প্রায় ২৫ বছরের কর্মজীবন আমার, যার প্রায় পুরোটাই বলা চলে শিক্ষাজগতে “শিক্ষা-গবেষণা-প্রশাসন” এই তিন-এ আবর্তিত হয়েছে। এর মাঝে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় কাটিয়েছি ২১ বছরের বেশি সময় জুড়ে। দায়িত্ব এবং পড়ানোর নেশায় ছিল ভাষা, ভাষাতত্ত্ব, এবং সাহিত্য। তবে নিজের পূর্ণকালীন কর্মক্ষেত্রে এবং নানান জায়গায় আমন্ত্রিত হয়ে যে বিষয়গুলো পড়িয়ে বা আলোচনা করে অনেক বেশি আনন্দ পেয়েছি, এবং বলা চলে যেগুলোতে সত্যিকারভাবে কারো কাজে আসতে পেরেছি, সেই কোর্স বা বিষয়গুলো ছিল সফট স্কিলস রিলেটেড।
বিস্তারিত»যে-সে
Song: যে-সে
Band: The Q
Lyrics: Bappy khan
Tune: Reshad Mahmood
Release/Album: 1994/ জন্ম
Label: Mars/বেতার জগত
যে হৃদয় ভেঙ্গে গেছে ,
তাকে কেন হাসতে বলো?
যে ছবি গিয়েছে মুছে ,
তাকে কেন আঁকতে বলো ?
যে স্বপন অলীক স্বপন,
তাকে কেন মিছে তুমি খুঁজতে থাকো?
যে আছে তোমার কাছে,
তারে প্রণাম করো।
অপেক্ষায়…
ঘন অরণ্যে দিনের আলোতেও আঁধার পুরোপুরি তিরোহিত হয় না।
মনে হচ্ছে গত সাতটি দিন ধরে এমনই এক অরণ্যে হেঁটে চলেছি।
আলো নেই, শ্বাপদ সংকুল পরিবেশ। পাখির কাকলি নেই, আছে শুধু
শবের অপেক্ষায় বসে থাকা অলক্ষুনে এক শকুনির কর্ণভেদী ডাক।
এ অরণ্যের যেন শেষ নেই, পথ চলারও নেই। পথের ক্লান্তি শুধুই দেহের,
চোখে সে ক্লান্তি নিদ্রা নামাতে পারে না। তন্দ্রা কেবলই আসে আর যায়।
ড্যান্স ফ্লোর
দূর থেকে চোখে পড়ে লাল-নীল বাতি
জ্বলে-নেভে, নেভে-জ্বলে,
চোখ ধাঁধানো ফ্ল্যাশ।
আকাশ ছাড়িয়ে মহাকাশে
সদর্প সাদা আলোর তরবারি।
বুক-কান কাঁপানো
ধুপ-ধুপ-চিক-চিক। চ্যাউউউ!
পশ ধরনের বেইজ ও ট্রেবল
সবকিছুই যেন মহাকাশ ছুঁতে চাইছে।
এ এক অনন্য উচ্চতা।
ওখানে না গেলে, মিস হয়ে যাবে।
বুক ভরা আশা নিয়ে আমি হাজির হই।
কীসের আশা জানি না,
প্রতিকৃতি ও কান্না বারণ
কান্না বারণ
কান্নার শব্দে সাড়া মেলে না
চকিতে চোখ মুছে নেয় সে
গায়ের ধুলো ঝেড়ে ফেলে
দু’হাত পকেটে ঢুকিয়ে
মাথা একটু নিচু করে
শিস্ দিতে দিতে আগায়
একটু থামে চারিদিকে তাকায়
যাবতীয় দুঃখ গ্লানি হতাশা
পেরুবার সীমিত দরোজা
ক্রোধ কিংবা সফলতা
পুরুষ হবার পথে যাত্রা শুরু।
০৫ এপ্রিল ২০২৪
বিস্তারিত»
দুইটা লিরিক
[ফেসবুক মেমরি থেকে পেলাম। গত দশকের গোড়ার দিকের লেখা। গান হবে এরকম চিন্তা ছিল। হয়নি। ঘনিষ্ঠ এই ব্লগে আনকাট ভার্সনটা টুকে রাখা থাক।]
#
শ্যাওলা জমেছিল বুঝি
তোমার মনের পুকুরে,
ভিজতে ইচ্ছে করেছিল
তাই অন্য শ্রাবণ দুপুরে।
দেয়াল পাশের বাতায়নে
কাঁদতে যখন অঝোরে
ভাবনা জমাট বাঁধা ছিল
অন্য কারো আদরে।
খেয়াল খুশীর ইচ্ছে মত
আমায় কেন জড়ালে?
