বিভিন্ন ব্যাস্ততায় লেখা হয়ে ওঠেনি বেশ কিছুদিন। তবে সময় পেলেই ব্লগে ঢু মেরে গেছি, অন্তত মন্তব্যগুলো মিস না করার চেষ্টা করেছি। সময় যেটুকু পাচ্ছি পড়ে পার করছি।
হুমায়ুন আজাদ এর বইগুলো আবার পড়ছি। বাংলাদেশে থাকলে একই অনুভূতি (বই পড়ার) হতো কিনা বলতে পারছি না। এই বিদেশের মাটিতে ব’সে, বিশেষ ক’রে এই স্বাধীনতার মাসে ছাপ্পানো হাজার বর্গমাইল পড়ার অনুভূতি কিছুটা আলাদা বৈকি। তারপর পড়লাম ফালি ফালি ক’রে কাটা চাঁদ। এখন পড়ছি নারী আর আবুল বাশার এর ফুলবউ। মজার ব্যাপার হচ্ছে একই সাথে মাসুদ রানাও (আগুন নিয়ে খেলা ১,২)পড়ছি। কে কি মনে করলো তাতে কিছু যায় আসে না কিন্তু কাজী আনোয়ার হোসেন আমার প্রিয় লেখকদের একজন হয়ে থাকবেন। আর মাসুদ রানা আমার প্রিয় সিরিজ। যেমন ফেলুদা, শার্লক হোমস। সস্তা লেখক হুমায়ুন আহমেদ এর মিসির আলিও আমার অসম্ভব প্রিয়; না হিমু না, শুভ্র ও না। আর হ্যাঁ আইজ্যাক আসিমভ এর ফাউন্ডেশন সিরিজটাও বাদ দেই কি করে! আবারও পড়লাম এরি মাঝে।
আমি ঠিক বলতে পারছিনা এই প্রজন্মের ছেলেপেলেরা সায়েন্স ফিকশন পছন্দ করে কিনা? একটা বয়সে জুল ভের্ণ পাগলের মতো গিলতাম। এখনো তিনি সমান প্রিয়। এরপর হুমায়ুন আহমেদ আর মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এর সায়েন্স ফিকশন হাতে পেলাম। তখনো আসিমভ এর নাম শুনিনি। ঠিক কার কাছ থেকে সেবা থেকে প্রকাশ হওয়া ফাউন্ডেশনটা পেলাম মনে করতে পারছিনা (আমিই কিনেছিলাম কি?) পড়ার পর মনে হলো এই বইটা আগে পড়া হয়নি কেনো? বাংলাতেও এখন আসিমভের বিভিন্ন বইয়ের অনুবাদ পাওয়া যাচ্ছে। যারা কিনা সায়েন্স ফিকশনের নামে পাগল এবং এখনো দুই ভাইয়ের বলয়েই ঘোরাফেরা করছেন তারা একটু কষ্ট করে আসিমভের ফাউন্ডেশন টা চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ভালো না লাগলে মূল্য ফেরত।
তসলিমা নাসরিন উল্টা কথা বলার জন্য বিখ্যাত হলেও এবং একই কারণে পশ্চিমাদের কাছে সমাদৃত হলেও তার লজ্জা আমার কাছে খুব খুবই সাধারণ মানের উপন্যাস মনে হয়েছে। অন্তত পুরষ্কার বা তিরস্কার পাবার মতো মনে হয় নি। তবে তার কলামগুলি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তাম, পড়েছি। আবারো সময় পেলে তার নির্বাচিত কলাম, নষ্ট মেয়ের নষ্ট গদ্য, যাবো না কেন, যাবো ইত্যাদি পড়ার ইচ্ছা আছে। দেশে থাকতে তার আত্মজীবনী আমার মেয়েবেলা (দ্বিখন্ডিত), উতল হাওয়া, ক, সেই সব অন্ধকার পড়েছিলাম। খারাপ লেগেছে বলবো না, কিন্তু কুরুচিপূর্ণ মনে হয়েছে। তার বাবা কোন মহিলার সাথে শুয়েছেন, তার মা গিয়ে ধরে এনেছেন তার বাবাকে ঐ মহিলার বিছানা থেকে। তার (তসলিমা নিজে) সাথে কে কে শুয়েছেন বা কে কে শুতে চেয়েছেন, তিনি কাকে ব্যাবহারের পর ছুড়ে ফেলেছেন, কে তাকে ব্যাবহারের পর ছুড়ে ফেলেছেন তার বিস্তারিত বিবরণ ছাড়া আর কিছু পাই নি অইসব বইগুলাতে। নেই, কিছু নেই কয়দিন আগে যোগাড় করেছি পড়ার জন্য, শুরু করিনি এখনো।
আনন্দবাজার নিয়ে কিছু বলি। ব্যাক্তিগতভাবে আমি মনে করি বাঙলা সাহিত্য বিকাশ ও পরিচর্যায় আনন্দবাজার প্রকাশনী বিগত অর্ধশতক ধরে প্রভূত অবদান রেখে চলেছে। বিশেষ করে দেশ এর বা তার সমমানের কোন সাময়িকী বা ম্যাগাজিন আমাদের দেশে এ পর্যন্ত বের হয়নি; আদৌ হবে কিনা তাতেও আমার ঘোর সন্দেহ রয়েছে। সাহিত্যে অবদানের জন্য এই প্রকাশনী সংস্থাটি প্রায় প্রতি বছর লেখকদের আনন্দ পুরষ্কার দিয়ে থাকে। আমরা যতই এই প্রকাশনী বা পুরষ্কার নিয়ে মাতামাতি করি না কেন বাংলাদেশের সাহিত্যিকদের এই পুরষ্কার দেবার ব্যাপারে দাদাদের চরম অনীহা রয়েছে। অবশ্য ভিনদেশীদের পুরষ্কার পাবার জন্য বাংলাদেশের সাহিত্যকরাও কাঁদছেন না আশা করি। কোনো বাংলাদেশের বাঙালিকে এই পুরষ্কার পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত। তসলিমা নাসরিন ১৯৯২ সালে নির্বাচিত কলাম এর জন্য আনন্দবাজার পান। যে কজন সাহিত্যিক একাধিকবার এই পুরষ্কার পাবার দুর্লভ সম্মান পান তাদের মধ্যেও তসলিমা নাসরিন রয়েছেন। একাধিকবার এই পুরষ্কার পেয়েছেন অন্নদাশঙ্কর রায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, জয় গোস্বামী। ১৯৯২ সালের দিকে তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশে ঠিক ততটা পরিচিত ছিলেন না। সেই সময় তসলিমা নাসরিনের সেই পুরষ্কারপ্রাপ্তি বাংলাদেশে বেশ আলোড়ন তুলেছিলো।
ঠিক কি কারণে কে জানে তসলিমাকে পুরষ্কার দেওয়ার পরের বছরেই ১৯৯৩ সালে আনন্দবাজার গোষ্ঠী বাঙলা একাডেমি কে আনন্দ পুরষ্কার দেবার ধৃষ্ঠতা দেখায়। তুলনাটা এভাবে করা যায় বাংলাদেশের লেখক শিবির যদি যুক্তরাজ্যের বৃটিশ কাউন্সিলকে পুরষ্কার দেয় তাহলে কেমন দেখাবে? আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে এ ধরণের ফাজলামি তারা অন্য কারো সাথে করেনি, মানে কখনো কোন প্রতিষ্ঠানকে আনন্দবাজার পুরষ্কার দেবার ধৃষ্ঠতা দেখায়নি । বাঙলা একাডেমি সেই পুরষ্কার প্রত্যাখ্যান করে সুবিবেচকের কাজ করে।
