বুক রিভিউ – একজন ক্যাকাসু

বইঃ একজন ক্যাকাসু

লেখকঃ যোবায়েদ আহসান

প্রকাশঃ ২০২২

বিভাগঃ রম্য উপন্যাস

ব্যাক্তিগত রেটিংঃ৯/১০

এক্সাম আগের দিন হুট করে “আউট নলেজ” বই পড়ার অভ্যাস ছোটবেলা থেকেই। এই অভ্যাস রেসাল্টের অনুকুল না, তাই ছাড়ব ছাড়ব করছি বেশকিছু দিন থেকেই। দীর্ঘদিন পর কাল এক্সাম , তাই অনেকদিন পর অভ্যাসটা মাথা চাড়া দিয়ে উঠল। অনেক চেস্টা করলাম ইগনোর করতে,

বিস্তারিত»

ক্যাডেট রম্যের দ্বিতীয় সংস্করণ ও ই-বুক প্রকাশ

‘ক্যাডেট রম্য’ নামে আমার একটা বই আছে। ২০১৬ সালের বইমেলায় বইপত্র প্রকাশন থেকে বইটি প্রকাশ পেয়েছিলো। মাত্র আটদিন বইটি মার্কেটে ছিলো। চাহিদা থাকা সত্ত্বেও মেলার পর বিভিন্ন কারণে বইটার হার্ড কপি আর প্রকাশ করা হয় নি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষ বইটির খোঁজ করেছেন। ‘ক্যাডেট রম্য’ নামে প্রথম আলোর অধুনালুপ্ত ফান সাপ্লিমেন্ট রস+আলো এবং দৈনিক ইত্তেফাকের ফান সাপ্লিমেন্ট ঠাট্টায় ২০১১-২০১৪ সময়কালে লিখেছি। ফলে, ‘ক্যাডেট রম্য’-এর এক ধরণের পাঠক শ্রেণী গড়ে উঠেছিলো।

বিস্তারিত»

শাহজাদীর কালো নেকাব

পুরানো এক বাংলা নাটকের নাম থেকে লেখটির নামকরণ। নাট্যকারের নাম যেমন মনে নেই, তেমনি মনে নেই নাটকের কাহিনীও। তারপরও কেন এই শিরোনাম, লেখাটি পড়লেই তা পরিস্কার হবে। এ বছর পবিত্র হজ্জ পালন করার সময় নিকাব নিয়ে ব্যক্তিগত একটি অভিজ্ঞতাই হচ্ছে এই লেখাটির প্রতিপাদ্য।

হজ্জ পালনের তাগিদ সব সময়ই অনুভব করেছি, কিন্তু “কবে এবং কিভাবে” তার কোন বিশদ পরিকল্পনা কখনোই করা হয়নি। আমার স্ত্রীর হজ্জ করা হয়ে গেছে বিয়ের আগেই।

বিস্তারিত»

আহার ও বাহারী মানুষ

কিভাবে শুরু করি ঠিক বুঝতে পারছিনা। শুরুটা এরকম।

আমার এবং আমার সহধর্মীর ভাত না খেয়ে একদিন মানে ২৪ ঘন্টা পার করা মুশকিল। গত এক যুগেরও বেশি সময় পশ্চিমা হাওয়া গায়ে লাগিয়ে পার করলেও ডাল-ভাত না খেয়ে নিজেদের কষ্ট দেয়ার মত পশ্চিমী হতে পারি নি এখনো। বরং যে শহরেই যাই না কেন গুগলে রিভিউ পড়ে সে শহরের বেস্ট ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট খুঁজে বের করে মনের আশা পুরণ করি।

বিস্তারিত»

রোহিঙ্গা ইস্যুঃ সংকট নাকি সম্ভাবনা?!

কক্সবাজারের ‘দর্শনীয়’ জিনিসের তালিকায় নতুন সংযোজন রোহিঙ্গা এবং রোহিঙ্গা পল্লী। বিশেষ করে উখিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত এই ‘জিনিস’ প্রচুর পরিমাণে মিলবে। স্যুভনির পণ্য তালিকাতেও বেশি কিছু নতুন আইটেম যোগ হয়েছে। যেমন- জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (UNHCR) ছাপ মারা কম্বল, তাঁবু, ডাল, কৌটা বা টিনজাত খাবার, এমনকি ত্রাণের তরল দুধও! শোনা গেছে রোহিঙ্গাদের অনেকেই দুধ পানে অভ্যস্ত নয়। প্রাপ্ত দুধ দিয়ে অনেককে হাত-মুখ ধোয়া থেকে শুরু করে কাপড় ধুতেও (জ্বি,

বিস্তারিত»

