স্মৃতি অমলিন (১)

এটিকে বলা যায়, একটি প্রাগৈতিহাসিক পোস্ট। এখনকার ছেলেমেয়েদের কাছে এর কিছু কথা বিস্ময়কর মনে হতে পারে। কথাগুলো ১৯৬২-৬৭ সালের দিকের আমার জীবনের অভিজ্ঞতার কথা।

খুব ছোটবেলা থেকেই (৭/৮ বছর) আমাদের বাসায় কোন অতিথি এলে আমি খুব খুশি হ’তাম। আমরা যেহেতু ঢাকায় থাকতাম, দেশের বাড়ি থেকে কোন আত্মীয় স্বজন ঢাকায় কোন কাজে আসলে সাধারণতঃ আমাদের বাসাতেই উঠতেন। এতে আম্মার উপর অবশ্য বেশ চাপ পড়তো,

বিস্তারিত»

আরব মরুর বুকে জীবিকার সন্ধানে যাওয়া পলিমাটির বঙ্গ ব-দ্বীপের কর্মঠ ছেলেদের নিয়ে কিছু কথা

২৪ মে ২০২৫ থেকে ২৪ জুন ২০২৫, গত এই একটি মাস পবিত্র হজ্জব্রত পালনের উদ্দেশ্যে মক্কা-মদীনায় অবস্থান করেছিলাম। প্রথমে গিয়েছিলাম রাসুল (সাঃ) এর শহর মদীনা শরীফে। সেখানে ৮ দিন অবস্থান করার পর চলে এসেছিলাম আজিজিয়া শহরে। আজিজিয়া থেকেই ০৫ জুন ২০২৫ তারিখে হজ্জের অবশ্যপালনীয় আনুষ্ঠানিকতাগুলো পালনের উদ্দেশ্যে মিনায় চলে গিয়েছিলাম, সেখান থেকে আরাফাত এবং মুযদালিফায় অবস্থান করার উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে যাত্রা করেছিলাম। সেসব অবশ্যপালনীয় আনুষ্ঠানিকতাগুলো পালনের পর মক্কা শরীফে এসে হারাম শরীফের নিকট একটি হোটেলে উঠেছিলাম।

বিস্তারিত»

কুয়াকাটার ডায়েরি

সাগরকন্যার ডাক –
ঝাঁকি খেতে খেতে পথ
তেপান্তরের মাঠ

আঙ্গুলের কলম –
বালিতে লেখা যত নাম
মুছে দেয় ঢেউ

ছোট্ট ছেলেটা
ছোটে ভেজা বালিতে –
দরিয়ার গর্জন

বালির উপর
আঁইশের নকশা কাটা –
কাঁকড়ার বাচ্চা

সমুদ্রের গর্জন –
জিও ব্যাগের উপর
আছড়ে পড়ে ঢেউ

সাগরের ঢেউ
তাদেরও আবেগী করে –

বিস্তারিত»

আতিথেয়তা

আমাদের বাসায় একজন ডমেস্টিক এইড একটানা প্রায় ৭/৮ বছর কাজ করেছিলেন। তার নাম মর্জিনা বেগম। তিনি বয়স্কা ছিলেন, তবে তার সঠিক বয়সটা তিনি অনুমান করেও বলতে পারতেন না। শুধু এটুকু বলতে পারতেন যে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি অনেক ছোট ছিলেন, সে সময়ের কোন স্মৃতি তার মনে নেই। বছর পরিক্রমায় তখন তার মেয়ের ঘরে নাতি নাতনিও আছে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। তাই আমরা ধরে নিয়েছিলাম, তখন তার বয়স হয়তো পঞ্চাশ হবে,

বিস্তারিত»

নিউ ইয়র্কের পথে….১

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের পথ ধরেই; এমিরেটস এর ফ্লাইটে, দুবাই হয়ে। এবারে ইচ্ছে হলো পূবের পথ ধরে উড়াল দিতে। আমার এ ইচ্ছেটার কথা প্রকাশ করার আগেই ট্রাভেল এজেন্ট জানালো, ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্স তাদেরকে হংকং হয়ে উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে যাত্রী পাঠাতে উৎসাহিত করছে এবং এর জন্য তারা আকর্ষণীয় টিকেট মূল্য ধার্য্য করেছে।

বিস্তারিত»

