় গিয়ে দাড়ালো সে এম্বুলেন্স দেখার জন্য।
হ্যাপীর অবস্থার কোন উন্নতি হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে আবার ফোন দিলাম এম্বুলেন্স সার্ভিসে।
কিছুদিন আগে বাসার নিচে আগুন লাগার ছবি দিছিলাম। ঐগুলা (নেইবার) আবার গাঞ্জা খাইতেছে। উপরে গন্ধ আসতেছে।
টেনশন হইলো বৌ এর কি প্যারালাইসিস হইলো নাকি?
(আমার বৌএর মেলা শত্রু তারা খুউব খুশি হবে)
বৌ কি বাচবে?
(মারা গেলে কালই আমার বাবা-মা আমার জন্য পাত্রী খোজা শুরু করবে)
দুই মেয়ের কথা ভাবতেছি।
এরা বড় হইয়া সব দোষ আমারে দিবে।
না বৌ মরুক আর বাচুক আর বিয়া করণ যাইবো না।
দুই মেয়ের জন্য মায়া লাগতেছে।
বড় মেয়ে বলতেছে আম্মু সীক হয়ে গেলো।
ছোটটা কোলবালিশের রশি খুলে তার মায়ের হাতের আংগুলে গিট্টু দিতাছে। হ্যাপীর হাত অবশ, কিছুই করতে পারতেছে না।
আরেক দফা পানি খাওয়ালাম।
অবশেষে এম্বুলেন্স আসলো। ডানদিকের সাড়া ফিরে আসলো। বাম দিক আসছে না। মেয়েরা ভয় পাবে তাই ওদেরকে সরিয়ে নিয়ে যেতে বললো ডাক্তার। বর্জন তো খুশি ভাবছে ওদেরকে পাশের বাসার যারা, সারার কাছে নিয়ে নিয়ে যাবো। ওরা বুঝতেছেও না তাদের মায়ের অবস্থা কতো খারাপ.. ওদের নিচে ড্রয়িং রুমে নিয়া এক্জনরে কিউরিয়াস মাঙ্কি আর আরেকজনরে মিষ্টার বীন ছাইড়া দিলাম।
উপরে আইসা দেখি হ্যাপীর বা সাইড কাজ করতেছে না। ওর বয়স কতো জিজ্ঞাসা করলো (ওর মুখ থেকে কথা শোনা প্লাস নরমাল করার জন্য; ঐসব তথ্য ওদের আগে থেকেই আছে) ওর বয়স কতো?
উত্তর দিতে পারলো না।
আজকে কি কি করছে জিজ্ঞাসা করলো।
বললো, মনে নাই।
বাচ্চা কয়জন জিজ্ঞাসা করলো।
বললো, এক্জন।
বয়স কতো?
তিনবছর।
হাউজমেটকে বললাম তার সমস্যা না থাকলে হ্যাপীর সাথে হাসপাতালে যেতে। সে সবিনয়ে রাজী। হ্যাপীর ব্যাগ গুছাইয়া দিলাম। বাচ্চাদের দেখ্তে হবে তাই আমি আর গেলাম না।
হাসান ভাই কিছুক্ষণ পর পর ফোন করে জানাচ্ছেন কি অবস্থা।
এখনো স্মৃতি ঠিকমতো আসে নাই। একগাদা টেষ্ট করা হচ্ছে।
দোয়া করি, ভাবি তাড়াতারি সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে আসুক।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
😀 ধন্যবাদ সিরাজ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
দোয়া করি ভাবী যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
😀 ধন্যবাদ সামি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ভাবী সুস্থ হয়ে উঠুক তাড়াতাড়ি।
বিভাগ স্যাটায়ার? :-/
• জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব - শিখা (মুসলিম সাহিত্য সমাজ) •
😀 ক্যাডেট বইলাই হয়তো পারি।
এই ব্যাপারে আমি একজনরে সেলাম করি। উনি সিভিল।
আমার ছোট ফুফার বড় ভাই মারা গেলে পরে যখন দেখা হইলো ওদের সাথে, ফুফার আরেক ভাই (ছোট) আমাদের বললেন তার মেজ ভাইএর (তিনদিনের কি একটা হয় না সেটায়) কতগুলো গাড়ি এসেছিলো। পুরা গলি ভরে গিয়েছিলো।
পরে যখন ছোট ফুফা মারা গেলো তখনো একৈ অবস্থা।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
বড় মেয়ে বলতেছে আম্মু সীক হয়ে গেলো।
ছোটটা কোলবালিশের রশি খুলে তার মায়ের হাতের আংগুলে গিট্টু দিতাছে।
এই লাইন দুইটা বেশি ছুঁয়ে গেল, আশা করি সুস্থ হয়ে উঠবে ভাবি
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
:teacup: খা।
তোর ভাবী বাসায় আইসা যদি দ্য্খে তারে নিয়া জুকস করছি আমার খবর আছে তাইলে।
কি যে এক পুরুষ হইলাম, বউএর হাতে মাইর খায়।
যেইদিন থিকা পুরুষেরা গোফ রাখা বাদ দিলো সেদিন থিকা পুরুষ আর আসল পুরুষ নাই। 🙁
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
খাইছে! কেস তো সিরিয়াস মনে হচ্ছে... 🙁
আশা করি ভাবি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে পিচ্চিদুটোকে সাথে নিয়ে আপনাকে একটা গণ দেবে...:D
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
পুরা থ্রেটের উপর আছি।
যাওয়ার জায়গাও নাই তাই হাসি মুখ কৈরা ঝাড়ি শুনি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
লেখা কি সিরিয়াস?
🙁
হ সামিয়া।
এখন সুস্থ, দূর্বল, রেষ্টে আছে।
এরপর আমি একটু তেড়িবেড়ি করলেই বলবে, রা--- জী----ব।
তার উপর দুই মাইয়াই তোমার ভাবীর পক্ষে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আপনি তো ভাই সংখ্যালঘু হইয়া গেছেন।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
আমি সবসময়ই সংখা লঘু।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