তসলিমাকে পুরষ্কার দেওয়াকে যৌক্তিক প্রমাণ করার জন্য তারা ১৯৯৪ সালে শামসুর রাহমানকে আনন্দ পুরষ্কার দেয় যৌথভাবে অন্নদাশঙ্কর রায় এর সঙ্গে। ১৯৯৬ সালে আনন্দ পুরষ্কার পান আখতারুজ্জামান ইলিয়াস তার খোয়াবনামা এর জন্য। আমার এখনো মনে আছে বইমেলায় বই কিনতে গেলে খোয়াবনামার উপর স্টিকার দেখতে পাই আনন্দ পুরষ্কার প্রাপ্ত। (বই আগেই ছাপা হয়ে যাওয়ায় আনন্দ পুরষ্কার প্রাপ্ত এই কথাটা লেখা সম্ভব হয়ে ওঠেনি, তাই স্টিকারের ব্যাবস্থা) যদিও আমি ঐ স্টিকারটি তুলে ফেলে দিই। খোয়াবনামা আমার প্রিয় উপন্যাসের একটি। কিন্তু বলার অপেক্ষা রাখে না চিলেকোঠার সেপাই অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ একটি উপন্যাস। ২০০০ সালে আনন্দবাজার আবার দেওয়া হয় তসলিমা নাসরিনকে তার আমার মেয়েবেলা আত্মকাহিনীর জন্য। যারা আমার মেয়েবেলা পড়েছেন তারা জানেন ঐটাতে কি লেখা আছে। ২০০৮ সালে হাসান আজিজুল হককে আনন্দ পুরষ্কার দেওয়া হয় তার আগুনপাখি উপন্যাসটির জন্য।
আমার এখনো মনে আছে দেশ পত্রিকার কোন এক বিশেষ সংখ্যায় রফিক আজাদ এর নাম ছাপা হল রফিক অজাদ।
তারপর একসময় (বি এন পি র প্রথম টার্মে) নীরদ চৌধুরীর সেই বিখ্যাত খেজুর সম্পর্কিত লেখার কারণে বাংলাদেশ দেশ আমদানি নিষিদ্ধ করে। যদিও ঐ সংখ্যাটি আমার সংগ্রহে ছিল। যতদূর মনে পড়ে তিনি বলেছিলেন, বাঙালি মুসলমানের প্রিয় ফল খেজুর। বলেছিলেন, তথাকথিত বাংলাদেশ।
এতোকিছু বলার পরেও দেশ আমার প্রিয়। আনন্দবাজার থেকে প্রকাশিত বই পড়ে আমি আরাম পাই, প্রচ্ছদের ছবি দেখে আমি আরাম পাই, ছাপা দেখে আরাম পাই, এবং মূল্য দেখে আরাম পাই। বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রকাশনী বা তাদের বই, বা বইয়ের মূল্যের কথা না হয় না বলি। আনন্দবাজার থেকে প্রকাশিত বইয়ের প্রতিটি সংস্করণে বা মুদ্রণে কতগুলি বই ছাপা হচ্ছে তার একটা হিসাব দেওয়া থাকে। বাংলাদেশে তার বালাই থাকে না। একবার তো হেরোইন হুমায়ুন আহমেদের কোন এক বই ছাপা হবার আগেই প্রথম সংস্করণ শেষ হয়ে যায়। এরকম ঐতিহাসিক ঘটনা কেনো যে গ্রিনিজ রেকর্ডে স্থান করে নিলো না এই ভেবেই দিশা পাই না।
আমরা অনেকেই ভালো বই খুঁজে থাকি। নিম্নে দেওয়া হোলো এযাবৎ আনন্দবাজার পুরষ্কার পাওয়া লেখক বা তাদের বইয়ের তালিকাঃ
- 1958 – Bibhutibhushan Bandopadhyay
- 1961 – Syed Mujtaba Ali
- 1966 – Sukumar Sen
- 1967 – Bimal Kar
- 1968 – Gopal Chandra Bhattacharya
- 1970 – Gour Kishore Ghosh
- 1971 – Satyajit Ray
- 1973 – Shirshendu Mukhopadhyay
- 1976 – Buddhadeb Guha – Halud Basanta (novel)
- 1981 – Sanjib Chattopadhyay
- 1982 – Samaresh Majumdar
- 1983 – Annada Shankar Ray
- 1984 – Subhas Bhattacharya, Dibyendu Palit, Sukumar Sen
- 1985 – Aloke Ranjan Dasgupta
- 1986 – Sunil Gangopadhyay
- 1987 – Ketaki Kushari Dyson & Sushobhan Adhikari – Ranger Rabindranath (on Tagore’s colour vision)
- 1988 – Abul Bashar
- 1989 – Jay Goswami – Ghumiechho, Jhaupata? (poetry)
- 1990 – Shirshendu Mukhopadhyay – Doorbeen (novel)
- 1991 – Subhash Mukhopadhyay, Jaya Mitra
- 1992 – Taslima Nasrin – Nirbachito Column (articles)
- 1993 – Bangla Academy, Bangladesh : Bangla Academy declined to accept the award.
- 1994 – Annada Shankar Ray, Shamsur Rahman
- 1995 – Debarati Mitra – Smriti Bole Kichhu Nei (poetry)
- 1996 – Akhtaruzzaman Elias – Khwabnama (novel)
- 1997 – Bani Basu – Maitreya Jatak (novel)
- 1998 – Jay Goswami – Jara Brishtite Bhijechhilo (novel in verse)
- 1999 – Mandakranta Sen – Hriday Abadhya Meye (poetry) Image
- 2000 – Taslima Nasrin – Amar Meyebela (memoirs)
- 2001 – Gauriprasad Ghosh – Everyman’s Dictionary
- 2002 – Sudhir Chakrabarti – Baul Fakir Katha (folk culture)
- 2003 – Tilottama Majumdar – Basudhara (novel)
- 2004 – Srijato – Uranto Sab Joker (poetry)
- 2005 – Mihir Sengupta – Bishad Briksha (autobiography)
- 2006 – Utpal Kumar Basu – Sukh-Duhkher Sathi (poetry)
- 2007 – Dhritikanta Lahiri Chaudhuri – Hatir Boi (on elephants)
- 2008 – Hasan Azizul Huq – Agunpakhi (novel)
- 2009 – Ranajit Guha – Kabir Naam O Sarbanaam
- 2010 – Sunanda Sikdar – Dayamayir Katha
- 2011 – Gautam Bhadra – Nyara Bot-tolaye Jai Ko-bar?
