২০০৮ বা ২০০৯ সালে রোজা বা কুরবানির ঈদে মাচাক্কালি নামে এক ড্রেস জনপ্রিয় হয়। মাচাক্কালি কোন এক হিন্দি ছবির গানের নাম, আর সেই গানে নায়িকা কি এক পোষাক পড়েছিলো তাই হয়ে যায় মাচাক্কালি ড্রেস। এক ছোটভাই যখন আমাকে এটা জানিয়েছিলো তখন বেশ হেসেছিলাম। কি নামের ছিরি।
মুখের সেই হাসি আর হাসি থাকেনি। গেলো বছর মনে হয় বাজার মাত করলো সানি লিওন ড্রেস। এহ! সানি লিওন টা কে? সানি লিওন হিন্দি ছবিতে অভিনয় করে। তার কোন ছবি দূর্ভাগ্যক্রমে দেখা হয়ে ওঠে নি। নাকি ভুল বললাম! যখন জানলাম সানি লিওন নামে এক পর্ণ তারকা হিন্দি ছবিতে অভিনয় শুরু করেছেন তখন ইন্টার্নেটে খোঁজ করে সানির কিছু ছবি দেখেছি বৈকি। অস্বীকার করার উপায় নেই সানির চেহারা সুন্দর, আকর্ষণীয়, যৌনাবেদন পুরো মাত্রায় রয়েছে। ইউ টিউবে সার্চ দিলে সানির বেশ কিছু নিরোধের এড পাওয়া যায়। বেশ উত্তেজক।
যুক্তরাষ্ট্রে মূল ধারার ছায়াছবির পাশাপাশি পর্ণ ছবির জন্য পুরষ্কার দেয়া হয়। সেজন্য আলাদা করে আয়োজন করা করা হয় বিশাল অনুষ্ঠানের ঠিক যেমন আয়োজন করা হয় অস্কারের। একবার এই অনুষ্ঠান দেখার সৌভাগ্য হয়েছিলো। সেই যাত্রায় পর্ণ ছবির অনেক দিকপালের নাম জেনেছিলাম।
তো সানি লিওন নামে এক পর্ণ অভিনেতা মূল ধারার হিন্দি ছবিতে আসবে তাতে আমার কি! ভারত আমার দেশ নয়। এছাড়া আমি হিন্দি ছবির অনুরাগী নই। তবে কালেভদ্রে ওরাও ভালো চবি করে। তখন সময় সুযোগ পেলে দেখি অস্বীকার করবো না। এছাড়াও পুরানো কালের হিন্দি ছবি খুঁজে বের করে দেখি বৈকি। সে যুগে নারী পণ্য ছিলো না, অন্তত ছবি দেখে তা মনে হতো না। ব্যাক্তিগত জীবনে সেই সময়ের নায়িকাদের এক বা একাধিক অনুরাগী থাকতে পারে কিন্তু সিনেমার পর্দায় তারা বেশ শালীন ছিলেন, অন্তত তাদের পণ্য মনে হতো না। আমার যতদূর মনে পড়ে একমাত্র নার্গিস এর এক্সপ্রেশন নিয়ে আমার আপত্তি ছিলো বা আছে। যদিও বড়রা আমাকে বলেছিলো এটাই তার স্টাইল। আমার প্রিয় হচ্ছে মধুবালা, মীনা কুমারী, বৈজয়ন্তী মালা আর ওয়াহিদা রেহমান।
হুমায়ুন আজাদ তো বলেছেন, ” আগে কাননবালারা আসতো পতিতালয় থেকে, এখন আসে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ” (১০- প্রবচনগুচ্ছ)
এখন যদি সানি লিওন আবার পর্ণ ছবি থেকে আসে তবে সমস্যা কোথায়!
