কিসের বলির পাঠা রনি

এই দফায় আওয়ামীলীগের বা জোট সরকারের ব্যার্থতা কি কি?
বিডিয়ার বিদ্রোহ ১ নম্বরে।
যদিও আমি বিশ্বাস করি না আওয়ামীলীগ এর পিছনে ছিলো। কিনবা এর কোন নেতা ছিলো। যদিও নানকের নাম বার বার এসেছে।
বিভিন্ন গুম খুন নিউজে এসেছে।
বিশেষ করে ইলিয়াস আলী এমপির ঘটনা।
আমি এর পিছনে রাজপুত্রের হাত দেখতে পাই।

কালো বিড়াল আর আবুল হোসেনের সাকোর কথা বিশেষ করে বলার কিছু নাই।
সুরঞ্জিত আমার বেশ প্রিয় নেতা। ৭০-৮০ লাখের ঘটনায় বেশ মর্মাহত হইছি। তবে কিনা সব মন্ত্রী-মিনিষ্টাররাই চোর তাই এইটা নিয়া পার্সোনালি অতো বড় করে দেখার প্রয়োজন দেখি নাই। বরং এর পিছনে বিরোধী দলের একটা চক্রান্ত দেখছি।
আবুল পদ্মা সেতুতে কয় টাকা খাইলো না খাইলো সেইটা নিয়াও আমি ভাবিত না। সেতু ছাড়াই তো চলতেছে।
আগেই একবার বলছি সবগুলাই চোর, ৩০০ জনই চোর,;তাদের ভাগ্না, ভাইজতারা তো ডাকাত।
সো ব্রিজ হবে আর মন্ত্রী টাকা খাবে না সেইটা হয়! সচিবেরা পয়সা খাবে না সেইটা হয়! প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পয়সা খাবে না সেইটা হয়!
এইখানে ইউকে পর্যন্ত সৌদি প্রিন্স বান্দার রে ঘুষ দিয়া অস্ত্র বেচছে। এমনকি টনি ব্লেয়ার সাহেবরে পর্যন্ত এই নিয়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হইছে।

কিন্তু হোয়াট এবাউট শেয়ার মার্কেট???
বেশ কয়েকবার আমিও ভাবছিলাম যে শেয়ার মার্কেটে পয়সা খাটামু। কিন্তু না খাটাই নাই। পরে যখন পরিচিত অনেকে ধরা খাইছে তখন তাদের মুখের উপর হাসছি। হে হে, ফাটকা খেলতে গিয়া ধরা খাইছো…

হ্যাঁ যারা শেয়ার বাজারে ইনভেষ্ট করেছে তারা বোকা, না বুঝে টাকা খাটাইছে।
কি আর করা, সবাই তো আর আমার মতো চালাক না!

কথা হইলো, কেনো খাটাবে না? যারা খাটাইছে তারা কি ইল্লিগাল কিছু করছে।
ইয়াবা আর ডাইল লিগাল কইরা দিলে তো নিরাপদে সেখানেই টাকা খাটানো যাইতো।

৯৬-৯৭ এর কথা খেয়াল আছে?
সাইনপুকুরের কথা খেয়াল আছে?
বেক্সিমকো ফার্মা সেল, সেল, বাই, বাই
বেক্সিমকো টেক্সট সেল, সেল, বাই, বাই
সাইনপুকুর বাই, বাই, সেল, সেল।
কি চমৎকার যে এড দিতো সাইনপুকুরের। মনে হয় একটা জমি কিনতেই হবে।
এরপর সব টাটা দিয়া চইলা গেলো।
আর দেখা গেলো সাইনপুকুরের জমিই নাই।
এইসব কোম্পানির মালিক ছিলো বাংলাদেশের অন্যতম বড়ো চোর ঋণখেলাপি সালমান এফ রহমান। এই চোর এফ বিসি আই এর সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নরকে চর মেরে নিউজ হয়েছেন।
৯৬ এ ইলেকশন করেছিলেন, স্বতন্ত্র থেকে না নতুন দল করে মনে হয়। কোটি কোটি টাকা ছড়িয়েছেন। কিন্তু হেরেছেন।
এরপর আওয়ামীলীগে ভিড়েছেন, কোন চিন্তাভাবনা না করেই বলা যায়, কোটি টাকা দিয়েই নমিনেশন নিয়েছেন। আওয়ামীলীগ খুশি মনে তাকে দলে ভিড়িয়েছে। নাজমুল হুদা বিএনপির হয়ে সবসময় জিতে আসছেন। সালমান যদি নৌকা মার্কা আর টাকার জোরে যদি জেতে তো প্রবলেম কি?
না চাচা-ভাতিজার লড়াইয়ে সালমান আবার হারলেন।