পুরস্কার বিজয়ী
- ১৯৫৮ – বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়
- ১৯৬১ – সৈয়দ মুজতবা আলী
- ১৯৬৬ – সুকুমার সেন
- ১৯৬৮ – গোপাল চন্দ্র ভট্টাচার্য
- ১৯৭৩ – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
- ১৯৭৬ – বুদ্ধদেব গুহ – হলুদ বসন্ত (উপন্যাস)
- ১৯৮১ – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
- ১৯৮২ – সমরেশ মজুমদার
- ১৯৮৩ – অন্নদাশঙ্কর রায়
- ১৯৮৪ – সুভাষ ভট্টাচার্য, দিব্যেন্দু পালিত, সুকুমার সেন
- ১৯৮৬ – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
- ১৯৮৮ – আবুল বাশার
- ১৯৮৯ – জয় গোস্বামী – ঘুমিয়েছ, ঝাউপাতা? (কাব্যগ্রন্থ)
- ১৯৯০ – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
- ১৯৯১ – সুভাষ মুখোপাধ্যায়
- ১৯৯২ – তসলিমা নাসরিন – নির্বাচিত কলাম (নিবন্ধ)
- ১৯৯৩ – বাংলা একাডেমী, বাংলাদেশ (প্রত্যাখ্যাত)
- ১৯৯৪ – অন্নদাশঙ্কর রায়, শামসুর রহমান
- ১৯৯৫ – দেবারতি মিত্র
- ১৯৯৬ – আখতারুজ্জামান ইলিয়াস – খোয়াবনামা (উপন্যাস)
- ১৯৯৭ – বাণী বসু – মৈত্রেয় জাতক (উপন্যাস)
- ১৯৯৮ – জয় গোস্বামী – যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল (কাব্য উপন্যাস)
- ১৯৯৯ – মন্দাক্রান্তা সেন – হৃদয় অবাধ্য মেয়ে (কাব্যগ্রন্থ)
- ২০০০ – তসলিমা নাসরিন – আমার মেয়েবেলা (আত্মজীবনী)
- ২০০৫ – মিহির সেনগুপ্ত – বিষাদবৃক্ষ
- ২০০৭ – ধৃতিকান্ত লাহি্ড়ীচৌধুরী – হাতির বই
- ২০০৮ – হাসান আজিজুল হক – আগুনপাখি (উপন্যাস)
সাহিত্য আকাদেমি এর দ্বারা পুরস্কৃত লেখকরা কোন বইয়ের জন্য পুরষ্কার পেয়েছেন তা দেওয়া থাকায় পাঠকরা সহজেই ঐ বইগুলি যোগাড় করতে পারবেন। বাঙলা একাডেমি কোন বইয়ের কারণে কাকে পুরষ্কার দিলো কোন কিছুই বলা নেই। যেমন হুমায়ুন আজাদকে ১৯৮৬ সালে বাঙলা একাডেমি পুরষ্কার দেওয়া হয় বাঙলা ভাষায় গবেষণার জন্য। এই প্রজন্ম বা ভবিষ্যৎ প্রজন্মর এটা ধরে নেওয়া অমূলক হবে না যে তিনি সাহিত্যকর্মের জন্য ঐ পুরষ্কারটি পেয়েছিলেন।
Sahitya Akademi Award winners and their works in Bengali language
Year | Book | Author | Category of Books |
1955 | Shreshtha Kavita | Jibanananda Das | Poetry |
1956 | Arogya Niketan | Tarashankar Bandopadhyay | Novel |
1957 | Sagar Theke Phera | Premendra Mitra | Poetry |
1958 | Anandibai Ityadi Galpa | Parashuram | Short Stories |
1959 | Kolkatar Kachhei | Gajendra Kumar Mitra | Novel |
1961 | Bharater Sakti-Sadhana O Sakta Sahitya | Sashi Bhushan Dasgupta | A Study of the Sakti-cult |
1962 | Japane | Annada Shankar Ray | Travelogue |
1963 | Ghare Pherar Din | Amiya Chakravarty | Poetry |
1964 | Jata Durei Jai | Subhas Mukhopadhyay | Poetry |
1965 | Smriti Satta Bhabishyat | Bishnu Dey | Poetry |
1966 | Nishi-Kutumba | Manoje Basu | Novel |
1967 | Tapasvi O Tarangini | Buddhadeb Basu | Verse play |
1969 | Mohini Aaraal | Manindra Ray | Poetry |
1970 | Adhunikata O Rabindranath | Abu Sayeed Ayyub | Literary criticism |
1971 | Manimahesh | Umaprasad Mukhopadhyay | Travelogue |
1972 | Shesh Namaskar | Santosh Kumar Ghosh | Novel |
1974 | Ulanga Raja | Nirendranath Chakravarty | Poetry |
1975 | Asamay | Bimal Kar | Novel |
1976 | Na Hanyate | Maitreyee Devi | Novel |
1977 | Babarer Prarthana | Shankha Ghosh | Poetry |
1978 | Vivekananda O Samakalin Bharatvarsha, Vol. I, II and III | Sankari Prasad Basu | Biography and cultural history |
1979 | Aranyer Adhikar | Mahashweta Devi | Novel |
1980 | Shamba | Samaresh Basu `Kalkut’ | Novel |
1981 | Kalikata Darpan, Pt. I | Radharaman Mitra | Local history and culture |
1982 | Amritasya Putree | Kamal Das | Novel |
1983 | Jete Pari Kintu Keno Jabo | Shakti Chattopadhyay | Poetry |
1984 | Kalbela | Samaresh Majumdar | Novel |
1985 | Sei Samay (Part II) | Sunil Gangopadhyay | Novel |
1986 | Raj Nagar | Amiya Bhusan Majumdar | Novel |
1987 | Khujte Khujte Eto Dur | Arun Mitra | Poetry |
1988 | Bari Badle Jai | Ramapada Choudhuri | Novel |
1989 | Manabjamin | Shirshendu Mukhopadhyay | Novel |
1990 | Tista Parer Brittanta | Debes Roy | Novel |
1991 | Sada Kham | Moti Nandi | Novel |
1992 | Marami Karat | Alok Ranjan Dasgupta | Poetry |
1993 | Shahjada Darasukoh | Shyamal Gangopadhyay | Novel |
1994 | Aleek Manush | Syed Mustafa Siraj | Novel |
1995 | Kavita Sangraha | Naresh Guha | Poetry |
1996 | Tal Betal | Ashok Mitra | Essays |
1997 | Herbert | Nabarun Bhattacharya | Novel |
1998 | Anubhav | Dibyendu Palit | Novel |
1999 | Naba-Nita | Nabaneeta Dev Sen | Prose–Poetry |
2000 | Pagli Tomar Sange | Jay Goswami | Poetry |
2001 | Panchashati Galpo | Atin Bandyopadhyay | Short Stories |
2002 | Ami O Banabehari | Sandipan Chattopadhyay | Novel |
2003 | Krantikal | Prafulla Ray | Novel |
2004 | Baul Fakir Katha | Sudhir Chakraborty | Essay |
2005 | Haspatale Lekha Kabitaguchha | Binay Majumdar | Poetry |
