আমরা অনেকেই মুক্তবুদ্ধির বা মুক্তবুদ্ধি চর্চার কথা বলি। বাস্তবে তা হয়তো হয়ে ওঠে না।
আমার এক ছোট ভাই একবার প্লান করেছিল তার অফিসের রুমের পাশে নামাজের একটা রুম রাখবে; নামাজের সময় হলে ড্রয়ার খুলে টুপি পড়ে সামনে যে থাকবে তাকে নামাজের দাওয়াত দিয়ে নিজে ঐ রুমে নামাজ পড়তে যাবে। এবং সে স্বীকার করেছে যে পুরাটাই ভাওতাবাজি; কারণ সে নামাজই পড়তে জানেনা।
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই যারা এই ব্লগটা যারা তৈরি করলো বা যারা সম্পাদনা কমিটিতে আছে। ক্যাডেটরা সমাজের অংশ হলেও মত প্রকাশ বা অন্যান্য ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতর। এইরকম একটা আলাদা প্লাটফর্ম থাকার খুব বেশিরকম প্রয়োজনীয়তা ছিল। আরেকটা যে ব্যাপারে ব্যাক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই তা হল বিভাগ বা ক্যাটাগরির তালিকায় ধর্মকে অন্তর্ভুক্ত না করা। আমার ধারণা খুব সচেতনভাবেই এটা করা হয়েছে।
এই সুদুর প্রবাসেও ধর্মের দাওয়াত দিতে লোক আসে। না ইসলামি তাব্লিগের লোকজন নয় (যদিও তাবলীগ জামাত এই লন্ডনেও খুব সক্রিয়; এমনকি জামাতে ইসলামিও); চার্চের লোকজন। তারা বাসায় নক করে বা বেল দেয়। দরজা খুলে দিলে আপনার সাথে ধর্মের কথা বলবে, বাইবেল থেকে পড়ে শোনাবে; আপনি চাইলে বাইবেল দিয়ে যাবে। আপনাকে চার্চে যেতে বলবে। কিন্তু বাংলাদেশে যেমন হাত ধরে কচলাকচলি করে তেমন করেনা। আমার এক বড়ভাই হাত ধরে কচলাকচলির যন্ত্রণায় একবার তিতিবিরক্ত হয়ে বলেছিল, ভাই হাত ছাড়েন, গরম হয়ে যাচ্ছি। হলে ছেলেপেলেরা এদের আসতে দেখলে হয় ঘুমের ভান করে পরে থাকত, নয় বাথরুমে দৌড়াত, অথবা যারা বেশি বুদ্ধিমান তারা হিন্দু অথবা খৃস্টান সাজত। মজার ব্যাপার এতো করেও এদের হাত থেকে রেহাই ছিলোনা। থাকবে কি করে, এরা তো বেহেস্ত পাবার আশায় মশগুল। আচ্ছা কেউ কি বলতে পারে বেহেস্তে গেলমানদের কাজ কি? একজন নারী বেহেস্তে গেলে পাবে তার স্বামীকে। আর পুরুষ যদি বেহেস্তে যায় তবে তাবে ৪০/৮০ টি হুর এবং ?? জন গেলমান। যেখানে চাওয়া মাত্র খাওয়া- খাদ্য চলে আসবে সেখানে গেলমানের কাজ কি?
কলেজে থাকাকালীন দিনগুলির কথা একটু স্মরণ করি। ৩০০ ছেলের মাঝে ক্লাস সেভেন বাদ দেই। বাকি আড়াইশ ক্যাডেটের মাঝে কতজন নামাজ পড়ত; ১০% থেকে ১৫%। এই হিসাবটা দিলাম মাগরিবের নামাজের ক্ষেত্রে। তিন জুম্মা বাদ দিলে মুসলমান থেকে নাম কাটা যায় বলে জুম্মা পড়া পলাপানের % একটু বেশি ছিল ২৫% থেকে ৩০%। বাকি চার ওয়াক্ত নামাজ পড়া পলাপানের % কতো; কমবেশি ৫%। তাবলীগ জামাতিদের মতন নামাজি বড় ভাইদের দেখলেই আমরা এক রুম থেকে আরেক রুমে পালাতাম। বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন অজুহাত যেমন এইত আসতেছি, ভাইয়া আমরা তো নামাজ পড়ে ফেলছি, অজু কইরা আসতেছি ইত্যাদি ইত্যাদি। হয়তো পরকালে ওইসব বড়ভাইয়েরা বেহেস্ত পাবেন, মাধুরি, ঐশ্বরিয়ার কোলে মাথা রাইখা খুরমা, খেজুর খাইবেন কিন্তু আমরা কি তাদেরকে খুব সম্মানের সাথে স্মরণ করি???
