না এইটা পরকাল বিষয়ক পোষ্ট নয়।
ঐদিন কোরান হাতে নিছি। বউ কইলো,
“আবার কার সাথে যুদ্ধে নামছো?”
মাঝে মাঝে স্পষ্ট টের পাই এই এলো বলে, এই এলো বলে..
কি আসবে?
ওহি আসার কথা বলছি।
যাই হোক আর আঘাত দিতে চাচ্ছি না কাউকে। স্টে কুল।
সবাই কে বাঙলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।
বারো মাসে তেরো পরবের কথা বলা হলেও আমাদের আনন্দ করার সুযোগ খুব কম। জীবন অনেক বেশি যান্ত্রিক এখন।
কিন্তু আজ বাঙালির প্রাণের আনন্দ পহেলা বৈশাখের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে বাঙলাদেশের অতি মুসলমানেরা। দিন কয়েক আগেই এক বন্ধু বলছিলো,
“মুসলমানদের একটাই জাতিসত্বা। আর তা হলো, মুসলিম।”
অত্যন্ত বিষাদময় কিন্তু প্রতিবাদ করতে পারি নি।
হুমায়ুন আজাদ একদা তার প্রবচনগুচ্ছের ৬২ নম্বর প্রবচনে বলেছিলেন,
“এদেশের মুসলমান একসময় বাঙালি, তারপর বাঙালি মুসলমান, তারপর বাঙালি হয়েছিলো; এখন আবার তারা বাঙালি মুসলমান, বাঙালি মুসলমান থেকে মুসলমান বাঙালি, এবং মুসলমান বাঙালি থেকে মুসলমান হচ্ছে। পৌত্রের ঔরষে জন্ম নিচ্ছে পিতামহ।”
সেই নব্বই এর দশকে বড় ভয়ংকর কথাটি বলেছিলেন তিনি।
সিসিবির মাহমুদুল হাসান লেখে,
১.
ঃ কি করিম সাহেব, কত দিয়ে গরু কিনলেন?
ঃ ৭৫০০০ ভাই। কিন্তু নাতির নাকি পছন্দ হয় নাই। ও খাশি কিনতে বলেছে। দেখি বিকেলের দিকে একবার হাটে যাবো।
ঃ আর আপনার সুখ ভাই।
ঃ আপনি কত দিয়ে কিনেছেন?
ঃ না ভাই, এখনো কিনি নাই। ছেলে আসুক তারপর কিনবো। ৫০- ৬০ এ কি ভালো পাওয়া যাবে?২.
ঃ কিরে ঈদের শপিং শেষ?
ঃ কই আর শেষ? ফাহিমের বাড়িরটাই এখনো হয়নি। আমাদের বাসার তো বাকীই আছে।
ঃ এখন কোথায় যাচ্ছিস? কই আর? মার্কেটে। তোদের শেষ?
ঃ নাহ, ভাবছি এবার ঢাকায় ঈদ করে কোথাও বেড়াতে যাবো। আত্নীয়দের বাসায় অনেক দিন যাওয়া হয় না।উপরের কথোপকথনের অংশটুকু বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্তের মুসলিমদের দুই ঈদের আগের কয়েকদিনের কমন আলাপচারিতার। দুই ঈদে ঘটা করে উৎসব করা হয় আরব সংস্কৃতির অনুকরনে। ধর্মের ধোয়া তুলে তখনকার ‘অপচয়’ টা অপচয় মনে হয় না। তা হয়ে যায় ঈদ উৎসব। একেবারে যার নুন আনতে পান্তা ফুরোয় তারও ঈদ বাজেটে ৫,৭,১০ হাজার টাকা থাকে। কম করেই বললাম। আর পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে একটু আনন্দ পাবার জন্য মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্তের পাঞ্জাবী-শাড়িটার দাম ২-৩ হাজার টাকার বেশি কোনভাবেই ঊঠে না। আর ইলিশ টা বছরে তারা গরীবের ঈদের মাংসের মতই দুই একবারই খায়।