2006 | Dhrubaputra | Amar Mitra | Novel |
2007 | Amar Samay Alpa | Samarendra Sengupta | Poetry |
2010 | Bangali jibane Rabindranath | Sourin Bhattacharya | Essay |
2011 | Bane Aaj Concherto[1] | Manindra Gupta[2] | Poetry |
আরেকটি উল্লেখযোগ্য পুরষ্কার হচ্ছে জ্ঞানপীঠ পুরষ্কার।
Jnanpith Award recipients
Year | State | Name | Works | Language | Picture |
1965 | Kerala | G. Sankara Kurup | Odakkuzhal (Flute) | Malayalam | |
1966 | West Bengal | Tarashankar Bandopadhyaya | Ganadevta | Bengali | |
1967 | Karnataka | Kuppali Venkatappagowda Puttappa (Kuvempu) | Sri Ramayana Darshanam | Kannada | |
1967 | Gujarat | Umashankar Joshi | Nishitha | Gujarati | |
1968 | Sumitranandan Pant | Chidambara | Hindi | ||
1969 | Uttar Pradesh | Firaq Gorakhpuri | Gul-e-Naghma | Urdu | |
1970 | Andhra Pradesh | Viswanatha Satyanarayana | Ramayana Kalpavrikshamu (A resourceful tree:Ramayana) | Telugu | |
1971 | Bengal | Bishnu Dey | Smriti Satta Bhavishyat | Bengali | |
1972 | Bihar | Ramdhari Singh ‘Dinkar’ | Urvashi | Hindi | |
1973 | Karnataka | Dattatreya Ramachandra Bendre | Nakutanti (Naku Thanthi) (Four Strings) | Kannada | |
1973 | Orissa | Gopinath Mohanty | Paraja | Oriya | |
1974 | Maharashtra | Vishnu Sakharam Khandekar | Yayati | Marathi | |
1975 | Tamil Nadu | P. V. Akilan | Chitttrappavai | Tamil | |
1976 | Bengal | Ashapurna Devi | Pratham Pratisruti | Bengali | |
1977 | Karnataka | K. Shivaram Karanth | Mookajjiya Kanasugalu (Mookajjis dreams) | Kannada | |
1978 | Uttar Pradesh | Sachchidananda Hirananda Vatsyayan ‘Ajneya’ | Kitni Navon Men Kitni Bar (How many times in many boats?) | Hindi | |
1979 | Assam | Birendra Kumar Bhattacharya | Mrityunjay (Immortal) | Assamese | |
1980 | Kerala | S. K. Pottekkatt | Oru Desathinte Katha (Story of a land) | Malayalam | |
1981 | Amrita Pritam | Kagaj te Canvas | Punjabi | 80 px | |
1982 | Uttar Pradesh | Mahadevi Varma | Yama | Hindi | |
1983 | Karnataka | Maasti Venkatesh Ayengar | Chikkaveera Rajendra (Life and struggle of Kodava King Chikkaveera Rajendra) | Kannada | |
1984 | Kerala | Thakazhi Sivasankara Pillai | Kayar {Coir} | Malayalam | |
1985 | Gujarat | Pannalal Patel | Maanavi Ni Bhavaai (માનવીની ભવાઇ) | Gujarati | |
1986 | Sachidananda Rout Roy | Oriya | |||
1987 | Maharashtra | Vishnu Vaman Shirwadkar (Kusumagraj) | Natsamrat | Marathi | |
1988 | Andhra Pradesh | Dr. C. Narayana Reddy | Vishwambhara | Telugu | |
1989 | Qurratulain Hyder | Akhire Shab Ke Humsafar | Urdu | ||
1990 | Karnataka | V. K. Gokak (Vinayaka Krishna Gokak) | Bharatha Sindhu Rashmi | Kannada | |
1991 | Bengal | Subhas Mukhopadhyay | Padatik (The Foot Soldier) | Bengali | |
1992 | Naresh Mehta | Hindi | |||
1993 | Sitakant Mahapatra | “for outstanding contribution to the enrichment of Indian literature, 1973–92”[8] | Oriya | ||
1994 | Karnataka | U. R. Ananthamurthy | for his contributions to Kannada literature | Kannada | |
1995 | Kerala | Dr. M. T. Vasudevan Nair | for his contributions to Malayalam literature | Malayalam | |
1996 | Bengal | Mahasweta Devi | Hajar Churashir Ma | Bengali | |
1997 | Ali Sardar Jafri | Urdu | |||
1998 | Karnataka | Girish Karnad | “for his contributions to Kannada literature and for contributions to Kannada theater (yayati)”[9] | Kannada | |
1999 | Nirmal Verma | Hindi | |||
1999 | Gurdial Singh | Punjabi | |||
2000 | Assam | Indira Goswami | Assamese | ||
2001 | Gujarat | Rajendra Keshavlal Shah | Gujarati | ||
2002 | Tamil Nadu | D. Jayakanthan | Tamil | ||
2003 | Maharashtra | Vinda Karandikar | Marathi | ||
2004 | Jammu & Kashmir | Rahman Rahi | Subhuk Soda, Kalami Rahi and Siyah Rode Jaren Manz | Kashmiri[10] | |
2005 | Uttar Pradesh | Kunwar Narayan | Hindi[6] | ||
2006 | Goa | Ravindra Kelekar | Konkani[6] | ||
2006 | Uttar Pradesh | Satya Vrat Shastri | Sanskrit[7][11] | ||
2007 | Kerala | Dr. O. N. V. Kurup | for his contributions to Malayalam literature | Malayalam[12] | |
2008 | Uttar Pradesh | Akhlaq Mohammed Khan ‘Shahryar’ | Urdu[12] | ||
2009 | Uttar Pradesh | Amar Kant | Hindi[1] | ||
2009 | Uttar Pradesh | Shrilal Shukla | Hindi[1] | ||
2010 | Karnataka | Chandrashekhara Kambara | for his contributions to Kannada literature | Kannada[1] |
জ্ঞানপীঠ প্রাপকগণ
পরিশেষে পুস্তক পাঠকদের শুভেচ্ছা। ও হ্যাঁ এর মাঝে আরেকটি বই পড়লাম আহমদ ছফার যদ্যপি আমার গুরু, প্রফেসর রাজ্জাক সাহেবকে নিয়ে লেখা। হুমায়ুন আজাদ একটি সাক্ষাতকার নিয়েছিলেন রাজ্জাক স্যারের। দেখি সেটা যোগাড় করতে পারি কিনা!