উল্লেখ্য নার্গিসের মা ও বাঈজী ছিলেন।
এটা সত্য যে ছায়াছবির নায়িকাদের আকর্ষণীয় হলে ভালো লাগে, অন্তত চোখে শান্তি পাওয়া যায়। কিন্তু শুধু শরীর দিয়ে বা দেখিয়ে কি অভিনেতা হওয়া যায়? হয়তো আজকাল যায়। আজ হয়তো শরীরটাই মূখ্য। আজ নাটক-সিনেমায়-মডেলিং এ মেয়েরা শুধুই প্রডাক্ট, আরো নির্দিষ্ট করে বললে যৌনসামগ্রী।
যাই হোক সানি লিওন ভারতে সিনেমা করুন আর যা খুশি করুন তার/ তাদের ব্যাপার। কিন্তু আমাদের দেশের মেয়েরা যখন সানি লিওন পোষাক কেনার জন্য পাগল হয়, ঈদে যখন মেয়েদের পছন্দের পোষাকের তালিকায় সানি লিওন এক নম্বর থাকে তখন বিচলিত হই। সেইসাথে এই ভাবনাও মনকে আক্রান্ত করে সানি লিওন ড্রেস কেনা ও পরিধানের বিষয়টা কি নারীমুক্তির মধ্যে পড়ে? আমি কি নারীমুক্তির বিরুদ্ধে? আমি কি শঠ, ভেক ধরে আছি? আমি তো দৌলতদিয়া, টানবাজার, ইংলিশ রোড, বেবি স্ট্যান্ড এর মেয়েদের পক্ষে কথা বলি তাহলে সানি কি দোষ করলো? উত্তর হয়তো পাওয়া যাবে এখানে,
” পৃথিবী জুড়ে প্রতিটি নরনারী এখন মনে করে তাদের জীবন ব্যর্থ; কেননা তারা অভিনেতা বা অভিনেত্রী হ’তে পারে নি ” (হু আজাদ প্র – ৫৫)
আমার ধারণা বাঙলাদেশের সচেতন মহল ভারতীয় এই কালচার, স্টার জলসা, হিন্দি সিরিয়াল এর এহেন অবস্থা দেখে লজ্জা পান এবং শংকিত বোধ করেন। হয়তো এই সচেতন মহলের বড় এক টা অংশের বাসাতেই আবার এইসব হিন্দি সিরিয়াল বা স্টার জলসা চলে। হয়তো বা পাওয়ার অফ ওমেনের কাছে তারা পরাজিত। তবে সত্য এই যে ছেলেরাও এইসব সিরিয়াল দেখে।
অনেককাল আগে ২০০৩-০৪ এর দিকে হয়তো আমি নিজেও প্রায় সপ্তাহখানেক হিন্দি সিরিয়াল দেখেছিলাম। সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি সব সিরিয়াল দেখলাম। একটা সিরিয়ালে দেখলাম ডাইনিং হলেই পার করে দিলো পুরা সপ্তাহ। আরেকটায় হসপিটালে কাটিয়ে দিলো পুরা সপ্তাহ। এরপর আর কখনো সিরিয়াল দেখতে আগ্রহী হই নি। তবে হ্যা লন্ডনে আসার পর ইউ টিউবে বা সিডিতে ৫১ বর্তী আর ৬৯ দেখেছিলাম।
কিন্তু এর থেকে মুক্তির উপায় কি?
পুঁজিবাদীরা আমাদের বাসায় বাসায় দিয়ে দিলো বোকা বাক্সো আর আমরা আরো বোকা হতে থাকলাম। আদালত মনে হয় এর মধ্যে স্টার জলসা নিয়ে কি একটা বলেছে।
আচ্ছা আমাদের বিবেক মানে সাংবাদিকরা কি করছেন এ ব্যাপারে। কি থাকছে তাদের দৈনিক পত্রিকাগুলোর বিনোদন পাতায়।
প্রথমেই আসা যাক প্রথম আলোর কথায়। প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক: মতিউর রহমান। একজন সুশীল ব্যক্তি ও অভিনব সম্পাদক হিসাবে মতিউর রহমানের বেশ নাম-ডাক রয়েছে। মতি ইউ আর ডেড হলদে এডিটর নামে একটি লেখা লিখেছিলাম বেশ কিছুদিন আগে। প্র আলোর সার্কুলেশন দৈনিক ৫ লক্ষ।
হুমায়ুন আহমেদ স্মরণে অনুষ্ঠান চমৎকার বিষয়।
এখন কথা হচ্ছে রণবীর ক্যাটরিনার নতুন বাড়ি
পরিণীতা মুখ দেখাবেন কিনা, কাকে দেখাবেন না,
কে কার বিয়েতে নিমন্ত্রণ পেলো বা পেলো না তাতে আমার বা আমাদের বাঙলাদেশের জণগণের কি আসে যায়?