জীবন থেইকা মাধুর্য উইড়া গেছে

বৃহঃস্পতিবার আসলে আগে একটা ফিল পাইতাম। এই ফিল প্রথম আসে স্কুল-কলেজে থাকতে। যেইখানে পড়তাম ওইখানে শুক্কুরবার সকালে পিটি-প্যারেড করতে নামা লাগতো না। আর বৃহঃস্পতিবার রাতে আমাগো ভালো-মন্দ খাইতে দিত। ওইটারে আমরা বলতাম— স্পেশাল ডায়েট। জেলখানার কয়েদিদের যেমন বিশেষ দিবস আসলে এইরকম খাবার খাইতে দেয়। আর বৃহঃস্পতিবার রাতে মুভি শো হইতো৷ দল বাইন্ধা আমরা বিদেশি সিনেমা দেখতাম৷ যদিও ইলেভেন-টুয়েলভে সিনেমা না দেইখা, মোবাইলে তৎকালীন প্রেমিকার লগে কথা কইতাম বা পছন্দের জুনিয়র ডাইকা গান শুনতাম,

বিস্তারিত»

অপছন্দের জিনিস

ক্যাডেটদের একটা অপছন্দের জিনিস হচ্ছে সকালে ঘুম থেকে উঠে পিটিতে যাওয়া। আমি তার ব্যতিক্রম নই। সকালে এত আরামের ঘুম রেখে কার পিটিতে যেতে ভাল লাগে? যদিও সেপ্টেম্বর মাসের রাজশাহীর গরমে রাতের ঘুম কতটুকু আরামের সেটা বলাই বাহুল্য। মরার উপরে খাড়ার ঘায়ের মত আছে লোডশেডিং। কারেন্ট গিয়ে ফ্যান পুরোটুকু থামার আগেই তিন হাউজ থেকে তারস্বরে চিৎকার শুরু হয়

এএএএএ শাজাহান ভাই, জেনারেটর ছাড়েন

যদিও তারিক বা কাসিম হাউজের চিৎকার শাজাহান ভাই পর্যন্ত পৌঁছায় না,

বিস্তারিত»

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২৫শে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?

সকাল বেলা ড্রিল করা পিটির চেয়ে কম কষ্টকর, কিন্তু পুরো জিনিসটা প্রচন্ড রকমের বিরক্তিকর। স্টাফ একটু পর পর এসে কানের কাছে ভ্যান ভ্যান করে যাবে।

কি ক্লাস ১০, পা উঠে না? পায়ের মাঝখানে কি বাইন্ধা রাখছো? গুটনা টাইট করে ড্রিল হবে। প্রেড, মধ্য থেকে জলদিইইইইইই চল!

অসম্ভব রকমের মানসিক নির্যাতন। তাও আবার সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই। আজকের সারাদিন যে কেমন যাবে চিন্তা করছি আর “গুটনা” টাইট করে ড্রিল করার চেষ্টা করছি।

বিস্তারিত»

জ ল পা ই ব নে র দি ন লি পি

১.
তাবুতে থাকলে “ক্যাম্পে”র কথা মনে পড়ে, নিঃশব্দে আওড়াই-

“এখানে বনের কাছে ক্যাম্প আমি ফেলিয়াছি;
সারারাত দখিনা বাতাসে
আকাশের চাঁদের আলোয়
এক ঘাইহরিণীর ডাক শুনি—
কাহারে সে ডাকে!”

আমাদের ক্যাম্প এক জলপাই বনে, নরসিংদীর এক বর্ধিষ্ণু গ্রামে। অদূরেই ভৈরব, আড়িয়াল খাঁ নদ, ব্রহ্মপুত্রের চর, মেঘনার শুরু। চারদিকে ধান ক্ষেত, যেখানে ”ধান কাটা হয়ে গেছে”। এর মধ্যে আমাদের ক্যাম্প,

বিস্তারিত»

পিতার স্কন্ধে সন্তানের কফিন

কথায় বলে, পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বস্তু পিতার স্কন্ধে সন্তানের কফিন। গতকাল এমনই একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার দুঃসংবাদ পেয়ে হতবিহ্বল হয়ে গিয়েছিলাম। আমার প্রাক্তন সহকর্মী এবং প্রতিবেশী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুজিবর রহমান (অবঃ) এর কন্যা সামিনা মাহফুজ এক মর্মান্তিক দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে গতকাল ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করে। মৃত্যুর মাত্র পনের দিন আগে সে একটি কন্যা সন্তানের জন্মদান করেছিল। সেই নবজাতক ছাড়াও তার সাড়ে চার বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

বিস্তারিত»