পড়লাম আপনার লিস্ট। তসলিমা নাসরিন বিষয়ে একমত। নারী অধিকাররে ব্যাপারে সাহসী কন্ঠের জন্য তাকে ব্রাভো দেয়া যায় কিন্তু তার লেখাগুলোকে কোন হিসাবে আমি অতি উচ্চ কিছু মনে করি না। এমনকি রুচিকে বাইরে ফেলে মোটা দাগে সাহিত্য মান বিচারেও তিন চারটা লেখা পড়ার পরে তার লেখাগুলোকে মনে হবে একঘেয়ে বিরক্তি কর।
হুমায়ুন আজাদের নেয়া রাজ্জাক সাহেবের সাক্ষাৎকার টি নিচের লিংক থেকে পড়তে পারেন।
http://tinyurl.com/2wyvqm5
ধন্যবাদ আমিন। পড়লাম।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আবারো ধন্যবাদ তোরে। অন্য সাক্ষাতকারগুলা বা ঐ বইটার কোন সফট কপি তোর কাছে আছে কি?
আর এইটা তো সংক্ষেপিত।
যদ্যপি আমার গুরু তে ইন্টারেস্টিং তথ্য আছে। না পড়া থাকলে বলিস, আমি মেইল করে দিবো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আপনার পাঠানো ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল পাইছিলাম। ঐটা পড়া শেষ হয় নাই। ফালি ফালি করে কাটা চাঁদ পড়তেসি । যদ্যপি আমার গুরু পাঠাইলে খুশি হব। সমস্যা হইলো বস এইখানে আমি থাকি কানাডার ভোলায়। দেশে কেউ গেলে তারে দিয়া বই আনানো যয়। নইলে পড়ার ব্যবস্থা নাই। সাক্ষাৎকারের সফটব কপি নাই। রাজ্জাক সাহেব সম্পর্কে প্রথম জানি আহমদ মোস্তফা কামালের একটা প্রবন্ধে। সেই আগ্রহের কারণেই লিংকেরলেখাটা যত্ন নিয়ে পড়া হইছিলো।
বইপাঠানোর লাইগা আগাম থেংকস।
পাঠাইছি। আবুল্ বাশারের গুলা পাইছিলি?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
মাত্র কিছুদিন আগে তসলিমা নাসরিনের 'দ্বিখন্ডিত' পড়লাম। পড়ার পর থেকেই এই বইটা সম্পর্কে আরো বেশি জানতে ইচ্ছে করছিল, কিন্তু অনলাইনে তেমন কোন ভাল রিভিউ খুঁজে পাইনি। একদিকের বক্তব্য শোনার কারনেই হয়ত বইটা পড়ার সময় তসলিমার প্রতি আমার এক ধরনের সহানুভূতি তৈরী হচ্ছিল । ওর অন্য আত্মজীবনীমূলক বইগুলো পড়েও একই অবস্থা হয়েছে। তবে এটা খুব সহজে বোঝা যায় যে সে একজন 'এটেনশন সিকার' ।
দ্বিখন্ডিততে হুমায়ুন আজাদের প্রসঙ্গে আমি সবচেয়ে বেশি কনফিউশড হয়েছি। কারন হুমায়ুন আজাদের উপর মৌলবাদি হামলা প্রসঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের একটা বক্তব্য নিয়ে আজাদ ভক্তরা আহমেদকে পারলে ছিড়ে ফেলে। কিন্তু হুমায়ূন আজাদ নিজে তসলিমার উপর মৌলাবাদিদের বিভিন্ন ধরনের হামলার সময়ে আসলে কি ভূমিকা নিয়েছিলেন? হুমায়ূন আজাদ ভক্তদের কাছ থেকে এটা আমার জানার খুব শখ। আর হঠাৎ করে তসলিমা নাসরিনকে আনন্দ পুরষ্কার দেয়ার সত্যিকারের পিছনের কারনটা কি সেটাও ঠিক বুঝতে পারিনি।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আহসান তুই এক্টা বইএর খোজ নিয়ে দেখতে পারিস তস্লিমা নাস্রিনের পক্ষে বিপক্ষে, ৯৪ ,৯৫ এর দিকে বের হয়।
হুমায়ুন আজাদের কোন লেখা ওতে ছিলো কিনা মনে নাই, তবে আহমদ ছফার ছিল।
তবে যতদূর মনে পড়ে হুমায়ুন আজাদ তস্লিমার সাথে শুতে চেয়েছেন এই দাবী তস্লিমাও করেন নাই।
আর হুমায়ুন আজাদ জাতির বিবেক না বা নিজেরে তথাকথিত সুশীল সমাজের নেতা হিসাবে দাবী করেন নাই, গাছ কাটার বিরুদ্ধে গাছ জড়াইয়া ধইরা ছবি তুলেন নাই।
শামসুর রাহমান রে যেমন বাংলাদেশের প্রধান কবি বলা হইতো, তাই তার উপরে এম্নিতেই অনেক দায় আইসা পড়তো তার উপর তিনি আবার পত্রিকার সম্পাদক ও ছিলেন। হুমায়ুন আজাদের নামের আগে বা পরে তেমন কোন বিশেশণ ও ছিল না একমাত্র প্রথাবিরোধী বাদে। অন্তত তিনি হুমায়ুন আহমেদ যেইটা করছে মানে হুমায়ুন আজাদকে মারা সঠিক হইছে বা পাক সার লেখলে মাইর খাইতে হইবো এইরকম কিছু হুমায়ুন আজাদ তস্লিমারে নিয়া বলেন নাই।
আড় তুই যদি শুধু তস্লিমার পুরশকার পাবার লিশট দেখিস তবে তাস্কি মাইরা যাবি।
বাংলা ভাশায় হুমায়ুন আজাদের নারী বা তার কাছাকাছি পরযায়ের কোন কাজ হইছে তথাকথিত নারীবাদীদের কারো দিয়া????