তারপরও পহেলা বৈশাখ আসলেই থালা হাতে নাঙ্গা ভুখা বাচ্চাটার ছবি আসে। হাজার কিংবা লক্ষ টাকার ঈদে আসে না। তখন ওই নাঙ্গা ভুখা বাচ্চাটাও কোটিপতি হয়ে যায়, সেজন্য তার দিকে তাকাতে হয় না।
এছাড়াও কি দরকার এত কিছু করার, একদিনের বাঙালি হবার দরকার কি, হিন্দু সংস্কৃতি ম্যা ম্যা ভ্যা ভ্যা শুনতে হয়। ভাই রে, জীবনের কোন অংশটায় তুমি বাঙ্গালিত্বের স্বাক্ষর রাখো? সারা বছরই তো হিন্দি, ইংরেজি গান, ফাস্টফুড, মেক্সিকান, সালোয়ার কামিজ, জিন্স টপস, স্যুট বুট টাই নিদেনপক্ষে শার্ট- প্যান্ট তো চলেই। এখন বাড়িতে কেউ লুঙ্গি পড়ে এটা বলাও তো অসম্মানের করে ফেলেছেন। হোক না একটা দিন। মেয়েরা লাল শাড়ি পরুক, ছেলেরা লুঙ্গি, ধুতি- পাঞ্জাবী। গামছাটা ঘাড়ে থাক। মধ্যবিত্ত একদিন আয়েশ করে ইলিশ-ভাত খাক। রিমোট কন্ট্রোলড চাইনীজ গাড়ির বদলে একদিন আমাদের বাচ্চাদের হাতে উঠুক টিনের ডুগডুগি।
কাবেরি গায়েন বলেন,
আমার ভাইয়ের মেয়ে ঈষানা। স্বাস্থ্যজ্জ্বল মেধাবী শিশু। বয়স ছয় শেষ হতে চলেছে। গ্রীন হেরাল্ডে পড়ে। কিন্তু বেশি পড়ে বাসায়। যা কিছু পাঠযোগ্য, গো-গ্রাসে গেলে। কাল দেখলাম হাঁটতে হাঁটতেও বই পড়ছে The Scandinavian Fairy Tales. নিজের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। সারাদিন মুখস্ত হয়ে যাওয়া রুপকথার বই পড়তাম বলে ওর বাবা স্কুল থেকে এসে আমাকে প্রায়-ই লজ্জা দিতেন, ‘কী, পুঁথিপাঠ হচ্ছে?’। ঈষানা আমার বিশেষ প্রিয়। শুধু ভাইয়ের মেয়ে বলে নয়, স্বভাবের জন্যও। সে শুধু পড়ে না, ডায়েরি ভরে ভরে লেখে। অদ্ভূত ছবি আঁকে। নিজের জগত তৈরি করে ফেলেছে এই বয়সেই। ডাইনিং টেবিলে খেতে বসেছে ঈষানা আর আমার বোনের মেয়ে বুলবুল। বুলবুল প্রেটি ইয়ং লেডি। ১৮ বছর হয়েছে গত সেপ্টেম্বরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএ-এর ট্যাঁশ ছাত্রী। তিনিও বিশিষ্ট পাঠক। তার এ লেভেল পরীক্ষার সময় বিছানাজুড়ে কেবল সাহিত্যের বই থাকতো থরে-বিথরে। তার মা’র স্থির বিশ্বাস ছিলো পরীক্ষায় ‘ভজঘট’ করবেন, কিন্তু তিনি সবগুলোতে ‘এ’ পেয়ে, ইংরেজী আর স্প্যানিশ-এ পূর্ণমান পেয়ে সবাইকে আশ্বস্ত করেছেন, সবচেয়ে বেশি আমাকে। না’হলে প্রশ্রয় দেবার সকল দোষ আমার ঘাড়ে পড়তো। তার মহানুভবতা হলো, ছয় বছরের ঈষানা কিংবা পাঁচ বছরের তুতুনের সাথে খেলতে অসুবিধা হয় না। বিশেষ করে তুতুন ‘বুলিদিয়া’র সাথে খেলতেই বাসায় আসে। খাওয়ার টেবিলে ঈষানা আর তার ‘বুলিদিয়া’র কথোপকথনঃ
-বাবু, তোমাকে পানি দেই?
