অপরাধ মার্জনীয়
অনেক কথাই মনে আসছে। লিখতেও ইচ্ছা করছে অনেক বিষয়েই। কিন্তু নানান ঝামেলায় থাকার কারণে লেখা আর হচ্ছে না। কোনটা ছেড়ে কোনটা ধরি। ঘটনার তো অভাব নেই।
কিছুদিন আগে কোন এক ফেসবুক গ্রুপের বা ব্লগের লেখা কোন এক (ঐ ব্লগটি চরম জামাতপন্থী ও মৌলবাদীদের) লেখা ক্যাডেটদের বিভিন্ন গ্রুপে প্রচার করা হয়। এই মহৎ প্রচারে উদ্যোগ নেয় কতিপয় ক্যাডেট (বুঝে বা না বুঝে) ক্যাডেটদের বিভিন্ন গ্রুপ (ফেসবুক) আমার কাছে উদ্দেশ্যবিহীন, খুব হালকা বা চটুল মনে হওয়ায় নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি অইসব গ্রুপ থেকে। (কেউ একে অন্য ভাবে নিবেন না আশা করছি)
রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকা বা তা প্রচার করা আমার কাছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমার কাছে সহনীয় যতক্ষণ পর্যন্ত না তা অন্ধ হয়ে যায় বা হাসের মত অনুসরণ করে।
একটা উদাহরণ দেই। ডাঃ বদরুদ্দোজা তখন বাংলাদেশ (গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার; বাংলাদেশের নাম কি?) এর প্রেসিডেন্ট। আমার এক নিকট আত্মীয় যখনি টিভিতে প্রেসিডেন্টকে দেখাতো উল্লসিত হয়ে উঠতেন; বলতেন বাংলাদেশ হওয়ার পর ঐ চেয়ারে ডাঃ বদরুদ্দোজার চাইতে আর কোন যোগ্য লোক বসেন নি। কিছুদিন পর যখন ডাঃ বদরুদ্দোজাকে প্রেসিডেন্টের (গৃহপালিত পদ) চেয়ার থেকে হ্যাঁচকা টান দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় তখন আমার ঐ একই আত্মীয় বলেন, জিয়াকে হত্যা করার দিন বদরুদ্দোজা পাশের রুমে ছিলেন।
শোনা কথা রাজনীতিতে শেষ কথা বলে নাকি কিছু নাই। কোন কিছুরই কি শেষ কথা আছে! আমরা জন্মেছি এক নষ্ট সময়ে, বাস করছি এক নষ্ট সময়ে, মরে যাবো এক নষ্ট সময়ে। আমার ব্যাক্তিগত ধারণা আগামী ১০০ বছর পর রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রসমূহ বলে কিছু থাকবে না। ব্রিটিশ আমলে যেমন জমিদার প্রথার উদ্ভব হয়েছিল ঠিক তেমনি সমগ্র পৃথিবীকে ভাগ করা হবে; পুঁজিপতিরা হবেন জমিদার। তারাই শাসন করবেন দেশ। আমাদের স্বপ্ন বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে। দাউদ হায়দারের জন্মই আমার আজন্ম পাপের কথা মনে আছে কি? যদিও ভিন্ন ভাবে মনে পড়ছে। জন্মই যার আজন্ম পাপ সেই রাষ্ট্রটি হচ্ছে পাকিস্থান। আমাদের সাত পুরুষের ভাগ্য যে পাপের বলয় থেকে আমরা বের হয়ে আসতে পেরেছি। আসলেই পেরেছি কি? ঢেঁকি যেমন স্বর্গে গেলেও ধান ভানে ঠিক তেমনি বাংলাদেশেও তেমনি পাক-নাপাক ভাবনা, চিন্তা-চেতনা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। একটি নমুনা দেই। আমি সাধারণত আমার ফেসবুকের বন্ধুরা তাদের নিজস্ব দেয়ালে কিছু লিখলে বা লিঙ্ক দিলে পারলে লাইক দেই অথবা চুপ থাকি। সংগ্রাম, আমার দেশ, সোনার বাংলার লেখা কেউ শেয়ার দিলে বিব্রতবোধ করি, কখনো হতাশ হই। কিন্তু গ্রুপে কেউ এইরকম আজেবাজে পোষ্ট শেয়ার দিলে উত্তেজিত হয়ে যাই। তুমি কলা খাবা ভালো কথা অন্যেরে জোর করে খাওয়াবা কেন! কিছুটা বিরক্ত হয়ে নমুনাটির উত্তর লিখে ফেলি। যদিও শেষ পর্যন্ত লেখা হয়ে ওঠেনি পুনঃ পুনঃ বমি চলে আসার দরুণ। আমার উত্তরটা এখানে শেয়ার করলাম।
(ছাগলের দল