তবে কি ক্যাডেট কলেজ লাইফ এ ধর্ম কর্ম নেই। আমার উত্তর হবে আছে এবং নেই।
আছে কিভাবে?
আমরা প্রতিদিন মাগরিবের নামজ পড়তাম + জুম্মা। ৭ম ও ৮ম শ্রেনিতে থাকাকালীন সপ্তাহে একবার/ দুইবার কোরআন শিক্ষার ক্লাস করতাম। কেরাত প্রতিযোগিতা হতো, এবং অন্যান্য ইসলামি অনুষ্ঠানাদি; মহররমের আলোচনা, মিলাদ; রোজা, তারাবি, শবে কদর/ শবে বরাত ইত্যাদি পালিত হতো।
নাই, কিভাবে?
আমাদের বিনোদনের কথা একটু স্মরণ করি।
ভিডিও শো।
আমার তো মনে পড়েনা কলেজে থাকাকালীন ৬ বছরে দ্যা মেসেজ ছবিটা একবারও দেখা হইছে। ছবিতে একটা ভুল আছে। রাসুল (সাঃ) এর উট দেখানো হয় যেটায় করে নবী মদিনায় পৌঁছেন; উটটি ছিল মাদি উট, ছবিতে দেখানো হয় পুরুষ উট।
যাই হোক ভিডিও শো কি ধর্মের সাথে যায়!!!
আমরা খেলাধুলা করতাম হাফপ্যান্ট পড়ে; এইটা কি ধর্মসিদ্ধ???
মেয়ে ক্যাডেটদের খেলাধুলা করা কি ধর্মসিদ্ধ???
পুরুষ ছাত্রদের জন্য নারী শিক্ষক আর নারী ছাত্রদের জন্য পুরুষ শিক্ষক কি ধর্মসিদ্ধ???
এরকম হাজারটা উদাহরণ দেওয়া যাবে।
সুতরাং কারো যদি ধর্মীয় আবহাওয়ায় পড়ার ইচ্ছা থাকে তবে মাদ্রাসায় পড়াটাই তো বাঞ্ছনীয়। যদিও মাদ্রাসা শিক্ষা বেদায়াত।
এতো কথা কেন বলা???
এই ব্লগে হাজার হাজার লেখা হয়ে গেছে। এবং এখন পর্যন্ত ধর্ম বিষয়ক আলোচনা বিতর্ক ভিন্ন অন্য কিছুর জন্ম দিতে পারেনাই। আর ধর্ম বিষয়টা এতটাই ব্যাপক এবং জটিল যে আমাদের মতো পোলাপান এইটা ব্যাখ্যা করতে গিয়া অপব্যাখ্যায়ই করতেছে বেশি, যাতে করে উপকারের বদলে অপকারই হইতেছে বেশি।
কেউ কি আমারে জঙ্গে জামালের ব্যাপারটা বুজাইয়া বলতে পারবা, পারবা না। শিয়া- সুন্নির ব্যাপারটা বুজাইয়া দিতে পারবা, পারবা না।
চার খলিফা নির্বাচনের পদ্ধতি বুজাইয়া দিতে পারবা, পারবানা।
তাদের মৃত্যুর ব্যাপারটা বুঝাইয়া দিতে পারবা, পারবা না।
রাসুল (সাঃ) এর ১৩টি বিবাহের ব্যাপারটা বুঝাইয়া দিতে পারবা, পারবা না।
মানসুর হাল্লাজের ব্যাপারটা বুঝাইয়া দিতে পারবা, পারবানা।
ইসলামের ব্যাখ্যাকারী বলা হয় ইমাম গাজ্জালি কে। উনি এতবার গাফেল হইলেন কেন (৩২ বার)???
আলী (রাঃ) র কোরআন সংশোধনের ব্যাপারটা কি???