উপরে ছিলো প্রথম আলোর গতকালকের বিনোদন নিউজ । আর নিচে আজকের বিনোদন নিউজ।
মাশাল্লাহ সালমান খানের ক্লোন পাওয়া গেছে।
ধুম নামে এক ছায়াছবি আছে। সেটায় শাহরুখ খানের ছেলে অভিনয় করবেন।
কঙ্গনা এখন? মানে কি? এই নায়িকা এখন কি করছেন।
এই গেলো আমাদের ১ নম্বর দৈনিক সংবাদপত্র প্রথম আলোর অবস্থা। এছাড়া আরো কয়েকটি পত্রিকার মতো প্রথম আলোতে ঢালিউড এর পাশাপাশি বলিউড এবং হলিউড বিভাগ রয়েছে।সেই সাথে প্রথম আলো পত্রিকায় পাকিস্থান প্রীতি বেশ লক্ষণীয়।
পাকিস্থানী সাংবাদিকদের প্রশ্নবিদ্ধ কলাম থেকে শুরু করে পাকিস্থান ক্রিকেট কে হাই লাইট করার ব্যাপারে তারা বেশ সুদক্ষ। আজকেও প্রথম পাতায় মডেল ওয়াসিম আকরামের আকু চেক সংক্রান্ত এড ছাপিয়েছে।
আজকের নিউজে পাওলি দাম ঢাকাকে করো ভালোবাসেন, রণবীরে কত্তো রাগ, শ্রীদেবীর ছবি।
এবার আসা যাক কালের কন্ঠ নামক পত্রিকাতে। কালের কন্ঠের সার্কুলেশন ২ লক্ষ ৫০ হাজার। কালের কন্ঠের সম্পাদক বিশিষ্ট উপন্যাসিক ইমদাদুল হক মিলন। উপদেষ্টা সম্পাদক আমিত হাবিব। প্রকাশক ইষ্ট ওয়েষ্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের পক্ষে ময়নাল হোসেন চৌধুরী।
এই পত্রিকাটি যে বাঙলাদেশের পাঠকদের জন্য ছাপানো হয় তা কে বলবে? এখানে পত্রিকাটির গত তিনদিনের অনলাইন বিনোদন পাতার চিত্র দেয়া হলো। কলকাতায় ফিল্ম সংক্রান্ত উৎসব উপলক্ষে অমিতাভ বচ্চন পরিবার কলকাতায়। অমিতাভ কচুরি খেলেন। বলিউডের সিনেমায় ভুল, মমতা কুলকার্নি মাদক সহ আটক, শাহরুখের আয়ের উপায়, ধুম ৪ , শাহরুখের ছেলে, অমিতাভের বাণী, কোলকাতায় স্টার জলসা বন্ধ থাকবে, ঋতুপর্ণা বাবুল কে অভিনন্দন জানালেন, বিক্রম ঘোষ, সনু নিগম, মালহোত্রা, সালমানের বোনের বিয়ে, আমির খান পিকে,
বিকিনি পরে গাড়ি ধুয়েছেন সানি, কলকাতার হট নায়িকা পাওলি দাম এখন ঢাকায়, নাসিরৌদ্দিন শাহ, নন্দনা, লতা মুঙ্গেশকর, শাহরুখের ছেলে ভিলেন, প্রসেনজিৎ, টুইটারে খোলামেলা পুজা, ইন্টারভিউ, আমির খান, হৃত্বিক, অন্তরঙ্গ দৃশ্যে বিপাশা,
পরিণীতি, ঋতু পাওলি, ঐশ্বরিয়া,
আর বা পাশে রয়েছে দীপিকা, সালমান আর অভিষেক।
অথচ কালের কন্ঠ বাঙলাদেশের একটি পত্রিকা।
বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকাটির সার্কুলেশন এখন এক নম্বরে ; ৫ লক্ষ ৫৩ হাজার। সম্পাদক নঈম নিজাম। প্রকাশক ইষ্ট ওয়েষ্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের পক্ষে ময়নাল হোসেন চৌধুরী।
আমির খানের প্রেম, সার্কিট আমির, পাওলি দাম ঢাকায়।
(ভুলবশত হৃদয়-সুজানা হাই লাইট হয়েছে)
যুগান্তর দৈনিক পত্রিকার সার্কুলেশন ২ লক্ষ ২১ হাজার। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম। প্রকাশক সালমা ইসলাম।
অবাক করা বিষয় এই যে এই পত্রিকার ভারত বা বলিউড প্রীতি বেশ কম অন্যান্য পত্রিকার তুলনায়।