ক্ষণিকের দেখা, এ মায়াময় ভুবনে – ৫

আগের পর্বটি পড়তে পারবেন এখানেঃ https://cadetcollegeblog.com/khairulahsan/63352

অভূতপূর্ব উদারতাঃ

মাস দুয়েক আগে আমি আর আমার স্ত্রী হাসপাতালে গিয়েছিলাম, এক্সরে করানোর জন্য। আমি এক্সরে বিভাগে প্রবেশ করে রিসেপশনে যখন জিজ্ঞেস করছিলাম কোথায় যেতে হবে, তখন লক্ষ্য করলাম আমাদের ঠিক পিছে পিছে আসা একজন প্রৌঢ় ভদ্রলোক সিঁড়ি দিয়ে উঠেই হাতের বাম দিকে চলে গেলেন। রিসেপশন থেকেও আমাদেরকে ঠিক সেই দিকেই যেতে বলা হলো।

বিস্তারিত»

আমার আবার বেঁচে উঠা

মে ২০২০
প্রেক্ষাপটঃ করোনা ভাইরাসের আক্রমণে মহামারী চলমান। “Stay home” এর campaign চলছে। প্রতিদিনের রোজগারে বেঁচে থাকা মানুষের সাথে এটা প্রহসন। ধনীরা ঘরে বসে, আর গরীবরা প্রতিদিন গায়ে-গায়ে ঘেঁষে সামাজিক দূরত্বের বিপরীতে অন্ন যোগাচ্ছে। বেঁচে থাকার যুদ্ধে গরীবের শ্রম আর ঝুঁকির বিনিময়ে বেঁচে আছে ধনীরা। বেঁচে আছে অর্থনৈতিক কাঠামোর গালভরা সব পরিমাপক।

আমি ধনী সমাজে বন্দি। একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত আর পুঁজিবাদী সমাজের কাঠামোতে আমার দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত।

বিস্তারিত»

ও যে কেড়ে আমায় নিয়ে যায় রে ….

তখন ১৯৯৪ সাল। দাপ্তরিক কাজে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় জেলায় যেতে হয়েছিল। পাবনায় যখন গেলাম, তখন করণীয় কাজটুকু সেরে ফেলার পর হাতে কিছুটা সময় রয়ে গেল। পাবনার ডাঃ ইসহাক একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক ছিলেন, তার নামে একটি সড়কেরও নামকরণ করা হয়েছে। তার ছেলের সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়েছিল, তিনিও এলাকায় বেশ প্রভাবশালী ছিলেন। তাকে বললাম, পাবনা মানসিক হাসপাতালটি একবার দেখে যেতে চাই। মানসিক রোগীদের ব্যাপারে আমি আজীবন কৌতুহলী।

বিস্তারিত»

মেলবোর্নের দিনলিপিঃ সৌজন্য, সহযোগিতা, সুআচরণ এবং সম্মান

উপরে যে কয়েকটি গুণাবলীর কথা উল্লেখ করলাম, তার মধ্যে প্রথম তিনটি যাদের মধ্যে আছে, শেষেরটিও তাদের মধ্যে অবশ্যই পাওয়া যাবে। অর্থাৎ যিনি অপরের প্রতি সৌজন্য, সহযোগিতা এবং সুআচরণ প্রদর্শন করে থাকেন, তিনি অপরকে অবশ্যই সম্মানও করে থাকেন, এবং এ কারণে নিজেকেও অপরের নিকট সম্মানীয় করে তোলেন। অস্ট্রেলিয়ায় এটা আমার তৃতীয় সফর। প্রতিবারে আমি এখানকার পথে ঘাটে, ট্রামে বাসে ট্রেনে, শপিং মলে, রেস্তোরাঁয় এখানকার মানুষের মাঝে এই গুণগুলোর পরিচয় পেয়েছি।

বিস্তারিত»

ভারী জীবনের ভারবাহী কিছু মানুষের কথা…..

দিনটি ছিল শনিবার, ১১ জুন ২০২২। ড্যান্ডিনং স্টেশনে নেমে আমরা অন্য লাইনের একটি ট্রেন ধরার জন্য প্ল্যাটফর্ম বদল করতে যাচ্ছিলাম। স্টেশনটি সে সময়ে মোটামুটি জনশূন্য ছিল বলা যায়। কিছুদূর এগোতেই দেখি, প্ল্যাটফর্মের মেঝেতে কে যেন শুয়ে আছে। তার পাশে একজন হাটু গেঁড়ে বসে তার মাথায়, গালে পরম মমতায় হাত বুলাচ্ছে। দু’জন ইউনিফর্মধারী স্টেশন সিকিউরিটি স্টাফ উদ্বিগ্ন চেহারায় শায়িত ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে আছে এবং মৃদু পায়চারি করছে।

বিস্তারিত»