– পানি কেনো বলছো বুলিদিয়া, এটা তো বাসা, আমরা তো বাসায় জল বলি।
– আর স্কুলে কী বলো? (বুলিদিয়ার মুখে দুষ্টু হাসি, বোঝাই যায় বুলিদিয়ার জানা আছে উত্তর)
-স্কুলে পানি বলি।
আমি হালকাভাবে জিজ্ঞেস করি, কেনো?
– জল বললে তো ওরা জিজ্ঞেস করবে, এই তুমি কি হিন্দু? তুমি কি হিন্দু? (ঈষানার মুখের হাসি ততক্ষণে ম্লান হতে শুরু করেছে)
-তো জিজ্ঞেস করলে কী হলো? জিজ্ঞেস করি ম্লান মুখ উপেক্ষা করেই।
-তাহলে ওরা তো আমার সাথে খেলবে না, সবাই কাট্টি নেবে (ঈষানা কনে আঙ্গুল দিয়ে আড়ি নেয়া দেখায়)
-কী যে বলো! এমন কেউ করেছে কখনো?
– হ্যাঁ। আর্ট ক্লাসের দুই ছেলের নাম বললো, যারা না কি এমন করেছে ইতিমধ্যে।
-তাহলে তুমি কি লুকিয়ে রাখো যে তুমি হিন্দু?
-হ্যাঁ। ঈষানা মাথা নাড়ে।
-কীভাবে লুকিয়ে রাখো?
-পানি বলি, আম্মা বলি…আব্বা বলি…মা-বাবা বলি না… (ঈষানা থেমে থেমে বলে)
আমি ততক্ষণে হতবাক। ছয় বছরের মেয়ে এসব কী বলছে?
-ইরতেজার আম্মু বলেছে, ঈষানা বলে চলে, হিন্দুদের সাথে না মিশতে…আফনানের আম্মু বলেছে, হিন্দুদের দেয়া কিছু না খেতে…
খাওয়ার টেবিলে আমি অস্বস্তিবোধ করতে থাকি এই দুই সন্তানের সামনে। বুলবুলের ম্লান মুখ দেখে মনে পড়ে যায়, ওর স্কুলিং শুরু হয়েছে এডিনবরায়। ওর মা’র পিএইচডি শেষ হলে ওরা যখন দেশে ফিরে আসে, তখন ক্লাশ ফোরে ভর্তি হয় একটি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলেই। ওর হঠাৎ ইউরিন ইনফেকশনের মতো হয়। রোজ ওর মা ওকে স্কুলে যাবার সময় জলের বোতল দিতো কিন্তু ও ফিরিয়ে আনতো এক ফোঁটাও না খেয়ে। একদিন ওর মা ওকে বকাঝকা দিলে জানালো তখন রমজান মাস, প্রথমদিন ও না জেনে জল খেয়েছিলো বলে ক্লাশের ছেলেমেয়েরা খুব হাসাহাসি করেছিলো, ওকে হিন্দু বলেছিলো, তাই ও আর খায়নি সাহস করে। বাসায় বলেও নি ভয়ে। সে’সময় খুব বিস্মিত হয়েছিলাম যে ক্লাশ ফোরে রমজানের দিন পানি খেয়েছিলো বলে বিদ্রুপ করেছিলো ক্লাসে! দিন আরো খারাপ হয়েছে। এখন ছয় বছরের ঈষানা ঢেকে রাখে তার পরিচয়।
ঈষানা খুব কম কথা বলে, কিন্তু খাওয়ার টেবিলে সে বলে চলেছে তখন, ‘আমাদের ক্লাসে তো সবাই মুসলমান, মাত্র দু’জন তো হিন্দু আর চার-পাঁচজন কৃশ্চিয়ান…’ (স্কুলটা গ্রীন হেরাল্ড)
আমি আর শুনতে পারি না। খাবার বিস্বাদ লাগে মুখে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স লাউঞ্জে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে আমরা এখনো রমজানের সময় ইচ্ছে হলে খাই বা না-খাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ নয়। গ্রীন হেরাল্ডের মত পশ ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে আমার ছয় বছরের ঈষানা শিখে গেছে তার ধর্মীয় পরিচয় চেপে রাখার কৌশল!