কিং খান নামে একটা নুজ ছিলো গতকাল। আর আজকে শাহরুখ খান ঝাড়ু হাতে ভারত পরিষ্কার অভিযানে নামবেন না এই নিউজ। তবে নিঃসন্দেহে বলা যায় যে এদের রুচিবোধে সমস্যা রয়েছে। নয়তো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীনা ফাষ্ট লেডিকে ঠান্ডায় কষ্ট পেতে দেখলে চাদর দিয়ে জড়িয়ে দেন এই ভদ্রতার শিরোনাম আর যাই হোক চীনা ফার্ষ্ট লেডিকে হাত করতে চান পুতিন এই শিরোনাম দেবার কথা না।
তারপরো যুগান্তর পত্রিকাটিকে একটা ধন্যবাদ দিতেই হয়।
ইত্তেফাক বাঙলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী পত্রিকা। এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেন। উপদেষ্টা সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন। সার্কুলেশন ১ লক্ষ ৯৪ হাজার।
ছাপা হওয়া দৈনিক ইত্তেফাকে বিনোদন পাতায় শুধু মাত্র ভারতের কাজল কি করছেন না তাই শুধু আছে। কিন্তু দৈনিক ইত্তেফাকের অললাইন ভার্শনে চোখ বুলালে লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যায়।
একটু চোখ বুলান। ডানে- বামে।
শাহরুখ পুত্র,
বউ-শাশুড়ি,
শাহরুখ কলকাতায়,
কোহলির বিয়ে,
শাহরুখের সাথে জয়ার ছবি,
করণ জোহর,
সাঈফ,
দীপিকা,
দেব,
ইরফান খান
আরেকদিন পাওয়া গেলো
রণবীর কাকে ধাওয়া দিলেন,
কিল দিল,
রোহিত শর্মা,
হ্যাপি এনডিং,
মমতা,
ইত্যাদি ইত্যাদি। ।
দৈনিক আমাদের সময় খুঁজতে গিয়ে পেলাম আমাদের সময় ডট কম। প্রধান সম্পাদক হিসাবে নাম আছে নাঈমুল ইসলাম খান এর। কন্ট্রিবিউটিং এডিটর নাসিমা খান মন্টি। এক্সিকিউটিভ এডিটর রশিদ রিয়াজ। কপিরাটে লেখা ২০০৮ থেকে ২০১৪।
এদের বিনোদন নিউজে রয়েছে সালমান খান, দীপিকা, সোনাক্ষি, মাঝের তিনটি ভারতের হতে পারে। এরপর শাহরুখ পুত্র।
আরেকদিন আনুশকা, ঋতুপর্ণা, সালমানের বোন, শাহরুখ হত্যা, রণবীর, হৃত্তিক ইত্যাদি।
অবশেষে পাওয়া গেলো আমাদের সময় নামের দৈনিক টি।পত্রিকাটির সার্কুলেশন এক লক্ষ সাতাত্তর হাজার। এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোহম্মদ গোলাম সারওয়ার। কপিরাইটে লেখা আছে ২০০০ সালে থেকে ২০১৩। একই নামে দুইটি পত্রিকা একটি অললাইন আরেকটি প্রিন্টেড থাকে কি করে তা বিস্ময়ের। বলা বাহুল্য দুইটি পত্রিকার নাম একই হরফের এবং একই ডিজাইনের। ।
পত্রিকার ১ম পাতার ডান কোণায় ভারতীয় নায়ক-নায়িকাদের সংবাদ ছাপানোর ব্যাপারে এদের বেশ খ্যাতি রয়েছে। অর্থাৎ আসো, আমার ভেতরে এদের পাবে।
বৌ শাশুড়ি, ক্যাটরিনা, বিপাশা, পাওলি দাম, বারফি মুভির নায়িকা ইত্যাদি এদের খবর।
দৈনিক জনকন্ঠের অবস্থা দেখার জন্য ঢু দিলাম। এদের সার্কুলেশন ১ লক্ষ ৬৪ হাজার। পত্রিকাটির সম্পাদক, মুদ্রাকর ও প্রকাশক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ (এম এ খান মাসুদ)। উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান। নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়।
১ম দিন পত্রিকাটির বিনোদন পাতায় গিয়ে স্রেফ হোঁচট খেলাম। একি! একটিও ভারতদেশের নিউজ নেই! পত্রিকাটি চলছে কি করে!
