এক ফোটাও বাড়িয়ে বলছি না।
অন্য যেকোন প্রতিবাদের চাইতে আমাদের প্রতিবাদ ছিলো একেবারেই ভিন্ন।
প্রথমেই গর্ভস্রাবেরা দখল করে নেয় স্মৃতি সৌধ, আমাদের শহীদ মিনার; আমরা তখনো পৌঁছাইওনি লন্ডনের আফতাব আলী পার্কে।
এরপর ওরা পার্কের মাঝের সড়কটি দখলে নেয় সেই সাথে শহীদ মিনার সংলগ্ন স্থানসমূহ।
আমাদের পেছনে ওরা আরেকটি লাইন করে দাঁড়ায়।
আমাদের বামে দাঁড়ায়।
আমাদের ডানে দাঁড়ায়।
বিশ্বাস করেন ভাই সে এক অভাবনীয় অবস্থা।
কিন্তু নারে ভাই আমরা হাল ছাড়ি নাই।
ওরা আমাদের নিজেদের মধ্যে গ্যাঞ্জাম লাগানোর চেষ্টা করেছে, পারে নাই।
আমরা কেউ কাউরে ভালোমতো চিনতাম না পর্যন্ত। কিন্তু আমরা সবাই আসতে আসতে এক হয়ে গেছি। সবাই একে অন্যের ভাই হয়ে উঠেছি, মেয়েরা আমাদের বোন আর আমরা তাদের ভাই হয়ে উঠেছি, শিশুরা আমাদের সন্তান, সন্তানসম হয়ে উঠেছে।
এবং আমরা জয়ী হয়েছি।
আমরা শতদল হয়ে ফুটেছি।
গতকাল ০৮-০২-২০১৩ এ লন্ডনের শহীদ আলতাব আলী পার্কে আমাদের প্রটেষ্টের সব ছবি আর ভিডু যা আমার ক্যামেরায় ছিলো তা পাবলিক করে দিছি। দেখতে থাকুন আমার ওয়ালে।
আমরা সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই,
১৯৭১ এর সকল গণহত্যার বিচার চাই,
সকল ধর্ষণের বিচার চাই,
সকল অগ্নি সংযোগের বিচার চাই,
সকল লুটপাটের বিচার চাই,
আমার ওয়াল ভিসিট করুন।
জয় বাংলা।
আমার ফেবু একাউন্ট লিঙ্ক
<https://www.facebook.com/rajibHappy>
আমার ছবির লিঙ্ক
সাথে আরো পাচটি এলবাম ২, ৩ , ৪, ৫, ৬ নামে।
সাথে ভিডিও আছে বেশ কিছু।
ভাইরে ছয় থেকে সাতশ ছবি, আমাকে ক্ষমা করে দিন এখানে আপলোড না দিতে পারার জন্য।
১২ টি মন্তব্য : “একটি সাময়িক পোষ্ট”
মন্তব্য করুন
আমরা সাতজন ক্যাডেট প্লাস দুইজন ভাবীও সেখানে ছিলাম। সো ক্যাডেটস বি প্রাউড।
আমাদের ইভেন্ট শেষে ওরা, কুকুরের দল তৌফিককে এটাক করে। আমরা এক্সময় ভয়ই পাচ্ছিলাম যে তৌফিক কে ওরা নিয়ে গেলো কিনা।
গতকালের অভিজ্ঞতার পর আমি আর গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি না, জামাতের সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। ওদের পশু বলতেও ঘৃণা হচ্ছে আমার। :gulli2: শুধু গুল্লি, মেশিনম্যানরে আমি কামানের গোলা দিয়া উড়াইয়া দিবো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব,
অভিবাদন তোমাদের। দারুণ লড়াই করেছো। কোনো উস্কানিতে পা দাওনি।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ধন্যবাদ লাভলু ভাই।
খুব সম্ভবত এর নাম দেশপ্রেম।
এবং সবচাইতে বড় কথা কেউ কোন পলিটিকাল ব্যানার নিয়া আমরা যাই নাই।
জামাতিদের কাজকর্ম খুব কাছ থেকে দেখা হয়ে উঠে নি কখনো। সেইদিনের পর থেকে ওদের কথা মনে হলেই ঘৃণায় এক দলা থুথু চলে আসছে মুখে।
ভালো কথা ক্যাডেটরা যারা ছিলেন সেখানে তাদের নাম দিচ্ছি
মাসুম খান (এস সি সি ৮২-৮৮) ভাইয়া ফোন দিলেন সাত তারিখ রাতে, প্রথমে ফেবু তে। এখন তো সবাই ঠাস ঠাক করে চেঞ্জ করছে ফেবু প্রোফাইল, মানুষ চেনা টাফ। ভাইয়ার প্রোফাইলে গিয়েই দেখলাম আরে এ দেখি মাসুম ভাই। ভাইয়ার সাথে আট তারিখের প্রোগ্রাম নিয়ে কথা হলো। পার্কে ভাইয়া আর আমি প্রায় এক সাথেই পৌঁছাই। পুরোটা সময় ভাইয়া আমাদের সাথে ছিলেন।
রায়হান রশীদ (এফসিসি, ৮৬-৯০) উনি ছিলেন না যদিও সেখানে কিন্তু উনিই সর্বত্র। আমি তার জন্য আমার ক্যাডেট পরিচয় নিয়ে আলাদা ভাবে গর্ববোধ করি।