লিঙ্কটি দিলাম প্রথমে http://collected-notes.blogspot.com/2011/12/blog-post_27.html
শুধু লিঙ্ক দিয়ে আমার বক্তব্য দিয়ে দিলেই হয়তো হতো তারপরও পাঠকদের সুবিধার্থে পুরো লেখাটা কপি পেষ্ট করলাম।
ইটালিক বোল্ড অক্ষরে আমার মতামত দিয়েছি।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
এর মানে কি? বাংলাদেশের শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য কি এই লেখা? তবে বলা বাহুল্য এই ব্লগটির লেখাসমূহ প্রমাণ করে ইসলাম এবং ভারতবিরোধিতাই এর উপজীব্য বিষয়।
পাকবাহিনীর গণহত্যা নাকি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা – কোনটার জন্য জানিনা, ছোটবেলা থেকে আমি সামরিকবাহিনীর মানুষজনকে বেশী পছন্দ করতামনা। কিন্তু যেই মানুষটাকে দেখার পরে তাদের সম্পর্কে পাইকারী খারাপ মনোভাবটা বদলে যায় তিনি হলেন জিয়া ভাই। চাপদাড়ির সহাস্য এই মানুষটিকে দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি আর্মির মেজর (41 BMA L/C)। তার প্রথম স্ত্রীর জানাজার সময়ে তিনি তার চেয়ে কয়েক স্তর উপরের অফিসারদের মুখের উপরে বলে দিয়েছিলেন যে আজকের জানাজার নামায রসুলের সুন্নাত অনুসারে হবে, আমরা সবাই সুরা ফাতিহা সহ সলাত পড়ব, এবং এর পরে কোন বিদ’আতি দু’আ হবেনা।
পাকবাহিনীর গণহত্যার বিরুদ্ধে কথা বলা এখন নব্য জামাতিদের একটা স্ট্যান্টবাজি। এর মাধ্যমে তারা নিজেদেরকে বাংলাদেশের প্রেমিক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। কিন্তু এই কথাটি এই ছাগলেরা ভুলে যায় মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি অংশ স্বাধীন বাংলা (মেহেরপুরে গঠিত) সরকারের অধীনে কর্নেল ওসমানীকে প্রধান করে যে মুক্তিফৌজ গঠিত হয় তার সেক্টর কমান্ডার হওয়ার পাশাপাশি আপামর মুক্তিকামী জনতাকে সাথে নিয়ে যুদ্ধ করেছে এবং বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।
এইটা খুব হাস্যকর যে কোন এক দেশের সেনাবাহিনী আকাম-কুকাম করেছে বইলা আমি সেনাবাহিনী পছন্দ করবো না। উপরন্তু পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর দোষ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঘাড়ে দেওয়াটা খুবই হাস্যকর।
তবে ৭৫ থেকে ৯০ পর্যন্ত এমনকি ৯৫-৯৬ এর দিকে নাসিমের নেতৃত্বে যে অভ্যুথানের চেষ্টা হয় এ সবই প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু এর মাধ্যমে পুরা সেনাবাহিনীকে কালিমালিপ্ত করা খুবই অপরিণত আচরণ বৈ অন্য কিছুই বলা যাবে না।
আর এই ৪১ বি এম এ জিয়াকে দেখেই দীর্ঘদিনের লালিত ঘৃণা ভালবাসায় রূপান্তরিত হওয়া আরো বেশি প্রশ্নের উদ্রেক করে। আমার জানামতে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে ধর্মপালনের প্রচলন রয়েছে। জনৈক মেজর জিয়ার চাপদাড়ির কথা এভাবে বলা হয়েছে যেন সমগ্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে একমাত্র তারই দাড়ি রয়েছে।
আর দুয়ার কথা এখানে বলে কি বুঝানো হচ্ছে? সালাম ফেরানোর পর নামায শেষ। এবং দুয়া নামাযের অংশ নয়। তাই বলে দুয়া করলে নামায হবে না এটা কোথায় লেখা আছে? বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ মুসলিম নামাযের পর দুয়া পড়ে বা মোনাজাত করে। তবে কি তাদের নামায হয় না???
