আমি কি মুসলিম বিদ্বেষী???

ইহুদী ও খ্রীষ্টানরা কখনই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত না আপনি তাদের ধর্মের অনুসরণ করেন। বলে দিন, যে পথ আল্লাহ প্রদর্শন করেন, তাই হল সরল পথ। যদি আপনি তাদের আকাঙ্খাসমূহের অনুসরণ করেন, ঐ জ্ঞান লাভের পর, যা আপনার কাছে পৌঁছেছে, তবে কেউ আল্লাহর কবল থেকে আপনার উদ্ধারকারী ও সাহায্যকারী নেই।” [সূরা বাকারাহ: ১২০]

হাফেজ মুনীর উদ্দীন আহমদ  বাকারা-১২০

“হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব  করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালিমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।” [সূরা মায়িদাহ: ৫১]

হাফেজ মুনীর উদ্দীন আহমদ মায়েদা-৫১

“আপনি সব মানুষের চাইতে মুসলিমদের অধিক শত্রু ইহুদী ও মুশরিকদেরকে পাবেন এবং আপনি সবার চাইতে মুসলিমদের সাথে বন্ধুত্বে অধিক নিকটবর্তী তাদেরকে পাবেন, যারা নিজেদেরকে খ্রীষ্টান বলে। এর কারণ এই যে, খ্রীষ্টানদের মধ্যে আলেম রয়েছে, দরবেশ রয়েছে এবং তারা অহঙ্কার করে না।” [সূরা মায়িদাহ: ৮২]

হাফেজ মুনীর উদ্দীন আহমদ মায়েদা-৮২

উপরের তিনটা কোরানের বাণী পেলাম একজনের পোষ্ট থেকে।
সূরা মায়িদাহ র ৫১ ও ৮২ নম্বর আয়াতের বৈপরিত্য চোখে পড়ছে কি!!!
জিউসের কাহিনী, ইলিয়াড-ওডিসি, রামায়ণ, মহাভারত, ওল্ড টেষ্টামেন্ট, বাইবেল অন্যান্য বই এর মতোই কোরানকে দেখি। তবে বেশ ভালো লাগে কাহিনী সমূহ, আউলা ঝাউলা কথাবার্তা।
কোন কিতাবে কি কি ভুল আছে কিংবা আরো সরাসরি বললে কোরানে ভুল আছে কি নেই সেটা বের করা এখন উদ্দেশ্য নয়।
তবে আল্লাহ যে মুসলমানদের পক্ষে তা তো তিনি বলে দিয়েছেনই।
তবে আর আমরা নিজেরা মানুষ হতে চাইবো ক্যানো! মুসলমান হওয়া, গাজী-শহীদ হওয়াটাই এখন জীবনের ব্রত।

জীবনে একবার মিছিল করেছিলাম, তাও সালমান রুশদির ফাঁসি চেয়ে। আজ আমার বুক সেলফেই থাকে সালমান রুশদির সেই পুস্তক শয়তানের পদাবলী।

না! ইউরোপ আমাকে বুঝি বা ইসলাম বিদ্বেষীই করে ফেললো।
কই গাজায় মুসলমান মরছে এতে তো আমার দুঃখ লাগছে না। মুসলমানের কষ্টে আরেক মুসলমান কাঁদবে না, তবে সে কিসের মুসলমান?

 

সিরিয়ায় মুসলমানরা মুসলমানদের মারছে, ইরাকে মুসলমান মুসলমানদের মারছে। ISIS তো অলরেডি খেলাফত, ইসলামী শাসন শুরু করে দিছে। ISIS নিয়ে মাস চারেক আগে একটা লেখা লিখেছিলাম।

West_Bank_&_Gaza_Map_2007

এইবার ঝামেলা শুরু হইলো কি নিয়া?
দিনকয়েক আগে দেখলাম হামাস কয়েকজন ইহুদী ১৮ বছরের কম বয়েসী ছেলেদের অপহরণ করেছে। আর এরপর থেকে ইসরাইলী রেইড শুরু। (আমার জানায় ভুল থাকলে সরি)
এর আগেও কয়েক বছর আগে দুইজন ইজরায়েলি সৈন্য অপহরণ করেছিলো হামাস। তারপর ইজরায়েল এটাক শুরু করে।

ইজরায়েল
এর আগে বেশ কয়েকটি আরব ইজরায়েল যুদ্ধও হয়ে গেছে। যথারীতি আরব বিশ্ব হেরেছে। মুসলমান রা একটা জিনিসই ভালো পারে আর তা হলো নিজেদের সাথে মারামারি। হিসাব করলে দেখা যাবে গত ১০০ বছরে মুসলমানদের হাতে মুসলমানরা বেশি মরেছে।

আবার মুসলমানদের নিজেদের মধ্যে শ্রেণির অভাব নেই। তাই এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে মারলেও অনায়াসে এরা কোন এক দলের সাপোর্টার হয়ে যায়।
Islam_branches_and_schools

Branch_of_Shi'a_Islamআচ্ছা একটা ভালো কথা ইজরায়েলের ইহুদীরাই যে শুধু মুসলমান মারছে তা নয়, মুসলমানরাও কিন্তু ওদের মারছে। কি বিশ্বাস হয় না!
নিচের টেবিলে ১৯৮৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত দুপক্ষের সিভিলিয়ান ডেথের হিসাব দেয়া আছে। ব্রাকেটে আন্ডার ১৮ র হিসাব দেয়া আছে।

ইজরায়েল-প্যালেষ্টাইন

জেরুজালেম, প্যালেষ্টাইন, ইজরায়েলের রাইটফুল ওনার কে সে তর্কে এখন যাবো না। যারা ভাবছেন তর্কে হেরে যাবো বলে যাচ্ছি না তাদের জন্য একটা ছোট প্রশ্ন,

” আপনারা কি কাবা ইহুদী আর প্যাগানদের সাথে শেয়ার করবেন?”