কুংফু কারাতে

বাংলাদশের এমন কোন ছেলে আছে কিনা যে ফুটবলের পেলে আর মার্শাল আর্টের Bruce Lee র নাম শোনে নি কিংবা জীবনের কোন একটা সময়ে মনে মনে তাদেরকে দেবতা জ্ঞান (আক্ষরিক অর্থে নয়) করে নি তাতে আমার সন্দেহ আছে। অন্তত পক্ষে আমি যখন ঢাকায় আমার বাল্যকাল কাটাচ্ছি মাঠে ঘাটে মার্বেল, ডাঙ্গুলী আর ফুটবল খেলে তখন অবস্থা সেই রকমই ছিল।

মার্শাল আর্টের প্রতি সব সময়েই আমার একটা দূর্বলতা আছে।

বিস্তারিত»

অবরুদ্ধ

বহুকাল ধরে দিগন্তের দৃশ্য একপলক দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ এই দুটি চোখ আজ যেন কাতর। দু চোখ মেলে যখনই চেয়েছি দৃষ্টিকে অসীমতার মাঝে হারিয়ে ফেলতে, নগরায়নের আশীর্বাদপুষ্ট দালানগুলো দাঙ্গার পুলিশ এর মত আটকে দিয়েছে তাকে।আনুভুমিক ভাবে যখন এই প্রয়াস বিফল, তখন সাহস করে আকাশের দিকে বিলম্ব না করেই উলম্ব ভাবে তাকিয়েছি।কিন্তু গগনচুম্বী অট্টালিকাগুলোর বদৌলতে আমি যেন নিজেকে মনে করছিলাম গুহাবাসী,গুহার ফোঁকরে যতখানি দেখা যায় আর কি।আমার মত কেও এরকম দৃষ্টিশক্তিকে উলম্ব অথবা আনুভূমিক দিকে ব্যয় করছে কিনা কৌতূহলী হয়ে চারপাশে যখন তাকাই তখন অদ্ভুতভাবে দেখি সবাই চতুষ্কোণা ANDROID সেট এর দিকে নিন্মমুখী হয়ে গভীর মনোযোগে নিবিষ্ট ।ভার্চুয়াল স্বর্গের কোন এক অপ্সরীর সাথে চ্যাটপচটন এ ব্যস্ত কেও,

বিস্তারিত»

পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ: বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ভয়াবহ অন্তর্কলহের অজানা অধ্যায় (একটি পুরোনো-দেরাজ প্রকাশনা)

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মত একটি প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে বাংলাওয়াশ করবার কারণে সারা বিশ্বে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রতিবেদকের নিদ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় ব্যপক গবেষণার মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ ড্রেসিংরুমের অভ্যন্তরের সুগভীর অন্তর্দন্দ্বের গোপন সংবাদ। অসংখ্য সময় ব্যয় করে শত শত বই-পুস্তক ও দেশ বিদেশের অগণিত ডকুমেন্টারির ভিডিও ঘাঁটা-ঘাঁটি করে দলের মাঝে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ায় লিপ্ত তিন-চারটি গ্রুপ ও উপদলের উপস্থিতির সন্ধান জানা গেছে।

নিখিল বঙ্গ লোয়ার অর্ডার গ্যাং থেকে সদ্য পলায়ন করা মাহমুদুল্লা রিয়াদ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,

বিস্তারিত»

বাঙলা পাঠ্য বই – হিন্দুয়ানী প্রভাব (১ম শ্রেণি বাঙলা বই)

২০১৩ সালের শিক্ষাবর্ষ থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড থেকে নতুন পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা হয়। এতে পুরানো বইগুলো কে আধুনিকিকরণ করা হয়, পরিমার্জন, পরিবর্ধন করা হয়। আমরা বাঙাল রা যেকোন পরিবর্তন কেই সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখি। নতুন পাঠ্যপুস্তক ও সন্দেহের চোখে পড়বে এটা বুঝে ওঠার জন্য বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। প্রায় শুরু থেকেই নতুন পাঠ্যবই গুলি কে চিহ্নিত করা হয় হিন্দুয়ানি দোষে দুষ্ট। রোজা চলছে, এই সুযোগে গত কিছুদিন যাবৎ এই প্রপাগান্ডা চলছে বেশ জোড়েসোড়ে।

বিস্তারিত»

ঘোলা জল – পরিষ্কার জল – পুরানো কথা – নতুন কথা

জাতি হিসাবে আমরা বেশ অদ্ভুত। যদিও নিকট অতীতে এক সার্ভেতে আমরা ১১তম সুখী রাষ্ট্র কিন্তু পরচর্চা, পরনিন্দা, পরকে ঘৃণা করা আমাদের জাতীয় বৈশিষ্ট্য বললে মনে হয় কম বলা হয় না। প্রতিবেশি ব্যাগ উপচে পড়া বাজার নিয়ে ঘরে ফিরলে বলি, এই দুর্মূল্যের বাজারে এতো টাকা পায় কই! আর খালি হাতে বা তলানি নিয়ে বাড়ি ফিরলে বলি, ছোটজাত, কোনদিন খেয়েছে নাকি, বাজার করা শিখবে কোথা থেকে!
আমরা ভালো কে ভালো,