এইরকম হাজারটা প্রশ্ন আছে।
কিন্তু উত্তর নাই।
মুসলমানদের প্রিয় একটা উত্তর আছে।
“আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসুল ভালো জানেন।”
তাইলে ধর্মকর্মও আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসুলের জন্য তোলা থাকুক।
আমার পরিচিত যারাই আছে তারা সকলেই জানে আমি সবসময় স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের পক্ষে; সেই মত পুরানো হোক আর নোতুন হোক। সুতরাং আজ যারা ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র বা সমাজ বা অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলতে চায় তাদের সাধুবাদ জানাই। কিন্তু কেনো যেন মনে হয় এই ব্লগ ঐ ধরণের মতামত প্রকাশের উপযুক্ত নয়। তাই তোমরা যারা এসব লেখা দিতে চাও তারা দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক সংগ্রাম সহ ঐরকম কোনও ব্লগ বা সংশ্লিষ্ট মহলের শরনাপন্ন হতে পারো। যেমন অর্থনৈতিক বিষয়ক ভাবনা অর্থ মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে শেয়ার করতে পারো; ইত্যাদি ইত্যাদি। না আমি তোমাদেরকে হেয় করার উদ্দেশে নয়, বরংচ প্রকৃত অবস্থা অনুধাবনের জন্য বলছি।
যেহেতু তোমরা জানো যে তোমাদের চিন্তাভাবনা ১০০% সঠিক তবে তা প্রতিষ্ঠিত করতে সঠিক ফোরামে গিয়ে জনমত তৈরি করাই তো ঠিক হবে নয়কি?
জানিনা যা বলার তা বলতে পারলাম কিনা।
আজকে ইসলামি ব্যাংকিং/ সুদমুক্ত সমাজব্যাবস্থার কথা হচ্ছে কাল হবে জিজিয়া করের কথা।
ইটা
ইটাই দিলি; পড়েছিস কি?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এই ব্লগে আমি আর লিখমু না।
Saleh
সালেহ লেখতে না ইচ্ছা করলে সমস্যা নাই, কিন্তু সেটা লিখে অন্যকে জানানোর প্রয়োজন নাই।
ফান না সিরিয়াস? তোদের অনেক কথাই বুঝিনা। একটু ব্যাকডেটেট তো। আর নাজমুল জুনিওর পাইয়া ডলা দাও; না।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
হোই মিয়া আপনি তো আগের ব্লগে ফাইজলামি কইরা নাম কামায় ফেলছেন। ফেসবুকে এক ভাইয়ারে পর্যন্ত ব্যাখ্যা করতে হইলো আপনি সিরিয়াস না =))
মোটামুটি এই এঙ্গেলে আমারও একটা চিন্তা আছে। আমার বেহেশতে যাওনের কোনো আশা নাই। আসলে নিজেরে ভাগ্যবান মনে হয় কখনই বেহেশতে যাইতে হবেনা ভাইবা। কারণ সেখানের সবাই অন্ধবিশ্বাসের উপরের দিকের লুকজন, যারা সারাজীবন গোলামের মতো অর্ডার ফলো করছে, কোনোদিন সৎ প্রশ্ন করোনের সাহস পায়নাই। আমিনী, সাঈদি, জোকার নায়েক এবং কাঠমোল্লাদের সাথে অসীম সময় একসাথে থাকার চেয়ে পক কইরা মইরা ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য হওন ভালু।
এইটা পড়ার পর সিসিবির নীতিমালার পাতায় 'ধর্মানুভুতি' শব্দটা সার্চ করলাম। কোনো অস্তিত্ব পাইলাম না। ভালো লাগলো। আর আপনার করা প্রশ্নগুলা সম্পর্কে ভালো একটা আলোচনা পড়ছিলাম আকাশ মালিকের ই-বুক যে সত্য হয়নি বলা- তে।
হা হা হা :))
রায়হান, আসলে ঠিক ওইভাবে ফাইজলামি করতে চাই নাই। ভাবলাম ছেলেটা হয়তো একদিন নোবেল পাইলেও পাইতে পারে, অর্থনীতির উপরে। কে জানে!
কিন্তু ধর্মের নামে একটা বাড়ি দিতেই দেখলাম পোলাটা জামাত।
আমার জানতে খুব সাধ এরা কি মক্কায় কাবা শরীফে ইহুদিদের তাওআফ করতে দিবে?
ক্বাবা তো ওদেরও পবিত্র স্থান। ইব্রাহিম কে তো ওরাও আদিপিতা মানে।
সোলায়মান বা কিং সলোমন যতোনা মুসলমানদের নবী তার চাইতে বেশি ইহুদিদের নবী।
তুমি তোমার কাবায় তারে ডুকতে দিবানা আর ওদের আল আকশা দখল করতে চাইবা; এইটা হইল নাকি?