আল্লাহ তাকে ইসলাম বোঝার এবং বোঝানোর এমনই ক্ষমতা দিয়েছিলেন যে তিনি গ্রামের সুর করে গল্প বলার মাহফিলে দাঁড়িয়ে ইসলামের সত্য বাণীর কথা বলে বেড়াতেন।
ইসলাম বুঝলেই যে তাকে পুথি পাঠের আসরে গিয়ে ইসলাম প্রচার করতে হবে এটা কে বলেছে? তবে কি আজ মৌলবাদিরা পুথিপাঠ করাকে বেদাতি ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে চান??? মেজর জিয়া নামে যদি ৪১ এর কেউ থেকেই থাকে এবং যদি সে ঐরূপ কাজ করেই থাকে তবে তাকে বলবো ব্যাটা নালায়েক। তুই ধর্মীয় আসরে গিয়া ধর্মের কথা বল। পুথিপাঠের আসরে কি ছিড়তে গেছিলি? আরেকটু বলি হিন্দুদের পূজার মধ্যে গিয়ে কোনো মুসলিম আলেম বা মেজর জিয়ার কি ইসলাম প্রচার করা উচিত হবে???
শাস্তিমূলক বদলী হিসেবে তাকে পাহাড়ে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু তাও তার সত্য বলা থামেনি।
চাকুরীর অংশ এবং ট্রেনিঙের জন্য সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পাহাড়ে পাঠানো হয়। ছাগল লেখক হয়তো এইটা জানে না।
জুম’আর দিনে তিনি মসজিদে খুতবা দিয়ে মানুষকে ইসলামের পথে ডাকার অপরাধে (!) তাকে খুতবা দিতে নিষেধ করা হয়েছে।
এইটা কি খুব একটা হাস্যকর একটা কাজ না? মসজিদে মুসলিমরা নামায পড়তে যায়; অমুসলিমরা না। তাইলে মুসলিমদের আবার ইস্লামের পথে ডাকার মাহাত্ম্য কি??? আর ইমাম আছে কি করতে? তাও ধরলাম খিলাফতের সময় বা সুন্নাহ অনুযায়ী নেতা খুতবা দিবেন। খুব ভালো। কিন্তু মেজর জিয়া কি ঐ ইউনিটের প্রধান ছিলেন? যে মসজিদে তিনি খুতবা দিয়েছিলেন সেখানে তিনিই কি জ্যেষ্ঠ অফিসার ছিলেন? আর্মিতে অনৈতিক বা অনৈস্লামিক কোনো কিছুই শিক্ষা দেওয়া হয় না। এবং আর্মির নিয়ম কানুন মেনে চলার অঙ্গিকার করেই একজন আর্মিতে জয়েন করে। সেখানে নিয়মের পরিপন্থী কাজ করার কোনো সুযোগ নেই।
আজ তার একটি ই-মেইল পেয়ে আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। ২৩শে ডিসেম্বর রাতে তাকে ডিজিএফআই (Directorate General of Forces Intelligence) অপহরণ করেছিল! তাকে প্রথমে মিলিটারি ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনলজি (MIST) থেকে জরুরীভিত্তিতে ঢাকা সেনানিবাসের লগ এরিয়ায় বদলীর আদেশ দেয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পথে সাভার বাস স্ট্যান্ড থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা।
এইরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ মেইলটি গেলো একজন সিভিলিয়ানের কাছে তাও যিনি আবার যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। মেজর জিয়ার পরিবার ও তার কোরস্ মেটরা কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন??? আর ডি জি এফ আই এর কেন তাকে অপহরণ করতে হবে??? তাদের অফিসে তলব করলেই তো হয়। এখানে শুধু ডিজিএফ কেই নয় সমগ সামরিক বাহিনীকে কলুষিত করার চেষ্টা দেখতে পাই।