প্রিয় বাংলাদেশ, এখনো, তবুও তোমাকে খুব ভালোবাসি।
হিল্লোল দত্ত তাই বলেন,
পাপাই স্কুল থেকে এসে একদিন বলছে, বাবা, আমার বন্ধু অমুক বলেছে, তোদের ঠাকুরগুলো সব আমি তলোয়ার দিয়ে দুই টুকরা করে কেটে ফেলবো। বয়েস হয়তো পাঁচের কিছু বেশি। অসাম্প্রদায়িকতা, মাই ফুট!
প্রিয় বাংলাদেশ, তুমি কখনোই জানবে না, তোমার ধর্মপ্রাণ নাগরিকেরা কখনোই জানবে না, তোমায় কতোটা ভালোবাসি।
” হে আমার বাঙলাদেশ, প্রিয় বাঙলাদেশ আমার কোথায় চলেছো তুমি?
কাল হয়তো এই লাল আর থাকবে না পতাকায়।
কারণ এই লাল তো উদিত সূর্য্য।
কারণ এই লাল তো ৩০ লাখ শহীদের রক্ত।
কারণ এই লাল তো ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম।
তোমার সবুজ জমিনে ঠাঁই পাবে কিছু বিজাতীয় হাবিজাবি – মরুর ভাষা।”
দুঃখজনক হলো, ঘটনা সত্যি।
তারপরেও কেন যেন মনেহয়, আগের চেয়ে কিছুটা হয়তো ইমপ্রুভ করছে।
আশায় বুক বাধতে ইচ্ছা হয়।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
অবস্থা আরো খারাপ হবে ভাইয়া। 🙁
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
পারভেজ ভাই, দুঃক্ষিত। বলতেই হচ্ছে, পরিস্থিতি আগের চেয়ে আরো খারাপ হয়েছে।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
'অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ' আমার কাছে এখন একটা জোক ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না।
সব চে বড় যে ধাক্কাটা আমি খেয়েছি তা হলো, সংসদের স্পিকারের মাথার উপর বড় করে লেখা 'বিস্মিল্লাহির.............................................রাহীম' । সেদিনই আমি ধরে নিয়েছি বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে ধর্মের ফাঁদে পা দিয়েছে। এই ফাঁদ থেকে বের হওয়া এত সহজ নয়।
আর আমাদের ধর্ম শিক্ষার ফল আমি আতঙ্কিত হয়েছি একদিন বাসায়। আমার বাসার নিচতলায় থাকেন এক ব্যাঙ্কার। তার ৬-৭ বছরের বাচ্চা প্রায়ই বাড়িওয়ালার বাসায় আসে। একদিন আমি মিষ্টি নিয়ে এসেছি। আমি তাকে বললাম মিষ্টি খেতে। সে সোজা আমাকে জানিয়ে দিল, মিষ্টি হিন্দুরা বানায়, তাই সে খাবে না। আমি কিছুক্ষন তার দিকে হা করে চেয়ে দেখলাম। এই বয়সে একটা বাচ্চা এক শ্রেনীর মানুষের প্রতি কি ঘৃনা নিয়ে বড় হচ্ছে।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
:grr:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এইটা আরেকটা ফানি পয়েন্ট।
যে ব্যাংকই হোক না কেনো,
ইসলামী হইলেও সে কিন্তু ঐ আগুনেই পুড়বে।
সুদের হিসাবকারীকেও আল্লাহ ছাড়বেন না।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমি বুঝাতে চেয়েছি, ব্যাঙ্কে চাকরি করে যেহেতু, আমাদের 'শিক্ষিতের' তকমাটা তার গায়ে লেগে আছে।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
:thumbup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
উপরে ফানি নয়, ইন্টারেষ্টিং হবে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