যাই হোক জাল পোলায় এই লিখাটা লিখছে দেইখা খুব খারাপ লাগছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আগের পোস্ট টা মনে হয় মিস করে গেছি।
ঐ টা পড়ে আসি।
আর পোস্টে শুরুতেই পাঁচতারা দাগায়ে গেলাম। পরে আলোচনায় অংশ নিবো।
আগের পোস্ট না। সুদের পোস্টের কমেন্ট 🙂
এসব কি বলেন! তওবাওয়াস্তকফিরুল্লা মিনযালেক! আপনার জীবন সত্য, সুন্দর এবং পবিত্র হোক।
প্রশ্নসমূহ:
১. জিজিয়া কর কি?
২. গাফেল কি?
৩. গেলমানের কাজ কি?
😕
আমার বন্ধুয়া বিহনে
গাফেলের মানে আমিও জানি না। জানতে চাই, ভাই!
রাব্বি, আন্দালিব,
ইসলামি শব্দকোষ বাজারে পাওয়া যায়। আমাদের এখানে লাইব্রেরিতে দেখি আছে।
পারলে আজল শব্দের মানেও জেনে নিস। আমাদের ক্লাসের একটা খুব মজার ঘটনা আছে আজল সম্পর্কিত। পরে কোনও এক সময় লিখব।
হুমায়ুন আজাদকে একবার মুরতাদ ঘোষণা করা হইল; খুব সম্ভবত নারী লেখার জন্য। তো স্যার তার কোনও এক বইয়ের শুরুতে (নারী হইতে পারে) লিখলেন যে মুরতাদ শব্দের মানে তিনি জানেননা। আর আমি তো মানে জাইনা স্যাররে গেলাম জানাইতে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
লেখায় পাঁচতারা, জ্ঞান দেয়ার জন্য অনেককেই পাওয়া যায়, কিন্তু মাথায় আসা প্রশ্নগুলোর জবাব দেবার জন্য কাউকে পাওয়া যায় না।
তবে আমি ধর্ম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে লিখতে মানা করার পক্ষে না, যে যার মতামত দিতে থাকুক, আমরা পাঠকেরাই সেখানে গিয়ে মন্তব্য করে বা না করে আমাদের অবস্থান জানিয়ে দেব বা তার পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি দেব।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আহসান,
তুমি যথার্থ বলেছ।
তুমি যেমন মতামত ব্যাক্ত করার কথা বলেছ আমি কিন্তু সেটাই করেছি।
পৃথিবীর কোন দেশে ইসলামি অর্থনীতি চালু আছে?
কোন ইসলামি সরকার আছে?
ইসলাম কিন্তু গনতন্ত্র, রাজতন্ত্র কোনোটাই স্বীকার করেনা।
আমি শুধু এইটাই বলতে চেয়েছি যদি ব্যাখ্যা করতে না পারো তবে লেখা কেনো?
কালকে আরেকজন লেখবে গণেশমূর্তি দুধ খেয়েছে,
কিংবা যিশু এটা করেছে তখন কি করবো!
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আপনার কমেন্টগুলো পড়ে খুব মজা লাগছিলো, ভাই। তখন বুঝতে পেরেছিলাম যে এরকম একটা পোস্ট দিবেন। পোস্টটা ভালো লাগছে পড়তে। কলেজের ধর্মকর্মের পরিবেশ নিয়ে কখনো ভাবি নাই এর আগে।
আমার নিজের কথা বলতে পারি, কলেজে পাঁচবেলা নামাজ পড়তাম। ক্লাস টেন-এ থাকতে আমাদের ডর্মে দশজনের নয়জনই নামাজি ছিলো (তবে এখন ভাবলে মনে হয় সেটা এসএসসির পরীক্ষার সাথে সম্পর্কিত)। পাঁচ-ছয় জন ইলেভেন টুয়েলভেও নামাজ পড়তো নিয়মিতই। আবার এটাও ঠিক বৃহঃবার আর শুক্রবার আমাকে পাওয়া যাইতো খালি টিভি রুমে। 🙂
আন্দালিব,
তোদের পুরানো কলেজগুলার তো রুম রড়ো; সিনিওর-জুনিওর অনেকে এক রুমে থাকতি। অনেক কিছুই করতে হইত তোদের মন না চাইলেই। আমার এক কাজিন আছে এইখানে; বাসায় গেলেই কয়, চলো রাজীব, নামাজ পড়ি। তার বড়ো পোলা ইকামত দেয়, সে ইমামতি করে। আমি আর তার ছোটো পোলা পিছনে দাঁড়াইয়া বদমাইশি করি। আমি আবার সুন্নত পড়ি না। তো পরে ভাবি কয়, কি রাজীব তুমি সুন্নত নামাজ পড়োনা?