এরপরে তাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সবচেয়ে আতঙ্কজনক ব্যাপার হচ্ছে প্রশ্নকারীদের তালিকায় যতজন বাংলাদেশী ছিল তার চেয়ে বেশী ছিল ভারতীয় অফিসার। এমনকি দোভাষীর মাধ্যমে র’এর কিছু এজেন্ট তার কাছে এমন কিছু তথ্য জানতে চেয়েছে যা একটা স্বাধীন দেশের নিরাপত্তার অত্যন্ত সংবেদনশীল।
এই লেখাটা পড়ার পর আমি যারা এইটা ক্যাডেটদের মাঝে সারকুলেট করছে তাদের বললাম এটা জামাতিদের তথা মৌলবাদীদের। বুদ্ধিবৃত্তি কতটা নিচে নেমে গেলে এই জাতীয় লেখা উপরোক্ত লাইনগুলো পড়ার পরও কেউ শেয়ার দেয়! র যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেতর ঢুকে গিয়েই থাকে তবে সেই সেনাবাহিনীর কোনো দরকার আছে কি??? কতটা হাস্যকর বা হাসির পাত্র হতে হবে আমাদের সেনাবাহিনীকে??? উপরোক্ত লাইনগুলি লেখা এবং প্রচার করার জন্য আমি লেখকের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনছি। আর দোভাষী কেন লাগবে? বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর লোকজন ভালোই ইংরেজি বলতে পারে। র যদি ডিজিএফআই এর ভিতর ঢুকেই থাকে তবে তাদের মেজর জিয়াকে দরকার নেই রাষ্ট্রের সংবেদনশীল তথ্য জানার জন্য। অলরেডি তারা সবই জানে।
দু’দিন-দু’রাত পরে তিনি তথ্যভরা পেন-ড্রাইভে খোঁজার অজুহাতে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন, আলহামদুলিল্লাহ। দায়িত্বরত অবস্থায় এভাবে একজন আর্মির মেজরকে গুম করার ঘটনা অনেক পদস্থ অফিসার জেনেও না জানার ভান করতে থাকে। এই ভনিতা এবং বন্দীদশায় ভেসে আসা টুকরো যেসব কথা তিনি শুনেছেন তা এদেশের জন্য চরম অশনি এক সংকেত। কথাগুলো যদি জিয়া ভাই না বলতেন তাহলে আমি নিজে মনে করতাম থ্রিলার মুভির কাল্পনিক কন্সপিরেসি থিওরি। কিন্তু র’এর এজেন্টরা যখন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের পাশে বসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন মেজরকে জেরা করতে পারে তখন নিশ্চিত বোঝা যায় ডিজিএফআই এখন চালাচ্ছে ভারতীয় সরকার। জিয়া ভাইয়ের ভাষ্যে এরা সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের কেন্দ্রীয় এবং ৬৪টি জেলাভিত্তিক ফিল্ড অফিসের মেধাবী অফিসারদের ব্যবহার করে এক-এগারর মত আরেকটি অবস্থা সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। র’এর সাথে হাত মিলিয়েছে কিছু উচ্চাভিলাষী জেনারেল। এরা বর্তমান শাসক দলকে মদদ দেয়ার ভান করছে কিন্তু যখন এদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে তখন খোদ সরকারী দলের অনেক বড় নেতাদের নির্মূল করা হবে। প্রসঙ্গত, ডিজিএফআই এর ডিজি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করে। প্রধানমন্ত্রী যাদের হাতের পুতুল ভাবছেন তারা সেটা নয় এবং তারা যেটা চাচ্ছে সেটা সত্যি হলে সেটা খোদ প্রধানমন্ত্রীরও জীবনের অবসান ঘটাতে