যতদূর জানি শেয়ার নিয়া কেলেঙ্কারি শুধু সালমান ওরফে দরবেশ বাংলাদেশেই করেন নাই। ইউ কে তার উপর নিষেধাজ্ঞা আছে।
ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে।

শোনা যায় এবারো শেয়ার বাজারে খেলা নাকি দরবেশই দেখিয়েছেন, তবে নিজের পয়সা দিয়ে নয়, আরেক চোর জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান মোসাদ্দেক আলী ফালুদার টাকায়। এসব তথ্য আবার ফাস করেন আরেক চোরের ছেলে আন্দালিব পার্থ। জাসদ ও ‘৬৯ এর গণ আন্দোলনের নেতা আ স ম আব্দুর রব একবার জাতীয় সংসদকে বলেছিলেন ৩০০ শুয়োরের খামার। শুয়োররা আজ সব বিবর্তনবাদ’এর ধারায় চমৎকারভাবে চোর বনে গেছেন।
মন্ত্রিত্ব পাবার কিছুকাল পরেই পদ থেকে সরে দাড়ান তাজউদ্দিন তনয় তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। আরপর এমপি পদ ও ছেড়ে দেন তিনি। কারণ দর্শান পারিবারিক।

শেয়ার ধসের পর আত্মহত্যা করেন বেশ কজন। কিন্তু টোটাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন কত জন?
কয়েক কোটি।
এই কয়েক কোটি প্রায় সর্বস্ব হারানো অনেকেই হয়তো পাড় আওয়ামীলীগ না। সো তাদের ভোট কিন্তু আপনি পাচ্ছেন না বুবুজান। পাড় আওয়ামীলীগের একটা সংজ্ঞা আমার আছে। যারা রক্ষীবাহিনীর ব্যাপক ডলা খাইছেন, এখনো অমাবস্যা-পূর্নিমার রাতে যাদের কোমরে ব্যাথা ওঠে। কিন্তু এখনো ভোটের সময় নৌকায় ভোট দ্যান তারাই পাড় আওয়ামীলীগার। একটা কথা বলে রাখি আমার বাবাও শেয়ারে ধরা খাইছেন। আইচ্ছা না হয় ঘটনা ঘইটাই গেছে। মানে শেয়ার কেলেঙ্কারি আর কি। তো সমস্যা তো সমাধান করতে হয়। একজন বিশেষ ভাবে জ্ঞানী ব্যাক্তিকে দায়িত্ব দেয়া হলো। নাম কি তার? দরবেশ।
হে আল্লাহ তুমি পানাহ দাও। সারা দেশ জানে কেলেঙ্কারির মহানায়ক কে; বুবু তুমিই জানলা না!!!
salman f rahman2
আরেক নায়ক লোটা কামাল এখন কই জানি না, ক্রিকেটের পদ নিয়া বিজি মনে হয়।

বুবু এক রাজাকারের বিচার চাই বইলা মুখ বুইজা আছি। যখন দেখি উলট-পালট করো কিছু কই না। চুউপ থাকি।
বুবু এইটাও জানি টেকা-টুকা খুব জরুরী জিনিস জীবনে। ‘৯১ এর হারের পর বুবু তুমি বিএনপির সাথে টেক্কা দেওনের লাগি ব্যাবসায়ীগোরে দলে জায়গা দিছো বুঝি। কিন্তু বুবু ‘৯১ এ কিন্তু তুমি ভোটে হারো নাই, জামাতের টিরিকসে হারছো। অথচ একটাও ফাসি দেখলাম না রাজাকারগো এখনো। বিচারকগো কথা বুঝি না। সারা দেশে জামাত শিবির তান্ডব চালায় আর আমার পুলিশ পইড়া পইড়া মাইর খায়। বুবুগো কি খেলা তুমি খেলতেছো বুঝি না।