আমি বললাম সুন্নত না পড়লেও নামাজ হয় ভাবি।
ভালো কথা, আমি যদি রোজা রাখি তবে তারাবি ও পড়িনা। তারাবি উমরের আবিষ্কার।
নামাজ নিয়মিত পড়লে অভ্যাস হয়ে যায়। আমার কিছু ছোট ভাই ছিল রোজা রাখত, তারাবি পড়ত; ২০ রোজার পর তারাবি পইড়া আইসা চা-বিড়ি খাইতে খাইতে হিসাব করত চান রাইতে মাল খাওয়ার পারটিতে কে কত কন্ট্রিবিউট করবো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
জামানের ইসলামী অর্থনীতির উপর পোস্টটা দেখে খুব জোসে একটা বডসড় কমেন্ট করার পর দেখি ছেলেটা পোস্টটা উধাও করে ফেলেছে। হায়রে কপাল মন্দ!
ঈমাম গাজ্জালীর উপর পড়ছিলাম কারণ এই ইটারপ্রেটার 'চিন্তা ভাবনা না করে, প্রধ্ন না করে শুধুই বিশ্বাস করে যেতে হবে' মোটামুটিভাবে এই ধারণার প্রধান প্রবক্তা। এখন পর্যন্ত সবাইকে বেশ ভালোই বশ করে রেখেছে। বলাবাহুল্য উনি একাদশ শতাব্দির সময়কার। ইবনে সিনা, আল ফারাবীও একই শতকের। জ্ঞান আর যুক্তির তোড়ে শেষোক্ত দুজনের অন্ধবিশ্বাসের প্রতি মোহগ্রস্ততা অনেকবারই আহত হতে দেখা গেছে। অনেক প্রশ্ন তুলেছেন। মূলত ঈমাম গাজ্জালী (উনি নিজেও একজন খুব জ্ঞানী মানুষ) এই আহত হবার হাত থেকে বাঁচতেই শেষে নিজে সুফিবাদের দিকে চলে যায়। এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য বেশি প্রশ্ন না করার বিধান রেখে যায়। উনার লেখা থেকেই একটা উদ্ধৃতি দিচ্ছি,
অর্থাৎ উনার মতে বিজ্ঞানকে ডিফাইন করা যাবে না। একাদশ শতাব্দীতে যখন বিজ্ঞান আজকের মতো এতোটা ডিফাইন ছিল না তখন না হয় এ কথা বলা সাজে - কিন্তু আজকের প্রেক্ষিতে এ কথাটা কি বিশ্বা করা যায়? অথচ ইন্টারপ্রেটার হিসেবে ঈমাম গাজ্জালীই মুসলিম বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে আছে।
আরো কিছু লেখার ইচ্ছে ছিল। পরে লিখবো।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
অন্ধবিশ্বাস বলে আবার আমি কোন ধর্মকে আঘাত করছি না। ইহুদীরা মুসলমানদের মতোই নিজেদের ধর্ম পালন করে, ভালবাসে। কিন্তু তাদের ইন্টারপ্রেটাররা সবসময়ই আপডেটেট। এ কারণে তারা সংখ্যায় কম হওয়া সত্ত্বেও জ্ঞান চর্চার কারণে ্মিডিয়া, ব্যবসা-বানিজ্য, রাজনীতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান, সৃষ্টিশীলতা সব কিছুতেই শীর্ষে রয়েছে। ইস্রআইলের দিকে তাকালেই এদের শক্তির প্রমান পাওয়া যায়। মুসলমানরা সংখ্যায় যেভাবে বাড়ছে জ্ঞান-বিজ্ঞানে সেভাবে বিকশিত হচ্ছে না। কাউকে যদি ঘৃণাও করতে হয় তবে সে ঘৃণা করার যোগ্যতাটুকু অর্জন করা উচিত প্রথমে। তুচ্ছের ঘৃণাকে কেউ পাত্তা দেয়না।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