আজ অবশ্য তিন পৃষ্ঠা বিনোদন সমৃদ্ধ জনকন্ঠে ভারতের সিনেমা সংক্রান্ত খবর মাত্র দুইটি।
আসলেই বেশ অবাক ব্যাপার।
এমনকি কদিন আগে বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রপ্রধান দের কার হাতে কি ফোন শিরোনামে একটি নিউজ করে। এতে স্থান পায় শেখ হাসিনা। না, কোন নিউজউইক বা টাইমস এর করা তালিকা নয়। তবে শেখ হাসিনা ক্যানো? আসলে নিজেদের সম্মান টা নিজেদের দিতে হয়। এবং তালিকায় ভারতের মোদি বা পাকিস্থানের নওয়াজ নেই দেখে ভালো লেগেছে। যদিও সত্যি এই যে আজকের বিশ্ব রাজনীতি মোদির স্থান রয়েছে। আর সন্ত্রাস এর রূপ বুঝতে গেলে পাকিস্থান তো আসবেই।
দৈনিক সমকালের সার্কুলেশন ১ লক্ষ ৬৪ হাজার। সম্পাদক গোলাম সারওয়ার। প্রকাশক এ কে আজাদ। এদের অললাইন এ বিনোদন পাতায় ক্লিক করলে দেখা যায় বলিউড, অন্যান্য, হলিউড, মিউজিক নামে চারটি আলাদা বিভাগ। হায়রে একদিন হয়তো টালিউড/ টালিগঞ্জ দেখবো এদের বিনোদন পাতায় কিন্তু ঢালিউড আসবে না।
তবে এদের প্রিন্টেড ভার্শনে অবস্থা ততোটা খারাপ না। ভারত এসেছে কিন্তু ততোটা বেশি করে নয়।
দৈনিক বর্তমান পত্রিকার সার্কুলেশন ১ লক্ষ ৫০ হাজার। সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান। আজ এদের পত্রিকার উপরের ডান কোণায় পেলাম ভারতীয় নায়িকার ছবি। ডানে নাদালের। শুনেছি এইসব জায়গায় এড দিলে ভালো টাকা পাওয়া যায়। এডের বদলে আলহাজ্ব মিজানের ভারতীয় নায়িকা প্রীতি খারাপ না।
এক তারিখ থেকে দেখা যাক পত্রিকার উপরে তারা কি ছাপিয়েছে..
০১-১১-১৪ ইলিয়ানার ককটেল এন্ড কনভারসেশন ও বান্ধবীর জন্য বিমান পাঠালেন নেইমার
০২-১১-১৪ এবার রকস্টার আলিয়া ও চ্যালেঞ্জ নিতে চান বিজয়
০৩-১১-১৪ বলিউড বাদশার জন্মদিন পালিত ও অধিনায়কত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন শচীন
০৪-১১-১৪ গান গাইতে চান পরিণীতি ও ধৈর্যের প্রতিমূর্তি তামিম!
০৬-১১-১৪ সোনাক্ষীর চক্ষুদান ও অপেক্ষা বাড়লো রোনালদোর
০৭-১১-১৪ আনুশকার সংগে বার্থ্ডে সেলিব্রেট করলেন বিরাট ও রাউলকে ছঁলেন মেসি
০৮-১১-১৪ পরিণীতির রাগ ও সাকিবের বিরাট কীর্তি
০৯-১১-১৪ এবার রণবীরের সংগে শ্রুতি ও মেসি নয় রোনালদোই
১০-১১-১৪ প্রথমবার দ্বৈত চরিতে কঙ্গনা ও সাকিবের সামনে আরো অর্জনের হাতছানি
১১-১১-১৪ ব্যস্ত ঐশ্বরিয়া ও রানে ফিরতে চান মুশফিক
১২-১১-১৪ কঙ্গনার চরিত্রে হুমা ও আইপিএলের দরজা খুলছে সাকিবের
১৩-১১-১৪ হৃত্বিকে আগ্রহ আলিয়ার ও বয়স কোনো বাধা নয় (ফেদেরার)
১৪-১১-১৪ একসঙ্গে দুই এলবামের কাজ করছি ও ম্যাচের নিষ্পত্তি দেখছেন সিকান্দার
১৫-১১-১৪ বাঁধনের দলছুট প্রজাপতি ও এবার জোবায়েরের পাঁচ উইকেট
১৬-১১-১৪ স্কুল পরিষ্কার অভিযানে আনুশকা ও ওয়ানডে দল থেকেও বাদ নাসির
১৭-১১-১৪ বিকিনি পরে গাড়ি ধুলেন সানি ও আফসোস নেই সাকিবের
১৮-১১-১৪ দ্বিধায় ঐশ্বরিয়া ও জকোভিচের টানা তৃতীয়
২০-১১-১৪ রণবীরের প্রেমে পড়লেন আনুশকা ও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চোখ নাদালের
লাল কালি দাগানো সব ভারতের জিনিস। এছাড়া এদের বিনোদন পাতার নাম রংয়ে ঢংয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সার্কুলেশন ১ লক্ষ ২৫ হাজার। সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দিন।
ঢালিউডে পাওলি দামকে নিয়ে মাতামাতি করায় বেশ বড় একটা লেখা লিখেছে ইনকিলাব। সাধুবাদ সেজন্য। কিন্তু একই সাথে কিল দিল নামে এক ভারতীয় ছবি সাড়া জাগাতে পারেনি বলে দুঃখ পেয়েছে ইনকিলাব। কালকে বলিউডের তিন তিনটি ছবি মুক্তি পাচ্ছে বলেও আমাদের জানিয়েছে তারা। এবং আরো ইন্টারেষ্টিং বিষয় হচ্ছে বলিউডের গানের শীর্ষ পাঁচ ও করে থাকে ইনকিলাব।