আরেকটা কথা গাজায় মানুষ মারা যাচ্ছে, মুসলমান নয়।
তবে কথা হচ্ছে ৫ টা মুসলিম দেশ ঘিরে আছে ইজরায়েলকে, আর পেটের মধ্যে প্যালেষ্টাইন।
আমি ইহুদী হলে আমার ১৫০৩ জনের বিনিময়ে আমি হয়তো দেড় লক্ষ মারতাম। আর মুসলমান হলে সোজা হিজরত করতাম। নবী নিজে হিজরত করছে মদীনায় মক্কা থেকে তাও জীবন বাঁচাইতে। তবে প্যালেষ্টাইনের মুসলমানেরা ক্যানো হিজরত করতে পারবে না? ওমরের চালু করা তারাবী আজো মুসলিমেরা রোজার সময় পড়ে যাচ্ছে তবে নবীর দেখানো সুন্নাহ পালনে মুসলমানদের এতো অনীহা ক্যানো???

আসেন এখন দোয়া করি।

আল্লাহুম্মান্সুরিল ইখওয়ানানাল মুজাহিদিনা ফিল ফিলাস্তিন (ইয়া আল্লাহ ফিলিস্তিনে আমাদের মুজাহিদ ভাইদের আপনি সাহায্য করুন)
ওয়ানসুরিল ইখওয়ানানাল মুজাহিদিনা ফিল ইরাক ওয়া ফিল আফগান ওয়া ফিল সুমাল (ইরাক, আফগান ও সোমালিয়াতে)
আল্লাহুম্মান্সুরহুম বি নাসরিক (ইয়া আল্লাহ তাদের সাহায্য করুন আপনার সাহায্য দ্বারা)
আল্লাহুম্মান্সুরহুম ফি কুললি মাকান (সমস্ত জায়গায়)
ওয়া আইয়িদহুম বি তাহিদিক (তাদের শক্তিশালী করুন আপনার সহায়াতা দ্বারা)
ওয়ারফাআ বিহিম রই য়াতাক (তাদের দ্বারা আপনার পতাকা সুউচ্চ করুন)
ওয়ানসুর বিহিম দাও্যাতান নাবিয়িক (তাদের দ্বারা নবীর দাওয়াতকে সাহায্য করুন)
ওয়া হাররির বিহিম কুদসাকাল কারিম (তাদের দ্বার বায়তুল মুকাদ্দিস মুক্ত করুন)
ইয়া রব্বাল আলামিন, আল্লাহুম্মা ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইইউম, আল্লাহুম্মাজআল হুম
আল্লাহুম্মাজআল হুম মীম মান কুলতা ফি কিতাবিক (ইয়া আল্লাহ তাদের সেরূপ করুন যেমন আপনি আপনার কিতাবে বলেছেন)
“আল্লাযিনা কলা লাহুমুন নাসু ইন্নান নাসা কদ জামাঊ লাকুম ফাখশাউহুম ফাযাদাহুম ইমানা ওয়া কলু হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিঈমাল ওয়াকিল” (যাদেরকে লোকেরা বলেছে যে, তোমাদের সাথে মোকাবেলা করার জন্য লোকেরা সমাবেশ করেছে বহু সাজ-সরঞ্জাম; তাদের ভয় কর। তখন তাদের বিশ্বাস আরও দৃঢ়তর হয়ে যায় এবং তারা বলে, আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট; কতই না চমৎকার কামিয়াবীদানকারী)
“ফানকলাবু বি নিঈমাতিম মিনাল্লাহি ওয়া ফাঁদল লাম ইয়ামসাসহুম সুউ” (অতঃপর ফিরে এল মুসলমানরা আল্লাহর অনুগ্রহ নিয়ে, তদের কিছুই অনিষ্ট হলো না)
(“৩” ১৭৩-১৭৪)
আল্লাহুম্মাযিদহুম ইমানাও ওয়া তুকঅ (ইয়া আল্লাহ তাদের ইমান ও তাকওয়া বাড়িয়ে দিন)
আল্লাহুম্মারফা দারাজাতিহিম (ইয়া আল্লাহ তাদের সম্মান বাড়িয়ে দিন)
আল্লাহুম্মাগফির যুনুবাহুম (ইয়া আল্লাহ তাদের গুনাহ মাফ করে দিন)
আল্লাহুম্মাশ্রাহ সুদুরাহুম (ইয়া আল্লাহ তাদের বক্ষ প্রসস্থ করে দিন)
আল্লাহুম্মা কউয়ি ইমানাহুম (ইয়া আল্লাহ তাদের ইমান শক্তিশালী করে দিন)
আল্লাহুম্মাজমা কালিমাতুহুম (ইয়া আল্লাহ তাদের কালিমা এক করে দিন)
আল্লাহুম্মা ওয়াহহিদ সফফাহুম (তাদের এক সারিতে আনুন)
ওয়া সাদ্দিদ রয়িয়াহুম ওর রমিয়াহুম (তাদের বিশ্বাস এবং শুটিং নির্ভুল করে দিন)
ওয়া সাদ্দিদ সিহামাহুম (তাদের তির নিক্ষেপ নির্ভুল করুন)
আল্লাহুম্মা আমিদ্দাহুম বি মাদাদিম মিন ইন্দিক (আপনার তরফ থেকে সাহায্য দিন)
আলাহুমা আনযিল আলাইহিম মালাইকাতা (তাদের উপর সম্মানিত ফেরেশতা নাযিল করুন)
আলাহুমা আনযিল আলাইহিম মালাইকাতাল কিরাম
আল্লাহুমা গসশিহুম নুয়াসা আমানাতাম মিনক (তাদের উপর নিরাপত্তার ঘুম নাযিল করুন)
আল্লাহুম্মা সাববিত কুলুবাহুম (তাদের অন্তর শক্ত রাখুন)
আলহুম্মা তহহির জাওারিহাহুম (তাদের প্রতিবেশীদের পবিত্র করুন)
আল্লাহুম্মা কুন আস্মাউহুম্ললাতি ইয়াসমাউনা বিহা (হে আল্লাহ আপনি তাদের শ্রবণ হয়ে যান)
আল্লাহুম্মা আইদিয়াহুমুল্লাতি ইয়াবতিশুনা বিহা (তাদের হাত যা দ্বারা তারা আঘাত করে)
ওয়া আইইনুহুমুল্লাতি ইয়ুবসিরুনা বিহা (তাদের চোখ যা দ্বারা তারা দেখে)