গোলাম মাওলা রনি কম বয়সী পোলা; কিন্তু সে জাতীয় সংসদের একজন সদস্য। দরবেশের সাথে দ্বন্দ্বে সে এখন হাজতে। রনি টিভিতে যায়, লেখালেখি করে। খারাপ লাগে না তার কথা। হয়তো খোজ নিলে জানা যাবে ৩০০ জনের মধ্যে সেও একজন চোর। কিন্তু বুবু কে চোর না! তোমার এক ভায়ে তো তত্ত্বাবধায়কের সময় স্বীকার করছে ঘুষ নেবার কথা। তোমার এক কাজিনরে তো বুবু নাজিউর চোরায় বিয়া করছিলো। আইচ্ছা তখন না হয় জানা ছিলো না নাজিউর কালে একজন চোর হবে। কিন্তু তার পোলা? আন্ডার কাছেও তো এক ভাইঝিরে বিয়া দিছো।
কিন্তু বুবু দরবেশ-রনির খেলায় তোমার তো কিছু করার দরকার ছিলো না। দরবেশের টাকা আছে। সে হয়তো আওয়ামীলীগের তহবিলে মোটা টাকা দিছে। কয়শ কোটি টাকা দিছে? বুবুগো দরবেশ কিন্তু গরীব লোকের কষ্টের হাজার-হাজার কোটি টাকা মাইরা দিছে। ব্যাবসায়ীর কাছে রাজনীতিও ব্যাবসা।

বুবুগো তোমারে রাজনীতি শিখাবো এই দুঃসাহস নাই। এতো কথা কইতেছি মনের দুঃখে। তোমার উপর এখনো ভরসা কইরা আছি। তুমি শ্যাষ তো আমরাও শ্যাষ।

আরেকটা কথা বুবু তোমার আইন মন্ত্রী ২টা। তারপরো যুদ্ধাপরাধ আইনটা ঠিকমতো করে নাই ক্যান কওতো? শুধুমাত্র একটা কথার মারপ্যাচের জন্য পোলাপানরে শাহবাগে নামতে হইলো। লাখ লাখ পোলাপান কতো আশা ভরসা নিয়া এক হইছিলো। এখন লাভের গুড় বেশীটা হেফাযতে আর বাকিটা তোমরা সবাই মিলা খাইলা।
বুবুগো টাইম কিন্তু বেশী নাই, তোমার একেক মিনিষ্টার একেক কথা কয়। এইগুলারে ডাইকা একটু রগড়াইয়া দেওন যায় না বুবু? না হয় এইগুলার নাকে-মুখে একটু নাগা মরিচ আর নয়তো আচার ডইলা দিও।
naga pickle Naga-jolokia
বিঃদ্রঃ উপরে একটা গল্প লেখা হয়েছে। গল্পটা আমাকে শুনিয়েছিলো কোহকাফ নগরের বাসিন্দা বন্ধু জিন হুলহুলা দিন। সে আমাকে একটা ভিডিও ক্লিপ ও দেখিয়েছে। সংযুক্ত করে দিলাম।  বাস্তবের কারো সাথে এই গল্পের কোন চরিত্র বা কোন ঘটনার মিল পাওয়া গেলে তা কাকতালীয় মাত্র। ব্লগ কতৃপক্ষ এর জন্য দায়ী থাকিবেন না। আমি আমার বন্ধু হুলহুলা দিন’এর তরফ থেকে আগাম মাফ চেয়ে নিচ্ছি।

 

১,৬১০ বার দেখা হয়েছে

১৬ টি মন্তব্য : “কিসের বলির পাঠা রনি”

  1. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    গোলাম মাওলা রনি একজন আইনপ্রণেতা।
    বয়সে তরুণ।
    কথাবার্তায় অত্যন্ত ভদ্র, কথাও বলেন বেশ সাজিয়ে গুছিয়ে। এবং এই গুণটির কারণে বেশ চোখে পড়েন।
    এবং বলাই বাহুল্য যে আমাদের অনেক মন্ত্রী এমপিরাই বাংলা বা ইংলিশ বা তাদের গেয়ো ভাষাটাই গুছিয়ে বলতে পারেন না।
    টক শোর নামে যা চলে তাতে আমার ঘোর আপত্তি থাকলেও রনি তার মাত্রা জ্ঞান রেখে চমতকার কথা বলেন।