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
হুমায়ুন আজাদ তসলিমার সাথে শুতে চেয়েছিল এরকম কোন কথা আমি অন্তত পড়িনি, সেরকম কিছু আমি বোঝাতেও দ্বিখন্ডিত থেকে খুঁজে বের করে হুমায়ূন আজাদ সম্পর্কে তসলিমার বক্তব্যটা পরে তুলে দিব।সেটার সত্য মিথ্যাটাই জানতে চাচ্ছিলাম। দুইজনের কারো সম্পর্কেই আমি তেমন কিছু জানি না, কিছু লেখা পড়েছি শুধু। হুমায়ুন আজাদকে আমি কোন দায়বদ্ধতার মাঝেও ফেলতে চাইনি।
পুরষ্কার পাবার লিস্ট দেখেছি, ওর বিরুদ্ধে ফতোয়া দেয়ার পরে, দেশে আন্দোলন শুরু হবার পরে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ভাল মার্কেট পাইছে বোঝা যায়, এর পর থেকে বিভিন্নজন বিভিন্ন কারনে তারে পুরষ্কার দিয়েছে, কিন্তু আমি বুঝতে পারিনা প্রথম পুরষ্কার (আনন্দ পুরষ্কার) টা সে কিভাবে পাইলো?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আহমদ ছফা একটা কথা বলেছিলেন যে বাঙলা একাডেমী পুরষ্কার প্রত্যাখ্যান কয়ার তারা তসলিমাকে পুরষ্কার দেয়। কিন্তু আনন্দবাজার বলছে (উইকি) ৯২ এ তারা তসলিমাকে দেয় আর বাঙলা একাডেমীকে ৯৩ সালে।
আর দ্বিখণ্ডিত র কোন পৃষ্ঠায় জানাতে ভুলিস না।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
তসলিমার উপর বইমেলার স্টলে যখন হামলা হয় তখন হুমায়ুন আজাদ পাশে দাড়িয়ে দেখছিলেন, এই ধরনের কিছু একটা বলা আছে। বইটা হাতে পেলে এটা সহ আরো কয়েকটা পৃষ্ঠা নম্বর বলবো...
অফটপিকঃ আজকেই দ্বিখন্ডিত নিয়ে কথা বললাম আর আজকেই খবর পেলাম মিনার মাহমুদ আত্মহত্যা করেছে...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
হুমায়ুন আজাদ কি একাই পাশের স্টলে ছিলেন? না তিনি তসলিমার প্রেমিকা ছিলেন?
কেন এভাবে বললাম বলি।
বাঙলা একাডেমীর মধ্যে ঘটনা ঘটেছিলো। তো দায় টা কার? সেইসময়ের পরিচালকের উপর দায়ভার বর্তায়।
আর সেইসময় ছাত্ররা ঐ ঘটনা ঘটায়। আর একটা সময়ে বই মেলার গেটে ইচ্ছাকৃত ভীড় করতো কুৎসিত রুচির ছেলেরা। যাদের কাজ ছিল মেয়েদের গায়ে হাত দেয়া। আমাদের সময়ে আমি কোনদিন ২১শে ফেব্রুয়ারিতে বইমেলায় যাই নি।
আর তসলিমার উপর যখন ঝামেলা শুরু হয় তখন ক্ষমতায় ছিলো বি এন পি। আর জামাত যে তাদের মন্ত্রণাদাতা এইটা সবাই জানে।
নিচে লিস্ট দিলাম। ঐ সময় মহাপরিচালক তসলিমারে বলেছিলো, অইসব বই লিখেন কেনো যা লিখলে আপনার বিরুদ্ধে মিছিল হয়।
মিছিল কিন্তু একাডেমীর মধ্যে হয়েছিলো। তাইলে এর দায়ভার কার?
বাংলা একাডেমীর স্পেশাল অফিসার, পরিচালক ও মহাপরিচালক
স্পেশাল অফিসার
জনাব মোহম্মদ বরকতুল্লাহ : ০২.১২.১৯৫৫ থেকে ২৮.০২.১৯৫৭
পরিচালক
ড. মুহম্মদ এনামুল হক : ০১.১২.১৯৫৬ থেকে ১২.০৯.১৯৬০
প্রফেসর সৈয়দ আলী আহসান : ১৫.১২.১৯৬০ থেকে ১৪.০২.১৯৬৭
ড. কাজী দীন মুহম্মদ : ১৪.০২.১৯৬৭ থেকে ১৪.০৩.১৯৬৯
প্রফেসর কবীর চৌধুরী : ২৫.০৩.১৯৬৯ থেকে ০২.০৬.১৯৭২
মহাপরিচালক
প্রফেসর মযহারুল ইসলাম : ০২.০৬.১৯৭২ থেকে ১২.০৮.১৯৭৪
ড. নীলিমা ইব্রাহিম : ১২.০৮.১৯৭৪ থেকে ০৬.০৬.১৯৭৫
ড. মুসত্মাফা নূরউল ইসলাম : ০৬.০৬.১৯৭৫ থেকে ০৫.০৫.১৯৭৬
ড. আশরাফ সিদ্দিকী : ০৪.০৬.১৯৭৬ থেকে ৩০.০৬.১৯৮২
কাজী মুহম্মদ মনজুরে মওলা : ৩১.১২.১৯৮২ থেকে ১১.০৩.১৯৮৬
প্রফেসর আবু হেনা মোসত্মফা কামাল : ১১.০৩.১৯৮৬ থেকে ২৩.০৯.১৯৮৯
প্রফেসর মাহমুদ শাহ কোরেশী : ০১.০১.১৯৯০ থেকে ০৫.০২.১৯৯১
প্রফেসর মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ : ০৬.০২.১৯৯১ থেকে ১৯.০৩.১৯৯৫
প্রফেসর আবুল মনসুর মুহম্মদ আবু মুসা : ১৯.০৩.১৯৯৫ থেকে ১৫.০২.১৯৯৭
প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন : ১৭.০২.১৯৯৭ থেকে ১৬.০২.২০০১
প্রফেসর রফিকুল ইসলাম : ৩০.০৪.২০০১ থেকে ৩১.১২.২০০১
প্রফেসর আবুল মনসুর মুহম্মদ আবু মুসা : ০৬.০২.২০০২ থেকে ০৫.০২.২০০৫
প্রফেসর ড. আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ : ২৪.০২.২০০৫থেকে ১৬.১১.২০০৬
প্রফেসর ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ : ১৩.০৫.২০০৭ থেকে ১২.০৫.২০০৯
জনাব শামসুজ্জামান খান : ২৪.০৫.২০০৯ থেকে
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
হুমায়ুন আজাদের প্রতি আমার কিন্তু কোন বিদ্বেষ নেই ভাইয়া, আমি শুধু তসলিমার অভিযোগের সত্য মিথ্যা জানতে চাচ্ছিলাম। আর সে যাই লেখুক না কেন, শুধুমাত্র কিছু লেখার জন্য তার বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়ে মাথার দাম ঘোষনা করা হবে, মিছিল হবে, তার উপর সরাসরি হামলা হবে এটা কোন ভাবেই মানতে পারি নাই, ঐ সময়ের অন্যান্য লেখক/সাহিত্যিকদের অবস্থান আর কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে ইচ্ছে করে। আর জামাত যে এর পিছনে মূল হোতা ছিল সেটা তো পরিষ্কার।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ভাল লেখা রাজীব।