শিশুদের মতো করে পৃঠিবীটাকে আমরা ভাবিনা। ওদের ওপর চাপিয়ে চাপিয়ে দি' আর চাপিয়ে দি'।
শিশুকে তার জাত, বর্ণ ভালো করে চিনিয়ে দিয়ে আমরা নিশ্চিত করতে চাই সে গোত্রের মতন ভাববে, কথা বলবে -- অন্যথা হবে এমনটা আমরা কল্পনাতেও আনতে পারিনা।
কথা হচ্ছে সত্যিকার অসাম্প্রদায়িক মন ধারণ করতে হলে ধর্মের নিষেধকে উপেক্ষা করতেই হবে কখনো না কখনো --- যেটা ধর্মকে নিষ্ঠার সাথে পালন করা সত্ত্বেও আমার জানাশোনা একটা বিশাল সংখ্যার মানুষকে করতে দেখি এখনো। সম্প্রীতির সেটাই শক্তি -- মুসলমান বন্ধুর বাসায় গেলে যেমন আমি আশা করবোনা, যে হাঁড়িতে কখনো গরু চড়েনি তাতেই মুরগী রেঁধে আমাকে খেতে দেবে। এতে যদি কোন অতিহিন্দু আমার হিন্দুত্ব নিয়ে সন্দেহ করে, তারে ক'ব দূর হ মূর্খ কোথাকার! তেমনি আমার প্রাণের বন্ধুরা (বলা ভালো ভাইয়ের অধিক ভাইয়েরা) আমার বাড়িতে এলেও হালাল হারাম জিজ্ঞাসা না করেই মাংস খাবে, কাঁকড়া খাবে, কেউ কেউ মদ খাবে - প্রশ্ন ছাড়াই। তাতে যাদের চোখ টাটায়, তাদের বলবো দূরে থাক্।
মানুষকে বুকে টেনে নেবার আগে যদি গ্রন্থ খুলে দেখার প্রয়োজন হয় -- আসলে বুঝতে হবে তার প্রয়োজন ওখানেই ফুরিয়েছে --- সেটা গীতা, ত্রিপিটক, কোরান যাই হোক না কেন। আমার সন্তানকে আমি সেই শিক্ষাই দেবো। রঙ, গ্রন্থ, লিংগ নির্বিশেষে মানুষকে মানুষ ভাবতে শেখাবো -- আমি না পারলে আপনারাই শেখান। স্বাগতম।
এ হে আমি কাকড়া খাই না।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
মানুষকে বুকে টেনে নেবার আগে যদি গ্রন্থ খুলে দেখার প্রয়োজন হয় -- আসলে বুঝতে হবে তার প্রয়োজন ওখানেই ফুরিয়েছে --- সেটা গীতা, ত্রিপিটক, কোরান যাই হোক না কেন। :just:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
::salute:: ::salute::
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
:boss: :boss: :boss:
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
ক্লাস ফোরে পড়া আমার ছেলেটা যেদিনই মুখ গোমড়া করে বাসায় ফেরে, ধরেই নেই আজও আবার। হাল্কা ভাবে জানার চেস্টা করি " আজকেও?" অন্য কিছু হলে আমাদের আলাপ গড়ায়। প্রায়ই ওর সংক্ষিপ্ত উত্তর হয় " হু " ......
আগে এই নিয়ে স্কুলে যেতাম, শিক্ষকদের সাথে কথা বলাতাম ... কোন পরিবর্তন আসে না। বলাটুকুই সার। দিনের পর দিন একই ঘটনা। ওর বন্ধুদেরও দোষ দেই না। শিক্ষাটা পারিবারিক পরিমণ্ডল থেকেই আসে।
কিন্তু এই "হু" এর সাথে ছেলেটা গুটিয়ে যাচ্ছে ... তার ভেতর বদ্ধমূল ধারনা তৈরি হচ্ছে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকত্বের ... সংখ্যা লঘুত্বের একটা ছিন্নমুল অনুভূতি। যারা এর ভেতর বাস না করবে তারা অনুভব করবে না।
ভাতিজা কে সাহসী হতে বলা ছাড়া আর কি ই বা বলবো!
কিচ্ছু বলার নাই।
হয়ে যাবো উটপাখি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
লজ্জিত...