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। প্রকাশক মোঃ হাসমত আলী। পত্রিকাটির মটো স্বাধীনতার কথা বলে। দেশ ও সরকারবিরোধী কর্মকান্ডের জন্য মাহমুদুর রহমান জেলে আছেন। এছাড়াও খুব সম্ভবত ১লা এপ্রিল ২০১৪ তে শেষবার এদের প্রিন্টেড কপি বের হয়। এদের ছাপাখানায় এখনো তালা ঝুলছে। বিএনপি রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান খুব সম্ভবত সরকার বিরোধিতা আর দেশ বিরোধিতা এবং স্বাধীনতা বিরোধিতার তফাত বোঝেন না। এছাড়া এই পত্রিকায় বেশ জোড়েসোড়ে মৌলবাদ ছড়ানো হয়। তবে সত্যি বলতে কি বাঙলাদেশের বিপুল সংখক পাঠকের কাছে আমার দেশ বেশ জনপ্রিয় ছিলো। ১লা এপ্রিল ২০১৪ তে ছাপা হওয়া একটি কলামের শিরোনাম ছিলো রাজনীতিতে ইসলাম নিষিদ্ধের ষড়যন্ত্র ও মুসলমানের ঈমানি দায়ভার; লেখক ফিরোজ মাহবুব কামাল। লেখার অংশবিশেষ নিচে দিচ্ছি।
বাঙলাদেশের প্রথম, একমাত্র বা অন্যতম ট্যাবলয়েড হচ্ছে মানবজমীন। সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী। বায়ের ছবি টি গেলো সপ্তাহের বিনোদন পাতা। আর ডানে ও মাঝে আজকের। একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকা হিসাবে আমি বলবো খুবই ভালো। মানবজমীন দেখে আমাদের পত্রিকাগুলোর লজ্জা পাওয়া উচিত।
এতো দৈনিক এর পিছনে দৌড়ালাম। দেখি না আমাদের অনলাইনের পত্রিকাগুলোর কি অবস্থা।
বিডি নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডট কমের তো বিনোদন পাতায় আলাদা করে বলিউড সেকশন রয়েছে।
খুব সম্ভবত হিট সংখা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এটা করা হয়েছে। তবে নিঃসন্দেহে এটা দুঃখজনক।
এছাড়া বাংলানিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের অবস্থাও সুবিধাজনক নয়।
যদিও অন্য অনলাইনটির মতো এদের আলাদা করে বলিউড পাতা নেই কিন্তু ভারতীয় বিনোদনে এদের পাতাও ভর্তি।
অথচ অবাক করা ব্যাপার এই যে ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার এর বিনোদন পাতা বা শোবিজ পাতার মান অত্যন্ত ভালো। সত্যি বলতে কি মাহফুজ আনাম কে একটা স্যালুট দিতে ইচ্ছা করছে। হয়তো অচিরেই বাঙলা সংস্কৃতি অঙ্গনের খবর শুধুমাত্র ডেইলি স্টারেই পাওয়া যাবে। নুরুল কবিরের নিউ এইজের মান ও বেশ ভালো বিনোদন পাতা হিসাব করলে।
কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা র সার্কুলেশন ১২ লক্ষ ৭৮ হাজার। সম্পাদক অভীক সরকার। দুঃখ হয় যখন দেখি ওপার বাঙলার ওরা বলিউডের কোন খবরই ছাপেন না বলতে গেলে। এর মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতায় চলচ্চিত্র উৎসব হলো বলে বলিউডের কারো কারো নাম এসেছে।
বায়ের বিনোদন পাতায় অমিতাভ বচ্চন ও তার পরিবার এসেছে, তাও ফিল্ম ফেষ্টিভালের সৌজন্যে। এছাড়া অমিতাভ কলকাতার জামাইবাবুও বটে। জয়া বাঙালি কিনা।
এছাড়া সদাশিব মারা গেছেন তাই নিউজে এসেছেন।
ডানের বিনোদন পাতাটি আজকের। না, কোনই বলিউডের নিউজ নেই।
আরো উল্লেখ্য ঋতিক ঘটক ও শম্ভু মিত্র কে নিয়েও আলাদা কলাম রয়েছে দু দিনই। দেখতে ভালো লাগে ওরা আজ ও গুণির কদর করতে জানে।
ব্যবসার জন্য, সার্কুলেশন আর হিটসংখ্যা বাড়ানোর জন্য আজ হয়তো পত্রিকাওয়ালা, সম্পাদকেরা দু পয়সা কামিয়ে নিচ্ছেন কিন্তু একটা সময় দেশ-জাতির কাছে এই কাঙালপনার জবাব দিতে হবে বইকি।
সেই দিনের অপেক্ষায়……।
খুব বেশি চাইছি কি?