নিউ ইয়র্কের পথে….১
আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের পথ ধরেই; এমিরেটস এর ফ্লাইটে, দুবাই হয়ে। এবারে ইচ্ছে হলো পূবের পথ ধরে উড়াল দিতে। আমার এ ইচ্ছেটার কথা প্রকাশ করার আগেই ট্রাভেল এজেন্ট জানালো, ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্স তাদেরকে হংকং হয়ে উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে যাত্রী পাঠাতে উৎসাহিত করছে এবং এর জন্য তারা আকর্ষণীয় টিকেট মূল্য ধার্য্য করেছে।
বিস্তারিত»নীরব রাতের নিবিড় আঁধারে….
একজন শ্রোতা যখন কোন গান শোনেন, আর সে গানটি যদি তার ভালো লেগে যায়, তখন তার তিনটে ইন্দ্রিয় একত্রে কাজ করতে থাকে- কর্ণ, মানস (মন, কল্পলোক) আর নয়ন। গানের সুর কর্ণকুহরে প্রবেশ করা মাত্র তার মন সেই গানের কথা ও সুরের আবহে স্পর্শিত হয়ে, স্পন্দিত হয়ে, তরঙ্গায়িত হয়ে কল্পলোকে বিস্তৃত হয় এবং একইসাথে সেই সুরসৃষ্ট কিছু ছবি তার চোখের সামনে দিয়ে ভেসে যেতে থাকে। যতক্ষণ সেই সুর তার কানে প্রবেশ করতে থাকে,
বিস্তারিত»জীবন থেইকা মাধুর্য উইড়া গেছে
১
বৃহঃস্পতিবার আসলে আগে একটা ফিল পাইতাম। এই ফিল প্রথম আসে স্কুল-কলেজে থাকতে। যেইখানে পড়তাম ওইখানে শুক্কুরবার সকালে পিটি-প্যারেড করতে নামা লাগতো না। আর বৃহঃস্পতিবার রাতে আমাগো ভালো-মন্দ খাইতে দিত। ওইটারে আমরা বলতাম— স্পেশাল ডায়েট। জেলখানার কয়েদিদের যেমন বিশেষ দিবস আসলে এইরকম খাবার খাইতে দেয়। আর বৃহঃস্পতিবার রাতে মুভি শো হইতো৷ দল বাইন্ধা আমরা বিদেশি সিনেমা দেখতাম৷ যদিও ইলেভেন-টুয়েলভে সিনেমা না দেইখা, মোবাইলে তৎকালীন প্রেমিকার লগে কথা কইতাম বা পছন্দের জুনিয়র ডাইকা গান শুনতাম,
বিস্তারিত»স্বপ্নিল
বালকটি একা একাই খেলতো। একদিন একটা সাইকেলের চাকার রিমের পেছনে এক টুকরো লাঠি দিয়ে ঠেলে ঠেলে মনের আনন্দে ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের কাঁচা রাস্তা ধরে সে দৌড়ে বেড়াচ্ছিল। দৌড়াতে দৌড়াতে মফস্বলের রেল স্টেশনে পৌঁছে দেখে, একটা লম্বা ট্রেন প্রথম লাইনটাতে দাঁড়িয়ে আছে। তার অগ্রভাগে একটা কালো ইঞ্জিন মাঝে মাঝে ভোঁস ভোঁস করে তার চাকার কাছ দিয়ে সাদা ধোঁয়া (বাষ্প) আর মাথার উপর দিয়ে গাঢ় ধূসর রঙের ধোঁয়া ছড়াচ্ছে।
বিস্তারিত»অপছন্দের জিনিস
ক্যাডেটদের একটা অপছন্দের জিনিস হচ্ছে সকালে ঘুম থেকে উঠে পিটিতে যাওয়া। আমি তার ব্যতিক্রম নই। সকালে এত আরামের ঘুম রেখে কার পিটিতে যেতে ভাল লাগে? যদিও সেপ্টেম্বর মাসের রাজশাহীর গরমে রাতের ঘুম কতটুকু আরামের সেটা বলাই বাহুল্য। মরার উপরে খাড়ার ঘায়ের মত আছে লোডশেডিং। কারেন্ট গিয়ে ফ্যান পুরোটুকু থামার আগেই তিন হাউজ থেকে তারস্বরে চিৎকার শুরু হয়
এএএএএ শাজাহান ভাই, জেনারেটর ছাড়েন
যদিও তারিক বা কাসিম হাউজের চিৎকার শাজাহান ভাই পর্যন্ত পৌঁছায় না,
বিস্তারিত»আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২৫শে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?