এটা খুব ভালো বলেছেন আপু! :thumbup: :thumbup:
আমার মনে হয় কেবল ইহুদি বা হিন্দু বলে কাউকে ঘৃণা করা একটা অমানবিক আচরণ। ঠিক তেমনি কেবল মুসলমান বলে কাউকে ভাই বলে গলায় টেনে নেয়াও অনুচিত। মানুষের কাজ দিয়ে তাকে বিচার করতে হয়, পারিবারিক ধর্ম দিয়ে না।
আমি কোন ঘৃণাতত্বেই বিশ্বাস করি না। ঘৃণার কথাটা আমি উল্লেখ করেছি রক্ষণশীল দৃষ্টিভংগির প্রেক্ষিতে। একজন জাতীয়বাদী হিসেবে তুমি একজন পাকিস্তানী ঘৃণা করতে পার, একজন প্যালেস্তাইনী ইস্রআইলীকে ঘৃণআ করতে পারে। এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমার অভিধান থেকে ঘৃণআটা বাদ দ্দিতে চাচ্ছি।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপু আমি জাতীয়তাবাদী হিসেবে পাকিদের ঘৃণা করি না। পাকিস্তানিদের ঘৃণা করার জন্যে এতো বড়ো "বৈশিষ্ট্য" ধারণের দরকার পড়ে না। তারপরেও যদি ঘৃণার পেছনে কারণ জানতে চান, তবে বলতে পারি, কোন জাতিকে নিশ্চিহ্ন করতে চাওয়া জাতিগোষ্ঠী হিসেবে পাকিস্তানিরা ঘৃণা পেলে অনেক কমই পাবে। 🙂
ঘৃণা আর সকল অনুভূতির মতোই একটা মানবিক অনুভূতি। পরম ঘৃণাশূন্যতা ঠিক মানবিক কী?
মজার ব্যাপার কি জান, আমরা সহজাত যে সকল মানবিক অনুভূতি নিয়ে জন্মগ্রহন করি, সারাজীবন ধরে সে সব সহজাত অনুভূতিগুলোর হাতে পায়ে শিকল বেঁধে সভ্য বভ্য হওয়ার চেষ্টা চালাই।
যেমন আগে গুহা মানবেরা নারীদের উপর ঝাপিয়ে পরতো। এখন কোন ছেলে এই কাজ করলে সে অসভ্য হয়ে যাবে - একদম পশু শ্রেনীর সমতূল্য হয়ে পড়বে। তাই সহজাত প্রবৃত্তি যে যতটা পারে লুকিয়ে চুকিয়ে বা বংশানুক্রমিকভাবে তাকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত অনুভূতি ধারণ করার চেষ্টা করে। তাই সভ্য ছেলেরা কবিতা লেখে, মিষ্টি মিষ্টি প্রেমপত্র লেখে কিম্বা কিছুই করে না।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপু,
আদিম মানুষেরা কি কেবল ঝাঁপিয়েই পড়তো? ভালোও বাসতো বটে। নাহলে ঝাঁপাঝাঁপিতে আর কাটাকুটিতে সব মরে নাশ হয়ে যেত, গোত্র-গোষ্ঠী টিকতো না।
ঠিক একইভাবে, এখনও নরম প্রেমপত্রের পাশাপাশি এসিড ছুঁড়ে দেয় কেউ কেউ। ঝাঁপিয়ে পড়া বা এসিড ছুঁড়ে দেয়া তো সন্ত্রাস। ঘৃণা কি সন্ত্রাস?
