বাঙলা পাঠ্য বই – হিন্দুয়ানী প্রভাব (১ম শ্রেণি বাঙলা বই)

২০১৩ সালের শিক্ষাবর্ষ থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড থেকে নতুন পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা হয়। এতে পুরানো বইগুলো কে আধুনিকিকরণ করা হয়, পরিমার্জন, পরিবর্ধন করা হয়। আমরা বাঙাল রা যেকোন পরিবর্তন কেই সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখি। নতুন পাঠ্যপুস্তক ও সন্দেহের চোখে পড়বে এটা বুঝে ওঠার জন্য বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। প্রায় শুরু থেকেই নতুন পাঠ্যবই গুলি কে চিহ্নিত করা হয় হিন্দুয়ানি দোষে দুষ্ট। রোজা চলছে, এই সুযোগে গত কিছুদিন যাবৎ এই প্রপাগান্ডা চলছে বেশ জোড়েসোড়ে। নতুন শিক্ষাক্রমের অন্যতম ভালো দিক হলো বইগুলো এখন অনলাইনে পাওয়া যায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকার কে এই ব্যাপারে ধন্যবাদ দিতেই হয়। যাই হোক, ভাবলাম যেহেতু বইগুলো পাওয়া যাচ্ছেই হাতের নাগালে তাই একটু নেড়েচেড়ে দেখি ই না কতোটা হিন্দুয়ানি হলো আমাদের বাঙলা কিতাব। কিংবা কিভাবে খৎনা করা লিঙ্গ এর অগ্রত্বক কিভাবে জোড়া লাগানো হলো সেই অপার রহস্যের সন্ধান করি।

১ম শ্রেণি বাঙলা বইঃ

কিতাবটির প্রচ্ছদ চমৎকার। একপাশে দুটি ছেলেমেয়ে লাটিম খেলছে। আরেকপাশে দুটি ছেলেমেয়ে হেসেখেলে বেড়াচ্ছে। আকাশে মেঘ, পাখি উড়ছে, পিছনে বন।
বাংলা বই ১ম শ্রেণি
কিতাবটির সংকলন, রচনা ও সম্পাদনা করেছেন শফিউল আলল, মাহবুবুল হক, সৈয়দ আজিজুল হক, নূরজাহান বেগম।
পরিমার্জনে শফিক আহমেদ শিবলী, গৌরাঙ্গ লাল সরকার, মোঃ তৈয়বুর রহমান, নাছিমা বেগম ও উত্তম কুমার ধর।
শিল্প সম্পাদনায় হাশেম খান।
চিত্রাঙ্কন হাশেম খান ও মোঃ আব্দুল মোমেন মিল্টন।
প্রথম মুদ্রণঃ সেপ্টেম্বর, ২০১২।
পুনর্মুদ্রণঃ সেপ্টেম্বর, ২০১৫।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা এর চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র পাল চমৎকার ভূমিকা লিখেছেন।

প্রসঙ্গ-কথা ১ম শ্রেণি বাঙলা

এছাড়া রয়েছে পাঠ্যপুস্তক ব্যবহার সম্পর্কে নির্দেশনা যা আগে কখনো দেখেছি বলে মনে পড়ে না। এই সংযোজন টিকেও বিনা দ্বিধায় ইতিবাচক বলা যায়।
নির্দেশনা ১ নির্দেশনা ২

কিতাবটির শুরুতেই আমাদের জাতীয় পতাকার ছবি, মাপ ইত্যাদি বিষয়ক তথ্য। নিঃসন্দেহে এটি অত্যন্ত জরুরি। শিশু বয়স থেকে জাতীয় পতাকার সাথে পরিচয় আমাদের কে বাঙালি জাতিয়তাবাদ, আত্মপরিচয়, মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা দিতে সাহায্য করবে। জাতীয় পতাকা

২য় পাতাতেই আমাদের জাতীয় সংগীত আমার সোনার বাঙলা। এবং জাতীয় সংগীত হিসেবে গাইবার জন্য পূর্ণপাঠ। আমার ব্যক্তিগত অভিমত শিশুদের জন্য এই পূর্ণপাঠ অত্যন্ত উপযোগি।
জাতীয় সংগীত