ইলাহানা ইলাহানা ইলাহানা
মান লিল মুস্তাশহিদিনা ফি কুবুরিহিম (কে সাক্ষ্য দিবে তাদের কবরে)
মান লিল মুজাহিদিনা সলিহিনা ফি থুবুরিহিম (কে থাকবে মুজাহিদিনদের সাথে)
মান লিল মাসজুনিনা সলিহিনা ফি সুজুনিহিম (কে আছে বন্দিদের সাথে তাদের জেলখানায়)
মান লিল আইতামিনা ফি বুয়ুতিহিম (কে আছে ইয়াতিমদের সাথে তাদের ঘরে)
লা রহিমা ওয়া লা মুকিযিনা ইল্লা আন্ত (কোন রহমত এবং সাহায্য নেই আপনার কাছ ছাড়া)
ইলাহানা ইলাহানা ইলাহানা
লা রহিমা লাহুম সিওয়াকা ফা ইয়াস্তারহিমুন (হে আল্লাহ আপনি ছাড়া আর কে রহম করবে, অতঃপর ওদের প্রতি রহম করুন)
ওয়া লা মুনকিযা লাহুম সিও্যাকা ফা ইয়াসতানকিযুন (হে আল্লাহ আপনি ছাড়া আর কে রক্ষা করবে, অতঃপর ওদের রক্ষা করুন)
আনতা রব্বুল মুস্তাদআফিন (আপনি দুর্বলের রব)
আনতা রব্বুল আলামিন, ইলাহাল হাক্ক
কামা নাসারতা নাবিয়াকা ফি বদরিন ওয়া উহুদ (যেমন সাহায্য করেছিলেন নবীকে বদর এবং উহুদে)
ওয়া কামা নাসারতা নাবিয়াকা ওয়া আসহাবাহু ইয়াওমাল আহযাব (এবং আহযাবের দিনে)
আল্লাহুম্মা ফান্সুর ইখওয়ানানাল মুজাহিদিনা ফিল ফিলাস্তিন ওয়া ইরাক ওয়া আফগান
আল্লাহুম্মা আনকিয হুম (তাদের রক্ষা করুন)
আল্লাহুমা খাল্লিসহুম (তাদের মুক্ত করুন)
আল্লাহুম্মা আনকিয হুম ওয়া খাল্লিসহুম মিন আসসলিবিয়িনা আল হাকিদিন (আক্রোশপূর্ণ ক্রুসেডারদের থেকে)
ওয়া মিনাল ইয়াহুদি আল খয়িনিন ( বিশ্বাসঘাতক ইহুদিদের থেকে)
ওয়া মিনাল মুনাফিকিনা মুনদাসসিন (মুনাফিকদের থেকে)
আল্লাহুম্মা আলাইকা বি আদাইহিম ফা ইন্নাহুম লা ইউজিযুন (ইয়া আল্লাহ তাদের উপর প্রতিশোধ গ্রহণ করুন এবং তারা যেন না পালিয়ে যেতে পারে)
আল্লাহুম্মা আলাইকাবিহিম (ইয়া আল্লাহ তাদের উপর প্রতিশোধ গ্রহণ করুন)
আল্লাহুম্মা ইয়াশফি সুদুরানা বিহিম (এবং তা দ্বারা আমাদের অন্তরের কষ্ট নিবারণ করুন)
আল্লাহুম্মা ইয়া হাইয়ু, ইয়া কয়্যিউম
আল্লাহুম্মা সাল্লিত আলাইহিম রিহা আদ (তাদের শত্রুদের উপর আদ জাতির মত বায়ু পাঠান)
ওয়া সইহাতা সামুদ (সামুদের মত শব্দ)
ওয়া তুফানা নুহ (নুহের মত তুফান)
আল্লাহুম্মা ইয়া হাইয়ু, ইয়া কয়্যিউম, ইয়া জাল জ্বালালি ওয়াল ইকরাম
আল্লাহুম্মা আদিফ কুওওয়াতাহুম (শত্রুদের দুর্বল করে দিন)
ওয়া আউহিন আযিমাতাহুম (তাদের সংকল্প বিনষ্ট করুন)
ওয়া ফাররিক জামআহুম (জামাত ভেঙ্গে দিন)
ওয়া বাদ্দিদ শামলাহুম (তাদের বাহিনী ছত্রভঙ্গ করে দিন)
ওয়া আদিয়া আলাইহিম দাইরতুস সাউ (খারাপ ফল ভোগ করান)
ওয়াজআল তাদবিরাহুম তাদমিরাহুম (তাদের চেষ্টা নষ্ট করে দিন)
ওয়াজাল কুউয়াতাহুম আলাইহিম (তাদের শক্তি তাদের বিপক্ষে নিন)
আল্লাহুম্মা সাল্লিত আলাইহিম মা নাযালা মিনাসসামা (তাদের আক্রান্ত করুন যা আকাশ থেকে নাযিল করা হয় তা দ্বারা)
ওয়া মা খরাজা মিন আরদিক (এবং যা মাটির তল থেকে বের হয়)
আল্লাহুম্মা ইয়াততামু আতফালাল মুসলিমিন ফা ইয়াততিম আতফালাহুম (তাদের সন্তানদের ইয়াতিম করুণ যেমন তারা মুসলিমদের সন্তানদের করেছে)
ওয়া কতালু রিজালআল মুস্লিমিনা ফাকতুল রিজালাহুম (তাদের পুরুষদের নিহত করুন যেমন তারা করেছে)
আল্লাহুম্মা ইয়া হাইয়ু, ইয়া কয়্যিউম, ইয়া জাব্বারাস সামাও্যাতি ওয়াল আরদ
তারায যলিমিনা ওয়ামা ইয়াসনাউন (আপনি দেখছেন জালিমদের এবং তারা কি করছে)
আল্লাহুম্মাকফিনা হুম বিমা শি’ত (হে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুণ তাদের হাত থেকে আপনি যেভাবে চান)
আল্লাহুম্মা আলাইকা বিহিম ফি কুললি মাকান (ইয়া আল্লাহ তাদের উপর প্রতিশোধ গ্রহণ করুন সমস্ত প্রান্তরে)
বি কুওয়াতিকা ওয়া কুদ্রাতিকা ইয়া কারিম (আপনার শক্তি ও কুদরত দ্বারা ইয়া কারিম)
হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিইঈমাল ও্যাকিল (আল্লাহ আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং কত উত্তম ওয়াকিল)(কালেক্টেড)