পারে। সাধারণ অফিসারদের ভুলিয়ে রাখার জন্য সম্প্রতি আর্মি অফিসার হাউসিং সোসাইটির (AOHS) এর জমির দলীল বিতরণের লোভ দেখান হয়েছে। কিন্তু ভিতরে ভিতরে অনেক দেশপ্রেমিক অফিসারদের গণহারে গুম ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এর মধ্যে লেফটেন্যান্ট কর্নেল জায়েদি, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল এহসান ইউসুফের মত অফিসারদের প্রকাশ্যেই গ্রেপ্তার দেখান হয়েছে। এই গুমগ্রেপ্তার আরেকটা পিলখানার পূর্বপ্রস্তুতি মাত্র।
জিয়া ভাইয়ের মেইলটার সত্যতা প্রমাণের জন্য তিনি সাংবাদিকদের তিনভাবে সরেজমিনে তদন্ত করার অনুরোধ করেছেন –
১. তার নিজের বাসায় গিয়ে – : D-13/1, পলাশ (১৪ তলা বিল্ডিং) মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা।
২. MIST কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি কথা বলে।
৩. পুরাতন আর্মি সদরদপ্তর মেসে যেখানে কিছু গ্রেপ্তারকৃত অফিসারদের রাখা হয়েছে।
জিয়া ভাই মেইলের শেষ অংশে তিনি বলেছেন যে তিনি নিরাপদ কোথাও পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছেন। তিনি এখন কোথায় আছেন কেমন আছেন – এক আল্লাহই জানেন। তিনি এই তথ্যগুলো দেশের সব মানুষ, সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করেছেন। তার করা মেইলের ফলশ্রুতিতে তার এবং তার পরিবারের উপরে ভয়াবহ বিপদ নেমে আসতে পারে। আল্লাহু আকবার, কতটা সাহসী না হলে তিনি নিজের ও পরিবারের জীবন বিপন্ন করে এতবড় একটা ঝুঁকি নিলেন সেটা ভাবতেই আমার মাথা শ্রদ্ধায় নিঁচু হয়ে যাচ্ছে। আর একটা অন্ধ ক্রোধে কপালের রগগুলো দপদপ করছে, জিয়া ভাই, ভাবী আর ছোট্ট বাচ্চাটার জন্য বুকের ভিতরে কেমন যেন একটা শূণ্যতা তৈরী হচ্ছে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রদ্বিউন – নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর কাছ থেকে এসেছি এবং নিশ্চয় আমরা তার কাছেই ফিরে যাব।
আমি শরীফ আবু হায়াত অপু, আল্লাহর কসম করে বলছি – মেজর জিয়া ভাইকে আমি পাঁচ বছর ধরে চিনি, তাকে আমি ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারে মিথ্যা কথা বলতে দেখিনি কোনদিনও। তিনি জাতীয় স্বার্থ নিয়ে মিথ্যা বলবেন এটা আমি বিশ্বাস করিনা। দেশের এমন একটা পরিস্থিতিতে কিছু করতে না পারার অসহায়ত্বে অস্থির লাগছে, কিন্তু দেশে নিশ্চয় এমন কিছু মানুষ আছেন যারা এ ব্যাপারে কিছু করতে পারেন। যদি কিছু না পারেন তাহলে যত বেশি সম্ভব মানুষকে জানান। যারা আল্লাহকে ভয় করেনা তারা অন্তত জনগণকে ভয় করে। এই দুরভিসন্ধির কথা প্রকাশ করে হয়ত আমরা পরবর্তী ট্রাজেডিটা থামাতে পারি। যেসব মুসলিম ভাই এই লেখাটা পড়লেন তারা যেন আসন্ন দুর্যোগটা ঠেকানোর জন্য মন থেকে আল্লাহর কাছে দু’আ করেন। আল্লাহ যেন জিয়া ভাই এবং তার মত অন্যান্য সত্যিকারের দেশত্যাগী মানুষগুলোকে নিরাপদে রাখেন। আল্লাহ যেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সব ষড়যন্ত্রকে নস্যাত করে দেন। আমিন।