১ম পৃষ্ঠায় দেখা যাচ্ছে দুই ভাই-বোন স্কুলে যাচ্ছে, মা লাউয়ের মাচায় কাজ করছে, বাবা মূলা ক্ষেতে কাজ করছে। সন্তানেরা বাবা-মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছে, বাবা-মা বিদায় দিচ্ছে। বোনটি স্কার্ট পরা, মাথায় ফুল; মা র মাথায় শাড়ি কিন্তু হিজাব নাই; বাবার মুখে দাড়ি নাই।

ইস্কুলে সহপাঠীদের নামগুলো মিশ্র, যেমন নামগুলো দেখে বুঝা যায় ক্লাসটিতে হিন্দু, মুসলিম সহ আদিবাসী রাও রয়েছে।

শিশুদের খেলাধূলার একটি ছবি রয়েছে পৃষ্ঠা ৪ এ, একটি মেয়ের পোষাক দেখে মনে হচ্ছে আদিবাসী, এছাড়া শিশু খেলছে ক্রাচে ভর দিয়ে (খুব সম্ভবত পঙ্গু)।

“আতা গাছে তোতা পাখি
ডালিম গাছে মউ।
এত ডাকি তবু কথা
কও না কেন বউ।”  পৃষ্ঠা ৫।

পৃষ্ঠা ১১ তে একটি ভয়ংকর কাজ করা হয়েছে। পাঠ ৭ এই শিরোনামে দিয়ে শব্দ বানানো হয়েছে জ, অর্থাৎ ছাগল। ভাবা যায়!!!

পৃষ্ঠা ১৪ তে দিয়ে শব্দ বানানো হয়েছে ঋতু যায়। ঋতু আসে। ষি ঐ বসে আছে। ঋষি তে অনেকের আপত্তি। অথচ পৃষ্ঠা ১৩ তে আছে ট চলে। উষা কালে।

পৃষ্ঠা ১৫ তে বাউল কতারা বাজাচ্ছে মেলায়। (কী ভয়ংকর!!!)

“ইতল বিতল গাছের পাতা
গাছের তলায় ব্যাঙের ছাতা।
বৃষ্টি পড়ে ভাঙে ছাতা
ডোবায় ডুবে ব্যাঙের মাথা।” ইতল বিতল – সুফিয়া কামাল। পৃষ্ঠা ১৮। যেহেতু সুফিয়া কামাল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়েছিলেন তাই তিনি নাস্তিক। এছাড়া ও তিনি সমাজের প্রয়োজন রয়েছে পতিতালয়ের বলেছিলেন। তার লেখা ছড়া কিভাবে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হয় এটাই বিস্ময়ের!!!!

পৃষ্ঠা ২৪ ও ২৬ এ শিশু টি ঢাক ও তবলা বাজাচ্ছে।(কী ভয়ংকর!!!)

“বাক বাকুম পায়রা
মাথায় দিয়ে টায়রা
বৌ সাজবে কাল কি
চড়বে সোনার পালকি।” পৃষ্ঠা ৩০ – রোকনুজ্জামান খান। কবির নামের পাশে ব্রাকেটে দাদাভাই শব্দ থাকতে পারতো। শিশুরা তখন শিক্ষকদের জিজ্ঞাসা করতো উনার নামের পাশে দাদাভাই ক্যানো। এভাবেই তো জানার আগ্রহ তৈরি হয়।

পৃষ্ঠা ৩২ এ দিয়ে শব্দ তৈরি করা হয়েছে থ টানি। রথ অনেক মুসলিম এর গায়ে আগুন ধরিয়েছে। কারণ পৃষ্ঠা ২৮ এ দিয়ে শব্দ তৈরি করা হয়েছে গ ডালে য়না দোলে। অথচ হতে পারতো সজিদে মুয়াজ্জিন আজান দেয়।
পৃষ্ঠা ৩৯ এ সুকুমার রায় (উহ্যনাম পন্ডিত) নামে ব্রাহ্ম ব্যক্তির হনহন পনপন নামে ছড়া রয়েছে। ভাবা যায়!!!
“চলে হনহন
ছোটে পনপন
ঘোরে বনবন
কাজে ঠনঠন
বায়ু শনশন
শীতে কনকন
কাশি খনখন
ফোঁড়া টনটন
থালা ঝনঝন”

পৃষ্ঠা ৮২ এ জসীমউদ্দীন এর মামার বাড়ি ছড়া রয়েছে।
“আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা
ফুল তুলিতে যাই,
ফুলের মালা গলায় দিয়ে
মামার বাড়ি যাই।