পাকিস্তানের প্রতি বাঙালির ঘৃণা আসে নির্যাতনের পরে, সুবিচার বা সুরাহা না পেয়ে। এটা সহজাত। পাশাপাশি যৌক্তিকও বটে। 🙂
আপু, আপনার মন্তব্যটা খুব ভাল লাগল। বেশীরভাগ সময়ই, বিভিন্ন আড্ডায় দেখি কেউ যদি ইসলাম ধর্ম নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলতেও যায়, তাহলে তাকে বেশিরভাগ সময়ই, "তুমি বেশি বুঝ মিয়া" বলে থামিয়ে দেয়া হয়। একবার, এটা আমার জন্য "পলিটিক্যালি incorrect" জেনেও, আমার এক মুসলিম বন্ধুকে প্রশ্ন করেছিলামঃ "তোর কি মনে হয়, সারা বিশ্বে কেন সবার সাথেই মুসলিমদেরই মারামারি হচ্ছে? কই হিন্দুদের সাথে খৃষ্টানদের, বা খৃষ্টানদের সাথে বৌদ্ধদের কোন মারামারির খবর তো পাই না?", তার উত্তর ছিলঃ "সবাই আসলে মুসলমানদের ভয় পায়। কারন তারাই পরবর্তি সুপার পাওয়ার। এজন্যই সবাই তাদের দমায়া রাখতে চায়।" শুনে আমার মনে হয়েছিল, বাহ, এরকম করে যদি কেউ নিজের মনে সবকিছু ভ্যালিডেট করে নেয়, তাইলে তো আসলে ব্যাপারটা অনেক সোজা হয়ে যায়। আপনার মন্তব্যটা পড়ে আবার তার সেই উত্তরটার কথা মনে পড়ে গেল।
সুমন্ত,
বেশ বলেছিস।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ধন্যবাদ আপা।
প্রশ্ন করলেই তো বিপদ।
আগে আমার এক লেখায় কমেন্ট করলেন; উত্তর দিলাম; প্রশ্ন ও করলাম কিন্তু জবাব পাইলাম না।
যাই হোক বাদ দেন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
পিছনের পোস্টে গিয়ে দেখে আসলাম তোমার প্রশ্ন। ক্যাডেট কলেজ ছেড়েছি ২০ বছর। একদম কাছের কিছু মানুষ ছাড়া তেমন কারো খোঁজ আমার জানা নেই।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
পোস্ট টা ভালো লেগেছে।
মজা হচ্ছে বিশ্বাসের ধর্ম আর আচরি ধর্ম এতটাই আলাদা যে আসলে ধর্ম বলতে আমরা যা পালন করি সেটা হলো কিছু সাবকন্টিনেন্ট জগা খিচুড়ি রিচুয়াল। একদিকে আমরা মুসলিম হয়ে হিন্দুদের ঘৃণা করি আবার নিজের বিয়ের সময় গায়ে হলুদ নামের হিন্দু প্রথা ঠিকই বেছে নেই। পোশাক লেবাসে ধর্মের বুলি আউরে ফেলি আবার যখন দেখি ধর্মীয় বিধান আমার বিরুদ্ধে যাচ্ছে বা অর্থনৈতিক ক্ষতি ঘটাচ্ছে তখন নানা ওজর দেখায়া সেটা জায়েজ করি। ধর্মের প্রতি আমার বরাবরই শ্রদ্ধা আছে কিন্তু ধার্মিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নাই। ধর্মের নামে ভন্ডামি দেখলে মেজাজ খালি খারাপই হয়।
তাবলীগ হচ্ছে একটা সমাজের জন্য বিরক্তিকর এবং ক্ষতিকরএকটা জিনিস। এটা বুদ্ধিমান মানুষকে ভেজিটেশনের দিকে ঠেলে দেয়। ( এটা আমি শুধু পর্যবেক্ষণ থেকে না, তাবলীগে গিয়ে ঘুরে মানুষজনের চিন্তাভাবনা তাদের ব্যাক্তিগত আচরি দেখেই বলছি)।
ভেজিটেশনটা কোন ধরনের, একটু ব্যাখ্যা কর। নাহলে আবার কনফিউশন হতে পারে, বা কেউ ভুল বুঝতে পারে।
ভেজিটেশনের প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যায় যেতে চাইনি ভেজাল এড়াতেই। আর আমার কথা খুবই স্পষ্ট। এতে ভুল বুঝারও তেমন কোন অবকাশ নাই। তারপরেও যদি কেউ ডাউট দেয় আমি আমার বক্তব্য ব্যাখ্যা করতে প্রস্তুত। আপাতত ভেজিটেশন প্রক্রিয়া বলতে মানুষের "কমন সেন্স" লোপ পাওয়ার কথাই বলেছি। তাবলীগের সমস্যা হচ্ছে পুরা সিস্টেম ডিজাইন করা সাধারণ মানুষকে মানবিক বোধ শূন্য হিসাবে কনসিডার করে। তাই এতে ঢুকে যাওয়া মানুষগুলোও আশেপাশের মানুষদের মানবিক বোধ শূন্য ভাবতে শুরু করে।