এইবার মিলাদ। আগরবাতির গন্ধমাখা পরিবেশ, গোলাপ জলের ছিটা, সেই সাথে দাড়িয়ে দুলে দুলে ইয়া নবী সালাম আলাইকা আমার খুব প্রিয় ছিলো। শৈশবের সেই মিলাদ এখন আর হয় না। দাড়ানো তো হয় ই না।
শোনা যায় সিসব নাকি বেদাত।

ইয়া নবী সালাম আলাইকা

গোলাম মোস্তফা
ইয়া নবী সালাম আলাইকা
ইয়া রাসুল সালাম আলাইকা
ইয়া হাবীব সালাম আলাইকা
সালাওয়া তুল্লা আলাইকা।।
তুমি যে নূরের নবী
নিখিলের ধ্যানের ছবি
তুমি না এলে দুনিয়ায়
আঁধারে ডুবিত সবি।।
চাঁদ সুরুজ আকাশে আসে
সে আলোয় হৃদয় না হাসে
এলে তাই হে নব রবি
মানবের মনের আকাশে।।
তোমারি নূরের আলোকে
জাগরণ এল ভুলোকে
গাহিয়া উঠিল বুলবুল
হাসিল কুসুম পুলকে।।
নবী না হয়ে দুনিয়ার
না হ’ইয়ে ফেরেশ্তা খোদার
হয়েছি উম্মত তোমার
তার তরে শোকর হাজারবার।।
Which Religion to follow????

বটমলাইন ঃ ধর্মই কি তবে নষ্টের গোঁড়া???
আরো স্পষ্ট করে বললে,

IS RELIGION EVIL??? 

Religion- Peace???

৭,০৩৩ বার দেখা হয়েছে

৪৫ টি মন্তব্য : “আমি কি মুসলিম বিদ্বেষী???”

  1. সাবিহা জিতু (১৯৯৩-১৯৯৯)

    গাজার মানুষগুলোর জন্য প্রার্থনা, তবে মুসলিম ভাতৃত্ববোধ বলে আসলেই কিছু যদি থেকে থাকে সেটা ক্ষমতাশীল আরব দেশগুলোর জন্য দেখানোর এখনই শ্রেষ্ঠ সময়। আর কতদিন এভাবে হাত গুটিয়ে থাকবে তারা মার্কিনীদের পশ্চাদদেশের ঘ্রান নিতে নিতে?


    You cannot hangout with negative people and expect a positive life.

    জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      আমি জেরুজালেম- আল আকসা বা প্যালেষ্টাইন সমস্যা খুব সরল করে দেখতে চাই।
      মক্কা, মদীনা, ভ্যাটিকান, জেরুজালেম, বারাণসী এইগুলা ধর্মীয় জায়গা।
      কোন কোন টার উপর একাধিক ধর্মের অধিকার রয়েছে।
      এখন সবাই যদি একসাথে থাকতে পারতো তাইলে তো কথা ছিলো না।
      বিশেষ করে জেরুজালেমের মন্দির নিয়ে হাজার বছর ধরে যুদ্ধ চলেছে।
      আজ সেটা ইহুদীদের দখলে সো ইহুদীরাই সেখানে থাকবে।
      একসময় কি মক্কা-মদীনা থেকে কি ইহুদীদের বের করে দেয়া হয় নি...
      মুসলমানরা কি কাবা মন্দিরটি শেয়ার করবে আজ ইহুদীদের সাথে?

      সমস্যার সমাধান আমার কাছে প্যালেষ্টাইনিদের মাইগ্রেশন।
      এখন তুমি বলতে পারো আমি প্যালেষ্টাইনি হইলেও কি একই কথা বলতাম?
      মনে হয় বলতাম।
      কারণ জীবন আগে।
      জীবন যদি না বাঁচে তবে ধর্ম দিয়ে কি হবে!

      আর যদি শহীদের ব্যাপারটা এর সাথে রিলেটেড হয় তবে আমার কিছু বলার নাই।
      মুসলিমদের অন্তত এই ভেবে খুশি হওয়া উচিত সলোমনের মন্দির যদি কারো অধীনে থাকে তবে সেও এক আল্লাহর অনুসারী।
      ইহুদীরা আজো যার উদ্দেশ্যে প্রার্থণা করে সেও জিহোভা বা আল্লাহ।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
  2. কবির হোসেন (1989 ইনটেইক) এসসিসি

    জু মানুষ না এরা হচ্ছে জানোয়ার বলদ। এদেরকে হিটলারের উয়াইপ আউট করা উচিত ছিল।
    মানবতা পেরিয়ে গেছে ঝায়ওনিস্ট এর দল, চিন্তা ভাবনা করছি গাজা জাব :gulli2: ::salute::

    জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      ধর্ম মানুষকে দিয়ে ভালো কাজ করালে তা করায় কোন কিছুর লোভ দেখিয়ে,
      আবার খারাপ কাজ (অন্যদের চোখে) করালেও তা করায় ধর্মের আইন বা রক্তচক্ষু দেখিয়ে।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
  3. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    আমি ফিলিস্তিনিদের জন্য অনেক কষ্ট করেও কোন আশা দেখতে পাই না, এভাবে মৃত্যু-নির্যাতন যেন তাদের নিয়তিই হয়ে দাড়িয়েছে। জাতিসংঘ একটা ঠুটো জগন্নাথ, বিশ্বের বড় বড় মোড়লেরা ইসরাইলিদের পক্ষে, এমিনেস্টি, হিউম্যান রাইট ওয়াচ সহ তথাকথিত মানবাধিকার সংস্থার চোখে ফিলিস্তিনিরা মানুষ হিসেবেই গন্য নয়। তারপরো এদের ইসরাইলিপন্থি অবস্থানের কারনটা বোঝা যায়। কিন্তু যেটা কোন ভাবেই মাথায় আসে না সেটা হলো আমাদের ইসলামি দেশগুলোর অবস্থান, এরা বাকি সব কিছুতে ধর্মকে অযুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে সিদ্ধহস্ত কিন্তু নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে এরা মুসলিম ভ্রাত্তিত্বকে ছুড়ে ফেলে দিতে বিন্দুমাত্র কার্পন্য করে না।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  4. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    রাজীব ভাই,
    আপনার বেশিরভাগ লেখার মূল বক্তব্য আমার মাথার উপর দিয়ে যায়। মানে আপনি অনেক কিছুই লেখেন, কিন্তু আমি লাইন-লেন্থ খুঁজে পাই না। আজকের পোস্টটা আসলে কি নিয়ে, দুই লাইনে বলবেন? একটি লাইন বুঝতে পারছি- ধর্মই সকল নষ্টের মূল! অন্য লাইনটা কি 'ফিলিস্তিনিদের উপর ইজরাইল এর অ্যাটাক ঠিকই আছে'' - এটা?