২৬শে ডিসেম্বর, ২০১১
২রা সফর, ১৪৩৩ হিজরি
ফোর্ট ওয়েইন, যুক্তরাষ্ট্র।
Collected From
Brother
Sharif Abu Hayat Opu
আরো অনেক কিছুই বলার ছিল। কিন্তু যা বোঝার তা যাদের ঘটে বিন্দুমাত্র ধূসর পদার্থ থাকে তবে তারা বুঝে নিয়েছে। আর যেইসব ছাগলেরা এখনো বোঝে নি তাদের বলছি দয়া করে এসব নিজের দেয়ালে পোষ্ট করুন। বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করবেন না বা কোনো মহলকে সুযোগ করে দিবেন না।
পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই মাথাটা একটু খাটাই। )
একটি কারণই ছিলো লেখাটার কোমলমতি ছেলেপেলেরা যাতে বিভ্রান্ত না হয়। জানিনা সঙ্গবদ্ধ এইসব প্রতিক্রিয়াশীলদের সাথে যুদ্ধে শুভবুদ্ধি টিকে থাকতে পারবে কিনা? মনে হয় এ যেন এক অসম যুদ্ধ।
আমার পরিচিত এক প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা কিছুদিন আগে কথায় কথায় বললেন বাংলাদেশের এক নম্বর প্রতিক্রিয়াশীল প্রতিষ্ঠান হচ্ছে জামাত, দুই নম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। দায়িত্বশীল এক লোকের মুখে এরকম কথা শুনে মাথা নেড়ে না না করলেও ঠিক উড়িয়েও দিতে পারিনা। সেই আশঙ্কাই যেন সত্যি হল। আরো বিব্রতকর খবরটি হচ্ছে নায়ক একজন ক্যাডেট।
চোখ উপরে নিচ্ছে ক্যাডেট, জেলে বসে আছেন রাজাকার নেতা ক্যাডেট, টিপাইমুখ বাঁধের পক্ষে গান গাইছেন একজন ক্যাডেট। বড়ই নাজুক অবস্থা। আশার আলো দেখছি শুধু তৌফিকের গান
ও ভাল কথা আমি কিন্তু টিপাইমুখ বাঁধের পক্ষে। শুনে হয়তো আমাকে চরম কিছু একটা মনে হচ্ছে। এক অর্থে আমি তাই। ফারাক্কার নজির থাকার পরও কি করে আমাদের বন্ধুদের আমরা বিশ্বাস করি! দেখি তাহলে বিশ্বাসের একটা নমুনা দেখি।
যারা বন্ধুদের এই উপহার ডাউনলোড করে রাখতে চান তারা সত্বর করুন। ইউ টিউবে প্লাস ১৮ না হলে দেখা যাচ্ছে না। আসেন আমরা আরও বেশি করে হিন্দি ছবি দেখি, হিন্দি গান শুনি, হিন্দি নায়িকাদের স্বপ্নে দেখি, মৈথুন করি, নায়কদের স্বপ্নে দেখি, বিছানা ভেজাই। আসেন সবাই মিলে ভারতীয়দের পাছায় চুমা খাই। আয় ভারত আয়। প্রতি ৫ বছর অন্তর আমার ভাতার পরিবর্তন হয়; আমাকে ধর্ষণের পর ধর্ষণ করতে থাকে আমারি সন্তান। এবার আয়ি ভারত, আয়।
মেরা দোস্ত, আযা, মে বহুত দেরসে তেরা ইন্তেজার কর রাহা হু। আযা মেরা জান, মুজে লেলো মেরা জান। কিধার সে আয়োগে মেরা জান, সামনে সে আউর পিছা সে। কয়ি বাত নেহি। মে তেরি লিয়ে সাদিওসে ইন্তেজার কর রাহা হু।
দুঃখিত, সত্যি দুঃখিত।
বাইরের মিডিয়াতেও খবর চলে এসেছে।
http://www.bbc.co.uk/news/world-asia-16627852
পরিশেষে ধন্যবাদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থাকে।
হায় ৭৫ এও যদি তারা এমন কোন পদক্ষেপ নিতে পারতো!