আর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যে ব্যাপার সেটা হলো নিজেদের বিচার ক্ষমতার আত্মবিশ্বাসকে নাশ করা। আমি বুঝব আমি পারব এই বোধ থাকে না বরং বুঝবেন "আলেম " রা সো আমি যে কোন জায়গায় তাদের ডিশিসন শুনবো। এই রকম মনোভাব শুধু যে ব্যাক্তির ক্ষতি তাই না , সেই ব্যাক্তি তার আশেপাশের মানুষগুলোর জন্য বিপদজনক ও বটে। নিজের অধিকার বা প্রয়োজনের বোধগুলোও খুব কৌশলে বিনাশ করা হয়। আর তার প্রয়োজন ডিফাইন হয় সিস্টেমের দ্বারা। চিন্তাশূন্যতায় আক্রান্ত জম্বীর ন্যায় আচরণের এই প্রক্রিয়া আমি ভেজিটেশন বলবো।
এ ব্যাপারে আমি আড়েকটা মজার ব্যাপার বলি, তাবলীগের লোকের মধ্য সংখ্যাগরিষ্ঠরা হচ্ছে উপমহাদেশ কিংবা আফ্রিকা বা মোটা দাগে বললে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর। মনে হয় আমি আমার বক্তব্য বুঝাতে পেরেছি। স্পেসিফিক আলোচনায় কেউ যেতে চাইলে তার সাথে আলোচনা করতে আমি প্রস্তুত।
:thumbup: :thumbup:
কথাটা কেমন জানি এলোমেলো হয়ে গেল। ধার্মিক কে, যিনি নিষ্ঠার সাথে ধর্ম পালন করেন। তাহলে ধর্ম যদি শ্রদ্ধার পাত্র হয়, তবে ধার্মিকও তাই হবে। তবে তুমি হয়তো বলতে চাও, যারা ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি করে বা লোক দেখানো কাজ করে, তাদেরকে ঘৃণা কর, তাহলে কথাটার মিল থাকে।
নঈম ভাই,
আমিন ছেলেটা বোধহয় তথাকথিত ধর্মানুসারীদের বুঝিয়েছে।
নইলে যে হারে লোকে ধরমাচারন করছে; তাতে এতো সামাজিক অপরাধ হয় কি করে?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজিব ভাই খুব ভালো লাগলো পড়ে :boss:
নাজমুল,
ধন্যবাদ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ধর্মবিষয়ক আলোচনার সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে একটি ফ্লো চার্ট আমার সংগ্রহে আছে।এটা শেয়ার করতে চাই............।
https://lh5.googleusercontent.com/-rSwwf3fL17A/TWuyVKq1H8I/AAAAAAAACOk/RTtNK-5gamY/s1600/How+muslim+debates2.jpg
ফ্লো চার্ট সংগ্রহে রাখলাম।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আসিফ,
ধন্যবাদ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
একটা জিনিস খুব স্পষ্ট।
ধর্ম বিষয়ক লেখা হলো বিশ্বাসী vs অবিশ্বাসীদের কাদা ছোড়াছুড়ির playground.
আপনার কথাগুলা এতটাই লজিক্যাল যে কোনভাবেই ফেলতে পারলাম না।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার জয় হোক।
আবেদিন,
ধন্যবাদ।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার জয় হোক।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
নিচের বই দুটো পড়লে ধোঁয়াশা কিছুটা হলেও পরিষ্কার হতে পারে। অনুবাদ বের করেছে সন্দেশ প্রকাশনী।
১। ইসলাম : এ শর্ট হিস্ট্রি - ক্যারেন আর্মস্ট্রং
২। মুহাম্মদ : এ বায়োগ্রাফি অব দ্য প্রফেট - ক্যারেন আর্মস্ট্রং
লেখিকা কম্পারেটিভ রিলিজিয়ন বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ। দেখতে পারেন- http://en.wikipedia.org/wiki/Karen_Armstrong
আপনি ভাই না বোন ঠিক বুঝতে পারছিনা। যাই হোক বই দুটির নাম দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ইসলামকে বোঝার জন্য কি কোরআন, কোরআনের অনুবাদ, তাফসির, হাদিস কি যথেষ্ট নয়?
মুসলমানদের চরিত্রের এই জিনিশটা বোঝা দুঃসাধ্য। কোরআন হাদিসের প্রুফের জন্য পচ্চিমে দৌড়াইতে হয়।
যাই হোক ধন্যবাদ।
তবে একটা কথা আমার মনে কোনো কুয়াশা নাই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