ঝড়ের দিনে মামার দেশে
আম কুড়াতে সুখ,
পাকা জামের মধুর রসে
রঙিন করি মুখ। ”

এখন সময় এইসব ছড়াগুলোকে যুগোপযুগি করার। যেমনঃ
“আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা
কোরান শিখতে যাই,
টুপি পরে, হিজাব পরে মক্তবেতে যাই।
রোজার দিনে মক্তবেতে কোরান শেখায় সুখ
আল্লাহর কালাম মধু রসে
রাঙাই অন্তর।” 

পৃষ্ঠা ৪৬ এ কার দিয়ে শব্দ তৈরি করা হয়েছে বীণা আনি। গীত শুনি। ওয়াস্তাগফিরুল্লাহ ছাড়া আর কিছু বের হলো না মুখ থেকে।

পৃষ্ঠা ৪৭ এ কার দিয়ে শব্দ তৈরি করা হয়েছে খুকুর ঘুঙুর। ঝুমুঝুমুর। মুমুর পুতুল। আমের মুকুল। উফ!!! ঘুঙুরের ঝুমুর ঝুমুর আর পুতুল আমার ধর্ম কে এতো জোড়ে আঘাত করেছে যে আমার বাকরুদ্ধ হয়ে আসছে।
এর পরের পৃষ্টাতেই ৪৮ এ রয়েছে কার দিয়ে মৌউর যায়। নূপুর পায়। বেদ্বীন, বেদ্বীন..

পৃষ্ঠা ৫২ তেও বাদ্যবাজনার প্রতি ঝোঁক তৈরি করা হয়েছে। লোপা বসে ছোলা খাছে আর তার পাশেই ঢোল। পরের ছবিতেই খোকা ঢোল বাজাচ্ছে। লেখা, ঢোল হাতে খোকা হাসে। ক্জান দিতে পারতো না, খোকা বসে কোরান পড়ে।

পৃষ্ঠা ৫৬ তে রয়েছে কাজী নজরুল ইসলাম এর ছড়া ভোর হলো।
“ভোর হলো দোর খোল
খুকুমণি ওঠ রে,
ঐ ডাকে জুঁই-শাখে
ফুল-খুকি ছোট রে।
খুলি হাল তুলি পাল
ঐ তরি চলল,
এইবার এইবার
খুকু চোখ খুলল।
আলসে নয় সে
ওঠে রোজ সকালে,
রোজ তাই চাঁদা ভাই
টিপ দেয় কপালে।” মুসলিম চিন্তাচেতনার অগ্রদূত নজরুল এর কবিতা কিতাব এর শুরু তে না দিয়ে প্রায় শেষে দেয়াটা বাঙলার মুসলিম দের অপমান করার শামিল।

পৃষ্ঠা ৬০ এ মায়ের ভালোবাসা নামে পাখির বাচ্চা দের প্রতি মা পাখির ভালোবাসা ও এ সংক্রান্ত নবী মুহাম্মদ এর কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। দুঃখের বিষয় মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) লিখেছে, (সাঃ)  লিখে নাই।

পৃষ্ঠা ৬২ তে রয়েছে মুমুর সাতদিন
মুমু রোজা স্কুলে যায়। লেখাপড়া করে।
শনিবার সে পড়ার টেবিল সাজায় (কোরান পড়ে)
রবিবার সে বাগান দেখাশোনা করে (কোরান পড়ে)
সোমাবার গান শেখে (কোরান পড়ে)
মঙ্গলবার সাঁতার কাটে(কোরান পড়ে)
বুধবার নিজের ঘর সাফ করে(কোরান পড়ে)
বৃহস্পতিবার ছবি আঁকে(কোরান পড়ে)
শুক্রবার ছুটির দিন।
ওইদিন সে খেলাধুলা করে( দ্বিগুণ কোরান পড়ে)

পৃষ্ঠা ৬৮ তে বাঙলাদেশের নান বিষয়ে বলা হয়েছে। অথচ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে কিছু বলা হয় নাই। মদীনা সনদে দেশ চলে এটাও বলা হয় নাই। জাতীয় মসজিদ নিয়েও কিছু বলা নাই।