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      ২য় লাইনঃ প্যালেষ্টাইন এর উপর ইজরায়েলের এটাক যৌক্তিক কিনা তার আগে প্রশ্ন হলো এইবার ঝামেলা টা শুরু হইলো কি নিয়া?
      আমার জানা মতে হামাস তিন ইজরায়েলি টিন এজারকে কিডন্যাপ করে হাপিশ করে দিছে।

      হামাস ইজরায়েলকে খোঁচা দিয়া দেখবে ইজরায়েল ঘুমায় কিনা আর ইজরায়েল ছেড়ে দিবে তা তো হয় না।

      অবশ্যই আমি যুদ্ধবাজদের পক্ষে নই।
      কিন্তু ইজরায়েল ছেড়ে কথা কইবে ক্যানো?
      তিন ছেলের লিঙ্ক
      হামাস কি জানতো কি এই তিন ছেলেকে কিডন্যাপ করে হত্যার ফল কি হবে!
      অবশ্যই জানতো।
      এর আগেও বছর কয়েক আগে হামাস দুই ইজরায়েলি সৈন্যকে হাপিশ করে দিয়েছিলো। সেটার রেজাল্ট ও ভালো হয় নাই।
      ইজরায়েল আমেরিকা নয় যে দাঁত পড়ে যাওয়া বৃদ্ধ। আমাগো হাসিনাই আমেরিকার কথা শুনে না।

      আগুন নিয়ে শিশু খেলতে পারে। আর হামাস শিশু নয়। খুঁজে দেখ এর পিছনে কার কি পলিটিক্স আছে।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
      • জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

        তিন জন ইজরায়েলি টিন এজার কিডন্যাপের বদলে এয়ার রেইড?
        সে হিসেবে পৃথিবীর প্রতিটি সীমান্তবর্তী দেশগুলোতে সারা বছর ধরে যুদ্ধ লেগে থাকা উচিত। বি এস এফ প্রায়ই বাংলাদেশের কৃষক, জেলেদের ধরে নিয়ে যায়-আমরা কি বিমান হামলা শুরু করি?

        আপনি বলবেন ইজরায়েল ফিলিস্তিনকে স্বাধীন মানে না। ঠি আছে, মানলাম। এর মানে হচ্ছে ওদের মতে পুরোটাই ইজরায়েল এর ভূখন্ড, তাহলে বিমান হামলা কেন, কম্ব্যাট যুদ্ধ না কেন? হামাসের ছাগলগুলো ধরতে ইজরায়েল এর চৌকষ আর্মিই তো যথেষ্ট!

        আপনি ইজরায়েল এর আক্রমন করার কারন নিয়ে চিন্তিত। আপনি নিশ্চয়ই ইজরাইলের প্রভোকেশন সম্পর্কেও জানেন। প্রতিটি চেকপোস্টে ফিলিস্তিদের সাথে পশুর মতন ব্যবহার করা হয়। তল্লাশীর নামে সব ধরনের হয়রানি করে। আরবদের ওরা পশু, কুৎসিত জানোয়ার, অভিশপ্ত- ইত্যাদি আজে-বাজে বিশেষণ ছাড়া সম্বোধনই করে না। ইজরাইলের নতুন প্রজন্মও এক কাঠি সরেস। সামার ভ্যাকেশনের সময় মাঝে মাঝে মিসাইল সাইরেনের কারনে ওদের সকালের ঘুম নষ্ট হয় বলে ওরা মনে করে আরবদের পুরো জাতি শুদ্ধ ধ্বংস হয়ে যাওয়া উচিত! পৃথিবীর অন্যতম রেসিস্ট ওরা।

        সেদিন একটি রিপোর্টে দেখলাম ইজরায়েল এর নতুন অস্ত্র পরীক্ষার অন্যতম জায়গা হচ্ছে গাজা উপত্যকা। সেক্ষেত্রে ইজরাইলকে আক্রমন করার হামাসের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অতটা অসম্ভব মনে হয় না। অর্থাৎ মাথা মোটা আরব্দের প্রভোক কর, ওরা মেজাজ ঠিক রাখতে না পেরে বলদের মতন কোন কাজ করবে- ব্যাস, চালাও হামলা। তা না হলে হামাসের কয়েকটা ছাগলকে কাঁঠাল পাতা দাও- কেল্লা ফতে!

        গতকাল ইজরায়েল এর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন 'আমরা সিভিলিয়ান বাঁচাতে মিসাইলের সাহায্য নিই, আর হামাস মিসাইল থেকে বাঁচার জন্য সিভিলিয়ানদের সাহায্য নেয়।' অর্থাৎ জেনে-শুনে সিভিলিয়ানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে ইজরায়েল। ওরা এত পারে, গ্রাউন্ডে এটাক করে না কেন?

        আপনার কাছে ইজরায়েল এর হামলা লজিক্যাল মনে হলে বাংলাদেশে আদিবাসীদের উপর বিজিবি-আর্মির হামলাও লজিক্যাল লাগার কথা। কিংবা কাশ্মির, সিরিয়া, ইরাক... সবগুলো!

        আমি আপনার শিরোনামের জবাব দিয়ে দিচ্ছি- হ্যাঁ আপনি ইসলাম বিদ্বেষী! যা আপনার স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তিকে দুর্বল করে দিয়েছে। ফিলিস্তিনে ইজরায়েল অবিচার, অত্যাচার এবং গণহত্যা চালানো হচ্ছে এটা বোঝার জন্য আমাদের মতন ভন্ড মুসলমান হওয়া লাগে না- মানুষ হওয়াই যথেষ্ট!


        ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

        জবাব দিন
        • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

          মেবি আমি ইসলাম বিদ্বেষী; মে বি নট।
          বাট এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি আমি ইজরায়েলি পণ্য বর্জন করতে যাবো না, ঠিক যেমন আরবের খুরমা, খেজুর বর্জন করবো না।

          একটা জাতি বছরের পর বছর মার খাবে আর স্বপ্ন দেখবে কাল সকালে উঠে যে পুরা প্যালেষ্টাইন, জেউজালেম নিজেদের হয়ে গেছে তা তো হয় না।
          আমার কথা খুব সরল। কোরান-হাদিসের কোথায় না কোথায় আছে ইহুদীদের কখনো নিজেদের স্থায়ী বাসভূমি হবে না আর তাই দুনিয়ার তাবৎ মুসলিম দিবা রাত্র ইজরায়েল রাষ্ট্রের ধবংসের স্বপ্ন দেখে।

          বাট রিয়েলিটি হইলো ইজরায়েল আছে এবং আরো ৫০ বছর থাকবে। আর এই ৫০ বছর ১০০-২০০-৫০০ বছর ও হতে পারে।
          এখন মুসলমান-মুসলমান ভাই ভাই হইলে ফিলিস্থিনের মৃত শিশুদের ছবি ভিডিও দেখে দুনিয়ার সকল মুসলমানের অন্তর কাঁদলে আমি অবাক হই। আমি অবাক হয়ে ভাবি দুনিয়ার মুসলমানেরা আরো ৫০০ বছর কাঁদবে কিন্তু ঐ ফিলিস্থিনিদের নিজের দেশে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসবে না।
          অবাক হয়ে ভাবি কতোই না উত্তম চরিত্রের ছিলো মুহম্মদ নবীর সময়কার মদীনাবাসী।

          পিতৃভূমি-মাতৃভূমি সবার কাছে আপন, প্রিয়।
          কিন্তু যেই পিতার দেশে থাকলে জীবনের কোনোরকম নিরাপত্তা নেই সেই দেশে ক্যানো আমি থাকবো?

          সেই মেষ আর সিংহের গল্প তো সবাই জানি। সেই যে জল ঘোলা করার গল্প।
          এই গল্পে ঈশপের মোরাল ছিলো, দূর্জনের ছলের অভাব হয় না।
          আরেকটা কথা যেইটা ঈশপ বলেন নাই তা হইলো তুমি যদি ভেড়া হও তবে কোন সিংহের কাছে দাঁড়িয়ে জল পান করতে যেও না।
          আর যদি বা যেতে হয়ই তবে যাও কিন্তু তুমি ভাটিতে থাকার পরো সিংহ যদি তোমাকে জল ঘোলা করার মিথ্যা দোষে দোষারোপ করে তবে ঝেড়ে দৌড় দাও।

          নারে আমি মুসলিম বিদ্বেষী না ; অন্তত ইজরায়েল-ফিলিস্থিন ক্ষেত্রে না।
          বরং যে সকল মুসলিম রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের মুসলমানেরা আজ ফিলিস্থিনের মুসলমানদের কষ্টে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে অথচ নিজেদের দেশে আসার দাওয়াত দিচ্ছে না তারা মুসলিম বিদ্বেষী। এরা আরো হাজার বছর ফিলিস্থিনের মুসলমানদের রক্ত দেখে কাঁদবে কিন্তু একটু জায়গা দেবে না।

          আরেকটা ব্যাপার।
          মুসলিম বিদ্বেষ থাকুক না থাকুক আমি আল্লাহ য় বিশ্বাস করি না। সেই হিসাবে পিতা ছাড়া যিশু তে বিশ্বাস করি না। তুর পাহাড়ে মূসারে আল্লাহ টেন কমান্ডমেন্ট দিছিলো তাতেও বিশ্বাস করি না। সো আমি ক্যান ইহুদী ইজরায়েলের পক্ষে যাবো!
          আল্লাহর অনুসারী একদল আরেকদলকে সাইজ করছে আমার তো বইসা হুক্কা খাবার কথা।

          নেভার মাইন্ড।
          আরো হাজার বছর চোখের জল ফেললে মুসলিম উম্মাহর চোখ খুলবে না/


          এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

          জবাব দিন
          • জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)
            আমি অবাক হয়ে ভাবি দুনিয়ার মুসলমানেরা আরো ৫০০ বছর কাঁদবে কিন্তু ঐ ফিলিস্থিনিদের নিজের দেশে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসবে না।

            আর আমি অবাক হয়ে ভাবি আপনি এসব কথা চিন্তা করেন কিভাবে? 'আধুনিক' পৃথিবীতে এটা কি সম্ভব যে ৪০ লাখ মানুষকে আমরা উড়িয়ে নিয়ে আরেক জায়গায় থাকা, খাওয়ার, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেব? আপনি মজা করছেন না তো? সে হিসাবে বাংলাদেশ থেকে সব হিন্দু ধর্মের মানুষদের তো ভারত বা নেপালে চলে যাওয়া উচিত, আলজেরিয়া বা মিশর থেকে খ্রিস্টানদের কোন ক্রিস্টান দেশে চলে যাওয়া উচিত...কিন্তু না, এটা আকাশ-কুসুম কল্পনা ছাড়া কিছুই না! তাছাড়া, স্বাধীনতা শব্দটা আপনার কাছে খেলো মনে হতে পারে, কিন্তু ওদের কাছে হয়ত নয়!!!

            আপনি ইজরাইলের পক্ষে না বলছেন কিন্তু আপনার কথায় তার উল্টোই প্রকাশ পাচ্ছে। টিন এজ কিডন্যাপিং এর যে খবরের লিঙ্ক আপনি দিয়েছেন সেটা ইউকে তে ইজরায়েলি দূতাবাসের ওয়েব সাইট (সিরিয়াসলি?)। তাছাড়া আপনার চোখে কিডন্যাপিং এর খবর চোখে পড়ল কিন্ত হামাস যে দায়িত্ব স্বীকার করে নি- সেটা চোখে পড়ল না। ওরা মিথ্যে বলছে তাও যদি মানি- ইজ্রায়েল কিন্তু এখনো কোন প্রমান দিতে পারে নি। অথচ ঐ ঘটনার পর পর ১৬ বছরের একটি ফিলিস্তিনী কিশোরকে 'কে' বা 'কারা' জাতিগত বিদ্বেষের জের হিসেবে (ইজ্রায়েলি পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী) প্রথমে কিডন্যাপ, পরে ছুরির আঘাত এবং সবশেষে পুড়িয়ে মেরেছে! শুধু তাই না, ইজ্রায়েলি সৈন্যরা অভিযুক্ত ধরার নামে ৬ জনকে মেরে ফেলেছে এবং কোন প্রকার চার্জ ছাড়াই কয়েকশ জনকে আটকে রেখেছে। কিডন্যাপার খোঁজার নামে কয়েকশ বাড়ি ঘর ভাঙচুরও করেছে!