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
সুর করে সুরা ইয়াসিন পাঠ করতে সন্তানের দিকে তাকিয়ে থেকে চাপা নিঃশ্বাসের সাথে আউড়ে যাব...human are born free...BORN FREE! :clap: :clap: :clap:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
:-B
এইটা কে কারে বুঝায়!!!
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
চোথা মারা ভালো হয়েছে খালেক
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
😀
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
পরিস্থিতি দিনে দিনে আরো খারাপ হবে। এখন এসব নিয়ে আর হতাশ ও হতে পারি না 🙁
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:gulti:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ছেলেমেয়েকে মানুষ করার আগে ধার্মিক করার রীতি যতদিন থাকবে ততদিন বেশী আশা দেখা উচিত না। কারন এই ধার্মিক করার প্রসেসে ভিতরের মানুষটা তো অনেক আগেই মারা গেছে।
• জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব - শিখা (মুসলিম সাহিত্য সমাজ) •
🙂
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সালাম ভাইয়া। আপনি যে ঘটনাগুলো উল্লেখ করেছেন তা সত্যিই দুঃখজনক। কিন্তু আপনার লেখা এবং অন্যান্যদের কমেন্ট দেখে আমার যা মনে হয়েছে তা হল, আপনারা হুমায়ুন আযাদ কে যতটা চেনার চেষ্টা করেছেন, আল্লাহকে চেনার কোন চেষ্টাই করেন নি। আমরা সবাই যদি কোরআন বুঝতাম,বা বুঝার চেষ্টা করতাম তাহলে উপরের কোন ঘটনাই ঘটতনা। আমাদের মাঝে কয়জন আছে যে কোরআন বুঝে পড়েছে? আমার সৃষ্টিকর্তা আমাকে কি বলতে চেয়েছেন তাই আমি ভালভাবে জানলামনা আর কোন মানুষ কি লিখল তাই নিয়ে আমরা ব্যস্ত হচ্ছি। অবশ্যই আপনি আপনার মত দিবেন কিন্তু আগে তো জানতে হবে, আসলে ইসলাম কি বলতে চায়। স্যরি ভাইয়া যদি আপনাকে হার্ট করে থাকি। ধন্যবাদ।
এর মানে হইলো কুরান এমনি তে পড়লে মানুষ উল্টা পাল্টা আচরণ করবে।
আর ভালো কইরা বুইঝা পড়লে সঠিক কাজ করবে।
তো কি দাড়াইলো কুরান স্পষ্ট কিছু বলে না।
এমনকি এইটা এমন কিতাব যা কিনা মানুষকে ভুল পথে চালিত করতে পারে।
সুভানাল্লাহ ভালো বলছো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আরে ভাইয়া, আপনি জাস্ট অর্থ পড়েন। আমি সেটা বুঝাতে চেয়েছি। আরবী তো আমার ভাষা না। আপনি বাংলায় কুরআন পড়েন। আমরা শিক্ষিত মানুষ। এটা বোঝা আমাদের জন্য সহজ।
:hatsoff:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমি যখন ক্লাশ ওয়ানে পড়তাম আমার সাথে বিষ্ণু পদ শীল নামে একটা ছেলে পড়তো। ছেলেটা মাত্র একবছর আমাদের সাথে ছিলো। তারপরেও ওকে আমি মনে রেখেছি ওর প্রতি বাকিদের মর্মান্তিক আচরণের কারণে। এমনকি আমাকে এটাও শুনতে হয়েছে, "হিন্দুদের সাথে মিশো না তুমিও হিন্দু হয়ে যাবা।" আইডিয়াল স্কুলে যখন পড়তাম তখন হিন্দুদের ব্যাপারে চাপা উন্নাসিকতা ছিলো সেটা বলতে পারি। সেই উন্নাসিকতা এখন গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে সাচ্চা মুসলিমদের মাঝেও দেখি। কিছু কওনের নাই শুধু একটা ঘটনা কই,
আমি কানাডাতে চারজনের সাথে এক বাসায় থাকতাম। এবং তাদের একজন হিন্দু ছিলো। অথচ দুই বছরে সেটা আমি কখনৈ মনে করি নি।এক পাতিলে রান্না থেকে এক সাথে আড্ডা পার্টি সবই করেছি। তবে অবাক হলাম দেশে আসার পরে। আমার এক কাজিনের সাথে আলোচনা প্রসঙ্গে বছিলাম ঐ ভাইয়ের কথা। আমার কাজিন সবিস্ময়ে বললেন, একটা হিন্দুর সাথে দুই বছর থাকলা ক্যামনে?। এই কথা শুনে আর কিছু বলার থাকে না। আমার সেই কাজিন একটা কিন্ডারগার্টের এর টিচার। ম্যাডাম যদি এমন হন শিক্ষার্থীরা এর চেয়ে ভালো কিছু মনে ধারণ করবে এমন প্রত্যাশা করি না।