পৃষ্ঠা ৭০ এ রয়েছে বৃটিশ দালাল ব্রাহ্ম কবি জমিদার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ছুটি ছড়াগান টি
“মেঘের কোলে রোদ হেসেছে
বাদল গেছে টুটি,
আজ আমাদের ছুটি ও ভাই,
আজ আমাদের ছুটি।
কী করি আজ ভেবে না পাই
পথ হারিয়ে কোন বনে যাই,
কোন মাঠে যে ছুটে বেড়াই
সকল ছেলে জুটই,
আজ আমাদের ছুটি ও ভাই।
আজ আমাদের ছুটি। ”

পৃষ্ঠা ৭১ এ বেশ বড় করে আছে বঙ্গবন্ধুর ছবি এবং তার ডাকে যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে এরকম কথা। অথচ অকুতোভয় বীর মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ডাক দেন। তার ডাকে বাঙালি যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করে। দেশ কে সঠিক দিকনির্দেশনা দেবার অভিপ্রায়ে দেশের আহবানে তিনি প্রেসিডেন্ট পদ গ্রহণ করেন। তিনি ই বাঙলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট এবং বাঙলাদেশ রাষ্ট্র র পিতাও লেঃ জেনারেল জিয়াউর রহমান বীর উত্তম (হিলালে জুরাত)

পুরো কিতাবটিতে শিশু দের নানা নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যেমনঃ অমি, ইমন, ঈশিতা, ঋতু, ঊর্মি, উমং, ঐশী, ঔছন, আলো, খুকু, মুমু, লোপা, খোকা, শুভ, রুবি, সোমা, তিনা, দীপু। অথচ দুঃখের বিষয় ওমরএনাম বাদে আর কোন মুসলিম নাম এর দেখা পাওয়া যায় নি।

ভালো কথা এই সুযোগে আমরা একটু স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ ঝালাই করে নিই।
বাঙলা বর্ণমালা

কিতাবটির শেষ পাতা খালি রাখা হয় নি। বলা হয়েছে বড়দের সম্মান কর। একইসাথে ছবিতে দেখা যাচ্ছে যিনি বড় তিনি শিশুটিকে আদর করছেন।
১ম শ্রেণি বাঙলা বই শেষ পাতা

সবাই ভালো থাকবেন। ২য় শ্রেণি বাঙলা বই নিয়ে আসছি শীঘ্রই।
আর ১ম শ্রেণি র বাঙলা বই ডাউনলোড করতে পারবেন এখান থেকে। ক্লিক করুন।
আসুন আমরা সবাই মিলে ঈমানি জোশে বলীয়ান হয়ে বখতিয়ারের বাঙলায় মালাউনি আধিপত্যবাদ রুখে দিই।
আসুন বলি একযোগে, নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার।
সবাই কে রামাদান এর ঈমানি শুভেচ্ছা।

৮ টি মন্তব্য : “বাঙলা পাঠ্য বই – হিন্দুয়ানী প্রভাব (১ম শ্রেণি বাঙলা বই)”

    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      ধন্যবাদ আপা মন্তব্যের জন্য।
      একবার ভেবেছিলাম ক্লাস ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত এক লেখায় আর সিক্স থেকে টেন পর্যন্ত আরেক লেখায় দিবো। কিন্তু লেখা খুব বেশই বড়ো হয়ে যাবে সেক্ষেত্রে তাই ওভাবে দিলাম না। তাছাড়া এভাবে দিলে ঐ ক্লাসের কিছু কবিতা ছরা ও তুলে দেয়া যাবে। যারা কষ্ট করে পড়বে তাদের কিছু টা অতীত রোমন্থন ও হবে।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
  1. মুজিব (১৯৮৬-৯২)

    দারুণ হয়েছে রাজীব। :thumbup: :thumbup:
    একটু যোগ করি, বোধ হয় তোমার চোখ এড়িয়ে গেছে, এই বইয়ের ২২ পৃষ্ঠায় (পাঠ ১৭) লিখেছে "জল নামে ঝড় থামে " !!! কেন, এখানে "জালিম হঠাও ঝাণ্ডা হাতে" লেখা যেত না? 😡 x-( x-( x-(
    - এর পরেও কি তোমরা মানবে না যে দেশে হিন্দুয়ানী কায়েম হয়ে গেছে! 😛

    বাকি পর্ব গুলোর অপেক্ষায় থাকলাম, তাড়াতাড়ি নামিয়ে ফেল।


    গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।