রেফারেন্সঃ
পত্রিকাসমূহ
অনলাইন
আপনার পুরো লিখাটাই পড়লাম।
অনেক ধন্যবাদ। :hatsoff:
নিজের মনের আনন্দে লিখালিখি করি।
ধন্যবাদ ভাই।
বিষয়টার সাথে সহমত না দ্বিমত তাতো বললেন না।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমরা মুখে যতই ভারত বিদ্বেষী হই না কেন, ওদের সিনেমা/টিভি না দেখলে, ওদের দেশের শাড়ি পাঞ্জাবি না পড়লে আমাদের দিন চলে না, আর এই জিনিষটাকে বেচে খাওয়ার জন্য সংবাদ মাধ্যমগুলোও উঠে পড়ে লেগেছে। এসব বন্ধ হবার কোন সম্ভাবনাও দেখছি না 🙁
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
দুঃখজনক।
আসলেই আশা করাটা বড় কঠিন।
তবে কবি বলেছেন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
স্ক্রল করে নীচে নামতেই তো দিন পার হয়ে গেল। 😀 😀
সরি দাদা কষ্ট দিলাম.
আসলে দলিল হিসাবে রেখে দিলাম. (সম্পাদিত)
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
চমৎকার একটা কন্টেন্ট এনালিসিস রিসার্চ করলেন রাজিব ভাই। লেখা লম্বা হয়ে গিয়েছে কিন্তু ছবিগুলোতে চোখ বুলিয়ে ক্যাপশন পড়ে নিচে নামতে থাকলে যে কেউ আইডিয়া পেয়ে যাবে কার বিনোদন পাতায় কত পরদেশী প্রেম। :thumbup: :thumbup:
খেলার পাতাসহ অন্যান্য অংশ নিয়ে করবেন নাকি আরো? চমৎকার হবে কিন্তু।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
ধন্যবাদ মোকাব্বির।
খেলা নিয়া ছোটোলোকি মনে হয় প্রথম আলোর মধ্যে প্রবল। বিশেষ করে তাদের পাকিস্থান প্রেম উথলে ওঠে।
এই লেখাটা অনেকটা দালিলিক প্রমাণ হিসাবে করে রাখলাম।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ভাল হয়েছে।
হিট খাওয়া আর সার্কুলেশন বাড়ানো ছাড়া আরও মটিভ আছে এই বলিঊড প্রিতির।
বিনা পয়সায় বা নুন্যতম খরচে আকর্ষনিয় ছবি আর আগ্রহ জাগানিয়া খবর দিয়ে নিরাপদে পত্রিকার পাতা ভরে ফেলা যায়।
কপিরাইটের সমস্যা নাই আবার দর্শনধারিও হবে ব্যাপারটা।
সব মিলিয়ে, মন্দ কি???
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ভাল কথা বলছেন পারভেজ ভাই।
ফ্রিতে বিনোদন দেয়া গেলো। কোন খরচ নেই। কপিরাইট ঝামেলা নেই।
কোন কোন পত্রিকা যেনো এখন নষ্ট পত্রিকা। বিশেষ করে কালের কন্ঠের অবস্থা রীতিমত ভয়ঙ্কর।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:boss:
ধন্যবাদ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কোন দেশে বাস করি !