:gulli2:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
দার্জিলিং ঘুরতে গিয়া মাথা নষ্ট নকশার এক মন্দির দেইখা ভিতরে ঢুকসিলাম। ছবি তুইলা ফেরত যাওয়ার আগে পুরোহিতের কাছ থেকে মিষ্টি খাওয়ার লোভে চেহারা দেখাইতে গেলাম। ভিনদেশী দেখে একটার জায়গায় দুইটা সন্দেশ দিয়েছিলেন। আশীর্বাদ করে কপালে গোলাপি তিলক (রংটা নিয়া কিঞ্চিত এলার্জি আছে 😕 ) পরিয়ে দিয়েছিলেন। মাথা নষ্ট কোয়ালিটির সন্দেশ খাইতে খাইতে বাইরে আইসা বাকি তিন বন্ধুর দিকে তাকায় মনে হইলো ওদের চেহারায় সাইনবোর্ড ঝুলতেসে, "এই শালায় মাত্র মালাউন হয়ে বের হয়ে আসলো।" :goragori: :goragori:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
:pira2:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আচ্ছা হিসাবে খৃষ্টানদের সাথে থাকলে কিন্তু বিপদ আরো বেশী। ওরা খায় শূকর। ওয়াক থু! গতদুই বছর রুমমেট জোসেফ (ফকক ২০০৬) এর সাথে কেমনে কাটাইলাম? :bash: :bash: :bash:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
কোন ধর্মের লোকের সাথে খাওয়া যাবে আর কোন ধর্মের লোকের বাসায় খাওয়া যাবে সেটা নিয়ে চমৎকার একটা হাদিস আছে। B-)
পাওয়া মাত্র পেশ করবো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:khekz:
তোর কাজিনরে মুসলমানি সালাম।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:goragori: :goragori: :goragori:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
মোকাব্বির ও মাহমুদুল,
এজন্যই বাজারে এসেছিলো মুসলমানদের মিষ্টি
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
মুসলিম সুইটস! :khekz:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
হুমায়ুন আহমেদ এর কোন এক বই য়ে পড়েছিলাম, ইষ্টিশনের দুই পাড়ে দুইটা ভাতের হোটেল ;
হিন্দু হোটেল,
মুসলমান হোটেল।
- মালিক একই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সব ভাই বাকশালী ষড়যন্ত্র। মনোপলি। মধ্যযুগীয় বর্বরতা। তীব্র প্রতিবাদ জানাইলাম! x-(
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
গুণদার একটা খুব বিখ্যাত কবিতা আছে, কসাই নিয়ে
কবিতার শেষ লাইনে কসাই বলছে,
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমি কিন্তু এক ছুরিতে ও দুটোকে কাটি! - :gulli2:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
এখন লোকে 'সুইটস' অংশটা উঠায় দিছে। খালি কয় 'মুস্লিম'। যাই হোক, জিনিসটা জানতাম না।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
বাংলাদেশের অবস্থা দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। যারা দেশ চালায়, তাদের ৯০% 'আল্লামা' শফির চাপা ভক্ত। আমি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কারণ আমি খুব সেনসেটিভ একটা কর্মস্থলে কাজ করি যেখানে আমার সহকর্মীদের বেশির ভাগ লোকই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা (অবসরপ্রাপ্ত না কিন্তু!)। তাঁরা সবাই বিধর্মীদের কতল করার পক্ষে। শিশুরা সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাদের অমানুষ মা-বাবার কারণে। আর আমি অসাম্প্রদায়িক কিংবা প্রথাবিরোধী কিছু ফেসবুকে লিখলে আমার ক্যাডেট কলেজের বন্ধুরাই আমাকে জুতা মারতে আসে।
যদি মনে হয় শস্যের ভিতরেই ভূত;
তবে গোটা শস্যটাই পুড়িয়ে দাও
অপেক্ষা করো নতুন প্রজন্মের জন্যে।"
মনে হয় আমিও সব ভেঙেচুরে-জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়ার দলে...তারপর অপেক্ষা...