বিস্তারিত»

পেঁয়াজমানব

অত্যন্ত যত্ন সহকারে নাকের লোম ছিঁড়ছিলাম। নিশ্চিত ছিলাম যে এই দৃশ্য কেউ দেখবে না- রেস্তোরাঁ পুরোই খালি। শৈল্পিক এই কাজে ডুবে যেতে যেতে টেরই পাইনি, মৌরি আমার পেছনে এসে দাঁড়িয়ে আছে ।

মৌরির গলা খাঁকারি আমায় বাস্তব জগতে ফেরালো। ঘাড় ঘুরিয়ে বিব্রত বোধ করলাম বেশ। চেয়ারের নীচে কোনমতে হাত মুছে উচ্ছ্বসিত ভঙ্গিতে বললাম, ‘আরে মৌরি, এসেছ?’
মৌরি তিক্ত দৃষ্টিতে আমার হাতের দিকে একবার তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিলো।

বিস্তারিত»

অনুগল্প : আরেকটি “ব্লক-কাহিনী” নিয়ে অডিও-ভিডিও ব্লগ

তিন মাস আগে……

ছেলেটি:
“ওগো তুমি যে আমার কতো প্রিয়
কেমন করে বোঝাই বলো
তুমি তো বোঝো না
জেনেও না, জানো না………”

মেয়েটি:
“যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে
মনেহয় এ দেহে প্রান আছে
বাকিটা সময় যেন মরন আমার
হৃদয় জুড়ে নামে অথৈ আঁধার………”

তিন মাস পরে……

ছেলেটি:
“তুমি নিজের মুখে বললে যেদিন
সবই তোমার অভিনয়
সত্যি কোন কিছু নয়
আমি দুঃখ পেলেও খুশি হলাম জেনে………”

বিস্তারিত»

~ প্যারিস থেকে স্ট্রসবার্গের সেই ফ্লাইট ~

[ দ্য টরান্টো ডেইলী স্টার-এ ৮ সেপ্টেম্বর ১৯২২-এ প্রকাশিত আর্ণেস্ট হেমিংওয়ের কলামের অনুবাদ ]

আমরা বসে ছিলাম সস্তারও সস্তা সেই রেস্টুরেন্টে। যেটা কিনা তীব্র কোলাহলময় সামান্য সেই গলিটাকে আরো সস্তা করে তুলেছিলো। প্যারিসের ‘রু দ্য পেটি চ্যাম্পস’ নামের সেই গলিটার কথাই বলছি।

আমরা মানে মিসেস হেমিংওয়ে, উইলিয়াম ই. ন্যাশ, ন্যাশের ছোট্ট এক ভাই আর আমি। লবস্টার আর ফ্রায়েড সোল মুখে চালান করার ব্যস্ততার ভেতর দিয়ে থেমে থেমে কথা বলে যাচ্ছিলেন মি.

বিস্তারিত»

আমার বানানো সম্পুর্ন নকল একটি অসম্পূর্ণ কবিতা

স্বপ্নমঙ্গল ReLoaded

হবুরাজের চুলে ছিল উকুনের দল
স্বপ্ন দেখিবার কালে করে কোলাহল,
আসিলো মর্কটত্রয়ী নাশিতে উকুন
তাহাতে রাজার জ্বালা বাড়িল ত্রিগুণ।
নড়িলে মারিছে চড়, মুরুব্বি না মানে!
ব্যাকুল হইয়া হবু চায় আসমানে,
উপরে আছেন পিতা উর্ধলোকে বসি
রাজার যাতনা দেখে কয় দিয়ে হাসি –
“দেহের আজাবে যদি এত কষ্ট হয়,
মনের যন্ত্রণা কি তা জাননা নিশ্চয়!”
এ বলিয়া কল-কাঠি নাড়িলেন তিনি
নিমেষে বাঁদর হাওয়া,

বিস্তারিত»

প্রেম আমার প্রেম আমাদের

কলা ভবন প্রাঙ্গণ আর রেজিষ্ট্রারের দাফতরিক ভবন, এই দুয়ের মাঝে সরু রাস্তার চেক চেক খোপ আঁকা একখান প্রান্তর, অসমান দূরত্বে বর্ষীয়ান বৃক্ষের বন্ধনে ছড়ানো ঘাসের ময়দান। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে অবসরে পাঁপড়ির মতোন পেখম মেলে আড্ডায় মেতে ওঠে তরুণ-তরুণীরা সেই চত্ত্বরের এখানে ওখানে। আকাশ থেকে দেখতে পেলে দেখা যেতো যেনো, আড্ডায় মানুষ নয়, মেলে আছে থোকা থোকা গোলাপ পাঁপড়িরা।

তরুণীরা সংখ্যায় কম, উচ্ছ্বলতায় অধিক খলবল।

বিস্তারিত»