    কিন্তু তার কয়েকটা দোষ আছে।
    এখন হাওয়ায় শোনা যাচ্ছে তার বাবা নাকি বেশ গরীব ছিলেন।বসো তার নাকি কোটি কোটি টাকা এখন, সেটা কোথা থেকে আসলো!
    আমি বিষয়টা নিয়া ভাবিত না, যেইখানে ৩০০+৫০ জনই চোর সেখানে রনি আর এমন কি?
    সে কি পদ্মা সেতুর টাকা চুরি করছে?
    সে কি শেয়ার বাজারের টাকা চুরি করছে?
    তার বাসায় কি ঘুষের ৮০ লক্ষ টাকা যাচ্ছিলো?

    নারে ভাই উপরের কোনটাই না। তবে তিনি দোষ করেছেন।
    কি দোষ?
    রনি আবুলরে নিয়া কথা বলেছেন।
    রনি দরবেশরে নিয়া কথা বলছেন।

    এখন শোনা যাচ্ছে রনি দলীয় শিষ্ঠাচারের বাইরে গিয়ে কথা বলেছেন।
    ধরে নিলাম কথা সত্য।
    তাইলে তো তার বিরুদ্ধে দলই ব্যাবস্থা নিতে পারতো। বহিষ্কার করতে পারতো। তা না করে তার বিরুদ্ধে দরবেশের টিভি চ্যানেল লেলিয়ে দেয়া ক্যানো?
    আমি নিজে রনিকে দেখেছি নারী নেতৃত্ত তথা শেখ হাসিনার পক্ষে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে লম্বা বক্তৃতা দিতে।
    এমন তো না জে রনি সংস্কারবাদী; বরং এমন লোকদের সরিয়েই রনি নমিনেশন পেয়েছিলো।
    তবে?

    তবে গণতন্ত্রকামী প্রধান দল আওয়ামিলীগ চাচ্ছে জী হুজুর টাইপের একদল আইনপ্রণেতা তৈরি করতে!!!
    If Roni is saying something wrong on TV then senior law makers could call him and give advice; isn't it!

    বুবুজান হোয়াটস অন ইয়ুর মাইন্ড???


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
    • সিরাজ(১৯৯১-১৯৯৭)

      ইনডিপেনডেন্ট টিভি চ্যানেলের দুই সংবাদকর্মীকে পিটিয়েছেন সরকারদলীয় সাংসদ গোলাম মাওলা রনি।শেয়ার মার্কেট কেলেংকারির হোতা সালমান এফ রহমান ইনডিপেনডেন্ট টিভি চ্যানেলের মালিক। আমরা শুধু সাংবাদিক পেটানোর খবরটা পরলাম আর গোলাম মাওলা রনি কে ঢালাওভাবে দোষ দিলাম এটা ঠিক না। গোলাম মাওলা রনিকে আমি ধোয়া তুলশি পাতা বলছিনা।রনি যা করেছেন সেটা অপরাধ হয়েছে,ভুল হয়েছে কিন্তু এটাও আমাদের দেখতে হবে কেন রনি এই কাজটা করলেন? কেন নিজেকে শান্ত রাখতে পারলেন না।কিছুদিন থেকেই রনি সালমান এফ রহমান কে দরবেশ বলছেন এবং শেয়ার কেলেংকারি হিসাবে অভিযুক্ত করেছেন এবং আমরা এও জানি যে এমনকি অর্থমন্ত্রী পর্যন্ত বলেছেন যে শেয়ার মার্কেট কেলেংকারির হোতাদের হাত এত লম্বা যে তাদের বিচার করা তার পক্ষেও সমভব নয়। তাই সাংবাদিক ভাইদের উচিত ভিতরের খবর বের করা কারন সালমান এফ রহমান,সাংসদ গোলাম মাওলা রনিকে যেকোনভাবে বিপদে ফেলতেই পারেন।তাকে বিপদের ফেলতে তার টিভি চ্যানেলকে রনির পিছনে লেলিয়ে দেয়াটাই সাভাবিক।আর একজন সাংসদ হিসাবে রনি এই কাজটি ঠিক করেননি।এর জবাবদিহি তাকে করতেই হবে।


      যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি

      জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।