তসলিমা নাসরিন সম্পর্কে আমিও কিছুদিন আগ পর্যন্ত তোমার বা আমিনের মতোই ভাবতাম। কিন্তু এখন বাংলাদেশের লেখালেখির জগৎটা কিছুটা বুঝবার ফলে আমি বরং মহিলার উপর খুব সহানুভূতিশীল। কেন বলছি। তসলিমা নাসরিনের সুন্দর সুন্দর শব্দচয়নের মাধ্যমে বাক্যগঠন করে ভাবপ্রকাশের ক্ষমতা আছে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। অনেকেরই তা থাকে। কিন্তু তসলিমা এই অনেকের থেকে আলাদা কারণ যখন এই ক্ষমতাটা অনেক বেশি ভারী মনে হয় তখন মানুষ নিজেকে প্রকাশ করতে চায়। এখন পারিবারিকভাবে বা নিজে কোনভাবেই পত্রিকার সাথে জড়িত নয় এমন একজনের পক্ষে নিজেকে প্রকাশ করার পথটা খুব একটা মসৃণ নয়। আর একজন মেয়ের পক্ষে এই পথটা আরেকটু জটিল। কারণ আমাদের দেশের লেখালেখি জগতের পুরুষেরা চায় না নারীরা তাদের বিষয়গুলো নিয়ে লিখবে। কোন নারী রাজনীতি-অর্থনীতি নিয়ে লিখলে তারা সেটা পছন্দ করবে না। তারা দেখতে চায় নারী লেখকদের খুব ডেয়ারিং দেখতে পছন্দ করে। তবে সেটা প্রেম-ভালবাসা বা সনাতনী চিন্তা-চেতনার বিপরীতে। অল্পবয়সে বোধহয় না বুঝেই তসলিমা নাসরিন এই ফাঁদে পা দিয়েছিলেন। তার একটা বড় দোষ অতিমাত্রার এটেনশন সিকার। তাই যখন লিখছিলেন তখন চারপাশের প্রচুর হাততালি দেখে কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলে ভেবেছিলেন হয়তো জীবনটা সব সময় এমনই যাবে। আমি বলব উনি বুদ্ধিমান, জ্ঞানী এবং মানুষ হিসেবে আরেকটু ভাল হলে উনার লেখনী দিয়ে বাস্তবিক পক্ষেই একটা বড় ভূমিকা রাখতে পারতেন।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপা তসলিমা নাসরিনের একটা মজার তথ্য দেই।
তার লজ্জা কাকে উৎসর্গ করা জানেন?
তার আমার মেয়েবেলা কাকে উৎসর্গ করা জানেন?
তার মাকে।
আর এখন তার নেই, কিছু নেই
এর শুরুতে লেখা
মা,
তুমি যখন বেঁচে ছিলে,
কত বই লিখেছি, কত কত মানুষকে উৎসর্গ করেছি।
তোমাকে কোনো বই উৎসর্গ করার কথা কোনোদিন ভুল করেও ভাবিনি।
আজ তোমাকে এই বইটি উৎসর্গ করতে চাইছি আমি, সম্ভবত তুমি নেই বলেই চাইছি।
বেঁচে থাকলে চাইতাম না।
তোমার অযোগ্য অপদার্থ কন্যা
বলেন কি বলবো এরে!
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
তসলিমার একটা সরকারী চাকুরী ছিলো।
রুদ্র ছিলো।
মিনার মাহমুদ ছিলো। আজ টিভিতে দেখলাম মিনার মাহমুদ আত্মহত্যা করছে।
আরো অনেকেই ছিলো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
@ শান্তা:
তসলিমার ব্যাপারে তোমার সংগে একমত। তসলিমাকে আমি এগিয়ে রাখবো তাঁর সাহসের জন্যে, স্পষ্টবাদিতার জন্যে। মেয়েরা কথা কয়ে উঠলেই যে সমাজের ভ্রু কুঞ্চিত হয় সে সমাজে তিনি নিজের কথা বারবার বলে গেছেন। সেজন্যেই তো দেশছাড়া হতে হলো।নিজের সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন তিনি, এটাই তাঁর সমস্যা।
নানারকম হিপোক্রেটিক আচরণের কারণে আমার অবশ্য তসলিমা সম্পর্কে ভাল ধারণা নেই। আর সময়ের থেকে অগ্রগামী বলছেন কেন? ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তাই? এটা তো অনেক পুরোনো ব্যাপার। আপনি আবুল ফজলের লেখা পড়ে দেখতে পারেন।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
মুক্ত বুদ্ধির চরচা খ্যাত আবুল ফজল আবার কিন্তু কোরানের কথা, হাদিসের কথা লিখেছেন।
শেশ পরযন্ত অবস্থান ঠিক রাখতে পেরেছেন খুব অল্পজনই। আহমদ শরীফ, আরজ আলী প্রমুখ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
@শান্তা:
না, ধর্ম নিয়ে বলেছেন বলে নয়। নারীদের নিয়ে, নিজেকে নিয়ে খোলামেলাভাবে বলতে পারার জন্যই আমার মনে হয় তসলিমা সময়ের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। যা আমরা সবাই জানি, সবাই বুঝি কিন্তু বলার সময়, মানার সময় অন্যটা করি। তসলিমা সেটাই আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন।
আবুল ফজলের লেখা পড়েছি, ধর্ম নিয়ে কাটাকাটা সোজাসাপ্টা কিছু লিখেছেন কিনা বলতে পারছিনা।