মেঘনাদ ভাই, খুব আশঙ্কাজনক কিন্তু সত্য একটি কথা বলেছেন। অনেকে আশাবাদী, স্বপ্ন দেখে পরিবর্তন আসবে। আমি নৈরাশ্যবাদীদের দলে। এই পৃথিবীতে ধর্ম কখনো শান্তির হতে পারে না। অসাম্প্রদায়িকতা বলে কোন শব্দ নেই। প্রথাবিরোধী?!! বলেন কি?
এই দেশে পরিবর্তন আনতে শষ্য পুড়িয়ে দেয়া ছাড়া উপায় নেই।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
উফ যেই বড় কথা বইলা ফালাইলাম, কোপ না খাইলেই হয়! 😕 😕
ওম শান্তি! :duel:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
??????????
!!!!!!!!!!!!! :-B
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কসাই
নির্মলেন্দু গুণ
একদিন এক বিজ্ঞ কসাই
ডেকে বললোঃ ‘এই যে মশাই,
বলুন দেখি, পাঁঠা কেন হিন্দুরা খায়,
গরু কেন মুসলিমে?’
আমি বললামঃ ‘ সে অনেক কথা,
ফ্রেশ করে তা লিখতে হবে
কর্ণফুলীর এক রীমে।‘
কসাই শুনে মুচকি হাসেঃ
‘বেশ বলেছেন খাঁটি,
আমি কিন্তু একি ছোরায়
এই দুটোকেই কাটি।‘
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ধর্মীয় সঙ্কীর্ণতা থেকে আমাদের বেড় হয়ে আসতে হবে এবং সেই শিক্ষা আমাদের দিতে হবে ছোট বয়স থেকে এবং বাড়ী থেকেই। আমরাতো খুব বলি যে আমরা বাংলাদেশীরা খুব উদার ধর্মীয়ভাবে এবং ভারতীয় হিন্দুরা চুরান্ত আগ্রাসী।আমি সেই বিতর্কে যাচ্ছিনা।
ভারতের ব্যাঙ্গালোরে হার্ট স্পেশালিস্ট দেবি শেঠির হাসপাতাল কম্পাউন্ডে মানে একদম ঢোকার মুখেই একই ছাদের তলায় হিন্দু,মুসলিম,খ্রিস্টান,শিখদের জন্য প্রার্থনালয় আছে। আমি সেটা অন্তত আরো ১০বছর আগে দেখেছি।কৈ কখনোও তো শুনিনি সেটা নিয়ে কোন সমালোচনা হইয়েছে কিংবা সেখানে বিভিন্ন ধর্মে কোন সমস্যা হয়েছে। শুধু তাই নইয়।ব্যাঙ্গালোরের সাংসদ একজন বিজেপির লোক এবং সেখানকার প্রাদেষিক সরকারোও বিজেপির। আমাদের দেশে কি এরকম কিছু আছে? বা আমাদের কি সাহস হবে এরকম কিছু করার? আমি ব্যবসা বা রাজনীতি নিয়ে কিছু বলছি না কিন্তু সেই ছোট্ট স্থাপনা দেখে আমার খুবই ভাল লেগেছে। ছাদ একই কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান।সবাই যে যার অবস্থান এবং ধর্ম থেকে উপরওয়ালা কে ডাকছে,প্রার্থনা করছে,নামাজ পড়ছে। এই সহঅবস্থান এবং সম্প্রীতি আমাদের দেশে খুবই প্রয়োজন।
আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ রাজীব ভাই। (সম্পাদিত)
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
🙂
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