ওমর ফারুক রুমি (বিসিসি, ৮৯-৯৫) ভাই আগের রাতে ফোন দিলেন। আমি ধরতে পারিনি ফোন। আমি আবার পরে ফোন দিলাম ভাইয়া বিজি। পরে ভাইয়া আবার ফোন দেয় তো আমি বিজি। এই রকম ইদুর বিড়াল খেলা খেলতে খেলতে অবশেষে লাইন পেলাম একে অন্যের। ভাবী কাজে অফ নিয়ে দুইটাতেই চলে আসলেন। ভাইয়া হাফ অফিস করে চলে আসলেন। ছিলেন শেষ পর্য্যন্ত।
কবীর হোসেন (এস সি সি ৮৯-৯৫) ভাইয়ার সাথে আগে থেকে ক্যাডেট হিসাবে পরিচয় ছিলো না। অন্য ভাবে আলাপ ছিলো।
০৭ই ফেব্রুয়ারী তেও ভাইয়া প্রগতিশীল সঙ্গঠন গুলোর পক্ষ থেকে ডেমোনেষ্টেশনে আসেন। ০৮ তারিখেও সারাদিন ছিলেন।
রাজীব আহমেদ (বি সি সি ৯০-৯৬) অংশ নিয়েছে আর সকলের সাথে।
ফয়সাল ইফতিখার রাজা (এম সি সি ৯১-৯৭) প্রায় প্রথম থেকেই তার বন্ধু বান্ধব সহ আসে। সারদিন, সন্ধ্যা শ্লোগানে শ্লোগানে মাতিয়ে রেখেছিলো পুরা পার্ক। আরেকটা কথা যে কোন সামাজিক বা কালচারাল বিষয়ে ফয়সাল সবসময় অংশ নেয়। টিপাইমুখ বাধ বন্ধের দাবীতে ফয়সাল ব্যাপক অনলাইন একটিভিটির সাথে জড়িত ছিলো।
তৌফিক/ সি কে টফ (জে সি সি ৯৯-০৫) রাজত্ব ব্যান্ডের বিখ্যাত র্যাপার। এই মুহুর্তে ওর গান বাজছে শাহবাগ চত্বরে। ও এসেছিলো সুদূর নিউ ক্যাসল থেকে। পুরাটা সময় ওর ছিলো দৃপ্ত পদচারণা। ও যখন পার্ক থেকে বের হচ্ছিলো জামাতি কুকুরেরা ওর উপর আক্রমণ করে। এখন ও সুস্থ আছে।
ইমরানুল হক (বি সি সি ০৩-০৯) আর ভাবী দুজনে ক্লাস শেষ করে সরাসরি চলে আসে। আমার বাসা থেকে খুব একটা দূরে না থাকলেও এইবারই প্রথম দেখা হয় ওর সাথে। বাকিটা সময় আমরা একসাথেই ছিলাম।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব,
সবখানে ফিরে ফিরে পড়ছি এই বর্ণণা।
তোমাকে অভিনন্দন সেখানে উপস্থিত থাকার জন্য।
অভিনন্দন এই হৃদয়-ছোঁয়া আপডেটের জন্য।
শুনলাম ওরা নাকি মহিলাদের টার্গেট করে অশ্রাব্য গালিগালাজের নহর বইয়ে দেয়ার ফাঁকে ফাঁকে
দোয়া-নামাজও পড়েছে, শহীদ মিনারকে জুতা দিয়ে মাড়িয়েছে, ডিম ছুঁড়ে মেরেছে।শেষে মারপিট করেছে, একজনকেও উঠিয়ে নিয়ে গিয়েও আহত করেছে।
এই 'সভ্য' সময়ে, এই প্রযুক্তির যুগেও যদি এরা ঔদ্ধত্য দেখাতে পারে, ৭১ এ পাকি বাপদের নিয়ে কি নরক গুলজার এরা করেছিলো সহজেই অনুমেয়।
মূর্খের দল নিজেদেরকেই উদলা করেছে শেষমেশ! ইঁদুর গর্তে আটকে পড়লে যে অবস্থা করে এদের অবস্থা ঠিক তাই। এদের শেষ করে দেয়ার এই সময় - ধেড়ে গুলোকে মেরে ফেললে নেংটিরা ভয়েই মরে যাবে। (সম্পাদিত)
ধন্যবাদ দাদা।
আপনি শুধু ফয়সাল ভাই রে জিজ্ঞাসা করে দেইখেন। ফয়সাল ভাই ও ঐখানে পুরো সময় ছিলো।
কুকুরগুলা আজকেও কি করেছে জানেন?
ব্রিট বাংলার লিঙ্ক
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সাংঘাতিক! এগুলো কি সব চৌধুরী মাইনুদ্দিনের ছানাপোনা? শুনেছি ইংলান্ডে নাকি জামাত ফান্ড দিয়ে বার-এ্যট-ল করতে শিবিরের ছেলেদের পাঠায়।
অভিনন্দন! লেগে থাকেন - আপনি অবশ্য ছাড়বেন এটা অনুমান করতে পারি 🙂
আমার বন্ধুয়া বিহনে
আবার জিগায়!!!
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
::salute::
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ধন্যবাদ ভাইয়া।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
তৌফিকের অধিকাংশ গান রাজনৈতিক। ও র্যাপ গায়। দারুণ টগবগে একটা ছেলে। ওর বাবাও কিন্তু এক্স ক্যাডেট এবং খুলনার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
তৌফিকের অধিকাংশ গান রাজনৈতিক। ও র্যাপ গায়। দারুণ টগবগে একটা ছেলে। ওর বাবাও কিন্তু এক্স ক্যাডেট এবং খুলনার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
শুধু তাই না ভাইয়া তৌফিকের ফাদার ইন ল ও Ex ক্যাডেট।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