ছাড়ান দেন ভাই। এইগুলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। অযথাই ক্যাডেট সম্পৃক্ত করতেছেন। যেখানে গওহর, সাকারা বহুদিন আগেই তাদের বাংলাদেশী পরিচয় ভুলে গেছে, সেখানে এই সব মনে করায়ে দিয়ে ফায়দা নাই।( কী হাসির ইমো দিব, সেটা নিয়ে চিন্তিত) ..... 😛 (সম্পাদিত)
:)) :)) :))
রম্য লেখা।
যেভাবে খুশি হাসি দে।
আর আমাকেও বুঝতে হবে ক্যাডেটরাও মানুষ। ম্যান ইজ মরটাল।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজিব ভাই আপনার অধিকাংশ লিঙ্কে ক্লিক করলে This webpage is not available অথবা no content found দেখাচ্ছে । বিশেষ করে করে প্রথম দিকের লিঙ্ক গুলো । তাই লেখা সম্পর্কে মন্তব্য করা কঠিন হয়ে পড়েছে । আপনার কথায় একটা ভাল পয়েন্ট এসেছে । ভারত আমাদের বন্ধু নয় । ভারত আর পাকিস্তান একটা মুদ্রার এ পিঠ আর ও পিঠ । আর আপনার লেখার শেষের দিকের কিছু লাইন মুছে দিবেন আশা করি (নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন) ।
এখন আসছে মনে হয়। আর ফেসবুক ওপেন করে দিছি। দেখা যাবে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
গওহর রিজভী টাইপের মানুষজন আশেপাশে দেখি। কেউ কেউ প্রস্তুতি নিচ্ছি বিএনপি আসলে তারা সে টার্মের গওহর রিজভী হবে। এদের একাডেমিক প্রোফাইল দেখলে চোখ বড় বড় হয়ে যাবে - কিন্তু কথাবার্তায় বোঝা যায় দেশের সাথে তেমন সম্পর্ক নেই। যেখানে সম্পর্কই নেই সেখানে দেশপ্রেম শব্দটা একেবারেই অবান্তর। শোনা কথা গওহর রিজভী আর আমেরিকান যুবরাজের ব্যাপারটা ছিল পীঠ চুলকোচুলকির। একজন আরেকজনকে আমেরিকার একটা নামকরা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে সাহায্য করেছে (আমেরিকায় গ্রাজুয়েট লেভেলে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রফেসরদের ভূমিকা থাকে)। বিনিময়ে সে দেশের ক্ষমতার একটা বড় পদ-পদবী পেয়েছে। সুতরাং একজন গওহর রিজভীর পক্ষে কোনকালে কোন এক গরীব দেশের টাকায় ক্যাডেট কলেজে লেখাপড়া করেছে তার থেকে বর্তমানে ক্ষমতায় বসানো মানুষজনদের এজেন্ডা পূরণ করাটা অধিক অগ্রাধিকার পাবে।
আর্মিতে যা ঘটে গেল তাতে বোঝা যাচ্ছে জামাত চুপ করে বসে নেই। ভেতরে ভেতরে কাজ করে যাচ্ছে। তবে কথা হলো ঘটনার তারিখ কিছুটা পুরোনো এই মুহূর্তে এই সংবাদ পরিবেশন করলো কেন? আরো আগে বা পরে করলো না কেন। আমার ব্যক্তিগত অভিমত সরকার বিএসএফের ঘটনাটা ধামাচাপা দিতে চাচ্ছে। মন্দ কপাল সব পাবলিকের। তারা সব শাঁখের করাতের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আগে ছিল এক জামাত। এখন দেখা যাচ্ছে দুই জামাত। দুটোই দেশকে দুদিকে টেনে ধরে খুঁটিতে গাড়তে চাইছে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপা অনেক ধন্যবাদ।