সকাল বেলা ড্রিল করা পিটির চেয়ে কম কষ্টকর, কিন্তু পুরো জিনিসটা প্রচন্ড রকমের বিরক্তিকর। স্টাফ একটু পর পর এসে কানের কাছে ভ্যান ভ্যান করে যাবে।
কি ক্লাস ১০, পা উঠে না? পায়ের মাঝখানে কি বাইন্ধা রাখছো? গুটনা টাইট করে ড্রিল হবে। প্রেড, মধ্য থেকে জলদিইইইইইই চল!
অসম্ভব রকমের মানসিক নির্যাতন। তাও আবার সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই। আজকের সারাদিন যে কেমন যাবে চিন্তা করছি আর “গুটনা” টাইট করে ড্রিল করার চেষ্টা করছি।
বিস্তারিত»দু’টি চতুর্দশপদী কবিতা
প্রশ্নমালা
কবি! কেমনে লিখো হে এমন কবিতা?
লিখিতে কবে থেকে? ছাত্র থাকার কালে?
উনপঞ্চাশ বায়ু পঞ্চাশ পার হলে?
নয়! খুলে বলো তবে, রহস্য ছবিতা।
বলো কে সে মায়াবী আড়ালে আবডালে
কোন কাশবনের সেলফি তোলা ষোড়শী
গেঁথেছে তোমায় উছলতার বড়শী!
হয় কি মাতামাতি গোপন মহলে?
হতে পারে নাকি কভু গোধূলিতে ভোর
স্বপনে তোমায় দেখি, হবে নাকি মোর?
সাম্প্রতিক কবিতা
১
ভালোবাসা মেঘ হয়ে গ্যাছে বহু আগে,
এখন শীতকাল,
মেঘমুক্ত আকাশের দিকে
তাকিয়ে তবুও বৃষ্টির অপেক্ষা।
বৃষ্টি হবার কোন সম্ভাবনা নেই।
চরাচরে তীব্র রোদ।
ভালোবেসে যারা রোদ্দুর হতে চেয়েছিলাম,
এই শীতে তারা অডিনের সঙ্গে ডিনার করবো ভালহালায়।
সুদিন কবে আসবে, অডিন?
আর্তনাদ চেপে বীরের মতো মরে যাবো।
কোথাও কী আছে আর্তনাদহীন মৃত্যু, মৃত্যুহীন ব্যথা,
জ ল পা ই ব নে র দি ন লি পি
১.
তাবুতে থাকলে “ক্যাম্পে”র কথা মনে পড়ে, নিঃশব্দে আওড়াই-
“এখানে বনের কাছে ক্যাম্প আমি ফেলিয়াছি;
সারারাত দখিনা বাতাসে
আকাশের চাঁদের আলোয়
এক ঘাইহরিণীর ডাক শুনি—
কাহারে সে ডাকে!”
আমাদের ক্যাম্প এক জলপাই বনে, নরসিংদীর এক বর্ধিষ্ণু গ্রামে। অদূরেই ভৈরব, আড়িয়াল খাঁ নদ, ব্রহ্মপুত্রের চর, মেঘনার শুরু। চারদিকে ধান ক্ষেত, যেখানে ”ধান কাটা হয়ে গেছে”। এর মধ্যে আমাদের ক্যাম্প,
বিস্তারিত»