আসলে আবুল ফজলকে উল্লেখ করেছিলাম কিছুটা সিম্বলিক ভাবে। আসল যে কথাটা বলতে চাচ্ছিলাম তা হলো বিংশ শতাব্দির মাঝামাঝি সময়টাতে বাংলাদেশের তরুণদের একাংশ সক্রিয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিল। ধর্ম তাদের জীবনকে কোন প্রভাবিত করতে পারেনি। তারা যথেষ্ট আধুনিক মনস্ক ছিলেন। আমি আমার আব্বার জেনারেশনকে এইভাবেই দেখে এসেছি। ছোটবেলায় উৎসব ছাড়া ধর্মের সাথে সেভাবে আমাদের পরিচয় ঘটানো হয়নি। মূল্যবোধও গড়ে দেওয়া হয়েছে ধর্মকে পাশ কাটিয়ে। তাই তসলিমা নাসরিনের লেখায় যে সমাজ বা যেসব পুরুষদের ছবি দেখতে পেয়েছিলাম তা আমার কাছে ছিল সম্পূর্ণ অপরিচিত। আমি আমার চারপাশে অনেক সত্যিকার অর্থেই আধুনিক নারীদের দেখেছিলাম। সে তুলনায় তসলিমা নাসরিনকে মনে হতো খুব আধুনিক সাজতে চাচ্ছে সত্যিকার অর্থে আধুনিকতার সংজ্ঞা না বুঝেই। আর তার মতাদর্শের সাথেও আমি অনেকাংশে একমত হতে পারিনি। বিভিন্নরকম এ্যবিউসের ঘটনা ঘটে কিন্তু জেন্ডারের থেকেও পাওয়ার ডিসক্রিমেশনের জন্য। সুতরাং অভিযোগের পেছনে বেশি শক্তিব্যয় না করে নিজে্র আরেকটু ক্ষমতায়ন হওয়ার পেছনে শক্তি ব্যয় করা উচিত।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
দোস্ত,
আমার পড়া এখনো শেষ হয় নাই, আরো সপ্তাহ দুই লাগবে। তারপর... 🙂
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
সপ্তাহ যাক, মাস যাক, বছর যাক।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
তসলিমা নাসরিন নাকি প্রায় তিন বছর আগের সুকুমারি দাসের একটা লেখা চুরি করেছিলেন,বিচিন্তায় তখন নিয়মিত লিখতেন,মিনার মাহমুদ দুটি লেখা পাশাপাশি ছেপে দেন। এর পর থেকেই তাদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়( অমি পিয়াল ভাই থেকে জানলাম)
দ্বিখণ্ডিত পড়লাম এইতো সেইদিন,জতখানি বুঝলাম বাংলা ভাষার সকল গুনি কবি,লেখক নাকি ওনার ঘাটে জল খেয়েছেন,হেলাল হাফিয,ইমদাদুল মিলন,রুদ্র ,শামসুল হক নাকি তাকে মেয়ে বানিয়ে ঘুরে ফিরেছেন দক্ষিনবঙ্গ।
যাই হোক ওনার আর একটা বই আছে ফরাসি প্রেমিক। ওই বইটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ফালি ফালি করে কাটা চাঁদ সুন্দর বই।
সবকিছু ভেঙে পড়ে" পারলে এই বইটা একটু পড়ে নিয়েন। হয়ত আপনার ভালো লাগবে।
অনেকদিন লেখার জন্য অপেক্ষা করছি,আর রাজিব ভাই আসলেন এমন একটি সুন্দর,আর তথ্যবহুল লেখা নিয়ে। আমার পক্ষ থেকে একটা ধন্যবাদ নিবেন রাজিব ভাই।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
তসলিমার ঐ লেখার ব্যাপারে সেই সময় কলকাতাতেও লেখালেখি হয়।
আনন্দবাজার হইল লাথি দেয়া দুধেল গরু।
চিন্তা করে দেখ সাহস কতো বড় বাংলা একাডেমীরে পুরশকার দেয়!
আবুল বাশার আমার খুব প্রিয় লেখক। কিন্তু আনন্দবাজার তারে নিয়া মাতামাতি করে ভিন্ন কারণে।
খোয়াবনামা খুব খুব ভালো এক্টা উপন্যাস। কিন্তু ঐ বইয়ের অন্যতম টারনিং পয়েন্ট ছেলের সাথে সত মায়ের শারিরিক সম্পরকের ব্যাপারটা।
আবার দেখ শামসুর রাহমানের সাথে অন্নদাশঙ্কর রায় রে দিছে যারে তারা আগেই দিছিলো।
নীরদ মিয়া তো বাংলাদেশরে তথাকথিত বাংলাদেশ পরযন্ত বলেছে।
তুই যদি ইভেন শরতচন্দ্রে যাস সেও আমাগো মুসল্মান কইছে, বাংআলি কয় নাই।
আর বঙ্কিম বাবু তো যবন কইছে। ঐদিন দেখলাম সে নাকি মুহসিন ফান্ডের টাকায় পড়ছে।
হুমায়ুন আজাদের প্রায় সব লেখাই পড়ছি। খালি বাংলা ভাশা নিয়া তার যে গবেশণা মুলক বই আছে ( ইউনিতে পাঠও) ঐটা পড়িনাই; সংরহে ছিল। আর হ্যা তার করা রবীন্দ্রনাথের প্রধান কবিতার ভূমিকা পড়ছি। দাম বেশি থাকায় তখন কিন্তে পারিনাই।
সব কিছু ভেংগে পড়ে অসাধারণ বই।
ফালি ফালি করে কাটা চাদের ব্যাপারে একই কথা।
এক্টি খুনের শপন ও
৫৬ হাজার নিয়া এক্টা লেখা লিখতেছি গত কয়েকদিন ধইরা।
মাইনশের সমস্যা হইল প্রথম পড়ে পাক সার জমিন সাদ বাদ।
ঐ বই পড়তে যেই পরিপক্কতা দরকার হয় তা অরজন কইরা অই জিনিসে হাত দেয়াও পাপ।
আর নারীর খেত্রেও একই কথা।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব,
তুমি এতগুলা বাংলা বই প্রবাসে জোগাড় করলা কেমনে? এমন পরিশ্রমী ব্লগ দেয়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ। তোমার পড়াশোনার ব্যাপ্তি দেখে খুব খুব ভালো লাগলো। লিংকগুলো জুড়ে দেয়াতে ভালো হলো খুব।
সৈয়দ মুজতবা আলী বেশ ক'বছর ICCR (Indian Council for Cultural Relations)- এরও ডিরেক্টর ছিলেন। ICCR বিদেশী ছাত্রদের শিক্ষাবৃত্তি এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান (সম্ভবত মওলানা আবুল কালাম আজাদের ব্রেইন চাইল্ড)।
উইকিতে এই তথ্য দেখলামনা। দিল্লীতে ICCR অফিসে গিয়ে বোর্ডে দেখি সৈয়দ মুজতবা আলীর নাম লেখা।বেশ অবাক হয়েছিলাম, এই লোক কত কিছু করলেন এক জীবনে।
লজ্জা দিয়েন না ভাই।
অনেক কিছুই নেট থেকে প্রাপ্ত।
এখানকার লাইব্রেরী বেশ রীচ।
আর এখন বই পড়ি হারড, সফট দুইটাই।
আইপ্যাডের কল্যাণে সফট কপি পড়া অনেক ইজি হয়ে গেছে। আর বড় মেয়ে যদি আইপ্যাডের দখল নেয় তবে আই ফোন তো আছেই।
আর মুজতবা আলী বস।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