            ৩ জন কিশোর কিডন্যাপিং খবরে আপনি ইজ্রায়েলি আক্রমনের যৌক্তিকতা পান এটা ভুলে যান যে গত মে মাসে ইজ্রায়েলি সৈন্যরা ১৬ এবং ১৭ বছরের দুই কিশোরকে স্নাইপার রাইফেল দিয়ে গুলি করে মেরেছিল। ইজ্রায়েলিরা ২০১৪ সালের প্রথম তিন মাসেই মেরেছে ১৯ জন ফিলিস্তিনিকে!

            আল্লাহর অনুসারী একদল আরেকদলকে সাইজ করছে আমার তো বইসা হুক্কা খাবার কথা।

            আমার ধারনা আপনি হুক্কাই খাচ্ছেন!


            ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

            জবাব দিন
  5. আপনি উদ্ধৃত আয়াত, সূরা মায়েদাহ আয়াত 51, শব্দ "আউলিয়ার" ব্যবহার করা হয়. এটি একটি বহুবচন এবং তার একবচন "ওয়ালী" হয়. শব্দ "" Wali "এর সঠিক অনুবাদ" "বন্ধু" হয় না কিন্তু এটি খুব ঘনিষ্ঠ এবং ঘনিষ্ঠ একজন হয়. এটি "অভিভাবক, অভিভাবক, পৃষ্ঠপোষক, পালনকর্তা এবং মাস্টার" বোঝাতে ব্যবহার করা হয়.
    (সুত্র: http://en.wikipedia.org/wiki/Wali)
    কোরান এই শব্দ যেমন [আল্লাহ যারা বিশ্বাস এর অভিভাবক (বা প্রভু এবং মাস্টার) হিসাবে, ঈশ্বরের জন্য ব্যবহৃত হয়. (: 257 আল Baqarah 2) তিনি] ... আলোকে অন্ধকার এর depths থেকে তাদের বের করে নেয়
    এই অর্থ দিতে যে কোরানে অনেক রেফারেন্স আছে. একই শব্দ মাঝে মাঝে যেমন আল ([য়ে কেউ অন্যায়ভাবে নিহত হয়, আমি ... (এই ক্ষেত্রে বিচার বা শাস্তি চাওয়া) কর্তৃপক্ষ তার পরের কুটুম্ব "Wali" দেওয়া আছে] হিসেবে, মানুষের জন্য কুরআন ব্যবহার করা হয় - 'ইসরা' 17: 33)
    সুরাত আল মায়েদার এ আয়াতের সঠিক অনুবাদ হল: [হে যারা বিশ্বাস! আপনার পৃষ্ঠপোষকদের হিসাবে ইহুদী এবং খ্রিস্টান নিতে না. তারা তাদের নিজেদের মানুষের পৃষ্ঠপোষকদের হয়. তিনি পৃষ্ঠপোষকতা জন্য তাদের চালু হবে, যিনি তোমাদের মধ্যে তাদের একজন. . নিশ্চয় আল্লাহ জালেম না একটি মানুষ গাইড] (আল Ma'dah 5: 51)
    এটা ইহুদীদের ইহুদী এবং খ্রিস্টান খ্রিস্টান রক্ষা রক্ষা স্পষ্ট যে, তাই কেন মুসলিমরা মুসলিমদের রক্ষা এবং তাদের নিজস্ব মানুষ সমর্থন করে না. এই আয়াতে ইহুদী বা খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে করা আমাদের বলার না হয়, কিন্তু এটি আমরা আমাদের নিজস্ব মানুষ তত্ত্বাবধান করা উচিত এবং আমরা একে অপরকে সমর্থন আবশ্যক -

    জবাব দিন
  6. হায়দার (৯২-৯৮)

    রাজীব ভাই,
    মক্কা কখনো ইহুদীদের কাছে পবিত্র স্থান ছিলনা। মদীনা থেকে ইহুদীদের যে তিনটি গোত্র বিতাড়িত হয়েছিল, তার কারণ তারা ইহুদী ছিল বলে নয় বরং তাদের বিশ্বাসঘাতকতা এবং ষড়যন্ত্রের জন্য।
    নিচের লিঙ্কের ভিডিও চ্যানেলে এর তথ্যপ্রমান পাবেন।
    https://www.youtube.com/watch?v=VOUp3ZZ9t3A&list=PLAEA99D24CA2F9A8F

    প্যালেস্টাইন এবং অন্যান্য মুসলিম দেশে ইহুদীরা ১৯১৮ সাল পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই বসবাস করে আসছিল। Zionism এর উত্থান, 1st World war এর পরে ব্রিটিশদের প্যালেস্টাইন দখল এবং এর পরে Zionistদের দ্বারা Systematically Ethnical Cleansing থেকেই সমস্ত সমস্যা শুরু।
    অধিকাংশই জানেনা যে, Zionism is not Judaism। নিচের লিঙ্কে এর তথ্যপ্রমান পাবেন।
    পার্ট 1 : https://www.youtube.com/watch?v=qh9awD5KwNY
    পার্ট 2 : https://www.youtube.com/watch?v=aQjDeRcBbzo

    কোরান শরীফের একটা আয়াত দিলেন, যার অনুবাদটা ভুল। Historical Context, Literary Context উহ্য করে গেলেন। Out of context এ যেকোনো information কেই Mis-use, Mis-interprit করা যায়। আপনার ধারনা হিজরত করা হারাম। এটাও Out of context এ Mis-interpritation. BTW, Islamophobe এবং Radiacal islamist এরা উভয়ই একই দোষে দুষ্ট।

    আপনি আল্লাহ বিশ্বাস করেন অথবা নাই করেন, সেটা সম্পূর্ণ আপনার ইচ্ছা। কিন্তু আপনি এখানে বলছেন, আপনি আল্লাহ বিশ্বাস করেননা। আবার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন,
    ফেসবুকের কাছ থিকা দূরে থাকা যায় না রে বন্ধে.... আমি এক আল্লাহ বিশ্বাসী।
    এটা কেন করেন?
    (সম্পাদিত)