তারপরও আমরা আশা করি একদিন আমাদেরও দিন আসবে। দেশ চালাবে দেশপ্রেমিক একদল মানুষ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব ভাই, কলা দেখাইলেই যদি খাইতে মন চায় তাইলেওতো সমস্যা। যাউকগা, আমারে আবার জামাতীদের কাতারে ফালায়া দিয়েন না।
তবে কিছু প্রশ্ন আছে। উত্তর না পাইলেও চলবে।
১। বিডিআর জওয়ানদের (কথিত) দীর্ঘদিনের পরিকল্পনায় সংঘটিত নিষ্ঠুর এবং নির্মম হত্যাকান্ডের কূলকিনারা করতে যারা অক্ষম তারা কিনা ১৪-১৬ জন মিলে করা ক্যুর প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে। ২-৩ জন তাও আবার মেজর আর লেঃ কর্নেল মিলে ক্যুর কাহিনী মাসুদ রানাতে কয়টা পড়ছেন মনে করতে পারবেন?
২। সেনাকুঞ্জে অফিসারদের বিষোদগারের পর থেকে নানা বাহানায় শাস্তি পাওয়া অফিসারদের সংখ্যা কিন্তু একেবারে কম নয়। এর মানে কি?
৩। মেজর জিয়াউল হকের ই-মেইলটা নিশ্চয় পড়ছিলেন। ওইটার ব্যাপারে কি বলবেন? মামলা যে আগে করে সেই কিন্তু বাদী।
শিশির তুই নিজেরে জিজ্ঞাসা কর, তুই কি? তোর চাইতে ভালো কে জানে তোর সম্পর্কে?
০১। ৭৫ এ কিন্তু ঘটনা ঘটাইছে ১০-১৫ জনেই।
০২। তুমি চেইন অফ কমান্ড মেইন্টেইন করবা না তাইলে তো ভোগা লাগবেই।
০৩। জিয়ার মেইলের উত্তরে আমি একটা লিঙ্ক দিয়া দিছি। ক্লিক কর।
আর আরমিতে কেউ ধর্ম প্রচার করতে যায় না। এতো শখ থাকলে ২৮*৩৬৫ তাব্লিগ করলেই হয়।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ভাই ৭৫ আর ২০১২ কিন্তু ভিন্ন সময় আর ভিন্ন প্রেক্ষাপট। চেইন অব কমান্ড না মানায় ভোগা মানে কি? গুম, হত্যা, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, সেলে নিয়ে টর্চার ইত্যাদি? আর ক্যাডেট কলেজে সিনিয়াররা জুনিয়ারদের যে সকল কারনে পানিশমেন্ট দেয় তাওতো অনেক যৌক্তিক। আর এইটাতো পুরাই প্রফেশনাল একটা লাইফ। যাই হোক, পিলখানা ট্র্যাজেডি নিয়ে আপনার মন্তব্য জানতে চাই। আর আপনার লিংকটা পেলাম নাতো।
আমার লেখায় জিয়ার মেইলটার লিঙ্ক দেবার পর আমার বক্তব্য দিছি. অনেক আগেই ফেসবুকে নোট আকারে লিখছিলাম. আবার পড়ে দেখ. আর আর্মি আর বিডিয়ার দুই বাহিনীই বাংলাদেশের. ঐটা পাক-ভারত- বার্মার সাথে আমাদের কোন বাহিনীর যুদ্ধ হইনাই. যে ঘটনা ঘটছে সেই সময় তা খুব বেদনাদায়ক.
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