গোলোক ধাঁধা যেনো ভাবনাটা ।
(ফেবু পোস্টের কল্যাণে পড়া হলো পুরোনো লেখাটা)
ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুব বিজি আছি নানা ঝামেলায়।
কিন্তু আপনারা সবাই মিলে ব্লগ যেভাবে গরম রেখেছেন তাতে মাঝে মাঝে উকি দিয়ে খুব ভালো লাগে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
অবাক কান্ডটা দেখেছেন এই ভারত প্রীতির ব্যাপারে জনকণ্ঠ আর মানবজমিন অনেক ক্লিন। অথচ এদেরই বেশি ভারত প্রেম থাকার কথা।
আমাদের অন্য সংবাদপত্র গুলার প্রতি একরাশ লজ্জা আর লজ্জা।
অথচ ভারতের পত্রিকা হয়েও আনন্দবাজার কিন্তু বোম্বে বাদ দিয়েই তাদের পত্রিকা বেশ চালাচ্ছে।
আমাদের সংবাদপত্র দাবি করে তারা জাতির বিবেক।
আর বিবেক লুটোপুটি খায় বোম্বের নায়ক-নায়িকা গসিপের পায়ের নিচে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ঠিক তাই ।
তবে আমরা (অধিকাংশেরা) বোধ করি এতেই মজা পাই ।
নাহয় হতো কি এমন ভাই !
পাবলিক ডিমান্ড যে নাই তা বলবো না।
আপনাদের যুগে আপনারা শাবানা, ববিতা আর অলিভিয়ার ছবি কাটতেন, আমাদের যুগে বিপাশা, শমি, মৌসুমি, শাবনূর। হ্যা ইন্ডিয়ান আর হলিউডের নায়িকা দের ছবি ও কাটছি।
কিন্তু সংবাদপত্র এর দায়িত্ব বলে তো কিছু আছে।
আমার মামা আমাদের বাসায় আসলেই মাসুদ রানা নিয়ে যেতেন। বাসে যখন পড়তেন তখন মলাট লাগিয়ে নিতেন। অথচ তিনি ইউরোপে ছিলেন, উদ্দাম জীবন কাটিয়েছেন।
একটা বয়সে উল্টাপাল্টা ছবি দেখার জন্য বন্ধুদের, কিছু নির্দিষ্ট দোকানের দ্বারস্থ হতাম।
এখন পত্রিকাগুলো সেই দাবি মেটাচ্ছে।
এমন না যে এইসব ছবি,।কাহিনী না দিলে পত্রিকার কাটতি কমে যাবে। বিনোদন ম্যাগাজিন তো আছেই।
কিন্তু এরা এসব ছাপাবেই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সেই বিচিত্রা আর সচিত্র সন্ধানীর যুগে ক্যাডেট কলেজে কোনো ক্লাসে মনে আছে স্যার জিজ্ঞাসা করছিলেন ম্যাগাজিনগুলোর পাতা আমরা কে প্রথম থেকে ওল্টাই আর কে পেছন থেকে ওল্টাই । কারণ তখন শেষের এক বা কয়েক পৃষ্ঠায় কিছু বিনোদন সংবাদ থাকতো । সেটায় তথ্যের বিস্তৃতির প্রয়াস থাকতো । স্বস্তা কাটতির অপচেষ্টা নয় । তবু বিষয়টা আলোচনায় আসার মতোন গুরুত্ব পেয়েছিলো ।
এখন দিন পাল্টেছে তা ঠিক । পত্রিকারা প্রচারেই প্রসার বাদে আর কোনো তত্ত্বকেই গোনায় ধরতে নারাজ যেনো ।
তবে কথা হলো আমি ঘরোয়া আড্ডায় বা আপন ইচ্ছায় যা বলতে পারি, দেখতে পারি তা নিশ্চয়ই পাবলিকলি করতে পারি না ।
একখান পত্রিকার পাবলিক প্রেজেন্টেশনের দায় তো এমন ব্যক্তি দায়ের চেয়ে নিযুত গুন বেশী ।
তবে কথা হলো প্রপাতের জলকে ঠেলে ওপরে ওঠাবার মতোনই অসম্ভবে গিয়ে পৌচেছে আজকে মিডিয়ার অবিবেচকতা ।
ভালো বলেছেন ভাইয়া।
হ্যা বিচিত্রা পাবলিক উলটা দিক থেকে পড়তো।
যাযাদি প্রেম কাহিনী দিয়ে শুরু করতো।
আমিও করতাম।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