    জবাব দিন
  7. রাজিব ভাই, আপনার লেখায় খুব গুরুত্ব পূর্ণ কিছু মতামত আছে বিশেষ করে আপনি যে বলেছেন মুসলমানরা মূর্খ, এ ব্যাপারে তেমন কোন সন্দেহ নাই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আপনি রেফারেন্স দেন কিন্তু কে কখন কিভাবে ৩ ইসরাইলি ছেলে কে কিডন্যাপ করেছে সে ব্যাপারে আপনি রেফারেন্স দেন নাই। আমি কোন মিডিয়াতে দেখি নাই যে এ ব্যাপারে খুব তথ্য বহুল কোন রিপোর্ট যা বিশ্বাস করা যায় এমন কিছু।

    আপনার মত একজন সচেতন মানুষ যে সংখ্যালঘু নির্যাতন, জামাত শিবির এর অপপ্রচার নিয়ে রীতিমত গবেষক এর মত অভিজ্ঞতা লব্ধ সে কেন বুঝবেনা যে এটা একটা নাটক যেমন করে বাংলাদেশে ক্রস ফায়ার নাটক হয়, ফেসবুকে কোরআন অবমাননার নাটক হয়, যেমন করে ইন্ডিয়াতে মুসলিম নিধনের আগে ট্রেনে আগুন দেয়ার নাটক হয়, যেভাবে চাদে সাইদি কে দেখার নাটক হয়। আপনি অবশ্যই বিষয়টা বোঝেন বলেই আমার ধারণা। ইসরাইল এর প্রতি যে আপনার সফট কর্নার আছে সেটা বোঝা যায়, তবে আমি সেটাকে আপনার অধিকার হিসেবে ধরে নিতে চাই যতক্ষণ পর্যন্ত আপনিও নারি ও শিশু হত্যাকারীদের সমর্থন না করছেন।

    বি দ্রঃ ফিলিস্তিন- ইসরাইল সমস্যাকে আপনি যে হাজার বছরের ঐতিহাসিক রুপ দেয়ার চেষ্টা করলেন সেটা অনেককেই মজা দেবে। যদি তথ্যবহুল আর আধুনিক শিক্ষার আলোকে যুক্তি চর্চার যে মান তার সাপেক্ষে গ্রহণযোগ্য কিছু পান তাহলে দয়া করে অধম কে জানাবেন।

    আরেকটা কথা, ধর্ম যত নষ্টের মুল!!!আসলেই কি তাই? সমাজ কিভাবে তৈরি হয়েছে? আইন কিভাবে তৈরি হয়েছে? সামাজিক ভারসাম্য কিভাবে সমাজ কে , রাষ্ট্র কে এগিয়ে নিয়ে গেছে? এগুলো র সাথে ধর্মের সম্পর্ক কতটা নিবিড়? আপনার ক্ষেত্রে আমার ধারণা- শুধু লেখার জন্য এত ভারি ভারি উপসংহার তৈরি করেন আপনি। শুধু সমাজ বিজ্ঞান, বা ধর্ম বা ইতিহাসের কিছু বই পড়ে এত বড় বড় কথা লেখার আমি পক্ষপাতি না, ভাই। তৃতীয় নয়ন না থাকলে আপনি কিছুই ধারন করতে পারবেন না। অবশ্যই আমি আপনার মধ্যে স্রষ্টার অস্তিত্ব আর ধর্ম বিষয়ক চিন্তার মধ্যে অনুধাবন আর ধারনার ঘাটতি দেখি। একটা জিনিস জানবেন- বিজ্ঞান যদি কখনও এটা সরাসরি প্রমান করে দেয় যে মহাবিশ্ব তৈরিতে স্রষ্টাকে প্রয়োজন হয় নাই তখন ও ধর্ম কে আমাদের দরকার হবে।

    ছোট হয়ে বড় কথা বলা ঠিক হবে কিনা জানিনা তাও বলি- আপনি আপনার চার পাসে যা দেখেন তার ৯৯.৯৯৯৯৯৯৯৯৯৯৯৯ শতাংশ হচ্ছে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, বাকি ( .০০০০০০০০০০১) শতাংশ হচ্ছে আমরা নিজেরা যা তৈরি করেছি তাই। সুতরাং এগুলো অনুধাবনে বিজ্ঞান বোঝা খুবই জরুরি।

    জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      গত কয়েকদিন আমি নেটে ছিলাম না।
      উড়া কথা শুনতেছি যে ৩ টিনেজারকে নাকি কিডন্যাপ করা হয় নাই।
      দেখা যাক সত্য-মিথ্যা কি?

      আমি কিন্তু গাজায় যারা মারা যাচ্ছে তাদের বিপক্ষে বা ইসরাইলীদের পক্ষে কিছু বলি নাই।
      রিয়েলিটি বা বাস্তবতার কথা বলছি।

      আমি যদি দেখি আমার ভাই অন্য দেশে বসে মার খাচ্ছে তবে আমার সামর্থ্য থাকলে তাকে আমার দেশে নিয়ে আসবো।
      মানুষের জীবন বেশি গুরুত্ব্পূর্ণ না মসজিদ?

      মিশর যখন যুদ্ধবিরতির কথা বলছিলো তখন কি হামাস তা মেনে নিছে?
      নেয় নাই।
      কিছু গাধা যুদ্ধ করবে আর আমি তার সাপোর্ট করবে তা তো হয় না।

      আর এইটা আল্লাহ আছে কি নাই তার ব্যাপার না।
      আল্লাহ তো ইহুদীদের ও।

      ভালো কথা আইসিস ইরাকে মেয়েদের খৎনা করাচ্ছে।
      লিঙ্ক।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
  8. তিন কিশোরের অপহরণের ঘটনাকে জায়নিস্ট আর একদম গোঁড়া ইসলামবিদ্বেষী ছাড়া আর কেউ এখন মনে হয় গাযার হত্যাযজ্ঞের কারণ হিসেবে মনে করে না। আপনি শুধু একজন মহান ইসলামবিদ্বেষীই না, আপনি একজন ফ্যানাটিক।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।